শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫
২৪ আশ্বিন ১৪৩২

বয়স বাড়লেও বাড়েনি অবকাঠামোগত উন্নয়ন

কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতাল
কুমিল্লা হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগীদের দীর্ঘ লাইন।
মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা
প্রকাশিত
মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা
প্রকাশিত : ৯ অক্টোবর, ২০২৫ ২০:০৫

দুটি ছোট কক্ষ, সামনে খোলা বারান্দা, মাথার ওপরে টিনের ছাউনি। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। এ যেন রোগীদের জন্য নয়, দুর্ভোগেরই আরেক নাম- কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতাল।

এই হাসপাতালের বহির্বিভাগে মাত্র দুটি কক্ষে বসেন মেডিসিন বিভাগের ৯ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। একজন চিকিৎসক প্রতিদিন গড়ে ৮০ থেকে ১০০ জন রোগী দেখেন। কিন্তু চিকিৎসকের বসার জায়গা পর্যন্ত নেই, রোগীদের জন্য নেই পর্যাপ্ত চেয়ার বা পর্যবেক্ষণ বেড। এত রোগীর চাপ থাকলেও লোকবল সংকট ও অবকাঠামোগত সমস্যার কারণে রোগী ও তাদের স্বজনদের যেমন সমস্যা হয়, তেমনি চিকিৎসায় মনোযোগ দিতে পারছেন না চিকিৎসকরা। এ নিয়ে রোগী ও তাদের স্বজনদের অভিযোগের শেষ নেই।

জানা গেছে, কুমিল্লা জেনালে হাসপাতালটি দেড়শ বছরের পুরোনো হলেও বাড়েনি অবকাঠামোগত উন্নয়ন। তথ্য মোতাবেক ১৮৪৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘কুমিল্লা চ্যারিটেবল ডিসপেনসারি বাই ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি’। ১৮৭১ সালের দিকে কুমিল্লা দাতব্য চিকিৎসালয়ের নামে প্রতিষ্ঠানটিতে রোগী ভর্তি শুরু করা হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর প্রতিষ্ঠানটি ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে পরিণত হয়। যা বর্তমানে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতাল বা সদর হাসপাতাল নামে পরিচিত। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৩টা পর্যন্ত রোগী দেখেন চিকিৎসকরা। মাত্র ৫০ শয্যার হলেও জেলার অন্যতম সরকারি হাসপাতালটির বহির্বিভাগে বছরে চিকিৎসা নেন কয়েক লাখ মানুষ। তবে পর্যাপ্ত চিকিৎসক না থাকা ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন না হওয়ায় দিন দিন সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। অবকাঠামগত সংকটে শয্যা না থাকায় একটি কক্ষে যেমন চারটি বিভাগের চিকিৎসা দিতে হচ্ছে, তেমনি দিন দিন অস্বাস্থ্যকর ও ঝুঁতিপূর্ণ হয়ে পড়ছে হাসপাতালের ভবনগুলো।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বহির্বিভাগের সামনে সহস্রাধিক রোগী ও তাদের স্বজনরা লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছেন টিকিটের জন্য। কেউ কেউ পাশের গাছের নিচে বসে অপেক্ষা করছিলেন কখন তার ডাক আসবে টিকিটের জন্য।

পায়ের গোড়ালি সমস্যা নিয়ে আসমা বেগম (৬০) জানালেন লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে পা-ব্যথা হয়ে গেছে। তাই তার মেয়েকে সিরিয়ালে দাঁড় করিয়ে দিয়ে তিনি পাশের গাছ তলায় অপেক্ষা করছেন। এদিকে বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করা রাজন আহমেদ এক দিনের জন্য ছুটি নিয়েছেন অফিস থেকে। তার স্ত্রীর থাইরয়েড সমস্যা। তিনি স্ত্রীর জন্য টিকিট নিতে লাইনে দাঁড়িয়েছেন। আক্ষেপ করে রাজন বলেন, ‘টিকিট কাটতেই আধা ঘণ্টা সময় লাগছে। ডাক্তার দেখিয়ে আবার শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে বাড়ি কখন যাব।’

নাম না প্রকাশ করার শর্তে আবাসিক ও বহির্বিভাগের অন্তত ৩ জন চিকিৎসক জানান, এত রোগীর চাপ, অথচ সে অনুযায়ী লোকবল নেই। প্রতিনিদই দেড় হাজার থেকে দুই হাজার রোগী দেখতে হয়। অবকাঠামোগত সমস্যা রয়েছে। সব মিলিয়ে চিকিৎসার মতো এমন স্পর্শকাতর বিষয়ে এই পরিবেশে মনোযোগ ধরে রেখে চিকিৎসা দেওয়া খুবই কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আবদুল করিম খন্দকার জানান, হাসপাতালটিতে দিনের পর দিন রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অবকাঠামোগত সমস্যার পাশাপাশি রয়েছে লোকবলের সমস্যাও।

কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন নানা সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন মন্ত্রণালয়ে আড়াইশ বেড হাসপাতালে উন্নতি করার জন্য আবেদন করা হয়েছে।

কুমিল্লাসহ আশেপাশের জেলার মানুষজনও জেনারেল হাসপাতালে আসেন সেবা নিতে। এখানে মেডিসিন, সার্জারি, শিশু ও গাইনি, অর্থোপেডিকসহ মোট নয়টি ইউনিটে বহির্বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে। আই সি ইউসহ হাসপাতালটিতে চিকিৎসা দিচ্ছেন শতাধিক চিকিৎসক ও নার্স। অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি হাসপাতালটিকে আড়াইশ শয্যায় উন্নীতকরণের জন্য আবেদন করা হয়েছে মন্ত্রণালয়। যত দ্রুত এই প্রকল্প অনুমোদন এবং বাস্তবায়ন হবে কুমিল্লাসহ আশেপাশের জেলার মানুষজন তত ভালো সেবা পাবেন।


‘যেখানে বিএনপির মাঠ ভালো সেখানে বিষদাগার করা হচ্ছে’

চুয়াডাঙ্গায় সংবাদ সম্মেলন
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জহির রায়হান সোহাগ, চুয়াডাঙ্গা

বিএনপির বিরুদ্ধে প্রবাসী সাংবাদিক ইউটিউবার ইলিয়াসের পরিকল্পিত অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদ হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সফিকুল ইসলাম পিটু।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘চাঁদাবাজ সাংবাদিক ইলিয়াস হুসাইন পরিকল্পিতভাবে স্বাধীনতা বিরোধী একটি দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নে নেমেছে। এর সাথে আমাদের দলেরই একজন নব্য উদিত হওয়া মনোনয়ন প্রতাশ্যী ও তার চাচা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। তারা বিশেষ দল ও গোষ্ঠীকে সুবিধা দেয়া-নেয়ার পাঁয়তারা করছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশজুড়ে যেখানেই বিএনপির মাঠ ভালো, যেখানেই বিএনপির জেতার সম্ভাবনা রয়েছে সেখানেই একটি দল বিষদাগার করার চেষ্টা করছে। মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছেন। ইলিয়াস বিএনপির সেসব মনোনয়ন প্রত্যাশীদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার অপপ্রচারে নেমেছে। শরীফুজ্জামান শরীফ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দলের কাউন্সিলরদের ভোটে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনিপর নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। বিএনপির এই নেতা ও তার ভাই সাহিদুজ্জামান টরিকের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা করা হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ মিল্টন, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম নজু, পৌর বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মনি, জেলা মহিলা দলের সভাপতি রউফুন নাহার রিনা, জেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক সাইফুর রশিদ ঝন্টু, জেলা ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক মোমিন মালিতাসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য, গত ৬ অক্টোবর ইলিয়াস হোসাইনের ইউটিউব চ্যানেলে ‘দুই ভাই মিলে বাংলা সিনেমার স্টাইলে চাঁদাবাজি করছে’ শিরোনামে জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক ও তার অনুসারীদের নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়।


সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে নওগাঁয় মানববন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সবুজ হোসেন, নওগাঁ

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়ায় এখন টেলিভিশনের ব্যুরো প্রধান হোসাইন জিয়াদ ও চিত্র সাংবাদিক পারভেজ রহমান এর ওপর সন্ত্রাসি হামলার প্রতিবাদ ও আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবীতে নওগাঁ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় নওগাঁয় কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীদের আয়োজনে শহরের মুক্তির মোড় শহীদ মিনারের পাশে ঘন্টাব্যাপী এ কর্মসূচী পালিত হয়। মানববন্ধনে সাপ্তাহিক প্রজন্মের আলোর সম্পাদক আব্দুর রহমান রিজভী’র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) জেলা সভাপতি ও বিজয় টিভির জেলা প্রতিনিধি মোফাজ্জল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ও ডিবিসি’ জেলা প্রতিনিধি একে সাজু, ইনডিপেনডেন্ট টিভির জেলা প্রতিনিধি সাদেকুল ইসলাম, সকালের সময় এর প্রতিনিধি মাহমুদুন নবী বেলাল, জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি ও বাংলা টিভির জেলা প্রতিনিধি আশরাফুল নয়ন, সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক বাংলার জেলা প্রতিনিধি সবুজ হোসেন , দপ্তর সম্পাদক মাহাবুল আলম মারুফ ও

এখন টিভির জেলা প্রতিনিধি আব্বাস আলী সহ অন্যরা। মানববন্ধনে জেলার বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা বলেন- সংবাদ সংগ্রহের সময় স্থানীয় চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে ক্যামেরা ভাঙচুর সহ অন্যান্য জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়। ঘটনার প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন জেলার সংবাদিক সংগঠনগুলো ঘটনার প্রতিবাদে ও হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনসহ বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচী পালন করছে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনগুলো। চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের এখনো পুলিশ গ্রেফতার করছে না। পুলিশ প্রশাসনের নীবর ভূমিকা নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠেছে। অবিলম্বে হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবী জানানো হয়।


জয়পুরহাটে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে লিফলেট বিতরণ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জয়পুরহাট প্রতিনিধি

‘তরুণ প্রজন্মের প্রথম ভোট ধানের শীষের পক্ষে হোক’-এই স্লোগানকে সামনে রেখে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জনগণের মাঝে পৌঁছে দিতে গণমিছিল ও লিফলেট বিতরণ এবং ধানের শীষের পক্ষে নির্বাচনী গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার জয়পুরহাটের কালাই উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যাগে কালাই সরকারি মহিলা কলেজ থেকে পাঁচশিরা বাজার পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

গণমিছিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি জয়পুরহাট-২ (কালাই, ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর) আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক সচিব ও বিএনপি নেতা মো. আব্দুল বারী বলেন, দল থেকে যদি আমাকে নমিনেশন দেওয়া হয় এবং জনগণ যদি আমাকে নির্বাচিত করে তাহলে আমি এলাকার উন্নয়নের জন্য কাজ করবো। আমার নির্বাচনী এলাকায় কোন অফিসে অনিয়ম, দুর্নীতি, ঘুষ চলবেনা। আমি নিজে চাকরি জীবনে শতভাগ সততার সাথে কাজ করেছি এবং আমার অফিস ছিল ঘুষ দূর্নীতি মুক্ত। আমার কাছে কোন অনিয়মের প্রশ্রয় নেই। বিশেষত ঘুষ, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, ভয়ের সংস্কৃতি এখানে থাকবে না।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি এ এইচ এম ওবায়দুর রহমান সুইট, ক্ষেতলাল উপজেলা বিএনপির সভাপতি খালেদুল মাসুদ আঞ্জুমান, ক্ষেতলাল পৌর বিএনপির সভাপতি ক্ষেতলাল পৌর বিএনপির সভাপতি সহকারী অধ্যাপক আব্দুল আলীম, আক্কেলপুর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আরিফ ইফতেখার আহম্মেদ রানা, কালাই উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মৌদুদ আলম সরকার, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাহমুদুল হাসান এলান, আহম্মেদাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বজলুর রহমান, উদয়পুর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সহকারী অধ্যাপক আব্দুল আলীম, পুনট ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মোস্তাক আহম্মেদ সিদ্দিকী রিপন, জিন্দারপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ফিরোজ কবিরসহ উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

পুরো কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা বিএনপির ৩১ দফা কর্মপরিকল্পনার লিফলেট সাধারণ মানুষের হাতে তুলে দেন এবং আসন্ন নির্বাচনে ধানের শীষের পক্ষে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।


নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ার অঙ্গীকার ‘বৈচিত্র্যের ঐক্যে’ প্যানেলের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
চবি প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনকে সামনে রেখে বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর প্যানেল ‘বৈচিত্র্যের ঐক্য’ ইশতেহার ঘোষণা করেছে। নিয়মিত চাকসু নির্বাচন জারি রাখা, নিরাপদ ক্যাম্পাস এবং শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার আদায়ে কাজ করার অঙ্গীকার করে ইশতেহার ঘোষণা করেন প্যানেলটির জিএস প্রার্থী সুদর্শন চাকমা।

বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু ভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ইশতেহার ঘোষণা করা হয়।

ইশতেহারে আরো উল্লেখ করা হয়, আবাসন, পরিবহন, খাদ্য, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ, শিক্ষা ও গবেষণা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া, জাতিগত বৈচিত্র্যে ও নারীবান্ধব ক্যাম্পাস, গণতন্ত্র, স্বায়ত্তশাসন ও মানবাধিকার নিয়ে বৈচিত্র্যের ঐক্য প্যানেল কাজ করে যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে বৈচিত্র্যের ঐক্য প্যানেলের ভিপি প্রার্থী ধ্রুব বড়ুয়া বলেন, ‘আমরা আজ আমাদের প্যানেলের ইশতেহার ঘোষণা করছি। আমরা ইতিহাসের সব গণসংগ্রামের প্রকৃত ইতিহাস ধারণ করে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নির্মাণে আমাদের চলমান সংগ্রাম জারি রাখবো। নিয়মিত চাকসু নির্বাচন জারি রাখা, নিরাপদ ক্যাম্পাস এবং শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার আদায়ে আমরা কাজ করব।

তিনি বলেন, সন্ত্রাস-দখলদারিত্ব মুক্ত নিরাপদ একাডেমিক পরিবেশ নির্মাণে কাজ করব। মব ভায়োলেন্স, মোরাল পুলিশিং এর বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধ করে নারীর সামগ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করব। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণ-প্রকৃৃতি ও মানুষের নিরাপদ সহাবস্থান নিশ্চিত করব।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বৈচিত্র্যের ঐক্য প্যানেলের ভিপি প্রার্থী ধ্রুব বড়ুয়া, জিএস প্রার্থী সুদর্শন চাকমা, এজিএস প্রার্থী জশদ জাকিরসহ প্যানেলের অন্যান্য সদস্যরা।

প্রায় তিনযুগ পর আগামী ১৫ অক্টোবর সপ্তমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চাকসু নির্বাচন। এ নির্বাচনে প্রার্থী রয়েছেন ৯০৮ জন। এর মধ্যে চাকসুর ২৬টি পদের বিপরীতে ৪১৫ জন, হল সংসদে ৪৭৩ জন এবং হোস্টেল সংসদে ২০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। নির্বাচনে ভোটার রয়েছেন ২৭ হাজার ৫২১ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১৬ হাজার ৮৪ জন ও ছাত্রী ১১ হাজার ৩২৯ জন। নির্বাচনের দিন ভোটগ্রহণ চলবে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।


চট্টগ্রামে বৈজ্ঞানিক সিম্পোজিয়ামের রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রম উদ্বোধন

আসছেন তুরস্ক, কানাডা, থ্যাইল্যান্ড ও পাকিস্তানসহ কয়েকটি দেশের চিকিৎসা বিজ্ঞানী
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

’গবেষণা ও মেডিকেল শিক্ষা: উদ্ভাবনের অনুপ্রেরনা, এক্রিডিটেশনের নিশ্চয়তা’ কেন্দ্রীয় বিষয়ের উপর ভিত্তি করে আগামী ১৮ ডিসেম্বর সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত দিনব্যাপী অনুষ্টিতব্য বৈজ্ঞানিক সিম্পোজিয়ামের রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। ওয়ার্ল্ড ফেডারেশ অব মেডিকেল এডুকেশন (ডব্লিউএফএমই) কর্তৃক ভারত, পাকিস্তান, নেপালসহ আমাদের পার্শ্ববর্তী প্রায় সকল দেশের মেডিকেল কলেজগুলো বৈশ্বিক স্বীকৃতি প্রাপ্ত হয়েছে। বাংলাদেশে এই মুহুর্তে মেডিকেল শিক্ষার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন কাজ হল বৈশ্বিক স্বীকৃতি। ইতোমধ্যে সরকার এই কাজের গুরুত্ব বিবেচনায় প্রতিষ্ঠা করেছে বাংলাদেশ মেডিকেল এডুকেশন এক্রিডিটেশন কাউন্সিল (বিএমইএসি) যেই সংস্থা মূলত সরকারী বেসরকারী মেডিকেল কলেজগুলোর ডব্লিউএফএমই কর্তৃক স্বীকৃতির জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এই সিম্পাজিয়ামের অন্যতম মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হল ডব্লিউএফএমই কর্র্তৃক বৈশ্বিক স্বীকৃতির জন্য মেডিকেল শিক্ষার মান উন্নয়ন।

চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ, চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল ডেন্টাল কলেজ ও চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল নার্সিং কলেজ এর যৌথ উদ্যেগে আয়োজিত এ সিম্পোজিয়াম কলেজ ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে। রেজিষ্ট্রেশনের কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সিম্পোজিয়াম অর্গানাইজিং কমিটির সম্মানিত চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. টিপু সুলতানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন এক্সিকিউটিভ কমিটির সেক্রটারী ও অর্গানাইজিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. মুসলিম উদ্দিন সবুজ, কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মো. পারভেজ ইশবাল শরীফের পরিচালনায় উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল ডেন্টাল কলেজের অধ্যাক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. আকরাম পারভেজ চৌধুরী, অধ্যাদপক ডা. মনসরুল আলম, অধ্যাপক ডা. আলী হোসাইন, অধ্যাপক ডা. আসমা কবির সোমা, অধ্যাপক ডা. মুসলিনা আক্তার, ডা. মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম, নার্সিং কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যাক্ষ মিসেস সানজিদা বিনতে আলম। আগামী ৫ নভেম্বর পর্যন্ত সিম্পোজিয়ামের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চলমান থাকবে।


কেশবপুরে সড়কের জায়গা দখল করে প্রাচীর নির্মাণ, ভেঙে দিল জনতা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসকের নির্দেশ অমান্য করে যশোরের কেশবপুর পৌরসভার বায়সা নুরপুর সড়কের জমি দখল করে প্রাচীর নির্মাণ করার পর অবশেষে বৃহস্পতিবার ভেঙে দিয়েছে জনতা। রবিউল ইসলাম ক্ষমতাবলে সড়কের জমি দখল করে সেখানে জোরপূর্বক প্রাচীরটি নির্মাণ করছিল। এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর পৌর প্রশাসক সড়কের ওপর প্রাচীর নির্মাণ না করতে তাকে নোটিশ দেয়। ওই নোটিশ পেয়েও রবিউল ইসলাম কাজ অব্যাহত রাখে। পরে বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেন। এ সময় মহল্লাবাসী সড়কের ওপর নির্মাণ করা ওই অবৈধ প্রাচীর ভেঙে দেয়। পৌর শহরের রবিউল ইসলাম সম্প্রতি পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ও আলিয়া মাদ্রাসার পাশে জনৈক মাস্টার আমিনুল ইসলামের নিকট থেকে প্রায় এক কোটি টাকায় ওই বাড়িটি ক্রয় করেন। এরপর ওই বাড়ির সামনে সড়কের জমি দখল করে সেখানে ওই নির্মাণকাজ করছিল।

কেশবপুর বাজারের বেসরকারি হাসপাতালের হেলথকেয়ার সেন্টারের অ্যাম্বুলেন্সচালক রবিউল ইসলাম গত ১২ বছরে অবৈধ উপায়ে প্রায় শতকোটি টাকার মালিক হয়েছেন।

অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্ন অবৈধ উপায়ে কেশবপুর সরকারি হাসপাতালের সামনে মডার্ন ক্লিনিক স্থাপন, হাসপাতালের পাশে মূল্যবান জমিক্রয় করে সেখানে ৫ তলা বাড়ি নির্মাণ, কেন্দ্রীয় ঈহগাহের পাশে ৩ তলা বাড়ি ক্রয়, ঢাকায় ফ্ল্যাটক্রয়, প্রাইভেট, মাইক্রোবাস ক্রয়সহ বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১০০ কোটি টাকার সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। মডার্ন ক্লিনিকের মালিক রবিউল ইসলাম গত ৫ আগস্টের পর, স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতার ছত্র-ছায়ায় আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেন। গত ১২ বছর আগের দিন মজুর রবিউল ইসলামের আয়ের উৎসহের ব্যাপারে তদন্ত দাবি করেছেন কেশবপুরবাসী।

রবিউল ইসলাম বলেন, পৌরসভা থেকে নোটিশ দেওয়ার পর পৌর কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে কাজ অব্যাহত রাখি। এরপর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শরীফ নেওয়াজ ঘটনাস্থলে যান। এ সময় আমাকে না পেয়ে তিনি আমাকে ফোন দিয়ে কাজ বন্ধ রেখে জমি মেপে প্রাচীর নির্মাণ করতে বলেন।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শরীফ নেওয়াজ বলেন, জনৈক রবিউল ইসলাম সড়কের জায়গা দখল করে প্রাচীর নির্মাণ করছিল। এ ব্যাপারে তাকে নোটিশ দেওয়া হয় এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কাজ বন্ধ করতে বলা হলেও তিনি তা অমান্য করে নির্মাণকাজ অব্যাহত রাখেন। পরবর্তিতে জনতা তা ভেঙে দিয়েছেন।


পটুয়াখালীতে ইজারা নিয়ে দুগ্রুপের সংঘর্ষে পুলিশ সদস্যসহ আহত ৭, আটক ৩

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মোজাহিদুল ইসলাম নান্নু, পটুয়াখালী

পটুয়াখালীর সদর উপজেলার লোহালিয়া ইউনিয়নের পালপাড়া বাজারের ইজারা নিয়ে দুগ্রুপের সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে পুলিশের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশের ৫ সদস্য আহত হয়েছেন। এছাড়া আশঙ্কাজনক অবস্থায় মফিজুল নামের এক ব্যক্তিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গত বুধবার রাতে সদর উপজেলার লোহালিয়া ইউনিয়নের পালপাড়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাধ্য হয়ে শট গানের দুই রাউন্ড ফাঁকাগুলি ছোড়ে পুলিশ।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ আমিনুল হক চৌধুরী (৪৫), পলাশ হাওলাদার (২৫) ও রমজান আলী (৬৫) নামের তিনজনকে আটক করেছে।

আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন এএসআই জহির, এসআই আবদুর রহমান, কনস্টেবল মহিবুল্লাহ, মো. রানা ও সাইফুল ইসলাম। তাদের পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

জানা যায়, লোহালিয়া ইউনিয়নের পালপাড়া বাজারে সোহাগ মাঝি (পিতা রফিক মাঝি, সাং পাজাখালি) ও মফিজুল মৃধা (পিতা সুলায়মান মৃধা, সাং পাজাখালি) দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। গত বুধবার সন্ধ্যায় সোহাগ মাঝি প্রায় ২০-২৫ জন অনুসারী নিয়ে পালপাড়া বাজারে প্রবেশ করলে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

বিষয়টি স্থানীয়রা জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে জানালে পটুয়াখালী সদর থানা থেকে বিট অফিসার এসআই রাসেল, এএসআই জহিরুল ইসলাম, এএসআই আব্দুর রহমান এবং মোবাইল-১১ টিম ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে যায়।

পুলিশের উপস্থিতি দেখেই সোহাগ মাঝির অনুসারীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায় বলে জানা যায়। এ সময় পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয় এবং এসআই জহিরুল ইসলাম, এএসআই আব্দুর রহমান, কনস্টেবল মুহিবুল্লাহ ও ড্রাইভার কনস্টেবল সাইফুল ইসলাম আহত হন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শটগান থেকে দুই রাউন্ড গুলি ছোড়ে। পরে সোহাগ মাঝির দল দা, সুরকি ও লাঠি নিয়ে মফিজুল মৃধার ওপর হামলা চালিয়ে তাকে গুরুতর আহত করে।

খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) অপু চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) সাজেদুল ইসলাম সজল এবং ওসি পটুয়াখালী সদর থানা ইমতিয়াজ আহমেদ ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

আহত মফিজুল মৃধাসহ অন্যান্য আহতদের পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশের আহত সদস্যদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য স্পিডবোটযোগে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ঘটনার পর এলাকাজুড়ে অতিরিক্ত পুলিশ, র‍্যাব ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বাজার ও আশপাশের এলাকায় এখনো থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) সাজেদুল ইসলাম সজল বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছ। এই ঘটনায় পটুয়াখালী সদর থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযান চালিয়ে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আর স্বামীদের গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলমান। আহত পুলিশ সদস্যরা পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বর্তমানে তারা সুস্থ রয়েছেন।


গোমতী নদীতে বালু উত্তোলনে ১০ লাখ টাকা জরিমানা

প্রকৌশলীকে তিন মাসের দণ্ড
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
তরিকুল ইসলাম তরুন, কুমিল্লা দক্ষিণ

কুমিল্লার গোমতী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে ওই এলাকায় সরকারি বরাদ্দে নির্মাণাধীন সেতুতে বালু ব্যবহার করার অভিযোগে ‘হামীম ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড রাশেদুজ্জামান পিটার কোং’ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা এবং প্রতিষ্ঠানটির এক প্রকৌশলীকে তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

গত বুধবার বিকেল ৪টার দিকে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার গোলাবাড়ি এলাকায় এ অভিযান পরিচালিত হয। অভিযানটি পরিচালনা করেন আদর্শ সদর উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানজিনা জাহান। সাজাপ্রাপ্ত প্রকৌশলীর নাম ওহিদুল ইসলাম। তিনি গোলাবাড়ি ব্রিজ প্রকল্পের সাইট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানজিনা জাহান বলেন ‘গোমতী নদীর গোলাবাড়ি পয়েন্টে এলজিইডির ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি ব্রিজ নির্মাণের পাশাপাশি ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছিল, যা সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূত এবং নদী ও সেতু উভয়ের জন্য ক্ষতিকর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনানুযায়ী ১০ লাখ টাকা জরিমানা ও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এ সময় বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত ড্রেজারটিও জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন ভবিষ্যতে গোমতী নদী থেকে কেউ বালু উত্তোলন বা চরনিধন করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।


রাউজানে প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ

চট্টগ্রামের রাউজানে কৃষকের মাঝে শাকসবজির বীজ সার বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিসান বিন মাজেদ।
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের রাউজানে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় রবি মৌসুমে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বসতবাড়ি ও মাঠে চাষযোগ্য শাকসবজির বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। গত বুধবার বেলা ১১ ঘটিকায় রাউজান কৃষি বিভাগীয় প্রশিক্ষণ হলে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিসান বিন মাজেদ। সভাপতিত্ব করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুম কবির। সঞ্চালনা করেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জীব কুমার সুশীল। বক্তব্য রাখেন সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আনিসুল মোস্তফা, উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা তপন চন্দ্র সেন, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শিবু শংকর দে, মো. নাজিম উদ্দীন, সিকু কুমার বড়ুয়া, ইমরান হোসেন। এ সময় অন্যান্য উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে উপজেলার ৩৫০ জন কৃষকের মাঝে উফশী সবজির বীজ ও সার, ৭০০ জন কৃষক-কৃষাণিকে হাইব্রিড বীজ ও সারসহ উপজেলার ১০৫০ জন কৃষক-কৃষাণির হাতে বীজ ও সার প্রদান করেন অতিথিরা। প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিসান বিন মাজেদ বর্তমানে যে জমিগুলো অনাবাদি আছে কৃষি অফিসের সহযোগিতায় সেগুলোতে শাক-সবজির আবাদ গড়ে তোলার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, পতিত জমিতে ফলন করে একদিকে যেমন নিজেদের চাহিদা পূরণ হয় অপরদিকে উৎপাদিত শাক-সবজি বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া সম্ভব।


জনবল সংকটে সোনাইমুড়ী পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ, সেবা বঞ্চিত মানুষ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
খোরশেদ আলম, নোয়াখালী উত্তর

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের ১১০টি জনবলের মধ্যে ৪৫টি পদই শূন্য রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে জনবল সংকটের ফলে উপজেলা স্বাস্থ্যসেবার কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সোনাইমুড়ী উপজেলা মেডিকেল অফিসার (এমসিএইচ-এফপি) পদে ডাক্তার নুরুল আফসার ছিলেন। তিনি ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে পার্শ্ববর্তী ফেনী জেলায় বদলি হওয়ার পর এ পথটি শূন্য হয়।

উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারী ৩টি পদই শূন্য রয়েছে। সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ৪টি অনুমোদিত পদের মধ্যে ৩টি পদ শূন্য রয়েছে। আমিশাপাড়া ইউনিয়নের সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মমতাজ বেগম একাই সোনাপুর ও নাটেশ্বর ইউনিয়নে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা অনুমোদিত পদের ১০টি আছে ৬ জন, পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক ১০টি আছে ৮ জন, পরিবার কল্যাণ সহকারী ৫৯ জনের বিপরীতে ৪৩ জন কর্মরত আছেন। এছাড়া অফিস সহায়ক ২টির মধ্যে ২টি পদই শূন্য দীর্ঘ বছর। নিরাপত্তা প্রহরী ৪ জনের বিপরীতে ২ জন ও আয়া ১১ জনের বিপরীতে ৪ জন কর্মরত আছেন।

তবে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মা ও শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকার ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র চালু করেছে। এসব কেন্দ্রগুলোতে বিনামূল্যে মা ও শিশুদের জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, টিকাদান, পরিবার পরিকল্পনা, ওষুধ সরবরাহসহ নানা ধরনের সেবা দেওয়া হয়। কিন্তু জনবল সংকটের কারণে এই গুরুত্বপূর্ণ সেবা ব্যাহত হচ্ছে।

সোনাইমুড়ী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের এক কর্মচারী জানান, এ উপজেলায় জনবল সংকট থাকায় সেবা প্রদানে হিমশিম পোহাতে হচ্ছে। এতে রোগীদের চিকিৎসা প্রদানে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।

উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নাজনীন আক্তার বলেন, এখানে তীব্র জনবল সংকট রয়েছে। জন্ম বিরতিকরণ পদ্ধতির জন্য সকল প্রকার ওষুধ পর্যাপ্ত মজুত থাকলেও ইউনিটকর্মী কম থাকায় সব মানুষের কাছে সেবা পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না।


মানবিক বাংলাদেশ গঠনে পিআর পদ্ধতি একটি অপরিহার্য নির্বাচন ব্যবস্থা

কুমিল্লায় জামায়াতের গোল টেবিল বৈঠক
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম বলেছেন, আগামীর মানবিক বাংলাদেশ গঠনে পিআর পদ্ধতি একটি অপরিহার্য নির্বাচন ব্যবস্থা। আমরা সবাইকে সঙ্গে নিয়ে একটি অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। ইতোমধ্যে মধ্যে ২৬টি দল পিআর পদ্ধতির পক্ষে মত দিয়েছে। বাংলাদেশে রাজনীতিতে বিভাজন নয়, ঐক্য প্রয়োজন। সব রাজনৈতিক দল এই যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য ঐক্যবদ্ধ হবে। গত বুধবার রাতে নগরীর টমছমব্রিজ এলাকায় একটি পার্টি সেন্টারে কুমিল্লা মহানগর জামায়াত আয়োজিত ‘‌জুলাই জাতীয় সনদ ও পিআর পদ্ধতির ভিত্তিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কুমিল্লা মহানগর জামায়াতের আমির কাজী দ্বীন মোহাম্মদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আমির অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহজাহান এবং কুমিল্লা উত্তর জেলা আমির অধ্যাপক আব্দুল মতিন।

মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, ১৯৮১ সালের ১৫ নভেম্বর বিচারপতি আবদুস সাত্তার প্রেসিডেন্ট হলেন। কিন্তু এর কয়েক মাস পরেই এরশাদ ক্ষমতা দখল করলেন। এখন কোনো কোনো দল পিআরের বিপক্ষে বোঝাতে চায় নেপালের মতো আমাদের অবস্থা হবে। প্রেসিডেন্ট তো আপনাদের ছিল। আবদুস সাত্তার নির্বাচিত হওয়ার চার মাস পর এরশাদ তাকে জিম্মি করে ২৪ মার্চ ক্ষমতা দখল করলেন। এরপর ভোটার ছাড়া নির্বাচন করল। দিনের নির্বাচন রাতে করল। এরপর ডামি নির্বাচন করল। এই জন্যই আমরা অনেক চিন্তা করেই পিআর পদ্ধতি থ্রো করেছি।

এ সময় কুমিল্লা মহানগরের নায়েবে আমীর অধ্যাপক একেএম এমদাদুল হক মামুন, মহানগরী সেক্রেটারি মাওলানা মাহবুবুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি কামারুজ্জামান সোহেল, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মোশাররফ হোসাইনসহ দলীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


পঞ্চগড়ে রাস্তা পাকাকরণের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
পঞ্চগড় প্রতিনিধি

পঞ্চগড়ের সদর উপজেলায় গ্রামীণ কাঁচা সড়ক পাকাকরণের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বুধবার বিকেলে উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের দরুয়াপাড়া এলাকায় কমলাপুর লাঙ্গলগাঁও সড়কের পাশে এলাকাবাসীর এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় রিকশা-ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সড়ক সম্পাদক আমিনুর রহমান, পঞ্চগড় মটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন ২৬৪-এর সাধারণ সম্পাদক আকবর আলী, শ্রমিক নেতা দুলাল, স্থানীয় রাজেদুল ইসলাম, জয়তুন, সয়ফুল, রাসেল, বেলাল, মানিক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এ সময় কমলাপুর, দরুয়াপাড়া, লাঙ্গলগাঁওসহ কয়েকটি গ্রামের তিন শতাধিক পুরুষ-মহিলাসহ শিশুরা অংশগ্রহণ করেন।

এ সময় বক্তারা বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে কমলাপুর লাঙ্গলগাঁও সড়ক ধরে চলাচল করছি অন্তত তিন হাজারের বেশি মানুষ। এখানে ঢ়েমশিমারী পোলট্রি ফার্মের ভারী গাড়ি চলাচল করে সড়কটি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দে ভরা। অনেক সময় গাড়ি-সাইকেল নিয়ে মানুষজন গর্তে পড়ে গিয়ে আহত হন। এই সড়ক ধরে মানুষজন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা নিতে যায়। প্রাথমিক বিদ্যালয়, বালিক উচ্চবিদ্যালয়, মাধ্যমিক উচ্চবিদ্যালয়সহ একাধিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। অনেক শিক্ষার্থী এই রাস্তা ধরে চলাচল করে। কিন্তু খানাখন্দে তাদের চলাচলে নানা দুর্ভোগ পোহাতে হয়। যদিও বর্তমানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইটের খোয়া ও বালু দিয়ে রোলার করে সাময়িক সড়কটি সংস্কার করেছে। কিন্তু তা স্থায়ী নয়। আমরা চাই সড়কটি পাকাকরণের জন্য। বর্তমানে পোলট্রি ফার্ম রাস্তা দিয়ে ভারী গাড়ি নিতে চায় কিন্তু তাদের কারণে তো রাস্তা আবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা আন্দোলন করছি এ কারণে আমিনুলকে পা ছিড়ে ফেলার হুমকি দিয়েছে ছাত্রদলের নেতা রাজু। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই। আমরা তার বিচার চাই। আমরা চাই ফার্মের গাড়ি চলুক আমরা বাধা দেব না। কিন্তু তাদের গাড়ির কারণে সড়কে মানুষ চলাচল করতে পারে না। কেননা সড়কটি খুবই সংকীর্ণ। সড়কটি প্রশস্ত করে পাকাকরণ করা জরুরি। আর ফার্মের লোকজন আমাদের সাথে আলোচনায় বসুক। আমরা প্রশাসনের লোকজনসহ সবাই মিলে এর সুষ্ঠু সমাধান করব। তবে কোনো ছলচাতুরী করলে এর ফলাফল ভালো হবে না।

পরে পঞ্চগড় মটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন ২৬৪-এর সাধারণ সম্পাদক আকবর আলী, শ্রমিক নেতা দুলাল হোসেন দ্রুত সবাই বসে বিষয়টি সুরাহার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষ করেন স্থানীয়রা। তবে কোনো ছলচাতুরী করলে বৃহৎ আন্দোলনের হুঁশিয়ারি উচ্চরণ করেন তারা।


banner close