শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫
২৬ আশ্বিন ১৪৩২

গাইবান্ধায় তৈরি হচ্ছে ধানের কুড়া থেকে ভোজ্য তেল সাশ্রয়ী মূল্য আর কর্মসংস্থানে নতুন দিগন্ত

মাসুম বিল্লাহ, গাইবান্ধা
প্রকাশিত
মাসুম বিল্লাহ, গাইবান্ধা
প্রকাশিত : ১১ অক্টোবর, ২০২৫ ১৫:০০

গাইবান্ধায় ধানের কুড়া থেকে উৎপাদন করা হচ্ছে ভোজ্য তেল। পুষ্টিগুনে ভরপুর এই তেল স্থানীয় বাজার ছাড়াও সরকারি সহায়তায় টিসিবির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে সাশ্রয়ী দামে সরবরাহ করছে উৎপাদনকারী মিল কর্তৃপক্ষ। শুধু তাই নয়, এই তেল রপ্তানি করা হচ্ছে বিদেশেও। শুধু তেলই নয়, কুড়া থেকে তেল নিষ্কাশনের পর অবশিষ্ট অংশকে কাজে লাগিয়ে তৈরি করা হচ্ছে মাছ ও গবাদিপশুর খাদ্য। ফলে ধানের কুড়ার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের নতুন দিগন্ত সূচনা হয়েছে জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জে।

উৎপাদন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ধানের কুড়ার তেল অন্যান্য সাধারণ ভোজ্য তেলের তুলনায় বেশি স্বাস্থ্যসম্মত। এতে রয়েছে ওরিজানল নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা কোলেস্টেরল কমায়। এই তেল প্রচুর ভিটামিন ই সমৃদ্ধ, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এতে মনো ও পলি-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড বেশি থাকায় হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস পায়।

সম্প্রতি সরেজমিনে গোবিন্দগঞ্জে মহিমাগঞ্জ এলাকার পুনতাইর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, প্রত্যন্ত অঞ্চলে গড়ে উঠেছে "প্রধান রাইচ ব্রান অয়েল মিল"। অনুমতি নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করতেই চোখে পড়ে সেখানে চলছে মহা কর্মযজ্ঞ। বিভাগ ভিত্তিক কর্মচারীরা কাজ করছে যান্ত্রিক মেশিনের সাথে সমান তালে। হাজার হাজার বস্তায় স্তুপ করা ধানের কুড়া। শ্রকিকরা বস্তাভর্তি ধানের কুড়া ঢেলে দিচ্ছেন মাটির নিচে স্থাপন করা কনভেয়ার নামক মেশিনে। সেখান থেকে কয়েকটি মেশিনের ধাপ পেরিয়ে সর্বশেষ রিফাইনারিতে যাচ্ছে ভোজ্য তেল।

সেকশান ভিত্তিক তেল উৎপাদন সংশ্লিষ্ট টেকনিশিয়ান কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকরা দায়িত্বপালন করছেন অত্যন্ত সতর্ক অবস্থানে থেকে। উৎপাদনের একেবারে শেষ পর্যায়ে কোনো রকম হাতের স্পর্শ ছাড়াই বোতলজাত হচ্ছে এই তেল। যে সেকশানে কাজ করছে মিলের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী কর্মচারী।

তেল ছাড়িয়ে অবশিষ্ট কুড়ার অংশ যাচ্ছে আলাদা এক সেকশানে। যেখানে প্রস্তুত হচ্ছে মৎস ও প্রাণি খাদ্য। সমান তালে লোড করা হচ্ছে ট্রাক। ওইসব ট্রাকে করে এই প্রাণি খাদ্যগুলো যায় দেশের নাম করা বিভিন্ন মৎস ও প্রাণি খাদ্য উৎপাদনকারী কোম্পানিতে।

প্রধান রাইচ ব্রান অয়েল মিলের স্বত্বাধিকারী নাজির হোসেন প্রধান ২০১৩ সালে ইন্ডিয়া থেকে কুড়া থেকে তেল উৎপাদনকারী একটি ক্যাপিটাল মেশিন নিয়ে এসে স্থাপন করেন। যেটির মাধ্যমে ২০১৬ সালে তেল উৎপাদনে শুরু করেন। একই বছর থেকে উৎপাদন করা অপরিশোধিত তেলের সিংহভাগ বিদেশে রপ্তানি শুরু করেন। তবে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে বিদেশে তেল রপ্তানি বন্ধ রয়েছে।

প্রধান রাইচ ব্রান অয়েল মিলের মেশিনারী সেকশানের ইনচার্জ কমলকান্তিপাল দৈনিক বাংলাকে বলেন, এখানে তেল উৎপাদনে কোনো হাতের স্পর্শ নেই। সকল প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে মেশিনের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়ে থাকে।

তিনি বলেন, প্রথমে কুড়া কনভেয়ারের মাধ্যমে প্রেপ মেশিনে উঠানো হয়, এরপর সেটি স্টিভারের মাধ্যমে গুটি করে নেওয়া হয়। পরে সলভেন চাইনিজ মেশিনে বডি থেকে তেল করা হয়। সর্বশেষ তেলটি রিফাইনারিতে যায়। সেখানে ডাবল রিফাইন করে বোতলজাতের জন্য প্রস্তুত করা হয়।

এটি পুষ্টি সমৃদ্ধ এবং নিরাপদ এবং দামেও সাশ্রয়ী।

প্রধান রাইচ ব্রান অয়েল মিলের প্যাকেজিং সেকশানের সুপারভাইজার আব্দুল মোত্তালিব বলেন, সারা দেশের অটো রাইচ মিল এবং সেমি অটো রাইচ মিল থেকে কুড়া সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। এখানে প্রতিদিন প্রায় ৪০০ মেট্রিক টন কুড়া থেকে উৎপাদিত হচ্ছে এক লাখ ১০ হাজার লিটার অপরিশোধিত তেল। আর সেখান থেকে রিফাইন করা হচ্ছে ৪০ হাজার লিটার তেল। প্রতিলিটার তেল ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়ে থাকে।

এসময় তিনি জানান, ধানের কুড়া থেকে শুধু তেলই উৎপাদন করা হচ্ছে না। তেল নিষ্কাশনের পর অবশিষ্ট অংশকে কাজে লাগিয়ে এখানে তৈরি করা হচ্ছে মাছ ও গবাদিপশুর খাদ্য। যা ক্রয় করছেন দেশের নামকরা বড় বড় মৎস ও প্রাণীখাদ্য উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো । ফলে ধানের কুড়ার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি শিল্প ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে এই শিল্পে।

তিনি আরও বলেন, এসবের উৎপাদনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মিলে স্থানীয় ৩০০০ জন শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করছে।

প্রধান রাইচ ব্রান অয়েল মিলের স্বত্বাধিকারী নাজির হোসেন প্রধান দৈনিক বাংলাকে বলেন, এই তেল স্বাস্থ্যসম্মত ও দামে সাশ্রয়ী হলেও প্রচারণার অভাবে এখনো আশানুরুপ সাড়া পড়েনি ভোক্তা পর্যায়ে। ২০১৬ সাল থেকে এই তেল বিদেশ রপ্তানি করা হতো বিশেষ করে ইন্ডিয়ায়। রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে রপ্তানি বন্ধের কথা জানানো হয়েছে। তবে তাদের সরকারি সহায়তায় টিসিবিতে তেল সরবরাহ করছি। যা উৎপানের তুলনায় অনেক কম।

তিনি বলেন, কৃষি-শিল্পভিত্তিক এই উদ্যোগ স্থানীয় অর্থনীতি ছাড়াও ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে জাতীয় খাদ্যনিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যসচেতনতায়। এখানে বিপুল সংখ্যক মানুষদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে। আগামী বছর হয়তো সেকশান-২ চালু করলে সেখানো আরো ১৫০০ থেকে ২০০০ জনের কর্মসংস্থান হবে। কিন্তু প্রচারণার অভাবে আমরা বিক্রিতে তেমন সাড়া পাচ্ছিনা।

এসময় দেশের ২০ টি রাইচ ব্রান অয়েল মিলকে টিকিয়ে রাখতে বিনিয়োগ ও প্রচারণায় সরকারি সহায়তা চান তিনি। অন্যথায় ব্যাপক সম্ভাবনাময় এই শিল্প মুখ থুবরে পড়ার আশঙ্কার কথাও জানান এই স্বত্বাধিকারী।


বিষমুক্ত টমেটো চাষে বেশি লাভের স্বপ্ন দেখছেন কৃষক ইয়াকুব আলী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সালাহ্উদ্দিন শুভ, মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলায় শীতকালীন বিষমুক্ত টমেটো চাষে লাভের স্বপ্ন দেখছেন কৃষক। কম পুঁজিতে লাভজনক টমেটো চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। তাই শীত মৌসুমের মধ্যকালীন আগাম শাক-সবজির পাশাপাশি উন্নত জাতের টমেটো চাষ বাড়ছে। উপজেলার পৌর এলাকার ৪নং ওয়ার্ডের নগর গ্রামে অনেকেই ৮০-৯০ দিনের টমেটো চাষে বেশি লাভের স্বপ্ন দেখছেন।
উপজেলার মাধবপুর, মুন্সিবাজার, আদমপুর, আলীনগর ও ইসলামপুর গ্রামের বিভিন্ন জমিতে দেখা যায় বিষমুক্ত টমেটোর আবাদ। ক্ষেতজুড়ে সারিসারি গাছে থোকায় থোকায় ছোট-বড় টমেটোর সমারোহ। অসংখ্য টমেটো পরিপক্ক হচ্ছে। কিছু দিনের মধ্যেই ক্ষেতে সুস্বাদু এসব টমেটো পাইকারি ও খুচরা বাজারে বিক্রি শুরু হবে।
স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, ইয়াকুব আলী এই সাফল্য এলাকাবাসীর মধ্যে নতুন অনুপ্রেরণা জাগিয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ সম্প্রসারণে আগ্রহী। শুধু আর্থিক লাভ নয়, আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ও সরকারি সহায়তার সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে কিভাবে কৃষি খাতে পরিবর্তন আনা যায়- ইয়াকুব আলীর বাগান এখন তারই জীবন্ত উদাহরন। কৃষক মো. ইয়াকুব আলী বলেন, ‘৬০ শতাংশ জমিতে টমেটো ও বেগুন চাষে খরচ পড়ে প্রায় ১ লাখ টাকা। ফুল-ফলনে তার জমি এখন ভরপুর। আশা করছেন আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে জমিতে উৎপাদিত টাটকা বিষমুক্ত টমেটো বাজারজাত শুরু হবে। বর্তমানে টমেটোর বাজার মূল্য ১২০-১৩০টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিক্রির আশা করছেন তিনি। এতে করে খরচ বাদে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা তার মুনাফা হবে বলে জানিয়েছেন।
সবজির আবাদ খুবই লাভজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমানে কৃষিতে তেমন লাভ নেই এমন যারা বলেন, তাদের এই দাবিকে উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, সঠিক পদ্ধতি জেনে চাষাবাদ করলে অবশ্যই কৃষিতে মুনাফা হবে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার রায় বলেন, ‘গত কয়েক বছরে টমেটোর বাজার সন্তোষজনক হওয়ায় চাষ বাড়ছে। আমন ধান ওঠার পর পরই শীতের আগাম জাতের টমেটো উৎপাদন করা যায়। স্থানীয় বাজারে প্রথম দফায় বেশি দাম পেয়ে বেশ লাভবান হন কৃষকরা। গাছে গাছে ফলনও সন্তোষজনক। তাই টমেটো বিক্রি করে ভালো আয়ের আশা করছেন কৃষকরা। লাভের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাষিদের উচ্চ ফলনশীল (হাইব্রিড) জাতের টমেটো চাষের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’


কৃষি পণ্যের বৃহত্তর বাণিজ্যিক কেন্দ্র মধুপুর গড়ের জলছত্র

*সারা বছর চলে মৌসুমভিত্তিক ফল ফসল বেচাকেনা * দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাচ্ছে এ বাজারে ফলমূল
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
হাবিবুর রহমান, মধুপুর (টাঙ্গাইল)

ছয় মাস আনারস, বারো মাস কলা, কয়েক মাস পেঁপে। আর আদা হলুদ কচু থাকে কয়েক মাস। টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় এভাবে সারা বছরই চলে বিভিন্ন ফলের হাট-বাজার। এসব ফলের হাটে পাইকার ও ফড়িয়াদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে। বৈশাখের শেষের দিক থেকে প্রায় কার্তিক মাস পর্যন্ত প্রতিদিন চলে আনারসের বাজার। এদিকে, শুক্রবার ও মঙ্গলবার থাকলেও কলা হাট বসে শনিবার বাদে প্রায় প্রতিদিনই। আদা কচুর মৌসুমে প্রায় প্রতিদিন চলে বেচা-বিক্রি। এভাবে সারা বছরই কোন না কোনো কৃষি পণ্যের বাজার জমে উঠে। অনেক বছর ধরে মধুপুর শহরের আনারস ও কলার হাট বসছে জলছত্রে। ধীরে ধীরে জলছত্র বাজারটি বাণিজ্যিক কেন্দ্রে পরিনত হয়। বাজার কমিটি ট্রাক ও কভার্ড ভ্যান ড্রাইভার্স ইউনিয়ন, কুলি শ্রমিক ইউনিয়ন, কাঁচামাল ব্যবসায়ী সমিতি ও কৃষি বিভাগসহ স্থানীয়দের সহযোগিতায় হয়ে উঠছে বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে।
টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশেই গড়ে উঠেছে টাঙ্গাইলের মধুপুরের জলছত্র কৃষি পন্যের বাজারটি । এ বাজারে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পাইকার ফড়িয়া আসে, কৃষি পন্য সরবরাহ হয় সারাদেশে। যে কারণে বাজারটি খ্যাতি চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। বছরের কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য হয়ে থাকে এ বাজারে।
জানা গেছে, মধুপুরের লাল মাটি কৃষি ফসল চাষাবাদের জন্য বিশেষ উপযোগী। খরা বন্যার প্রভাব পড়ে না। উঁচু উর্বর মাটি। সহজেই যে কোন ফসল চাষ করা যায়। খরা বা বর্ষাকালেও চলে আবাদ ফসল। বর্ষায় সহজে পানি উঠে না। খরায়ও ফসল পুড়ে না। গড় অঞ্চলের মাঝে মাঝে রয়েছে বাইদ বিল নালা। বৃষ্টি হওয়ার পরপরই পানি নিষ্কাশন হয়ে যায়। যে কারণে সারাবছরই ফসল ফলে।
এ অঞ্চলের প্রধান ফসল হচ্ছে আনারস, কলা, পেঁপে, আদা, হলুদ, কচু ও সবজি। গড়ের মাটি বেশির ভাগই বন আর উঁচু ভূমি। উঁচু এলাকায় আনারস কলা পেঁপে আদা কচু হলুদসহ অন্যান্য ফসল আর নিচুতে ধান ও শীতকালে সবজি চাষ হয়ে থাকে। যে কারণে সারা বছরই মৌসুমভিত্তিক ফল ফসল পাওয়া যায়। বৈচিত্র্য্যময় মাটির কারণেই এমন আবাদ ফসল হয়ে থাকে বলে জানান স্থানীয় কৃষক ও কৃষি বিভাগ।
কৃষি বিভাগের তথ্যে মোতাবেক, ৩৭০.৮৪ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ২৭০ টি গ্রাম নিয়ে গঠিত উপজেলায় ১৩১ টি মৌজায় কৃষি ব্লক সংখ্যা ৩৪ টি। ভূমিহীন ক্ষুদ্র মাঝারি প্রান্তিক ছোট বড় মিলে ৬০,৮৪৩টি কৃষি পরিবার রয়েছে। উঁচু নিচু মিলে কোট কৃষি জমির পরিমান ২৬,৯৫০ হেক্টর। নিট, এক ফসলি দুই ফসলি তিন ফসলি চার ফসলের অধিক ব্যবহৃত জমির পরিমান ৫১,৬১৫হেক্টর। ফসলের নিবিড়তা ১৯৫%। বোরো আমন ১০,৪১৫ হেক্টর, আনারস ৬,৬২৭ হেক্টর, সরিষা বোরো আমন ২১০০ হেক্টর, কলা ১৯৪৫ হেক্টর, ভুট্রা- সবজি ১৭৯৬ হেক্টর আদা ৫৯২ হেক্টর, হলুদ ৭৬২ হেক্টর, আলু- সবজি ১২৬ হেক্টর ছাড়াও কাসাবা মুখি কচু , পেয়ারা, আম,কফি, ড্রাগণ ও মিশ্র ফসলসহ বিভিন্ন কৃষি ফসল চাষাবাদ হয়ে থাকে।
পিরোজপুর গ্রামের কৃষক দুদু মিয়া (৪৫) জানালেন, মধুপুরে সারা বছরই কোন না কোন ফসল চাষ হয়। এসব ফসল বিক্রি করার জন্য স্থানীয় জলছত্র বাজারে বিক্রি করা যায়।
জলছত্র ট্রাক ও কর্ভাডভ্যান ড্রাইভার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শহীদ বলেন, জলছত্র এ বাজারটি কৃষি পণ্যের জন্য বিখ্যাত। বারো মাসই ফসল থাকে। সারা দেশ থেকে ব্যাপারী আসে। বেচা কেনা হয়। সারা দেশেই সরবরাহ হয়ে থাকে।
কলার পাইকার হাবিজুল ইসলাম জানান, কলার বাজার শনিবার বাদে প্রায় প্রতিদিন। বাগান থেকে কৃষকরা সরাসরি বাজারে নিয়ে আসে নগদ দামে বিক্রি করে চলে যায়। পাইকারা বিভিন্ন জেলা থেকে আসে।
মধুপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রকির আল রানা জানান, মধুপুরের মাটি আবহাওয়া ভূ-প্রকৃতি কৃষি ফসলের জন্য বিশেষ উপযোগী। আনারস কলা পেঁপে ধান পাট চা কফি কাজুবাদাম আদা হুলদ কচু ড্রাগনসহ প্রায় সব ধরণের ফসল সহজেই চাষ করা যায়। মধুপুরের মাটির গুণাগুণ বন্যা মুক্ত উঁচু থাকায় সারাবছরই নানা ধরনের সবজি ফলের চাষ করে কৃষকরা দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছে। এ ফসলের কারণে দেশখ্যাত জলছত্র বাজারে বছরে কোটি কোটি টাকার কৃষি পণ্য বেচাকেনা হয়ে থাকে।


নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় রোধে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের জিরো টলারেন্স।

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেড নিয়োগ পরীক্ষায় যেকোনো ধরনের অসদুপায় রোধে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে এবং এ বিষয়ে কঠোরভাবে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের ট্রাফিক হেলপার (ক্যাজুয়াল) পদে লিখিত পরীক্ষা ১০ অক্টোবর ২০২৫ খ্রি. তারিখে বিকেল ৩.০০টা থেকে ৪.০০টা পর্যন্ত ঢাকার বিএএফ শাহীন কলেজ, জাহাঙ্গীর গেট, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এবং সিভিল এভিয়েশন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, তেজগাঁও, ঢাকা—এই দুই কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত পরীক্ষায় মোট ১১ (এগারো) জন পরীক্ষার্থীকে বিভিন্ন ধরনের অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে বহিষ্কার করা হয়। এর মধ্যে বিএএফ শাহীন কলেজে ৭ (সাত) জন এবং সিভিল এভিয়েশন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৪ (চার) জন পরীক্ষার্থী অন্তর্ভুক্ত। পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন ব্যবহার করায় রুবা আক্তার (রোল: ২৮০০৩৭১৯), সাজাহান হোসেন সজিব (রোল: ২৮০০৬৬৪৭) ও ইমামুল হক (রোল: ২৮০০৭৭০৩) বহিষ্কৃত হয়। প্রবেশপত্রে ছবির অমিল থাকায় মো: ফরহাদ হোসেন ফিরোজ (রোল: ২৮০০৭৪৮৯) ও মো: লাবিব হাসান (রোল: ২৮০০৭৭৬১)-কে বহিষ্কার করা হয়। এছাড়া অন্যের হয়ে পরীক্ষা দেওয়ায় মো: শাহিন মিয়া (রোল: ২৮০০৫০৫৫), আবদুস সোবাহান (রোল: ২৮০১৪০২৩) ও মো: রেজওয়ান (রোল: ২৮০১৪৪৬৫)-কে বহিষ্কার করা হয়। তদুপরি পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করায় মো: মোকসেদুল (রোল: ২৮০১৩৫০১) ও মো: নজরুল ইসলাম (রোল: ২৮০১২৮২৪) এবং একই প্রবেশপত্র ব্যবহার করে দুইজন পরীক্ষা দেওয়ায় আসাদুল ইসলাম উৎস (রোল: ২৮০০৮৮৩২)-কে বহিষ্কার করা হয়।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেড এ ঘটনায় মোট ১১ (এগারো) জনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও ও কাফরুল থানায় মামলা দায়ের করেছে। এর মধ্যে ৫ (পাঁচ) জন প্রক্সি পরীক্ষার্থী হিসেবে শনাক্ত হয়েছে। বিএএফ শাহীন কলেজ কেন্দ্রে নূর মোহাম্মদ মোল্লা (রোল: ২৮০০০০৯১)-এর প্রবেশপত্র ব্যবহার করে পরীক্ষা দেয় ইসমাইল হোসেন, শারমিন আক্তারের প্রবেশপত্র ব্যবহার করে পরীক্ষা দেয় মোছা: শারমিন নাহার এবং প্রশ্নপত্রের ছবি তোলার দায়ে ধরা পরে মো: হানিফ আলী (রোল: ২৮০০৪৩৭৩)। অন্যদিকে, সিভিল এভিয়েশন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে আব্দুস সোবহান (রোল: ২৮০১৪০২৩)-এর প্রবেশপত্র ব্যবহার করে পরীক্ষা দেয় মো: রেজাউল ইসলাম, মো: রেজওয়ান (রোল: ২৮০১৪৪৬৫)-এর প্রবেশপত্র ব্যবহার করে পরীক্ষা দেয় সাদ্দাম হোসেন এবং মো: নজরুল ইসলাম (২৮০১২৮২৪)-এর প্রবেশপত্র ব্যবহার করে পরীক্ষা দেয় মাহামুদুল হাসান। প্রক্সি পরীক্ষার্থীদের আটক এবং মূল পরীক্ষার্থীদের পলাতক দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেড পূর্বেও নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়ম ও অসদুপায়ের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং ভবিষ্যতেও নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে যেকোনো ধরনের অনিয়ম বা অসদুপায় অবলম্বনকারীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরসহ কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত রাখবে।


পটুয়াখালীতে মহাসড়কে বাসের সঙ্গে র‍্যাবের মিনিবাসের সংঘর্ষ, নিহত ২

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
 এইচ এম মোজাহিদুল ইসলাম নান্নু, পটুয়াখালী প্রতিনিধি

পটুয়াখালীতে র‍্যাবের মিনিবাস ও ধানসিড়ি ক্লাসিক নামের একটি লোকাল বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছে। এঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ৩০ জন। নিহতরা হলো শিশু পিয়াম-(০২),র‍্যাবের ওই মিনিবাসের চালক এএসআই আবদুল আলীম (৩৩) ও আফরোজা (৩৫) নামের এক নারী। শনিবার সকাল সোয়া আটটার দিকে পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের ফতুল্লা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধানসিড়ি পরিবহন নামের বাসটি কুয়াকাটা থেকে পটুয়াখালীর দিকে আসতেছিলো। আর র‍্যাবের মিনিবাসটি বরিশাল থেকে কুয়াকাটার দিকে যাচ্ছিলো। এসময় ফুতল্লা নামক স্থানে পৌছলে ওই বাস এবং মিনিবাসের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ৩০ জন আহত হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে পটুয়াখালী সদর হাসপাতাল নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশু পিয়ামকে মৃত ঘোষনা করেন। আর র‍্যাবের ওই গাড়ি চালক আবদুল আলীম ও আফরোজাকে লেবুখালী ক্যান্টমেন্টের সিএমএইচ এ নিয়ে গেলে সেখানে তাদের মৃত ঘোষনা করা হয়।

পটুয়াখালী সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাজেদুল ইসলাম সজল বলেন, লাশ উদ্ধার থেকে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরনের প্রক্রিয়া চলছে। সড়কের চলাচল স্বাভাবিক করতে গাড়ি দুটো সড়িয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।


নওগাঁয় বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নওগাঁ প্রতিনিধি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচি এবং ধানের শীষের পক্ষে জনমত গঠনের লক্ষ্যে নওগাঁয় জেলা বিএনপি লিফলেট বিতরণ করেছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় শহরের বিএনপির দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন এলাকায় এই লিফলেট বিতরণ করা হয়। এতে নেতৃত্বদেন জেলা বিএনপির সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নাজমুল হক সনি, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসলাম ধলু, সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রহমান রিপন, সাবেক সদস্য সচিব বায়জিদ হোসেন পলাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক নুর-ই আলম মিঠু ও খায়রুল আলম গোল্ডেন, পৌর বিএনপির সভাপতি ডা. মিজানুর রহমানসহ বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। লিফলেটে রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা দাবির মূল বিষয়বস্তু তুলে ধরা হয়।

নেতাকর্মীরা পথচারী, দোকানদার ও এলাকার বিভিন্ন পেশার মানুষের হাতে হাতে লিফলেট পৌঁছে দেন এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য বিএনপির আহ্বান জনগণের কাছে পৌঁছে দেন। জেলা বিএনপির সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার দাবিতে তারেক রহমানের ৩১ দফা কর্মসূচি তুলে ধরতেই এই প্রচার কার্যক্রম। আমরা এই ৩১ দফার মাধ্যমে দেশের মানুষকে একটি সুন্দর ভবিষ্যতের পথ দেখাতে চাই। জনগণ আজ পরিবর্তন চায়। তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশে একটি সুশাসনের সরকার প্রতিষ্ঠার সময় এসেছে।


কুষ্টিয়ায় হাটে ইজারার নামে রমরমা চাঁদাবাজি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের আল্লাহরদর্গা হাটে খাস ইজারার নামে প্রকাশ্যে চলছে রমরমা চাঁদাবাজি। সরকারিভাবে কোনও ইজারা না থাকলেও, ইজারাদারের পরিচয়ে বহিরাগতরা এ হাটে জোরপূর্বক টাকা আদায় করে আসছে। এতে সরকার লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে।

হাটের নিয়মিত ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা জানিয়েছেন, সরকারি অনুমোদন ছাড়াই একটি স্থানীয় চক্র হাট ইজারার নামে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করছে। অভিযোগ রয়েছে, প্রতি হাটবারে বাধ্যতামূলক ও ইচ্ছামতো টাকা নেওয়া হচ্ছে। প্রতিবাদ করলে হুমকি-ধামকি দেওয়া হয়। অনেকেই ভয়ে মুখ খুলতে পারছেন না।

সরজমিনে দেখা যায়, ইমামুল নামে , এক ব্যক্তি তার বাড়ির পালিত কবুতর ৮০০ টাকায় এক পাইকারের কাছে বিক্রি করেন। এ সময় ইজারাদার পরিচয়ে রানা নামের এক ব্যক্তি তার কাছে ৫০ টাকা ইজারা বাবদ দাবি করেন। এত বেশি টাকা নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে, রানা উত্তেজিত হয়ে তাকে হুমকি-ধামকি দেন এবং আটকানোর ভয় দেখান। ভয়ে তিনি ৫০ টাকা পরিশোধ করেন। রশিদ চাইলে রানা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন, ফলে ওই ব্যক্তি ভয়ে রশিদ না নিয়েই স্থান ত্যাগ করেন।

পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রানা নামের ওই ব্যক্তি জাকির হোসেন নামের এক কথিত ইজারাদারের পক্ষে টাকা আদায় করে থাকেন।

এই ঘটনায় হাটের ইজারাদার পরিচয় দানকারী জাকির হোসেন বলেন, আমরা অতিরিক্ত টাকা আদায় করি না, শতকরা ৫ টাকা হারে ইজারা নিয়ে থাকি।

এ ঘটনায় সাচ্চু নামে আরেক ইজারাদার বলেন, এ সকল অভিযোগ মিথ্যা, যে অভিযোগ দিয়েছে তাকে নিয়ে আমার কাছে আসেন।

তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আল্লাহরদর্গা হাট সরকারিভাবে কাউকে ইজারা দেয়া হয়নি। এই টাকা আদায়ের দায়িত্ব এখন তহশিলদারের।

এ ব্যাপারে তহশিলদার আনিসুর রহমান জানান, সরকারিভাবে কাউকে হাটে ইজারা দেয়া হয়নি, তবে হাট প্রশাসনের নির্দেশে আমি পরিচালনা করছি। আমার লোকবল কম থাকায় বহিরাগতদের মাধ্যমে টাকা আদায় করে থাকি। শতকরা ৫ টাকা আদায় সম্পর্কে তিনি বলেন, এভাবে আদায় সম্পূর্ণ বেআইনি। আমরা এভাবে টাকা আদায় করি না। কেউ আদায় করলে ব্যবস্থা নেব।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই সিদ্দিকী বলেন, হাট কাউকে ইজারা দেয়া হয়নি, সংশ্লিষ্ট তহশিলদারদের মাধ্যমে কালেকশন হচ্ছে। শতকরা ৫ টাকা আদায়ের বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দৌলতপুরের বেশ কয়েকটি হাটে বৈধ নথি বা টেন্ডার ছাড়া একদল প্রভাবশালী চক্র দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে।

স্থানীয় জনগণ ও সচেতন মহল আশা করছেন, দ্রুত এই অবৈধ চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে প্রশাসন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, যাতে হাটের স্বাভাবিক কার্যক্রম সচল থাকে এবং সাধারণ ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা নিরাপদে ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারে।


‘যেখানে বিএনপির মাঠ ভালো সেখানে বিষদাগার করা হচ্ছে’

চুয়াডাঙ্গায় সংবাদ সম্মেলন
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জহির রায়হান সোহাগ, চুয়াডাঙ্গা

বিএনপির বিরুদ্ধে প্রবাসী সাংবাদিক ইউটিউবার ইলিয়াসের পরিকল্পিত অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদ হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সফিকুল ইসলাম পিটু।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘চাঁদাবাজ সাংবাদিক ইলিয়াস হুসাইন পরিকল্পিতভাবে স্বাধীনতা বিরোধী একটি দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নে নেমেছে। এর সাথে আমাদের দলেরই একজন নব্য উদিত হওয়া মনোনয়ন প্রতাশ্যী ও তার চাচা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। তারা বিশেষ দল ও গোষ্ঠীকে সুবিধা দেয়া-নেয়ার পাঁয়তারা করছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশজুড়ে যেখানেই বিএনপির মাঠ ভালো, যেখানেই বিএনপির জেতার সম্ভাবনা রয়েছে সেখানেই একটি দল বিষদাগার করার চেষ্টা করছে। মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছেন। ইলিয়াস বিএনপির সেসব মনোনয়ন প্রত্যাশীদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার অপপ্রচারে নেমেছে। শরীফুজ্জামান শরীফ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দলের কাউন্সিলরদের ভোটে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনিপর নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। বিএনপির এই নেতা ও তার ভাই সাহিদুজ্জামান টরিকের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা করা হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ মিল্টন, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম নজু, পৌর বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মনি, জেলা মহিলা দলের সভাপতি রউফুন নাহার রিনা, জেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক সাইফুর রশিদ ঝন্টু, জেলা ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক মোমিন মালিতাসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য, গত ৬ অক্টোবর ইলিয়াস হোসাইনের ইউটিউব চ্যানেলে ‘দুই ভাই মিলে বাংলা সিনেমার স্টাইলে চাঁদাবাজি করছে’ শিরোনামে জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক ও তার অনুসারীদের নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়।


সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে নওগাঁয় মানববন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সবুজ হোসেন, নওগাঁ

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়ায় এখন টেলিভিশনের ব্যুরো প্রধান হোসাইন জিয়াদ ও চিত্র সাংবাদিক পারভেজ রহমান এর ওপর সন্ত্রাসি হামলার প্রতিবাদ ও আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবীতে নওগাঁ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় নওগাঁয় কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীদের আয়োজনে শহরের মুক্তির মোড় শহীদ মিনারের পাশে ঘন্টাব্যাপী এ কর্মসূচী পালিত হয়। মানববন্ধনে সাপ্তাহিক প্রজন্মের আলোর সম্পাদক আব্দুর রহমান রিজভী’র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) জেলা সভাপতি ও বিজয় টিভির জেলা প্রতিনিধি মোফাজ্জল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ও ডিবিসি’ জেলা প্রতিনিধি একে সাজু, ইনডিপেনডেন্ট টিভির জেলা প্রতিনিধি সাদেকুল ইসলাম, সকালের সময় এর প্রতিনিধি মাহমুদুন নবী বেলাল, জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি ও বাংলা টিভির জেলা প্রতিনিধি আশরাফুল নয়ন, সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক বাংলার জেলা প্রতিনিধি সবুজ হোসেন , দপ্তর সম্পাদক মাহাবুল আলম মারুফ ও

এখন টিভির জেলা প্রতিনিধি আব্বাস আলী সহ অন্যরা। মানববন্ধনে জেলার বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা বলেন- সংবাদ সংগ্রহের সময় স্থানীয় চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে ক্যামেরা ভাঙচুর সহ অন্যান্য জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়। ঘটনার প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন জেলার সংবাদিক সংগঠনগুলো ঘটনার প্রতিবাদে ও হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনসহ বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচী পালন করছে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনগুলো। চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের এখনো পুলিশ গ্রেফতার করছে না। পুলিশ প্রশাসনের নীবর ভূমিকা নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠেছে। অবিলম্বে হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবী জানানো হয়।


জয়পুরহাটে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে লিফলেট বিতরণ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জয়পুরহাট প্রতিনিধি

‘তরুণ প্রজন্মের প্রথম ভোট ধানের শীষের পক্ষে হোক’-এই স্লোগানকে সামনে রেখে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জনগণের মাঝে পৌঁছে দিতে গণমিছিল ও লিফলেট বিতরণ এবং ধানের শীষের পক্ষে নির্বাচনী গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার জয়পুরহাটের কালাই উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যাগে কালাই সরকারি মহিলা কলেজ থেকে পাঁচশিরা বাজার পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

গণমিছিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি জয়পুরহাট-২ (কালাই, ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর) আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক সচিব ও বিএনপি নেতা মো. আব্দুল বারী বলেন, দল থেকে যদি আমাকে নমিনেশন দেওয়া হয় এবং জনগণ যদি আমাকে নির্বাচিত করে তাহলে আমি এলাকার উন্নয়নের জন্য কাজ করবো। আমার নির্বাচনী এলাকায় কোন অফিসে অনিয়ম, দুর্নীতি, ঘুষ চলবেনা। আমি নিজে চাকরি জীবনে শতভাগ সততার সাথে কাজ করেছি এবং আমার অফিস ছিল ঘুষ দূর্নীতি মুক্ত। আমার কাছে কোন অনিয়মের প্রশ্রয় নেই। বিশেষত ঘুষ, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, ভয়ের সংস্কৃতি এখানে থাকবে না।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি এ এইচ এম ওবায়দুর রহমান সুইট, ক্ষেতলাল উপজেলা বিএনপির সভাপতি খালেদুল মাসুদ আঞ্জুমান, ক্ষেতলাল পৌর বিএনপির সভাপতি ক্ষেতলাল পৌর বিএনপির সভাপতি সহকারী অধ্যাপক আব্দুল আলীম, আক্কেলপুর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আরিফ ইফতেখার আহম্মেদ রানা, কালাই উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মৌদুদ আলম সরকার, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাহমুদুল হাসান এলান, আহম্মেদাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বজলুর রহমান, উদয়পুর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সহকারী অধ্যাপক আব্দুল আলীম, পুনট ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মোস্তাক আহম্মেদ সিদ্দিকী রিপন, জিন্দারপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ফিরোজ কবিরসহ উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

পুরো কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা বিএনপির ৩১ দফা কর্মপরিকল্পনার লিফলেট সাধারণ মানুষের হাতে তুলে দেন এবং আসন্ন নির্বাচনে ধানের শীষের পক্ষে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।


নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ার অঙ্গীকার ‘বৈচিত্র্যের ঐক্যে’ প্যানেলের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
চবি প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনকে সামনে রেখে বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর প্যানেল ‘বৈচিত্র্যের ঐক্য’ ইশতেহার ঘোষণা করেছে। নিয়মিত চাকসু নির্বাচন জারি রাখা, নিরাপদ ক্যাম্পাস এবং শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার আদায়ে কাজ করার অঙ্গীকার করে ইশতেহার ঘোষণা করেন প্যানেলটির জিএস প্রার্থী সুদর্শন চাকমা।

বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু ভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ইশতেহার ঘোষণা করা হয়।

ইশতেহারে আরো উল্লেখ করা হয়, আবাসন, পরিবহন, খাদ্য, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ, শিক্ষা ও গবেষণা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া, জাতিগত বৈচিত্র্যে ও নারীবান্ধব ক্যাম্পাস, গণতন্ত্র, স্বায়ত্তশাসন ও মানবাধিকার নিয়ে বৈচিত্র্যের ঐক্য প্যানেল কাজ করে যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে বৈচিত্র্যের ঐক্য প্যানেলের ভিপি প্রার্থী ধ্রুব বড়ুয়া বলেন, ‘আমরা আজ আমাদের প্যানেলের ইশতেহার ঘোষণা করছি। আমরা ইতিহাসের সব গণসংগ্রামের প্রকৃত ইতিহাস ধারণ করে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নির্মাণে আমাদের চলমান সংগ্রাম জারি রাখবো। নিয়মিত চাকসু নির্বাচন জারি রাখা, নিরাপদ ক্যাম্পাস এবং শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার আদায়ে আমরা কাজ করব।

তিনি বলেন, সন্ত্রাস-দখলদারিত্ব মুক্ত নিরাপদ একাডেমিক পরিবেশ নির্মাণে কাজ করব। মব ভায়োলেন্স, মোরাল পুলিশিং এর বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধ করে নারীর সামগ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করব। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণ-প্রকৃৃতি ও মানুষের নিরাপদ সহাবস্থান নিশ্চিত করব।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বৈচিত্র্যের ঐক্য প্যানেলের ভিপি প্রার্থী ধ্রুব বড়ুয়া, জিএস প্রার্থী সুদর্শন চাকমা, এজিএস প্রার্থী জশদ জাকিরসহ প্যানেলের অন্যান্য সদস্যরা।

প্রায় তিনযুগ পর আগামী ১৫ অক্টোবর সপ্তমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চাকসু নির্বাচন। এ নির্বাচনে প্রার্থী রয়েছেন ৯০৮ জন। এর মধ্যে চাকসুর ২৬টি পদের বিপরীতে ৪১৫ জন, হল সংসদে ৪৭৩ জন এবং হোস্টেল সংসদে ২০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। নির্বাচনে ভোটার রয়েছেন ২৭ হাজার ৫২১ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১৬ হাজার ৮৪ জন ও ছাত্রী ১১ হাজার ৩২৯ জন। নির্বাচনের দিন ভোটগ্রহণ চলবে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।


চট্টগ্রামে বৈজ্ঞানিক সিম্পোজিয়ামের রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রম উদ্বোধন

আসছেন তুরস্ক, কানাডা, থ্যাইল্যান্ড ও পাকিস্তানসহ কয়েকটি দেশের চিকিৎসা বিজ্ঞানী
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

’গবেষণা ও মেডিকেল শিক্ষা: উদ্ভাবনের অনুপ্রেরনা, এক্রিডিটেশনের নিশ্চয়তা’ কেন্দ্রীয় বিষয়ের উপর ভিত্তি করে আগামী ১৮ ডিসেম্বর সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত দিনব্যাপী অনুষ্টিতব্য বৈজ্ঞানিক সিম্পোজিয়ামের রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। ওয়ার্ল্ড ফেডারেশ অব মেডিকেল এডুকেশন (ডব্লিউএফএমই) কর্তৃক ভারত, পাকিস্তান, নেপালসহ আমাদের পার্শ্ববর্তী প্রায় সকল দেশের মেডিকেল কলেজগুলো বৈশ্বিক স্বীকৃতি প্রাপ্ত হয়েছে। বাংলাদেশে এই মুহুর্তে মেডিকেল শিক্ষার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন কাজ হল বৈশ্বিক স্বীকৃতি। ইতোমধ্যে সরকার এই কাজের গুরুত্ব বিবেচনায় প্রতিষ্ঠা করেছে বাংলাদেশ মেডিকেল এডুকেশন এক্রিডিটেশন কাউন্সিল (বিএমইএসি) যেই সংস্থা মূলত সরকারী বেসরকারী মেডিকেল কলেজগুলোর ডব্লিউএফএমই কর্তৃক স্বীকৃতির জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এই সিম্পাজিয়ামের অন্যতম মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হল ডব্লিউএফএমই কর্র্তৃক বৈশ্বিক স্বীকৃতির জন্য মেডিকেল শিক্ষার মান উন্নয়ন।

চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ, চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল ডেন্টাল কলেজ ও চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল নার্সিং কলেজ এর যৌথ উদ্যেগে আয়োজিত এ সিম্পোজিয়াম কলেজ ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে। রেজিষ্ট্রেশনের কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সিম্পোজিয়াম অর্গানাইজিং কমিটির সম্মানিত চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. টিপু সুলতানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন এক্সিকিউটিভ কমিটির সেক্রটারী ও অর্গানাইজিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. মুসলিম উদ্দিন সবুজ, কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মো. পারভেজ ইশবাল শরীফের পরিচালনায় উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল ডেন্টাল কলেজের অধ্যাক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. আকরাম পারভেজ চৌধুরী, অধ্যাদপক ডা. মনসরুল আলম, অধ্যাপক ডা. আলী হোসাইন, অধ্যাপক ডা. আসমা কবির সোমা, অধ্যাপক ডা. মুসলিনা আক্তার, ডা. মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম, নার্সিং কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যাক্ষ মিসেস সানজিদা বিনতে আলম। আগামী ৫ নভেম্বর পর্যন্ত সিম্পোজিয়ামের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চলমান থাকবে।


কেশবপুরে সড়কের জায়গা দখল করে প্রাচীর নির্মাণ, ভেঙে দিল জনতা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসকের নির্দেশ অমান্য করে যশোরের কেশবপুর পৌরসভার বায়সা নুরপুর সড়কের জমি দখল করে প্রাচীর নির্মাণ করার পর অবশেষে বৃহস্পতিবার ভেঙে দিয়েছে জনতা। রবিউল ইসলাম ক্ষমতাবলে সড়কের জমি দখল করে সেখানে জোরপূর্বক প্রাচীরটি নির্মাণ করছিল। এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর পৌর প্রশাসক সড়কের ওপর প্রাচীর নির্মাণ না করতে তাকে নোটিশ দেয়। ওই নোটিশ পেয়েও রবিউল ইসলাম কাজ অব্যাহত রাখে। পরে বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেন। এ সময় মহল্লাবাসী সড়কের ওপর নির্মাণ করা ওই অবৈধ প্রাচীর ভেঙে দেয়। পৌর শহরের রবিউল ইসলাম সম্প্রতি পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ও আলিয়া মাদ্রাসার পাশে জনৈক মাস্টার আমিনুল ইসলামের নিকট থেকে প্রায় এক কোটি টাকায় ওই বাড়িটি ক্রয় করেন। এরপর ওই বাড়ির সামনে সড়কের জমি দখল করে সেখানে ওই নির্মাণকাজ করছিল।

কেশবপুর বাজারের বেসরকারি হাসপাতালের হেলথকেয়ার সেন্টারের অ্যাম্বুলেন্সচালক রবিউল ইসলাম গত ১২ বছরে অবৈধ উপায়ে প্রায় শতকোটি টাকার মালিক হয়েছেন।

অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্ন অবৈধ উপায়ে কেশবপুর সরকারি হাসপাতালের সামনে মডার্ন ক্লিনিক স্থাপন, হাসপাতালের পাশে মূল্যবান জমিক্রয় করে সেখানে ৫ তলা বাড়ি নির্মাণ, কেন্দ্রীয় ঈহগাহের পাশে ৩ তলা বাড়ি ক্রয়, ঢাকায় ফ্ল্যাটক্রয়, প্রাইভেট, মাইক্রোবাস ক্রয়সহ বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১০০ কোটি টাকার সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। মডার্ন ক্লিনিকের মালিক রবিউল ইসলাম গত ৫ আগস্টের পর, স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতার ছত্র-ছায়ায় আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেন। গত ১২ বছর আগের দিন মজুর রবিউল ইসলামের আয়ের উৎসহের ব্যাপারে তদন্ত দাবি করেছেন কেশবপুরবাসী।

রবিউল ইসলাম বলেন, পৌরসভা থেকে নোটিশ দেওয়ার পর পৌর কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে কাজ অব্যাহত রাখি। এরপর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শরীফ নেওয়াজ ঘটনাস্থলে যান। এ সময় আমাকে না পেয়ে তিনি আমাকে ফোন দিয়ে কাজ বন্ধ রেখে জমি মেপে প্রাচীর নির্মাণ করতে বলেন।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শরীফ নেওয়াজ বলেন, জনৈক রবিউল ইসলাম সড়কের জায়গা দখল করে প্রাচীর নির্মাণ করছিল। এ ব্যাপারে তাকে নোটিশ দেওয়া হয় এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কাজ বন্ধ করতে বলা হলেও তিনি তা অমান্য করে নির্মাণকাজ অব্যাহত রাখেন। পরবর্তিতে জনতা তা ভেঙে দিয়েছেন।


banner close