মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
২৮ আশ্বিন ১৪৩২

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন: পেশাদার ও প্রশিক্ষিত সদস্য নিয়োগে আনসার ভিডিপির প্রস্তুতির বার্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ১৩ অক্টোবর, ২০২৫ ২০:১৬

আজ ১৩ অক্টোবর (সোমবার) বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী সদর দপ্তরে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রস্তুতি ও বাজেট বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাহিনীর উপমহাপরিচালক (প্রশাসন) কর্নেল মোঃ ফয়সাল আহাম্মদ ভূঁইয়া, পিএসসি।


সভায় উপমহাপরিচালক (প্রশাসন) কর্নেল ফয়সাল আহাম্মদ ভূঁইয়া বলেন, “অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের দায়িত্ব পালনের চিত্র হবে ভিন্ন ও অধিক পেশাদার।” তিনি আরও বলেন, “মহাপরিচালক মহোদয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে অংশগ্রহণকারী সদস্যদের পোশাকের মান, সক্ষমতা ও সুষ্ঠু ডেটাবেসের মাধ্যমে নিবন্ধন যাচাইপূর্বক দায়িত্বে নিয়োজিত করা হবে। ফলে কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা স্বার্থন্বেষী মহলের প্রভাবমুক্ত থেকে পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনে তারা সফলকাম হবেন।” তিনি আশ্বস্ত করেন যে, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে শতভাগ প্রশিক্ষিত আনসার ও ভিডিপি সদস্য-সদস্যা দায়িত্ব পালন করবেন, যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ হবে নবীন প্রজন্ম বা Gen-Z থেকে।
নির্বাচনী বাজেট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “রাষ্ট্রের সার্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে যৌক্তিকতার সঙ্গে নির্বাচনী বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, কতিপয় সংবাদ মাধ্যমে বাহিনীর নির্বাচন-সংক্রান্ত বাজেট প্রসঙ্গে একটি ভিন্নধর্মী প্রচার ইতোমধ্যে হয়েছে, যা বাহিনী ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে। সভায় উপমহাপরিচালক আরও জানান, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পাশাপাশি আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী হতে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ১২ জন কেন্দ্র-নিরাপত্তা সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও প্রিজাইডিং অফিসারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি কেন্দ্রে অস্ত্রসহ একজন আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। এর ফলে সম্ভাব্য প্রায় ৪৫ হাজার ভোটকেন্দ্রের প্রতিটিতে ১৩ জন করে আনসার ও ভিডিপি সদস্য-সদস্যা দায়িত্ব পালন করবেন। তাছাড়াও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্য।

তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, অতীত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন বাস্তবায়নে সরকারি প্রতিজ্ঞার বাস্তবায়নে একটি শক্তিশালী ভূমিকা পালন করবে, ইনশাআল্লাহ।
নির্বাচনী প্রস্তুতি ও বাজেট-সংক্রান্ত এই গুরুত্বপূর্ণ মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মোঃ সাইফুল্লাহ রাসেল (উপমহাপরিচালক, অপারেশন্স), মুহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী (পরিচালক, অপারেশন্স), মোঃ আশরাফুল ইসলাম (পরিচালক, প্রশাসন-কিউ), মোঃ জাহিদ হোসেন (পরিচালক, সিএইচটি-অপস) এবং অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।


৪ বছরেও শেষ হয়নি সেতু নির্মাণ, চরম ভোগান্তিতে লাখো মানুষ

সড়কের বেহাল দশা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাঙামাটি প্রতিনিধি

পরপর দুই দফায় সময় বাড়ানো হলেও চার বছরেও শেষ হয়নি রাঙামাটির কুতুকছড়ি সেতুর নির্মাণকাজ। কাজের ধীরগতির কারণে রাঙামাটি-মানিকছড়ি-মহালছড়ি-খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক মহাসড়কে যাতায়াতকারী পাহাড়ের লাখো মানুষ পড়েছে চরম দুর্ভোগে।

রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের আওতায় সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছে কুতুকছড়ি এলাকায়। এর মাধ্যমে উত্তর ও দক্ষিণ পার্বত্য চট্টগ্রামকে সংযুক্ত করছে গুরুত্বপূর্ণ এই আঞ্চলিক মহাসড়কটি।

২০২২ সালের ১১ আগস্ট সেতুর নির্মাণকাজের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। তবে ২০২৪ সালের জুন মাসে প্রথম মেয়াদ শেষে কাজ অসম্পূর্ণ থাকায় আরও এক বছর সময় বাড়ানো হয়। তবুও অগ্রগতি মাত্র ৩৫ শতাংশ।

সরেজমিনে দেখা যায়, নির্মাণকাজের ধীরগতির কারণে বর্তমানে বিকল্প সড়ক ও ঝুঁকিপূর্ণ অস্থায়ী সেতু ব্যবহার করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। চলমান বর্ষা মৌসুমে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বিকল্প পথেও চলাচল বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। উপচে পড়া পানিতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে যাতায়াত, কৃষিপণ্য পরিবহন ও জরুরি চিকিৎসাসেবা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ভাঙা এই রাস্তা দিয়ে রোগী বা মেডিকেল টিম আসা-যাওয়া করা খুবই কষ্টকর। বিকল্প যে রাস্তা তৈরি হয়েছে, সেটাও এখন পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। চলাফেরায় সমস্যা হচ্ছে, দুর্ঘটনাও ঘটছে প্রায়ই।

সেতুটির দৈর্ঘ্য ৮১.৩১৫ মিটার। নির্মাণ ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা। ২০২১ সালে কুতুকছড়ির পুরনো বেইলি ব্রিজটি একটি পাথর বোঝাই ট্রাকসহ ভেঙে পড়ার পর নতুন সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরপর ‘সরদার এন্টারপ্রাইজ’ এবং ‘রাঙামাটি ট্রেডার্স’ নামে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করে।

রাঙামাটি ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী নিজাম উদ্দিন মিশু বলেন, নদীতে পানি থাকায় কাজ বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা সময় বৃদ্ধির জন্য আবেদন করেছি। পানি কমে গেলে স্বল্প সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করার চেষ্টা করব।

তবে রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা বলেন, পর পর দুবার সময় বাড়ানো হলেও এখনো কাজের অগ্রগতি মাত্র ৩৫ শতাংশ। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী আমরা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ইতোমধ্যে পত্র পাঠিয়েছি। অনুমোদন পেলে নতুন ঠিকাদার নিয়োগ দিয়ে অবশিষ্ট কাজ সম্পন্ন করা হবে।

এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। এটি পাহাড়ের কৃষিপণ্য, ফলমূল, এবং অন্যান্য পণ্য পরিবহনের গুরুত্বপূর্ণ পথ। সেতুর নির্মাণ দীর্ঘ সময় ধরে ঝুলে থাকায় স্থানীয় পর্যটন, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাও ব্যাহত হচ্ছে।


সোনারগাঁওয়ে নারীদের অংশগ্রহণে বিএনপির ব্যাতিক্রমী মুক্ত আলোচনা ও ৩১ দফার গণসংযোগ

সোনারগাঁওয়ে বিএনপির গণসংযোগ। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখার ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে নারীদের অংশগ্রহণে একটি উঠান বৈঠক, মুক্ত আলোচনা ও ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করেছে উপজেলা মহিলা দল।

সোমবার বিকেলে উপজেলার বৈদ্দ্যেরবাজার ইউনিয়নের পঞ্চবটি এলাকার মতিউর রহমান হাইস্কুল প্রাঙ্গণে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী আজহারুল ইসলাম মান্নানের নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন উপজেলা বিএনপির মহিলাবিষয়ক সম্পাদক সালমা আক্তার কাজল।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আজহারুল ইসলাম মান্নানের ছেলে ও নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক খাইরুল ইসলাম সজিবের সহধর্মিণী সাদিয়া ইসলাম জুঁই।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোন মারিয়া ইসলাম মুন্নি। তারা সভায় এলাকার সাধারণ নারীদের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময় করেন।

সাদিয়া ইসলাম জুঁই বলেন, আজকের নারী শুধু সংসার সামলায় না, দেশও সামলায়। আমরা চাই এমন বাংলাদেশ, যেখানে আমাদের সন্তানরা নিরাপদ থাকবে, যেখানে ভোট দিতে পারব নিজের ইচ্ছায়, যেখানে ন্যায়ের শাসন ফিরবে। বিএনপি সেই স্বপ্নের রাজনীতি করছে- মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনার রাজনীতি।’ আপনাদের সবাইকে ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিএনপিকে রাষ্ট্র পরিচালনায় সহযোগিতা করার অনুরোধ করছি।

মারিয়া ইসলাম মুন্নি তার আবেগঘন বক্তব্যে বলেন, এই দেশটা আমাদের; কিন্তু আজ আমরা আমাদেরই অধিকার থেকে বঞ্চিত। আমাদের মা-বোনেরা কষ্টে আছে, ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না। তাই ৩১ দফা শুধু রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি নয়, এটা আমাদের বাঁচার স্বপ্ন। আমরা সবাই মিলে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করব। তারেক রহমানের সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমার বাবা তার পুরো জীবন আপসহীনভাবে জনগণের স্বার্থে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়ে গেছেন। আশা করি আপনারা বিএনপির পাশে থাকবেন। একই সাথে সোনারগাঁও আসনটি তারেক রহমানকে উপহার দেবেন।

অন্যান্য বক্তারা বলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ আবারও গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ন্যায়বিচারের পথে ফিরবে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা ছাড়া দেশের মুক্তি নেই।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বৈদ্দ্যেরবাজার ইউনিয়নের সভাপতি তাজুল ইসলাম সরকার, সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, মোস্তাক হোসেন, রাকিব হাসান, কাউসার আহমেদ, সোহেল প্রধান, সেলিম হোসেন দিপু, আলিনুর বেপারী, মাহফুজ ইসলামসহ কয়েকশ নেতারা।

অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত নারীদের হাতে হাতে ৩১ দফা বাস্তবায়নের লিফলেট বিতরণ ও ধানের শীষে ভোট দেওয়ার আহ্বান করেন।


হাসপাতালের বেহাল দশা

ঠাকুরগাঁওয়ের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁওয়ের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল উত্তরাঞ্চলের ঠাকুরগাঁওসহ আশেপাশে দুই জেলার প্রায় ৪০ লাখ মানুষের চিকিৎসার প্রধান ভরসাস্থল। কিন্তু যে স্থানে মানুষ আসে সুস্থতার আশায়, সেই স্থানই এখন যেন রোগ উৎপত্তির কেন্দ্রস্থল। নোংরা পরিবেশ, অস্বাস্থ্যকর অবস্থা আর অব্যবস্থাপনায় ভরে গেছে হাসপাতালটি।

রোগীরা বলছেন, এখন এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে মানুষ সুস্থ নয়, বরং আরও অসুস্থ হয়ে পরে। অন্যদিকে ধারণক্ষমতার দুই থেকে তিন গুণ বেশি রোগী ভর্তি থাকায় চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

তারা বলছেন, জনবল সংকট ও অব্যবস্থাপনার কারণে কাঙ্ক্ষিত সেবা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না। এদিকে স্থানীয় সচেতন নাগরিক ও সেবাগ্রহীতারা মনে করছেন ঠাকুরগাঁওয়ে দ্রুত একটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন ছাড়া স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নের বিকল্প নেই।

সরেজমিনে দেখা যায়, ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের ধারণক্ষমতা ২৫০ শয্যা হলেও প্রতিদিন ভর্তি থাকে প্রায় ৬০০ থেকে ৭০০ রোগী। রোগীর চাপে বেড তো পাওয়া যায় না, অনেক সময় ফ্লোরেও জায়গা মেলে না। চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় ডাক্তার ও নার্সদের।

অন্যদিকে হাসপাতালের করিডোর, বাথরুম এমনকি রোগী ওয়ার্ড সব খানেই নোংরা পরিবেশ। নোংরা অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, সুস্থ মানুষও সেখানে প্রবেশ করলে অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। অন্যদিকে দুটি লিফটের মধ্যে একটি নষ্ট হয়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে। ফলে চাপের ভীরে গুরুতর রোগী বা বয়স্কদের সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হয় তীব্র কষ্টের মধ্যে। দীর্ঘদিন ঘরে বালতি ও পাত্রে জমে থাকা নোংরা পানি । যেখান থেকে জন্ম নিতে পারে এডিস মশাসহ বিভিন্ন ধরনের রোগ। এছাড়া হাসপাতালের। ভেতরে কুকুরের বিচরণ তো আছেই। যার মাধ্যমে ছড়াতে পারে জলাতঙ্ক রোগ। এমনকি আইসিইউ, ডায়ালাইসিস ইউনিট এবং পিসিআর ল্যাবের জন্য নির্ধারিত ভবন ও স্থান থাকলেও, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও জনবল না থাকায় দীর্ঘদিন ধরেই সেগুলো চালু হয়নি।

রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ, এই হাসপাতালে অধিকাংশ পরীক্ষার রিপোর্ট বাইরে থেকে করাতে হয়। যেসব ওষুধ হাসপাতল থেকে দেওয়ার কথা সেসব ওষুধ নিতে রোগীদের ছুটতে হয় বাইরের ফার্মেসিতে। আর অনেক রোগীকে দিনাজপুর, রংপুর বা ঢাকায় রেফার করেন। রোগীকে নিয়ে যাওয়ার সময় অনেকেই মৃত্যুর মুখে পতিত হন। এছাড়া এখানে ডাক্তার পাওয়া যায় না ঠিকমতো। বাথরুমগুলোতে ঢোকা যায় না। বেসিনগুলোতে হাত ধোয়ার অবস্থা নেই। এখানে রোগী নিয়ে আসলে সুস্থ মানুষই আমরা অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি এমন অবস্থা এখানকার বলে জানান তারা।

মো. মুজাহিদ বলেন, এখানকার পরিবেশ এতটাই নোংরা যে বলার মতো না। যেখানে-সেখানে পানি ও ময়লা আবর্জনা পড়ে থাকে। আর হাসপাতালে অনেক টেস্ট হয় না। রোগী নিয়ে টেস্ট করাতে বাইরে যেতে হয়। এভাবে আমরা চরম ভোগান্তিতে পরি। এছাড়া এখানে রোগীর সংখ্যা অনুযায়ী সেবা দেওয়ার মতো জনবল দেখছি না। জনবল বৃদ্ধি করলে হয়তো কিছুটা কাঙ্ক্ষিত সেবা পাওয়া যাবে।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা থেকে অসুস্থতাজনিত কারণে মাকে নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছেন মেহেদী হাসান। তিনি বলেন, ‘যেগুলো ওষুধ হাসপাতাল থেকে দেওয়ার কথা ওই ওষুধগুলোয় আবার আমাদের বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে। তাহলে সরকার যে ওষুধ দিচ্ছে সেই ওষুধগুলো যাচ্ছে কোথায়।’

শহীদুল ইসলাম উজ্জল তার ছেলেকে নিয়ে ভর্তি আছেন হাসপাতালে তিনি বলেন, ‘ধরতে গেলে এই হাসপাতালে চিকিৎসা বলতে তেমন কিছুই হয় না। সময় মতো ডাক্তার পাওয়া যায় না। নার্সরা ঠিক মতো কথা শোনছেন না। তাদের কোনো কিছু বলতে গেলে বিরক্ত বোধ করেন। এছাড়া দীর্ঘদিন থেকে এখানকার লিফট নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। এদিকে কেউ নজর দিচ্ছেন না। তাই আমি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের এ বিষয়গুলো দেখার জন্য অনুরোধ করছি।’

রিক্তা পারভীন নামে এক নারী বলেন, ‘হাসপাতালের টয়লেটের অবস্থা এতটাই খারাপ যে আমরা সেগুলো ব্যবহার করতে পারছি না। ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে এসে বেসিনগুলোতে তাদের হাত ধুয়ে যে খাওয়াব সেটাও করতে পারি না এতটাই নোংরা। এখানে আমরা আসি সুস্থতার জন্য কিন্তু রোগীর সাথে যারা আসি তারাই মনে হয় অসুস্থ হয়ে পড়ছি এমন অবস্থা।’

বাঁধন নামে এক যুবক বলেন, ‘এখানে রোগী নিয়ে আসলেই অধিকাংশ রোগীকেই শুধু রেফার করে দেওয়া হয় দিনাজপুর, রংপুরসহ ঢাকায়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, দীর্ঘ সময়ের রাস্তা হওয়ায় রোগীকে নিয়ে যেতে যেতেই অনেকের মৃত্যু হয়। এ জন্য ঠাকুরগাঁওয়ে একটি ভালোমানের মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল জরুরি হয়ে পড়েছে।’

স্থানীয় নাগরিক হিমেলসহ অনেকে বলেন, ‘হাসপাতালটিতে আশেপাশের কয়েকটি জেলার মানুষ সেবা নিতে ছুটে আসেন। তাই এখানে একটি মেডিকেল কলেজ না হলে মানসম্মত চিকিৎসা পাওয়া অসম্ভব। তাই ঠাকুরগাঁওয়ে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপনের দাবি জানান তারা।’

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে, এই হাসপাতালে প্রথম শ্রেণির চিকিৎসক ৫৯ জনের বিপরীতে কর্মরত আছেন মাত্র ৪০ জন। দ্বিতীয় শ্রেণির ৩টি পদেই শূন্য। দ্বিতীয় শ্রেণির নার্সের পদ সংখ্যা মাত্র ৯১ জন। তার বিপরীতে কর্মরত আছেন ৮৮ জন। তৃতীয় শ্রেণির পদ সংখ্যা ৪২ জন হলেও আছেন মাত্র ২০ জন। এখনো শূন্য পদ ২২টি। চতুর্থ শ্রেণির লোকবল ২৫ জনের বিপরীতে আছেন ১৭ জন। ২৫০ শয্যার হাসপাতালে মঞ্জুরীকৃত মোট পদের সংখ্যা মাত্র ২২১টি। এর মধ্যে আবার এখনো শূন্য হয়ে পরে আছে ৫৬ জনের পদ।


শবনম ভেজিটেবল অয়েল মিলে আবারও অগ্নিকাণ্ড

২ ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে
আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় দমকলকর্মীরা। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রূপগঞ্জ প্রতিনিধি

রূপগঞ্জ থানার তারাব পৌরসভার শবনম ভেজিটেবল অয়েল মিলস লিমিটেডে আবারও ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার ভোররাত আনুমানিক সাড়ে ৩টার দিকে কারখানার তেল উৎপাদন প্লান্টে আগুন লাগে। প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় দমকলকর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

কারখানার কর্তৃপক্ষ থেকে ঘটনার খবর পেয়ে ডেমরা ফায়ার স্টেশন, কাঁচপুর ফায়ার স্টেশন এবং নারায়ণগঞ্জ জোন-২ থেকে মোট পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায়। ২ ঘন্টার সম্মিরিত চেষ্টায় সাড়ে পাঁচটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

রূপগঞ্জ থানা পুলিশ ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আগুন নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করে । ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শর্ট সার্কিট থেকেই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে।

শবনম ভেজিটেবল অয়েল মিলসের ম্যানেজার মেজর আশিকুর রহমান বলেন, আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে আমরা নিরাপত্তাকর্মী ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিই। দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার ফলে বড় ধরনের প্রাণহানি এড়ানো গেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হচ্ছে।

কারখানাটিতে প্রায় ৩২০ জন কর্মী কর্মরত রয়েছেন, এর মধ্যে ৩০০ জন শ্রমিক (পুরুষ ২৯০ ও নারী ১০ জন) এবং ২০ জন স্টাফ। অগ্নিকাণ্ডের সময় অধিকাংশ শ্রমিক উপস্থিত না থাকায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে বলে জানা গেছে।

ডেমরা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ আলী বলেন, ৩০০ মেট্রিক টনের ওয়েল রিফাইনারিতে আগুন লাগে।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শর্ট সার্কিটের কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরূপণ করা যায়নি। পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে।


কঠোর অভিযানেও বেপরোয়া পদ্মার জেলেরা

মাছ শিকারে পদ্মায় জেলে। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
আবিদ হাসান, মানিকগঞ্জ

সরকার ঘোষিত ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন, মজুতে, বাজারজাতকরণ ও বিনিময় নিষিদ্ধ হলেও মানতে নারাজ মানিকগঞ্জের হরিরামপুর পদ্মা নদীর জেলেরা। হিংস্র আর হায়নারুপে পদ্মা নদীতে আইনের তোয়াক্কা না করেই প্রতিদিন বীরদর্পণে দিনে-রাতে চলছে পদ্মা নদীর ইলিশ লুট।

গত কয়েকদিনে সরেজমিনে, প্রতিদিন বিকেল ও সন্ধ্যারপর উপজেলার হাতিঘাটা, কাঞ্চনপুর, কালিতলা, লেছড়াগঞ্জ, হরিণাঘাট, সেলিমপুরসহ পদ্মা নদীতে জেলেদের ঐক্যবদ্ধ তাণ্ডবে মা-ইলিশের অকাল প্রয়াণে হতবাক স্থানীয়রা। এই ইলিশ হাতিঘাটা বাজারে একটা নির্দিষ্ট সময়ে ৮০০-১০০০ টাকা করে প্রতি কেজি প্রকাশ্যে বিক্রিও করছে নিয়মিত। হরিরামপুর উপজেলা মৎস্য অফিস কর্তৃক প্রতিদিন দিনে-রাতে কঠোর অভিযান পরিচালনা করে হিমশিম খাচ্ছে। জেল, জরিমানায়ও থামছে না ছোট-বড়, মা-ইলিশ নিধন। এমনকি, অভিযান চলাকালীন সময়ে গত ১১ অক্টোবর দুপুরে, উপজেলার কাঞ্চনপুর এলাকায় জেলেরা এক হয়ে হরিরামপুর মৎস্য অফিসের কর্মকর্তা, কর্মচারীদের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে। হামলার পরপরই আবারও জোরালো পাল্টা অভিযানে বেশ কয়েকজন জেলেকে জাল, মাছসহ আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জেল দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। বিশেষ করে ফরিদপুর, গোয়ালন্দ, শিবালয়, রাজবাড়ির জেলেরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ ইলিশ নিধনে একযোগে পদ্মায় নামে।

রামকৃষ্ণপুর ইউপি বাসিন্দা মো. ইউসুব বলেন, আন্ধারমানিক ঘাট দিয়ে মৎস্য অফিসাররা দিনে-রাতে অভিযান করে দেখেছে। তাদের কঠোর চেষ্টায় থামছে না জেলেদের তাণ্ডব। নিয়মিত হাতিঘাটা বাজারে বিকেলে অথবা সন্ধ্যায় গেলে ছোট, মাঝারি সাইজের ইলিশ কিনতে পাওয়া যায় শুনেছি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেলিমপুর গ্রামের এক জেলে আক্ষেপ করে জানান, ‘২২ দিন কি আমরা চুরি করে খামু.?

আমগো চাইল ও দ্যালনাই কেউ। জেল, জরিমানা স্বীকার করেই পদ্মায় নামছি। কিছু করার নাই। পেটের খিদ্যা তো আর অফিসারেরা মিটাইতে আইব না।’

হরিরামপুর উপজেলা ইলিশ প্রকল্পের ক্ষেত্র-সহকারী মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আমরা প্রতিদিন জাতীয় সম্পদ ইলিশ রক্ষায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিনে-রাতে পদ্মায় অভিযান করছি নিয়মিত। আমাদের ওপর বেশ কয়েকবার হামলা হলেও আমরাও ছারতে নারাজ। ইলিশ সম্পদ রক্ষায় যা যা প্রয়োজন, তাই আমরা করব। আরও কঠোর অভিযানে জেলা, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মহোদয়ের সাথে আলাপ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমাদের জাতীয় সম্পদ- ইলিশ রক্ষায় সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

হরিরামপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নুরুল হক ইকরাম জানান, জাতীয় সম্পদ ইলিশ রক্ষায় আমরা অন্যায়ের সাথে কখনোই আপস করিনি। জেলেরা অপরাধ করবেই, তারপরেও আমরা কোনো ছাড় দেইনি। আমাদের অভিযান নিয়মিত চলছে, চলবে।

উপজেলা মৎস্য অফিসের তথ্য বলছে- গত কয়েকদিনে ২৩টি অভিযান পরিচালনা করে ১ লাখ ৫৪ হাজার লাখ মিটার জাল ধ্বংস করা হয়েছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে ষোল লাখ টাকা। ৭টি মোবাইল কোর্ট, ১৭টি নিয়মিত মামলা, ৫২ হাজার টাকা জরিমানা, ৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা আর ৫৪ মণ ছোট, মাঝারি, বড় সাইজের ইলিশ জব্দ করে বিভিন্ন এতিমখানায় দেওয়া হয়েছে।


হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রাম বাংলার বিলে-ঝিলে জন্মানো শাপলা শালুক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
তরিকুল ইসলাম তরুন

একসময় বাংলাদেশের বিল-হাওর ভরে থাকত এমন এক খাবার যা ছিল ভাতের বিকল্প। যা শুধু খাবার নয়, ছিল গ্রামীণ জীবনের আনন্দ, ঐতিহ্য আর সংস্কৃতির অংশ। কিন্তু মানুষ এখন সেই খাবারের নাম প্রায় ভুলতেই বসেছে। সেই ভুলে যাওয়া নামটি হলো- শালুক।

বাংলাদেশের নদীমাতৃক অঞ্চলের এই ঐতিহ্যবাহী খাদ্য একসময় ছিল গ্রামের মানুষের নিত্যসঙ্গী। নিচু অঞ্চলের দোআঁশ ও কাদামাটিতে প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেওয়া শালুকের চারটি প্রধান জাত পাওয়া যেত। কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সুনামগঞ্জ, মাধবপুর, বৈরব, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও নরসিংদীর হাওর ও খালচর অঞ্চলজুড়ে ছিল এই শালুকের প্রাচুর্য।

ভাদ্র, আশ্বিন, কার্তিক মাস এলেই দেখা যেত বিলে উৎসবের আমেজ। কৃষক ও দামাল ছেলেমেয়েরা পড়াশোনার ফাঁকে দলে দলে যেত শালুক তুলতে। হাসি-আড্ডায় মুখর হতো চারদিক। তখন শালুক, শাপলা, বেট, উঠা- এসব ছিল সবার খাবার। শুধু যে মানুষ মজা করে খেতো তাই নয়, অভাবেও মানুষ শালুক খেয়ে জীবন বাঁচাতো।

শালুকেরও ছিল নানা জাত- গাইয়্যা, সিন্ধু, রামউঠা সবচেয়ে জনপ্রিয়, আর কিছু প্রজাতি শালুকের মতো দেখতে হওয়ায় তাদের বলা হতো উডা, যেগুলো থেকে হতো শাপলা।

প্রতিটি শালুকের ওজন প্রায় ৪০–৭০ গ্রাম। এটি সেদ্ধ করে কিংবা আগুনে পুড়িয়ে ভাতের বিকল্প হিসেবে খাওয়া যেত। পুষ্টিগুণে ভরপুর শালুক হজমে সাহায্য করত- গ্রামের মানুষ ভালোবেসে বলত, ‘শালুক খেলে পেটও খুশি, মনও খুশি।’

কিন্তু এখন বর্ষার পানি কমে গেছে, বিল শুকিয়ে গেছে, আর সেই সঙ্গে হারিয়ে গেছে শালুকের দিনগুলোও।

তবুও একেবারে সব শেষ হয়নি। কুমিল্লার মুরাদনগরের কোম্পানীগঞ্জে আজও কিছু মানুষ এই হারানো ঐতিহ্যটিকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। প্রায় বিশ বছর ধরে শালুকের ব্যাবসা করছেন আবুল কাসেম, নারায়ণ, দীপ্ত সাহা, আবু মুছা ও সফিকসহ অনেকে।

তারা সিলেটের সুনামগঞ্জ ও মাধবপুর হাট থেকে বারো মাস শালুক সংগ্রহ করে কুমিল্লার বিভিন্ন হাটে বিক্রি করেন। পাইকারি দরে কেজি প্রতি ৫০–৮০ টাকা, খুচরায় ১৫০–২০০ টাকা। দীপ্ত সাহা বলেন, ‘প্রতিদিন ৫০ থেকে ৮০ কেজি শালুক বিক্রি হয়। এই ব্যাবসাতেই আমাদের সংসার চলে, আর মনে হয় যেন একটা ঐতিহ্যকেও বাঁচিয়ে রাখছি।’


কুমিল্লার হোমনায় বিএনপির ৩১ দফা সম্বলিত লিফলেট বিতরণ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কুমিল্লা প্রতিনিধি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্রসংস্কারের ৩১ দফা দাবিসমূহ সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করেছেন কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপি।

সোমবার কুমিল্লার তিতাস উপজেলার বাতাকান্দি ও হোমনা উপজেলার ঘারমোড়া বাজারে লিফলেট বিতরণ করেন কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আখতারুজ্জামান সরকার।

লিফলেট বিতরণকালে আখতারুজ্জামান সরকার বলেন, ‘রাষ্ট্র সংস্কারের এই ৩১ দফা দেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও আইনের শাসন নিশ্চিত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই দফাগুলো বাস্তবায়িত হলে জনগণের অধিকার ও ন্যায়বিচার ফিরে আসবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত। বিএনপি জনগণের ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে রাষ্ট্র পরিচালনা করবে।’

অনুষ্ঠানে তিতাস উপজেলা বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


হিন্দু ধর্মাবলম্বী ৩০০ নারীর মাঝে শাড়ি বিতরণ করলেন নুরুল ইসলাম নয়ন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় শারদীয় দুর্গাপূজা উদ্‌যাপনের পরবর্তী সময়ে সম্প্রীতিরবন্ধন অটুট রাখতে ও সামাজিক সহমর্মিতার নিদর্শন স্বরূপ কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন হিন্দু ধর্মাবলম্বী ৩০০ নারীর মাঝে শাড়ি বিতরণ করেছেন।

সোমবার চরফ্যাশন ডাক বাংলোতে শাড়ি বিতরণ করা হয়।

এ সময় নুরুল ইসলাম নয়ন বলেন, ‘আমরা রাজনীতি করি মানুষের কল্যাণের জন্য। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। এই বিশ্বাস থেকেই আমরা হিন্দু সম্প্রদায়ের নারীদের মাঝে সামান্য এই ভালোবাসার উপহার তুলে দিয়েছি। ভবিষ্যতে এই ধারা অব্যাহত থাকবে।’

অনুষ্ঠানে উপজেলা নেতারা নুরুল ইসলাম নয়নের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এমন উদ্যোগ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রতীক। এতে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের মাঝে ভালোবাসা ও সৌহার্দ্য বৃদ্ধি পায়।

এক উপকারভোগী নারী বলেন, ‘পূজার পরবর্তী সময়ে এমন উপহার পেয়ে আমরা সত্যিই আনন্দিত। নয়ন ভাইয়ের জন্য অনেক দোয়া রইল।’

শাড়ি বিতরণ অনুষ্ঠানে উপজেলা বিএনপির নেতারা, সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর ভাঙনে বসতভিটা বিলীন, হুমকিতে গুচ্ছগ্রাম

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি

বগুড়া সারিয়াকান্দির হাটশেরপুর ইউনিয়নে যমুনা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ৩ দিনে ৩০টির বেশি পরিবারের বসতভিটা যমুনায় বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন হুমকিতে রয়েছে হাটশেরপুর গুচ্ছগ্রামের বসবাসরত ৩০০ পরিবার। ভাঙন আতঙ্কে দিনাতিপাত করছেন ৫ গ্রামের ২০ হাজার মানুষ। বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, সরেজমিন পরিদর্শন শেষে ভাঙনকবলিত এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বগুড়া সারিয়াকান্দির হাটশেরপুর ইউনিয়নের হাটশেরপুর, নিজবলাইল, করমজাপাড়া, দিঘাপাড়া, চকরথিনাথ গ্রামে যমুনা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। গত বছর থেকেই এখানে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। গত বছর নদী ভাঙনের শিকার বেশকিছু পরিবার বিভিন্ন এলাকায় বসতি স্থাপন করেছেন। এছাড়া গত বছরের নদী ভাঙনের ফলে এখানে একটি গুচ্ছগ্রাম নদীতে সম্পূর্ণভাবে বিলীন হয়েছে। এ বছরও একই এলাকায় গত ৩ দিন আগে থেকে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। গত ৩ দিনের নদী ভাঙনের শিকার হয়ে শেরপুর গ্রামের তারা প্রামাণিকের ছেলে বকুল মেম্বার, আজগর আকন্দের ছেলে ফজলু আকন্দ এবং সালামুদ্দিন তরফদারের ছেলে শাহিন মিয়াসহ প্রায় ৩০টির বেশি পরিবারের লোকজনের বসতভিটা যমুনায় বিলীন হয়েছে। এদিকে নদী ভাঙনের ফলে শেরপুর গুচ্ছগ্রাম ভাঙন হুমকিতে রয়েছে। যেখানে নদী ভাঙনের শিকার ৩০০টির বেশি পরিবারের লোকজন গত কয়েক বছর আগে বসতি স্থাপন করেছিলেন। তা ছাড়া এভাবে নদীভাঙন অব্যাহত থাকলে হাটশেরপুর ইউনিয়নের হাটশেরপুর, নিজবলাইল, করমজাপাড়া, দিঘাপাড়া, চকরথিনাথ গ্রাম যেকোনো সময়ে নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন এসব গ্রামে বসবাসরত ২০ হাজার এলাকাবাসী। হুমকিতে রয়েছে এসব এলাকায় বিভিন্ন সময়ে গড়ে ওঠা স্কুল, মসজিদসহ নানা ধরনের সামাজিক প্রতিষ্ঠান।

হাটশেরপুর ইউনিয়নের মৃত বদিউজ্জামানের ছেলে সাহাবুল ইসলাম বিপু বলেন, ‘গত ৩ দিনের নদী ভাঙনে ৩০টির বেশি পরিবারের বসতভিটা যমুনায় বিলীন হয়েছে। তারা তাদের ঘরবাড়ি নিয়ে অন্যের জমিতে অবস্থান করছেন। আমার বাড়িটিও ভাঙনের শিকার হতে যাচ্ছে। এভাবে নদীভাঙন অব্যাহত থাকলে এ গ্রামের ঐতিহ্যবাহী গুচ্ছগ্রাম যমুনায় বিলীন হবে। তা ছাড়া ৫ গ্রামের ২০ হাজার মানুষ এখন নদী ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে। দ্রুত এখানে নদীভাঙন মোকাবিলায় কাজ না করলে আমরা একেবারেই যমুনার জলে ভেসে যাব।’

বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির বলেন, সারিয়াকান্দি হাটশেরপুর গ্রামের যমুনা নদীর ভাঙনকবলিত এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করা হবে। পরিদর্শন শেষে ভাঙনকবলিত এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা কওে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


ভালুকায় শেফার্ড গ্রুপে শ্রমিক অসন্তোষ, মহাসড়কে বিক্ষোভ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ভালুকায় অবস্থিত শেফার্ড গ্রুপের শ্রমিকরা সোমবার সকালে বকেয়া বেতনসহ ১০ দফা দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।

উপজেলার কাঠালী এলাকায় সকাল ১০টা থেকে প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে মহাসড়কে অবস্থান নেন শ্রমিকরা। এতে মহাসড়কের দুপাশে কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করলে প্রশাসনের আশ্বাসে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেয়।

শ্রমিকরা জানান, সেপ্টেম্বর মাসের বকেয়া বেতন এখনো পরিশোধ করা হয়নি। এছাড়া ওভারটাইম হার কমানো, টিফিন বিল ও হাজিরা বোনাস কমিয়ে দেওয়াসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা হ্রাসের কারণে তারা চরম অসন্তুষ্ট। তাদের দাবি- প্রতি মাসের বেতন সময়মতো প্রদান, ওভারটাইমের হার পূর্বের মতো ৬৮ শতাংশে বহাল রাখা, টিফিন বিল বৃদ্ধি এবং অবসরোত্তর ফান্ড দ্রুত পরিশোধ করা।

এ বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ জানান, সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের সহযোগিতায় শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। সেপ্টেম্বর মাসের বেতন আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে পরিশোধ করা হবে বলে তিনি জানান।


কুলাউড়ায় গ্রাম পুলিশদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করলেন জেলা প্রশাসক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কুলাউড়া প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের মাসব্যাপী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট (এনআইএলজির) উদ্যোগে ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এই প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, গ্রাম পুলিশ আমাদের প্রশাসনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক শক্তি। ইউনিয়ন পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, জনগণের নিরাপত্তা ও স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে তাদের ভূমিকা অপরিসীম। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গ্রাম পুলিশের দক্ষতা, দায়িত্ববোধ ও সেবার মান আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এনআইএলজির যুগ্ম পরিচালক (উপসচিব) মোহাম্মদ জাহিদ আখতার। তিনি বলেন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানকে যুগপোযোগী করে গড়ে তোলার জন্য গ্রাম পুলিশদের এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সারাদেশে ৪৬ হাজার গ্রাম পুলিশ রয়েছে। চলতি অর্থবছরে ২০টি উপজেলায় এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে। মাসব্যাপী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গ্রাম পুলিশের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধি করে ইউনিয়ন পরিষদকে শক্তিশালী করা সরকারের উদ্দেশ্য বলে তিনি জানান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সহকারী অধ্যাপক মাজহারুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শাহীনা আক্তার ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওমর ফারুক। এছাড়া প্রশিক্ষণার্থীদের পক্ষ থেকে অনুভূতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন গ্রাম পুলিশ সেলিম আহমদ।

জানা গেছে, মাসব্যাপী চলা এ প্রশিক্ষণে ইউনিয়ন পর্যায়ের গ্রাম পুলিশ সদস্যরা দায়িত্বশীলতা, প্রশাসনিক কার্যক্রম, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং সেবার মানোন্নয়নে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেবেন। প্রশিক্ষণে ৪০ জন গ্রাম পুলিশ অংশগ্রহণ করছে।


বিজিবির অভিযানে বিপুল ভারতীয় বিড়ি-সিগারেট জব্দ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কুলাউড়া প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় চোরাচালানবিরোধী অভিযানে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় বিড়ি ও সিগারেট জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। গত রোববার গভীর রাতে উপজেলার আলীনগর ও লালারচক সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে বিড়ি ও সিগারেট জব্দ করা হয়।

৪৬ বিজিবি সূত্রে জানা যায়, নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে গত রোববার রাতে উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় মালিকবিহীন অবস্থায় ৩ লাখ ১ হাজার টাকা মূল্যের ১ হাজার ২৮০ প্যাকেট ভারতীয় সিগারেট ও ৯০০ প্যাকেট নাসির পাতার বিড়ি জব্দ করা হয়।

৪৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এস এম জাকারিয়া বলেন, মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া, কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলার ১১৫ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকায় বিজিবি সদস্যরা দিবারাত্রী ২৪ ঘণ্টা টহল ও চোরাচালানবিরোধী অভিযান পরিচালনা করছেন। সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি এ কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে।


banner close