বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
৮ কার্তিক ১৪৩২

শেরপুর বিএনপি নেত্রীর হরিজন পল্লীতে শাড়ি ও লুঙ্গী বিতরণ

শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত
শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১৯:২২

শেরপুরের সজবরখিলার হরিজন পল্লীর পাচঁ শতাধিক বাসিন্দাদের মাঝে শাড়ি ও লুঙ্গী বিতরণ করা হয়েছে। ড্যাবের কেন্দ্রীয় নেত্রী ও শেরপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা ২২ অক্টোবর রাতে এসব শাড়ি ও লুঙ্গী বিতরণ করেন।

এ সময় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ পলাশ, সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক হযরত আলী, সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম ও শহর বিএনপির সদস্য সচিব জাফর আলীসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

২১ অক্টোবর রাতে হরিজন পল্লীর সামনে ২০১৮ সালের বিএনপির আলোচিত এমপি প্রার্থী ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কার এক নির্বাচনী পথ সভায় হরিজন পল্লীর গৃহবধূ অরুনা ভাস্কর চোখের জলে তাদের দুঃখ দুর্দশার গল্প তুলে ধরেন। আর তার এ বক্তব্য ভাইরাল হয়ে যায়। পরে ২২ অক্টোবর রাতে ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা হরিজন পল্লীর সবার জন্য একবেলা খাবার খাওয়ান এবং সবাইকে শাড়ি ও লুঙ্গি উপহার দেন।

এ সময় তিনি বলেন, সামনে নির্বাচনে যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে আর তিনি এমপি নির্বাচিত হন, তবে হরিজন পল্লীকে আধুনিক পল্লী হিসেবে গড়ে তুলা হবে এবং তাদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবেন।

এতে খুশি হন হরিজন পল্লীর বাসিন্দারা। এ সময় অরুনা ভাস্কর বলেন, ‘আমরা আজ খুশি হয়েছি। আমাদের দুঃখ প্রিয়াঙ্কা আপা বুঝতে পেরেছেন। আমি বলব, আপা আমাদের ভুইলা যাইয়েন না।’

জবাবে সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘আমরা হরিজন পল্লীর লোকজনকে কাছে টেনে নিয়েছি। এমপি হই আর না হই কখনো দূরে ঠেলে দেব না।’


চসিকে ফ্যাসিবাদী আ. লীগ আমলে লুটপাটের অভিযুক্ত চারজন

অধিকতর তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র দিয়েছে দুদক
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জামালুদ্দিন হাওলাদার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের সময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) একটি উন্নয়ন প্রকল্পে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে দুদকের অধিকতর তদন্ত শেষে চারজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। ইমপ্রুভমেন্ট পোর্ট কানেকটিং রোড প্রকল্পের (অলংকার থেকে নিমতলা পর্যন্ত) কাজে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকার ক্ষতিসাধন ও জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংক ঋণ আত্মসাতের অভিযোগে এ চার্জশিট দাখিল করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক ও তদন্ত কর্মকর্তা মো. বেনজীর আহম্মদ।

চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- ১. কুমিল্লার ঝাউতলার বাসিন্দা ও মেসার্স জাকির এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. জাকির হোসেন, ২. ইউসিবিএল ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের তৎকালীন স্পেশাল অ্যাসেটস ম্যানেজমেন্ট ডিভিশনের কর্মকর্তা মো. সরোয়ার আলম, ৩. চসিকের তৎকালীন প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন এবং ৪. এনআরবি ব্যাংক কুমিল্লা শাখার তৎকালীন এভিপি ও শাখা প্রধান মোহাম্মদ তোফায়েল।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১০ মে দুদকের উপপরিচালক মো. আনোয়ারুল হক এই মামলাটি দায়ের করেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে চসিকের ওই প্রকল্পে আর্থিক অনিয়ম ও সরকারি ক্ষতিসাধন করেন। প্রকল্পের কার্যাদেশ পাওয়ার পর নিয়মিত প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে অবৈধভাবে ‘আমমোক্তার’ নিয়োগের মাধ্যমে কাজ হস্তান্তর এবং অসমাপ্ত অবস্থায় প্রকল্প বন্ধ রাখার কারণে সরকারি ২ কোটি ৭৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয় বলে দুদকের অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। তদন্তে উঠে এসেছে, আসামি মো. জাকির হোসেন নিজেকে ‘রানা বিল্ডার্স অ্যান্ড সালেহ আহম্মেদের’ ম্যানেজিং ডিরেক্টর পরিচয়ে ইউসিবিএল কুমিল্লা শাখার মাধ্যমে প্রায় ২৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করে আত্মসাৎ করেন। এই প্রক্রিয়ায় ব্যাংক কর্মকর্তারা সরাসরি সহযোগিতা প্রদান করেন। এর আগে মামলার প্রাথমিক তদন্ত শেষে দুদক একবার চার্জশিট দাখিল করলেও আদালত অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে নতুন তদন্তে আরও তথ্য উদঘাটিত হওয়ায় হালনাগাদ চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে দুদকের তদন্তাধীন এবং বর্তমানে চসিক প্রশাসনের সঙ্গে এর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। প্রকল্পের সব আর্থিক কার্যক্রম ছিল তৎকালীন কর্মকর্তাদের সময়কার। বর্তমান প্রশাসন স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে প্রতিটি প্রকল্পে কঠোর আর্থিক তদারকি ও পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।


পৌর প্রশাসকের নির্দেশ মানছে না ঠিকাদার!

ড্রেন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
খোরশেদ আলম, নোয়াখালী

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী পৌর এলাকায় ড্রেন নির্মাণে ঢালাইতে সিলেকশন বালু না দেওয়া, পরিমাণে সিমেন্ট, রড কম ও নিম্ন মানের সামগ্রী দেওয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে পৌর প্রশাসক চিঠি দিয়ে কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দিলেও ঠিকাদার তা উপেক্ষ করে নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গেলে সোনাইমুড়ী পৌর সভার নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাইফুল আজিম জানান, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় জনস্বাস্থ্য বিভাগের প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে পৌর এলাকায় ড্রেন নির্মাণের টেন্ডার হয়। ৩২টি পৌর সভায় পানি সরবরাহ ও মানববর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ এনভায়রনমেন্টাল সেনিটেশন প্রকল্পের ৪ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণের কাজ পায় তৎকালীন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ছেলে আনোয়ার হোসেন। ওই ঠিকাদার দলীয় প্রভাব খাটিয়ে যেন-তেনভাবে ড্রেনের নির্মাণকাজ চালিয়ে যায়। বিগত সরকার পতনের পর ওই ঠিকাদার গা ঢাকা দেয়। গত দেড় বছর পূর্বে এই কাজটি পুনঃটেন্ডার হয়। নোয়াখালী জনস্বাস্থ্য বিভাগের ঠিকাদার রিদি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকার আবু তাহের কাজটি পায়।

পৌর বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ড্রেন নির্মাণে শিডিউল ও ড্রয়িং মোতাবেক কাজ করছেনা ঠিকাদার। রড কম, সিলেকশন বালু না দেয়, নিম্নমানের কনক্রিট, সিমেন্ট তুলনামূলক কম দিয়ে যেন-তেনভাবে ড্রেন নির্মাণ করছে ঠিকাদার। হাটু পরিমাণ পানির মধ্যে ড্রেনের সাইট ঢালাই করছে। আবার ঢালাই খোলার পর বিভিন্ন স্থানে রড দেখা যাচ্ছে।

এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা কয়েকবার নির্মাণকাজ বন্ধ করলেও ঠিকাদার মানছে না।

নোয়াখালী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মচারী জানান, ড্রেন নির্মাণে নিম্নমানের নিম্ন সামগ্রী দেওয়ার অভিযোগ সত্য। তা অল্প দিনেই বিনষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সোনাইমুড়ী পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী (পানি) নুরুল আলম মানিক জানান, তাদের কাছে এই কাজের কোনো শিডিউল ও ডিজাইন নেই। তিনি পৌরসভা থেকে মৌখিক তদারকি করছেন। ড্রেনের কাজ শেষে পৌর কর্তৃপক্ষ বুঝে নেবেন। তবে তিনি ড্রেন নির্মাণে অনিয়মের সত্যতা স্বীকার করেন।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রিদি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আবু তাহেরের বক্তব্য নিতে একাধিকবার করেও তাকে পাওয়া যায়নি। প্রকল্প এলাকায়ও তিনি নেই।

উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন বলেন, নির্মাণ কাজে কোনো অনিয়ম হচ্ছে না। কেউ পৌর প্রাশাসক ও নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের কাছে এই বিষয়ে কোনো অভিযোগ করলেও কাজ হবে না। তিনি তাদের কোনো তোয়াক্কা করেন না বলে জানান।

সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক নাছরিন আক্তার বলেন, ড্রেন নির্মাণে অনিয়ম হচ্ছে এ সত্য। কয়েকবার ঠিকাদারকে কাজ বন্ধ করতে বললেও শোনেনি। তাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়ে অবহিত করলেও তারা কর্ণপাত করছে না। বৃহস্পতিবার স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে ড্রেন নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী দেওয়ায় কাজ বন্ধ করতে বললেও তা উপেক্ষা করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ঠিকাদার।

নোয়াখালী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, নির্মাণ কাজে অনিয়ম হচ্ছে তিনি শুনেছেন। অভিযোগ পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রকল্প এলাকায় লোক পাঠিয়েছেন।


সিরাজগঞ্জের সেই ধর্ষণের প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় সপ্তম শ্রেণির মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি নাইম হোসেনকে (২০) কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১২)। চাঞ্চল্যকর এই মামলার ৬ আসামির মধ্যে প্রধান আসামি নাঈমসহ গ্রেপ্তার হয়েছে চারজন। গত বুধবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে র‌্যাব-১২ ও র‌্যাব-১১-এর যৌথ অভিযানিক দল তিতাস থানার জিয়ারকান্দি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার নাইম হোসেন সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার চর কামারখন্দ গ্রামের রহমত আলীর ছেলে। বৃহস্পতিবার সকালে র‍্যাব-১২-এর সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানানো হয়।

র‌্যাব-১২-এর উপঅধিনায়ক মো. আহসান হাবিব বলেন, ধর্ষণ মামলা হওয়ার পর থেকে নাইম পলাতক ছিল। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তার অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এরপর কুমিল্লার তিতাস এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব সদস্যরা। গ্রেপ্তার নাইমকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

জানা যায়, গত ১৯ অক্টোবর উপজেলার কর্ণসূতি গ্রামের বাসিন্দা ৭ম শ্রেণির মাদ্রাসা ছাত্রী ওই কিশোরী (১৪) মাদ্রাসা থেকে বাইরে বের হলে ওই কিশোরীকে ছয়জন যুবক জোরপূর্বক অটোরিকশায় তুলে নেয়। তাকে জামতৈল সেন্ট্রাল পার্কের পাশে ডেরা ফাস্টফুড অ্যান্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্টে নিয়ে ধর্ষণ করে নাইম। কিশোরীর চিৎকার যেন বাইরে না যায় সে জন্য বাকি আসামিরা সাউন্ডবক্সে উচ্চ স্বরে গান বাজায়। পাশবিক নির্যাতনে কিশোরী জ্ঞান হারিয়ে ফেললে ধর্ষক ও তার বন্ধুরা হাসপাতালে নিয়ে সেখানে রেখে পালিয়ে যায়। পরে ওইদিন রাত সাড়ে ১২টার দিকে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরদিন অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার বিশেষ অঙ্গ রিপায়ার করা হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। ওইদিনই মামলার এজাহার নামীয় তিন আসামি মো. আকাশ (২১), মো. আতিক (২৩) ও মো. নাজমুল হক নয়নকে (২৩) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।


ফরিদপুর হালিমা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষা সেমিনার অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাহবুব পিয়াল, ফরিদপুর 

ফরিদপুর শহরের ঐতিহ্যবাহী হালিমা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের হলরুমে প্রফেসর এবিএম সাত্তার ফাউন্ডেশন ট্রাস্টবিষয়ক শিক্ষা সেমিনার গত বুধবার বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শিক্ষা সেমিনার অনুষ্ঠানে ফরিদপুর হালিমা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম মো. বদরুদ্দোজার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ জাতীয় দৈনিকের সম্পাদক প্রফেসর এবিএম সাত্তার। শিক্ষা সেমিনার অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ প্রফেসর তারিক হোসেন খান। পবিত্র কোরআন তেলওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর সেমিনার প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ফরিদপুর হালিমা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তানজিনা সিরাজী। পরে শুরু হয় আলোচনা সভা। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন হালিমা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ গার্হস্থ্য বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহনাজ পারভীন, সহকারী শিক্ষক প্রতিমা বিশ্বাস, লাইব্রেরিয়ান মোছা. আশশেফা নাসরীন, সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র মণ্ডল, আইসিটি সহকারী শিক্ষক আলমগীর মোল্লা, সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী শিক্ষক রেহেনা বেগম, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহা. আতাউর রহমান, প্রভাষক অ বা ভূ মশিউর রহমান মিয়া, অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আরিফ হোসেন ইসলাম শিক্ষা বিভাগের সরকারি অধ্যাপক মো. মুবিনুর রহমান। এরপর শুরু হয় প্রশ্নোত্তর পর্ব। প্রশ্নোত্তর পর্বে বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রধান যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান শিক্ষাবিদ প্রফেসর এবিএম সাত্তার। বিশেষ অতিথি সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ প্রফেসর তারিক হোসেন খান। এবং অনুষ্ঠানের সভাপতি হালিমা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম মো. বদরুদ্দোজার সমাপনী বক্তব্যের মধ্যে শিক্ষা সেমিনার অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।


টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমাম পঞ্চগড় থেকে উদ্ধার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের টঙ্গী থেকে নিখোঁজ হওয়া বিটিসিএল জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মুহিবুল্লাহ মাদানীর সন্ধান পাওয়া গছে বলে জানিয়েছেন তার ছেলে আব্দুল্লাহ। বৃহস্পতিবার সকালে পঞ্চগড় জেলা সদরের হেলিপ্যাড বাজার এলাকার একটি রাস্তার পাশে গাছের সাথে লোহার শিকল দিয়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়।

খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এর আগে গত বুধবার ফজর নামাজের পর হাটাহাটি করতে গিয়ে নিখোঁজ হন তিনি। দিনভর খোঁজে না পেয়ে রাতে তার স্বজনরা টঙ্গী পূর্ব থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

এলাকাবাসী জানান, মাওলানা মুহিবুল্লাহ জুমার নামাজে সনাতন সম্প্রদায়ের সংগঠন ইসকন ও হিন্দু ছেলেদের মাধ্যমে প্রেমের ফাঁদে ফেলে মুসলিম মেয়েদের সতীত্ব নষ্টকরাসহ সামাজিক অবক্ষয় নিয়ে জুমার খুতবায় নিয়মিতভাবে সচেতনতামূলক বয়ান রাখতেন। এরপর থেকে তাকে হুমকি দিয়ে বেশ কয়েকটি উড়ো চিঠি দেওয়া হয়। তিনি বিষয়টি নিয়ে মসজিদ কমিটি ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলেন। একপর্যায়ে গত বুধবার সকাল থেকে তিনি নিখোঁজ হন। বেলা ১১টা পর্যন্ত তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি খোলা থাকলেও সোয়া ১১টার পর মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এরপর বৃহস্পতিবার সকালে পঞ্চগড় জেলা সদরের হেলিপ্যাড বাজার এলাকায় তাকে গাছের সাথে হাত-পা লোহার শিকল দিয়ে বাঁধা অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে বলে নিশ্চিত করেন মাওলানা মুহিবুল্লাহের ছেলে আব্দুল্লাহ।

এ ব্যাপারে পঞ্চগড় সদর থানার ওসি মো. আব্দুল্লাহিল জামান বলেন, মাওলানা মুহিবুল্লাহ মাদানীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।

এ বিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, উদ্ধারকৃত স্থান থেকে ইমাম সাহেবকে নিরাপদে নিয়ে আসতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। থানার অসার পর তার সাথে কথা বলে বিস্তারিত জানাতে পারব।


ধুলোয় আচ্ছন্ন পঞ্চগড় পৌর শহর

দ্রুত সমস্যার সমাধান চান ভুক্তভোগী এলাকাবাসী
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পঞ্চগড় পৌর শহরে চলাচলে দুর্ভোগ সড়কে বালি ভর্তি ট্রাক ও ট্রাক্টর গাড়ির কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

বালিবাহী গাড়িগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ঠিকমতো ঢাকা বা পরিষ্কার না করেই চলাচল করছে, ফলে রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ছে বালি ও ধুলো। এতে পথচারীদের চোখে বালি পড়ছে, সৃষ্টি হচ্ছে শ্বাসকষ্টসহ নানা স্বাস্থ্য সমস্যা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, শহরের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন অসংখ্য ট্রাক ও টলি বালি পরিবহন করছে। এসব গাড়ির পেছন কোনো ঢাকা নেই। চলাচলের সময় বালি উড়ে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ছে, রাস্তায় ধুলো জমে যাচ্ছে, সামান্য বাতাসেই আশপাশের দোকানপাট ও পথচারীরা ধুলায় ঢেকে যাচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, বালিভর্তি ট্রাকগুলো যদি পরিষ্কার করে বা ঢাকা দিয়ে পানির ব্যবহার করা হইত এইতো রাস্তায় তারপর রাস্তায় নামতো, তাহলে এত সমস্যা হতো না। কিন্তু তারা যেভাবে বালি ছিটিয়ে চলে, এখন রাস্তায় হাঁটাচলাও কষ্টকর হয়ে গেছে।

স্কুল শিক্ষক মনি আক্তার বলেন, শিশুদের চোখে প্রতিদিনই বালি ঢুকে যায়। অনেকে শ্বাসকষ্টে ভুগছে। পৌরসভা বা প্রশাসনের উচিত বিষয়টি দ্রুত নজরে আনা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পঞ্চগড় পৌরসভার একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরা বিষয়টি জানি। যারা নিয়ম না মেনে বালি পরিবহন করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। খুব দ্রুতই অভিযান পরিচালনা করা হবে।

পঞ্চগড় পৌরসভার তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে পৌরসভার ঝাড়ুদার কর্মী আছেন ৩৮ জন। শহরের পরিচ্ছন্নতা কাজে রয়েছে বড় তিনটি ময়লা বহনকারী গাড়ি, একটি মাঝারি গাড়ি, একটি ছোট জরুরি গাড়ি এবং চারটি থ্রি-হুইলার। এছাড়া সড়কে পানি ছিটানোর জন্য একটি গাড়ি রয়েছে, যা বর্তমানে নষ্ট হয়ে আছে।

পঞ্চগড় পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী প্রনব চন্দ্র দে বলেন, পানি ছিটানোর গাড়িটি নষ্ট হয়ে আছে। খুব দ্রুতই তা মেরামত করা হচ্ছে।

পঞ্চগড় পৌরসভার প্রশাসক সীমা শারমিন বলেন, ‘শহরের ধুলোবালি কমানোর জন্য সড়কে পানি ছিটানো হবে। আমরা ইতোমধ্যে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি, আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে কার্যক্রম চালু হবে।

পঞ্চগড় সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) আর এম ও ডা. মো. রহিমুল ইসলাম বলেন, ধুলো থেকে সাধারণত ডাস্ট অ্যালার্জি হয়। ছোট শিশু, বয়স্ক এবং জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য এটি বেশি বিপজ্জনক। শ্বাসকষ্ট, হাঁচি, কাশি ও অন্যান্য শ্বাসজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।

শহরবাসীর দাবি, অবিলম্বে পৌরসভা ও প্রশাসনের সমন্বয়ে বালিবাহী গাড়িগুলোর ওপর কঠোর নজরদারি চালিয়ে রাস্তায় ধুলাবালি ছড়ানো বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি দ্রুত পানি ছিটানোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করা প্রয়োজন, যাতে শহরবাসী স্বস্তিতে চলাচল করতে পারেন।


ভোলার বোরহান উদ্দিনে মেডিকেল ক্যাম্পেইন এবং বরিশালের কালিগঞ্জে অনিবন্ধিত জেলেদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছে কোস্ট গার্ড

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বৃহস্পতিবার ২৩ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ বিকালে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড উপকূল এবং নদী তীরবর্তী অঞ্চলের দুর্যোগ মোকাবিলা এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সুবিধাবঞ্চিত, অসহায় ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের বিভিন্ন প্রয়োজনে এগিয়ে এসেছে। দুঃস্থ ও নিম্ন আয়ের মানুষদের বিভিন্ন সময় মেডিকেল ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে আসছে কোস্ট গার্ড।

এরই ধারাবাহিকতায় আজ ২৩ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা হতে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত কোস্ট গার্ড বেইস ভোলা কর্তৃক ভোলার বোরহান উদ্দিন থানাধীন কোতবা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মেডিকেল ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হয়। উক্ত মেডিকেল ক্যাম্পেইনে ২৮৩ জন অসহায়, গরীব, দুঃস্থ ও শিশুদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ সামগ্রী প্রদান করা হয়।

একইসাথে সকাল ১১ টায় কোস্ট গার্ড স্টেশন কালিগঞ্জে অনিবন্ধিত ১০০ জেলেদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও স্থানীয় মৎস্যজীবীগণ। মতবিনিময় সভায় জাটকা নিধন প্রতিরোধ, মা ইলিশ রক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা ও মৎস্যজীবীদের সমস্যা এবং উত্তরণের পদক্ষেপ সমূহ নিয়ে আলোচনা করা হয়।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এ ধরনের জনসেবামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।


পাবনায় এক বছর আগের বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
পাবনা  প্রতিনিধি

পাবনার ফরিদপুর উপজেলার মধ্য পুংগলী গ্রামে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে উপজেলার মধ্য পুংগলী গ্রামে হাজী গোষ্ঠী ও বাদশাহ গোষ্ঠীর মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ঈদগাহ মাঠে নামাজ পড়া নিয়ে সামনের চেয়ার নিয়ে বসাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। সেই পুরনো বিরোধের জের ধরে আজ সকালে আবারও উত্তেজনা দেখা দেয় এবং সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

সংঘর্ষে আহত ২০ জনকে ফরিদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

খবর পেয়ে ফরিদপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় এলাকায় এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে।

ফরিদপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকিউল আজম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষকে শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখনো ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। কোন পক্ষ থানায় এখনো অভিযোগ দেয়নি।


সিরাজগঞ্জে কিশোরী ধর্ষণ, প্রধান আসামি গ্রেফতার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় কিশোরী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি মো. নাইম হোসেনকে (২০) কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করেছে রেপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১১ ও ১২)।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে র‍্যাব-১২ এর সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানানো হয়।

গ্রেফতারকৃত নাইম হোসেন সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার চর কামারখন্দ গ্রামের মো. রহমত আলীর ছেলে।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ভোর সাড়ে ৪টায় র‌্যাব-১২ ও র‌্যাব -১১ এর যৌথ অভিযানিক দল তিতাস থানার জিয়ারকান্দি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।

র‌্যাব -১২ এর উপ অধিনায়ক মো. আহসান হাবিব বলেন, কিশোরী ধর্ষণ মামলা হওয়ার পর থেকে নাইম পলাতক ছিল। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তার অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এরপর কুমিল্লার তিতাস এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে র‌্যাব সদস্যরা।

তিনি আরও বলেন, আসামি গ্রেফতারের জন্য আমরা শুরু থেকেই অভিযান চালিয়ে যাচ্ছিলাম। শেষ পর্যন্ত তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। নাইমকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

প্রসঙ্গত, কিশোরী সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ থানাধীন কর্ণসুতী দাখিল মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত ৭ম শ্রেণির একজন ছাত্রী। রোববার (১৯ অক্টোবর) সকাল ১০টায় সে কর্ণসুতী দাখিল মাদ্রাসায় যায়। বিকালে মাদ্রাসা ছুটি হলেও বাড়িতে ফিরে না আসলে তার পরিবার কর্নসুতী দাখিল মাদ্রাসাসহ আত্মীয়-স্বজনের বাড়ী ও আশেপাশে খোঁজাখুজি করতে থাকেন। খোঁজাখুজি করার সময় অজ্ঞাত একজন ব্যক্তি পরিবারকে ফোন দিয়ে জানায় যে, মেয়েটি সিরাজগঞ্জ কমিউনিটি ক্লিনিকে অচেতন অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।

সংবাদ পেয়ে পরিবার সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জ কমিউনিটি ক্লিনিকে পৌঁছে আশঙ্কাজনক দেখতে পেয়ে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় এম.মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

কিশোরী মেয়েটি মাদ্রাসা হতে কলম কেনার জন্য রাস্তা দিয়ে দোকানের দিকে যাওয়ার সময় সিএনজি নিয়ে পূর্ব থেকে লুকিয়া থাকা কয়েকজন তার সামনে এসে দাঁড়ায় এবং মুখ চেপে ধরে জোর পূর্বক তাকে সিএনজিতে তুলে নিয়ে দ্রুত গতিতে জামতৈল রেলগেটের দিকে নিয়ে যায়।

পরবর্তীতে উপজেলা সেন্ট্রাল পার্কের দক্ষিণ পার্শ্বে ডেরা ফাস্ট ফুড এ্যান্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্ট এর ভিতরে নিয়ে রেস্টুরেন্টের পূর্ব সাইডে ডান পার্শ্বের কেবিনে বসার লম্বা সোফার উপর মুখ চেপে ধরে মো. নাইম হোসেন জোর পূর্বক ধর্ষণ করেন। ওই সময় তার সহযোগী বন্ধুরা রেস্টুরেন্টের ভিতরের গেটে পাহারা দেয় এবং কান্নাকাটি বাহির থেকে কেউ যেন শুনতে না পারে সে জন্য উচ্চস্বরে গান বাজায়।


থাইল্যান্ডে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত বাকৃবির ইন্টার্নশিপ শিক্ষার্থীর মৃত্যু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাকৃবি প্রতিনিধি

থাইল্যান্ডে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পশুপালন অনুষদের ইন্টার্নশিপ শিক্ষার্থী ও শাহজালাল হলের আবাসিক ছাত্র জাকারিয়া হোসাইন সাঈদ দেশে ফিরে নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

জানা যায়, ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে তিনি ৫ আগস্ট থেকে থাইল্যান্ডে অবস্থান করছিলেন। গত ১৪ অক্টোবর সেখানে সড়ক দুর্ঘটনায় সাঈদসহ বাকৃবির আরো দুই শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন। পরে তাদের স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কয়েকদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর অবস্থার অবনতি হলে সাঈদকে দেশে নিয়ে আসা হয়।

দেশে ফেরার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার গভীর রাতে (প্রায় রাত ৩টা ৩০ মিনিটে) নিজ বাড়িতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

আজ আসরের নামাজের পর তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

বাকৃবির পশুপালন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমীন বলেন, আমাদের সন্তানতুল্য এক ছেলে কে হারালাম। এই শোকের মুহূর্তে শান্তনা দিয়েও সহ্য করা যাচ্ছে না কারণ যে ক্ষতি হয়েছে টা অপূরণীয়। সাঈদের জানাজার নামাজ আজকে বাদ আসর দিগারকান্দা ফিশারিজ মোড়ে ঈদগায় অনুষ্ঠিত হবে। আমরা আজকের সকল ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রেখেছি যেন সবাই জানাজার নামাজে অংশগ্রহণ করতে পারে।

জাকারিয়া হোসাইন সাঈদের মৃত্যুতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারে গভীর শোক নেমে এসেছে। সহপাঠী, শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়েছে এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়েছে।


ঘরে পড়েছিল গৃহবধূর মরদেহ, স্বামীকে আটকে পুলিশে সোপর্দ করল প্রতিবেশীরা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
খুলনা প্রতিনিধি

খুলনায় ছুরিকাঘাতে ডলি বেগমকে (৪৫) হত্যার দায়ে তার স্বামী মো. নাজমুল হাসান মোল্লাকে আটক করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে মহানগরীর লবণচরার ৪নং কাশেম সড়ক সবুজপল্লী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নাজমুল হাসান মোল্লা স্থানীয় রাজ্জাক মোল্লার ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, দাম্পত্য কলহের জেরে বৃহস্পতিবার সকালে স্বামী নাজমুল হাসান মোল্লা তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে ডলি বেগমকে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। ডলি বেগমের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে দেখেন তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের মেঝেতে পড়ে আছেন। তাকে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ডলি বেগমের স্বামীকে প্রতিবেশীরা আটকে রেখে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।

লবনচরা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাওলাদার সানোয়ার হুসাইন মাসুম ঢাকা পোস্টকে বলেন, নাজমুল হাসান ছুরি দিয়ে তার স্ত্রী ডলি বেগমকে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় নাজমুলকে এলাকাবাসী আটকে রেখে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। তাকে থানায় নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নিহতের মরদেহ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।


সিরাজগঞ্জে বাড়ছে এইডস রোগী, ২৬ জনের মৃত্যু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গোলাম মোস্তফা রুবেল, সিরাজগঞ্জ 


উদ্বেগজনক হারে সিরাজগঞ্জে বাড়ছে এইচআইভি পজিটিভ রোগীর সংখ্যা। জেলায় ২৫৫ জন পজিটিভ রোগী পাওয়া গেছে। পরীক্ষার পর থেকে এ রোগে এপর্যন্ত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে শঙ্কিত জেলার চিকিৎসকসহ সুশীল সমাজ।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের এইচআইভি সেন্টার সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, ২০২০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে সিরাজগঞ্জে এইচআইভি পরীক্ষা শুরু হয়। তবে এবার স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ২৫৫ জনের শরীরে এইচআইভি ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যার ৭৩ শতাংশই মাদকসেবী। ২০২০ সালে চারজন, ২০২১ সালে আটজন ২০২২ সালে এই রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ৮১। পরবর্তী সময়ে ২০২৩ ও ২০২৪ সালে তুলনামূলক স্বাভাবিক পর্যায়ে থাকলেও এবার তা বেড়েছে কয়েকগুণ।

হাসপাতালের এইচআইভি টেস্টিং অ্যান্ড কাউন্সেলিং সেন্টারের কাউন্সেলর মাসুদ রানা জানান, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে অবৈধভাবে আসা নিষিদ্ধ নেশা জাতীয় ইনজেকশনের মাধ্যমে এই রোগ বেশি ছাড়াচ্ছে। আক্রন্তদের বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধের পাশাপাশি কাউন্সিলিং করা হচ্ছে। জেলায় ২৫৫ জনের শরীরে এইচআইভি ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যার মধ্যে ১৮৭ জন মাদকসেবী, সাধারণ ৩৫ জন, স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ২৯ জন এবং চারজন যৌনকর্মী। একবার টেস্টের পর যদি ফলাফল পজিটিভ হয়, তখন আমরা তাদেরকে এখানে আসতে বলি, কাউন্সেলিং করা হয়। এখানে মূলত আমরা আগের রিপোর্ট ভেরিফিকেশনের জন্য রি-টেস্ট করে থাকি। সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এ পর্যন্ত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকিরা নিয়মিত বিনামূল্যে ওষুধ ও চিকিৎসা সেবা পেয়ে অনেকটাই ভালো রয়েছেন।

সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আকিকুন নাহার বলেন, সমাজের নিম্নআয়ের মানুষরাই বেশি ইনজেকটিভ ড্রাগ শেয়ারিং করে ব্যবহার করছেন। একই সিরিঞ্জের মাধ্যমে মাদকসেবন করায় রক্তের মাধ্যমে এটা ব্যাপকভাবে শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে শনাক্তের সিংহভাগই মাদকসেবী। আমরা আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি মনোবল বাড়াতে কাউন্সেলিং করছি। তবে ইনজেকশনে ড্রাগ ব্যবহার কমাতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও কঠোর হতে হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

সিরাজগঞ্জ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অবৈধ নেশা জাতীয় ইনজেকশন বেচাকেনায় জড়িতদের আটকে নিয়মিত অভিযানের পাশাপাশি বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ২ বছরে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১৯০০ অ্যাম্পুল ইনজেকশন ড্রাগ জব্দ করা হয়েছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


banner close