বঙ্গোপোসাগরে জেলে সাদ্দাম হোসেনের জালে আড়াই কেজি ওজনের একটি বড় ইলিশ ধরা হড়েছে। ইলিশটি লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের মতিরহাট মাছঘাটে ডাকে ৯ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করা হয়।
রোববার (২৬ অক্টোবর) সকালে ইলিশটি সর্বোচ্চ দামে কিনে নেন স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী আমির হোসেন।
জানা গেছে, ভোলার জেলে সাদ্দাম ১৫ জন সঙ্গী নিয়ে সাগরে মাছ শিকারে যান। শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাতে জাল ফেললে অন্যান্য ইলিশের সঙ্গে ওই বড় ইলিশটিও ধরা পড়ে। পরে মাছটি আড়তে আনা হলে ডাকে (নিলামে) ৯ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হয়। তবে মেঘনা নদীতে মাছ কম পাওয়াতে তিনি এমন চড়া দাম পেয়েছেন বলে জানান আড়ৎদার।
আড়ৎদার মো. বাবুল বলেন, জেলে সাদ্দাম অনেকগুলো মাছসহ বড় ইলিশটি আড়তে নিয়ে আসেন। ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে প্রথমদিনেই একটি বড় ইলিশ আড়তে এসেছে। বেশি দামেই বিক্রি হয়েছে। সচরাচর এতো বড় ইলিশ ধরা পড়ে না।
ব্যবসায়ী আমির হোসেন বলেন, আড়াই কেজি ওজনের ইলিশটি ৯ হাজার ২০০ টাকায় কিনেছি। ঢাকার মোকামে বড় ইলিশের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। সেখানে পাঠানো হবে। আশা করছি অন্তত ১১ থেকে ১২ হাজার টাকায় বিক্রি করতে পারব।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা অঞ্চলে করলা চাষে বাম্পার ফলন হওয়ায় সত্যিই কৃষকদের জন্য আনন্দের বিষয়। বিগত বছরগুলোর চেয়ে করলা (বিটার গার্ড) ও মাচা পদ্ধতিতে এ বছর করলা চাষ করে কৃষকরা ভালো ফলন পেয়েছে। ফলে অন্যান্য বছরের চেয়ে এবারে লাভ পাচ্ছেন বেশি।
বুড়িচং উপজেলার কৃষি অফিসার মিসেস আফরিন আক্তার বলেন, ‘বিশেষ করে আধুনিক কৃষিপ্রযুক্তি, মানসম্মত বীজ ও সঠিক পরিচর্যার কারণে উৎপাদন বেড়েছে।’
কৃষিবিদ আফরিন আক্তার ও সহকারী কৃষিবিদ নাছরিন সুলতানা বলেন, ‘করলা চাষে মাচা পদ্ধতি ও বিটার গার্ড পদ্ধতি অনুসরণ করলেই করলা চাষে বাম্পার ফলন সম্ভব।’
জানা যায়, কুমিল্লার উর্বর দোআঁশ মাটি ও অনুকূল জলবায়ু করলা চাষের জন্য উপযুক্ত। নিয়মিত সেচ, আগাছা দমন ও রোগ-বালাই নিয়ন্ত্রণ করায় ফলন বেড়েছে। মৌসুমের শুরুতে করলার দাম ভালো থাকায় কৃষকরা ভালো লাভ পাচ্ছেন বলে অনেকে জানিয়েছেন।
বুড়িচং উপজেলার বাকশিমুল ইউনিয়নে হরিপুর, কালিকাপুর এলাকায় সরেজমিন ঘুরে কৃষক কবির হোসেন, মিজানুর রহমান, ফারুক জানান, অন্যান্য সবজির তুলনায় করলা চাষে কম খরচে বেশি লাভ করা যায়। তারা বলেন, প্রতি একর জমিতে উৎপাদনে খরচ হয় ৬০-৭০ হাজার টাকা। আর ফসল বাজারে বিক্রি প্রায় দু থেকে তিন গুণ লাভ হচ্ছে।
কৃষক কবির বলেন, ‘আমি সামন্য কিছু জমিতে করলা বীজ রোপণ করে সময় মতো পরিচর্যা করে অল্প খরচে দ্বিগুণ লাভ করেছি। এ মৌসুমেই মাচা পদ্ধতিতে করলা চাষ করে ভালো ফলন হওয়ায় মোটামুটি লাভবান হয়েছি। তবে, সরকারি সহযোগিতা কিংবা প্রণোদনা হিসেবে সার বীজ, কিটনাশক পেলে ফসল উৎপাদনে কৃষকের আগ্রহ আরও বাড়বে।’
কৃষক কবির আরও বলেন, ‘মৌসুমি সবজি করলা, বেগুন, লাউ, পেঁপে, চিচিঙ্গা, টমেটো, সিম, ফুলকফি, বাধাকপি, লালশাক, আলু, চাষে উৎসাহ জোগাতে কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ দিয়ে পাশে থাকার আহ্বান জানান।’
নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে ঢাকাগামী সকল আন্তঃনগর ট্রেনের স্টপেজ পুনরায় চালু ও স্টেশনটির সংস্কারের দাবিতে রোববার সকাল ৯টায় আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আত্রাই উপজেলাবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত এ মানববন্ধনে অংশ নেন আত্রাইয়ের বিভিন্ন ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী রাণীনগর, বাগমারা ও সিংড়া উপজেলার হাজারও সাধারণ মানুষ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আহসানগঞ্জ স্টেশন এ অঞ্চলের মানুষের যাতায়াত, ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রাণকেন্দ্র। সকল আন্তঃনগর ট্রেনের স্টপেজ না থাকায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত এমপি প্রার্থী ও আত্রাই উপজেলার ৪নং পাঁচুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খবিরুল ইসলাম এবং আত্রাই নতুন বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু শাহীন।
তারা বলেন, ‘আহসানগঞ্জ স্টেশন শুধু আত্রাই নয়, আশপাশের কয়েকটি উপজেলার মানুষের জীবন ও জীবিকার সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই ঢাকাগামী সকল আন্তঃনগর ট্রেনের এখানে স্টপেজ দেওয়া ও স্টেশনটির সংস্কার এখন সময়ের দাবি।’
এ সময় মানববন্ধনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা অবিলম্বে আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে সকল আন্তঃনগর ট্রেনের নিয়মিত স্টপেজ চালু ও স্টেশনটির অবকাঠামোগত সংস্কার দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য রেল মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানান।
শরৎ বিদায় নিচ্ছে, হেমন্তের পরশে প্রকৃতি যখন শীতের আগমনের প্রস্তুতি নিচ্ছে- ঠিক তখনই টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরে ধলাপাড়া ইউনিয়নের শহরগোপিনপুর এলাকার খালপাড়ে দেখা মিলছে অতিথি পরিযায়ী পাখির ঝাঁক।
প্রতি বছরের মতো এবারও তারা এসেছে হাজার মাইল দূরের শীতপ্রধান সাইবেরিয়া ও উত্তরাঞ্চলীয় দেশগুলো থেকে। এখানে তারা ডিম ফোটানো, বাচ্চা বড় করা ও কিছু সময় কাটানোর জন্য অবস্থান নেয়।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার পূর্বাঞ্চলীয় পাহাড়ি জনপদ শহরগোপিনপুরে ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত খাল ও বিলজুড়ে নানা রঙের অতিথি পাখির আনাগোনা চোখে পড়ে। সকালবেলায় ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি খাবারের সন্ধানে বিলে নেমে আসে, আবার বিকেলে দলবেঁধে ফিরে যায়। পাখিদের এমন অবাধ বিচরণ ও কলকাকলি দেখে বিমোহিত হচ্ছেন এলাকাবাসী ও পথচারীরা।
তবে আনন্দের এই দৃশ্যের মাঝেও রয়েছে দুঃসংবাদ- শিকারিদের সক্রিয়তা। স্থানীয়দের অভিযোগ, কিছু শিকারি ছদ্মবেশে খাল-বিলে ঘোরাফেরা করে বিষটোপ ও জাল পেতে পাখি ধরে নিয়ে যাচ্ছে। এতে ধীরে ধীরে এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য হুমকির মুখে পড়ছে।
ইতোমধ্যে নেদার বিল ও চাপড়া বিলে এসেছে নানা প্রজাতির অতিথি পাখি। স্থানীয়দের মতে, এখানে বেশি দেখা যাচ্ছে বড় পানকৌড়ি, পাতি-কুট, গিরিয়া হাঁস ও তিলা হাঁস। পাশাপাশি বছরজুড়ে কিছু দেশীয় বিরল প্রজাতির পাখিও এখানে আশ্রয় নেয়। ফলে এসব বিল এখন পাখিদের জন্য নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে।
গোপিনপুর গ্রামের শাহাদত হোসেন জানান, সাধারণত নভেম্বর মাসের শেষ দিকে পাখি আসা শুরু হয়। কিন্তু এবার অক্টোবরের শেষ দিক থেকেই ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি আসতে শুরু করেছে। প্রতিদিন ভোরে বিলে নেমে তাদের কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে ওঠে চারপাশ।
ধলাপাড়ার আষাঢ়িয়াচালা এলাকার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘বালি হাঁস, পাতি সরালি, বেগুনি কালিমসহ নানা প্রজাতির হাঁস আসছে। তারা খাল ও বিলের চারপাশে কচুরিপানার ভেতর অবস্থান করছে। এখন পুরো এলাকা যেন পাখির রাজ্য।
অন্যদিকে স্থানীয় রফিকুল ইসলাম জানান, ‘দিনে গরু-মহিষ চড়ানোর অজুহাতে কিছু লোক হাওরে ঘোরাফেরা করে। সুযোগ বুঝে তারা বিষটোপ বা জাল ফেলে পাখি ধরে। রাতেরবেলাতেই তাদের আসল শিকার শুরু হয়।’
পাখি গবেষক ও আলোকচিত্রী মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, ‘ঘাটাইলের বিস্তীর্ণ বনভূমি, খাল-বিল ও নদী এলাকায় পানকৌড়ি, ডাহুক, জলপিপি, সরালি, বালি হাঁসসহ অসংখ্য প্রজাতির পাখির সমাগম ঘটে। এসব দৃশ্য ধারণ করতে অনেক ফটোগ্রাফার ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেন। তবে এসব পাখির টিকে থাকার জন্য নিরাপদ আবাস গড়া ও শিকার বন্ধে প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।’
ঘাটাইল ব্রাহ্মণশাসন সরকারি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সাবেক শিক্ষক জুলফিকার-ই-হায়দার বলেন, ‘উত্তরের সাইবেরিয়া অঞ্চলে তীব্র তুষারপাতের কারণে এই পাখিরা উষ্ণতার খোঁজে আমাদের দেশে আসে। তারা প্রতি বছর একই পথে উড়ে আসে এবং এই অভ্যাস থেকে সরে আসে না। এ কারণে তাদের ‘পরিযায়ী পাখ’ বলা হয়।’
শীতের আগমনে ঘাটাইলের খাল-বিল এখন পরিণত হয়েছে অতিথি পাখির অভয়ারণ্যে। প্রকৃতিপ্রেমীরা যেমন উপভোগ করছেন তাদের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য, তেমনি স্থানীয়রা চান- এই অতিথিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন ও সচেতন মহল একসঙ্গে এগিয়ে আসুক।
কাগজপত্র বিহীন ও চোরাই পণ্য অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কোনো পূর্ব ঘোষণা বা প্রস্ততি ছাড়াই বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে সন্ধ্যা ৬টার পর সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ করেছে বেনাপোল কাস্টমস।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, এক সপ্তাহ ধরে চলছে এই নিয়ম।
তাদের এমন সিদ্ধান্তে দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দরে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। দুদেশের সীমান্ত জুড়ে পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ জটের সৃষ্টি হয়েছে। বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ী, আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকরা।
তবে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বলছেন, সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অপরদিকে সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা বলছেন, এ ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে তবে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
আগে প্রতিদিন গড়ে ৪০০ থেকে ৪৫০ ট্রাক পণ্য বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করলেও এ সিদ্ধান্তের পর তা কমে ১৮০-২০০টিতে নেমে এসেছে। বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হতো প্রতিদিন ১৩০ থেকে ১৫০ ট্রাক পণ্য।
জানা যায়, ২০১৭ সালের ১ আগাস্ট দুদেশের সিদ্ধান্তে বেনাপোল-পেট্রাপোল ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট (আইসিপি) ২৪ ঘণ্টা চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়। ২০২৪ সালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) দেশের সব কাস্টমস হাউসকে ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার নির্দেশ দেয়। কিন্তু বেনাপোলে তা আজও বাস্তবায়ন হয়নি।
বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলছেন, বন্দর ও কাস্টমস কার্যক্রমে সমন্বয়ের অভাবে প্রায়ই প্রশাসনিক জটিলতা তৈরি হয়। প্রতিদিন গড়ে ২০০-২৫০ কোটি টাকার আমদানি-রপ্তানি হয় এ বন্দর দিয়ে। সময়সীমা কমে যাওয়ায় বাণিজ্যে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী আনারুল ইসলাম বলেন, পূর্ব ঘোষণা ছাড়া সন্ধ্যার পর বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ করায় ব্যবসায়ীরা হতবাক। দুপাশে শত শত ট্রাক আটকে আছে। কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে। এভাবে সিদ্ধান্ত চলতে থাকলে ব্যবসায়ীরা বিকল্প হিসেবে ভোমরা, হিলি বা সোনামসজিদমুখী হতে বাধ্য হবে, এতে সরকারের রাজস্বও কমে যাবে।
ভারতের পেট্রোপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, বাংলাদেশের এই একতরফা সিদ্ধান্তে ভারতীয় ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। দুদেশের বাণিজ্যে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। পেট্রাপোল বন্দরে প্রতিদিন ট্রাক জটের মধ্যে পড়ছি। প্রতিদিন হাজারেরও বেশি ট্রাক পণ্য নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকছে পেট্রাপোল বন্দরে। বিগত সময়ে রাত ১২টা পর্যন্ত আমদানি-রপ্তানি চালু ছিল।
বেনাপোলে বন্দর ইমপোর্ট-এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মতিউর রহমান বলেন, সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট পক্ষদের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল। তা না করে একতরফাভাবে সময়সীমা কমানো হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী, কর্মচারী এবং সরকারও। আমরা কাস্টমস কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রতিদিন অন্তত ৪০০-৫০০ আমদানিমুখী ট্রাক প্রবেশ নিশ্চিত করা জরুরি।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতা বলেন, কয়েকদিন আগে আমাদের সাথে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের একটি বৈঠক হয়েছিল। তারা প্রস্তাব করেছিল সন্ধ্যা ৬টার পর আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকার। আমরা বলেছি বন্দর ব্যবহারকারী সবার সাথে কথা বলে বিষয়টি জানানো হবে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক শামীম হোসেন বলেন, আমরা বন্দর পরিচালনা করি। তবে কাস্টমস অনুমোদন ছাড়া কোনো পণ্য ক্লিয়ার করা সম্ভব নয়। আকস্মিক এই সিদ্ধান্ত রাজস্ব এবং বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
বেনাপোল কাস্টমসের কোনো কর্মকর্তা সংবাদকর্মীদের সাথে কথা বলছেন না। কাস্টমসের কোনো তথ্য ও সংবাদকর্মীদের জানানো হয় না। বর্তমান বেনাপোল কাস্টম হাউসে কর্মরত কাস্টমস কমিশনার হাউসের কোনো কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়নি সংবাদকর্মীদের সাথে কথা বলার। এর আগে একজন সহকারী কমিশনার পর্যায়ের কর্মকর্তা সংবাদকর্মীদের সাথে কথা বলতেন।
তবে কাস্টমসের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, অভ্যন্তরীণ প্রশাসনিক সমন্বয়ের কারণে সাময়িকভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দ্রুত সমাধান হতে পারে।
ছন্দময় ভঙ্গিতে ধীর লয়ে দল বেধে সাফারী পার্কের ভেতর ঘুরে বেড়াতো জিরাফগুলো। কখনো কখনো দৌঁড়াতো গাছ পালায় আচ্ছাদিত প্রশস্ত প্রান্তরে। সামনের দুই পা এক সঙ্গে ও পেছনের দুই পা একসঙ্গে চলা জিরাফের দৌড়াদৌড়ি দৃশ্যও ছিল উপভোগ্য। গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ইন্দ্রবপুর এলাকায় গড়ে ওঠা সাফারী পার্কে এক সময় ১৬ সদস্যের জিরাফ পরিবারের চঞ্চলতা বাড়তি আনন্দ দিত দর্শনার্থীকে। কিন্তু অল্প সময়ের ব্যবধানে গাজীপুর সাফারী পার্ক থেকে একেবারেই বিলিন হলো জিরাফের অস্তিত্ব। ধুকে ধুকে বেঁচে থাকা সর্বশেষ জিরাফটিও মারা গেছে।
জানা গেছে, টিবি রোগে আক্রান্ত হয়ে স্ত্রী জিরাফটি বৃহস্পতিবার মারা যায়। তবে কর্তৃপক্ষ সর্বশেষ জিরাফের মৃত্যুর খবরটি গোপন রাখে। সাফারী পার্ক থেকে জিরাফের অস্তিত্ব বিলিন হওয়ার বিষয়টি জানাজানি হয় গতকাল শনিবার সকালে।
গাজীপুর সাফারী পার্কের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহকারী বনসংরক্ষক তারেক রহমান গণমাধ্যমকে জানান, দীর্ঘদিন ধরেই বেঁচে থাকা একমাত্র জিরাফটি টিবি আক্রান্ত ছিল। জিরাফটিকে সুস্থ করতে ছয় সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। কিন্ত শেষ পর্যন্ত সেটাকে বাঁচানো গেল না। বৃহস্পতিবার রাতে শেষ জিরাফের মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর ময়নাাতদন্ত শেষ করে পার্কের ভেতরেই জিরাফটিকে মাটি চাপা দেওয়া হয়। এ মৃত্যুর মধ্য দিয়ে একেবাইরেই জিরাফের অস্তিত্ব বিলিন হলো সাফারী পার্কে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক জানান, জিরাফ মারা যাওয়ার পরপরই পার্ক কর্তৃপক্ষ একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে।
পার্ক কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০১৩ সালে সাফারী পার্ক প্রতিষ্ঠার পর আন্তর্জাতিক প্রাণী বিপণন প্রতিষ্ঠান ফ্যালকন ট্রেডার্সের মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ১২টি জিরাফ আনা হয়। পরে উপযুক্ত পরিবেশ পাওয়ায় এসব জিরাফ থেকে জন্ম হয় আরও ৪টি জিরাফের। এর মধ্যে যদিও ২০১৮ সালের জুলাই মাসে কমন ইল্যান্ডের গুতোয় আহত হয়ে একটি ও পরে ২০১৯ সালে জুলাই মাসে অসুস্থ হয়ে বেশ কয়েকটি জিরাফসহ মোট ১৩টি জিরাফের মৃত্যু হয়। এরপর বেঁচে থাকা আরও দুটি জিরাফ মারা যায়। সর্বশেষ টিকে থাকা স্ত্রী জিরাফটিও মারা যায় বৃহস্পতিবার।
জামালপুরে গন অধিকার পরিষদের চতুর্থ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে নির্বাচনী গণসংযোগ ও আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার ২৬ অক্টোবর দুপুরে সদর উপজেলার গোপালপুর বাজার থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে উপজেলার ভারুয়াখালি, নান্দিনা, শরীফপুর বাজার হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় জেলা গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো: জাকির হোসেন নেতা কর্মীদের নিয়ে জামালপুর সদর-৫ আসনের এমপি প্রার্থী হিসেবে গণঅধিকার পরিষদের ট্রাক প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন। পরে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজেকে সদর আসনের প্রার্থী হিসেবে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতের দাবি জানান এবং এমপি মনোনীত হলে অবহেলিত জামালপুর সদরের কৃষক শ্রমিক জনতার পাশে থাকার কথা জানান। এ সময় কয়েকশ নেতা কর্মীসহ সাধারণ মানুষ শোভাযাত্রায় অংশ নেয়।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে তিন হাজার টাকার বিনিময়ে নিজের স্ত্রীকে বন্ধুদের কাছে দিয়ে দেয় এক ইটভাটা শ্রমিক। এরপর তিন দিন ধরে পালাক্রমে ধর্ষণের শিকার ওই নারী থানায় অভিযোগ দেয়। এতে পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে স্বামীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের মিরশ্বানী এলাকার ইসলামিয়া ব্রিকস ফিল্ডের শ্রমিকদের থাকার ঘরে।
আটক ব্যক্তিরা হলো ভুক্তভোগীর স্বামী নোয়াখালী জেলার সুধারাম (সদর) থানার রামহরিতালুক গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে রাজু আহমেদ (২৬), একই এলাকার মৃত সিরাজ মাঝির ছেলে বেলাল হোসেন (৩৫), আবুল কাশেমের ছেলে মো. হৃদয় (২৫), চাঁন মিয়া মাঝির ছেলে মহিন উদ্দিন (২৬) ও মুন্সীতালুক গ্রামের শাহ আলমের ছেলে আবুল কালাম (৪৫)।
থানায় দায়ের করা মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, রাজুর সঙ্গে তার স্ত্রীর বিয়ে হয় ২০২৩ সালে। রাজু মাদকাসক্ত হওয়ায় বিয়ের পর থেকেই দাম্পত্য জীবনে অশান্তি বিরাজ করছিল। একপর্যায়ে স্ত্রী বাবার বাড়ি নোয়াখালীর মান্দারতলী গ্রামে ফিরে যান। চলতি মাসের শুরুতে সালিশ বৈঠকের পর রাজু আবারও স্ত্রীকে বাড়ি নিয়ে আসে।
গত ১৫ অক্টোবর রাজু কুমিল্লা শহরে থাকার কথা বলে স্ত্রীকে নিয়ে আসে চৌদ্দগ্রামের কালিকাপুর ইউনিয়নের মিরশ্বানীর ইসলামিয়া ব্রিকস ফিল্ডে। সেখানে গিয়ে সে স্ত্রীকে শ্রমিক বেলাল হোসেনের একটি ঘরে থাকার ব্যবস্থা করে দেয়।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, ১৬ অক্টোবর রাতে বেলাল হোসেন রাজুর উপস্থিতিতে তাকে প্রথমবার জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর ১৮ অক্টোবর রাতে রাজুর দুই বন্ধু হৃদয় ও মহিন উদ্দিন একইভাবে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ২০ অক্টোবর রাতে হৃদয় আবার ধর্ষণের চেষ্টা করলে ভুক্তভোগী চিৎকার দিলে সে পালিয়ে যায়।
ঘটনার পর রাজু স্ত্রীকে হুমকি দেয়, বিষয়টি কাউকে জানালে তাকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলবে। ভয়ে ভুক্তভোগী মুখ না খুললেও একই ইটভাটায় কাজ করা এক সহকর্মী বিষয়টি তার পিতাকে জানায়। খবর পেয়ে পিতা ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়েকে উদ্ধার করেন।
পরে শুক্রবার রাতে ভুক্তভোগী নারী চৌদ্দগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে রাজু ও তার চার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে।
চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করে। শনিবার বিকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।”
পাবনার সদরে মালবাহী ট্রাকের চাপায় বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী তিনজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরও দুইজন গুরুতর আহত হয়েছে।
রোববার (২৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সদরের গয়েশপুর ইউনিয়নের বাঙ্গাবাড়িয়া এলাকায় ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- পাবনা কলেজিয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী তাসমিয়া আক্তার, পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র আবু তোহা ও ভ্যানচালক আকরাম হোসেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্কুল শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি ভ্যান পুষ্পপাড়া নামক স্থান থেকে জালালপুরের দিকে আসছিল। এ সময় বিপরীত দিক থেকে বাঁশবোঝায় একটি ট্রাক আসছিল। ঘটনাস্থলে পৌঁছালে আরেকটি গাড়িকে বাঁচাতে ব্রেক করতেই ট্রাকটি ভ্যানের ওপরে উল্টে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই দুই শিক্ষার্থী ও ভ্যান চালক নিহত হোন। এঘটনায় আহত সদর উপজেলার মধুপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে সাদ হোসেনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মাধপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ভ্যানের ড্রাইভারসহ তিনজন নিহত ও দুজন চায়ের দোকানে থাকা ব্যক্তি আহত হয়েছে। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা পক্রিয়াধীন।
ইসকনকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ এবং দেশের বিভিন্ন জায়গায় মুসলিম তরুণীদের টার্গেট করে করে হিন্দু সঙ্ঘবদ্ধচক্র কর্তৃক পালাক্রমে ধর্ষণ ও গাজীপুরে মসজিদের ইমামকে গুম করার ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার নেত্রকোনা বড়বাজার শাহী মসজিদের সামনে খেলাফত আন্দোলনের ঘণ্টাব্যাপী প্রতিবাদী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বড়বাজার শাহী মসজিদের সামনে শুরুতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয় এরপর একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলো প্রদক্ষিণ করে বারহাট্টা রোডের জামিয়া ইসলাম উলুম মাদ্রাসার সামনে গিয়ে শেষ হয়।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব মাওলানা গাজী মুহাম্মাদ আব্দুর রহীম রুহী, ইসলাম ঐক্যজোটের জেলা সভাপতি মাওলানা শরিফ উদ্দিন ও সেক্রেটারি মাওলানা আবু সায়েম খান, জেলা হেফাজতে ইসলামের সদস্য সচিব মাওলানা মাজহারুল ইসলাম, খেলাফত আন্দোলন নেতা মাওলানা মুস্তাফা জেহাদী, মুফতি আরিফুজ্জামান, হাফেজ জাকির হোসেন, মুফতি মুসা শেখ, মাওলানা আতাউর রহমান কমলপুরী, মাওলানা শরিফুল ইসলাম, মাওলানা ইজহারুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল মোতালিব, হাফেজ সাকিব আল হাসান প্রমুখ।
এ সময় খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব গাজী মোহাম্মদ আব্দুর রহিম রহিম বলেন, ইসকন ধর্ম প্রচারের নামে দীর্ঘদিন যাবত বাংলাদেশে একের পর এক উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে, দেশের বিভিন্ন জায়গায় সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়ে শান্ত এই ভূমিকে বিদেশি ইন্দনে অশান্ত করে তোলার ফন্দি এঁকেছে। চট্টগ্রামে আদালত প্রাঙ্গণে প্রকাশ্যে অ্যাডভোকেট আলিফ হত্যাকাণ্ড তার জ্বলন্ত উদাহরণ। সাম্প্রতিক সময়ে গাজীপুরে মাদ্রাসার ১৩ বছরের এক ছাত্রীকে হিন্দু একটি চক্র পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে। টঙ্গীতে একজন মসজিদের ইমামকে হত্যার উদ্দেশে গুম করে নিয়ে পঞ্চগড়ে ফেলে রেখেছে।
নরসিংদীর মেঘনা নদীতে এক আকর্ষণীয় তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নরসিংদী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে নরসিংদী জেলা পরিষদ, নরসিংদী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, নরসিংদী পৌরসভা, উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এ নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতায় নরসিংদী-কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-নারায়ণগঞ্জ এবং হবিগঞ্জ জেলাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে মোট ১২টি নৌদল অংশগ্রহণ করে। শনিবার এ নৌকা প্রতিযোগিতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার মোহাম্মদ উসমান উল্লাহ নৌদল চ্যাম্পিয়নশীপ এবং হবিগঞ্জ জেলার টঙ্গীঘাট উপজেলার কালা মিয়ার নৌদল রানার্সআপের গৌরব অর্জন করে।
নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা উপভোগ করার জন্য হাজার হাজার নারী-পুরুষ-শিশু মেঘনা নদীর দুই তীরে ভীড় জমায়। ইঞ্জিনচালিত নৌকা, স্পিডবোড, লঞ্চ, ট্রলার, ছোট নৌকা অসংখ্য নৌকা দিয়ে মেঘনা নদীতে আকর্ষণীয় এই নৌকাবাইচ উপভোগ করে। নরসিংদী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোহাম্মদ তৌহিদ হোসেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) মোহাম্মদ ওয়াহিদ হোসেন, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ হুমায়ুন কবির, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও নরসিংদী জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির খোকন, পুলিশ সুপার মেনহাজুল ইসলাম, বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসমা জাহান সরকার, পৌর প্রশাসক মনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (রাজস্ব) মাহমুদা বেগম, হারুন অর রশিদ হারুন প্রমুখ।
দিনাজপুরের পরিচিত মুখ, শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মো. আব্দুল মজিদ গুরুতর অসুস্থ হয়ে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি মেসার্স পৃথিবী বুক স্টলের স্বত্বাধিকারী, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন দিনাজপুর জেলা শাখার অর্থ সম্পাদক এবং সাপ্তাহিক আজকের দিনাজপুর পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক হিসেবে সুপরিচিত।
তার অসুস্থতার খবর পেয়ে তাকে হাসপাতালে দেখতে যান সাংবাদিক ইউনিয়ন দিনাজপুর ২৯৩৬-এর নেতারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি মো. ফারুক হোসেন, অর্থ সম্পাদক আব্দুস সালাম, দৈনিক বাংলার দিনাজপুর প্রতিনিধি মো. মিজানুর রহমান মিজান. মো. ওয়ামিকসহ সংগঠনের সদস্যরা। নেতারা তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন এবং দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ অক্টোবর ২০২৫, শনিবার ভোরে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের পঞ্চম তলায় ৫০৭ নিউরোলজি বিভাগে চিকিৎসাধীন আছেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে, তবে তার অবস্থা গুরুতর বলে পারিবারিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। তার সুস্থতার জন্য পরিবার ও সংগঠনের পক্ষ থেকে সকলের কাছে দোয়া কামনা করা হয়েছে।
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজিপুর ও কাথুলি সীমান্ত দিয়ে ৬০ জন নারী ও পুরুষকে পুশইন করেছে বিএসএফ।
শনিবার সকাল ১০টার সময় কাজিপুর সীমান্তের আন্তর্জাতিক পিলার ১৪৭ মেইন পিলারের নিকট শহীদ স্মরণী দিয়ে ৩০ ব্যক্তিকে ৪৭-বিজিবি কাছে হস্তান্তর করা হয়। এদের মধ্যে ৬ জন তৃতীয় লিঙ্গের সদস্য রয়েছে।
কাজিপুর কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার শাহাবুদ্দিন তাদের গ্রহণ করেন।
এসব বাংলাদেশিদের হস্তান্তর করেন ১১ গান্দিনা বিএসএফে কোম্পানি কমান্ডার এবিসন ফ্রান্কো।
এছাড়া দুপুর ১২টার সময় একই উপজেলার কাথুলি সীমান্তের আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ১৩৩/৩ এসের নিকট দিয়ে ৩০ জনকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।
কাথুলি কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মিজানুর তাদের গ্রহণ করেন।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, তাদের বাড়ি বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে।
তারা বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে দালালের মাধ্যমে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশ করেছিলেন। ভারতের মুম্বায়, দিল্লি, আসাম রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন তারা। পরে পুলিশ তাদের আটক করে বিএসএফের তেইমপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অনোজ কুমারের কাছে হস্তান্তর করে। অনোজ কুমার পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশের কাথুলীর বিজিবি কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মিজানুর রহমানের কাছে তাদের হস্তান্তর করেন। আটকদের গাংনী থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
গাংনী থানার ওসি বানী ইসরাইল জানান, বিএসএফ ১৪ বাংলাদেশিকে বুঝিয়ে দিয়েছে। তারা বিভিন্ন সময়ে সীমান্তের বিভিন্ন স্থান দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে ঢুকেছিল। পরিবারের লোকজনকে খবর দিয়ে তাদের বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।