ভৈরবকে জেলা করার দাবিতে এবার নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন ছাত্র জনতা। এসময় মেঘনা নদীর ঘাটে ১ ঘন্টা নৌ চলাচল বন্ধ থাকে। এরপর আগামী বৃহস্পতিবার সড়ক, রেল, নৌপথ অবরোধের ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টায় থেকে শুরু বেলা সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত ভৈরব বাজার লঞ্চঘাট ও কার্গোঘাটে এই কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
এসময় আন্দোলনকারীরা তাদের বক্তব্যের বলেন, গতকাল সোমবার শান্তিপূর্ণ রেল অবরোধের সময় কর্মসূচির শেষের দিকে হঠাৎ ট্রেন চালক জোরে ট্রেনের হুইশাল বাজানোর কারণে রেললাইনে অবস্থান থাকা ছাত্র জনতা এসময় নিজেদের সেভ করতে কয়েকটি পাথর নিক্ষেপ করে। তবে এই ঘটনার সম্পূর্ণ দায়ী স্টেশন মাস্টার ও রেলওয়ে থানার ওসি। আমরা ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে পূর্বেও ছিলাম ভবিষ্যতেও থাকবো। আমাদের মামলা হামলা দিয়ে দমিয়ে রাখা যাবে না।
এসময় বক্তব্য রাখেন, জেলা আন্দোলনের অন্যতম মাওলানা সাইফুল ইসলাম শাহারিয়া, গণঅধিকার পরিষদ নেতা ইমতিয়াজ আহমেদ কাজল, ছাত্র নেতা জুনাইদ প্রমুখ।
ভৈরব বাজার লঞ্চঘাটে নৌপথ অবরোধ চলাকালীন সময়ে যেন কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্যই ভৈরব উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এএইচএম মো.আজিমুল হক, ভৈরব নৌপুলিশ থানার অফিসার ইনচার্জ মো.রাশেদুজ্জামানসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এবিষয়ে ভৈরব নৌপুলিশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.রাশেদুজ্জামান জানান, আজকে সকালে ভৈরবকে জেলার দাবিতে নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে। তারা আগামী বৃহস্পতিবার সড়ক, রেল, নৌপথ এক যোগে অবরোধের ঘোষণা দিয়ে শেষ করেন আজকের কর্মসূচি।
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত মারা গেছেন তিনবারের বিশ্বজয়ী হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকী। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। হাফেজ ত্বকী জর্ডান, কুয়েত ও বাহরাইনে কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি এনটিভিতে প্রচারিত কুরআনের আলো অনুষ্ঠানসহ দেশের বিভিন্ন কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বিজয়ী হন।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর মুগদা হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাফেজ ত্বকীর শিক্ষক ও মারকাযুত তাহফিজের প্রতিষ্ঠাতা হাফেজ কারী শায়খ নেছার আহমদ আন-নাছিরী।
হাফেজ ত্বকী মারকাযুত তাহফিজ থেকে হিফজ সম্পন্ন করেছিলেন এবং এই প্রতিষ্ঠান থেকে একাধিকবার কোরআন প্রতিযোগীতায় বিজয়ী হয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি নারায়ণগঞ্জের একটি মাদরাসায় কিতাব বিভাগে পড়াশোনা করছিলেন।
বিশ্বজয়ী এই হাফেজ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং এক পর্যায়ে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সেখানেই মারা যান তিনি।
বিশ্বের একাধিক দেশে কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছিলেন হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকী। ২০১৭ সালে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম হন হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকী। পরবর্তী সময়ে কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেন।
কুমিল্লা মুরাদনগরের ডালপা গ্রামে ২০০০ সালে জন্মগ্রহণ করেন হাফেজ ত্বকী। বাবা মাওলানা বদিউল আলম পেশায় একজন মাদরাসা শিক্ষক। তার এই ইন্তেকালে শোকে ভাসছে পরিবারটি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনেকেই শোক প্রকাশ করছেন।
এক বছর চার মাস আগে ৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ সম্পন্ন হওয়া অত্যাধুনিক ১৫০ শয্যার নয়তলা হাসপাতাল ভবনটি অবশেষে সীমিত পরিসরে চালু হচ্ছে—তাও সরকারি বরাদ্দ ছাড়াই। প্রয়োজনীয় চিকিৎসক, আসবাবপত্র ও চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনার জন্য এখনো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে কোনো অর্থ বরাদ্দ না আসায় স্থানীয় প্রশাসন ও সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ মিলে নিজস্ব উদ্যোগে তহবিল গঠন করে এই সেবা চালুর প্রস্তুতি নিয়েছে।
জানা গেছে, আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন ভবনটি নির্মাণ শেষে এক বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয়নি। এতে পঞ্চগড় জেলার সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে এবং আর্থিক ক্ষতিও গুনতে হচ্ছে।
পাশেই অবস্থিত ১০০ শয্যার আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ২৫০ থেকে ৩০০ রোগী ভর্তি থাকেন। তীব্র চিকিৎসক সংকটে অনেক রোগীকে মেঝে ও বারান্দায় চিকিৎসা নিতে হয়। অনেকে বাধ্য হয়ে চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর, রংপুর বা ঢাকায় যাচ্ছেন—পথেই কেউ কেউ মৃত্যুবরণ করছেন। পরিচ্ছন্নতাকর্মীর ঘাটতির কারণে হাসপাতালের পরিবেশও নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর হয়ে পড়েছে।
এ অবস্থায়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নতুন ভবনে সীমিত পরিসরে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরুর নির্দেশনা দিয়েছে, তবে অর্থ বরাদ্দ দেয়নি। স্থানীয়ভাবে অর্থ সংগ্রহের নির্দেশনা পেয়ে জেলা প্রশাসক সাবেত আলী ও সিভিল সার্জন ডা. মিজানুর রহমান মাঠে নেমেছেন।
জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ী, ঠিকাদার, চেম্বার নেতা, এনজিও প্রতিনিধি ও বিভিন্ন পেশাজীবীর সঙ্গে মতবিনিময় করে ইতোমধ্যে ২১ লাখ ১৫ হাজার টাকার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। ‘স্বাস্থ্যসেবা সহায়তা তহবিল’ নামে গঠিত এ ফান্ড থেকে বেড ও চিকিৎসা সামগ্রী ক্রয় করা হবে। আপাতত ৫০ লাখ টাকা সংগ্রহের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন ডা. মিজানুর রহমান জানান, “স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী আপাতত সদর হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগ নতুন ভবনে স্থানান্তরের প্রস্তুতি চলছে। সেখানে ১০০ শয্যার মেডিসিন ইউনিট চালু করা হবে। ১৫ই নভেম্বর স্বাস্থ্য উপদেষ্টা এ হাসপাতালের উদ্বোধন করার কথা রয়েছে, এবং তিনি আরো জানান যেকোনো কারণে ডেট চেঞ্জ হতে পারে।
নতুন ভবনে পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম শুরু করতে ৩৮৮ জন জনবল, আসবাবপত্র ও যন্ত্রপাতি কেনার জন্য ৭ কোটি ২৫ লাখ টাকার বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।
জেলা প্রশাসক সাবেত আলী বলেন, “চিকিৎসক দেওয়ার আশ্বাস আমরা পেয়েছি, তবে অর্থ বরাদ্দে সময় লাগবে। তাই স্থানীয়ভাবে তহবিল গঠন করা হয়েছে। আপাতত সংগৃহীত টাকা দিয়ে চিকিৎসা সেবা চালু করা হবে এবং ভবিষ্যতে দরিদ্র রোগীদেরও সহায়তা করা হবে।”
এনসিপি নেতা সারজিস আলম বলেন, “আমি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পাঁচটি দপ্তরে গিয়ে পঞ্চগড়ের স্বাস্থ্য খাতের দুরবস্থা তুলে ধরেছি। নভেম্বরের ২০ তারিখের মধ্যে ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ চিকিৎসক পদ পূরণের আশ্বাস দিয়েছে তারা। সবাই মিলে সহযোগিতা করলে শিগগিরই এ জেলার স্বাস্থ্যসেবায় পরিবর্তন আসবে।”
এদিকে, পঞ্চগড় জেলার পাঁচটি হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরেই চিকিৎসক সংকট চলছে। বর্তমানে জেলায় মোট ১১৪টি চিকিৎসক পদ শূন্য—যার মধ্যে সদর হাসপাতালে ২১টি, তেঁতুলিয়ায় ২০টি, আটোয়ারীতে ২১টি, বোদায় ২০টি, দেবীগঞ্জে ২৪টি এবং সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ২টি পদ ফাঁকা রয়েছে।
যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোল সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে ধানরাখার গোলাঘর থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এসময় একজনকে আটক করেছে বিজিবি।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) ভোরে খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের দৌলতপুর বিওপির একটি বিশেষ টহলদল এ অভিযান পরিচালনা করে।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সুবেদার ফখরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টহলদল সীমান্ত মেইন পিলার ১৭/০৯ এস হতে ১০০০ গজ বাংলাদেশের মধ্যে বেনাপোল দৌলতপুর উত্তরপাড়া এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় স্থানীয় এক বাসিন্দার ধান রাখার গোলাঘর তল্লাশি করে একটি দেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়।
এ সময় বেনাপোল পোর্ট থানার দৌলতপুর উত্তরপাড়া গ্রামের সোলায়মান হোসেনের ছেলে আতাউর রহমান (৪০) কে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়।
২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল খুরশিদ আনোয়ার অস্ত্র আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান অস্ত্র আইনে মামলা দিয়ে আটক ব্যক্তিকে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
দারিদ্র্য বিমোচনে গত পাঁচ দশকে ব্যাপক সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ। যদিও সম্প্রতি বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, গত দু-তিন বছরে দারিদ্র্য বেড়েছে। দেশের উন্নয়নের সামগ্রিক চিত্র ইতিবাচক হলেও কিছু উপজেলা এখনো আর্থসামাজিক সংকটে আছে। কর্মসংস্থান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবায় বৈষম্য গভীর; নদীভাঙন; চরাঞ্চলের অনিশ্চয়তা; কৃষি নির্ভরতার সীমাবদ্ধতা ইত্যাদি এই অঞ্চলের মানুষকে অনিশ্চিত জীবনে ঠেলে দেয়।
সরকারের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি, এনজিওগুলোর উদ্যোগসহ নানা প্রচেষ্টা চলমান থাকলেও তা এখনো যথেষ্ট নয় বলে মনে করা হয়। দারিদ্র্যের হার বেশি থাকায় ওই সব উপজেলায় লক্ষ্যভিত্তিক কর্মসংস্থান, যোগাযোগে উন্নয়ন, নারী শ্রমশক্তির অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং শিক্ষা-স্বাস্থ্যব্যবস্থায় দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ জরুরি হয়ে পড়েছে।
এই প্রতিবেদনে দেখানো হলো দেশের সবচেয়ে দরিদ্র ১০টি উপজেলা কোনগুলো। শীর্ষ ১০টি উপজেলার ৫টিই মাদারীপুরের উপজেলা। অবশ্য জেলা পর্যায়ে মাদারীপুরের দারিদ্র্য হার সবচেয়ে বেশি।
গত জানুয়ারি মাসে প্রকাশিত সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ দারিদ্র্য মানচিত্র থেকে তথ্য-উপাত্ত নিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
১. ডাসার: এই উপজেলা মাদারীপুর জেলায় অবস্থিত। এই উপজেলায় দারিদ্র্যের হার ৬৩ দশমিক ২ শতাংশ। এই হার সারা দেশের উপজেলা পর্যায়ে সর্বোচ্চ। ডাসার উপজেলায় প্রতি তিনজনে দুজন গরিব। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন অনুসারে, বালিগ্রাম, কাজীবাকাই, গোপালপুর, ডাসার ও নবগ্রাম—এই পাঁচ ইউনিয়ন নিয়ে ডাসার উপজেলা গঠিত।
২: হালুয়াঘাট: ময়মনসিংহ জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা হালুয়াঘাট। এই উপজেলার দারিদ্র্য হার ৫৯ দশমিক ৬ শতাংশ। এটি দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দারিদ্র্য হারের উপজেলা। এখানে প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ দরিদ্র। সীমান্তবর্তী উপজেলা হওয়ায় আর্থসামাজিক পরিস্থিতি কিছুটা নাজুক। এই এলাকার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড অনেকটাই গোবরাকূড়া-কড়ইতলি স্থলবন্দরের ওপর নির্ভরশীল।
৩. কালকিনি: এই উপজেলা মাদারীপুর জেলায় অবস্থিত। এই উপজেলায় দারিদ্র্য হার ৫৬ দশমিক ৩ শতাংশ। এই হার সারা দেশের উপজেলা পর্যায়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ। এই উপজেলার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড মূলত কৃষিনির্ভর। শিল্পকারখানা নেই বললেই চলে।
৪. রাজৈর: এই উপজেলাও মাদারীপুর জেলায় অবস্থিত। এই উপজেলায় দারিদ্র্য হার ৫৫৬ শতাংশ। টেকেরহাট এই উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ হাটবাজার। পদ্মা সেতু হয়ে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের যোগাযোগের ক্ষেত্রে এ উপজেলার গুরুত্ব অপরিসীম। এ উপজেলায় অনেক খাল, বিল, পুকুর ছাড়াও ছোট ছোট নদী-নালা রয়েছে। এই উপজেলাও কৃষিপ্রধান।
৫. শিবচর: সবচেয়ে দরিদ্র শীর্ষ ১০টি উপজেলায় মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা আছে। এই উপজেলার দারিদ্র্য হার ৫৫ দশমিক ১ শতাংশ। পদ্মা নদীর তীরবর্তী এই উপজেলা অবস্থিত। চরাঞ্চলও আছে। পদ্মা সেতুর চালু আগে পর্যন্ত যোগাযোগের দিক থেকে বেশ পিছিয়ে ছিল শিবচর উপজেলা। তবে পদ্মা সেতু চালুর পর যোগাযোগের দিক বেশ এগিয়ে গেছে, যা জীবনমানের উন্নতিতে ভূমিকা রাখছে।
৬. নলছিটি: ঝালকাঠি জেলার অবস্থিত এই নলছিটি উপজেলা। এই উপজেলার দারিদ্র্য হার ৫৩ দশমিক ৮ শতাংশ। বরিশাল বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ দারিদ্র্য হার এই উপজেলায়। নদীঘেরা এই উপজেলায় কৃষিনির্ভর অর্থনীতি বিরাজমান। শীতলপাটি, পান, মৃৎশিল্প এই উপজেলার অন্যতম অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড।
৭. গৌরীপুর: এই উপজেলা ময়মনসিংহ জেলায় অবস্থিত। এই উপজেলার দারিদ্র্যের হার ৫২ দশমিক ৯ শতাংশ। ময়মনসিংহ জেলা সদরের পূর্ব দিকে এই উপজেলা অবস্থিত। মইলাকান্দা, গৌরীপুর, অচিন্ত্যপুর, মাওহা, সহনাটি, বোকাইনগর, রামগোপালপুর, ডৌহাখলা, ভাংনামারী, সিধলা—এই ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত উপজেলাটি। কৃষি ও মৎস্য খাতই এই উপজেলার মানুষের প্রধান জীবিকা।
৮. মাদারীপুর সদর: মাদারীপুর জেলার সদর উপজেলায় অর্ধেক মানুষ দরিদ্র। এই উপজেলার দারিদ্র্য হার ৫০ শতাংশ। সর্বোচ্চ দারিদ্র্য এমন ১০টি উপজেলার মধ্যে মাদারীপুর সদর ছাড়া আর কোনো জেলার সদর উপজেলা নেই। মাদারীপুর সদর উপজেলায় উল্লেখযোগ্য শিল্পকারখানা নেই। এই উপজেলা মূলত কৃষিনির্ভর কর্মকাণ্ডের ওপর নির্ভরশীল। তবে পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে সেখানে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়ছে।
৯. বেলাব: এটি ঢাকার পাশে নরসিংদী জেলায় অবস্থিত। বেলাব উপজেলার দারিদ্র্য হার সাড়ে ৪৯ শতাংশ। এই উপজেলার অধিবাসীরা কৃষিকাজের ওপর জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। এখানকার সবজি, কাঁঠাল, কলা, লটকন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় নেওয়া হয়। এমনকি দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও রপ্তানি হয়।
১০. বোদা: একসময় দারিদ্র্য বলতেই উত্তরবঙ্গের জেলা-উপজেলাকে বোঝাতো। কিন্তু সময় পাল্টে গেছে। দেশের সবচেয়ে দরিদ্র উপজেলার মধ্যে মাত্র একটি উপজেলা রংপুর বিভাগের তথা উত্তরবঙ্গের। এটি হলো সবচেয়ে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলা। এই উপজেলার দারিদ্র্য হার ৪৮ দশমিক ২ শতাংশ। এই উপজেলা কৃষিপ্রধান। চাষ হয় ধান, পাট, গম, আলু, বাদাম, আখ, ভুট্টা ইত্যাদি।
কিশোরগঞ্জের ভৈরবকে জেলার দাবিতে রেলওয়ে জংশন স্টেশন অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে জনতা।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে অবরোধ থাকা উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি স্টেশন থেকে ছেড়ে যেতে চাইলে বিক্ষোভকারীরা ট্রেনে বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় কয়েকজন ট্রেনের যাত্রী আহত হয়েছে। পরে ১১টা ৪০ মিনিটে ভৈরব স্টেশন ছেড়ে যাই ট্রেন। এসময় রেলওয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখেন। বর্তমানে ঢাকা-চট্রগ্রাম, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
এর আগে ভৈরবকে জেলার দাবিতে বেশ কিছু দিন যাবত উত্তাল ভৈরব। এরই অংশ হিসাবে সোমবার সকাল ১০টায় শহরের ভৈরব রেলওয়ের স্টেশনে প্লাটফর্মে অবস্থান নিয়ে ঢাকা-চট্রগ্রাম, ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রোডের রেল যোগাযোগ বন্ধ করে বিক্ষোভ করে আন্দোলনকারীরা। এসময় নোয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনকে ভৈরব রেলওয়ের স্টেশনে আটকে দেয় আন্দোলনকারীরা। এতে রেলের যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়ে। প্রায় ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট যাবত ট্রেনটি আটকে থাকে।
স্থানীয় বাসিন্দা রহমত আলী বলেন, সকালে ট্রেন আটকিয়ে অবরোধ চলাকালীন সময়ে শেষ মুহূর্তের হঠাৎ কতিপয় কিশোর আটকিয়ে থাকা ট্রেনে ইটপাটকেল মারতে থাকেন। এসময় আমরা সবাই আতংকিত হয়ে উঠি।
স্টেশনে থাকা ট্রেন যাত্রী সোহান মিয়া বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে জনতা স্টেশনে জেলার দাবিদে আন্দোলন করছিল। কখন যে হুট করে ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ শুরু হয়ে গেলো কেউ টের পায়নি।
ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার ইউসুফ বলেন, স্টেশন থেকে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছেড়ে যাওয়ার মুহুর্তে হঠাৎ আন্দোলনকারীদের হামলার শিকার হন।
এ বিষয়ে ভৈরব রেলওয়ের থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) সাঈদ আহমেদ জানান, উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে হামলার ঘটনা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে তাদের নিদের্শনা পেলে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে তিনি জানান ।
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলাধীন মেঘনা নদীতে অবৈধ একটি বালুমহাল চালু হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানিয়েছেন অবৈধ বালুমহাল পরিচালনাকারীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থানে থাকবে প্রশাসন। প্রয়োজন পড়লে প্রতিদিন সেখানে অভিযান চালানো হবে বলে জানান তিনি।
খবর নিয়ে জানা যায়, গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের জামালপুর গ্রাম-সংলগ্ন নদীতে গত বছর একটি বালুমহাল পরিচালনা করত নয়ন-পিয়াস বাহিনীর লোকজন। তবে সম্প্রতি ইউনিয়নটির জামালপুর গ্রামে একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প চালু হওয়ার পর নদীর ওই অংশ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন আপাতত বন্ধ রয়েছে। এদিকে বিভিন্ন সূত্রের খবর গত রোববার রাত থেকে মেঘনা নদীর কালীপুরা- মল্লিকের চর গ্রামের মাঝামাঝি একটি জায়গায় রাতের আঁধারে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন শুরু করেছে একটি চক্র। নদীর এই অংশে বৈধ কোনো বালুমহাল নেই। তবে কারা এর সাথে জড়িত তা সঠিকভাবে জানা যায়নি।
সরেজমিনে সোমবার দুপুরে নদীর কালীপুরা এলাকায় গিয়ে দেখা যায় সেখানে কোনো বাল্কহেড বা ড্রেজার নেই। স্থানীয়দের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী অবৈধ বালু উত্তোলনকারীরা
সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত এই স্থানে ছিল। স্থানীয়রা জানায়, অবৈধ বালু উত্তোলনকারীরা মূলত রাতের বেলায় এই এলাকায় আসে। দিনের আলোতে ড্রেজার ও বাল্কহেডগুলো আশেপাশে কোথাও ভেড়ানো থাকে। রাত নামলে সেগুলো বালু উত্তোলনের নির্ধারিত জায়গায় নিয়ে আসা হয়। রাতভর বালু উত্তোলনের কাজ শেষে ভোরে সেগুলো পূর্বের জায়গায় চলে যায়। দিনের বেলায় বোঝার উপায় থাকে না এখানে কোনো বালুমহাল ছিল।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে মল্লিকের চর গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, ‘শুনেছি মল্লিকের চর গ্রামের জসিম মেম্বার গত কয়েকদিন ধরে একটি অবৈধ বালুমহাল চালু করার ব্যাপারে বিভিন্ন জায়গায় মিটিং করছিল। গত রোববার রাতে দেখলাম দেখলাম রাতের আঁধারের অবৈধ একটি মহালটি চালু হয়েছে। জসিম মেম্বারের সাথে আর কে কে আছে তা বলতে পারব না। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর মাত্র এ কদিন হয়েছে বালুমহালটি চালু হয়েছে। আরও কয়েকদিন গেলে বুঝতে পারব কারা এর সাথে জড়িত।’
ট্রলারচালক নজরুল বলেন, ‘সোমবার রাতে কয়েকটি ড্রেজার ও বাল্কহেড দেখলাম। কারা এখানে বালু কাটতেছে তা বলতে পারব না। যদি অবৈধভাবে বালু কাটা হয় তাহলে প্রশাসনের প্রতি আবেদন আপনারা ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।’
স্থানীয় বাসিন্দা সেলিম আহমেদ বলেন, ‘নদীর এই অংশে অবৈধ একটি বালুমহাল পরিচালনা করতো নৌ-ডাকাত সর্দার বাবলা। গত বছরের অক্টোবর মাসে প্রতিপক্ষের গুলিতে ডাকাত সর্দার বাবলা মারা যাওয়ার পর থেকে নদীর এই অংশে থেকে অবৈধভাবে কেউ বালু উত্তোলন করার সাহস পাইনি।’
বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ‘এ রকম কোনো খবর আমার কাছে নেই। তবে আপনারা যেহেতু বিষয়টি জানিয়েছেন আমি নৌপুলিশকে এ ব্যাপারে সতর্ক অবস্থানে থাকার পরামর্শ দেব।’
বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম বলেন, ‘স্থানীয়দের মাধ্যমে এ রকম একটি খবর আমিও পেয়েছি তবে কারা এর সাথে জড়িত তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সকালে আমরা নদীতে অভিযান পরিচালনা করে একটি বাল্কহেড ও একটি ড্রেজার আটক করেছি। যদি কেউ রাতের আঁধারে অবৈধভাবে মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন করার চিন্তা করে থাকে তাদের ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজন পড়লে প্রতি রাতে আমরা অভিযান পরিচালনা করব।’
প্রসঙ্গত অবৈধ বালুমহাল পরিচালনা ও নৌযানে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে একাধিক নৌ-ডাকাত গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় গত এক বছরে ডাকাত সর্দার বাবলা, শুটার মান্নান, হৃদয় বাঘসহ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। রাতের আঁধারে অবৈধ এসব অবৈধ বালুমহল থেকে কোটি কোটি ঘনফুট বালু উত্তোলন করা হলেও সেখান থেকে কোনো রাজস্ব পায় না সরকার।
ইটের খোয়া ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে চারদিকে। বিধ্বস্ত সড়কে পিচ ঢালাইয়ের কোনো চিহ্ন নেই। সড়কের বহু স্থান ভেঙে মিশে গেছে পাশের জমির সঙ্গে। পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে ৩০ ফুট দীর্ঘ একটি কালভার্ট। সেখানে বাঁশের সাঁকো বানিয়ে পারাপার করছেন মানুষজন। চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলা সদর থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে মদুনা জঙ্গল সড়কের এমন দশা। গত জুলাই মাসের শুরুর দিকে তীব্র বর্ষণে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢল ও হালদা নদীর স্রোতে সাড়ে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ এই পাকা সড়ক পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। ৩ মাস আগেও ওই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন অন্তত ১০ হাজার মানুষ যাতায়াত করতেন। চলাচল করত ট্রাক, ব্যক্তিগত গাড়ি, অটোরিকশা সবই। সড়কটি চট্টগ্রামের রাউজানের নোয়াপাড়া এবং উরকিরচর ইউনিয়নকে যুক্ত করেছে। নোয়াপাড়া, উরকিরচর ও হাটহাজারীর মদুনাঘাটের মানুষজন এই সড়ক ব্যবহার করতেন। সড়কটি বিধ্বস্ত হওয়ার তিন মাস পার হলেও সড়কটি সংস্কার হয়নি। কালভার্টটিও পুনর্নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
ওই এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ভাঙা সড়ক দিয়ে কোনো রকমে হেঁটে চলাচল করেন গ্রামের শিক্ষার্থী ও শ্রমজীবী মানুষজন। তবে কালভার্ট ভাঙা থাকায় ওই পথে গাছ ফেলে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হতো। গত সপ্তাহে টানা দুদিন স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করে ভাঙা কালভার্টে বাঁশের সাঁকো বানিয়ে পারাপারের উপযোগী করেছেন স্থানীয় গাউসিয়া কমিটির সদস্যরা। সরেজমিনে দেখা যায়, সড়ক দিয়ে শিক্ষার্থী, শ্রমজীবী মানুষসহ গ্রামবাসী যাতায়াত করছেন। অসমান খোয়া ছড়ানো সড়কে হেঁটে চলাচলও কষ্টকর। সড়কে কথা হয় মুহাম্মদ ইব্রাহিম নামের স্থানীয় একজনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমরা ভীষণ কষ্টে আছি। বাঁশের সাঁকো দিয়ে শিশু, নারী এবং বয়স্করা চলাচল করতে ভয় পান। রোগীদের হাসপাতালে নেওয়া যাচ্ছে না। একরকম অবরুদ্ধ হয়ে বসবাস করছি আমরা।’ স্বেচ্ছাশ্রমে কালভার্টে বাঁশের সাঁকো বানানোর কাজে অংশ নেন গাউসিয়া কমিটির তানভীর আলম ও মুহাম্মদ জাবেদ। তারা বলেন, ২৫ জন গাউসিয়া কমিটির সদস্য দুদিন কাজ করে বাঁশের সাঁকো তৈরি করেছেন। দীর্ঘ তিন মাস এই সড়কে চলাচল বন্ধ ছিল। নিরুপায় হয়ে নিজেরাই সাঁকো তৈরির কাজে হাত দেন। তাদের কাজে গ্রামের মানুষও বাঁশ, গাছ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন।’ সড়কের এই দশা নিয়ে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী একাধিকবার বিক্ষোভ করেছেন। গত ৩ অক্টোবর দুপুরে কয়েকশ গ্রামবাসী সড়ক সংস্কার ও ভাঙা কালভার্টে সেতু নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন। তারা বলেছেন, সরকার ১৫ বছরে সড়ক ও সেতুর উন্নয়নে তাদের এলাকায় কিছু করেনি। নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মাসুদ পারভেজ বলেন, মদুনা জঙ্গল উপজেলার সবচেয়ে সুবিধাবঞ্চিত এলাকা। এখানকার সড়কটি উরকিরচর ইউনিয়ন ও নোয়াপাড়া ইউনিয়নকে যুক্ত করেছে। এটি দ্রুত সংস্কার হওয়া জরুরি।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী আবুল কালাম বলেন, ‘আমরা সড়কে আরসিসি ঢালাইসহ প্রয়োজনীয় সংস্কারের জন্য বরাদ্দ চেয়েছি। তবে বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। তাই মদুনা জঙ্গল সড়কও সংস্কার হয়নি বরাদ্দ অনুমোদন হলে শীঘ্রই সড়কের কাজ শুরু হবে।’
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাঙামাটিতে বর্ণাঢ্য র্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার সকাল ১১টায় জেলা যুবদলের উদ্যোগে শহরের পৌরসভা চত্ত্বর হতে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়।
বর্ণাঢ্য র্যালিটি শহরের কাঁঠালতলী, বনরুপাসহ প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুর নবীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবু সাদাৎ মো. সায়েম পরিচালনায় সমাবেশে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ মামুন, সহসভাপতি সাইফুল ইসলাম পনির, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শাকিল, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইউছুপ, পৌর বিএনপির সভাপতি শফিউল আজম, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক সিরাজুল মোস্তফা, সদর থানা যুবদলের আহ্বায়ক মো. আনোয়ার সহ বিভিন্ন স্তরের নেতারা বক্তব্য রাখেন।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য তুলে ধরে বক্তারা, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্মাণে যুবদলকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখাসহ আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সব রকমের ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
সমাবেশে জেলা যুবদলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
নীলফামারীর উত্তরা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) এর বন্ধ চারটি কারখানা খুলে দেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকেরা। সোমবার বেলা ১১টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ইপিজেডের সামনে আসেন কয়েক হাজার শ্রমিক। এক পর্যায়ে তারা ইপিজেডের ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের বাঁধা প্রদান করেন। এতে উত্তেজনা দেখা দিলে তাদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চার কারখানার কয়েকজন শ্রমিক জানান, কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের প্রাপ্য বেতন নিয়মিত পরিশোধ করে না। অসুস্থতার কারণে ছুটি চাইলে তাদের সঙ্গে অশালীন আচরণ ও গালিগালাজ করা হয়। এছাড়া অতিরিক্ত সময় কাজ (ওভারটাইম) করলেও সেই পারিশ্রমিক দেওয়া হয় না। তাদের বিরুদ্ধে কথা বললে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ তাদের। শ্রমিকরা জানান, আজ তারা শুধুমাত্র ইপিজেডে কারখানাগুলো পুনরায় চালুর দাবিতে একত্রিত হয়েছেন। তারপরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বহিরাগতরা তাদের উপর হামলা চালায়।
এর আগে গত রোববার শ্রমিক অসন্তোষের জেরে উত্তরা ইপিজেডের দেশবন্ধু টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড, সেকশন সেভেন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, ইপিএফ প্রিন্ট লিমিটেড এবং মেইগো বাংলাদেশ লিমিটেড কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষনা করে কর্তৃপক্ষ।
নোটিশে বলা হয়,গত গত শনিবার কিছু শ্রমিক কাজে যোগ না দিয়ে প্রধান ফটকের সামনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে অন্যান্য শ্রমিকদেরও কাজে বাধা দিয়ে বেআইনিভাবে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রাখেন। এর ফলে উৎপাদন কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে এবং প্রতিষ্ঠানগুলো মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়ে।
নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের কাজে যোগ দিতে এবং যেকোনো দাবি–দাওয়া আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আহ্বান জানানো হলেও তারা নির্দেশ অমান্য করে কাজ বন্ধ রাখেন। শ্রমিকদের জোরপূর্বক উৎপাদন বন্ধ রাখা ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে কার্যক্রম পরিচালনা করা অসম্ভব হয়ে পড়ায় আইন অনুযায়ী চারটি কারখানার কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
যশোরের কেশবপুর উপজেলা সদরের সাথে কেশবপুর-ভায়া রামচন্দ্রপুর বাইপাস সড়কের হরিহর নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণ করলেও নদী দুপাড়ের সংযোগ সড়কটি বন্যার পানির পানিতে ভেসে যাওয়ায় ১০টি গ্রামের শত শত পরিবারের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। গত ২০২৩ সালে ৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ওই বাইপাস সড়কের হরিহর নদীর ওপর ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বিগত কয়েক বছরের বন্যায় কেশবপুর উপজেলা সদর ৬নং ইউনিয়নের কেশবপুর ভায়া রামচন্দ্রপুর সড়কটি পানির তোড়ে ভেসে যায়। এতে গত ১০ বছর ধরে সড়কটি পানিতে তলিয়ে থাকায় ১০টি গ্রামের মানুষ ও যান চলাচলে দুর্ভোগ বেড়েছে। সড়কটি পানিতে তলিয়ে থাকায় এসব এলাকার মানুষের কেশবপুর ও মনিরামপুর উপজেলা সদরে যেতে তাদের প্রায় ৫ কিলোমিটার ঘুরে শহরে যেতে হয়। যশোর-সাতক্ষীরা সড়কের যানজট নিরসনের লক্ষ্যে কেশবপুর-রামচন্দ্রপুর বাইপাস সড়কসহ ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। যার সুফল ভোগ করছিল কেশবপুর পৌরসভার মধ্যকুল, হাবাসপোল, বালিয়াডাঙ্গা, ব্রহ্মকাটি এবং সদর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর, বেলকাটি, ব্যাসডাঙ্গাসহ মনিরামপুর উপজেলার নাগরঘোপ, মুজগুন্নী ও বাডবিলাসহ ১০টি গ্রামের মানুষ।
এরই মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অপরিকল্পিতভাবে খাল ও নদী খননসহ ঘের নির্মাণ করার ফলে গত ১৫ বছর ধরে কেশবপুর পৌরসভাসহ উপজেলার প্রায় শতাধিক গ্রাম বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। এরমধ্যে কেশবপুর পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩টি ওয়ার্ড ৬ মাস জলাবদ্ধ হয়ে থাকে। এতে এলাকার রাস্তাঘাট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আসছে। বর্তমানে কেশবপুর ভায়া রামচন্দপুর সড়কটির সিংহভাগ অংশ পানিতে তলিয়ে আছে। এতে সড়কের ওপর মাছ ও হাঁস চাষ করছে এলাকার লোকজন। এলাকাবাসী দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কটি উঁচু করে নির্মাণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। পৌর সভার ৭নং ওয়ার্ডের মধ্যকুল গ্রামের শাহীন দফাদার ও আব্দুস সোবাহান ড্রাইভার বলেন, বিগত বন্যায় কেশবপুর-রামচন্দ্রপুর সড়কটি ভেসে গিয়ে গত ১০ বছর যাবত মানুষ চলাচলের অন-উপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কটি সংস্কারসহ উঁচু করে নির্মাণ করার জন্য তারা দাবি জানান।
উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার মো. নাযিমুল হক বলেন, ‘কেশবপুরের যানজট নিরসনের লক্ষ্যে কেশবপুর ভায়া রামচন্দ্রপুর সড়কটি নির্মাণ করা হয়। এ লক্ষ্যে হরিহর নদীর ওপর ২০২৩ সালে ৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে সড়কটি পানিতে তলিয়ে থাকায় এলাকার মানুষ এর সুফল থেকে বঞ্চিত। এছাড়া সড়কটি উঁচু করে নির্মাণ করার জন্য যশোর উন্নয়ন প্রকল্প ডিপিপি ভুক্ত তালিকায় রাখা হয়েছে। যার অনুমোদন এখনো পাওয়া যায়নি।
কুড়িগ্রামের কচাকাটা থানাকে প্রশাসনিক উপজেলা ঘোষণা ও বাস্তবায়নের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে কচাকাটা উপজেলা বাস্তবায়ন সংগ্রাম পরিষদের আয়োজনে কচাকাটা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচিতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, কৃষক, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশাজীবী মানুষ গণস্বাক্ষরে অংশ নেন।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে কচাকাটা থানাকে উপজেলা করার দাবিতে আন্দোলন করছে স্থানীয়রা।
গণস্বাক্ষর কর্মসূচির আলোচনা সভায় সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ আহম্মেদ বাচ্চু ব্যাপারীর সভাপত্বিতে বক্তব্য দেন কেদার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়াম্যান আ.খ.ম ওয়াজিদুল কবীর রাশেদ, কচাকাটা ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদৎ হোসেন, সমাজকর্মী আনিসুর রহমান তোলা ব্যাপারী প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা জানান, কুড়িগ্রাম জেলা সদর থেকে কচাকাটা থানাকে ৪টি নদ-নদী দ্বারা বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। ব্রহ্মপুত্র নদ, শংকোশ, দুধকুমার, গঙ্গাধর নদী পাড়ি দিয়ে অথবা সড়ক পথে নাগেশ্বরী ও ভূরুঙ্গামারী উপজেলা দিয়ে কয়েক ঘণ্টা পথ অতিক্রম জেলা সদরের সাথে যোগাযোগ করতে হয়।
কচাকাটা ইউনিয়নের আয়তন ২৬.৪০ বর্গকিলোমিটার, বল্লভেরখাস ইউনিয়ন-৩৩.৩৯ বর্গকিলোমিটার, নারায়ণপুর ইউনিয়ন ০৭.৮৪ বর্গকিলোমিটার, কেদার ইউনিয়ন-২৪.৪৭ বর্গকিলোমিটার, বলদিয়া ইউনিয়ন ৩৫.৯৯ বর্গকিলোমিটার এবং বামনডাঙ্গা, কালীগঞ্জ ইউনিয়ন অংশ নিয়ে কচাকাটা থানা ২০০৩ সালে গঠিত হয়। এই থানার অধীনে প্রায় ৩ লক্ষাধিক মানুষের বসবাস।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে আয়েশা বেগম ও আব্দুল দাইয়ান দম্পত্তির জীবন চলছিল স্বচ্ছলতার মধ্যে দিয়েই। অসুস্থতায় এখন এলোমেলো পুরো সংসার। দীর্ঘদিন ঢাকার দক্ষিণ শাহজাহানপুর এলাকায় বসবাস করতেন এ দম্পত্তির। ২০২২ সালে সোনারগাঁয়ের বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের আনন্দবাজার এলাকায় গ্রামের বাড়ি চলে আসেন তারা। গ্রামে আসার তিন মাস যাওয়ার পরই তাদের দেহের ক্যান্সার ধরা পড়ে। একজনের ফুসফুসে ক্যান্সার আরেকজনের জরায়ু ক্যান্সার। বর্তমানে অটোরিকশা চালক ছেলে শহিদুল ইসলামের সামান্য আয়ে খেয়ে পড়ে কোনো রকম বেঁচে আছেন তারা।
জানা যায়, ঢাকায় থাকাবস্থায় আয়েশা বেগম কাজ করতেন ঢাকার একটি রেস্তোরাঁয়। তার স্বামী আব্দুল দাইয়ান রিকশাচালক থেকে হয়ে ওঠেন রিকশার গ্যারেজের মালিক। তাদের দুজনের আয়ে তাদের সংসার খুবই স্বাচ্ছান্দ্যে চলছিল। ক্যান্সারের আক্রান্ত হওয়ায় পর সুখের দিন শেষ হয়। প্রথমে আব্দুল দাইয়ানের ফুসফুসে ক্যান্সার ধরা পরে। স্বামীর কিছুটা সেরে উঠার পর জরায়ু ক্যান্সার বাসা বাঁধে আয়েশা বেগমের। চাকরি ব্যবসা সব হারিয়ে এখন সহায় সম্বলহীন হয়ে পড়েছেন তারা। বিত্তবানদের দিকে তাকিয়ে আছেন একটু সহযোগীতার আশায়। কিন্তু অর্থের অভাবে বন্ধ আছে তাদের চিকিৎসা।
আয়েশা বেগম জানান, তার স্বামী আব্দুল দাইয়ান ১০ বছর আগে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। এরপর তার চিকিৎসা শুরু হলে চার বছরের মাথায় ব্রেইন স্টোক করেন। সর্বস্ব বিক্রি করে চিকিৎসায় যখন কিছুটা ভালোর পথে, তখন নিজে অসুস্থ হয়ে পড়েন। দেড় বছর অসুস্থ থাকার পর চিকিৎসকরা জরায়ু ক্যান্সার সনাক্ত করেন। শুধু তাই নয়, দীর্ঘদিন ভুল ওষুধ সেবনের কারনে বাম কিডনি বিকল হয়ে যায়। দ্বিতীয় স্টেজে থাকা ক্যান্সার চিকিৎসায় প্রয়োজন ৩৫টি কেমোথেরাপি। একটি থেরাপি দেয়ার পর আর্থিক সক্ষমতা না থাকায় বন্ধ হয়ে যায় চিকিৎসা।
তিনি আরো বলেন, চিকিৎসার জন্য অন্তত ১০ লাখ টাকা প্রয়োজন। চিকিৎসক জানিয়েছেন, ঠিকমতো চিকিৎসা করাতে পারলেই সুস্থ হয়ে উঠবেন তিনি। কর্মহীন স্বামী আর নিজের অসুস্থ শরীরের কারণে আয়ের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। ছেলে অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করলেও তা পর্যাপ্ত নয়। আত্মীয় স্বজনের সহযোগীতা নিয়ে কোনমতে বেঁচে আছেন। সমাজের বিত্তবানদের কাছে তিনি সহযোগিতা কামনা করেছেন।
অসুস্থ স্বামী আব্দুল দাইয়ান বলেন, নিজের অসুস্থতার পর স্ত্রীর অসুস্থতা তাদের পরিবারকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করে দিয়েছে। টাকার অভাবে চিকিবৎসা দূরের কথা, এখন না খেয়ে থাকার অবস্থা হয়েছে। বিত্তবানদের সহযোগিতার হাত বাড়াবেন এমনটাই প্রত্যাশা করেছেন। তাদের সহযোগিতা পাঠানোর জন্য বিকাশ ও নগদ নাম্বার- ০১৯১২০২৪৬৯৩। এছাড়াও আয়েশা বেগমের সোনালী ব্যাংক সোনারগাঁ শাখায় সঞ্চয়ী হিসাব রয়েছে। যাহার নং-৩৬১৮৬০১০২১০৪৫।
সোনারগাঁ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসাইন বলেন, ইতোমধ্যে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তাদের চিকিৎসার কাগজপত্র আমাদের কাজে জমা দেওয়ার জন্য বলেছি। জেলা কার্যালয়ের সকল প্রক্রিয়া শেষ করে তাদের সহযোগিতা করা হবে।