বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫
১৫ কার্তিক ১৪৩২

৩ পাহাড়ি যুবককে হত্যার বিচার দাবিতে রাঙামাটিতে বিক্ষোভ

বিজয় ধর, রাঙামাটি
প্রকাশিত
বিজয় ধর, রাঙামাটি
প্রকাশিত : ২৯ অক্টোবর, ২০২৫ ২২:০৭

ইউপিডিএফের গুলিতে নিহত তিনজন পাহাড়ি যুবকের হত্যার বিচার দাবিতে রাঙামাটিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি)। বুধবার শহরের বনরূপা আলিফ মার্কেট চত্বরে সংগঠনটির জেলা শাখার উদ্যোগে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পিসিসিপি রাঙামাটি জেলা সভাপতি তাজুল ইসলাম তাজ এবং সঞ্চালনা করেন জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক পারভেজ মোশাররফ হোসেন।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পিসিএনপি রাঙামাটি জেলা সহসভাপতি কাজী জালোয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, যুব পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি নূর হোসেন, পিসিসিপি জেলা সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেন, সহসাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম, এবং সরকারি কলেজ শাখার নেতা নয়ন বড়ুয়া।

বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, মিথ্যা ধর্ষণ ইস্যু উসকে দিয়ে খাগড়াছড়ির গুইমারা ও আশপাশের এলাকায় অস্থিতিশীলতা তৈরির পর ইউপিডিএফের সশস্ত্র সদস্যরা গত ২৮ সেপ্টেম্বর রামসু বাজার এলাকায় সংঘর্ষ চলাকালে পাহাড় থেকে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে গুলি ছোড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন সাধারণ পাহাড়ি যুবক- আখ্র মারমা, আথুইপ্রু মারমা ও থৈইচিং মারমা নিহত হন।

বক্তারা বলেন, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাহাড়কে অশান্ত করে সেনাবাহিনী ও সরকারকে বিতর্কিত করার একটি বড় রাজনৈতিক পরিকল্পনা ছিল। তারা অভিযোগ করেন, ইউপিডিএফ স্বায়ত্তশাসন দাবিকে আন্তর্জাতিক মহলে চাপ সৃষ্টি করার সুযোগ তৈরির উদ্দেশ্যে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার কৌশল হিসেবে সাধারণ জনগণকে সামনে ঠেলে দিয়ে সহিংসতা উসকে দেয়।

সমাবেশে বক্তারা নিহত তিন যুবকের হত্যায় জড়িত ইউপিডিএফের সশস্ত্র সদস্যদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। পাশাপাশি পাহাড়ি-বাঙালি সম্প্রীতি অটুট রাখতে সকলকে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।

বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, দাবি পূরণ না হলে পিসিসিপি পর্যায়ক্রমে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে।


ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ট্যাংক লরির চাপায় তরুণী নিহত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক এলাকায় ট্যাংক লরির চাপায় আয়েশা আক্তার (২২) নামে এক তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন মো. খালেদ হোসেন (২৭) নামে এক যুবক।

নিহত আয়েশা আক্তার পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার উত্তর তাপাল বাড়িয়া গ্রামের মো. জাকির হোসেনের মেয়ে। আহত যুবক খালেদ হোসেন সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি মুজিববাগ এলাকার হাসান আলীর ছেলে।

আহত খালেদ হোসেন বলেন, তিনি ও আয়েশা সোনারগাঁও থেকে পঞ্চবটীর দিকে যাচ্ছিলেন। মৌচাক এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে একটি বেপরোয়া গতির ট্যাংক লরি তাদের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে তারা দুজনই সড়কে ছিটকে পড়েন। সে সময় লরিটি আয়েশাকে চাপা দেয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, একটি ট্যাংক লরি পেছন দিক থেকে মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দিলে আরোহী তরুণী গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুর্ঘটনাকবলিত মোটরসাইকেল ও ট্যাংক লরিটি জব্দ করি। তবে লরিচালক দুর্ঘটনার পরপরই পালিয়ে যায়। তাকে শনাক্ত ও আটক করার চেষ্টা চলছে। আহত যুবককে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।


বিশারামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৩ প্রধান শিক্ষকের বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ভোলা প্রতিনিধি 

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ পশ্চিম বিশারামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন মেয়াদে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে অবসরে যাওয়া তিন প্রজন্মের তিনজন প্রধান শিক্ষককে অবসরজনিত বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।

বিদায়ী সংবর্ধনা গ্রহণকারী তিন প্রজন্মের তিনজন প্রধান শিক্ষক হলেন, সন্তোশ কুমার, মো: ফজলুল আমিন, মো: সোহরাওয়ার্দী।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ১০টায় উপজেলার টবগী ইউনিয়নে পশ্চিম বিশারামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মিলনায়তনে এ বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রাক্তন প্রধান শিক্ষকদের বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র, সাইফুল ইসলাম কামরুছ, পরিচালক, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রনজিৎ চন্দ্র দাস, সহকারী কমিশনার (ভূমি), বোরহাউদ্দিন।

বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাখাওয়াত হোসাইন হাওলাদার, উপদেষ্টা সম্পাদক, দৈনিক বাংলাদেশ বানী, কাজী শহীদুল আলম নাসিম, যুগ্ন আহ্বায়ক, বোরহানউদ্দিন উপজেলা বিএনপি, কাজল মিয়া হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক, টবগী ইউনিয়ন বিএনপি, বশির আহমেদ, সভাপতি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি, মানসুর হাওলাদার, জাকারিয়া আজম, অধ্যক্ষ, হাফিজ ইব্রাহিম মহাবিদ্যালয়, জসিমউদ্দিন হাওলাদার, চেয়ারম্যান, টবগী ইউনিয়ন পরিষদ, কামাল হাওলাদার, সাবেক চেয়ারম্যান, টবগী ইউনিয়ন পরিষদ, আঃ হান্নান মিঠু, সভাপতি, হাকিমুদ্দিন ফাজিল মাদ্রাসা, তন্ময় শিকদার, সাধারণ সম্পাদক মলংচড়া ইউনিয়ন বিএনপি। এছাড়াও বিদ্যালয়টির প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।


ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাদ থেকে কাপড় আনতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ৭ শিক্ষার্থীসহ আহত ৮

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাদ থেকে পড়ে যাওয়া কাপড় আনতে গিয়ে বিদ্যুতের তারে স্পৃষ্ট হয়ে মহিলা মাদ্রাসার সাত শিক্ষার্থী ও এক আয়া দগ্ধ হয়েছেন। বুধবার বিকেলে পৌরসভার ভাদুঘর এলাকার দারুন নাজাত মহিলা মাদ্রাসায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে ছয়জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে এবং দুজন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

আহতরা হলেন— নবীনগর উপজেলার তালগাটি গ্রামের নুরুল হকের মেয়ে নুসরাত (১০), সিরাজগঞ্জ জেলার আবু সাইদের মেয়ে সাদিয়া খাতুন (৬), সদর উপজেলার সাদেকপুর গ্রামের মজনু মিয়ার মেয়ে রওজা আক্তার (১২), ভাদুঘর এলাকার কবির হোসেনের মেয়ে নুসরাত (১১), একই এলাকার কাবির মিয়ার মেয়ে জান্নাতুল মাওয়া (৮), কসবা উপজেলার শিমরাইল গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে উম্মে তাইসান (৫) এবং মাদ্রাসার আয়া আলেয়া বেগম (২২)।

মাদ্রাসার শিক্ষক ক্বারি মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ জানান, ভবনের চতুর্থ তলা থেকে একটি কাপড় নিচে পড়ে বিদ্যুতের তারে আটকে যায়। আয়া আলেয়া জানালা দিয়ে একটি স্টিলের পাইপ দিয়ে কাপড়টি নামানোর চেষ্টা করেন। পাইপটি তারে স্পর্শ করায় তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এতে আগুনের ফুলকি মাদ্রাসার ভেতর ঢুকে গেলে দগ্ধ হয় শিক্ষার্থীরা।

তিনি আরও বলেন, “দুর্ঘটনার পরপরই আমরা আহতদের সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। ছয়জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে সবাই চিকিৎসাধীন আছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স হাসিম খান জানান, “আটজন বার্ন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে, বাকি দুইজনকে সার্জারি ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে।

এ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি আজাহারুল ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রকিবুর রেজা জানান, “ঘটনার বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, “বিষয়টি আমরা জেনেছি, তদন্তের মাধ্যমে বিস্তারিত জানা যাবে।


দৌলতপুরে দুই বাহিনীর বন্দুকযুদ্ধে ৩জন নিহতের ঘটনায় একতরফা মামলা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীর দুর্গম চরে খড়ের মাঠ দখল নিয়ে দুই বাহিনীর বন্দুকযুদ্ধে তিনজন নিহতের ঘটনায় দু’দিন পর ঘটনাস্থলের সীমানা নির্ধারণ শেষে বুধবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধায় দৌলতপুর এক দরফা থানায় মামলা দায়ের করেন নিহত আমান মণ্ডলের বাবা মিনহাজ মণ্ডল। মামলায় কাকন বাহিনীর প্রধান কাকনসহ ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ২০-৩০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।

এদিকে ওই একই ঘটনায় ভেড়ামারা উপজেলার কাকন বাহিনীর সদস্য লিটন হত্যার মামলা এখনো হয়নি বলে জানা যায়।

এর আগে সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে দৌলতপুরের মরিচা ইউনিয়নের চৌদ্দহাজার মৌজার পদ্মা চর এলাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী কাকন বাহিনী ও বাঘার মণ্ডল বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পদ্মায় জেগে ওঠা জমি ও খড় দখলকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া এ সংঘর্ষ চলে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী।

গোলাগুলিতে মণ্ডল গ্রুপের সদস্য আমান মণ্ডল (৩৬) ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুতর আহত নাজমুল মণ্ডল (২৬) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। গুলিবিদ্ধ হয়ে মণ্ডল বাহিনীর প্রধান মুনতাজ মণ্ডল (৩২) ও রাকিব মণ্ডল (১৮) বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন। নিহত ও আহতদের বাড়ি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার গড়গড়ি ইউনিয়নের নিচ খানপুর গ্রামে।

পরদিন মঙ্গলবার সকালে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের রায়টা পদ্মা ঘাট থেকে লিটন (৩০) নামের আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করে পাবনা নৌ পুলিশ। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত লিটন ঘোষপাড়া এলাকার মৃত জামরুল ঘোষের ছেলে। তিনি পেশায় কসমেটিকস ব্যবসায়ী এবং কাকন বাহিনীর সদস্য ছিলেন।

সংঘর্ষের খবর পেয়ে বাঘা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গুলির খোসা, তাজা গুলি ও রক্তমাখা ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে। তবে এলাকাটি কোন থানার আওতায় পড়বে তা নির্ধারণে জটিলতা দেখা দিলে রাজশাহী ও খুলনা রেঞ্জের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মঙ্গলবার সারাদিন পরিদর্শন করেন। পরবর্তীতে বুধবার নিশ্চিত করা হয় যে ঘটনাস্থল কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার আওতাধীন। পরে নিহত আমান মণ্ডলের বাবা মিনহাজ মণ্ডল বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ বলেন, নিহত আমান মণ্ডলের বাবা মিনহাজ মণ্ডল বাদী হয়ে মামলা করেছেন। পদ্মার চরাঞ্চলটি অত্যন্ত দুর্গম হওয়ায় এখনো কাউকে আটক করা যায়নি। তবে পুলিশ অভিযানে রয়েছে।

ভেড়ামারা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন জানান, ঘটনাস্থলের সীমানা নির্ধারণ শেষে নিশ্চিত হয়েছি এটি দৌলতপুর থানার আওতাধীন এলাকা। ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ গুলির খোসা ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। কাকনসহ ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে, আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


ফরিদপুরে স্বাবলম্বী করতে অস্বচ্ছল জাকেরদের মাঝে সহায়তা প্রদান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ফরিদপুর প্রতিনিধি

অস্বচ্ছলদের স্বাবলম্বী করতে জাকেরদের মাঝে কর্মসংস্থান সহায়তা হিসেবে পুঁজি ও মূলধন বিতরণ করেছে হযরত শাহ্ চন্দ্রপুরী জাকের কল্যাণ ফাউন্ডেশন। বুধবার বাদ ফজর ফরিদপুরের সদরপুরে ঐতিহ্যবাহী চন্দ্রপাড়া দরবার শরীফে এ সহায়তা দেয়া হয়।

দরবার শরীফের গদীনশীন পীর ও ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শাহ্ সূফী সৈয়দ কামরুজ্জামান এই অনুদান প্রদান করেন। অস্বচ্ছলদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে একক আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন উৎপাদনমুখী উপকরণ প্রদান করা হয়, যা তাদের স্বাবলম্বী হতে সহায়তা করবে বলে ফাউন্ডেশন থেকে জানা যায়।

একই অনুষ্ঠানে দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা জামানার মোজাদ্দেদ হযরত মাওলানা শাহ্ সূফী সৈয়দ আবুল ফজল সুলতান আহমদ চন্দ্রপুরী (রহ.) নকশোবন্দী মোজাদ্দেদী পীর কেবলাজানের বেছালত উপলক্ষে আসন্ন বার্ষিক ওরছ শরীফের তারিখ ২০২৬ সালের ৭ জানুয়ারি রোজ বুধবার ঘোষণা করা হয়। ওরছ পাকের প্রস্তুতি উপলক্ষে গত মঙ্গলবার বাদ আসর থেকে বুধবার ফজর পর্যন্ত ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও ওয়াজ নসিহতের মধ্য দিয়ে জলসায়ে ওরছ পাক-এ-শাহ্ চন্দ্রপুরী অনুষ্ঠিত হয়। গত মঙ্গলবার সকাল থেকে দেশ-বিদেশের অসংখ্য মুরিদ, আশেক-জাকের ও ভক্তরা দরবার শরীফে সমবেত হতে থাকেন। বাদ জোহর থেকে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, মিলাদ-কিয়াম, জিকির-আজকার ও শরিয়ত-তরিকত সম্পর্কিত ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বাদ ফজর পবিত্র রওজা মোবারক জিয়ারত ও আখেরী মোনাজাতের মাধ্যমে সমগ্র বিশ্বের সুখ-শান্তি ও মহান আল্লাহর নৈকট্য কামনা করা হয়।


নড়াইলে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ফরহাদের শোভাযাত্রা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কার্ত্তিক দাস, নড়াইল

বাংলাদেল সুপ্রীম কোর্টের জ্যেষ্ঠ্য আইনজীবী ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ। তিনি বাংলাদেশ ন্যাশনাল পিপিলস পার্টির (এনপিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান এবং জাতীয়তাবাদী সমমনা ১১ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক। বাড়ি নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভার কুন্দশী চৌরাস্তা মোড়ে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-২ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশী। বুধবার ধানের শীষের পক্ষে নড়াইল জেলা শহরে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে তিনি শোভাযাত্রা করেন। শহরের পুরানো বাস টার্মিনাল চত্বর থেকে শোভাযাত্রাটি বের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আদালত চত্বরে শেষ হয়।

পথ সভায় ড.ফরিদুজ্জামান বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ আমলে বিএনপিসহ আমার দলের নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন চালিয়েছে। হামলা-মামলা, বাড়ি-ঘর ভাংচুরসহ লুটপাট করে নেতাকর্মীদের পথের ফকির বানিয়েছে। বাড়ি-ঘরে কেউ রাতযাপন করতে পারেনি। আমি যেহেতু আইন পেশার সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতে দাড়িয়ে তাদের জামিনের ব্যবস্থা করেছি। তিনি বলেন, আমার বাড়িও ভাংচুরসহ লুটপাট করেছে। কিন্তু আমি মামলা করিনি। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা বাংলার রাখাল রাজা বীর মুক্তিযোদ্ধা, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বড় সন্তান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আগামী দিনের প্রধানমন্ত্রী তারেক রহমানের সঙ্গে আমার লন্ডনে দেখা এবং কথা হয়েছে। সেখানে মনোনয়নের ব্যাপারেও কথা হয়েছে। তিনি আমাকে এলাকায় গিয়ে নির্বাচনী গণসংযোগ করতে বলেছেন। জনগণের কাছে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট চাইতে বলেছেন।

পথসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন এনপিপির কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান ও জাতীয়তাবাদী সমমনা ১১ দলীয় জেটের প্রধান সমন্বয়ক ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও নড়াইল জেলা কমিটির সভাপতি শরীফ মুনির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক খান আনোয়ার হোসেনসহ প্রমুখ। এ সময় নড়াইল সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. বেল্লাল হোসেন, নড়াইল পৌরসভার সাবেক মেয়র মোস্তফা কামাল মোস্ত, এনপিপি লোহাগড়া উপজেলা কমিটির সভাপতি মো. হাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোল্যা বদিয়ার রহমানসহ ইউনিয়ন কমিটির নেতারা।


কুষ্টিয়া দৌলতপুরে ৩ জন নিহতের ঘটনায় মামলা

চরমপন্থি নেতা কাকন বাহিনীর প্রধানসহ ২৩ জন আসামি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীর দুর্গম চরে জমি দখলকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের গোলাগুলির ঘটনায় ৩ জন নিহতের মামলা করা হয়েছে। মণ্ডল গ্রুপের নিহত আমান মণ্ডলের বাবা মিনহাজ মণ্ডল বাদী হয়ে বুধবার বিকেলে দৌলতপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় চরমপন্থি নেতা কাকন বাহিনীর প্রধান কাকনসহ ২৩ জনের নাম উল্লেখসহ ২০ থেকে ৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত সোমবার কুষ্টিয়ার দৌলতপুর, রাজশাহীর বাঘা ও নাটোরের লালপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী দৌলতপুরের মরিচা ইউনিয়নের চৌদ্দহাজার মৌজার নিচ খানপাড়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বর্তমানে রাজশাহীর বাঘায় বসবাসরত মণ্ডল বাহিনী ও দৌলতপুরের কাকন বাহিনীর মধ্যে ভয়াবহ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আরও দুজন গুরুতর আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

গোলাগুলির খবর পেয়ে নিকটস্থ বাঘা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ গুলির খোসা, কয়েকটি তাজা গুলি ও রক্তমাখা ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। তবে ঘটনাস্থলটি কোন থানার আওতাধীন- তা নির্ধারণ করতে রাজশাহী ও খুলনা রেঞ্জের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মঙ্গলবার সারাদিন মাঠে থাকেন, যার ফলে মামলা কার্যক্রমে বিলম্ব হয়। পরে নির্ধারিত হয়, ঘটনাস্থল কুষ্টিয়ার জেলার দৌলতপুর থানার আওতায়।

জানা গেছে, গোলাগুলিতে নিহত ব্যক্তিরা হলেন রাজশাহীর বাঘা উপজেলার নিচ খানপাড়া এলাকার মিনহাজ মণ্ডলের ছেলে আমান মণ্ডল (৩৬) এবং শুকুর মণ্ডলের ছেলে নাজমুল মণ্ডল (২৬)। নিহত ব্যক্তিরা মূলত কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের বাসিন্দা ছিলেন; নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে তারা বাঘার নিচ খানপাড়ায় অস্থায়ীভাবে বসবাস করতেন।

অন্যদিকে সকালে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের রায়টা পদ্মা ঘাট থেকে লিটন (৩০) নামের আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করে পাবনা নৌপুলিশ। নিহত লিটনের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তিনি ওই ইউনিয়নের ঘোষপাড়া এলাকার মৃত জামরুল ঘোষের ছেলে। পেশায় তিনি কসমেটিকস ব্যবসায়ী ছিলেন এবং কাকন বাহিনীর সদস্য হিসেবে পরিচিত।

দৌলতপুর থানার ওসি সোলাইমান শেখ বলেন, নিহত আমান মণ্ডলের বাবা মিনহাজ মণ্ডল বাদী হয়ে মামলা করেছেন। পদ্মার চরাঞ্চলটি অত্যন্ত দুর্গম হওয়ায় এখনো কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে পুলিশ অভিযানে রয়েছে।

এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘ঘটনাস্থলের সীমানা নিয়ে জটিলতা ছিল, আমরা সরেজমিনে তা নির্ধারণ করেছি- এটি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার আওতাধীন এলাকা। ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণে গুলির খোসা ও রক্তাক্ত ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে কাকনসহ ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও ২০ থেকে ৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন মণ্ডল গ্রুপের নিহতের পরিবার। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

অভিযুক্ত কাকন বাহিনীর প্রধান কাকন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের মাঝদিয়াড় গ্রামের মৃত জমির উদ্দিনের ছেলে। তিনি স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতাদের আশ্রয়ে পদ্মা নদীর বালুমহাল ও চরাঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করতেন।


পাকা সড়ক নির্মাণের দাবি পূরণ হয়নি ৫৪ বছরেও

দুর্ভোগের শেষ নেই আলফাডাঙ্গার পাঁচ গ্রামের মানুষের
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) সংবাদদাতা 

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার টগরবন্দ ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রামে গত ৫৪ বছরেও তৈরি করা হয়নি পাকা সড়ক। ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ থাকায় এসব গ্রামের প্রায় ২০ হাজার বাসিন্দাদের জীবনযাত্রায় তেমন মানোন্নয়ন হয়নি। এছাড়া বর্ষা মৌসুমে কাদা এবং শুকনায় ধুলোবালির কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন এ অঞ্চলের মানুষ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার টিটা-পানাইল, শিকারপুর, টিটা, ইকড়াইল ও কুমুরতিয়া গ্রামে ১০টি জামে মসজিদ, একটি কারিগরি কলেজ, দুটি উচ্চবিদ্যালয়, চারটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি দাখিল মাদ্রাসা, একটি কমিউনিটি ক্লিনিক, একটি সাব পোস্ট অফিস, দুটি বড় বাজার এবং ১০টির বেশি মাছ ও গবাদিপশু খামার রয়েছে।

এসব গ্রামের কৃষকরা উৎপাদিত কৃষিপণ্য, গাভীর দুধ এবং বাঁওড়ের বিপুল পরিমাণ মাছের মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী কাশিয়ানী উপজেলা সদরের বাজারের প্রায় ৭০ শতাংশ চাহিদা পূরণ করেন। এছাড়া আলফাডাঙ্গার সদর ও গোপালপুর বাজারসহ বিভিন্নস্থানেও এখানকার কৃষিপণ্যের কদর রয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার বেহাল দশার কারণে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য সময়মতো ও অক্ষত অবস্থায় বাজারে নিতে পারছেন না, ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে স্থানীয় কৃষক ও অর্থনীতি।

স্থানীয় কৃষক নাছির মিয়া বলেন, ‘ভালো সড়ক না থাকায় সবজি ও দুধ মাথায় কিংবা বাইসাইকেলে করে কাদা-ধুলো পেরিয়ে কাশিয়ানী বাজারে নিয়ে যেতে হয়। আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি, সরকার যেন এই গ্রামে পাকা সড়ক নির্মাণ করে মানসিক স্বস্তি এনে দেয়।’

ইকড়াইল গ্রামের বাসিন্দা মো. ‘ইমদাদুল হক বলেন, ইটের ভাঙা রাস্তা দিয়ে আমাদের সন্তানদের চলাচল করতে হচ্ছে। এলাকার মানুষ রাস্তার কারণে চরম ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে। এখানকার মানুষ অন্য এলাকা থেকে ফিরে এসে আফসোস করে-আমাদের এলাকায় কেন একটিও পাকা রাস্তা নেই।’

ওই এলাকার টিটা মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বিদ্যাপীঠের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী বিউটি সুলতানা বলেন, ‘ভাঙা ইটের রাস্তার কারণে ভ্যান, অটোরিকশাও ঠিকমতো চলতে পারে না। তাই বাড়ি থেকে হেঁটে হেঁটে অনেকটা পথ পাড়ি দিয়ে স্কুলে যেতে হয়।’

টিটা গ্রামের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান শিকদার বলেন, ‘একসময় এই পাঁচ গ্রাম ছিল মধুমতি নদী বেষ্টিত। এলাকাবাসীর উদ্যোগে ও নিজস্ব অর্থায়নে ২০২০ সালের মার্চ মাসে প্রায় ৩০০ মিটার দীর্ঘ একটি ভাসমান (ড্রাম) সেতু নির্মাণ করা হয়, যা এখনো চলছে। সরকারের কাছে আমাদের জোর দাবি, এই অবহেলিত এলাকায় দ্রুত পাকা সড়ক নির্মাণ করা হোক। তাহলে এ অঞ্চলের অর্থনীতি ও সমাজ নির্মাণে যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে।’

টগরবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) আবু সাইদ মিয়া বলেন, ‘অনেকবার রাস্তা পাকাকরণের দাবি জানিয়েছি স্থানীয় প্রশাসনের কাছে। শুধু আশ্বাস মিলেছে; কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আলফাডাঙ্গা উপজেলা প্রকৌশলী (স্থানীয় সরকার বিভাগ) রাহাত ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমরা অবগত আছি। প্রধান সমস্যা হলো, এই গ্রামে প্রবেশ করতে গেলে ঝুঁকিপূর্ণ ভাসমান সেতু পার হতে হয়, নয়তো বিকল্প একটি দুর্বল কাঁচা রাস্তা ব্যবহার করতে হয়। রাস্তা পাকাকরণের জন্য প্রয়োজনীয় ভারী রোলার সরঞ্জাম বর্তমানে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘এলাকাটি সরেজমিনে পরিদর্শন করা হয়েছে এবং ওই এলাকার রাস্তাগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। পরিস্থিতি কিছুটা অনুকূল হলে এবং বর্ষা মৌসুম শেষ হলে আগামীতে টেন্ডারের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সড়কের কার্পেটিং কাজ শুরু করা হবে। মধুমতি বাঁওড়ে স্থায়ী সেতু নির্মাণের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হলেও তা বিভিন্ন কারণে বাতিল হয়েছে। আমরা গুরুত্ব বিবেচনা করে শিগগিরই পুনরায় প্রস্তাব পাঠাব।’

এ বিষয়ে আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল ইকবাল বলেন, ‘সড়ক বানাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে এলজিইডি থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, আপাতত সড়ক করার মতো পরিবেশ অনুকূল নয়। বর্ষা শেষ হলে পরিস্থিতি বিবেচনা করে এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পৌঁছানোর ব্যবস্থা হলে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।’


মাদারীপুরে সাংবাদিকদের সাথে রাইটস যশোর এনজিওর সভা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাদারীপুর প্রতিনিধি

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) কর্তৃক বাংলাদেশে মনোনীত এনজিও ‘রাইটস্ যশোর’ মাদারীপুর শাখার উদ্যোগে জেলায় কর্মরত বিভিন্ন টিভি ও প্রিন্টিং মিডিয়ার সাংবাদিকদের নিয়ে নিরাপদ অভিবাসন বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সম্ভাব্য অভিবাসীদের ক্ষমতায়নে আই.ও.এমের ‘সিনেমা আঙিণা’ শীর্ষক সেমিনার ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার ওই অনুষ্ঠানটি মাদারীপুর জেলা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। মাদারীপুর ‘সিনেমেরিনা প্রকল্পের’ ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার মোখলেছুর রহমান পিন্টুর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও ডিরেক্টর অব প্রোগ্রাম এস,এম আজহারুল ইসলামের সঞ্চালনায় সংস্থার প্রধান কার্যালয় যশোর জেলা থেকে আগত প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সিনিয়র প্রোগ্রাম অ্যাসোসিয়েটস অমল বিশ্বাস, সিনিয়র মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন অফিসার তারেক মাহমুদ, ডিরেক্টর অব প্রোগ্রাম-প্রদীপ দত্ত, মাদারীপুর জেলা ম্যানেজার ‘সিনেমেরিনা’ প্রকল্পের মো. মোখলেছুর রহমান পিন্টুসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। এ সময় সংস্থার এফ,এস,টি,আই,পি প্রকল্পের মাদারীপুরের ডিস্ট্রিক্ট প্রোগ্রাম অফিসার বায়োজিদ মিয়া উপস্থিত ছিলেন। এতে জেলার বিভিন্ন টেলিভিশন, প্রিন্টিং ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার ২৩ জন সিনিয়র সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন। এতে বক্তব্য রাখেন বিটিভির সাবেক সাংবাদিক মাহাবুবুর রহমান বাদল, জাতীয় দৈনিকের সাংবাদিক সুবল বিশ্বাস, দৈনিক বাংলার সাংবাদিক শরীফ মো. ফায়েজুল কবীর, সাংবাদিক বেলাল রিজভী, সাগর তামিম, রিপন চন্দ্র মল্লিক প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে সংস্থাটির জনকল্যামুখী সব কর্মকাণ্ড সাংবাদিকদের তুলে ধরার আহ্বান জানান।


কিশোরগঞ্জের অখণ্ডতা রক্ষায় বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

ভৈরব-বাজিতপুরকে জেলা করার দাবির প্রতিবাদ
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাকিবুল হাসান রোকেল, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জ জেলার অখণ্ডতা রক্ষার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ছাত্র-জনতা। সমাবেশ থেকে কিশোরগঞ্জ জেলা নিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রোপাগান্ডা ছড়ানো এবং আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। বুধবার কিশোরগঞ্জের গুরুদয়াল সরকারি কলেজের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এতে ছাত্র-জনতাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।

আয়োজকরা বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশের ৬৫তম জেলা গঠনের দাবিতে ভৈরব ও বাজিতপুরের কিছু ব্যক্তি আন্দোলন করছেন, যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। বক্তারা বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ অখণ্ড ছিল, আছে এবং থাকবে।’

তারা আরও অভিযোগ করেন, জেলার দাবিতে আন্দোলনকারীরা রেলপথ ও নৌপথ অবরোধ করে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি সৃষ্টি করছেন। এমনকি যাত্রীবাহী ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের মতো ন্যক্কারজনক ঘটনাও ঘটানো হয়েছে। এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা।

এর আগে, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাজিতপুর উপজেলাকে ৬৫তম জেলা ঘোষণার দাবিতে ‘বাজিতপুর জেলা বাস্তবায়ন কমিটির ব্যানারে স্থানীয়রা মশাল মিছিল করেন। মিছিলটি বাজিতপুর পৌরশহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আলোছায়া মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কিশোরগঞ্জের সাবেক আহ্বায়ক ইকরাম হোসেন বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ বিএনপির দায়িত্বে রয়েছেন শরীফুল আলম। আপনারা চাইলে তার মাধ্যমে আপনাদের দাবি সচিবালয়ে, মন্ত্রণালয়ে বা উপদেষ্টাদের নিকট পৌঁছাতে পারেন। কিন্তু ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ, হামলা-ভাঙচুর কোনো আন্দোলন নয়, এটা ফ্যাসিবাদের কাজ। আমরা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।’

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কিশোরগঞ্জের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন মিয়া, সাবেক সদস্য সচিব ফয়সাল প্রিন্স, হয়বত নগর বয়েজ ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম জনি, কিশোরগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি নুসরাত জাহান, সদর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম লিমন। সমাবেশ পরিচালনা করেন গুরুদয়াল সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোদাচ্ছির তুসি।


শিশুর নিরাপদ বেড়ে ওঠা নিশ্চিত করতে হবে

শিশু অধিকার-সংক্রান্ত উদ্বেগ প্রকাশ
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
পটুয়াখালী সংবাদদাতা

বাংলাদেশে শিশু অধিকার ও সুরক্ষার বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে পটুয়াখালীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘শিশু অধিকার পরিস্থিতি উপস্থাপন’ শীর্ষক আলোচনা সভা। বুধবার এ অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করে লাল সবুজ সোসাইটি এবং মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন।

জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ড. মোহাম্মদ শহীদ হোসেন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অপু সরোয়ার, স্থানীয় সরকার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জুয়েল রানা এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাসুদ উল আলম। লাল সবুজ সোসাইটির প্রোগ্রাম অফিসার মো. ইসরাফিল সভাপতিত্ব করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, ‘পরিবার ও বিদ্যালয় হলো- শিশুর প্রথম আশ্রয়স্থল। এই দুই স্থানেই একটি শিশুর বেড়ে ওঠার ভিত্তি গড়ে ওঠে। তাই পরিবার ও বিদ্যালয়ে শিশুদের প্রতি ভালোবাসা, যত্ন এবং নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।

আলোচনা সভায় লাল সবুজ সোসাইটির প্রতিনিধি মোমেনা সিফা রুমকি শিশু অধিকার পরিস্থিতির সচিত্র তুলে ধরে বলেন, জানুয়ারি থেকে আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত দেশের ১২টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত ১,২৮৯টি শিশুবিষয়ক সংবাদের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এর মধ্যে ১,০৬৯টি ছিল নেতিবাচক এবং মাত্র ২২০টি ইতিবাচক সংবাদ।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, স্বাস্থ্য বৈষম্য ও নিপীড়ন, শিশু ধর্ষণ ও হত্যা, এবং দুর্ঘটনায় মৃত্যু- এই তিনটি কারণই শিশু সুরক্ষার সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। সর্বাধিক সংখ্যক ঘটনার তথ্য পাওয়া গেছে ঢাকা বিভাগে, যা নগর ও গ্রামের মধ্যে শিশু সুরক্ষায় বৈষম্যের ইঙ্গিত দেয়।


৩৬ বছর পর পদোন্নতি পাওয়ায় প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে বনাঞ্চলে

পাঁচ শতাধিক ফরেস্টার থেকে হয়েছে ডেপুটি রেঞ্জার
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
হাবিবুর রহমান, মধুপুর (টাঙ্গাইল)

ফরেস্টার পদে বন বিভাগে চাকরিতে যোগদান। এক পদেই তাদের কেটেছে কারও ৩০ বছর, কারও ৩৫ বছর, কারও কর্মজীবনে কেটেছে ২৬টি বছর। পদোন্নতিহীন চাকরি জীবনে তারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বন ও বনজসম্পদ রক্ষায় জীবন বাজী রেখে দায়িত্ব পালন করেছে। বনভূমি, বন, বনজসম্পদ রক্ষা করতে গিয়ে পতিত হয়েছে কখনো কখনো মৃত্যুর মুখোমুখি। বনখেকো বনদস্যুদের আক্রমণে হামলা-মামলার শিকার হয়েছে। হয়রানি ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া-রাঘব বোয়ালদের কত রক্ত চক্ষুর কাল দৃষ্টির শিকার হয়েছে তার শেষ নেই। উপেক্ষা করতে হয়েছে নানা হুমকিধমকি। দেশের সম্পদ রক্ষা করতে গিয়ে অনেক মামলা রুজু করতে হয়েছে বন ভূমিদস্যু ও প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। কতবার দেশের এক প্রান্ত অন্য প্রান্তে মামলার সাক্ষী দিতে যেতে হয়েছে। পরিবার-পরিজন রেখে কাটাতে হয়েছে বনের টিলা টাঙ্গর হাওর-বাঁওড় বন-জঙ্গলের অফিসে অফিসে। এভাবেই কেটে গেছে তাদের জীবন-যৌবনের দীর্ঘসময়। তবুও বঞ্চিত হতে হয়েছে পদোন্নতি থেকে। প্রদোন্নতি বঞ্চনা যেন তাদের কুরে কুরে খেয়েছে। কর্মজীবনের শেষ প্রান্তে এসে ধরা দেয় তাদের স্বপ্নের পদোন্নতি। ফরেস্টার থেকে এখন তারা ডেপুটি রেঞ্জার পদ প্রাপ্তিতে তারা উদ্বেলিত উচ্ছ্বসিত। তাদের নিজ নিজ কর্ম এলাকায় ফিরেছে প্রাণচাঞ্চল্য। আনন্দে ভাসছে তারা। কর্মস্পৃহা আগের থেকে বেড়েছে। আনন্দে-খুশিতে কাটছে এ প্রাপ্তি। এসব সুখ-দুঃখ আনন্দ-বেদনার কথা জানিয়েছে বন বিভাগের টাঙ্গাইলসহ দেশের পাঁচ শতাধিক ফরেস্টার থেকে ডেপুটি রেঞ্জার পদে পদোন্নতি প্রাপ্তরা।

সম্প্রতি দেশের প্রায় ৪৫৩ জন বন বিভাগের ফরেস্টার থেকে ডেপুটি রেঞ্জার হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছে।

টাঙ্গাইলের মধুপুর রেঞ্জের দায়িত্ব প্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা ফরেস্টা সাইফুল ইসলাম বলেন, ২০ বছর তার চাকরি জীবনে এ পদোন্নতি পেয়ে খুশি। তারমতে, মাঠ পর্যায়ে সারাদেশেই কাজের গতি আগের চেয়ে বেড়ে গেছে। আরও কয়েকজন জানান, ৪৫৩ জনের অনেকেই এখন পদোন্নতি পেয়ে এসিএফের মতো ঊর্ধ্বতন পদে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় সারাদেশের ৫ শতাধিক বন কর্মকর্তার মধ্যে বইছে আনন্দের বন্যা। তাদের পদোন্নতির বিষয়ে আবেদন স্মারকলিপি দৌড়ঝাঁপ করেছে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা বনবিদ কেন্দ্রীয় কমিটির পরিশ্রমী সংগঠক আহ্বায়ক আব্দুল আহাদ।

এ ব্যাপারে মৌলবী বাজারের কুলাউড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা ও বাংলদেশ ডিপ্লোমা বনবিদ পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল আহাদ জানান, সারাদেশের ৪৫৩ জন তাদের পদোন্নতি পেয়েছে। তিনি ৩৬ বছর পূর্বে ফরেস্টার পদে যোগদান করেছিলেন। একই পদে ৩৬ বছর চাকরি করে আবার অনেকেই অবসর নিয়েছেন এবং অনেকের অবসরের সময় চলে আসছে। বনের ঊর্ধ্বতন পদে পদোন্নতির বিধান থাকলেও ফরেস্টার পদ থেকে অজ্ঞাত কারণে পদোন্নতি না দিয়ে বন বিভাগের মাঠ পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ এ পদের কর্মকর্তারদের বঞ্চিত করে রেখেছিল বলে তিনি মনে করেন। যথাসময়ে পদোন্নতি হলে তিনি এত দিনে সহকারী বন সংরক্ষক থাকত বলে জানান।

এ জন্য তিনি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, প্রধান বন সংরক্ষক আমির হোসেন চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা জানান।

জানা যায়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সাথে সাক্ষাৎ করে দাবি তুলে ধরেন ডিপ্লোমা বনবিদ পরিষদের নেতারা। পরে তাদের দাবি আমলে নিয়ে পদোন্নতির সিদ্ধান্ত গ্রহন করে এবং সম্প্রতি পদোন্নতির বিষয়ে গেজেট আকারে প্রকাশ করে বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে ডিপ্লোমা বনবিদ পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা সুনামগঞ্জ সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, দীর্ঘদিনের আন্দোলনের ফসল হলো- ফরেস্টারদের ডেপুটি রেঞ্জার পদে প্রমোশন। তিনি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা জানান। কিন্তু তাদের চাকরির মেয়াদও বেশিদিন নেই। তাই দ্রুত চাকরির নীতিমালা মোতাবেক ঊর্ধ্বতন পদে পদোন্নতি দেওয়া হবে বলেও তিনি মনে করেন।

এ ব্যাপারে বন অধিদপ্তরের বন সংরক্ষক মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘সারাদেশের ফরেস্টারদের পদোন্নতি আটকা ছিল। বর্তমান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মহোদয়ের ঐকান্তিক সানুগ্রহে ৩৬ বছর থেকে বঞ্চিত ফরেস্টাররা ডেপুটি রেঞ্জার হয়েছে।’ তিনি বলেন, অনেকের চাকরির মেয়াদ শেষের পথে। এরপরেও অবসরে যাওয়ার পূর্বে পদোন্নতি লাভ করায় তারা ডিপার্টমেন্টের প্রতি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।


banner close