রোববার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫
২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

ক্ষমতায় গেলে ভারতের দাদাগিরি বন্ধে গুরুত্ব দেবে বিএনপি: মির্জা ফখরুল

আপডেটেড
১৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১৬:২২
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১৬:২২

ভারত ১৭ বছরে আমাদের কিছু দেয়নি, বরং নিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সীমান্ত হত্যা বন্ধ, ন্যায্য পানির হিস্যা ও আমাদের ওপর পার্শ্ববর্তী দেশের দাদাগিরি বন্ধে গুরুত্ব দেওয়া হবে। মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে সহায়তা করেছিল ভারত। এ হিসেবে এ দেশকে তাদের ভালো কিছু দেওয়ার কথা। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য গত ১৭ বছরে তারা কিছু দেয়নি, বরং নিয়ে গেছে।
গতকাল শনিবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে মহানন্দা নদীর ওপর নির্মিত রাবার ড্যাম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা চাই, প্রতিবেশী দেশ ইচ্ছে করলেই আমাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে পারে এবং আমি মনে করি, যেহেতু ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তারা আমাদের সহায়তা করেছেন, তাই আরও বেশি করে আপনাদের বাংলাদেশকে সহায়তা করা দরকার। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা গত সরকার ও মোদি সরকারের সময় দেখেছি, উল্টো তারা বাংলাদেশির চাপে ফেলেছেন, সব নিয়ে গেছেন, কিন্তু বিনিময়ে আমাদের কিছু দেননি। এটা ছিল আওয়ামী লীগ ও হাসিনা সরকারের ব্যর্থতা- যে তারা কিছু নিতে পারেনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা শতভাগ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, এটা আমাদের রাজনীতি। আমরা বাংলাদেশ নামে যে ভূ-অঞ্চলে বাস করি, এখানকার পুরো পানির হিস্যা, আমাদের সীমান্তে হত্যা, আমাদের ব্যালেন্স অব ট্রেডের সব কিছু ঠিক করা, এই জিনিসগুলোকে আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে চাই।
এ সময় বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের আরেক উপদেষ্টা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক শাহজাহান মিঞা, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির শিল্প-বাণিজ্যবিষয়ক সহ-সম্পাদক ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. আমিনুল ইসলামসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এদিকে, বিকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে এক গণসমাবেশে জামায়াতের উদ্দশে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা খুব পরিষ্কার করে বলছি- আপনারা ভালো হয়ে যান। এই নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতিতো অনেক আগে থেকে শুরু হয়েছে। কেন মানুষকে বোকা বানাচ্ছেন। আপনাদের যত বিলবোর্ড দেখলাম, অন্য কোনো দলের তো এত দেখলাম না। যত পোস্টার দেখলাম, অন্য কোনো দলের এতো দেখলাম না। তাহলে কেন মানুষকে বোকা বানাচ্ছেন। আপনারাতো নির্বাচন করবেন। নির্বাচন না করলে আপনাদের অস্তিত্ব থাকবে না। নির্বাচন করলে আপনারা পরাজিত হবেন, তাই নির্বাচন পেছাতে চান।
মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধান উপদেষ্টা যে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে, এই নির্বাচন হতে হবে। এই নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। এই নির্বাচন দিতে যত দেরি হচ্ছে বাংলাদেশ তত দুর্বল হচ্ছে। জনগণের সমর্থন ছাড়া কোনো সরকার সফলতার সঙ্গে দেশ চালাতে পারে না।


বেনাপোলে পতাকা বৈঠকের পর ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি

ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এর হাতে আটক ১৫ বাংলাদেশি নাগরিককে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে।

গত শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভারতের পেট্রাপোল এবং বেনাপোল চেকপোস্ট আইসিপি ক্যাম্পের মধ্যে এ পতাকা বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিজিবির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল আইসিপি ক্যাম্প কমান্ডার মিজানুর রহমান এবং বিএসএফর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন এসি প্রবীণচান্দ।

হস্তান্তরকৃতরা হলো- আব্দুল হান্নান (৬০), হোসেন আলী (২৫), আকলিমা খাতুন (৫২), শাহানারা খাতুন (১৫), হাফিজুর রহমান (৩১), রেশমা খাতুন (২৮), আজমিরা (৫),বাবলুর রহমান (৪২), তাহামিনা বেগম (৩৭), জান্নাতুল বুশরা (৪),তাইজুল ইসলাম (৪৩), মোসা. নাসিমা খাতুন (৪১), শেফালী খাতুন (৩৬), মো. আমিনুর রহমান (৫৬) এবং মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন (২৯)। এরা খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।

জানা যায়, আটক ব্যক্তিরা গত তিন থেকে চার বছর ভারতের কলকাতায় অবস্থান করছিলেন। বিভিন্ন সময়ে সাতক্ষীরা ও সুন্দরবন সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে তারা সেখানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।

বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি আব্দুল আল মামুন জানান, বিএসএফ কর্তৃক হস্তান্তরকৃত ১৫ বাংলাদেশি নারী-পুরুষকে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে বিজিবি। এদের সমস্ত কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে রোববার তাদেরকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।


দাউদকান্দির বলদাখাল দখল-দূষণে মৃতপ্রায়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বলদাখাল এখন দখল ও দূষণের চরম সংকটে। একসময় স্বচ্ছ পানির স্রোতে ভরা এ খালটি আজ মৃতপ্রায়। নাব্যতা হারিয়ে দুর্গন্ধ, মশা, আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। সরকারি খাল ও খাসজমি দখল করে বছরের পর বছর প্রভাবশালী দখলদাররা নির্মাণ করেছে দোকানপাট ও স্থায়ী অবকাঠামো। অভিযোগ রয়েছে যারা দখল করে ব্যবসা চালাচ্ছেন, তারা স্থানীয়ভাবে বেশ প্রভাবশালী।

প্রায় দুই বছর আগে দাউদকান্দির সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিজ উদ্যোগে সাহাপাড়া এলাকা থেকে বলদাখালের প্রায় আধা কিলোমিটার অংশ দখলমুক্ত করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করেন। কিন্তু তার বদলির পর অভিযান থেমে যায়। আবারও শুরু হয় আগের মতো দখল।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পৌরসভার অন্তত দুই কিলোমিটার জুড়ে খালের অধিকাংশ অংশই অবৈধ দখলে। ফলে জনজীবন কৃষিনির্ভর অর্থনীতি ও পরিবেশের ওপর গুরুতর প্রভাব ফেলছে। দখলদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করতে প্রশাসন কার্যত ব্যর্থ হচ্ছে। ফলে খালটি উদ্ধার হবে কি না এ নিয়ে মানুষের মনে তৈরি হয়েছে গভীর সংশয়।

অবৈধ দখল ও বর্জ্য ফেলার কারণে খালটির স্বাভাবিক পানি প্রবাহ ব্যাহত হচ্ছে। শুষ্ক ও শীত মৌসুমে খাল প্রায় পানি শূন্য থাকে। জমে থাকা কচুরিপানা, আবর্জনা ও পলিথিনে হাটু সমান দুর্গন্ধ ছড়ায়। এতে বেড়েছে মশা-মাছির উপদ্রব।

স্থানীয় প্রবীণ নাজমুল হোসেন বলেন, একসময় এই খালে ছোট-বড় নৌকা চলাচল করত। ট্রলার মালবাহী নৌযান চলাচল করত। জেলেরা এই পথ দিয়ে বিভিন্ন নদীতে যেতেন। খালটি ছিল দাউদকান্দির অর্থনীতির অন্যতম প্রাণ ছিল।

গোমতী নদীর শাখা এ খালটি অতীতে এক নদী থেকে আরেক নদীতে যাতায়াতের সহজ পথ হিসেবে পরিচিত ছিল।

দাউদকান্দি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পৌর প্রশাসক রেদওয়া ইসলাম বলেন, বলদাখালকে দূষণমুক্ত রাখতে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন অভিযান নিয়মিতভাবে চালানো হচ্ছে। কেউ খালের জায়গা অবৈধভাবে দখল করলে উচ্ছেদসহ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দাউদকান্দির মানুষের দাবি শুধু সাময়িক অভিযান নয়, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে ঐতিহ্যবাহী বলদাখালকে দখলমুক্ত ও পুনরুজ্জীবিত করতে হবে। নয়তো দখল দূষণের চাপে খালটি পুরোপুরি হারিয়ে যাবে- এমন আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।


রূপগঞ্জে চায়না খলশে মাছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ার আশঙ্কা

অ্যাকুয়ারিয়াম থেকে মাছটি ছড়িয়েছে সারাদেশে
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

খলিশা মাছের মতো। কিন্তু আকারে এর চেয়ে খানিকটা বড়। রূপগঞ্জের বিভিন্ন মাছের আড়ত আর হাট-বাজারে প্রায়ই দেখা মেলে এ মাছের। স্থানীয়ভাবে মাছটি হাইব্রিড খলশে বা চায়না খলশে নামে পরিচিত। দামে সস্তা হওয়ায় মাছটি নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আগ্রাসী মাছটির বংশবিস্তার বাড়াচ্ছে শঙ্কা। কারণ, এ মাছ অন্য মাছের বংশবিস্তারের জন্য হুমকি।

বিষেজ্ঞরা বলছেন, সাকার মাছের মতো অ্যাকুয়ারিয়াম থেকেই এটি দেশে ছড়িয়েছে।’ দেশের অন্য মাছ রক্ষায় এটির চাষ ও পরিবহন নিষিদ্ধ করা উচিত।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, এই মাছের নাম ‘স্নেকস্কিন গুরামি’। স্থানীয় মাছের বংশবিস্তারের জন্য এ মাছ হুমকির। দ্রুত বংশবিস্তার করায় অন্য মাছের জায়গা এটি দখল করে ফেলে। দামে কম হওয়ায় স্বল্প আয়ের মানুষের মধ্যে মাছটির চাহিদা বাড়ছে।

রোববার সকালে সরেজমিনে গাউছিয়া বাজার মাছের আড়তে দেখা যায়, অন্যান্য মাছের সঙ্গে নিলামে এই মাছ বিক্রি করছেন আড়তদারেরা। পাইকারিতে এক মণ মাছের দাম উঠেছে সর্বোচ্চ ৩ হাজার ২০০ টাকা। সে হিসাবে কেজিতে দাম পড়ে মাত্র ৮০ টাকা।

বিসমিল্লাহ মাছের আড়তের মালিক রিয়াজ মিয়া বলেন, বিভিন্ন এলাকার জলাশয়ে পাওয়া যাচ্ছে এ মাছ। পাইকারিতে প্রতি কেজি ৭৫ থেকে ৯০ টাকায় এ মাছ বিক্রি হয়।

দেশের অন্য মাছ রক্ষায় এটির চাষ ও পরিবহন নিষিদ্ধ করা উচিত। পাশাপাশি মৎস্য অধিদপ্তরেরও সতর্ক হওয়া উচিত।

অ্যাকুয়ারিয়ামের জন্য মাছ আমদানির অনুমতি দেয়ার আগে সেসব মাছের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা উচিত। তা না হলে এভাবেই ধীরে ধীরে দেশীয় প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হবে বলে জানান স্থানীয় জেলেরা।

উপজেলার কাঞ্চন বাজারের মাছ বিক্রেতা রতন সরকার বলেন, পুকুর, খাল-বিল ও ডোবা-জলাশয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায় বলে এ মাছের জোগান বেশি। আবার কাটা কম থাকায় অনেকে শিশুদের জন্য এ মাছ কিনে নিচ্ছেন। বিশেষ করে স্বল্প আয়ের মানুষ এ মাছের ক্রেতা। কারণ, এটিই বাজারের সবচেয়ে সস্তা মাছ।

উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের কায়েতপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণ গোপাল বলেন, ২০২৪ সালের পর থেকেই জলাশয়, ধানের মাঠসহ সব জায়গায় প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে মাছটি।

জানতে চাইলে মুড়াপাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এ মাছ খাদ্য হিসেবে বিষাক্ত নয়। খেতে অনেকটা তেলাপিয়া মাছের মতো।

সাকার মাছের মতো অ্যাকুয়ারিয়াম থেকেই এটি দেশে ছড়িয়েছে।’ দেশের অন্য মাছ রক্ষায় এটির চাষ ও পরিবহন নিষিদ্ধ করা উচিত।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, ‘হঠাৎ এ মাছ উপজেলায় বেশি দেখা যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। এ মাছ অন্য প্রজাতির মাছের জন্য হুমকি।’


ফেনীতে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ফেনী প্রতিনিধি

ফেনীর ট্রাংক রোডের মুক্ত বাজার এলাকায় নির্মিত জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রোববার ভোরে স্মৃতিস্তম্ভে আগুনের বিষয়টি দেখতে পান স্থানীয়রা। তবে এতে বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।

স্থানীয়রা জানান, জুলাই স্মৃতিস্তম্ভের ফ্লোরের কিছু অংশ ও কয়েকটি অক্ষর আগুনে পুড়ে গেছে। তবে এতে বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ফেনী জেলা সংগঠক ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন সাবেক সমন্বয়ক মুহায়মিন তাজিম বলেন, আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগের লোকজন জনমনে ভীতি তৈরির জন্য এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে। আমি মনে করি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনগুলোতে হামলা প্রতিরোধে প্রশাসনকে আরও বেশি তৎপর হতে হবে।

ফেনী সদর মডেল থানার ওসি শামসুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পুলিশ এ বিষয়ে কাজ করছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

ফেনী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের বলেন, সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজ দেখে ঘটনার সাথে জড়িতদের সনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ সুপার আরো বলেন, হেলমেট পরিহিত যুবক আগুন দিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে।


গ্যাস সংকটে যমুনা সার কারখানায় দিনে লোকসান সাড়ে ৩ কোটি টাকা

*২৩ মাস ধরে বন্ধ সরিষাবাড়ীর যমুনা সার কারখানা *পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন হাজারও শ্রমিক *শিল্পকারখানাটি বন্ধ থাকায় মরিচা ধরে নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান যন্ত্রাংশ
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি

গ্যাস সংকটে ২৩ মাস ধরে উৎপাদন বন্ধ হয়ে পড়ে আছে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার তারাকান্দিতে অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ দানাদার ইউরিয়া উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা সার কারখানা (জেএফসিএল)। প্রতিষ্ঠানটিতে প্রতিদিন লোকসান হচ্ছে সাড়ে ৩ কোটি টাকা। দীর্ঘদিন ধরে এই শিল্পকারখানাটি বন্ধ থাকায় মরিচা ধরে নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান যন্ত্রাংশ। ফলে আসন্ন বোরো মওসুমে ইউরিয়া সারের সংকট হতে পারে বলে মনে করছে কৃষকরা।

দীর্ঘদিন ধরে কারখানাটি বন্ধ থাকার কারণে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত ও বিভিন্ন পরিবহনের হাজার হাজার শ্রমিক পরিবার। অতি দ্রুত পুনরায় গ্যাস সংযোগ দিয়ে কারখানাটি চালু করে এ উপজেলার হাজার হাজার শ্রমিক পরিবারের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

জানা যায়, ১৯৯১ সালে তারাকান্দি এলাকায় প্রতিষ্ঠিত হয় এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ দানাদার ইউরিয়া উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা সার কারখানা। এ কারখানাটি বাংলাদেশ রাসায়নিক শিল্প সংস্থা নিয়ন্ত্রণাধীন এবং কেপিআই-১ মানসম্পন্ন সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। কারখানার সঠিক উৎপাদনের জন্য প্রতিদিন গড়ে ৪২ থেকে ৪৩ পিএসআই গ্যাসের প্রয়োজন হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই কারখানাটি প্রতিদিন ১ হাজার ৭০০ টন সার উৎপাদন করছিল। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে গ্যাসের প্রেসার স্বল্পতা ও নানা ত্রুটির কারণে উৎপাদন কমে গিয়ে ১ হাজার ২০০ টনে নেমে আসে।

এ কারখানা থেকে জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল ও উত্তরাঞ্চলের রাজবাড়ী ও উত্তরবঙ্গের ১৬ জেলায় প্রায় আড়াই হাজার ডিলারের মাধ্যমে সার সরবরাহ করা হয়ে থাকে। গত ২০২৪ সালের ১৫ জানুয়ারি থেকে তিতাস কোম্পানি গ্যাসের প্রেসার কমিয়ে দেওয়ার কারণে উৎপাদন ও কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বেকার হয়ে পড়ে কারখানাসংশ্লিষ্ট শ্রমিক, কর্মচারী, পরিবহনের চালক, হেলপার, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও হোটেল মালিকরা।

এদিকে বন্ধ থাকার দীর্ঘ ১৩ মাস পর ২০২৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি গ্যাস সংযোগ পেয়ে আবার উৎপাদনে ফিরে কারখানাটি। উৎপাদন শুরুর ৪ দিনের মাথায় কারখানার অ্যামোনিয়া প্ল্যান্টে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ২৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাত ৭টার পর ফের উৎপাদন বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। তারপর থেকে বন্ধ রয়েছে বৃহৎ এ কারখানাটি। দীর্ঘ ২৩ মাস ধরে কারখানাটি বন্ধ থাকায় প্রতিদিন সাড়ে ৩ কোটি টাকা করে লোকসান হচ্ছে বলে জানান সিবিএ নেতারা। অতি দ্রুত গ্যাস সংযোগ দিয়ে দেশের বৃহৎ এ শিল্পকারখানাটি সচল করতে না পারলে এক সময়কার চিনি ও পাট শিল্পের মতো এ কারখানাটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানান স্থানীয়রা।

এদিকে গত ১৫ আগস্ট বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান যমুনা সার কারখানা পরিদর্শন করতে এসে দ্রুতই পুনরায় গ্যাস সংযোগ দিয়ে কারখানা চালু করার আশ্বাস দেন। তবে আশ্বাস দেওয়ার ৩ মাস হলেও চালু হয়নি এ কারখানাটি।

যমুনা সার কারখানা এলাকার একাধিক শ্রমিক জানান, এ কারখানার সাথে জড়িত শত শত ট্রাক, ট্যাংক ও লড়ি পরিবহন আছে। দীর্ঘদিন ধরে কারখানা বন্ধ থাকার কারণে আমরা শ্রমিকরা পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছি। কারখানা বন্ধ থাকলেও প্রতিদিন সকালে কারখানার সামনে এসে বসে থাকি চালুর আশায় ও কাজের আশায়। অধিকাংশ দিনই খালি হাতে বাড়িতে ফিরে যেতে হয়। কারখানা এভাবে বন্ধ থাকলে আমরা না খেতে পেরে মারা যাব।

যমুনা সার কারখানা শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন (সিবিএ) সাধারণ সম্পাদক মোরর্শেদ আলম তালুকদার বলেন, প্রায় ২ বছর ধরে কারখানাটি বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। এতে করে কারখানার ডিলারদের আমদানিকৃত সার সরবরাহ করা হচ্ছে। কারখানাটি চালুর বিষয়ে আমরা একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ অনুপ সিংহ বলেন, যমুনা সার কারখানার সারের গুণগত মান ভালো। আমাদের কৃষকরা যমুনার সার জমিতে ব্যবহার করে। এতে ফসলের ফলন ভালো হয় ও গুণগত মান বৃদ্ধি পায়। আমদানিকৃত সারগুলো দীর্ঘদিন ধরে কারখানায় মজুত রাখার কারণে এটির গুণগত মান অনেকটাই কমে যায়। ফলে কৃষক আমদানি করা সার শষ্যখেতে ব্যবহার করতে চায় না। কৃষি ও কৃষকের কথা চিন্তা করে হলেও সার কারখানাটি চালুর প্রয়োজন।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) ব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক) এস.এম আব্দুল্লাহ আল মাসুদ মুঠোফোনে বলেন, গ্যাস সংযোগ দেওয়ার বিষয়ে তিতাস কর্তৃপক্ষের সাথে কথা হয়েছে। খুব তারাতাড়ি যমুনা সার কারখানায় পুনরায় গ্যাস সংযোগ দেওয়া হবে। যাতে আবার আগের মতো যমুনা সার কারখানা পুরোদমে উৎপাদনে ফিরতে পারে। আশা করি অতি দ্রুত বাস্তবায়ন হবে।


নতুন পোশাকে পুলিশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ পুলিশের নতুন পোশাক বাহিনীর সদস্যদের গায়ে উঠেছে। ঢাকা মহানগর পুলিশসহ (ডিএমপি) দেশের সব মহানগর পুলিশ ও বিশেষায়িত ইউনিটে নতুন পোশাক পরেছে পুলিশ। তবে জেলা পুলিশ এখনো তা পায়নি। পর্যায়ক্রমে তারাও নতুন পোশাক পাবে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। গতকাল শনিবার থেকে বাংলাদেশ পুলিশের পরিবর্তিত নতুন পোশাক চালু হয়েছে।
তবে এখনই সর্বস্তরে বা সবার কাছে নয়, সদস্যদের মধ্যে সীমিত পরিসরে এ পোশাক সরবরাহ করা হচ্ছে। নীল ও সবুজ রঙের পরিবর্তে নতুন একটি রঙের পোশাক পরবেন রেঞ্জ ও মহানগর পুলিশ সদস্যরা।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন বিভাগের উপকমিশনার তালেবুর রহমান বলেন, গতকাল শনিবার থেকে চালু হলো পুলিশের নতুন পোশাক। এটা ধাপে ধাপে সব সদস্যকে দেওয়া হবে।
পুলিশ সদর দপ্তরের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) এ এইচ এম শাহাদাত হোসাইন বলেন, জেলা ও রেঞ্জ পুলিশ পর্যায়ক্রমে নতুন এই পোশাক পরবেন। তবে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ও স্পেশাল প্রটেকশন ব্যাটালিয়নের (এসপিবিএন) আগের পোশাক থাকবে।
এর আগে, মঙ্গলবার পোশাকের সঙ্গে সঙ্গে সবারই মন-মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে মন্তব্য করে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছিলেন, পোশাক পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। পুলিশের জন্য, র‌্যাবের জন্য এবং আনসারের জন্য। তিনটা সিলেক্ট করা হয়েছে। এটা ইমপ্লিমেন্ট হবে আস্তে আস্তে।
জানা যায়, তিন বাহিনীর সদস্যদের নতুন পোশাকের জন্য ব্যয় হবে ৬ থেকে ৭ কোটি টাকা।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে দমন-পীড়নের অভিযোগ ওঠার পর থেকে সমালোচনার মুখে থাকা পুলিশ বাহিনীর সংস্কার ও পোশাক পরিবর্তনের দাবি উঠলে অন্তর্বর্তী সরকার নতুন পোশাক অনুমোদন করে। এরই অংশ হিসেবে মহানগর পুলিশে লৌহ রঙের নতুন পোশাক দেওয়া হয়েছে। পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), ট্যুরিস্ট পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, নৌ এই পোশাক পরবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশ বাহিনীর কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ ছিল গোটা দেশের মানুষ। পুলিশ সদস্যদের পোশাকও অনেকের কাছে আতঙ্ক হয়ে দাঁড়ায় সেসময়। আবার পুলিশ সদস্যরা পোশাক পরে বের হতেও সংকোচবোধ করতেন। অনেক পুলিশ সদস্য ট্রমায় ভুগেছেন দীর্ঘদিন। সরকার পতনের পর থেকে আলোচনায় থাকলেও অবশেষে চূড়ান্ত হয়েছে পুলিশ বাহিনীর নতুন পোশাক।
তবে ২০২০ সাল থেকেই বাংলাদেশ পুলিশের পোশাক পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা চলছিল। ২০২১ সালের শুরুর দিকে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের জন্য বেশ কয়েকটি পোশাকের ট্রায়ালও হয়। তারপরও নানা কারণে নতুন পোশাক পাননি বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা।
পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার বাহিনীর পোশাক পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পুলিশের নতুন পোশাক হচ্ছে ‘আয়রন’ রঙের, র‌্যাবের ‘অলিভ’ আর আনসার বাহিনীর জন্য ‘গোল্ডেন হুইট’।


রামগতিতে ইটভাটা বন্ধের প্রতিবাদে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রামগতি-কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ইটভাটা বন্ধের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন কয়েক হাজার শ্রমিক। আজ রোববার (১৫ নভেম্বর) সকাল ১০ টা থেকে শুরু হওয়া মানববন্ধন চলে দুপুর ১ টা পর্যন্ত। এসময় লক্ষ্মীপুর-রামগতি আঞ্চলিক সড়কের রামগতি উপজেলা পরিষদের সামনে তিনঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। দীর্ঘ তিনঘণ্টা ধরে চলা মানববন্ধনে শ্রমিকরা জানান, রামগতিতে ৪৪টি ইটভাটা থাকলেও ইতোমধ্যে বিভিন্ন কারণে ৭ টি ইটভাটা বন্ধ হয়ে গেছে। এসব ভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে প্রায় ৫০ হাজার লোক। আর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে এ শিল্পে জড়িত রয়েছে আরও ৪০ হাজার লোক। সব মিলিয়ে প্রতি বছর লক্ষাধিক মানুষের আয় রোজগারের একমাত্র মাধ্যম ইটভাটাগুলো। ইটভাটার যেমন ক্ষতিকর দিক রয়েছে, তেমনি উপকারের দিক বিবেচনায় করে এ শিল্পকে সরকারের নীতিমালার আওতায় এনে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখার দাবি জানান তারা।

বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা বলেন, এ অঞ্চলে বর্তমানে কোন কাজকর্ম নেই। ভাটাগুলো বন্ধ হলে হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়বে। এঅবস্থায় সরকার ও প্রশাসনের মানবিক দৃষ্টি কামনা করেন তারা। অন্যথায় তাদের জীবিকা নির্বাহের এই মাধ্যমটি কোন ভাবেই বন্ধ করতে দিবেনা শ্রমিকরা। এসময় কাফনের কাপড় পরিধান করে রাস্তায় বসে পড়েন তারা।

ভাটার মালিকরা বলেন, হঠাৎ করে দেশীয় ইটভাটা বন্ধের সিদ্ধান্তে চরম বেকারত্বের ঝুঁকিতে পড়বে ইটভাটার সাথে জড়িত এ অঞ্চলের প্রায় লক্ষাধিক শ্রমিক। তারা ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে কোটি কোটি টাকা ব্যায় করে ফেলেছেন। ভাটাগুলো বন্ধ হলে তাদের আত্মহত্যা করা ছাড়া কোন উপায় নেই। সে দিক বিবেচনা করে ইটকে শিল্প হিসেবে নিয়ে নীতিমালার আওতায় আনা জরুরি বলে মনে করছেন তারাও।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন-ইটভাটা মালিক, হাজী খলিল, রাসেল, আল আমিন ও বাবুল সহ ইটভাটার ১০ জন মালিক।


যাত্রী বেশে অটোরিকশা ছিনতাই চেষ্টা, দুজনকে ধরে পুলিশে দিল জনতা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি  

ময়মনসিংহে কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের নান্দাইলের চামটা এলাকায় যাত্রীবেশে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের চেষ্টার সময় দুই ছিনতাইকারীকে হাতেনাতে ধরেছে জনতা। আজ রবিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে।

ছিনতাইকারী দুজন হচ্ছেন তরিকুল ও ইমন। তাদের বাড়ি নান্দাইল উপজেলার চন্ডীপাশা এলাকায়।

খবর পেয়ে পুলিশ এসে ওই দুজনকে জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও অটোরিকশাচালক ফাইজুল জানান, নান্দাইল চৌরাস্তা এলাকা থেকে যাত্রী নিয়ে কানারামপুর আসছিলেন চালক ফাইজুল ইসলাম। নান্দাইল ফেরার পথে দুই যাত্রী তরিকুল ও ইমন অটোরিকশায় ওঠেন। এ সময় ২০০ টাকা ভাড়া ধার্য করেন।

কিছুদূর আসতেই ময়মনসিংহ কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের নান্দাইলের চামটা এলাকায় পৌঁছতেই এক যাত্রী সিগারেট কেনার কথা বলে চালককে থামতে বলেন।

এ সময় তরিকুল ও ইমন চালককে জোর জবরদস্তি করে চাবি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। ওই সময় চালকের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে তরিকুল ও ইমনকে ধরে ফেলে পরে উত্তম মধ্যম দিয়ে বেঁধে রাখে।

নান্দাইল থানার এসআই আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দুজন অটোরিকশা ছিনতাইয়ের চেষ্টার কথা স্বীকার করেন।

এই দুজন অটোরিকশা ছিনতাই চক্রের সদস্য।


ঝিনাইদহে খুচরা সার বিক্রেতাদের মানববন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

খুচরা সার বিক্রেতাদের বহাল রাখা ও টিও লাইসেন্সের দাবিতে ঝিনাইদহে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালিত হয়েছে।
রোববার সকালে হরিণাকুন্ডু উপজেলা মোড়ে এ কর্মসূচীর আয়োজন করে খুচরা সার বিক্রেতা এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ। এতে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার খুচরা সার বিক্রেতারা অংশ নেয়। কর্মসূচীতে সংগঠনটির সদস্য শামীম আহম্মেদ চাঁদ, নয়ন হোসেন, মনির হোসেনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।
সেসময় বক্তারা বলেন, খুচরা সার বিক্রেতাদের বাতিল করতে প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। এটা বাস্তবায়ন হলে দেশের ৪৪ হাজার ব্যবসায়ী ও তাদের পরিবারসহ ৫ কোটি কৃষক সরাসরি ক্ষতিগ্রস্থ হবে। তাই এ সিন্ধান্ত বাস্তবায়ন না করার আহ্বান জানানো হয় কর্মসূচী থেকে। পরে সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক ঘুরে উপজেলা কৃষি অফিসের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার মাধ্যমে কৃষি সচিব বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেন ব্যবসায়ীরা।


মেহেরপুরে স্কুল শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কার ও ছাত্রীর সাথে বিয়ের দাবিতে মানব বন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মেহেরপুর প্রতিনিধি  

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার হাড়াভাঙ্গা এইচ বি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজু আহমেদের সঙ্গে দশম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীর ভিডিও কলে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়াই ওই শিক্ষকের স্থায়ী পদত্যাগের দাবিতে মানব বন্ধন করেছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

বিদ্যালয়ের দায়িত্বশীল পদে থাকা একজন শিক্ষা কর্মকর্তার এ ধরনের আচরণের ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই জেলাজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র প্রতিক্রিয়া,নিন্দা ও ক্ষোভের ঝড়।

গত শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) বিকেল থেকে অশ্লীল কথাবার্তার ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ‍্যমে। আজ সোমবার ১৬ নভেম্বর সকাল দশটার দিকে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিদ‍্যালয়টির সামনে মানব বন্ধন করে।

ভিডিওটি কয়েকটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে আপলোড হওয়ার পর দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, বলা হয়ে থাকে শিক্ষা জাতীর মেরুদণ্ড আর সেখানে শিক্ষকের চরিত্র যদি এমণ হয়। তাহলে জাতির মেরুদণ্ড কেমন হবে আপনারই বলুন?

একজন প্রধান শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থীর সঙ্গে এমন অনৈতিক আচরণ শুধু নিন্দনীয়ই নয়, তা গোটা শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য লজ্জাজনক।

অভিভাবকরা বলছেন,আমাদের সন্তানদের শিক্ষাদানের জন‍্য স্কুলে পাঠাই,আর শিক্ষকরা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পিতার মত। আর সেই শিক্ষককের এমন আচরণ মেনে নেয়া যায় না। তাই তাকে আজীবনের জন‍্য বহিষ্কার চাই।

দশম শ্রেনী পড়ুয়া শিক্ষার্থী জীবন বলেন,রাজু স‍্যার আমাদের বন্ধুর বাবা। আর আমাদের বান্ধবীর সাথে প্রেম করা,আবার তার সাথে অনৈতিক কাজ করা মানে নিজের মেয়ের সাথে এমনটি করার সমান।

আরেক শিক্ষার্থী বলেন, রাজু স‍্যারের সাথে আমাদের বান্ধবির বিয়ে দিতে হবে,আর কাবিন করে দিতে হবে এক কোটি টাকা। যাতে করে দুদিন বাদে মেয়েটিকে তালাক দিতে না পারে।

শিক্ষার্থীর অভিভাবক স্থানীয় বাসিন্দা মজিবুল বলেন,আমাদের এইচ বি স্কুলের রাজু স‍্যার বেশ কয়েক বছর আগে এক এনজিও কর্মির স্ত্রীর সাথে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকাকালীন স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়ে। আবার এলাকায় আদম ব‍্যাবসা করে অনেককেই নিঃশ্ব করেছে। এবার শুরু করেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি নষ্ট করতে। এই শিক্ষককের আজীবন নিষিদ্ধের দাবি জানাচ্ছি।

রাজু আহমেদের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। তার হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো বার্তা ও কলও গ্রহণ হয়নি।

কাজিপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলম হুসাইন বলেন, শিক্ষক রাজু আহমেদের অনেক অভিযোগ শুনছি। এমন শিক্ষক যে প্রতিষ্ঠানে থাকবে সেখানে শিক্ষার্থীরা নিরাপদ নই। তাই আমরা এই বিষয়ে সব্বোর্চ দপ্তর পযর্ন্ত জানাবো। এবং তার স্থায়ী বহিষ্কারের জন‍্য আবেদন জানাচ্ছি। শিক্ষক রাজু স্কুলের অফিসে বসে মোবাইল এই ধরনের কর্মকান্ড চালিয়ে যেতো।

গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার বিষয়টি শুনেছি। বিষয়টি অভিযোগ পেলে অবশ্যই তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার হোসেন জানান,বিষয়টি আমরা শুনেছি ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারা চাইলে আদালতেও যেতে পারবেন।


সুন্দরবনে বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকার, আটক ৫

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাগেরহাট প্রতিনিধ

বাগেরহাটের মোংলা সুন্দরবনের মরা পশুর এলাকায় বিষ দিয়ে মাছ ধরার সময় পাঁচ দুষ্কৃতকারীকে আটক করেছে বন বিভাগ।

শনিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে চাঁদপাই স্মার্ট প্যাট্রল টিমের সদস্যরা নিয়মিত টহল দেয়ার সময় বনের ভিতরে ঠাকুর খালে কীটনাশক দিয়ে মাছ ধরার সময় ওই পাঁচ দুষ্কৃতকারীকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি কীটনাশকের বোতল ও সাত কেজি চিংড়ি মাছ এবং একটি ডিঙ্গি নৌকা জব্দ করা হয়। আটক ব্যক্তিরা হলেন মো. জামাল শেখ (৪৫), মো. ইমদাদুল সরদার শেখ (৪০), মো. রাসেল শেখ (২৮), মো. রমজান সরদার (২৭), মো. রাজু সরদার (২২)। আটককৃত সকলে বাগেরহাট জেলার মোংলা উপজেলার বাসিন্দা।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগ চাঁদপাই রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) দীপন চন্দ্র দাস এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, আটক আসামিদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়ের শেষে বাগেরহাট আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।


রাজধানীতে তিন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ

গাজীপুর, না’গঞ্জে দুই বাসে আগুন
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর মিরপুরে এবং হাতিরঝিলে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। হাতিরঝিলে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরে যায়। গতকাল শনিবার বিকাল সাড়ে পাঁচটা থেকে সাড়ে ৭টার মধ্যে মিরপুরের বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এলাকায়, মিরপুর-১২ মেট্রো স্টেশনের নিচে এবং হাতিরঝিলের মধুবাগ ব্রিজের নিচে পৃথক ৪টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে এসব ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। এছাড়া গতকাল শনিবার সাত সকালে গাজীপুরের হারিকেন এলাকায় যাত্রীবাহী একটি বাস এবং রাত আটটার দিকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে একটি মিনিবাসে আগুনে পুড়ে গেছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের মিরপুর বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) মো. মিজানুর রহমান জানান, বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে বিআরটিএ এলাকায় একটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে কে বা কারা এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, তা জানা যায়নি।

এদিকে সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে হাতিরঝিলের মধুবাগ ব্রিজের নিচে আরেকটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে হাতিরঝিল থানা পুলিশ। এ ঘটনায় ঘটনাস্থলে থাকা একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরে যায়।

হাতিরঝিল থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) ফুয়াদ আহমেদ বলেন বলেন, বিস্ফোরণে কেউ হতাহত হয়নি। ঘটনাস্থলে পুলিশ কাজ করছে।

এদিকে পল্লবী থানা পুলিশ বলছে, সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে মিরপুর-১২ মেট্রো স্টেশনের নিচে আচমকা ২টি ককটেল বিস্ফোরণ করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে পল্লবী থানা পুলিশ উপস্থিত রয়েছে।

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল এলাকায় সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের সামনে একটি মিনিবাসে আগুন দেওয়া হয়।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি শাহীনূর আলম ওসি বলেন, আগের দিন (শুক্রবার রাত ১০টার দিকে মহাসড়কের ওপর নাফ পরিবহনের মিনিবাসটি থামিয়ে রেখে চালক চলে যান। রাতে বাসটি সেখানেই ছিল। শনিবার সকাল ছয়টার দিকে বাসটিতে আগুন জ্বলতে দেখতে পান স্থানীয়রা।

পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভান। ততক্ষণে বাসের সিটগুলো পুড়ে যায়। তবে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত নাকি যান্ত্রিক ত্রুটি, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

গাজীপুর প্রতিনিধি জানান, গাজীপুরের হারিকেন এলাকায় গতকাল রাত ৮টার দিকে যাত্রীবাহী একটি বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

জয়দেবপুর চৌরাস্তা ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার তাজউদ্দীন আহমদ বলেন, বাসটির পেছন দিকে হঠাৎ আগুন লেগে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাসটি ঢাকার দিকে যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ আগুন লেগে গেলে যাত্রীরা লাফিয়ে বাস থেকে নেমে প্রাণ বাঁচান।

গাছা থানার ডিউটি অফিসার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শরীয়ত উল্লাহ বলেন, হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তদন্ত শেষে অগ্নিকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে জানা যাবে।


ময়মনসিংহে ১৯ ছাত্রদল নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ময়মনসিংহ ব্যুরো

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিটের সদ্য বহিষ্কৃত হওয়া ১৯ জন ছাত্রদল নেতার বহিষ্করাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে ক্রিকেটারের ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে রিভিউ আবেদন করেছেন। শনিবার দুপুরে গৌরীপুর উপজেলা সদরের পাট বাজারে বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের এমন আবেদন জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে এ দাবি জানানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বহিষ্কৃত হওয়া ১৯ জনের মধ্যে ১৬ জন নেতা উপস্থিত ছিলেন।

গৌরীপুর পৌর ছাত্রদলে সদ্য বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল ইসলাম পিয়াস সংবাদ সম্মেলনে বলেন, জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে মনোনয়ন বঞ্চিত আহাম্মদ তায়েবুর রহমান হিরণের নিদের্শনায় গত ৯ নভেম্বর গৌরীপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে নারী সমাবেশের আয়োজন করা হয়। একই দিন ওই নারী সমাবেশ থেকে ১ কিলোমিটার দূরে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এম ইকবাল হোসেইনের সমর্থনে সভার আয়োজন করা হয়। ইঞ্জিনিয়ার এম ইকবাল হোসেইন সভাস্থলে যাওয়ার পথে তাদের গাড়িবহর থেকে স্থানীয় ও বহিরাগত সন্ত্রাসীরা অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে নারী সমাবেশে মঞ্চ, চেয়ার, মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এতে সভাস্থলে উপস্থিত মা ও শিশুসহ ৫০ জনের বেশি আহত হয়। এরপর ছাত্রদলের কর্মী তানজিন আহমেদ আবিদের স্ট্রোক করে মারা যাওয়ার ঘটনাকে হত্যার গুজব ছড়িয়ে দেয়া হয়।

পিয়াস আরো বলেন, ১০ নভেম্বর ময়মনসিংহ উত্তর জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন তালুকদার সাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আমাদের ১৯ জনকে কোন কারণ দর্শানো ছাড়াই বহিষ্কার করা হয়। বিগত ৩ দিনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায় ময়মনসিংহ উত্তর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরুজ্জামান সোহেলের নেতৃত্বে স্থানীয় ও বহিরাগত সন্ত্রাসীরা সভাস্থলে হামলা করে। সোহেল নিজের কৃতকর্ম আড়াল করার জন্য আমাদের বহিষ্কার করে ঘটনার মোড় অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে দাবি জানাচ্ছি ঘটনাটি নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে পুনর্বিবেচনা করা হোক।

ময়মনসিংহ উত্তর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরুজ্জামান সোহেল জানান, যারা বহিষ্কৃত হয়েছেন তারা যদি দলের সিদ্ধান্ত মেনে দলের পক্ষে কাজ করে এবং বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জন্য লিখিত আবেদন করে। তাহলে আমরা বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দকে জানাবো।


banner close