রোববার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
গহিরা মহাকবি নবীন সেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

একজন শিক্ষার্থীকে পাঠদানে কর্মরত ১ জন শিক্ষক!

রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশিত
রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ২৩ নভেম্বর, ২০২৫ ১৮:১২

গহিরা মহাকবি নবীন সেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। শিশু থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান হয় এ বিদ্যালয়ে। কিন্তু শিক্ষার্থীর সংখ্যা মাত্র ৩৮ জন। বিদ্যালয়টি পরিদর্শনে দেখা যায়, তৃতীয় শ্রেণির ক্লাসে একজন মাত্র শিক্ষার্থী উপস্থিত। তাকে একজন শিক্ষিকা টেবিলের সামনে দাঁড় করিয়ে পাঠ্যপাঠ করছেন। অন্য শ্রেণিকক্ষগুলো নিস্তব্ধ- শিক্ষার্থী নেই, তাই পাঠদানও বন্ধ। বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে আরও দুজন শিক্ষককে দেখা যায়। তারা জানান, পঞ্চম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী মাত্র দুজন, আজকে দুজনই অনুপস্থিত। শিশু শ্রেণিতে ১০ জনের মধ্যে উপস্থিত ৬ জন, প্রথম শ্রেণিতে ১১ জনের মধ্যে ৫ জন, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ২ জন, তৃতীয় শ্রেণিতে ৭ জনের মধ্যে উপস্থিত ১ জন এবং চতুর্থ শ্রেণিতে ৮ জনের মধ্যে ৫ জন উপস্থিত ছিলেন। ৬ জন শিক্ষকের পদ থাকলেও বর্তমানে রয়েছেন মাত্র ৩ জন সহকারী শিক্ষক।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিবি জয়নাম বলেন, ‘শিক্ষার্থী সংকটে বিদ্যালয়টি বন্ধের প্রস্তাব উপজেলা শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়েছে।’ শিক্ষক, শ্রেণিকক্ষ ও প্রশাসনিক জনবল সংকটে বিপর্যস্ত রাউজান উপজেলার সরকারি প্রাথমিক শিক্ষা। ১৮১ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৮১টিতে প্রধান শিক্ষক নেই। সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য অর্ধশতাধিক। ফলে প্রায় অর্ধেক বিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের ওপর নির্ভর করে চলছে। এসব কারণে বিদ্যালয়ে দিন দিন কমছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, এখানে শিক্ষকের পাশাপাশি কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংকটও মারাত্মক। ৮টি সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার (এটিও) পদে রয়েছেন মাত্র ৩জন। ৫জন অফিস সহকারীর মধ্যে কর্মরত আছেন ২জন।

গত বছর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর স্থানীয় রাজনৈতিক কারণে আটটি বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এদের মধ্যে সাতটি বিদ্যালয় সাবেক সংসদ সদস্য ফজলে করিম চৌধুরী ও তার মা-বাবার নামে নামকরণ করা হয়েছিল। বাকি একটি বিদ্যালয়ের নাম স্থানীয় জনদাবির পরিপ্রেক্ষিতে পরিবর্তনের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নরুন্নবী বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পেলে নাম পরিবর্তন কার্যকর হবে।’

বিদ্যালয়গুলো পরিদর্শনে শিক্ষার্থীরা বেঞ্চে গাদাগাদি করে বসে পাঠ নিচ্ছে এমন অন্তত ৩০টি বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষ সংকটের তীব্রতা পেয়েছে। অনেক বিদ্যালয়ে নতুন ভবনের নির্মাণকাজ অর্ধসমাপ্ত অবস্থায় বছরের পর বছর পড়ে আছে। এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিশ্বজিৎ চৌধুরী বলেন, ‘আমি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছি। ৯০ জন শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষক রয়েছেন মাত্র চারজন।’ হলদিয়া সাজেদা করিব চৌধুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানে আলম শরীফ জানান, বিদ্যালয়ে ৮০ শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক আছেন তিনজন। দুটি পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। শিক্ষক সংকট: রাউজানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অধিকাংশই নারী। তাদের প্রায় ৮০ শতাংশ বসবাস করেন চট্টগ্রাম নগরীতে। সকালে সংসারের কাজ গুছিয়ে বের হতে বিলম্ব হয়, আবার যানজটে পড়ে বিদ্যালয়ে পৌঁছাতে সময় লাগে। ফলে অনেক বিদ্যালয়ে শিক্ষক উপস্থিতি হয় সকাল ১০টার পর।


রসুন আবাদে ঝুঁকেছে চাটমোহরের কৃষকরা

*দুই দশক ধরে বিনাহালে রসুন রোপণ করছেন নারীরা *গত বছরে উৎপাদন হয়েছিল ৩৭,১৫০ মে. টন *এ বছর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৪৭,৯১৫ মে. টন
চাটমোহরের ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের রসুন রোপণ করছেন নারী শ্রমিকরা।
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
চাটমোহর (পাবনা) সংবাদদাতা

বিনাহালে সাদা সোনা খ্যাত রসুন আবাদে ঝুঁকেছে পাবনার চাটমোহর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন এর কৃষকেরা। গত বছর আবাদকৃত রসুনের দাম তুলনামূলক কম পাওয়ার পরও কৃষকরা রসুন আবাদ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়নি। কৃষকের কথা দাম কম হলেও চাষাবাদ খরচ ও ঝামেলা কম হওয়ায়, অন্যান্য ফসলের চেয়ে লাভ অনেক বেশি বিনাহালে রসুন আবাদে। উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন বিনাহালে রসুন আবাদ হয়।

চলনবিলের রসুনের আবাদ এ অঞ্চলের কৃষকের অন্যতম অর্থকরী ফসলে পরিণত হয়েছে। প্রায় দুই দশকের অধিক সময় ধরে বিনাহালে রসুনের আবাদ হচ্ছে এ উপজেলাতে। রসুন রোপনে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন নারীরা। বীজ বাছাই ও রোপণে কাজ করেন তারা। একজন মহিলা কৃষিশ্রমিক প্রতিদিন ৩ শত থেকে ৪ শত টাকা মজুরী পান আর পুরুষ কৃষিশ্রমিকেরা ৫ শত টাকা থেকে ৬ শত টাকা মজুরি পান।

কয়েকজন কৃষি শ্রমিকদের সাথে কথা বললে তারা বলেন আমনের আবাদ ঘরে তোলার পর আমাদের তেমন কোনো কাজ থাকে না এসময় আমাদের একটু অভাবের মাঝেই দিন অতিবাহিত হলেও, বিনাহালে রসুন চাষ পদ্ধতি চালু হওয়ায় গত কয়েক বছর আমাদের বসে থাকতে হয়না সেজন্য পারিবারিক চাহিদা মিটিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে দিন কাটাতে পারি। আবার এ রসুন ঘরে তোলার সময়ও আমরা কাজ করি সব মিলিয়ে আমাদের এখন সবসময় কাজ থাকে।

নারী কৃষি শ্রমিকরা বলেন, আমরা গ্রামে থাকার কারনে এখানে তেমন কোন কর্মসংস্থান নেই যে আমরা বাড়ির কাজ করে কিছু টাকা উপার্জন করব, অনেক সময় পরিবারের সমস্যা বা কারো চিকিৎসা করাতেও হিমশম খেতে হত। কারন পরিবারের একজন এর আয় দিয়ে প্রয়োজন মেটানো কঠিন হয়। এখন আমরা এই সময়ের অপেক্ষায় থাকি কারণ বিনাহালে রসুন বপন করে আমরা প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা পাই তাতে করে বেশ কিছুদিন কাজ করলে বাড়তি আয় হয়। আবার রসুন জমি থেকে তোলার পর আমাদেরই বাছাই এর জন্য কাজ দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে এমন চাষ পদ্ধতি আমাদের ভালো একটা আয়ের উৎস।

চাটমোহর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৩,৮৫০ হেক্টর জমিতে আবাদ করে ৩৭,১৫০ মেট্রিক টন উৎপাদন হয়েছিল, গড় ফলন ছিল ৯.৬৫ মেট্রিক টন। আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ৪,৫৫০ হেক্টর আবাদ ও ৪৭,৯১৫ মেট্রিক টন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

পাবনা জেলার মধ্যে চাটমোহর উপজেলাতেই কেবল এই পদ্ধতিতে (বিনাহালে) রসুনের আবাদ হয়। পাশের জেলা নাটোরের

গুরুদাসপুর, সিংড়া, তাড়াশ উপজেলাতে এই পদ্ধতি চাষ হয় রসুনের।

উপজেলার ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের বালুদিয়ার গ্রামের কৃষক আশরাফ শেখ জানান, ৫ বিঘা জমিতে তিনি বিনাহালে রসুন আবাদ করেছেন। আমন ধান কাটার পর জমি থেকে আগাছা পরিস্কার করে জমি ভেজা বা কাঁদা মাটি থাকতেই প্রতি এক বিঘা জমিতে ৩০ কেজি টিএসপি,২৫ কেটি পটাশ এবং ১৫ কেচি জীপসাম সার ছিটিয়ে পরের দিনই সারিবদ্ধভাবে বীজ রোপন রসুন করতে হয়। এক বিঘা জমিতে ২ মণ বীজ লাগে। বীজ রোপন করার পরই খড় বা বিচালি দিয়ে পুরো জমি ঢেকে দিতে হয়। এক মাস পর পানি সেচ দিয়ে ১০ কেজি ইউরিয়া সার দিতে হয় বিঘাপ্রতি। এক পদ্ধতিতে রোগ বালাই নেই বললেই চলে। একশত দিনের মধ্যে ফসল ঘরে ওঠে।বিঘাপ্রতি উৎপাদন ২৫ থেকে ৩০ মণ পর্যন্ত হয়।

উপজেলার বিলচলন ইউনিয়ন বোঁথর গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, এ বছর ৭ বিঘা জমিতে তিনি বিনাহালে রসুন আবাদ করেছেন। এক বিঘা জমিতে সব মিলিয়ে খরচ হয় ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা। তবে কৃষি শ্রমিকের মজুরি বেড়ে যাওয়ায় খরচও বেড়েছে। তারপরও দাম কম হলেও ৬০ হাজার টাকার রসুন বিক্রি করা হয়। দাম বেশি হলে লক্ষাধিক টাকার বেশি পাওয়া যায়।

পক্ষান্তরে আমনের আবাদ শেষে বেশ কিছুদিন মাটি কর্দমাক্ত থাকার কারনে কাঙ্ক্ষিত রবিশস্য চাষ করা সম্ভব হয়না। যার ফলে জমি পতিত পরে থাকে সেই সময়টাকেই কাজে লাগিয়ে আবাদ করা হচ্ছে তাতে করে এ চাষে বাড়তি আয়ের সম্ভাবনাও দেখছে কৃষক। এবং দেশের অর্থনীতিতে ব্যপক ভূমিকা রাখতে অগ্রণী ভূমিকা পালনে অংশীদার হচ্ছে।

চাটমোহর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ কুন্তলা ঘোষ জানান, বিনাহালে রসুন আবাদ সঠিক ব্যবস্থাপনা ও কৃষকদের সহযোগিতা পেলে এ লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।


সেন্ট মার্টিনে ১ ডিসেম্বর থেকে যাবে জাহাজ

থাকছে রাতে থাকার সুযোগও
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনে জাহাজ চলাচল শুরু হতে যাচ্ছে। থাকছে রাতে থাকার সুযোগও। তবে দৈনিক দুই হাজারের বেশি পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে পারবেন না।

কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া জেটিঘাট থেকে সকাল সাতটায় জাহাজ ছেড়ে যাবে। পরের দিন বিকাল তিনটায় সেন্ট মার্টিন থেকে সেই জাহাজ কক্সবাজারে ফিরে আসবে। আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত টানা দুই মাস পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য সাতটি জাহাজ প্রস্তুত করা হয়েছে।

এদিকে সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী, ১ নভেম্বর থেকে পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য সেন্ট মার্টিন উন্মুক্ত করা হয়। তবে রাতে থাকার ব্যবস্থা না থাকায় এখন পর্যন্ত একজন পর্যটকও দ্বীপ ভ্রমণে যাননি। জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় আগামী আট দিনেও কোনো পর্যটকের দ্বীপ ভ্রমণের সুযোগ নেই।

পর্যটকবাহী জাহাজ মালিকদের সংগঠন ‘সি ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের’ সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বলেন, রাতে থাকার সুযোগ না থাকায় নভেম্বর মাসে কোনো পর্যটক সেন্ট মার্টিন ভ্রমণে যেতে আগ্রহ দেখাননি। এ কারণে জাহাজ চলাচলও বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে ১ ডিসেম্বর থেকে টানা দুই মাস রাত্রিযাপনের ব্যবস্থা আছে। পর্যটকেরাও দ্বীপ ভ্রমণে যেতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

কক্সবাজার শহর থেকে সেন্ট মার্টিনের দূরত্ব ১২০ কিলোমিটার। যেতে সময় লাগে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা। জাহাজগুলো হলো—এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস, এমভি বারো আউলিয়া, এমভি বে ক্রুজ, এমভি কাজল, কেয়ারী সিন্দাবাদ, কেয়ারী ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন ও আটলান্টিক ক্রুজ।

সেন্ট মার্টিন ভ্রমণের সরকারি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া সেন্ট মার্টিনে কোনো নৌযান চলাচল করতে পারবে না। পর্যটকদের অবশ্যই বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের স্বীকৃত ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে টিকিট কিনতে হবে। প্রতিটি টিকিটে ট্রাভেল পাস ও কিউআর কোড সংযুক্ত থাকবে। কিউআর কোড ছাড়া টিকিট নকল হিসেবে গণ্য হবে।

পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের উপপরিচালক খন্দকার মাহবুব পাশা গণমাধ্যমকে বলেন, পর্যটক পারাপারের সময় জাহাজগুলোকে কঠোর নজরদারিতে রাখা হবে। দুই হাজারের বেশি পর্যটক যেতে দেওয়া হবে না। এ জন্য নুনিয়ারছড়ার বিআইডব্লিউটিএ জেটিঘাট ও সেন্ট মার্টিন জেটিঘাটে পৃথক তল্লাশির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।


ভূমিকম্পের সময় কী করবেন, কী করবেন না

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

দেশে গত সাড়ে ৩১ ঘণ্টায় চারবার ভূমিকম্প হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল শনিবার সকালে একবার ও সন্ধ্যায় পরপর দুবার ভূকম্পন অনুভূত হয়। এর আগে শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে রাজধানীসহ আশপাশের এলাকা।

শুক্রবারের ভূমিকম্প সারা দেশেই অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের সময় অনেকেই আতঙ্কে ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসেন। আতঙ্কে অনেকেই ভবন থেকে লাফিয়েও পড়েন। এতে শিশুসহ ১০ জন নিহত ও ছয় শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।

ভূমিকম্পের সময় কিছু করণীয় আছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ভূমিকম্পের সময় করণীয় নিয়ে একগুচ্ছ পরামর্শ দিয়েছে। দেখে নেওয়া যাক পরামর্শগুলো কি কি।

কী করবেন, কী করবেন না

ভূকম্পন অনুভূত হলে আতঙ্কিত হবেন না। ভূকম্পনের সময় বিছানায় থাকলে বালিশ দিয়ে মাথা ঢেকে টেবিল, ডেস্ক বা শক্ত কোনো আসবাবের নিচে আশ্রয় নিন।

রান্নাঘরে থাকলে গ্যাসের চুলা বন্ধ করে দ্রুত বেরিয়ে আসুন। বিম, কলাম ও পিলার ঘেঁষে আশ্রয় নিন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবস্থানকালে স্কুলব্যাগ মাথায় দিয়ে শক্ত বেঞ্চ অথবা শক্ত টেবিলের নিচে আশ্রয় নিন। ঘরের বাইরে থাকলে গাছ, উঁচু বাড়ি, বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে দূরে খোলাস্থানে আশ্রয় নিন।

গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি, হাসপাতাল, মার্কেট ও সিনেমা হলে থাকলে বের হওয়ার জন্য দরজার সামনে ভিড় কিংবা ধাক্কাধাক্কি না করে দুহাতে মাথা ঢেকে বসে পড়ুন।

ভাঙা দেয়ালের নিচে চাপা পড়লে বেশি নড়াচড়ার চেষ্টা করবেন না। কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে রাখুন, যাতে ধুলাবালু শ্বাসনালিতে না ঢোকে।

একবার কম্পন হওয়ার পর আবারও কম্পন হতে পারে। তাই সুযোগ বুঝে বের হয়ে খালি জায়গায় আশ্রয় নিন।

ওপর তলায় থাকলে কম্পন বা ঝাঁকুনি না থামা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে; তাড়াহুড়ো করে লাফ দিয়ে বা লিফট ব্যবহার করে নামা থেকে বিরত থাকুন।

কম্পন বা ঝাঁকুনি থামলে সিঁড়ি দিয়ে দ্রুত বেরিয়ে পড়ুন এবং খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নিন।

গাড়িতে থাকলে পদচারী–সেতু, উড়ালসড়ক, গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে দূরে গাড়ি থামান। ভূকম্পন না থামা পর্যন্ত গাড়ির ভেতরে থাকুন। ব্যাটারিচালিত রেডিও, টর্চলাইট, পানি এবং প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জাম বাড়িতে রাখুন।


নতুন পে স্কেলের দাবিতে ডিসেম্বরে মহাসমাবেশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

নতুন পে স্কেলের দাবিতে আগামী ডিসেম্বর মাসে মহাসমাবেশ করবেন কর্মচারীরা। কমিশনকে দেওয়া আলটিমেটামের আগেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্মচারী নেতারা।

নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়নে কর্মসূচি ঠিক করতে গতকাল শনিবার বৈঠকে বসে কর্মচারীদের কয়েক ডজন সংগঠন। সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের নেতৃত্বে এই বৈঠক থেকে আগামী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ঢাকায় মহাসমাবেশের কর্মসূচি ঠিক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক কর্মচারী নেতা।

এদিকে কমিশন গঠনের পর অর্থ উপদেষ্টা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, এই সরকারই নতুন বেতন কাঠামো কার্যকর করবে। কিন্তু সম্প্রতি উপদেষ্টা জানিয়েছেন, নির্বাচিত সরকার নতুন কমিশনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। বিষয়টি নিয়ে কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়লে একজোট হয় বিভিন্ন কর্মচারী সংগঠন। সময় বেঁধে দিয়ে তারা বলেন, ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পে কমিশন সুপারিশ জমা না দিলে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করা হবে।

পে কমিশন সূত্রে খবর, সুপারিশ প্রণয়নের কাজ এখনো অনেক বাকি। এই মুহূর্তে কমিশন সুপারিশের একটি খসড়া তৈরির কাজ করছে। ইতোমধ্যে সুপারিশ তৈরির ৫০ শতাংশের মতো কাজ শেষ করেছে কমিশন। এই সপ্তাহে সচিবদের মতামত গ্রহণের পর কমিশন রিপোর্ট চূড়ান্তকরণের দিকে এগোবে বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, গত জুলাইয়ের শেষ দিকে সাবেক অর্থসচিব জাকির আহমেদ খানকে সভাপতি করে ২৩ সদস্যের জাতীয় বেতন কমিশন-২০২৫ গঠন করে সরকার। প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ ছিল, কমিশনের প্রথম সভার তারিখ থেকে ছয় মাসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন সরকারের কাছে জমা দিতে হবে।


কুলাউড়ায় প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণের উদ্বোধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কুলাউড়া প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে রবি মৌসুমের ফসলের বীজ ও রাসায়নিক সার বিনামূল্যে বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে । রোববার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে কৃষি অফিসের প্রশিক্ষণ কক্ষে প্রান্তিক কৃষকদের উপস্থিতিতে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণের উদ্বোধন করা হয়।

উপজেলা কৃষি অফিসার মুহাম্মদ জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মহিউদ্দিন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন উপজেলায় অনেক ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক রয়েছেন যারা বীজ ও সারের অভাবে রবি মৌসুমে বোরোসহ অন্যান্য ফসলের চাষ করার সুযোগ পান না। সরকার এসব কৃষকদের রবি মৌসুমের চাষে উদ্বোদ্ধ ও উৎপাদন বৃদ্ধি কল্পে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তিনি কৃষকরা সরকারের দেয়া এ প্রণোদনার সুযোগ গ্রহণ করে নিজেদের স্বাবলম্বী করার পাশাপাশি উৎপাদনে অগ্রণী ভূমিকা রাখবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নিবাস চন্দ্র পাল, বন বিভাগের কুলাউড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল আহাদ, উপ- সহকারি উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার রঞ্জিত কুমার চন্দ প্রমুখ।

উপজেলা কৃষি অফিসার মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন জানান ২০২৫-২৬ অর্থবছরে রবি মৌসুমে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বোরো ধান (উফশী ও হাইব্রিড), গম সরিষা, সূর্যমুখী (উফশী ও হাইব্রিড), চিনা বাদাম, অড়হড় ফসল আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপজেলার ২০৮৫ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ করা হবে। তিনি আরো জানান এ কর্মসূচির আওতায় সরকারের সুবিধা প্রাপ্ত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা উৎপাদনের ঘাটতি পূরণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।


ডাকাতি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে এক ডাকাত নিহত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

‎পিরোজপুরে ডাকাতির সময় গণপিটুনিতে এক ডাকাতের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১টা ৩০ মিনিটের দিকে সদর উপজেলার ৩নং দুর্গাপুর ইউনিয়নের পশ্চিম দুর্গাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একজন আহত হয়েছেন।

‎পিরোজপুর সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোল্লা রমিজ জাহান জুম্মা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

‎নিহতের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে আটককৃত সবুজ হাওলাদারের (৫৫) বাড়ি বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার দেহেরগতি গ্রামে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

‎পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতরাত ১টা ৩০ মিনিটের দিকে সদর উপজেলার ৩ নম্বর দুর্গাপুর ইউনিয়নের পশ্চিম দুর্গাপুর গ্রামের অনুকূল রায়ের বাড়িতে দেশীয় অস্ত্রধারী ৬ থেকে ৭ জনের এক ডাকাত দল প্রবেশ করে। ডাকাতরা ঘরের বাইরে অবস্থানরত লোকজনকে অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে দরজা খুলে দিতে বাধ্য করে। পরে গৃহকর্তা বাধ্য হয়ে দরজা খুলে দেন। ঘরে ঢুকেই তারা অনুকূল রায়ের পরিবারের অন্যান্য সদস্যকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এবং তার কন্যা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা রিঙ্কু রায়কে মাথায় আঘাত করে আহত করে। ডাকাত দল ঘর থেকে আনুমানিক ৫ ভরি সোনা, ৮ ভরি রুপা, একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ও নগদ ১৩ হাজার ৫০০ টাকা লুট করে দ্রুত পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় পরিবারের সদস্যদের ডাকচিৎকারে আশপাশের গ্রামবাসী এগিয়ে এসে ডাকাত দলের দুই সদস্যকে আটক করতে সক্ষম হয়। বাকিরা পালিয়ে যায়। এসময় উত্তেজিত জনতা আটক ডাকাতদের গণপিটুনি দিলে তারা গুরুতর আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত দু’জনকে উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক একজন ডাকাতকে মৃত ঘোষণা করেন এবং অপরজনকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

‎পিরোজপুর সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোল্লা রমিজ জাহান জুম্মা বলেন, রাত আড়াইটার দিকে খবর পেয়ে পিরোজপুর সদর থানার উপ-পরিদর্শক রাধা রমনের নেতৃত্বে থাকা পুলিশের একটি টহল টিম পশ্চিম দূর্গাপুর গ্রাম থেকে আহত অবস্থায় দুইজনকে উদ্ধার করে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক একজনকে মৃত বলে ঘোষণা করে। বাকিরা পালিয়ে গেছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।


কুষ্টিয়া দৌলতপুরে ফুলকপি চাষে  কৃষকের বাজিমাত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

শীতকালীন সবজি বাঁধাকপি ও ফুলকপি, সবজিখ্যাত কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুরের বেশ কয়েকটি এলাকায় এ সবজির চাষ করছেন কৃষকেরা। প্রাকিতিক ভাবে মাটি উর্বর হওয়ায় বাঁধাকপি ও ফুলকপি চাষে সফলতা পেয়েছেন এ উপজেলার চাষিরা।

স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এ সব কপি চলে যাচ্ছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। বর্তমানে প্রতি বিঘা জমিতে কপি বিক্রি করে লাভ হচ্ছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে প্রতি বিঘা কপি চাষ করতে খরচ হচ্ছে প্রায় ৩০ হাজার টাকা। আর প্রতি বিঘা জমির কপি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকায়। কৃষকরা বলছেন, বর্তমানে বাঁধাকপি ও ফুলকপির চাহিদা বেশি হওয়ায় বাজারে দাম তুলনামূলকভাবে একটু বেশি। তাই লাভও বেশি।

উপজেলার গরুড়া গ্রামের বাসিন্দা মহি উদ্দিন বলেন, শীতে আগাম জাতের ৭ বিঘা জমিতে বাঁধাকপি ও ফুলকপি চাষ করেছেন তিনি। এর মধ্যে ২ বিঘা জমির কপি বিক্রি করেছেন ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার। আরোও ৫ বিঘা কপি বিক্রির উপযোগী হয়নি। এ কৃষক বলেন, ‘প্রতি বিঘা জমিতে খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। প্রতি বিঘাতে লাভ হবে ৫০ হাজার টাকা।’

আমিরুল ইসলাম নামের আরেক কৃষক বলেন, ‘৭ বিঘা জমিতে বাঁধাকপি এবং ফুলকপি চাষ করেছিলাম। খরচ হয়েছিল বিঘাপ্রতি ৩০ হাজার টাকা। বিক্রি করেছি সাড়ে ৩ বিঘা ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকায়। এখনোও সাড়ে ৩ বিঘা কপি আছে, বাজার দর ভালো,ভালো দামের আশা করেন তিনি।’ একই এলাকার কৃষক সামিরুল ইসলাম বলেন, আগে তামাক চাষ করতাম, কপি অনেক লাভজনক আবাদ ‘২ বিঘা কপি লাগিয়েছি। ১ বিঘা বিক্রি করেছিলাম ৮০ হাজার টাকায়। আড়ায় থেকে ৩ মাসের আবাদ শীতের মৌসুমে ভালো হয়।’

এদিকে উপজেলার ধর্মদহ গ্রামের ওবাইদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ৩ বিঘা ফুলকপি লাগিয়েছি, তাতে প্রায় ১ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমান বাজারে বিক্রি করলে বিঘা প্রতি ৩৫ হাজার টাকা লাভ হবে।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রেহানা পারভীন বলেন, ‘এবছর দৌলতপুরে শীতকালীন কপির চাষের লক্ষ মাত্রা ৩৪২ হেক্টর জমিতে তা পুরন হয়েছে ২৬০ হেক্টর জমি। চাষিদের শীতকালীন কপি চাষে উদ্বুদ্ধকরন, পরামর্শ সহ সব ধরনের সহযোগীতার কথা জানান কৃষি বিভাগ।

প্রতিবছর বৃদ্ধি পাচ্ছে দৌলতপুরে সবজি চাষ তাতে ব্যাপক লাভবান হচ্ছে কৃষকরা বলে জানান এই কর্মকর্তা।


পঞ্চগড়ে শূন্যরেখা অতিক্রমকালে গরু চোরাকারবারী আটক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নীলফামারী প্রতিনিধি

পঞ্চগড় সীমান্তে শূন্যরেখা অতিক্রমের বুলু (৩৫) নামে এক গরু চোরাকারবারীকে আটক করেছে ৫৬ বিজিবি। শনিবার রাত ৩টার দিকে সদর উপজেলার আবালুপাড়া এলাকায় ভেতর গড় বিওপির একটি আভিযানিক দল এ অভিযান পরিচালনা করে। আটককৃত বুলু পঞ্চগড়ের পকলাভিটা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে।

৫৬ বিজিবি জানায়, পঞ্চগড়ের ভিতরগড় এলাকায় একটি সংঘবদ্ধ চক্র দীর্ঘদিন ধরে গরু চোরাচালানের উদ্দেশে ভারতে প্রবেশ করে। তারই অংশ হিসেবে ৮ জন চোরাকারবারী অজ্ঞাত স্থান দিয়ে ভারতে গিয়ে বিএসএফের তাড়া খেয়ে ফেরার পথে সীমান্ত পিলার ৭৪৪/৮-আর এলাকা দিয়ে শূন্যরেখা অতিক্রম করে। এ সময় বিজিবির অভিযানে একজনকে আটক করা সম্ভব হয়, বাকিরা পালিয়ে যায়।

আটক ব্যক্তির ভাষ্য মতে, সে ও তার সঙ্গে থাকা পঞ্চগড় সদরের আবালুপাড়ার জসিম (৪০), মইদল (৩৫), সংগ্রাম (২৯), সাদেক (৩২), আবু খায়ের (২৮), আশরাফুল এবং সোখদেবপাড়ার বাপ্পি (১৫) গরু চোরাচালানের উদ্দেশে ভারতে প্রবেশ করেছিল।

আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে পঞ্চগড় সদর থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ধৃত ব্যক্তিকে আইনি প্রক্রিয়া শেষে থানায় হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে।


ফরিদপুরে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ভোটার প্রশিক্ষণ

আপডেটেড ২২ নভেম্বর, ২০২৫ ২১:১৮
মাহবুব পিয়াল, ফরিদপুর

‘বাংলাদেশ সোসাইটি ফর দ্য চেঞ্জ অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি নেক্সাস (বি-স্ক্যান) রাইজিং উইথ রাইটস ভোটার এডুকেশন ফর পারসনস উইথ ডিজঅ্যাবিলিটিজ (ভিইপিডি)’ প্রকল্পের আওতায় ফরিদপুরে প্রতিবন্ধী ব্যাক্তিদের নিয়ে দিনব্যাপী ভোটার শিক্ষা প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার স্থানীয় প্রতিবন্ধী ব্যক্তি সংগঠন (ওপিডি) গ্রাম উন্নয়ন সংস্থা (ভিডিও) এর সহযোগিতায় ফরিদপুরের এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেলথ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ইলেকটোরাল সিস্টেমস (আইএফইএস)-এর সহযোগিতায় এই ক্যাসকেড প্রশিক্ষণটি অনুষ্ঠিত হয়।

২০২৫ সালের অক্টোবর মাস থেকে শুরু হওয়া এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো বাংলাদেশের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা এবং তাদের রাজনৈতিক অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা।

প্রকল্পটি ঢাকা, ফরিদপুর ও দিনাজপুর জেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে, যেখানে প্রায় ৬০০০ প্রতিবন্ধী মানুষকে বিভিন্নভাবে এই ভোটার হিসেবে করণীয় সম্পর্কে নানাভাবে সচেতন করা হবে।

ওই প্রশিক্ষণে বি-স্ক্যানর নির্বাহী পরিচালক সালমা মাহবুব, পরিচালক ইফতেখার মাহমুদ, গ্রাম উন্নয়ন সংস্থা থেকে নির্বাহী পরিচালক বিপ্লব কুমার মালো, আইএফইএস এর মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন অফিসার নাসিরুল ইসলাম, সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার শাওনি ইমাম উপস্থিত ছিলেন।

প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের ভোট প্রদান প্রক্রিয়া, নির্বাচনী ব্যবস্থায় প্রবেশগম্যতা, নেতৃত্ব ও জনওকালতির বিষয়ে দক্ষতা উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। এই প্রশিক্ষণে মোট ২০ জন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি অংশগ্রহণ করেছেন।

প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বি-স্ক্যান ও আইএফইএস বিশ্বাস করে, এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা তাদের সংবিধান প্রদত্ত ভোটাধিকার স্বাধীনভাবে, আত্মবিশ্বাস এবং মর্যাদার সঙ্গে প্রয়োগ করতে সক্ষম হবেন।


নানা আয়োজনে খাসিদের ঐতিহ্যবাহী ‘খাসি সেং কুটস্নেম’ উদযাপন 

আপডেটেড ২২ নভেম্বর, ২০২৫ ২১:২১
কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি

নাচে-গানে আদিবাসী খাসিয়া সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী ১২৬তম বর্ষ বিদায় ও বর্ষবরণ অনুষ্ঠান উদযাপন করা হয়েছে। খাসিয়া সম্প্রদায়ের পাশাপাশি এই বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বাঙালি ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষসহ দেশি-বিদেশি পর্যটকরা অংশগ্রহণ করেন। বর্ষপুঞ্জি অনুযায়ী ১২৬তম বর্ষকে বিদায় ও ১২৭তম বর্ষকে বরণ করে নিলেন খাসিয়া জনগোষ্ঠী।

ব্রিটিশ শাসন আমল থেকে ভারতের মেঘালয় রাজ্যে ২৩ নভেম্বর খাসি বর্ষ বিদায় ‘খাসি সেঙ কুটস্যাম’ পালন করা হয়। তবে বিভিন্ন সমস্যার কারণে শনিবার দিনব্যাপী মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের মাগুরছড়া খাসিয়া পুঞ্জিতে খাসিয়া সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী এ বর্ষবিদায় ও বর্ষবরণ অনুষ্ঠান খাসিয়া ভাষায় ‘খাসি সেং কুটস্নেম’ (Khasi Seng Kutsnem) অনুষ্ঠিত হয়।

খাসিয়া সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী এ উৎসবে সিলেট অঞ্চলের প্রায় অর্ধশত খাসিয়া পুঞ্জির প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে সকল পুঞ্জি প্রধানকে পাগড়ি পড়িয়ে সম্মাননা জানানো হয় এবং আমনত্রীত অতিথিদের উত্তরীয় পরিয়ে দেয়া হয়।

জানা যায়, সেং কুটস্নেম বা বর্ষ বিদায় খাসিয়াদের একটি সার্বজনীন উৎসব। প্রাচীন খাসিয়া সমাজে দেবতার প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশের মধ্য দিয়েই এ উৎসব পালিত হতো। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও কমলগঞ্জ উপজেলার মাগুরছড়া পুঞ্জির খেলার মাঠে নানা সমাহারে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।

মাগুরছড়া ফুটবল মাঠের একপ্রান্তে বাঁশের খুঁটির ওপর প্রাকৃতিক পরিবেশে নারিকেল গাছের পাতার দিয়ে ছাউনী দিয়ে আলোচনা সভার মঞ্চ তৈরি করা হয়। এ মঞ্চে বৃহত্তর সিলেট আদিবাসী ফোরামের কো-চেয়ারম্যান ও মাগুরছড়া খাসিয়া পুঞ্জি প্রধান জিডিসন প্রধান সুচিয়াংয়ের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাখন চন্দ্র সূত্রধর, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, মৌলভীবাজার-৪ শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী আলহাজ মো. মুজিবুর রহমান চৌধুরী হাজী মুজিব, এনসিপি (যুগ্ম সদস্য সচিব) শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ আসনের প্রার্থী প্রীতম দাশ প্রমুখ।


নরসিংদীতে বিচার বিভাগীয় সন্মেলন অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ২২ নভেম্বর, ২০২৫ ২১:১৯
নরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদীতে বিচার বিভাগ কর্তৃক ‘Civil Rulers and Orders ও Criminal Rules and Orders (Pratice and Procedure of Subordiants Courts)-2009’ এর 480 অনুযায়ী বিচার বিভাগীয় সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে জেলা জজ আদালত ভবনে এ সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র বিচারক শেখ হুমায়ূন কবীর।

এ সময় নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালের বিচারক মুহাম্মাদ আলী আহসান, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ লুৎফর মজিদ নয়ন, পুলিশ সুপার মো. মেনহাজুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কলিমুল্লাহ, পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাড. আব্দুল বাছেদ ভূঁইয়া, সিভিল সার্জন ডা. সৈয়দ আমিরুল হক শামীম, জেল সুপার মো. তারেক কামাল, আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. আ.মান্নান ভূঁইয়া, জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধিসহ স্থানীয় বিচার বিভাগের উধ্র্বতন কর্মকর্তার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় আগত অতিথিরা দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলার বিচার নিষ্পত্তি ও বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি করণ, পারিবারিক মামলায় লেভি ওয়ারেন্ট, সাজা পরোয়ানা তামিল, ফৌজদারি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন, গ্রেপ্তারি ও ক্রোক পরোয়ানা তামিল, ফৌজদারি মামলায় সাক্ষী হাজিরা নিশ্চিত করণ, জারি মোকদ্দমার নিষ্পত্তি ত্বরান্বিতকরণ, জব্দকৃত আলামত সংরক্ষণ ও নিষ্পত্তিকরণ, ময়না তদন্তের প্রতিবেদন ও জখমি সনদপত্র, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেওয়ানি ও ফৌজদারির পুরাতন মামলাসমূহ নিষ্পত্তির উপায় উদঘাটনসহ আদালতে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ সমূহ নিয়ে বক্তব্য রাখেন।


রূপগঞ্জে ঝুঁকিতে ৮৫ শতাংশ ভবন

*বড় ধরনের ভূমিকম্পে লক্ষাধিক প্রাণহানির শঙ্কা *২০২৩ সালের ২৫ এপ্রিল হওয়া ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল তারাব
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

ঢাকাসহ সারাদেশে গত শুক্রবার ৫.৭ মাত্রার হয়ে যাওয়া ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল রূপগঞ্জের খুব কাছেই মাধদীতে। এ কারণে ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে আছে রূপগঞ্জ। গত ২০২৩ সালের ২৫ এপ্রিল একটি ভূমিকম্প হয় যার উৎপত্তিস্থল ছিল রূপগঞ্জের তারাব। রিখটার স্কেলে এটি ছিল ৪ মাত্রার। একই বছরের ১৭ এপ্রিল ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল রূপগঞ্জের ডহরগাঁও। সেই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৩ মাত্রা।

রূপগঞ্জে বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে ৮৫ শতাংশ ভবন ধসে পড়তে পারে এবং প্রাণহানি লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা। ১৭৬.০৮ বর্গ কিলোমিটার আয়তন বিশিষ্ট রূপগঞ্জের ৭টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌর সভায় মোট ৭ লাখ ৪ হাজার ৭২ জন লোকের বসবাস। গত চার বছরে দেশের ভেতরে ৩৭টি ভূকম্পন ঘটলেও বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি। তবে শুক্রবারের ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প বাস্তব ঝুঁকি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে।

শুক্রবার ঢাকাসহ দেশের অধিকাংশ অঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়। নজিরবিহীন এই ঝাঁকুনিতে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেক ভবন ফেটে গেছে। একজন শিশু নিহত হয়েছে। তার মা ও প্রতিবেশি আশঙ্কাজন অবস্থায় রয়েছে। গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিকরা হুরুহুরি করে নামতে গিয়ে আহত অনেকেই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে রয়েছেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, চারদিকে অবস্থানরত সক্রিয় টেকটনিক প্লেটগুলো অস্বাভাবিক গতিশীল অনুমোদনহীন ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের সংখ্যা বেড়েছে কয়েক হাজার।

সরকারী মুড়াপাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর নুরুজ্জামান বলেন, ‘অনেক ভবন পুরানো হয়ে গেছে। তারাব চনপাড়া ঘনবসতিপূর্ন এলাকা। এগুলোর প্রায় ৮৫ শতাংশই ঝুঁকিপূর্ণ। নতুন অনেক ভবনও ভূমিকম্প প্রতিরোধী নকশা ছাড়া নির্মাণ করা হচ্ছে। বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে এক থেকে দেড় লাখ মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণ, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রীর ব্যবহার এবং সাগরের নিকটে হওয়ায় নির্মাণসামগ্রীর কিউরিং প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ায় ভবনগুলো আরও দুর্বল হয়ে পড়ে।

প্রকৌশলী আক্তার হোসেন বলেন, ‘যেসব ভবন রেট্রোফিটিং করে ঝুঁকিমুক্ত করা সম্ভব, সেগুলো করতে হবে। আর যেগুলো টেকনিক্যালি ঝুঁকিমুক্ত করা সম্ভব নয়, সেগুলো ভেঙে ফেলতে হবে। উদ্ধারকারী বাহিনীর গাড়ি চলাচল নিশ্চিত করতে সংকীর্ণ সড়কগুলো প্রশস্ত করতে হবে। পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর উচিত নিয়মিত মানুষকে সতর্ক করা।’

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, বড় ধরনের ভূমিকম্প যে কোনো সময় ঘটতে পারে এবং যথাযথ প্রস্তুতি না থাকলে তার পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ।

পৌরসভার নগর পরিকল্পনাবিদ নিগার সুলতানা বলেন, আমাদের ক্ষমতা সীমিত। ম্যাজিষ্ট্রেসি পাওয়ার নেই। অবৈধ ভবন কত আছে এমন পরিসংখ্যান নেই। তবে অবৈধ ভবন চোখে পড়লে নোটিশ করি। ব্যবস্থা নেই। আমাদের লোকবল কম। রূপগঞ্জ বড় ভূমিকম্প হলে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটতে পারে।

উপজেলা দুর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আইমিন সুলতানা বলেন, আসলে উপজেলা পর্যায়ে কোন প্রশিক্ষণ নেই। তবে দুর্যোগ প্রশমন দিবসে ভূমিকম্পসংক্রান্ত মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।

রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লিটন সরকার বলেন, নকশা ও অনুমোদনবিহীন ভবন তৈরির সাথে নির্দিষ্ট মাপের জায়গা না রেখেই অনেকে ভবন নির্মাণ করেছেন। ইমারত নির্মাণ আইন লঙ্ঘনসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে নির্মাণাধীন ভবনগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এই অভিযান চলমান থাকবে।


banner close