রাত থেকে নিখোঁজ বালু ব্যবসায়ী মো. কাউসার হোসেনের (৪০) মরদেহ পাওয়া গেছে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় পদ্মা পারের বালুর চরে। কাউসার উপজেলা সদর ইউনিয়নের এমপি ডাঙ্গী গ্রামের জালাল খানের ছেলে। তিনি মাটি ও বালুর ব্যবসা করতেন।
পুলিশ ও কাউসারের পরিবার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন কাউসার। শনিবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার গাজিরটেক ইউনিয়নের জাকেরার সুরার ভাঙ্গামাথা নামক পদ্মা পারের বালুর চরে কাউসারের মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুপুরে সুরতহাল তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মরদেহ পাঠিয়েছে।
কাউসারের ভাই ইলিয়াস খান জানান, কাউসার শুক্রবার বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়িতে ফিরে আসেননি। রাত ৮টা পর্যন্ত তার মোবাইল ফোন খোলা ছিল। এরপর থেকে ফোন বন্ধ পাই। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ইলিয়াস বলেন, আমার ভাই বালু ব্যবসায়ী ছিলেন। হয়তো ব্যবসায়িক ঘটনা কেন্দ্র করে কেউ তাকে হত্যা করেছে।
এদিকে শনিবার দুপুরেই ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার ও চরভদ্রাসন থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। চরভদ্রাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিন্টু মণ্ডল বলেন, তাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল রাতেই তাকে হত্যা করা হয়। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান বলেন, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এ ঘটনায় মামলা হবে। পাশাপাশি যারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।
নীলফামারীতে এস.এস.সি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া ৭০ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে জেলা পরিষদের উদ্যোগে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। সোমবার পরিষদের হলরুমে পাঁচ হাজার টাকা করে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষার্থীদের হাতে এই অর্থ তুলে দেন জেলা পরিষদ প্রশাসক ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান।
সভাপতিত্ব করেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দীপঙ্কর রায়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান বলেন, ‘আজকের (সোমবার) মেধাবীরাই আগামী দিনের সম্পদ। শুধু ফলাফলে নয়, সৎ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবেও গড়ে উঠতে হবে। জেলা পরিষদের এই উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করবে। শিক্ষা খাতে সহযোগিতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।’
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দীপঙ্কর রায় জানান, ‘শিক্ষাই জাতির অগ্রগতির মূল ভিত্তি। এ বৃত্তি শিক্ষার্থীদের স্বপ্নপূরণে সহায়ক হবে। প্রতি বছরই মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানো হবে। ভবিষ্যতে এর পরিধি আরও বাড়ানো হবে।’
ফেনীতে ১৫০ পূজামণ্ডপে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। দুর্গোৎসবকে সামনে রেখে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। এখন চলছে সাজসজ্জা ও মণ্ডপ নির্মাণের কাজ।
ফেনীতে গত বছর ১৪৭টি পূজামণ্ডপে পূজা উদযাপন হলেও তা এবার বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বছর তিনটি বেড়ে ১৫০টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্র জানায়, এ বছর কোনো পূজামণ্ডপকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করা হচ্ছে না, তবে সার্বিকভাবে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। পুলিশ, র্যাব, আনসারের পাশাপাশি এ বছর দুর্গোৎসবের নিরাপত্তায় থাকবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বিজিবি। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে জানালেন পুলিশ সুপার।
এ বছর দুর্গাপূজায় মা দুর্গা হাতিতে চড়ে আসবেন এবং দোলায় করে গমন করবেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব উদযাপন উপলক্ষে প্রতিটি মণ্ডপে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ।
দুর্গাপূজায় পুলিশ, র্যাব, আনসারের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও বিজিবি নিরাপত্তায় সহযোগিতা করবে। মণ্ডপগুলোতে চলছে সাজসজ্জা ও প্রতিমা তৈরির কাজ। কোনো কোনো মন্দিরে দেখা যায় প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষ। দুর্গোৎসব পালনের জন্য সরকারি সহযোগিতা আগের তুলনায় বৃদ্ধির দাবিও জানিয়েছেন অনেকে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্যেক মন্দিরে সিসি ক্যামেরা সচল রাখা ও পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত রাখতে বলা হয়েছে। সেনাবাহিনী ও বিজিবির টহল জোরদার করা হলে কোনো বিশৃঙ্খলা হবে না- এমনটাই মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
ফেনীতে ১৫০টি পূজা মণ্ডপের মধ্যে কোনো ঝুঁকিপূর্ণ মণ্ডপ নেই। তবে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে প্রতিটি পূজামণ্ডপে প্রশাসনের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আহ্বান জানানো হয়েছে। দুর্গোৎসব সফল করতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। মন্দির কমিটিগুলো সতর্ক করা হয়েছে।
ফেনী শহরে সবচেয়ে বড় ও বেশি প্রতিমা তৈরি হচ্ছে শ্রী শ্রী গুরুচক্র মন্দিরে। প্রতিমা তৈরির কারিগর সুশীল পাল গত ৪০ বছর যাবত প্রতিমা তৈরি করে আসছেন। তিনি বলেন, আমরা অত্যন্ত সুন্দর ও নিখুঁতভাবে সেরা প্রতিমা তৈরি করে থাকি। ভক্তরা খুবই পছন্দ করেন।
শ্রী শ্রী গুরুচক্র মন্দিরের পূজা উদযাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক শিফন চৌধুরী বলেন, এই মন্দিরে প্রতিমা তৈরিতে আমাদের কারিগররা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, যাতে ভক্তদের মন জুড়িয়ে যায়।
শহরতলির বারাহীপুর সার্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি তপন কুমার কর বলেন, আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রাম- সবখানেই দুর্গাপূজা উদযাপনের জন্য সবার মাঝে আনন্দ উৎসব পরিলক্ষিত হচ্ছে। আমাদের প্রত্যাশা, এবার অত্যন্ত সুন্দর ও আনন্দঘন পরিবেশে পূজা উদযাপন হবে।
ফেনী জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হীরালাল চক্রবর্তী বলেন, সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ আনন্দ-উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব। এবারের পূজায় কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে- এ ব্যাপারে সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে এ উৎসবটি পালিত হবে- এটাই আমরা প্রত্যাশা করি।
ফেনী জেলা হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি শুক দেবনাথ তপন বলেন, সকল ধর্মের জনগণের প্রতি আমাদের আহ্বান- শারদীয় দুর্গোৎসবটি সুন্দর ও শান্তিশৃঙ্খলার মাধ্যমে পালনে সবাই যেন সহযোগিতা করেন। জেলার সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রতিও এ ব্যাপারে সজাগ ও সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানাই।
হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি অ্যাডভোকেট পার্থ পাল চৌধুরী বলেন, দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে আমরা বারবার জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতারা, সামাজিক সংগঠনের নেতারাসহ সবার সাথে বৈঠক করেছি। আমাদের প্রত্যাশা, এবার দুর্গাপূজা সুন্দর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে।
ফেনী পুলিশ সুপার বলেন, নাশকতা ঠেকাতে মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। দুর্গোৎসব ঘিরে যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, পূজার পূর্বেই গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। মন্দিরগুলোতে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব ও মন্দিরের জায়গা-সংক্রান্ত বিরোধ দুর্গাপূজার আগেই সমাধান করতে হবে, তা না হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে নীলফামারী জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নির্বাচিত হলেন প্রীতম সাহা। তিনি কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
গত রোববার জেলা প্রশাসন হলরুমে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় নীলফামারীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান এ সম্মাননা সনদ প্রদান করেন।
বাল্যবিবাহ, মাদক, অবৈধ বালু উত্তোলন ও অসাধু প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাসহ বিশেষ অবদান রাখায় তিনি জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নির্বাচিত হয়। তিনি বিসিএস ৩৫তম ব্যাচের (প্রশাসন) ক্যাডার মেধাবী কর্মকর্তা। ২০২৫ সালের ০১ জুলাই তিনি কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র তিন মাসের মধ্যেই তিনি নিষ্ঠা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে উপজেলাবাসীর কল্যাণে কাজ করে তাদের মনে জায়গা অর্জন করেছেন।
জানাগেছে এর আগে তিনি যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে তিন বছর সঠিভাবে দায়িত্ব পালন করে জেলার শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তা নির্বাচিত হয়ে শুদ্ধাচার পুরস্কার পান।
এরপর দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করে দিনাজপুর জেলার শ্রেষ্ঠ এসিল্যান্ড নির্বাচিত হয়ে পুরস্কার পেয়েছেন।
তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ থেকে কৃষিতে স্নাতক ও স্নাতোকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা বলেন, যোগদানের পর থেকেই উপজেলাবাসীর সহযোগিতা পেয়েছি। জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট,উপজেলার সকল দপ্তরের কর্মকর্তাগণ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং সাধারণ মানুষের ঐকান্তিক সহযোগিতায় প্রতিটি কাজ সহজ হয়েছে। এজন্য আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে উপজেলাকে কিভাবে রোল মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলা যায় সেজন্য টিম গঠন করে কাজ করে যাচ্ছি। আগামী দিনেও যেন এরকম আরও সাফল্য অর্জন করতে পারি সেজন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচি প্রচারে দৌলতপুরে লিফলেট বিতরণ ও উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার বিকেলে উপজেলার কলিয়া ইউনিয়নের বহড়া, বালিতা ও মুকন্দবাড়ি এলাকায় সাধারণ ভোটার ও মহিলাদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন উপজেলা বিএনপি নেতারা।
উঠান বৈঠকে বক্তারা বলেন, মানিকগঞ্জ-১ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী এস.এ জিন্নাহ কবির দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে রাজপথে ছিলেন। তারা আশা প্রকাশ করেন, আগামী নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন পেয়ে ধানের শীষ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
বক্তারা আরও বলেন, তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফায় মা-বোন, কৃষক-শ্রমিক ও খেটে খাওয়া মানুষের উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন বলে জানান তারা। এসময় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক ও দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ফেরদৌস রহমান, ওলামা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হাবিবুল্লাহ নোমানী, কলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম হোসেন নাসির, ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি মুজিবুর রহমান, সহসভাপতি বিল্লাল মাতাব্বর প্রমুখ।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে এবার ৪১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। যার মধ্যে ভিপি পদে ২৩ জন, জিএস পদে ২১ জন ও এজিএস পদে ২১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। বাকিরা অন্যান্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। সোমবার সকালে চাকসুর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে চাকসু নির্বাচন কমিশনের প্রকাশ করা তালিকায় এ তথ্য জানা যায়।
চাকসুর ওয়েবসাইটের তথ্য মতে, চাকসু নির্বাচনে ভিপি, জিএস ও এজিএস ছাড়াও খেলাধুলা ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১১ জন, সহ-খেলাধুলা ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১২ জন, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ১৬ জন, সহ-সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনা পদে ১৬ জন, দফতর সম্পাদক পদে ১৮ জন, সহদপ্তর সম্পাদক পদে ১৩ জন, ছাত্রী কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক পদে ১২ জন, সহছাত্রী কল্যাণ সম্পাদক পদে ১১ জন, বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক পদে ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
এছাড়া গবেষণা ও উদ্ভাবনবিষয়ক সম্পাদক পদে ১৩ জন, সমাজসেবা ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক পদে ২০ জন, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক পদে ১৭ জন, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনবিষয়ক সম্পাদক পদে ১৭ জন, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক সম্পাদক পদে ১৬ জন, যোগাযোগ ও আবাসনবিষয়ক সম্পাদক পদে ২০ জন, সহযোগাযোগ ও আবাসনবিষয়ক সম্পাদক পদে ১৪ জন, আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদে ১১ জন, পাঠাগার ও ক্যাফেটেরিয়াবিষয়ক ম্পাদক পদে ১৯ জন এবং নির্বাহী সদস্য পদে ৮০ জনসহ মোট ৪১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
অন্যদিকে সইয়ের ভুল, তথ্যের অসংগতি থাকা ও অন্যান্য কারণে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা থেকে ১৯ জনকে বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে নির্বাচন কমিশনের কাছে সংশোধনের জন্য আপত্তি জানাতে পারবেন তারা।
চাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিন বলেন, প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। বিভিন্ন তথ্যের ভুলের জন্য ১৯ জনের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। তবে তারা নির্বাচন কমিশনের কাছে সংশোধনের জন্য আপত্তি জানাতে পারবেন। আগামী ২৫ তারিখ চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।
গত ২৮ আগস্ট ঘোষিত হয় চাকসু নির্বাচন তফসিল। সে অনুযায়ী গত ২১ সেপ্টেম্বও চাকসুর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। বহুল আকাঙ্খিত চাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে আগামী ১২ অক্টোবর। সকাল নয়টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের আওতাধীন কর্ণফুলী টানেলের রুটিন রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর হতে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ দিবাগত রাত ১১:০০টা হতে ভোর ০৫:০০টা পর্যন্ত প্রয়োজন অনুযায়ী 'পতেঙ্গা হতে আনোয়ারা' অথবা 'আনোয়ারা টু পতেঙ্গা' টিউবের ট্রাফিক ডাইভারসনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিতভাবে যানচলাচল অব্যাহত রাখা হবে। এসময় বিদ্যমান ট্রাফিকের পরিমাণ অনুযায়ী সর্বনিম্ন ০৫ (পাঁচ) হতে সর্বোচ্চ ১০ (দশ) মিনিট টানেলের উভয়মুখে সম্মানিত যাত্রীদের অপেক্ষমাণ থাকার প্রয়োজন হতে পারে। কর্ণফুলী টানেলের নিরাপদ ও কার্যকর রুটিন রক্ষণাবেক্ষণ কাজে আপনার আন্তরিক সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম পিন্টু বলেছেন— বর্তমানে দেশের অবস্থা ভালো না, তাই যতদ্রুত সম্ভব নির্বাচন হওয়া উচিত। আমরা আশা করছি আগামী ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে শহীদ জিয়া মহিলা কলেজ মাঠে আয়োজিত উপজেলার ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
পিআর প্রসঙ্গে সালাম পিন্টু বলেন— বাংলাদেশে যে অবস্থাতে নির্বাচন হয়ে আসছে সে অবস্থাতেই নির্বাচন হবে এবং জনগণ এ নির্বাচনের পক্ষ। এছাড়া দেশের মানুষ পিআর পদ্ধতি বুঝেও না, তারা চিনেও না। মানুষ তার নিজ পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে চায়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন— উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তাফা, সাধারণ সম্পাদক সেলিমুজ্জামান তালুকদার সেলু, পৌর শাখা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান রহমান গিয়াস, ইমাম ও খতিব শহীদুল ইসলাম আন্দিপুরী, মাজহারুল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান প্রমুখ।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরাল পাগলার ভক্ত রাসেল মোল্লা হত্যা মামলায় নুরাল পাগলার দরাবার থেকে গরু নিয়ে যাওয়ার দায়ে মো. সজিব শেখ (২৬) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত সজিব শেখ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নতুনপাড়া এলাকার উজ্জল শেখ এর ছেলে।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে তার নিজ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সোমবার দুপুর ১টার দিকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) শরীফ আল রাজীব।
তিনি জানান, ভিডিও ফুটেজ দেখে ও পর্যালোচনা করে দেখা গেছে সজিব শেখ নুরাল পাগলার দরবার থেকে একটি গরু নিয়ে যাচ্ছে। ফুটেজের উপর ভিত্তি করে তাকে শনাক্ত করা হয়। পরে তাকে নুরাল পাগলার দরবারের ভক্ত রাসেলের পিতা আজাদ মোল্লার দায়ের করা মামলায় চুরি ও লুটের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত সজিব শেখকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, যে গরুটি তিনি নিয়েছিলেন ৫-৭ দিন আগে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে গরুটি গোয়ালন্দ ঘাট থানায় পাঠিয়ে দেয়। পরে গরুটি দেখাশোনার জন্য একজনের হেফাজতে রাখা হয়। দুটি মামলায় এ পর্যন্ত মোট ২৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১০ জন আসামিকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
পথের বেওয়ারিশ কুকুরগুলো যেন খুঁজে পেয়েছে আপন ঠিকানা। মানুষের মতো ৩ বেলা মিলছে খাবার। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে একসাথে জড়ো হয় ২৫ থেকে ৩০ টি কুকুর। আর এই কুকুরগুলোকে খাবারের ব্যবস্থা করছেন গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার ঘাঘর বাজারের মোবাইল মেকানিক জি এম রনি। কুকুরের জন্য খাবারের তালিকায় থাকে দুধ মাখানো ভাত, পাউরুটি ও বিস্কুট। তবে বাড়িতে যেদিন মাংস রান্না হয় সেদিন কুকুরের জন্য রান্না করা মাংস আনতে ভুলেন না জি এম রনি।
স্বামী বিবেকানন্দের একটি অমর বাণী ‘জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর‘। এই বাণীটি যেন সত্যি হয়ে উঠেছে কুকুরের প্রতি রনির ভালোবাসায়। প্রায় ৫ বছর ধরে এভাবে কুকুরকে প্রতিদিন ৩ বেলা খাবার দিয়ে ভালোবাসার এক অন্যরকম নজির স্থাপন করে মানবতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছেন রনি। যা স্থানীয়দের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে।
রনি উপজেলার দক্ষিণ কয়খা গ্রামের আবুল হোসেন গাজীর ছেলে। তিনি স্থানীয় ঘাঘর বাজারে প্রায় ৭ বছর ধরে মোবাইল মেকানিকের কাজ করে আসছেন। ছোট বেলা থেকেই পশুপাখির প্রতি রনির ছিল অন্যরকম ভালবাসা। সেই ভালবাসা থেকেই তার চলার পথে কখনো কুকুর-বিড়ালের দেখা পেলে খাবার কিনে খাওয়াতেন।
করোনাকালীন সময়ে লকডাউনে ঘাঘর বাজারের দোকানপাট, হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ হয়ে গেলে খাদ্যের অভাবে বিপাকে পড়ে যায় বাজারে থাকা কুকুরগুলো। এসময় ভালোবাসার টানে কুকুরগুলোর জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেন রনি। এই লকডাউনে যখন প্রশাসনের চাপ ও মৃত্যুভয়ে মানুষ ঘরবন্দি, তখন বাড়ি থেকে রান্না করে কুকুরগুলোর জন্য খাবার নিয়ে আসেন রনি। প্রথমে ৫ থেকে ৭ টি কুকুর থাকলেও ক্রমেই এই সংখ্যা বাড়তে থাকে। বর্তমানে ২৫ থেকে ৩০ টি কুকুরকে ৩ বেলা খাবারের ব্যবস্থা করছেন রনি।
শুধু যে কুকুরগুলোকে ৩ বেলা খাবারই নয়, কোন একটি কুকুর অসুস্থ হলে বা কেউ আঘাত করলে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন রনি। নিজ হাতে ওষুধও খাইয়ে দেন অসুস্থ কুকুরগুলোকে। কোন কুকুরের গায়ে ক্ষত বা ঘাঁ হলে নিজ হাতে তা পরিস্কার করে মলম লাগিয়ে দেন।
প্রথম দিক দিয়ে জি এম রনির আশপাশের ব্যবসায়ীরা ও পরিবারের লোকজন তাঁর এই কাজে বিরাগভাজন হলেও এখন সবাই প্রংশসা করছেন। এই কুকুরগুলোর জন্য নিয়মিত ৩ বেলা ভাত রান্না করে দিয়ে রনিকে রনিকে সহযোগিতা করছেন তার স্ত্রী। শুধু স্ত্রীই নয়, মা-বাবা ও তার বন্ধুরাও নিয়মিত সহযোগিতা করছেন বলে জানিয়েছেন এই প্রাণীপ্রেমী জি এম রনি।
তিনি বলেন, আমি ছোটবেলা থেকেই পোষা প্রাণীদের খুব ভালবাসী। সেই ভালবাসা থেকেই করোনাকালীন সময়ে ঘাঘর বাজারে খাদ্যসংকটে থাকা কুকুরগুলোকে খাবার খাওয়ানো শুরু করি। যা আজও চলমান রেখেছি। এখন এসব কুকুরের প্রতি অন্য রকম ভালবাসা তৈরি হয়েছে। কুকুরগুলোর প্রতি আমার ভালবাসা এমন হয়েছে যে, আমি এখন কোথাও বেড়াতে গিয়ে থাকতে পারি না। ওদেরকে কে খাওয়াবে? সবসময় এই ভাবনায় থাকি। কুকুরের প্রতি আমার এই ভালবাসা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। তবে কুকুরের সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে তাতে এভাবে কতদিন ধরে রাখতে পারবো সেটি এখন চিন্তার বিষয়।
ব্যবসায়ী উজ্জ্বল সাহা বলেন, রনি আমার দোকানে ৬/৭ বছর ধরে মোবাইল সার্ভিসিংয়ের কাজ করে। সে করোনার সময় থেকে ঘাঘর বাজারে থাকা কুকুরগুলোকে খাবার দিয়ে আসছে। প্রথম দিকে তার এই কাজ নিয়ে উপহাস করলেও পরে বুঝতে পারি সে যা করছে তা অত্যন্ত মানবিক। এখন আমরা তাকে এই কাজে উৎসাহ দিচ্ছি।
চায়ের দোকানদার আক্কেল আলী বলেন, রনি ভাই প্রতিদিন বাড়ি থেকে ভাত এনে আমার দোকান থেকে দুধ কিনে সেই ভাত দুধ দিয়ে মেখে কুকুরকে খাওয়ায়। কোনদিন ব্যস্ততার ভাত না আনতে পারলে আমার দোকান থেকে রুটি ও বিস্কুট কিনে কুকুরকে খেতে দেয়।
ইলেকট্রোনিক্স ব্যবসায়ী সংকর সাহা বলেন, প্রায় প্রতিদিনই আমরা শুনতে পাই উপজেলার কোন না কোন এলাকায় কুকুরে কামড়ানোর সংবাদ। তবে সেই থেকে আলাদা রনির সানিধ্যে থাকা কুকুরগুলো। কোনদিন শুনিনি ঘাঘরবাজারে কোন কুকুর কাউকে কামড় দিয়েছে। রনির ভালোবাসায় কুকুরগুলো যেন শান্তির ঠিকানা পেয়েছে।
কোটালীপাড়া কল্যাণ সংঘের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মাসুম মৃধা বলেন, রনির এমন মানবিক উদ্যোগ আমাদের মনে করিয়ে দেয়-মানুষ শুধু মানুষের জন্য নয়, অন্য জীবের জন্যও মানুষ। রনি যে কাজটি করছে তাহা অত্যন্ত প্রশংসার দাবী রাখে। রনির মতো আমরা যদি সকলে এভাবে প্রাণীকে ভালবাসতাম তাহলে পৃথিবীটি খুব সুন্দর হতো। আমাদের উচিত রনির মতো যারা প্রাণীদের ভালোবাসে তাদের পাশে দাড়ানো।
ময়মনসিংহের ত্রিশালের রফিক তার আড়াই একর জমিতে বিদেশি জাতের পেঁপে চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে। উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দূরে মোক্ষপুর ইউনিয়নের কইতর বাড়ি ( খলাবাড়ি) এলাকায় আড়াই একর জমিতে বিদেশি রেড লেডি জাতের পেঁপে চাষ করেছেন কৃষক রফিকুল ইসলাম।
জানাগেছে, পেঁপে একটি উচ্চ ফলনশীল ফসল, যা সারা বছরই ফলন দেয়। বিদেশি জাতের পেঁপে চাষের কিছু বিশেষ সুবিধা আছে, যা রফিককে সফল হতে সাহায্য করেছে।
এই জাতের পেঁপের স্বাদ, রং এবং আকার ভালো হওয়ায় বাজারে এর চাহিদা অনেক বেশি এবং দামও ভালো পাওয়া যাচ্ছে।
এছাড়াও বিদেশি জাতের পেঁপেতে রোগবালাইয়ের আক্রমণ কম তাই ফলন নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি নেই। রফিক বলেন, পেঁপে চাষের সময় জমিতে যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে পাশাপাশি চারা রোপণের আগে জমি ভালোভাবে প্রস্তুত করে নিতে হবে। তাহলেই জমিতে পেঁপের ভাল ফলন হবে।
ত্রিশাল উপজেলা কৃষি কমকর্তা তানিয়া রহমান বলেন, রফিকের বাগানে বাম্পার ফলন হয়েছে। এক একটি গাছে ৪০ কেজির মতো করে পেঁপে এসেছে। তার ১৪ থেক ১৫ লাখ টাকা লাভ হবে বলে আমাকে কৃষক জানিয়েছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে আমরা তার বাগানের নিয়মিত খোঁজখবর নিচ্ছি।
২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের আগস্ট মাসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মোট আদায়ের পরিমান ২৭,১৭৪ কোটি টাকা। বিগত ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের একই মাসে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল ২৩,০৮৯.৩৭ কোটি টাকা। আগস্ট-২০২৫ মাসে বিগত আগস্ট-২০২৪ মাসের তুলনায় ৪০৮৪.৫ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে, অর্জিত প্রবৃদ্ধির হার ১৮%।
২০২৫ সালের জুলাই-আগস্ট এই দুই মাসে মোট রাজস্ব আদায় হয়েছে ৫৪,৪২৩.০০ কোটি টাকা। ২০২৪ সালের একই সময়ে মোট রাজস্ব আদায়ের পরিমান ছিল ৪৫,০০৫.১৬ কোটি টাকা। এ বছরের জুলাই-আগস্ট এই দুই মাসের রাজস্ব আদায়ে ২১% হারে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।
আগস্ট'২৫ মাসে স্থানীয় পর্যায়ের মুসক খাত থেকে সবচেয়ে বেশি ১১,০৮৫ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। গত অর্থ বছরের আগস্ট'২৪ মাসে এই খাতে আদায়ের পরিমান ছিল ৮,২৮৩.১৫ কোটি টাকা। আগস্ট-২০২৫ মাসে স্থানীয় পর্যায়ের মুসক আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার ৩৩.৮৩%।
আয়কর ও ভ্রমন কর খাতে আগস্ট'২৫ মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৮,৪৪২ কোটি টাকা যা আগস্ট'২০২৪ মাসের একই খাতে আদায়কৃত ৬,৭৯৮.৭৩ কোটি টাকার চাইতে ১,৬৪৩ কোটি টাকা বেশি। আয়কর ও ভ্রমন করের ক্ষেত্রে আগস্ট- ২০২৫ মাসের আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার ২৪.১৭%।
২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের আগস্ট মাসে আমদানি ও রপ্তানি খাতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৭,৬৪৭ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের আগস্ট'২৪ মাসে এই খাতে আদায় ছিল ৮,০০৭.৬২ কোটি টাকা। আইবাস প্লাস প্লাস সিস্টেমে অর্থনৈতিক কোড পরিবর্তনজনীত কারণে কাস্টমস হাউসসমূহের উল্লেখযোগ্য পরিমান রাজস্ব সেপ্টেম্বর’২০২৫ মাসে জমা হবার কারণে এই খাতে আগস্ট ২০২৫ মাসে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধির এ ধারাকে আরও জোরালো করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নিবেদিতপ্রাণ কর্মীগণ কর নেট সম্প্রসারণ, কর পরিপালন নিশ্চিতকরণ এবং কর ফাঁকি উদঘাটন কার্যক্রম বেগবান করতে নিরলসভাবে কাজ করছে। সম্মানিত করদাতাগণ আইনের সুষ্ঠু পরিপালনের মাধ্যমে সময়মত যথাযথ পরিমান কর পরিশোধ করে দেশ গড়ার কাজের গর্বিত অংশীদার হবেন মর্মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আশাবাদী।
মেহেরপুরের গাংনীতে অভিনব কায়দায় মটরসাইকেল করে ফেনসিডিল পাচারকালে ৪৫ বোতল ফেনসিডিলসহ লিপন হোসেন নামের এক মাদক কারবারিকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে জেলার গাংনী উপজেলার ছাতীয়ান ব্রিক ফিল্ড বাজারের তিন রাস্তার মোড় থেকে এই মাদক পাচারকারিকে আটক করে পুলিশ।
আটক সাইত্রিশ বছর বয়সি লিপন হোসেন কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার তেকালা পশ্চিম পাড়ার ফরজ আলীর ছেলে।
গাংনী থানা পুলিশের এসআই শিমুল বিশ্বাস এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি ছাতীয়ান ব্রিক ফিল্ড বাজার দিয়ে এক মাদক কারবারি মাদক পাচার করছে।
আমরা এমন সংবাদ শুনে আমরা সিভিল ড্রেসে আগে থেকেই সেখানে অবস্থান করি।
পরে ওই সড়ক দিয়ে একটি TVS metro মটরসাইকেল যার নম্বর কুষ্টিয়া হ-১৩২৭৬০ সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় বেরিকেড দিয়ে আটকিয়ে তল্লাশি করে মটরসাইকেলের সিট কভারের নিচে থরে থরে সাজানো ৪৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করি।
সেই সাথে মাদক পাচারের কাজে ব্যাবহৃত মটরসাইকেলটি জব্দ করে আসামি গাংনী থানায় নিয়ে আসি।
আটকৃতর বিরুদ্ধে আইনিপ্রক্রিয়া শেষে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে নিত্যপ্রয়োজনীয় সবজির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি দেখা দিয়েছে। এতে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হচ্ছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় সবধরনের সবজির দামই নাগালের বাইরে চলে গেছে।
বর্তমানে নবীনগর সদর বাজারে শিম প্রতি কেজি ২২০-২৩০ টাকা, কাঁচামরিচ ২০০-২২০ টাকা, টমেটো ১১০-১২০ টাকা, উস্তে ৯০-১০০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, পটল ৮০-৮৫ টাকা, বরবটি ৬৫-৭০ টাকা, কাকরোল ৮০-৯০ টাকা, শসা ৫০-৬০ টাকা, মুলা ৬০-৬৫ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৬৫-৮০ টাকা, পেঁপে ৩০-৪০ টাকা, কচুর মুখি ৪০ টাকা এবং আলু ২৫-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দাম কাঁচামরিচ ও শিমের।
সবজির দাম আকস্মিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো দিশেহারা হয়ে পড়েছে। নবীনগর সদর বাজারে আসা ক্রেতা আলম মিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমাদের আয় সীমিত। এত দামে বাজার করা অসম্ভব। বাজেট ভেঙে গেছে।’ তবে স্বস্তির বিষয় হলো- আলুর দাম এখনো সাধারণ মানুষের নাগালে রয়েছে।
খুচরা বিক্রেতারা জানান, পাইকারি বাজার থেকেই বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। ফলে খুচরায়ও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তাদের দাবি- মূলত পাইকারি বাজারের উপর নির্ভর করেই সবজির দাম ওঠানামা করে।
অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা জানান, বর্ষাকালে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে মরিচ ও সিমের উৎপাদন কমেছে। তাই সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। কিছু কাঁচামরিচ ভারত থেকেও আমদানি করা হচ্ছে।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, সরবরাহ চেইনে ত্রুটি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সবজির দাম বেড়েছে। তারা মনে করেন, এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো জরুরি।