ঠাকুরগাঁওয়ে বাসের ধাক্কায় একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার সকাল ১০টার দিকে ঠাকুরগাঁও-বালিয়াডাঙ্গী মহাসড়কের পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, জেলা সদরের রহিমানপুর ইউনিয়নের হরিপুর কলেজ পাড়া এলাকার বাসিন্দা মাসুদ রানা (৬৭), তার স্ত্রী হাফিজা বেগম (৪৭) ও তাদের মেয়ে সিমি (১৪)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে মেয়েকে নিয়ে একটি মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলেন ওই দম্পতি। পথে বালিয়াডাঙ্গী থেকে ছেড়ে আসা হানিফ এন্টারপ্রাইজের একটি বাস তাদের ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই হাফিজা বেগমের মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় বাবা ও মেয়েকে জেলা সদর হাসপাতালে নিলে এক ঘণ্টার ব্যবধানে তারাও মারা যান।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, বাসের ধাক্কায় একই পরিবারের তিনজন মারা গেছেন। এদের মধ্যে একজন ঘটনাস্থলে এবং হাসপাতালে নেয়ার পর আরও দুইজনের মৃত্যু হয়।
তিন লা ভবন নির্মাণকাজ শেষ করে হস্তান্তরের দুই বছর পেরিয়ে গেলেও জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলের (ম্যাটস) কার্যক্রম এখনো চালু হয়নি। সেখানে নেই কোন আসবাবপত্র ও বিদ্যুৎ–সংযোগ। পর্যাপ্ত জনবলও নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, আগামী বছর থেকে ম্যাটস চালুর সম্ভাবনা আছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ম্যাটসে রেসিডেনসিয়াল ফিল্ড সাইট ট্রেইনিংয়ে (আরএফএসটি) কার্যক্রম শুরু হতে পারে। এরপর পূর্ণাঙ্গভাবে শিক্ষার্থী ভর্তি ও পাঠদানের প্রস্তুতি নেওয়া হবে। স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ৩০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০২০ সালে জয়পুরহাট-মোকামতলা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে ক্ষেতলাল উপজেলার বটতলীতে ম্যাটসের নির্মাণকাজ শুরু হয়।
কাজটি সম্পন্ন করে ময়মনসিংহের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এম এস এন্টারপ্রাইজ। নির্মাণ শেষে ২০২৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ভবনটি তৎকালীন জয়পুরহাট সিভিল সার্জন ওয়াজেদ আলীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। গত ২০ জানুয়ারি কে এম জোবায়ের গালিবকে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তবে এখনো অন্য কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়নি। প্রতিষ্ঠানটিতে একটি একাডেমিক ভবন, অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের দুটি পৃথক বাসভবন, ছাত্রছাত্রীদের জন্য দুটি আবাসিক হল, গ্যারেজ ও অন্যান্য ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ক্ষেতলাল মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল ভবন ৩০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে। ২০২৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাটস বুঝিয়ে দিয়েছেন।
স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি জানান, ম্যাটস হস্তান্তরের পর কোনো নিরাপত্তাকর্মী ছিলেন না। কেউ না থাকায় রাতের বেলায় কয়েক দফায় ম্যাটসে চুরির ঘটনা ঘটেছে। দ্রুত চালু করা না গেলে অযত্ন আর অবহেলায় প্রতিষ্ঠানটি নষ্ট হয়ে হবে।
বটতলী এলাকার মিনহাজুল মুকিত বলেন, যদি চালুই করতে না পারে, তাহলে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে প্রতিষ্ঠানটি নির্মাণ করার কোন প্রয়োজন ছিল না।
ম্যাটসের অধ্যক্ষ কে এম জোবায়ের গালিব বলেন, আমাকে গত জানুয়ারিতে এখানে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এখনো অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়নি। আসবাব ও বিদ্যুৎ–সংযোগ নেই। প্রতিষ্ঠানটি দ্রুত চালুর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক বরাবরে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আগামী বছর প্রতিষ্ঠানটি চালু হতে পারে। প্রাথমিক পর্যায়ে ম্যাটসে রেসিডেনসিয়াল ফিল্ড সাইট ট্রেনিংয়ের কার্যক্রম শুরু হতে পারে।
জয়পুরহাট সিভিল সার্জন আল মামুন বলেন, ম্যাটস নির্মাণের পর তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সেখানে এখন অধ্যক্ষ নিয়োগ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। জানামতে, আপাতত ম্যাটসের কার্যক্রম থাকবে না। রেসিডেনসিয়াল ফিল্ড সাইট ট্রেইনিংয়ের কার্যক্রম শুরু হতে পারে।
নওগাঁর ধামইরহাটে গরু বোঝাই ইঞ্জিনচালিত ভটভটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে খাদে উল্টে চালক ও গরু ব্যবসায়ীসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও চার গরুর ব্যবসায়ী আহত হয়েছে। শনিবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার বিহারীনগর বাইপাস সড়কের তালঝাড়ি মাঠের পাশে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন- উপজেলার আড়ানগর এলাকার ভটভটি চালক মাসুদুর রহমান মওলা (৩৫) ও একই গ্রামর গরু ব্যবসায়ী ভুট্টু (৪০)।
জানা যায়- শনিবার সকালে উপজলার আড়ানগর এলাকা থেকে একটি ভটভটি যোগে গরু নিয়ে পাশের জয়পুরহাট জেলার গরুর হাটে যাচ্ছিলেন কয়েকজন গরু ব্যবসায়ী। পথে বিহারীনগর-পিড়লডাঙ্গা বাইপাস সড়কের তালঝাড়ী এলাকায় একটি মোটরসাইকেলকে পাশ কাটতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভটভটিটি রাস্তার নিচে খাদে ধান খেতে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ভটভটি চালক মাসুদুর রহমান মওলা মারা যান। খবর পেয়ে ধামইরহাট থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের টিম স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতের উদ্ধার করে ধামইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে নেওয়ার পথে আরও একজন মারা যান। দুর্ঘটনায় চারজন আহত হয়।
আহতদের মধ্যে সলিম ও নাজিম নামে দুজনের অবস্থাও গুরুতর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ধামইরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ঈমাম জাফর বলেন, দুর্ঘটনায় নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
বান্দরবানের বিভিন্ন উপজেলায় সেতুর অভাবে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন অন্তত দুই লাখ মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যা চললেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় প্রতিদিনই শিক্ষা, চিকিৎসা, কৃষি ও ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে বাড়ছে ভোগান্তি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জেলার সদর, রোয়াংছড়ি, রুমা, থানচি, লামা-আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামীণ জনপদে স্থায়ী সেতুর অভাব সবচেয়ে বেশি প্রকট।
বান্দরবান পাহাড়ি জেলা হওয়ায় ঝিরি ও ছোট ছোট খালের সংখ্যা অধিক। শুকনো মৌসুমে চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি ঢল বা হরকা বাণের কারণে এসময় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠে চলাচল। এর মধ্যে কয়েকটি স্থানে বাঁশের সাঁকো থাকলেও অধিকাংশে তাও নেই। বর্ষা মৌসুমে এসব এলাকার শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে যেতে গিয়ে খাল পারাপারের সময় ঢলের পানিতে তলিয়ে মৃত্যুর সংখ্যাও কম নয়।
এসব এলাকার অসুস্থ রোগী ও প্রসুতি মায়েদের সময়মতো চিকিৎসাসেবা পেতেও বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে।
এছাড়াও অন্তত অর্ধলক্ষ হেক্টর জমির উৎপাদিত ফসল বাজারে পৌঁছাতে গিয়ে মারাত্মক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে কৃষকদের। এতে স্থানীয় অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের। বারবার সেতু নির্মাণের আবেদন জানানো হলেও এখনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। দ্রুত স্থায়ী সেতু নির্মাণ করে ভোগান্তি দূর করার জোর দাবি তুলেছেন তারা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বান্দরবান-লামা সড়ক দিয়ে তিনটি উপজেলার কয়েক লাখ মানুষের সহজ যাতায়তের একমাত্র অবলম্বন এটি। অতি বৃষ্টিতে সড়কটির বেশ কিছু এলাকায় ভাঙন সৃষ্টি হলেও ২২০০ মিটার চেইনেজ এলাকায় বেশ ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
মঞ্জয় পাড়া-নাচালং সড়কের ১৪৩৭০ চেইনেজ এলাকা, আলীকদমের ওবাইদুলহাকিম পাড়া সড়কের বাসস্টেন্ড হিন্দু পাড়া এলাকা, কলারঝিড়ি সড়ক, লামার গাইন্ধ্যা-চিন্তাবা পাড়া সড়কের বমু খাল এলাকা, ফাইতং চিউবতলী পোলাও পাড়া খাল এলাকা, নাইক্ষ্যংছড়ি সাপের গাড়া এলাকার কাগজি খোলা খাল এলাকা, কম্বনিয়া পাড়া, মিরঝিরিপাড়া এলাকা, রোয়াংছড়ির ব্যাংছড়ি খাল, থানচি বলিপাড়ার সোনাইছড়ি খান, তিন্দু খাল, রুমার হানারাম পাড়া, রুমার গ্যালেংগা খালসহ বেশ কিছু এলাকায় কোথাও সেতু নেই আবার কোথাও ৩০-৫০ বছরের ছোট আকারের ভাঙা পুরোনো সেতু। যা চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে গেছেন। ভাঙা সেতু দিয়ে কোন রকমে কিছু এলাকার মানুষ পারাপার হতে পারলেও সাপেরগাড়া, চিন্তাবা পাড়া, ব্যংছড়িসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ ঝিরি বা খাল পার হয় পায়ে হেঁটে।
এছাড়া বর্ষা মৌসুমে স্বাস্থ্যসেবা, কৃষি পন্য পরিবহনসহ শিক্ষা গ্রহনও ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
সাপের গাড়া এলাকার বাসিন্দা জেবুল হক ও জসীম উদ্দীন বলেন, সাপের গাড়া- কাগজিখোলা এলাকায় অন্তত ২৫-৩০ হাজার লোকের বসবাস। গত ২০ বছর ধরে এই এলাকায় বসবাস গড়ে উঠলেও একটি সেতুর অভাবে বর্ষাকালে শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাতায়ত স্বাস্থ্যসেবা, কৃষি পণ্য পরিবহনসহ ব্যাহত হয় স্থানীয় ব্যাবসা বাণিজ্য।
এছাড়া বর্ষাকালে স্কুলে যেতে গিয়ে ঢলের পানিতে ভেসে গিয়ে কয়েক জন শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। ফলে এই এলাকায় অতি দ্রুত সেতু নির্মাণের দাবি জানান তারা।
গজালিয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান বাথোয়াই চিং মারমা বলেন, চিন্তাবর, বাইশফারি, ঢেকিছড়া, তুলাতলি, বটতলি, হামায় চর পাড়া এলাকায় ৮-৯ হাজার মানুষের বসবাস।
চেয়ারম্যান আরো বলেন, বমু খালের উপর একটি সেতুর অভাবে কয়েক দশক ধরে যাতায়াতে প্রতিনিয়িত ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে এ এলাকার মানুষদের। বিশেষ করে এই এলাকায় স্কুল, কলেজ থাকলেও বর্ষা মৌসুমে অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে যেতে পারে না, খালের পানিতে প্রবল স্রোতের কারনে। এছাড়াও অন্যান্য অসুবিধাতো আছেই। ফলে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে অতিদ্রুত সেতুটি নিমার্ণে জোড় দাবি জানান সাবেক চেয়ারম্যান বাথোয়াই চিং মারমা।
এ নিয়ে বান্দরবান স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ তাসাউর বলেন, জেলার ৭টি উপজেলায় জনগণের চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তা স্বাপেক্ষে অতি প্রয়োজনীয় আন্ডার হানড্রেড মিটারের ৪১টি সেতু নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন স্বপেক্ষে সেতু গুলো নির্মাণ কাজ চালু করা হবে বলে জানান তিনি।
বিএনপি আগামীতে ক্ষমতায় এলে শিক্ষাখাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে “রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা ৩১ দফা” বিষয়ে খন্দকার শামসুল আলম ফাউন্ডেশন আয়োজিত মেধাবৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সভাপতি মো. শরীফুল আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তারেক রহমান বলেন, “দেশকে এগিয়ে নিতে হলে প্রাথমিক শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। বিএনপি আগামীতে ক্ষমতায় এলে শিক্ষাখাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হবে। শিক্ষকদের এমন সাপোর্ট দেওয়া হবে যাতে তারা পাঠদানে পুরো মনোযোগ দিতে পারেন।”
তিনি আরও বলেন, “দুর্নীতির বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের শেখানো হবে নিজের যত্ন নেওয়া এবং বয়োজ্যেষ্ঠদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের শিক্ষা।”
তারেক রহমান জানান, ভবিষ্যতে মেধাবীদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে এবং শিক্ষকদের মর্যাদা ও প্রণোদনা বাড়ানো হবে।
তারেক রহমান বলেন, “বিগত ১৫ বছরে প্রচুর অর্থবিত্ত পাচার হয়ে গেছে। পানির অপর নাম জীবন তাই খালগুলো পুনঃখনন ও পানির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।”
তিনি উল্লেখ করেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৭৯ সালে যে খাল খনন কর্মসূচি নিয়েছিলেন, তা পুনরায় বাস্তবায়নের মাধ্যমে পানির সংকট ও আর্সেনিক সমস্যা সমাধানের পথ উন্মুক্ত হবে।
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “মেধাবীদের মধ্যেই লুকিয়ে আছে আগামীর নেতৃত্ব। তরুণরা যেন বিদেশে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার মতো যোগ্যতা অর্জন করতে পারে ভাষা শিক্ষা, কারিগরি শিক্ষা, সাহিত্য-সংস্কৃতি প্রতিটি ক্ষেত্রে স্কুল থেকেই দক্ষতা গড়ে তোলা হবে।”
তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, কোনো মেধাবী যেন আর ঝরে না পড়ে, সে লক্ষ্যে সরকার গঠন করলে শিক্ষাব্যবস্থায় যুগান্তকারী সংস্কার আনা হবে।
এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, বিএনপি'র চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ।
প্রধান অতিথি তারেক রহমানের বক্তব্যের আগে অনুষ্ঠানস্থল থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা সরাসরি বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বিভিন্ন প্রশ্ন করে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানও ছাত্র-ছাত্রীরা উত্তর দেন।
উল্লেখ্য যে, তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার ওপর গত ১৬ আগস্ট ১০ হাজারের ওপর শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়া হয়। পুরস্কার দেওয়া হয় ৬০ জনকে। এরমধ্যে প্রথম পুরস্কার ২৫ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ১৫ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরস্কার ১০ হাজার টাকা এবং চতুর্থ পুরস্কার ৫ হাজার টাকা।
প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত তিনটি স্কুলকে এক লাখ করে তিন লাখ টাকা দেওয়া হয়।
অনিয়ন্ত্রিত ও অপরিকল্পিত নির্মাণ কর্মকাণ্ড, নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন ও জলাশয় ভরাট, বর্জ্য অব্যবস্থাপনা এবং ক্রমবর্ধমান দূষণের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে যাচ্ছে রাজশাহী শহরে বসবাসরত প্রায় দশ লাখ মানুষ। এক সময়ের বাংলাদেশের ‘সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন ও সবুজ নগরী’ হিসেবে পরিচিত রাজশাহী এখন অন্যতম দূষণের নগরী। ২০১৬ সালে নির্মল বায়ুর জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়া এই শহরটি সাম্প্রতিক সময়ে বায়ু দূষণে রাজধানী শহর ঢাকাকেও ছাড়িয়ে গেছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা বায়ুর গুণমান সূচক (একিউআই) ৫০ এর সীমা পর্যন্ত সাধারণত নিরাপদ বলে বিবেচিত হয়। তবে একিউআই এর মান ১০০ অতিক্রম করলে, বায়ু ক্রমশ ক্ষতিকারক হয়ে উঠতে থাকে। একিউআই এর মান ২০০ অতিক্রম হলে সেই বায়ুকে অস্বাস্থ্যকর এবং ৩০০ এর ওপরে হলে বিপজ্জনক বলে বিবেচিত হয়। এমতাবস্থায় জনসাধারণকে ঘরের বাইরে অবস্থানকালে মাস্ক পরিধান করা এবং সংবেদনশীল ব্যক্তিদের জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত ঘরের বাইরে অবস্থান না করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়। এর প্রধান কারণগুলো হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি।
আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা জিরো কার্বন এনালাইটিক্স-এর সম্প্রতি প্রকাশিত গবেষণা অনুযায়ী, বায়ু দূষণের কারণে গত ২০২১ সালে বাংলাদেশে ১৯ হাজার শিশু মৃত্যুবরণ করেছে।
সংগৃহীত এক তথ্য দেখা গেছে, রাজশাহী শহরের বায়ুর মান নিয়মিতভাবে ২০০ এর সীমা অতিক্রান্ত করছে। এমনকি কোনো কোনো সময় বিশেষ করে শুষ্ক মৌসুমে তা ৪০০ ছাড়িয়ে গেছে।
পর্যালোচনা অনুযায়ী, সর্বশেষ ২০২৪ সালে রাজশাহী নগরীর একিউআই এর মান ৩০০ এর সীমা ছাড়িয়েছিল তিন দিন। তখন সর্বোচ্চ একিউআই এর মান রেকর্ড করা হয়েছিল ৩১৭ এবং ২০০ এর ওপর ছিল ৪৮ দিন।
তবে চলতি বছরের প্রথম তিন মাসেই নগরীর একিউআই এর মান ৩০০ এর সীমা ছাড়িয়েছে ৭ দিন। আর জানুয়ারিতে রাজশাহী শহরের একিউআই এর মান টানা তিন দিন ৩০০ এর সীমা ছাড়িয়েছে। আর ২০০ ছাড়িয়েছে ১৮ দিন। এ সময় সর্বোচ্চ একিউআই এর মান রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৯৪।
তুলনামূলকভাবে, জানুয়ারি মাসে ঢাকায় একিউআই এর মান ৩০০ এর ওপর রেকর্ড করা হয়েছিল মাত্র একদিন যা সর্বোচ্চ ৩৬৭ এর সীমায় পৌঁছেছিল এবং ২৪ দিন ২০০ এর ওপর ছিল।
একইভাবে ফেব্রুয়ারিতে রাজশাহীতে একিউআই এর মান তিন দিন ৩০০ এর ওপর এবং ১৮ দিন ২০০ এর ওপর ছিল। যেখানে ঢাকা ৩০০ এর সীমা অতিক্রম করেছিল মাত্র একবার।
গবেষকদের মতে, বায়ু দূষণের বেশ কয়েকটি নিয়ামকের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিকর হচ্ছে ফাইন পার্টিকুলার ম্যাটার বা সংক্ষেপে পিএম ২.৫। পিএম ২.৫ হচ্ছে বাতাসে মিশে থাকা অতি সুক্ষ্ম কণা যার ব্যাস মানুষের মাথার চুলের ব্যাসের প্রায় ৩০ ভাগের এক ভাগ। গাড়ি, কল-কারখানার ধোঁয়া, ইটভাটা, নির্মাণকাজ, কৃষিকাজে পোড়ানো ধুলা ইত্যাদি থেকে উৎপন্ন এই কণা এতটাই ছোট যে মানুষের ফুসফুস ও রক্ত প্রবাহের গভীরে প্রবেশ করে বিভিন্ন স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা অনুযায়ী, কোনো শহর বা এলাকার বাতাসে পিএম২.৫ এর পরিমাণ প্রতি ঘনমিটারে ২৪ ঘণ্টার গড় মাত্রা সর্বোচ্চ ১৫ মাইক্রোগ্রামের বেশি হয়, তবে সেটি এরইমধ্যে স্বাস্থ্য ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে ধরা হয়। তবে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে রাজশাহীর বাতাসে পিএম ২.৫ এর পরিমাণ প্রতি ঘনমিটারে সর্বোচ্চ ৪৪৮.৫ মাইক্রোগ্রাম পর্যন্ত রেকর্ড করা হয়েছিল, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা এর চেয়ে প্রায় ৩০ গুণ বেশি।
একই সময়ে রাজশাহীর বাতাসে তুলনামূলকভাবে একটু বড় কণিকা পিএম ১০ এর সর্বোচ্চ পরিমাণ ছিল প্রতি ঘনমিটারে ৪০৩.৪ মাইক্রোগ্রাম। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে বাতাসে এর ২৪ ঘণ্টার গড় পরিমাণ প্রতি ঘনমিটারে সর্বোচ্চ ৪৫ মাইক্রোগ্রামের বেশি হওয়া উচিত নয়।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তাররা জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দূষণের কারণে হাঁপানি, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন শ্বাসযন্ত্রের রোগের রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজের রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের প্রধান সহকারী অধ্যাপক আহমদ জয়নুদ্দীন সানি বলেন, দূষণের কারণে শিশু ও বয়স্করা এসব রোগে আক্রান্ত বেশি হচ্ছে।
স্থানীয়রা জেলা প্রশাসন, রাজশাহী সিটি করপোরেশন, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে একটি পাবলিক অ্যালার্ট সিস্টেম চালু করারও আহ্বান জানান, যাতে বায়ু দূষণ বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছালে তারা যেন শহরের বাসিন্দাদেরকে সতর্ক করতে পারেন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের রাজশাহী কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. কবির হোসেন বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নির্মাণ কার্যক্রম এবং সবুজায়ন কমে যাওয়ার রাজশাহী শহরে বাতাসের মান খারাপ হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছি এবং নির্দেশনা জারি করছি। কিন্তু একটি জাতি হিসেবে আমরা নিয়ম মানি না, যে কারণে সমস্যা আরও প্রকট হচ্ছে।
নড়াইল-মাগুরা পাশাপাশি দুটি জেলা । গ্রামীণ সড়ক পথে দুটি জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করতে ২০ বছর আগে নড়াইল অংশের লাহুড়িয়া ইউনিয়নের ঝামারঘোপ খালের ওপর একটি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার নলদী ইউনিয়নের দুইটি ও লাহুড়িয়া ইউনিয়নের তিনটি এবং মাগুরার মোহম্মদপুর উপজেলার ২টি গ্রাম মোট সাতটি গ্রামের ৩০ হাজার মানুষ এই পথ দিয়ে নিয়মিত চলাচল করে আসছে। ব্যবসায়ী, স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থী, মুমূর্ষু রোগীসহ সাধারণ মানুষ এ পথ দিয়ে চলাচল করে থাকে।
এলাকার মানুষ জানায়, দুই বছর আগে নির্মিত কালভার্টের উপরিভাগের বেশ কিছু অংশ ভেঙে যায় । সংস্কার না করায় তার ওপর দিয়ে সাধারণ মানুষ, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ যানবাহন চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে । মুমূর্ষু রোগীদের হাসপাতালে যেতে ঘুরপথে নিতে হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা শহর থেকে লাহুড়িয়া ইউনিয়নের ঝামারঘোপ এলাকার দূরত্ব প্রায় ২২ কিলোমিটার। কালভার্টের পাটাতনের উপরিভাগের একাংশ ভেঙে পড়ায় ভেতরের লোহার রড বেরিয়ে গেছে । এলাকার মানুষ তার ওপর কাঠের তকতা দিয়ে কোন রকম চলাচলের ব্যবস্থা করলেও ঝুঁকি রয়েছে। দিনের বেলায় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা চলাচল করছে। মাঝে মধ্যে দুই একটা ইজিবাইক চলাচল করেছে। তবে সন্ধ্যার পরে ওই সড়কে কোনো কিছুই চলাচল করতে সাহস পায় না।
স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তর নড়াইল কার্যালয় সূত্র জানায়, বক্স কালভার্ট সংস্কারে সম্প্রতি প্রকল্প অনুমোদন পাওয়া গেছে । খুব তাড়াতাড়ি কাজ শুরু করা যাবে ।
ঝামারঘোপ গ্রামের কৃষক হোসেন আলী বলেন,সন্ধ্যার পর এই সড়ক দিয়ে কিছুই চলে না। ফলে দূর-দূরান্তের স্বজনরা খুব একটা আসতে চায় না।
লাহুড়িয়া গ্রামের সৈয়দ সরোয়ার হোসেন বলেন, ৮৫টি পাড়া নিয়েই লাহুড়িয়া ইউনিয়ন গঠিত। এক একটি পাড়া একটি গ্রামের সমান। রাস্তায় চলাচলে ঝুকি থাকায় এই ইউনিয়নের অনেক পাড়ার আত্মীয়-স্বজন বেড়াতে আসতে চায় না।
স্থানীয় স্কুল ছাত্রী রোকসানা জানায় এর ওপর দিয়ে হাঁটতে গেলে বুক কেপে ওঠে। বের হয়ে থাকা লোহার রডগুলো দেখলে থমকে দাঁড়াই। তখন মনে হয় পরে যাব।
স্থানীয় ঠিকাদার প্রিন্স জানান, কালভার্ট মেরামতের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অনেকবার যোগাযোগ করা হলেও কোন কাজ হয়নি। তিনি বলেন, রাতের পর ওই সড়ক দিয়ে কোনো কিছুই চলাচল করে না। মুমূর্ষ রোগীদের ঘুরপথে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হচ্ছে। এতে অনেক টাকা খরচ হচ্ছে। আর্থিকভাবে অসচ্ছল পরিবারগুলো উন্নত চিকিৎসা হতে বঞ্চিত হচ্ছেন।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর নড়াইলের নির্বাহী প্রকৌশলী সরকার ইকরামুল কবির বলেন, মানুষের চলাচলের জন্য অনেক আগে ঝামারঘোপ খালের ওপর একটি সাধারণ কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। ২০০১ সালের দিকে ওই কালভার্টকে বক্স কালভার্টে পরিণত করা হয়। তিনি বলেন, ৩০ মিটার দৈর্ঘের এই বক্স কালভার্টটি মেরামতে অনুমতি পাওয়া গেছে। খুব তাড়াতাড়ি নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।
ভোলার চরফ্যাশনে তিন সন্তান ও দুই মেয়ে থাকার পরও ৯০ উর্ধ্ব বৃদ্ধ মায়ের ঠাঁই মেলল ছেলের গোয়াল ঘরে। সন্তানরা ঘরে ঠাঁই না দেয়ায় বৃদ্ধ মা উলফৎ নেছা আশ্রয় নেন মেঝো ছেলে নিরবের গোয়াল ঘরে। গরু রাখার পাশাপাশি ওই বৃদ্ধ মা গোয়াল ঘরে চটের মেঝেতে বিছনা পেতে কয়েক মাস যাবত দিনযাপন করছেন।
শশীভূষণ থানার এওয়াজপুর ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডে ছেলের বাড়িতে এমন হৃদয়বিধারক ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার একটি ভিডিও গত বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরলে উপজেলা জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। ওই ছেলের প্রতি ধিক্কার জানান হাজার হাজার নেটিজেনরা।
ওই ভিডিওতে দেখা যায় বৃদ্ধ মা উলফৎ নেছা ছেলের গোয়াল করে চটের বিছনায় শুয়ে আছেন। আশেপাশে গরু বেধে রাখা আর অন্য পাশে কাপড়ের প্রাচীর দিয়ে বৃদ্ধ মায়ের আবাসস্থল। এমন ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যামে ছড়িয়ে পড়লে নজরে আসে কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নের। গতকাল শুক্রবার তিনি ওই বৃদ্ধের বাড়িতে ছুটে গিয়ে বৃদ্ধের ভরণপোষণের সকল দ্বায়িত্বভার নেন। এবং তিনি বৃদ্ধকে তার বড় মেয়ে ফজিলত বেগমের জিম্মায় রেখে আসেন।
স্থানীয় সত্রে জানা যায়, বৃদ্ধ উলফৎ নেছার ঘরে তিন ছেলেও ও দুই মেয়ে। প্রায় ২০ বছর আগে স্বামী খলিলুর রহমান মারা যান। স্বামীর মৃত্যুর পর তার স্বামীর ওয়ারিশি পাওনা ঘর ভিটে তিন সন্তান তাদের নামে লিখে নেন। অবশেষে স্বামীর শেষ সম্বল ঘর ভিটে হারিয়ে তার ঠাঁই হয় তিন সন্তান আবদুস সহিদ, মো. নিরব ও মো. বাছেদের ওপর। দিনমুজর সন্তানরা অভাবের সংসারে টানাপড়নে কর্মের সন্ধানে ছুটে যান ঢাকা ও চট্রগ্রামে। পুত্রবধুদের দোটানায় পড়ে সর্বশেষ তার ঠাঁই মেলে মেঝো ছেলে নিরবের ঘরে। বৃদ্ধ মা বিছনায় মলমুত্র ত্যাগ করে এমন অজুহাত দিয়ে ছেলে ও পুত্রবধূ নাহার মিলে তাকে বসত ঘরের পাশে মাটির গোয়াল ঘরের মেঝেতে চটের বিছানায় থাকতে দেন।
পাষন্ড ছেলে নিরব জানান, তিনি পেশায় দিনমুজুর। মা অনেক বৃদ্ধ। তাই সে বিছনায় মলমুত্র ত্যাগ করতেন। গোয়াল ঘরের পাশে থাকতে দেয়া হয়েছে। নিয়মিত তাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও খাবার খাওয়ানো হতো।
শশীভূষণ থানার ওসি তারিক হাসান রাসেল জানান, সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও দেখার পরে ওই বৃদ্ধে ছেলেকে থানায় ডেকে এনে তার মাকে ঘরে তোলার জন্য বলা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাসনা সারমিন মিথি জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাজসেবা কর্মকর্তাকে পাঠিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মাগুরা জেলার সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে উন্নয়ন কর্মকান্ড বিষয় নিয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকালে মাগুরা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক মোঃ অহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের শিল্প মন্ত্রণালয়ের শিল্প সচিব মোঃ ওবায়দুর রহমান। এ সময় জেলার সার্বিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে সরকারি সকল দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে পরিকল্পনা ও গৃহীত কার্যক্রমসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
সভায় সকল সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
ডামি রাইফেল প্রদর্শন করে মিছিলে অংশগ্রহণের মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগে মুজাহিদুল ইসলাম চৌধুরী (৪৯) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তুরাগ থানা পুলিশ।
গতকাল বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৪টায় উত্তরা পশ্চিম থানাধীন ১২ নং সেক্টরের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে ডামি রাইফেলসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তুরাগ থানা পুলিশের বরাত দিয়ে তিনি জানান, শুক্রবার দুপুর আনুমানিক ১টা ৫০ মিনিটে থানার একটি টহল টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে কয়েক জন মিলে তুরাগ থানাধীন খালপাড় পুলিশ বক্সের পাশে পাকা রাস্তায় গণজমায়েত করে অবৈধ অস্ত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে জনসাধারণের মধ্যে ভয় ও আতঙ্ক সৃষ্টি করছে এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছে। এই সংবাদের ভিত্তিতে উক্ত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে তুরাগ থানা পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, পরবর্তীতে স্থানীয়দের মোবাইল ফোনে ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ ও জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে মিছিলে অস্ত্র প্রদর্শনকারী মুজাহিদুল ইসলাম চৌধুরীকে শনাক্ত করে তুরাগ থানা পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় আজ মুজাহিদুল ইসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।
নীলফামারীতে পঞ্চাশ বছরের পুরোনো একমাত্র চলাচলের রাস্তা দখল করে দোকান নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে সেতু নামে স্থানীয় এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। এতে সদর উপজেলার চড়াইখোলা ইউনিয়নের নগর দাড়োয়ানী টেক্সটাইল কবিরাজ পাড়া গ্রামের ১৫টি পরিবার চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। স্থানীয়রা জানান, রাস্তাটি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তারা বাজার, স্কুল, মসজিদ ও হাসপাতালে যাতায়াত করে আসছিলেন। কিন্তু রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় পুরো গ্রাম প্রায় অবরুদ্ধ। বিষয়টি নিয়ে তারা চড়াইখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অভিযোগের পরও কোনো ব্যবস্থা নেয় নি তারা।
ভুক্তভোগী আঞ্জুয়ারা সুমি বলেন, “আমরা প্রায় ৫০ বছর ধরে এই রাস্তায় চলাচল করছি। এখন সেতু দোকান তুলে পুরো পথ বন্ধ করে দিয়েছে। রাস্তাটা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে কষ্ট হচ্ছে।”
রুবি বেগম বলেন, “বাড়ি থেকে বাজারে যেতে এখন অনেক দূর ঘুরে যেতে হয়। বৃদ্ধ মানুষদের জন্য এটা অনেক কষ্টকর।”
শিক্ষার্থী ফারজানা আক্তার বলেন, “রাস্তায় দোকান উঠায় স্কুলে যেতে অনেক দেরি হয়। ক্লাসও মিস করি।” নয়ন ইসলাম বলেন, “আমরা খেলাধুলা বা পড়াশোনার কাজে বাইরে যেতে পারি না, কারণ রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ।”
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত সেতু বলেন,“তারা এখন পর্যন্ত আমাদের জমিতে বসবাস করতেছে। আমরা তাদের রাস্তা দিয়েছি, থাকার জমি দিয়েছি। তাদের এখন ওই রাস্তা দিয়ে চলতে দূর হয় নাকি। তারা যে অভিযোগ করছে তা সত্য নয়। তাদের চলাচলের রাস্তা রয়েছে।”
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন,“বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।”
ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের রামাল্লায় বিয়ে করতে যাওয়ার পথে এক বরকে ধরে নিয়ে গেছে ইসরাইলি সেনারা। গত শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে।
বার্তা সংস্থা ওয়াফা নিউজ জানিয়েছে, বর তার বাবাসহ একটি গাড়িতে ছিলেন। তারা রামাল্লার রেন্টিস শহরে যাচ্ছিলেন।
স্থানীয়দের বরাতে বার্তা সংস্থাটি জানিয়েছে, আওন সাফি নামে ওই বরের সঙ্গে একই গাড়িতে যাচ্ছিলেন তার বাবা মাজেন সাফি। তারা রেন্টিস শহরের প্রবেশদ্বারে এলে ইসরাইলি সেনারা গাড়িটি আটকায়। তাদের প্রথমে আটক এবং পরে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। এ ছাড়া সেনারা গাড়ির চাবিও নিয়ে যায়।
একটি সূত্র জানিয়েছে, এই যুবকের পুরো পরিবার বিয়ে বাড়িতে যাচ্ছিলেন। তখন বাবা ছেলেকে ধরে নিয়ে গেছে ইসরাইলি সেনারা। সূত্র : আলজাজিরা
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নে অস্ত্র ও মাদকবিরোধী অভিযানে বিদেশি পিস্তল, গুলি ও হেরোইনসহ জাহিদুল ইসলাম জামিল মালিথা (৪০) নামে চরমপন্থী ৪০ বাহিনীর সদস্য গ্রেপ্তার করেছে কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি)।
গ্রেপ্তারকৃত জামিল মালিথা ফিলিপনগর এলাকার কুখ্যাত চরমপন্থী ৪০ বাহিনীর প্রধান রাখির সহযোগী। এছাড়াও অস্ত্র ও মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। তিনি ফিলিপনগর ইউনিয়নের সিরাজনগর মালিথাপাড়া গ্রামের মৃত জালাল মালিথার বড় ছেলে।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) রাতে ফিলিপনগর ইউনিয়নের আবেদের ঘাট এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার হেফাজত থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, এক রাউন্ড গুলি এবং ০.০৪৮ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।
কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন ৪৭ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুব মোর্শেদ রহমান পিএসসি জানান, জামিল দীর্ঘদিন ধরে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে অবৈধ অস্ত্র ও মাদক আমদানি করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন। পদ্মা নদী সংলগ্ন সীমান্ত এলাকা হওয়ায় তিনি স্থানীয় ও সীমান্তপারের একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান পরিচালনা করতেন।
স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, জামিল মালিথা ফিলিপনগর, চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নসহ পদ্মা নদীসংলগ্ন চরাঞ্চলজুড়ে মাদক (বিশেষ করে ফেনসিডিল ও হেরোইন) এবং অস্ত্র ব্যবসার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতেন। তিনি চরমপন্থী সংগঠন ‘৪০ বাহিনী’র প্রধান রাখির ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবেও পরিচিত। এর আগে অস্ত্র ও মাদকসহ একাধিক মামলায় তার নাম রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ দৈনিক বাংলা কে বলেন, শুক্রবার রাতে বিজিবির অভিযানে শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী জামিল মালিথাকে অস্ত্র ও হেরোইনসহ গ্রেপ্তার করে থানায় হস্তান্তর করেছে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক মামলা দায়ের করে আদালতে প্রেরণের প্রক্রিয়া চলছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান মুকুল দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৩ অক্টোবর ২০২৫) রাত ৮টার দিকে নবীনগর পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের পদ্মপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাত সাড়ে ৮টার দিকে নবীনগর বাজার থেকে রিকশাযোগে নিজ বাড়িতে ফেরেন মফিজুর রহমান মুকুল। বাড়ির গেইটের সামনে রিকশা থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে ওত পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তার পিঠে অস্ত্র ঠেকিয়ে পরপর দুটি গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ তিনটি গুলির খোসা উদ্ধার করেছে।
চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
গুলিবিদ্ধ মফিজুরের বড় ভাই মিজানুর রহমান বলেন,“মানুষের চিৎকার শুনে বাইরে এসে দেখি ভাই রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছেন। দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই।”
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর ইসলাম জানান,ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত চলছে এবং জড়িতদের শনাক্তে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।”
নবীনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, মফিজুর রহমানের পিঠের নিচে কোমরের কাছে দুটি গুলি লেগেছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তার রক্তচাপ অত্যন্ত কম ছিল।
জানা যায়, শুক্রবার রাতে উপজেলার বিটঘর ও শিবপুর ইউনিয়নে দলীয় কর্মসূচি শেষে তিনি নিজ বাড়ি পদ্মপাড়ায় ফিরছিলেন। বাড়ির কাছাকাছি পৌঁছালে পেছন থেকে দুর্বৃত্তরা গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।