ব্রজেন চন্দ্র মোহন্তের বয়স ৬৫। প্রতিবছর শীত এলেই তৈরি করেন কুমড়া বড়ি। এর আগে তৈরি করেছেন তার বাবা-দাদা। ব্রজেনদের পরিবারে কুমড়া বড়ি তৈরি শুধু ঐতিহ্যই নয়, জীবিকার অন্যতম উৎস।
বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার সাবলা গ্রামের বাসিন্দা ব্রজেন চন্দ্র। এ গ্রামের বেশির ভাগ বাসিন্দার পূর্বসূরিদের পেশা ছিল কুমড়া বড়ি তৈরি। বর্তমানে তা এ গ্রামের মানুষের অর্থনীতির চালিকাশক্তি হয়ে উঠেছে। স্থানীয় কারিগরদের দাবি, সাবলা গ্রামে প্রতি মাসে অন্তত ৩৫ লাখ টাকার কুমড়া বড়ি বিক্রি হয়।
কুমড়া বড়ি উত্তরাঞ্চলের মানুষের খাবারের একটি অংশ। মাষকলাই ও চাল কুমড়া দিয়ে তৈরি হয় কুমড়া বড়ি। মূলত শীতকালেই এটি তৈরি ও খাওয়ার চল বেশি।
সাবলা গ্রামের কুমড়া বড়ি তৈরি নিয়ে ব্রজেন চন্দ্র বলেন, এ গ্রামে প্রায় ৬৫ ঘর কুমড়া বড়ি তৈরির সঙ্গে জড়িত। প্রত্যেক বাড়ি প্রতি মাসে গড়ে ৩০০ কেজি বড়ি তৈরি করে। আশ্বিন মাস থেকে শুরু হয় বড়ি তৈরি। চলে চৈত্র মাস পর্যন্ত। সাংসারিক কাজের পাশাপাশি এই বড়ি তৈরি করে বিক্রি করা হয়।
ব্রজেন চন্দ্র আরও বলেন, যখন ৫ কেজি মাষকলাইয়ের ১৫ টাকা ছিল, তখন থেকে তিনি বড়ি তৈরি করছেন। বাবার হাত ধরে এ পেশায় এসেছেন। তার সন্তানরাও একসময় কুমড়া বড়ি তৈরির হাল ধরবে।
বগুড়া শহর থেকে প্রায় ২৭ কিলোমিটার দূরে নাগর নদের তীরে সাবলা গ্রাম। গ্রামের অধিকাংশ নারী-পুরুষ সনাতন ধর্মাবলম্বী। শীতকালে গ্রামের প্রবেশমুখ থেকেই চোখে পড়ে চাটাইয়ের ওপর সারি করে বিছানো সাদা মাষকলাইয়ের তৈরি কুমড়া বড়ি। গ্রামের ভেতরে গৃহিণীরা বাড়ির ছাদে একত্রে দল বেঁধে বা কেউ কেউ মাটিতে মাদুর পেতে বড়ি তৈরির কাজ করছেন। এ কাজে নারীদের হাতের ছোঁয়াই বেশি। তবে বাড়ির পুরুষদের ভূমিকা কম নয়। তারা জাতায় কালাই পেষেন। বড়িও বানান। তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ছোটরাও শিখে নেয় বড়ি তৈরি।
অন্য সব ব্যবসার মতো এতেও দ্রব্যমূল্যের প্রভাব পড়েছে বলে জানান স্থানীয় রামকৃষ্ণ মোহন্ত। গত মৌসুমে তিনি প্রায় আড়াই লাখ টাকার বড়ি বিক্রি করেছিলেন।
রামকৃষ্ণ বলেন, গত বছর ৫০ কেজির মাষকলাইয়ের বস্তার দাম ছিল ৩ হাজার ৮০০ টাকা। এ বছর কিনেছেন ৫ হাজার ৬০০ টাকায়। এ কারণে এবার কুমড়া বড়ির দাম বাড়ানো হয়েছে।
কারিগররা জানান, প্রত্যেক ঘরে প্রতি মাসে গড়ে ৩০০ কেজি কুমড়া বড়ি তৈরি ও বিক্রি হয়। তারা দুই ধরনের কুমড়া বড়ি তৈরি করেন। একটি সাধারণ মানের। আর ভালোটি শুধু মাষকলাই দিয়ে তৈরি। এর দামও বেশি।
সাধারণ বড়ি পাইকারদের কাছে প্রতি কেজি ১৫০ এবং ভালোটি ২৫০ টাকা দরে বিক্রি করেন। খুচরা হিসাবে ভালো মানেরটি সর্বোচ্চ ৪০০ টাকায় বিক্রি হয়।
কাহালুর বিবির পুকুর এলাকার পাইকারি ব্যবসায়ী মোজাফ্ফর হোসেন পাঁচ বছর ধরে কুমড়া বড়ির ব্যবসা করছেন। তিনি বলেন, প্রতি সপ্তাহে সাবলা গ্রাম থেকে ৩ মণ বড়ি কেনেন। এখানকার বড়ির মানও ভালো।
মৌলভীবাজারে কমলগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় মো. আওলাদ হোসেন (২০) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়কের হীড বাংলাদেশ নামক স্থানে দুর্ঘটনাটি ঘটে। এসময় মোটরসাইকেলের অপর আরোহী রাসেল (২০) গুরুতর আহত হন। তিনি মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
নিহত আওলাদ উপজেলার সদর ইউনিয়নের ফুলবাড়ি গ্রামের আসাদুল মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মোটরসাইকেলযোগে যাচ্ছিলেন দুই মোটরসাইকেল আরোহী। এসময় তারা কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়কের হীড বাংলাদেশে নামক স্থানে আসলে একটি গাড়ির সঙ্গে তাদের ধাক্কা লাগে। এসময় ঘটনাস্থলে নিহত হন আওলাদ। মোটরসাইকেলে পেছনে বসা রাসেল গুরুতর আহত হন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় চক্রবর্তী জানান, মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা লাগা গাড়িটি আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইমাম হোসেন (৩০) নামে এক রোহিঙ্গা যুবককে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে উখিয়ার কুতুপালং ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এফ/১৬ তে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ইমাম হোসেন ক্যাম্প-১ ইস্ট এর জি/১২ ব্লকের মনি উল্লাহর ছেলে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এফ/১৬ ব্লকে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা ইমাম হোসেনকে সরাসরি গুলি করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনার পর ঘটনাস্থলে টহল বাড়ানো হয়েছে। এ ব্যপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
বাগেরহাট জেলার খানজাহান আলীর মাজারের পাশের দীঘি থেকে প্রহলাদ কুমার দাস ওরফে ভোলা (৪৫) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে দীঘিতে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
মৃত ভোলা পেশায় ভ্যানচালক। তিনি কচুয়া উপজেলার সাংদিয়া গ্রামের পরিতোষ কুমার দাসের ছেলে। কয়েক দিন আগে থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন বলে জানা গেছে।
তার গায়ে থাকা সোয়েটার, জামা ও লুঙ্গি দেখে তার পরিবারের সদস্যরা তাকে শনাক্ত করেছে বলে জানিয়েছেন বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম।
স্থানীয় বাসিন্দা জুথি জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তিনি দীঘির ঘাটে থালাবাসন ধোয়ার জন্য গেলে অনেক দূরে একটি মরদেহ ভাসতে দেখেন তিনি।
ওসি আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমরা মরদেহটি উদ্ধার করি। মরদেহটির বেশিরভাগ অংশ পঁচে গেছে। পুলিশ অনুমান করছে পাঁচ থেকে ছয় দিন আগে তার মৃত্যু হয়েছে।’
এ বিষয়ে ওসি আরও বলেন, ‘নিহতের বাবা পরিতোষ কুমার দাস ও তার ভাই থানায় এসে মৃতের শরীরে কাপড় দেখে তাকে তাকে শনাক্ত করেছেন তার বাবা। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে আইনগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
চট্টগ্রামের পাহাড়তলী এলাকায় একটি তিন তলা ভবন আংশিক হেলে পড়েছে।
মঙ্গলবার নগরীর পাহাড়তলী থানার সরাইপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপ-পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। ভবনটির পূর্বদিকে সিটি করপোরেশনের খালে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পে কাজ করছে সিডিএ। এতে ভবনের পূর্বদিকে পাইলিংয়ের মাটি সরে গেছে। পাশে আরেকটি তিনতলা ভবন আছে। দুই ভবনের খুব অল্পই খালি জায়গা, ৬ ইঞ্চির মতো হবে।’
তিনি বলেন, ‘ভবনটি উত্তর দিকে হেলে গেছে বলে মনে হচ্ছে। তবে অন্য ভবনের সঙ্গে লাগেনি। আনোয়ারের ভবন নামের তিন তলার ওই ভবনে চারটা পরিবার বসবাস করে। যেহেতু আমরা কোনো স্ট্রাকচারাল ক্ষতি পাইনি তাই বাসিন্দারা এখনও ভবনেই আছে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ পেলে তাদের সরিয়ে নেওয়া হবে। আপাতত তাদের সতর্ক করা হয়েছে।’
গাইবান্ধা জেলা শহরের ফোরকানিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার রান্না করা খাবার খেয়ে অসুস্থ হওয়া ১৬ শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা বর্তমানে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে বিষয়টি দৈনিক বাংলাকে নিশ্চিত করেন গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) এএসএম রুহুল আমিন।
শিক্ষার্থীরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে একইদিন সকালে তাদের হাসাপতালে ভর্তি করে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
আবাসিক মেডিকেল অফিসার এএসএম রুহুল আমিন বলেন, ‘সকালে গাইবান্ধার ফোরকানিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ১৬ জন শিক্ষার্থী ডাইরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে। অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে তাদের সবাইকে ভর্তি নেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের ডাইরিয়া ওয়ার্ডে (বিভাগে) তাদের চিকিৎসা চলছে।’
তিনি আরও বলেন, তাদের ফুড পয়জনিং (খাবারে বিষক্রিয়া) হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বর্তমানে তারা আশঙ্কামুক্ত রয়েছে।’
ফোরকানিয়া হাফিজিয়া মাদরাসার মোহতামিম মাওলানা মানসুর রাহমান মুঠোফোনে দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘মাদ্রাসায় প্রায় ২০০ জন শিক্ষার্থী আবাসিকে থাকে। তারা তিনবেলাই মাদরাসার রান্না করা খাবার খায়। প্রতিদিনের মতো গত রাতেও তারা স্বাভাবিক (সাদা ভাত, ডাল ও শিম ভাজি) খাবার খেয়ে শুয়ে পড়ে। এরপর রাত দুইটার দিকে হঠাৎ কয়েকজনের ডায়রিয়ার সাথে বমিও করে। পরে আমরা স্যালাইনসহ প্রাথমিক ওষুধ খাওয়াই। তারপরেও কন্ট্রোল না হওয়ায় আমরা সকালে তাদেরকে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করি। সেখানে তাদের চিকিৎসা চলছে। আমরা প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের অভিভাবদের খবর দিয়েছি।’
নাটোরের সিংড়ায় পৌরসভার গাড়ি রাখার গ্যারেজে আগুন লেগে মেয়রের গাড়িসহ আরও ১১টি যানবাহন পুড়ে গেছে। মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মিজানুর রহমান জানান, আজ ভোর ৪টার দিকে পৌরসভা ভবনের পাশে অফিসের গাড়ি রাখা একটি গ্যারেজে আগুন জ্বলতে দেখে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস দূর্ঘটনাকবলিত স্থানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এর আগেই গ্যারেজের ভেতর রাখা মেয়র মো. জান্নাতুল ফেরদৌসের একটি ব্যক্তিগত গাড়িসহ, দুটি কমিউনিটি অ্যাম্বুলেন্স ও আটটি ইজিবাইক পুড়ে যায়।
এ বিষয়ে সিংড়া থানার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুমন আলী জানান, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট হয়ে আগুনের সুত্রপাত হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আগুন লাগার মূল কারন এখনো জানা যায়নি।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে মরা পদ্মা নদীর ওপর নির্মিত উজানচর নতুন ব্রিজ এলাকায় ঘোষিত পর্যটন এলাকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছে পাকা স্থাপনা নির্মাণকাজ। এ জন্য নদীর মাঝ বরাবর রাস্তার ঢাল কেটে পাকা ভিম তৈরি করা হচ্ছে। এতে রাস্তার ঢালে বসানো বড় বড় কংক্রিটের বোল্ডার সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ফলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে রাস্তাটি।
গোয়ালন্দ পৌরসভার কুমড়াকান্দি এলাকার বাসিন্দা প্রবাসফেরত আ. কাদের জমি কিনে সেখানে এ স্থাপনা নির্মাণ কাজ করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের বিষয়ে আ. কাদের ফোনে জানান, কিছুদিন আগে তিনি আতিয়ার রহমান খুশি নামের এক দলিল লেখকের কাছ থেকে নতুন ব্রিজের পাশ থেকে ৯ শতাংশ জমি কেনেন। এরপর সেখানে দোকানঘর নির্মাণকাজ শুরু করি। কাজ করার বিষয়ে আতিয়ার ভাই আমাকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, ‘আপনি কাজ করেন, আমি সব দেখব।’
এ বিষয়ে আতিয়ার রহমান খুশি বলেন, ‘স্থানীয়ভাবে প্রশাসন গত বছর নতুন ব্রিজ এলাকাকে পর্যটন এলাকা ঘোষণা করে; কিন্তু এ ব্যাপারে পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানি না। সেটা হলে তো আমাদের কাছ থেকে জমি অধিগ্রহণ করার কথা; কিন্তু তা করা হয়নি। তাই আমাদের দালিলিক সম্পত্তি বেচাকেনা করছি এবং সেখানে কাজকর্ম করা হচ্ছে। তবে রাস্তার ঢালের অন্তত ১০ ফুট দূর থেকে কাজ করা হচ্ছে। এখানে কারও বাধা দেয়ার কিছু নেই।’
উজানচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলজার হোসেন মৃধা বলেন, ‘পদ্মা নদীর নতুন ব্রিজ এলাকা গোয়ালন্দের ব্যাপক সম্ভাবনাময় একটি পর্যটন এলাকা। ঈদ-পূজাসহ বিভিন্ন উৎসব, এমনকি সারা বছরই এখানে ব্যাপক জনসমাগম হয়। স্থানীয় প্রশাসন গত বছর এলাকাটিকে পর্যটন এলাকা ঘোষণা করে সরকারের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে অবহিত করে। ইতোমধ্যে সেখানে সৌন্দর্য বর্ধনে এলজিইডি ও জাইকার ব্যবস্থাপনায় বেশ কিছু কাজও করা হয়েছে। আশা করি, সেখানে শিগগিরই বড় ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। সেখানে যত্রতত্র স্থাপনা নির্মাণ হলে সৌন্দর্য ব্যাহত ও রাস্তা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়বে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আ. কাদেরকে মৌখিকভাবে কাজ বন্ধ করতে বললেও তিনি শোনেননি। যে কারণে রোববার তাকে অফিসিয়ালি নোটিশ দিয়ে কাজ বন্ধ রাখতে বলেছি। গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। কাজ বন্ধ রাখার ব্যবস্থা নিতে ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছি।’
ফরিদপুরের নগরকান্দায় ট্রাকের ধাক্কায় ঝর্না বেগম (৪০) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার দুপুরে উপজেলার তালমার মোড় এলাকায় ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ঝর্না বেগম ডাংগী ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের সালাম সর্দারের স্ত্রী।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল আলম।
স্থানীয়রা জানায়, ঝর্না বেগম বাড়ি থেকে ভ্যানযোগে এসে তালমা মোড় আবুল মেম্বার বাস কাউন্টারের সামনে নামেন। পরে ফরিদপুরগামী একটি ট্রাকের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। স্থানীয়রা ট্রাক ও ট্রাকচালককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
ওসি খায়রুল আলম জানান, ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে এবং ট্রাকচালক হাসানুর রহমানকে (৪২) আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে নিহত ঝর্নার ভাতিজা লিয়াকত হোসেন বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের শেষ দিনে বাগেরহাটের ৪টি আসন ৩০ জনের মধ্যে স্বতন্ত্র ও দলীয় প্রার্থীসহ মোট ছয় জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৩ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মনোনীত এবং ৩ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন।
ঋণ খেলাপির দায়ে দলীয় তিনজনের এবং সমর্থনকারীদের স্বাক্ষরের মিল না থাকায় ৩ স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল কর হয়। সোমবার জেলা রিটানিং অফিসারের কার্যালয়ে বাছাই শেষে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
বাগেরহাট জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোহা. খালিদ হোসেন জানান, বাগেরহাটের ৪টি আসনে ৩০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। এদের মধ্যে যাছাই-বাছাই শেষে ঋণ খেলাপির দায়ে বাগেরহাট-১ আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী কাজী রবিউল, বাগেরহাট-২ আসনে ঋণ খেলাপির দায়ে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী মরিয়ম সুলতানা ও জাতীয় পার্টির হাজরা সহিদুল ইসলাম মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে বাগেরহাট-৩ আসনের শেখ নিজাম উদ্দিন, বাগেরহাট-৪ আসনের মো. জামিল হোসেন ও বাগেরহাট-২ আসনে এস এম আজমল হোসেনের সমর্থকারীদের স্বাক্ষরের মিল না থাকায় মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। ফলে বাগেরহাটের ৪টি আসনে মোট বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা ২৪ জন।
বাতিল হওয়া প্রার্থীরা আগামী ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে আপিল করতে পারবে বলেও জানান তিনি।
দীর্ঘ ৯৪ বছর ধরে নামাজের সময় ছাড়া বাকি সময় টানা কোরআন তেলাওয়াত চলছে এই মসজিদে। কোনো বিরাম নেই। পালাক্রমে একেকজন কোরআন তেলাওয়াত করতে থাকেন ৭০০ বছরের পুরোনো এই মসজিদে। টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী এলাকায় অবস্থিত মসজিদটি ধনবাড়ী নবাববাড়ী মসজিদ নামেই পরিচিত।
ঐতিহাসিক স্থাপত্যের নিদর্শন ও গুণীজনেরা টাঙ্গাইল জেলার ইতিহাসকে করেছে নানাভাবে সমৃদ্ধ। ধনবাড়ী একটি প্রাচীন জনপদ ও একসময়ে জমিদারির জন্য বিখ্যাত।
মোঘল সুবেদার ইসলাম খানের শাসন চলাকালে সেনাপতি ইস্পিঞ্জার খা ধনবাড়ী আক্রমণ করে দখল নেন। তারাই জমিদার বাড়ির ৩০ বিঘা দিঘির পাড়ে সুদৃশ্য, স্থাপত্য শিল্পের অপরূপ নিদর্শন এ মসজিদটি নির্মাণ করেন।
কালের পরিক্রমায় ধনবাড়ী জমিদারির দায়িত্বে আসেন সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী। তিনি ব্রিটিশ পার্লামেন্টে অবিভক্ত বাংলার প্রথম মুসলমান মন্ত্রী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।
কথা হয় হাফেজ আব্দুল ওয়ারেছের সঙ্গে। তিনি প্রায়ই এখানে কোরআন তেলাওয়াত করেন। আব্দুল ওয়ারেছ জানান, অবসরে সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী মসজিদের সামনে পুকুরঘাটের এই স্থানে বসে কোরআন তেলাওয়াত শুনতেন। মৃত্যুর আগে তিনি ওসিয়ত করে যান, এখানে যেন তার কবর দেয়া হয় আর কবরের পাশে টানা কোরআন তেলাওয়াত করা হয়। ১৯২৯ সালের ১৭ এপ্রিল ৬৫ বছর বয়সে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী মারা যান। ওসিয়ত অনুযায়ী, তিনি মারা যাওয়ার পর থেকেই প্রতিদিন পাঁচজন হাফেজ এখানে কোরআন তেলাওয়াতের দায়িত্বে আছেন।
দিন-রাত আলাদা শিফটে একেকজন কোরআন পাঠের দায়িত্বে থাকেন। বর্তমানে হাফেজ আব্দুস সামাদ, হাফেজ মো. কামরুজ্জামান, হাফেজ ওমর ফারুক, হাফেজ মো. ওয়ারেজ আলী নিয়মিত কোরআন তেলাওয়াতের জন্য নিয়োজিত রয়েছেন।
বর্তমানে একটি পদ শূন্য রয়েছে। এদের কেউ অনুপস্থিত থাকলে মসজিদের পাশেই হিফজখানা থেকে ছাত্রদের দিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করা হয়।
আগে ট্রাস্টের মাধ্যমে ইমাম, মুয়াজ্জিন, হিফজখানা ও তেলাওয়াতকারী হাফেজদের বেতন পরিশোধ করা হলেও এখন মসজিদের আয় থেকেই বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়।
হাফেজ কামরুজ্জামান বলেন, তিনি ২৬ বছর ধরে এখানে কোরআন তেলাওয়াত করছেন। মসজিদের পশ্চিম পাশে অনেক পুরোনো কবরের ওপরে মাইকের হর্নের মাধ্যমে সেই তেলাওয়াতের সুর পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।
মসজিদের ইমাম ও খতিব মুফতি মো. ইদ্রিস হোসাইন দৈনিক বাংলাকে বলেন, সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী নবাব মঞ্জিলের পাশে জনকল্যাণমূলক ৩৯টি প্রতিষ্ঠান গড়েন ও সম্পদ ওয়াকফ করে যান। তিনি ছিলেন হযরত আব্দুল কাদের জিলানীর বংশধর।
নওয়াব আলীর কবরের পাশের দৃষ্টিনন্দন, মার্বেল পাথরে কারুকার্য খচিত এই মসজিদটি দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা আসেন। অনেকেই মনের আশা পূরণে এই মসজিদে বিভিন্ন মানত করে থাকেন।
ময়মনসিংহ থেকে আসা লিমা আক্তার বলেন, ‘লোকমুখে শুনে মসজিদটি দেখতে এসেছি। সুন্দর পরিবেশে এত সুন্দর মসজিদ দেখে মুগ্ধ হয়েছি।’
মৌলভিবাজারের কমলগঞ্জে ৩২তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস এবং ২৫তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস-২০২৩ দিবস পালিত হয়েছে।
রোববার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে চা জনগোষ্ঠী প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফোরামের উদ্যোগে উপজেলার শমশেরনগর চা বাগানে র্যালী, আলোচনা সভা ও ২ জন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে হুইল চেয়ার বিতরণ করা হয়।
চা জনগোষ্ঠী প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি উত্তম কুমার গোয়ালার সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রইছ আল রেজুয়ান, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিলকিস বেগম, চা শ্রমিক ছাত্রনেতা মোহন রবিদাস, স্কুল শিক্ষক গোয়ালা।
আলোচনা সভা শেষে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ২ জন শারিরীক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে দুইটি হুইল চেয়ার বিতরণ করেন অতিথিরা।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, প্রতিবন্ধী নাগরিকরা সমাজের বোঝা নয়। তারা যেন সমাজে অন্যসব নাগরিকের মতো সমান অধিকার ও মর্যাদা নিয়ে বসবাস করতে পারেন, সে বিষয়ে সচেতনতা তৈরি ও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য প্রতিবছর আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস পালিত হয়। শারীরিকভাবে অসম্পূর্ণ মানুষদের প্রতি সহমর্মিতা ও সহযোগিতা প্রদর্শন ও তাদের কর্মকান্ডের প্রতি সম্মান জানানোর উদ্দেশ্যেই দিবসটির সুচনা হয়। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরাও জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখতে সক্ষম হবেন।
রাজনৈতিক দলের মনোনীত হয়েও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাখিলসহ মনোনয়নপত্র যথাযথভাবে পূরণ না করায় আলোচিত কন্টেন্ট নির্মাতা আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের প্রার্থীতা বাতিল হয়েছে।
রোববার দুপুরে বগুড়ার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম তার প্রার্থীতা বাতিল ঘোষণা করেন। এদিন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ র্নিবাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক বগুড়ার ১, ২, ৩ ও ৪ আসনের প্রার্থীদের মনোনয়ন যাচাই বাছাই হয়। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করার জন্য বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসন থেকে বাংলাদেশ কংগ্রেসের মনোনীত প্রার্থী হন হিরো আলম। যাচাইবাছাই কালে রিটার্নিং কর্মকর্তারা দেখতে পান হিরো আলম যথাযথভাবে মনোনয়নপত্র পূরণ করেননি। এ জন্য তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়।
রিটার্নিং কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, “দলীয় প্রার্থী হয়েও হিরো আলম স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র পূরণ করেন। রাজনৈতিক দলের স্থানে হিরো আলম লেখেছেন ‘প্রযোজ্য নহে’। দলীয় মনোনয়নে মূল কপি জমা দেননি। ফটোকপি দিয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে ভোটার তালিকার এক শতাংশ সমর্থনের তথ্য জমা দিতে হবে। উনি সেটিও করেননি। তার হলফনামার সঙ্গে সম্পদের আয়ব্যয় বিবরণী জমা দেননি।”
‘এ সময় হিরো আলম স্বাক্ষর করার সুযোগ চাইলে সভাকক্ষে উপস্থিত অন্য প্রার্থীরা আপত্তি জানান। হলফনামায় লেখার পর একজন সেখানে শনাক্ত করতে হবে। এরপর একজন ম্যাজিস্ট্রেট বা নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে সেটি ভ্যারিফাই করতে হয়। উনি সেটি অনুসরণ করেননি। এখন হলফনামায় স্বাক্ষর করা সম্ভব না। হিরো আলমের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। তবে উনি চাইলে আমার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন।’
মনোনয়ন বাতিল হওয়ার পর হিরো আলম বলেন, ‘উকিল ভুল করেছে। তবে উকিল ভুল করা মানে আমি ভুল করেছি। হিরো আলমের প্রার্থীতা বাতিল নতুন কিছু না।’
‘হলফনামায় স্বাক্ষর করিনি। তারা চাইলেই এখানে আমার স্বাক্ষর নিতে পারত। বাতিল করেছে করুক। ইনশাআল্লাহ হিরো আলম ভোটের মাঠে থাকবে। আমি আবারও আমার প্রার্থিতা ফিরেয়ে আনার চেষ্টা করব।’
উল্লেখ্য, বগুড়ার ৪ ও ৬ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন হিরো আলম। কিন্তু সেখানেও যাচাইবাছাইকালে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়। ওই বাতিলের কারণ ছিল হিরো আলমের ১ শতাংশ ভোটার তালিকায় গরমিল। পরে হাইকোর্ট থেকে প্রার্থিতার বৈধতা এনে নির্বাচন করেন। তবে দুটি আসনেই পরাজয় হয় হিরো আলমের।
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে নূরুল আলা নূর ইসলামী কিন্ডারগার্টেন মাদরাসার বিপ্লব নামে এক শিক্ষককে মারধরসহ লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে ফরহাদ হোসেন নামে এক ছাত্রীর অভিভাবকের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ওই মাদরাসা শিক্ষক। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে অন্যান্য অভিভাবকরা।
জানা গেছে, গত ২৩ নভেম্বর সকালে ক্লাস চলাকালীন সময়ে এক ছাত্রী বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করায় শাসন করে। পরে সে তার বাবা ফরহাদকে বিষয়টি জানালে কিছুক্ষণ পরেই মাদরাসা ছুটি শেষে বাড়ি ফিরছিলেন বিপ্লব। পথিমধ্যে ওই ছাত্রীর বাবা ফরহাদ হোসেন তাকে রাস্তায় গতিরোধ করে গলা টিপে ধরে মারধর ও কিল-ঘুষি মেরে লাঞ্ছিত করে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষক বিপ্লব বলেন, ‘মাদরাসা প্রতিষ্ঠাকাল থেকে সুনামের সাথে শিক্ষকতা করে আসছি। গত সপ্তাসে ক্লাসে এক ছাত্রী ক্লাসের মধ্যেই বিভিন্ন সময়ে বিশৃঙ্খলা করে আসছিল। তার সহপাঠিরা অভিযোগ করায় আমি তাকে শাসন করি। পরে বিষয়টি তার বাবাকে বলায় আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলা টিপে মারধর করে।’
তিনি আরও জানান, বিষয়টি প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও পরিচালক মহোদয়কে জানানো হলে তারা মিমাংসা করে দেয়ার আশ্বাস দেয়। যার কারণে থানায় অভিযোগ করেনি। কিন্তু সপ্তাহ পার হলেও কোনো সুষ্ঠু বিচার পাচ্ছি না। উল্টো ফরহাদ হোসেন হুমকি দিচ্ছেন। এমন অবস্থায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি এবং ফরহাদ হোসেনের কঠোর শাস্তি দাবি করছি।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর সকালে নূরুল আলা নূর ইসলামী কিন্ডারগার্টেন মাদরাসার প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ ইসরাফিলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। অভিযোগের বিষয়ে জানতে ফরহাদ হোসেনকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় মাদরাসার পরিচালক প্রফেসর আশরাফকে একাধিবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি। এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ্ বলেন, কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।