শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
১২ আশ্বিন ১৪৩২

বগি লাইনচ্যুত, ময়মনসিংহে ট্রেন চলাচল বন্ধ

ময়মনসিংহ এক্সপ্রেস ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড
১১ ডিসেম্বর, ২০২২ ১২:০৬
প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ
প্রকাশিত
প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ
প্রকাশিত : ১১ ডিসেম্বর, ২০২২ ১১:০৪

ময়মনসিংহে চট্টগ্রামগামী ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে ময়মনসিংহ-ভৈরব, ময়মনসিংহ-গৌরীপুর ও ময়মনসিংহ-মোহনগঞ্জ-জারিয়া রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। রোববার সকাল পৌনে আটটার দিকে নগরীর বলাশপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

রেলওয়ে ময়মনসিংহের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশল মো. নাজমুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ময়মনসিংহ জংশন থেকে চট্টগ্রামগামী ৩৮ ডাউন ময়মনসিংহ এক্সপ্রেসের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়। খবর পেয়ে লোকোসেডের উদ্ধারকারী দল কাজ শুরু করেছেন। কখন ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে, সে বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।

বিষয়:

৩১ কি. মি. দৈর্ঘ্যের রোড মিডিয়ানে বৃক্ষরোপণ ও সবুজায়নের উদ্বোধন করলেন ডিএসসিসি প্রশাসক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) আওতাধীন মোট ৩১ কি. মি. দৈর্ঘ্যের ৩৩টি রোড মিডিয়ানে বৃক্ষরোপণ ও সবুজায়নের উদ্বোধন করলেন ডিএসসিসি প্রশাসক জনাব মোঃ শাহজাহান মিয়া।

জিরো সয়েল কার্যক্রমের আওতায় ২টি পর্যায়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২৮টি মিডিয়ানে এবং বন অধিদপ্তরের মাধ্যমে ৫টি মিডিয়ানে শোভাবর্ধক ফুলের গাছ ও ঘাস রোপণের মাধ্যমে সবুজায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ২টি পর্যায়ে মোট ১০,৬৪৫টি শোভাবর্ধন ফুলের চারা হিসেবে রাধাচূড়া, বাগানবিলাস, টগর, শিউলি, করবী, চেরি, বকুল, সোনালু, টিকুমা, জারুল, মুসেন্ডা এবং রোড মিডিয়ানের দুই পাশে হেজ বা বর্ডার হিসেবে থাকবে মোট ৮১,১০০টি মিনি টগর, রং চিতা, মিনি রঙ্গন রোপণ করা হবে। এছাড়া সম্পূর্ণ মিডিয়ান জুড়ে সবুজায়নের জন্য থাকবে বার্মুডা ঘাস, লন ঘাস, আইভি লতা এবং অডেলিয়া।

১ম পর্যায়ে বাস্তবায়নাধীন ১৩টি মিডিয়ানের মধ্যে মিরপুর রোড, আব্দুল গনি রোড, শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী সরণি, সিটি কলেজ হয়ে সীমান্ত স্কয়ার ও শহিদ ফারহান ফাইয়াজ সড়কের মিডিয়ান অংশে বৃক্ষরোপণের উদ্বোধন ও পরিদর্শন করেন ডিএসসিসি প্রশাসক। এ সময় প্রশাসক বলেন,
"নগরীর সৌন্দর্যবর্ধন ও পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণের অংশ হিসেবে ডিএসসিসির আওতাধীন সড়ক মিডিয়ানে বৃক্ষরোপণ ও সবুজায়ন করা হচ্ছে।" মাননীয় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা ও মাননীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টার সার্বিক নির্দেশনায় ডিএসসিসি নিজে ও বন অধিদপ্তরের সাথে যৌথভাবে এ কার্যক্রম গ্রহণ করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মোঃ জহিরুল ইসলাম, সচিব মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর মোঃ মাহাবুবুর রহমান তালুকদারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।


রাজশাহীতে কমিউনিটি ব্যাংকের মাধ্যমে আরএমপি'র ট্রাফিক জরিমানা আদায় কার্যক্রম শুরু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজশাহীতে ট্রাফিক মামলার জরিমানা আদায় আরও সহজ ও স্বচ্ছ করার লক্ষ্যে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) এবং কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি’র মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫) বিকেল ৪টায় রাজশাহীর গ্র্যান্ড রিভারভিউ চাইনিজ রেস্টুরেন্টের সম্মেলন কক্ষে এ দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি বিনিময় করেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান এবং কমিউনিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) কিমিয়া সাআদত। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহান, পিপিএম (বার), পিএইচডি।

চুক্তি স্বাক্ষরের পর পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রাফিক মামলার জরিমানা আদায়ের কার্যক্রম উদ্বোধন ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, “ট্রাফিক মামলার জরিমানার অর্থ প্রদানে গ্রাহক হয়রানি কমানো, ভোগান্তি লাঘব এবং সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এখন থেকে নগদ অর্থের পাশাপাশি কমিউনিটি ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড এবং বিকাশের মাধ্যমে জরিমানা প্রদান করা যাবে। এতে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা আরও গতিশীল হবে।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আরএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর), অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত মোহাম্মদ খোরশেদ আলম, পিপিএম; উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো: নূর আলম সিদ্দিকীসহ আরএমপি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ। এছাড়া কমিউনিটি ব্যাংকের হেড অব করপোরেট ব্যাংকিং ও হেড অব বিজনেস (ব্রাঞ্চ) ড. মো. আরিফুল ইসলাম, হেড অব কার্ড জনাব জাহির আহমেদ, হেড অব এডিসি ও হেড অব এমডি'স কো-অর্ডিনেশন টিমের প্রধান মো: মামুন উর রহমানসহ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল ১১টায় ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার, রাজশাহীতে "ই-ট্রাফিক পরিচালনা ও জরিমানা আদায়" কার্যক্রম সহজীকরণের লক্ষ্যে আরএমপি ও জেলা পুলিশের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর এবং সার্জেন্টদের নিয়ে এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।


ফেনীতে দুই কন্যাকে হত্যার হুমকি দিয়ে প্রবাসীর স্ত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ফেনী প্রতিনিধি

ফেনীর পরশুরামে দুই কন্যা সন্তানকে হত্যার হুমকি দিয়ে প্রবাসীর স্ত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী নিজেকে অন্তঃসত্ত্বা দাবি করে ভাসুরের ছেলে জিহাদের (২২) বিরুদ্ধে পরশুরাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

ঘটনাটি উপজেলার দক্ষিণ কোলাপাড়া গ্রামের ঘৃণা গাজী মজুমদার বাড়িতে ঘটেছে। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে ভুক্তভোগী নারী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগে বলা হয়, মৃত অশ্রু মজুমদারের ছেলে জিহাদ তার চাচা দুবাই প্রবাসে থাকায় ফাঁকা সুযোগে ওই প্রবাসীর স্ত্রীকে জিম্মি করে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। এ সময় তিনি ভুক্তভোগীর দুই কন্যা সন্তানকে হত্যার হুমকি দেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, স্বামী এক বছর ধরে প্রবাসে থাকায় দুই সন্তান নিয়ে ওই নারী বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

ভুক্তভোগী নারী বলেন, ‘স্বামী প্রবাসে থাকার সুযোগে জিহাদ আমাকে একাধিকবার জিম্মি করে ধর্ষণ করেছে। দুই মেয়েকে হত্যা করার হুমকিও দিয়েছে। এখন আমি দুই সন্তান নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় আছি।’

পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল হাকিম জানান, ভুক্তভোগী নারী জিম্মি করে ধর্ষণের অভিযোগ এনে জিহাদ নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ওসি আরও বলেন, ভুক্তভোগী নারী নিজেকে অন্তঃসত্ত্বা দাবি করেছেন।


নড়াইলে অবাধে চলছে শামুক-ঝিনুক নিধন

দ্রুত শামুক-ঝিনুক আহরণ বন্ধের দাবি এলাকাবাসীর
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নড়াইল প্রতিনিধি

পরিবেশ অধিদপ্তরের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নড়াইলের খাল-বিলসহ বিভিন্ন জলাশয় থেকে অবাধে শামুক-ঝিনুক আহরণ করা হচ্ছে। স্থানীয় ও দক্ষিণাঞ্চলীয় বিভিন্ন জেলার চিংড়ি ঘেরগুলোতে এসব শামুক-ঝিনুক সরবরাহ করা হয়। নড়াইল জেলার প্রায় ৪০টি বিল ও জলাশয় থেকে প্রতিদিন শামুক আহরণ করা হচ্ছে।
সরেজমিন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার নাকশি, আউড়িয়া, বাড়িরডাঙ্গা, সীতারামপুর, তুলারামপুর, মুলিয়া,বামনহাট, মাইজপাড়া, শাহাবাদ, বরাশুলা, নলামারা, কাড়ারবিল, ফেদি, রতডাঙ্গা, কমলাপুর, কালিরডোব, হাড়িভাঙ্গা গোবরা, মির্জাপুর, আগদিয়া, বাসগ্রাম।
লোহাগড়া উপজেলার ঝুকটিয়া, গিলেতলা, এড়েন্দা, ব্রম্মণডাঙ্গা, নলদী, মিঠাপুর, লাহুড়িয়, কালনা, ইতনা, বাতাসি, দিঘলিয়া, কুমড়ি, তালবাড়িয়া।
কালিয়া উপজেলার চাচুড়ি, ইছামতি, বেন্দারচর, হামিদপুর, কুলশুর, চাদেরচর, কলাবাড়িয়া, বিভিন্ন বিল ও জলাশয় থেকে স্থানীয় দরিদ্র্য মানুষরা ডিঙিনৌকা ও তালের ডোঙা নিয়ে শামুক আহরণ করে নির্দ্দিষ্ট স্থানে জমা করেন। পরে সেখানে বসে শামুকগুলোর খোল থেকে মাংশ ও ঘিলু বের করে একটি পাত্রে রাখেন। ব্যবসায়ীরা এসব শামুক ২৫ টাকা কেজি দরে কিনে নিয়ে যান।
লোহাগড়া উপজেলার নলদী ইউনিয়নের ব্রাম্মণডাঙ্গা গ্রামের সুকুমার বিশ্বাসের স্ত্রী রমলা বালা বলেন, ‘গ্রামের মানসির (মানুষ) দেহাদেহি আমিও তালের ডোঙা নিয়ে ইছামতির বিলি শামুক কুড়োতি যাই। বেলা মাথার পর উঠলি শামুক নিয়ে বাড়ী ফিরে আসি। বাড়ী আসে সেগুলোর খোল থেকে মাংশ ও ঘিলু বের করি। পরে সেগুলো ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে দি। তিনি বলেন, দিন গিলি ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা পাই। তাই দিয়ে সংসার চালাই।’
কালিয়া উপজেলার চাচুড়ি গ্রামের খুশি রানী মালো বলেন, ‘পূব আকাশে ভোরের আলো ফুটার আগেই তালের ডোঙ্গা নিয়ে ঘরেরতে বার হই। বেলা মাথার উপর গিলি বিলিরতে শামুক-ঝিনুক নিয়ে ঘরে ফিরি। পরে সেগুলোর ভিতরেরতে ঘিলু আর মাংশু বার করে ব্যবসায়ীগে কাছে বিক্রি করি। তিনি বলেন, শামুক আর ঝিনুকের খুসা অন্য মানুষগে কাছে বেঁচে দেই। সেখানেরতে আমরা তিন-চারশো টাকার মত পাই। শুনিছি তারা ওই গুলো পুরায়ে চুন বানায়।’
নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও জীববিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক বরুন মজুমদার বলেন, বিভিন্ন জলাশয়ের শামুক-ঝিনুকগুলো মিষ্টি পানিতে ভাসমান রসালো জলজ উদ্ভিদ খেয়ে জীবনধারণ করে থাকে। শামুক-ঝিনুকের বালুচর গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এছাড়া শুকনো মওসুমে শামুকের খোলস জমির আদ্রতা কমিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনে। অবিলম্বে শামুক-ঝিনুক আহরণ বন্ধ করা প্রয়োজন।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বদরুল আলম বলেন, জলাভূমির জীববৈচিত্র রক্ষার স্বার্থে পরিবেশ অধিদপ্তর জলাশয় থেকে শামুক-ঝিনুক আহরণ নিষিদ্ধ করেছে। এর পরও এক শ্রেণির ঘেরমালিক ও ব্যবসায়ীরা শামুক-ঝিনুক নিধন করে চলেছেন। তিনি দাবি করেন, চিংড়ির জন্য শামুক আহরণের ব্যাপারে ঘেরমালিকদের নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।


অপার সম্ভাবনাময় মৌলভীবাজার পর্যটন শিল্প এখনো অবহেলিত

সরকার পর্যটন জেলা ঘোষণা করে ২০০৮ সালে
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সালাউদ্দীন শুভ, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

পর্যটনের অপার সম্ভাবনাময় মৌলভীবাজার প্রকৃতির অন্যতম লীলাভূমি। একদিকে পাহাড় অন্যদিকে চা বাগান। একদিকে ঝরনা অন্যদিকে বিস্তীর্ণ হাওর। আছে এশিয়ার অন্যতম রেইনফরেস্ট লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান। বিপুল সম্ভাবনা থাকা মৌলভীবাজারকে সরকার পর্যটন জেলা ঘোষণা করে ২০০৮ সালে। এরপর এক যুগেরও বেশি সময় পার হয়েছে। তবে হয়নি ‘চায়ের দেশ’ ও ‘জলকন্যা’ মৌলভীবাজারের পর্যটনশিল্পের বিকাশ।
পর্যটন সংশ্লিষ্টদের মতে, পর্যটক আকৃষ্ট করতে এখানের পর্যটনকেন্দ্রগুলো নতুন করে সাজানো, সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, অবকাঠামোর আধুনিকায়ন, বিমানে যাতায়াতের ব্যবস্থা, পর্যটকদের সুরক্ষা, উন্নত সেবা নিশ্চিত এবং বাড়তি খরচ কমিয়ে কম খরচে সবার যাতায়াত নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি বিদেশি পর্যটকদের কাছে এখানের দর্শনীয় স্থান নিয়ে বৈচিত্র্যময় শিল্পের প্রচারণা চালাতে হবে। তবেই পর্যটক শিল্প বিকশিত হবে। এর মধ্য দিয়ে চাকরি ও কর্মসংস্থান বাড়বে। একইসঙ্গে ব্যবসাবাণিজ্য ও অর্থনীতি চাঙা হবে।

পর্যটনশিল্প সংশ্লিষ্টরা আরও জানান, নৈসর্গিক সৌন্দর্যে ঘেরা সবুজ চা-বাগান, হাওর, নদী, পাহাড় ও সমতলের বৈচিত্র্যপূর্ণ জনপদ মৌলভীবাজারকে ঘিরে পর্যটনের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু এ সম্ভাবনা কাজে লাগানোর সুদূরপ্রসারী কোনো উদ্যোগ দৃশ্যমান হচ্ছে না। সরকারের সঙ্গে স্থানীয় উদ্যোক্তাদের সমন্বয়হীনতা, অবকাঠামো উন্নয়নের অভাব আরও বিনোদনকেন্দ্রে যাতায়াত ও উন্নতমানের গাইডের অভাবে মৌলভীবাজারের পর্যটনশিল্প বিকশিত হচ্ছে না।
পর্যটন ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, এখানে সব মৌসুমে দেশ-বিদেশি পর্যটকের যাতায়াত থাকে। তবে যে পরিমাণ পর্যটক আসার কথা কিংবা যেভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য হওয়ার কথা সেভাবে হচ্ছে না। অথচ জেলায় দুই শতাধিক পর্যটনকেন্দ্র রয়েছে।
হোটেল ও রিসোর্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, পর্যটন জেলা ঘোষণার এতদিন পরও মৌলভীবাজারকে সেভাবে গড়ে তুলতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। পর্যটক আকর্ষণ, তাদের নির্দেশনা, নিরাপত্তা, আবাসন ও বিনোদনের পরিকল্পিত কোনো ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়নি। প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা সংরক্ষিত বনাঞ্চল, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত, হামহাম ছড়া জলপ্রপাত, বাইক্কা বিল, হাকালুকি হাওর, মাধবপুর লেক ও ইকোপার্ক, ওয়াটার ট্যুরিজমের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে এ জেলায়। তবে নান্দনিকতার অভাবে পর্যটনের বিকাশ আটকে আছে।
শ্রীমঙ্গল চামুং রেস্তোরাঁ এবং ইকো ক্যাফে স্বত্বাধিকারী তাপস দাস বলেন, ‘সরকারি সহায়তার অভাবে স্থানীয় উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসছেন না। অবকাঠামোগত উন্নয়নের অভাব রয়েছে, বিনোদনের নেই কোনো ব্যবস্থা, পর্যটন স্পটে সহজ যাতায়াত ও উন্নতমানের ভ্রমণ গাইডের অভাবে জেলার পর্যটনশিল্প বিকশিত হচ্ছে না। নান্দনিকতা ও বিনোদনের অভাবে পর্যটকরা এ জেলা থেকে মুখ তুফরে নিতে যাচ্ছে।’
কমলগঞ্জ উপজেলার অরন্য নিবাস ইকো রিসোর্ট এর পরিচালনা কমিটির সদস্য এহসান কবির সবুজ জানান, পর্যটকদের যাতায়াতের সমস্যা। ঢাকা বা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা আমাদের শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন রিসোর্টে আসেন। কিন্তু আসা এবং যাওয়ার পথে তাদের প্রথম বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় যানবাহন। এই জেলায় আসার যাওয়ার কোনো ভালো গাড়ি নেই। যদি সিলেট রেলপথে পর্যটনবাহী ২টা ট্রেন দেওয়া হয় তাহলে পর্যটকে ভরপুর থাকবে এই জেলা।
তিনি বলেন, ঈদ, পূজায় ও স্কুল বন্ধ থাকলে হাজারও পর্যটকে সমাহার থাকে এই জেলা। আমাদের ও অন্যদের রিসোর্ট ফিলাপ থাকে। যদি তাদের পরিপূর্ণ সার্ভিস দিতে হয়, তাহলে দ্রুত ভালো যানবাহানের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য তিনি সরকারের কাছে জোড় দাবি জানান।
পর্যটন সেবা সংস্থার সদস্য ও পরিবেশবাদী এসকে দাশ সুমন বলেন, ‘একই স্পট বারবার দেখতে পর্যটকরা পছন্দ করেন না। তারা নতুনত্ব চান। মৌলভীবাজারে পর্যটকদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটছে না। বিনোদনকেন্দ্রিক আরও নতুন কিছু গড়ে ওঠা দরকার। একাধিকবার বিভিন্ন দপ্তরের এসব বিষয়ে আলোচনা হলেও লাভ হয়নি। সরকার ভালো উদ্যোগ নিলে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করতে পারত।’
মৌলভীবাজার পর্যটন সেবা সংস্থার সদস্য সচিব শামছুল হক বলেন, জেলায় বৈচিত্র্যময় প্রাকৃতিক পরিবেশ রয়েছে। এ জেলায় দেশের শীর্ষভাগ চা বাগান। রয়েছে মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য। পর্যটনকেন্দ্রিক যোগাযোগব্যবস্থা ও উন্নতমানের অবকাঠামো না থাকলেও অভ্যন্তরীণ উন্নত যোগাযোগব্যবস্থা, অবকাঠামোগত সুবিধা ও প্রাকৃতিক অপার সৌন্দর্য রয়েছে। পাহাড়, টিলা, সংরক্ষিত বনাঞ্চল, হাওর-বাঁওড় বিল, ঝরনা, নদ-নদী পরিবেষ্টিত ও জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ এ জেলা ইকো-ট্যুরিজমের জন্য খুবই উপযোগী। এ কারণে প্রতি বছর বহু দেশি-বিদেশি পর্যটক এ জেলায় ভ্রমণে আসেন।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাখন চন্দ্র সুত্রধর বলেন, ইকো-ট্যুরিজম উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম আছে। এরইমধ্যে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক ইসরাইল হোসেন বলেন, মৌলভীবাজারে পর্যটকদের আকৃষ্টে নতুন পরিকল্পনা নিয়ে সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।


কেজেএফডি- লুৎফে আরা খাতুন স্কলারশিপ ২০২৫ প্রদান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

কিশোরগঞ্জ সাংবাদিক ফোরাম ঢাকা প্রথমবারের মতো সদস্যদের সন্তানদের কেজেএফডি-লুৎফে আরা খাতুন স্কলারশিপ ২০২৫ প্রদান করেছে। আজ ২৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন@ ঢাকাস্থ বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমিতির সভাপতি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. নাসির উদ-দৌলা।
বিশেষ অতিথি বলহাদী লুৎফুল এন্ড কোং এর প্রোপাইটার এণ্ড সিইও এম বি এম লুৎফুল হাদী।
কিশোরগঞ্জ সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার সভাপতি এরফানুল হক নাহিদের সভাপতিতেত্ব অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কিরণ।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কিশোরগঞ্জ সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার সাবেক সভাপতি আজিজুল হক এরশাদ, ঢাকা সাংবাদিক বহুমুখী সমবায় সমিতির সম্পাদক শফিউল আলম দোলন, নেত্রকোনা সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার সভাপতি রফিক মুহাম্মদ, কেজেএফডির সহসভাপতি সফিকুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক এম শাহাজাহান, জনকল্যাণ সম্পাদক গোলাম রসুল ভূইয়া, বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী ও সমাজসেবক শাহরিয়ার শামীম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন কেজেএফডির সিনিয়র সহ-সভাপতি হামিদ মোহাম্মদ জসিম।
অনুষ্ঠানে অষ্টম শ্রেণী থেকে উচ্চতর পর্যায়ে অধ্যয়নরত ২০ পরিবারের ২০ সন্তানকে কেজেএফডি- লুৎফে আরা খাতুন স্কলারশিপ ২০২৫ হিসেবে প্রত্যেককে নগদ দশ হাজার টাকা ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।


এদেশে পিআর পদ্ধতিতে কোনো নির্বাচন হবে না:আমান উল্লাহ আমান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কেরানিগঞ্জ প্রতিনিধি
এদেশে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর পদ্ধতিতে কোনো নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সংসদ নির্বাচন হবে। এদেশের মানুষ পিআর পদ্ধতি বোঝে না, তাই কোনোভাবেই পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে না।
বৃহস্পতিবার বিকেলে কেরানীগঞ্জ মডেল উপজেলার আটি পাঁচদোনা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পুরস্কার বিতরণ ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আমান উল্লাহ আমান বলেন, আপনারা ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেবেন। আগামী সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ২ আসন থেকে ব্যারিস্টার ইরফান ইবনে আমান অমি নির্বাচন করবেন। আপনাদের হাতে আমি ব্যারিস্টার অমিকে তুলে দিলাম।
অনুষ্ঠানে আটি পাঁচদোনা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মাদ শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ঢাকা ২ আসনের বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী ব্যারিস্টার ইরফান ইবনে আমান অমি। কেরানীগঞ্জ মডেল উপজেলা বিএনপির নেতা মাসুদ রানার সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন, আটি পাঁচদোনা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. খায়রুল আমীন, হাজী সলিমুল্লা চেয়ারম্যান প্রমুখ।


ট্রাকের বেপরোয়া গতি কেড়ো নিলো মা মেয়েসহ ৩ জনের প্রাণ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় ট্রাক-সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে মা-মেয়েসহ ৩ জন নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে উপজেলার সিলেট সুনামগঞ্জ সড়কের নবীনগর এলাকায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হচ্ছেন সুনামগঞ্জ পৌর শহরের উকিলপাড়ার বাসিন্দা আবাদিত কেশবা প্রিয় (৪০) ও তার মেয়ে সুনামগঞ্জের সতীশ চন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী প্রথমা চৌধুরী। তারা হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার নবীপুর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। দুর্ঘটনায় নিহত চালক সজল ঘোষ (৫০) সুনামগঞ্জ পৌর শহরের নবীনগর এলাকার বাসিন্দা।
জয়কলস হাইওয়ে থানার ওসি সুমন কুমার চৌধুরী জানান, শুক্রবার সকালে সুনামগঞ্জ শহর থেকে যাত্রী নিয়ে সিলেটের উদ্দেশ্য যাচ্ছিলো ওই সিএনজি চালিত অটোরিকশা। সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে শান্তিগঞ্জের পাগলা নবীননগর এলাকায় পৌঁছলে বিপরীতমুখী একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রন হারিয়ে সিএনজিকে মুখোমুখি ধাক্কা দিলেই ঘনস্থালেই মারা যান চালক সজল ঘোষ ও যাত্রী কেশবা প্রিয়। আহত কিশোরী প্রথমাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় তার।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য তিনটি মরদেহ সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে এই ঘটনায় ঘাতক ট্রাক চালককে স্থানীয়রা আটক করে রেখে পরবর্তিতে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
নিহতের আত্মীয় গোবিন্দ কুমার দাশ জানান, নিহতরা ইস্কনের অনুসারি। তারা সুনামগঞ্জ ইস্কনের মন্দীরের অধীনে সেবায়েত হিসেবে সুনামগঞ্জে বসবাস করতেন। আজ সিলেট যাওয়ার কথা ছিলো তাদের।
এই ঘটনায় ঘাতক চালকের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন তিনি।


ফরিদপুরে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে এফ ডি এর শাড়ি বিতরণ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাহবুব পিয়াল, ফরিদপুর

শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে ফরিদপুরে এফ ডি এর উদ্যোগে হতদরিদ্র সনাতন ধর্মাবলাম্বীদের মাঝে শারদীয় উপহার হিসেবে শাড়ি বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ফরিদপুর সদর উপজেলার টেপুরাকান্দী এলাকায় এফডিএর কার্যালয়ে এ উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ফরিদপুর ডেভলমমেন্ট এজেন্সি (এফডিএর) নিজস্ব অর্থায়নে শাড়ি বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি- সুস্মিতা সাহা। এফডিএর নির্বাহী পরিচালক আবু ছাহের আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট এনজিও ব্যক্তিত্ব এফডিএর প্রতিষ্ঠাতা মো. আজহারুল ইসলাম, ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন পিয়াল প্রমুখ। পরে হতদরিদ্র শতাধিক হরিজন সম্প্রদায় ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে শাড়ি বিতরণ করা হয়।


ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাংলাদেশ সবার: জামায়ত নেতা কাজী দ্বীন মোহাম্মদ

আপডেটেড ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২৩:৫৬
কুমিল্লা দক্ষিণ প্রতিনিধি

কুমিল্লা-৬ (সদর-সদর দক্ষিণ) আসনের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী, কুমিল্লা মহানগরীর আমীর ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য কাজী দ্বীন মোহাম্মদ বলেছেন, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাংলাদেশ সবার। মুসলমানদের মতো অন্য ধর্মের ভাইয়েরাও যেন সমান নাগরিক অধিকার ভোগ করতে পারে, সে লক্ষ্যেই জামায়াতে ইসলামী কাজ করছে।

বাংলাদেশের ঐতিহ্য হলো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। শত শত বছর ধরে ভিন্ন ধর্ম ও ভিন্ন মতাবলম্বীরা এখানে মিলেমিশে বসবাস করে আসছে। ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার- এই চেতনা ধারণ করেই শান্তিপূর্ণ ও উন্নত সমাজ গঠন করতে হবে। তিনি আরো বলেন, সমাজের প্রতিটি স্তরে ধর্মীয় সহনশীলতা, মানবিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতার চর্চা বৃদ্ধি করতে হবে। তাহলেই সমৃদ্ধ, শান্তিপূর্ণ ও সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।

বৃহস্পতিবার কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা ২ নং উত্তর দুর্গাপুর ইউনিয়ন আড়াইওরা নমুসতপাড়া আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে মতবিনিময় ও উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, কুমিল্লা মহানগরীর জামায়াতের নায়েবে আমীর ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী অধ্যাপক এ. কে. এম. এমদাদুল হক মামুন। ওই সময় আরো বক্তব্য রাখেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সবুজ, যুব বিভাগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম পাটোয়ারী, জামায়াতে ইসলামীর নেতা আবুল কাশেষ শামিম প্রমুখ।


‘ক্লিন নড়াইল, ড্রিম নড়াইল’ দুর্গন্ধ থেকে বাঁচতে চায় গ্রামবাসী

ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ময়লার ভাগাড় সরানোর দাবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কার্ত্তিক দাস, নড়াইল

‘ক্লিন নড়াইল-ড্রিম নড়াইল।’ এটি শহরের ময়লা-অবর্জনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন প্রকল্পের একটি প্ল্যাটফর্ম। এই প্রকল্পের কারণে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে এলাকায়। ফলে ময়লার দুর্গন্ধ পথচারীরা এখন বিরক্ত হয়ে পড়ছে। এই প্রকল্প সম্পন্ন করতে অন্যত্র সরিয়ে নিতে যাওয়ার জন্য এলাকাবাসীরা দাবি জানিয়েছেন। তারা ময়লা-আবর্জনা দুর্গন্ধ থেকে বাঁচতে চায়।

নড়াইল পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭২ সালে স্থাপিত নড়াইল পৌরসভা। ৮০ দশকে দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে প্রথম শ্রেণিতে উন্নতি হয়েছে। দেরিতে হলেও নড়াইল পৌর এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে গড়ে তোলা হয় ‘ক্লিন নড়াইল, ড্রিম নড়াইল’ নামে একটি বিশেষ প্রকল্প। যার কাজ হলো শহরের প্রতিটি বাড়ি থেকে ময়লা-আবর্জনা নিয়ে একটি নির্দিষ্ট স্থানে জমা করা। বি আই আর ডি (বোর্ড ফর ইন্টিগ্রেটেড রুলার ডেভেলপমেন্ট) নামে একটি বেসরকারি সংস্থাকে কাজটি করার জন্য দায়িত্ব দেয় নড়াইল পৌরসভা। আর এসব কাজ যৌথভাবে তদারকি করবে জেলা প্রশাসন এবং পৌরসভা।

নাগরিকদের প্রয়োজনের তাগিদে যে কথা সেই কাজ। ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকেই কাজ শুরু হয়। কাজের শুরুতে জেলা প্রশাসন নড়াইল-যশোর সড়কের নতুন বাস টার্মিনালের সামনের গর্তে ময়লা-আবর্জনা ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়। বি আই আর ডি, এ জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল নিয়োগ করে। ময়লা-আবর্জনা বহনের জন্য ১৩টি ভ্যানগাড়ি ব্যবহার করা হয়। টার্মিনালের সামনের গর্তে ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে আশপাশের বাসিন্দাসহ টার্মিনালে থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের রাত যাপনে দুর্বিষহ হয়ে পড়ে।

পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর তদারকিতে শহরের রাস্তা প্রশস্ত করণ কাজ শুরু হলে ওই গর্ত থেকে ময়লা-আবর্জনা অন্যত্র নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। জেলা প্রশাসন নড়াইল-যশোর সড়কের সীতারামপুর সেতুর পশ্চিম পাশ বেছে নিয়ে জমি অধিগ্রহণ করে সেখানেই ময়লা-আবর্জনা ফেলার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু ময়লার দুর্গন্ধে সীতারামপুর গ্রামের বাসিন্দাদেরও একই অবস্থা শুরু হয়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নড়াইল-যশোর সড়কের সীতারামপুর এলাকায় পৌর ভাগাড় বানিয়ে সেখানে শহরের যত ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। গ্রামবাসীর অভিযোগ সেতুর পশ্চিম পাশে ময়লা-আবর্জনা আর পূর্বপাশে শুকরের মলমূত্রের দুর্গন্ধে কৃষি জমিতে কাজ করা যায় না। মাছের ঘেরে খাবার দিতে অসুবিধা হচ্ছে। কৃষি জমিতে ফসল উৎপাদনসহ খাল-বিলে মাছ মারা ও ধরা যায় না। তাদের দাবি ভাগাড় এখান থেকে সরিয়ে নিয়ে এলাকার মানুষকে মুক্ত বাতাসে বসবাস করার সুযোগ করে দিন ।

সীতারামপুর গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি মনোরঞ্জন বিশ্বাস বলেন, ‘যারা এখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলার অনুমতি দিয়েছেন তারা হয়তো সরেজমিন এলাকা ঘুরে দেখেননি। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় কেমন করে ময়লা-আবর্জনা ফেলার ভাগাড় বানিয়ে দিলেন বোধগম্য হয় না।’ তিনি দাবি করেন, দ্রুত এখান থেকে ময়লার ভাগাড় অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে এলাকার মানুষকে মুক্ত বাতাসে বসবাস করার সুযোগ করে দেবেন ।

মুলিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য অজিত কবিরাজ বলেন, ‘এখানে ময়লার ভাগাড় করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি। নড়াইল-যশোর সড়কের সীতারামপুর গ্রামের মাছের ঘেরসংলগ্ন ভাগাড় বানিয়ে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। যে কারণে এলাকাবাসীর বসবাসে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, ময়লার দুর্গন্ধে এলাকার কৃষক ও মৎস্যচাষীদের কাজ করতে চরম অসুবিধার সম্মুখিন হতে হচ্ছে । অন্য কোনো ফাঁকা স্থান বেছে নিয়ে সেখানে ময়লা-আবর্জনার ভাগাড় নির্মাণে প্রয়োজনী পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানান।’

জানতে চাইলে নড়াইল পৌর প্রশাসক জুলিয়া সুকায়না বলেন এ বিষয়ে এলাকাবাসী অথবা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কেউ কোনো আবেদন করেননি। আবেদন পেলে বিষয়টি ভেবে দেখা যেতে পার। তা ছাড়া অর্থ বরাদ্দসাপেক্ষে অন্যত্র ফাঁকা স্থান দেখে ভাগাড় নির্মাণে পরিকল্পনা করা হতে পারে।


মীরসরাইয়ে ওয়ারেন্টভূক্ত ও মাদক মামলার আসামিসহ গ্রেপ্তার-৭

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মীরসরাই (চট্রগ্রাম) প্রতিনিধি

মীরসরাইয়ে ওয়ারেন্টভূক্ত ও মাদক মামলার আসামিসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বুধবার পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মীরসরাই থানার ওসি আতিকুর রহমান।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, উপজেলার খৈয়াছড়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের পূর্ব পোল মোগরা এলাকার মৃত অলিউর রহমানের ছেলে রেজাউল করিম (৪৮), মঘাদিয়া ইউনিয়নের সরকারটোলা এলাকার ওয়াহেদুর রহমানের ছেলে ওমর ফারুক (২১), করেরহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ অলিনগরের আবুল কালামের ছেলে মো. নাজমুল হামিদ (২১), সীতাকুণ্ড উপজেলার পশ্চিম আমিরাবাদ এলাকার জয়নাল আবেদীনের সাজ্জাদ হোসেন সাকিব (২২), মীরসরাই পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম আমবাড়িয়া এলাকার মৃত আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে কায়সার সিদ্দিক ফাহাদ (২২), মীরসরাই সদর ইউনিয়নের উত্তর তালবাড়িয়া এলাকার নুরুল করিমের ছেলে তারেক হোসেন (২০) ও মীরসরাই পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের গোভনীয়া এলাকার শামছুদ্দিনের ছেলে বাবুল (২৭)। বাবুল মীরসরাই থানার ওয়ারেন্টভূক্ত রেজাউল করিমের নামে একজনের নামে মাদ্রকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রয়েছে।

মীরসরাই থানার ওসি আতিকুর রহমান বলেন, ‘মীরসরাই থানার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলার আসামিসহ সাতজনকে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত বুধবার দুপুরে তাদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।


নারায়ণগঞ্জের জিমখানা এলাকায় যৌথবাহিনীর অভিযান, আটক ২৪

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জ শহরের জিমখানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৪ জনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। এদের মধ্যে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয়। গত বুধবার রাতে জিমখানা লেকপার্ক এলাকায় পুলিশ, সেনাবাহিনী ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সমন্বয়ে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

সাজাপ্রাপ্ত ৫ জন হলেন- মো. ফয়সাল (২১), রিফাত (২০), জুবায়ের ভূইয়া রানা (৩৬), মো. মোস্তফা হোসেন (২৬) ও অভিনন্দী (৩০)। তাদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। এছাড়া আটককৃত আরও ১৯ জনের মধ্যে ১৬ জনকে সদর মডেল থানায় যাচাই বাছাইয়ের জন্য নেওয়া হয়েছে। তাদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। এছাড়া অপর তিনজনের কাছ থেকে মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তারা হলেন- আলম চাঁন, পারভীন আক্তার ও আফরিনা ওরফে হাসি।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার জিমখানা এলাকায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত পুলিশ, সেনাবাহিনী ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর সমন্বয়ে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এই অভিযানে জিমখানা এলাকার মাদক কারবারী আলম চাঁনকে আটক করা হয়। এছাড়া আলম চাঁন এর নিজ বসতঘর তল্লাশি করে প্রায় দেড় কেজি গাঁজা, ২৫০ মিলি বিদেশি মদ, ৩টি বড় ছোড়া, ১টি স্টীলের চাপাতি, ১টি টেটা, ২টি লোহার পাইপ উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ও অস্ত্র আইনে নিয়মিত মামলা করা হবে। এছাড়া আলম চাঁন এর বিরুদ্ধে সদর থানায় ১০টি মাদক মামলা রয়েছে।

এছাড়া পারভীন আক্তার এর কাছ থেকে ২৪ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও আফরিনা ওরফে হাসি এর কাছ থেকে ৩৬ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার সহ তাদের আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হবে।

এদিকে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে গাঁজা রাখা ও সেবনের অপরাধে বিভিন্ন মেয়াদে ৫ জনকে সাজা প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট টি এম রাহসিন কবির। এদের মধ্যে মো. ফয়সাল ও রিফাতকে ১২ দিন, জুবায়ের ভূইয়া রানাকে ২০ দিন, মো. মোস্তফা হোসেনকে ১৪ দিন এবং অভিনন্দীকে ৭ দিন কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।


banner close