শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫
৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

সোনাগাজীতে আবারও স্বর্ণ লুট

ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্যরা। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড
১৩ ডিসেম্বর, ২০২২ ২৩:৫৩
প্রতিনিধি, ফেনী
প্রকাশিত
প্রতিনিধি, ফেনী
প্রকাশিত : ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২ ২৩:৫১

ফেনীর সোনাগাজীতে আবারও স্বর্ণ লুটের ঘটনা ঘটেছে। গত সোমবার মধ্যরাতে পৌর শহরের তাহের জুয়েলার্সে এ ঘটনা ঘটে।

স্বর্ণের দোকানটির মালিক মো. রুবেল বলেন, দুর্বৃত্তরা লকার ভেঙে প্রায় ৪০ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ৭০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে গেছে।
রুবেল জানান, সোমবার রাতে তিনি স্বর্ণালংকারগুলো দোকানের লকারে তালা দিয়ে রেখে বাড়িতে যান। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে এসে দেখেন পেছনের দরজা ও লকারের তালা ভাঙা, দোকানের ভেতরে সবকিছু এলোমেলো অবস্থায় পড়ে আছে। পরে তিনি বিষয়টি পুলিশ ও উপজেলা জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের জানান।

পৌরশহরের ব্যবসায়ীরা বলছেন, রাতে শহরে পুলিশ ও বাজারের নৈশ প্রহরীরা থাকেন। তারপরও সোনার দোকান লুটের ঘটনা ঘটায় উদ্বেগ বাড়ছে।

সোনাগাজী উপজেলা জুয়েলার্স সমিতির সভাপতি বেলায়েত হোসেন বলেন, এক ঘটনার রেশ না কাটতেই আরেকটি লুটের ঘটনায় ব্যবসায়ারীরা খুবই আতঙ্কিত। তিনি এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।

এর আগে গত ৩০ অক্টোবর সোনাগাজী উপজেলার জমাদার বাজারে অর্জুন জুয়েলার্সের মালিক অর্জুন চন্দ্র ভাদুড়িকে (৫২) কুপিয়ে প্রায় ৫০ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায় মুখোশধারী ডাকাতরা। এ সময় তাদের ছোড়া বোমার আঘাতে শহীদুল ইসলামসহ আরও কয়েকজন পথচারী আহত হন। ১১ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর অর্জুন ভাদুড়ি মারা যান। দেড় মাসের মধ্যে পৌর শহরে আবার স্বর্ণ লুটের ঘটনা ঘটলো।

সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদ হোসেন দাইয়ান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ওই দোকানে লুটের ঘটনার মূল রহস্য উদ্‌ঘাটন ও জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের একাধিক দল মাঠে কাজ করছে। বাজার ও আশপাশের এলাকার সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে।

বিষয়:

বাউল সম্রাট আবুল সরকার গ্রেপ্তার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

ইসলাম ও আল্লাহকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার তিল্লি ইউনিয়নের বাউল সম্রাট মহারাজ আবুল সরকারকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বৃহস্পতিবার ভোররাতে মাদারীপুরে এক গানের অনুষ্ঠান চলাকালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জানা যায়, গত ৪ অক্টোবর মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় আয়োজিত এক গানের আসরে আবুল সরকার ইসলামধর্ম এবং আল্লাহর সৃষ্টিকে উদ্দেশ্য করে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। তার গানের মাধ্যমে তিনি ভক্তদের উদ্দেশে বলেন যে, আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে কোনো আগা-মাথা নেই এবং আল্লাহ চারবার সৃষ্টির কথা বলেছেন। তিনি একটি আয়াতের ভুল ব্যাখ্যা করে বাংলায় অনুবাদ করে ভক্তদের কাছে দাবি করেন, আল্লাহর কথার কোনো গোঁহা মাথা পাই না। এক মুখে কয় কথা কয়। তার এই মন্তব্যে ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

আবুল সরকারের গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়লে সকাল থেকেই তার বিচারের দাবিতে মানিকগঞ্জ আদালত চত্বরে বিভিন্ন সংগঠন মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে।

বিষয়টি নজরে আসার পর বৃহস্পতিবার ভোররাতে তাকে মাদারীপুর থেকে গ্রেপ্তার করে মানিকগঞ্জ ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসে।

মানিকগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ইসলাম অবমাননার অভিযোগে ঘিওর থানায় একটি মামলা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত তাকে জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে।


তেঁতুলিয়ায় ৩৭ বছরের শিক্ষকতা করা প্রধান শিক্ষককে রাজকীয় সংবর্ধনা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার ভজনপুর দেবনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অবসর গ্রহণ উপলক্ষে বিদ্যলয়ের সাবেক শিক্ষার্থী, সহকর্মী ও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে গত বৃহস্পতিবার বিকালে রাজকীয় বিদায় সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। শিক্ষকের প্রতি ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধার বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন সাবেক শিক্ষার্থীরা। প্রিয় শিক্ষকের বিদায় বেলায় সাবেক, বর্তমান শিক্ষার্থী ও সহকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন তেঁতুলিয়া উপজেলার ৭নং ভজনপুর দেবনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আসলাম হোসেন।

সাবেক ছাত্ররা প্রিয় শিক্ষককে গাড়িতে উঠিয়ে ফুল দিয়ে বরণ করে স্কুলে নিয়ে আসেন। তারপর মঞ্চে উঠিয়ে সংবর্ধনা প্রদান করেন। এ সময় শিক্ষাগুরুর ভালোবাসার স্মৃতিচারণ করেন সাকের শিক্ষার্থীরা।

মো. আসলাম স্যারের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোছা. ফাতিমা নাজরীন বলেন, স্যারের শূন্যতা কখনই পূরণ হওয়ার নয়। স্যার অনেক ভালো শিক্ষক ছিলেন।

শিক্ষক আসলাম হোসেনের কর্মজীবন শুরু হয় হারাদিঘী উচ্চবিদ্যালয় দিয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে ১৯৮৮ সালে। এরপর বদলি হয়ে ১৯৯৫ সালে তেঁতুলিয়া, কামাতপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলে আসেন সহকারী শিক্ষক হিসেবে। এর পর তিনি পদোন্নতি পেয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে তেঁতুলিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন ১৯৯৮ সালে। ২০০৮ সালে জাতীয় পর্য্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১১ সালে ভজনপুর দেবনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আদ্যবদি প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। প্রায় দীর্ঘ ৩৭ বছর শিক্ষকতা করে আজ (বৃহস্পতিবার) অবসরে যান এই প্রধান শিক্ষক মো. আসলাম।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলা চণ্ডী স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবু ছায়েদ, ঝালিংগিগছ স্কুলের প্রধান শিক্ষক শাহা আজিজুর রহমান, দোলনচাঁপা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোছা. নাজমা খানম, তেঁতুলিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গির আলম, উপজেলার প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার সীমান্ত কুমার বসাক, উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার মিনহাজুল ইসলাম ও বোদা উপজেলার প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার ইউনুছ আলী প্রমুখ।


নেত্রকোনায় গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
এ বি চৌধুরী নাদিম, নেত্রকোনা

নেত্রকোনায় নবাগত জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুর রহমান জেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন।

গত বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। শুরুতে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা স্ব-স্ব পরিচিতি প্রদান করেন। পরে জেলা প্রশাসক নিজেও পরিচিতি দিয়ে মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন। সাংবাদিকরা জেলার বিভিন্ন অসংগতি ও প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন। জেলা প্রশাসক মো. সাইফুর রহমান জেলার সকল সাংবাদিকদের কাছে সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাফিকুজ্জামান, স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক আরিফুল ইসলাম সরদার, লেখক সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী, জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কিবরিয়া চৌধুরী হেলিম, জতীয় দৈনিকের সাংবাদিক বাবু শাামলেন্দু পাল, জেলা প্রেসক্লাবের সহসভাপতি জাহিদ হাসান, জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক ফোরামের সহসভাপতি দেলোয়ার হোসেন মাসুদ, জেলা প্রেসক্লাবের প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক হাফিজ উল্লাহ চৌধুরী আলিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুস শাহাদাত নাজুসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


নওগাঁয় ‘অপারেশন ফার্স্ট লাইট’ অভিযানে ২৩ জন গ্রেপ্তার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নওগাঁ প্রতিনিধি

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অপরাধ দমন ও নিরাপত্তা জোরদারের অংশ হিসেবে রাজশাহী রেঞ্জ পুলিশের বিশেষ নির্দেশনায় নওগাঁয় পরিচালিত হলো ‘অপারেশন ফার্স্ট লাইট’।

গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত জেলার তিনটি উপজেলায় একযোগে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী রেঞ্জের একজন অতিরিক্ত ডিআইজির নেতৃত্বে দুটি বিশেষ দল গঠন করা হয়। শতাধিক পুলিশ সদস্য রাতভর নওগাঁর পোরশা, নিয়ামতপুর ও সদর এলাকায় অভিযানে অংশ নেন। চোর-ডাকাত, অস্ত্র ব্যবসায়ী ও মাদক কারবারিদের পাশাপাশি বিভিন্ন মামলার পলাতক আসামিদের ধরতে বাড়ি-বাড়ি তল্লাশি, সড়কপথে চেকপোস্ট স্থাপন এবং অপরাধপ্রবণ এলাকায় বিশেষ নজরদারি বাড়ানো হয়। এ সময় অভিযানে পোরশা থানায় ১৪ জন, নিয়ামতপুর থানায় ৯ জন এবং নওগাঁ সদর থানা এলাকায় ২ জনসহ মোট ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারদের মধ্যে রয়েছে ৮ জন চিহ্নিত ডাকাত ও কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী। এ সময় দেশীয় অস্ত্র ও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ মাদকদ্রব্যও উদ্ধার করা হয়।

পোরশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘পোরশা এলাকায় সম্প্রতি বেশ কয়েকটি চুরি-ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসব মামলার আসামি ছাড়াও মাদক ব্যবসায়ীদের ধরতে আমরা বিশেষ নজরদারি চালাচ্ছি। অপারেশন ফার্স্ট লাইট এখনো চলছে; গ্রেপ্তারের সংখ্যা বাড়তে পারে।’

নিয়ামতপুর থানার ওসি মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, ‘রাতভর ও ভোরে একাধিক স্থানে অভিযান হয়েছে। বেশ কয়েকজন পলাতক আসামি ও মাদক ব্যবসায়ীকে ধরা হয়েছে। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছি।’

নওগাঁর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শফিউল সারোয়ার বলেন, ‘পোরশা-নিয়ামতপুর এলাকায় সাম্প্রতিক চুরি-ডাকাতির ঘটনা এবং জাতীয় নির্বাচনের আগে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমরা এই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছি। অপরাধী যেই হোক, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। পুরো জেলার নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে।’


অত্যাচারের সাক্ষী হয়ে আজো দাঁড়িয়ে আছে মাদারীপুরের নীলকুঠির

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ফায়েজুল কবীর, মাদারীপুর

মাদারীপুরের সদর উপজেলার শিলারচর ইউনিয়েনের আউলিয়াপুরে ব্রিটিশ নীলকরদের জুলুমের নিদর্শন নীলকুঠি বাড়ী ধ্বংসাবশেষ নিয়ে ২৬৫ বছর যাবৎ আজো দাঁড়িয়ে আছে কালের স্বাক্ষী হয়ে। ১৭৫৭ ইং সালে পলাশীর যুদ্ধে নবাব সিরাজুদ্দৌলার পরাজয় ও বৃটিশদের কাছে ভারতবর্ষের পতনের কিছুদিন পরেই ব্রিটিশ শাসকদের অন্যতম সহযোগী স্বৈরশাসক নীলকর ডানলপ তার সৈন্যবাহিনী নিয়ে তদানিন্তন ফরিদপুর জেলা ও বর্তমান মাদারীপুর জেলার শিলারচর ইউনিয়নের আউলিয়াপুরে ৮ একর জায়গার উপরে ১২ কক্ষ বিশিষ্ট ইট-সুরকী-পোড়ামাটি দিয়ে একটি নীলকুঠি বাড়ীসহ পাশেই ধোঁয়া নির্গমনের জন্য ৪০ ফুট উঁচু একটি চিমনী স্থাপনের কাজ শুরু করেন।

এসময় নীলকররা প্রথমে আশে-পাশের কৃষকদের মুজুরি দেওয়ার কথা বলে তাদের সামান্য কিছু মুজুরি দিয়ে উক্ত কাজ কিছুদিনের মধ্যে সম্পন্ন করে ফেলেন। এরপর আশেপাশের জমি-জমা দখল করে কৃষকদের বাধ্য করেন নীলচাষে। কৃষকদের মধ্যে কেউ নীলকর ডানলপ বাহিনীর কথা না শুনলে তাদের উপর চালানো হতো অমানুষিক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। এমনকি তাদের আটকেও রাখা হতো ঐ নীলকুঠি বাড়ীর এলাকায়। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিলো সেখানকার কৃষকদের ধান ও পাটসহ অন্যান্য শস্য উৎপাদন।

ব্রিটিশ নীলকররা অল্প সময়ে বেশি অর্থ উপার্জনের জন্য তখন ফসল ফলানো বন্ধ করে দিয়ে শুধু ঐ এলাকায় একমাত্র নীল চাষেই বাধ্য করেছিল। এভাবে বছরের পর বছর ধরে ডানলপ ও তার বাহিনী কৃষকদের উপর অমানবিক মারধর, জুলুম, হত্যা ও নির্যাতন চালিয়ে যেতে থাকে। এমকি ঐ এলাকার যুবতী মেয়েদেরও তারা অপহরণ ও ধর্ষণ করত।

এ খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে ব্রিটিশবিরোধী ফরায়েজী আন্দোলনের নেতা মাদারীপুর শিবচর থানার বাহাদুরপুরের বাসিন্দা হাজী মো. শরীয়তুল্লাহ ঐ নীলকরদের বিরুদ্ধে তার লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে আন্দোলন গড়ে তোলেন এবং দীর্ঘদিন তিনি ব্রিটিশ ও নীলকর বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। তার মৃত্যুর পরে তার পুত্র ও শিবচর বাহাদুরপুর মাদ্রসার প্রতিষ্ঠাতা পীর হাজী মো. মহসিনউদ্দিন দুদু মিয়া সেই আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকেন। একপর্যায়ে তিনি বিশাল লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে ঐ নীলকুঠি বাড়ীর পাশ্ববর্তী শিবপুর (বর্তমান নাম- রণখোলা বা যুদ্ধক্ষেত্র) এলাকার লাঠিয়াল সর্দার বংশের এলাকয় ঘাটি গেড়ে নীলকর ডানলপ ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে আন্দোলন চলমান রাখেন। বৃটিশ নীলকর ডানলপ তা টের পেয়ে তার বাহিনী নিয়ে সেখানে হাজী দুদু মিয়ার লাঠিয়াল বাহিনীকে ঘেরাও করলে উভয়পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ বেঁধে যায়। সে যুদ্ধে হাজী দুদু মিয়ার লাঠিয়াল বাহিনী ও উক্ত রণখোলা সর্দার বংশের লাঠিয়াল বাহিনীর কাছে ডাললপ বাহিনী পরাজিত ও বহু হতাহত হয়ে ঐ এলাকা চিরতরে ত্যাগ করেন। ২৬৫ বছর ধরে কালের স্বাক্ষী হয়ে ধ্বংসাবশেষ নিয়ে আজো দাঁড়িয়ে আছে মাদারীপুর আউলিয়াপুরের নীলকুঠি বাড়ী। এক সাক্ষাতকারে উক্ত এলাকার ৭০ উর্ধ্বো বিল্লাল ঢালী, খোকন ঢালী ও নীলকুঠি বাজারের ব্যবসায়ী সহ স্থানীয় লোকজন ঐতিহাসিক ঐ নিদর্শন সংরক্ষণের জন্য সরকারের কাছে আহবান জানিয়েছেন।


দেশি মাছের আকাল, পাবনায় মহা সংকটে মৎস্যজীবীরা

দিন দিন দেশীয় মাছের সংকট বাড়ছেই
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
পাবনা সংবাদদাতা

দেশি মাছের আবাসস্থল পাবনার বিভিন্ন অঞ্চলে কয়েক বছরে আশঙ্কা জনক হারে কমে গেছে মিঠা পানির দেশীয় প্রজাতির মাছ।

জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে চাহিদা বাড়লেও ক্রমেই কমে আসছে মাছের যোগান। ফলে বাজারে মাছের দাম চলে যাচ্ছে ক্রেতা সাধারনের নাগালের বাইরে। ফলে ‘মাছে ভাতে বাঙালি’ বহুল প্রচলিত প্রবাদটি কেবল জায়গা করে নিচ্ছে বইয়ের পাতায়।

অন্যদিকে, এ অঞ্চলে বংশ পরস্পরায় মাছ শিকারের উপর নির্ভরশীল অনেক মৎস্যজীবীরা। তারা প্রয়োজনীয় মাছ আহরণ করতে না পারায় বাধ্য হচ্ছে মানবতর জীবন যাপনে ।

তবে স্থানীয় মৎস্য বিভাগের মতে, জলাশয় অর্থাৎ নদী নালা, খাল বিলের মৎস্য সম্পদ কমে এলেও বৃদ্ধি পাচ্ছে বদ্ধ জলাশয়ে মাছের আবাদ। জিহবার স্বাদ কমে এলেও পুষ্টির কোনো ঘাটতি হবে না এখানকার অধিবাসীদের।

পাবনা জেলার বিভিন্ন জলাশয়,খাল বিল একসময়ে মাছের ভান্ডার বলে পরিচিত ছিল এলাকায়। এক সময় এ জেলার বিভিন্ন নদ নদী, নালা, খাল বিলে বাঈম, কালবাউস, চিতল, পাবদা, রিটা, টাকি, ভেদা, রুই, কাতলা, মৃগেল, সিং, মাগুর, কই, চান্দা, ট্যাংরা, পুঠি, বাইল্লা, বাতাসি, সরপুটিসহ প্রায় ২০০ প্রজাতির মিঠাপানির মাছের সহজলভ্যতা ও প্রাচুর্যতা ছিল। খেতে খুব স্বাদ হওয়ায় এখানকার মাছের কদর ছিল পুরো দেশব্যাপী। কিন্তু যতই সময় পার হচ্ছে ততই মাছের ভান্ডারের শূন্যতা দেখা দিচ্ছে। এরই মধ্যে অনেক প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। অনেকগুলো প্রজাতির মাছ আবার প্রায় বিলুপ্তির পথে।

স্থানীয় মৎস্যজীবীরা জানান, বর্তমানে আগের তুলনায় চার ভাগের এক ভাগ মাছও নেই নদী-নালা আর খাল বিলে। তাই তারা সারাদিন মৎস্য শিকার করেও ৩০০ টাকার বেশি মাছ শিকার করতে পারে না। আর মাছ না থাকায় বাড়ির ঘাটে সারাদিন অলস বাধা থাকে তাদের মাছ শিকারের নৌকাগুলো। এছাড়া দ্রব্যমূল্যের এ অসহনীয় বাজারদরে তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। অন্য কোন উপায় না থাকায় এ পেশায় লেগে আছে বলে জানায় জেলেরা।

সাধারণ জেলেরা জানায়, নদীতে সময় মত পানি না আসা, এক শ্রেণির লোভী ও অসাধু মাছ ব্যবসায়ী ও জেলেরা পোনা মাছ নিধন করা, অবৈধ দুয়ারী জাল দিয়ে সকল প্রকার মাছ শিকার করা।

এছাড়া বিভিন্ন প্রকার জলাশয় ভরাট হয়ে যাওয়া, কৃষি জমিতে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশকের ব্যবহার, জলবায়ু পরিবর্তন, কলকারখানার বর্জ্য, মাছের আবাসস্থল বিনষ্ট হয়ে যাওয়া, বিভিন্ন জলাশয় সেচ দিয়ে মাছ ধরা সহ অসংখ্যা প্রাকৃতিক কারণও রয়েছে।

পাবনার ফরিদপুরের মৎস্যজীবী পলান হালদার, বিকাশ হালদার, আলামিন প্রতিক মিয়া, রমজান মিয়া সহ অনেকে জানান, এক সময় তারা জাল ও বরশি ছাড়াও ডুব দিয়ে বিল থেকে মাছ ধরতেন। দেখা যেত মাছ বাজারে যে মাছ একটু বেশি আমদানি হত, সেই মাছ ব্যবসায়ীরা আর ক্রয় করত না। তাই সেগুলো তারা নদীতে ফেলে দিত। তবে ওই সময় মাছের দাম কম থাকায় আর মাছ বেশি আমদানি থাকায় সবার ঘরে ঘরে মাছ থাকতো। কিন্তু এখন আর সেই দিন নেই, মাছ তো দূরের কথা মাছের গন্ধও পাওয়া যায় না অতি সহজে।

সাথিয়া উপজেলার মৎস্যজীবী শাহাদত, জালাল উদ্দিন, ছাদের মিয়া জানান, তারা তাদের শৈশবে দেখেছেন পানির উপর দিয়ে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছ ভেসে বেড়াতে। এখন সেই দৃশ্য কল্পনাও করা যায় না। সারাদিন কঠোর পরিশ্রম করেও সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়।

তারা আরো জানান, আজ থেকে ১৫-২০ বছর আগে ১ ঘন্টা জাল টেনে এক থেকে দেড় মণ মাছ উঠত জালে। এখন দিনরাত পরিশ্রম করেও এর সিকি ভাগ মাছ হয় না। ফলে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।

মাছ ব্যবসায়ীরা বলছেন, তারা একেক জন ৪০-৪৫ বছর যাবত মাছের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। মাছের এমন আকাল এ অঞ্চলে তাদের চোখে আর পড়েনি। দিন যতই যাচ্ছে দেশীয় মাছের সংকট আরো তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। পানিতে মাছ নেই। বাজারে মাছের আমদানি কম। আগের তুলনায় চার ভাগের এক ভাগ দেশি মাছও এখন আমদানি হয় না। ব্যবসা নেই। তবে চাষ করা মাছের আমদানি থাকায় এলাকার মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তরা কিছুটা মাছ খেতে পারেন।

পাবনা জেলা মৎস্য অফিস জানায়, খাল বিল নদ নদী বিধৌত পাবনা জেলা দেশীয় মাছের একটি বড় উৎস। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এই এলাকার খাল বিল, নদী নালায় দেশি মাছের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এক্ষেত্রে সরকারিভাবে আমরা মৎস্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে সমৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছি। যা চলমান আছে। ফলে ভবিষ্যতে দেশীয় মাছের ঘাটতি অনেকাংশেই কমে যাবে বলে আশা করা যায়।


ভূমিকম্পে আহতদের চিকিৎসার জন্য বিএমইউতে জরুরি প্রস্তুতি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সমগ্র বাংলাদেশে শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫ইং তারিখ সকালে সংঘঠিত ভূমিকম্পে আহতদের চিকিৎসার জন্য জরুরি প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএমইউ) কর্তৃপক্ষ। এরই অংশ হিসেবে বিএমইউ এর সাধারণ জরুরি বিভাগে চারটি বেড (শয্যা) আহতদের জরুরি চিকিৎসার জন্য সংরক্ষিত হিসেবে রাখা হয়েছে। আহতদের চিকিৎসা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে বিএমইউর নিউরোসার্জারি বিভাগ, অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগ এবং এ্যানেসথেশিয়া, এনালজেশিয়া এন্ড ইনটেসসিভ কেয়ার মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যানগণকে (বিভাগীয় প্রধান) প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিএমইউ এর মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মোঃ শাহিনুল আলম এর জরুরি নির্দেশে এই প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এ তথ্য জানিয়েছেন বিএমইউ এর নবনিযুক্ত পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইরতেকা রহমান। তিনি আরো জানান, সাধারণ জরুরি বিভাগে ইভিনিং শিফটে দায়িত্বে থাকবেন ডা. অমিত এবং ডা. নুসরাত শারমিন ।


ফায়ার সার্ভিসের সর্বশেষ তথ্য: মিটফোর্ড হাসপাতালে ৩ জনের মৃত্যু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ভূমিকম্পজনিত দুর্ঘটনায় হতাহতের বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসকে দেওয়া সর্বশেষ তথ্যে জানা গেছে, মিটফোর্ড হাসপাতালে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে এবং অন্তত ১০ জন আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বিষয়টি ফায়ার সার্ভিসকে নিশ্চিত করেছেন মিটফোর্ড হাসপাতালের এএসআই জাকারিয়া হোসেন নয়ন।

ঘটনা কীভাবে ঘটেছে

ফায়ার সার্ভিস জানায়, রাজধানীর আরমানিটোলা কসাইটুলি এলাকার একটি আটতলা ভবনের পাশের দেয়াল ও কার্নিশ থেকে ইট ও পালস্তারা খসে নিচে পড়ে। ভবনের নিচতলায় একটি গরুর মাংস বিক্রির দোকান ছিল। ওই সময়ে দোকানে থাকা ক্রেতা ও আশপাশ দিয়ে চলাচলকারী পথচারীরা এ ঘটনায় আহত হন।

ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকেরা তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন।


চট্টগ্রামে এক্সপ্রেসওয়ে থেকে পড়ে গেল গাড়ি, পথচারী নিহত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রাম নগরের বন্দর থানা এলাকায় শহীদ ওয়াসিম আকরাম উড়াল সড়কের (চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে) রেলিং ভেঙে টয়োটা হ্যারিয়ার ব্র্যান্ডের একটি গাড়ি নিচের সড়কে পড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় শফিক (৫৪) নামে এক পথচারী নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার থানার নিমতলা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। একই ঘটনায় আহত আরও তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। আহতদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রাইভেটকারটি বেপরোয়া গতিতে এক্সপ্রেসওয়ে অতিক্রম করছিল। নিমতলা মোড়ে পৌঁছার পর এক্সপ্রেসওয়ের সীমানা দেওয়ালের অংশ ভেঙে সেটি নিচে পড়ে যায়।

পুলিশ জানায়, এ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত পাঁচজনের মধ্যে পথচারী মো. শফিককে (৫৫) নগরীর আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া আহত এক তরুণীসহ চারজনকে বারিক বিল্ডিং মোড়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের চিকিৎসা চলমান।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বিভাগের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রাইভেটকারটি বিমানবন্দরের দিক থেকে শহীদ ওয়াসিম আকরাম উড়াল সড়কের (চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে) ওপর দিয়ে আগ্রাবাদের দিকে যাচ্ছিল। নিমতলা মোড় অতিক্রম করার সময় সেটি এক্সপ্রেসওয়ের রেলিং ভেঙে নিচে পড়ে যায়।

আহত অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়।

নগর পুলিশের বন্দর জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মাহমুদুর রহমান বলেন, এক্সপ্রেসওয়ে থেকে একটি গাড়ি নিচে রাস্তায় পড়ে যায়। এ ঘটনায় প্রচুর লোকজন জমা হওয়ায় সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। আমরা লোকজন সরিয়ে সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করি।


প্রশিক্ষণের সঙ্গে নতুন সেলাইমেশিন পেয়ে বেজায় খুশি নড়াইলের ২৫ নারী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কার্ত্তিক দাস, নড়াইল

২৫ জন দুস্থ অসহায় নারীদের দর্জিবিজ্ঞানের ওপর ১২ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ দিয়েছে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা সমবায় অফিস। জেলা সমবায় কার্যালয় এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতা করে। প্রশিক্ষণ শেষে তাদের স্বাবলম্বী করে তুলতে প্রত্যেককে সনদসহ বিনামূল্যে সেলাইমেশিন প্রদান করা হয়েছে। দর্জিবিজ্ঞানে প্রশিক্ষণ ও বিনামূল্যে সেলাইমেশিন পেয়ে তারা বেজায় খুশি।

বৃহস্পতিবার লোহাগড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে সনদসহ সেলাইমেশিন বিতরণ করেন খুলনা বিভাগীয় সমবায় কার্যালয়ের যুগ্ম নিবন্ধক মো. নূরন্নবী।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু রিয়াদ। স্বাগত বক্তব্য দেন, লোহাগাড়া উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. আব্দুর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, মানবপাচার প্রতিরোধ সংস্থার সভাপতি সৈয়দ খায়রুল আলম, লোহাগাড়া প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুহম্মদ আমানত হোসেন। প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন জেলা সমবায় অফিসের প্রশিক্ষক মো. হারুন আর রশিদ।

এ সময় লোহাগাড়া উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা মোসম্মাৎ শিরিনা খাতুন, সাংবাদিক মারুফ সামদানি, সাংবাদিক জহুরুল হক মিলু, মাস্টার ট্রেইনার এস, এম সাইদুর রহমান, সহকারি ট্রেইনার ফাতেমাতুজ জোহরা অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

লোহাগাড়া উপজেলা সমবায় কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে দুজন করে নারী উদ্যোক্তা বাছাই করে ১২ দিনব্যাপী দর্জিবিজ্ঞানের ওপর সেলাই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণ শেষে তাদের স্বাবলম্বী করে তুলতে সনদসহ বিনামূল্যে সেলাইমেশিন বিতরণ করা হয়।

প্রশিক্ষণসহ বিনামূল্যে একটি সেলাইমেশিন পেয়ে বেজায় খুশি প্রশিক্ষণার্থী তাছলিমা বেগম। তাছলিমার বাড়ি ইতনা ইউনিয়নের ইতনা গ্রামে। তার পরিবারে স্বামীসহ চারজন মানুষ। দুই বছর আগে নারকেল গাছ থেকে পড়ে গিয়ে স্বামী দীর্ঘদিন ধরে পঙ্গু।

স্নিগ্ধা বিশ্বাসের বাড়ি লোহাগাড়া উপজেলার লাহুড়িয়া ইউনিয়নের সরশুনা গ্রামে। বাড়ি থেকে লাহুড়িয়া বাজারের দূরত্ব ৩ কিলোমিটার। সে জানায় প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৮টায় বাড়ি থেকে বের হয়। পায়ে হেটে বাজারের দোকানে পৌঁছাতে সময় লাগে ৪০ থেকে ৫০ মিনিট।


মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মেহেরপুর প্রতিনিধি

মেহেরপুরে প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে নবযোগদানকৃত জেলা প্রশাসক ড. সৈয়দ এনামুল কবিরের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র সাংবাদিক বাংলাভিশনের প্রতিনিধি তুহিন আরণ্য, মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, মেহেরপুর জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি তোজাম্মেল আযম, মেহেরপুর প্রতিদিনের সম্পাদক ইয়াদুল মোমিন, মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সম্পাদক মাজেদুল হক মানিক, মেহেরপুর জেলা প্রেসক্লাবের সম্পাদক মাহাবুব চান্দু, গাজি টিভির প্রতিনিধি রফিকুল আলম,, নয়াদিগন্ত প্রতিনিধি ওয়াজেদুল হক, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের স্টাফ রিপোর্টার রাশেদুজ্জামান, দেশ টিভির প্রতিনিধি আকতারুজ্জামান, বাসসের প্রতিনিধি দিলরুবা ইয়াসমিন, এখন টিভির প্রতিনিধি মুজাহিদ আল মুন্না। মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, জেলা তথ্য অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খায়রুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পার্থ প্রতীম শীল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তাজওয়ার ইবনে সাকাপিসহ মেহেরপুর জেলা কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

গণমাধ্যম কর্মিদের জন্য অবাধ তথ্য প্রবাহ সৃষ্টি, জেলার অনলাইন জুয়া, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, সড়কে বিশৃঙ্খলাসহ নানা সমস্যার চিত্র তুলে ধরেন। আর সকল সমস্যা সমাধানে সাংবাদিকদের সহযোগিতা চাইলেন নবযোগদানকৃত জেলা প্রশাসক ড. সৈয়দ এনামুল করিম।


রংপুরের নতুন জেলা প্রশাসকের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রংপুর প্রতিনিধি

নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ এনামুল আহসান রংপুরে প্রশাসনের নতুন দিগন্তের সূচনা করেছেন। জেলা প্রশাসক হল রুমে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক পরিচিতি ও মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, জেলার সকল কর্মরত সাংবাদিক। পরিচয় পর্ব শেষে জেলা প্রশাসক সাংবাদিকদের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময় করেন এবং জেলার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ, সমস্যা সমাধানের প্রক্রিয়া ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

অভিযোগ ব্যবস্থাপনা, সুশাসন বাস্তবায়ন এবং ফলপ্রসূ প্রশাসনের সমন্বিত দক্ষতার জন্য দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এনামুল আহসান, তার পরিচিতি ও নেতৃত্বের ধরন দিয়ে রংপুরে প্রশাসনকে আরও কার্যকর, স্বচ্ছ এবং আধুনিক করে তোলার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘সমস্যার দ্রুত সমাধান, নীতিনিষ্ঠ সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং সমন্বিত প্রশাসনিক উদ্যোগই রংপুরকে একটি আদর্শ জেলা হিসেবে গড়ে তুলতে পারে।’

সভায় জেলা প্রশাসক সাংবাদিকদের উদ্দেশে আরও বলেন, ‘বিগত দিনে যে অবহেলা ও প্রশাসনিক শূন্যতা রংপুরে লক্ষ্য করা গেছে, তা কাটিয়ে উন্নয়নের নতুন অধ্যায় শুরু করতে আপনাদের সহযোগিতা আমাদের জন্য অপরিহার্য। একত্রে আমরা রংপুরকে একটি উন্নত, স্বচ্ছ ও সমন্বিত প্রশাসনিক মডেল জেলা হিসেবে গড়ে তুলতে পারব।’

নবাগত জেলা প্রশাসকের এই আহ্বান সাংবাদিকদের মধ্যে নতুন উদ্যম এবং প্রত্যাশার সঞ্চার করেছে। তার স্বচ্ছ নেতৃত্ব, সমন্বয়মুখী প্রশাসনিক ধারণা এবং সমস্যা সমাধানে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি রংপুরের জন্য উন্নয়ন ও সমন্বিত সহযোগিতার নতুন সম্ভাবনার সূচক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।


তারেক রহমানের জন্মদিনে শেরপুরে ফ্রি চিকিৎসা ও ওষুধ দিল বিএনপি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শেরপুর প্রতিনিধি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে শেরপুরে দরিদ্র অসহায় মানুষের জন্য ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ করা হয়েছে।

ড্যাবের সহযোগিতায় শেরপুর সদর উপজেলা বিএনপি এ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও ওষুধ বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ। উদ্বোধক ছিলেন শেরপুর-১ আসনের বিএনপির মনোনীত এমপি প্রার্থী ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা।

সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ মো. হযরত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ মেডিকেল ক্যাম্পে আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, সদস্য সচিব, অধ্যক্ষ এবিএম মামুনুর রশিদ পলাশ, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)-এর ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব, অধ্যাপক ডা. খালেকুজ্জামান দিপু, কোষাধক্ষ্য ডা. মো. মেহেদী হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সায়েম মনোয়ার, শেরপুর সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. সাইফুল ইসলামসহ আরও অনেকে।

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. হারুন আল রশীদ বলেন, দেশে ৩৬টি মেডিকেল কলেজে দলীয় লোক বসানো ও আত্মীকরণের কারণে মানসম্পন্ন শিক্ষা নেই। বিএনপি সরকারে এলে শেরপুরে মানসম্মত মেডিকেল কলেজ করতে অনুরোধ করব।

ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা বলেন, শেরপুরের মানুষ চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। আমরা দরিদ্র অসহায় মানুষের চিকিৎসাসেবা প্রদান করার জন্য পর্যায়ক্রমে ব্যবস্থা নিচ্ছি। সামনের নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আমরা শেরপুরে হাসপাতালের যত সমস্যা আছে তা চিহ্নিত করে দূর করে মানুষের চিকিৎসা নিশ্চিত করব। তিনি জানান, আজকের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে পাঁচ হাজারের বেশি রোগীকে চিকিৎসা ও বিনামূল্যে ওষুধ প্রদান করা হয়েছে।

এদিকে চিকিৎসা নিতে আসা বৃদ্ধ রহিম মিয়া বলেন, ‘আমি বিনা টেহায় চিকিৎসা পাইলাম, ওষুধ পাইলাম, খুব খুশি হইছি। দোয়া করি তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হোক।’ সফুরা বেগম বলেন, ‘এর আগে এত বড় ডাক্তার দেহাবার পাইনেই। আজকে দেহাইলাম, প্রিয়াঙ্কা আমগরে ওষুধ দিল, দোয়া করি মেয়েডা এমপি হোক।’


banner close