যশোরের বেনাপোলের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া হাকর নদীতে একসময় চলত লঞ্চ ও স্টিমার। মাছ ধরে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করতেন অনেকে। এখন সেই হাকর নদী মরা খালে পরিণত হয়েছে। নদীতে বাঁধ দিয়ে পুকুর তৈরি করেছেন দখলকারীরা। নদীর পাড়ে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে বহুতল ভবন। এতে বন্ধ হয়ে গেছে পানিপ্রবাহের পথ।
এদিকে এই নদীতে আশপাশের পানিপ্রবাহ হতে না পারায় বৃষ্টিতে তৈরি হয় জলাবদ্ধতা। ক্ষতিগ্রস্ত হন কৃষকরা। তাই হাকর নদী দখলমুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিরা বলছেন, অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে হাকর নদীর আশপাশে বিনোদনের পার্ক নির্মাণ করা যেতে পারে। এতে দুর্ভোগ যেমন কমবে তেমনি সরকারও রাজস্ব পাবে।
স্থানীয় কৃষক আব্দুর রশিদ বলেন, তারা শুষ্ক মৌসুমে ধান চাষে পানি পান না। এই নদীতে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত করা গেলে ধান উৎপাদনে পানির সুষ্ঠু ব্যবহার হবে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বজলুর রহমান বলেন, বাব-দাদার মুখে শুনেছেন হাকর নদীর সঙ্গে সংযুক্ত ছিল ভারতের বনগাঁ ইছামতি ও গঙ্গা নদী। এ পারে কুদলা ও বেতনা নদী মিশেছে যশোরের কপোতাক্ষ নদের সঙ্গে। একসময়ে এ হাকর ও বেতনা নদী দিয়ে চলত লঞ্চ ও স্টিমার। দুটি নদীই এখন অবৈধ বাঁধ ও অপদখলে ভরাট হয়েছে। ফলে এ এলাকার কৃষি ও পরিবেশের ওপর বিরূপ পড়ছে।
বজলুর রহমান বলেন, উপজেলা প্রশাসন কয়েক দফায় বেতনা নদীতে উচ্ছেদ অভিযান চালালেও হাকর নদী আজও দখলমুক্ত হয়নি।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নারায়ণ চন্দ্র পাল বলেন, উপজেলা প্রশাসন হাকর নদী দখলমুক্ত করে খননকাজের জন্য পাউবোর কাছে চিঠি দিয়েছে। তবে সেখান থেকে কোনো সিদ্ধান্ত এখনো জানানো হয়নি। পাউবোর নির্দেশনা পেলে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে দখলমুক্ত করা হবে।
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে দড়ি চন্ডিবের বিলে ভাসছিলো অজ্ঞাত পরিচয়ে এক যুবকের মরদেহ । খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।
আজ সোমবার বেলা ১১ টায় পৌর শহরের ৯নং ওয়ার্ডের দড়ি চন্ডিবের এলাকার দক্ষিণপাড়ার একটি বিলে অজ্ঞাত পরিচয়ে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ভৈরব পৌর শহরের দড়ি চন্ডিবের দক্ষিণপাড়া এলাকার শামসু মিয়ার বাড়ির পিছনে বিলের পানি থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ে একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ভৈরব থানা পুলিশ। পরে মরদেহটি সুরতাল রির্পোট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী আবুল কালাম বলেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে বাথরুমে যাওয়ার সময় বাড়ির পিছনের বিলে একজনের মরদেহ পানিতে ভেসে আছে দেখতে পাই। পরে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে লাশটি উদ্ধার করে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো.মুছা মিয়া বলেন, সকালে লোকমুখে শুনে এসে দেখি দড়ি চন্ডিবের বিলে একজনের মরদেহ ভাসছে। তবে যেভাবে পড়ে আছে তা দেখে চেনার কোন উপায় নেই। থানা প্রশাসন এসে উদ্ধার করলে তার পরিচয় জানা যাবে।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানী জানান, খবর পেয়ে দড়ি চন্ডিবের এলাকার শামসু মিয়ার বাড়ির পিছনে বিলের পানি থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এসময় নিহতের গায়ে একটি জিন্স প্যান্ট পরিহিত ছিলো। তার প্যান্টের পকেটে থেকে একটি মুঠোফোন ও মানিব্যাগে থাকা কাতারের একটি পারমিট কার্ড পাওয়া যায়। পারমিট কার্ডে মানিক রিয়াদ নাম লিখা রয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশের অনুসন্ধান টিম কাজ করছেন বলে তিনি জানান।
নওগাঁর বদলগাছীতে এক কিশোরীকে অপহরণ মামলায় উজ্জল হোসেন (৩২) নামে এক যুবককে চৌদ্দ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৫ আগস্ট) বেলা ১১টায় নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. মেহেদী হাসান তালুকদার এ রায় দেন। জরিমানার অর্থ অপহরণের শিকার ওই কিশোরীকে প্রদানের নির্দেশ দেন বিচারক।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত উজ্জল হোসেন জেলার মহাদেবপুর উপজেলার ব্যালট উত্তরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২২ জুলাই সকাল সাড়ে ৫টার দিকে উজ্জল হোসেন বদলগাছী উপজেলার বারাতৈল গ্রামের নানীর বাড়ি থেকে ওই কিশোরীকে ফুসলিয়ে অপহরণ করে বোনের বাসায় আটক রাখে। পরে ওই কিশোরীর মা বদলগাছী থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে। তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা থাকায় আসামি উজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করলে সাত জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন শেষে আজ বিচারক এই রায় দেয়।
রাষ্ট্রপক্ষের সরকারী কৌঁশলী এ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। আসামি পক্ষের কৌঁশলি আশিক আল ইমরান হিল্লোল উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানান।
মেহেরপুর জেলায় বিভিন্ন সময় হারানো ও চুরি হওয়া ১২২টি মোবাইল ও প্রতারণার মাধ্যমে ১০ লক্ষ ১৮ হাজর ৩শত টাকা উদ্ধার করে ভোক্তভোগীদের হাতে তুলে দিলেন মেহেরপুর জেলা পুলিশ।
আজ সোমবার সকাল ১১টার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যলয় প্রাঙ্গণে উদ্ধারকৃত মোবাইল ও টাকা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকৃত মালিকের নিকট হস্তান্তর করেন পুলিশ সুপার মাকসুদা আকতার খানম।
জেলার সদর থানা, গাংনী থানা এবং মুজিবনগর থানা এলাকায় হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ও টাকা সংক্রান্তে ভুক্তভোগীদের জিডির বিপরীতে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল জুন ও জুলাই মাসে ১২২টি মোবাইল ও প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎকৃত ৯ লক্ষ ১৭ হাজার এবং বিকাশ ও নগদ মোবাইল ব্যাংকিং এ ভুলক্রমে অন্য নম্বরে চলে যাওয়া ১ লক্ষ ১ হাজার ৩শত টাকা বিভিন্ন জেলায় অভিযান পরিচালনা করে উদ্ধার করে।
উদ্ধার হওয়া মোবাইলের ভেতর সদর থানার ৪১টি, গাংনী থানার ৬৪টি এবং মুজিবনগর থানার ১৭টি সহ সর্বমোট ১২২টি এবং ১০ লক্ষ ১৮ হাজর ৩শত টাকা উদ্ধার করা হয়। এসময় ভুক্তভোগীরা জানান, আমরা অনেকেই মনে করতাম ফোন হারিয়ে গেলে বা টাকা ভুলক্রমে চলে গেলে তা আর পাওয়া যায় না বা ফেরৎ দেয় না। কিন্তু হারিয়ে যাওয়া ফোন পুলিশের মাধ্যমে আজ ফেরৎ পেয়ে আমাদের ধারণা পাল্টে গেছে। শখের মোবাইল ও টাকা পাওয়ার আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম। হঠাৎ এসপি অফিস থেকে ফোন করে ডেকে পুলিশ মোবাইল ও টাকা আমাদের হাতে তুলে দিয়েছে। এতে আমরা অনেক খুশি।
পুলিশ সুপার মাকসুদা আকতার খানম বলেন, মেহেরপুর জেলায় মোবাইল হারানো জিডি হলে ভুক্তভোগীদের তদবীর বা যোগাযোগ ব্যতিরেকে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের সদস্যগণ এ উদ্ধার কাজ করে থাকেন। হারানো, চুরি বা ছিনতাই হওয়া মোবাইল ও প্রতারণা বা ভুলক্রমে চলে যাওয়া টাকা ফিরে পাওয়া যায় না এমন ধারণা থেকে বের হয়ে এসে পুলিশের সহযোগিতা নেওয়ার আহবান জানান তিনি। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামিনুর রহমান খান (প্রশাসন ও অর্থ) আবদুল করিম (সদর সার্কেল) ডিবি পুলিশের ওসি গোপাল কুমারসহ পুলিশের বিভিন্ন শাখার উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় সামুদা কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি থেকে এসিডসহ বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত কেমিক্যাল পরিবহন করার সময় মাঝেমধ্যে তা রাস্তাঘাটে পড়ে যাচ্ছে। হাতে-পায়ে লেগে কিংবা শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে বিষাক্ত এই কেমিক্যাল গ্রহণ করে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে এলাকাবাসী।
খবর নিয়ে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটি হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড, ক্যালসিয়াম কার্বনেট, সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইডসহ বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক উৎপন্ন করে যা তৈরি করতে এসিডসহ বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যালের প্রয়োজন হয়। এ সকল রাসায়নিক পদার্থ এবং কেমিক্যাল গাড়িতে পরিবহন করার সময় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করার কথা থাকলেও বিষয়টিতে বরাবরই উদাসীন সামুদা কেমিক্যাল কর্তৃপক্ষ। এদিকে সোমবার (২৫ আগস্ট) ভোর ছয়টার দিকেও কোম্পানির একটি গাড়ি থেকে রাস্তায় হাইড্রোক্লোরিক এসিড পড়ে যায়। কালো ধোঁয়া আর ঝাঁঝালো গন্ধে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এলাকাবাসী।
সরেজমিনে সোমবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে হোসেন্দী ইউনিয়নের সিকিরগাঁও এলাকায় গিয়ে দেখা যায় রাস্তায় পানি ছিটিয়ে হাইড্রোক্লোরিক এসিড পরিষ্কার করা হলেও এসিডের ঝাঁঝালো গন্ধ রয়ে গেছে। স্থানীয়রা জানায়, গত এক-দেড় বছরে অন্তত পাঁচবার এইরকম ঘটনা ঘটেছে। সিকিরগাঁও থেকে জামালদী বাস স্ট্যান্ডে যাওয়া-আসার পথে রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় বারংবার এসব বিষাক্ত কেমিক্যাল গাড়ি থেকে রাস্তায় পড়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, ' আজ সকালে কোম্পানির একটি গাড়ি জামালদী বাস স্ট্যান্ডের দিকে যাবার পথে গাড়ি থেকে বিষাক্ত হাইড্রোক্লোরিক এসিড রাস্তায় পড়ে যায়। এতে বিষাক্ত কালো ধোঁয়ায় চারপাশ আচ্ছন্ন হয়ে যায়। ঝাঁঝালো গন্ধে দম বন্ধ হবার উপক্রম হয় এলাকাবাসীর। এর আগেও বেশ কয়েকবার এরকম অবস্থা তৈরি হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে আমরা প্রতিবাদ করেছিলাম কিন্তু কোন লাভ হয়নি'।
স্থানীয় বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ' প্রায় দেখি তাদের গাড়ি থেকে রাস্তায় কেমিক্যাল পড়ে যায়। এসব কেমিক্যাল পরিবহনে যতটুকু সতর্কতা অবলম্বন করার কথা কোম্পানি তা করছে না'।
এ পথে নিয়মিত চলাচলকারী অটোরিকশা চালক আলী হোসেন বলেন, ' কয়দিন পর দেখি রাস্তায় বিষাক্ত কেমিক্যাল পড়ে যায়। নিঃশ্বাসের সাথে তা গ্রহণ করলে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে। হাতে-পায়ে লাগলে চামড়া উঠে যায়। আমরা চাই এই রাস্তায় কেমিক্যালের গাড়ি চলাচলের জন্য একটি সময় বেঁধে দেওয়া হোক'।
বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মেডিকেল অফিসার ডা. খন্দকার আরশাদ কবির বলেন, 'হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড ত্বকে এবং টিস্যুতে মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। এসিড গায়ে লাগলে দ্রুত প্রচুর পরিমাণ পানি দিয়ে আক্রান্ত স্থানটি ধুতে হবে। পোশাকে যদি এসিড লাগে তা খুলে ফেলতে হবে এবং যত দ্রুত সম্ভব রোগীকে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে'।
বিষয়টি সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক ( মানব সম্পদ বিভাগ) মো.হাফিজুর রহমান বলেন, ' আজকের ঘটনায় আমাদের কোন অবহেলা ছিল না। রাস্তার উপর দিয়ে যাওয়া একটি ড্রেজারের পাইপে লেগে আমাদের গাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যার ফলে রাস্তায় হাইড্রোক্লোরিক এসিড ছড়িয়ে পড়ে। তৎক্ষণাৎ আমাদের প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় পানি ছিটিয়ে তা পরিষ্কার করে ফেলে। হাইড্রোক্লোরিক এসিড রাস্তায় পড়ে ধোঁয়া সৃষ্টি হলে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে আমি বলবো ভয়ের কোন কারণ নেই'।
বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম বলেন, 'এরকম একটি খবর আমিও পেয়েছি। যতটুকু জানতে পারলাম রাস্তার উপর দিয়ে একটি ড্রেজারের পাইপ দিয়েছিল যার কারণে এই ঘটনাটি ঘটেছে। আমরা ড্রেজারের পাইপ অপসারণ করার নির্দেশ দিয়েছি। স্থানীয়রা আমাদের কাছে অভিযোগ করেছে এর আগেও এই প্রতিষ্ঠানটির গাড়ি থেকে রাসায়নিক রাস্তায় পড়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে কোম্পানি কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। বিষয়টি আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানিয়েছে'।
বিষয়টি সম্পর্কে পরিবেশ অধিদপ্তর মুন্সীগঞ্জের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, ' বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত হয়েছি। নিশ্চয়ই আমরা এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করব'।
ইলিশের উৎপাদন একদিকে কমছে, এতে প্রাকৃতিক কারণও রয়েছে। নদীর নাব্যতা কমে যাচ্ছে, মেঘনা নদীর অববাহিকায় দূষণের মাত্রা বেড়েছে। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে বৃষ্টি না হলে ইলিশ মাছ ডিম পাড়তে পারে না। পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকৃতিক কারণ ও তথাকথিত উন্নয়নের কারণে নদী ভরাট ও দখল হয়ে যাচ্ছে। এমন মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার। বরিশাল ক্লাব প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত উপকূলীয় এলাকার মহিষের চারণভূমি ও উন্নয়নের সমস্যা এবং সাধন শীর্ষক জাতীয় কর্মশালা-২০২৫-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ইলিশ একটি মাইগ্রেটরি মাছ এটি সমুদ্র থেকে নদীতে আসে এবং আবার ফিরে যেতে হয়। কিন্তু বর্তমানে তা হচ্ছে না। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো ঝাটকা নিধন। কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী অভিযান চালালেও এটি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা যায়নি। এছাড়া অবৈধ জালের ব্যবহার ইলিশের প্রাপ্যতা কমাচ্ছে। তবে এসবের বিরুদ্ধে আমরা কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছি। আশা করছি খুব শীঘ্রই ইলিশের দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে।
তিনি জানান,খুব শীঘ্রই ঢাকায় একটি মিটিং অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে নদী থেকে মাছ ধরে হাত বদলের সিন্ডিকেট বন্ধ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। এ উদ্যোগের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ সরাসরি বাজারে মাছ পাবে এবং সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে আসবে।
ফরিদা আক্তার বলেন, উপকূল এলাকায় মহিষের চারণভূমি সংকুচিত হয়ে গেছে। আমরা গবেষণায় দেখেছি এর পেছনে নানা কারণ রয়েছে। বাড়িঘর তৈরি হচ্ছে, এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও নির্মিত হচ্ছে। আমাদের দেশে গরু, ছাগল ও মহিষ পালন অন্তত মানুষের খাদ্য ও জীবন রক্ষার জন্য জরুরি। চারণভূমি বিষয়ে আমরা দেখছি যে অনেক কিছু পরিকল্পনা বিহীনভাবে তৈরি হচ্ছে। এতে মহিষের মতো গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। তবে সঠিক নীতি ও ব্যবস্থা নিলে এটি দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,পিকেএসএফ উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ফজলে রাব্বি সাদেক আহমেদ, বরিশাল বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, জিজেইউএস নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন মহিন। সভাপতিত্ব করেন প্রফেসর ড. ওমর ফারুক, প্রেসিডেন্ট।
বক্তারা বলেন, নদী ও সমুদ্রের টেকসই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব। মৎস্যজীবী, প্রশাসন ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান একত্রিতভাবে কাজ করলে মাছ চাষ ও সংরক্ষণ কার্যকর হবে।
এছাড়া তারা বলেন, উপকূলীয় এলাকায় মহিষ পালনের সম্ভাবনা অনেক, তবে জলবায়ু পরিবর্তন, চারণভূমির অভাব ও বাজার ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা খাতটির উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করছে। গবেষণা ও আধুনিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মহিষ পালনকে লাভজনক ও টেকসই খাতে রূপান্তর করা সম্ভব।
টাঙ্গাইলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর উদ্যোগে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার ২৫ আগস্ট জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক জনাব শরীফা হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (তদন্ত) কমিশনার মিঞা মোহাম্মদ আলি আকবর আজিজী।
গণশুনানিতে বক্তারা বলেন, “সবাই মিলে গড়বো দেশ, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ”—এই স্লোগানকে সামনে রেখে জনগণের অভিযোগ শোনা, দুর্নীতি প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং জনসচেতনতা তৈরিই এ অনুষ্ঠানের মূল লক্ষ্য।
এসময় বিভিন্ন সরকারি অফিসে সেবা প্রাপ্তিতে হয়রানির শিকার বা সেবা বঞ্চিত জনসাধারণ তাদের অভিযোগগুলো জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের বিরুদ্ধে তুলে ধরেন। এছাড়াও বিভিন্ন বেসরকারি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলে ধরা হয়। জনসাধারণের উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে দুদক কর্তৃক তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় । এছাড়াও অনেক অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিদ্ধান্ত হয়।
অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেন টাঙ্গাইলের দূর্নীতি দমন কমিশন এবং সহযোগিতায় ছিলেন জেলা প্রশাসন, টাঙ্গাইল।
জামালপুরে সরিষাবাড়ীতে চলাচলের অযোগ্য প্রায় ৩ কি.মি কাঁচা রাস্তা। কাঁদাযুক্ত রাস্তায় চলাচলে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীর। উপজেলায় আওনা ইউনিয়নের কাশিনাথপুর পূর্বপাড়া ঠান্ডু মিয়ার বাড়ি হতে নাথের-পাড়া দিয়ে জলিলের দোকান পর্যন্ত প্রায় ৩ কি.মি কাঁচা রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। দ্রুত সংস্কার নেয়ার দাবী স্থানীয়দের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এই রাস্তা দিয়ে কাশিনাথপুর, নাথেরপাড়া, টিকরাপাড়া, তরণীআটা ও কাবারিয়াবাড়ী সহ ৫-৬ টি গ্রামের মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করে। উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ করার জন্য একমাত্র রাস্তা এটি। প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা ও হাট বাজারের যাতায়াতে স্থানীয়রা চলাচল করে। উপজেলার আওনা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের কাশিনাথপুর পূর্বপাড়া ঠান্ডু মিয়ার বাড়ি থেকে বাদল মেম্বারের বাড়ী হয়ে নাথেরপাড়া গ্রামের জলিলের দোকান পর্যন্ত প্রায় ৩ কি.মি. রাস্তা কাঁচা থাকায় চলাচলে দীর্ঘ দিন ধরে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীর। সামান্য বৃষ্টি হলেই কাঁচা রাস্তার একাধিক স্থানে পরিনত হয় কাঁদাময় রাস্তায়। কোথাও কোথাও মাটি গর্ত হয়ে উচু নিচু বা নিচের দিকে ধসে গিয়ে যানবাহন ও স্থানীদের চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় সোলায়মান, রাশিদুল, রনি মন্ডল, জোবেদা বেওয়া, শিক্ষার্থী কাকন, মোহনা মিম সহ অনেকেই বলেন, ‘এই রাস্তা দিয়ে জরুরি মুহুর্তে রোগী ও গর্ভবতি মা বোনদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিতে গেলে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। অনেক সময় আমাদের স্কুলে যাওয়ার সময় কাঁদার কারনে পোষাক নষ্ট হয়ে যায়। বৃষ্টির দিনে রাস্তায় প্রায় হাটু সমান কাঁদা জমে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়ে। রাস্তাটি খুবই জনগুরুত্বপূর্ণ। প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতি রাস্তাটি পাকা করার জন্য দাবী জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে আওনা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মিনারা বেগম বলেন, ‘রাস্তাটির বিষয়ে ইতিমধ্যে আমি খোজ নিয়েছি। আপাতত বালি ফালানোর ব্যবস্থা করছি। আর এলজিইডির সাথে কথা বলে পাকা রাস্তা করনে ব্যবস্থা নিবো।
বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে মাগুরায় বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার দুপুরে জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের আয়োজনে এবং মাগুরা সিভিল সার্জন অফিসের ব্যবস্থাপনায় শহরে বর্ণাঢ্য রেলি বের হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সিভিল সার্জন এর সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
সিভিল সার্জন ডা. শামীম কবিরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মাগুরা জেলা প্রশাসক মো: অহিদুল ইসলাম। এছাড়া বক্তব্য রাখেন মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোঃ মহসিন হোসেন, বি এম এর সভাপতি ডা. প্রফেসর আলিমুজ্জামান,মাগুরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ সাইদুর রহমান, ক্লিনিক মালিক সমিতির সভাপতি মো: হাসানুজ্জামান অস্রু প্রমুখ।
বক্তারা প্রতিটি শিশুর জন্য মায়ের দুধের শক্তি গুনাগুন ও গুরুত্ব তুলে ধরেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন নেতাকর্মীরা।
সোমবার বিকালে অষ্টগ্রাম উপজেলা সদরের খেলার মাঠ থেকে মিছিলটি বের করা হয়। উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্মসাধারণ সম্পাদক নিজামুল হক নজরুলের নেতৃত্বে হাজারো নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।
প্রতিবাদ মিছিলটি অষ্টগ্রাম উপজেলা সদরের বাজার প্রদক্ষিণ শেষে মুক্তিযোদ্ধা ভবনের সামনে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। এতে নিজামুল হক নজরুল ছাড়াও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জুবায়ের হাসান ইয়ামিন বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, বিগত ১৭ বছর আমরা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা যখন হামলা-মামলায় জর্জরিত হয়েছি, তখন বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট ফজলুর রহমান যোগ্য অভিভাবকের মতো আমাদের পাশে থেকেছেন, খোঁজখবর রেখেছেন।
জামায়াত-এনসিপি’র ষড়যন্ত্রের কাছে যদি ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে কোনো ভুল সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, আমরা অষ্টগ্রাম-ইটনা-মিঠামইনের বিএনপি নেতৃবৃন্দ ঘরে বসে থাকবো না। আমরা সকল ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করে আমাদের নেতাকে ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে বের করে নিয়ে আসবো। বক্তারা আরো বলেন, এডভোকেট ফজলুর রহমান একজন সৎ, নির্ভীক ও আদর্শবান রাজনীতিক। জামায়াত ও এনসিপি’র একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে তাঁর রাজনৈতিক অবস্থানকে হেয় করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। কিন্তু তাদের এই মিথ্যা অপপ্রচার ও কুৎসা রটনা অতীতের মতো এবারও ব্যর্থ হবে। গণতন্ত্রের পক্ষে লড়াইরত একজন পরীক্ষিত রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে অপচেষ্টা চালিয়ে লাভ হবে না। নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা হবে। প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে নেতৃবৃন্দ ফজলুর রহমানের দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করেন এবং ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে রাজপথে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান তারা।
হবিগঞ্জের মাধবপুরে র্যাব-৯, সিপিসি-৩, শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্প, হবিগঞ্জ এর একটি আভিযানিক দল উপজেলার চারাভাঙ্গা এলাকা থেকে ৫৩ কজি গাঁজাসহ ২ জন মাদক কারবারিকে আটক করেছে। রোববার রাত ১১ টায় উপজেলার চারাভাঙ্গা মোড় এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হল উপজেলার উত্তর সুরমা গ্রামের মৃত আবু শামার ছেলে শাহাব উদ্দিন(৩৫) একই উপজেলার গোয়ালনগর গ্রামের মৃত শিরু মিয়ার ছেলে মাসা মিয়া (৩৮),। এসময় মাদক পরিবহন ব্যবহৃত ১টি প্রাইভটকার জব্দ করা হয়। সোমবার সকালে মাদকসহ তাদের মাধবপুর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। র্যাব ৯ এর মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ একেএম শহিদুল ইসলাম জানান,প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে,তারা পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। শাহাবুদ্দিন (৩৫) ও মাসা মিয়া (৩৮) তারা দুজন ৫৩ কজি গাঁজা বিক্রয়র উদ্দেশ্যে নিজ নিজ হেফাজতে রেখেছিল। জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছে পরস্পর যোগসাজসে আর্থিকভাব লাভবান হওয়ার জন্য দীর্ঘদিন যাবত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ফাঁকি দিয় মাধবপুর সীমাÍবর্তী এলাকা হতে অভিনব কায়দায় নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য গাঁজা ও গাঁজার গুড়া এনে হবিগঞ্জসহ দেশের বিভিন জায়গায় মাদক ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিল।
মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ জানান,র্যাবের হাতে মাদক সহ আটক দু,ব্যক্তির বিরুদ্ধে মাধবপুর থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা শেষে আদালতের নির্দেশে হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বরগুনার আমতলী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের ব্লক পাড় এলাকায় পায়রা নদীতে গোসল করতে নেমে সজল (২২) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল তিন ঘণ্টা অভিযানের পর তার মরদেহ উদ্ধার করেন ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৭টার দিকে সজল গোসল করার জন্য নদীতে নামেন। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন । অনেক খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে স্থানীয়রা বিষয়টি থানায় জানায়। খবর পেয়ে পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে এবং দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর তার মরদেহ উদ্ধার করেন ।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ফায়ার সার্ভিসকে জানাই। তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেন । তিনি আরও বলেন এটি একটি মর্মান্তিক দূর্ঘটনা, ছেলেটি সাঁতার জানতো না। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
চট্টগ্রাম বোয়ালখালীতে অনুমোদন ও নিবন্ধন ছাড়াই মরিয়ম নূর দাতব্য চিকিৎসা কেন্দ্রে বিধিবহির্ভূতভাবে প্রসূতিদের চিকিৎসা সেবা দেওয়ায় লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
উপজেলার অলি বেকারি এলাকার রেসিডেন্স ভবনের দ্বিতীয় তলায় কক্ষ ভাড়া নিয়ে গড়ে উঠে এ দাতব্য চিকিৎসা কেন্দ্রটি।
সোমবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে ওই দাতব্য চিকিৎসা কেন্দ্রে অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ।
এ সময় মরিয়ম নূর চিকিৎসা কেন্দ্রে অনুমোদন ও নিবন্ধন ছাড়াই প্রসূতিদের প্রেসক্রিপশনে ঔষধ লেখার প্রমাণ পায় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এসব অপরাধের দায়ে মরিয়ম নূর দাতব্য চিকিৎসা কেন্দ্রের রোকেয়া বেগমকে (৪৮) এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সাথে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার অনুমতি না পাওয়া পর্যন্ত এই ধরণের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য আদেশ দেয়া হয়।
অভিযানে আদালতকে সহযোগিতা করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জাফরিন জাহেদ জিতি ও তার মেডিকেল টিম। উপস্থিত ছিলেন বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ লুৎফুর রহমান ও থানা পুলিশের একটি দল।
বাংলাদেশের কৃষি যান্ত্রিকীকরণে উদ্ভাবনী প্রতিভার খোঁজ এবং তাদের দক্ষতা বিকাশের লক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এর ফার্ম মেশিনারী এন্ড পোস্টহারভেস্ট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং (এফএমপিই) বিভাগ এর আয়োজনে সোমবার বারি’র এফএমপিই বিভাগের সেমিনার কক্ষে কৃষি যন্ত্রপাতি ও লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন ব্যবস্থাকে অধিকতর লাভজনক করা (এফএমডি) প্রকল্প এর আওতায় “কৃষি যন্ত্রপাতি প্রতিভা অন্বেষণ ও বিকাশ কার্যক্রমের অগ্রগতি” শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত কর্মশালায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনস্টিটিউট, সিমিট বাংলাদেশ, আন্তর্জাতিক ধান গবেষনা ইনস্টিটিউ, ইন্টারন্যাশনাল পটেটো সেন্টার, এসিআই মটরস, মেটাল এগ্রো, উইগ্রো এগ্রি-ফিনটেক, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং বিভিন্ন কৃষিযন্ত্র উদ্ভাবকগন অংশগ্রহণ করেন।
বারি’র পরিচালক (গবেষণা) ড. মুন্সী রাশীদ আহমদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বারি’র পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) ড. আশরাফ উদ্দিন আহমেদ। এসময় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ) ড. মুহাম্মদ আতাউর রহমান। এছাড়াও বারি’র বিভিন্ন কেন্দ্র/আঞ্চলিক কেন্দ্র/উপ-কেন্দ্র/বিভাগ/শাখার সিনিয়র বিজ্ঞানীবৃন্দ এবং বারি’র সাবেক মহাপরিচালক ও পরিচালকবৃন্দ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় প্রকল্পের কার্যক্রমের উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (এফএমপিই বিভাগ) ও প্রকল্প পরিচালক (এফএমডি) ড. মো. নূরুল আমিন। কর্মশালায় প্রদর্শিত বিভিন্ন যন্ত্রপাতির বিষয়ে তথ্য তুলে ধরেন ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (এফএমপিই বিভাগ) ড. মোহাম্মদ এরশাদুল হক।
কর্মশালার অংশ হিসেবে পোস্টার প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা তাদের গবেষণা ও উদ্ভাবনী পরিকল্পনাগুলির বিভিন্ন নতুন ভাবনা উপস্থাপন করেন। এসময় কৃষি ব্যবস্থায় ব্যবহৃত বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী সনাতন যন্ত্রপাতি প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়। একইসাথে, প্রকল্পের আওতায় উদ্ভাবিত আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ও কার্যকর পদ্ধতিগুলোর প্রদর্শনীও অনুষ্ঠিত হয়, যা অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে নতুন ধারণা সৃষ্টি ও প্রযুক্তি স্থানান্তরে সহায়ক ভূমিকা রাখে। অনুষ্ঠানে প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন সময়ে উদ্ভাবিত প্রযুক্তিসমূহ থেকে সেরা দশ উদ্ভাবকগনকে সনদ, ক্রেস্ট ও পুরস্কারের অর্থ প্রদান করা হয়।