১৮ বছর আগের এই দিনে মুহুর্মুহু গ্রেনেডের বিকট বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ। মানুষের আর্তনাদ আর কাতর ছোটাছুটিতে তৈরি হয় এক বিভীষিকা। তখনকার বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে একের পর এক গ্রেনেড ছুড়ে মারা হয়। ওই হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের কয়েক শ নেতা-কর্মী। গোটা দেশ স্তব্ধ হয়ে পড়ে ওই হামলায়। আজ সেই ২১ আগস্ট, রক্তাক্ত বিভীষিকাময় দিন। সবাই ভেবেছিল সে দিনই শেষ হয়ে যাবে দলটি। কিন্তু না, সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে টানা তৃতীয়বারে মতো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ২১ আগস্ট বিভীষিকার পর এ ধরনের হামলার বিরুদ্ধে ব্যাপক জনমত গড়ে ওঠে, যা আওয়ামী লীগের ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সহায়ক হিসেবে কাজ করে। এমন ভয়াল হামলা কাবু করতে পারেনি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের। গ্রেনেডের গভীর ক্ষত বুকে নিয়েই ঘুরে দাঁড়ায় দলটি। ভয়কে জয় করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তৎকালীন চারদলীয় জোট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে ওঠে। ঘৃণিত এই হামলার পর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির বড় একটি ঐক্যও গড়ে ওঠে।
ওই হামলার পর যে চ্যালেঞ্জগুলো আওয়ামী লীগকে মোকাবিলা করতে হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো বিচারপ্রক্রিয়া।
ওই ঘটনায় আনা মামলায় সব পক্ষকে বিদ্যমান সব আইনি সুবিধা দিয়ে বিচারিকপ্রক্রিয়া শেষে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ রায় ঘোষণা করেন। বিচারিক আদালতের রায়ের পর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাসংক্রান্ত মামলা এখন হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।
বিচারিক আদালতের রায়ে, বিএনপি-জামায়াত জোট আমলের সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, গোয়েন্দা সংস্থার তৎকালীন দুই শীর্ষ কর্মকর্তাসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ১৪ জন উগ্রবাদী সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি-বি) সদস্য। এ ছাড়া রায়ে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন ও অপর ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডসহ অর্থদণ্ড দেয়া হয়।
বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন জানিয়েছেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানির জন্য বেঞ্চ নির্ধারণে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা রাষ্ট্রীয় জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ মামলা। নজিরবিহীন ওই হামলার মাধ্যমে দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে স্থবির ও ধ্বংসের প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিল। সে কারণে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আমরা মামলাটি শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতি বরাবর দরখাস্ত করেছি। প্রধান বিচারপতি মামলাটি শুনানির জন্য একটি বেঞ্চ ঠিক করে দেবেন।
একই বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার ব্যাপারে সরকার অত্যন্ত তৎপর। এই মামলার সাজাপ্রাপ্ত ও পলাতক আসামিদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’ তিনি বলেন, ‘সাজাপ্রাপ্ত ও পলাতক আসামিদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় চেষ্টা করছে সরকার।’
এদিকে দলটির একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘২১ আগস্টের পর আওয়ামী লীগ শুধু ঘুরেই দাঁড়ায়নি, রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশের ক্ষেত্রে দলটির দৃষ্টিভঙ্গিতেও পরিবর্তন আসে। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করতে শুরু করে, যেসব দল সন্ত্রাসী রাজনীতির ধারক-বাহক, তাদের সঙ্গে গণতান্ত্রিক ধারার রাজনীতি চলতে পারে না। ২১ আগস্টের ঘটনার পরই নির্ধারিত হয়ে যায় ভবিষ্যতে রাজনীতির প্রকৃতি কেমন হবে, রাজনৈতিক সহাবস্থানের রূপ কেমন হবে। আওয়ামী লীগের ঘুরে দাঁড়ানোর গল্পের মধ্যেই বর্তমান রাজনীতির প্রেক্ষাপট নিহিত।’
তারেকসহ ১৫ আসামি এখনো পলাতক
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা মামলার রায় ঘোষণার পরও মামলার অন্যতম আসামি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৫ আসামি এখনো পলাতক রয়েছে। পলাতকদের মধ্যে দু-একজন ছাড়া বাকি আসামিরা কে কোন দেশে অবস্থান করছে, তাও নিশ্চিত হতে পারেনি সরকার। তবে সম্ভাব্য কয়েকটি দেশে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর যাদের অবস্থান শনাক্ত হয়েছে, আইনি জটিলতাসহ বিভিন্ন কারণে তাদেরও ফেরত আনা সম্ভব হচ্ছে না। তাই পলাতকদের অবস্থান শনাক্তের পর ওইসব দেশের সঙ্গে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাগ্রিমেন্টের (পারস্পরিক আইনি চুক্তি) মাধ্যমে কিংবা অন্য উপায়ে দেশে ফিরিয়ে আনার কথা ভাবছে সরকার।
পুলিশ সদর দপ্তরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি) সূত্রে জানা যায়, পলাতক কয়েকজনের সম্ভাব্য অবস্থান শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে মাওলানা তাজউদ্দিন দক্ষিণ আফ্রিকায় বা পাকিস্তানে। হারিছ চৌধুরী মারা গেছেন না বেঁচে আছেন সেটা নিয়ে এখনো সংশয় আছে। রাতুল ইতালি বা মালয়েশিয়া। হানিফ থাইল্যান্ডে বা মালয়েশিয়ায়। পলাতক ১৫ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ছয়জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারি করা হয়েছে। এর মধ্যে তারেক রহমান ও কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের বিরুদ্ধে জারিকৃত রেড নোটিশ ইন্টারপোল প্রত্যাহার করেছে। তারেকের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল রেড এলার্ট জারি করা হয়। পরের বছরের ২৬ জানুয়ারি ইন্টারপোল জারিকৃত রেড নোটিশ প্রত্যাহার করে। পরে বাংলাদেশ পুলিশের তরফ থেকে ইন্টারপোল কোন ভিত্তিতে রেড নোটিশ প্রত্যাহার করেছে তার ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হয়েছে।
পলাতক আসামিদের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও খোঁজখবর রাখছে। তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, যাদের অবস্থান এখনো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি, তাদের চিহ্নিত করতে কাজ করা হচ্ছে। কে কোন দেশে অবস্থান করছে, তা নিশ্চিত হতে গোয়েন্দাসহ একাধিক ইউনিট কাজ করছে। দূতাবাসগুলোকে এ বিষয়ে সজাগ থাকতে বলা হয়েছে।
দিনভর আওয়ামী লীগের আয়োজন
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস উপলক্ষে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। এ ঘটনায় শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধা ও আলোচনা সভা করবে ক্ষমতাসীন দলটি।
২০০৪ সালের এ দিনে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে নারকীয় গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় নিহত হন ২৪ জন। আহত হন আওয়ামী লীগের কয়েক শ নেতা-কর্মী।
ঘটনাটির ১৮ বছর পূর্তিতে আজ রোববার সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নির্মিত বেদিতে শহীদদের স্মৃতির প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।
সকাল সোয়া ১০টা থেকে নারকীয় গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদ ও নিহতদের স্মরণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে এ কর্মসূচিতে যোগ দিতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের নেতৃবৃন্দ, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনসমূহের নেতাদের আহ্বান জানিয়েছেন। স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিধি মেনে উপস্থিত থাকতে অনুরোধ করেন তিনি।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে সারা দেশে সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদবিরোধী বিভিন্ন উপযোগী কর্মসূচি যথাযথ স্বাস্থ্যসুরক্ষা বিধি মেনে পালন করতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের সর্বস্তরের নেতা-কর্মী, সমর্থকদের প্রতি অনুরোধও জানান ওবায়দুল কাদের।
২১ আগস্ট উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
‘২১ আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কময় ও নৃশংস হত্যাযজ্ঞের ভয়াল দিন। ২০০৪ সালের এ দিনে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতায় ঢাকায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী সমাবেশে বর্বরতম গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এ হামলার মূল লক্ষ্য ছিল দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করা; আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশকে নেতৃত্বশূন্য করে হত্যা, ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি ও দুঃশাসনকে চিরস্থায়ী করা।
বিএনপি-জামায়াত জোটের সব অপচেষ্টা ও ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে বাংলাদেশের জনগণ ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে পুনরায় বিপুল ভোটে বিজয়ী করে। ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে সরকার গঠন করে মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য আমাদের সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিহিংসার রাজনীতি বাদ দিয়ে দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করে দেশে শান্তি ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। গত সাড়ে ১৩ বছরে আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন করেছি। এই সময়ে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে। আমরা আজ আত্মমর্যাদাশীল দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছি।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার মধ্য দিয়ে যে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল, ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার ঘটনা ছিল তারই ধারাবাহিকতা। সেই ষড়যন্ত্র এখনো চলছে। স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী এবং উন্নয়ন ও গণতন্ত্রবিরোধী চক্র এখনো নানাভাবে সোচ্চার আছে। আসুন, ঐক্যবদ্ধভাবে এই অপশক্তির যে-কোনো চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলি।’
মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলা সদরের গ্রামীণ ব্যাংক শাখায় দুর্বৃত্তরা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত তিনটার দিকে মহম্মদপুর সদরের আমিনুর রহমান ডিগ্রি কলেজের পাশে অবস্থিত গ্রামীণ ব্যাংক শাখার জানালা দিয়ে পেট্রোল দিয়ে কে বা কাহারা আগুন লাগিয়ে পালিয়েছে।
আগুনের সূত্রপাত দেখে প্রতিবেশীরা ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে দ্রুত তারা আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। বেশ কিছু কাগজপত্র চেয়ার-টেবিল পুড়ে গেছে।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রহমান জানান, রাতের অন্ধকারে কোন দুর্বৃত্তরা গ্রামীণ ব্যাংকের জানালা দিয়ে পেট্রোল ফেলে আগুন লাগিয়ে পালিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত চলছে।
মহম্মদপুর গ্রামীণ ব্যাংকের সেকেন্ড ম্যানেজার সিরাজুল ইসলাম জানান, রাত তিনটার দিকে দুর্বৃত্তরা জানালার লক ভেঙে ভেতর দিয়ে আগুন লাগিয়ে পালিয়েছে। কিছু কাগজপত্র চেয়ার টেবিল আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গাছেরও জীবন আছে, পেরেক ঠুকে আঘাত বন্ধ করুন” এই স্লোগান তুলে মানববন্ধনে বক্তারা পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি এবং রাজনৈতিক ব্যক্তি, ডাক্তার, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক, কোচিং ও স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে গাছে সাইনবোর্ড, ফেস্টুন ঝুলানো বন্ধকরণ এবং অবিলম্বে সেগুলো সরিয়ে নেওয়ার দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার ১৯ নভেম্বর সকালে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে পরিবেশবাদী যুব সংগঠন গ্রীন ভয়েস একটি মানববন্ধন করে।
এসময় বক্তব্য রাখেন, গ্রীণ ভয়েসের রাজশাহী বিভাগীয় সমন্বয়ক রাইসুল ইসলাম নোমান, কুড়িগ্রাম সরকারি শাখার সভাপতি তহ্নি বণিক, সাধারণ সম্পাদক সাদমান হাফিজ স্বপ্ন, অর্থ সম্পাদক আবু রায়হান জাকারিয়া, উলিপুর উপজেলা শাখার সভাপতি সারফরাজ সৌরভ, রোমিও রায়হান প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পেরেকের আঘাতে গাছের কান্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়, রসক্ষরণ বন্ধ হয় এবং গাছ ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে মারা যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। এটি শুধু পরিবেশ নয়, শহরের সামগ্রিক সৌন্দর্য নষ্ট করে।
গাছের গায়ে পেরেক ঠুকে ব্যানার, পোস্টার, সাইনবোর্ড ও বিভিন্ন বিজ্ঞাপন সামগ্রী ঝুলানোর প্রতিবাদে জানানো হয়।
গাছের গায়ে পেরেক ঠুকার মতো পরিবেশ বিরোধী আচরণ অবিলম্বে বন্ধ করতে কঠোর আইন প্রয়োগ দাবী জানান।
কর্মসূচিতে গ্রীন ভয়েসের সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষজন অংশ নেন।
সাভারে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে জেলা-উপজেলা প্রশাসন এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের চলমান অভিযানের প্রতিবাদে এবং ইটভাটা সচল রাখার দাবিতে স্থানীয় ইটভাটার মালিক ও শ্রমিকরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছে।
আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে সাভারের তুরাগ এলাকায় ‘ভাকুর্তা ভাঙ্গা ব্রিজ’ সংলগ্ন সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। অবরোধের কারণে মহাসড়কের উভয় লেনে যানচলাচল বন্ধ হয়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালেহ আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “মূলত ইটভাটা সচল রাখার দাবিতে মালিক ও শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। মহাসড়ক থেকে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দিতে পুলিশ কাজ করছে।”
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সকাল থেকেই সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে মালিক-শ্রমিকরা ব্যারিকেড তৈরি করেছেন এবং যান চলাচল বন্ধ করে রেখেছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসন এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ঢালিপাড়া ধর্মগঞ্জ এলাকায় পলিথিনের দানা তৈরির কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১৯ নভেম্বর) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ শুরু করে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরিফিন বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার পর তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় দুই ঘণ্টার প্রচেষ্টায় সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
ফায়ার সার্ভিসের প্রাথমিক ধারণা, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত ঘটে। অগ্নিকাণ্ডে কারখানার পলির দানা, দুইটি মেশিন ও ওয়েস্ট পলি পুড়ে গেছে। এতে আনুমানিক ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানানো হয়। তবে দ্রুত উদ্ধার তৎপরতার কারণে প্রায় ৩০ লাখ টাকার সম্পদ রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।
ঘটনায় কোনো হতাহত বা প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি বলে নিশ্চিত করেছে ফায়ার সার্ভিস।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে অবৈধভাবে গড়ে উঠা চুনা ও ঢালাই কারখানার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার সোনারগাঁ পৌরসভা এলাকায় দিঘিরপাড় ও পৌর ভবনাথপুর এলাকায় এ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। অভিযানের খবর পেয়ে দুটি কারখানার মালিকরা পালিয়ে যায়। অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন অভিযানে নেতৃত্ব দেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মিল্টন রায়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন ড্রিস্টিবিউশন কোম্পানি সোনারগাঁ জোনের ম্যানেজার প্রকৌশলী শবিউল আওয়াল, সোনারগাঁ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র অফিসার জাহেদুল ইসলামসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে স্থানীয় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে গ্যাস সংযোগ নিয়ে পৌরসভার দিঘিরপাড় এলাকায় চুনা কারখানা ও পৌর ভবনাথপুর এলাকায় ঢালাই কারখানা গড়ে তোলা হয়। এসব কারখানায় প্রতি মাসে প্রায় ২০লাখ টাকার গ্যাস চুরি করে এ কারখানায় ব্যবহার করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। এসময় এক্সকিউভেটার দিয়ে চুনা ও ঢালাই কারখানা গুড়িয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। গ্যাস সংযোগে ব্যবহৃত পাইপ সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন ড্রিস্টিবিউশন কোম্পানি সোনারগাঁ জোনের ম্যানেজার প্রকৌশলী শবিউল আওয়াল জানান, ৫ আগষ্টের পর রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় একটি গ্রুপ সরকারী সম্পদ গ্যাস অবৈধভাবে সংযোগ নিয়ে চুনা ও ঢালাই কারখানা গড়ো তোলে। দুটি কারখানায় প্রতিমাসে সরকারের প্রায় ২০লাখ টাকার সম্পদ চুরি করে ব্যবহার করছে। আগামীতেও এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
পুলিশের সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুনের ৫ বছরের সাজা নি:সন্দেহে ন্যায়বিচারের পরিপূর্ণতা অর্জন করেনি, উনারও সর্বোচ্চ সাজার প্রত্যাশা করেছিলাম বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন এটা নিয়ে আপিল হবে রিভিউ হবে, আশা করছি তাকেও সর্বোচ্চ সাজার আওতায় নিয়ে আসা হবে। মঙ্গলবার দুপুরে ভোলা জেলা পরিষদে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে,জেলা পরিষদ হলরুমে ভোলা সরকারি কলেজ ছাত্রশিবির শাখার আয়োজনে ভোলা সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দিক নির্দেশনামুলক বক্তব্য রাখেন তিনি।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, সকলের একটা আকাঙ্ক্ষা ছিল যেন শেখ হাসিনার মামলার রায় দ্রুত দেওয়া হয়। ৫ আগস্টের পর থেকে আমরা সারাদেশে গণমিছিল থেকে শুরু করে বিক্ষোভ মিছিলসহ নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে সরকারের কাছে বিচারের দাবি উত্থাপন করা এবং চাপ প্রয়োগের কাজটা আমরা করেছি। ধীরগতিতে হলে রায় হয়েছে, এ রায়টা যথেষ্ট না, আমরা মনে করি দ্রুত সময়ে রায় কার্যকর করা জরুরী।
এর আগে আগে নবীন বরণ অনুষ্ঠানে ইসলামী ছাত্রশিবির ভোলা সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি ইমরান হোসেন নাবিলের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক মো.সোহেল,স্পোর্টস বিষয়ক সম্পাদক হারুনুর রশিদ রাফি এবং ভোলা শহর শাখার সভাপতি আব্দুল্লাহ আল আমিন প্রমুখ।
এসময় অনুষ্ঠানে আগত শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয় এবং কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
ব্রি’ ধান আধুনিকজাত ও প্রযুক্তি ছড়িয়ে দিতে কৃষকদের সম্পৃক্ততায়, দ্বাড়িয়াপাড়া সুরিভিটা অফিস চত্বরে মঙ্গবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)-এর এলএসটিডি প্রকল্পের আওতায় এবং ব্রি স্যাটেলাইট স্টেশন, পঞ্চগড়-এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে পঞ্চগড় জেলার সদর উপজেলার দ্বাড়িয়াপাড়া ও সুরিভিটা গ্রামে আয়োজিত হলো ব্রিধান-৯৩ ও ব্রিধান-১০৩ এর মাঠ দিবস এবং কৃষক মতবিনিময় সভা।এই আয়োজনের মাধ্যমে কৃষকদের মাঝে ব্রি উদ্ভাবিত আধুনিক ও পরিবেশ উপযোগী ধানের জাত সম্পর্কে সচেতনতা এবং চাষে আগ্রহ তৈরি করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ড. মো: আবু বকর সিদ্দিক সরকার, মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান, ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয়, দিনাজপুর, বিজ্ঞানভিত্তিক চাষাবাদ পদ্ধতি ও ব্রির আধুনিক জাত সমূহ নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো: আব্দুল মতিন, উপপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, পঞ্চগড়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, পঞ্চগড় এর উপপরিচালক মো: আব্দুল মতিন ব্রিধান৯৩ ও ব্রিধান১০৩ এর উপকারিতা, যেমন উচ্চফলনশীলতা, রোগ ও পোকামাকড় প্রতিরোধ ক্ষমতা, স্বল্প জীবনকাল এবং বাজারযোগ্যতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। ব্রি ধান৯৩ ও ব্রিধান১০৩ জাত দুটি উত্তরাঞ্চলের জলবায়ু উপযোগী এবং কৃষকদের জন্য অর্থনৈতিকভাবে লাভ জনক হিসেবে উঠে আসে আলোচনায়। বিশেষ অতিথি ছিলেন মো: মাসুদ রানা, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান, ব্রি স্যাটেলাইট স্টেশন, পঞ্চগড় ও মো: আসাদুন্নবী, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, পঞ্চগড় সদর।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কৃষক মো: ওয়াহেদুল এর জমিতে স্থাপিত ট্রায়াল প্লটে ব্রিধান৯৩ এর ফসল কর্তন কার্যক্রম (ক্রপকাটিং) পরিচালনা করা হয়, যেখানে প্রতি বিঘাতে ২২.৬ মন ফলনের তথ্য উঠে আসে এছাড়াও কৃষক মোঃ মামুন এর জমিতে ব্রি ধান১০৩ এর ফসল কর্তন করা হয় যেখানে প্রতি বিঘাতে ২৩.৫ মন ফলন পাওয়া গেছে যা প্রচলিত স্বর্ণা জাতের চেয়ে বেশী।
পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম কমলেও খুচরা পর্যায়ে এর প্রভাব পড়েনি। চলতি সপ্তাহের গত রোববার থেকে পাইকারিতে মানভেদে পেঁয়াজের দাম ৯০ থেকে ১০৫ টাকায় বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে এখনো পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে আগের দামে, অর্থাৎ ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজিতে।
ভোক্তারা অভিযোগ করে বলছেন, পেঁয়াজ নিয়ে ব্যবসায়ীদের কারসাজি নতুন কিছু নয়। ব্যবসায়ীরা একেক সময় একেক অজুহাতে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দেন। দেশে পেঁয়াজের উচ্চ ফলনের দাম সেভাবে কমেনি। এখন সরকার আমদানির ঘোষণায় তড়িঘড়ি করে দাম কমিয়ে দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশের ভোগ্যপণ্যের অন্যতম বড় পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের আড়তগুলোতে গত সপ্তাহে আকার ও মানভেদে দেশি পেঁয়াজ ৯৫ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। সব মিলিয়ে এক মাসের ব্যবধানে খুচরা বাজারে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত পেঁয়াজের দাম বেড়েছিল। তবে গত রোববার থেকে সেই দাম ৫ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে, মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০৫ টাকায়। পাইকারি বাজারে প্রায় পাঁচ ধরনের পেঁয়াজ মিলছে। এর মধ্যে সবচেয়ে ছোটটা বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। এরপর আকারভেদে ৯৫, ৯৭, ৯৮ ও ১০৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু এখনো তার প্রভাব পড়েনি খুচরা বাজারে। খুচরা দোকানগুলোতে এখনো পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজিতে।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আমদানির অনুমতির খবরে সরবরাহ বাড়ায় দিনাজপুরের হাকিমপুরের হিলিতে একদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। দু-দিন আগেও যেখানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল সেই পেঁয়াজ এখন কমে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সেটির প্রভাব পড়েছে চট্টগ্রামেও
খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মেসাস কাজী স্টোরের স্বত্বাধিকারী মো. জাবেদ ইকবাল বলেন, ‘পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। আশা করছি আগামী কয়েকদিনে আরও কমবে
তবে খাতুনগঞ্জের পাইকার ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে, তাই আমদানির অনুমতি না দিলেও সমস্যা হবে না। তা পেঁয়াজের দাম বাড়ার আশঙ্কা নেই। এছাড়া চাহিদা কিছুটা কমে যাওয়া এবং আমদানির ঘোষণায় পাইকারি পর্যায়ে দাম সামান্য কমেছে।
এদিকে হামিদুল্লাহ মিয়া মার্কেট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিস বলেন, চাহিদা কম এবং আমদানির ঘোষণার কারণে পাইকারিতে বাজার একটু কমেছে। আমদানিকৃত পেঁয়াজ বাজারে এলে দাম ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হবে।
একই কথা বলেছেন চাক্তাই আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. আবুল কাশেম। তিনি বলেন, বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়ে গেছে। পাশাপাশি দেশীয় পেঁয়াজের উৎপাদনও ভালো হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ইতোমধ্যে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করেছে। তাই পেঁয়াজের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই!
নগরের চকবাজারের খুচরা ব্যবসায়ী মো. এরফান দৈনিক বাংলাকে জানান, আমরা এখন ১২০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছি। পাইকারিতে দাম কমেছে শুনেছি, কিন্তু আমাদের আগের কেনা মাল আগের দামে করতে হচ্ছে।
জানা গেছে, বর্তমানে দেশে তাহেরপুরী, বারি-১ (তাহেরপুরী), বারি-২ (রবি মৌসুম), বারি৩ (খরিপ মৌসুম), স্থানীয় জাত ও ফরিদপুরী পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। ফলে বছরজুড়েই কোনো না কোনো জাতের পেঁয়াজ উৎপাদন হচ্ছে। দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২২ লাখ টন। এর মধ্যে ১৮ লাখ টন স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা হয়। আর আমদানি করা হয় বাকি চার লাখ টন। মূলত এই আমদানিকৃত ৪ লাখ টন পেঁয়াজ বাজারের ওপর খুব বড় প্রভাব ফেলে।
দেশে পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকায় সরকার সীমিত পরিসরে আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। আমদানির ঘোষণায় পাইকারি বাজারে সামান্য প্রভাব পড়লেও খুচরায় কোনো পরিবর্তন হয়নি। চাহিদার তুলনায় দেশীয় উৎপাদন কম থাকায় কয়েক বছর আগেও দেশে প্রতি বছর ৫৬ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হতো। একসময় আমদানি হতো ১০ লাখ টনেরও বেশি। তবে সাম্প্রতিক সময় আমদানি নির্ভরতা কমেছে।
রাঙামাটিতে বাজার ফান্ডের ভূমি হস্তান্তর ও বন্ধকী দলিল রেজিস্ট্রি চালুর দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে রাঙামাটি বাজার ফান্ড ভূমি অধিকার সংরক্ষণ কমিটির উদ্যোগে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আগামী ২৭ নভেম্বরের মধ্যে বাজার ফান্ডের ভূমি হস্তান্তর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারসহ পূর্বের ন্যায় কার্যক্রম চালু না হলে, আগামী ৩০ নভেম্বর রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করার কর্মসূচী পালন করা হবে। এর পরও যদি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হয়, তবে বাজার ফান্ড ভূমি অধিকার সংরক্ষণ কমিটি পুরো রাঙামাটি জেলায় শাটডাউন, হরতাল ও অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করতে বাধ্য হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে কমিটি।
বাজার ফান্ড ভূমি অধিকার সংরক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম পনিরের সভাপতিত্বে ও সদস্য কামাল হোসাইনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম শাকিল, যুগ্ম আহ্বায়ক মুজিবুল হক, রাঙামাটি চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক আব্দুল মান্নান, রাঙামাটি কাঠ ব্যবসায়ী সমবায় কল্যাণ সমিতির সহসভাপতি রবিউল ইসলাম রবি, বৃহত্তর বনরুপা ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি জসিম উদ্দিন, রাঙামাটি করাতকল সমিতির সভাপতি মমতাজ উদ্দিন, রাঙামাটি রিজার্ভ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন সহ বিভিন্ন স্তরের নেতারা বক্তব্য রাখেন।
মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, সরকারি কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও রহস্যজনক কারণে গত ৬ বছর ধরে পার্বত্যাঞ্চলের বাজার ফান্ড এলাকায় ঋণ কার্যক্রম চালু করা হচ্ছে না, পাশাপাশি বাজার ফান্ডের ভূমি হস্তান্তর ও বন্ধকি দলিল রেজিস্ট্রি কার্যক্রমও বন্ধ রয়েছে। এর ফলে অত্র অঞ্চলের অর্থনৈতিক অবস্থা ভেঙে পড়েছে। তাই পাহাড়ের বাজার ফান্ড অধিভুক্ত নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার জন্য দ্রুত বাজার ফান্ডের ভূমি হস্তান্তর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারসহ পূর্বের ন্যায় কার্যক্রম চালু করার আহ্বান জানান বক্তারা।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা এলাকায় জান্নাতুল ফেরদৌস জিম (১৭) নামে একজন কলেজ শিক্ষার্থীর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। নিহত জিম উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা বর্তমান সৌদি আরব প্রবাসী জসিমের মেয়ে।
জানা যায়, মৃত জিম চলতি বছরে রাজবাড়ী মহিলা কলেজ হতে ২০২৫ সালে অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে অকৃতকার্য হয়। পরবর্তীতে সে পরীক্ষায় পাস করার নিশ্চয়তা নিয়ে বোর্ড চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ নভেম্বর পরীক্ষার ফলাফল অকৃতকার্য আসে। এ ব্যাপারে তার মন খুবই খারাপ থাকায় বাড়ির কারোর সাথে তেমন কথা বলতেন না। এমতাবস্থায় গত ১৭ নভেম্বর রাতের খাবার খেয়ে তার ছোট বোন সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী জান্নাতুল মাওয়া জিতুর সাথে তাদের মায়ের পাশের রুমে ঘুমাতে যান। রাত সাড়ে ৩ টার দিকে মৃতের ছোট বোনের প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিলে পাশে বিছানায় হাত দিয়ে তাকে দেখতে না পেয়ে পাশের রুমে তার মা শামীমা আক্তারকে ডাক দিলে তার মা বোন জীমকে ডাকতে বললে প্রতি উত্তরে জিতু বলে জিমকে ঘরে পাওয়া যাচ্ছে না।
তাৎক্ষণিক তার মা তাদের ঘরে এসে লাইট জ্বালিয়ে দেখেন জিম গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলে আছে।
মৃতের মা মোছাম্মদ শামীমা আক্তার জানান, এইচএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার কারণে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানা ওসি আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেন, পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিনা ময়নাতদন্তে তাদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এই ঘটনার থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হবে।
‘তারুণ্যের উৎসব-২০২৫’ উদযাপনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এর প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ উইংয়ের উদ্যোগে ইনস্টিটিউটের কাজী বদরুদ্দোজা মিলনায়তনে তরুণদের জন্য বারি’র প্রযুক্তি প্রদর্শনী ও কৃষি শিক্ষায় উদ্ভুদ্ধকরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে বারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, নবীন কৃষি উদ্যোক্তা এবং কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অংশীজন অংশগ্রহণ করেন।
বারি’র প্রযুক্তি প্রদর্শনী অনুষ্ঠান পরবর্তী একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। বারি’র পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ) ড. মুহাম্মদ আতাউর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বারি’র মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুল্লাহ ইউছুফ আখন্দ। এ সময় বারি’র ওপর সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনা করেন প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ উইং) ড. মো. আবদুর রাজ্জাক। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বারি’র পরিচালক (গবেষণা) ড. মুন্সী রাশীদ আহমদ এবং পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) ড. আশরাফ উদ্দিন আহমেদ। এছাড়াও পরিচালক (পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন উইং) ড. মো. মাজহারুল আনোয়ার; পরিচালক (তৈলবীজ গবেষণা কেন্দ্র) ড. মো. মন্জুরুল কাদির; পরিচালক (কন্দাল ফসল গবেষণা কেন্দ্র) ড. মো আলতাফ হোসেন এবং বারি’র বিভিন্ন কেন্দ্র/ বিভাগ/ শাখার বিভাগীয় প্রধানরা ও সিনিয়র বিজ্ঞানীরা উপস্থিত ছিলেন। ‘তারুণ্যের উৎসব-২০২৫’ ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (সবজি বিভাগ) ড. মো. উবায়দুল্লাহ কায়ছার। অনুষ্ঠানটি কো-অর্ডিনেট করেন ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ উইং) ড. মো. মিজানুর রহমান।
প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে বিএআরআই উদ্ভাবিত বিভিন্ন উন্নত জাত, আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি, পরিবেশবান্ধব কৃষি প্রযুক্তি এবং রপ্তানিযোগ্য কৃষিপণ্যের প্রদর্শন করা হয়। অংশগ্রহণকারীরা এসব প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত হন এবং বিভিন্ন প্রদর্শনী স্টল ঘুরে দেখেন। এই কর্মসূচি তরুণদের মধ্যে কৃষি বিষয়ে আগ্রহ সৃষ্টি এবং কৃষিভিত্তিক উদ্যোক্তা গড়ে তুলতে সহায়ক হবে বলে আয়োজক কর্তৃপক্ষ প্রত্যাশা জ্ঞাপন করেন।
অকারণে শ্রমিক ছাঁটাই, ছাঁটাই শ্রমিকদের পুনর্বহাল এবং কর্মস্থলে অসৌজন্যমূলক আচরণের প্রতিবাদসহ বিভিন্ন দাবিতে ডিসি অফিস ঘেরাও করেছেন নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের সনিক বাংলাদেশ লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে কয়েকশ শ্রমিক জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে অবস্থান নেন।
সমাবেশে বক্তব্য দেন শ্রমিক মোহাইমিনুল ইসলাম, রশিদুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, শিমু আক্তার, নাছরিন বেগম, নুর জাহান প্রমুখ। বক্তারা অভিযোগ করেন, মালিকপক্ষ ২৬ দফা যৌক্তিক দাবি মেনে নিলেও কারখানার কয়েকজন বাঙালি ঊর্ধতন কর্মকর্তা এসব দাবি বাস্তবায়নে বাধা দিচ্ছেন। কোন কারণ ছাড়াই শ্রমিক ছাঁটাই করা হচ্ছে, অসুস্থতার জন্য ছুটি দেওয়া হয় না এবং ওভারটাইম করেও তাদের প্রাপ্য টাকা পাচ্ছেন না- এমন অভিযোগও তুলে ধরেন তারা।
শ্রমিকরা জানান, দাবিগুলো পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে। পরে শ্রমিকনেতাদের একটি প্রতিনিধি দল জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন। শেষে দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দিয়ে শ্রমিকরা ডিসি অফিস প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন।
উল্লেখ্য, একই দাবিতে গত তিন দিন ধরে কারখানা গেটে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন সনিক বাংলাদেশ লিমিটেডের শ্রমিকরা।
যশোরের কেশবপুরে নেটজ বাংলাদেশ-এর সহযোগিতায় রিসার্চ ইনিশিয়েটিভস্ বাংলাদেশ (রিইব) আয়োজিত ইউনিয়ন পর্যায়ে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাথে যৌথ পদক্ষেপ সংলাপ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার কেশবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে অনুষ্ঠিত এ সংলাপে ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ জনপ্রতিনিধি, সিএসও সদস্য ও রিইবের প্রতিনিধিদের সক্রিয় অংশগ্রহণে স্থানীয় নানা সামাজিক সমস্যা ও সমাধান নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো. আলাউদ্দিন আলা, চেয়ারম্যান, কেশবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ। সভাপতিত্ব করেন মো. হারুনার রশীদ বুলবুল, সভাপতি, সিএসও কমিটি, কেশবপুর উপজেলা। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মো. হুমায়ুন কবির, প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ইপি.), মো. আসলাম মোল্লা, প্রকল্প সমন্বয়ক এবং মো. খালিদ হাসান, এলাকা সমন্বয়কারী, রিইব-হোপ প্রকল্প। এছাড়া গ্রাম আদালতের প্রতিনিধি সংকর পাল, সংরক্ষিত ইউপি সদস্য মোছা. রাশিদা বেগম, শাহানাজ পারভীন, নাজমা সুলতানা, ইউপি সদস্য মো. কামাল উদ্দীন (দোরমুটিয়া), মো. সিরাজুল ইসলাম (মূলগ্রাম), রাজ্জাক (মূলগ্রাম), এ কে এম রেজওয়ানুর রহমান (আলতাপোল), মো. রাশিদুল ইসলাম, সহ জনপ্রতিনিধি ও সিএসও সদস্যরা অংশ নেন।
এ সময় ইউনিয়নের বিভিন্ন দীর্ঘদিনের সামাজিক সমস্যা তুলে ধরে বক্তারা বলেন, এলাকায় মাদক সেবন ও ব্যবসার বৃদ্ধি রাস্তা ঘাটের বেহাল অবস্থা সমাজে বর্ণ বৈষম্য, বিশেষত দলিত সম্প্রদায়ের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ, অভাবের কারণে শিক্ষার্থীদের স্কুল থেকে ঝরে পড়া, মিতা মন্ডলের নিখোঁজ ঘটনা যার ডায়েরি দ্রুত থানায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবি, সভায় অংশগ্রহণকারীরা সামাজিক সমস্যাগুলোর সমাধানে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা। মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে স্থানীয়ভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। চেয়ারম্যান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিয়মিতভাবে এ বিষয়ে অবহিত করবেন। ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো দ্রুত সংস্কারের লক্ষ্যে ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার মধ্যে সমন্বয় গড়ে তোলা হবে।