শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪

বক্তব্য ভাইরালের পর ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতির ক্ষমা প্রার্থনা

ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ২১ আগস্ট, ২০২২ ১০:৩৬

ইডেন মহিলা কলেজে ছাত্রীনিবাসের একটি কক্ষে স্নাতক চতুর্থ বর্ষের কয়েকজন ছাত্রীকে ওই কলেজের ছাত্রলীগ সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন। সেই গালাগালির একটি অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে গত শনিবার তিনি ফেসবুকে এক পোস্টে ছাত্রলীগের কাছে ক্ষমা চান।

ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা ফেসবুকে ওই পোস্টে লিখেছেন, ‘ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের প্রতিটি কর্মীর সঙ্গে আমার আত্মার সম্পর্ক। এরা আমার পরিবারের সদস্য ছাড়া অন্য কিছু নয়। একান্ত ব্যক্তিগত পরিবেশে হলেও দায়িত্বশীল জায়গা থেকে অসংযত ভাষার প্রয়োগ আমার অপরাধ হয়েছে বলে আমি স্বীকার করছি। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আমাকে এমন শিক্ষা দেয় না, তাই সংগঠনের প্রতি আমি ক্ষমাপ্রার্থী।’

গত এক সপ্তাহের মধ্যে কয়েক দিন ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে না যাওয়ার কারণে ইডেন কলেজের রাজিয়া বেগম ছাত্রীনিবাসের ২০২ নম্বর কক্ষে যান সভাপতি তামান্না জেসমিন। সেখানে হুমকি দিতে গিয়ে তামান্না ছাত্রীদের বলেছেন, ‘আমি যদি একটা সিট না দিই, তোদের কোন বাপ সিট দেবে? ম্যাডামরা (হল প্রশাসন) দেবে? ক্ষমতা আছে ম্যাডামদের?’

ছাত্রলীগ নেত্রী তামান্নার এই হুমকির ঘটনার একটি অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এই নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে তিনি ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।


আরাকান আর্মি ধরে নিয়ে গেছে বাংলাদেশি ১০ জেলেকে

মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্ত বিভাজক নাফ নদ। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কক্সবাজার প্রতিনিধি

মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সদস্যরা বাংলাদেশি ১০ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে।

বুধবার সকালে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের নাফ নদ অংশের মোদিরখাল থেকে তাদেরকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানিয়েছেন পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী।

ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেরা হলেন- পালংখালী ইউনিয়নের রহমতের বিল এলাকার হোসেন আলীর ছেলে জানে আলম, মৃত আবদুস ছালামের ছেলে আব্দুর রহিম, মৃত জালাল আহমদের ছেলে আনোয়ারুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম, মৃত আলী আহমদের ছেলে আয়ুবুল ইসলাম, আবু তাহেরের ছেলে শাহীন, গৌজঘোনা এলাকার আলী আহমদের ছেলে আবদুর রহিম, পুটিবনিয়া এলাকার মৃত মিয়া হোসেনের ছেলে ওসমান গণী, মৃত আবুল শামার ছেলে ওসমান ও আয়ুব ইসলামের ছেলে আবুল হাশিম।

পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, খালের মুখে মাছ ধরার সময় আরকান আর্মির সদস্যরা ১০ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে। এ পর্যন্ত তাদের কোনো খোঁজ-খবর পাওয়া যায়নি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানবীর হোসেন বলেন, ‘স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ঘটনা জেনেছি। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য উচ্চ পর্যায়ে অবহিত করা হয়েছে। বিজিবির হস্তক্ষেপে তাদেরকে ফেরত আনার প্রক্রিয়া চলছে।


বজ্রাঘাতে পাঁচ জেলায় ৯ প্রাণহানি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সারা দেশে চলমান তীব্র দাবদাহের মধ্যেই সারা দেশে বজ্রাঘাতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বজ্রাঘাতে পাঁচ জেলায় নয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুজন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল অব্দি এসব প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে বিস্তারিত-

কক্সবাজার

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় বজ্রপাতে দুই লবণচাষির মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের কোদাইল্যাদিয়া ও রাজাখালী ইউনিয়নের ছড়িপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মৃত ব্যক্তিরা হলেন- উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের জারুলবুনিয়া এলাকার জমিরের ছেলে দিদারুল ইসলাম (৩৫) ও রাজাখালী ইউনিয়নের ছড়িপাড়া এলাকার জামালের ছেলে মো. আরমান (২৫)। তাদের দুজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনুছ চৌধুরী জানান, মগনামার কোদাইল্যাদিয়ায় ভোরে লবণ মাঠ পরিচর্যা করতে গেলে বজ্রাঘাতে ঘটনাস্থলেই দিদারুলের মৃত্যু হয়।

রাজাখালীর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সিকদার জানান, বুধবার রাতে প্রচুর বজ্রপাত হয়। ভোরেও বজ্রপাত অব্যাহত থাকে। রাতের বৃষ্টিতে লবণমাঠ ক্ষতিগ্রস্ত হলে চাষি আরমান তা পরিচর্যা করতে যান। ওই সময় বজ্রাঘাতে তার মৃত্যু হয়।

রাঙামাটি

রাঙামাটিতে পৃথক দুই স্থানে বজ্রাঘাতে দুজন নিহত হয়েছেন। গতকাল সকালে জেলার শহরের তবলছড়ির সিলেটিপাড়া এলাকায় এবং বাঘাইছড়ি উপজেলার রুপকারী ইউনিয়নের মুসলিম ব্লক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্রপাতের সময় বাঘাইছড়ি উপজেলার রুপকারী ইউনিয়নের মুসলিম ব্লক এলাকার বাসিন্দা বাহারজান (৬০) ঘরের বাইরে অবস্থান করছিলেন। ওই বজ্রাঘাতে তার মৃত্যু হয়। একই সময় বজ্রাঘাতে রাঙামাটি শহরের তবলছড়ির সিলেটি পাড়ায় মো. নাজির হোসেন (৫০) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তিনি ঘরের কাজ করছিলেন বলে জানা গেছে।

রাঙামাটি সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মো. শওকত আকবর মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করে জানান, নিহত নাজির হোসেনের মরদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাঘাইছড়ি থানার ওসি ইশতিয়াক আহমেদ বজ্রাঘাতে প্রাণহানির তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সিলেট

সিলেটের কানাইঘাটে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রাঘাতে বাবুল আহমদ (৪৮) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। ওই সময় আরও দুই কৃষক গুরুতর আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে উপজেলার দিঘিরপাড় পূর্ব ইউনিয়নের শফিক হাওরে এ ঘটনা ঘটে। মৃত বাবুল কানাইঘাটের দক্ষিণ কুয়রের মাটি এলাকার মৃত আব্দুস সালামের ছেলে।

ওই সময় বজ্রাঘাতে ঝলসে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন বাবুলের ভাতিজা ফাহিম আহমদ (১৭) এবং মানিকপুর গ্রামের বাবু বিশ্বাসের ছেলে প্রদীপ বিশ্বাস (২০)।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে বাবুল আহমদসহ কয়েকজন স্থানীয় শফিক হাওরে বোরো ধান কাটতে যান। হঠাৎ বজ্রপাত হলে ঝলসে গিয়ে গুরুতর আহত হন তারা। ওই সময় আশপাশের লোকজন তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক বাবুল আহমদকে মৃত ঘোষণা করেন। ঝলসে যাওয়া দুজনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মুমিন চৌধুরী জানান, বজ্রাঘাতে মারা যাওয়া বাবুল পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি ছিলেন।

কুমিল্লা

কুমিল্লার চার উপজেলায় বজ্রাঘাতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে পৃথক সময়ে জেলার চান্দিনা, সদর দক্ষিণ, বুড়িচং ও দেবিদ্বারে এ চারজনের মৃত্যু হয়।

মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- চান্দিনা উপজেলার বরকইট ইউনিয়নের কিছমত-শ্রীমন্তপুর গ্রামের সুন্দর আলীর ছেলে দৌলতুর রহমান (৪৭), সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ার ইউনিয়নের উত্তর সূর্যনগর গ্রামের আতিকুল ইসলাম (৫০), কুমিল্লা দেবিদ্বার উপজেলার ধামতী গ্রামের মোখলেছুর রহমান (৫৮) এবং বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের পাচোরা গ্রামের কুদ্দুস মিয়ার আলম হোসেন।

সংশ্লিষ্ট থানার ওসি ও স্থানীয় সূত্রে চারজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।


দেশে কেন পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়, জানালেন কৃষিমন্ত্রী

বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ভরাডোবায় নেদারল্যান্ডস সরকারের উদ্যোগে নির্মিত পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার ও প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, উদ্বৃত্ত উৎপাদন হওয়া সত্ত্বেও অপর্যাপ্ত মজুদ সুবিধা ও সংরক্ষণাগারের অভাবে পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়।

আজ বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ভরাডোবায় নেদারল্যান্ডস সরকারের উদ্যোগে নির্মিত পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার ও প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। এ সময় ঢাকায় নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত ইরমা ভ্যান ডুরেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মলয় চৌধুরী, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, জায়ান্ট এগ্রো প্রসেসিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফিরোজ হাসান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

আব্দুস শহীদ বলেন, প্রায় প্রতিবছরই পেঁয়াজ নিয়ে আমাদের সমস্যায় পড়তে হয়। সেজন্য পেঁয়াজ স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের জন্য কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বিগত দুই বছরে পেঁয়াজ উৎপাদন বেড়েছে ১০ লাখ টন। দেশে বর্তমানে বছরে প্রায় ৩৫ লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়; যা চাহিদার চেয়েও বেশি। কিন্তু পেঁয়াজ খুবই পঁচনশীল হওয়ায় ও সংরক্ষণাগারের অভাবে আমদানি করে চাহিদা মেটাতে হয়।

মন্ত্রী বলেন, ‘উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য আমরা কৃষককে বিনামূল্যে ও ভর্তুকিমূল্যে বীজ, সার প্রদানসহ সব রকমের সহযোগিতা দিচ্ছি। একইসঙ্গে, অপচয় বা পোস্ট হার্ভেস্ট লস কমাতে বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে। ফসল হার্ভেস্টের পর ২০ থেকে ৩০ শতাংশ নষ্ট বা অপচয় হয়। এতো বিশাল অপচয় কেন হবে। এটি আমাদেরকে কমিয়ে আনতে হবে।’

এ উদ্যোগ গ্রহণ করায় নেদারল্যান্ডস সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এ ধরনের পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার আমাদের দেশের কৃষক ও ভোক্তা উভয়ের জন্য খুবই উপকারে আসবে। কৃষকেরা পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে পারবে। এ সময় নেদারল্যান্ডস ও বাংলাদেশের বেসরকারি উদ্যোক্তাদেরকে আরও পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার নির্মাণে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান তিনি।

দেশের জায়ান্ট এগ্রো প্রসেসিং নেদারল্যান্ডসের সহযোগিতায় সংরক্ষণাগারটি নির্মাণ করেছে। প্রযুক্তি নেদারল্যান্ডসের। এর ধারণ ক্ষমতা ৪০০ মেট্রিক টন।


শিবপুরে আওয়ামী লীগ নেত্রী রিমির উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

নরসিংদীর শিবপুরে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে উপজেলার বাঘাব দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার পাশে স্মার্ট বুথে 'ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১ মে দিনব্যাপী বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মো: মোশারফ হোসেন ফাউন্ডেশনের আয়োজনে তার কন্যা মেট্রো ওয়াশিংটন মহিলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোহসিনা জান্নাত রিমির উদ্যোগে এ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়।

মেডিকেল ক্যাম্পে বিনামূল্যে ডায়াবেটিস পরীক্ষা, ব্লাড প্রেশার পরীক্ষা করা হয়। এতে বিভিন্ন বয়সের ১২০জন অসহায়, দরিদ্র মানুষকে চিকিৎসা ও বিনামূল্যে ওষুধ এবং খাওয়ার স্যালাইন দেয়া হয়েছে।

এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে রোগী দেখেন ডা:কাওসার ফাহিম এমবিবিএস (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ) মেডিসিন এবং পেডিয়াট্রিক মেডিসিনে অভিজ্ঞ বিএমডিসি।

এলাকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে প্রতি সপ্তাহের বুধবার ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্পে সেবা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রিমি।

এছাড়াও প্রচন্ড তাপদাহের কারণে তৃষ্ণার্ত শ্রমিক, পথচারী ও সাধারণ মানুষদের মাঝে প্রশান্তি এনে দিতে রিমির উদ্যোগে বিশুদ্ধ সুপেয় শরবত ও পানি বিতরন কর্মসূচি অব্যাহত রাখছে।

রিমি বলেন,'মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের কল্যাণে, বিপদ আপদে পাশে থাকার চেষ্টা করি। সমাজে অনেক মানুষ আছেন যারা টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারেন না। তাদের কথা ভেবে আজকের এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে।'


ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচজন নিহত

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে মাধবপুর উপজেলার হরিতলা নামক স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৪ জনসহ ৫ জন নিহত হয়েছেন। বুধবার দিবাগত রাত ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে সিলেট থেকে ঢাকাগামী প্রাইভেটকার ও বিপরীত দিক থেকে আসা মালবাহী ট্রাকের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসের চালকসহ ৫ জন ঘটনাস্থলে মারা যান।

নিহতরা হলেন- পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা থানার মো. জামাল (৪০), তার স্ত্রী কামরুন্নাহার (৩৫), ছেলে মো. অনন্ত (১১), তার ছোট ভাই মো. এনামুল (৩৫) ও গাড়িচালক বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ থানার হারুণ বেপারী (৩৫)।

খবর পেয়ে স্থানীয়রা, মাধবপুর ফায়ার সার্ভিস এবং শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে ও মাধবপুর থানা পুলিশ উদ্ধার তৎপরতা চালায়।

মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাকিবুল ইসলাম খাঁন ও জেলা পুলিশ কন্ট্রোল রুম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মরদেহ শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানা হেফাজতে রয়েছে।

বিষয়:

চট্টগ্রামে স্বস্তির বৃষ্টি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রামে টানা কয়েক দিনের প্রচণ্ড গরমের পর আজ বৃহস্পতিবার সকালে বৃষ্টিতে স্বস্তি নেমে এসেছে। তাপপ্রবাহের কারণে দীর্ঘদিন ধরে আকাশপানে বৃষ্টির আশায় তাকিয়ে ছিলেন লোকজন। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বৃষ্টি হলেও নগরে বর্ষণ দেখা যায় সকাল ৯টা থেকে পৌনে ১০টা পর্যন্ত।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ডিউটি ফোরকাস্টিং অফিসার আবদুল বারেক বলেন, ‘ভোরে এক মিলিমিটার এবং সকাল নাগাদ ১৫ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে। আজ দুপুর এবং বিকেলেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে।’

তিনি জানান, কালবৈশাখী ঝড়ের প্রভাবে আজ চট্টগ্রামে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। শুক্রবারও বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। নদী বন্দরকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

বিষয়:

সিরাজগঞ্জে মোবাইল কিনে না দেওয়ায় স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
মোবাইল ফোন কিনে না দেওয়ায় পরিবারের সঙ্গে অভিমান করে সিরাজগঞ্জে হালিমা খাতুন (১৬) নামের এক স্কুল ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে সদর উপজেলায় সায়দাবাদ ইউনিয়নের সারটিয়া কলেজ পাড়া গ্রামের এ ঘটনা ঘটে। নিহত হালিমা খাতুন সারটিয়া কলেজ পাড়া গ্রামের শাহ আলমের মেয়ে ও সায়দাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণির শিক্ষার্থী। বুধবার দুপুরে সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পরিবারের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে।
পরিবারের বরাদ দিয়ে এসআই আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কয়েকদিন ধরে হালিমা মোবাইল কিনে দেওয়ার জন্য মা-বাবাকে বার বার তাগিদ দিয়েছিলেন। মোবাইল না কিনে দেওয়ায় দুইদিন ধরে খাওয়া দাওয়া বাদ দিয়েছেন হালিমা। পরে গত রাতে হালিমা খাতুন তার নিজ ঘরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়।


চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছেন আলোচিত সেলিম প্রধান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছেন বলে দাবি করেন জাপান-বংলাদেশ গ্রুপের চেয়ারম্যান সেলিম প্রধান। উচ্চ আদালতের রায়ে মনোনয়নপত্র ফিরে পেয়েছেন বলে তিনি সবাইকে মিষ্টিমুখ করান। বুধবার (১ মে) বিকেলে রূপগঞ্জের ভুলতা সাওঘাট এলাকায় দোয়া মাহফিল শেষে এলাকাবাসীকে মিষ্টিমুখ করিয়ে তিনি এ বক্তব্য দেন। প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছেন উল্লেখ করে সেলিম প্রধান বলেন, `নিম্ন আদালতে আমার মনোনয়ন পত্র আটকে দেওয়া হয়। পরে উচ্চ আদালতের দ্বারস্ত হতে হয়েছে। হাইকোর্টে (উচ্চ আদালতে) গেলে আমার পক্ষে রায় দিয়েছে। এ কারণে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে ও মিষ্টিমুখ করানো হয়েছে।
তিনি বলেন, রূপগঞ্জে ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় প্রার্থী পাশ করেছে। এভাবে ভাইস চেয়ারম্যান পদ ইলেকশন থেকে সিলেকশন হয়ে গেছে। এটা জাতির সাথে ক্রিমিনালী ও ক্রাইম। এমনকি চেয়ারম্যান পদটাও তাদের সেট করা। এটা গাজী পরিবারের কাজ। গাজী পরিবার কোন কিছু ভালোভাবে চিন্তা করতে পারেনা। অথচ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চেয়েছিলেন গ্রহযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেওয়ার।
তিনি আরও বলেন, যারা নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য নানান ধরনের পাঁয়তারা শুরু করেছে। এই যে বালু হাবিব (হাবিবুর রহমান হাবিব), গাজী ও তার পরিবার এতো সাহস পায় কোথা থেকে? রূপগঞ্জবাসী আমার পরিবার। রূপগঞ্জ ওয়ান ফ্যামিলি।এই পরিবারকে মুক্ত করার জন্য আমি যুদ্ধ করতেছি। সুতরাং আমার পক্ষে রূপগঞ্জবাসীর থাকাটা তাদের ঈমানী দায়িত্ব।
পাতানো নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি যদি ইলেকশনে না আসতে পারতাম, তাহলে সবকিছু সেট করা ছিল। ভাইস চেয়ারম্যান পদ যেমন সিলেকশন হয়ে গেছে, ঠিক সেভাবে সবক্ষেত্রে তারা দুর্নীতি করে আওয়ামী লীগের বদনাম করে প্রধানমন্ত্রীর বদনাম করে।
রূপগঞ্জ থানার ওসিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলে, ওসি মহোদয়কে আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, আপনি নিরপেক্ষ কাজ করবেন। আপনার অনেক কিছু আমি জানি। যদি কোন রকমের কোন কিছু আমি দেখি..।আমার কিছু বলার সুযোগ যেন না হয়। আপনি জনগণের সেবক সেটা ভুলে যাবেন না। আপনি কারও দালাল না। আপনি কারও পক্ষ নিয়ে কিছু করবেন না। আপনি জনগণের হয়ে কাজ করবেন।
মিলাদ ও দোয়া মাহফিল শেষে তিনি স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কুশল বিনিময় করেন ও মিষ্টিমুখ করান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মী সহ আরও অনেকে। এর আগে, গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে যাছাই বাছাই শেষে সেলিম প্রধানের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা এক মামলায় তিনি সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাভোগের অভিযোগে তার মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়।
প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিতব্য রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২১ এপ্রিল, মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। এ ধাপে ১৬১ উপজেলায় আগামী ২১ মে ভোটগ্রহণ করা হবে।


আবহাওয়ায় সুখবর, আজ রাতে বৃষ্টি হতে পারে যেসব জেলায়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

প্রায় এক মাস ধরে চলা তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি পেতে চলেছে দেশবাসী। আজ রাত থেকেই সিলেট ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি শুরু হতে পারে। পর্যায়ক্রমে দেশের অন্য জেলাগুলোয়ও বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ বুধবার আবহাওয়া অফিস জানায়, চট্টগ্রামে বুধবার দিনগত রাত থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। একই সঙ্গে বৃষ্টির ফলে রাত ও দিনের তাপমাত্রা কমবে। এছাড়া একই সময়ে সিলেটের বিভিন্ন এলাকায়ও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকি আগামী দিনগুলোতে এই বৃষ্টি সারাদেশে ছড়িয়ে পড়বে। একইসঙ্গে ধীরে ধীরে তাপপ্রবাহের তীব্রতা ও আওতা কমবে।

বুধবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে জানান, আগামী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা, রাজশাহী, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, দিনাজপুর এবং খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এছাড়া দেশের অন্যত্র মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

এদিকে আজ চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৮ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় যশোরে।


পঞ্চগড়ে তীব্র তাপদাহে মরে যাচ্ছে চা বাগান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
পঞ্চগড় প্রতিনিধি

বৈশ্বিক তাপ প্রবাহের প্রভাব উত্তরের শীত প্রবন জেলা পঞ্চগড়েও এসে পড়েছে। বিরাজ করছে অব্যহত তাপদাহ। জেলায় প্রায় ৮ মাস ধরে কোন বৃষ্টি পাত না হওয়ায় কৃষিতে মারাত্নক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে চলমান তাপদাহে মাটি শুকিয়ে মরে যাচ্ছে সমতলের চা বাগানসহ টমেটো বাদাম এবং কাঁচা মরিচের ক্ষেত।

এদিকে চা এর কাঁচা চা পাতার মূল্য কমে যাওয়ায় লোকশানের আশংকায় চা বাগানে সেচ দেয়া বন্ধ রেখেছে চাষিরা। চাষিরা বলছেন, প্রাকৃতিক এই দুর্যাগে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা।
শুধু পঞ্চগড় নয় দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চা উৎপাদন এলাকা হিসেবে স্বীকৃতি পেলেও তীব্র তাপদাহ আর কাঁচা চা পাতার মূল্য নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন উত্তরের পাঁচ জেলার ক্ষুদ্র চা চাষিরা। তারা বলছেন, অনাবৃষ্টির কারণে সেচ দিতে হচ্ছে বেশি। অনাবৃষ্টি আর তীব্র খরতাপে মাটি শুকিয়ে লাল হয়ে গেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, গত বছরের অক্টোবর থেকে এ বছরের এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় ৭ মাস ধরে এই জেলায় ভারি বৃষ্টিপাত হয়নি। চাষিরা বলছেন, গত বছরের ভাদ্র মাসে শেষ বৃষ্টি হয়েছিল। তারপর আর বৃষ্টির দেখা মেলেনি। ফলে পানির স্তর অনেক নেমে গেছে। সেচের পানি জমিগুলো ধরে রাখতে পারছেনা। এ জন্য সেচ বেশি দিতে হচ্ছে। এতে খরচ অনেক বেড়ে গেছে। অনেক ক্ষুদ্র চাষি টাকার অভাবে বাগানে সেচ দিয়ে পানি দিতে পারছে না। এমন অবস্থায় এবারে চা উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্খা করছেন চাষীরা।

তেঁতুলিয়া উপজেলার সর্দার পাড়া এলাকার চা চাষি শরিফুল ইসলাম জানান, ৪৫ দিন পর পর কাঁচা চা পাতা তুলি। এই ৪৫ দিনে আগে দু থেকে তিনবার সেচ দিয়ে পানি দিতে হতো। খরার কারণে এ বছর ৪৫ দিনেও পানি দিতে হচ্ছে অন্তত: ১০ থেকে ১২ বার। প্রতি একর চা বাগানে পানি দিতে খরচ হয় ২ হাজার টাকা। আজিজনগর এলাকার চা চাষি দেলোয়ার হোসেন জানান, অনাবৃষ্টির জন্য এক একর জমি থেকে সর্বোচ্চ ২ হাজার কেজি কাঁচা চা পাতা পাওয়া যায়। কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রতি কেজি কাঁচা চা পাতা কেনে মাত্র দশ টাকা দরে। এক একর জমি থেকে মাত্র ২০ হাজার টাকা পাই। সেচ খরচ, সার কিটনাশক, মুজুরীসহ এক একর জমিতে খরচ পড়ে ৪০ হাজার টাকা। বর্তমানে চাবাগানের যত্ন নিতে পারছি না। চা বাগান মরে যাচ্ছে। সরকার আমাদের দিকে না তাকালে মাঠে মারা যাবো আমরা।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, দীর্ঘ ৮ মাস ধরে পঞ্চগড়ে ভারি বৃষ্টিপাত হয়নি। তাপমাত্রা ৩৫ থেকে ৩৯ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করছে। তবে এই জেলায় মে মাসের প্রথম সপ্তাহের দিকে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে বলে জানায় আবহাওয়া অফিস।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের পঞ্চগড় আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৃষিবিদ আমির হোসেন জানান, কাঁচা চা পাতার দাম কমে যাবার কারণে অনেক চাষি চা বাগানে সেচ দিচ্ছে না। তারা লোকশানের আশংকা করছেন।
পঞ্চগড়সহ উত্তরাঞ্চলের পাঁচ জেলায় (পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, লামনিরহাট ও দিনাজপুর) বর্তমানে নিবন্ধিত ৯টি ও অনিবন্ধিত ২১টি বড় চা-বাগান (২৫ একরের ওপরে) রয়েছে। এ ছাড়া ২ হাজার ৫৩টি নিবন্ধিত ও ৬ হাজার ৩০২টি অনিবন্ধিত ক্ষুদ্রায়তনের চা-বাগান আছে। বাড়ির আনাচে কানাচে ক্ষুদ্র চাষিরা চা বাগান গড়ে তুলেছেন। সব মিলিয়ে প্রায় ১২ হাজার ৭৯ একর জমিতে চা হচ্ছে। গত মৌসুমে পাঁচ জেলার সমতল ভূমিতে ১ কোটি ৭৭ লাখ ৫৯ হাজার ২২৬ কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে। চা চাষের জন্য ২৮ ডিগ্রি থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা সবচেয়ে সহনীয়। বর্তমানে এই এলাকায় এর চেয়ে বেশি তাপমাত্রা বিরাজ করছে।


ঘাটাইলে দুর্বৃত্তের আগুনে জ্বলছে শাল-গজারি বন

চলছে বন দখল, হুমকিতে জীববৈচিত্র্য
ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ মে, ২০২৪ ০৫:১৫
শফিকুল ইসলাম জয়, ঘাটাইল (টাঙ্গাইল)

শাল-গজারির বনে ঘেরা পাহাড়ি অঞ্চলটি। এ অঞ্চলের অধিকাংশ এলাকা নিয়ে রয়েছে বিশাল শাল-গজারি বন। বছরের পর বছর সবুজে ঘেরা এ বনে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে একটি চক্র। বন বিভাগের আওতাভুক্ত সরকারি এ বনের বিভিন্ন জায়গায় জ্বলছে আগুন। বসন্তকালে শুকনো পাতা ঝরায় বনে বেশি আগুন দেখা যায়। বন বিভাগের অসাধু কর্মচারী ও মাদকসেবীরা এ আগুন লাগিয়ে দেন বলে জানা গেছে। এতে বন দখলের পাশাপাশি হুমকিতে জীববৈচিত্র্য।

সরেজমিন দেখা যায়, ধলাপাড়া রেঞ্জের সাগরদীঘি বিটের আওতাধীন কামালপুর গ্রামের ফকির মার্কেট এলাকায় দিনদুপুরে জ্বলছে বন। অন্যদিকে একই এলাকার ভূঁইয়া বাড়ি মোড়, কয়েদিসহ আশপাশে থাকা বন জ্বলছে দুর্বৃত্তের দেওয়া আগুনে। পুড়ছে বনের ছোট-বড় গাছপালা। বাতাসের কারণে মুহূর্তেই আগুন বনের গভীর থেকে গভীরে ছড়িয়ে যাচ্ছে। বনের ভেতরে থাকা পশুপাখি বন থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, প্রতি বছর এই মৌসুমে বন পোড়ে আগুনে। রাতে ও দিনে সুযোগ বুঝে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। জুয়াড়ি ও মাদকসেবীরা রাতে বন পুড়িয়ে দেয়। তবে কে বা কারা আগুন দিচ্ছে তা জানা যাচ্ছে না।

অন্যদিকে, পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগান বন বিভাগের অসাধু কর্মচারীরা। আগুন দেওয়ার ফলে বনের ছোটগাছ পুড়ে যায়। প্রতি বছর সেখানে আগুন দিলে নতুন করে কোনো গাছ বেড়ে উঠতে পারে না। পরে বয়স্ক গাছগুলো সরকারি বিধি মেনে কাটা হয়। এরপর সেখানে টাকার বিনিময়ে ঘরবাড়ি-দোকানপাট তুলে দেন বন বিভাগের কর্মচারীরা। তবে এ বিষয়ে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না ঊর্ধ্বতন বন কর্মকর্তাদের।

কামালপুর এলাকার বাসিন্দা মো. লাল মিয়া বলেন, ‘এই সময় এলে প্রতি বছর বনে আগুন জ্বলে। প্রভাবশালীদের কাছ থেকে উৎকোচ নিয়ে অসাধু বন কর্মকর্তারা এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে। রাত-দিনে সুযোগ বুঝে তারা আগুন দিয়ে চলে যান। এতে বন ধ্বংস করে এখানে বাড়িঘর তুলে দিতে পারলে তাদের লাভ।’

ফকির মার্কেট এলাকার বাসিন্দা মো. নায়েব আলী বলেন, বনের ভেতর গরু-ছাগল পালন করতে হয়। আগুনে ঘাস, লতা-পাতা ও কীটপতঙ্গ ধ্বংস হয়। মধ্য রাতে বেশি আগুন দেওয়া হয়। মাদকসেবী অথবা বন বিভাগের লোকজন আগুন ধরিয়ে দেন।

সাগরদীঘি বিটের দায়িত্বে থাকা বন মালী শামছুল হকের ভাষ্য, ‘খবর পেয়ে কয়েক জায়গায় আগুন নিভিয়েছি। কে কখন বনে আগুন ধরিয়ে চলে যায়, এটা ধরা খুবই কঠিন। মনে হয় নেশাগ্রস্তরা এ আগুন দিতে পারে। আগুন ধরিয়ে বন পোড়ানোর ঘটনায় বন বিভাগের কেউ জড়িত থাকার কথা না।’

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদুজ্জামন বলেন, ‘কারা বনে আগুন দিচ্ছে- তা বের করা কঠিন। খোঁজ নিয়ে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। বন বিভাগের কোনো কর্মচারী বনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকলে তাদের খুঁজে বের করা হবে।’


তীব্র গরমে শিবপুরে পথচারিদের মাঝে শরবত-পানি বিতরণ

আপডেটেড ৩০ এপ্রিল, ২০২৪ ১৮:৩৭
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সারা দেশে তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকায় জনজীবন বিপর্যস্ত। প্রচন্ড গরমে মানুষ ওষ্ঠাগত। কাজের জন্য যারা বাইরে বের হতে হচ্ছে তাদের অবস্থা বেশ হাঁসফাঁস। এই যখন অবস্থা কর্মজীবী মানুষের বাইরে বের হতেই হচ্ছে। যাদের ঘরের বাইরে যেতে হচ্ছে তাদের প্রচুর বিশুদ্ধ পানি ও শরব খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাই তো সারা দেশেই অনেকেই প্রাকৃতিক এই দুর্যোগের সময় সাধারণ মানুষের সেবায় জনহিতকর কাজ করছেন। নিজেদের দাঁড় করাচ্ছেন তাদের পাশে।

তেমনিভাবে নরসিংদীর শিবপুরে প্রচন্ড তাপদাহের কারণে তৃষ্ণার্ত শ্রমিক, পথচারী ও সাধারণ মানুষদের মাঝে প্রশান্তি এনে দিতে উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মো: মোশারফ হোসেন ফাউন্ডেশনের আয়োজনে একটি মহতী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিবপুর উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: মোশারফ হোসেনের সুযোগ্য কন্যা মেট্রো ওয়াশিংটন মহিলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোহসিনা জান্নাত রিমির উদ্যোগে বিশুদ্ধ সুপেয় শরবত ও পানি বিতরণ করা হচ্ছে। তীব্র এই গরমে রাস্তায় চলাচলকারী মানুষ পানির তৃষ্ণা মেটাতে আগ্রহ নিয়ে বিশুদ্ধ পানি ও শরবত পান করছেন এবং এমন সমাজ সেবামূলক উদ্যোগকে এলাকার সাধারণ মানুষ সাধুবাদ জানায়।


যশোরে রেকর্ড তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮

আপডেটেড ৩০ এপ্রিল, ২০২৪ ১৬:৪৩
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

যশোরে এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর ২টায় যশোরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিলো ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার আগের দিন রোববার যশোরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ মঙ্গলবার ৪৩.৮ ডিগ্রি তাপমাত্রার পারদ উঠে। ফলে তীব্র দাবদাহে নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে যশোরের সাধারণ মানুষের জীবন। বেশি বিপাকে পড়েছেন সেখানকার নিম্নআয়ের শ্রমজীবী মানুষ। ঘরের বাইরে তীব্র দাবদাহের মধ্যে কাজ করতে গিয়ে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।

শাহাজাহান আলী নামে এক ভ্যানচালক বলেন, কয়েক দিনের গরমে ভোগান্তি চরমে উঠেছে। আজ আগুন ঝরছে। সড়কে লোকজন কম। আয় ইনকাম নেই। তাই গাছতলায় বসে আছি।

জালাল উদ্দিন নামে এক শরবত বিক্রেতা বলেন, গরমের কারণে বিক্রি বেড়েছে। এত গরম আগে অনুভত হয়নি। আমার বিক্রি ভালো হচ্ছে, তারপরও কবে বৃষ্টি হবে; স্বস্তি ফিরবে সেই আশায় আছি।

এদিকে আজ বিকেল ৩টার দিকে চুয়াডাঙ্গায় ২২ বছরের রেকর্ড ভেঙে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র তাপপ্রবাহের কারনে জেলার মানুষের অবস্থা হাঁসফাঁস। ঘর থেকে বের হওয়ার উপক্রম নেই বললেই চলে। তবুও একান্ত প্রয়োজনে যাদের ঘরের বাইরে যেতেই হচ্ছে তারা গরমে অস্থির হয়ে ওঠছে। অসুস্থ হচ্ছে মানুষ।


banner close