বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
২০ ভাদ্র ১৪৩২

বাজারে আগুনের ভয়াবহতা দেখে ব্যবসায়ীর মৃত্যু

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড
৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৩:৩৬
প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ
প্রকাশিত
প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ
প্রকাশিত : ৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৩:২৮

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে অগ্নিকাণ্ডে ছয়টি দোকান, পাঁচটি বাসা ও কসমেটিকসের একটি গোডাউন পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। এ সময় আগুনের ভয়াবহতা দেখে আবুল হোসেন (৬২) নামে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে।

গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে পৌর শহরের মধ্যবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আবুল হোসেন গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মৃত হযরত আলীর ছেলে। তিনি গফরগাঁও পৌর শহরে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন এবং বাজারে কাপড়ের ব্যাগের দোকান ছিল তার।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাইন উদ্দিন খান জানান, ‌‌‌‌আবুল হোসেন নামের ওই ব্যবসায়ীকে হাসপাতালে আনার আগেই মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।‌

এ বিষয়ে গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক আহম্মেদ বলেন, `দোকানে আগুন জ্বলতে শুরু করলে বৃদ্ধ আবুল দৌড়াতে গিয়ে মাটিতে পড়ে যান। এ‌ সময় আশপাশের লোকজন তাকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে থানায় খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়।‌'

ওসি ফারুক বলেন, `নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হবে।‌'

গফরগাঁও ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রাম প্রসাদ পাল দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘লিটন রায়ের স্বর্ণালী জুয়েলার্সের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে চারিদিকে আগুন ছড়িয়ে পড়লে বাদল রায়ের রায় জুয়েলার্স, সুশীল রায়ের মনিন্দ্র জুয়েলার্স, অপু রায়ের চমক জুয়েলার্স, নয়ন মিয়ার আশরাফ শিল্পালয়, হরিপদ রায়ের বিজয় কসমেটিকস, কসমেটিকস মালমাল রাখার একটি গোডাউন, রিটন রায়, বাদল রায়, বিজয় রায় ও আশরাফ, শাহাবুদ্দিনের বাসা পুড়ে যায়। স্থানীয় লোকজন ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে এসে দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এনে আশপাশে থাকা অন্য দোকান ও বসতবাড়ি রক্ষা করা সম্ভব হয়।’

রাম প্রসাদ পাল আরও বলেন, ‘কীভাবে আগুন লেগেছে ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত তা জানা যায়নি। তবে ব্যবসায়ীদের ধারণা, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দেড় কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।’

কান্নাজড়িত কণ্ঠে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী হরিপদ রায় দৈনিক বাংলাকে বলেন, `আমার কসমেটিকসের দোকান ও গোডাউন পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। এতে প্রায় ৬০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমার সব শেষ হয়ে গেল।'

বিষয়:

চলতি অর্থবছরে ৩৯ হাজার কোটি টাকা কৃষি ঋণ দেবে সরকার: কৃষি সচিব

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেছেন, সরকার এ বছর কৃষি খাতে ৩৯ হাজার কোটি টাকা কৃষি ঋণ দেবে। প্রকৃত উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য যাদের সহায়তা প্রয়োজন তাদের খুঁজে বের করে সহায়তার চেষ্টা করা হবে।

সরকার ঘোষিত ‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি)-এর আয়োজনে গতকাল বৃহস্পতিবার গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘তারুণ্যের উদ্ভাবনী শক্তি, কৃষি রূপান্তরের চালিকা শক্তি’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি সচিব এসব কথা বলেন।

সচিব বলেন, আলু চাষিদের সহায়তার জন্য সরকার এবারই প্রথম হিমাগার গেটে মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে। এছাড়া সরকার এবার প্রথমবারের মতো ৫০ হাজার মেট্রিক টন আলু কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ কৃষক যদি তার উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য না পায়, তাহলে আমাদের তৃপ্ত হওয়ার সুযোগ নেই।

ড. এমদাদ উল্লাহ মিয়ান আরো বলেন, এই প্রথম কৃষি মন্ত্রণালয় ২৫ বছর মেয়াদি একটি কর্মকৌশল প্রণয়নে কাজ করছে। এর লক্ষ্য ২০৫০ সালের মধ্যে সবার জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করা।

বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. নাজমুন নাহার করিমের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. জি কে এম মোস্তাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. সফিউল ইসলাম আফ্রাদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএআরসির কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সদস্য পরিচালক এবং ‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’ কর্মসূচি আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ড. মো. মোশাররফ উদ্দিন মোল্লা।

সেমিনারে ‘তারুণ্যের উদ্ভাবনী শক্তি, কৃষি রূপান্তরের চালিকা শক্তি’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএআরসি’র কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং এপিসিইউ-বিএআরসি, পার্টনার প্রকল্পের ডেপুটি প্রোগ্রাম ডাইরেক্টর (এইচআরডি) ড. মো. আব্দুস সালাম।

সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবক, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, বিজ্ঞানী, এনজিও প্রতিনিধি ও বেসরকারি খাতের প্রতিনিধি অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে কৃষির বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল ১১ জন তরুণ উদ্যোক্তা তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তাদের মধ্যে ছিলেন—কৃষিবিদ মুহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন তুলিপ (কফি চাষ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ), শাহীদা বেগম (পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন), আব্দুল হালিম (নিরাপদ সবজি উৎপাদন), কৃষিবিদ মোবারক হোসেন (মধু উৎপাদন), প্রকৌশলী মো. মিলন মিয়া (জৈব সার উৎপাদন), মো. ইসমাইল (নিরাপদ শুঁটকি উৎপাদন), কৃষিবিদ আল মামুন (রঙিন মাছ উৎপাদন), কৃষিবিদ ডা. মো. তাজাম্মুল হক (প্রযুক্তিনির্ভর সেবা), কৃষিবিদ মো. নাজমুস সাকিব (টেকসই প্রযুক্তি বিস্তার), কাজী কাওসার হোসেন প্রিতম (গবাদিপশুর স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য ব্যবস্থাপনা) এবং মো. রেজওয়ানুল ইসলাম (সমন্বিত খামার ব্যবস্থাপনা)।


গ্যাস সিলেন্ডার বিষ্ফোরণে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ

শিশুসহ ৩জনের অবস্থা সংকটাপন্ন
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে একটি বাড়িতে গ্যাস সিলেন্ডারের লিকেজ থেকে বিষ্ফোরণ হয়ে আগুনে শিশুসহ একই পরিবারের ৫জন দগ্ধ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার পৌঁনে ছয়টার দিকে উপজেলার কাঁচপুর পুরান বাজার মধ্যপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। দগ্ধদের মধ্যে শিশুসহ তিনজনের অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানা যায়। দগ্ধরা হলেন মানব চৌধুরী (৪০), তার স্ত্রী বাচা চৌধুরী (৩৮), মেয়ে মুন্নি (১৪), তিন্নি (১২) ও মৌরি (৬)। দগ্ধরা সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার বলরামপুর গ্রামের বাসিন্দা। মানব চৌধুরী কাঁচপুর এলাকার ফ্যালকন নামের একটি টেক্সটাইল মিলে কর্মরত ছিলেন। এদিকে ঘরের ভেতর থাকা সিলিন্ডারের লাইনের লিকেজ থেকে জমা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণের কারণ বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের কাঁচপুর স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার জাহাঙ্গীর আলম।

স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার কাঁচপুর বিসিক শিল্প নগরীর পুরান বাজার মধ্যপাড়া শেখ ফরিদের তিনতলা বাড়ির নিচ তলায় একমাস আগে ভাড়া আসেন মানব চৌধুরী ও তার পরিবার। বৃহস্পতিবার ভোর পৌঁনে ৬ টার দিকে রান্নার জন্য চুলা জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গে বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। পরে তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন গিয়ে আগুন নিভিয়ে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

প্রতিবেশী সবিনয় চন্দ্র দাস জানান, একটাই ঘর, সেটার ভেতরেই রান্নাঘর ও বাথরুম। ভোরে হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণে তারা সবাই পুড়ে যায়। আমি তাড়াতাড়ি গাড়ির ব্যবস্থা কইরা হাসপাতালে আনি। জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জরী ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, দগ্ধদের মধ্যে মানব চৌধুরীর ৭০শতাংশ, বাচা চৌধুরীর ৪৫ শতাংশ, মৌরীর ৩৬ শতাংশ, মুন্নির ২৮শতাংশ ও তিন্নির ২২ শতাংশ পুড়েছে। তাদের ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। শিশুসহ তিনজনের অবস্থা সংকটাপন্ন।


ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে ট্রেনের নিচে শিক্ষকের আত্মহত্যা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জয়পুরহাট প্রতিনিধি

জয়পুরহাটে ঋণের বোঝা সইতে না পেরে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ফারুক হোসেন নামে এক সহকারী শিক্ষক। গত বুধবার রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার পুরানাপৈল রেলগেটে রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটিগামী বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে জয়পুরহাট সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে এবং পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সান্তাহার রেলওয়ে থানাকে জানায়।

নিহত ফারুক হোসেন (৫০) কালাই উপজেলার হারুঞ্জা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। তিনি উপজেলার হারুঞ্জা পূর্বপাড়া এলাকার মৃত লুৎফর রহমানের ছেলে।

পরিবার জানায়, ফারুক হোসেন দীর্ঘদিন ধরে প্যারালাইসিস রোগে ভুগছিলেন। একহাত সম্পূর্ণ অবশ থাকায় স্বাভাবিক চলাফেরা করতেও তার কষ্ট হতো। অসুস্থতার কারণে নিয়মিত চিকিৎসা ও ব্যয়বহুল ওষুধের খরচ চালাতে গিয়ে তিনি বিভিন্ন এনজিও, সমবায় সমিতি ও স্থানীয় মহাজনদের কাছ থেকে একাধিকবার ঋণ গ্রহণ করেন। অভাব-অনটনের কারণে তার মাসিক বেতনের বেশিরভাগ অংশই কিস্তি ও উচ্চ সুদের ঋণ পরিশোধে ব্যয় হয়ে যেত। ফলে সংসার চালাতে গিয়ে তাকে চরম আর্থিক সংকটে পড়তে হয়। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের কোনো পথ না দেখে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি। গত বুধবার বিকেলে বিদ্যালয় ছুটির পর বাড়িতে ফিরে পরিবারের কাউকে কিছু না জানিয়ে তিনি বাইরে বের হয়ে যান। পরে জয়পুরহাট শহর হয়ে পাঁচবিবি যাওয়ার পথে পুরানাপৈল রেলগেটে গিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন।

নিহতের স্ত্রী শারমিন আক্তার বলেন, আমার স্বামী ঋণের বোঝা আর মানসিক চাপ সইতে না পেরে এই পথ বেছে নিয়েছে। এখন আমি সন্তানদের নিয়ে কিভাবে চলব? ওরা বাবাকে হারাল, আমি স্বামীকে হারালাম।

জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তামবিরুল ইসলাম বলেন, রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটিগামী বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে ঝাপ দিলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার এবং সান্তাহার রেলওয়ে পুলিশকে জানানো হয়েছে। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।


আড়িয়াল বিলের পাশে চুল্লি দূষণের হুমকিতে পরিবেশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জে) প্রতিনিধি

আড়িয়াল বিলের মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার বাড়ৈখালি এলাকায় কৃষি জমির পাশে দীর্ঘদিন ধরে গড়ে ওঠা একটি অবৈধ অ্যালুমিনিয়াম গলানোর কারখানা অব্যাহতভাবে পরিবেশ দূষণ করে চলেছে। সরেজমিন দেখা গেছে, চুরাইন বাড়ৈখালি সেবক সংঘের মাঠের পাশ দিয়ে কিছুটা সামনে আড়িয়াল বিলের কৃষি জমির পাশে একটুকরো উচু জমিতে অ্যালুমিনিয়াম/ ধাতব রিসাইক্লিংয়ের জন্য একটি বাঁশের ঘর বানানো হয়েছে। ঘরটির ভেতরে না যাওয়া গেলেও বাইরে দেখে বোঝা যাচ্ছে এখানে ভারি কোনো ধাতু গলানোর কাজ চলছে। অত্যধিক পরিমাণে জ্বালানি পোড়ানোর কারণে কারখানার উপরের অংশ দিয়ে দিন-রাত কালো ধোঁয়া নির্গত হচ্ছে। এছাড়া অ্যালুমিনিয়াম পাউডারের সাদা অংশ ছড়িয়ে পড়ছে আশপাশের গাছ-সবজি বাগানের উপর। এতে সবুজ গাছের পাতা রুপ নিয়েছে ধূসর রংয়ে। পাশাপাশি কারখানায় অ্যালুমিনিয়াম গলানোর পর যে বর্জ্য নির্গত হচ্ছে সেগুলো সরাসরি ফেলা হচ্ছে পাশের আড়িয়াল বিলের পানিতে। ধীরে ধীরে সেই কেমিকেলযুক্ত আবর্জনা পানিতে মিশে ছড়িয়ে পড়ছে পুরো বিলে।

স্থানীয় কৃষক রিংকু খান বলেন, আড়িয়াল বিলে ৪০০ শতাংশ জমিতে ধানচাষ করে আমার পরিবার। প্রতিবছর আমরা প্রায় ১ হাজার মন ধান উৎপাদন করি। এই কারখানাটি আমাদের জমিগুলো ধ্বংস করছে।

বাড়ৈখালি ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ইমরান তালুকদার বলেন, কারখানাটি চালানোর জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের কাছ থেকে ন্যূনতম কোন অনুমতি নেই। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা মিটিংয়েও আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে কারখানা মালিক ও জমির মালিককে ১৫দিনের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত হতে বলা হয়েছিল। দুমাস হয়ে গেলেও কেউই পরিষদে আসেনি।

শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মহিন উদ্দিন বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে সম্প্রতি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি পরিবেশ অধিদপ্তরকে জানানো হয়েছে। তারা এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে। তারা ব্যবস্থা নিতে চাইলে আমরা সবার সহযোগিতা করবো।

পরিবেশ অধিদপ্তর, মুন্সীগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, বাড়ৈখালি বা আড়িয়াল বিলের পাশে এরকম কোনো কারখানার বিষয়ে আমার জানা নেই। তাছাড়া স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকেও আমরা কোন অভিযোগ পাইনি। বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


কালাইয়ে ৪ দিনব্যাপী বইমেলা শুরু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জয়পুরহাট প্রতিনিধি

আলোকিত মানুষ গড়ার প্রত্যয়ে জয়পুরহাটে উপজেলা পর্যায়ে প্রথম ৪ দিনব্যাপী ভ্রাম্যমাণ বইমেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। বইমেলার আয়োজন করায় খুশি স্থানীয়রা। দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৮টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত খোলা থাকবে মেলার স্টল। গত বুধবার কালাই উপজেলা পরিষদের নতুন হলরুমে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের আয়োজনে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ফিতা কেটে মেলার উদ্বোধন করেন কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামিমা আক্তার জাহান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কালাই সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইফতেকার রহমান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী মো. মনোয়ারুল হক, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আবিদ আব্দুল্লাহ, উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা আছাদুজ্জামান চৌধুরী, কালাই সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ নাজিম উদ্দিন, কালাই ময়েন উদ্দিন সরকারি উচ্চ বিদ্যায়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) সাইফুল ইসলাম বকুল প্রমুখ।

বইমেলা দেখতে আসা শিক্ষার্থী এস এম সাদমান সাইফ রাইমান বলে, আমি প্রথমবার বইমেলা দেখলাম। এর আগে আমাদের এখানে কোনো বইমেলা হয়নি। দেখে অনেক ভালো লাগছে।

আরেক শিক্ষার্থী সেজান আহম্মেদ বলে, বইমেলায় অনেক লেখকের বই যা আমাকে অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে। আমরা চাই আগামীতে স্থানীয়ভাবে দীর্ঘ মেয়াদি বইমেলার আয়োজন করা হোক।

ভ্রাম্যমাণ বইমেলার ইউনিট ইনচার্জ অমিত চক্রবর্তী বলেন, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আয়োজন ৪দিনব্যাপী বৃহস্পতিবার থেকে কালাইয়ে বইমেলা শুরু হয়েছে। বইমেলা উপলক্ষে থাকছে চিত্র অংকন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজন। মেলায় ১৫০টি প্রকাশনীর ১০ হাজারের বেশি বই রয়েছে।

কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামিমা আক্তার জাহান বলেন, আজকের আয়োজিত এ বইমেলা আরও প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে দেওয়া দরকার। এই বইমেলার মাধ্যমে শিক্ষার্থীসহ নানা পেশার মানুষ বই পড়া ও ক্রয়ের জন্য উদ্বুদ্ধ হবে। মেলাটিতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবধরনের সহযোগিতা করা হবে।


ফটিকছড়িতে ১ বছরে ১৮ খুন

আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

বিগত এক বছরে খুন, অপহরণসহ নানা অপরাধে আতঙ্কের জনপদ হয়ে উঠেছে ফটিকছড়ি ও ভূজপুর থানা। মব সৃষ্টির মাধ্যমে অপরাধ সংঘটিত করা যেন এখানকার নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। যার ফলে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে জনমনে ভর করে এক অজানা ভীতি। বলতে গেলে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দেশের পট-পরিবর্তনের পর থেকে দুইটি থানার আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতি হতে থাকে।

বিগত এক বছর ধরে উপজেলার দুটি থানায় প্রায় প্রতিদিনই সংঘটিত হচ্ছে কোন না কোন অপরাধ। এরমধ্যে খুন অপহরণ, চুরি-ডাকাতি, মারামারি, কাঠ-রাবার পাচার এমনকি টিলা কাটাসহ জায়গা-জমির দখল-বেদখল অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। তবে, দুই থানার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাজ করে গেলেও জনসচেতনতা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না থাকায় এমনটি ঘটছে বলে অভিমত সচেতন মহলের। দুইটি থানা এলাকায় সংঘটিত অপরাধ কর্মকাণ্ড বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গেল বছরের সেপ্টেম্বর থেকে এ বছরের আগস্ট পর্যন্ত খুনের ঘটনা ঘটেছে মোট ১৮ টি। তন্মোধ্যে ফটিকছড়িতে ৮ টি। ভূজপুরে ১০ টি। এছাড়া দুই থানায় প্রভাব বিস্তার, মারামারি, অপহরনের ঘটনা ভুড়ি ভুড়ি। তবে একই সময়ে দুই থানা এলাকায় অপরাধ সংঘটিত হলেও তুলনামূলক বিচারে বেশি সংঘটিত হয়েছে ভুজপুর থানায়। সম্প্রতি মব সৃষ্টির মাধ্যমে ফটিকছড়ি উপজেলার কাঞ্চন নগর ইউনিয়নে পিটিয়ে হত্যা করা হয মাহিন নামে সপ্তম শ্রেণী পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রকে। এ ঘটনায় আরো দুই কিশোর গুরুতর আহত হয়। তখন এ ঘটনার বর্বরতার সংবাদ দেশ ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও স্থান পায়। এছাড়া গত ৫ জুলাই নাজিরহাট পৌরসভা এলাকায় শাহ আলম (৫৫) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করার তিনদিন পর একই পৌরসভার পূর্ব ফরহাদাবাদ গ্রামে পুকুর থেকে মো. এনাম (৬০) নামে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

অন্যদিকে, গত ২০ জুলাই উপজেলার লেলাং ইউনিয়নে খাল থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় সন্তোষ নাথ (৪০) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর ঘটনার দুই দিনের মাথায় ২২ জুলাই মাইজভান্ডার দরবার শরীফ এলাকায় টয়লেট থেকে মো. আরমান (২৮) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। গত ৮ আগস্ট ফটিকছড়ি পৌরসভার রাঙ্গামাটিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘর থেকে মনছুর বৈদ্য নামে এক ব্যক্তির গলাকাট লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

অন্যদিকে, গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর জাফত নগর ইউনিয়নে জায়গার বিরোধ নিয়ে আলমগীর ও জাহাঙ্গীর নামে দুই সহোদরকে মব সৃষ্টি করে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে।

ফটিকছড়ি থানার ওসি নূর আহমদ বলেন, অপরাধ যাতে না ঘটে সেদিকে নজরদারী রেখে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ। গত এক বছর সংঘটিত সবকটি ঘটনার অধিকাংশ আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান চলমান রয়েছে।

অন্যদিকে, বিগত এক বছরে ভূজপুর থানায় আইনশৃঙ্খলা চরম অবনতি ঘটেছে। ১০ টি হত্যাকাণ্ড ছাড়াও বিগত এক মাসের ব্যবধানে দুটি অপহরণের ঘটনা ঘটেছে এখানে।

ভুজপুর থানার ওসি মো. মাহাবুবুল হক জানান, এলাকার আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখতে পুলিশ সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। যেসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে তার অধিকাংশ আসামিকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করে বিচারের জন্য আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে।


গাছের শুকনো ডাল-পাতা থেকে তৈরি পশু খাবার রপ্তানি হচ্ছে বিদেশেও

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শিউলি আফরোজ সাথী, মাগুরা

একটা সময় গাছের শুকনো ডাল-পাতা গাছের নিচেই পড়ে পচে নষ্ট হতো। আবার কেউ কেউ গ্রামে মাটির চুলায় এগুলো জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করা হতো। কিন্তু বর্তমানে মাগুরা জেলার বিভিন্ন এলাকায় এগুলো দিয়ে বিভিন্ন জিনিসপত্র তৈরি করে বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে।

মানুষ নয় বিভিন্ন ধরনের পশু-পাখি যেমন- কুকুর, বিড়াল, খরগোশ, ইঁদুর, গিরগিটি, সাপ ও পাখির জন্য গাছের শুকনো ডাল-পাতা এবং ঘাস রোদে শুকিয়ে তৈরি করা হচ্ছে পশু-পাখির বাসা ও বানানো হচ্ছে খেলনা ও পোশাক। আর এসব তৈরি করে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছেন মাগুরার সফল উদ্যোক্তা রহমতুল ইসলাম বিদ্যুৎ ।

ছোটবেলা থেকেই পশু-পাখির প্রতি ভালবাসা এবং নিজের মধ্যে শিল্পবোধ পুষে রেখেছিলেন এই উদ্যোক্তা। তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে দীর্ঘ ১৪ বছর যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানে লেখাপড়া ও ব্যবসা শেষ করে ২০১৮ সালে জাপানিজ স্ত্রী ও কন্যার অনুপ্রেরণায় বাংলাদেশে নিজ জেলা মাগুরার কেশব মোড়ের বাসিন্দা রহমতুল ইসলাম ফিরে আসেন এবং তৈরি করেন পরিবেশবান্ধব কারখানা। জাপান-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব কারখানাটির নামকরণ করা হয় ‘বোল্ড পার্টনারস লিমিটেড’।

মাগুরা-যশোর মহাসড়কের পাশে জাগলা এলাকায় ৪০ বিঘা জমির ওপর গড়ে তোলেন ১০০% পরিবেশবান্ধব এই কারখানা। নিজেদের উৎপাদিত ও সম্পূর্ণ দেশীয় পণ্য দিয়ে তৈরি পরিবেশবান্ধব এ কারখানায় কাজ করেন ২৫০ জন নারীকর্মী। প্রায় ৩৫০ ধরনের প্রোডাক্ট তৈরি করা হয় এখানে। এছাড়া আশেপাশের গ্রামের আরও প্রায় তিন শতাধিক নারী ও পুরুষ কর্মী প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কাজ করছেন এখানে। অনেক প্রতিবন্ধীও কাজ করেন এখানে। তারা ঘরে বসেই বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট তৈরি করেন আর কারখানার কর্মীরা সেগুলো সংগ্রহ করে নিয়ে আসে। রহমতুল ইসলাম বিদ্যুৎ প্রথমে সবাইকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কাজ শেখান। বর্তমানে এখান থেকে প্রতি বছর ৫ থেকে ৬ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে। এসব পণ্য ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডা, জাপানসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয়।

কয়েক বছর আগেও ফেলে দেওয়া হতো পেঁপে গাছের নল ও পাতা। এখন সেগুলো দিয়ে তৈরি করা হয় প্রায় ৩০ ধরনের পশু ও পাখির বাসা। এইসব পণ্য তৈরি করতে লাগে বাঁশ, পাটের দড়ি, আম ও নিম গাছের শুকনো ডাল-পাতা, ঘাস ইত্যাদি।

এছাড়া পেঁপে পাতা, আনারস ও আখ দিয়ে রোল বানিয়ে পশুর খাবার তৈরি করা হয়। এমনকি নীলকণ্ঠ ফুল দিয়ে তৈরি করা হয় পশু-পাখির পোশাক ও খাবার। কারখানার পাশাপাশি প্রায় ২০ একর জমিতে এসব পণ্য তৈরি করার জন্য যে কাঁচামাল প্রয়োজন সেই গাছগুলো রোপণ করা হয়। পুরোপুরি চাহিদা পূরণ না হওয়ায় পাশের গ্রামগুলো থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ করা হয়। এসব পণ্য তৈরি করে স্বাবলম্বী হয়েছে মাগুরা সদর উপজেলার ফুলবাড়ীয়া, কেচুয়া ডুবি, জাগলা, টিলা, ভাবনহাটি ও বড়সোলই গ্রামের মানুষজন।

কারখানার নারীকর্মী মেরিনা জানান, এখানে পর্যাপ্ত সিকিউরিটির ব্যবস্থা আছে। বিভিন্ন ধরনের দেশি-বিদেশি কুকুর, বিড়াল, পুকুর ভরা মাছ বিভিন্ন জাতের হাঁস, মুরগি, ছাগল ও গরু পালন করা হয়। এই কারখানার মালিক এবং শ্রমিকদের মধ্যে যথেষ্ট সুসম্পর্ক রয়েছে। বাইরে থেকে আসা শ্রমিকদের যাতায়াতের খরচ প্রতিদিন দিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া কেউ ওভারটাইম করলে তার অতিরিক্ত বিল পরিশোধ করে দেওয়া হয়।

কারখানার নারীকর্মী মেরিনা জানান, এখানে কাজ করে আমাদের সংসার খুব ভালোভাবেই চলে যায় এতে আমরা অনেক খুশি।

টিলা গ্রামের সাপ্লাইয়ার সৈয়দ আলী ও বিল্লাল হোসেন মোল্লা বলেন, ৮ থেকে ১০ ধরনের প্রোডাক্ট এ কারখানায় সাপ্লাই দেই তা দিয়ে আমাদের আয় ভালোই হচ্ছে।

সফল উদ্যোক্তা রহমতুল ইসলাম বিদ্যুৎ বলেন, কুকুর, বিড়াল, খরগোশ, ইঁদুর, সাপ, গিরগিটিসহ বিভিন্ন প্রাণীর খাবার, পোশাক, বাসা ও খেলনা প্রায় সাড়ে তিন শতাধিক প্রোডাক্ট তৈরি করা হয়। যা ১০০% প্রকৃতি থেকে নেওয়া। পণ্যের গুণগত মান ঠিক থাকায় ৬ বছরে প্রায় একশত কনটেইনার পণ্য রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে। বিশ্বে পোষা প্রাণীর খাবার পোশাক ও খেলনার বাজার প্রায় ১৪০ বিলিয়ন ডলারের। তৈরি পোশাকের বাইরে এই খাতে নজর দেওয়া গেলে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আসবে দেশে দারিদ্র্যতা কমবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের দারিদ্র্যকে বিক্রি করি না আমরা স্কিল বিক্রি করি।

কারখানার শ্রমিকরা মালিকের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন ,এমন উদ্যোক্তা বাংলাদেশে বৃদ্ধি পেলে একদিকে যেমন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে তেমনি বৈদেশিক আই ও বৃদ্ধি পাবে।


পাথরঘাটায় বিশুদ্ধ পানির সংকট সমাধানের দাবি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি

বরগুনার পাথরঘাটা পৌরবাসী দীর্ঘদিন ধরে বিশুদ্ধ পানির চরম সংকটে ভুগছেন। এ সংকট নিরসনের দাবিতে বৃহস্পতিবার পাথরঘাটা পৌরসভা চত্বরে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। সুবিধাবঞ্চিত পৌরবাসীর আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রায় শতাধিক মানুষ অংশ নেন।

মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন, পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বদিউজ্জামান সাহেদ, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জিয়াউর রহমান ফাহিম, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা বরগুনা জেলা শাখার সহসভাপতি মহিউদ্দিন এসমে, পৌর জামায়াত নেতা মাহাবুব খান, পাথরঘাটা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নজমুল হক সেলিম, সমাজকর্মী মেহেদী শিকদারসহ ভুক্তভোগী পৌরবাসী।

বক্তারা অভিযোগ করেন, বছরের পর বছর ধরে পাথরঘাটা পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় বিশুদ্ধ পানির মারাত্মক সংকট বিরাজ করছে। অনেক জায়গায় টিউবওয়েল ও পৌরসভার সরবরাহকৃত পানির লাইন অচল হয়ে আছে। যে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে তা অনেক সময়ই দূষিত ও ব্যবহার অনুপযোগী। ফলে সাধারণ মানুষ পানীয় জলের জন্য হাহাকার করছে। এ অবস্থায় শহরের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা।

বক্তারা আরও বলেন, পানির সংকট শুধু গ্রীষ্মকালে নয়, সারা বছর ধরেই চলছে। এতে শিক্ষার্থী, নারী ও শিশুদের সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। অনেক পরিবারকে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে খরচ করে পানি কিনে আনতে হচ্ছে। তবুও পৌর কর্তৃপক্ষ কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে দাবি করেন তারা।

মানববন্ধনে বক্তারা দ্রুত সমস্যার সমাধানে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, অচিরেই কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে পৌরবাসীকে সঙ্গে নিয়ে আরও কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন।


রূপায়ণ সিটি উত্তরায় ৩ দিনব্যাপী স্কিন কেয়ার ও ওয়েলনেস প্রোগ্রাম

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের সবচেয়ে আকাক্ষিত মেগা গেইটেড কমিউনিটি রূপায়ণ সিটি উত্তরা দিনে দিনে হয়ে উঠছে এক লাইফস্টাইল হাব, তারই ধারাবাহিকতায় রূপায়ণ সিটি উত্তরা ও বায়োজিন কসমেসিউটিক্যালস্ এর যৌথ উদ্যোগে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী স্কিন কেয়ার ও ওয়েলনেস প্রোগ্রাম। প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে এ আয়োজন, যা শেষ হবে আগামী শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর)।

এতে রূপায়ণ সিটি উত্তরার বাসিন্দা ও ক্রেতারা বিনামূল্যে স্কিন টেস্ট, ডাক্তার কনসালটেশন, বডি কম্পোজিশন অ্যানালাইসিস টেস্ট ও নিউট্রিশনিস্ট কাউন্সেলিং সেবা পাচ্ছেন। পাশাপাশি থাকছে বিশেষ ডিসকাউন্ট অফার।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রূপায়ণ গ্রুপের ডিরেক্টর (মার্কেটিং অ্যান্ড মিডিয়া) অমিত চরবর্ত্তী বলেন, “বাংলাদেশের প্রথম প্রিমিয়াম মেগা গেইটেড কিমিউনিটি রূপায়ণ সিটি উত্তরা শুধু একটি আবাসন নয়, বরং আমাদের কমিউনিটির জন্য একটি পরিপূর্ণ জীবনধারা। বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা এ ধরনের আয়োজন করে থাকি। আশা করি, এই উদ্যোগ বাসিন্দা ও দর্শনার্থীদের জীবনধারায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।”


যে সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে তা তারেক রহমানের ৩১ দফার মধ্যেই রয়েছে: কনকচাঁপা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গোলাম মোস্তফা রুবেল, সিরাজগঞ্জ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফার লিফলেট বিতরণের মধ্য দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জে-১ (কাজিপুর ও সদর আংশিক) আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা।

বৃহস্পতিবার বিকেলে শত-শত দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সিরাজগঞ্জের পিপুল বাড়িয়া বাজার এলাকায় বিভিন্ন পেশার সাধারণ মানুষের মাঝে লিফলেট আকারে তারেক রহমানের এই ৩১ দফা বার্তা পৌঁছে দেন তিনি।

এসময় কনকচাঁপা বলেন, বর্তমানে যে সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে তা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তার ৩১দফায় আগেই বলেছেন। এই ৩১ দফা ভালো করে পড়লেই সেটা আপনারা বুঝতে পারবেন। এছাড়াও সামাজিক জায়গা থেকে সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করার জন্য একটা প্লাটফর্ম দরকার হয় জানিয়ে এ কারণেই এই আসন থেকে তিনি ফের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী বলে জানান।

এসময় কাজিপুর উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি সাজ্জাদুর রহমান বাবলু, উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল মালেক তরফদার স্বপন, উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ন সম্পাদক শেখ জাহিদসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


বোরকা পরে পালানোর চেষ্টা করেও ধরা পড়লেন ভুয়া চিকিৎসক

অপারেশন চলাকালে হাতেনাতে ধরা পড়েন অষ্টম শ্রেণি পাস করা ওই যুবক (সর্ব বাঁয়ে)
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রংপুরে দিন দিন ভুয়া চিকিৎসকের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। সিভিল সার্জনের অভিযানে বেরিয়ে আসছে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে রংপুর মহানগরীর ধাপ এলাকায় ইউনাইটেড নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ঘটেছে এমনই এক চ্যাঞ্চল্যকর ঘটনা।

সরেজমিনে ওই হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, অপারেশন থিয়েটারে এক প্রসূতির সিজারিয়ান অপারেশন চলছে। ঠিক সেই সময়ে হাসপাতালে হাজির হয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।

অপারেশন থিয়েটারে গিয়ে দেখা মিলল এক যুবকের। রোগীকে সেলাই দিতে ব্যস্ত ওই যুবক প্রথমে নিজেকে চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দেন। পরে জানা গেল, তিনি ডাক্তার তো দূরে থাক, অষ্টম শ্রেণির গণ্ডি পেরিয়েছেন মাত্র।

অভিযানে যাওয়া সিভিল সার্জনের উপস্থিতি টের পেয়ে বোরকা পরে হাসপাতাল থেকে পালানোর চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা পাননি প্রশান্ত নামের ওই ভুয়া চিকিৎসক।

অভিযোগ রয়েছে, হাসপাতালটির পাঁচ বছর ধরে লাইসেন্স নবায়ন নেই। পরিবেশ ছাড়পত্রসহ নেই বৈধ কোনো কাগজপত্র। তবুও ওই হাসপাতালে জটিল ও কঠিন রোগের চিকিৎসা চলছে সমান তালে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল (বুধবার) রাতে সেখানে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত।

অভিযানের সময় অপারেশন থিয়েটারে ঢুকে অষ্টম শ্রেণি পাস প্রশান্তকে হাতেনাতে ধরেন রংপুর সিভিল সার্জন শাহীন সুলতানা। এ সময় নানা অজুহাত দেখিয়ে বাইরে বেরিয়ে সটকে পড়ার চেষ্টা করেন ওই যুবক। পরে দুই ঘণ্টা টয়লেটে বোরকা পরে লুকিয়ে থাকার পর পালানোর চেষ্টা করেন তিনি। তারপরও শেষ রক্ষা পাননি। ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে আটক করে তিন মাসের কারাদণ্ড দেন।

এ ঘটনায় হাসপাতালের মালিক সামসুদ তিবরীজকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও তিন দিনের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত জাহান মিশু। তাৎক্ষণিক হাসপাতাল মালিক জরিমানার টাকা পরিশোধ করে জেল খাটার হাত থেকে রক্ষা পান।

জানা গেছে, গাইবান্ধা পলাশবাড়ী উপজেলার পশ্চিম গোপীনাথপুর গ্রামের ময়না বেগমের (২৬) সন্তান প্রসব বেদনা উঠলে বুধবার বিকেলে ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর রাতে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে তার সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়।

এদিকে, অভিযান প্রসঙ্গে সিভিল সার্জন শাহীন সুলতানা বলেন, ‘অভিযানে ওই বেসরকারি হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে গিয়ে এক প্রসূতি নারীকে পাওয়া যায়। তখন সিজার করে তার সন্তান বের করা হয়েছিল; সেলাই দিচ্ছিলেন এক যুবক।’

‘তিনি প্রথমে নিজেকে ডাক্তার দাবি করেন। পরে বলেন, আমি ডাক্তার নই, এইট পাস করেছি মাত্র। এরপর তিনি বোরকা পরে হাসপাতাল থেকে পালানোর চেষ্টা করেন।’

তিনি বলেন, ‘হাসপাতালটির মালিক দাবি করছিলেন, ওই নারীর সিজার করিয়েছেন রংপুর ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির চিকিৎসক রিফাত আরা। তবে রিফাতকে ওই সময়ে পাওয়া যায়নি।’

এক প্রশ্নের জবাবে সিভিল সার্জন বলেন, ‘ওই বেসরকারি হাসপাতালের বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। লাইসেন্সের মেয়াদও পাঁচ বছর আগে শেষ হয়েছে। নবায়নের জন্য আর আবেদনও করেনি। এ ধরনের হাসপাতাল ও ক্লিনিকের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে কাজ করা হচ্ছে।’

সিভিল সার্জনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রংপুরে প্রায় ৫০টিরও বেশি ক্লিনিকের লাইসেন্স নেই। থাকলেও তা নবায়ন করা হয়নি। কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই এসব ক্লিনিকে চালানো হচ্ছে অপারেশন। আর এজন্যই সিভিল সার্জনের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে , যা অব্যাহত থাকবে।


 নারায়ণগঞ্জে গ্যাস বিস্ফোরণে শিশুসহ ৫ জন দগ্ধ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

জেলার সোনারগাঁ উপজেলায় একটি বসতবাড়িতে গ্যাসের বিস্ফোরণে একই পরিবারের শিশুসহ ৫ জন দগ্ধ হয়েছেন।

তারা রাজধানীর জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আছেন।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার কাঁচপুর বিসিক শিল্পাঞ্চলের একটি তিনতলা ভবনের নিচতলার একটি কক্ষে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

দগ্ধরা হলেন, গৃহকর্তা মানব চৌধুরী (৪০), তার স্ত্রী বাচা চৌধুরী (৩৮), তাদের তিন কন্যা তিন্নি (১২), মুন্নি (১৪) ও মৌরি (৬)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সার্জারি চিকিৎসক শাওন বিন রহমান।

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের কাঁচপুর স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার জাহাঙ্গীর আলম বিস্ফোরণের কারণ হিসেবে বলেন, ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ ছিল এবং রান্নাঘরের সিলিন্ডারের লাইনের লিকেজ থেকে ঘরে গ্যাস জমে চেম্বারের সৃষ্টি হয়। সকালে আগুনের কোনো উৎস পেয়ে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।


বাগেরহাটে ভেজাল প্রসাধনী তৈরির কারখানা সিলগালা 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাগেরহাট প্রতিনিধ

বাগেরহাটে জেলার বিসিক শিল্প এলাকায় ভেজাল প্রসাধনী তৈরির একটি কারখানা সিলগালা ও ব্যবসায়ীকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। গতকাল বুধবার বিকেলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বাগেরহাটের সহকারী পরিচালক শরিফা সুলতানা এই আদেশ দেন।

শরিফা সুলতানা বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর একটি দলকে সাথে নিয়ে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ভেজাল ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী, অর্গানিক হেয়ার রিমুভাল ক্রিম, ফ্লোরিয়াস লিহান রং ফর্সাকারী ক্রিম, অর্গানিক হারবাল হেয়ার টনিক, গুলাবাড়ি, মিস অ্যান্ড মিসেস বুস্টার, লাভ ইন বিউটি ক্রিম, স্পট আউট স্কিন ক্রিম, হিড কুল অয়েল, হানি অ্যান্ড আমন্ড স্ক্রিন ময়েশ্চারাইজিং, গ্লিসারিন, রোজ ওয়াটার এবং মোড়ক ছাড়া সাবান তৈরির প্রমাণ পাওয়া যায়। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের পণ্যের মোড়ক পাওয়া যায়।

তিনি জানান, মাত্র তিনটি পণ্যের অনুমতি নিয়ে মিজানুর রহমান নামের ওই ব্যবসায়ী এসব ভেজাল পণ্য তৈরি করছিলেন। বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়া পণ্য মোড়কজাতকরণ ও ভেজাল পণ্য তৈরির অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে আইন অনুযায়ী শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। ভেজাল পণ্যগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত ও ভেজাল রোধে ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

বিসিক সূত্রে জানা যায়, অলিফ কুমার নামের এক ব্যবসায়ী টিনের ফ্যাক্টরি হিসেবে বিসিকের ওই প্লটটি ইজারা নিয়েছিলেন। পরে তিনি প্রসাধনী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানকে ভাড়া দেন। তবে অভিযানের সময় ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানকে পায়নি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সেখানে দুইজন মাত্র কর্মচারী ছিল। অন্য শ্রমিক এবং কর্মচারীরা অভিযানের খবর পেয়ে পালিয়ে যায়।
‎বিসিকের প্রমোশন কর্মকর্তা মো. শরীফ সরদার বলেন, বিএসটিআই এর অনুমোদিত পণ্য ছাড়াও বেশ কিছু অননুমোদিত পণ্য তৈরি করছিল প্রতিষ্ঠানটি। প্রশাসন ও আমাদের কাছে তথ্য ছিল। তারই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে কারখানাটির সন্ধান পাওয়া যায়। আমি আশা করছি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের এমন অভিযান চলমান থাকবে এবং দেশের মানুষকে তারা সুস্থ থাকার নিশ্চয়তা প্রদান করবে।

তিনি বলেন, এ ধরনের অভিযান থেকে আশেপাশের অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোও শিক্ষা গ্রহণ করবে। ভবিষ্যতে বিসিকে কেউ যাতে ভেজাল ও মানহীন পণ্য উৎপাদন না করতে পারে সেজন্য নজরদারি জোরদার করা করা হবে বলেও জানান তিনি।


banner close