বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
১১ আষাঢ় ১৪৩২

ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত ট্রেন চলাচলসূচি 

বাংলাদেশ রেলওয়ে।
আপডেটেড
৯ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০১
তৌফিকুল ইসলাম
প্রকাশিত
তৌফিকুল ইসলাম
প্রকাশিত : ৯ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০

গত কয়েক দিন ধরে কুয়াশার চাদরে ঢাকা অবস্থার প্রভাব পড়েছে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার মধ্যে গতি কমিয়ে দিনের বেলায়ও বেশির ভাগ সময় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে ট্রেন। ঘন কুয়াশার কারণে পশ্চিমাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলের ট্রেনগুলো সময়মতো ঢাকায় আসতে পারছে না। এই অঞ্চলের বেশির ভাগ ট্রেন চলাচলসূচিতে চরম বিপর্যয় ঘটেছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। আর রেল মন্ত্রণালয় থেকে ট্রেন চালাতে দেয়া হয়েছে নির্দেশনা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রোববার ঢাকা থেকে বেশ কয়েকটি ট্রেন দেরিতে ছেড়েছে। রাজশাহী থেকে ধূমকেতু এক্সপ্রেস, নীলফামারীর চিলাহাটি ছেড়ে আসা নীলসাগর এক্সপ্রেস, পঞ্চগড় ছেড়ে আসা একতা এক্সপ্রেস, রংপুর থেকে রংপুর এক্সপ্রেস ঘন কুয়াশার কারণে দেরি করে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছায়। এতে ফি ফিরতিযাত্রায় এই ট্রেনগুলো প্রায় তিন থেকে চার ঘণ্টা করে দেরিতে ঢাকা ছেড়েছে।

এ ছাড়া কুড়িগ্রামগামী কুড়িগ্রাম এক্সেপ্রেস, লালমনিরহাটগামী লালমনি এক্সপ্রেস, খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস, পঞ্চগড়গামী পঞ্চগড় এক্সপ্রেস যথাসময় ছেড়ে যেতে পারেনি। তবে কুয়াশার কারণে সব ট্রেনই কিছুটা দেরিতে ছেড়েছে।

কমলাপুর রেলস্টেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘কুয়াশার কারণে উত্তর এবং পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনগুলো দেরিতে ঢাকায় এসেছে, তাই ছাড়তেও দেরি হচ্ছে। আগামী কয়েক দিন এমনটি চলমান থাকতে পারে। শিডিউল ঠিক হতে কয়েক দিন সময় লাগবে। তবে যেহেতু কুয়াশা পড়ছে এটা স্বাভাবিক হিসেবে ধরে নিতে যাত্রীদের।’

বর্তমানে ঢাকা থেকে সারা দেশে ৩৬ জোড়া আন্তনগর ও ১৭ জোড়া লোকাল, কমিউটার ও এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল করে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে এসব ট্রেন চলাচলে বেশ সমস্যা হচ্ছে। বিশেষ করে রাতের ট্রেনগুলো এই সমস্যায় বেশি পড়ছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের মেকানিকাল বিভাগের এক কর্মকর্তা দৈনিক বাংলাকে বলেন, আগে যেখানে ট্রেনের গতি ৭৫ থেকে ৮৫ কিলোমিটারে রাখা যেতে এখন তা কমিয়ে চালানো হচ্ছে। কুয়াশার কারণে মাঝেমধ্যে ট্রেনের গতি ৫০ থেকে ৬০-এ নামিয়ে চালানো হচ্ছে। যেখানে বেশি কুয়াশা থাকছে , সেখানে গতি আরও কমিয়ে দেয়া হচ্ছে।

ট্রেন দেরি করা ছাড়াতে স্টেশনে অপেক্ষা করা যাত্রীরা পড়ছেন বিপাকে। কনকনে এই শীতের মধ্যে স্টেশনে অপেক্ষা করা যাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সিরাজুল ইসলাম নামের এক যাত্রী তার পরিবার নিয়ে যাচ্ছিলেন উত্তরবঙ্গের নীলফামারী। কয়েক দিন আগে নীলসাগর ট্রেনের টিকিট কেটেছিলেন। তিনি বলেন, ‘নীলসাগর ট্রেনটি ঢাকা থেকে সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে ছাড়ে। সেই হিসাবে ছোট বাচ্চা নিয়ে বেশ ভোরেই শীতের মধ্যে কমলাপুর স্টেশনে এসেছিলাম। কিন্তু এসে শুনলাম ট্রেন দেরি হবে। শীতের মধ্যে স্টেশনে বসে থাকা খুবই কঠিন। ট্রেনটি দেরি হবে আমাদের আগে জানালে এত আগে আসতাম না, ভোগান্তিতেও পড়তাম না। প্রায় চার ঘণ্টা পর সকাল ১০টার অনেক পরে ট্রেন ছাড়বে বলে জানানো হয়েছে।’

ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ধুমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী অভিযাত্রিক ঘোষ বলেন, ‘স্টেশনের মনিটরে বলা হচ্ছে, সকাল ৬টার ট্রেন ছেড়ে যাবে ১০টায়। জরুরি কাজে যাচ্ছি রাজশাহী, কিন্তু ট্রেন সঠিক সময়ে ছাড়ছে না। শীতের মধ্যে চরম ভোগান্তিতে পড়েছি ট্রেন দেরি করে ছাড়ায়।’

ঘন কুয়াশায় ট্রেন চালানোর আধুনিক কোনো প্রযুক্তি নেই বাংলাদেশ রেলওয়েতে। ফলে ঝুঁকি নিয়ে চলছে ট্রেন। সংশ্লিষ্ট ট্রেনের একাধিক লোকোমাস্টাররা বা চালক দৈনিক বাংলাকে জানিয়েছেন, ‘ঘন কুয়াশায় ট্রেনের আলো বেশি দূরে যেতে পারে না। কুয়াশায় কখনো দৃশ্যমানতা ১০-১৫ ফুটে নেমে আসে। এ কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে। ক্রসিংয়ে অনেক সমস্যা হয়।’

বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘রেলওয়ের তরফ থেকে ট্রেন চালাতে বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আগে মানুষের জীবন, তারপর যাত্রা। সেই নির্দেশনা সবাইকে জানিয়ে দিয়েছি। যেখানে বেশি কুয়াশা থাকবে সেখানে ট্রেনের গতি কমিয়ে চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে। তবে কত গতিতে চলবে সেটা ট্রেন চালকের দেখার ওপর নির্ভর করবে। সেই সিদ্ধান্ত ট্রেন চালক নিজেই নেবেন। আমাদের কোনো প্রযুক্তি নেই কুয়াশার মধ্যে ট্রেন চালানোর জন্য। তবে গেটম্যানদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। যখন দুটি ট্রেনের ক্রসিং হচ্ছে তখন কন্ট্রোলে লোক থাকে। তারা ট্রেনের চালকদের সতর্ক করে দেন সামনে ক্রসিং আছে বলে। কুয়াশায় সব ট্রেন নিরাপদে চালানো হচ্ছে।’

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঘন কুয়াশা রোধে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহৃত হলেও বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে। ‘ফগ পাস সিস্টেম’, ‘ট্র্যাক ডিটোনেটর’, ‘লাইন মার্কিং’ ইত্যাদি আধুনিক প্রযুক্তির বদলে রেলে মান্ধাতার আমলের ‘পটকা’ পদ্ধতি চালু আছে। গত এক যুগে রেলে হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প নেয়া হলেও কুয়াশায় নিরাপদে ট্রেন চালানোর কোনো প্রযুক্তি নেয়া হয়নি।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক শামসুল হক দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘যাত্রীসেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কখনোই মনোযোগ ছিল না রেলের। বিশ্বে অনেক প্রযুক্তি আছে, যা রেলে যুক্ত করা যেতে পারে নিরাপদে ট্রেন চালাতে। কিন্তু রেল কর্তৃপক্ষের নজর বড় বড় অবকাঠামোনির্ভর প্রকল্পের দিকে। সময় এসেছে রেলে আধুনিক প্রযুক্তি যুক্ত করার।’


গ্রাম বাংলায় হারিয়ে যাচ্ছে মাটির ঘর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

শ্যামনগরসহ আশপাশের এলাকায় কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে প্রকৃতির এসি খ্যাত ঐতিহ্যবাহী মাটির তৈরি দেয়াল ঘর। উপজেলা সবত্র গ্রামগুলোতে গত কয়েক বছর পুর্বেও মাটির ঘর বা দেয়াল ঘরের বাড়ি ছিল। এসব দেয়াল ঘর বা মাটির ঘরে প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও ঘরের ভেতরে বেশ আরামদায়ক ও শীতল আবেশ ছিল। এর বিপরিতে শীতের দিনে ঘরে গরমের পরিবেশ ছিল। কারণ হিসেবে দেখা গেছে, মাটির দেয়াল ঘর এর চতুরপাশ্বের ওয়াল প্রায় দুই থেকে তিন ফুট পুরো ও বিশেষ পক্রিয়ায় মাটির দিয়ে প্রলেপ দেয়ার কারনে এসব ঘরে শীতের বাতাশ বা রুদ্রের তাপ সহজে প্রবেশ করতে না পারায় গরমে শীতল ও শীতে গরম অনুভত হওয়ায় লোকজন বেশ আরামে বসবাস করেছেন। যদিও এটি মাটি দিয়ে তৈরি তারপরও এর নির্মানশৈলী কিন্তু মোটেই সহজ নয়। প্রথমে মাটি কেটে বড় গর্তে ফেলে এটিকে দলাই-মলাইয়ের পর বিশেষ প্রক্রিয়ায় পর্যায়ক্রমে পানি দিয়ে বেশ অনেকদিন কুপিয়ে কুপিয়ে মাটিকে একবারে আঠালো করে পচন পক্রিয়ায় কাচাকাছি নিয়ে অনেকটা তুলতুলে মন্ডার মত করে ঘরের নিদিষ্ট মাপের মধ্যে মাটির কয়েকফুট নিচ থেকে বসিয়ে বিরতি দিয়ে ঘর বানাতেন কারিগড়রা। পরে দেয়াল সাইজ মত কেটে প্রলেপ দিয়ে এটিকে সাজিয়ে তুলতেন। বিত্তবানরা এতে বিভিন্ন নকশা করাতেন। অনেকে মাটির দু-তলাও বানাতেন। এটি অনেক কষ্টকর কাজ ছিল, তবে ঘর বানানোর মেস্তরীর চাহিদাও ছিল ব্যাপক। এক সময় প্রায় সব শ্রেণীর লোকেরাই মাটির ঘরে বসবাস করতেন। অতি ধনাঢ্য লোকেরা টিনের ঘরে বসবাস করতেন। বর্তমানে কালের বিবর্তনে আধুনিকতার ছোঁয়ায় বিলুপ্তি পথে মাটির তৈরি ঘর। এর স্থানে উঠছে রড় রড় দালান বাড়ি। তবে গফরগাঁও উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে এখনো অনেক মাটির ঘর রয়েছে। এমনি ঘরে বাস করা ইমদাদুল হক টুটুল ও মর্জিনা দম্পত্তি সহ অনেকে জানান, এ ঘর অনেকটা এয়ারকন্ডিশনের মতো শীতে গরম থাকে ও গরমে ঠাণ্ডার আবেশে তারা বেশ আরামেই আছেন। প্রতি বছর মাটির সঙ্গে ধানের তুষ দিয়ে প্রলেপ দিলে এসব ঘর অনেক বছর (৪০-৫০)পর্যন্ত টিকে থাকে বলেও জানিয়েছেন। মাটির ঘর নির্মানেও বেশ খরচ হয়। বর্তমানে হোসেনপুর-গফরগাঁওসহ আশপাশের উপজেলার গ্রাম এলাকায় মাটির ঘর খুব কম দেখা যায়। এক সময় এ পেশায় অনেকেই জীবিকা নির্বাহ করতেন। বর্তমানে মানুষের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে জীবন মানের ও উন্নয়ন সাধিত হয়েছে, ফলে মাটির ঘরের স্থানে উঠেছে বড়-বড় ইমারত। এতে হারিয়ে যেতে বসেছে বাঙালিদের চিরচেনা ঐতিহ্যবাহী প্রকৃতির এয়ারকন্ডিশনখ্যাত মাটির ঘর।


বাংলাদেশের মুদ্রার মান এ দেশ থেকেই নির্ধারিত হবে, গুগল পে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গভর্নর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের মুদ্রার মান দেশীয়ভাবে নির্ধারিত হবে এবং কোনো অযৌক্তিক কারণে এক পয়সাও অবমূল্যায়নের সুযোগ নেই। দুবাই থেকে আমাদের টাকার মান নির্ণয় হবে না বলে মন্তব্য করেছেন গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

তিনি বলেন, আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে, নইলে মধ্যস্বত্বভোগীরা সুযোগ নিতে পারে। বাংলাদেশের সম্ভাবনা সীমাহীন, তবে তা নষ্ট করার সুযোগও সীমাহীন।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে আয়োজিত গুগল পে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন গভর্নর।

অনুষ্ঠানে বক্তব্যে গভর্নর জানান, ব্যাংক খাতকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে আগামী জানুয়ারি থেকে ‘রিস্ক বেজ সুপারভিশন’ চালু করা হবে। ইতোমধ্যে ২০টি ব্যাংকে সুপারভিশন পরিচালনা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এখানে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছাড়া কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন সম্ভব নয়। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করাকে তিনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান দায়িত্ব হিসেবে উল্লেখ করেন।

তার মতে, মূল্যস্ফীতি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আসছে, তবে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক অবস্থায় যেতে আরো সময় লাগবে।

আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা রক্ষার অংশ হিসেবে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে কয়েকটি ব্যাংককে একীভূত করার পরিকল্পনার কথাও জানান গভর্নর। তিনি আশ্বস্ত করেন, আমানতকারীদের কোনো ধরনের ক্ষতি হবে না। সবাই তাদের বর্তমান ব্যাংকে থেকেই সেবা নিতে পারবেন।

বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করল ‘গুগল পে’

অনুষ্ঠানে গুগলের ডিজিটাল পেমেন্ট সেবা ‘গুগল পে’র আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে। গুগল, মাস্টারকার্ড এবং ভিসার সহায়তায় সেবা চালু করছে ‘সিটি ব্যাংক পিএলসি’, যা দেশের প্রথম কোনো ব্যাংক হিসেবে গুগল পে-র সঙ্গে যুক্ত হলো।

প্রথম পর্যায়ে কেবল সিটি ব্যাংকের ভিসা ও মাস্টারকার্ড গ্রাহকরাই গুগল ওয়ালেটে কার্ড সংযুক্ত করে গুগল পে ব্যবহার করতে পারবেন। পরবর্তী পর্যায়ে অন্যান্য ব্যাংক যুক্ত হলে সেবাটি আরো বিস্তৃত হবে।

গ্রাহকের হাতে আধুনিক ও নিরাপদ পেমেন্ট প্রযুক্তি

গুগল পে ব্যবহারে গ্রাহকেরা দেশে ও বিদেশে যেকোনো POS টার্মিনালে স্মার্টফোন ট্যাপ করেই লেনদেন সম্পন্ন করতে পারবেন, ফলে কার্ড বহনের প্রয়োজন হবে না।

গুগল পে কোনো ট্রানজেকশন ফি নেয় না। নিরাপত্তার জন্য কার্ডের পরিবর্তে ‘টোকেন’ ব্যবহার করে।

গুগল পেমেন্টসের গ্রুপ প্রোডাক্ট ম্যানেজার শাম্মী কুদ্দুস, সিটি ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান হোসেন খালেদ, সিইও মাসরুর আরেফিন, মার্কিন দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্র্যাসি জ্যাকবসন, মাস্টারকার্ড ও ভিসার দেশের শীর্ষ কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

সিটি ব্যাংকের সিইও মাসরুর আরেফিন বলেন, এই অংশীদারিত্ব বাংলাদেশের ভবিষ্যতমুখী ডিজিটাল পেমেন্ট ইকোসিস্টেম গঠনের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। গুগল পে চালুর মাধ্যমে সিটি ব্যাংক আবারও প্রমাণ করল যে, আমরা ডিজিটাল উদ্ভাবনের অগ্রদূত।


জয়পুরহাটে হিমাগার সিন্ডিকেটে জিম্মি কৃষকরা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাব্বিউল হাসান, জয়পুরহাট 

আলু উৎপাদনে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলা জয়পুরহাট। এ জেলার আলুর গুণগত মান ভালো হওয়ায় দেশ পেরিয়ে বিদেশেও রপ্তানি হয়। আর এ আলু চাষ করে কৃষকরা ও আলু ব্যবসায়ীরা বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। আবার জেলার ২১টি হিমাগারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৩টি হিমাগার অবস্থিত কালাই উপজেলায়।

একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন তারা। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহাতে প্রতি বস্তায় ৫০ থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

কৃষক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হিমাগারগুলোতে আলু বিক্রির মৌসুম পুরোদমে শুরু না হতেই ভাড়া বাড়ানো এবং বাজার অস্থিরতায় জেলার অনেক কৃষক ও ব্যবসায়ী দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। দ্রুত নীতিসহায়তা ও প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ না হলে সংকট আরও বেশি হবে বলে আশঙ্কা তাদের।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শ্রমিক বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার প্রতি বস্তায় ৫০ পয়সা বেশি মজুরি দেওয়া হচ্ছে। যা তাদের চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। অথচ বিদ্যুৎ-সংকট নেই, বিদ্যুতের ভাড়াও বাড়েনি, তা সত্ত্বেও প্রতি বস্তায় ৫০-৭০ টাকা বাড়িয়ে দেওয়া অযৌক্তিক

আলু ব্যবসায়ী মইনুল ইসলাম বলেন, এম ইসরাত হিমাগার, সালামিন ফুডস, আরবি স্পেশালাইজড কোল্ড স্টোরেজ ও পুনট হিমাগার থেকে প্রতিদিন তিনি ৫০০-১০০০ বস্তা আলু কেনাবেচা করেন। এসব আলু তিনি পাঠান কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন মোকামে। গত দুই-তিন বছর ভালো লাভ হয়েছে। কিন্তু এবার প্রতিদিন বস্তা প্রতি গড়ে এক থেকে দেড় টাকা লোকসান গুনছি। বাজার ওঠানামা করছে। একদিন ৫০ পয়সা লাভ হলেও পরদিন ১ টাকা লোকসান হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ৬০ কেজি ওজনের প্রতি বস্তা আলু বিক্রি হচ্ছে ৮৮০-৯০০ টাকায়। অথচ সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩০ টাকা। গত বছর একই ওজনের বস্তার ভাড়া ছিল ৩৫০-৩৬০ টাকা।

জেলার সদর উপজেলার সোটাহার ধারকী গ্রামের কৃষক তোতা মিয়া বলেন, খুব কষ্টে ৬০ বস্তা আলু সংরক্ষণ করেছি আরবি কোল্ড স্টোরে। ভাড়া নেওয়া হচ্ছে প্রতি বস্তা ৪৩০ টাকা। অথচ মৌসুমের শুরুতে প্রশাসনের চাপে ৩৫০ টাকা নির্ধারিত হয়েছিল। একদিকে বাজার দর নেই, অন্যদিকে অতিরিক্ত ভাড়া এই সংকটে কৃষক দিশেহারা হয়ে পড়েছে। প্রশাসনের কাছে আবেদন আমাদের হিমাগার ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট থেকে মুক্ত করুন।

কালাই পৌরসভার সড়াইল এলাকার আলু ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান বলেন, জয়পুরহাটের পার্শ্ববর্তী বগুড়ার হিমাগারগুলোতে এখনো প্রতি বস্তা আলুর ভাড়া ৩৫০-৩৬০ টাকা। অথচ জয়পুরহাটে তা ৪২০-৪৩০ টাকা।

কালাই উপজেলায় অবস্থিত পুনট হিমাগারের ব্যবস্থাপক বিপ্লব ঘোষ বলেন, কিছু কৃষক ঝুঁকি নিয়ে এবার বাড়িতেই আলু রেখেছেন। সেসব আলুই এখনো বিক্রি শেষ হয়নি। তাই হিমাগার থেকে আলু কম আনলোড হচ্ছে।

এম ইশরাত হিমাগার লিমিটেডের ব্যবস্থাপক রায়হান আলম বলেন, এবার হিমাগারে ২ লাখ ৩০ হাজার বস্তা আলু রাখা হয়েছে। অথচ এখন পর্যন্ত মাত্র ২১০০ বস্তা আনলোড হয়েছে, যেখানে গত বছর এ সময় পর্যন্ত হয়েছিল ২০ হাজার ৯৯০ বস্তা।

কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামিমা আক্তার জাহান বলেন, উপজেলার ১৩টি হিমাগার মালিকদের নির্দেশনা দিয়েছি তারা যেন কৃষকের স্বার্থে কেজি নয়, বস্তা অনুযায়ী ভাড়া নেয়।

জয়পুরহাট জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান বলেন, এবার জেলায় ২১টি হিমাগারে আলু সংরক্ষণ করা হয়েছে। গত বছর হিমাগারের সংখ্যা ছিল ১৯টি।

উল্লেখ্য, এর আগে ৬ ফেব্রুয়ারি ভাড়া বাড়ানোর প্রতিবাদে জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে স্থানীয় কৃষক ও ছাত্র-জনতা কালাইয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে। আলুর ন্যায্যমূল্য ও হিমাগারের অতিরিক্ত ভাড়া প্রত্যাহারের দাবিতে তারা স্মারকলিপিও দেয় উপজেলা প্রশাসনকে। ফলে, গত বছরের দরেই আলু সংরক্ষণের ভাড়া নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন হিমাগার কর্তৃপক্ষ।


‘জুলাই যোদ্ধারা’ আগামী মাস থেকে ভাতা পাবেন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে আহত ‘জুলাই যোদ্ধারা’ আগামী মাস থেকে মাসিক ভাতা পাবেন বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।

তিনি বলেছেন, মাসিক ভাতার পাশাপাশি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ‘আহত যোদ্ধারা’ আজীবন সরকারি মেডিকেল হাসপাতালগুলোতে বিনা খরচে চিকিৎসা পাবেন। গতকাল সোমবার বাসসকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান।

উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেন, মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করতে ৫৪ বছর লেগেছে। কিন্তু আমরা (বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) মাত্র সাত-আট মাসের মধ্যে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শহীদ যোদ্ধা ও আহতদের চূড়ান্ত তালিকা প্রণয়ন করে ফেলেছি। এটাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আন্তরিকতা ও দায়িত্ববোধের বহিঃপ্রকাশ। আগামীতেও আহত যোদ্ধারা যাতে নিজ নিজ যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি বা ব্যবসা বাণিজ্য করতে পারেন, সেভাবে তাদেরকে পুনর্বাসনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কর্মসূচি নেয়া হচ্ছে।

উপদেষ্টা জানান, জুলাই যোদ্ধাদের পুনর্বাসনের জন্য ইতোমধ্যে আলাদা অধিদপ্তর স্থাপন করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ১০ম তলায় এ অধিদপ্তরের জন্য বিশ জন অফিসার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে অধিদপ্তর থেকে জুলাই যোদ্ধাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সার্বক্ষণিক কাজ করা হচ্ছে।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, জুলাই যোদ্ধারা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের ইতিহাসের অংশ। বাংলাদেশ আজীবন তাদেরকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। এ দেশের সরকার ও জনগণ তাদের ত্যাগের মর্যাদাকে সমুন্নত রেখে সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করবে বলে আমার বিশ্বাস।

ফারুক-ই-আজম আরো বলেন, শহীদদের অনেকেরই হয়তোবা খোঁজ আমরা রাখি নাই বা রাখতে পারিনি। তবে গণঅভ্যুত্থানের এতদিন পরেও যদি কেউ অধিদপ্তরে এসে অভিযোগ করে যে, তার কোন স্বজন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গিয়ে নিখোঁজ রয়েছেন। তার সন্ধান তিনি চান। সেক্ষেত্রে যাদের গণকবর দেওয়া হয়েছে, সেখান থেকে ডিএনএ সংগ্রহ করে হলেও তাদের আবেদনের বিষয়ে সরকার আন্তরিকতার সঙ্গে বিবেচনা করবে। তাদের জন্য সরকারের আন্তরিকতার কমতি থাকবে না।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ‘জুলাই যোদ্ধারা’ ক্যাটাগরি অনুযায়ী এককালীন ও মাসিক ভাতা পাবেন। জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের ‘জুলাই শহীদ’ এবং আহতদের ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে নাম ঘোষণা করা হয়েছে। আহত জুলাই যোদ্ধারা ‘এ’ ‘বি’ এবং ‘সি’ এই তিন ক্যাটাগরিতে মাসিক ভাতা পাবেন। ক্যাটাগরি ‘এ’ মাসে ২০ হাজার টাকা, ‘বি’ ক্যাটাগরি মাসে ১৫ হাজার এবং ‘ক্যাটাগরি’ ক্যাটাগরি মাসে ১০ হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন। সে অনুযায়ী সনদ ও পরিচয়পত্র দেয়া হচ্ছে।

তিনি জানান, গেজেট আকারে ৮৩৪ জন ‘জুলাই শহীদের’ তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। সে অনুযায়ী প্রত্যেক জুলাই শহীদ পরিবার এককালীন ৩০ লাখ টাকা পাবেন। এর মধ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রত্যেক পরিবারকে ১০ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে জাতীয় সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে। আর বাকি ২০ লাখ টাকা দেয়া হবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে অর্থাৎ আগামী জুলাই মাসে জাতীয় সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে। তাছাড়া শহীদ পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে প্রতি মাসে ভাতা দেয়া হবে। শহীদ পরিবারের সক্ষম সদস্যরা অগ্রাধিকার পাবেন সরকারি ও আধা-সরকারি চাকরিতে।

তিনি বলেন, আহত জুলাই যোদ্ধাদের মধ্যে যারা চিকিৎসা নেয়ার পরও অন্যের সহায়তা ছাড়া জীবন যাপন করতে পারছেন না, যেমন যার দুটি চোখই অন্ধ হয়ে গেছে। অথবা এমন অঙ্গহানি হয়েছে যার কারণে তার পক্ষে একা একা চলাফেরা করা অসম্ভব, তারা ‘এ’ ক্যাটাগরির জুলাই যোদ্ধা হিসাবে বিবেচিত হবেন। এই ক্যাটাগরিতে রয়েছেন ৪৯৩ জন। তারা এককালীন ৫ লাখ টাকাসহ মাসিক ২০ হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন। যার মধ্যে ২ লাখ টাকা তারা ইতোমধ্যে পেয়েছেন। বাকী ৩ লাখ টাকা আগামী জুলাই মাসে পাচ্ছেন। তারা বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে আজীবন চিকিৎসা সুবিধা ও উপযুক্ত মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশে দেশি-বিদেশি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা, কর্মসহায়ক প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন সুবিধা, পরিচয়পত্র পাবেন। গুরুতর আহত ৭ জনকে ইতোমধ্যে তুরস্কে পাঠানো হয়েছে। অনেককে থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

‘ক্যাটাগরি- বি’ তে রয়েছেন ৯০৮ জন। যারা গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন, কিন্তু অন্যের সহায়তা ছাড়া মোটামুটি চলাফেরা করতে পারেন, যেমন যাদের এক চোখ বা এক পা নষ্ট হয়ে গেছে বা এমন অঙ্গহানি হয়েছে যে, তারা একা মোটামুটি চলতে ফিরতে পারেন। অর্থাৎ চিকিৎসার পর অন্যের আংশিক সহায়তায় জীবনযাপনে সক্ষম যোদ্ধারা আছেন ‘বি’ ক্যাটাগরিতে। তারা এককালীন ৩ লাখ টাকা পাবেন। এর মধ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে নগদ (ব্যাংক চেকের মাধ্যমে) ১ লাখ টাকা পেয়েছেন। আর আগামী মাসে বাকি ২ লাখ টাকা পাবেন। তাছাড়া এই ‘বি’ ক্যাটাগরির যোদ্ধারা ১৫ হাজার টাকা করে মাসিক ভাতা পাবেন। সাথে প্রশিক্ষণ ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সরকারি ও আধা-সরকারি কর্মসংস্থানে চাকরি ও পরিচয়পত্র পাবেন।

চিকিৎসার পর বর্তমানে যারা সুস্থ তাদের ‘সি’ ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা। তিনি বাসসকে বলেন, ১০ হাজার ৬৪২ জন ‘জুলাই যোদ্ধাকে’ এই ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তারা এককালীন ১ লাখ টাকা পেয়েছেন। এছাড়া আগামী মাস থেকে ১০ হাজার টাকা করে মাসিক ভাতা পাবেন। সাথে পাচ্ছেন পুনর্বাসন সুবিধা এবং পরিচয়পত্র।

উপদেষ্টা বলেন, এছাড়া জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রতি বছর ৫ আগস্টকে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস হিসাবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। জাতীয় দিবস হিসাবে আগামীতে এই দিবসকে যথাযথ গুরুত্ব সহকারে পালন করা হবে।

তিনি বলেন, ৮৩৪ শহীদ পরিবারের মধ্যে ১৩৪ জনের পরিবারকে ওয়ারিশ জটিলতার কারণে পাওনা পরিশোধে বিলম্ব হচ্ছে। তাও অতি দ্রুত সমাধান করা সম্ভব হবে বলে তিনি মনে করেন। আহত যোদ্ধাদের তালিকায় যে সব ভুল পরিলক্ষিত হয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে সেটারও সমাধান করা হচ্ছে।


আজ ও কাল এনবিআরে কলমবিরতি, আগামী ২৮ জুন থেকে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের অপসারণসহ ‘নিপীড়নমূলক বদলি আদেশ’ বাতিলের দাবিতে আজ বুধবার ও আগামীকাল বৃহস্পতিবার সারাদেশে অবস্থান কর্মসূচি ও কলমবিরতি পালন করবে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আর দাবি পূরণ না হলে আগামী ২৮ জুন থেকে কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরে লাগাতার ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করবেন তারা।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেয় ‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ’। এর আগে দিনভর অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২৫ ও ২৬ জুন (বুধবার ও বৃহস্পতিবার) দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ঢাকায় অবস্থিত কর, কাস্টমস ও ভ্যাট দপ্তরগুলোতে এবং ঢাকার বাইরে নিজ নিজ দপ্তরে অবস্থান কর্মসূচি ও কলমবিরতি চলবে। তবে আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা ও রপ্তানি কার্যক্রম এ কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে। কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া কর্মকর্তারা অভিযোগ করেন, বর্তমান চেয়ারম্যান সরকারের বিতর্কিত আমলাদের একজন হিসেবে এনবিআর ও রাজস্ব প্রশাসনে ‘অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা’ করছেন। তার বিরুদ্ধে অসহযোগ কর্মসূচি চলবে বলেও তারা ঘোষণা দেন। ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এনবিআর চেয়ারম্যানকে আগামী ২৭ জুনের মধ্যে অপসারণ না করা হলে ২৮ জুন থেকে কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব অফিসে অনির্দিষ্টকালের জন্য পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি শুরু হবে। তবে এ কর্মবিরতিতেও আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে। সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, বর্তমান চেয়ারম্যান ও তার ঘনিষ্ঠ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ‘অবৈধ বদলি, স্বেচ্ছাচারিতা ও নিপীড়নমূলক আচরণের’ অভিযোগ রয়েছে। এসব অপচেষ্টার প্রতিবাদে কর্মকর্তারা ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন এবং রাজস্ব ব্যবস্থা রক্ষায় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছেন। উল্লেখ্য, এর আগেও এনবিআরের অভ্যন্তরীণ সংস্কার এবং কর্মকর্তাদের স্বচ্ছভাবে কাজ করার পরিবেশ নিশ্চিতে একাধিকবার দাবি-দাওয়া তুলে এসেছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তবে এবারের আন্দোলনে সরাসরি চেয়ারম্যানের অপসারণ চাওয়া এটিকে ভিন্নমাত্রা দিয়েছে।


নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা ভালো থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

নির্বাচনের সময় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকবে বলে দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

তিনি বলেন, দেশের সব বাহিনীর প্রধানরা আজকে নিশ্চিত করেছেন যে নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকবে। নির্বাচন করতে যত ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা দরকার হবে নির্বাচন কমিশনের, সেটা আমরা দেব। নির্বাচন কমিশন জাতিকে একটা ভালো নির্বাচন উপহার দেবে, এটাই আমরা সবাই আশা করি।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে ‘আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা’ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকাটা শুধু বাহিনীর ওপর নির্ভর করে না। যারা নির্বাচনে অংশ নেন, তাদের ওপরও কিন্তু নির্ভর করে। সেটা আপনারাও তাদের বলবেন।

দিনের ভোট যখন রাতে হয়, সেই সময়ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছিল, কিন্তু তারা কেন পদক্ষেপ নেয়নি, এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, সে সময় তো আপনারাও মাঠে ছিলেন, কোনো কিছু বলেননি।

সামনের নির্বাচনে রাতে ভোট যেন না হয়, পুলিশ কি সেটা নিশ্চিত করবে এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, এটা শুধু পুলিশ নয়, অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ পোলিং অফিসার, রিটার্নিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার এদেরও কিন্তু একটা ভূমিকা থাকে।

তিনি বলেন, যেহেতু পুরো নির্বাচন নির্ভর করে নির্বাচন কমিশনের ওপর। দেশের সব বাহিনী কিন্তু তখন তাদের অধীনে কাজ করে। নির্বাচন কমিশন জাতিকে একটা ভালো নির্বাচন উপহার দেবে— এটাই আমরা সবাই আশা করি। নির্বাচন করতে যত ধরনের সাহায্য সহযোগিতা দরকার হবে নির্বাচন কমিশনের, সেটা আমরা দেব।

‘আজকের মিটিংয়ে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করাসহ বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কোন কোন এরিয়াগুলোতে সমস্যা হতে পারে, সে বিষয়ে মাথায় রেখে আমরা কাজ করবো,’ যোগ করেন তিনি।

আওয়ামীলীগের ব্যপারে তিনি বলেন, ‘আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে তারা কোনো কার্যক্রম করতে পারেনি। দলটি নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছে।’

তিনি সাবেক নির্বাচন কমিশনকে মব জাস্টিস বিষয়ে বলেন, ‘মবে জড়িতদের ফুটেজ দেখে আইনের আওতায় আনা হবে। এখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ জড়িত থাকলেও ব‍্যবস্থা নেওয়া হবে।’

পূর্বে মবে যারা জড়িত, এমন কতজনকে ব‍্যবস্থা নেয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সংখ্যা বলতে পারছি না, তবে অনেকের বিরুদ্ধে ব‍্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’


খুলনায় এসআইকে মারপিট করে পুলিশে দিল বিএনপির নেতাকর্মীরা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

খুলনায় সুশান্ত দাশ নামে পুলিশের এক উপপরিদর্শককে মারধর করে পুলিশের কাছে হস্তান্তরের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকাল সোয়া ৪টায় নগরীর ইস্টার্ন গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তিনি বর্তমানে খানজাহান আলী থানায় পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।

বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্যাতনের অভিযোগ অভ্যুত্থানের পরে এসআই সুশান্তের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করেন ভুক্তভোগীরা।

স্থানীয়রা জানান, ইস্টার্ন গেট এলাকায় বিএনপির একটি কর্মসূচি ছিল। এ সময় সিএনজি চালিত থ্রি-হুইলারে করে যাচ্ছিলেন এস আই সুশান্ত। থ্রি-হুইলারটি ইস্টার্ন গেটের সামনে দাড়িয়ে যাত্রী ওঠানোর সময় বিএনপির কিছু নেতাকর্মী সুশান্তকে গাড়ি থেকে বের করে মারপিট করে। পরে বিএনপির সিনিয়র নেতারা তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে পুলিশের কাছে তুলে দেন।

খুলনার খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, নিরাপত্তার জন্য এস আই সুশান্তকে হেফাজতে রাখা হয়েছে। শরীরে তেমন আঘাত লাগেনি, শুধু গায়ের টি-শার্ট ছিড়ে গেছে।


শ্রীমঙ্গলে বিদ্যুৎপৃষ্ঠে ১ জনের মৃত্যু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বিদ্যুৎপৃষ্ঠে গোপাল দাশ নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ২ টার দিকে জেটি সড়ক এলাকায় ফিসারীতে কাজ করার সময় বিদ্যুতের তারে লেগে তার মৃত্যু হয়। গোপাল দাশ শ্রীমঙ্গল শহরের ইকোনমিক ফার্মেসীর মালিক ছিলেন, পাশাপাশি জেটি সড়কে একটি ফিসারীও ছিলো তার৷

শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, বিদ্যুৎপৃষ্ঠে মারা যাওয়া গোপাল দাশের লাশ উদ্বার করা হয়েছে। পরিবারের লোকজন ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। জেলা প্রশাসকের অনুমতি পেলে সেটা হবে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি।

এদিকে গোপাল দাশের মর্মান্তিক মৃত্যুতে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোক প্রকাশ করতে দেখা গেছে।


৫৫ বিজিবি গত ৫ দিনে ১ কোটি ৭২ লাখ টাকার চোরাই পূর্ণ জব্দ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাধবপুর হবিগঞ্জ, প্রতিনিধ

হবিগঞ্জের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা অভিযান চালিয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ৫৫ বিজিবি গত ৫ দিনে ১৫টি পৃথক বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১ কোটি ৭২ লাখ ৯৭ হাজার ১০০ টাকা মূল্যের বিভিন্ন ধরনের চোরাচালানি পণ্য, মাদকদ্রব্য ও যানবাহন জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

৫৫ বিজিবি’র সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি’র বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় এবং জেলার চুনারুঘাটের গুইবিল বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় বিশেষ চোরাচালান বিরোধী অভিযান চালিয়ে এক কোটি উনসত্তর লক্ষ ছয় হাজার টাকা মূলের ভারত হতে চোরাইপথে আনা মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে, বাই-সাইকেল এবং ভারতীয় গরু জব্দ করা হয়।

চুনারুঘাটের দুধপাতিল, তেলিয়াপাড়া ও সাতছড়ি বিওপি এবং মাধবপুর উপজেলার মনতলা ও হরিণখোলা বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকাগুলোতে বিজিবি কর্তৃক পরিচালিত নিয়মিত অভিযান চলাকালে চোরাকারবারিরা বিজিবি’র উপস্থিতি টের পেয়ে মালামাল ফেলে পালিয়ে গেলে, বিজিবি বিভিন্ন প্রকার চোরাচালানী মালামাল জব্দ করেন। এ সকল মালামালের মধ্যে রয়েছে ০৭ বোতল বিদেশী মদ, ২৫.৮ কেজি ভারতীয় গাঁজা, ৪৩ বোতল ফেনসিডিল, ১৬ ক্যান বিয়ার, ১৩ বোতল ইস্কফ সিরাপ, চা-পাতা এবং বাংলাদেশী মশার কয়েল। আটককৃত মালামালের আনুমানিক বাজারমূল্য ২ লক্ষ ৯৫ হাজার ৭০০ টাকা।

এছাড়াও, মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলাধীন ৫৫ বিজিবি’র অধীনস্থ সিন্দুরখান ও কাকমারাছড়া বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান বিরোধী পৃথক অভিযানে ৯৫ হাজার ৪০০ টাকা মূল্যের ২৪ বোতল ভারতীয় মদ, ফুচকা, চিনি এবং বাংলাদেশী মশার কয়েল আটক করা হয়।

আটককৃত দেশী/বিদেশী মালামাল, মাদকদ্রব্য এবং যানবাহন আইনানুগ প্রক্রিয়ায় শ্রীমঙ্গল, চুনারুঘাট ও মাধবপুর থানায় হস্তান্তর করে পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।

হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ তানজিলুর রহমান বলেন, “উর্ধ্বতন দপ্তরের দিক-নির্দেশনায় আমরা সীমান্ত এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে অভিযান পরিচালনা করছি। সীমান্তের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং চোরাচালান ও মাদকদ্রব্যের ভয়াবহতা থেকে দেশ ও সমাজকে রক্ষা করাই আমাদের অঙ্গীকার। সাম্প্রতিক অভিযানগুলো ৫৫ বিজিবি’র চোরাচালান বিরোধী অভিযানের সফল প্রতিফলন।”

উল্লেখ্য, চলতি জুন মাসের ২৪ তারিখ পর্যন্ত ৫৫ বিজিবি পরিচালিত অভিযানে মোট ৩ কোটি ৩০ লাখ ৭২ হাজার ১০০ টাকা মূল্যের বিভিন্ন ভারতীয় চোরাচালানি পণ্য, মাদকদ্রব্য ও যানবাহন জব্দ করেছে।


পাবনায় ৬ দফা দাবিতে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান-ধর্মঘট কর্মসূচি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
পাবনা প্রতিনিধি

নির্বাহী আদেশে নিয়োগ বিধি সংশোধন করে শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক/সমমনা করে চাকরিতে ১৪তম গ্রেড, ইন সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে টেকনিক্যাল পদমর্যাদা সহ বেতন স্কেল ১১ তম গ্রেডে উন্নীতকরণ সহ ছয় দফা দাবিতে পাবনায় অবস্থান-ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকাল ৯ টা থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত ৩ ঘন্টাব্যাপী সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েনের ব্যানারে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।

এসময় বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন পাবনা জেলার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সংগঠনের সমন্বয়ক মোঃ ফজলুল হক, সদর উপজেলা শাখার সভাপতি কে এম মাহফুজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ রইচ উদ্দিন, অর্থ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, সহ অর্থ সম্পাদক মাহবুব আলম। এছাড়াও বক্তব্য দেন, মামুন, রশিদ মনসুর আলী, রুহুল আমিন, হেনা খাতুন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলার অন্যান্য স্বাস্থ্য সহকারীগণ।

অবস্থান কর্মসূচিতে স্বাস্থ্য সহকারী বলেন, অপ্রতুল সুযোগ-সুবিধা ও সীমিত জনবল নিয়েও প্রত্যন্ত অঞ্চলে অক্লান্ত পরিশ্রম করে গেলেও ভাগ্যের কোন উন্নতি হয়নি। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর রোগ প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছি। এছাড়াও রোগ থেকে মুক্তির উপায়, নতুন রোগ প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়ানো এবং পরামর্শ দিয়ে থাকি।

কিন্তু বেতন কাঠামোয় রয়েছে চরম বৈষম্য শিকার। যারা পশুকে চিকিৎসা দেয় তাদের বেতন ১১ তম হলেও আমাদের এখনো ১৬ তম গ্রেডই আছে। আমরা ঝড় বৃষ্টির মধ্যে সাপে কাটা রোগীদেরও চিকিৎসা দিয়ে থাকি। কিন্তু আমাদের সেসব উপকরণ দেওয়া হয় না। তাই স্বাস্থ্য সহকারীদের দাবি মেনে নিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানান তারা।

তারা আরও বলেন, এই ৬ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের তৃণমূল পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবা আরও শক্তিশালী ও টেকসই হবে। দীর্ঘদিন ধরে চলমান বৈষম্যের নিরসনের লক্ষে অধিদপ্তর থেকে প্রস্তাবিত সুপারিশ সমূহের বাস্তবায়ন ও প্রয়োজনীয় প্রজ্ঞাপন জারি এখন স্বাস্থ্য সহকারীদের সময়ের দাবি প্রস্তাবিত দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত সকল কর্মসূচী চলমান থাকবে। যদি দাবি মানা না হয় তাহলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

পাবনা সদর উপজেলা স্বাস্থ ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, স্বাস্থ্য সহকারীরা যেভাবে প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানুষের দৌড় ঘোড়ায় সেবা পৌঁছে দিচ্ছে সে অনুযায়ী তারা বেতন পাচ্ছেন না। পরিবার পরিজন নিয়ে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে। তাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়া দরকার। এখনো তারা অবহেলা ও বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।

৬ দফা দাবির সমূহের মধ্যে রয়েছে- নির্বাহী অদেশে নিয়োগ বিধি সংশোধন শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক/সমাধান করে ১৪তম গ্রোভ প্রদান, ইন সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে টেকনিক্যাল পদমর্যাদা সহ বেতন স্কেল ১১তম গ্রেডে 'উন্নীতকরণ, পদোন্নতির ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড নিশ্চিত করা, পূর্বের নিয়োগবিধি অনুযায়ী নিয়োগ পেলেও কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারী সকল স্বাস্থ্য পরিদর্শক স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের অভিজ্ঞতার আলোকে স্নাতক পাস স্কেলে আত্মীকরণ করতে হবে, বেতন স্কেলে উন্নীতকরনের পূর্বে স্বাস্থ্য সহকারী সহকারি স্বাস্থ্য পরিদর্শক, স্বাস্থ্য পরিদর্শক গন যত সংখ্যক টাইম স্কেল অথবা উচ্চতর গ্রেট প্রাপ্ত বা প্রাপ্য হয়েছেন তা পরবর্তী পুনঃনির্ধারিত বেতন স্কেলের সাথে যোগ করতে হবে, পূর্বে ইন সার্ভিস ডিপ্লোমা এসআইটি কোর্স সম্পূর্ণ কারী স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্যপরিদর্শকস্বাস্থ্য পরিদর্শকদেরকে ডিপ্লোমাধারী সম্পন্ন হিসেবে গণ্য করে সরাসরি ১১ তম দিতে হবে।


নওগাঁয় সার্বজনীন পেনশন মেলা অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নওগাঁ প্রতিনিধি

নওগাঁয় দিনব্যাপী সার্বজনীন পেনশন মেলা এবং কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ জুন) সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ মেলা এবং কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

মেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেলার উদ্বোধন করেন রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার খন্দকার আজিম আহমেদ। পরে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়ালের সভাপতিত্বে দুপুর ১ টার দিকে উপজেলা পরিষদ হলরুমে একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালায় অর্থ মন্ত্রণলায়ের উপসচিব মর্জিনা আক্তার, নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ফারজানা হোসনসহ সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা বৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

কর্মশালায় বক্তারা বলেন,' সরকার ই একমাত্র আস্হার জায়গা, সরকারি ব্যাংকে টাকা রাখলে সেটি নিরাপদ থাকবে। সেইসঙ্গে সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে সার্বজনীন পেনশনে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান তারা।

রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খন্দকার আজিম আহমেদ বলেন, সমবায় সমিতিতে টাকা রাখলে সেটির কোন নিশ্চয়তা থাকেনা। সরকারি পেনশন স্কিমে টাকা রাখলে সেটির নিশ্চয়তা আছে এবং সরকার ই একমাত্র আস্থার জায়গা। যার কারনে মানুষ সরকারি ব্যাংকে টাকা রাখে। পেনশন স্কিম টাকা রাখলে সকল শ্রেণী পেশার মানুষ উপকৃত হবে।


সহপাঠীকে ধর্ষণ: দুই ছাত্রকে শাবি থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সিলেট ব্যুরো

এক সহপাঠিকে ধর্ষণের অভিযোগে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত দুই ছাত্র হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী স্বাগত দাস পার্থ ও শান্ত তারা আদনান।

মঙ্গলবার(২৪জুন) বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত জরুরি সিন্ডিকেটের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিন্ডিকেট সদস্য আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী।

আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটি থেকে দুই ছাত্রের আজীবনের জন্য বহিষ্কারের সুপারিশ এসেছে। সিন্ডিকেটে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া আজকের সভায় ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এক ছাত্রীকে মেসে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে একই বিভাগের বিভাগের ওই দুই ছাত্রের বিরুদ্ধে। পরে ১৯ জুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। এরপর সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ওই দুই ছাত্রকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পরদিন ওই ছাত্রী মামলা দায়ের করলে গতকাল আদালত তাঁদের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।


চকরিয়ায় ধান মাড়াই করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কৃষকের মৃত্যু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

কক্সবাজারের চকরিয়ায় বিদ্যুৎচালিত মেশিনে ধান মাড়াইয়ের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে রমজান আলী (৪২) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর মেধাকচ্ছপিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।

নিহত রমজান আলী ওই গ্রামে নুর মোহাম্মদের ছেলে।

স্থানীয় জিয়াউল হক জিয়া পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, মঙ্গলবার সকালে বাড়ির আঙিনায় রমজান আলী বিদ্যুৎচালিত মেশিনে ধান মাড়াই করছিলেন। এ সময় সংযোগ তারের লিকেজ অংশে হঠাৎ করে পা পড়লে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। তাৎক্ষণিকভাবে আহত অবস্থায় রমজান আলীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে খুটাখালী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মওলানা আব্দুর রহমান জানান, ধান মাড়াইয়ের সময় অসাবধানতাবশত বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কৃষক রমজান আলীর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর বিষয়টি থানা-পুলিশকে অবগত করা হয়েছে


banner close