রোববার, ১৯ মে ২০২৪

পাইকারিতে পেঁয়াজের দামে পতন, খুচরায় কমেনি

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড
৭ জুন, ২০২৩ ০০:০২
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ৭ জুন, ২০২৩ ০০:০২

আমদানি করা পেঁয়াজ দেশে প্রবেশ না করতেই ঝাঁজ কমছে এই কৃষিপণ্যের। চলতি সপ্তাহে ৯০ টাকা দামে বিক্রি হওয়া এই পণ্য রাজধানীর শ্যামবাজারের আড়তে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা কেজিতে। অন্যদিকে কারওয়ান বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে। আর চট্টগ্রামের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজিতে।

দাম কমার এ প্রভাব পাড়া-মহল্লায় এখনো পড়তে শুরু করেনি। মহল্লার খুচরা বাজারে এখনো বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা দরে। তবে খুব শিগগির ৫০ টাকায় নেমে আসবে বলে মনে করছেন বিক্রেতারা।

আমদানির ঘোষণা দেয়ার পরপরই হঠাৎ দাম পড়ে যাওয়ার কোনো যৌক্তিক ব্যাখা দিতে পারছেন না আড়তদাররা। তাদের দাবি, ভারতীয় পেঁয়াজ প্রবেশের ফলে দাম পড়ে গেছে। এত দামের পেছনে মজুতদাররা জড়িত তা মানতে নারাজ পেঁয়াজের আড়তদাররা। তাদের দাবি, কৃষকরা বেশি দাম পাওয়ার জন্য মাল বিক্রি করত না। তবে ভারতীয় পেঁয়াজ প্রবেশে চলতি সপ্তাহে খুচরা বাজারে ৫০ টাকার কমে চলে আসবে বলে মনে করছেন ক্রেতারা।

দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ৩৪ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। গতকাল পর্যন্ত ১ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ দেশের বাজারে ঢুকেছে। ভারত থেকে আনা পেঁয়াজের দাম কেজিতে পড়ছে ১৪ থেকে ১৭ টাকা।

চলতি বছরের এপ্রিল মাসেও ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছিল পেঁয়াজ। গত মাসে হঠাৎ দাম বাড়তে শুরু করে। তারপর সপ্তাহ ব্যবধানে ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকা কেজি প্রতি বাড়তে থাকে। পাশাপাশি এ মাসেই কোথাও কোথাও সেঞ্চুরি অর্থাৎ ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় মসলা জাতীয় এ পণ্য।

সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোমবার থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হওয়ার কথা। গত রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায় কৃষি মন্ত্রণালয়। কিন্তু আমদানিকৃত পেঁয়াজ বাজারে ঢোকার আগেই চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় ভোগ্য পণ্যের বাজার খাতুনগঞ্জে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম এক রাতে ৩০ টাকা কমে গিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দরে পণ্যটি বিক্রি করেছেন ব্যবসায়ীরা। সাতক্ষীরায় বর্তমানে খুচরা বাজারে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। তবে আজ বুধবার থেকেই ৬০ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি হবে বলে আশা পাইকারী ব্যবসায়ীদের।

অন্যদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকা কেজি দরে। অন্যদিকে কদিন আগে ৯০-৯৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা দরে। দিনাজপুরে ৮০ টাকার পরিবর্তে মাত্র ৩৭ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। তবে ঢাকার শ্যামবাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। তবে কারওয়ান বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে। খুচরা দোকানে এই রেশ পড়ে নাই। তাই নগরীর খুচরা দোকানে বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা কেজি।

কারওয়ান বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা নওয়াব আলী দৈনিক বাংলাকে জানান, প্রতি পাল্লা অর্থাৎ পাঁচ কেজি পেঁয়াজ চার শ টাকায় বিক্রি করছেন। তিনি বলেন, ‘মাঝখানে কেজি এক শ বেচছি এক শ টাকা। বিশ টাকা কমছে। তবে ওহন ক্রেতাও কমছে।’

পেঁয়াজের দাম সামনে ৫৫ টাকায় নেমে আসতে পারে বলে ধারণা করছেন পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. শুভ। তিনি দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘আশা করি দাম আরও কমবে। এহন দেশি বাছাডা ৮০ টাকা কেজি বেচি। পাল্লা ৪০০ টাকা। ছোট-বড় দেশি এই পেঁয়াজ ৭০ টাকা কেজি বেচতেছি। পাল্লা ৩৫০ টাকা। দুই-একের ভিতরে আরও দাম কমবো।’

এ সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম আরও কমবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এহন কেজিতে কমছে মনে করেন বিশ টাকা। ৬০ থেকে ৫৫ টাকায় আসতে পারে। আগে তো ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ছিল না। তাই দাম বেশি।’

শ্যামবাজার কৃষিপণ্য আড়ত বণিক সমিতির সহসভাপতি ও রাজবাড়ী ভাণ্ডারের স্বত্বাধিকারী মো. মাজেদ দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘শ্যামবাজারে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ আমদানি হওয়ায় পেঁয়াজের দাম কমে গেছে।’

কৃত্রিম সংকট তৈরি করে সিন্ডিকেট করে মজুতদাররা এই দাম বাড়িয়েছে বলে মনে করেন না এই ব্যবসায়ী। তিনি দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘কৃষকরা দাম ছাড়তে চায় নাই। তারাও দাম বাড়াইয়া দিছিলো। শুধু মজুতদাররা জড়িত না।’

খাতুনগঞ্জে ৫০ টাকায় পেয়াঁজ
আমদানি অনুমতির এক দিন পর পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি কমেছে আরও ৫ থেকে ১০ টাকা। গত মঙ্গলবার দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দরে পণ্যটি বিক্রি করেছেন ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে আমদানি করা মালবাহী গাড়ি চট্টগ্রামে পৌঁছালেও গতকাল রাত আটটার আগে শহরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকায় সন্ধ্যা পর্যন্ত আমদানি করা কোনো পেঁয়াজ ঢোকেনি চট্টগ্রাম শহরে।

চাকতাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম বলেন, ‘আমরা গতকাল ৬০ টাকা বিক্রি করলেও আজ দাম আরেকটু কমেছে। আজকে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি করতেছি আমরা। এখনো তো আমদানির পেঁয়াজ আসেনি। এর মধ্যে ৩০ থেকে ৪০ টাকা দাম কমে গেছে। পুরোপুরি পেঁয়াজ এলে ৪০ টাকারও নিচে নেমে যাবে দাম।’

পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের মূল্য কমার প্রভাব ধীরে ধীরে পড়তে শুরু করেছে খুচরা বাজারেও। মঙ্গলবার নগরীর বিভিন্ন এলাকায় খুচরা বাজারে ৭০ থেকে ৯০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি করতে দেখা গেছে ব্যবসায়ীদের।

নগরীর অক্সিজেন এলাকায় ৯০ টাকা দরে পণ্যটি বিক্রি করছেন ব্যবসায়ী ইলিয়াস। তিনি বলেন, ‘আমি আগে কিনেছি পেঁয়াজ, তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এমনিতে যারা নতুন আনতেছে, তারা কম নিচ্ছে। আমদানির কারণে দাম কমেছে।’

এদিকে আমদানি করা পেঁয়াজ বাজারে আসার আগেই পাইকারি বাজারে পণ্যটির দাম ৪০ টাকা কমে যাওয়ার ঘটনা বাজার নিয়ন্ত্রণের সিন্ডিকেটের কারসাজিকেই ইঙ্গিত বলে মনে করেন কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) কেন্দ্রীয় সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন।

তিনি দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘আমদানির পেঁয়াজ বাজারে ঢোকার আগেই ৪০ টাকা দাম কমে গেছে। এর মানে হলো তারা চাইলে আমদানির ঘোষণার আগেও পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক রাখতে পারত। এটা স্পষ্টতই সিন্ডিকেটের বিষয়টি প্রমাণ করে। আমরা যতই বলি, বাজার মনিটরিংয়ের কেউ নেই আসলে। সরকারি কর্মকর্তারা শুধু বসে বসে দেখেন।’

ভোমরা দিয়ে প্রবেশ করেছে ৯২০ টন ভারতীয় পেঁয়াজ
পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি প্রাপ্তির দ্বিতীয় দিনে গতকাল মঙ্গলবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ২৭টি ট্রাকে ৯২০ টন ভারতীয় পেঁয়াজ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খান জানান, ভারতের ঘোজাডাঙ্গা বন্দর দিয়ে সোমবার ১১টি ট্রাকে ৩৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে প্রবেশ করলেও গতকাল মঙ্গলবার তা বেড়ে ৬০ থেকে ৬৫ ট্রাকে দাঁড়াবে।

সাতক্ষীরা বড় বাজার কাঁচা ও পাকামাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম বাবু বলেন, আগামীকাল থেকে আমরা ৬০ টাকায় খুচরা পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারব। আর এলসি ঢুকে গেলে এমনিতে পেঁয়াজের দাম আরও কমে আসবে।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কমেছে ৪০ টাকা
ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হওয়ায় প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বাজারে। দুদিনের ব্যবধানে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ৪০ টাকা।

সোমবার বিকাল থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেয়াঁজবাহী ট্রাক আসা শুরু হয়। সোমবার ভারত থেকে ৫৬ ট্রাকে ১ হাজার ৬৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়। অন্যদিকে গত মঙ্গলবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পযন্ত এ বন্দর দিয়ে ১৩৩ ট্রাকে ২৭৭৭ দশমিক ৪০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়।

মঙ্গলবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের শহরের পুরাতন বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকা কেজি দরে। অন্যদিকে কদিন আগে ৯০-৯৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা দরে।

দিনাজপুরে ৩৭ থেকে ৪৩ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ!
দিনাজপুরে ৮০ টাকার পরিবর্তে মাত্র ৩৭ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। পেঁয়াজ আমদানির ইমপোর্ট পারমিট (আইপি) অনুমোদন দিলে প্রথম দিন দেশের অন্যতম স্থলবন্দর হিলি দিয়ে গত সোমবার ভারতীয় তিনটি ট্রাকে ৬৩ টন পেঁয়াজ দেশে প্রবেশ করে।

এর আগে গত ১৫ মার্চ পেঁয়াজের ইমপোর্ট পারমিট (আইপি) বন্ধ করে দেয় সরকার। এরপর থেকে টানা ৮২ দিন বন্ধ ছিল ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি। এতে ৪০ টাকা থেকে দফায় দফায় বৃদ্ধি পেয়ে দেশীয় পেঁয়াজের দাম দাঁড়ায় ৮০ থেকে ৮৫ টাকা কেজিতে।

মঙ্গলবার বিকেলে হিলি পানামা পোর্ট লিংক ঘুরে দেখা যায়, বন্দরে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে পেঁয়াজবোঝাই ভারতীয় ট্রাক। এসব ট্রাকে ভারত থেকে এসেছে আমদানি করা নাসিক, ইন্দ্রোর ও মধ্য প্রদেশের পেঁয়াজ। বন্দর থেকে এসব পেঁয়াজ কিনতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকার ও ব্যবসায়ীরা ট্রাকের আশপাশে ভিড় জমিয়ে আছে। আমদানিকারক এবং তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দরদাম করতে ব্যস্ত তারা সকলে। পাইকারি বাজারে এসব পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কোয়ালিটিভেদে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে। যা খুচরা বাজারে ৩৭ থেকে ৪৩ টাকায় বিক্রি হবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

গাজীপুর থেকে পেঁয়াজ কিনতে এসেছেন তৌফিক হাসান নামে এক ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, ‘আমি দেশের বিভিন্ন জেলায় ভারতীয় পেঁয়াজ সরবরাহ করি। টানা প্রায় তিন মাস সময় পেঁয়াজের আমদানি ছিল না। দীর্ঘদিন পর আজ হিলি বন্দরে এসেছি পেঁয়াজ কিনতে। চার ট্রাক পেঁয়াজ কিনব। দরদাম করছি।’

পেঁয়াজ আমদানিকারক আবুল হাসানাত বলেন, ‘দীর্ঘ সময় পেঁয়াজ আমদানি না থাকায় পেঁয়াজের দাম স্থবির হয়ে পড়েছিল। যথাসময়ে সরকার পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশের বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। পাইকার ও ব্যবসায়ীদের উপস্থিতিতে মুখর হয়ে উঠেছে পুরো বন্দর।’

বিষয়:

আজ রাজধানীতে ১১তম এসএমই মেলা শুরু 

ফাইল ছবিটি সংগৃহীত
আপডেটেড ১৯ মে, ২০২৪ ০০:০৪
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ১১তম জাতীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প পণ্য মেলা শুরু হচ্ছে আজ। চলবে আগামী ২৫ মে পর্যন্ত। শিল্প মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এই মেলার আয়োজন করা হচ্ছে।

এসএমই ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৯ মে সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের ‘হল অব ফেম’ মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার-২০২৩ বিজয়ী সাতজন মাইক্রো, ক্ষুদ্র, মাঝারি ও স্টার্ট-আপ উদ্যোক্তার হাতে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেবেন।

মেলা উপলক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, এবারের মেলায় অংশ নেবে সাড়ে তিন শর বেশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান, যাদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা। এ ছাড়া ৩০টি ব্যাংক, ১৫টি সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় বিজনেস ক্লাবসহ আরও প্রায় ৫০টি উদ্যোক্তা সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশগ্রহণ করবে।

শিল্পমন্ত্রী আরও জানান, মেলায় অংশ নিচ্ছে তৈরি পোশাক খাতের সবচেয়ে বেশি ৭৫টি প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া পাটজাত পণ্যের ৪২টি, হস্ত ও কারু শিল্পের ৩৮টি, চামড়াজাত পণ্য খাতের ৩২টি, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্যের ২৭টি, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের ২৩টি, খাদ্যপণ্যের ১৪টি, তথ্য প্রযুক্তিভিত্তিক সেবা খাতের ১৩টি, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের এসএমই ক্লাস্টারের উদ্যোক্তাদের জন্য ১২টি, হারবাল/ভেষজ শিল্পের পাঁচটি, জুয়েলারি শিল্পের পাঁচটি, প্লাস্টিক পণ্যের চারটি ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস খাতের তিনটি, ফার্নিচার খাতের তিনটি এবং বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের ১৯টি স্টল থাকবে মেলায়।

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন আরও বলেন, মেলায় আগত ক্রেতা-দর্শনার্থীদের মাঝে এসএমই খাতের উন্নয়নে এসএমই ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম তুলে ধরার লক্ষ্যে এসএমই ফাউন্ডেশনের একটি সেক্রেটারিয়েট থাকবে। গণমাধ্যমের সহকর্মীদের কাজের সুবিধার্থে একটি মিডিয়া সেন্টারও থাকবে।

প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা প্রাঙ্গণ দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।


আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের বাজারে আবারও সোনার দাম বাড়িয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ১ হাজার ১৭৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৪৬০ টাকা।

আজ শ‌নিবার বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামীকাল রোববার ১৯ মে থেকে নতুন দর কার্যকর হবে।


আজ ঢাকায় আসবেন কানাডার ইন্দো-প্যাসি‌ফিক বা‌ণিজ্য প্রতি‌নি‌ধি

কানাডার ইন্দো-প্যাসি‌ফিক বা‌ণিজ্য প্রতি‌নি‌ধি পল থো‌পিল। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকায় তিন দিনের সফরে জন্য আসছেন কানাডার ইন্দো-প্যাসি‌ফিক বা‌ণিজ্য প্রতি‌নি‌ধি পল থো‌পিল।

আজ শনিবার সন্ধ্যায় তিনি ঢাকায় অবতরণ করবেন। ঢাকায় কানাডার হাইক‌মিশন এক সংবাদ বিজ্ঞ‌প্তি‌র মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে।

হাইক‌মিশন জানায়, কানাডার ইন্দো-প্যাসি‌ফিক বা‌ণিজ্য প্রতি‌নি‌ধি পল থো‌পিল আগামীকাল রোববার (১৯ মে) থে‌কে তিন দিনের জন্য বাংলাদেশ সফ‌রে থাকবেন। পল আজ শ‌নিবার সন্ধ্যায় ঢাকায় আসবেন। পল বাংলাদেশ সফরের সময় সরকা‌রি কর্মকর্তা এবং অংশীজনেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ক‌রবেন।

এ সময় ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের মাধ্যমে এই অঞ্চলের প্রতি কানাডার প্রতিশ্রুতি, দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও বৈচিত্র্য আনার উপায় চিহ্নিত করা, দ্বিমুখী বি‌নি‌য়োগে উৎসাহিত করার জন্য কীভাবে একসঙ্গে কাজ করা যায়; তা নিয়ে আলোচনা করবেন।


ডলারের দামের সঙ্গে বাজারে বাড়ল মসলার দাম

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার পরপরই রাজধানীর বেশিরভাগ বাজারে আমদানিকৃত মসলার পাইকারি দাম প্রায় ২০ শতাংশ বেড়ে গেছে। রাজধানীর কারওয়ান বাজার, কচুক্ষেত ও পুরান ঢাকার কিছু পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা গেছে আমদানি করা বেশিরভাগ মসলার দাম হঠাৎ বেড়ে গেছে।

প্রতি কেজি জিরার দাম ৫৭০ টাকা থেকে বেড়ে ৬৮০ টাকা, এলাচের সর্বনিম্ন দাম ২৮০০ টাকা থেকে বেড়ে ৩২০০ টাকা করা হয়েছে। আরেক ধরনের এলাচের দাম আগে ৩২০০ টাকা ছিল এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০০ টাকায়।

এ ছাড়া গোল মরিচের (কালো) দাম ১০০০ টাকা থেকে বেড়ে ১২০০ টাকা, কাজুবাদাম ১২০০ টাকা থেকে বেড়ে ১৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ছোলা ১০২ টাকা থেকে বেড়ে ১০৮ টাকা কেজি করা হয়েছে।

আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের দাবি, হঠাৎ ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজারে এর প্রভাব পড়ছে।

গত ৮ মে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের বিনিময় হার ১১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১১৭ টাকা করে।

সম্প্রতি দাম বেড়ে যাওয়ার হতাশা প্রকাশ করে এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি আদা ৫৭০-৫৮০ টাকায় কিনতাম। কিন্তু এখন ৭০০ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে। অথচ ডলারের দাম বাড়ার আগেই এই মসলা আমদানি করা হয়েছে। এটা সিন্ডিকেটের কাজ।’

মৌলভীবাজার পাইকারি বাজারের মসলার এক পাইকারি বিক্রেতা বলেন, ‘এসব মসলার কেনা দাম একই হলেও কিছু আমদানিকারক ডলারের বাড়তি দামের সঙ্গে সামঞ্জস্য করে দাম বাড়াতে বলেছেন।’

কারওয়ান বাজারে এক দোকান মালিক বলেন, ‘মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব বর্তমানে পাইকারি বাজারে সীমাবদ্ধ। তবে খুব শিগগির এর প্রভাব খুচরা বাজারেও পড়বে। বিশেষ করে ঈদুল আজহার আগে দাম বেড়ে যাবে।’

কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সহসভাপতি এস এম নাজের হোসেন বলেন, ‘ডলারের দাম বাড়ায় ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়েছে। কিন্তু ডলারের দাম কমলে তারা কি দাম কমায়?’

এ বিষয়ে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘ডলারের দাম বাড়ায় জিনিসপত্রের দাম বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। তবে আমি ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন দাম বেশি না বাড়ায়।’


বাজারে চড়া মাছ-সবজির দাম, ক্রেতাদের ক্ষোভ

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১৭ মে, ২০২৪ ১৯:১০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাজারে এখনো চড়া মাছের দাম। অধিকাংশ মাছের দাম তেমন একটা কমেনি। আগের মতোই বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। বিক্রেতাদের দাবি, গরমের কারণে সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম কিছুটা বেড়েছে। অন্যদিকে, বাজারে নিত্যপণ্যের দামের বিষয়ে বরাবরের মতোই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।

আজ শুক্রবার রাজধানীর একটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে অধিকাংশ মাছ। এর মধ্যে রুই ৪০০ থেকে ৪২০ টাকা, কাতলা ৩২০ টাকা, কালবাউশ ২৮০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০ টাকা, পাবদা ৫৪০ টাকা ও ইলিশ মাছ ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

সবজির বাজারও রয়েছে গত সপ্তাহের মতোই। বাজারে প্রতি পিস ফুলকপির দাম ৬০ টাকা, প্রতি পিস বাঁধা কপির দাম ৬০ টাকা ও প্রতি পিস লাউয়ের দাম ৪০ টাকা। এ ছাড়া, প্রতি কেজি গাজর ৭০ টাকা, পেঁপে ৮০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, টমেটো ৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৫০ টাকা ও পটল ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এক কাঁচামাল ব্যবসায়ী বলেন, ‘সরবরাহ কমে যাওয়ার জিনিসপত্রের দাম একটু বাড়তি। গরম কমলে সামনে দাম কিছুটা কমতে পারে।’

সবজির এমন দামে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা। একজন চাকরিজীবী বলেন, ‘আমাদের স্বল্প বেতনে প্রতিদিন মাছ বা মাংস খাওয়া যায় না। কিন্তু সবজির দামও যদি এমন বাড়তি যায়, তাহলে এটা খাওয়াও কমিয়ে দিতে হবে।’

বাজারে মুরগির মাংসের দামও আগের মতোই রয়েছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকায়, লেয়ার ৩৪০ টাকায় ও সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৯০ টাকায়। এছাড়া, প্রতি কেজি হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়।

বিষয়:

সোনার অলংকার কিনতে ক্রেতাকে ৬ শতাংশ হারে মজুরি দিতে হবে

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের বাজারে সোনার দামে অস্থিরতার মধ্যেই নতুন সিদ্ধান্ত নিল বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। তারা এবার সোনার অলংকারে ন্যূনতম ৬ শতাংশ মজুরি নির্ধারণ করেছে। একই সঙ্গে সোনার অলংকার পরিবর্তনে ১০ শতাংশ এবং ক্রেতার কাছ থেকে অলংকার ক্রয়ের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ বাদ দেওয়ার নিয়ম করেছে বাজুস।

গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তের কথা জানায় বাজুস। এতে বলা হয়, সম্প্রতি জুয়েলার্স সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সোনার অলংকার বিক্রির সময় ক্রেতার কাছ থেকে ৬ শতাংশ হারে মজুরি নিতে পরামর্শ দিয়েছে সমিতি। এর পেছনে সমিতির ব্যাখ্যা হচ্ছে, বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সোনার অলংকার বিক্রিতে ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। সোনার অলংকার বিক্রিতে ভারতে ১০, শ্রীলঙ্কায় ৮, চীনে ১৫, ইতালিতে ২০, হংকংয়ে ৩০, মালয়েশিয়ায় ৩৫, অস্ট্রেলিয়ায় ২০, যুক্তরাষ্ট্রে ৬ ও যুক্তরাজ্যে ১৪ শতাংশ মজুরি নেওয়া হয়।

বাজুস ২০২২ সালের আগস্টে প্রতি গ্রামে কমপক্ষে ৩০০ টাকা মজুরি নিতে সদস্যপ্রতিষ্ঠানকে পরামর্শ দেয়। তাতে প্রতি ভরিতে মজুরি দাঁড়ায় ৩ হাজার ৫০০ টাকা। তবে অধিকাংশ জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান ক্রেতাদের ধরে রাখতে মজুরিতে ছাড় দিয়ে আসছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জুয়েলার্স সমিতির একজন সদস্য বলেন, ধরা যাক, বর্তমানে এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ টাকা। তাহলে ৬ হাজার টাকা মজুরি দিতে হবে। আর সোনা ও মজুরির ওপর ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট দিতে হবে। নতুন করে মজুরি পুনর্নির্ধারণের ফলে ব্যবসায়ে নতুন করে অসুস্থ প্রতিযোগিতা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সোনার অলংকার পরিবর্তন বা বিক্রির ক্ষেত্রে জুয়েলার্স সমিতির নিদের্শনা হলো, পুরোনো অলংকার বিক্রির ক্ষেত্রে এর ওজন থেকে ১৫ শতাংশ বাদ দিয়ে মূল্য নির্ধারণ করতে হবে, যা এত দিন ছিল ১৩ শতাংশ। এ ছাড়া সোনার অলংকার পরিবর্তনের ক্ষেত্রে অলংকারের ওজন থেকে ১০ শতাংশ বাদ দিয়ে মূল্য নির্ধারণ করা হবে। এত দিন এই হার ছিল ৯ শতাংশ।

কয়েক মাস ধরেই দেশের বাজারে সোনার দামে অস্থিরতা চলছে। সর্বশেষ গত রোববার সোনার দাম ভরিপ্রতি সর্বোচ্চ ১ হাজার ৮৩২ টাকা বেড়েছে। তাতে হলমার্ক করা ২২ ক্যারেট মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার ২৮২ টাকা।


মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেনে রেকর্ড

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৬ মে, ২০২৪ ০০:০২
নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি বছরের মার্চে মোবাইল ব্যাংকিং বা মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের (এমএফএস) মাধ্যমে রেকর্ড ১.৪৮ লাখ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, দেশে এমএফএস চালু হওয়ার পর থেকে এটিই সর্বোচ্চ মাসিক লেনদেন।

সংশ্লিষ্টদের মতে- মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবার সম্প্রসারণ, রমজান ও ঈদের কেনাকাটার মৌসুমে আত্মীয়-স্বজনদের কাছে টাকা পাঠানোর কারণে মোবাইলে ডিজিটাল লেনদেন বৃদ্ধি পেয়েছে।

আগের মাস ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চে ১৮,১৯৫ কোটি টাকা বেশি বা ১৪ শতাংশ বেশি লেনদেন হয়েছে এই মাধ্যমে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, এর আগে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে ২০২৩ সালের জুনে। সেই সময়ে এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে ১.৩২ লাখ কোটি টাকা। এ ছাড়া এমএফএসের মাধ্যমে সর্বপ্রথম ১ লাখ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে ২০২২ সালের এপ্রিলে, সে সময়ে লেনদেন হয়েছে ১.০৭ লাখ কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য বলছে- দেশে বর্তমানে বিকাশ, রকেট, ইউক্যাশ, মাই ক্যাশ, শিওর ক্যাশসহ বিভিন্ন নামে ১৩টি ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে।

খাত-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শহর কিংবা গ্রামে– এক মুহূর্তে দেশের যেকোনো স্থানে টাকা পাঠানোর সুবিধার কারণে দেশে মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। দিন দিন গ্রাহক সংখ্যা যেমন বাড়ছে, লেনদেনের পরিমাণও তেমনি বাড়ছে।

২০২৪ সালের মার্চ শেষে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা ২২ কোটি ৪০ লাখের বেশি। এর মধ্যে শহরে গ্রাহক আছে ৯ কোটি ৭৭ লাখ। এ ছাড়া গ্রামে রয়েছে ১২ কোটি ৬২ লাখ। এসব অ্যাকাউন্টের মধ্যে পুরুষ ১৩ কোটি এবং নারী গ্রাহক ৯ কোটি।

এ বিষয়ে বিকাশের করপোরেট কমিউনিকেশনস অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনের প্রধান শামসুদ্দিন হায়দার ডালিম বলেন, মার্চে ক্যাশ আউট, ক্যাশ ইন, মার্চেন্ট পেমেন্ট, স্যালারি ডিসবার্সমেন্ট পূর্বের সকল সময়ের তুলনায় বেশি হয়েছে। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে রোজা ও ঈদ। সাধারণত, আমাদের স্বজনরা অন্য সময় না পাঠালেও ঈদের সময়ে কিছু কিছু পরিমাণে খরচ মেটানোর জন্য টাকা পাঠিয়ে থাকেন।

তিনি বলেন, এই সময়ে অনেক গার্মেন্টস মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে স্যালারি পাঠিয়েছে। এ ছাড়া এই সময়ে কেনাকাটায় ব্যাপক লেনদেন হয়েছে।

সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিশেষ করে সরকারি সব ধরনের ভাতা, উপবৃত্তি ও প্রণোদনা বিতরণে মোবাইল আর্থিক সেবা খাত ব্যবহারের সিদ্ধান্ত এ খাতের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা আরও বাড়িয়েছে, যোগ করেন তিনি।

নগদের একজন কর্মকর্তা বলেন, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসে নগদের সেবা দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। আমরা গ্রাহকদের চাহিদার আলোকে নতুন নতুন সেবা চালু করছি। এ ছাড়া মানুষজন এখন ব্যাংকে গিয়ে লাইনে না দাঁড়িয়ে সহজেই এমএফএসের মাধ্যমে তাদের প্রিয়জনদের টাকা পাঠিয়ে দিতে পারছেন। আমরা মনে করি, সামনের সময়ে এটি আরও জনপ্রিয় হবে।

প্রিলে প্রায় প্রতিদিন গড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার মতো লেনদেন হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে ডিজিটাল কেনাকাটায় গ্রাহকদের বিভিন্ন অফার দেওয়া হয়েছিল, ফলে লেনদেনের পরিমাণ আরও বেড়েছে, যোগ করেন তিনি।

২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১১ সালের ৩১ মার্চ বেসরকারি খাতের ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালুর মধ্যদিয়ে দেশে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের যাত্রা শুরু হয়।

এরপর ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করে বিকাশ। বর্তমানে দেশে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার সিংহভাগই বিকাশের দখলে। এরপরে রয়েছে নগদ।


১১০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ

২০২৪-২০২৭ অর্থবছরের নীতিমালার খসড়া নীতিগত অনুমোদন
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রপ্তানি নীতিমালা ২০২৪-২৭-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। একই সঙ্গে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) কর্তৃক রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী আমদানি বা স্থানীয়ভাবে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ক্রয়ের সময়সীমা ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।

আজ বুধবার অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। করোনায় আক্রান্ত অর্থমন্ত্রী ভার্চুয়ালি বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠকে শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান জানান, টিসিবির মাধ্যমে জরুরি প্রয়োজনে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী আমদানি বা স্থানীয়ভাবে ক্রয়ের ক্ষেত্রে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন ২০০৬-এর ৬৮(১) ধারার আওতায় এবং একই আইনের ৩২ ধারায় উল্লেখ করা ক্রয় পদ্ধতি অনুসরণে পণ্যসামগ্রী সংগ্রহের মেয়াদ চলতি বছরের ২৬ মে শেষ হয়ে যাবে। এ জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়। অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি এ মেয়াদ ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।

রপ্তানি নীতি ২০২৪-২৭ বিষয়ে সচিব জানান, রপ্তানি নীতি ২০২৪-২৭ অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। এটি পরে অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে পাঠানো হবে।

রপ্তানি নীতির প্রেক্ষাপট সম্পর্কে তিনি জানান, স্বল্পোন্নত দেশের পর্যায় থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ, কোভিড-১৯, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব, অতিক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সহায়তা দেওয়া, রপ্তানি খাতে নারী উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ বাড়ানো, পরিবেশবান্ধব অর্থনৈতিক কৌশল- এসব বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।

মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, রপ্তানিকারকদের উৎসাহিত করার জন্য আর্থিক প্রণোদনার বিকল্প পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ২০২৪-২০২৭ মেয়াদে ১১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। রপ্তানি প্রক্রিয়ায় অনুসরণ করা বিভিন্ন ধাপ এখানে (রপ্তানি নীতি) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাওয়া খাতের সম্ভাবনাময় নতুন কিছু পণ্য ও সেবা যেমন- সবজি এবং হস্ত ও কারু পণ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিশেষ উন্নয়নমূলক খাতে স্পিনিং, ফেব্রিক্স, ম্যানুফ্যাকচারিং, ডাইং, প্রিন্টিং অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ওষুধশিল্প ও মেডিকেল ইকুইপমেন্ট অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বর্ষ পণ্য হস্তশিল্পকে নতুনভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

সচিব বলেন, রপ্তানি নিষিদ্ধ পণ্য তালিকা এবং শর্তসাপেক্ষে রপ্তানি পণ্য তালিকা হালনাগাদ ও এইচএস কোডের হেডিংসহ উল্লেখ করা হয়েছে। রপ্তানি-সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন কমিটি ও রপ্তানি-সংক্রান্ত কারিগরি কমিটি গঠন ও কার্যপরিধি সন্নিবেশিত করা হয়েছে।

অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকারের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, রপ্তানি খাতের চাহিদা এবং বিশ্ববাণিজ্য পরিস্থিতি ও প্রেক্ষাপটের সঙ্গে সামঞ্জস্য নীতি প্রণয়নের লক্ষ্যে প্রতি তিন বছর অন্তর রপ্তানি নীতি প্রণয়ন করা হয়। বিদ্যমান রপ্তানি নীতি ২০২১-২০২৪-এর মেয়াদ আগামী ৩০ জুন শেষ হবে। এই ধারাবাহিকতায় রপ্তানি নীতি ২০২৪-২৭ এর খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে।


সাড়ে ৫ মাস পর হিলি দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
হিলি প্রতিনিধি

অবশেষে দীর্ঘ সাড়ে পাঁচ মাস পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে ভারতীয় একটি ট্রাকে ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে পেঁয়াজবোঝাই ভারতীয় একটি ট্রাক হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে আসে। হিলি স্থলবন্দরের মেসার্স আরএসবি ট্রেডার্স এসব পেঁয়াজ আমদানি করেছে।

পেঁয়াজ আমদানিকারক মেসার্স আরএসবি ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আহমেদ সরকার বলেন, ভারতের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা থাকায় দীর্ঘ সাড়ে ৫ মাস পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। তবে সেই নিষেধাজ্ঞা গত ৪ মে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়; কিন্তু এরপরও ৪০ শতাংশ শুল্ক থাকায় পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে আমদানিকারকরা চিন্তিত ছিলেন। তবে নানা জল্পনা-কল্পনা শেষে ১১ দিন পর মঙ্গলবার থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এসব পেঁয়াজ প্রতি মেট্রিক টন ৫৫০ ডলারে আমদানি করা হয়েছে। যদি আমদানি স্বাভাবিক থাকে তাহলে পেঁয়াজের দাম কোরবানি ঈদে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা নেই।


দেশে প্রবাসী আয়ে সুবাতাস বইছে

মে মাসের ১০ দিনে রেমিট্যান্স এল ৮১ কোটি ডলার
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে প্রবাসী আয়ে সুতাবাস বইছে। চলতি মে মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহের ধারা ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। এ মাসের প্রথম ১০ দিনে এসেছে ৮১ কোটি ৩৭ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। সে হিসাবে প্রতিদিন গড়ে এসেছে আট কোটি ১৩ লাখ ডলার, যা আগের তুলনায় বেশি বলে জানা গেছে।

আজ সোমবার প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিলে প্রতি দিনে দেশে এসেছিল ৬ কোটি ৮১ লাখ ২ লাখ ডলার। আর আগের বছরের (২০২৩ সাল) মে মাসে প্রতিদিন প্রবাসী আয় এসেছিল ৫ কোটি ৬৩ লাখ ৮৮ হাজার ৬৬৬ ডলার।

চলতি বছরের শুরু থেকে রেমিট্যান্সের পালে উচ্চগতির হাওয়া লাগতে শুরু করেছে। গত জানুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১১ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

ফেব্রুয়ারিতে আসে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার, মার্চে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ ৭০ হাজার ডলার এবং এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৩০ লাখ ৬০ হাজার ডলার এসেছে।

গত জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত প্রতি মাসের প্রথম ১০ দিনে ৭০ কোটি মার্কিন ডলারের আশেপাশে রেমিট্যান্স এসেছে। তবে এবার মে মাসের প্রথম ১০ দিনেই এসেছে সবচেয়ে বেশি।

আর বৈদেশিক আয় দেশে আনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে আছে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো।

বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৭১ কোটি ৫১ লাখ ৩০ হাজার ডলার, রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৯ কোটি ৩৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১৮ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৮ লাখ ৪০ হাজার ডলার।

ব্যাংকগুলোর মধ্যে প্রথম ১০ দিনে একক ব্যাংক হিসাবে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে
ন্যাশনাল ব্যাংক।

ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ২৭ কোটি ২৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার, ন্যাশনাল ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে আট কোটি ২৬ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

এ ছাড়া জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ছয় কোটি ৫২ লাখ ৩০ হাজার ডলার। সিটি ব্যাংকের মাধ্যমে তিন কোটি ৮৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার এবং সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের তিন কোটি ২৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার এসেছে।


‘দক্ষ নারীকর্মীদের বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা হবে’

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ নারীকর্মী তৈরির মাধ্যমে বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরিতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক মন্ত্রণালয় আরও বেশি উদ্যোগী হবে।

প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর অফিস কক্ষে আজ সোমবার বিকেলে উইমেন্স ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নেতারা প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এলে তিনি এসব কথা জানান।

এ সময় সার্ক বিজনেস কাউন্সিল এবং ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট মানতাশা আহমেদের নেতৃত্বে অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষাৎকালে জাতীয় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের নারীদের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। বিশেষ করে ফ্যাশন ও এসএমই সেক্টরে নারীকর্মীদের বিদেশে কর্মসংস্থান এবং জাতীয় বাজেটে নারীবান্ধব নীতিমালার প্রতিফলন ইত্যাদি বিষয়েও আলোচনা হয়। বিজ্ঞপ্তি


বিমায় ভর করে ঊর্ধ্বমুখী শেয়ারবাজার

তালিকাভুক্ত ৫৮ বিমা কোম্পানির মধ্যে ৪৭টিরই দাম বেড়েছে
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

একদিনে যতটা বাড়া সম্ভব চারটি কোম্পানির শেয়ার দাম ততটাই বেড়েছে। আরও ৮টির শেয়ার দাম বেড়েছে ৫ শতাংশের ওপরে। এর মধ্যে ৮ শতাংশের বেশি দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে দুটি প্রতিষ্ঠান। এ চিত্র দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের। তালিকাভুক্ত ৫৮টি বিমা কোম্পানির মধ্যে ৪৭টিই দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার শেয়ারবাজারে বিমা কোম্পানিগুলোর শেয়ার দাম বাড়ার ক্ষেত্রে এমন দাপট দেখানোর ফলে সার্বিক শেয়ারবাজারেও ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ফলে টানা তিন কার্যদিবসের পতন কেটে ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলেছে। সবকটি মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেনের গতি।

প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৫০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়লেও বিমা খাত যতটা দাপট দেখিয়েছে আর কোনো খাত এতটা দাপট দেখাতে পারেনি। বিমা খাতের ৮১ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেড়েছে। ফলে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে পৌনে এক শতাংশ।

অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে তার থেকে বেশি। তবে এ বাজারটিতেও দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখিয়েছে বিমা খাত। ফলে বেড়েছে সবকটি মূল্যসূচক। মূল্যসূচক বাড়লেও সিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কমেছে।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১৯৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ১৫৯টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৩৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দাম বাড়ার তালিকায় থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১২টির দাম একদিনে যতটা বাড়া সম্ভব ততটাই বেড়েছে। এর মধ্যে বিমা কোম্পানি রয়েছে ৪টি।

দাম বাড়ার ক্ষেত্রে বিমা কোম্পানির এমন দাপটের ফলে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৩৫ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৬৯৬ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৭ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২৫০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১১ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ২৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

এদিকে ডিএসইতে লেনদেন বেড়ে হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি চলে এসেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৯৮৫ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৯১১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ৭৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা।

এ লেনদেনে সব থেকে বেশি অবদান রেখেছে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিসের শেয়ার। কোম্পানিটির ৪৭ কোটি ৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেস্ট হোল্ডিংয়ের ৪৬ কোটি ২৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৩৮ কোটি ৫২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে নাভানা ফার্মা। এ ছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে-গোল্ডেন সন, ফরইস্ট নিটিং, ই-জেনারেশন, মালেক স্পিনিং, ওয়াইম্যাক্স ইলেকট্রোড, লাভেলো আইসক্রিম এবং কহিনুর কেমিক্যালস।

অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৯৭ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন অংশ নেওয়া ২৩২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯৮টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১০১টির এবং ৩৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৫৭ কোটি ৯১ লাখ টাকা।


বাংলাদেশে কোরিয়ান বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহ্বান বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাণিজ্য ডেস্ক

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, দক্ষিণ কোরিয়া আমাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার। বিশেষত বস্ত্র ও পোশাক খাতে কোরিয়ান কোম্পানিগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং বস্ত্র ও পাট খাতে বাংলাদেশে কোরিয়ান বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহ্বান জানান তিনি। বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক রোববার সচিবালয়ে সাক্ষাৎকালে তিনি এ আহ্বান জানান। এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ, অতিরিক্ত সচিব তসলিমা কানিজ নাহিদা, বস্ত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. নুরুজ্জামান জেডিপিসির নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন, ঢাকার দক্ষিণ কোরিয়ান দূতাবাসের কনসাল জেয়ং কি কিম উপস্থিত ছিলেন। সাক্ষাৎকারে উভয়পক্ষ দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সহযোগিতা বাড়ানোর ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন।

মন্ত্রী বস্ত্র খাতে বাংলাদেশিদের প্রশিক্ষণের সুযোগ প্রদান এবং উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কোরিয়ার আধুনিক যন্ত্রপাতি প্রদানের অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, সামনের দিনগুলোতে আমরা বস্ত্র ও পাট খাতে বাজারের বৈচিত্র্য বাড়ানো, পণ্য উন্নয়ন, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ইত্যাদিতে জোর দিচ্ছি। দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করা হবে বলে জানান। তিনি বলেন, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আরও বৃদ্ধির জন্য আমরা কোরিয়ান কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে উদ্বুদ্ধ করছি। দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত তিনটি বিষয়ে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং এ ব্যাপারে সহযোগিতা কামনা করেন। এগুলো হলো- প্রথমত কাঁচামাল আমদানি করতে প্রচুর ট্যারিফ দিতে হয়। তার মধ্যে ৫টি পণ্য বস্ত্র ও পোশাক খাতের সঙ্গে সম্পর্কিত। এগুলোর ট্যারিফ কমাতে তিনি মন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন। দ্বিতীয়ত ভিসাজনিত সমস্যা। বাংলাদেশে যারা কাজ করছে তাদের খুব স্বল্প সময়ের জন্য ভিসা দেওয়া হয়। তিন মাস পরপর মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করতে হয়। এ সমস্যা উত্তরণে মন্ত্রীর সহযোগিতা দরকার। তৃতীয়ত কাস্টমস ক্লিয়ারিং এ দীর্ঘসূত্রতা এড়াতে রাষ্ট্রদূত মন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন। বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এসব সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করবেন বলে রাষ্ট্রদূতকে আশ্বস্ত করেন।


banner close