শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪

যেভাবেই হোক, ডলারকে স্থিতিশীল রাখতে হবে

ইকবাল আহমেদ।
রাজিউল হাসান
প্রকাশিত
রাজিউল হাসান
প্রকাশিত : ১ অক্টোবর, ২০২২ ০৭:৪৯

বাংলাদেশের সিলেটের সন্তান ইকবাল আহমেদ ওবিই ডিবিএ এখন যুক্তরাজ্যের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের একজন। বাংলাদেশ থেকে চিংড়ি রপ্তানিতে শীর্ষে তিনি। একসঙ্গে যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশে কাজ করে চলেছেন, অবদান রাখছেন অর্থনীতিকে শক্তিশালী করায়। সম্প্রতি তিনি দৈনিক বাংলার মুখোমুখি হয়েছিলেন। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন দৈনিক বাংলার সহকারী বার্তা সম্পাদক রাজিউল হাসান।

দৈনিক বাংলা: করোনা মহামারির ধাক্কার মধ্যেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়েছে। দুই ধাক্কায় বৈশ্বিক অর্থনীতি বিপর্যস্ত। এর সঙ্গে সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে যোগ হয়েছিল রাজনৈতিক টানাপোড়েন। ব্রেক্সিটের ধাক্কা তো আছেই। সব মিলিয়ে যুক্তরাজ্যে এখন ব্যবসায়িক অবস্থা কেমন যাচ্ছে?

ইকবাল আহমেদ: যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের জন্য প্রথম ধাক্কা ব্রেক্সিট। আমরা তো ইউরোপীয় ইউনিয়নের পুরো অংশকে এক ভূখণ্ড ভাবতাম। আমরা যুক্তরাজ্য থেকে এসব দেশে পণ্য রপ্তানি না, সরবরাহ করতাম। শুল্কমুক্ত এই বাজারের ‍সুবিশালতার জন্য ইউরোপে অনেক ব্যবসাই সফল হয়েছে। কিন্তু ব্রেক্সিট ভয়াবহ ধাক্কা দিল। আমাদের পণ্যে আবগারি শুল্ক, মাশুল যোগ হলো। ফলে পণ্যের দাম বেড়ে গেল। মুখ থুবড়ে পড়ল অনেক ব্যবসা।

এই ধাক্কার মধ্যেই এল করোনা মহামারি। সব বন্ধ হয়ে গেল। তবে এ সময়ে অনলাইন বাজারটা বড় হলো। করোনার ধাক্কা সামাল দিতে যুক্তরাজ্যের সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। ফলে অনেক ব্যবসা রক্ষা পেয়েছে। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আমাদের সরবরাহ ব্যবস্থায় প্রভাব ফেলেছে। আমদানি ব্যয় বেড়ে গেছে। ব্যবসা সংকুচিত হচ্ছে।

দৈনিক বাংলা: অনেক বিশেষজ্ঞ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শীত পর্যন্ত বা তার বেশি সময় দীর্ঘায়িত হবে। এতে বৈশ্বিক সংকট আরও ভয়াবহ হবে। এই সংকট মোকাবিলায় যুক্তরাজ্যে কোনো প্রস্তুতি শুরু হয়েছে কি? সরকার কী ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছে?

ইকবাল আহমেদ: যুদ্ধের কারণে বিশ্বের সব দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। জ্বালানির দাম বেড়ে যাচ্ছে, তার প্রভাব পড়ছে নিত্যপণ্যে। কাজেই এই যুদ্ধ যত দীর্ঘায়িত হবে, অর্থনৈতিক বিপর্যয় তত বড় হবে। এই অবস্থায় ব্যবসা-বাণিজ্য অত্যন্ত ঝুঁকিতে রয়েছে। অবশ্য যুক্তরাজ্যের সরকার ব্যবস্থাও নিচ্ছে। সম্প্রতি ৪৫ বিলিয়ন পাউন্ডের প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন নতুন অর্থমন্ত্রী, যাকে মিনিবাজেট বলা হচ্ছে। এই প্যাকেজে যুক্তরাজ্যের ব্যবসাগুলোকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।

দৈনিক বাংলা: আপনার প্রতিষ্ঠান সিমার্ক পিএলসি বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন বাজার থেকে মাছসহ অন্যান্য খাদ্যপণ্য যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের বাজারে সরবরাহ করে। কী ধরনের পণ্য আপনি আমদানি ও রপ্তানি করেন?

ইকবাল আহমেদ: চিংড়ি রপ্তানি করে আমরা স্বর্ণপদক, রৌপ্যপদকসহ অনেক স্বীকৃতি পেয়েছি। বাংলাদেশ থেকে আমরাই চিংড়ির সবচেয়ে বড় রপ্তানিকারক। ইউরোপের বাজারে প্রক্রিয়াজাতকৃত চিংড়ি সরবরাহ করি। ইউরোপের ট্যুরিস্ট ডেস্টিনেশনগুলো, এয়ারলাইন, রেস্তোরাঁসহ অনেকেই আমাদের গ্রাহক। বাংলাদেশ থেকে চিংড়ি ছাড়াও আমরা সবজিসহ আরও কিছু জিনিস রপ্তানি করি। ইউরোপের দেশগুলোসহ বিশ্বের ৭০টি দেশে পণ্য রপ্তানি করি আমরা।

ইউরোপের বাজারে আমরা কেবল মাছ আর হিমায়িত সবজিই সরবরাহ করি না। আমরা শিঙাড়া, সমুচা, পরোটা, ড্রাইকেকসহ নানা ধরনের স্ন্যাকসও বাংলাদেশ থেকে আমদানি করে সরবরাহ করি। ওয়ালমার্টের মতো প্রতিষ্ঠান আমাদের পণ্যের গ্রাহক।

বাংলাদেশ ছাড়াও অনেক দেশ থেকে আমরা পণ্য আমদানি করি। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, চীন, ভারত, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনামসহ অনেক দেশ। যেমন ব্রাজিল থেকে আমরা পোল্ট্রি আমদানি করে ইংল্যান্ডে নিজেদের কারখানায় প্রক্রিয়াজাত করি। এর বাইরে যুক্তরাজ্যে আমাদের আরও কিছু ব্যবসা রয়েছে। যেমন আবাসন ব্যবসা, বাণিজ্যিক ও আবাসিক ভবন ভাড়া ইত্যাদি। আমাদের হসপিটালিটি ডিভিশনের আওতায় হোটেল, রেস্তোরাঁ পরিচালিত হয়।

দৈনিক বাংলা: বিভিন্ন দেশ থেকে, বিশেষত বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে বৈশ্বিক চলমান অস্থিরতার কোনো প্রভাব পড়েছে কি?

ইকবাল আহমেদ: আমরা ডলারে পণ্য আমদানি করি। ডলারের বিপরীতে পাউন্ড দিনে দিনে দুর্বল হচ্ছে। এতে আমাদের আমদানি খরচ বেড়ে যাচ্ছে। ফলে পণ্যের দাম বাড়ছে। গ্রাহক বেশি দামে সে পণ্য কিনতে চাইছে না। ফলে ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। খুব সহজ হিসাব এটা। এই অস্থিরতা যত দিন গড়াবে, তত বাড়বে। এভাবে চলতে থাকলে যুক্তরাজ্যেই অনেক ব্যবসা মুখ থুবড়ে পড়বে।

বাংলাদেশেও কিন্তু ডলারের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব প্রকট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আপাতদৃশ্যে মনে হচ্ছে, রপ্তানিকারকরা ডলারের দাম বাড়ায় লাভবান হচ্ছেন। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারেও তো পণ্যের দাম বাড়ছে। আমদানিকারকরা বেশি দামে পণ্য কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। সে ক্ষেত্রে দেশের বাজারে পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে। তা ছাড়া বাংলাদেশে রপ্তানির চেয়ে আমদানি বেশি।

দৈনিক বাংলা: তাহলে এই পরিস্থিতির সমাধান কী?

ইকবাল আহমেদ: আমি দুবাইয়ের উদাহরণ দিতে পারি। তারা আর যা-ই হোক, ডলারের বিপরীতে তাদের মুদ্রার অবনমন ঠেকিয়ে রেখেছে। ফলে বৈশ্বিক বাজারের অস্থিরতার প্রভাব তাদের ওখানে সেভাবে পড়েনি। কাজেই যেভাবেই হোক, ডলারকে স্থিতিশীল রাখতে হবে। তাহলে দেশীয় বাজার স্থিতিশীল রাখা সম্ভব হবে।

দৈনিক বাংলা: বাংলাদেশকে আরও ব্যবসাবান্ধব করতে হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে?

ইকবাল আহমেদ: বাংলাদেশ থেকে আমি চিংড়িসহ কিছু পণ্য আমদানি করি। গুণগতমানের উন্নয়ন ঘটানো গেলে আরও অনেক কিছু আমদানি করা যেত। বাংলাদেশে প্রচুর খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন হচ্ছে। কিন্তু সে তুলনায় গবেষণায় বিনিয়োগ কম। উৎপাদন কীভাবে হচ্ছে, সে ব্যাপারে নজরদারি কম। রাসায়নিক সার, কীটনাশক ব্যবহারে নজরদারি নেই। উদাহরণ দিই একটা। বাংলাদেশে কিন্তু প্রচুর আম হয়। কিন্তু সে আমের সিংহভাগ আমরা আমদানি করতে পারি না। আম কীভাবে উৎপাদন হচ্ছে, কীভাবে সংরক্ষণ হচ্ছে, তার কিন্তু নজরদারি নেই। ফলে আমের মান কেমন, সেটা নিশ্চিত করতে পারে না কেউ। এভাবে তো আর আমদানি হয় না। কাজেই উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি খাদ্যপণ্যের মানের দিকে নজর দিতে হবে।

বাংলাদেশের রপ্তানি খাত এখনো তৈরি পোশাকনির্ভর। এই খাত থেকেই সবচেয়ে বেশি রপ্তানি আয় আসে। এভাবে একটা খাতের ওপর এতটা নির্ভরশীল থাকা ঝুঁকিপূর্ণ। বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে যেকোনো মুহূর্তে এই খাতে ধস নামলে বা আয় কমে গেলে বিপদ ঘটতে পারে। কাজেই অন্য খাতকেও রপ্তানিমুখী করতে হবে। কৃষিপণ্য রপ্তানি বাড়াতে হবে। সরকারকেই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে হবে।

আরেকটা বিষয়। দেশে প্রচুর পরিমাণে বিনিয়োগ আনতে হবে। বিদেশি প্রতিষ্ঠান যত বেশি দেশে আসবে, তত কর্মসংস্থান হবে, দেশে রপ্তানিবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি হবে।

দৈনিক বাংলা: বাংলাদেশে এনআরবি ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন আপনি। এ দেশে ব্যাংক করার পরিকল্পনা এল কী করে? উদ্যোক্তাদের একজোট করলেন কীভাবে?

ইকবাল আহমেদ: আমি বিদেশে থাকলেও মনটা সবসময় বাংলাদেশে থাকে। এ কারণে দেশের জন্য সবসময় কিছু না কিছু করতে চেয়েছি আমি। তারই অংশ হিসেবে একসময় ব্যাংকের কথা মাথায় এল। এতে বহুমাত্রিক লাভ। প্রথমত, প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে বিনিয়োগ করার সুযোগ পাবেন, দ্বিতীয়ত, দেশে কর্মসংস্থান হবে, তৃতীয়ত, এই ব্যাংক সফল হলে দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে। এসব দিক বিবেচনায় আমি বাংলাদেশে এনআরবি ব্যাংক গড়ার পরিকল্পনা করি।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রয়াত অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত আমাকে অনেক উৎসাহ দিয়েছেন। নিজের আগ্রহ ও তাদের উৎসাহে আমি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, দুবাইসহ বিভিন্ন জায়গায় অবস্থানরত ৪৫ জন প্রবাসী বাংলাদেশি উদ্যোক্তাকে খুঁজে বের করি। এভাবেই আসলে শুরু।

আমি ব্যাংকটিকে আন্তর্জাতিক মানের ব্যাংক হিসেবে গড়তে চেয়েছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে পরিস্থিতি ও সময়ের জন্য পারিনি।

দৈনিক বাংলা: বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে জড়িত থাকার কারণে আপনি এখানকার অবস্থা সম্পর্কে অবগত। সেই অভিজ্ঞতা থেকে দেশের ব্যাংক খাতের সমস্যা ও সম্ভাবনাগুলো কী?

ইকবাল আহমেদ: বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের সম্ভাবনা প্রচুর। তবে নজরদারি বাড়াতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আরও বেশি সক্রিয় ও উদ্যোগী হতে হবে। যেসব ব্যাংক ভালো করছে না, সেগুলো চিহ্নিত করতে হবে। একটা ব্যাংক কতটা ভালো করবে অথবা কতটা লোকসানি হবে, তা নির্ভর করে আসলে পরিচালনা পর্ষদের নীতির ওপর। এখন ধরা যাক, একটা খারাপ লোককে জেনেশুনে ঋণ দিয়ে দিল একটা ব্যাংক। সে ঋণখেলাপি হয়ে গেল। এ ক্ষেত্রে লোকসান তো গুনতেই হবে। শুধু তা-ই নয়, বিপুল পরিমাণ ঋণখেলাপি এক সময় রাষ্ট্রের অর্থনীতিতেও চাপ তৈরি করে।

কাজেই ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে কারা বসছেন, তাদের নীতি কী, এসব বিষয় পর্যালোচনা করতে হবে। কারণ ব্যাংক খাত যত শক্তিশালী হবে, অর্থনীতি তত জোর পাবে।

দৈনিক বাংলা: ব্যবসায়িক সাফল্যের জন্য ব্রিটিশ সরকার আপনাকে ওবিই ও ডিবিএ উপাধি দিয়েছে। এই উপাধিগুলো আসলে কী?

ইকবাল আহমেদ: ওবিই হচ্ছে অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এমপায়ার। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বিশেষ অবদান রাখার জন্য এই উপাধি দেয়া হয় যুক্তরাজ্যে। যুক্তরাজ্যের শীর্ষ রপ্তানিকারক হয়েছি আমি। পাশাপাশি আমি যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ছিলাম। এসব কারণে ব্রিটিশ সরকার ওই উপাধি আমাকে দিয়েছে।

আর ডিবিএ হলো ডক্টর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। শিক্ষা ও ব্যবসা খাতে অবদান রাখার জন্য এই ডিগ্রি দেয়া হয়।

আমি যে শুধু যুক্তরাজ্যে ব্যবসা খাতে অবদান রাখার জন্য পুরস্কৃত হয়েছি, তা কিন্তু নয়। বাংলাদেশ সরকারও আমাকে বেশ কয়েকবার সেরা রপ্তানিকারক হিসেবে পুরস্কৃত করেছে।

দৈনিক বাংলা: অতি সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ মারা গেলেন। বর্তমান রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে আপনার পরিচয় রয়েছে। এমনকি চট্টগ্রামে আপনার কারখানা উদ্বোধন করতে প্রিন্সেস অ্যান এসেছিলেন। এ বিষয়ে কিছু বলবেন কি?

ইকবাল আহমেদ: ব্রিটিশ রাজপরিবারের সঙ্গে আমার পরিচয় বেশ আগে থেকে। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে আমার বেশ কয়েকবার দেখা হয়েছে। রানির গার্ডেন পার্টিতে আমি পাঁচবার গিয়েছি। বর্তমান রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে আমার চারবার দেখা হয়েছে। আর প্রিন্সেস অ্যানের সঙ্গে তো অনেকবার হয়েছে। বর্তমান রাজার অর্গানাইজেশনের দুটি প্রকল্পে আমি সংশ্লিষ্ট। এর একটি ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের সহযোগিতা। এই প্রকল্পকে বলে মোজাইক। এতে আমি সক্রিয়ভাবে সংশ্লিষ্ট।

দৈনিক বাংলা: আপনি বেশ কিছু দাতব্য কাজেও জড়িত। সে কাজগুলো সম্পর্কে যদি বলতেন।

ইকবাল আহমেদ: আমি বিশেষ করে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে কাজ করি। সিলেটে আমি স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছি। আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয়ও গড়ার পরিকল্পনা আছে। এই বিশ্ববিদ্যালয় হবে রুরাল ইউনিভার্সিটি। প্রত্যন্ত এলাকার ছেলেমেয়েরা বিশ্বমানের পড়ালেখা করার সুযোগ পাবে। ইংল্যান্ডে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি স্কলারশিপের ব্যবস্থা করেছি। এ ছাড়া যুক্তরাজ্যে গৃহহীনদের মাথাগোঁজার ঠাঁই করে দেয়ার চেষ্টা করি আমি। বাংলাদেশ হার্ট ফাউন্ডেশন থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য খাতের যেখানে সুযোগ পেয়েছি, সেখানেই আর্থিকভাবে সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি।

দৈনিক বাংলা: এখন যারা উদ্যোক্তা হতে চান বা চেষ্টা করছেন, তাদের জন্য আপনার কী পরামর্শ?

ইকবাল আহমেদ: প্রথম কথা, পড়ালেখার কোনো বিকল্প নেই। আগে পড়ালেখা করতে হবে। তারপর কাজের মাধ্যমে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ছোট ও মাঝারি ধরনের প্রতিষ্ঠানে কাজ করলে বেশি ভালো। বড় প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে গেলে সবকিছু শেখা যায় না। একটা গণ্ডির মধ্যে থেকে কাজ করতে হয়। ছোট ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানে সবদিকের সব কাজের বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায়। অভিজ্ঞতা পরিপূর্ণ করে তারপর ব্যবসা শুরু করতে হবে। আরেকটা কথা, ব্যবসার ক্ষেত্রে সৃষ্টিশীল হতে হবে। বাংলাদেশে উদ্যোক্তা হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ এখন। এই সময়টাকে কাজে লাগাতে হবে।

দৈনিক বাংলা : সব উদ্যোক্তা প্রথম দফায়ই সফল হন না। বারবার চেষ্টার পরও বিফল হয়ে এক সময় হতাশ হয়ে পড়েন অনেকে। তাদের জন্য আপনার কী পরামর্শ?

ইকবাল আহমেদ: অনেক সময় অনেকের ক্ষেত্রে এমনটা হয়। এর জন্য কিছু বিষয় অন্যতম দায়ী। অনেকে আছেন, এক ব্যবসায় ভালো করতে না পেরে অন্য ব্যবসায় চলে যান। এভাবে সুইচ করতে থাকলে আপনি কোনো ব্যবসায়ই ভালো করতে পারবেন না। একটার পেছনে লেগে থাকতে হবে। যত ব্যর্থ হবেন, তত অভিজ্ঞতা হবে। আরেকটা কথা, যখন দেখা যাবে, কিছুতেই একা সফল হওয়া যাচ্ছে না, তখন অংশীদার জোগাড় করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বড় সুবিধা হলো, আমার মধ্যে যে চিন্তা, যে সৃজনশীলতা নেই, তা আমার অংশীদারের মধ্যে থাকতে পারে। কাজেই সাফল্যের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। একজন না পারলে, দুজন, দুজন না পারলে চারজনে মিলে উদ্যোগ নিতে হবে।

দৈনিক বাংলা: বাংলাদেশে আরও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে আর কী করতে হবে?

ইকবাল আহমেদ: সর্বপ্রথম তরুণ প্রজন্মকে ব্যবসায় আগ্রহী করতে হবে। চাকরির ওপর ব্যবসাকে জোর দিতে হবে। সরকারের দিক থেকেই এই বার্তাটা আসতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংককে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টিতে জোরালো অবস্থান নিতে হবে। প্রশিক্ষণ, লাইসেন্স, ব্যাংক ঋণসহ সবকিছু আরও সহজ করতে হবে। ব্যাংক যদি আমাদের ঋণ না দিত, তাহলে আজ যতটুকুই এসেছি, তা কী আসতে পারতাম? কাজেই ব্যাংক খাতকে এখানে জোরালো অবস্থান নিতে হবে।

দৈনিক বাংলা: আপনাকে ধন্যবাদ।

ইকবাল আহমেদ: আপনাকেও ধন্যবাদ।


সিআইপি হচ্ছেন ১৮৪ ব্যবসায়ী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রপ্তানি বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৮৪ ব্যবসায়ীকে বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা সিআইপি হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৪০ জনকে সিআইপি (রপ্তানি) এবং ৪৪ ব্যবসায়ী নেতাকে সিআইপি (ট্রেড) সম্মানে ভূষিত করা হবে। ২০২২ সালে রপ্তানিতে অবদানের জন্য তারা এই সম্মাননা পাচ্ছেন। রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল বৃহস্পতিবার বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু দেশের খ্যাতনামা রপ্তানিকারকদের সিআইপি (রপ্তানি ও টেড) কার্ড দেন।

রপ্তানি খাতে অবদানের জন্য এক বছর মেয়াদে সিআইপি (রপ্তানি) নির্বাচন করা হয়ে থাকে। তবে বর্তমানে নির্বাচিত সিআইপিরা পরবর্তী বছরের সিআইপি (রপ্তানি) ঘোষণার আগ পর্যন্ত সিআইপি (রপ্তানি) মর্যাদায় ভূষিত থাকবেন। সিআইপি (রপ্তানি) হিসেবে নির্বাচিত ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য প্রবেশ পাস ও গাড়ির স্টিকারপ্রাপ্তি, জাতীয় অনুষ্ঠান ও মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ, ব্যবসা সংক্রান্ত ভ্রমণে বিমান, রেলপথ, সড়ক ও জলপথে সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণে অগ্রাধিকার, ব্যবসায়িক কাজে বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে লেটার অব ইন্ট্রোডাকশন প্রাপ্তি, নির্বাচিত সিআইপি তার স্ত্রী, পুত্র, কন্যা ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে কেবিন প্রাপ্তির অগ্রাধিকার এবং বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ-২ ব্যবহারের সুবিধা পেয়ে থাকেন। সরকারিভাবে প্রদত্ত সিআইপি কার্ডধারী বিদেশি ক্রেতার কাছে আস্থা ও সুনামের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক গ্রহণযোগ্যতা তুলে ধরতে পারেন, যা তার ব্যবসায়িক সম্পর্ককে সুদৃঢ় করার পাশাপাশি দেশের সার্বিক রপ্তানি প্রসারে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।

পণ্য বা সেবার খাতওয়ারি মনোনীত সিআইপিদের (রপ্তানি ও ট্রেড) মধ্যে কাঁচাপাট ২, পাটজাত পণ্য ৪, চামড়াজাত দ্রব্য ৬, হিমায়িত খাদ্য ৪, তৈরি পোশাকে (ওভেন) ১৮ জন মনোনীত হয়েছেন। এ ছাড়া কৃষিজাত দ্রব্য ৫, অ্যাগ্রোপ্রসেসিং ৫, হালকা প্রকৌশলী পণ্য ৪, ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য ৩, হস্তশিল্পজাত পণ্য ৪, স্পেশালাইজড বা হোমটেক্সটাইল পণ্য ৪, তৈরি পোশাক (নিটওয়্যার) ৩৪, সিরামিক পণ্য ১, প্লাস্টিকজাত পণ্য ৪, টেক্সটাইল (ফেব্রিক্স) ৭, কম্পিউটার সফটওয়্যার ২, আসবাব ১, বিবিধ পণ্য ২৭ ও ইপিজেডভুক্ত সি ক্যাটাগরিতে ৫ জন সিআইপি হয়েছেন। একই সঙ্গে ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যে সিআইপি (ট্রেড ক্যাটাগরি) মনোনীত হয়েছেন ৪৪ জন। সিআইপি কার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান।


বিশ্বে রেমিট্যান্সপ্রাপ্তিতে বাংলাদেশ অষ্টম, অভিবাসী পাঠানোয় ষষ্ঠ

১১১ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়ে শীর্ষে ভারত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাণিজ্য ডেস্ক

রেমিট্যান্সপ্রাপ্তির দিক থেকে ভারতের অবস্থান বিশ্বে প্রথম। তালিকায় বাংলাদেশ অষ্টম ও পাকিস্তান ষষ্ঠ। রেমিট্যান্স প্রবাহে দক্ষিণ এশিয়ার এই তিনটি দেশ আছে শীর্ষ দশে।

ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড মাইগ্রেশন রিপোর্টে এ তথ্য উঠে এসেছে। ২০২২ সালের তথ্যের ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে রেমিট্যান্স পাওয়ার দিক থেকে শীর্ষ পাঁচ দেশ ছিল ভারত, মেক্সিকো, চীন, ফিলিপাইন ও ফ্রান্স। আলোচ্য বছরে ১১১ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে ভারত। জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা জানিয়েছে, বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ১০০ বিলিয়ন ও ১১১ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে ভারত।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১১১.২২ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়ে বাকিদের চেয়ে অনেক এগিয়ে রয়েছে ভারত। প্রথম দেশ হিসেবে ১০০ বিলিয়ন ও ১১১ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অর্জন করেছে দেশটি।

২০২২ সালে ৬১.১০ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়ে এ তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মেক্সিকো। ২০২১ সালেও দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল দেশটি। রেমিট্যান্স গ্রহণে দীর্ঘদিন দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রেখেছিল চীন। কিন্তু ২০২১ সালে চীনকে পেছনে ঠেলে দিয়ে দুইয়ে উঠে আসে মেক্সিকো।

প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে, ২০১০, ২০১৫ ও ২০২০ সালে যথাক্রমে ৫৩.৪৮ বিলিয়ন ডলার, ৬৮.৯১ বিলিয়ন ডলার ও ৮৩.১৫ বিলিয়ন ডলার পেয়ে রেমিট্যান্সপ্রাপ্তিতে প্রথম অবস্থানে ছিল ভারত। ২০২২ সালে রেমিট্যান্স গ্রহণে প্রথম ১০০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করে দেশটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়া থেকে বিপুলসংখ্যক প্রবাসী কর্মী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজ করতে যায়। তাদের সুবাদে এ অঞ্চল বৈশ্বিক রেমিট্যান্সের উল্লেখযোগ্য অংশ পেয়ে থাকে।

দক্ষিণ এশিয়ার তিন দেশ- ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ রেমিট্যান্স প্রাপ্তিতে শীর্ষ দশ দেশের তালিকায় রয়েছে।

২০২২ সালে রেমিট্যান্সপ্রাপ্তিতে যথাক্রমে ষষ্ঠ ও অষ্টম অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ। এ বছর পাকিস্তান প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলার ও বাংলাদেশ ২১.৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে। এর আগে ২০২০ সালেও বাংলাদেশ ২১.৭৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়ে এ তালিকায় একই অবস্থানে ছিল।

আইওএমের প্রতিবেদনে অনুযায়ী, ২০১০ সালে বাংলাদেশ ১০.৮৫ বিলিয়ন ডলার ও ২০১৫ সালে ১৫.৩০ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছিল। সেই হিসাবে ১২ বছরে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে প্রায় ১০.৬৫ বিলিয়ন ডলার।

২০২২ সালে রেমিট্যান্স গ্রহণে তৃতীয় অবস্থানে থাকা চীন ৫১ বিলিয়ন ডলার, চতুর্থ অবস্থানে থাকা ফিলিপাইন ৩৮.০৫ বিলিয়ন ডলার এবং পঞ্চম অবস্থানে থাকা ফ্রান্স ৩০.০৪ বিলিয়ন ডলার পেয়েছে।

এ ছাড়া ২০২২ সালে রেমিট্যান্স প্রবাহে ষষ্ঠ অবস্থানে থাকা পাকিস্তান ২৯.৮৭ বিলিয়ন ডলার, সপ্তম অবস্থানে মিসর ২৮.৩৩ বিলিয়ন ডলার, অষ্টম অবস্থানে থাকা বাংলাদেশ ২১.৫ বিলিয়ন ডলার, নবম অবস্থানে থাকা নাইজেরিয়া ২০.১৩ বিলিয়ন ডলার এবং দশম অবস্থানে থাকা জার্মানি ১৯.২৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে।

অন্যদিকে ২০২২ সালে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ বছর দেশটি ৭৯.১৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে বিভিন্ন দেশে। রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে সৌদি আরব (৩৯.৩৫ বিলিয়ন ডলার), তৃতীয় অবস্থানে সুইজারল্যান্ড (৩১.৯১ বিলিয়ন ডলার), চতুর্থ অবস্থানে জার্মানি (২৫.৬০ বিলিয়ন ডলার) ও পঞ্চম অবস্থানে আছে চীন (১৮.২৬ বিলিয়ন ডলার)।

রেমিট্যান্সপ্রাপ্তিতে অষ্টম অবস্থানে থাকলেও অভিবাসী পাঠানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে ষষ্ঠ। অভিবাসী পাঠানোর ক্ষেত্রে শীর্ষ পাঁচ দেশ হচ্ছে ভারত, মেক্সিকো, রাশিয়া, চীন ও সিরিয়া।

আইওএমের প্রতিবেদনে বলা হয়, রেমিট্যান্স বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ায় বহু মানুষের লাইফলাইন হলেও এসব দেশ থেকে যাওয়া অভিবাসী কর্মীরা অনেক ঝুঁকির মধ্যে কাজ করেন, আর্থিক শোষণের শিকার হন, অভিবাসন খরচের কারণে অতিরিক্ত আর্থিক দেনায় ডুবে যান। এ ছাড়া কর্মক্ষেত্রে নিপীড়নের শিকার হওয়ার পাশাপাশি তারা ‘জেনোফোবিয়া’রও (বিদেশিদের প্রতি ঘৃণার মনোভাব) শিকার হন।

আইওএমের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, উপসাগরীয় দেশগুলো অভিবাসী কর্মীদের বড় গন্তব্য। গালফ কোঅপারেশন কাউন্সিলভুক্ত (জিসিসি) দেশগুলোর মোট জনসংখ্যার বড় একটি অংশই অভিবাসী।

অধিকাংশ অভিবাসীই- যাদের বড় একটি অংশ বাংলাদেশ, ভারত, মিসর, ইথিওপিয়া ও কেনিয়া থেকে যান-নির্মাণ, হসপিটালিটি, নিরাপত্তা, গৃহকর্ম ও রিটেইল খাতে কাজ করেন।

প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী পাঠানোতেও বড় অবদান রাখছে এশিয়ার দেশগুলো। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী পাঠানোর তালিকায় শীর্ষে আছে চীন, দ্বিতীয় অবস্থানে ভারত। ২০২১ সালে চীন ও ভারত থেকে যথাক্রমে ১০ লাখ ও ৫ লাখ ৮ হাজার শিক্ষার্থী বাইরের দেশে পড়তে গেছেন।

আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের গন্তব্য হিসবে পছন্দের শীর্ষে আছে যুক্তরাষ্ট্র (৮ লাখ ৩৩ হাজারের বেশি)। এরপরই আছে যুক্তরাজ্য (প্রায় ৬ লাখ ১ হাজার), অস্ট্রেলিয়া (প্রায় ৩ লাখ ৭৮ হাজার), জার্মানি (৩ লাখ ৭৬ হজারের বেশি) ও কানাডা (প্রায় ৩ লাখ ১৮ হাজার)।


৬ জুন বাজেট ঘোষণা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী ৬ জুন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব সংসদে পেশ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ দিন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জাতীয় বাজেট উত্থাপন করবেন।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের জানান, ‘আগামী ৬ জুন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উত্থাপনের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজেট পেশের দিনক্ষণ ঠিক করে ইতোমধ্যে কর্মকর্তাদের দায়িত্ব বণ্টন করে দেওয়া হয়েছে।’

অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট হবে প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকার, যা হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ আকারের বাজেট। এবারের বাজেটে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পচ্ছে বলে ওই কর্মকর্তা জানান।


বাতিল হলো ঋণের ‘স্মার্ট’ সুদহার পদ্ধতি

নীতি সুদহার ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৮.৫ করল বাংলাদেশ ব্যাংক
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ব্যাংক ঋণের সুদহার নির্ধারণে সিক্স মান্থস মুভিং অ্যাভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল বা ‘স্মার্ট’ পদ্ধতি বাতিল করা হয়েছে। ফলে ঋণের সুদহার পুরোপুরি বাজারের ওপর চলে যাচ্ছে। অন্যদিকে নীতি সুদহার বা রেপো রেট ৫০ বেসিক পয়েন্ট বাড়ানো হয়েছে। এ সিদ্ধান্তের ফলেও ব্যাংক ঋণের সুদহার বাড়বে। গতকাল পৃথক দুই প্রজ্ঞাপনে এসব সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে ‘স্মার্ট’ পদ্ধতি বাতিল হলে ব্যাংক ঋণের সুদহার বাড়তেও পারে আবার কমতেও পারে। এটি একটি অনিশ্চিত বিষয়। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক গণমাধ্যমে বলেন, স্মার্ট সুদহার আর থাকছে না। ফলে বাজারে সুদহার কমলে গ্রাহক কম সুদে ঋণ পাবেন, আবার বাড়লে বেশি সুদে ঋণ নিতে হবে।

গত বছরের জুনে ব্যাংক ঋণের সুদহার নির্ধারণে ‘স্মার্ট’ পদ্ধতি চালু করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক; কিন্তু মাত্র ১১ মাসের মাথায় সে নীতি থেকে সরে আসা হয়েছে। এবার ঋণের সুদহার পুরোপুরি বাজারের ওপর ছেড়ে দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গতকাল জারিকৃত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এখন থেকে ব্যাংকগুলো চাহিদা ও জোগানের ভিত্তিতে ঋণের সুদহার নির্ধারণ করতে পারবে। সুদহার শতভাগ বাজারভিত্তিক করতে ‘স্মার্ট’ভিত্তিক সুদহার ব্যবস্থা প্রত্যাহার করা হলো।

এদিকে আরেক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নীতি সুদহার বা রেপো রেট ৫০ বেসিক পয়েন্ট বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন নীতি অনুযায়ী আজ থেকে রেপো রেট হবে ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ। প্রজ্ঞাপনে নীতি সুদের করিডরের ঊর্ধ্বসীমা এবং নিম্নসীমাও বাড়ানো হয়েছে।

এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, নীতি সুদহারের ঊর্ধ্বসীমা স্ট্যান্ডিং ল্যান্ডিং ফ্যাসিলিটির (এসএলএফ) ক্ষেত্রে সুদহার ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ১০ শতাংশে এবং নীতি সুদহার করিডরের নিম্নসীমা স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফ্যাসিলিটি (এসডিএফ) ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে ৫০ বেসিক পয়েন্ট বাড়িয়ে ৭ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ নিয়ে ২০২২ সালের মে মাস থেকে বেশ কয়েকবার নীতি সুদহার বাড়াল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মূলত মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরে থাকায় বাংলাদেশ ব্যাংক সংকোচনমূলক নীতি অনুসরণ করছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন সিদ্ধান্তের ফলে দেশে ব্যাংক ঋণের সুদহার আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত মাসে ব্যাংক ঋণের সর্বোচ্চ সুদহার ছিল ১৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ।

মূলত মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নীতি সুদহার বাড়ানো হয়। বিষয়টি হলো, কেন্দ্রীয় ব্যাংক যদি মনে করে, সমাজে অর্থের সরবরাহ বেশি এবং সে কারণে মূল্যস্ফীতির সূচক বাড়ছে, তাহলে অর্থপ্রবাহ কমাতে নীতি সুদহার বৃদ্ধি করে তারা। নীতি সুদহার বৃদ্ধির অর্থ হলো, ব্যাংকগুলোকে অতিরিক্ত সুদ দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ করতে হবে। ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের যে ঋণ দেয়, তার সুদহার বাড়ে। সাধারণত নীতি সুদহার বেশি থাকলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা ধার করতে নিরুৎসাহিত হয়।


আইএমএফের নির্বাহী বোর্ডের অনুমোদন পেলেই ঋণের তৃতীয় কিস্তি পাবে বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৮ মে, ২০২৪ ২১:৪৬
নিজস্ব প্রতিবেদক

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্বাহী বোর্ডের অনুমোদন পেলেই ঋণের তৃতীয় কিস্তি পাবে বাংলাদেশ। আজ বুধবার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকায় সফররত দাতা সংস্থাটির প্রতিনিধি দলের প্রধান ক্রিস পাপাগেওর্জিউ।

তিনি বলেন, আইএমএফের তৃতীয় কিস্তির ঋণ পেতে বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধি দল। এখন আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দাতা সংস্থাটির নির্বাহী বোর্ডের অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে। এরপর দ্বিতীয় পর্যালোচনা শেষে ৯৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের কিস্তির ছাড় দেওয়া হবে।

আইএমএফের ডেভেলপমেন্ট মাইক্রো ইকোনমিকস ডিভিশনের এই প্রধান বলেন, আইএমএফ-সমর্থিত কর্মসূচির আওতায় গুরুত্বপূর্ণ কাঠামোগত সংস্কার করেছে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে পেট্রোলিয়াম পণ্যের জন্য ফর্মুলাভিত্তিক জ্বালানি মূল্য সমন্বয় নীতি তারা বাস্তবায়ন করেছেন।

মূল্যস্ফীতিসহ নানা সমস্যা থাকা সত্ত্বেও বিনিময় হার পুনর্বিন্যাসে বাংলাদেশ ব্যাংক যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, সেগুলোকে স্বাগত জানিয়েছে আইএমএফ।

আইএমএফ প্রতিনিধি প্রধান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় স্থিতিস্থাপকতা আনতে পারলে সামষ্টিক অর্থনীতি ও রাজস্ব ঝুঁকি হ্রাসে সহায়ক হবে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করার বর্তমান চেষ্টা ও ব্যয় দক্ষতা বাড়াতে পারলে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা সহায়ক হবে। এতে ব্যক্তিগত মালিকানাধীনসহ বিভিন্ন খাত থেকে জলবায়ু অর্থায়ন পাওয়া যাবে।

অর্থপাচার নিয়ে আইএমএফ কথা না বললেও শুল্ক অব্যাহতির বিরুদ্ধে কথা বলে কেন, প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‌আইএমএফের একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি হচ্ছে অর্থপাচার নিয়ন্ত্রণ করা। যেসব কর্মসূচিতে ট্যাক্স বাড়ে, সেগুলোকে সমর্থন করা আমাদের লক্ষ্য। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে আমাদের বিভিন্ন কর্মসূচি আছে।

তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সঙ্গে কাজ করছি। আমরা সুশাসন শক্তিশালী করার কথা বলি। এই সুসাশনের মধ্যেই অর্থপাচারের সমস্যার সমাধান আছে।

মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় মানুষের কষ্ট হচ্ছে। এরপর কর বাড়ালে মানুষের সেই কষ্ট আরও বাড়বে কি না; জানতে চাইলে আইএমএফ প্রতিনিধি প্রধান বলেন, আমাদের কার্যক্রমের একটি বড় অংশ হচ্ছে সামাজিক নিরাপত্তা বাড়ানো। কাজেই আমাদের নীতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কী প্রভাব ফেলে, তা নিয়ে আমরা সতর্ক।


এক দিনেই ডলারের দাম বাড়ল ৭ টাকা

মার্কিন ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণে ‘ক্রলিং পেগ’ পদ্ধতি চালু করল কেন্দ্রীয় ব্যাংক
ফাইল ছবি।
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

মার্কিন ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণে ‘ক্রলিং পেগ’ পদ্ধতি চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আওতায় ডলারের মধ্যবর্তী একটি দাম নির্ধারণ করে ব্যাংকগুলোকে এই দরের আশপাশে স্বাধীনভাবে লেনদেন করতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মধ্যবর্তী এই দর নির্ধারণ করা হয়েছে ১১৭ টাকা। ডলারের অফিসিয়াল দাম ১১০ থেকে ১১৭ টাকায় উন্নীত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আজ বুধবার এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ দাম ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে এক দিনেই প্রতি ডলারের দাম বেড়েছে ৭ টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এখন থেকে ক্রলিং পেগ নামের নতুন পদ্ধতিতে ডলার কেনাবেচা হবে। এ পদ্ধতিতে ডলারের রেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১১৭ টাকা। কিন্তু গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ডলারের দাম ছিল ১১০ টাকা, যা ছিল অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাফেদা নির্ধারিত।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ডলারের রেট ১১৭ টাকা নির্ধারণ ক্রলিং পেগের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা গেলে ভালো। তবে এতে মূল্যস্ফীতি বাড়ার সম্ভাবনা অবশ্যই রয়েছে।

বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণের শর্ত হিসেবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার নমনীয় করার পরামর্শ দিয়ে আসছিল। আইএমএফের চাওয়া, বাংলাদেশ ব্যাংক যেন বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করার পথে এগোয়। একসময় কেন্দ্রীয় ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার দাম নির্ধারণ করে দিলেও সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ব্যাংকভিত্তিক দুটো সংগঠন ডলারের দাম ঠিক করে আসছিল। সর্বশেষ তারা ডলারের আনুষ্ঠানিক দর ১১০ টাকায় নির্ধারণ করেছিল।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন অনুসারে, আজ বুধবার থেকেই মার্কিন ডলারের ক্রয় ও বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ক্রলিং পেগ বিনিময় পদ্ধতি চালু হয়েছে। এ পদ্ধতিতে ডলারের জন্য ‘ক্রলিং পেগ মিড-রেট’ (সিপিএমআর) নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন থেকে আন্তব্যাংক ও গ্রাহকের সঙ্গে লেনদেনে তফসিলি ব্যাংকগুলো সিপিএমআরের আশপাশে মার্কিন ডলার ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ক্রলিং পেগ পদ্ধতিতে ডলারের দাম নির্দিষ্ট একটি সীমার মধ্যে ওঠানামা করে। নতুন পদ্ধতিতে অর্থনীতির বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে ডলারের দাম একটা সীমার মধ্যে বাড়বে বা কমবে। ফলে ডলারের দাম একবারে খুব বেশি বাড়তে পারবে না, আবার কমতেও পারবে না। বাংলাদেশ ব্যাংক উচ্চসীমা ও নিম্নসীমা নির্ধারণ না করে মধ্যবর্তী সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে। ব্যাংকগুলোকে ডলারের লেনদেনের ক্ষেত্রে এই দরের আশপাশে থাকতে বলা হয়েছে।

ডলারের বিনিময় হার পুরোপুরি বাজারভিত্তিক করার আগে এই পদ্ধতি চালুকে কার্যকরী একটি পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেন বেসরকারি একটি ব্যাংকের কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ব্যাংকগুলো এখন ১১৭ টাকার নিচে বা ওপরে ডলারের কেনাবেচা করতে পারবে। তবে এই দরের চেয়ে খুব বেশি কম বা বেশি দামে ডলারের লেনদেন করা যাবে না। প্রতিদিন কত দামে ডলার কেনাবেচা করছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সেটা জানিয়ে দিতে হবে। ক্রলিং পদ্ধতি চালুর ফলে চলমান ডলার-সংকট অনেকটা কেটে যাবে বলে মনে করেন এই ব্যাংকার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে পরামর্শ করে আমদানি ও রপ্তানি থেকে শুরু করে সাধারণ গ্রাহকের কাছে কত দরে ডলার কেনাবেচা করা হবে, তা ঠিক করত বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) এবং অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি)। এখন থেকে ডলারের দাম নির্ধারণে বাফেদা বা এবিবির কার্যত কোনো ভূমিকা থাকবে না বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি ক্রলিং পেগ পদ্ধতি চালুর কথা জানিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। কীভাবে এই পদ্ধতি চালু হবে, তা নিয়ে আইএমএফের শরণাপন্ন হয় বাংলাদেশ ব্যাংক। গত মার্চের মধ্যে এই পদ্ধতি চালু করার কথা বললেও মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে এসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ-সংক্রান্ত ঘোষণা দিল।


আইএমএফের তৃতীয় কিস্তি নিয়ে উদ্বেগ নেই: অর্থ প্রতিমন্ত্রী

সচিবালয় ঢাকায় সফররত আইএমএফ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বুধবার বৈঠক করেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৮ মে, ২০২৪ ১৯:৫৩
নিজস্ব প্রতিবেদক

অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেছেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) তৃতীয় কিস্তির ব্যাপারে কোনো উদ্বেগ নেই। আইএমএফ নতুন করে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, রাজস্ব আয় বাড়ানো, সুদহারের বিষয়টি নিয়ে পরামর্শ দিয়েছে। জলবায়ু ও দুর্যোগ মোকাবিলার পরামর্শ অনুসরণ করে চলতি বছরেই কাজ শুরু করবে সরকার।

আজ বুধবার সচিবালয় ঢাকায় সফররত আইএমএফ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী।

করের হার বা আওতা বাড়ানোর যে আলোচনা আছে তাতে মানুষের কষ্ট বাড়বে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শর্ত পূরণ করতে গিয়ে মানুষের জন্য ভোগান্তি হয় এমন কোনো পদক্ষেপ নেবে না বাংলাদেশ।’

অর্থসচিব খায়রুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘আইএমএফের ১০টি শর্তের মধ্যে বাংলাদেশ কেন একটি পূরণ করতে পারেনি তার সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে পেরেছে বাংলাদেশ। সবকিছু ঠিক থাকলে আসছে জুনে রিজার্ভে যোগ হতে পারে তৃতীয় কিস্তির টাকা।’

প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশ পক্ষ থেকে বলা হয়, রিজার্ভ ছাড়া যেহেতু শর্তের অন্যান্য দিক পূরণ করা হয়েছে, সেহেতু ঋণের তৃতীয় কিস্তি পাওয়া নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। যদি এই রিভিউ মিশনের মূল্যায়নের পরিপ্রেক্ষিতে তৃতীয় কিস্তি ছাড় করে আইএমএফ, তাহলে সেটির পরিমাণ সব মিলিয়ে ৬৮ কোটি ডলার হতে পারে। চলতি মে মাসের শেষ দিকে কিংবা আগামী জুনের শুরুতে তৃতীয় কিস্তির অর্থ ছাড় করতে পারে আইএমএফ।

জানা গেছে, আইএমএফের ঋণ কর্মসূচি শুরুর পর দুই কিস্তিতে ১০০ কোটি ডলারের বেশি পেয়েছে বাংলাদেশ। এবারের সফরে ঋণ পেতে বেধে দেওয়া শর্ত ও সংস্কার কতটা পূরণ হয়েছে সেই বিষয়গুলোই খতিয়ে দেখেছেন আইএমএফের বিশেষজ্ঞ দলটি। মোটা দাগে বাজেটের আকার, রাজস্ব আয়, যৌক্তিক ভর্তুকি নির্ধারণ ও নিট রিজার্ভ নিয়ে নতুন করে লক্ষ্যমাত্রা ও সুপারিশ দিয়েছে এই পূর্বমূল্যায়ন দল।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের জন্য অনুমোদন করা ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের শর্ত পূরণের অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে আইএমএফের প্রতিনিধি দল ঢাকায় তাদের মিশন পরিচালনা করছে। এরই মধ্যে দুই কিস্তিতে আইএমএফের ঋণের অর্থ পেয়েছে বাংলাদেশ। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ৪৪ কোটি ৭৮ লাখ ডলারের প্রথম কিস্তি ছাড় করা হয়। আর ডিসেম্বরে দ্বিতীয় কিস্তিতে ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ছাড় করে সংস্থাটি। প্রতিনিধি দলটি সরকারের অর্থ বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক শেষ করেছে।

প্রসঙ্গত, গত ২৪ এপ্রিল থেকে টানা ১৫ দিন আইএমএফ প্রতিনিধি দল সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করে। তার সারমর্ম নিয়ে অর্থ প্রতিমন্ত্রী সঙ্গে বুধবার বৈঠক করে সফররত প্রতিনিধি দলটি।


দেশে বাড়লো সোনার দাম

ভরিতে বেড়েছে ৪,৫০০টাকা
ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে প্রতি ভরি সোনার দাম সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৫০২ টাকা বাড়লো। আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

দাম বাড়ানোর ফলে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম হবে এক লাখ ১৫ হাজার ৪৫০ টাকা। যা আগামীকাল বুধবার থেকে কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৫০ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ১০ হাজার ২০১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৯৪ হাজার ৪৫৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা ৭৮ হাজার ৯০ টাকায় বিক্রি হবে।

সোনার দাম বাড়ানো হ‌লেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।

আজ মঙ্গলবার ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ১০ হাজার ৯৪৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ৫ হাজার ৮৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৯০ হাজার ৭৬৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা ৭৫ হাজার ৪৮৯ টাকায় বিক্রি হয়।


ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়ল ৬ হাজার কোটি টাকা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের পুঁজিবাজারে গত সপ্তাহে ইতিবাচক প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। ওই সপ্তাহে লেনদেন হওয়া চার কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসেই ঊর্ধ্বমুখী ছিল বাজার। দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বেড়েছে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম। এতে এক সপ্তাহেই ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৬ হাজার কোটি টাকা। পাশাপাশি সব মূল্য সূচকের বড় উত্থান হয়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের গতি। গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২২৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বেড়েছে। দাম কমেছে ১৩৩টির ও ১৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ার সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৫ হাজার ৭৯১ কোটি টাকা। যা গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৬ হাজার ২৩০ কোটি টাকা বা দশমিক ৮৯ শতাংশ।

এদিকে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৯৭ দশমিক ১৭ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ১৬৮ দশমিক ২১ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৯৬ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ১৭৭ দশমিক ৪০ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ।

প্রধান মূল্য সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক। গত সপ্তাহজুড়ে এ সূচক বেড়েছে ৩৩ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৬৯ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ১০ দশমিক শূন্য ৬ পয়েন্ট বা দশমিক ৫১ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ৪৭ দশমিক ৮১ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

আর ইসলামী শরিয়াহ্ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক গত সপ্তাহে বেড়েছে ১৫ দশমিক ১৬ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ২৫ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ২৯ দশমিক ২৯ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৩৫ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে সূচটি কমে ৩৫ দশমিক ৭৪ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৭৯ শতাংশ।

সবকটি মূল্য সূচক বাড়ার পাশাপাশি লেনদেনের গতিও বেড়েছে। সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৭০৫ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৫৫২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ১৫২ কোটি ৯৫ লাখ টাকা বা ২৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৮২৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয় ২ হাজার ৭৬৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা। সে হিসেবে মোট লেনদেন বেড়েছে ৫৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। মোট লেনদেন কম হারে বাড়ার কারণ গত সপ্তাহে এক কার্যদিবস কম লেনদেন হয়।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে মালেক স্পিনিংয়ের শেয়ার। কোম্পানিটির শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩৯ কোটি ১৬ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। প্রতিদিন গড়ে ৩৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ।

এ ছাড়া লেনদেনের শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে: লাভেলো আইসক্রিম, ওরিয়ন ইনফিউশন, আইটি কলসালট্যান্ট, সোনালী আঁশ, গোল্ডেন সন, স্যালভো কেমিক্যালস ও ওরিয়ন ফার্মা।


ট্যানারির ৪৩ শতাংশ শ্রমিক ন্যূনতম মজুরি পান না

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ট্যানারি শিল্পের কাজে নিয়োজিত ৪৩ শতাংশ শ্রমিক ন্যূনতম মজুরি পান না। এ তথ্য উঠে এসেছে এই শিল্প খাতটি নিয়ে করা এক গবেষণা প্রতিবেদনে। এ গবেষণায় অংশ নেওয়া অধিকাংশ শ্রমিক জানিয়েছেন, তাদের জন্য নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি কত? তা তারা জানেন না।

আজ শনিবার ‘ট্যানারি শিল্পে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ ও বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ’ বিষয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন ও এসব তথ্য তুলে ধরে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

এ সময় মূল্যস্ফীতিসহ নানা কারণে বর্তমানে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত খরচ অনেক বেড়েছে। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে ট্যানারি বা চামড়া খাতের শিল্পের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার ৭৭৬ টাকা হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করে সংস্থাটি। তবে ন্যূনতম মজুরি নিয়ে সিপিডির প্রস্তাবের বিষয়ে ট্যানারি শিল্পের মালিকরা বলছেন, এ প্রস্তাব বাস্তবায়ন তাদের পক্ষে সম্ভব নয়।

সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা, ট্যানারি মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সভাপতি শাহীন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান, ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল মালেক, অশি ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান এস এম মোরশেদ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরেন সিপিডির সিনিয়র গবেষক তামিম আহমেদ। এতে তিনি জানান, বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে ট্যানারি বা চামড়া খাতের একজন শ্রমিকের পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় খাবারের খরচ মাসে ২০ হাজার ৫৬৪ টাকা। আর খাদ্যবহির্ভূত খরচ ১২ হাজার ৯১৪ টাকা। প্রত্যেক শ্রমিক পরিবারের গড়ে সদস্যসংখ্যা ৪ দশমিক ৬ জন। এর মধ্যে উপার্জনক্ষম সদস্য ১ দশমিক ৫ জন। সেই হিসাবে শ্রমিকের মাসিক ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার ৭৭৬ টাকা হওয়া উচিত।

অনুষ্ঠানে সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘নানা সময়ে চামড়া খাতের পরিবেশ নিয়ে অনেক আলোচনা হয়। কিন্তু এ খাতের মজুরি নিয়ে আলোচনা কম হয়। সুতরাং মজুরি বাড়লে এই খাতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে মনে করি।’

ন্যূনতম মজুরি নিয়ে সিপিডির প্রস্তাবের বিষয়ে ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল মালেক বলেন, ‘সিপিডির প্রস্তাবটি তাদের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে মেলেনি। তবু সংস্থাটির প্রতিবেদনে এ খাতের সার্বিক অবস্থা উঠে এসেছে। আমরা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ২৫ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরির বিষয়ে একটি প্রস্তাবনা তৈরি করেছি। ইতোমধ্যে প্রস্তাবটি মালিকপক্ষ ও মজুরি বোর্ডের কাছে দেওয়া হয়েছে।’

বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদ বলেন, চামড়া খাতের বর্তমান পরিস্থিতিতে সিপিডির এমন প্রস্তাবনা কোনোভাবেই বাস্তবায়ন করা সম্ভব না। কারণ ডলারের দাম বাড়ার কারণে আগের তুলনায় উৎপাদন খরচ বেড়েছে। বিপরীতে রপ্তানিতে চামড়ার ইউনিট মূল্য কমেছে। তবে সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য একটি মজুরি নির্ধারণ করা হলে সেটি বিবেচনায় নেওয়ার চেষ্টা করবেন বলে জানান তিনি।

ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা বলেন, বোর্ডে আলোচনা করে দেখা হবে মজুরি কতটা বাড়ানো সম্ভব। যাতে শিল্পটিকে এবং শ্রমিকরাও বেঁচে থাকেন সেটি বিবেচনায় রেখে বাস্তবায়নযোগ্য একটি বেতন কাঠামো দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।

সিপিডির প্রস্তাবনায় ট্যানারি শ্রমিকদের জন্য মোট পাঁচটি গ্রেডে মজুরি প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে পঞ্চম গ্রেডের জন্য ২২ হাজার ৭৭৬ টাকা এবং প্রথম গ্রেডের জন্য ৩৯ হাজার ২৭০ টাকা ন্যূনতম মজুরি প্রস্তাব করেছে সংস্থাটি।


ঝুঁকিপূর্ণ মানুষের জন্য ৫ বিলিয়ন ডলারের এডিএফ গঠনে সম্মতি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দাতা সংস্থা ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এশীয় উন্নয়ন তহবিল-১৪ (এডিএফ)-এর এবং কারিগরি সহায়তা বিশেষ তহবিল-৮ (টিএএসএফ)-এর জন্য ৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিতে সম্মত হয়েছে। এডিবির ৫৭তম বার্ষিক সভায় এই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।

নিম্নলিখিত উন্নয়নশীল সদস্য দেশগুলো এডিএফ-১৪ থেকে অনুদানের প্রাথমিক প্রাপক- মাইক্রোনেশিয়ার ফেডারেটেড স্টেটস, কিরিবাটি, কিরগিজ প্রজাতন্ত্র, মালদ্বীপ, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ, নাউরু, সামোয়া, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, তাজিকিস্তান, টোঙ্গা, টুভালু ও ভানুয়াতু।

আফগানিস্তান ও মিয়ানমারের জনগণকে সহায়তা করার জন্য এবং বাংলাদেশে রূপান্তরমূলক প্রকল্পগুলোর জন্যও অনুদান পাওয়া যাবে। এ ছাড়া অনুদান পাবে ভুটান, কম্বোডিয়া, কুক দ্বীপপুঞ্জ, ফিজি, লাও পিপলস ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক, মঙ্গোলিয়া, নেপাল, নিউই, পাকিস্তান, পালাউ, পাপুয়া নিউ গিনি, শ্রীলঙ্কা, পূর্ব তিমুর এবং উজবেকিস্তান।

দরিদ্রতম ও সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ উন্নয়নশীল সদস্য দেশগুলোতে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এডিএফ হচ্ছে এডিবির সবচেয়ে বড় অনুদানের উৎস এবং প্রতি চার বছর পরপর তা পুনরায় পূরণ করা হয়। ২০২৫-২০২৮ সালের অনুদান কার্যক্রমকে সমর্থন করবে এডিএফ-১৪ তহবিল ১৩তম পুনঃপূরণ।

এডিএফ-১৪ পুনঃপূরণকৃত এডিএফ-১৩-তে প্রাপ্ত ৪ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের চেয়ে প্রায় ২২ শতাংশ বেশি এবং যোগ্য এডিবি সদস্যদের এডিএফ অনুদানের সবচেয়ে বেশি পরিমাণ সরবরাহ করবে।

টিএএসএফ-৮ অনুদান সরবরাহ করবে, যা প্রকল্পগুলো প্রস্তুত, সক্ষমতা তৈরি ও প্রযুক্তিগত বা নীতি পরামর্শ সরবরাহ করতে সহায়তা করে।

আজ শুক্রবার এডিবির প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়া বলেন, ‘আমাদের দরিদ্রতম ও সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সদস্যরা সাম্প্রতিক উন্নয়নের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে এবং জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ নিতে চাইছে। ফলে তাদের জন্য অনুদান আগের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’

তিনি বলেন, ‘এই অসাধারণ পুনঃপূরণ যাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তাদের জরুরি উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এডিবির সঙ্গে এডিএফ দাতাদের অব্যাহত অংশীদারত্বকে তুলে ধরে।’

এডিএফ-১৪ ক্ষুদ্র দ্বীপ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলোকে বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এবং ভঙ্গুর ও সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিতে থাকা দেশগুলোকে নিবেদিত সহায়তা করতে অগ্রাধিকার দেয়।

এডিএফ-১৪ জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন অব্যাহত রাখবে। এটি আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং আঞ্চলিক জনসাধারণের পণ্য এবং রূপান্তরমূলক লিঙ্গভিত্তিক কাজের ক্ষেত্রে বিস্তৃত সহায়তা কার্যক্রমে সক্ষম করবে। এটি তার সংকট প্রতিক্রিয়া শাখার মাধ্যমে জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত সহায়তাও সরবরাহ করবে।

আড়াই বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বা ৫১ শতাংশ পুনঃপূরণ দুটি নতুন দেশ- আর্মেনিয়া ও জর্জিয়াসহ দাতাদের অনুদানের মাধ্যমে অর্থায়ন করা হবে। এডিবি এডিএফে তার নেট আয় স্থানান্তরকে উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াবে। এডিএফ-১৩ তে মাত্র ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার থেকে এডিএফ-১৪ তে প্রায় ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করবে, যা ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি।

অবশিষ্ট শূন্য দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে আগের এডিএফ চক্র থেকে স্থানান্তর এবং তারল্য বিনিয়োগ থেকে আয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে। একইভাবে এডিএফ-১৪ মেয়াদে এডিবি ১৬ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার রেয়াতি ঋণ প্রদান করতে চায়, যা দীর্ঘ ঋণ পরিশোধের সময়ে খুব কম সুদের হার রয়েছে।

সব মিলিয়ে এডিবি প্রতি ১ ডলার দাতাদের অনুদানের বিপরীতে ৮ ডলারের বেশি অনুদান ও রেয়াতি ঋণ দিতে পারবে।

যেসব রাষ্ট্র এডিএফ-১৪ তে অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সেগুলো হলো- আর্মেনিয়া, অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া, কানাডা, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জর্জিয়া, জার্মানি হংকং, চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, জাপান, লুক্সেমবুর্গ, মালয়েশিয়া, নেদারল্যান্ডস, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, গণপ্রজাতন্ত্রী চীন, ফিলিপাইন, পর্তুগাল, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, তাইপেই, চীন, তুর্কিয়ে, যুক্তরাজ্য ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।


ফয়সাল খান সামিট করপোরেশনের নতুন এমডি

ফয়সাল খান। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাণিজ্য ডেস্ক

বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, এলএনজি অবকাঠামো ও জ্বালানি ট্রেডিং কোম্পানি সামিট করপোরেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে যোগ দিয়েছেন ফয়সাল খান। সামিট গ্রুপ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে।

ফয়সাল খান সামিট কমিউনিকেশনস লিমিটেড ও সামিট টাওয়ার্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান ফরিদ খানের বড় ছেলে। তিনি ২০১৭ সাল থেকে সামিট করপোরেশনের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে ছিলেন। ফয়সাল খান যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি কলেজ অব লন্ডন (ইউসিএল) থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক এবং লন্ডন বিজনেস স্কুল (এলবিএস) থেকে এমবিএ সম্পন্ন করেছেন। তিনি ২০০৭ সালে সামিট গ্রুপে যোগদান করেন।

গত এক দশকে ফয়সাল খান সামিটের ২০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র, এলএনজি ও এফএসআরইউ প্রকল্পের উন্নয়নে কাজ করেছেন। সিঙ্গাপুরের সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালের (এসপিআই) পরিচালক এবং সামিট গ্রুপের অধীনে থাকা সব কোম্পানির পরিচালকের দায়িত্বে আছেন তিনি। বর্তমানে ফয়সাল খান বাংলাদেশ ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিপ্পা) সভাপতি।

সামিট গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান বলেন, ‘ফয়সাল খান সামিট করপোরেশন এমডির দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। আমি অনেক খুশি যে আমাদের ছেলে-মেয়েরা ভালো ও সৎ মানুষ এবং চমৎকার ব্যবস্থাপক হিসেবে বেড়ে উঠেছে। কর্মক্ষেত্রে ফয়সাল আমার সঙ্গে ১৭ বছর ধরে আছে এবং এর আগে সে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছে। আর তাই এই পদের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে সে অবহিত। আমি নিশ্চিত তাঁর হাত ধরে সামিট আরও অনেক সামিটে (চূড়ায়) পৌঁছাবে।’

সামিট করপোরেশনের নবনিযুক্ত এমডি ফয়সাল খান বলেন, ‘আমি নিজেকে অত্যন্ত ভাগ্যবান মনে করি, কারণ আমি আমার চাচা ও সামিটের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খানের কাছ থেকে দিকনির্দেশনা পেয়েছি। তাঁর (আজিজ খান) পরামর্শ, জ্ঞান আর নিঃশর্ত সমর্থন আমার পেশাগত জীবনে ভূমিকা রেখেছে এবং আমার ব্যক্তিগত জীবনকেও প্রভাবিত করেছে। সামিটের পরিচালনা পর্ষদ, বিনিয়োগকারী, সরকার ও সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আমি বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের উন্নয়ন ও সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করতে চাই।’

সামিট গ্রুপ বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম অবকাঠামো উন্নয়কারী প্রতিষ্ঠান, যার অধীনে বিদ্যুৎ উৎপাদন, জ্বালানি, টেলিকমিউনিকেশনস, বন্দর ও আবাসন খাতের ব্যবসা আছে। সামিট করপোরেশন, সামিটের বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী ও জ্বালানি-সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর হোল্ডিং কোম্পানি।


দাম কমল এলপিজির

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২ মে, ২০২৪ ২১:৫৯
ইউএনবি

তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম কেজিতে ৪ টাকা ১ পয়সা কমিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকেই নতুন দাম কার্যকর হবে বলে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে বিইআরসি।

কেজিপ্রতি নতুন দর নির্ধারণ করা হয়েছে ১১৬ টাকা ৮ পয়সা। আগেই এর দাম ছিল ১২০ টাকা ১৮ পয়সা। ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম আগের ১ হাজার ৪৪২ টাকা থেকে ৪৯ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৩৯৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এলপিজি সিলিন্ডারের আকারের ভিত্তিতে সাড়ে ৫ কেজি থেকে ৪৫ কেজি পর্যন্ত এই মূল্যহারের ভোক্তা পর্যায়ে মূল্য সংশোধন করবে।

এ ছাড়া মোটরযানে ব্যবহৃত এলপিজি ভ্যারিয়েন্টে অটো গ্যাস-এর দাম আগের লিটারপ্রতি ৬৬ টাকা ২১ পয়সার পরিবর্তে ৬৩ টাকা ৯২ পয়সা করা হয়েছে।

রাষ্ট্রায়ত্ত এলপি গ্যাস কোম্পানির বাজারজাত করা এলপিজির দাম অপরিবর্তিত থাকবে। কারণ এটি স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত এই গ্যাসের বাজার শেয়ার ৫ শতাংশের কম।

আন্তর্জাতিক বাজারে এলপিজির দাম ক্রমহ্রাস হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দেশে দাম সমন্বয় করার সিদ্ধান্তটি এসেছে। বিশেষত যা সৌদি সিপি (চুক্তি মূল্য) বৃদ্ধির সঙ্গে যুক্ত। এটি প্রাথমিকভাবে মধ্য প্রাচ্য থেকে এলপিজি আমদানিকারী স্থানীয় অপারেটরদের জন্য একটি মানদণ্ড হিসাবে কাজ করে।


banner close