শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪

বর্তমান কমিশনের যুগোপযোগী পদক্ষেপ, বৈশ্বিক সংকটের প্রভাব পড়েনি পুঁজিবাজারে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড
৬ এপ্রিল, ২০২৪ ২২:৫৮
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ৬ এপ্রিল, ২০২৪ ২২:১০

অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বাধীন কমিশনের মেয়াদ চার বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে আগামী মে মাসে। এ চার বছরের মধ্যে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা এবং ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাবে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দাভাব সৃষ্টি হলেও বাংলাদেশের পুঁজিবাজার ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। এ জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির আরোপ করা ফ্লোর প্রাইসসহ বিভিন্ন যুগোপযোগী পদক্ষেপ নিয়ে পুরো মেয়াদজুড়েই সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে বিএসইসি। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারকে নিয়ন্ত্রণে অনন্য দৃষ্টি স্থাপন করেছে বর্তমান কমিশন। বাজারসংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এ কমিশনের যথাযথ পদক্ষেপ অব্যাহত না থাকলে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারত।

তাদের মতে, গত কয়েক বছর ধরে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে যতটুকু পড়েছে তা খুবই সামান্য। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও এ বাজারে ইতিবাচক রিটার্ন ছিল। পরবর্তীতে ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধের প্রভাবে জ্বালানিসহ বিভিন্ন সংকট তৈরি হলে আগে থেকেই এর নেতিবাচক প্রভাব বুঝতে পেরে ফ্লোর প্রাইস আরোপ করা হয়। এটি ছিল বাজারকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য কমিশনের সবচেয়ে বড় যুগোপযোগী পদক্ষেপ। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করে কমিশন পুরো সময়জুড়ে বাজার উন্নয়নে সংক্রিয় ছিল।

২০২০ সালের শুরু থেকে পুঁজিবাজারে ধারাবাহিক মন্দা পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। এর সঙ্গে যুক্ত হয় বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের আঘাত। ঠিক ওই সময় টালমাটাল পুঁজিবাজারকে সামাল দেওয়ার চ্যালেঞ্জ নিয়ে ১৭ মে বিএসইসির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। তার সঙ্গে কমিশনার হিসেবে বিএসইসিতে কাজে যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দীন আহমেদ, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন্স সিস্টেমস বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান ও সাবেক শিল্প সচিব আব্দুল হালিম। এ ছাড়া তৎকালীন আরেক কমিশনার হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন খোন্দকার কামালুজ্জামান। পরে তার মেয়াদ শেষ হওয়ায় নতুন কমিশনার হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের অধ্যাপক ড. রুমানা ইসলামকে নিয়োগ দেয় সরকার। এ চার কমিশনার নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির দায়িত্ব নিরলসভাবে চালিয়ে যাচ্ছে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।

বর্তমান কমিশনের অধীনে গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারগুলো

২০২০ সালে ১৭ মে নতুন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে করোনা পরিস্থিতিতে সরকার ঘোষিত লকডাউনে পুঁজিবাজার খোলা রাখার ব্যবস্থা নেওয়া হয়। একই সঙ্গে পুঁজিবাজারে সুশাসন ফেরাতে আইন সংস্কার ও অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। দুর্বল ও লোকসানে থাকা কোম্পানিতে স্বচ্ছতা আনতে প্রশাসক বসানো এবং ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ পরিবর্তন করা হয়। এ ছাড়া শেয়ারবাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য জিরো টলারেন্স নীতিতে অনেক কোম্পানির চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পরিচালকদের বিও হিসেবে থাকা শেয়ার স্থগিত করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে জব্দ করা হয়েছে অনেকের ব্যাংক হিসাবও। এর বাইরে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ন‌্যূনতম ২ শতাংশ এবং সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করা হয়।

ওই বছর এসবের পাশাপাশি বন্ড মার্কেটকে গতিশীল করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে বৈঠক করে কর সুবিধা বাড়ানো, রাষ্ট্রায়ত্তসহ সব বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের তাগিদ বৃদ্ধি করা, ব্যাংকের নগদ লভ্যাংশ সেপ্টেম্বরের আগে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে ফেরাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করা, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশকে (আইসিবি) শক্তিশালী করা, সুশাসন প্রতিষ্ঠায় করপোরেট গভর্ন্যান্স শক্তিশালী করা, জেড ক্যাটাগরি কোম্পানিগুলোর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, পুঁজিবাজারের জন্য ১৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠনের উদ্যোগ, ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বিভিন্ন ধরনের সভা (এজিএম, ইজিএম, পর্ষদ সভা) করার অনুমোদন, প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) প্রক্রিয়া সহজতর করা, ইউনিয়ন পর্যায়ে ও বিদেশে ব্রোকার হাউসের শাখা হিসেবে ‘ডিজিটাল বুথ’ খোলার অনুমোদন এবং পুঁজিবাজারকে ডিজিটালাইজড করতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।

২০২১ সালে পুঁজিবাজারের সুশাসন ফেরাতে বিভিন্ন আইন-কানুন সংস্কার ও অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ, সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ ও এককভাবে ন্যূনতম ২ শতাংশ শেয়ার ধারণ না থাকা কোম্পানিগুলোর ওপর কঠোরতা আরোপ, দুর্বল ও লোকসানি কোম্পানিতে স্বচ্ছতা আনতে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ পরিবর্তন, সুশাসন প্রতিষ্ঠায় দুর্বল কোম্পানির পরিচালকদের শেয়ার ও ব্যাংক হিসাব জব্দ, ২০ হাজার কোটি টাকার ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ) গঠন, আইপিওতে আসা কোম্পানির শেয়ার আনুপাতিক সমবণ্টন, স্বচ্ছতা নিশ্চিতে একাধিক আইপিও বাতিল করা, ওভার দ্য কাউন্টার মার্কেট (ওটিসি) বাতিল করে এসএমই প্ল্যাটফর্ম চালু করা, অল্টারনেটিভ প্ল্যাটফর্ম চালুর উদ্যোগ, পরিস্থিতি অনুকূলে আসায় ২০২০ সালে আরোপ করা ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার, ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ প্রদানের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ, লভ্যাংশ না দেওয়া ও নামমাত্র লভ্যাংশ দেওয়া কোম্পানিগুলোর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং তফসিলি ব্যাংকের শেয়ার বাজারে বিনিয়োগসীমা বৃদ্ধির মতো উদ্যোগ নেওয়া হয়।

এ ছাড়া ওই বছর বুকবিল্ডিংয়ের বিডিং প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বাড়ানোর উদ্যোগ, বিনিয়োগ বাড়াতে দেশে-বিদেশে ব্রোকার হাউসের শাখা হিসেবে ডিজিটাল বুথ স্থাপন, পুঁজিবাজারের ব্র্যান্ডিং ও বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন দেশে ‘রোড শো’-এর কার্যক্রম শুরু করা, বিএসইসিসহ স্টক এক্সচেঞ্জকে ডিজিটালাইজড করার উদ্যোগ, স্টক এক্সচেঞ্জে বন্ড-সুকুক-ট্রেজারি বন্ড চালুর উদ্যোগ, ব্রোকারেজ হাউসের সংখ্যা বাড়াতে নতুন ট্রেক ইস্যু করা, বাজার মধ্যস্থতাকারীদের কাজে উৎসাহ বাড়াতে পুরস্কার প্রদানের উদ্যোগ, স্বল্প মূলধনী কোম্পানিগুলোর পরিশোধিত মূলধন বাড়ানোর উদ্যোগ, মার্কেট মেকারের অনুমোদন, পাঠ্যপুস্তকে বিনিয়োগ শিক্ষার অন্তর্ভুক্তির উদ্যোগ এবং উভয় স্টক এক্সচেঞ্জকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

২০২২ সালে বিএসইসির গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলোর মধ্যে বৈশ্বিক সংকট বিবেচনায় পুনরায় ফ্লো প্রাইস আরোপ করা অন্যতম। বৈশ্বিক সংকটের কারণে পুঁজিবাজারে ধারাবাহিক পতন রোধে ওই বছরের ২৮ জুলাই দ্বিতীয় দফায় ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে শেয়ারের দাম কমানো ঠেকিয়ে রাখার উদ্যোগ নেয় বিএসইসি। এ ধরনের পদ্ধতি পৃথিবীর অন্য কোনো দেশের পুঁজিবাজারে না থাকলেও আমাদের সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে বহাল রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমা গণনার ক্ষেত্রে শেয়ারের বাজারমূল্যের পরিবর্তে ক্রয়মূল্যে নির্ধারণ করার সুপারিশ, দীর্ঘদিন বিভিন্ন কারণে উৎপাদন বন্ধ থাকা কোম্পানিগুলোকে পুনরায় উৎপাদনে ফেরানো, পুঁজিবাজার থেকে টাকা তুলে লাপাত্তা হওয়া সেগুলোকে ডি লিস্টিং করিয়ে বিনিয়োগকারীদের টাকা ফিরিয়ে দেওয়া, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণে বেশ কিছু আইন-কানুন, বিধিবিধান সংস্কার, কোম্পানিগুলোকে বোনাস লভ্যাংশের বদলে নগদ লভ্যাংশ দিতে অনুপ্রাণিত করা, পুঁজিবাজারে সরকারি সিকিউরিটিজের (ট্রেজারি বন্ড ও ডিবেঞ্চার) লেনদেন চালু, মিউচুয়াল ফান্ডগুলোকে শৃঙ্খলায় ফেরানো, বন্ড মার্কেটের উন্নয়ন, ইসলামি গ্রিন সুকুকের লেনদেন চালু এবং রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হয়।

ওই বছর এর বাইরে জাপানে ভার্চুয়ালি রোড শো আয়োজন করা, মার্কেট ইন্টারমিডিয়ারিদের কাজে উৎসাহ বাড়াতে স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী পুরস্কার- ২০২২ প্রদান, বাজেটে পুঁজিবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগ পুনর্বহাল রাখার সুপারিশ, এসএমই প্ল্যাটফর্মে বিনিয়োগ সহজ করা, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে (সিএসই) কমোডিটি এক্সচেঞ্জ গঠনে সহায়তা প্রদান, সিএসইর স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হিসেবে বসুন্ধরা গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এবিজিকে অনুমোদন প্রদান, এক্সচেঞ্জ ট্রেডেট ফান্ড (ইটিএফ) ও অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড (এটিবি) গঠনে আইনপ্রণয়ন, বিনিয়োগকারীদের প্রাপ্য লভ্যাংশ ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের (সিএমএসএফ) মাধ্যমে ফেরত প্রদান, চেক জমা দিয়েই শেয়ার কেনার সুযোগ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পুঁজিবাজার নিয়ে গুজব বা ভীতি ছড়ানো কমাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ, ব্যাংক ও বিমা কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ, দেশের জনগণকে বিনিয়োগ শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে মাধ্যমিকপর্যায় থেকে পাঠ্যপুস্তকে বিনিয়োগ শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ, শেয়ারহোল্ডারদের নগদ লভ্যাংশ প্রদানে উৎসাহিত করা ও বোনাস শেয়ার অনুমোদনের ক্ষেত্রে নীতিমালা পরিবর্তন, ফ্লোর প্রাইস বহাল রাখার কারণে স্তিমিত থাকা নতুন বিনিয়োগ পুঁজিবাজারে আনতে নগদ লভ্যাংশ বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্টে পাঠানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

২০২৩ সালে পুঁজিবাজারে বৈচিত্র্যময় পণ্য হিসেবে অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড (এটিবি) চালু করা, এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ) চালু করা, কমোডিটি ও ডেরিভিটিভস এক্সচেঞ্জ চালু করতে বিধিমালা তৈরি করে গেজেট প্রকাশ, বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করা ইউরোপের দেশগুলোতে রোড শো আয়োজন করা, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে তৃতীয় দফায় ফ্লো প্রাইস আরোপ করা, শেয়ার, ডিবেঞ্চার, করপোরেট বন্ড এবং মিউচুয়াল ফান্ডে ব্যাংকের বিনিয়োগকে পুঁজিবাজার এক্সপোজারের বাইরে রাখার সিদ্ধান্তে সুপারিশে প্রদান, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা তথা এসডিজি অর্জনে সহায়তার লক্ষ্যে শক্তিশালী বন্ড মার্কেট গঠনে ইউএনডিপি এবং ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশনসের (আইএফসি) সহায়তার গাইডলাইন তৈরির উদ্যোগ গ্রহণসহ সমঝোতা চুক্তি, নারীদের জন্য ‘অরেঞ্জ বন্ড’নামক এক বিশেষায়িত বন্ড তৈরির উদ্যোগ, বিনিয়োগকারীদের মার্জিন ঋণ প্রদানের সুবিধা বাড়াতে নীতি সয়হতা প্রদান এবং পুঁজিবাজারে মিউচুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগ সীমা বাড়ানো হয়।

এ ছাড়া ওই বছর ব্রোকারেজ হাউসগুলোতে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ও অর্থের হিসাব সংরক্ষণের জন্য পৃথক ব্যাক অফিস সফটওয়্যারের পরিবর্তে সমন্বিত ব্যাক অফিস সফটওয়্যার চালুর উদ্যোগ, পুঁজিবাজারে ইসলামিক শরিয়াভিত্তিক বিভিন্ন প্রকার সিকিউরিটিজ আনা এবং ইসলামিক ক্যাপিটাল মার্কেট গঠনের লক্ষ্যে শরিয়াহ অ্যাডভাইজারি কাউন্সিলের (এসএসি) অনুমোদন, আইওএসকোর এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওনাল কমিটির (এপিআরসি) সভা প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে আয়োজন করা, ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরের নির্দেশনা স্পষ্টীকরণ, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে পুঁজিবাজারে সতর্কতা বাড়ানোর উদ্যোগ, মুদ্রা বিনিময় হারের ঝুঁকি কমাতে পুঁজিবাজারে ‘ফরেক্স’ চালুর উদ্যোগ, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণে পুনরায় কঠোরতা আরোপ, আইন-পলিসি নির্ধারণ নিয়ে বিএসইসি ও আইএমএফের বৈঠক, ৪ ব্রোকারেজ হাউসে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের অর্থ প্রদান, পুঁজিবাজারে স্বতন্ত্র পরিচালকের কর্তৃত্ব নিয়ে নতুন নির্দেশনা জারি, বিভিন্ন কোম্পানি একীভূতকরণের সিদ্ধান্ত এবং বছরের শেষ দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে পুঁজিবাজারের সদস্য করা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার আগে উত্তরা ব্যাংকের (তৎকালীন ইস্টার্ন ব্যাংকিং করপোরেশন) ৪০টি শেয়ার তার যোগ্য উত্তরসূরির নিকট হস্তান্তর করা ২০২৩ সালের অন্যতম বড় অর্জন।

চলতি ২০২৪ সালে শুরুতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করে নেওয়া বিএসইসি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এ ছাড়া প্রথমবারের মতো সিএসইকে কমোডিটি এক্সচেঞ্জের সনদ প্রদান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী পালন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ৫ জন দৃষ্টি প্রতিবন্ধীকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি প্রদান, স্টক ব্রোকার এবং মার্চেন্ট ব্যাংকের গ্রাহকের (বিনিয়োগকারী) মার্জিন ঋণের পোর্টফোলিওতে পুনর্মূল্যায়নজনিত অনাদায়কৃত ক্ষতির বিপরীতে রক্ষিতব্য প্রভিশন সুবিধার মেয়াদ ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো, প্রায় ৫ বছর ধরে বন্ধ থাকা পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিসেস লিমিটেডের লেনদেন শুরুর সিদ্ধান্ত এবং অডিটর ও অডিট প্রতিষ্ঠান বিএসইসির তালিকাভুক্ত করার ক্ষেত্রে নীতিমালা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়।


ঈদুল আজহা: মসলা কিনতে পকেট শূন্য হচ্ছে নিম্ন-মধ্যবিত্তদের

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

কোরবানি ঈদ এলেই মসলার প্রয়োজন বেড়ে যায়। রান্নার জন্য পেঁয়াজ, রসুন, আদার মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সঙ্গে লাগে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে গরম মসলাও।

মসলার ক্রেতাদের জন্য এখন দুঃসংবাদ। বাজরে মসলার খরচ জোগাতে পকেট শূন্য হচ্ছে ক্রেতাদের।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে মসলার খবর নিয়ে দেখা গেছে, গত বছরের তুলনায় এবার প্রায় সব ধরনের মসলার দাম বাড়তি। শেষ কয়েকদিনের ব্যবধানেও দাম বেড়েছে আরেক দফা। এখন রাজধানীর বাজারে দেশি পেঁয়াজ দামের দিক থেকে শতক ছুঁইছুঁই করছে। কোথাও ছুঁয়েছেও। তবে মোটা দাগে খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা। যা এক সপ্তাহ আগে ৮০ টাকা আর একমাস আগে ৬০ টাকা ছিল।

একইভাবে গত একসপ্তাহে রসুনের দাম ২০ টাকা বেড়ে ২৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। তবে সবচেয়ে বড় লাফ দিয়েছে আদার দাম। ৮০ টাকা বেড়েছে কেজিপ্রতি। এখন বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ২৪০-২৫০ টাকা ছিল। এ ছাড়া অন্যান্য গরম মসলার দামও আকাশছোঁয়া।

এমন পরিস্থিতিতে ঈদের প্রয়োজনীয় এসব মসলা কিনতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। একেবারে নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তরা নিত্যপণ্যের দরে ঊর্ধ্বগতিতে নাজেহাল হয়ে পড়ছেন।

এদিকে, দাম বাড়ার জন্য ছোট ব্যবসায়ীরা দায় চাপাচ্ছেন আমদানিকারক ও পাইকারদের ওপর। আর আমদানিকারক ও পাইকাররা দাঁড় করাচ্ছেন বিশ্ববাজার, ডলারের দর, পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি ও রপ্তানিকারক দেশগুলোতে উৎপাদন কমে যাওয়াসহ নানা অজুহাত। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, রমজানের আগে যেমনি নিত্যপণ্যের দর বাড়ালেন কৌশলী ব্যবসায়ীরা তেমনি কোরবানির আগেও সেই পথেই হাঁটলেন তারা। সুযোগ নিলেন চাহিদা বাড়ার।

গরম মসলার বাজারে এ বছর সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে এলাচের। গত বছরের তুলনায় এখন মসলাটির দর প্রায় দ্বিগুণের কাছাকাছি। মানভেদে প্রতি কেজি এলাচ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৬শ থেকে ৪ হাজার ২শ টাকা। গত বছর এ দর ছিল ১ হাজার ৬শ থেকে ২ হাজার ৪শ টাকা। অর্থাৎ এখন ১০০ গ্রাম খোলা এলাচ কিনতে গুনতে হচ্ছে প্রায় ৪০০ টাকা।

জিরার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকা। খুচরা নিলে প্রতি ১০০ গ্রাম ১০০ টাকা রাখা হচ্ছে। গত বছর কোরবানির আগে জিরার কেজি কেনা গেছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায়।

প্রতি কেজি লবঙ্গের দাম ১ হাজার ৮০০ টাকা। ১০০ গ্রাম ২০০ টাকাও বিক্রি হচ্ছে। যা গত বছর ১৫০ টাকা ছিল। এ ছাড়া প্রতি ১০০ গ্রাম দারুচিনি ২০ টাকা বেড়ে ৫০ টাকা, লং ৪০ টাকা বেড়ে ২০০ টাকা, গোলমরিচ ১০০ টাকা, তেজপাতা ৩০ টাকা এবং কালো এলাচ ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

একইভাবে বেড়েছে শুকনো মরিচের দামও। প্রতি ১০০ গ্রাম শুকনো মরিচ ৫০ টাকা এবং কেজি ধরে কিনলে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতির দাম বেড়েছে প্রায় ১৫০ টাকা।

দাম বাড়ার এই পরিসংখ্যান উঠে এসেছে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজার দরের তথ্যেও।

সংস্থাটির বাজারদর অনুযায়ী, এক বছরে দেশি পেঁয়াজের দাম প্রায় ১০ শতাংশ, রসুনের দাম সর্বোচ্চ ৬৯, আদার ২৩, দারুচিনি ১৯, লবঙ্গ ১১, এলাচ ৮৭ ও তেজপাতার ৮৫ শতাংশ বেড়েছে। এক বছরে জিরার দর না বাড়লেও এক মাসে বেড়েছে প্রায় ৭ শতাংশ।

বাংলাদেশ পাইকারি গরম মসলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এনায়েত উল্লাহ বলেন, অন্যান্য মসলার দাম আমদানি খরচের হিসেবে তুলনামূলক বাড়েনি বরং কম রয়েছে। শুধু এলাচের দামটা একটু বেশি। কারণ বেশিরভাগ এলাচ আসে ভারত থেকে। সেখানে এবার গরমের কারণে উৎপাদন কম হয়েছে।

তিনি বলেন, এখন ডলারের দাম বেশি। বিশ্বব্যাপী মসলার দাম বেশি। মসলা আমদানিতে পরিবহন খরচ বেড়েছে। এসব কারণে দাম বেড়েছে। খুচরা বিক্রেতারা আবারও কিছুটা দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন। পাইকারিতে দাম তার চেয়ে কম। খুচরা ব্যবসায়রিা ২০, ৫০, ১০০ টাকার করে মসলা বিক্রি করেন, সেজন্য তারা দর কিছুটা বেশি নিচ্ছেন। তাদের ঘাটতি বেশি।


জুয়েলারি শিল্পের কারিগরি প্রশিক্ষণে অর্থায়ন করবে বিশ্বব্যাংক

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের জুয়েলারি শিল্পের কারিগরি দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অর্থায়ন করবে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংকের এল একসিলারেটিং অ্যান্ড স্ট্রেংদেনিং স্কিলস ফর ইকোনমিক ট্রান্সফরমেশন (অ্যাসেট) প্রজেক্টের আওতায় কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের সহযোগিতা প্রশিক্ষণ প্রদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এ উপলক্ষে বাজুস ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আজ বৃহস্পতিবার কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের এক অনুষ্ঠানে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন বাজুসের সাধারণ সম্পাদক বাদল চন্দ্র রায় এবং বিশ্ব ব্যাংকের অ্যাসেট প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ।

এ সময় বাজুসের সহ-সভাপতি গুলজার আহমেদ, মো. রিপনুল হাসান, মাসুদুর রহমান, উপদেষ্টা রুহুল আমিন রাসেল, কোষাধ্যক্ষ উত্তম বণিক, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে এই অ্যাসেট প্রজেক্ট। অ্যাসেট প্রজেক্টের অধীনে বাজুস ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে প্রাথমিক অবস্থায় জুয়েলারি শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৩০০ ব্যক্তিকে এই প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জুয়েলারি শিল্পে কারিগরি দক্ষতার মান বৃদ্ধি পাবে।

এই প্রজেক্টের আওতায় তিন মাস মেয়াদি প্রশিক্ষণে থাকছে জুয়েলারি ম্যানুফ্যাকচারিং, জুয়েলারি ডিজাইন, জুয়েলারি ডিজাইন ক্যাড অপারেশন ও জুয়েলারি সেলস অ্যান্ড মার্কেটিংয়ের পাশাপাশি দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ কোর্স।


তিন দফা কমার পর বাড়ল সোনার দাম

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

তিন দফা দাম কমার পর দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম এক হাজার ৭৩ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ১৬ হাজার ৯৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে। আগামীকাল বুধবার থেকে নতুন দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।

আজ মঙ্গলবার বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে নতুন করে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে গত ৯ জুন এবং ২৪ ও ২৫ মে সোনার দাম কমানো হয়। তিন দফায় ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে তিন হাজার ৬৬২ টাকা কমানো হয়। এখন সোনার দাম বাড়ানোর কারণ হিসেবে বাজুস বলছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা বুধবার থেকে কার্যকর হবে।

নতুন মূল্য অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ৭৩ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ১৬ হাজার ৯৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ২৬ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ১১ হাজার ৬৩৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৮৭৪ টাকা বাড়িয়ে ৯৫ হাজার ৬৯১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ৭৩৫ টাকা বাড়িয়ে ৭৯ হাজার ১১৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে গত ৯ জুন সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ২৯৫ টাকা কমিয়ে এক লাখ ১৫ হাজার ৮৮২ টাকা নির্ধারণ করা হয়। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ২৩৬ টাকা কমিয়ে এক লাখ ১০ হাজার ৬১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ৪৯ টাকা কমিয়ে ৯৪ হাজার ৮১৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ৮৭৫ টাকা কমিয়ে ৭৮ হাজার ৩৮২ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত এ দামেই সোনা বিক্রি হয়েছে।

তবে সোনার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম দুই হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম দুই হাজার ছয় টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম এক হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম এক হাজার ২৮৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।


টিসিবির জন্য ডাল-তেল কিনছে সরকার

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য ৩৩১ কোটি ৯৮ লাখ টাকার সয়াবিন তেল এবং ২০৫ কোটি টাকার মসুর ডাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে আজ মঙ্গলবার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন জানান, টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারী এক কোটি পরিবারের কাছে ভর্তুকি মূল্যে বিক্রির লক্ষ্যে ২০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম ধরা হয়েছে ১০২ টাকা ৫০ পয়সা। এতে ২০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কিনতে মোট খরচ হবে ২০৫ কোটি টাকা। নাবিল নাবা ফুড প্রোডাক্ট লিমিটেড থেকে এই মসুর ডাল কেনা হবে।

জানা গেছে, টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারীদের কাছে ভর্তুকি মূল্যে বিক্রির লক্ষ্যে ২০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কিনতে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে দুটি দরপ্রস্তাব জমা পড়ে, যা রেসপনসিভ হয়। দরপ্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশ করা রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান নাবিল নাবা ফুড প্রোডাক্ট থেকে এই মসুর ডাল কেনার সিদ্ধান্ত নেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আরেক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দুই কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকারি মন্ত্রিসভা কমিটি। প্রতি লিটার ১৫০ টাকা ৯০ পয়সা হিসাবে এই সয়াবিন তেল কিনতে মোট খরচ হবে ৩৩১ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।

এই সয়াবিন তেল টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারী এক কোটি পরিবারের কাছে ভর্তুকি মূল্যে বিক্রি করা হবে। এ সয়াবিন তেল কিনতে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে দুটি দরপ্রস্তাব জমা পড়ে। দুটি দরপ্রস্তাবই আর্থিক ও কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়।

দরপ্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশ করা রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান সুপার অয়েল রিফাইনারি লিমিটেড থেকে এই সয়াবিন তেল কেনার সিদ্ধান্ত নেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এখন মন্ত্রিসভা কমিটি সেটিই অনুমোদন দিলো।


প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর স্নেহাশীষ মাহমুদ অ্যান্ড কোংয়ের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যানসি ফার্ম স্নেহশীষ মাহমুদ অ্যান্ড কোং অর্থ বিল ২০২৪-এর প্রস্তাবিত উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনসমূহ উপস্থাপন করে রোববার (৯ জুন) শেরাটন হোটেল বনানীতে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

প্রস্তাবিত অর্থ বিলের গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এবং ব্যবসা ও সামগ্রিক অর্থনীতিতে এর প্রভাব নিয়ে আলোচনা এ অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য।

স্নেহাশীষ মাহমুদ এন্ড কোং কর্তৃক আয়োজিত প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর উক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

স্নেহাশীষ মাহমুদ এন্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যানসি ফার্মের পার্টনার জেরীন মাহমুদ হোসেইন এফসিএ, তার সূচনা বক্তব্যে আগত সব অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে অনুষ্ঠানটি শুরু করেন।

উক্ত অনুষ্ঠানে স্নেহাশীষ মাহমুদ এন্ড কোং থেকে সাম্প্রতিক সময়ে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যানসি (সিএ) পাশ করা তিনজন শিক্ষার্থী বাধন দাস এসিএ, মো: আমিরুল ইসলাম এসিএ এবং আহমেদ জাবিরকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।

আহমেদ জাবির বাংলাদেশে সবচেয়ে কম বয়সে সিএর সব পরীক্ষা পাশের কৃতিত্ব অর্জন করেন।

স্নেহাশীষ মাহমুদ এন্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যানসি ফার্মের পার্টনার জনাব স্নেহাশীষ বড়ুয়া এফসিএ, প্রস্তাবিত বাজেটের সামষ্টিক অর্থনীতির বিভিন্ন দিকসমূহ অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন। এ ছাড়াও তিনি অর্থ বিলের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ব্যবসাবাণিজ্য ও ব্যক্তিগত করদাতার ওপর প্রভাব বিশ্লেষণপূর্বক উপস্থাপন করেন।

তিনি শিল্পভিত্তিক কার্যকরী কর হারের বিশ্লেষণ উপস্থাপন করেন। এ ছাড়াও অর্থ বিল ২০২৪-এ ব্যবসা ও অন্যান্য করদাতাদের ওপর করের বিষয়সমূহের সতর্কতার ক্ষেত্রসমূহ আলোকপাত করেন।

অনুষ্ঠানে অতিথি বক্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জনাব জাবেদ আখতার, প্রেসিডেন্ট, এফআইসিসিআই বাংলাদেশ; ড. ইখতিয়ারউদ্দীন মো. মামুন এফসিএমএ, মহা পরিচালক, বিসিএস কর একাডেমি এবং ড. মো. আব্দুর রউফ, মহা পরিচালক, নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর, মূল্য সংযোজন কর।

এফআইসিসিআই বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট, জাবেদ আখতার তার বক্তৃতায় বাংলাদেশের কর-জিডিপি অনুপাত বাড়ানো ও কর্পোরেট কর হারের সঙ্গে কার্যকরী কর হারের দূরত্ব কমানোর বিষয়ে আলোকপাত করেন।

ড. ইখতিয়ারউদ্দীন মো. মামুন এফসিএমএ করদাতা ও কর সংগ্রহে নিয়োজিত সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস ও আস্থা পরিবেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

ড. আব্দুর রউফ, রাজস্ব আহরণে পরোক্ষ করের গুরুত্ব তুলে ধরেন।


৭ দিনে প্রবাসী আয় এল ৭২ কোটি ৬৩ লাখ ডলার

আপডেটেড ১১ জুন, ২০২৪ ১২:১৩
নিজস্ব প্রতিবেদক

কোরবানির ঈদের আগে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানো বেড়েছে। চলতি মাসের প্রথম ৭ দিনেই প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ৭২ কোটি ৬৩ লাখ ডলার। প্রতিদিনের গড় হিসাবে এসেছে ১০ কোটি ৩৭ লাখ ডলার। এর আগে কখনোই এক দিনে ১০ কোটি ডলারের বেশি রেমিট্যান্স দেশে আসেনি।

এমনিতেই গত কয়েক মাস ধরে অর্থনীতির সবচেয়ে উদ্বেগজনক সূচক বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভের অন্যতম প্রধান উৎস রেমিট্যান্সের গতি ভালো ছিল; ঈদের আগে তা আরও বেড়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক গত রোববার রেমিট্যান্সের সাপ্তাহিক যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায়, বিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শেষ মাস জুনের প্রথম সাত দিনে ব্যাংকিং চ্যানেলে ৭২ কোটি ৬২ লাখ ৯০ হাজার ডলার পাঠিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী প্রবাসীরা।

বর্তমান বিনিময় হার (প্রতি ডলার ১১৮ টাকা) হিসাবে টাকার অঙ্কে এই অর্থের পরিমাণ ৮ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা। প্রতিদিনের গড় হিসাবে এসেছে ১০ কোটি ৩৮ লাখ ডলার; টাকার অঙ্কে যা ১ হাজার ২২৪ কোটি টাকা।

মাসের বাকি ২৩ দিনে (৮ থেকে ৩০ জুন) এই হারে এলে মাস শেষে রেমিট্যান্সের অঙ্ক ৩১১ কোটি ২৭ লাখ (৩.২৭ বিলিয়ন) ডলারে গিয়ে পৌঁছবে। যা হবে একক মাসের হিসাবে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স।

এর আগে ২০২০ সালের জুলাই মাসে এ যাবৎকালের সবচেয়ে বেশি ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ (২.৬ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে। গত মে মাসে ২২৫ কোটি (২.২৫ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। যা ছিল গত বছরের মে মাসের চেয়ে প্রায় ৩৩ শতাংশ বেশি। আগের মাস এপ্রিলের চেয়ে বেশি ১০ দশমিক ২৯ শতাংশ। প্রতিদিনের গড় হিসাবে মে মাসের রেমিট্যান্স ছিল ৭ কোটি ২৭ লাখ ডলার। একক মাসের হিসাবে মে মাসের রেমিট্যান্স ছিল দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

তার আগের মাস এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৩০ লাখ ৬০ হাজার (২.০৪ বিলিয়ন) ডলার দেশে পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। প্রতিদিনের গড় হিসাবে এসেছিল ৬ কোটি ৮১ লাখ ডলার।

মার্চ মাসে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ (১.৯৯ বিলিয়ন) পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা, যা ছিল তিন মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম।

আগের দুই মাসে (জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি) ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স দেশে এসেছিল। জানুয়ারিতে এসেছিল ২ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার। ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল আরও বেশি, ২ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলার।

গত বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে প্রবাসীরা প্রায় ২ বিলিয়ন (২০০ কোটি) ডলার পাঠিয়েছিলেন। আগের দুই মাস অক্টোবর ও নভেম্বরেও বেশ ভালো রেমিটেন্স এসেছিল দেশে। অক্টোবরে এসেছিল ১৯৭ কোটি ৭৫ লাখ (১.৯৮ বিলিয়ন) ডলার। নভেম্বরে আসে ১৯৩ কোটি (১.৯৩ বিলিয়ন) ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, ২০২৩-২৪ প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) ২১ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১০ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের এই ১১ মাসে ১৯ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।

২০২২-২৩ অর্থবছরের পুরো সময়ে (জুলাই-জুন) ২১ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে, যা ছিল তার আগের অর্থবছরের (২০২১-২২) চেয়ে ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ বেশি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক বলেন, রেমিটেন্সের ইতিবাচক ধারা অব্যাহত ছিল। টাকা-ডলারের বিনিময় হারের নতুন পদ্ধতি ‘ক্রলিং পেগ’ চালুর ফলে ডলারের দাম বেশ খানিকটা বেড়েছে। তার প্রভাব মে মাসের রেমিট্যান্সে আমরা দেখতে পেয়েছি।

এখন রেমিট্যান্স যেটা বাড়ছে—সেটা মূলত কোরবানির ঈদের কারণে। ঈদকে সামনে রেখে পরিবার-পরিজনের বাড়তি খরচের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে বেশি রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা।

গত ৯ মে থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা-ডলারের বিনিময় হারের নতুন পদ্ধতি ‘ক্রলিং পেগ’ চালু করেছে। এই পদ্ধতিতে এখন থেকে দেশের মধ্যে ডলারের দর লাফ দিতে পারবে না, কেবল হামাগুড়ি দিতে পারবে। আর সেই হামাগুড়ি দিতে হবে নির্দিষ্ট একটি সীমার মধ্যে। সীমার বাইরে যাওয়া যাবে না। আপাতত সেই সীমা হচ্ছে ১১৭ টাকা। এতে এক লাফে ডলারের দর বেড়েছে ৭ টাকা।

অর্থাৎ ব্যাংকগুলো এখন ১১৭ থেকে ১১৮ টাকা দরে রেমিটেন্স সংগ্রহ করতে পারবে। এরসঙ্গে যোগ হবে সরকারের দেওয়া আড়াই শতাংশ প্রণোদনা।


বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ বাড়ানোর দাবি ব্যবসায়ীদের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

স্থানীয় শিল্পের সুরক্ষা ও উন্নয়নে কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় শিল্পমালিক ও ব্যবসায়ীরা। সোমবার সকালে স্থানীয় শিল্পের সুরক্ষা ও উন্নয়নবিষয়ক এফবিসিসিআইর স্ট্যান্ডিং কমিটির এক সভায় এ আহ্বান জানান তারা। এ সময় ব্যবসায়ীরা স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণ প্রাপ্তিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

ব্যবসায়ীরা জানান, সম্ভাবনাময় খাত হওয়া সত্ত্বেও স্থানীয় শিল্পখাত নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত না করার কারণে শিল্পের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। ফলে নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন এই খাতের ব্যবসায়ীরা। নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানির অভাবে উৎপাদন খরচ বাড়ছে। আর এর ফলে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেক শিল্পকারখানা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এতে স্থানীয় শিল্পদ্যোক্তারা নিরুৎসাহিত হচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেন ব্যবসায়ীরা।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি অংশ নেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম। তিনি বলেন, উন্নত বাংলাদেশ গঠনে স্থানীয় শিল্পের সুরক্ষায় গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে আমাদের। এবারের বাজেটে এ বিষয়ে কিছু নীতিমালা নেওয়া হয়েছে। এফবিসিসিআইও এ বিষয়ে কাজ করছে। এ সময় স্থানীয় শিল্পের সুরক্ষায় ব্যাংকগুলোর প্রতি আরও বেশি সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি। পাশাপাশি এসব শিল্পে দক্ষ জনবল গড়ে তোলার ওপর জোর দেন এফবিসিসিআই সভাপতি।

এ সময় এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, একসময় উন্নত মানের কাপড়সহ বাংলাদেশের মানুষের ব্যবহৃত প্রায় সব জিনিসই আমদানি করা হত। এখন এগুলোর প্রায় সবই দেশে উৎপাদিত হয়। স্থানীয় শিল্পকে বিকাশে নীতিগত সহায়তা প্রদানে সরকারের সঙ্গে এফবিসিসিআই কাজ করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান ও মাধবদি ডাইং ফিনিশিং মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নিজাম উদ্দিন ভুঁইয়া লিটন। নতুন শিল্পদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে স্থানীয় শিল্পকারখানায় বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানোর দাবি জানান তিনি। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআইর পরিচালক আলহাজ আজিজুল হক, হাফেজ হাজী হারুন অর রশীদ, হাজী মো. আবুল হাশেম, কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও সদস্যরা।


বিশ্ববাজারে খাদ্যের দাম টানা তিন মাস ধরে বাড়ছে

আপডেটেড ১০ জুন, ২০২৪ ১২:৫৫
বাণিজ্য ডেস্ক

বিশ্ববাজারে মে মাসে টানা তৃতীয় মাসের মতো খাদ্যের দাম বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে খাদ্যশস্য ও দুগ্ধজাত পণ্যের দাম; কমেছে চিনি ও ভোজ্যতেলের দাম। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি বিভাগের (এফএও) মাসভিত্তিক মূল্যসূচক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

বাংলাদেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতি গত এপ্রিল ও মে মাসে বেড়েছে। এরপর এফএওর প্রতিবেদনে জানা গেল, সারা বিশ্বেই খাদ্য মূল্যসূচক বেড়েছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে ২০২২ সালে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই মূল্যস্ফীতি রেকর্ড উচ্চতায় ওঠে গত বছর। বিশেষ করে খাদ্য মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের দুর্দশার অন্ত ছিল না। ২০২২ সালে এফএওর খাদ্যমূল্যের সূচক ছিল এ যাবৎকালের সবচেয়ে বেশি- ১৪৪ দশমিক ৭। ২০২৩ সালে তা অনেকটাই কমে ১২৪ দশমিক দশমিক ৭-এ নেমে আসে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতেও এফএও সূচক কমে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসে। এরপর আবার তা কিছুটা বেড়েছে, যদিও ২০২২ সালের তুলনায় তা এখনো অনেক কম।

আন্তর্জাতিক বাজারে সবচেয়ে বেশি বাণিজ্য হওয়া খাদ্যপণ্যের ভিত্তিতে এফএওর এই সূচক তৈরি করা হয়। এফএও জানিয়েছে, মে মাসে খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক গড় মূল্যসূচক ছিল ১২০ দশমিক ৪ পয়েন্ট; এপ্রিলের সংশোধিত সূচকের চেয়ে যা ছিল দশমিক ৯ শতাংশ বেশি। তবে মে মাসের সূচক আগের বছরের চেয়ে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ কম।

গম, ভুট্টা, বার্লি প্রভৃতি শস্যের মূল উৎপাদন কেন্দ্র হলো যুক্তরাষ্ট্রের উত্তরাঞ্চল, ইউরোপ ও কৃষ্ণসাগরীয় অঞ্চল। কিন্তু এ বছর আবহাওয়া ও ভূরাজনৈতিক কারণে এসব অঞ্চলে চাষাবাদের পরিস্থিতি অনুকূল নয়। এর প্রভাবে গত মাসে দানাদার খাদ্যশস্যের দাম আগের মাসের তুলনায় ৬ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। সূচক বৃদ্ধির পেছনে এটিই মূল কারণ।

এদিকে পশ্চিম ইউরোপে দুধের উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া গ্রীষ্মকালীন ছুটির আগে দুগ্ধজাত পণ্যের চাহিদা বেড়ে যেতে পারে। ফলে মে মাসে দুগ্ধজাত পণ্যের দামও আগের মাসের চেয়ে ১ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে।

তবে চিনির মূল্যসূচক খানিকটা কমেছে। সংস্থাটি বলছে, বৃহত্তম চিনি উৎপাদক দেশ ব্রাজিলে পণ্যটির উৎপাদন বাড়ার প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে কৃষকেরা জমি থেকে আখ তুলতে শুরু করেছেন।

আখের উৎপাদন ভালো হওয়ায় বৈশ্বিক উৎপাদন ইতিবাচক দিকে মোড় নিতে পারে বলে মনে করছে এফএও। এমন প্রত্যাশার কারণে মে মাসে পণ্যটির মূল্যসূচক ৭ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে। এ ছাড়া বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম কমে যাওয়ার কারণেও চিনির দামে প্রভাব পড়েছে।

এফএও বলছে, জ্বালানি তেলের দাম কমে যাওয়া প্রকারান্তরে চাহিদা কমে যাওয়ার ইঙ্গিত।

এদিকে মাংসের দামও কিছুটা কমেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে মুরগির দাম কিছুটা কমেছে, যদিও শূকরের মাংসের দাম কিছুটা বেড়েছে। এতে সামগ্রিকভাবে মাংসের দাম কিছুটা কমেছে।

এফএও আরও বলেছে, চলতি বছর বিশ্ববাজারে দানাদার খাদ্যের বেচাকেনা গত বছরের চেয়ে ১ দশমিক ৩ শতাংশ কমবে। এবার মোট ৪৮ কোটি ১০ লাখ টন দানাদার খাদ্যের বেচাকেনা হতে পারে। এফএও মনে করছে, এবার ভুট্টা বেচাকেনা কমে যেতে পারে। তবে বিশ্ববাজারে চালের বেচাকেনা অনেকটা বাড়বে।

বিশ্ববাজারে দানাদার খাদ্যের মজুত ১ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে ৮৯ কোটি ৭০ লাখ টনে উন্নীত হতে পারে। এ ছাড়া ভুট্টা, বার্লি ও চালের মজুত বাড়বে, যদিও গমের মজুত কমতে পারে।


ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিষয়ে এফবিসিসিআই সুপারিশ করে না

করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে ৪ লাখ টাকা করার অনুরোধ
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিষয়ে দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) সুপারিশ করে না বলে দাবি করেছেন সংগঠনটির সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম। যারা ব্যবসা করতে গিয়ে ঋণখেলাপি হয়েছে তাদের জন্য ব্যাংকের সাহায্য অব্যাহত চান তিনি।

এফবিসিসিআইয়ের মতিঝিল কার্যালয়ে শনিবার ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা এফবিসিসিআই সভাপতি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মো. মাহবুবুল আলম বলেন, ‘আমরা সৎ ব্যবসায়ীদের পক্ষে, অসৎ ব্যবসায়ীদের পক্ষে এফবিসিসিআই কোনো অ্যাডভোকেসি কোনোদিন করেনি, করবেও না। এখন প্রশ্ন হচ্ছে ইচ্ছেকৃত কেউ যদি ডিফল্টার (ঋণখেলাপি) হয় সেটা এক জিনিস আর ব্যবসা করতে গিয়ে কেউ যদি ডিফল্টার হয়, সেটা আরেক জিনিস।’

তিনি বলেন, ‘একটা ব্যবসা বা একটা গ্রুপ দাঁড়ানো নট টু ইজি (সহজ নয়)। একটি করপোরেট হাউস হতে মিনিমাম ৫০-৬০ বছর লাগে। হ্যাঁ এখানে হঠাৎ করে ব্যবসা করতে করতে এক সময় তার ব্যবসায় লস হতে পারে। একটা কোম্পানি বা দুটি কোম্পানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়, তখন আমরা দেখি তার আরেকটা কোম্পানি বন্ধ করে দিল। সে জন্য আমরা অনুরোধ করেছি যে আমার ১০টা কোম্পানি আছে। আমি ব্যবসা করতে গিয়ে একটা কোম্পানি ডিফল্টার হয়ে গেল, ৯টা কোম্পানিকে যেন বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা দিয়ে সাহায্য করে বা ব্যবসাটা করতে দেয়।’

‘এখন ব্যাংকগুলো দেখবেন যে অলওয়েজ রাইজিং সানের পেছনে, অলওয়েজ দেখবেন ব্যাংকগুলো রাইজিং সানের পেছনে। যখন যে ব্যবসা করে তার পেছনে, যার একটু অবস্থা খারাপ হয়, তখন তার থেকে মুখটা ফিরিয়ে নেয়। এটা কিন্তু ঠিক নয়।’

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘আমি মনে করি যে ফলোআপ ইজ ভেরি ইম্পর্ট্যান্ট (অনেক গুরুত্বপূর্ণ)। আপনি যাকে লোন দিচ্ছেন তাকে ফলোআপ করতে হবে, যাতে সে ঋণখেলাপি না হয়। তার ফান্ড ডাইভার্ট (অর্থ স্থানান্তর) করছে কি না, সেটাও আপনাকে ফলোআপ করতে হবে। এগুলো একটি মনিটরিং পলিসিতে আনতে হবে।’

মো. মাহবুবুল আলম বলেন, ‘এ বছর ব্যবসা খারাপ হয়ে গেল, সে যে একেবারেই খারাপ হয়ে গেল; তেমন তো কোনো কথা নেই। সে আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারে। একেবারে মুখ ফিরিয়ে নিলে কিন্তু ইন্ডাস্ট্রি একেবারে ক্র্যাশড হয়ে যায়।’

‘এ জন্য আমরা মনে করি যে যারা ইচ্ছাকৃত… আমি টাকাটি নিয়ে ডাইভার্ট করে অন্যকিছু করে ফেললাম বা বিদেশে পাঠিয়ে দিলাম, তাদের পক্ষে আমাদের কোনো অ্যাডভোকেসি নেই। আমরা যারা ভালো ব্যবসা করি যাদের রেপুটেশন আছে, ৫০ বছর ব্যবসা করছে হয়তো শেষে গিয়ে সেকেন্ড জেনারেশনের হাতে পড়েছে। সে খারাপ হতে পারে, তাকে সাহায্য করতে হবে; দেখতে হবে। একেবারে মুখ ফিরিয়ে নেবেন, তাহলে কিন্তু ওই কোম্পানি বা ওই গ্রুপ আর সারভাইভ করবে না।’

সংগঠনটির সভাপতি বলেন, ‘জীবনযাত্রার ব্যয়, মূল্যস্ফীতি ও সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় এনে ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে ৩ লাখ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে সাড়ে ৪ লাখ টাকা নির্ধারণের অনুরোধ জানিয়েছিলাম। প্রস্তাবটি বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। বর্তমান মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় সরকারকে এই করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে ৪ লাখ টাকা করার বিষয়টি পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করছি।’


প্রস্তাবিত বাজেটকে ডিএসইর অভিনন্দন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রস্তাবিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু। উন্নয়ন ও উৎপাদনমুখী কার্যক্রমের মাধ্যমে অর্থনীতিকে গতিশীল করার কৌশল নিয়ে বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে বলে মনে করে ডিএসই। শুক্রবার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় ডিএসই।

ডিএসই মনে করে, উন্নয়ন ও উৎপাদনমুখী কার্যক্রমের মাধ্যমে অর্থনীতিকে গতিশীল করার কৌশল নিয়ে বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটে ২০৪১ সালের মধ্যে সুখী-সমৃদ্ধ উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ, উন্নয়ন ও উৎপাদনমুখী পরিকল্পিত কর্মপন্থা ও ব্যবস্থাপনা কৌশল বাজেটে প্রস্তাব করা হয়েছে। এ জন্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু বাজেট প্রস্তাবনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

গত ৬ জুন ‘টেকসই উন্নয়নের পরিক্রমায় স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নযাত্রা’ শিরোনামে জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, রপ্তানি পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও প্রান্তিক মানুষের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর অগ্রাধিকারসহ সুখী-সমৃদ্ধ উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ অঙ্গীকারে এ বাজেট পেশ করা হয়।

প্রস্তাবিত এ বাজেট দেশের ৫৩তম, আওয়ামী লীগ সরকারের ২৫তম এবং বর্তমান অর্থমন্ত্রীর প্রথম বাজেট।


‘মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিকারীদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে’

কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শুক্রবার সাবেক সংসদ সদস্য মানু মজুমদার স্মরণে প্রার্থনা ও স্মরণ সভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ গড়বো। যারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে তাদের হাত থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হবে।’

আজ শুক্রবার সকালে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ১৯৭৫ পরবর্তী বঙ্গবন্ধু হত্যার সশস্ত্র প্রতিবাদকারীদের সংগঠন ‘প্রতিরোধ যোদ্ধা পরিষদ’ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য মানু মজুমদার স্মরণে প্রার্থনা ও স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

নাছিম বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ ও দুর্নীতি মুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমাদের হাজার বছরের যে ঐতিহ্য রয়েছে সেটি আমরা রক্ষা করবো। যারা আদর্শবান মানুষ, যারা বাংলাদেশকে ভালোবাসে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে, খুনিদের বিপক্ষে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করে তাদেরকে যারা দুষ্কৃতকারী বলে তাদের আত্মপরিচয় কি সেটি এখনই জানার উপযুক্ত সময়।’

মানু মজুমদারের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, মানু মজুমদার জাতির পিতার আদর্শের সৈনিক ছিলেন। তার ভেতর কোনো অহংকার ছিল না। তিনি শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত সহচর ছিলেন। তার বাস্তব অভিজ্ঞতার শিক্ষা আমাদেরকে আলোকিত করেছে। তার মানবিক কাজগুলো তাকে সব সময় বাঁচিয়ে রাখবে। তিনি সবসময় আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন।

প্রতিরোধ যোদ্ধা পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিম তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য দীপঙ্কর তালুকদার এমপি, কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ, মানু মজুমদারের সহধর্মিণী ক্যামেলিয়া বিশ্বাস প্রমুখ বক্তব্য দেন।

বিষয়:

মূল্যস্ফীতিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে সরকার: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শুক্রবার বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকার নতুন অর্থবছরে মূল্যস্ফীতিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

আজ শুক্রবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি কমাতে আমরা ভর্তুকির পাশাপাশি ন্যায্যমূল্যেও পণ্য বেচবো। নতুন বছরে মূল্যস্ফীতি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি আমরা। আমরা ট্রাক সেলের পাশাপাশি স্থায়ী দোকানের ব্যবস্থা করছি। এই ব্যবস্থা সম্পন্ন হলে টিসিবির ভর্তুকি মূল্যের পাশাপাশি ন্যায্যমূল্যেও পণ্য বিক্রি করা হবে। এতে করে ভোক্তারা উপকৃত হবেন।’

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। বা‌জে‌টের আকার সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। ওই বাজেটের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত রয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।

নতুন বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ধরা হয়েছে দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা, যা বিদায়ী অর্থবছরে ছিল ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা। বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতি ধরা হয়েছে দুই লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা, যা বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে দুই লাখ ৮৩ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে পাঁচ লাখ ৪৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা, যা বিদায়ী অর্থবছরে ছিল পাঁচ লাখ কোটি টাকা।

বাজেটে জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। বিদায়ী অর্থবছরে যা ছিল ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। পরে তা কমিয়ে সাড়ে ৬ শতাংশ করা হয়। বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে আটকে রাখার লক্ষ্য ধরা হয়েছে।

বিষয়:

বাজেট যৌক্তিক, বাস্তবসম্মত ও বাস্তবায়নযোগ্য: এফবিসিসিআই

দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে যৌক্তিক, বাস্তবসম্মত ও বাস্তবায়নযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় বাজেট ২০২৪-২৫ নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।

মাহবুবুল আলম বলেন, ‘প্রতি বছর যখন বাজেট হয়, গত পাঁচ দফায় আমরা দেখেছি, ১০ থেকে ১২ শতাংশ বাজেট বেড়েছে। এবার চার দশমিক শতাংশ প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। আমি মনে করি, এটা যৌক্তিক, বাস্তবসম্মত ও বাস্তবায়নযোগ্য। যদি আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করি, আমি আশা করি, এটা বাস্তবায়নযোগ্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি ইজ ভেরি ভেরি সেনসিটিভ। এটা এসেনশিয়াল কমোডিটিতে ১০ দশমিক পাঁচ এবং অন্যান্য জায়গায় ১০ দশমিক ছয়। এটাকে ছয় দশমিক পাঁচে আনার জন্য এবারের বাজেটে প্রস্তাবনা দিয়েছে। আমি মনে করি, অ্যাম্বিসাস কোনো প্রজেক্ট না নিলে এবং যে প্রজেক্টগুলো নেওয়া হচ্ছে সেগুলো যদি বাস্তবায়ন করা যায়, সবাই মিলে যদি কাজটা ঠিকভাবে করা যায় তাহলে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে।

এই ব্যবসায়ী নেতা আরও বলেন, ‘ব্যক্তি করসীমা সাড়ে তিন লাখ টাকা ছিল, সেটা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। আমাদের প্রস্তাব ছিল চার লাখ ৫০ হাজার টাকা করার। আমরা অনুরোধ করব, এটা যেন চার লাখ ৫০ হাজার টাকা করা হয়।’


banner close