শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪

এপ্রিলে সব বন্দরে চালু হচ্ছে ‘গ্রিন চ্যানেল’

আবু কাওসার
প্রকাশিত
আবু কাওসার
প্রকাশিত : ৩০ নভেম্বর, ২০২২ ০৮:০৬

ব্যবসায়ীদের জন্য সুখবর আসছে। তাদের খরচ কমাতে দেশের সব বন্দরে চালু হচ্ছে ‘গ্রিন চ্যানেল’। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) উদ্যোগে আগামী এপ্রিলে চালু হচ্ছে এই সুবিধা।

তবে সবাই পাবেন না এ সুযোগ। যারা সুনামের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন, অতীত রেকর্ড ভালো- কেবল তারাই এই সুবিধা পাবেন।

এনবিআর সূত্র বলেছে, যোগ্য সব প্রতিষ্ঠান গ্রিন চ্যানেলের সুবিধা পাবে। যোগ্য প্রতিষ্ঠান নির্বাচনের জন্য একটি নীতিমালা তৈরি করেছে এনবিআর। তার আলোকেই সুবিধাভোগী প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচন করা হবে।

জানা যায়, গ্রিন চ্যানেল ব্যবহার করলে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের কোনো পরীক্ষা হবে না। বন্দরে জাহাজ ভেড়ার পর বিল অব অ্যান্ট্রি দাখিল করলেই প্রযোজ্য শুল্ককর পরিশোধ করে দ্রুত পণ্য খালাস করা যাবে। একইভাবে রপ্তানিকারকরাও তাদের পণ্য দ্রুত শিপমেন্ট করতে পারবেন। যেসব দেশীয় প্রতিষ্ঠান গ্রিন চ্যানেল ব্যবহারের সুবিধা পাবে তাদের মালামাল খালাস ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সম্পন্ন হবে।

এতে বন্দরে মালামাল আটকের জন্য যে ক্ষতি হয় তা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে। পণ্য লোড-আনলোডের বা ওঠা-নামার খরচ লাগবে না। লিড টাইম (ক্রেতার কাছে পণ্য পৌঁছাতে) কমবে। ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য সহজ হবে এবং খরচ কমবে।

সূত্র বলেছে, কাস্টমসকে আধুনিকায়ন করতে যেসব উদ্যোগ নিয়েছে এনবিআর, তারই অংশ হিসেবে গ্রিন চ্যানলে চালু করা হচ্ছে। অথোরাইজড ইকোনমিক অপারেটরের (এইও) আওতায় এটি চালু করা হচ্ছে।

কাস্টমসকে আধুনিকায়ন করার লক্ষ্যে অথোরাইজড ইকোনমিক অপারেটর চালু করা হয় ২০১৯ সালে। এটি চালুর উদ্দেশ্য হচ্ছে আমদানি পণ্য দ্রুত খালাস এবং রপ্তানি পণ্য দ্রুত শিপমেন্ট করা। যেসব প্রতিষ্ঠান যোগ্য বিবেচিত হবে, শুধু তারাই গ্রিন চ্যানেল ব্যবহার করতে পারবে।

বিশ্ব শুল্ক সংস্থা (ডব্লিউওসি) ২০০৫ সালে পণ্যের নির্বিঘ্ন চলাচলের জন্য ‘এইও’ কর্মসূচি চালু করে। কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা সহজ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার ২০১৭ সালে বিদ্যমান শুল্ক আইন সংশোধন করে।

২০১৮ সালে এনবিআর ‘এইও’ সুবিধা পাওয়ার মানদণ্ড উল্লেখ করে একটি আদেশ জারি করে। পরের বছর ওষুধ খাতের তিনটি প্রতিষ্ঠানকে এই সুবিধা দেয়া হয়। যদিও প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রিন চ্যানেলের সুবিধা এখনো পায়নি।

সূত্র বলেছে, এ পর্যন্ত ৬১টি প্রতিষ্ঠান অথোরাইজড ইকোনমিক অপারেটর গ্রিন চ্যানেল সুবিধা পাওয়ার জন্য এনবিআরের কাছে আবেদন করেছে। এর মধ্যে ২৪টি প্রতিষ্ঠানকে ‘যোগ্য’ বলে বিবেচিত করা হয়। ‘এইও’ প্রক্রিয়ার সঙ্গে এনবিআরের কাস্টমস নিরীক্ষা মূল্যায়ন কমিশনারেট জড়িত।

যোগাযোগ করা হলে কমিশনার মোহাম্মদ এনামূল হক দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘যাকে-তাকে গ্রিন চ্যানল ব্যবহারের সুবিধা দেয়া যায় না। যেসব প্রতিষ্ঠানের অতীত রেকর্ড স্বচ্ছ, কোনো ধরনের মামলা-মোকদ্দমা নেই, নিয়মিত কর দিয়েছে- এমন প্রতিষ্ঠানকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘যেসব প্রতিষ্ঠান গ্রিন চ্যানেল ব্যবহারের সুবিধা পেয়েছে কাস্টমসে তাদের কোনো পরীক্ষা হবে না। ফলে পণ্য-আনা নেয়া সহজ হবে এবং ব্যবসার খরচ কমবে।’

জানা যায়, এ পর্যন্ত ৩টি প্রতিষ্ঠানকে অথোরাইজড ইকোনমিক অপারেটরের মর্যাদা দেয়া হয়েছে। এ গুলো হচ্ছে- বেক্সিমকো, স্কয়ার ও ইনসেপটা। যদিও প্রতিষ্ঠানগুলো বলেছে, পণ্য খালাসে কোনো হেরফের হয়নি এখনো। এনবিআর বলেছে, ‘এইও’ চালুর জন্য কিছু প্রক্রিয়া অসম্পন্ন রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, এপ্রিলে এটি চালু করা যাবে।

কাস্টমস সূত্র বলেছে, আরও ৩টি প্রতিষ্ঠানকে গ্রিন চ্যানেল ব্যবহারের জন্য নির্বাচন করা হয়েছে। শিগগিরই অনুমোদন দেবে এনবিআর। পাঁচটি আছে পাইপলাইনে।

কাস্টমস নিরীক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, যারা গ্রিন চ্যানেল ব্যবহারের অনুমতি পাবে তাদের আমদানি-রপ্তানিসংক্রান্ত তথ্য দেখভাল করার জন্য বিশেষ সফট ওয়্যার ডেভেলপমেন্ট করা হচ্ছে। এই সফটওয়্যার এনবিআরের এস আই কুডা সিস্টেমের সঙ্গে ডিজিটাল সংযোগ বা কানেক্ট করা হবে। এটি করা হলে যোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে কেন্দ্রীয়ভাবে এনবিআরে বসে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

কমিশনার এনামূল হক বলেন, ‘ডিজিটাল সংযোগ করা হলে বন্দরে পণ্য খালাসের সময় ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশনের দরকার হবে না। অফিসে বসেই মনিটর করা যাবে।’

এনবিআর সূত্র বলেছে, কয়েকটি নির্দিষ্ট মানদণ্ডের ভিত্তিতে ‘এইও’ সুবিধা দেয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে কাস্টমস, ভ্যাট ও আয়কর আইনের আওতায় সন্তোষজনক কমপ্লায়েন্স রেকর্ড থাকতে হবে। আবেদনকারীকে আগের তিন বছর অপরাধমুক্ত থাকতে হবে, কোনো রাজস্ব বকেয়া থাকা যাবে না এবং যেকোনো মামলায় জরিমানার পরিমাণ মোট পণ্য বা সেবামূল্যের ১ শতাংশের বেশি হওয়া যাবে না।

এ ছাড়া আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানের অনুমোদিত মূলধন কমপক্ষে ১৫ কোটি টাকা ও পরিশোধিত মূলধন অন্তত ৫ কোটি টাকা হতে হবে। আর বার্ষিক আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ ন্যূনতম ৫ কোটি টাকা হতে হবে।

এ ব্যবস্থা পরীক্ষামূলক চালু হওয়ার সময় এনবিআরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, এক মাসের মধ্যে টেক্সটাইল, ওষুধ ও চামড়া খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে আরও ১০টি প্রতিষ্ঠানকে ‘এইও’ সনদ দেয়ার জন্য বাছাই করা হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ‘এইও’-এর আওতায় আনা হয়েছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, এনবিআর প্রক্রিয়াটি আরও উন্নত ও জনপ্রিয় করতে না পারায় অথোরাইজড ইকোনমিক অপারেটর উদ্যোগে ভাটা পড়ে। তা ছাড়া কাস্টমস কর্মকর্তাদের মনোভাব পরির্বতন করা দরকার।

এদিকে সুবিধাভোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কাস্টমস ক্লিয়ারেন্সে এখনো আগের মতোই তিন থেকে চার দিন সময় লাগছে। এ জন্য কাস্টমসের আমলাতান্ত্রিক জটিলতাকে দায়ী করেন তারা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনবিআরের এক কর্মকর্তা দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘সনদপ্রাপ্ত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বিশেষ সফটওয়্যার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হলেও তারা তা করছেন না। যে কারণে ‘এইও’ সুবিধা পাচ্ছে না কোম্পানিগুলো।

ডব্লিউসিওর তথ্য বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে এইও সনদ পাওয়া প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১১ হাজার ২০টি, ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) ১৭ হাজার ৮৯৫টি, চীনে ৩ হাজার ২০৩টি, দক্ষিণ কোরিয়ায় ৮৪৫টি এবং জাপানে ৭০৬টি।

বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ ২০২০ সালের ‘ইজ অব ডুয়িং বিজনেস’ প্রতিবেদনে ১৯০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৬৮তম। কাস্টমস ও বন্দরে দক্ষতার অভাব বাংলাদেশের এই পিছিয়ে থাকার অন্যতম কারণ।

এ ছাড়া বিশ্বব্যাংকের ২০১৮ সালের লজিস্টিক পারফরম্যান্স ইনডেক্স (এলপিআই) অনুযায়ী, চীন, ভিয়েতনাম, ভারত ও কম্বোডিয়াসহ প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর চেয়ে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। এই সূচকেও বাংলাদেশ কাস্টমস ক্লিয়ারেন্সে সবচেয়ে খারাপ পারফরম্যান্স করেছিল।

বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম আরও বেশিসংখ্যক প্রতিষ্ঠানকে এইও সনদ দেয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, ‘এই উদ্যোগ সফল হলে এটি বন্দরে জট কমানোর পাশাপাশি ব্যবসায় সময় ও খরচ কমাতে সাহায্য করবে।’


টানা ছয় দফা বাড়ার পর কমলো স্বর্ণের দাম

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

টানা ছয়বার বাড়ার পর দেশের বাজারে আবার কমেছে স্বর্ণের দাম। নতুন দামে প্রতি ভরিতে ১ হাজার ৮৪ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৮ হাজার ৪৬০ টাকা করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। পাশাপাশি আজ শুক্রবার থেকেই এ নতুন দাম কার্যকর করা হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।’ তা ছাড়া স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৮ হাজার ৪৬০ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৮২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৬ হাজার ৯২৮ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৮০ হাজার ১৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে গত ১৯ মে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৯ হাজার ৫৪৪ টাকা নির্ধারণ করে বাজুস। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ১০৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ৮০৩ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৮০ হাজার ৮৬৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ২৫ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ১৩ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ১২ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।


বাজারে মাছ-মাংস বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আজ সাপ্তাহিক ছুটির দিন। এদিন বাজারে ক্রেতাদের ভীড় সামান্য বেশিই থাকে। তবে রাজধানীর প্রায় সব বাজারেই ব্রয়লার মুরগি থেকে শুরু করে সব ধরনের মাছ ও মাংস আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, বাজারে সবকিছুর বাড়তি দামের বিষয়ে বরাবরের মতোই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। অপরদিকে পুরোনো অজুহাত হিসেবে সরবরাহ কম থাকার বিষয়টিকে দাম বাড়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন বিক্রেতারা।

আজ শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকায়। লেয়ার মুরগি প্রতি কেজি ৩৭০ টাকা। আর সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ৩৬০ টাকা ও দেশি মুরগি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা। গরুর মাংস আগের দামেই প্রতি কেজি ৭৮০ টাকায় রয়েছে। আর প্রতি কেজি খাসি বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকায়।

মালিবাগের একটি বাজারে এদিন বাজার করতে আসা এক চাকরিজীবী বলেন, ‘আজ বেশ কিছুদিন যাবৎ ব্রয়লার থেকে শুরু করে সব ধরনের মুরগির দাম অতিরিক্ত বেশি। কিন্তু বাজার মনিটরিংয়ের কোনও কার্যক্রম দেখছি না। আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতাদের বাড়তি দামেই কিনতে হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া গরু-খাসির মাংস তো স্পর্শ করতে পারি না। মাংসের চাহিদা সাধারণ মানুষ মেটায় ব্রয়লার মুরগি দিয়ে। কিন্তু সেই ব্রয়লার মুরগিও ২১০ থেকে ২২০ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। সোনালি ও লেয়ার মুরগির দাম আরও দেড়শ টাকা বেশি। তাহলে আমরা সাধারণ মানুষ এত দাম দিয়ে কিনব কীভাবে? এসব মুরগির দাম যে বেড়েছে, আর কমার কোনো নামই নেই।’

বাড়তি দামের বিষয়ে একই বাজারের এক মুরগি বিক্রেতা বলেন, কিছুদিন আগে তীব্র গরমের কারণে মুরগির উৎপাদন কমে গিয়েছিল। খামারির অনেক মুরগি মারা গেছে গরমে। মূলত সেই সময় ব্রয়লার থেকে শুরু করে সব ধরনের মুরগির দাম বেড়েছে। এখনও গরম চলমান আছে। সেই কারণে মূলত সব ধরনের মুরগির দাম বাড়তি। পাইকারি বাজার থেকে আমাদের বাড়তি দামে মুরগি কিনতে হচ্ছে। তাই মূলত খুচরা বাজারে মুরগির দাম বাড়তি যাচ্ছে।

এদিকে, বাজারে সব ধরনের মাছের দামই‌ বাড়তি যাচ্ছে। এর মধ্যে রুই মাছ প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায়, বড় রুই ৪০০ টাকায়, পাঙাশ ২৩০ টাকা, চিংড়ি আকার ভেদে ৬০০ থেকে ৭৫০ টাকায়, পাবদা ৪০০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, চাষের কই ২৮০ টাকায়, কাতল ৩৫০ টাকায়, গলসা প্রতি কেজি ৫৫০ টাকায়, টেংরা ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায়, বড় শিং ৫৫০ টাকায়, ছোট শিং ৪০০ টাকায়, বড় বোয়াল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় ও বড় আইড় মাছ ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছের অতিরিক্ত দামের বিষয় অভিযোগ জানিয়ে গুলশান সংলগ্ন লেকপার বাজারে এক ক্রেতা বলেন, মাছের দাম এত বাড়তি যে, চাষের মাছও কেনা যায় না। আমাদের মতো সাধারণ মানুষ পাঙাশ, তেলাপিয়া, চাষের কই ও রুই কোনোভাবে কিনছিলাম। কিন্তু এখন এসব মাছের দামও অতিরিক্ত বেশি। পাঙাস মাছ তো ২৩০ টাকা কেজি, চাষের কই ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি। ভালো মানের মাছ তো কিনতেই পারি না, সেগুলোর দাম আকাশ ছোঁয়া। দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে এখন কাটা পাঙাশ মাছ কিনলাম।

অন্যদিকে, মহাখালীর একটি বাজারে এক মাছ বিক্রেতা বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই মাছের দাম বাড়তি যাচ্ছে। প্রথমত ফিডের দাম বেড়ে যাওয়ার পরে সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছিল। ‌সেভাবেই বাজার চলছিল। কিন্তু গত কিছুদিনের তীব্র গরমে মাছের সরবরাহ কমে গিয়েছিল। সেই সময় মাছের দাম আরেক দফা বেড়েছে। মাছের বাড়তি দামের বিষয়ে বিক্রেতাদের কোনও হাত নেই। আমরা পাইকারি বাজার থেকে যেমন দামে মাছ কিনে আনি, তেমন দামে খুচরা বাজারে বিক্রি করি। যখন আমাদের কেনা দাম কম পড়বে, তখন আমরাও ক্রেতা পর্যায়ে কম দামে মাছ।

বিষয়:

রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার পেল ২০ প্রতিষ্ঠান

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় অর্থনীতিতে শিল্প খাতে অবদানের স্বীকৃতি প্রদান, প্রণোদনা সৃষ্টি, সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করা এবং বেসরকারি খাতে শিল্প স্থাপন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০২১’ পেল ছয় ক্যাটাগরির ২০টি শিল্প প্রতিষ্ঠান।

রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আজ বৃহস্পতিবার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের মালিক/প্রতিনিধিদের হাতে পুরস্কার হিসেবে ক্রেস্ট ও সম্মাননা সনদ তুলে দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ ও এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের যুগোপযোগী পরিকল্পনা ও নীতি এবং কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে শিল্প খাতে উল্লেখযোগ্য ও দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়েছে। পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিতে ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তাদের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি দিয়ে তাদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। এ ধরনের সৃজনশীল উদ্যোগের অংশ হিসেবে শিল্প মন্ত্রণালয় নিয়মিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প পুরস্কার’, ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার’, ‘সিআইপি (শিল্প) কার্ড’, ‘প্রোডাক্টিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ প্রভৃতি পুরস্কার দিয়ে আসছে।

তিনি বলেন, এ ধরনের স্বীকৃতি শিল্প উদ্যোক্তাদের নিজ নিজ কারখানায় উৎপাদিত পণ্যের উৎকর্ষ সাধনে অনুপ্রাণিত করবে। এই দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে নবীন শিল্প উদ্যোক্তারাও নিজেদের পণ্যের গুণগত মানোন্নয়ন এবং বিশ্বমানের শিল্প স্থাপনে উজ্জীবিত হবেন। ফলে দেশে গুণগত মানসম্পন্ন শিল্পায়নের ধারা বেগবান হবে।

মন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম শর্ত। বিগত ১৫ বছরে এটি বহাল ছিল বলে শিল্পায়ন বেগবানসহ অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়েছে। বাংলাদেশ নিজেই একটি বড় বাজার। অভ্যন্তরীণ বাজারসহ বিশ্ববাজারে বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদা বাড়াতে আমাদের গুণগতমানের পণ্য উৎপাদনের দিকে নজর দিতে হবে।

এ সময় বিশ্বমানের গুণগত পণ্য উৎপাদনে শিল্পোদ্যোক্তাদের সততা ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান মন্ত্রী।

নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় টাঙ্গাইল শাড়িসহ ইতোমধ্যে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ৩১টি পণ্যকে জিআই সনদ দেওয়া হয়েছে। জাতীয় পর্যায়ে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে ১০ বছর মেয়াদি ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন করা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, আধুনিক ও যুগোপযোগী শিল্প কারখানা স্থাপনসহ শিল্পায়নের ধারাকে বেগবান করতে ‘জাতীয় শিল্পনীতি-২০২২’ ও ‘এসএমই নীতিমালা-২০১৯’ প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় শ্রমঘন শিল্পায়নে মনোনিবেশসহ শিল্প খাতে গতিশীলতা অব্যাহত রাখতে শিল্প মন্ত্রণালয় নতুন শিল্প কারখানা স্থাপন, পুরাতন কারখানার আধুনিকায়ন এবং যন্ত্রপাতি প্রতিস্থাপনের কাজ করছে। শিল্প খাতে উন্নয়নের চলমান অভিযাত্রা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ নির্ধারিত সময়ের আগেই শিল্প সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেন, কৃষি উৎপাদনে ঈর্ষণীয় সাফল্য থাকা সত্ত্বেও আমরা কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ ও রপ্তানিতে অনেকটা পিছিয়ে আছি। প্রক্রিয়াজাতকরণের কম সুযোগ ও সংরক্ষণাগারের অভাবে আমাদের উৎপাদিত শাকসবজি ও ফলমূলের প্রায় ২০-৩০ শতাংশ পর্যন্ত নষ্ট হয়ে যায়। ফলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হন, ভোক্তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হন।

শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিবিন্যাস অনুযায়ী ৬ (ছয়) ক্যাটাগরির মোট ২০টি শিল্প প্রতিষ্ঠান/উদ্যোক্তাকে এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। এগুলো হচ্ছে- বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে ৬টি, মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিতে ৩টি, ক্ষুদ্র শিল্প ক্যাটাগরিতে ৪টি, মাইক্রো শিল্প ক্যাটাগরিতে ৩টি, কুটির শিল্প ক্যাটাগরিতে ৩টি এবং হাইটেক শিল্প ক্যাটাগরিতে ১টি।

বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে সম্মিলিতভাবে প্রথম হয়েছে তিনটি প্রতিষ্ঠান যথাক্রমে- ইকোটেক্স লি., প্রাণ ডেইরি লি. ও মীর আক্তার হোসেন লি.। দ্বিতীয় হয়েছে স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লি., যৌথভাবে তৃতীয় হয়েছে স্নোটেক্স আউটারওয়্যার লি. ও স্কয়ার টয়লেট্রিজ লি.।

মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছে বেঙ্গল পলি অ্যান্ড পেপার স্যাক লি., দ্বিতীয় হয়েছে বসুমতি ডিস্ট্রিবিউশন লি. এবং তৃতীয় হয়েছে এপিএস অ্যাপারেলস লি.। ক্ষুদ্র শিল্প ক্যাটাগরিতে যৌথভাবে প্রথম হয়েছে দ্য রিলায়েবল বিল্ডার্স ও কনকর্ড এন্টারটেইনমেন্ট কোম্পানি লি., দ্বিতীয় হয়েছে রংপুর ফাউন্ড্রি লি. এবং তৃতীয় হয়েছে গুনজে ইউনাইটেড লি.।

মাইক্রো শিল্প ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছে ফারিহা গ্রিন মুড লেদারস লি., দ্বিতীয় হয়েছে এবিএম ওয়াটার কোম্পানি এবং তৃতীয় হয়েছে ডিপলেড ল্যাবরেটরিজ লি.।

কুটির শিল্প ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছে ব্লু-স্টার এগ্রো প্রোডাক্ট অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, দ্বিতীয় হয়েছে প্রীতি বিউটি পার্লার এবং তৃতীয় হয়েছে লেহাজ সালমা যুব মহিলা কল্যাণ সংস্থা। হাইটেক শিল্প ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত হয়েছে বিজ সল্যুশনস লি.।

উল্লেখ্য, শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার প্রদান সংক্রান্ত নির্দেশনাবলি ২০১৩’ অনুযায়ী ২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার’ দেওয়া শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছর সপ্তমবারের মতো ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০২১’ দেওয়া হয়েছে।


ব্যাংকে ডলারের দাম ১২০ টাকা,খোলাবাজারে ১২৫ টাকা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আমদানির ঋণপত্র নিষ্পত্তি করতে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ব্যাংক প্রতি ডলারের দর ১২০ টাকার বেশি নিচ্ছে। ব্যাংকাররা বলছেন, তারা রেমিট্যান্স কিনেছেন ১১৯ টাকায়। এ কারণে আমদানিকারকদের কাছ থেকে ডলারের দর ১২০ টাকা নিতে হচ্ছে। বেশ কয়েকটি ব্যাংকের ট্রেজারি প্রধান এ তথ্য জানিয়েছেন।

তারা জানান, ক্রলিং পেগ পদ্ধতি চালু করে ডলারের যে রেট নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে, সেই রেটে ডলার কিনতে পাওয়া যায় না। বাধ্য হয়ে বাড়তি দরে ডলার কেনাবেচা শুরু করেছেন তারা।

গত ৮ মে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময়ের জন্য ক্রলিং পেগ ব্যবস্থা চালু করে। ক্রলিং পেগ মিড-রেট (সিপিএমআর) বা এই ব্যবস্থার আওতায় প্রতি ডলারের মাঝামাঝি বিনিময় হার নির্ধারণ করা হয় ১১৭ টাকা করে। যদিও এ ব্যবস্থা চালুর আগে দেশে প্রতি ডলারের দাম ছিল ১১০ টাকা। আইএমএফের ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের শর্ত হিসেবে সংস্থাটির পরামর্শ অনুযায়ী ক্রলিং পেগ ব্যবস্থা চালু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিন্তু এই দরে কোথাও ডলার মিলছে না। যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে ক্রলিং পেগ পদ্ধতির আশপাশেই আন্তব্যাংকে ডলার কেনাবেচা হচ্ছে বলে তথ্য দেওয়া হয়েছে।

তবে একটি ব্যাংকের ট্রেজারি প্রধান জানান, মঙ্গলবার তাদের ব্যাংক ১১৯ টাকায় রেমিট্যান্স কিনেছে। আর আমদানি এলসি নিষ্পত্তি করা হয় ১২০ টাকার বেশি দরে।

যোগাযোগ করা হলে রাষ্ট্রায়ত্ত একটি ব্যাংকের একজন ট্রেজারি প্রধান বলেন, ক্রলিং পেগ চালুর প্রথম সপ্তাহে সব ব্যাংক ঠিকঠাক অনুসরণ করলেও এখন অনেক ব্যাংক বেশি রেটে ডলার সংগ্রহ করছে, একই সঙ্গে এলসি খুলতেও বেশি রেট নিচ্ছে। শরিয়াভিত্তিক অধিকাংশ ব্যাংক এই ক্রলিং পেগ রেট অনুসরণ করছে না বলে জানান তিনি।

এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যস্থতায় ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি এবং বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী ডিলারদের সংগঠন বাফেদা ডলারের একটি আনুষ্ঠানিক দর ঘোষণা করত। যদিও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এর চেয়ে বেশি দরে লেনদেন হতো। নতুন পদ্ধতি চালুর আগে সর্বশেষ ঘোষিত দর ছিল ১১০ টাকা।

গত মঙ্গলবার থেকে কিছু কিছু ব্যাংক বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউসগুলো থেকে রেমিট্যান্স সংগ্রহ করেছে ১১৯ টাকা দরে। এ ছাড়া আমদানিকারকদের এলসি নিষ্পত্তি করেছে ১২০ টাকা কিংবা তার চেয়েও বেশি দরে। এদিকে খোলাবাজারে ডলার বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকারও বেশি দরে।


পুঁজিবাজারের উন্নয়নে জোরালো পদক্ষেপ নেব: ড. এ টি এম তারিকুজ্জামান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মেহেদী হাসান সজল

সদ্য বিদায়ী ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ড. এ টি এম তারিকুজ্জামান গত ২০ মে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার হিসেবে যোগদান করেছেন। দীর্ঘ দুই যুগেরও বেশি সময় পুঁজিবাজার নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিসাব বিজ্ঞানে এমকম এবং সাউথ ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি (ইউকে ক্যাম্পাস) থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। ১৯৯৭ সালে বিএসইসিতে উপপরিচালক হিসেবে যোগদান করেন। প্রায় ২৬ বছর সাফল্যের সঙ্গে কমিশনের বিভিন্ন দপ্তরে দায়িত্ব পালন করায় তাকে গত বছর ডিএসইর এমডি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। যোগদানের আট মাসের মাথায় চলতি বছরের ৮ মে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ তাকে বিএসইসির কমিশনার পদে নিয়োগ দেয়। গত ১৯ মে ডিএসইতে তার শেষ কর্মদিবস ছিল।

পুঁজিবাজারের উন্নয়নে কর্মপরিকল্পনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে `দৈনিক বাংলা`র সঙ্গে কথা বলেছেন ড. এটিএম তারিকুজ্জামান।

ডিএসইর এমডি থেকে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কমিশনার হিসেবে দায়িত্বে ফিরেছেন। গুরুত্বপূর্ণ এ পদে ফেরার অনূভুতি কেমন? তারিকুজ্জামান বলেন, '২৫ বছরের বেশি সময় বিএসইসিতে কাজ করেছি। পরবর্তীতে ডিএসইর এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। আবারও নতুন আঙ্গিকে বিএসইসিতে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। এটা অমার জন্য অনেক আনন্দের। পাশাপাশি গৌরবেরও বটে। আমাকে এ পদে যোগ্য হিসেবে বিবেচনা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, অর্থ প্রতিমন্ত্রী ও অর্থ মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আশা করছি পুঁজিবাজারে উন্নয়নে আমার দীর্ঘ বছরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ভালো কিছু দিতে পারবো।'

তিনি বলেন, 'পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে আমার যে চিন্তাভাবনা রয়েছে, তা কমিশনের কাছে তুলে ধরব। সে বিষয়ে বিএসইসির চেয়ারম্যান ও অন্যান্য কমিশনারদের সম্মতি পেলে, সম্মিলতভাবে পুঁজিবাজারকে একটি ভিন্ন মাত্রায় নিয়ে যেতে পারব বলে বিশ্বাস করি। বিএসইসির কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে আমি পুঁজিবাজারের উন্নয়নে আরও অধিক পরিসরে কাজ করতে পারব।

পুঁজিবাজারের উন্নয়নে কি ধরনের ভুমিকা রাখা সম্ভব এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে ড. তারিকুজ্জামান বলেন, প্রথমত পুঁজিবাজারে সুশাসন নিশ্চিত করতে শক্তিশালী পদক্ষেপ নিতে হবে। কেননা সুশাসনের অভাব থাকলে এ বাজারের উন্নয়ন সম্ভব না। বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে, তাদের বিনিয়োগকৃত পুঁজির নিরাপত্তা দিতে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া আমাদের প্রধানন্ত্রীর লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা। সে লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে অর্থনীতির সব অঙ্গনে আমাদের আরও বেশি স্মার্ট হতে হবে। স্মার্ট পুঁজিবাজার ছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশ গড় সম্ভব হবে না। তাই পুঁজিবাজারকে স্মার্ট হিসেবে গড়ে তুলতে আমাদের অনেক কাজ করতে হবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস ও দীর্ঘ বছরের অভিজ্ঞতা স্মার্ট পুঁজিবাজার বিনির্মাণে সহায়ক ভুমিকা পালন করবে।

পুঁজিবাজারে চ্যালেঞ্জ সম্ভাব্য পদক্ষেপ সম্পর্কে তিনি বলেন, যেখানে চ্যালেঞ্জ আছে, সেখানে কাজের সুযোগ আছে। চ্যালেঞ্জ না থাকলে কাজ করার সুযোগ তৈরি হয় না। আমি চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করি। চ্যালেঞ্জ নিয়ে আমার কোন ভয় নেই। আমি মনে করি, পুঁজিবাজারকে সংস্কার করার চ্যালেঞ্জ নিতে পারবো। পুঁজিবাজারে বর্তমান যে অবস্থা বিরাজ করছে তা থেকে উতরে ওঠা বা পরিবর্তন আনা অবশ্যই সম্ভব। এটা আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।

ড. তারিকুজ্জামান আরও বলেন, পুঁজিবাজারে ভালো ভালো আরও কিছু কোম্পানি তালিকাভুক্ত করাতে হবে। এতে বাজারে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ যেমন বাড়াবে, তেমনি লেনদেনের পরিমাণও বাড়বে। পাশাপাশি বাজার মূলধন বাড়বে। প্রধানমন্ত্রী এরই মধ্যে সরকারি কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। তাই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে সরকারি কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে আসবে বলেও তিনি মনে করছেন। এতে বাজার মূলধন অনেক বাড়বে। এছাড়া বেসরকারি বড় বড় কোম্পানিগুলোকে আনতে কমিশন কাজ করবে। তাদের কি ধরনের সুযোগ-সুবিধা আওতায় এনে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করানো যায় তা নিয়ে কাজ করবেন বলে জানান তিনি ।

তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে কারসাজিকে প্রশ্রয় দেয়ার কোন সুযোগ নেই। এটা বন্ধ করতেই হবে। কারসাজি বন্ধ ছাড়া বিনিয়োগকারীদের ভয় দূর হবে না। কমিশন এ বিষয়ে জোরালো পদক্ষেপ নেবে এবং কারসাজিকারীদের কঠিন শাস্তির আওতায় আনা হবে বলেও তিনি জানান।

উল্লেখ্য, ড. তারিকুজ্জামান AusAID স্কলারশিপ পেয়ে ডেকিন ইউনিভার্সিটি থেকে এমপিএ ও এমএফপি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। পরে নিউজিল্যান্ডের ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব ওয়েলিংটন থেকে বাংলাদেশের পুজিঁবাজার ও সুশাসন বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন এবং ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঁচ বছর শিক্ষকতা করে পরবর্তীতে বিএসইসিতে উপ-পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন।


এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে মাধ্যমে ঋণ বিতরণ বেড়েছে ৪১%

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি বছরের মার্চে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ঋণ বিতরণ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪১.২৭ শতাংশ বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, মার্চে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ঋণ বিতরণ ১৬ হাজার ৪৮২ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। গত বছরের মার্চে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ঋণ বিতরণ হয়েছিল ১১ হাজার ৬৬৭ কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, আগের বছরের তুলনায় আমানত ও রেমিট্যান্স প্রবাহও যথাক্রমে ১৬.৫২ শতাংশ ও ২৩.১১ শতাংশ বেড়েছে।
ব্যাংকাররা জানান, এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ক্রমবর্ধমান প্রসারের ফলে গ্রামীণ পর্যায়ে অনেক মানুষ যারা আগে ব্যাংকিং সেবার আওতা থেকে বাইরে ছিলেন, তারা এখন সহজেই নিজেরাই সেবা নিতে পারছেন। মূলত এ কারণেই এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ঋণের প্রবাহ বেড়েছে।

একটি বেসরকারি ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ব্যাংকগুলোর নতুন নতুন সেবার বিস্তারের কারণে ব্যাংকিং সিস্টেমে গ্রাহকের সংখ্যা বাড়ছে। আর এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের প্রসারের কারণ গ্রামীণ পর্যায়ে ব্যাংকগুলো এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ে সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছে।

তিনি আরও বলেন, সামনে যত সময় যাবে, এজেন্ট ব্যাংকিং আরও জনপ্রিয় হবে। এখন গ্রামীণ পর্যায়ে বায়োমেট্রিক মডেলে ব্যাংকিং সেবা দেওয়া হচ্ছে। লেনদেন হলেই মেসেজ সার্ভিস রয়েছে। যার কারণে অনিয়ম হওয়ায় আশঙ্কা কম। ফলে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ঋণ বিতরণে উৎসাহ বাড়ছে।

এ ছাড়া অনেক ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে গ্রাহকদের সহজে ছোট ঋণ দেওয়া শুরু করেছে, যার কারণে ঋণ বাড়ছে। অনেকে ডিজিটাল চ্যানেলের মাধ্যমে ঋণও দিচ্ছে, যা প্রবৃদ্ধি বাড়িয়ে দিয়েছে।

শরিয়াভিত্তিক একটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কম সময়ের জন্য ঋণ দেওয়া হয়। এ ছাড়া এসব ঋণ আদায়ের হারও খুবই বেশি।

তাছাড়া গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে যাওয়ায় স্বল্প আয়ের মানুষ তাদের খরচ মেটাতে এজেন্ট ব্যাংকিং থেকে ঋণ নিচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, এজেন্ট ব্যাংকিং পর্যাপ্ত আর্থিক সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে, বিশেষ করে গ্রামীণ নারী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী উদ্যোক্তা ও রেমিট্যান্সের সুবিধাভোগীদের জন্য।

মার্চ শেষে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে মোট আমানত দাঁড়িয়েছে ৩৬ হাজার ৮৭০ কোটি টাকা, যা এক বছর আগে ছিল ৩১ হাজার ৬৪১ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ঋণ বিতরণের পরিমাণ এখনো আমানতের পরিমাণের তুলনায় উল্লেখযোগ্য নয়।

বেশিরভাগ ব্যাংক এখনো এজেন্ট আউটলেটের মাধ্যমে ঋণ বিতরণ ও আদায়ের জন্য কার্যকর অবকাঠামো তৈরি করতে পারেনি বলে আমানতের তুলনায় ঋণ বিতরণ বাড়েনি বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, ব্যাংকগুলো তাদের মোট আমানতের শতভাগের মধ্যে ঋণ হিসেবে ৮৭ শতাংশ বিতরণ করতে পারবে। তবে শরিয়াভিত্তিক ব্যাংগুলো ঋণ হিসাবে ৯২ শতাংশ বিতরণ করতে পারবে।

চলতি প্রান্তিকে বাংলাদেশে এজেন্ট ব্যাংকিং সবদিক থেকেই প্রসারিত হয়েছে। ৩১ মার্চ পর্যন্ত ৩১টি ব্যাংকের এজেন্টের সংখ্যা ছিল ১৫ হাজার ৮৩৫, আর আউটলেট ছিল ২১ হাজার ৬১৩টি। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ২ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার ৩০৫টি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। এর মধ্যে গ্রামীণ এলাকায়ই ৮৬ শতাংশ গ্রাহক।


রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার পাচ্ছে ২০টি প্রতিষ্ঠান

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ২০টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হচ্ছে রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার-২০২১। আগামী ২৩ মে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে পুরস্কার হিসেবে ক্রেস্ট ও সম্মাননা সনদ দেওয়া হবে।

এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ ও এফবিসিসিআইর প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম।

বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে ছয়টি প্রতিষ্ঠান পুরস্কার পাবে। এর মধ্যে প্রথম হয়েছে ইকোটেক্স লিমিটেড, প্রাণ ডেইরি লিমিটেড ও মীর আক্তার হোসেন লিমিটেড। অন্যদিকে একই ক্যাটাগরিতে দ্বিতীয় হয়েছে স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড। যৌথভাবে তৃতীয় হয়েছে স্নোটেক্স আউটারওয়্যার লিমিটেড এবং স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেড।

মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছে বেঙ্গল পলি অ্যান্ড পেপার স্যাক লিমিটেড, দ্বিতীয় বসুমতি ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড এবং তৃতীয় এপিএস অ্যাপারেলস লিমিটেড।

ক্ষুদ্র শিল্প ক্যাটাগরিতে যৌথভাবে প্রথম হয়েছে দ্য রিলায়েবল বিল্ডার্স ও কনকর্ড এন্টারটেইনমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড। দ্বিতীয় রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। তৃতীয় হয়েছে গুনজে ইউনাইটেড লিমিটেড।

মাইক্রো শিল্প ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছে ফারিহা গ্রিন মুড লেদার্স লিমিটেড, দ্বিতীয় এবিএম ওয়াটার কোম্পানি এবং তৃতীয় ডিপলেড ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড।

কুটিরশিল্প ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছে ব্লু-স্টার অ্যাগ্রো প্রোডাক্ট অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, দ্বিতীয় প্রীতি বিউটি পার্লার এবং তৃতীয় লেহাজ সালমা যুব মহিলা কল্যাণ সংস্থা।

হাইটেক শিল্প ক্যাটাগরিতে শুধু বিজ সল্যুশনস লিমিটেড নির্বাচিত হয়েছে।

২০১৪ সালে প্রথম ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার’ দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছর সপ্তমবারের মতো রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।


দেশে নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট সংযোগ সম্প্রসারণে সিডিনেটকে ইউএসটিডিএর সমীক্ষা অনুদান

সাবমেরিন ক্যাবল প্রকল্পে সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচন
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ইউএস ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (ইউএসটিডিএ) বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল সাবমেরিন ক্যাবল (বাঘা-১)-এর উন্নয়নের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশে নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট সংযোগ সম্প্রসারণের জন্য আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশি টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি সিডিনেট কমিউনিকেশনস লিমিটেডকে (সিডিনেট) একটি সমীক্ষা অনুদান অনুমোদন করেছে।

সাব-সি ক্যাবল শহর ও গ্রামীণ উভয় ক্ষেত্রেই সক্ষমতা বাড়াবে এবং ইন্টারনেট সেবার মান উন্নত করবে। সিডিনেট ফ্লোরিডাভিত্তিক এপি টেলিকম এলএলসি-কে সমীক্ষা পরিচালনা করার জন্য নির্বাচিত করেছে।

ইউএসটিডিএ এবং সিডিনেট ষষ্ঠ ইন্দো-প্যাসিফিক বিজনেস ফোরামে এই চুক্তি স্বাক্ষর সম্পাদন করে। সেখানে ফিলিপাইনের রাষ্ট্রপতি ফার্দিনান্দ রোমুয়াল্ডেজ মার্কোস জুনিয়র মূল বক্তব্য প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানে ইউএসটিডিএর পরিচালক এনোহ টি. ইবং বলেন, ‘ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলজুড়ে আমরা সিডিনেটের মতো অংশীদারদের সঙ্গে সাব-সি ক্যাবল প্রকল্পগুলোর একটি পোর্টফোলিও তৈরি করছি যারা সাব-সি ফাইবার অপটিক ক্যাবল সিস্টেমের মাধ্যমে তাদের দেশেগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন ও উচ্চ গতির ব্রডব্যান্ড ক্ষমতা সম্প্রসারিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এজেন্সি একটি অংশীদারত্বভিত্তিক ইকোসিস্টেম তৈরি করতে সাহায্য করে, যা প্রকল্পের বিকাশকারী, মার্কিন বেসরকারি খাত, মার্কিন সরকারি সংস্থা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং সমমনা ইন্দো-প্যাসিফিক অংশীদারদের সম্পদ এবং ক্ষমতাকে কাজে লাগায়, এসব প্রকল্পের সাফল্যের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ বাঘা-১।’

সাব-সি ক্যাবলগুলো বিশ্বব্যাপী যোগাযোগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটা বাস্তবায়িত হলে বাঘা-১ ক্যাবলটি বাংলাদেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য ব্যান্ডউইথ বৃদ্ধি করবে, যা নিরাপদ উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ প্রসারিত করতে এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ ডিজিটাল অবকাঠামোর স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে সাহায্য করবে। ইউএসটিডিএর গবেষণা বাংলাদেশে একটি বিশ্বস্ত সাব-সি ক্যাবল সিস্টেম স্থাপনের জন্য সবচেয়ে কৌশলগত পথ চিহ্নিত করার বিকল্পগুলো মূল্যায়নে সিডিনেটকে সহায়তা করবে।

উক্ত অনুষ্ঠানে সিডিনেটের পরিচালক এবং বাংলাদেশের বিশিষ্ট শিল্পোদ্যোক্তা ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত বলেন, ‘বাঘা-১ বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের নির্ভরযোগ্য এবং বিশ্বস্ত সংযোগকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে এবং ফাইভ-জি পরিষেবা, আন্তর্জাতিক ডাটা সেন্টার এবং আন্তর্জাতিক হাইপারস্কেলারের জন্য উদীয়মান ডিজিটাল পরিষেবাগুলোর জন্য ব্যাপক সুযোগ উন্মুক্ত করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের জন্য আরও কানেকটেড এবং সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে চলার এই অগ্রযাত্রার অংশ হতে পেরে আমরা গর্বিত।’

বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, ‘ইউএসটিডিএর সমীক্ষা বাংলাদেশের জনগণের জন্য উন্নত ইন্টারনেট ব্যবহার আরও সহজ ও সুবিধাজনক হবে।’ তিনি দ্রুতগতির ইন্টারনেটের মাধ্যমে বাংলাদেশকে আরও কানেক্টেড করার ক্ষেত্রে মার্কিন বাণিজ্য সংস্থার সঙ্গে একটি বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের অংশীদারত্ব স্থাপন করতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

ইউএসটিডিএ বাইডেন-হ্যারিস প্রশাসনের অগ্রাধিকারের লক্ষ্যগুলো যেমন এগিয়ে নেয়, তেমনি বৈশ্বিক অবকাঠামো, বিনিয়োগের জন্য অংশীদারত্ব, ডিজিটাল সংযোগ এবং সাইবার নিরাপত্তা অংশীদারত্ব এবং সমৃদ্ধ প্রকল্প প্রস্তুতি সুবিধার জন্য ইন্দো-প্যাসিফিক অর্থনৈতিক কাঠামোকে এগিয়ে নিতে ভূমিকা পালন করে থাকে।


কোরবানির ঈদের আগে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ছে না: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

ফাইল ছবি
আপডেটেড ২১ মে, ২০২৪ ১৮:৩২
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিশ্ব বাজারে ডলারের দাম বাড়লেও কোরবানির ঈদের আগে দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম সমন্বয় করা হবে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘আমদানিনির্ভর পণ্য বিশেষ করে ভোজ্যতেলের কোনো সমন্বয় করবো না। আশা করছি উৎপাদনকারী ও আমদানিকারক যারা আছেন, ঈদ পর্যন্ত নতুন করে কোনো মূল্য বেঁধে দেবে না। আগের দামেই তারা সরবরাহ করতে পারবেন।’

ডলারের দাম বাড়ায় আমদানিনির্ভর পণ্যের দামও বাড়বে, এতে ভোক্তাদের ওপর চাপ বাড়বে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আপনাদের নিশ্চিত করে বলতে চাই, ডলারের সমন্বয়টা হলো ১০ টাকা থেকে ১৭ টাকা। এতে ভোক্তা পর্যায়ে কোনো প্রভাব পড়বে না। ডলারের দাম বাড়লেও ভোক্তাদের সুবিধার্থে পণ্যের দাম একই পর্যায়ে রাখবো।’

ব্যাখ্যা দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কারণ আমদানিকারকরা তখনই অভিযোগ করছিলেন যে ব্যাংক থেকে তারা সরকারি নির্দিষ্ট রেটে ডলার পাচ্ছিলেন না, তারা তখনই ১২০ টাকা, ১২২ টাকা, একেকজন একেকভাবে প্রাইভেটলি সেটলড (নিষ্পত্তি) করছিলেন।’

তিনি বলেন, ‘এখন সরকার সমন্বয় করার কারণে সরকারি রেটেই তারা আমদানি করতে পারবেন। কাজেই আমদানিনির্ভর পণ্য বিশেষ করে ভোজ্যতেলের দামে কোনো সমন্বয় করবো না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগে যে দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল, ঈদের আগ পর্যন্ত নতুন কোনো দাম নির্ধারণ করা হবে না। পুরোনো দামেই তারা সরবরাহ করতে পারবেন।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এটা একটা আন্তর্জাতিক পণ্য। কোথায় যুদ্ধ হবে, অর্থনীতির কোথায় কী হবে, সেটা নিয়ে আগাম ধারণা করা যাবে না। তবে এই মুহূর্তে নতুন করে মূল্য নির্ধারণের প্রয়োজনীয়তা আছে বলে আমি মনে করি না। যদি আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম বেড়ে যায়, তাহলে তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চিন্তা করবো।’

প্রতিমন্ত্রী জানান, ‘রমজানের আগে-পরে আমরা বাজার স্থিতিশীল রাখতে তৎপর ছিলাম। নতুন সরকার আসার পরে সময়টা কম ছিল, জোরটা অনেক বেশি ছিল, বাজারে যাতে কোনোভাবে খাদ্য কিংবা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের সংকট না হয়।’

তিনি বলেন, ‘রমজানের পর বাজার স্থিতিশীল ছিল। সামনে আবার কোরবানির ঈদ। ঈদ এলে আমাদের দেশের কিছু লোক আছে, যারা সুযোগসন্ধানী, সরবরাহ ঠিক থাকার পরও জিনিসপত্রের দাম দু-এক জায়গায় বেড়ে যায়। সেই লক্ষ্যে গত রোজার ঈদের সময় যেভাবে মনিটরিং করেছি, প্রধানমন্ত্রী আমাকে আবারও সেটা করতে বলেছেন। ঈদে যাতে ভোক্তারা কোনো অসুবিধায় না পড়েন, ন্যায্যমূল্যে জিনিসপত্র পান, সেজন্য দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। এটা আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হয়েছে, কাজে গতি পাবে।’

তিনি আরও বলেন, মনিটরিং আবার সচল করবো, যেন ঈদ সামনে রেখে বাজার থেকে কেউ সুযোগ-সুবিধা নিতে না পারেন। এটা নিয়মিত মনিটরিং। একটা স্বাভাবিক গতিতে কার্যক্রম চলে, আরেকটি বিভিন্ন পরিস্থিতিতে রমজানে, ঈদে আমাদের বিশেষ ব্যবস্থা থাকে। অভিভাবক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছেন। তাহলে আমাদের কার্যক্রম জোরদার হবে, দৃশ্যমান হবে।


আমরা ন্যায্যমূল্যের দোকান খুলিনি: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের কাছে ব্রিফ করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চাহিদা ও যোগান অনুসারে যাতে পণ্যের মূল্য নির্ধারিত হয়, সেই চেষ্টাই করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আমরা ন্যায্যমূল্যের দোকান খুলিনি। এটা মুক্তবাজার অর্থনীতি।

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের পণ্যের কোনো ঘাটতি নেই। আগামী ঈদ পর্যন্ত কোনো পণ্য ঘাটতি থাকবে না। আমরা তো বাজার নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছি না। বাজার যাতে সঠিকভাবে কার্যকর থাকে, চাহিদা ও যোগান অনুসারে যাতে মূল্যটা নির্ধারিত হয় এবং আমদানিকৃত পণ্যের দাম যাতে নির্দেশক মূল্যের কাছাকাছি থাকে, এটাই আমাদের চেষ্টা। আমরা তো ন্যায্যমূল্যের দোকান খুলিনি। এটা মুক্তবাজার অর্থনীতি।’

বাজার মনিটরিং বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘রমজানের আগে-পরে আমরা বাজার স্থিতিশীল রাখতে তৎপর ছিলাম। নতুন সরকার আসার পরে সময়টা কম ছিল, জোরটা অনেক বেশি ছিল—বাজারে যাতে কোনোভাবে খাদ্যের কিংবা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের কোনো সংকট না হয়। সেদিকে আমাদের লক্ষ্য ছিল।’


১৭ দিনে রেমিট্যান্স এল ১৩৬ কোটি ডলার

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের অর্থনৈতিক সংকটের সময়ে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে। রোজার ঈদের পরও রেমিট্যান্স বাড়ছে, যা আগে কখনো দেখা যায়নি। টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বাড়ায় রেমিট্যান্সের পালে হাওয়া লেগেছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকাররা।

বাংলাদেশ ব্যাংক গত রোববার রেমিট্যান্সের সাপ্তাহিক যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায়, চলতি মে মাসের ১৭ দিনে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৩৫ কোটি ৮৭ লাখ ২০ হাজার ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

বর্তমান বিনিময় হার (প্রতি ডলার ১১৭ টাকা) হিসাবে টাকার অঙ্কে এই অর্থের পরিমাণ ২৮ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকা। প্রতিদিনের গড় হিসাবে এসেছে ৮ কোটি ডলার বা ৯৩৬ কোটি টাকা।

মাসের বাকি ১৪ দিনে (১৮ থেকে ৩১ মে) এই হারে এলে মাস শেষে রেমিট্যান্সের অঙ্ক প্রায় ২৫০ কোটি (আড়াই বিলিয়ন) ডলারে গিয়ে পৌঁছবে, যা হবে একক মাসের হিসাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স। এর আগে ২০২১ সালের জুলাইয়ে এ যাবতকালের সবচেয়ে বেশি ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ (২.৬ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।

ঈদের মাস এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৩০ লাখ ৬০ হাজার (২.০৪ বিলিয়ন) ডলার দেশে পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। প্রতিদিনের গড় হিসাবে এসেছিল ৬ কোটি ৮১ লাখ ডলার।

বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে দেশের অর্থনীতির সবচেয়ে আলোচিত ও উদ্বেগজনক সূচক বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ। আর এ সূচকের অন্যতম প্রধান উৎস হচ্ছে রেমিট্যান্স। গত কয়েক মাস ধরে রেমিট্যান্সপ্রবাহে বেশ ভালো গতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

অনেকের ধারণা ছিল, প্রতিবারের মতো এবারও ঈদের পর রেমিট্যান্স কম আসবে; কিন্তু তেমনটি না হয়ে উল্টো আরও বেশি আসছে। গত বৃহস্পতিবার (৯ মে) থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা-ডলারের বিনিময় হারের নতুন পদ্ধতি ‘ক্রলিং পেগ’ চালু করেছে। এ পদ্ধতিতে এখন থেকে দেশের মধ্যে ডলারের দর লাফ দিতে পারবে না, কেবল হামাগুড়ি দিতে পারবে। আর সেই হামাগুড়ি দিতে হবে নির্দিষ্ট একটি সীমার মধ্যে। সীমার বাইরে যাওয়া যাবে না। আপাতত সেই সীমা হচ্ছে ১১৭ টাকা। এতে এক লাফে ডলারের দর বেড়েছে ৭ টাকা। অর্থাৎ ব্যাংকগুলো এখন ১১৭ টাকা দরে রেমিট্যান্স সংগ্রহ করতে পারবে। এর সঙ্গে যোগ হবে সরকারের দেওয়া আড়াই শতাংশ প্রণোদনা।

‘ক্রলিং পেগ’ চালুর ফলে ডলারের দাম বাড়ায় রেমিট্যান্স প্রবাহ আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। এ ছাড়া কোরবানির ঈদ সামনে রেখে রেমিট্যান্স বাড়ার আশাও রয়েছে। গত ১১ এপ্রিল দেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়। মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উদযাপিত হবে। ওই ঈদকে সামনে রেখে রেমিট্যান্সপ্রবাহ বাড়বে বলে আশা করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

গত মার্চে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ (১.৯৯ বিলিয়ন) পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা, যা ছিল তিন মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম। আগের দুই মাসে (জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি) ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স দেশে এসেছিল। জানুয়ারিতে এসেছিল ২ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার। ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল আরও বেশি, ২ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলার।

গত বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে প্রবাসীরা প্রায় ২ বিলিয়ন (২০০ কোটি) ডলার রেমিট্যান্স পাঠান। আগের দুই মাস অক্টোবর ও নভেম্বরেও বেশ ভালো রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে। অক্টোবরে এসেছিল ১৯৭ কোটি ৭৫ লাখ (১.৯৮ বিলিয়ন) ডলার। নভেম্বরে আসে ১৯৩ কোটি (১.৯৩ বিলিয়ন) ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) প্রথম দশ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) ১৯ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৭ দশমিক ৮৯ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের এই ১০ মাসে ১৭ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।

২০২২-২৩ অর্থবছরে ২১ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে, যা ছিল তার আগের অর্থবছরের (২০২১-২২) চেয়ে ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ বেশি। প্রতিবারই দুই ঈদের আগে রেমিট্যান্সপ্রবাহ বাড়ে; ঈদের পর কম আসে; কিন্তু এবার রোজার ঈদের আগে প্রবাসী আয় বাড়েনি। ঈদের পর অবশ্য বেশি আসছে।


আজ রাজধানীতে ১১তম এসএমই মেলা শুরু 

ফাইল ছবিটি সংগৃহীত
আপডেটেড ১৯ মে, ২০২৪ ০০:০৪
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ১১তম জাতীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প পণ্য মেলা শুরু হচ্ছে আজ। চলবে আগামী ২৫ মে পর্যন্ত। শিল্প মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এই মেলার আয়োজন করা হচ্ছে।

এসএমই ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৯ মে সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের ‘হল অব ফেম’ মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার-২০২৩ বিজয়ী সাতজন মাইক্রো, ক্ষুদ্র, মাঝারি ও স্টার্ট-আপ উদ্যোক্তার হাতে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেবেন।

মেলা উপলক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, এবারের মেলায় অংশ নেবে সাড়ে তিন শর বেশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান, যাদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা। এ ছাড়া ৩০টি ব্যাংক, ১৫টি সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় বিজনেস ক্লাবসহ আরও প্রায় ৫০টি উদ্যোক্তা সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশগ্রহণ করবে।

শিল্পমন্ত্রী আরও জানান, মেলায় অংশ নিচ্ছে তৈরি পোশাক খাতের সবচেয়ে বেশি ৭৫টি প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া পাটজাত পণ্যের ৪২টি, হস্ত ও কারু শিল্পের ৩৮টি, চামড়াজাত পণ্য খাতের ৩২টি, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্যের ২৭টি, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের ২৩টি, খাদ্যপণ্যের ১৪টি, তথ্য প্রযুক্তিভিত্তিক সেবা খাতের ১৩টি, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের এসএমই ক্লাস্টারের উদ্যোক্তাদের জন্য ১২টি, হারবাল/ভেষজ শিল্পের পাঁচটি, জুয়েলারি শিল্পের পাঁচটি, প্লাস্টিক পণ্যের চারটি ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস খাতের তিনটি, ফার্নিচার খাতের তিনটি এবং বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের ১৯টি স্টল থাকবে মেলায়।

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন আরও বলেন, মেলায় আগত ক্রেতা-দর্শনার্থীদের মাঝে এসএমই খাতের উন্নয়নে এসএমই ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম তুলে ধরার লক্ষ্যে এসএমই ফাউন্ডেশনের একটি সেক্রেটারিয়েট থাকবে। গণমাধ্যমের সহকর্মীদের কাজের সুবিধার্থে একটি মিডিয়া সেন্টারও থাকবে।

প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা প্রাঙ্গণ দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।


আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের বাজারে আবারও সোনার দাম বাড়িয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ১ হাজার ১৭৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৪৬০ টাকা।

আজ শ‌নিবার বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামীকাল রোববার ১৯ মে থেকে নতুন দর কার্যকর হবে।


banner close