মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪

নাটকে এখন বাজেট নয়, সংকট ভালো গল্পের

আপডেটেড
২০ এপ্রিল, ২০২৪ ১৯:৪২
সৈয়দ ইকবাল
প্রকাশিত
সৈয়দ ইকবাল
প্রকাশিত : ২০ এপ্রিল, ২০২৪ ১৯:৩৪

প্রতি বছর ঈদ উৎসবে দেশের বিভিন্ন টিভি ও ইউটিউব চ্যানেলসহ প্রায় তিন শ থেকে চার শ নাটক নির্মিত হয়ে থাকে। কখনও কখনও এই সংখ্যা কমবেশি হয়ে থাকে। এখনকার সময়ে টিভি চ্যানেল থেকে ইউটিউবেই নাটক নির্মাণের সংখ্যা বেশি। এর মধ্যে কিছু ইউটিউব চ্যানেলের নাটক টিভিতে প্রচার হওয়ার পর সেগুলো আবার ইউটিউবেও প্রচার হচ্ছে। আবার বেশ কিছু ইউটিউব চ্যানেল আছে যারা শুধু নিজস্ব ইউটিউবের জন্যই নাটক নির্মাণ করে থাকে। অন্যদিকে বর্তমানে প্রায় সব টিভি চ্যানেলের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল থাকায় তাদের নিজেদের নির্মিত নাটক টিভিতে প্রচারের পর আবার সেগুলো নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার হচ্ছে। ফলে এখন একটি নাটক বানানোর লগ্নিকৃত টাকা দুই মাধ্যম থেকেই প্রযোজক বা লগ্নিকারক ফেরত পাচ্ছেন। যার কারণে নাটকের বাজেট এখন আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। একটা সময় বলা হতো বাজেট নেই, নাটকে বাজেট কম- এটা এখনকার সময়ে নাটকের বাজেটের দিকে তাকালে বলা যাবে না।

বিশেষ করে ইউটিউবের আধিপত্য হওয়ার পর থেকেই গত কয়েক বছর ধরে একেকটি নাটক অনেক টাকায় বানানো হচ্ছে। একটা সময় নাটকের বাজেট নিয়ে নানান ধরনের কথা শোনা যেত। পরিচালক-অভিনয়শিল্পী থেকে শুরু করে নাটকের কলাকুশলীরা সব সময় বলত- নাটকের বাজেট কমে গেছে, এত কম বাজেটে নাটক বানানো সম্ভব নয় ইত্যাদি ইত্যাদি। ইউটিউবের কল্যাণে এখন নাটকের সেই বাজেট কয়েকগুণ বেড়েছে। অথচ ইউটিউবের আগে নাটকের বাজেট অনেক কমে গিয়েছিল। ২০১৬-২০১৭ সালেও নাটক এখনকার মতো এত বাজেটে নির্মিত হতো না। ২০১৮ সাল থেকে আস্তে আস্তে নাটকের বাজেট বাড়তে থাকে। নরমালি এখন একটি নাটক বানাতে চার-পাঁচ-ছয় লাখ টাকা নির্মাতারা হরহামেশাই পাচ্ছেন। এর থেকেও কম বাজেটে ছোট কিছু কনটেন্ট তৈরি হচ্ছে। ওইদিকের হিসেবে না গিয়ে যেগুলো আমাদের মেইনস্ট্রিমের নাটক বলে চিহ্নিত তা নিয়েই কথা হচ্ছে।

আর্টিস্ট ভেদে এখন একেকটি নাটকের বাজেট দশ-বারো-পনেরো লাখ পর্যন্ত পাচ্ছেন নির্মাতারা। এবার ঈদে তো আঠারো-বিশ লাখ এমনকি পঁচিশ লাখে নাটক নির্মাণের খবর পাওয়া গেছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে- এই যে এত এত বাজেট পাচ্ছেন নির্মাতারা, নাটকের গল্পে কতটা ভেরিয়েশন পাচ্ছেন দর্শক? সেই একই অভিনয়শিল্পীদের একই প্রেম কাহিনি, কমেডি গল্প, চিল্লাচিল্লি কিংবা প্রেম হওয়ার শুরুতে ঝগড়া, তারপর প্রেম, পরিবার মানে না- টাইপের গল্প অথবা প্রেমিকার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে, প্রেমিক চাকরি পায় না, পরিবার মানে না ইত্যাদি ইত্যাদি গল্প। অনেকটা নতুন বোতলে পুরোনো মদের মতো গল্প। আর এখন যোগ হয়েছে নাটকে গানের ব্যবহারসহ ঢাকার বাইরে শুটিং- দামি ক্যামেরা এবং বিজ্ঞাপনের মতো ইউনিট-ক্রু নিয়ে মুভ করা। বাজেট বাড়ছে, খরচ করতে সমস্যা নেই। কিন্তু যেই গল্পের জন্য নাটক- সেই গল্পের জন্য কতটা খরচ করে নাটক নির্মিত হচ্ছে? মানে ভালো গল্পের এবং ‘খরচওয়ালা’ গল্পের পেছনে কি সেই বাজেটটা যাচ্ছে?

বিশিষ্ট সাংবাদিক, নাট্যকার ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা রেজানুর রহমান বলেন, ‘নাটকে ভালো গল্পের সংকট রয়েছে এটা যেমন সত্যি, তেমনি অনেকের কাছে ভালো গল্প থাকার পরও সে বাজেটের জন্য তা বানাতে পারছেন না- এটাও সত্যি। আসলে এখন কোনো লেভেল কোম্পানি (ইউটিউব), টিভি কিংবা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান প্রথমেই নির্মাতার কাছে জিজ্ঞাসা করেন- ‘যে গল্প নিয়ে কাজ করবেন সেটির ভিউ হবে নাকি’- এই কথায় নির্মাতা নতুন কোনো কনসেপ্ট নিয়ে কাজ করতে চান না। সেই একই ফর‌ম্যাটে কাজ করতে হচ্ছে তাকে। এখন দেখা গেছে কেউ একজন একটি গল্প নিয়ে কাজ করায় সেটির ভিউ হয়েছে- সবাই সেটা বানাতে ছুটে। মানে হলো ভিউয়ের পেছনে দৌঁড়াচ্ছি। ভিউ-ই যখন এখন একমাত্র বাণিজ্য তখন তো গল্প ফ্যাক্ট না।’

তিনি আরও বলেন, ‘নির্মাতাদের স্বাধীনতা দিতে হবে। নির্মাতারা স্বাধীনতা না পেলে কাজ করা মুশকিল। অমুকটার মতো, তমুককে নিয়ে জুটি করে নাটক বানানোর জন্য প্রেসার না দিয়ে তাকে স্বাধীনতা দিতে হবে। এখন গল্পসহ ‘পাঁচজন- পাঁচজন’ জুটিকে ইঙ্গিত দিয়ে বলে দেয়া হচ্ছে নাটক বানানোর জন্য। সেই ‘পাঁচজন-পাঁচজন’ জুটির দশজন এতো ব্যস্ত যে, তাদেরকে মেনটেইন করতে গেলে নাটকের দিকে নজর দেয়া যাচ্ছে না। তারা ব্যস্ত থাকতেই পারেন। কিন্তু জুটি বেঁধে দিলেই বিপদ। নির্মাতাকে বলতে হবে- স্বাধীনভাবে গল্পে যে ধরনের আর্টিস্ট যায়, তাদেরকে নিয়েই বানান। তাহলে নতুন গল্প এবং নতুন আর্টিস্টও ইন্ডাস্ট্রিতে তৈরি হবে। বর্তমানে যারা কম্প্রমাইজ করে কাজ করছেন যা হওয়ার তাই হচ্ছে। ফলে মনে রাখার মতো নাটক হচ্ছে না। এখন আমাদের লাখ লাখ টাকা বাজেট যাচ্ছে, শত শত নাটকও হচ্ছে। কিন্তু অর্জনের জায়গাটা ফাঁকাই থেকে যাচ্ছে। এই বিষয়গুলো নিয়ে কেউ কথা বলছে না।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেশির ভাগ নাটকে লোকেশন (প্রয়োজন না হলেও), লাইট-ক্যামেরাসহ এগুলোতে অপ্রয়োজনীয় বাজেট ব্যবহার, মেইন আর্টিস্টদের বেশি রেম্যুনারেশন (আর্টিস্টরা নিজেরাই নিজেদের পারিশ্রমিক ঠিক করছেন), শুটিং ইউনিটে বিলাসবহুল খরচ করায় বেশির ভাগ নাটকের মূল বাজেট সেখানেই চলে যাচ্ছে। ফলে নাটকে এত এত বাজেট পাওয়ার পরও যেই ভিন্নধর্মী গল্পটির পেছনে বাজেটটা খরচ করার কথা- সেখানে কি খরচ হচ্ছে না। সেই একই গল্প, একই মেকিং এবং কমেডি টাইপ নাটকগুলোই নির্মিত হচ্ছে। এখন তো একটি নাটকের গল্পের সঙ্গে আরেকটি নাটকের নামেরও বেশ মিল পাওয়া যায়। যেমন- ‘তুই আমারই’, ‘তোর জন্য’, ‘আজকাল তুমি আমি’, ‘তোমাতে হারাই’, ‘তোমায় ভালোবেসে’- এবারের ঈদের এই নাটকগুলোর নাম প্রায় কাছাকাছি। এরকম ইউটিউবে খুঁজলে আরও অনেক নাটক পাওয়া যাবে যেগুলোর নাম প্রায় কাছাকাছি। আরও রয়েছে ইউটিউবে ‘কাটতি টাইপ’ নাটকের নাম। যা আসলে শিল্পমানের নাটকের নাম নয়। ফলে দর্শক আসলে একটি নাটক দেখে তার মনের মধ্যে সেটি ‘দাগ’ কাটাতে পারছেন না। আর এখনকার নাটকগুলোতে প্রায় একই অভিনয়শিল্পী (অমুকের সঙ্গে তমুক, তমুকের সঙ্গে অমুক- ধরাবান্দা জুটি) হওয়ায় দর্শক আরও বিভ্রান্ত হচ্ছেন যে সে আসলে কোন নাটকটা দেখেছেন। ফলে মনের মধ্যে অনুভূতি সৃষ্টি করা এবং খুব ভাবনায় ভাবানোর মতো নাটক এখন খুব একটা দেখা যায় না।

নাটকে বাজেট বাড়লেও গল্পের অভাব কিংবা শিল্পমান সম্পন্ন নাটক কম নির্মিত হওয়ার পেছনে কারণ কি? এই বিষয়ে কথা বলেন নির্মাতা রাকেশ বসু। তিনি বলেন, ‘বাংলা নাটকের এখন সব থেকে বড় সমস্যা হলো- গল্প সংকট। একটা সময় বাজেট নিয়ে সবাই কম-বেশি কথা বলতেন। কিন্তু এখন বাজেট সমস্যা থেকে গল্প সংকটটাই অনেক বড় ইস্যু একটা ভালো কাজের জন্য। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পীরা যে ধরনের কাজ করে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন এবং ভিউ কাউন্ট হয় সেই একই ধরনের গল্প নিয়েই কাজ করেন। সে ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা হলো ভিউ হওয়া একই গল্পের পুনরাবৃত্তি। ফলে অভিনয়শিল্পীরা জনপ্রিয়তার দিকে নজর দিতে গিয়ে ভালো গল্পের কাজ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বারবার।’

আগে একটি নাটকের স্ক্রিপ্ট ফাইনাল হতো। টেলিভিশন চ্যানেলের অনুষ্ঠান প্রধানসহ ক্রিয়েটিভ টিম মিলে গল্পটি ফাইনাল হওয়ার পর কোন অভিনয়শিল্পী কোন চরিত্রে অভিনয় করবে সেটা ভেবেচিন্তে কাস্টিং ফাইনাল করা হতো। এরমধ্যে স্ক্রিপ্ট নিয়ে কয়েকদফায় রাইটার ও পরিচালকসহ মিটিং হতো। তারপর ফাইনালি নাটকটি নির্মাণে যাওয়া হতো। নাটক নির্মাণের পর তা দেখে প্রিভিউ কমিটির মতামত থাকত এবং সেখানে পাস হলেই তা ফাইনালি সম্প্রচারে যেত।

আর এখন অনেকটা ঝালমুড়ি বানানোর মতোই নাটক বানানো হয়। মানে অমুক-তমুকের ভিউ আছে- আগে তাদের ডেট ‘লক’ করা হোক। তারপর তারা যেই গল্প পছন্দ করবেন কিংবা অনেক সময় অভিনয়শিল্পীও গল্প দিচ্ছেন সেটা নিয়ে- ডে নাইটের কিছু সিক্যুয়েন্স বানিয়ে (শুটিংয়ের সুবিধার্থে) শুটিংয়ে চলে যাওয়া হচ্ছে। স্লো-মো শট, গানের কিছু শট, নায়ক-নায়িকার দেখাদেখি-চোখাচোখি আর বিয়ে দিবে না বাবা-মা, ছেলে বেকার, চাকরি হয় না, পরিবার মেয়েকে অন্য জায়গায় বিয়ে দিয়ে দেয় আর চিল্লাচিল্লি ভরা কমেডি গল্প। বেশির ভাগ নাটকই এখন এভাবে নির্মিত হচ্ছে বলে জানা যায়। পাশাপাশি এখন সেট বানানোতেও ভালো খরচ করে নাটক নির্মাণের খবর পাওয়া গেছে।

ইউটিউবের সঠিক নিয়মনীতি না থাকা, নাটকে প্রিভিউ সিস্টেম না থাকায় এবং ‘ভিউই’ একমাত্র বাণিজ্য হওয়ায় দিনকে দিন মানহীন নাটক বানানোর প্রতিযোগিতা হচ্ছে এবং তা নিম্নমানের তলানিতে যাচ্ছে বলে অনেকে অভিমত দেন। এর পাশাপাশি একটা গুরুত্বপূর্ণ দিকের কথাও তারা উল্লেখ করেন তা হলো- একটা সময় যারা নাটক নির্মাণ ও ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন তারা টেলিভিশন ও থিয়েটারে দীর্ঘদিন কাজের অভিজ্ঞতা ছিল। আর এখন শুধু ব্যবসার উদ্দেশ্যেই (বেশির ভাগ) ইউটিউব চ্যানেল করে নাটকের নামে ‘কনটেন্ট’ বানানো হয়।

অথচ গল্পনির্ভর, জীবনবোধের নাটক, সমাজে পিছিয়ে পড়া মানুষের গল্প, আমাদের চারদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে কত কত গল্প। প্রতিদিন সংবাদের পাতায় কত গল্প প্রকাশ পায়, অথচ আমাদের দেশের নাটক নির্মাতারা এসব গল্প দেখেন না। কারণ এসব গল্পে ভিউ পাওয়া যায় না। তাই ইউটিউব মালিক তথা প্রযোজকরা ওই ধরনের গল্প নিয়ে কাজ করতে বা নির্মাণে আগ্রহ পান না।

ইউটিউবে ভিউ হচ্ছে সস্তা-চটুল, কমেডি তথা সুরসুরি প্রেম মার্কা গল্পের। ফলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে। লাখ লাখ টাকা বাজেট দিয়ে যেসব ‘নাটক’ বানানো হচ্ছে তা আসলে কতটা সমাজে প্রভাব ফেলছে? কি শিখছেন তরুণ প্রজন্ম? অবশ্য তরুণ প্রজন্ম নাকি যা বানানো হচ্ছে- তাই দেখতে চায় বলে তাদের অভিমত। এত এত বাজেটের টাকা আদতে ‘শ্রাদ্ধ’ করাই হচ্ছে বলে প্রকৃত নাট্যপ্রেমী তথা সত্যিকারের সংস্কৃতপ্রেমীরা অভিমত দেন। তাদের মতে, বেশি বাজেট এলে বেশির ভাগ নাটককে ঝকঝকে তকতকে বানানো আর ‘ফুটেজ’ ছাড়া আর কিছুই না বলেও অনেকে অভিমত দেন। তাই ভালো বাজেট দিয়ে ভালো গল্প এবং ভিন্নধর্মী চরিত্রসহ জীবনবোধের নাটক বানানোর তাগিদ দেন তারা।

বর্তমানে নাটক নির্মাণের একটা চিত্র তুলে ধরলে এখনকার পরিস্থিতিটা আরও পরিষ্কার বোঝা যাবে। এখন নাটকের কয়েকজন মেইন নায়ক তারা তাদের নিজেদের প্রযোজনা হাউস থেকে নাটক বানিয়ে তা নিজেই বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেল এবং টিভি চ্যানেলে তাদের চাহিদামতো সরবরাহ করছেন। নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক নাট্য নির্মাতা বলেন, ‘এভাবে আসলে কাজ করে অভ্যস্ত না। এই ভিউ বাণিজ্য এসে একজন নির্মাতার হাত-পা বন্দি হয়ে গেছে। আমরা আসলে বিক্রি হয়ে গেছি। এখন তো চাহিদাসম্পন্ন নায়করা তাদের প্রযোজনা হাউস থেকে নাটক তৈরি করেন। তারা নিজেদের বানানো ডিরেক্টর টিম, প্রোডাকশন টিমসহ ডিওপি এবং কো-আর্টিস্ট- সবই তারা ঠিক করেন। ডিরেক্টরকে দিয়ে শুধু ডিরেকশন (আসলে নামে ডিরেকশন) দেওয়ান। কোথায় এডিটিং হবে, কোথায় মিউজিক হবে এবং কীভাবে কাজটা কোথায় কত টাকায় বিক্রি হবে- সবই তিনি (নায়করা) ঠিক করেন। এভাবে চললে তো আসলে নাটকের ‘মান’ বলে কিছু থাকবেই না। ফলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে।’

ভালো নাটক বানানোর কিছু ব্যতিক্রম চিত্রও রয়েছে। কিছু যে ভালো গল্পের নাটক নির্মিত হচ্ছে না তা বলা যাবে না। যারা সত্যিকারের ভালো গল্পের খোঁজ করেন এবং জীবনবোধের গল্পসহ ভিন্নরকম কিছু বা আইডলজির জায়গা থেকে কাজ করছেন তারা ঠিকই শত প্রতিকূলতায় কিছু নাটক বানাচ্ছেন। আমাদের দেশে ওটিটিতে ওয়েবসিরিজ ও ওয়েবফিল্মে ভিন্নধর্মী গল্পের কাজ হওয়ায় সেগুলো দর্শকদের কাছে সাড়া ফেলেছে। ফলে তার কিছুটা ছোঁয়া নাটকেও লেগেছে বলা যায়। এবারের ঈদে ভিন্নধর্মী গল্পের তেমনকিছু নাটক হচ্ছে- ‘স্মৃতিসারক’, ‘বিদায় বসন্তে মধ্যাহ্ন রোদে’, ‘নিখোঁজ’, ‘বোঝা’, ‘শেষমেষ’, ‘সম্ভবত প্রেম’, ‘কিছু কথা বাকি’, ‘দুনিয়া’, ‘অভাব’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘অভিশাপ’, ‘অভাব, ‘জাদুর শহর’, ‘গর্ভ’, ‘কলিজার টুকরা’, ‘স্বপ্নটা সামান্যই’সহ আরও কিছু নাটক।

এখন প্রায় একই মুখ ঘুরেফিরে সব নাটকেই দেখতে হচ্ছে বলে সব নাটক একইরকম লাগার কথা দর্শকরা অভিমত দিয়েছেন। এক সময় নাটকে নিশো, মেহজাবীন, অপূর্ব, তানজিন তিশাকে জুটি বেঁধে অভিনয় করতে দেখা যেত। এখনকার সময়ে অপূর্ব ও তানজিন তিশাকে নাটকে দেখা গেলেও নিশো-মেহজাবীনকে দেখা যায় না। নিশো চলচ্চিত্র ও ওটিটির কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকায় গত কয়েক ঈদ উৎসবে তাকে নাটকে দেখা যায়নি।

অন্যদিকে মেহজাবীনও বর্তমানে ওটিটির কাজের সঙ্গে সম্প্রতি সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন। তারপরও নাটকে মেহজাবীনের কাজের আগ্রহ রয়েছে; কিন্তু ভালো গল্পের অভাবে কাজ করা হচ্ছে না বলে জানান তিনি। ‘সাবা’ ও ‘প্রিয় মালতী’ শিরোনামের দুটি ছবিতে কাজ করতে যাচ্ছেন ভক্তদের মেহু। তার জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘প্রিয় মালতী’ সিনেমা ঘোষণার অনুষ্ঠানে নাটকে অভিনয় কমিয়ে দেওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমি নাটকে একেবারেই কাজ করতে চাই না, বিষয়টা তেমন না। আমি আসলে ভালো গল্প পাই না। ভালো গল্প পেলে অভিনয় অবশ্যই করব। আমার কাছে যে স্ক্রিপ্টগুলো আসে সেগুলো পছন্দ হয় না। দর্শক আসলে ভিন্নতা চায়। আমি অনেক দিন পর সিনেমাওয়ালা ইউটিউব চ্যানেলের ‘অনন্যা’ করেছি। কারণ এটার গল্পটা ভিন্ন। এটার জন্য আমি সাড়াও পেয়েছি বেশ। তাই আমি এরকম ভিন্ন ভিন্ন গল্পের কাজ করতে চাই। তেমন স্ক্রিপ্ট পেলে কাজ করব।’

ঈদে রাফাত মজুমদার রিংকুর পরিচালনায় ‘রূপান্তর’ নাটকটি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। ট্রান্সজেন্ডার এবং তৃতীয় লিঙ্গের ইস্যুতে নাটকটিকে শেষমেশ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা শ্রেণি ধর্মের বিষয়ের সঙ্গে তুলনা করে। ফলে কর্তৃপক্ষ নাটকটি ইউটিউব থেকে সরিয়ে ফেলতে বাধ্য হয়। ভিন্নধর্মী গল্প নিয়ে নাটক বানাতে গেলেও নানান সমস্যার কথা উল্লেখ করেন নির্মাতা রাফাত মজুমদার রিংকু। তিনি বলেন, ‘আগের চেয়ে ভিন্ন ধরনের গল্পের নাটক বানানো হচ্ছে। তবে সেটা সংখ্যায় কম। এখন আলাদা টাইপের গল্পের নাটক বানাতে গেলেও নানান ধরনের জটিলতা তৈরি হচ্ছে। আমি নিজেও ‘রূপান্তর’ নিয়ে একপ্রকার জটিলতায় রয়েছি। তাই যারা ইউটিউবের মালিক এবং প্রযোজক তারা ভিন্ন টাইপের গল্পের নাটক বানাতে রিস্ক নেয় না। বাধ্য হয়েই গদবাঁধা গল্পের নাটক বানায়। নাচ-গান আর বিউটি লোকেশনসহ কাজগুলো হচ্ছে।’

নাট্যপ্রেমী-বিনোদনপ্রেমী তথা সংস্কৃতিপ্রেমীদের প্রত্যাশা, নাটকের গল্পে সমাজের বাস্তবচিত্র থাকবে। কারণ ‘সমাজের দর্পণই হচ্ছে নাটক’। একটা সময় বিটিভিতে নাটক প্রচারের মাধ্যমে মধ্যবিত্তের ড্রয়িংরুমের সাজটা কেমন হবে- তা সেই নাটক থেকে শিখত মধ্যবিত্ত সমাজ। সময় বদলেছে, মানুষের রুচির পরিবর্তন হয়েছে। সমাজের আমূল পরিবর্তনে নিজেদের ‘রুচির দুর্ভিক্ষ’ যেন নাটকের মাধ্যমে প্রচার হয়ে তা আবার সমাজে প্রভাব ফেলুক- তা কারোরই কাম্য নয়। কারণ আজকে পর্দায় যা দেখানো হবে তাই দেখবেন দর্শক। সংস্কৃতিকর্মী তথা ক্রিয়েটিভরাই প্রকৃত ‘দর্শক’ তৈরি করেন। সারা পৃথিবীতেই রুচিহীন-সস্তা কনটেন্টেরই ‘ভিউ’ বেশি, এটাই স্বাভাবিক। এরমধ্যেও নিজেদের দর্শক নিজস্ব গল্প দিয়ে নিজেদেরই তৈরি করতে হবে- এমনটাই মনে করেন প্রকৃত সংস্কৃতিপ্রেমীরা।


কী হচ্ছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে?

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জাহাঙ্গীর বিপ্লব

আবারও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে দুই বছর আগে যে রকম কাদা ছোড়াছুড়ির ঘটনা হয়েছিল, তা চলচ্চিত্র পরিবারের কাছে যেমন অজনা নয়, তেমনি সিনেমাপ্রেমীরাও ভুলে যাননি নিশ্চয়ই। সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে গত নির্বাচনের মতো এবারও একই রকম ঘটনা ঘটছে কাজহীন, গুরুত্বহীন এই সমিতিকে ঘিরে। শিল্পীদের স্টাডিরুম হিসেবে পরিচিত পাওয়া এ সমিতির মূলত কোনো কার্যকর ভূমিকা নেই; কিন্তু তারপরও গত কয়েক বছর ধরে এ সংগঠন নিয়ে যেসব ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটছে, তাতে খাদের কিনারায় থাকা চলচ্চিত্র শিল্পকে নিয়ে আরেক দফা ছি.ছি. পড়ে গেছে চিত্রপুরীতে।

কিছুদিন আগে অনেকটা আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন। এবার সভাপতি পদে মিশা সওদাগর এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ডিপজল নির্বাচিত হন। সবার আগে নতুন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ আক্তারই ফুলের শুভেচ্ছা জানান। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোয়ার হোসেন ডিপজলের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েও তার কাছাকাছি ভোট পাওয়ায় মিডিয়ার কাছে বেশ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন গতবারের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ আক্তার। নবনির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানও সম্পন্ন হয়ে গেছে অনেকদিন আগেই। অথচ বর্তমানে উল্টো পথে হাঁটছেন নিপুণ আক্তার। তার দাবি, শিল্পী সমিতির নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। নতুন কমিটি বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন নিপুণ আক্তার। নিপুণের রিটের প্রেক্ষিতে সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদটিতে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন আদালত। ফলে আপাতত ডিপজল এ পদে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। সোমবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির ঘটনা তদন্তের জন্য সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

হাইকোর্টের আদেশের পর বিষয়টি নিয়ে সংবাদ মাধ্যমকে মনোয়ার হোসেন ডিপজল বলেন, ‘আমি বরাবরই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। হাইকোর্ট যেহেতু রায় দিয়েছেন এখানে কিছু বলার নেই। তবে বিষয়টি নিয়ে আমাদের কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে দু-একদিনের মধ্যে আমরা চেম্বার জজ আদালতে যাব।’ এর আগে গত ১৫ মে নিপুণের পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট পলাশ চন্দ্র রায় শিল্পী একটি রিট আবেদন করেন। রিটে নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে এ ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠনের পাশাপাশি নতুন করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা ও মিশা-ডিপজলের নেতৃত্বাধীন কমিটির দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়। শুধু তাই নয়, সমিতির নতুন সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজলকে ‘মূর্খ’ বলে মন্তব্য করেছেন। নিপুণের এ আচরণকে বাড়াবাড়ি বলে মন্তব্য করছেন চলচ্চিত্র পরিবারের সিনিয়র অভিনয়শিল্পীরা। এ বিষয়ে চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা বলেন, ‘নিপুণ যা করছে, এটা গ্রহণযোগ্য নয়। এটা নিয়ে তিনি সবার সঙ্গে কথা বলতে পারতেন। সবাই মিলে একটা সুরাহা করা যেত।’ শুধু সোহেল রানাই নয়, চলচ্চিত্রপাড়ার অনেকেই শিল্পী সমিতি নিয়ে সৃষ্ট চলমান ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

বিষয়:

বাগদান সারলেন আনুশকা শেঠি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বহুল পরিচিত ও সফল মুখ আনুশকা শেঠি। বহুল আলোচিত সিনেমা ‘বাহুবলী’র মুক্তির পর থেকেই প্রেমের গুঞ্জন শুরু হয়েছিল দক্ষিণের দুই জনপ্রিয় তারকা প্রভাস ও আনুশকা শেঠিকে ঘিরে। পর্দায় তাদের জুটি বরাবরই পছন্দ সবার। তবে পর্দার বাইরে ব্যক্তিজীবনেও সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন দুজন, এমন ধারণাই চলছিল অনুরাগীদের মনে। এর আগে একাধিকবার শিরোনামে উঠে এসেছে তাদের কথিত প্রেমের গল্প।

তারা বিয়ে করছেন- এমন কথাও চাউর হয়েছিল সিনে পাড়ায়। তবে হঠাৎ করেই একটি সংবাদ যেন সবকিছুর সমাপ্তি ঘোষণা করল! বাগদান সেরে ফেলেছেন আনুশকা শেঠি!

দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির বাতাসে এখন এই খবরই ভেসে বেড়াচ্ছে। প্রভাস নয়, কন্নড় এক চলচ্চিত্র প্রযোজককে জীবনসঙ্গী বানাচ্ছেন আনুশকা। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে এই তথ্য। রিপোর্ট মোতাবেক, ওই প্রযোজকের সঙ্গে বাগদানও সেরে ফেলেছেন বাহুবলীর দেবসেনা।

চলতি বছরের শেষেই বিয়ে করবেন দুজনে। তবে ওই প্রযোজকের নাম এখনো জানা যায়নি।

‘নিউজ ৯ লাইভ’-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, কন্নড় সিনেমার প্রযোজকের সঙ্গে আনুশকা শর্মা বাগদান সেরেছেন। এই বছরের শেষেই বিয়ে করে নতুন জীবন শুরু করবেন।

এখনই অভিনেত্রীর পরিবার বিয়ে নিয়ে কোনো কিছু প্রকাশ্যে আনতে চাইছে না। আনুশকা শেঠি তার সমবয়সি জীবনসঙ্গীই খুঁজেছেন। অর্থাৎ ৪২ বছরের আনুশকার হবু স্বামীর বয়সও নাকি তাই।

এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই মন ভাঙল প্রভাস-আনুশকা শেঠি জুটির ভক্তদের। একসঙ্গে একাধিক চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন তারা।

ভক্তদের মধ্যেও তাদের নিয়ে প্রত্যাশার পারদ চড়ছিল। যদিও নিজেদের সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন উভয় তারকা। বেশ কয়েক বছর আগে এক সাক্ষাৎকারে আনুশকা শেঠিকে প্রভাসের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। সেই সময়ও তিনি বলেছিলেন তারা ভীষণ ভালো বন্ধু। তাদের বন্ধুত্বের বন্ধন এতটাই মজবুত যে রাত ৩টার সময় ফোন করে সাহায্য চাইতেও সংকোচবোধ করেন না কেউ। প্রভাসও একই বক্তব্য দিয়েছেন একাধিকবার।

বিষয়:

মডেলিংয়ে বাজিমাত করলেন আমিন খান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

বাংলাদেশের সিনেমায় অ্যাকশন হিরো বা রোমান্টিক হিরো হিসেবে খ্যাত আমিন খান দীর্ঘদিন ধরেই ওয়ালটন’-এ চাকরি করছেন। ওয়ালটনের প্রচার ও প্রসারে তিনি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। যে কারণে অভিনয়ে আগের মতো নিয়মিত নেই তিনি। অবশ্য সবসময় তার অবস্থান তিনি স্পষ্ট রেখেছেন। যদিও তাকে বলা হয়েছে, ভালো গল্পে কাজ করার সুযোগ এলে অফিস তাকে কোনো বাধা দেবে না।

তারপরও ভালো গল্প বিগত কয়েক বছর তার কাছে আসেনি, এ কারণে সিনেমাপ্রেমী দর্শকের কাছেও দীর্ঘদিন অনুপস্থিত হ্যান্ডসাম এই তারকা; কিন্তু নায়কের মন বলে কথা। অভিনয়ের তৃষ্ণা থেকেই নিজের অফিসেরই একটি বিজ্ঞাপনের প্রচারে তিনি নিজেই মডেল হিসেবে উপস্থিত হন। ‘ওয়ালটন-এর কমিটম্যান্ট কেউ থামিয়ে রাখতে পারবে না’-এমন কথার প্রচারণাতেই মডেল হিসেবে উপস্থিত হয়েছেন আমিন খান। একজন অ্যাকশন হিরো হিসেবেই বিজ্ঞাপনটিতে উপস্থিত হয়েছেন। বিজ্ঞাপনটির গল্প ভাবনা আমিন খানের নিজেরই। নির্মাণ করেছেন শাহেদ শাহরুখ।

রোববার রাতে বিজ্ঞাপনটি প্রচারের পর থেকে আমিন খান চারিদিকে হৈচৈ ফেলে দিয়েছেন। বলা যায় মুহূর্তেই সারা দেশে বিজ্ঞাপনটি ছড়িয়ে পড়ে। এর আগে আমিন খানকে কোনো সিনেমার অ্যাকশন দৃশ্যে এতটা শৈল্পিকভাবে উপস্থাপন করা হয়নি। সময়ের ধারাবাহিকতায় সবকিছুতে পরিবর্তন এসেছে; কিন্তু আমিন খানের মতো নায়কদের যথাযথভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে না। তবে ওয়ালটন ঠিকঠাকভাবে তাকে কাজে লাগাচ্ছেন। সেই ধারাবাহিকতায় নতুন বিজ্ঞাপনও যেন তারই প্রমাণ বহন করে।

আমিন খান বলেন, ‘বিজ্ঞাপনটি প্রচারের পর থেকে রবিবার রাত প্রায় তিনটা পর্যন্ত শুধু ফোনেই কথা বলেছি। যারা ফোন করেছেন সবাই বিজ্ঞাপনে আমার উপস্থিতির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। কেউ কেউ এমনও বলছেন শোবিজ আপনাদের মতো সিনিয়র, মেধাবী শিল্পীদের ঠিকঠাকভাবে কাজে লাগাতে পারছে না। আমি অবশ্য এসব নিয়ে ভাবিও না। কারণ আমি আমার কাজটা ঠিকঠাক ভাবে করে যেতে চাই। ওয়ালটন আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছে তা যেন সঠিকভাবে করে যেতে পারি। অবশ্যই দর্শকের প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ তারা আমার এভাবে প্রত্যাবর্তনে অনেক মুগ্ধ হযেছেন এবং আমাকে অনুপ্রাণিত করছেন। আমার স্ত্রী সিগ্ধা ও দুই সন্তানও কিন্তু আমার কাজের নিয়মিত দর্শক।’

বিষয়:

আবার অভিনয়ে সরব হচ্ছেন তাহসান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

ঝলমলে সময় কাটছে সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খানের। একের পরিএক নতুন নতুন কাজের সুবাধে বছরের শুরু থেকেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন এই তারকা। বেশ কয়েক বছর টানা টিভি নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। সিনেমা ও ওয়েব ফিল্মেও দেখা গেছে তাকে। গানে মনোযোগ দেওয়ার কথা জানিয়ে ২০২২ সালে অভিনয় থেকে বিরতি নেওয়ার ঘোষণা দেন তাহসান।

বিরতি কাটিয়ে আবার অভিনয়ে ফিরছেন তাহসান। শুধু তাই নয়- আবার আগের মতো অভিনয়ে নিয়মিত হওয়ার প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেছেন তিনি। আরিফুর রহমানের ‘বাজি’ ওয়েব সিরিজ দিয়ে অভিনয়ে প্রত্যাবর্তন হচ্ছে তার। এটি তাহসানের প্রথম ওয়েব সিরিজ। এর আগে গোলাম সোহরাব দোদুলের ‘ছক’ সিনেমা দিয়ে ওটিটিতে কাজ শুরু করেন তাহসান।

অভিনয়ে ফেরা প্রসঙ্গে তাহসান খান বলেন, ‘অভিনয় নিয়ে পড়াশোনা করতে কয়েক বছর বিরতি নিয়েছিলাম। ইচ্ছা ছিল ওটিটিতে কাজ করার। প্রায় আড়াই বছর পর আবার অভিনয় করেছি একটি ওয়েব সিরিজে। প্রথমবার কোনো ওয়েব সিরিজে অভিনয় করলাম।’

বাজি ওয়েব সিরিজে একজন ক্রিকেটারের চরিত্রে দেখা যাবে তাহসানকে। এতে তার সঙ্গে আছেন রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। তিনি অভিনয় করেছেন সাংবাদিক চরিত্রে। দাম্পত্য বিচ্ছেদের পর সিরিজটি দিয়ে পর্দায় ফিরছে এই জুটি।

সিরিজটি নিয়ে নির্মাতা আরিফুর রহমান বলেন, ‘ক্রিকেট নিয়ে সাজানো হয়েছে বাজির গল্প। এই প্রথম বাংলা কোনো ওয়েব কনটেন্টে উঠে আসবে ক্রিকেট নিয়ে গল্প। সবাই অনেক পরিশ্রম করেছেন সিরিজটির জন্য। শুটিং শুরুর আগে বেশ কয়েক মাসের প্রস্তুতি পর্ব সেরেছেন তাহসান-মিথিলা। পর্দায় সেই পরিশ্রমের ছাপ দেখতে পারবেন দর্শক।’

সাত পর্বের এই সিরিজ ঈদুল আজহায় দেশের একটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাবে বলে জানিয়েছেন নির্মাতা আরিফুর রহমান।

এদিকে গান নিয়েও ব্যস্ত সময় পার করছেন তাহসান। চলতি মাসেই ২০ বছর পর স্টেজে ব্ল্যাক ব্যান্ডের হয়ে পারফর্ম করেছেন তিনি। এই ব্যান্ড দিয়েই গানের জগতে পা রেখেছিলেন তাহসান। ২০০৪ সালে ব্ল্যাক ছাড়ার পর এই প্রথম দলটির হয়ে পারফর্ম করলেন তিনি।

সর্বশেষ গত রোজার ঈদে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে প্রচার হয়েছিল তাহসানের ‘রঙে রঙে রঙিন’ গানটি। কবির বকুলের লেখা ও ইমরান মাহমুদুলের সংগীতায়োজনে এই গানে তাহসানের সঙ্গে কণ্ঠ দেন অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। ইউটিউবে ২ কোটির বেশিবার শোনা হয়েছে তাহসান-ফারিণের গানটি।

বিষয়:

ঈদুল আজহায় জারসনের ‘তবুও জীবন’

আপডেটেড ২১ মে, ২০২৪ ১৫:৩৩
বিনোদন প্রতিবেদক

ঈদুল আজহায় আসছে তরুণ নির্মাতা জারসন বমের নাটক ‘তবুও জীবন’। মিনারা ফিল্ম-এর প্রযোজনায় নাটকে অভিনয় করেছেন আরশ খান, তাসনুভা তিশা, সিয়াম নাসির, শামিম আহমেদসহ আরও অনেকে। মিনারা ফিল্ম ইউটিউব চ্যানেলে কোরবানি ঈদে নাটকটি মুক্তি পাবে।

নাটকের কাহিনী সম্পর্কে জারসন বলেন, ‘ভিন্ন ধারার গল্প তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এই ফিকশনের মধ্যে রাখার চেষ্টা করেছি সিরিয়াস, ফান লাভ রোমান্টিক। প্রেম, পালিয়ে বিয়ে এরপর চিলেকোঠা সংসার। তারপর বাস্তবতার কিছু চিত্র ধরা হয়েছে।’

এই পরিচালক বলেন, ‘প্রথমেই বলব আরশের কথা। আরশ আমার ভাই ও বন্ধু। আমার প্রথম নাটকও আরশের সঙ্গেই। আর আরশের মাধ্যমেই এই দ্বিতীয় কাজটা করা। শুটিংয়ে আরশ তিনবার অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। অতিরিক্ত গরম আর ঘুম কম সবকিছু মিলিয়ে। অসুস্থ অবস্থায় তার জায়গা থেকে পরিশ্রম করে গিয়েছে। আর তিনি সুন্দর মনের মানুষ।’

তিনি বলেন, ‘আর তাসনুভা তিশা আপুর সঙ্গে এটা ছিল আমার প্রথম কাজ। আমার মনে হয়নি তার সঙ্গে প্রথম কাজ। কাজের প্রতি তার ভালোবাসা এবং পরিশ্রম আমাকে মুগ্ধ করেছে। একটা ভালো গল্প ডিরেক্টর একা কখনো ফুটাই তুলতে পারে না যদি তার টিমের লোকজন, আর্টিস্টদের সাপোর্ট না থাকে।’

সামনে আরও কী কী প্রোজেক্ট আসবে এমন প্রশ্নের জবাবে জারসন বলেন, ‘মাত্র একটা শেষ করলাম। এখন পোস্ট প্রোডাকশনে সময় দেব। নাটক রেডি করব। প্রডিউসারের কাছে জমা দেব, রিলিজ হবে, তারপর প্ল্যান করতে চাই পরবর্তী কাজের। প্রি প্রোডাকশন আর পোস্ট প্রোডাকশনে ফাঁকিবাজি করতে চাই না।’


কান থেকেই নতুন খবর ভাবনার

আপডেটেড ২১ মে, ২০২৪ ০০:০২
বিনোদন প্রতিবেদক

নিজ উদ্যোগে প্রথমবার কান চলচ্চিত্র উৎসবে গিয়ে নতুন করে আলোচনায় চলে এসেছেন টিভি ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা। কানের লাল গালিচায় রকমারি পোশাকে উৎসবের লাল গালিচাতেও নজর কেড়েছে ‘ভয়ংকর সুন্দর’ খ্যাত এই অভিনেত্রী। আর ফ্রান্সের কান উৎসব থেকেই নতুন একটি সুখবর দিলেন ভাবনা। জানালেন বাংলাদেশের নতুন চিত্র পরিচালক জাফর ফিরোজের ছবিতে অভিনয় করবেন তিনি। ছবিটির নির্বাহী প্রযোজক হিসেবে আছেন কিয়াও লি, যিনি একজন ব্রিটিশ চায়নিজ প্রযোজক। ছবির নাম ‘জেনুবিয়া’।

কান চলচ্চিত্র উৎসবে গিয়ে ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়ে বেশ আনন্দিত কণ্ঠে গণমাধ্যমকে আশনা হাবিব ভাবনা বলেন, এই উৎসবে আমি একাই আসছি। আসার সময় খুব ভয় পাচ্ছিলাম, একা একা সব করতে পারব কি না; কিন্তু আমার পরিবার, আমার বন্ধু ও আমার খুব কাছের মানুষ সবচেয়ে বেশি অনুপ্রাণিত করেছেন। বিশেষ করে আমার মা-বাবা, বোন অদিতি ও কণ্ঠশিল্পী কোনাল আপু আমাকে শক্তি, সাহস ও সবচেয়ে বেশি প্রেরণা জুগিয়েছেন। তারা বারবার বলেছেন, ভয়কে আমি জয় করতে পারব। তাই আমি এখানে এসে একা সবকিছু করলাম। ছবিতেও সাইন করলাম। একজন অভিনয়শিল্পী হিসেবে এটাই তো সবচেয়ে বড় পাওয়া।’

ভাবনা আরও বলেন, ‘একজন অভিনয়শিল্পীর চাওয়া প্রতিনিয়ত নিজেকে নতুন চরিত্রে দেখার। আমি এমন একটি চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেলাম, যা সত্যিই গর্ব করার মতো। শর্তের কারণে অনেক কিছু বিস্তারিত বলতে পারছি না; কিন্তু আমাকে যে গল্পটা শোনানো হয়েছে, খুবই চমৎকার। যেদিন আমি সবার সঙ্গে গল্পটা ভাগাভাগি করতে পারব, সেদিন সবাই বুঝবে অভিনয়শিল্পী হিসেবে আমি কতটা সৌভাগ্যবান। পরিচালক জানিয়েছেন, ছবিটা শুধু বাংলাদেশে নয়, চীন ও মালয়েশিয়াতেও মুক্তি পাবে। অনেক ভাষায় ডাবিংও হবে।’

ভাবনা জানান, ‘প্রথমবার এসে এমন একটা সিনেমায় কাজ করার সুযোগ পেয়ে যাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। আল্লাহ আমাকে অনেক ভালোবাসেন, তাই উপহারটা আমাকে দিয়েছেন। তা ছাড়া এটা কোনোভাবে সম্ভব হতো না। আমার সঙ্গে কান উৎসবে আসার পর যা কিছু ঘটছে, সবই মিরাক্যালি ঘটছে। নিঃসন্দেহে আমি বিশ্বাস করি যে এটা মালিকের আশীর্বাদ, তাই এমনটি ঘটছে। সব মিলিয়ে তাই আমার মধ্যে অন্যরকম অনুভূতি কাজ করছে, যা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়।’

জাফর ফিরোজ জানান, আগামী তিন মাসের মধ্যে ছবির কাজ শুরু করবেন। আর পুরো শুটিং হবে মালয়েশিয়ায়। অন্যান্য অভিনয়শিল্পীও এরই মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে।


কান মাতাচ্ছেন এমা স্টোন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

ফ্রান্সে চলছে ৭৭তম কান চলচ্চিত্র উৎসব। আর এই আসরের প্রথম দিন থেকেই উপস্থিত অস্কারজয়ী অভিনেত্রী এমা স্টোন। তার নতুন সিনেমা ‘কাইন্ডস অব কাইন্ডনেস’-এর ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়ে গেল সেখানে। ছবিটি মুক্তি পাবে আগামী ২১ জুন। এই ছবির নির্মাতা ও অভিনয়শিল্পীরা মিলে এসেছিলেন কানের লালগালিচায়। নতুন সিনেমা নিয়ে এক অন্যরকম উচ্ছ্বাসে ভাসছিলেন তারা। কারণ আরেকটি বিস্ময়কর সিনেমা নিয়ে তারা সেখানে হাজির হয়েছেন।

কান উৎসবে ‘কাইন্ডস অব কাইন্ডনেস’-এর উদ্বোধনী প্রদর্শনীর আগে এমা স্টোন, জো অ্যালউইন, উইলেম ড্যাফো, জেসি প্লেমন্সদের সঙ্গে লালগালিচায় এসেছিলেন ছবিটির পরিচালক ইয়রগোস ল্যান্থিমোস। প্রথমবার কানে হাজির হলেন তিনি। এমা স্টোনকে দেখা গেছে একটি ঝকঝকে বার্গান্ডি লুই ভিটন গাউনে। গভীর ভি আকারে কাটা সেই গাউনের বুক। পুরুষদের পরনে ছিল ব্লেজার। ইয়রগোস পরেছিলেন দুই স্তরের নীল স্যুট।

অভিনেত্রী এমা স্টোন ও নির্মাতা ইয়রগোস ল্যান্থিমোস জুটির ভাগ্য ঈর্ষণীয় রকমের ভালো। এই নির্মাতার কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন এমা, সবগুলো সাড়া ফেলেছে। ‘কাইন্ডস অব কাইন্ডনেস’ এমা ও অ্যালউইনের একত্রে করা দ্বিতীয় সিনেমা। এর আগে ‘দ্য ফেভারিট’ ছবিতে একত্রে কাজ করেছিলেন তারা। দুটো সিনেমারই পরিচালক ইয়রগোস। এমাকে নিয়ে এই নির্মাতার বানানো ‘পুওর থিংস’ তো চলতি বছর অস্কার জিতে নিল, এমা পেলেন সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার।

পপতারকা টেইলর সুইফটের সঙ্গে প্রেম ভাঙার পর ‘কাইন্ডস অব কাইন্ডনেস’ অ্যালউনের প্রথম কাজ। ছয় বছর প্রেম করার পর ভাঙা মন নিয়ে করা এই কাজটিতে তিনি সহশিল্পী হিসেবে পেয়েছেন সুইফটের ঘনিষ্ঠ বন্ধু স্টোনকে। এক সংবাদ সম্মেলনে স্টোন বলেছিলেন, ‘জোকে আমি খুবই পছন্দ করি। ওর সঙ্গে আমি আগেও কাজ করেছি। ওর সঙ্গে কাজ করা দারুণ আরামদায়ক। তার মতো মিষ্টি ছেলে আর একটাও নেই।’

পিপলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইয়রগোস ২০২৩ সালে বলেছিলেন, ‘সাত শিল্পীকে নিয়ে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন গল্পের সিনেমা এটি। প্রতিটি গল্পেই এমাকে পাওয়া যাবে একটি চরিত্রে।’

বিষয়:

ভোটারদের কাছে বিশেষ আবেদন শাহরুখ-সালমানদের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

ভারতে চলছে লোকসভা নির্বাচন। আজ সোমবার পঞ্চম দফার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে মহারাষ্ট্রে। মোট ৪৮টি আসন রয়েছে মহারাষ্ট্র লোকসভা নির্বাচনে। লোকসভা আসনের নিরিখে উত্তর প্রদেশের (৮০) পরেই রয়েছে মহারাষ্ট্র। তার আগে মুম্বাইয়ের ভোটারদের কাছে বিশেষ আবেদন করছেন শাহরুখ, সালমান, অক্ষয়, শিল্পা শেঠিসহ বলিউডের তারকারা।

গতকাল রোববার বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান (পূর্বে টুইটার)-এ লেখেন, ‘দায়িত্বশীল ভারতীয় নাগরিক হিসেবে আমাদের অবশ্যই আজ সোমবার মহারাষ্ট্রে আমাদের ভোট দেওয়ার অধিকার প্রয়োগ করতে হবে। আসুন ভারতীয় হিসেবে আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করি। আমরা আমাদের দেশের সর্বোত্তম স্বার্থকে মাথায় রেখে ভোট দেই। নিজের ভোটটি দিন, ভোট দেওয়ার কথা প্রচার করুন।’

বলিউড সুপারস্টার সালমান খানও মহারাষ্ট্রের নাগরিকদের ভোট দেওয়ার অনুরোধ করে লেখেন, ‘আমি বছরে ৩৬৫ দিন যাই করি না কেন, ২০ মে আমি আমার ভোট দেওয়ার অধিকার প্রয়োগ করব, তা সে যাই ঘটুক না কেন! সুতরাং আপনি যা করতে চান তা করুন, তবে যান গিয়ে ভোটটা দিয়ে আসুন। এতে আপনার সমস্যা হবে না। ভারত মাতা … ভারত মাতা কি জয়।’

একইভাবে খিলাড়িখ্যাত বলিউড তারকা অক্ষয় কুমার সবার উদ্দেশে বলেন, ‘নমস্কার মুম্বাইবাসী, এই সুযোগটা ৫ বছরে মাত্র একবারই আসে, সেটা হলো ভোট দিয়ে নিজের পছন্দের লোকসভা সাংসদকে বেছে নেওয়ার সুযোগ। এটা মিস করবেন না কারণ প্রতিটি ভোট গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা রোববার ছুটি কাটান, আর সোমবার দেশের জন্য আপনার দায়িত্ব পালন করুন।’

অভিনেত্রী শিল্পা শেঠি এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘আমি ভোট দেওয়ার জন্য সব মুম্বাইকারদের কাছে আবেদন করছি- অনুগ্রহ করে ২০ মে বাড়ির বাইরে যান এবং ভোট দিন। ভোট দেওয়া আপনার অধিকার এবং এই অধিকার ব্যবহার করুন।’

একইভাবে ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন আরও অনেক তারকা। এদের মধ্যে সুনীল শেঠি বলেন, ‘ভোটদান শুধু আমাদের অধিকার নয়, দায়িত্বও। একজন গর্বিত মুম্বাইকার হিসেবে আমি অবশ্যই ভোট দেব। ২০ মে অনুগ্রহ করে বাড়ি থেকে বের হয়ে আপনার ভোটটা দিয়ে আসুন।’

বিষয়:

হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন রাই সুন্দরী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

টানা ২২ বছর ধরে বিশ্ব চলচ্চিত্রের অন্যতম মর্যাদাসম্পন্ন আসর কান চলচ্চিত্র উৎসবে হাজির হয়ে ঝলক দেখিয়ে আসছেন সাবেক বিশ্ব সুন্দরী ঐশ্বরিয়া রাই। ভারতের এই লাস্যময়ী অভিনেত্রী ছাড়া যেন অসম্পূর্ণ থেকে যায় কান উৎসব। কান চলচ্চিত্র উৎসব আর লালগালিচায় ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের উপস্থিতিটা যেন একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এবারের ৭৭তম কান চলচ্চিত্র উৎসবেও রাই সুন্দরীর ‘কান লুক’ দেখার জন্য অপেক্ষায় ছিল তার অগণিত ভক্তরা। মুম্বাই বিমানবন্দরে আদুরে কন্যা আরাধ্যাকে নিয়ে কানের উদ্দেশে রওনা দিতেই পাপারাজ্জিদের নজরে এল অভিনেত্রীর হাতের চোট। যা দেখে সবাই একেবারে তাজ্জব। কীভাবে চোট পেয়েছেন সেই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য এড়িয়ে গিয়েছিলেন ঐশ্বর্য। তবে হিন্দুস্থান টাইমসের লেটেস্ট রিপোর্ট অনুযায়ী, হাতের কবজির হাড় ভেঙে যায় ঐশ্বর্যর। ঐতিহ্যবাহী কান চলচ্চিত্রের কথা মাথায় রেখে প্লাস্টার করেছিলেন। হাতে প্লাস্টার নিয়ে বাহারি ও ঝলমলে পোশাকে লাল গালিচায় ঝলক দেখান রাই সুন্দরী। তবে কানে বেশি সময় থাকতে পারলেন না অ্যাশ। রোববার নিজ দেশে ফিরেছেন তিনি।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, কান চলচ্চিত্র উৎসবের লালগালিচায় হাঁটার ট্রাডিশন ভাঙতে চাননি ঐশ্বর্য। হাতের চোট নিয়েও কানের রেড কার্পেট মিস করতে করতে চাননি। ঐশ্বর্যর হাতের চোট নিয়ে কানের রেড কার্পেটে হেঁটে পেশাদারিত্বের নজির গড়লেন। আরও জানা গেছে, চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই ফ্রান্সে গিয়েছিলেন রাই সুন্দরী। ফিরে এসেই অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসক। আগামী সপ্তাহেই হাসপাতালে ভর্তি হবেন ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। প্রসঙ্গত, প্রত্যেকবারের মতো এবারেও বচ্চন বধূর পোশাক থেকে মোহময়ী ভঙ্গিমায় হেঁটে যাওয়া প্রমাণ করে দিল রাই সুন্দরী এক ও অদ্বিতীয়া।

৫০ বছরেও অভিনেত্রীর গ্ল্যামারের কাছে হার মানবে নতুন প্রজন্মের গ্ল্যাম ডিভারা। কানের মঞ্চে রাই সুন্দরীর প্রথম দিনের লুকের প্রশংসা করেছে প্রত্যেকেই। তবে দ্বিতীয় দিনের লুক নিয়ে হয়েছে বেশ কিছু সমালোচনাও। নিন্দুকের একটা বড় অংশ সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্য করেছেন, অনেকটাই ওজন বেড়েছে রাই সুন্দরীর। পশ্চিমা পোশাকের বদলে শাড়ি পরলেই ভালো হতো।

কান চলচ্চিত্র উৎসবে ঐশ্বর্যর ছায়াসঙ্গী হিসেবে ছিলেন মেয়ে আরাধ্যা বচ্চন। মুম্বাই বিমানবন্দর থেকে কানের রেড কার্পেট, মাকে আগলে রাখতে দেখা গিয়েছে আরাধ্যাকে। রাই সুন্দরীর ভক্তরা আপাতত তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছেন। অস্ত্রোপচারের দ্বারা হাতের চোট নিরাময় হোক এটাই রাই সুন্দরীর ভক্তদের আশা।

বিষয়:

নিপুণের রিট: ডিপজলকে বিজয়ী ঘোষণার ফলাফল স্থগিত করলো হাইকোর্ট

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে ডিপজলকে বিজয়ী ঘোষণার ফলাফল স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। সঙ্গে অনিয়মের ঘটনায় তদন্তের পাশাপাশি রুল জারি করা হয়েছে।

শিল্পী সমিতির বিগত নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে পরাজিত প্রার্থী নিপুণের করা এক রিটের শুনানি শেষে আজ সোমবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।

আদালতে নিপুণের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী শাহ মনজুরুল হক।

গত ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে নিপুণ ও মাহমুদ কলি প্যানেলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মিশা-ডিপজল প্যানেল। ভোট গ্রহণ শেষে ২০ এপ্রিল সকালে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত ফলাফলে সভাপতি পদে মিশা সওদাগর ২৬৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। আর ১৭০ ভোট পান তার প্রতিদ্বন্দ্বী সভাপতি প্রার্থী মাহমুদ কলি।

অন্যদিকে মাত্র ১৬ ভোটের ব্যবধানে সাধারণ সম্পাদক পদে মনোয়ার হোসেন ডিপজলের কাছে হেরে যান নিপুণ আক্তার। যেখানে ডিপজল পান ২২৫ ভোট আর নিপুণ আক্তার পান ২০৯ ভোট। ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর নিপুণ ডিপজল ও মিশাকে ফুলের মালা পরিয়ে দেন। মিশা ও ডিপজল তাদের গলায় পরিয়ে দেওয়া মালা নিপুণকে পরিয়ে দেন। তবে ফুলের মালা দিয়ে বরণের ২৫ দিন পর এবারের নির্বাচিত কমিটির কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন নিপুণ।

রিট নিয়ে নিপুণ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন বাতিল ভোটের সংখ্যা সঠিক দেননি। আমার জানামতে, ৮১টি ভোট বাতিল হয়েছে। কিন্তু তারা ৪০টি ভোট বাতিল দেখিয়েছে। এ নিয়ে স্পষ্ট করে কোনো কিছুই আমাদের প্যানেলকে জানায়নি নির্বাচন কমিশন।’

বিষয়:

দীপিকার মুকুটে নয়া পালক

আপডেটেড ২০ মে, ২০২৪ ০০:১২
বিনোদন ডেস্ক

বিচিত্র একসময় পার করছেন বলিউড তারকা দীপিকা পাড়ুকোন। প্রথমবার মা হওয়া বলে কথা। এ কারণে বেশ ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন এই বলিউড ও হলিউডের লাস্যময়ী অভিনেত্রী। গর্ভবতী অবস্থাতেও বেশ কিছুদিন সিনেমার শুটিং করলেও এখন শুটিং থেকে নিজেকে দুরে সরিয়ে রেখেছেন নিজেকে। আগামী বছর খানেক সব ধরনের শুটিং থেকে নিজেকে গুটিয়ে রাখবেন বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দীপিকা। বর্তমানে স্বামী বলিউড অভিনেতা রণবীর সিং ও তার পরিবারের সঙ্গেই একান্ত সময় কাটাচ্ছেন এই অভিনেত্রী।

এরই মধ্যে এলো আরো একটি সুসংবাদ। নিজের নামের পাশে আরো একটি খেতাব জুড়ে গেল দীপিকার। ‘গ্লোবাল ডিসরাপ্টারস ২০২৪’-এর তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন অভিনেত্রী। প্রথম ভারতীয় তারকা হিসেবে এই অনন্য অর্জন দীপিকার।

আন্তর্জাতিক প্রকাশনা সংস্থা ও হলিউড ম্যাগাজিন ‘ডেডলাইন’-এর প্রকাশ করা ‘গ্লোবাল ডিসরাপ্টার’ তালিকায় বিশ্বজুড়ে বিনোদন জগতের তারকাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয় যারা বিনোদন শিল্পে বিশেষ অবদান রেখেছেন। বিশ্বের অনেক তারকাই এই তালিকায় রয়েছেন। তার মধ্যে রয়েছেন ইভা লঙ্গোরিয়া, উমা থারম্যান এবং লি সুং জিনের মতো তারকারা।

এদিকে স্ত্রীর এমন সাফল্যে নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন স্বামী অভিনেতা রণবীর সিং। ইনস্টাগ্রামে দীপিকাকে নিয়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের ছবি পোস্ট করে রণবীর লিখেছেন, ‘বাচ্চার মা আমাদের কাঁপিয়ে দিয়েছে।’

দীপিকা পাড়ুকোন গত দুই বছরে শুধু বক্স অফিসেই বিস্ফোরণ ঘটাননি, তিনি অনেক জায়গায় ভারতের প্রতিনিধিত্বও করেছেন। ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবলের সমাপনী মঞ্চেও ভারতের হয়ে হাজির ছিলেন এই অভিনেত্রী। বর্তমানে ভারতীয় অভিনেত্রীদের মধ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী ও বিশ্বসেরা ব্র্যান্ডগুলোর আম্বাসাডর হিসেবেও কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। দীপিকাকে সামনে দেখা যাবে প্রভাসের সঙ্গে ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’ চলচ্চিত্রে। বহুল প্রতীক্ষিত চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাবে এ বছর। ছবিটিতে এতে আরো রয়েছেন অমিতাভ বচ্চন ও কমল হাসানের মতো তারকারা।

অন্যদিকে সেপ্টেম্বরেই নতুন অতিথি আসছে রণবীর সিং ও দীপিকা পাড়ুকোনের সংসারে। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি প্রথম তারা সুখবর প্রকাশ করেন। অনেকের ধারণা ছিল, ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা অভিনেত্রী। আবার এক দলের দাবি, সারোগেসির মাধ্যমে সন্তান নিচ্ছেন রণবীর-দীপিকা। তবে এখনও পর্যন্ত দীপিকাকে দেখে বোঝার উপায় নেই যে, তিনি মা হতে চলেছেন। তার নির্মেদ, সুঠাম শরীরে মেদের লেশমাত্র নেই। সাধারণত অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালে ওজন বৃদ্ধি পায় মেয়েদের। তবে এ ক্ষেত্রে দীপিকা ব্যতিক্রম।

বিষয়:

নতুন প্রকল্প নিয়ে ফাহমিদা নবী

আপডেটেড ২০ মে, ২০২৪ ০০:১৭
বিনোদন প্রতিবেদক

বরেণ্য সংগীতশিল্পী ফাহমিদা নবীর ‘কারিগরী’ (ভয়েজ গ্রুমিং স্কুল)-এর যাত্রা শুরু হয় আজ থেকে প্রায় দেড় যুগ আগে। এই কারিগরী থেকেই নিজেদের ভয়েজ গ্রুমিং করিয়ে ফাহমিদা নবীর গানে অনুপ্রাণিত হয়ে তারই কথা ও সুরে কয়েকজন শিল্পী নিজেদের মৌলিক গান প্রকাশ করতে যাচ্ছেন। এগুলোর মধ্যে শাকিলের কণ্ঠে ‘সেই তুমি’, পিলুর কণ্ঠে ‘যদি তোমার আকাশ আমার আকাশ এক হতো’, শাম্মীর কণ্ঠে ‘বৃষ্টির সাথে রাত্রি ঘুমাক’, ফাহমিদার কণ্ঠে ‘হতে চাই রোদ’, ফাল্গুনীর কণ্ঠে ‘কেন যে একা লাগে না ভালো’, শাকিলার কণ্ঠে ‘কথা জমে আছে’, রাবুর কণ্ঠে ‘ভালোবাসা তোমাকে’ ও সোহেলের কণ্ঠে ‘বিবাগী এ মন’।

ফাহমিদা নবী জানান, আগামী কোরবানির ঈদের আগেই সবগুলো গানই ‘আনমোল প্রেজেন্টস’ ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পাবে। সুরকার, সংগীত পরিচালক বর্ণ চক্রবর্ত্তী তার অকাল প্রয়াণের আগেই সবগুলো গানের মিউজিকের কাজ শেষ করে গেছেন। ফাহমিদা নবী বলেন, ‘কারিগরী থেকে নিজেদের ভয়েজ গ্রুমিং করিয়ে নিজেদের আত্মবিশ্বাসী করে তুলেই তারা গান গেয়েছেন। আমার দৃষ্টিতে প্রত্যেকেই ভীষণ ভালো গায়। প্রত্যেকেরই কণ্ঠে গানগুলো এক অন্যরকম মূর্ছনার সৃষ্টি করেছে। যেহেতু গানগুলো আমার লেখা এবং আমারই সুর করা। তাই এতটুকু বলতে পারি যার জন্য যে গান করেছি তার কণ্ঠেই সেই গান একদম পারফেক্ট হয়েছে। সবাই এত মন দিয়ে নিজের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে গেয়েছেন যে, আমি প্রত্যেকের গান শুনে মুগ্ধ। তবে এটা বলতেই হয় প্রত্যেকেরই গানের প্রতি পরম ভালোবাসা আছে, তারা গানকে নিজের ভেতর লালন করে বলেই তারা এত চমৎকার গাইতে পেরেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করতে সব সময়ই ভালোবাসি যে, যেকোনো কাজে যদি কারও একাগ্রতা থাকে তাহলে সে শতভাগই সফল হয়। কারিগরী থেকে যারা গান গেয়েছেন সবার জন্য শুভ কামনা রইল। আজ বর্ণ বেঁচে থাকলে ভীষণ খুশি হতো। আমরা তার আত্মার শান্তি কামনা করি।’

ফাহমিদা নবী জানান, সবগুলো গানের মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেছেন আশিক মাহমুদ। ফাহমিদা নবী বিশ্বাস করেন তার লেখা ও সুর করা শিল্পীদের কণ্ঠে এই গানগুলো প্রকাশ পেলে বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গন নতুন করে একদল শিল্পীকে চিনবে, জানবে। আধুনিক গানে কিংবা সিনেমার গানে শিল্পীদের চাইলেই যেকোনো সুরকার, সংগীত পরিচালক কাজে লাগাতে পারেন।

বিষয়:

ছেলের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত ‘বুম্বাদা’

তৃষাণজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

‘বুম্বাদা’খ্যাত টালিউড সুপারস্টার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের কর্মজীবন থেকে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সাধারণ মানুষের জানার আগ্রহ অন্তহীন। সেই জন্যই বোধহয় বাংলা ছবির দর্শকের মনে দাগ কেটেছিল ‘আমি ইন্ডাস্ট্রি আমি প্রসেনজিৎ’ সংলাপটি। বর্তমানে প্রসেনজিতের ভক্তরা মজে রয়েছেন তার আসন্ন ছবি ‘অযোগ্য’ নিয়ে। এর মাঝে সুপারস্টার দিলেন আরও এক সুখবর। যা তার জীবনের অন্যতম সেরা পাওনা। ছেলে মিশুকের গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন হলো। আনুষ্ঠানিকভাবে মিশুক হাতে পেলেন গ্র্যাজুয়েশনের সার্টিফিকেট। ছেলের সাফল্য যেকোনো বাবার কাছেই অত্যন্ত গর্বের। প্রসেনজিৎ-ও তার ব্যতিক্রম নন। মিশুকের জীবনের এই সাফল্য সবার সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন ‘ড্যাডি কুল’ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।

সন্তানের সাফল্য দেখা প্রতিটি বাবা-মায়ের কাছেই স্বপ্নপূরণের মতো। মিশুকের ভালো নাম তৃষাণজিৎ। জীবনের এখনো অনেকটা পথ পেরোনো বাকি। একে একে প্রতিটি ধাপে ছেলে সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে যাবেন বাবা হিসেবে এটাই একমাত্র কাম্য প্রসেনজিতের। কোদাইকানাল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল থেকে গ্র্যাজুয়েট হলেন প্রসেনজিৎ-অর্পিতার ছেলে তৃষাণজিৎ। তারকা পুত্রের জীবনের সোনালি মুহূর্তটাকে লেন্সবন্দি করেছেন প্রসেনজিৎ। তিনি যে ভিডিওটি শেয়ার করেছেন সেখানে স্বাভাবিকভাবেই খোশ মেজাজে দেখা যাচ্ছে তৃষাণজিৎকে।

বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলতে ব্যস্ত মিশুক। সেই মুহূর্তে তৃষাণজিৎ চট্টোপাধ্যায় নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই মঞ্চের দিকে এগিয়ে যান তারকাপুত্র। গ্র্যাজুয়েশনের সার্টিফিকেট হাতে নিতেই চোখে-মুখে এক অনাবিল আনন্দ। ক্যামেরার পোজ দেওয়ার মাঝে আগে সার্টিফিকেটটি দেখে নেন তৃষাণজিৎ। ছেলের জীবনের এই বিশেষ মুহূর্তটি শেয়ার করে প্রসেনজিৎ লিখেছেন, ‘আজ আমি আমার ছেলে মিশুকের জন্য নিজেকে বাবা হিসেবে গর্বিত মনে হচ্ছে। মিশুক গ্র্যাজুয়েট হলো। এই বিশেষ মুহূর্তের সাক্ষী হতে পেরে আমি আপ্লুত। অনেক শুভেচ্ছা মিশুক। তোমার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হোক।’

সুপার ড্যাড প্রসেনজিতের মতোই হ্যান্ডসাম তৃষাণজিৎ। সুপারস্টারের ছেলে বলে কথা। তাকে নিয়ে জানার আগ্রহও কম নয় আমবাঙালির। মিশুকের ব্যক্তিগত জীবনেও উঁকি মারে সাধারণ মানুষ। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রসেনজিতের ছেলে তৃষাণজিৎ ওরফে মিশুকের একটি পোস্ট ঘিরে বেশ চর্চা হয়েছিল। ২০২৪-এর মার্চ মাসের ঘটনা। যে ছবিটি পোস্ট করেছিলেন সেখানে দেখা যাচ্ছিল সবুজ মাঠের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছেন দুজনে। প্রসেনজিৎ পুত্রকে বাহুডোরে আগলে রয়েছে চর্চিত প্রেমিকা লিতিকা।

উল্লেখ্য, একসঙ্গেই পড়াশোনা করেন মিশুক আর লিতিকা।

বিষয়:

banner close