সোমবার, ৩ জুন ২০২৪

নাটকে এখন বাজেট নয়, সংকট ভালো গল্পের

আপডেটেড
২০ এপ্রিল, ২০২৪ ১৯:৪২
সৈয়দ ইকবাল
প্রকাশিত
সৈয়দ ইকবাল
প্রকাশিত : ২০ এপ্রিল, ২০২৪ ১৯:৩৪

প্রতি বছর ঈদ উৎসবে দেশের বিভিন্ন টিভি ও ইউটিউব চ্যানেলসহ প্রায় তিন শ থেকে চার শ নাটক নির্মিত হয়ে থাকে। কখনও কখনও এই সংখ্যা কমবেশি হয়ে থাকে। এখনকার সময়ে টিভি চ্যানেল থেকে ইউটিউবেই নাটক নির্মাণের সংখ্যা বেশি। এর মধ্যে কিছু ইউটিউব চ্যানেলের নাটক টিভিতে প্রচার হওয়ার পর সেগুলো আবার ইউটিউবেও প্রচার হচ্ছে। আবার বেশ কিছু ইউটিউব চ্যানেল আছে যারা শুধু নিজস্ব ইউটিউবের জন্যই নাটক নির্মাণ করে থাকে। অন্যদিকে বর্তমানে প্রায় সব টিভি চ্যানেলের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল থাকায় তাদের নিজেদের নির্মিত নাটক টিভিতে প্রচারের পর আবার সেগুলো নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার হচ্ছে। ফলে এখন একটি নাটক বানানোর লগ্নিকৃত টাকা দুই মাধ্যম থেকেই প্রযোজক বা লগ্নিকারক ফেরত পাচ্ছেন। যার কারণে নাটকের বাজেট এখন আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। একটা সময় বলা হতো বাজেট নেই, নাটকে বাজেট কম- এটা এখনকার সময়ে নাটকের বাজেটের দিকে তাকালে বলা যাবে না।

বিশেষ করে ইউটিউবের আধিপত্য হওয়ার পর থেকেই গত কয়েক বছর ধরে একেকটি নাটক অনেক টাকায় বানানো হচ্ছে। একটা সময় নাটকের বাজেট নিয়ে নানান ধরনের কথা শোনা যেত। পরিচালক-অভিনয়শিল্পী থেকে শুরু করে নাটকের কলাকুশলীরা সব সময় বলত- নাটকের বাজেট কমে গেছে, এত কম বাজেটে নাটক বানানো সম্ভব নয় ইত্যাদি ইত্যাদি। ইউটিউবের কল্যাণে এখন নাটকের সেই বাজেট কয়েকগুণ বেড়েছে। অথচ ইউটিউবের আগে নাটকের বাজেট অনেক কমে গিয়েছিল। ২০১৬-২০১৭ সালেও নাটক এখনকার মতো এত বাজেটে নির্মিত হতো না। ২০১৮ সাল থেকে আস্তে আস্তে নাটকের বাজেট বাড়তে থাকে। নরমালি এখন একটি নাটক বানাতে চার-পাঁচ-ছয় লাখ টাকা নির্মাতারা হরহামেশাই পাচ্ছেন। এর থেকেও কম বাজেটে ছোট কিছু কনটেন্ট তৈরি হচ্ছে। ওইদিকের হিসেবে না গিয়ে যেগুলো আমাদের মেইনস্ট্রিমের নাটক বলে চিহ্নিত তা নিয়েই কথা হচ্ছে।

আর্টিস্ট ভেদে এখন একেকটি নাটকের বাজেট দশ-বারো-পনেরো লাখ পর্যন্ত পাচ্ছেন নির্মাতারা। এবার ঈদে তো আঠারো-বিশ লাখ এমনকি পঁচিশ লাখে নাটক নির্মাণের খবর পাওয়া গেছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে- এই যে এত এত বাজেট পাচ্ছেন নির্মাতারা, নাটকের গল্পে কতটা ভেরিয়েশন পাচ্ছেন দর্শক? সেই একই অভিনয়শিল্পীদের একই প্রেম কাহিনি, কমেডি গল্প, চিল্লাচিল্লি কিংবা প্রেম হওয়ার শুরুতে ঝগড়া, তারপর প্রেম, পরিবার মানে না- টাইপের গল্প অথবা প্রেমিকার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে, প্রেমিক চাকরি পায় না, পরিবার মানে না ইত্যাদি ইত্যাদি গল্প। অনেকটা নতুন বোতলে পুরোনো মদের মতো গল্প। আর এখন যোগ হয়েছে নাটকে গানের ব্যবহারসহ ঢাকার বাইরে শুটিং- দামি ক্যামেরা এবং বিজ্ঞাপনের মতো ইউনিট-ক্রু নিয়ে মুভ করা। বাজেট বাড়ছে, খরচ করতে সমস্যা নেই। কিন্তু যেই গল্পের জন্য নাটক- সেই গল্পের জন্য কতটা খরচ করে নাটক নির্মিত হচ্ছে? মানে ভালো গল্পের এবং ‘খরচওয়ালা’ গল্পের পেছনে কি সেই বাজেটটা যাচ্ছে?

বিশিষ্ট সাংবাদিক, নাট্যকার ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা রেজানুর রহমান বলেন, ‘নাটকে ভালো গল্পের সংকট রয়েছে এটা যেমন সত্যি, তেমনি অনেকের কাছে ভালো গল্প থাকার পরও সে বাজেটের জন্য তা বানাতে পারছেন না- এটাও সত্যি। আসলে এখন কোনো লেভেল কোম্পানি (ইউটিউব), টিভি কিংবা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান প্রথমেই নির্মাতার কাছে জিজ্ঞাসা করেন- ‘যে গল্প নিয়ে কাজ করবেন সেটির ভিউ হবে নাকি’- এই কথায় নির্মাতা নতুন কোনো কনসেপ্ট নিয়ে কাজ করতে চান না। সেই একই ফর‌ম্যাটে কাজ করতে হচ্ছে তাকে। এখন দেখা গেছে কেউ একজন একটি গল্প নিয়ে কাজ করায় সেটির ভিউ হয়েছে- সবাই সেটা বানাতে ছুটে। মানে হলো ভিউয়ের পেছনে দৌঁড়াচ্ছি। ভিউ-ই যখন এখন একমাত্র বাণিজ্য তখন তো গল্প ফ্যাক্ট না।’

তিনি আরও বলেন, ‘নির্মাতাদের স্বাধীনতা দিতে হবে। নির্মাতারা স্বাধীনতা না পেলে কাজ করা মুশকিল। অমুকটার মতো, তমুককে নিয়ে জুটি করে নাটক বানানোর জন্য প্রেসার না দিয়ে তাকে স্বাধীনতা দিতে হবে। এখন গল্পসহ ‘পাঁচজন- পাঁচজন’ জুটিকে ইঙ্গিত দিয়ে বলে দেয়া হচ্ছে নাটক বানানোর জন্য। সেই ‘পাঁচজন-পাঁচজন’ জুটির দশজন এতো ব্যস্ত যে, তাদেরকে মেনটেইন করতে গেলে নাটকের দিকে নজর দেয়া যাচ্ছে না। তারা ব্যস্ত থাকতেই পারেন। কিন্তু জুটি বেঁধে দিলেই বিপদ। নির্মাতাকে বলতে হবে- স্বাধীনভাবে গল্পে যে ধরনের আর্টিস্ট যায়, তাদেরকে নিয়েই বানান। তাহলে নতুন গল্প এবং নতুন আর্টিস্টও ইন্ডাস্ট্রিতে তৈরি হবে। বর্তমানে যারা কম্প্রমাইজ করে কাজ করছেন যা হওয়ার তাই হচ্ছে। ফলে মনে রাখার মতো নাটক হচ্ছে না। এখন আমাদের লাখ লাখ টাকা বাজেট যাচ্ছে, শত শত নাটকও হচ্ছে। কিন্তু অর্জনের জায়গাটা ফাঁকাই থেকে যাচ্ছে। এই বিষয়গুলো নিয়ে কেউ কথা বলছে না।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেশির ভাগ নাটকে লোকেশন (প্রয়োজন না হলেও), লাইট-ক্যামেরাসহ এগুলোতে অপ্রয়োজনীয় বাজেট ব্যবহার, মেইন আর্টিস্টদের বেশি রেম্যুনারেশন (আর্টিস্টরা নিজেরাই নিজেদের পারিশ্রমিক ঠিক করছেন), শুটিং ইউনিটে বিলাসবহুল খরচ করায় বেশির ভাগ নাটকের মূল বাজেট সেখানেই চলে যাচ্ছে। ফলে নাটকে এত এত বাজেট পাওয়ার পরও যেই ভিন্নধর্মী গল্পটির পেছনে বাজেটটা খরচ করার কথা- সেখানে কি খরচ হচ্ছে না। সেই একই গল্প, একই মেকিং এবং কমেডি টাইপ নাটকগুলোই নির্মিত হচ্ছে। এখন তো একটি নাটকের গল্পের সঙ্গে আরেকটি নাটকের নামেরও বেশ মিল পাওয়া যায়। যেমন- ‘তুই আমারই’, ‘তোর জন্য’, ‘আজকাল তুমি আমি’, ‘তোমাতে হারাই’, ‘তোমায় ভালোবেসে’- এবারের ঈদের এই নাটকগুলোর নাম প্রায় কাছাকাছি। এরকম ইউটিউবে খুঁজলে আরও অনেক নাটক পাওয়া যাবে যেগুলোর নাম প্রায় কাছাকাছি। আরও রয়েছে ইউটিউবে ‘কাটতি টাইপ’ নাটকের নাম। যা আসলে শিল্পমানের নাটকের নাম নয়। ফলে দর্শক আসলে একটি নাটক দেখে তার মনের মধ্যে সেটি ‘দাগ’ কাটাতে পারছেন না। আর এখনকার নাটকগুলোতে প্রায় একই অভিনয়শিল্পী (অমুকের সঙ্গে তমুক, তমুকের সঙ্গে অমুক- ধরাবান্দা জুটি) হওয়ায় দর্শক আরও বিভ্রান্ত হচ্ছেন যে সে আসলে কোন নাটকটা দেখেছেন। ফলে মনের মধ্যে অনুভূতি সৃষ্টি করা এবং খুব ভাবনায় ভাবানোর মতো নাটক এখন খুব একটা দেখা যায় না।

নাটকে বাজেট বাড়লেও গল্পের অভাব কিংবা শিল্পমান সম্পন্ন নাটক কম নির্মিত হওয়ার পেছনে কারণ কি? এই বিষয়ে কথা বলেন নির্মাতা রাকেশ বসু। তিনি বলেন, ‘বাংলা নাটকের এখন সব থেকে বড় সমস্যা হলো- গল্প সংকট। একটা সময় বাজেট নিয়ে সবাই কম-বেশি কথা বলতেন। কিন্তু এখন বাজেট সমস্যা থেকে গল্প সংকটটাই অনেক বড় ইস্যু একটা ভালো কাজের জন্য। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পীরা যে ধরনের কাজ করে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন এবং ভিউ কাউন্ট হয় সেই একই ধরনের গল্প নিয়েই কাজ করেন। সে ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা হলো ভিউ হওয়া একই গল্পের পুনরাবৃত্তি। ফলে অভিনয়শিল্পীরা জনপ্রিয়তার দিকে নজর দিতে গিয়ে ভালো গল্পের কাজ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বারবার।’

আগে একটি নাটকের স্ক্রিপ্ট ফাইনাল হতো। টেলিভিশন চ্যানেলের অনুষ্ঠান প্রধানসহ ক্রিয়েটিভ টিম মিলে গল্পটি ফাইনাল হওয়ার পর কোন অভিনয়শিল্পী কোন চরিত্রে অভিনয় করবে সেটা ভেবেচিন্তে কাস্টিং ফাইনাল করা হতো। এরমধ্যে স্ক্রিপ্ট নিয়ে কয়েকদফায় রাইটার ও পরিচালকসহ মিটিং হতো। তারপর ফাইনালি নাটকটি নির্মাণে যাওয়া হতো। নাটক নির্মাণের পর তা দেখে প্রিভিউ কমিটির মতামত থাকত এবং সেখানে পাস হলেই তা ফাইনালি সম্প্রচারে যেত।

আর এখন অনেকটা ঝালমুড়ি বানানোর মতোই নাটক বানানো হয়। মানে অমুক-তমুকের ভিউ আছে- আগে তাদের ডেট ‘লক’ করা হোক। তারপর তারা যেই গল্প পছন্দ করবেন কিংবা অনেক সময় অভিনয়শিল্পীও গল্প দিচ্ছেন সেটা নিয়ে- ডে নাইটের কিছু সিক্যুয়েন্স বানিয়ে (শুটিংয়ের সুবিধার্থে) শুটিংয়ে চলে যাওয়া হচ্ছে। স্লো-মো শট, গানের কিছু শট, নায়ক-নায়িকার দেখাদেখি-চোখাচোখি আর বিয়ে দিবে না বাবা-মা, ছেলে বেকার, চাকরি হয় না, পরিবার মেয়েকে অন্য জায়গায় বিয়ে দিয়ে দেয় আর চিল্লাচিল্লি ভরা কমেডি গল্প। বেশির ভাগ নাটকই এখন এভাবে নির্মিত হচ্ছে বলে জানা যায়। পাশাপাশি এখন সেট বানানোতেও ভালো খরচ করে নাটক নির্মাণের খবর পাওয়া গেছে।

ইউটিউবের সঠিক নিয়মনীতি না থাকা, নাটকে প্রিভিউ সিস্টেম না থাকায় এবং ‘ভিউই’ একমাত্র বাণিজ্য হওয়ায় দিনকে দিন মানহীন নাটক বানানোর প্রতিযোগিতা হচ্ছে এবং তা নিম্নমানের তলানিতে যাচ্ছে বলে অনেকে অভিমত দেন। এর পাশাপাশি একটা গুরুত্বপূর্ণ দিকের কথাও তারা উল্লেখ করেন তা হলো- একটা সময় যারা নাটক নির্মাণ ও ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন তারা টেলিভিশন ও থিয়েটারে দীর্ঘদিন কাজের অভিজ্ঞতা ছিল। আর এখন শুধু ব্যবসার উদ্দেশ্যেই (বেশির ভাগ) ইউটিউব চ্যানেল করে নাটকের নামে ‘কনটেন্ট’ বানানো হয়।

অথচ গল্পনির্ভর, জীবনবোধের নাটক, সমাজে পিছিয়ে পড়া মানুষের গল্প, আমাদের চারদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে কত কত গল্প। প্রতিদিন সংবাদের পাতায় কত গল্প প্রকাশ পায়, অথচ আমাদের দেশের নাটক নির্মাতারা এসব গল্প দেখেন না। কারণ এসব গল্পে ভিউ পাওয়া যায় না। তাই ইউটিউব মালিক তথা প্রযোজকরা ওই ধরনের গল্প নিয়ে কাজ করতে বা নির্মাণে আগ্রহ পান না।

ইউটিউবে ভিউ হচ্ছে সস্তা-চটুল, কমেডি তথা সুরসুরি প্রেম মার্কা গল্পের। ফলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে। লাখ লাখ টাকা বাজেট দিয়ে যেসব ‘নাটক’ বানানো হচ্ছে তা আসলে কতটা সমাজে প্রভাব ফেলছে? কি শিখছেন তরুণ প্রজন্ম? অবশ্য তরুণ প্রজন্ম নাকি যা বানানো হচ্ছে- তাই দেখতে চায় বলে তাদের অভিমত। এত এত বাজেটের টাকা আদতে ‘শ্রাদ্ধ’ করাই হচ্ছে বলে প্রকৃত নাট্যপ্রেমী তথা সত্যিকারের সংস্কৃতপ্রেমীরা অভিমত দেন। তাদের মতে, বেশি বাজেট এলে বেশির ভাগ নাটককে ঝকঝকে তকতকে বানানো আর ‘ফুটেজ’ ছাড়া আর কিছুই না বলেও অনেকে অভিমত দেন। তাই ভালো বাজেট দিয়ে ভালো গল্প এবং ভিন্নধর্মী চরিত্রসহ জীবনবোধের নাটক বানানোর তাগিদ দেন তারা।

বর্তমানে নাটক নির্মাণের একটা চিত্র তুলে ধরলে এখনকার পরিস্থিতিটা আরও পরিষ্কার বোঝা যাবে। এখন নাটকের কয়েকজন মেইন নায়ক তারা তাদের নিজেদের প্রযোজনা হাউস থেকে নাটক বানিয়ে তা নিজেই বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেল এবং টিভি চ্যানেলে তাদের চাহিদামতো সরবরাহ করছেন। নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক নাট্য নির্মাতা বলেন, ‘এভাবে আসলে কাজ করে অভ্যস্ত না। এই ভিউ বাণিজ্য এসে একজন নির্মাতার হাত-পা বন্দি হয়ে গেছে। আমরা আসলে বিক্রি হয়ে গেছি। এখন তো চাহিদাসম্পন্ন নায়করা তাদের প্রযোজনা হাউস থেকে নাটক তৈরি করেন। তারা নিজেদের বানানো ডিরেক্টর টিম, প্রোডাকশন টিমসহ ডিওপি এবং কো-আর্টিস্ট- সবই তারা ঠিক করেন। ডিরেক্টরকে দিয়ে শুধু ডিরেকশন (আসলে নামে ডিরেকশন) দেওয়ান। কোথায় এডিটিং হবে, কোথায় মিউজিক হবে এবং কীভাবে কাজটা কোথায় কত টাকায় বিক্রি হবে- সবই তিনি (নায়করা) ঠিক করেন। এভাবে চললে তো আসলে নাটকের ‘মান’ বলে কিছু থাকবেই না। ফলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে।’

ভালো নাটক বানানোর কিছু ব্যতিক্রম চিত্রও রয়েছে। কিছু যে ভালো গল্পের নাটক নির্মিত হচ্ছে না তা বলা যাবে না। যারা সত্যিকারের ভালো গল্পের খোঁজ করেন এবং জীবনবোধের গল্পসহ ভিন্নরকম কিছু বা আইডলজির জায়গা থেকে কাজ করছেন তারা ঠিকই শত প্রতিকূলতায় কিছু নাটক বানাচ্ছেন। আমাদের দেশে ওটিটিতে ওয়েবসিরিজ ও ওয়েবফিল্মে ভিন্নধর্মী গল্পের কাজ হওয়ায় সেগুলো দর্শকদের কাছে সাড়া ফেলেছে। ফলে তার কিছুটা ছোঁয়া নাটকেও লেগেছে বলা যায়। এবারের ঈদে ভিন্নধর্মী গল্পের তেমনকিছু নাটক হচ্ছে- ‘স্মৃতিসারক’, ‘বিদায় বসন্তে মধ্যাহ্ন রোদে’, ‘নিখোঁজ’, ‘বোঝা’, ‘শেষমেষ’, ‘সম্ভবত প্রেম’, ‘কিছু কথা বাকি’, ‘দুনিয়া’, ‘অভাব’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘অভিশাপ’, ‘অভাব, ‘জাদুর শহর’, ‘গর্ভ’, ‘কলিজার টুকরা’, ‘স্বপ্নটা সামান্যই’সহ আরও কিছু নাটক।

এখন প্রায় একই মুখ ঘুরেফিরে সব নাটকেই দেখতে হচ্ছে বলে সব নাটক একইরকম লাগার কথা দর্শকরা অভিমত দিয়েছেন। এক সময় নাটকে নিশো, মেহজাবীন, অপূর্ব, তানজিন তিশাকে জুটি বেঁধে অভিনয় করতে দেখা যেত। এখনকার সময়ে অপূর্ব ও তানজিন তিশাকে নাটকে দেখা গেলেও নিশো-মেহজাবীনকে দেখা যায় না। নিশো চলচ্চিত্র ও ওটিটির কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকায় গত কয়েক ঈদ উৎসবে তাকে নাটকে দেখা যায়নি।

অন্যদিকে মেহজাবীনও বর্তমানে ওটিটির কাজের সঙ্গে সম্প্রতি সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন। তারপরও নাটকে মেহজাবীনের কাজের আগ্রহ রয়েছে; কিন্তু ভালো গল্পের অভাবে কাজ করা হচ্ছে না বলে জানান তিনি। ‘সাবা’ ও ‘প্রিয় মালতী’ শিরোনামের দুটি ছবিতে কাজ করতে যাচ্ছেন ভক্তদের মেহু। তার জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘প্রিয় মালতী’ সিনেমা ঘোষণার অনুষ্ঠানে নাটকে অভিনয় কমিয়ে দেওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমি নাটকে একেবারেই কাজ করতে চাই না, বিষয়টা তেমন না। আমি আসলে ভালো গল্প পাই না। ভালো গল্প পেলে অভিনয় অবশ্যই করব। আমার কাছে যে স্ক্রিপ্টগুলো আসে সেগুলো পছন্দ হয় না। দর্শক আসলে ভিন্নতা চায়। আমি অনেক দিন পর সিনেমাওয়ালা ইউটিউব চ্যানেলের ‘অনন্যা’ করেছি। কারণ এটার গল্পটা ভিন্ন। এটার জন্য আমি সাড়াও পেয়েছি বেশ। তাই আমি এরকম ভিন্ন ভিন্ন গল্পের কাজ করতে চাই। তেমন স্ক্রিপ্ট পেলে কাজ করব।’

ঈদে রাফাত মজুমদার রিংকুর পরিচালনায় ‘রূপান্তর’ নাটকটি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। ট্রান্সজেন্ডার এবং তৃতীয় লিঙ্গের ইস্যুতে নাটকটিকে শেষমেশ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা শ্রেণি ধর্মের বিষয়ের সঙ্গে তুলনা করে। ফলে কর্তৃপক্ষ নাটকটি ইউটিউব থেকে সরিয়ে ফেলতে বাধ্য হয়। ভিন্নধর্মী গল্প নিয়ে নাটক বানাতে গেলেও নানান সমস্যার কথা উল্লেখ করেন নির্মাতা রাফাত মজুমদার রিংকু। তিনি বলেন, ‘আগের চেয়ে ভিন্ন ধরনের গল্পের নাটক বানানো হচ্ছে। তবে সেটা সংখ্যায় কম। এখন আলাদা টাইপের গল্পের নাটক বানাতে গেলেও নানান ধরনের জটিলতা তৈরি হচ্ছে। আমি নিজেও ‘রূপান্তর’ নিয়ে একপ্রকার জটিলতায় রয়েছি। তাই যারা ইউটিউবের মালিক এবং প্রযোজক তারা ভিন্ন টাইপের গল্পের নাটক বানাতে রিস্ক নেয় না। বাধ্য হয়েই গদবাঁধা গল্পের নাটক বানায়। নাচ-গান আর বিউটি লোকেশনসহ কাজগুলো হচ্ছে।’

নাট্যপ্রেমী-বিনোদনপ্রেমী তথা সংস্কৃতিপ্রেমীদের প্রত্যাশা, নাটকের গল্পে সমাজের বাস্তবচিত্র থাকবে। কারণ ‘সমাজের দর্পণই হচ্ছে নাটক’। একটা সময় বিটিভিতে নাটক প্রচারের মাধ্যমে মধ্যবিত্তের ড্রয়িংরুমের সাজটা কেমন হবে- তা সেই নাটক থেকে শিখত মধ্যবিত্ত সমাজ। সময় বদলেছে, মানুষের রুচির পরিবর্তন হয়েছে। সমাজের আমূল পরিবর্তনে নিজেদের ‘রুচির দুর্ভিক্ষ’ যেন নাটকের মাধ্যমে প্রচার হয়ে তা আবার সমাজে প্রভাব ফেলুক- তা কারোরই কাম্য নয়। কারণ আজকে পর্দায় যা দেখানো হবে তাই দেখবেন দর্শক। সংস্কৃতিকর্মী তথা ক্রিয়েটিভরাই প্রকৃত ‘দর্শক’ তৈরি করেন। সারা পৃথিবীতেই রুচিহীন-সস্তা কনটেন্টেরই ‘ভিউ’ বেশি, এটাই স্বাভাবিক। এরমধ্যেও নিজেদের দর্শক নিজস্ব গল্প দিয়ে নিজেদেরই তৈরি করতে হবে- এমনটাই মনে করেন প্রকৃত সংস্কৃতিপ্রেমীরা।


শাহরুখ খানকে নিয়ে ধোঁয়াশা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

গত বছরজুড়ে বক্স অফিসে রাজত্ব করেছেন বলিউড তারকা শাহরুখ খান। পরপর দুটি ১০০০ কোটির ছবি সিনেপ্রেমীদের উপহার দিয়েছেন তিনি। বছরের শেষে প্রথমবার রাজু হিরানির সঙ্গে জুটি বেঁধে ‘ডাঙ্কি’ সিনেমা দিয়ে ম্যাজিক অব্যাহত রেখেছেন বলিউড বাদশাহ। পাঁচ বছরের লম্বা বিরতি কাটিয়ে স্ক্রিনে ফেরার পর অতিরিক্ত কাজ করে খানিক ক্লান্ত ছিলেন বাদশাহ। তাই লম্বা ছুটি নিয়েছিলেন। গত দু-মাস যাবত শাহরুখের যাবতীয় ধ্যানজ্ঞান ছিল কেকেআর। গত সপ্তাহেই তিন নম্বর আইপিএল ট্রফি ঘরে এনেছে তার টিম। এর মাঝেই নতুন চমক শাহরুখের। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল শাহরুখের একটি ছবি। যা দেখে অনুরাগীরা নিশ্চিত এই মুহূর্তে স্পেনে রয়েছেন তারকা। ছবি দেখে অনুমান করা হচ্ছে, সুজয় ঘোষ পরিচালিত আসন্ন ছবি ‘কিং’-এর শুটিং শুরু করে ফেলেছেন তারকা।

এক্স-এর এক ব্যবহারকারী শাহরুখের একটি ছবি পোস্ট করে দাবি করেন যে এটি কিং-এর সেট থেকে ফাঁস হওয়া ছবি। পোস্টটিতে আরও দাবি করা হয়েছে যে অভিনেতা স্পেনে এই প্রোজেক্টের শুটিং শুরু করেছেন। ছবিতে শাহরুখকে বেশ কয়েকজন লোকের সঙ্গে কথোপকথনে মগ্ন থাকতে দেখা যাচ্ছে। স্মার্ট নীল স্যুটে একদম রাজকীয় লুকে কিং খান। নীল জল এবং পাহাড়ের মোড়া স্পেনের নৈসর্গিক সৌন্দর্য ছবিতে বিদ্যমান। তবে এই ছবিটি আদৌ কিং-এর শুটিংয়ের কিনা অথবা সত্যিই শাহরুখ এই মুহূর্তে স্পেনে আছেন কি না সেই নিয়ে এখনও নির্মাতারা কিছু জানাননি।

লক্ষণীয় গত সপ্তাহে সুহানাকে নিয়ে মুম্বাই ছেড়েছিলেন শাহরুখ। ৩০ মে কলকাতা নাইট রাইডার্স আইপিএল শিরোপা জয়ের পর শাহরুখ ও তার পরিবার ও ম্যানেজার পূজা দাদলানিকে মুম্বাইয়ের কালিনা বিমানবন্দরে দেখা যায়। বিমানবন্দরে একই গাড়িতে করে আসতে দেখা যায় আরিয়ান ও সুহানাকে। তাদের সঙ্গে ছিলেন শাহরুখপত্নী গৌরি খানকেও। মনে করা হচ্ছিল, অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্টের প্রি-ওয়েডিং অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছেন শাহরুখ।

শাহরুখ সপ্তাহ খানেক আগে জানিয়েছিলেন, জুলাই-আগস্টে তিনি তার পরবর্তী ছবির শুটিং শুরু করবেন। গত সপ্তাহে, ভক্তরা আঁচ করতে পেরেছিল যে অভিনেতা তার পরবর্তী ছবির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কিংয়ের স্ক্রিপ্ট শাহরুখের চেয়ারের পাশের টেবিলে দেখতে পায় ঈগল চোখের ভক্তরা।

জানা গেছে, কিং ছবিতে প্রথমবার মেয়ে সুহানা খানের স্ক্রিন শেয়ার করবেন শাহরুখ, এই ছবিতে ডনের ভূমিকায় থাকবেন শাহরুখ। গত বছর নেটফ্লিক্স ইন্ডিয়ায় দ্য আর্চিস দিয়ে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন শাহরুখকন্যা। তবে এবার রুপালি পর্দায় নতুন শুরু সুহানার। ছবিটি শাহরুখের রেড চিলিজ এন্টারটেইনমেন্ট এবং পাঠান পরিচালক সিদ্ধার্থ আনন্দের মারফ্লিক্স পিকচার্স যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে।

বিষয়:

১২ বছর পর মায়ের পরিচালনায় তনিমা হামিদ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

শিল্প সংস্কৃতির সঙ্গে যাদের নিত্য পথচলা, তারা হয়তো খুব বেশিদিন অভিমান করে দূরে সরে থাকতে পারেন না। নিজের মনের গভীর থেকে টান অনুভব করে নিজের দায়িত্বশীলতার জায়গা থেকেই এক সময় সব অভিমান ভুলে সংস্কৃতির কল্যাণেই আবার ফিরে আসেন নিজের ভালোলাগার স্থানে। অনেকটা অভিমান করেই দীর্ঘ এক যুগ নাট্য নির্মাণ থেকে দূরে ছিলেন গুণী অভিনেত্রী, নাট্যকার ও নির্মাতা ফাল্গুনী হামিদ। এক যুগের অভিমান শেষে দীপ্ত টিভির আহ্বানে সাড়া দিয়ে তিনি তার সেই অভিমান ভেঙে আবারও নাটক নির্মাণে এলেন।

গত ১ জুন থেকে তিনি আগামী ঈদে দীপ্ত টিভিতে প্রচারের জন্য নির্মাণ করছেন ঈদের বিশেষ নাটক ‘আমাতে অস্পষ্ট তুমি’। নাটকটি রচনা করেছেন আখতারুজ্জামান ও ফাল্গুনী হামিদ। নাটকটির গল্পের কেন্দ্রীয় একটি চরিত্রে অভিনয় করছেন ফাল্গুনী হামিদেরই মেয়ে তনিমা হামিদ। বিভিন্ন চরিত্রে আরও অভিনয় করছেন মিলি বাশার, শফিক খান দিলু, জাহিদ হাসান, আহসান হাবিব নাসিম প্রমুখ। কেন যেন কম্পোর্ট করছিলাম না। ফাল্গুনী হামিদ বলেন, ‘একটু একটু করে দীর্ঘদিনে যেভাবে আমার ক্ষেত্রটা অভিনয়ে এবং নির্মাণে তৈরি হয়েছিল, একটা সময় এসে দেখলাম যে আমি আমার মতো করে কাজ করতে পারছিলাম না। মাঝে কিছুদিন অসুস্থও ছিলাম আমি। আবার আমি লেখালেখি নিয়েও ব্যস্ত ছিলাম, ব্যবসা নিয়েও ব্যস্ত ছিলাম। একটা সময় ভাবলাম, এটাতো আমার জগৎ। ভাবনার এই সময়টাতে দীপ্ত টিভি যখন ভীষণ আন্তরিক হয়ে ঈদের জন্য একটি কাজ করতে বললেন, তখন আসলে আর তাদের আন্তরিকতাকে প্রত্যাখ্যান করতে পারিনি।’

তনিমা হামিদ বলেন, ‘আমি মাকে তিনজন অভিনেত্রীর নাম দিয়ে বলেছিলাম, মা এই তিনজন থেকে যেকোনো একজনকে নিয়ে তুমি কাজটি করতে পারো। কিন্তু মায়ের একটাই কথা- আমি দীপ্ত টিভিকে কথা দিয়েছি, তোমাকেই কাজ করতে হবে। আমার আর পালিয়ে যাওয়া হলো না। তবে হ্যাঁ, মায়ের নির্দেশনায় কাজ করতে ভীষণ ভালোলাগে। মা ভীষণ খুঁতখুঁতে। দীর্ঘদিন পর ক্যামেরার সামনে অভিনয় করতে এসে কিছুটা নার্ভাস ছিলাম আমি। জাহিদ ভাই এবং মা ভীষণ সহযোগিতা করেছেন।’ ফাল্গুনী হামিদ পরিচালিত প্রথম নাটক ছিল ‘একটুকু ছোঁয়া লাগে’। তার রচিত নাটকে প্রথম অভিনয় করেন তনিমা ‘কে আবার বাজায় বাঁশি’তে।

বিষয়:

শান্তির সন্ধানে রজনীকান্ত

আপডেটেড ৩ জুন, ২০২৪ ০০:০৮
বিনোদন ডেস্ক

রজনীকান্ত সেন- যাকে বলা হয় দক্ষিণী সিনেমার মেগাস্টার। পাশাপাশি তাকে এই সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির ঈশ্বরও বলেন চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্টরা। রজনীকান্তের সত্তরের গণ্ডি পার হলেও স্টাইল আইকন হিসেবে তাকে গণ্য করেন সবাই। এই কিংবদন্তি তারকা রজনীকান্ত হাসিমুখে দাঁড়িয়ে আছেন হিমালয় পর্বতের সামনে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে সেই ছবি।

তবে ছবি আসল নাকি ফটোশপ করা, তা জানা যায়নি; কিন্তু তার ভক্ত-অনুরাগীদের মধ্যে প্রশ্ন উঠছে, শান্তির খোঁজেই কি হিমালয়ের কোলে এসেছেন দক্ষিণী সিনেমার এ শক্তিমান অভিনেতা!

ভাইরাল হওয়া ছবিতে রজনীকান্তকে সাদা লুঙ্গি ও সাদা জামা পরে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। গায়ে জড়ানো শাল। সুপারস্টারের চোখে রয়েছে কালো চশমা। আর মুখে চেনা হাসি। পিছনে রয়েছে সুবিশাল হিমালয় পর্বতমালা।

কিন্তু সত্যিই কি হিমালয়ের কোলে শান্তির খোঁজে গিয়েছেন সুপারস্টার? আসলে প্রতি বছর কেদারনাথ ও বদরিনাথ দর্শনে যান রজনীকান্ত। জানা যাচ্ছে, এবারও সেই সফরে গিয়েছেন তিনি। তারই মধ্যে হয়েছেন ক্যামেরাবন্দি।

গত বছর উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের পা ছুঁয়ে প্রণাম করে বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন রজনীকান্ত। যে রজনীকান্তের সিনেমা রিলিজ হলেই স্কুল কেটে, অফিস কামাই করে প্রেক্ষাগৃহে হুল্লোড় করেন অনুরাগীরা, সেই রজনীকান্ত কেন কুড়ি বছরেরও বেশি ছোট যোগীর পা ছুঁতে গেলেন? এমন প্রশ্ন উঠেছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড় বয়ে গিয়েছিল।

পরে এই বিতর্কের জবাব দিয়ে রজনীকান্ত বলেছিলেন, ‘সন্ন্যাসী বা যোগীকে সব সময়ই পা ছুঁয়ে প্রণাম করি। তা সে ছোট হোক বা বড় হোক। সে যে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেই যুক্ত থাক না কেন, আমি তাকে এভাবেই সম্মান করি।’ ভক্তিভাবে বিশ্বাস সুপারস্টারের। তাই তো প্রতিবার কেদারনাথ, বদরিনাথে যান। এবার অবশ্য সমালোচনা নয়, প্রশংসাই হয়েছে তার। এত বড় সুপারস্টার হয়েও কত সাধারণ রজনী! ছবি দেখে এমনটাই বলছেন নেট নাগরিকরা।


ঈদে নিজের সুরে ফাহমিদা নবী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

দেশের খ্যাতিমান সংগীতশিল্পী ফাহমিদা নবী। বিখ্যাত সংগীত ব্যক্তিত্ব প্রয়াত মাহমুদুন্নবীর কন্যা ফাহমিদা ১৯৭৯ সালে তার গায়িকা জীবন শুরু করেন। তিনি উপমহাদেশীয় আধুনিক এবং ক্ল্যাসিকাল গান গেয়ে থাকেন। এ ছাড়া মাঝেমধ্যে রবীন্দ্রসংগীত এবং নজরুলসংগীতও কণ্ঠে তুলতে দেখা যায় তাকে। বর্তমানে গানে কণ্ঠ দেওয়ার পাশাপাশি সুর নিয়েও ব্যস্ত সময় পার করছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই গায়িকা।

সেই ধারাবাহিকতায় আগামী ঈদে প্রকাশের জন্য নতুন একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন ফাহমিদা নবী। ‘সেদিনও মুখর ছিল শব্দহীন কথারা, শুধু তোমাতে আমাতে কখনো তুখোড় ঝড় হয়ে কখনো শ্রাবণধারা’ এমন কথারে গানটি লিখেছেন ফারজানা রহমান। আর গানটির সুর করেছেন ফাহমিদা নবী নিজেই এবং সংগীতায়োজন করেছেন সজীব দাস।

গানটি প্রসঙ্গে ফাহমিদা নবী বলেন,‘ ফারজানা রহমানের গানের কথা আমার এত বেশি ভালোলেগে যায় যে মনের ভেতর থেকেই সুর চলে আসে। কী সুন্দর কথা গানের। মন ভরে যায়। ধন্যবাদ ফারজানা রহমানকে এত চমৎকার গীতিকবিতা লেখার জন্য। আমার বারবার একটা কথাই মনে হচ্ছিল যে ফারজানা চমৎকার অনুভব নিয়ে গানটি লিখেছে। তবে আমার করা সুরটা কেমন হয়েছে এটা শ্রোতারা ভালো বলতে পারবেন। সজীব সব সময়ের মতো মন দিয়ে ভালোবেসে কাজটি করেছে। আসলে ভালোবাসা থাকলে যেকোনো কাজ মন ছুঁয়ে যায়। সবাইকে বিশেষভাবে অনুরোধ করব, গানটি প্রকাশ পেলে যেন মন দিয়ে গানটি শোনেন। আশা করছি ভালোলাগবে সবার।’

এদিকে ফাহমিদা নবীর ভয়েজ গ্রুমিং স্কুল ‘কারিগরি’ থেকে শিগগিরই তার লেখা ও সুরে শাকিল, শাম্মী, শাকিলা, পিলু, ফাল্গুনী, সোহেল, ফাহমিদার কণ্ঠে মৌলিক গান প্রকাশ করতে যাচ্ছেন। ফাহমিদা নবী জানান, এবারের ঈদেই একে একে ‘আনমোল প্রেজেন্টস’ ইউটিউব চ্য্যানেলে প্রকাশ পাবে। সব গানেরই সংগীতায়োজন করেছেন প্রয়াত বর্ণ চক্রবর্তী।

ফাহমিদা নবী ২০১১ সালে তিনি প্রয়াত নাট্যাচার্য সেলিম আল দীনের লেখা ১০টি গান নিয়ে অ্যালবাম বের করেন ‘আকাশ ও সমুদ্র অপার’। বাপ্পা মজুমদারের সঙ্গে যৌথভাবে তিনি ২০০৬ সালে বের করেন অ্যালবাম ‘এক মুঠো গান-১’।

২০১০ সালের ভালোবাসা দিবসে বের হয় তার দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘এক মুঠো গান-২’। ২০০৫ সাল থেক তিনি ক্লোজআপ ওয়ান রিয়েলিটি শোর বিচারক ছিলেন। ২০০৭ সাল থেকে তিনি কারিগরি নামক একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছেন।

বিষয়:

এবার সালমান খানের গাড়িতে হামলার পরিকল্পনা!

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

সময়টা মোটেও ভালো যাচ্ছে না ভাইজান, চুলবুল পাণ্ডে, সুলতান ও টাইগারখ্যাত বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের। কিছুদিন আগে তার নিজ বাসভবনে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করেছে মুম্বাই পুলিশ। পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে আদালতের দারস্থও হতে হয়েছে সালমান খানকে। এ ঘটনানার রেশ এখনো কাটেনি। এরই মধ্যে সালমান খানের ওপর আবারও হামলার পরিকল্পনার খবর প্রকাশ্যে আনল মুম্বাই পুলিশ। এর আগে সালমান খানের বাড়িতে সরাসরি গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এবার সালমানের গাড়িতে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিল দুর্বৃত্তরা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সালমান খানের গাড়িতে হামলার পরিকল্পনা করছিল লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাং। তবে হামলার পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত চারজনকে ইতোমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে মুম্বাই পুলিশ।

পুলিশ জানায়, লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাংয়ের চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা সালমান খানের গাড়ির ওপর হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিল। এর জন্য পাকিস্তানি অস্ত্র সরবরাহকারীর কাছ থেকে অস্ত্র কেনার পরিকল্পনা ছিল তাদের। আটককৃতদের নাম ধনঞ্জয় ওরফে অজয় কাশ্যপ, গৌরব ভাটিয়া ওরফে নাহভি, ওয়াসপি খান ওরফে ওয়াসিম চিকনা ও রিজওয়ান খান ওরফে জাভেদ খান।

জানা গেছে, অভিযুক্তরা সালমানের বাড়ি ও ফার্মহাউস পর্যবেক্ষণ করে যান। অভিযুক্ত আসামি অজয় কাশ্যপ জানান, দোগার নামক এক পাকিস্তানি নাগরিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন ভিডিও কলের মাধ্যমে। এমনকি একে৪৭-এর মতো অস্ত্র অর্ডার করা হয়েছিল পাকিস্তান থেকে।

পুলিশসূত্রে আরও জানা যায়, মুম্বাই, রায়গড়, নভি মুম্বাই, থানে, পুনে ও গুজরাটের ৬০-৭০ জন যুবক, যারা সবাই লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাংয়ের সদস্য, তারা সালমান খানের ওপর নজর রাখছিলেন।

অভিনেতার ওপরে হামলা চালানোর জন্য নাবালকদের ব্যবহার করার পরিকল্পনা ছিল তাদের। এমনকি হামলার পর কন্যাকুমারী থেকে নৌকায় করে শ্রীলঙ্কায় পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনাও ছিল।

এদিকে চলতি বছরে নতুন কোনো সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে না বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের। হাতে রয়েছে মাত্র একটি সিনেমা। সিকান্দর নামের এই সিনেমার কিছু অংশের কাজ শুরু হয়েছে। মধ্য জুন থেকে সিনেমার বাদ বাকি কাজ শুরু করার কথা। ছবিটি আগামী বছরের শুরুর দিকে মুক্তির কথা রয়েছে। সে লক্ষ্যেই কাজ করছেন ছবির নির্মাতাপক্ষ।

বিষয়:

পঞ্চাশ পেরিয়ে চঞ্চল চৌধুরী

চঞ্চল চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২ জুন, ২০২৪ ০০:২১
বিনোদন প্রতিবেদক

দেশের মঞ্চ, টিভি ও চলচ্চিত্রের জাঁদরেল অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি মডেল, শিক্ষক ও গায়কও বটে। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও নিজের অভিনয় দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি। গতকাল ১ জুন ছিল নন্দিত এই তারকার ৫০তম জন্মদিন। সেই হিসেবে তিনি স্পর্শ করলেন জীবনের ৫১তম বসন্ত। জন্মদিন প্রসঙ্গে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘সত্যি বলতে কী জন্মদিনে কখন কোথায় থাকি, কী করব না করব তার কিছুই আমি জানতে পারি না। আমার স্ত্রী শান্তা এবং আমার ছেলে শুদ্ধ পরিকল্পনা করেই কিছু একটা করে। জন্মদিন মানেই হলো জীবন থেকে একটা বছর পেরিয়ে গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাওয়া। আমি আমার কাজ নিয়ে ভীষণ সন্তুষ্ট। কাজের এই ধারাবাহিকতাটাই আজীবন ধরে রাখতে চাই। যেহেতু মঞ্চ এবং টিভি আমার আজকের সাফল্যের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে। তাই এই দুই মাধ্যমে আমি কাজ করবই। এ ছাড়া অন্য সব মাধ্যমে আমার কাজ করার ইচ্ছে রয়েছে সব সময়ই। যে কারণেই কিন্তু ঈদে বিশেষত টিভি নাটকে কাজ করছি আমি।’

ছোটবেলা থেকেই গানবাজনা, আবৃত্তি আর নাটকের প্রতি নেশা ছিল চঞ্চল চৌধুরীর। ১৯৯৬ সালে বরেণ্য অভিনেতা ও নির্মাতা মামুনুর রশীদের আরণ্যক নাট্যদলে যোগ দেন চঞ্চল। সেখানে ‘কালো দৈত্য’ নাটক দিয়ে তার অভিনয় জীবনের সূচনা হয়। এরপর আরণ্যকের হয়ে ‘সংক্রান্তি’, ‘রাঢ়াঙ’, ‘শত্রুগণ’ ইত্যাদি মঞ্চ নাটকে অভিনয় করে নিজেকে ঝালিয়ে নেন।

চার বছর মঞ্চনাটক করার পর ২০০০ সালে টিভি নাটকে ডাক আসে চঞ্চল চৌধুরীর। ফরিদুর রহমান নির্মিত ‘গ্রাস’ চঞ্চল অভিনীত প্রথম টিভি নাটক। তবে তিনি আলোচনায় আসেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘তালপাতার সেপাই’ নাটকে অভিনয় করে।

তৌকীর আহমেদের পরিচালনায় তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র হচ্ছে ‘রূপকথার গল্প’। তবে চঞ্চল ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়তা ও সাফল্য পান গিয়াসউদ্দিন সেলিম পরিচালিত ‘মনপুরা’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে। এরপর মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘টেলিভিশন’, কলকাতার গৌতম ঘোষ পরিচালিত ‘মনের মানুষ’, অমিতাভ রেজা চৌধুরীর ‘আয়নাবাজি’ ও অনম বিশ্বাসের ‘দেবী’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন চঞ্চল চৌধুরী। প্রতিটি চলচ্চিত্রেই তার অভিনয় বেশ প্রশংসিত হয়। চঞ্চল চৌধুরী ২০১০ সালে ‘মনপুরা’ এবং ২০১৬ সালে ‘আয়নাবাজি’ চলচ্চিত্রের জন্য সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এ ছাড়া তিনি তিনবার মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার লাভ করেন।


জন্মদিনে আয়োজনহীন কুমার বিশ্বজিৎ

কুমার বিশ্বজিৎ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জুন, ২০২৪ ০০:০৩
জাহাঙ্গীর বিপ্লব

চিরসবুজ বলে খ্যাত জননন্দিত কণ্ঠশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ। এই গায়কের বয়স যেন আজও এক রহস্যের ধাঁধায় মোড়ানো। দেখে বোঝার উপায় নেই বালাই ষাট পেরিয়ে গত বছর একষট্টিতে পা দিয়েছেন তিনি। আর আজ ১ জুন স্পর্শ করলেন জীবনের ৬২তম বসন্ত। ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী দেখা যায় তার জন্ম ১৯৬৩ সালের এই দিনে। সব সময়েই হাস্যোজ্জ্বল এ শিল্পীর হাসিটিও যেন লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির মোনালিসার অবিস্মরণীয় স্মিত হাসির মতোই রহস্যময়। সে হাসিরও কোনো বয়স হয় না; কিন্তু নিজের জন্মদিনের মতো বিশেষ এই দিনেও নির্মল হাসির মানুষটি যেন নিরেট নির্বিকার। জন্মদিনে আনন্দ-উল্লাস করার পরিবর্তে অনেকটা ছলছল চোখে স্তব্ধ হয়ে আছেন একমাত্র ছেলে নিবিড়ের পাশে।

কানাডায় ঘটে যাওয়া এক দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হয়েছিলেন কুমার বিশ্বজিতের ছেলে নিবিড়। এরপর তাকে সেখানকার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং আইসিইউতে নেওয়া হয়। যদিও দীর্ঘ ১৪ মাস পর ঠিক এক মাস আগে (১ মে) জ্ঞান ফিরেছে নিবিড়ের। তাতে কিছুটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেন নন্দিত গায়ক কুমার বিশ্বজিৎ। তিনি জানান ‘আমার ছেলের শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে; কিন্তু কবে পুরোপুরি সুস্থ হবে, তা বলা মুশকিল। এখনো হাসপাতালে থাকতে হচ্ছে। সে এখন তার মা-বাবাকে নিতে পারছে; কিন্তু কথা বলছে না। অপেক্ষায় আছি কখন বাবা বলে ডাকবে।’

গত বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হন নিবিড়। তার পর থেকেই বাবা-মা দুজনেরই ঠিকানা কানাডার সেই সেন্ট মাইকেল হাসপাতাল। এই দীর্ঘ ১৪ মাস কুমার বিশ্বজিৎ ছিলেন সংগীত মঞ্চের বাইরে। এর মধ্যে দুবার তিনি দেশে এসেছেন।

অসংখ্য জনপ্রিয় গানে কণ্ঠ দেওয়া কুমার বিশ্বজিৎ ১৯৭৭ সালে মাত্র চৌদ্দ বছর বয়সে বেতারে গান গাওয়া শুরু করেন তিনি। পেশাগতভাবে গানে পা রাখেন ১৯৮২ সাল থেকে। ১৯৮৫ সালে আলাউদ্দিন আলীর সুর-সঙ্গীতে নূর হোসেন বলাইর ‘আমরা দুজন দুটি শান্ত ছেলে’ গানে প্রথম প্লেব্যাক করেন তিনি। এরপর থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি এ চিরসবুজ গায়ককে। পেয়েছেন তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।

চার দশক আগের তরুণ-তরুণীর মনে কাঁপন ধরানো গান ‘তোরে পুতুলের মতো করে সাজিয়ে...’ আজও নতুন প্রজন্মের শ্রোতাদের মনে দোলা দেয়। বিটিভিতে ‘শিউলীমালা’ অনুষ্ঠানে প্রথম প্রচারিত হয় গানটি। এরপর অডিওতে ছড়িয়ে দেওয়া সেই মন মোহনী গানের তরঙ্গ আজও সব বয়সের সঙ্গেই সমান মানানসই। সেই একই কণ্ঠের জাদুতে এখনো এ শিল্পী জয় করে চলেছেন কোটি মানুষের হৃদয়। এক গানেই রাতারাতি তারকাখ্যাতি পাওয়া বিশ্বজিতের আরেকটি শ্রোতাপ্রিয় গান- ‘চতুর্দোলাতে চড়ে দেখো ঐ বধূ যায়...’ দ্রুততম সময়ের মধ্যেই যশখ্যাতি পেয়ে যান কুমার বিশ্বজিৎ।


সিনেমায় চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে সজল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

বাংলাদেশের নাটকের জনপ্রিয় মুখ অভিনেতা আব্দুন নূর সজল। অভিনয়ে পরিণত এই অভিনেতা এখন ভালো গল্পের বাইরে যেমন ইচ্ছের বিরূদ্ধে নাটকে যেমন অভিনয় করছেন না ঠিক তেমনি তিনি এখন ভীষণ মনোযোগী ভালো গল্পের সিনেমাতে অভিনয় করার। বড় পর্দায় চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয় করার জন্য সজলের সবকিছুতে একটা অদ্ভুত পরিবর্তন এসেছে। গল্প ও নিজের চরিত্র চ্যালেঞ্জিং না হলে তিনি কাজ করবেন না। পরিচালক জাহিদ হোসেনের পরিচালনায় এর আগে একটি সিনেমাতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। যে কারণে এরই মধ্যে জাহিদ হোসেনের সঙ্গে সজলের কাজের একটা চমৎকার বোঝাপড়া তৈরি হয়েছে। তাই তারই পরিচালনায় প্রবল বিশ্বাস নিয়ে সজল আবারো একটি সিনেমার কাজ শুরু করেছেন। সিনেমার নাম ‘ঋতুকামিনী’। ছবিটিতে সজল অভিনয় করছেন জামাল চরিত্রে। আর তার বিপরীতে কুমকুম চরিত্রে অভিনয় করছেন চিত্রনায়িকা অধরা খান।

সিনেমাটিতে অভিনয় করা প্রসঙ্গে সজল বলেন,‘ জাহিদ হোসেন ভাই ভীষণ গুনী একজন নির্মাতা, খুব ভালো মনের একজন মানুষ। তার নির্দেশনায় আমি এর আগে সুবর্ণভূমি সিনেমাতে অভিনয় করেছিলাম। আমি বিশ্বাস করি সুবর্ণভূমি আমাকে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে যাবে অভিনেতা হিসেবে। আর ঋতুকামিনীর জামাল চরিত্রটিও এক কথায় অসাধারণ। আমি জামালের মাঝে ডুবে আছি। দিনরাত জামাল হিসেবেই ক্যামেরার সামনে অভিনয় করছি। এতটা প্রেমে পড়িনি এর আগে কোনো চরিত্রে। মন থেকে কৃতজ্ঞতা রইলো জাহিদ ভাইয়ের প্রতি। অধরার সঙ্গে আমার প্রথম কাজ। কুমকুম চরিত্রে অধরাও যেন নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করছেন একজন অভিনেত্রী হিসেবে। তার আগামীটা অনেক সুন্দর হবে একজন অভিনেত্রী হিসেবে এটা প্রত্যাশা করা যায়।’ অধরা বলেন, ‘সজল ভাই আমাদের ইন্ডাস্ট্রির একজন বড় মাপের অভিনেতা। আমি তার অভিনয়ের ফ্যান। তার সঙ্গে অভিনয় করে আমিও নিজেকে সমৃদ্ধ করছি। তিনি এত সহযোগিতা পরায়ণ একজন শিল্পী, আমাকে তার বিনয়, আচরণ ভীষণ মসুগ্ধ করেছে। জামাল কুমকুমের রসায়ণ দেখার জন্য দর্শককে আমন্ত্রণ জানালাম।’

বিষয়:

প্রথমবার ওয়েব ফিল্মে রিচি সোলায়মান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

বাংলাদেশের নাট্যাঙ্গনের একসময়ের নন্দিত অভিনেত্রী রিচি সোলায়মান। বহু নাটকে অভিনয় করে তিনি দর্শকের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন। তার স্বামী রাশেক মালিক বতর্মানে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক পুলিশের ডিটেক্টিভ। দুই ছেলে মেয়েকে নিয়ে রিচি আমেরিকাতেই বসবাস করছিলেন। কিন্তু বিগত কয়েক বছর যাবত রিচি ঢাকাতে অবস্থান করছেন দুই সন্তানকে বাংলাদেশের শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে বিকশিত করে তোলার জন্য। এরই মধ্যে টুকটাক নাটকে কাজও করেছেন তিনি। বলা চলে পুরো সময়টাই বিগত কয়েক বছর শুধুই সন্তানদেরই দেবার চেষ্টা করেছেন তিনি।

এবার অভিনয়কে ঘিরে একটি সুখবর দিলেন রিচি। জানালেন প্রথমবার তিনি একটি ওয়েব ফিল্মের কাজ শেষ করেছেন। সাত্যকি তরফদারের রচনায় ও বিজয়া জানার পরিচালনায় ওয়েব ফিল্ম ‘গিরগিটি’তে অভিনয় করেছেন রিচি। এরই মধ্যে কলকাতায় গিয়ে এই ওয়েব ফিল্মের কাজ শেষ করে এসেছেন রিচি সোলায়মান। ওয়েব ফিল্মে রিচি একজন পুলিশ অফিসার শোভনার ভ‚মিকায় অভিনয় করেছেন। যিনি মূলত একটি খুনের রহস্যের উদঘাটন করেন।

প্রথমবার ওয়েব ফিল্ম অভিনয় করা প্রসঙ্গে রিচি বলেন, ‘আমেরিকাতে একটি অনুষ্ঠানে আরটিভির আশিক ভাইয়ের সঙ্গে আমার দেখা হয়। আশিক ভাইই আমাকে কাজের কথা বললে আমি এটা বলি যে, আমি আমার মনের মতো গল্প, চরিত্র না পেলে কাজ করব না। আশিক ভাই জানতেন না যে আমি ঢাকায় থাকি। তো আশিক ভাই বললেন, আমি তোমার জন্য একটি ওয়েব ফিল্ম রেডি করছি, তুমি তাতে কাজ করবে। অবশেষে আশিক ভাইয়ের পরিকল্পনাতেই গিরগিটিতে আমার কাজ করা।’

এই অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘পুরো কাজটাই এরইমধ্যে কলকাতাতে হয়েছে। আমি ছাড়া বাকী সবাই কলকাতার। ভীষণ যত্ন নিয়ে কাজটি করা হয়েছে। আমাদের দেশে মেয়েদেরকে প্রাধান্য দিয়ে গল্প খুব কমই হয়। এই নিয়ে আমাদের শিল্পীদেরও ভীষণ মন খারাপ থাকে। যাইহোক গিরগিটি-একটি নারী প্রধান গল্পের ওয়েব ফিল্ম। যেহেতু পুরো কাজটাই কলকাতায় হয়েছে, তারা তাদের শতভাগ পেশাদারি দায়িত্বে থেকে কাজটি করেছে। আমার বিশ্বাস এই কাজটি দর্শকের মন ভরিয়ে দেবে।’ বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়া লিমিটেডের প্রযোজনায় ‘গিরগিটি’ ওয়েব ফিল্মটি শিগগিরই বিশেষ কোনো দিবসে ‘আরটিভি প্লাস’-এ প্রচার হবে।

বিষয়:

নতুন ছবিতে ঝলক দেখালেন মিথিলা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৩১ মে, ২০২৪ ০০:০৮
বিনোদন প্রতিবেদক

বাংলাদেশি মডেল অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা বেশ কয়েক বছর ধরে ঢালিউড-টালিউড মিলিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন। কাজের সুবাদে এই কলকাতা, এই ঢাকা-এভাবেই ছুটতে দেখা যায় তাকে। দুই বাংলায় একের পর এক সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে তার। গেলো রোজার ঈদে দেশের প্রেক্ষাগৃহে হাজির হয়েছিলেন ‘কাজলরেখা’ নিয়ে। এবার তাকে দেখা যাবে গোয়েন্দা সিনেমায়। তবে এপার বাংলায় নয়, ওপার বাংলায়।

ছবির নাম ‘অরণ্য’র প্রাচীন প্রবাদ’। ছবিটি নির্মাণ করেছেন দুলাল দে। ছবিটির ঘোষণা গত বছরের সেপ্টেম্বরে এসেছিল। এবার সাক্ষাৎ টিজারসহ মুক্তির বার্তা। বুধবার প্রকাশ করা হয়েছে এর প্রথম ঝলক। সেখানে অবশ্য কেবল দুটি দৃশ্যে দেখা গেছে মিথিলাকে। গোটা টিজার আবর্তিত হয়েছে ছবির মুখ্য চরিত্র অরণ্য তথা জীতু কমলকে ঘিরে।

ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারের প্রতিবেদন অনুসারে, গোয়েন্দা গল্প হলেও ছবিটি কিঞ্চিৎ ভিন্ন। এখানকার গোয়েন্দা অরণ্য চিকিৎসাশাস্ত্রের সঙ্গে জড়িত। আবার ক্রিকেট খেলতেও বেশ পছন্দ করে। সেসব সমান্তরালে জায়গা করে নিয়েছে গল্পে। বিষয়টি নিয়ে অভিনেতা জীতু কমল বলেছেন, ‘অভিনয় আমার একমাত্র পছন্দ ছিল না। ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দেখতাম। খেলতেও পারি। আবার সুস্থ রাজনীতিও পছন্দ করি। অভিনেতা না হলে এই দুটোর কোনও একটা অবশ্যই হতাম। এখন দেখছি, অভিনেতা হওয়ারও অনেক সুবিধা। যে স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে না, তা অভিনয়ের মাধ্যমে কিছুটা হলেও মিটিয়ে নিতে পারছি!’

এই ছবিতে মিথিলাকে দেখা যাবে নার্সের ভূমিকায়। তাকে বেছে নেওয়ার কারণ জানিয়ে নির্মাতা বলেছেন, ‘মিথিলা ছাড়া অন্য কারও মধ্যে চরিত্রটিকে খুঁজে পাইনি। তাই অন্য কারও সঙ্গে চরিত্রটি নিয়ে আলাপও করিনি।’ সিনেমার গল্প ও নিজের চরিত্র নিয়ে মিথিলা বলেন, ‘ছবির গল্প যেমন সুন্দর তেমনি আমার চরিত্রটিও অনেক চমৎকার মনে হয়েছে। এ ধরনের গল্প ও চরিত্রে আগে কখনো কাজ করিনি। আমার বিশ্বাস ছবির গল্প, চিত্রনাট্য সবার অভিনয়, লোকেশনসিহ সবমিলিয়ে দর্শককে ভিন্নমাত্রার এক বিনোদন দেবে। তবে এর বেশি আপাাতত কিছু বলতে চাই না।’

‘অরণ্যর প্রাচীন প্রবাদ’ সিনেমাতে আরও অভিনয় করেছেন শিলাজিৎ মজুমদার, সুহোত্র মুখোপাধ্যায়, আলোক স্যান্যাল, অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়, লোকনাথ দে প্রমুখ। আগামী জুলাইতে সিনেমাটি মুক্তি পাবে। ছবিটিতে আরও অভিনয় করেছেন শিলাজিৎ মজুমদার, সুহোত্র মুখোপাধ্যায়, আলোক স্যান্যাল, অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়, লোকনাথ দে প্রমুখ। আগামী জুলাইতে ছবিটি মুক্তি পাবে।


সবাইকে ছাপিয়ে শীর্ষে দীপিকা

আপডেটেড ৩০ মে, ২০২৪ ০০:০৪
বিনোদন ডেস্ক

নানা কারণে বর্তমানে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন। অভিনয় আর গ্ল্যামারে বলিউড জয় করেছেন বহু আগেই। এখন তার খ্যাতি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। কাজ করেছেন হলিউডে, বিশ্বের বিভিন্ন বিখ্যাত বিনোদন আয়োজনে হাজির হন নিয়মিত। যদিও বর্তমানে গর্ভবতী হওয়ার কারণে সব ধরনের অনুষ্ঠান থেকেই দূরে সরে রয়েছেন তিনি।

২০০৭ সালে ‘ওম শান্তি ওম’ ছবির মাধ্যমে বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের নায়িকা হয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন এই অভিনেত্রী। এরপর তারা আরও কয়েকটি ছবিতে জুটি বেঁধেছিলেন। সব ছবিই হয়েছে সফল। তবে চমকপ্রদ ব্যাপার হলো, এক জরিপে শাহরুখকে টপকে শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছেন দীপিকা!

গত এক দশকে যেসব ভারতীয় তারকাকে সবচেয়ে বেশি খোঁজা হয়েছে, তার ১০০ জনের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে ইন্টারনেট মুভি ডাটাবেজ তথা আইএমডিবি। এতে এক নম্বরে আছেন দীপিকা। অর্থাৎ গত এক দশকে তাকেই সবচেয়ে বেশি খোঁজা হয়েছে এই প্ল্যাটফর্মে। দ্বিতীয় স্থানে আছেন শাহরুখ খান।

তালিকায় তৃতীয় ও চতুর্থ আছেন যথাক্রমে ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ও আলিয়া ভাট। সেরা দশের পরবর্তী জায়গাগুলো দখল করেছেন ইরফান খান (পঞ্চম), আমির খান (ষষ্ঠ), সুশান্ত সিং রাজপুত (সপ্তম), সালমান খান (অষ্টম), হৃতিক রোশন (নবম) ও অক্ষয় কুমার (দশম)।

ভ্যারাইটির এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেল, আইএমডিবিতে প্রতি মাসে প্রায় ২৫০ মিলিয়ন ভিজিটর আসে। তাদের অনুসন্ধান থেকেই ‘টপ ১০০ মোস্ট ভিউড ইন্ডিয়ান স্টারস অব দ্য লাস্ট ডিকেড’ তৈরি করেছে প্ল্যাটফর্মটি।

তালিকার সেরা ২০-এর অধিকাংশ তারকাই বলিউডের। তবে দক্ষিণ থেকে জায়গা করে নিয়েছেন সামান্থা রুথ প্রভু (১৩), তামান্না ভাটিয়া (১৬) ও নয়নতারা (১৮)। অন্যদিকে অভিনেতা হিসেবে দক্ষিণ থেকে এগিয়ে আছেন প্রভাস (২৯), ধানুশ (৩০) ও রাম চরণ (৩১)।

প্রসঙ্গত, প্রথম দুটি স্থান দখল করা দীপিকা ও শাহরুখকে সর্বশেষ একসঙ্গে দেখা গেছে গত বছর মুক্তি পাওয়া ‘জাওয়ান’ ছবিতে। এটি বক্স অফিসে বলিউডের অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিল।


১৬তম শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্য উৎসবে পরিবেশিত ভিন্ন মাত্রার রাগ ও তাল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

নৃত্য-ছন্দে প্রকৃতির অপরূপ রূপ বর্ণনা আবার ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশনায় ঈশ্বরের বন্দনা। পৃথিবীতে যখন কোনো সংকট দেখা দেয় তখন ভগবান বিষ্ণু ধরিত্রীর উদ্ধারে ও জীবকুলের কল্যাণে বিভিন্ন রূপ ধারণ করেন। মৎস্য, কূর্ম, বরাহ, নৃসিংহ, বামন, পরশুরাম, রাম, বলরাম, বৌদ্ধ ও সবশেষে তিনি কল্কি অবতার ধারণ করে মানব জাতির কল্যাণ করবেন।

মনিপুরি নৃত্যের ছন্দে ধর্ম বন্দনা ও প্রকৃতির রূপ যেন ধরা দিয়েছে ১৬তম শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্য উৎসব ২০২৪ এর পরিবেশনায়। তচনচ, মেনকূপ, চালী নানান তালের সমন্বয়ে দশাবতারে পরিবেশিত হয়েছে শাস্ত্রীয় নৃত্য মনিপুরী। বাংলাদেশে শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্যের চর্চা ও প্রসার এবং নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের সংগীতের সমৃদ্ধ এ ধারায় উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা অ্যাকাডেমির আয়োজনে চলছে ৬ দিনব্যাপী ১৬তম শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্য উৎসব।

সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের ব্যবস্থাপনায় ২৬ থেকে ৩১ মে জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে ১৬তম শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্য উৎসবের চতুর্থ দিনের পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ বুধবার।

শাস্ত্রীয় অনুষ্ঠানে শুরুতেই পরিবেশিত হয় সমবেত নৃত্য ‘মঙ্গলাচরণ এবং বর্ষা পল্লবী’। ওড্যিস্যি অ্যান্ড টাগোর ডান্স মুভমেন্ট সেন্টার চট্টগ্রামের পরিবেশনায় নৃত্য পরিচালনা করেছেন প্রমা অবন্তি।

এরপর একক সংগীত রাগ ‘ইমন’ পরিবেশন করেন বিটু শীল ও ‘রাগ কেদার’ পরিবেশন করেন ড. ফকির শহিদুল ইসলাম সুমন।

একক শাস্ত্রীয় নৃত্য ‘মনিপুরি বসন্ত প্রবন্ধ’ পরিবেশন করেন মনোমী তানজানা অর্থী। এই নৃত্যে বসন্ত ঋতুতে প্রকৃতির অপরূপ রূপ বর্ণনা করা হয়। নৃত্য রচনা করেছেন গুরু শ্রীমতী কলাবতী দেবী।

শাস্ত্রীয় নৃত্য কথক পরিবেশন করে নৃত্যায়ন নৃত্যদল। তুলশীদাস রচিত গণেশ বন্দনা এবং বিন্দাদীন রচিত ঠুমরি পরিবেশন করেন তারা। নৃত্য নির্মাণ করেন গুরু শ্রী সন্দীপ মল্লিক। নৃত্য পরিচালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মনিরা পারভীন।

এরপর পরিবেশিত হয় শাস্ত্রীয় একক সংগীত। পরিবেশনা করেন ঋতুপর্ণা চক্রবর্তী। তিনি উপস্থাপন করেন ‘রাগ শ্রী (ধ্রুপদ)’। যোগ রাগে একক শাস্ত্রীয় সংগীত পরিবেশন করেন শোভন মজুমদার। ভগবান বিষ্ণু ধরিত্রীর উদ্ধারে ও জীবকুলের কল্যাণে “দশাবতার” একক মনিপুরি নৃত্য পরিবেশন করেন বাবরুল আলম চৌধুরী। তিনি পরিবেশন করেন তাল- তচনচ, মেনকূপ, চালী যার রচয়িতা কবি জয়দেব এবং নৃত্য পরিচালনা করেছেন গুরু কলাবতী দেবী। এরপর নৃত্য কথক পরিবেশন করেন মো. মাসুম হোসাইন। তিনি নৃত্যে উপস্থাপন করেন- গুরু বন্দনা ও শুদ্ধ নৃত্য। ১৬ মাত্রার তাল ত্রিতাল এবং ১৪ মাত্রা তাল ধামার পরিবেশন করেন তিনি। নৃত্য পরিচালনায় করেন শ্রীমতী মধুমিতা রায়। এ পর্যায়ে একক শাস্ত্রীয় সংগীত ‘রাগ মধুকোষ’ পরিবেশন করেন অলোক সেন।

একক শাস্ত্রীয় নৃত্য ওড্যিস্যি পরিবেশন করেন মো. জসীম উদ্দিন। পল্লবী শব্দের অর্থ বিস্তার। নির্ধারিত রাগে কিছু বোলবাণী যোগে এর বিস্তার ঘটে। যে রাগের ওপর ভিত্তি করে পল্লবী সৃষ্টি হয় সেই রাগ অনুযায়ী এর নামকরণ। নৃত্য নির্মাণ করেন গুরু রতিকান্ত মহাপাত্র, নৃত্য পরিচালনায করেন বেনজীর সালাম।

কৃষ্ণ কীর্তনাম, ‘রাগ ভিম পলাশ’, তাল আদি পরিবেশন করেন সাইফুল ইসলাম সাকী। কীর্তনাম হলো ভরতনাট্যম নৃত্যের সাহিত্য আধারিত নৃত্যাভিনয়ের নাম। এরপর একক শাস্ত্রীয় সংগীত পরিবেশন করেন ড. অসিত রায়। একক নৃত্য ‘ভরতনাট্যম’ পরিবেশন করেন প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পী অংকিতা দে।

পৌরাণিক কাহিনি অবলম্বনে কথাকলি আট্টআকথা গল্প ‘উত্তরা স্বয়মবরম’। পরিবেশনা করেন স্বপ্নচূড়া কালচারাল একাডেমি। নৃত্য পরিচালনা করেন আফরিনা আফরোজ চৌধুরী। সবশেষে শাস্ত্রীয় সমবেত সংগীত পরিবেশন করবে বাংলাদেশ শিল্পকলা অ্যাকাডেমির কণ্ঠশিল্পীরা।

বিষয়:

ক্যারিয়ারের রজতজয়ন্তীতে শাকিব খান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

দেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির উজ্জ্বল নক্ষত্র শাকিব খান। দেশসেরা চিত্রনায়ক শাকিব খানকে বর্তমানে অনেক নামেই ডাকা হয়। কিং খান, নাম্বার ওয়ান, ঢালিউড কিং, ভাইজান, রাজকুমারসহ নানা উপাধি এই সুপারস্টারের। ভক্তদের অনেকে তাকে মেগাস্টার বলেও সম্বোধন করেন। ২০০৭ সালের পর থেকে ঢালিউড ইন্ডাস্ট্রির দায়িত্ব যেন একাই কাঁধে বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন শাকিব খান। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে ভারতীয় সিনেমাতেও অভিনয় করে সুনাম অর্জন করেন তিনি।

ঢালিউডের শীর্ষ এই তারকা শাকিব খান স্পর্শ করলেন ক্যারিয়ারের ২৫তম বসন্ত। ১৯৯৯ সালে শাকিব খান প্রথম চুক্তিবদ্ধ হন ‘সবাই তো সুখী হতে চায়’ নামে একটি সিনেমায়। আফতাব খান টুলু পরিচালিত সে সিনেমার মাধ্যমে তিনি প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। তবে ‘অনন্ত ভালোবাসা’ শাকিবের প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা। ১৯৯৯ সালের আজকের দিনে মানে ২৮ মে ছবিটি মুক্তি পায়। ‘অনন্ত ভালোবাসা’ পরিচালনা করেন প্রয়াত সোহানুর রহমান সোহান। সেখানে শাকিব খানের বিপরীতে ছিলেন চিত্রনায়িকা মৌসুমীর ছোটবোন ইরিন জামান। দুজনেরই অভিষেক চলচ্চিত্র হিসেবে স্মরণীয় হয়ে আছে ‘অনন্ত ভালোবাসা’। সিনেমাটি ব্যবসায়িকভাবে সফল হয় এবং নায়ক হিসেবে নজর কাড়েন শাকিব খান।

অভিনয় জীবনের দ্বিতীয় বছরেই সে সময়ের শীর্ষ অভিনেত্রী শাবনূরের বিপরীতে ইস্পাহানী-আরিফ জাহান পরিচালিত গোলাম (২০০০) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে আলোচিত হন শাকিব খান। সে বছর তিনি এজে রানা পরিচালিত ‘আজকের দাপট’ চলচ্চিত্রে পূর্ণিমার বিপরীতে, আবু সাঈদ খান পরিচালিত ‘দুজন দুজনার’ চলচ্চিত্রে পপির বিপরীতে এবং দেলোয়ার জাহান ঝন্টু পরিচালিত ‘বিষে ভরা নাগিন’ চলচ্চিত্রে মুনমুনের বিপরীতে প্রথম অভিনয় করেন।

২০০১ সালে মুক্তি পায় শাকিব খান অভিনীত ‘শিকারি’, ‘স্বপ্নের বাসর’, ‘মায়ের জেহাদ’, ‘রাঙ্গা মাস্তান’, ‘হিংসার পতন’, ‘বন্ধু যখন শত্রু’ চলচ্চিত্রগুলো। ২০০২ সালে মুক্তি পায় ‘ফুল নেব না অশ্রু নেব’ ও ‘স্ত্রীর মর্যাদা’, ‘ও প্রিয়া তুমি কোথায়’, ‘নাচনেওয়ালী’ ‘বিশ্ব বাটপার’। ২০০৩ সালে অভিনয় করেন ‘সাহসী মানুষ চাই’, ‘প্রাণের মানুষ’, ‘ক্ষমতার দাপট’ ও ‘সবার উপরে প্রেম’ চলচ্চিত্রে। ওই বছর তার অভিনীত মহম্মদ হান্নান পরিচালিত ‘সাহসী মানুষ চাই’ চলচ্চিত্রটি বেশ প্রশংসিত হয় এবং দুটি বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে। ২০০৪ সালে শাকিব অভিনীত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে ‘নয়ন ভরা জল’, ‘আজকের সমাজ’, ‘বস্তির রানী সুরিয়া’, ‘রুখে দাঁড়াও’ উল্লেখযোগ্য।

২০০৫ সালে মুক্তি পায় শাকিব খান অভিনীত এম এ রহিম পরিচালিত ‘সিটি টেরর’। ২০০৬ সালে শাকিব খান অভিনীত ১৩টি চলচ্চিত্র মুক্তি পায় এবং সেগুলো সে বছরের সেরা ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র ছিল। এই সাফল্যের ফলে তার পারিশ্রমিক তিন লাখ থেকে ছয়-সাত লাখে উত্তীর্ণ হয়। তারপর কেবলই সাফল্যের গল্প। আসছে ঈদে এই তারকার মুক্তি পাবে তুফান নামের একটি সিনেমা, যার টিজার, পোস্টার এরই মধ্যে বেশ শোরগোল ফেলে দিয়েছে চলচ্চিত্রমহলে।

বিষয়:

banner close