সোমবার, ৩ জুন ২০২৪

আশাহত পূর্ণিমা

আপডেটেড
২২ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০৪
বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত
বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ২২ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০৪

দীর্ঘদিন ধরেই রুপালি পর্দা থেকে দূরে ছিলেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের লাস্যময়ী অভিনেত্রী দিলারা হানিফ পূর্ণিমা। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এ নায়িকার দুটি সিনেমা ‘জ্যাম’ ও ‘গাঙচিল’র কাজ শেষ হলেও কোনো এক রহস্যময় কারণে ছবিটি দুটি আলোর মুখ দেখছে না। দুটি সিনেমাতেই পূর্ণিমার বিপরীতে অভিনয় করেছেন ফেরদৌস আহমেদ। তবে অনেকটা দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মতো হলেও দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হয় এই অভিনেত্রীর। এবার ঈদে নাম মাত্র কয়েকটি সিনেমা হলে মুক্তি পায় পূর্ণিমা অভিনীত ছটকু আহমেদ পরিচালিত সরকারি অনুদানের সিনেমা ‘আহারে জীবন’। ছবিটির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় ছিলেন পূর্ণিমা। অনেক প্রত্যাশাও ছিল তার। কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছিলেন, আহারে জীবন ছবির মাধ্যমে অনেকদিন পর সিনেমা পর্দার দর্শক এবং আমার নিজস্ব ভক্তদের সামনে যেতে পারবেন তিনি।

কিন্তু পূর্ণিমার সেই আশা পূর্ণ হলেও দর্শকের ভালোবাসা পেতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। কারণ ঈদের দিন থেকেই ছবিটি মুখ থুবড়ে পড়ে। ছবিটি মুক্তির আগে পূর্ণিমা ছবিটির গল্প, লোকেশন, নিজের চরিত্র ও নির্মাণশৈলীর প্রশংসা করে বেশ আশার বাণী শুনিয়েছিলেন; কিন্তু দর্শক ছবিটি প্রত্যাখ্যান করায় বেশ আশাহত হয়েছেন পূর্ণিমা। যদিও তার বিপরীতে চিত্রনায়ক ফেরদৌস ছিলেন; কিন্তু কোনোভাবেই সফলকাম হতে পারেনি আহারে জীবন চলচ্চিত্রটি। তবে সিনেমাটি যারা দেখেছেন তারা গল্প ও শিল্পীদের অভিনয়ে তৃপ্ত তারা। তবে এখন পর্যন্ত সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমাটি উপভোগ করার সময় করে উঠতে পারেননি পূর্ণিমা।

এদিকে হতাশাকে নতুন প্রত্যাশায় পরিণত করে আবার পেশাগত কাজে ফিরতে পুরোপুরি প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন পূর্ণিমা। পূর্ণিমা জানান, এই মুহূর্তে দেশজুড়েই প্রচণ্ড গরম পড়েছে। গরমটা একটু কমলেই তিনি তার পেশাগত কাজে ফিরবেন। পূর্ণিমা বলেন, অভিনয় যেহেতু আমার পেশা, অবশ্যই আমি ভালো গল্প পেলে অভিনয় করব। হতে পারে তা সিনেমার কোনো ভালো গল্প, হতে পারে তা ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জন্য কোনো ভালো গল্প কিংবা কোনো নাটকের ভালো গল্প। মূলকথা আমি ভালো গল্পে কাজ করার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত।

গল্পসহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয় যদি ব্যাটে বলে মিলে যায় তাহলে যেকোনো মুহূর্তেই আমি আবার পুরোদমে কাজে ফিরতে পারি। আর যেহেতু এখন স্টেজ মৌসুমও শুরু হয়ে গেছে, উপস্থাপনাটাও নিয়মিত করার ইচ্ছা আছে। আমি আমার পেশাগত কাজের দুনিয়া থেকে দূরে থাকতে চাই না। এ জায়গাটা আমার পরম ভালো লাগার, ভালোবাসার, এখানেই নিয়মিত কাজ করতে চাই।’


শান্তির সন্ধানে রজনীকান্ত

আপডেটেড ৩ জুন, ২০২৪ ০০:০৮
বিনোদন ডেস্ক

রজনীকান্ত সেন- যাকে বলা হয় দক্ষিণী সিনেমার মেগাস্টার। পাশাপাশি তাকে এই সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির ঈশ্বরও বলেন চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্টরা। রজনীকান্তের সত্তরের গণ্ডি পার হলেও স্টাইল আইকন হিসেবে তাকে গণ্য করেন সবাই। এই কিংবদন্তি তারকা রজনীকান্ত হাসিমুখে দাঁড়িয়ে আছেন হিমালয় পর্বতের সামনে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে সেই ছবি।

তবে ছবি আসল নাকি ফটোশপ করা, তা জানা যায়নি; কিন্তু তার ভক্ত-অনুরাগীদের মধ্যে প্রশ্ন উঠছে, শান্তির খোঁজেই কি হিমালয়ের কোলে এসেছেন দক্ষিণী সিনেমার এ শক্তিমান অভিনেতা!

ভাইরাল হওয়া ছবিতে রজনীকান্তকে সাদা লুঙ্গি ও সাদা জামা পরে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। গায়ে জড়ানো শাল। সুপারস্টারের চোখে রয়েছে কালো চশমা। আর মুখে চেনা হাসি। পিছনে রয়েছে সুবিশাল হিমালয় পর্বতমালা।

কিন্তু সত্যিই কি হিমালয়ের কোলে শান্তির খোঁজে গিয়েছেন সুপারস্টার? আসলে প্রতি বছর কেদারনাথ ও বদরিনাথ দর্শনে যান রজনীকান্ত। জানা যাচ্ছে, এবারও সেই সফরে গিয়েছেন তিনি। তারই মধ্যে হয়েছেন ক্যামেরাবন্দি।

গত বছর উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের পা ছুঁয়ে প্রণাম করে বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন রজনীকান্ত। যে রজনীকান্তের সিনেমা রিলিজ হলেই স্কুল কেটে, অফিস কামাই করে প্রেক্ষাগৃহে হুল্লোড় করেন অনুরাগীরা, সেই রজনীকান্ত কেন কুড়ি বছরেরও বেশি ছোট যোগীর পা ছুঁতে গেলেন? এমন প্রশ্ন উঠেছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড় বয়ে গিয়েছিল।

পরে এই বিতর্কের জবাব দিয়ে রজনীকান্ত বলেছিলেন, ‘সন্ন্যাসী বা যোগীকে সব সময়ই পা ছুঁয়ে প্রণাম করি। তা সে ছোট হোক বা বড় হোক। সে যে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেই যুক্ত থাক না কেন, আমি তাকে এভাবেই সম্মান করি।’ ভক্তিভাবে বিশ্বাস সুপারস্টারের। তাই তো প্রতিবার কেদারনাথ, বদরিনাথে যান। এবার অবশ্য সমালোচনা নয়, প্রশংসাই হয়েছে তার। এত বড় সুপারস্টার হয়েও কত সাধারণ রজনী! ছবি দেখে এমনটাই বলছেন নেট নাগরিকরা।


ঈদে নিজের সুরে ফাহমিদা নবী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

দেশের খ্যাতিমান সংগীতশিল্পী ফাহমিদা নবী। বিখ্যাত সংগীত ব্যক্তিত্ব প্রয়াত মাহমুদুন্নবীর কন্যা ফাহমিদা ১৯৭৯ সালে তার গায়িকা জীবন শুরু করেন। তিনি উপমহাদেশীয় আধুনিক এবং ক্ল্যাসিকাল গান গেয়ে থাকেন। এ ছাড়া মাঝেমধ্যে রবীন্দ্রসংগীত এবং নজরুলসংগীতও কণ্ঠে তুলতে দেখা যায় তাকে। বর্তমানে গানে কণ্ঠ দেওয়ার পাশাপাশি সুর নিয়েও ব্যস্ত সময় পার করছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই গায়িকা।

সেই ধারাবাহিকতায় আগামী ঈদে প্রকাশের জন্য নতুন একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন ফাহমিদা নবী। ‘সেদিনও মুখর ছিল শব্দহীন কথারা, শুধু তোমাতে আমাতে কখনো তুখোড় ঝড় হয়ে কখনো শ্রাবণধারা’ এমন কথারে গানটি লিখেছেন ফারজানা রহমান। আর গানটির সুর করেছেন ফাহমিদা নবী নিজেই এবং সংগীতায়োজন করেছেন সজীব দাস।

গানটি প্রসঙ্গে ফাহমিদা নবী বলেন,‘ ফারজানা রহমানের গানের কথা আমার এত বেশি ভালোলেগে যায় যে মনের ভেতর থেকেই সুর চলে আসে। কী সুন্দর কথা গানের। মন ভরে যায়। ধন্যবাদ ফারজানা রহমানকে এত চমৎকার গীতিকবিতা লেখার জন্য। আমার বারবার একটা কথাই মনে হচ্ছিল যে ফারজানা চমৎকার অনুভব নিয়ে গানটি লিখেছে। তবে আমার করা সুরটা কেমন হয়েছে এটা শ্রোতারা ভালো বলতে পারবেন। সজীব সব সময়ের মতো মন দিয়ে ভালোবেসে কাজটি করেছে। আসলে ভালোবাসা থাকলে যেকোনো কাজ মন ছুঁয়ে যায়। সবাইকে বিশেষভাবে অনুরোধ করব, গানটি প্রকাশ পেলে যেন মন দিয়ে গানটি শোনেন। আশা করছি ভালোলাগবে সবার।’

এদিকে ফাহমিদা নবীর ভয়েজ গ্রুমিং স্কুল ‘কারিগরি’ থেকে শিগগিরই তার লেখা ও সুরে শাকিল, শাম্মী, শাকিলা, পিলু, ফাল্গুনী, সোহেল, ফাহমিদার কণ্ঠে মৌলিক গান প্রকাশ করতে যাচ্ছেন। ফাহমিদা নবী জানান, এবারের ঈদেই একে একে ‘আনমোল প্রেজেন্টস’ ইউটিউব চ্য্যানেলে প্রকাশ পাবে। সব গানেরই সংগীতায়োজন করেছেন প্রয়াত বর্ণ চক্রবর্তী।

ফাহমিদা নবী ২০১১ সালে তিনি প্রয়াত নাট্যাচার্য সেলিম আল দীনের লেখা ১০টি গান নিয়ে অ্যালবাম বের করেন ‘আকাশ ও সমুদ্র অপার’। বাপ্পা মজুমদারের সঙ্গে যৌথভাবে তিনি ২০০৬ সালে বের করেন অ্যালবাম ‘এক মুঠো গান-১’।

২০১০ সালের ভালোবাসা দিবসে বের হয় তার দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘এক মুঠো গান-২’। ২০০৫ সাল থেক তিনি ক্লোজআপ ওয়ান রিয়েলিটি শোর বিচারক ছিলেন। ২০০৭ সাল থেকে তিনি কারিগরি নামক একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছেন।

বিষয়:

এবার সালমান খানের গাড়িতে হামলার পরিকল্পনা!

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

সময়টা মোটেও ভালো যাচ্ছে না ভাইজান, চুলবুল পাণ্ডে, সুলতান ও টাইগারখ্যাত বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের। কিছুদিন আগে তার নিজ বাসভবনে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করেছে মুম্বাই পুলিশ। পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে আদালতের দারস্থও হতে হয়েছে সালমান খানকে। এ ঘটনানার রেশ এখনো কাটেনি। এরই মধ্যে সালমান খানের ওপর আবারও হামলার পরিকল্পনার খবর প্রকাশ্যে আনল মুম্বাই পুলিশ। এর আগে সালমান খানের বাড়িতে সরাসরি গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এবার সালমানের গাড়িতে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিল দুর্বৃত্তরা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সালমান খানের গাড়িতে হামলার পরিকল্পনা করছিল লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাং। তবে হামলার পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত চারজনকে ইতোমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে মুম্বাই পুলিশ।

পুলিশ জানায়, লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাংয়ের চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা সালমান খানের গাড়ির ওপর হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিল। এর জন্য পাকিস্তানি অস্ত্র সরবরাহকারীর কাছ থেকে অস্ত্র কেনার পরিকল্পনা ছিল তাদের। আটককৃতদের নাম ধনঞ্জয় ওরফে অজয় কাশ্যপ, গৌরব ভাটিয়া ওরফে নাহভি, ওয়াসপি খান ওরফে ওয়াসিম চিকনা ও রিজওয়ান খান ওরফে জাভেদ খান।

জানা গেছে, অভিযুক্তরা সালমানের বাড়ি ও ফার্মহাউস পর্যবেক্ষণ করে যান। অভিযুক্ত আসামি অজয় কাশ্যপ জানান, দোগার নামক এক পাকিস্তানি নাগরিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন ভিডিও কলের মাধ্যমে। এমনকি একে৪৭-এর মতো অস্ত্র অর্ডার করা হয়েছিল পাকিস্তান থেকে।

পুলিশসূত্রে আরও জানা যায়, মুম্বাই, রায়গড়, নভি মুম্বাই, থানে, পুনে ও গুজরাটের ৬০-৭০ জন যুবক, যারা সবাই লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাংয়ের সদস্য, তারা সালমান খানের ওপর নজর রাখছিলেন।

অভিনেতার ওপরে হামলা চালানোর জন্য নাবালকদের ব্যবহার করার পরিকল্পনা ছিল তাদের। এমনকি হামলার পর কন্যাকুমারী থেকে নৌকায় করে শ্রীলঙ্কায় পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনাও ছিল।

এদিকে চলতি বছরে নতুন কোনো সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে না বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের। হাতে রয়েছে মাত্র একটি সিনেমা। সিকান্দর নামের এই সিনেমার কিছু অংশের কাজ শুরু হয়েছে। মধ্য জুন থেকে সিনেমার বাদ বাকি কাজ শুরু করার কথা। ছবিটি আগামী বছরের শুরুর দিকে মুক্তির কথা রয়েছে। সে লক্ষ্যেই কাজ করছেন ছবির নির্মাতাপক্ষ।

বিষয়:

পঞ্চাশ পেরিয়ে চঞ্চল চৌধুরী

চঞ্চল চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২ জুন, ২০২৪ ০০:২১
বিনোদন প্রতিবেদক

দেশের মঞ্চ, টিভি ও চলচ্চিত্রের জাঁদরেল অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি মডেল, শিক্ষক ও গায়কও বটে। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও নিজের অভিনয় দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি। গতকাল ১ জুন ছিল নন্দিত এই তারকার ৫০তম জন্মদিন। সেই হিসেবে তিনি স্পর্শ করলেন জীবনের ৫১তম বসন্ত। জন্মদিন প্রসঙ্গে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘সত্যি বলতে কী জন্মদিনে কখন কোথায় থাকি, কী করব না করব তার কিছুই আমি জানতে পারি না। আমার স্ত্রী শান্তা এবং আমার ছেলে শুদ্ধ পরিকল্পনা করেই কিছু একটা করে। জন্মদিন মানেই হলো জীবন থেকে একটা বছর পেরিয়ে গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাওয়া। আমি আমার কাজ নিয়ে ভীষণ সন্তুষ্ট। কাজের এই ধারাবাহিকতাটাই আজীবন ধরে রাখতে চাই। যেহেতু মঞ্চ এবং টিভি আমার আজকের সাফল্যের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে। তাই এই দুই মাধ্যমে আমি কাজ করবই। এ ছাড়া অন্য সব মাধ্যমে আমার কাজ করার ইচ্ছে রয়েছে সব সময়ই। যে কারণেই কিন্তু ঈদে বিশেষত টিভি নাটকে কাজ করছি আমি।’

ছোটবেলা থেকেই গানবাজনা, আবৃত্তি আর নাটকের প্রতি নেশা ছিল চঞ্চল চৌধুরীর। ১৯৯৬ সালে বরেণ্য অভিনেতা ও নির্মাতা মামুনুর রশীদের আরণ্যক নাট্যদলে যোগ দেন চঞ্চল। সেখানে ‘কালো দৈত্য’ নাটক দিয়ে তার অভিনয় জীবনের সূচনা হয়। এরপর আরণ্যকের হয়ে ‘সংক্রান্তি’, ‘রাঢ়াঙ’, ‘শত্রুগণ’ ইত্যাদি মঞ্চ নাটকে অভিনয় করে নিজেকে ঝালিয়ে নেন।

চার বছর মঞ্চনাটক করার পর ২০০০ সালে টিভি নাটকে ডাক আসে চঞ্চল চৌধুরীর। ফরিদুর রহমান নির্মিত ‘গ্রাস’ চঞ্চল অভিনীত প্রথম টিভি নাটক। তবে তিনি আলোচনায় আসেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘তালপাতার সেপাই’ নাটকে অভিনয় করে।

তৌকীর আহমেদের পরিচালনায় তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র হচ্ছে ‘রূপকথার গল্প’। তবে চঞ্চল ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়তা ও সাফল্য পান গিয়াসউদ্দিন সেলিম পরিচালিত ‘মনপুরা’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে। এরপর মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘টেলিভিশন’, কলকাতার গৌতম ঘোষ পরিচালিত ‘মনের মানুষ’, অমিতাভ রেজা চৌধুরীর ‘আয়নাবাজি’ ও অনম বিশ্বাসের ‘দেবী’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন চঞ্চল চৌধুরী। প্রতিটি চলচ্চিত্রেই তার অভিনয় বেশ প্রশংসিত হয়। চঞ্চল চৌধুরী ২০১০ সালে ‘মনপুরা’ এবং ২০১৬ সালে ‘আয়নাবাজি’ চলচ্চিত্রের জন্য সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এ ছাড়া তিনি তিনবার মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার লাভ করেন।


জন্মদিনে আয়োজনহীন কুমার বিশ্বজিৎ

কুমার বিশ্বজিৎ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জুন, ২০২৪ ০০:০৩
জাহাঙ্গীর বিপ্লব

চিরসবুজ বলে খ্যাত জননন্দিত কণ্ঠশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ। এই গায়কের বয়স যেন আজও এক রহস্যের ধাঁধায় মোড়ানো। দেখে বোঝার উপায় নেই বালাই ষাট পেরিয়ে গত বছর একষট্টিতে পা দিয়েছেন তিনি। আর আজ ১ জুন স্পর্শ করলেন জীবনের ৬২তম বসন্ত। ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী দেখা যায় তার জন্ম ১৯৬৩ সালের এই দিনে। সব সময়েই হাস্যোজ্জ্বল এ শিল্পীর হাসিটিও যেন লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির মোনালিসার অবিস্মরণীয় স্মিত হাসির মতোই রহস্যময়। সে হাসিরও কোনো বয়স হয় না; কিন্তু নিজের জন্মদিনের মতো বিশেষ এই দিনেও নির্মল হাসির মানুষটি যেন নিরেট নির্বিকার। জন্মদিনে আনন্দ-উল্লাস করার পরিবর্তে অনেকটা ছলছল চোখে স্তব্ধ হয়ে আছেন একমাত্র ছেলে নিবিড়ের পাশে।

কানাডায় ঘটে যাওয়া এক দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হয়েছিলেন কুমার বিশ্বজিতের ছেলে নিবিড়। এরপর তাকে সেখানকার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং আইসিইউতে নেওয়া হয়। যদিও দীর্ঘ ১৪ মাস পর ঠিক এক মাস আগে (১ মে) জ্ঞান ফিরেছে নিবিড়ের। তাতে কিছুটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেন নন্দিত গায়ক কুমার বিশ্বজিৎ। তিনি জানান ‘আমার ছেলের শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে; কিন্তু কবে পুরোপুরি সুস্থ হবে, তা বলা মুশকিল। এখনো হাসপাতালে থাকতে হচ্ছে। সে এখন তার মা-বাবাকে নিতে পারছে; কিন্তু কথা বলছে না। অপেক্ষায় আছি কখন বাবা বলে ডাকবে।’

গত বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হন নিবিড়। তার পর থেকেই বাবা-মা দুজনেরই ঠিকানা কানাডার সেই সেন্ট মাইকেল হাসপাতাল। এই দীর্ঘ ১৪ মাস কুমার বিশ্বজিৎ ছিলেন সংগীত মঞ্চের বাইরে। এর মধ্যে দুবার তিনি দেশে এসেছেন।

অসংখ্য জনপ্রিয় গানে কণ্ঠ দেওয়া কুমার বিশ্বজিৎ ১৯৭৭ সালে মাত্র চৌদ্দ বছর বয়সে বেতারে গান গাওয়া শুরু করেন তিনি। পেশাগতভাবে গানে পা রাখেন ১৯৮২ সাল থেকে। ১৯৮৫ সালে আলাউদ্দিন আলীর সুর-সঙ্গীতে নূর হোসেন বলাইর ‘আমরা দুজন দুটি শান্ত ছেলে’ গানে প্রথম প্লেব্যাক করেন তিনি। এরপর থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি এ চিরসবুজ গায়ককে। পেয়েছেন তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।

চার দশক আগের তরুণ-তরুণীর মনে কাঁপন ধরানো গান ‘তোরে পুতুলের মতো করে সাজিয়ে...’ আজও নতুন প্রজন্মের শ্রোতাদের মনে দোলা দেয়। বিটিভিতে ‘শিউলীমালা’ অনুষ্ঠানে প্রথম প্রচারিত হয় গানটি। এরপর অডিওতে ছড়িয়ে দেওয়া সেই মন মোহনী গানের তরঙ্গ আজও সব বয়সের সঙ্গেই সমান মানানসই। সেই একই কণ্ঠের জাদুতে এখনো এ শিল্পী জয় করে চলেছেন কোটি মানুষের হৃদয়। এক গানেই রাতারাতি তারকাখ্যাতি পাওয়া বিশ্বজিতের আরেকটি শ্রোতাপ্রিয় গান- ‘চতুর্দোলাতে চড়ে দেখো ঐ বধূ যায়...’ দ্রুততম সময়ের মধ্যেই যশখ্যাতি পেয়ে যান কুমার বিশ্বজিৎ।


সিনেমায় চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে সজল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

বাংলাদেশের নাটকের জনপ্রিয় মুখ অভিনেতা আব্দুন নূর সজল। অভিনয়ে পরিণত এই অভিনেতা এখন ভালো গল্পের বাইরে যেমন ইচ্ছের বিরূদ্ধে নাটকে যেমন অভিনয় করছেন না ঠিক তেমনি তিনি এখন ভীষণ মনোযোগী ভালো গল্পের সিনেমাতে অভিনয় করার। বড় পর্দায় চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয় করার জন্য সজলের সবকিছুতে একটা অদ্ভুত পরিবর্তন এসেছে। গল্প ও নিজের চরিত্র চ্যালেঞ্জিং না হলে তিনি কাজ করবেন না। পরিচালক জাহিদ হোসেনের পরিচালনায় এর আগে একটি সিনেমাতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। যে কারণে এরই মধ্যে জাহিদ হোসেনের সঙ্গে সজলের কাজের একটা চমৎকার বোঝাপড়া তৈরি হয়েছে। তাই তারই পরিচালনায় প্রবল বিশ্বাস নিয়ে সজল আবারো একটি সিনেমার কাজ শুরু করেছেন। সিনেমার নাম ‘ঋতুকামিনী’। ছবিটিতে সজল অভিনয় করছেন জামাল চরিত্রে। আর তার বিপরীতে কুমকুম চরিত্রে অভিনয় করছেন চিত্রনায়িকা অধরা খান।

সিনেমাটিতে অভিনয় করা প্রসঙ্গে সজল বলেন,‘ জাহিদ হোসেন ভাই ভীষণ গুনী একজন নির্মাতা, খুব ভালো মনের একজন মানুষ। তার নির্দেশনায় আমি এর আগে সুবর্ণভূমি সিনেমাতে অভিনয় করেছিলাম। আমি বিশ্বাস করি সুবর্ণভূমি আমাকে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে যাবে অভিনেতা হিসেবে। আর ঋতুকামিনীর জামাল চরিত্রটিও এক কথায় অসাধারণ। আমি জামালের মাঝে ডুবে আছি। দিনরাত জামাল হিসেবেই ক্যামেরার সামনে অভিনয় করছি। এতটা প্রেমে পড়িনি এর আগে কোনো চরিত্রে। মন থেকে কৃতজ্ঞতা রইলো জাহিদ ভাইয়ের প্রতি। অধরার সঙ্গে আমার প্রথম কাজ। কুমকুম চরিত্রে অধরাও যেন নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করছেন একজন অভিনেত্রী হিসেবে। তার আগামীটা অনেক সুন্দর হবে একজন অভিনেত্রী হিসেবে এটা প্রত্যাশা করা যায়।’ অধরা বলেন, ‘সজল ভাই আমাদের ইন্ডাস্ট্রির একজন বড় মাপের অভিনেতা। আমি তার অভিনয়ের ফ্যান। তার সঙ্গে অভিনয় করে আমিও নিজেকে সমৃদ্ধ করছি। তিনি এত সহযোগিতা পরায়ণ একজন শিল্পী, আমাকে তার বিনয়, আচরণ ভীষণ মসুগ্ধ করেছে। জামাল কুমকুমের রসায়ণ দেখার জন্য দর্শককে আমন্ত্রণ জানালাম।’

বিষয়:

প্রথমবার ওয়েব ফিল্মে রিচি সোলায়মান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

বাংলাদেশের নাট্যাঙ্গনের একসময়ের নন্দিত অভিনেত্রী রিচি সোলায়মান। বহু নাটকে অভিনয় করে তিনি দর্শকের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন। তার স্বামী রাশেক মালিক বতর্মানে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক পুলিশের ডিটেক্টিভ। দুই ছেলে মেয়েকে নিয়ে রিচি আমেরিকাতেই বসবাস করছিলেন। কিন্তু বিগত কয়েক বছর যাবত রিচি ঢাকাতে অবস্থান করছেন দুই সন্তানকে বাংলাদেশের শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে বিকশিত করে তোলার জন্য। এরই মধ্যে টুকটাক নাটকে কাজও করেছেন তিনি। বলা চলে পুরো সময়টাই বিগত কয়েক বছর শুধুই সন্তানদেরই দেবার চেষ্টা করেছেন তিনি।

এবার অভিনয়কে ঘিরে একটি সুখবর দিলেন রিচি। জানালেন প্রথমবার তিনি একটি ওয়েব ফিল্মের কাজ শেষ করেছেন। সাত্যকি তরফদারের রচনায় ও বিজয়া জানার পরিচালনায় ওয়েব ফিল্ম ‘গিরগিটি’তে অভিনয় করেছেন রিচি। এরই মধ্যে কলকাতায় গিয়ে এই ওয়েব ফিল্মের কাজ শেষ করে এসেছেন রিচি সোলায়মান। ওয়েব ফিল্মে রিচি একজন পুলিশ অফিসার শোভনার ভ‚মিকায় অভিনয় করেছেন। যিনি মূলত একটি খুনের রহস্যের উদঘাটন করেন।

প্রথমবার ওয়েব ফিল্ম অভিনয় করা প্রসঙ্গে রিচি বলেন, ‘আমেরিকাতে একটি অনুষ্ঠানে আরটিভির আশিক ভাইয়ের সঙ্গে আমার দেখা হয়। আশিক ভাইই আমাকে কাজের কথা বললে আমি এটা বলি যে, আমি আমার মনের মতো গল্প, চরিত্র না পেলে কাজ করব না। আশিক ভাই জানতেন না যে আমি ঢাকায় থাকি। তো আশিক ভাই বললেন, আমি তোমার জন্য একটি ওয়েব ফিল্ম রেডি করছি, তুমি তাতে কাজ করবে। অবশেষে আশিক ভাইয়ের পরিকল্পনাতেই গিরগিটিতে আমার কাজ করা।’

এই অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘পুরো কাজটাই এরইমধ্যে কলকাতাতে হয়েছে। আমি ছাড়া বাকী সবাই কলকাতার। ভীষণ যত্ন নিয়ে কাজটি করা হয়েছে। আমাদের দেশে মেয়েদেরকে প্রাধান্য দিয়ে গল্প খুব কমই হয়। এই নিয়ে আমাদের শিল্পীদেরও ভীষণ মন খারাপ থাকে। যাইহোক গিরগিটি-একটি নারী প্রধান গল্পের ওয়েব ফিল্ম। যেহেতু পুরো কাজটাই কলকাতায় হয়েছে, তারা তাদের শতভাগ পেশাদারি দায়িত্বে থেকে কাজটি করেছে। আমার বিশ্বাস এই কাজটি দর্শকের মন ভরিয়ে দেবে।’ বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়া লিমিটেডের প্রযোজনায় ‘গিরগিটি’ ওয়েব ফিল্মটি শিগগিরই বিশেষ কোনো দিবসে ‘আরটিভি প্লাস’-এ প্রচার হবে।

বিষয়:

নতুন ছবিতে ঝলক দেখালেন মিথিলা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৩১ মে, ২০২৪ ০০:০৮
বিনোদন প্রতিবেদক

বাংলাদেশি মডেল অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা বেশ কয়েক বছর ধরে ঢালিউড-টালিউড মিলিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন। কাজের সুবাদে এই কলকাতা, এই ঢাকা-এভাবেই ছুটতে দেখা যায় তাকে। দুই বাংলায় একের পর এক সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে তার। গেলো রোজার ঈদে দেশের প্রেক্ষাগৃহে হাজির হয়েছিলেন ‘কাজলরেখা’ নিয়ে। এবার তাকে দেখা যাবে গোয়েন্দা সিনেমায়। তবে এপার বাংলায় নয়, ওপার বাংলায়।

ছবির নাম ‘অরণ্য’র প্রাচীন প্রবাদ’। ছবিটি নির্মাণ করেছেন দুলাল দে। ছবিটির ঘোষণা গত বছরের সেপ্টেম্বরে এসেছিল। এবার সাক্ষাৎ টিজারসহ মুক্তির বার্তা। বুধবার প্রকাশ করা হয়েছে এর প্রথম ঝলক। সেখানে অবশ্য কেবল দুটি দৃশ্যে দেখা গেছে মিথিলাকে। গোটা টিজার আবর্তিত হয়েছে ছবির মুখ্য চরিত্র অরণ্য তথা জীতু কমলকে ঘিরে।

ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারের প্রতিবেদন অনুসারে, গোয়েন্দা গল্প হলেও ছবিটি কিঞ্চিৎ ভিন্ন। এখানকার গোয়েন্দা অরণ্য চিকিৎসাশাস্ত্রের সঙ্গে জড়িত। আবার ক্রিকেট খেলতেও বেশ পছন্দ করে। সেসব সমান্তরালে জায়গা করে নিয়েছে গল্পে। বিষয়টি নিয়ে অভিনেতা জীতু কমল বলেছেন, ‘অভিনয় আমার একমাত্র পছন্দ ছিল না। ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দেখতাম। খেলতেও পারি। আবার সুস্থ রাজনীতিও পছন্দ করি। অভিনেতা না হলে এই দুটোর কোনও একটা অবশ্যই হতাম। এখন দেখছি, অভিনেতা হওয়ারও অনেক সুবিধা। যে স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে না, তা অভিনয়ের মাধ্যমে কিছুটা হলেও মিটিয়ে নিতে পারছি!’

এই ছবিতে মিথিলাকে দেখা যাবে নার্সের ভূমিকায়। তাকে বেছে নেওয়ার কারণ জানিয়ে নির্মাতা বলেছেন, ‘মিথিলা ছাড়া অন্য কারও মধ্যে চরিত্রটিকে খুঁজে পাইনি। তাই অন্য কারও সঙ্গে চরিত্রটি নিয়ে আলাপও করিনি।’ সিনেমার গল্প ও নিজের চরিত্র নিয়ে মিথিলা বলেন, ‘ছবির গল্প যেমন সুন্দর তেমনি আমার চরিত্রটিও অনেক চমৎকার মনে হয়েছে। এ ধরনের গল্প ও চরিত্রে আগে কখনো কাজ করিনি। আমার বিশ্বাস ছবির গল্প, চিত্রনাট্য সবার অভিনয়, লোকেশনসিহ সবমিলিয়ে দর্শককে ভিন্নমাত্রার এক বিনোদন দেবে। তবে এর বেশি আপাাতত কিছু বলতে চাই না।’

‘অরণ্যর প্রাচীন প্রবাদ’ সিনেমাতে আরও অভিনয় করেছেন শিলাজিৎ মজুমদার, সুহোত্র মুখোপাধ্যায়, আলোক স্যান্যাল, অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়, লোকনাথ দে প্রমুখ। আগামী জুলাইতে সিনেমাটি মুক্তি পাবে। ছবিটিতে আরও অভিনয় করেছেন শিলাজিৎ মজুমদার, সুহোত্র মুখোপাধ্যায়, আলোক স্যান্যাল, অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়, লোকনাথ দে প্রমুখ। আগামী জুলাইতে ছবিটি মুক্তি পাবে।


সবাইকে ছাপিয়ে শীর্ষে দীপিকা

আপডেটেড ৩০ মে, ২০২৪ ০০:০৪
বিনোদন ডেস্ক

নানা কারণে বর্তমানে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন। অভিনয় আর গ্ল্যামারে বলিউড জয় করেছেন বহু আগেই। এখন তার খ্যাতি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। কাজ করেছেন হলিউডে, বিশ্বের বিভিন্ন বিখ্যাত বিনোদন আয়োজনে হাজির হন নিয়মিত। যদিও বর্তমানে গর্ভবতী হওয়ার কারণে সব ধরনের অনুষ্ঠান থেকেই দূরে সরে রয়েছেন তিনি।

২০০৭ সালে ‘ওম শান্তি ওম’ ছবির মাধ্যমে বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের নায়িকা হয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন এই অভিনেত্রী। এরপর তারা আরও কয়েকটি ছবিতে জুটি বেঁধেছিলেন। সব ছবিই হয়েছে সফল। তবে চমকপ্রদ ব্যাপার হলো, এক জরিপে শাহরুখকে টপকে শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছেন দীপিকা!

গত এক দশকে যেসব ভারতীয় তারকাকে সবচেয়ে বেশি খোঁজা হয়েছে, তার ১০০ জনের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে ইন্টারনেট মুভি ডাটাবেজ তথা আইএমডিবি। এতে এক নম্বরে আছেন দীপিকা। অর্থাৎ গত এক দশকে তাকেই সবচেয়ে বেশি খোঁজা হয়েছে এই প্ল্যাটফর্মে। দ্বিতীয় স্থানে আছেন শাহরুখ খান।

তালিকায় তৃতীয় ও চতুর্থ আছেন যথাক্রমে ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ও আলিয়া ভাট। সেরা দশের পরবর্তী জায়গাগুলো দখল করেছেন ইরফান খান (পঞ্চম), আমির খান (ষষ্ঠ), সুশান্ত সিং রাজপুত (সপ্তম), সালমান খান (অষ্টম), হৃতিক রোশন (নবম) ও অক্ষয় কুমার (দশম)।

ভ্যারাইটির এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেল, আইএমডিবিতে প্রতি মাসে প্রায় ২৫০ মিলিয়ন ভিজিটর আসে। তাদের অনুসন্ধান থেকেই ‘টপ ১০০ মোস্ট ভিউড ইন্ডিয়ান স্টারস অব দ্য লাস্ট ডিকেড’ তৈরি করেছে প্ল্যাটফর্মটি।

তালিকার সেরা ২০-এর অধিকাংশ তারকাই বলিউডের। তবে দক্ষিণ থেকে জায়গা করে নিয়েছেন সামান্থা রুথ প্রভু (১৩), তামান্না ভাটিয়া (১৬) ও নয়নতারা (১৮)। অন্যদিকে অভিনেতা হিসেবে দক্ষিণ থেকে এগিয়ে আছেন প্রভাস (২৯), ধানুশ (৩০) ও রাম চরণ (৩১)।

প্রসঙ্গত, প্রথম দুটি স্থান দখল করা দীপিকা ও শাহরুখকে সর্বশেষ একসঙ্গে দেখা গেছে গত বছর মুক্তি পাওয়া ‘জাওয়ান’ ছবিতে। এটি বক্স অফিসে বলিউডের অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিল।


১৬তম শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্য উৎসবে পরিবেশিত ভিন্ন মাত্রার রাগ ও তাল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

নৃত্য-ছন্দে প্রকৃতির অপরূপ রূপ বর্ণনা আবার ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশনায় ঈশ্বরের বন্দনা। পৃথিবীতে যখন কোনো সংকট দেখা দেয় তখন ভগবান বিষ্ণু ধরিত্রীর উদ্ধারে ও জীবকুলের কল্যাণে বিভিন্ন রূপ ধারণ করেন। মৎস্য, কূর্ম, বরাহ, নৃসিংহ, বামন, পরশুরাম, রাম, বলরাম, বৌদ্ধ ও সবশেষে তিনি কল্কি অবতার ধারণ করে মানব জাতির কল্যাণ করবেন।

মনিপুরি নৃত্যের ছন্দে ধর্ম বন্দনা ও প্রকৃতির রূপ যেন ধরা দিয়েছে ১৬তম শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্য উৎসব ২০২৪ এর পরিবেশনায়। তচনচ, মেনকূপ, চালী নানান তালের সমন্বয়ে দশাবতারে পরিবেশিত হয়েছে শাস্ত্রীয় নৃত্য মনিপুরী। বাংলাদেশে শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্যের চর্চা ও প্রসার এবং নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের সংগীতের সমৃদ্ধ এ ধারায় উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা অ্যাকাডেমির আয়োজনে চলছে ৬ দিনব্যাপী ১৬তম শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্য উৎসব।

সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের ব্যবস্থাপনায় ২৬ থেকে ৩১ মে জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে ১৬তম শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্য উৎসবের চতুর্থ দিনের পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ বুধবার।

শাস্ত্রীয় অনুষ্ঠানে শুরুতেই পরিবেশিত হয় সমবেত নৃত্য ‘মঙ্গলাচরণ এবং বর্ষা পল্লবী’। ওড্যিস্যি অ্যান্ড টাগোর ডান্স মুভমেন্ট সেন্টার চট্টগ্রামের পরিবেশনায় নৃত্য পরিচালনা করেছেন প্রমা অবন্তি।

এরপর একক সংগীত রাগ ‘ইমন’ পরিবেশন করেন বিটু শীল ও ‘রাগ কেদার’ পরিবেশন করেন ড. ফকির শহিদুল ইসলাম সুমন।

একক শাস্ত্রীয় নৃত্য ‘মনিপুরি বসন্ত প্রবন্ধ’ পরিবেশন করেন মনোমী তানজানা অর্থী। এই নৃত্যে বসন্ত ঋতুতে প্রকৃতির অপরূপ রূপ বর্ণনা করা হয়। নৃত্য রচনা করেছেন গুরু শ্রীমতী কলাবতী দেবী।

শাস্ত্রীয় নৃত্য কথক পরিবেশন করে নৃত্যায়ন নৃত্যদল। তুলশীদাস রচিত গণেশ বন্দনা এবং বিন্দাদীন রচিত ঠুমরি পরিবেশন করেন তারা। নৃত্য নির্মাণ করেন গুরু শ্রী সন্দীপ মল্লিক। নৃত্য পরিচালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মনিরা পারভীন।

এরপর পরিবেশিত হয় শাস্ত্রীয় একক সংগীত। পরিবেশনা করেন ঋতুপর্ণা চক্রবর্তী। তিনি উপস্থাপন করেন ‘রাগ শ্রী (ধ্রুপদ)’। যোগ রাগে একক শাস্ত্রীয় সংগীত পরিবেশন করেন শোভন মজুমদার। ভগবান বিষ্ণু ধরিত্রীর উদ্ধারে ও জীবকুলের কল্যাণে “দশাবতার” একক মনিপুরি নৃত্য পরিবেশন করেন বাবরুল আলম চৌধুরী। তিনি পরিবেশন করেন তাল- তচনচ, মেনকূপ, চালী যার রচয়িতা কবি জয়দেব এবং নৃত্য পরিচালনা করেছেন গুরু কলাবতী দেবী। এরপর নৃত্য কথক পরিবেশন করেন মো. মাসুম হোসাইন। তিনি নৃত্যে উপস্থাপন করেন- গুরু বন্দনা ও শুদ্ধ নৃত্য। ১৬ মাত্রার তাল ত্রিতাল এবং ১৪ মাত্রা তাল ধামার পরিবেশন করেন তিনি। নৃত্য পরিচালনায় করেন শ্রীমতী মধুমিতা রায়। এ পর্যায়ে একক শাস্ত্রীয় সংগীত ‘রাগ মধুকোষ’ পরিবেশন করেন অলোক সেন।

একক শাস্ত্রীয় নৃত্য ওড্যিস্যি পরিবেশন করেন মো. জসীম উদ্দিন। পল্লবী শব্দের অর্থ বিস্তার। নির্ধারিত রাগে কিছু বোলবাণী যোগে এর বিস্তার ঘটে। যে রাগের ওপর ভিত্তি করে পল্লবী সৃষ্টি হয় সেই রাগ অনুযায়ী এর নামকরণ। নৃত্য নির্মাণ করেন গুরু রতিকান্ত মহাপাত্র, নৃত্য পরিচালনায করেন বেনজীর সালাম।

কৃষ্ণ কীর্তনাম, ‘রাগ ভিম পলাশ’, তাল আদি পরিবেশন করেন সাইফুল ইসলাম সাকী। কীর্তনাম হলো ভরতনাট্যম নৃত্যের সাহিত্য আধারিত নৃত্যাভিনয়ের নাম। এরপর একক শাস্ত্রীয় সংগীত পরিবেশন করেন ড. অসিত রায়। একক নৃত্য ‘ভরতনাট্যম’ পরিবেশন করেন প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পী অংকিতা দে।

পৌরাণিক কাহিনি অবলম্বনে কথাকলি আট্টআকথা গল্প ‘উত্তরা স্বয়মবরম’। পরিবেশনা করেন স্বপ্নচূড়া কালচারাল একাডেমি। নৃত্য পরিচালনা করেন আফরিনা আফরোজ চৌধুরী। সবশেষে শাস্ত্রীয় সমবেত সংগীত পরিবেশন করবে বাংলাদেশ শিল্পকলা অ্যাকাডেমির কণ্ঠশিল্পীরা।

বিষয়:

ক্যারিয়ারের রজতজয়ন্তীতে শাকিব খান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

দেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির উজ্জ্বল নক্ষত্র শাকিব খান। দেশসেরা চিত্রনায়ক শাকিব খানকে বর্তমানে অনেক নামেই ডাকা হয়। কিং খান, নাম্বার ওয়ান, ঢালিউড কিং, ভাইজান, রাজকুমারসহ নানা উপাধি এই সুপারস্টারের। ভক্তদের অনেকে তাকে মেগাস্টার বলেও সম্বোধন করেন। ২০০৭ সালের পর থেকে ঢালিউড ইন্ডাস্ট্রির দায়িত্ব যেন একাই কাঁধে বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন শাকিব খান। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে ভারতীয় সিনেমাতেও অভিনয় করে সুনাম অর্জন করেন তিনি।

ঢালিউডের শীর্ষ এই তারকা শাকিব খান স্পর্শ করলেন ক্যারিয়ারের ২৫তম বসন্ত। ১৯৯৯ সালে শাকিব খান প্রথম চুক্তিবদ্ধ হন ‘সবাই তো সুখী হতে চায়’ নামে একটি সিনেমায়। আফতাব খান টুলু পরিচালিত সে সিনেমার মাধ্যমে তিনি প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। তবে ‘অনন্ত ভালোবাসা’ শাকিবের প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা। ১৯৯৯ সালের আজকের দিনে মানে ২৮ মে ছবিটি মুক্তি পায়। ‘অনন্ত ভালোবাসা’ পরিচালনা করেন প্রয়াত সোহানুর রহমান সোহান। সেখানে শাকিব খানের বিপরীতে ছিলেন চিত্রনায়িকা মৌসুমীর ছোটবোন ইরিন জামান। দুজনেরই অভিষেক চলচ্চিত্র হিসেবে স্মরণীয় হয়ে আছে ‘অনন্ত ভালোবাসা’। সিনেমাটি ব্যবসায়িকভাবে সফল হয় এবং নায়ক হিসেবে নজর কাড়েন শাকিব খান।

অভিনয় জীবনের দ্বিতীয় বছরেই সে সময়ের শীর্ষ অভিনেত্রী শাবনূরের বিপরীতে ইস্পাহানী-আরিফ জাহান পরিচালিত গোলাম (২০০০) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে আলোচিত হন শাকিব খান। সে বছর তিনি এজে রানা পরিচালিত ‘আজকের দাপট’ চলচ্চিত্রে পূর্ণিমার বিপরীতে, আবু সাঈদ খান পরিচালিত ‘দুজন দুজনার’ চলচ্চিত্রে পপির বিপরীতে এবং দেলোয়ার জাহান ঝন্টু পরিচালিত ‘বিষে ভরা নাগিন’ চলচ্চিত্রে মুনমুনের বিপরীতে প্রথম অভিনয় করেন।

২০০১ সালে মুক্তি পায় শাকিব খান অভিনীত ‘শিকারি’, ‘স্বপ্নের বাসর’, ‘মায়ের জেহাদ’, ‘রাঙ্গা মাস্তান’, ‘হিংসার পতন’, ‘বন্ধু যখন শত্রু’ চলচ্চিত্রগুলো। ২০০২ সালে মুক্তি পায় ‘ফুল নেব না অশ্রু নেব’ ও ‘স্ত্রীর মর্যাদা’, ‘ও প্রিয়া তুমি কোথায়’, ‘নাচনেওয়ালী’ ‘বিশ্ব বাটপার’। ২০০৩ সালে অভিনয় করেন ‘সাহসী মানুষ চাই’, ‘প্রাণের মানুষ’, ‘ক্ষমতার দাপট’ ও ‘সবার উপরে প্রেম’ চলচ্চিত্রে। ওই বছর তার অভিনীত মহম্মদ হান্নান পরিচালিত ‘সাহসী মানুষ চাই’ চলচ্চিত্রটি বেশ প্রশংসিত হয় এবং দুটি বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে। ২০০৪ সালে শাকিব অভিনীত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে ‘নয়ন ভরা জল’, ‘আজকের সমাজ’, ‘বস্তির রানী সুরিয়া’, ‘রুখে দাঁড়াও’ উল্লেখযোগ্য।

২০০৫ সালে মুক্তি পায় শাকিব খান অভিনীত এম এ রহিম পরিচালিত ‘সিটি টেরর’। ২০০৬ সালে শাকিব খান অভিনীত ১৩টি চলচ্চিত্র মুক্তি পায় এবং সেগুলো সে বছরের সেরা ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র ছিল। এই সাফল্যের ফলে তার পারিশ্রমিক তিন লাখ থেকে ছয়-সাত লাখে উত্তীর্ণ হয়। তারপর কেবলই সাফল্যের গল্প। আসছে ঈদে এই তারকার মুক্তি পাবে তুফান নামের একটি সিনেমা, যার টিজার, পোস্টার এরই মধ্যে বেশ শোরগোল ফেলে দিয়েছে চলচ্চিত্রমহলে।

বিষয়:

নতুন গেটআপে অপূর্ব

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

রোমান্টিক নাটকের বরপুত্র বলে খ্যাত অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব এখন আর আগের মতো নেই। নিজেকে বারবার ভেঙে নতুন নতুন লুকে হাজির হচ্ছেন টিভি নাটক ও ওয়েব সিরিজে। সেই ধারাবাহিকতায় আগামী ঈদের একটি নাটকে সম্পূর্ণ ভিন্ন এক গেটআপে এই তারকাকে। ‘মন দুয়ারী’ শিরোনামের ফিকশন ঘরানার এই নাটকটি রচনা ও পরিচালনা করছেন জাকারিয়া সৌখিন। এরই মধ্যে মানিকগঞ্জের বিভিন্ন লোকেশনে নাটকের শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন অপূর্ব।

নাটকটি নিয়ে দারুণ আশাবাদ ব্যক্ত করে অপূর্ব বলেন, ‘অনেক সুন্দর একটি গল্পের নাটক মন দুয়ারী। আমার চরিত্রটিও অসাধারণ মনে হয়েছে। এ ধরনের চরিত্রে আমি আগে অভিনয় করিনি। নিজের চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে আমার অনেক কিছুর পরিবর্তন আনতে হয়েছে। আমার বিশ্বাস নাটকটি প্রচারে এলে দর্শকের অবশ্যই ভালো লাগবে।’

নাটকটিতে অপূর্বর দাদির চরিত্রে অভিনয় করছেন একুশে পদকপ্রাপ্ত গুণী অভিনেত্রী দিলারা জামান। এই অভিনেত্রী বলেন, ‘এখন আমার বয়স ৮২। এই বয়সেও যে কাজ করছি সেটাই তো আসলে অনেক। মন দুয়ারী নাটকটিতে কাজ করতে আমার অনেক কষ্ট হয়েছে। তবে নির্মাতাদের বলব আমার বয়সটার দিকে খেয়াল রেখে আমাকে দিয়ে কাজ করানো উচিত। কারণ অন্যদের মতো আমি রাত জেগে কাজ করতে পারি না, অনেক কষ্ট হয়। এই কষ্টটা এই বয়সে সহ্য করা বা মেনে নেওয়া অনেক কঠিন।

অপূর্বকে নিয়ে এই অভিনেত্রীর ভাষ্য, অপূর্ব আমার নাতির চরিত্রে যথারীতি খুব ভালো অভিনয় করেছে। সত্যি বলতে অপূর্ব এখন একজন পরিণত অভিনেতা। এক কথায় চমৎকার অভিনয় করে। ফিকশনের গল্পটা এমন যে বিদেশ থেকে অপূর্ব দেশে আসে ওয়ারিস বুঝে নিতে। একটা সময় অপূর্ব বিদেশে ফেরত যেতে চায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারে না। কী কারণে অপূর্ব শেষমেশ যেতে পারে না তা দেখতে হলেই ফিকশনটি উপভোগ করতে হবে। এটা সত্যি সৌখিন অনেক যত্ন নিয়ে কাজটি নির্মাণ করেছে। অপূর্বসহ আরও যারা এতে অভিনয় করেছে প্রত্যেকেই খুব চমৎকার অভিনয় করেছে। আমি ভীষণ আশাবাদী ফিকশনটি নিয়ে।

বিষয়:

অবিস্মরণীয় এক নাম হুমায়ুন ফরীদি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

দেশীয় শোবিজের এক অবিস্মরণীয় নাম হুমায়ুন ফরীদি। আশি ও নব্বইয়ের দশকে যে কজন অভিনয়শিল্পী মঞ্চ ও টিভি নাটককে জনপ্রিয় এবং আলোচিত করেছিলেন, হুমায়ুন ফরীদি ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম। এই কিংবদন্তি জীবদ্দশায় তিন দশকেরও বেশি সময় চলচ্চিত্রেও সমান দাপটের সঙ্গে অভিনয়ের মাধ্যমে রং ছড়িয়েছেন। নায়ক কিংবা খলনায়ক সব চরিত্রেই সমান পারদর্শিতা দেখানো এই গুণী শিল্পী কাটিয়েছেন অভিনয়ের বর্ণাঢ্য জীবন। তিনি এখনো আছেন সবার হৃদয়ে।

নন্দিত ও বরেণ্য এই অভিনেতা অমর হয়ে রয়েছেন দেশ-বিদেশের লাখো কোটি দর্শকের হৃদয়ে। ভক্তদের ভালোবাসায় তিনি কিংবদন্তি হয়েই থাকবেন। নাটক, চলচ্চিত্র কিংবা মঞ্চ- সবখানেই ছিল তার অবাধ বিচরণ। শুধু অভিনয় দিয়েই দর্শককে বিমোহিত করেছিলেন ডাকসাঁইটে এই অভিনেতা। তাকে বলা হয় অভিনেতাদের অভিনেতা, একজন আদর্শ শিল্পী।

শক্তিমান এই তারকার আজ ৭২তম জন্মবার্ষিকী। ফরীদির জন্মদিন উপলক্ষে চ্যানেল আইয়ের ছাদ বারান্দায় আজ বিকাল ৫টায় আহমেদ রেজাউর রহমান এজাজের সম্পাদনায় ‘হুমায়ুন ফরীদি সাধারণ এক অসাধারণ’ গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিদের লেখায় বইটি সমৃদ্ধ হয়েছে। চলচ্চিত্র, মঞ্চ, টেলিভিশনের ব্যক্তিত্বরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে হুমায়ুন ফরীদিকে স্মরণ করবেন।

১৯৫২ সালের এই দিনে ঢাকার নারিন্দায় তিনি জন্মগ্রহণ করেন। জন্ম ঢাকায় হলেও শৈশব-কৈশোর তার কেটেছে ঢাকার বাইরে। বাবার চাকরির সুবাদে ঘুরতে হয়েছে মৌলভীবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, কিশোরগঞ্জ, মাদারীপুরসহ আরও অনেক জেলায়। যে কারণে প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিকের পড়াশোনাও হয়েছে তার বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন স্কুলে।

চাঁদপুর সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি শেষ করেন ১৯৭০ সালে। স্বাধীনতার পর অর্থনীতি নিয়ে ভর্তি হন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখান থেকে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে অনার্স সম্পন্ন করেন। তবে ছেলেবেলা থেকেই অভিনয়ে ঝোঁক ছিল তার। তাই অর্থনীতিতে এত ভালো ফলাফল করেও পেশা হিসেবে বেছে নেন অভিনয়কে। এরপর মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র- তিন মাধ্যমেই দাপিয়ে বেড়ান এই গুণী অভিনেতা। তিন দশকের বর্ণিল ক্যারিয়ারে তিনি উপহার দিয়েছেন অনেক জনপ্রিয় নাটক ও চলচ্চিত্র।

হুমায়ুন ফরীদির অভিনয়ে হাতেখড়ি অবশ্য মাত্র ‎১২ বছর বয়সে। ১৯৬৪ সালে কিশোরগঞ্জের মহল্লার নাটক ‘এক কন্যার জনক’-এ অভিনয়ে করেন তিনি। স্কুল জীবনেই নাটকের নির্দেশনা দেওয়া অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন তিনি। ‘ভূত’ নামে নাটকের নির্দেশনা দেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে নাট্যজন সেলিম আল দীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে হুমায়ুন ফরীদির। ১৯৭৬ সালে সেলিম আল দীনের উদ্যোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয় নাট্যোৎসব। এই উৎসবে ফরীদির নিজের রচনায় এবং নির্দেশনায় মঞ্চস্থ হয় ‘আত্মস্থ ও হিরন্ময়ীদের বৃত্তান্ত’ নামে একটি নাটক, ওই সময় নাটকটি সেরা হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল। এরপর ঢাকা থিয়েটারে ‘মুনতাসীর ফ্যান্টাসি’, ‘ফণীমনসা’, ‘শকুন্তলা’, ‘কীত্তনখোলা’, ‘কেরামত মঙ্গল’ নাটকগুলোতে অভিনয় করে ভূয়সী প্রশংসিত হন হুমায়ুন ফরীদি। নাট্যজগতে অদ্বিতীয় ব্যক্তি হয়ে ওঠেন।

হুমায়ুন ফরীদি টিভি পর্দায় প্রথম অভিনয় করেন আতিকুল ইসলাম চৌধুরীর ‘নিখোঁজ সংবাদ’ নাটক দিয়ে। তবে ১৯৮৩ সালে সেলিম আল দীনের রচনায় ‘ভাঙনের শব্দ শুনি’ নাটকে সেরাজ তালুকদারের চরিত্রে অভিনয় করে দেশব্যাপী জনপ্রিয়তা পান ফরীদি। এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি ফরীদিকে।

বিষয়:

banner close