বুধবার, ২৯ মে ২০২৪

ডায়াবেটিসেও কিডনি থাকুক সুস্থ

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড
২৮ জানুয়ারি, ২০২৩ ০৮:৩৮
ডা. শেখ মইনুল খোকন
প্রকাশিত
ডা. শেখ মইনুল খোকন
প্রকাশিত : ২৮ জানুয়ারি, ২০২৩ ০৮:৩৬

দেশে অসংক্রামক রোগ ডায়াবেটিস যেমন বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে এ রোগে আক্রান্তদের কিডনির সমস্যা। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস রোগীদের প্রায় ৪৪ শতাংশের কিডনি রোগ হয়।

ডায়াবেটিসের কারণে আমাদের শরীরের সব ধরনের রক্তনালি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে ছোট রক্তনালি ক্ষতিগ্রস্তের কারণে কিডনি আক্রান্ত হয়। যার ফলে প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বিভিন্ন মাত্রার প্রোটিন বের হয়ে যায় এবং সেটি প্রতিরোধ না করলে এক সময় কিডনি বিকল হয়ে যায়।

ডায়াবেটিস থেকে কিডনি রোগ হচ্ছে কি না সেটি জানার জন্য প্রতি ৩ মাস পর পর বা বছরে ন্যূনতম দুবার প্রস্রাবে মাইক্রো এলবুমিন পরীক্ষা করা উচিত। মাইক্রো এলবুমিনের আধিক্য রোধে বেশ কিছু কার্যকর ওষুধ রয়েছে। এসব ওষুধ সেবনে খুব সহজেই প্রাথমিক কিডনি রোগের চিকিৎসা এবং কিডনি বিকল প্রতিরোধ করা যায়।

তবে হ্যাঁ, অনেক সময় ডায়াবেটিস আছে কি না, সেটি না জানার কারণে কিংবা যথাযথ চিকিৎসা না নেয়ার ফলে কিডনি বিকল হওয়া শুরু করে। তখন কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে। যেমন- শরীর ফোলা, ক্ষুধা মন্দা, দুর্বলতা, রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়া- এসব দেখা দিলে যথাযথ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। না পারলে ন্যূনতম রক্তের ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা দেখা উচিত।

ডায়াবেটিস রোগীদের প্রস্রাবে ইনফেকশনের হার অন্যদের তুলনায় ২-৩ গুণ বেশি। সে ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং বেশি করে পানি পান করা উচিত।

ডায়াবেটিস রোগীদের খাবারের সুনির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। যেমন -শর্করা জাতীয় খাবার নিয়ম মেনে মেপে খেতে হয়। ডায়াবেটিস রোগীর যদি কিডনি রোগ দেখা দেয় তাহলে আমিষের পরিমাণও কমিয়ে দিতে হয়। সপ্তাহে ন্যূনতম ১৫০ মিনিট হাঁটা উচিত।

ডায়াবেটিস রোগীর উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে- সে ক্ষেত্রে বিশেষ কয়েকটি গ্রুপের ওষুধে ভালো ফল পাওয়া যায়। আবার ডায়াবেটিস রোগীর কিডনি সমস্যা দেখা দিলে কয়েকটি গ্রুপের ওষুধ যেমন মেটফরমিন একেবারেই দেয়া যাবে না।

যাদের ওজন অধিক এবং ডায়াবেটিস আছে তারা যদি ৫-১০% ওজন কমাতে পারেন, তাহলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনা সহজ হয়। সেই সঙ্গে ডায়াবেটিসজনিত কিডনি রোগও প্রতিরোধ করা সম্ভব।

সর্বোপরি মনে রাখতে হবে, উচ্চ রক্তচাপের তুলনায় ডায়াবেটিস থেকে কিডনি রোগ হওয়ার আপেক্ষিক হার বেশি এবং ডায়াবেটিসজনিত কিডনি রোগে কিডনি সম্পূর্ণ বিকল হতে সময় লাগে কম। তাই ডায়াবেটিস রোগীর উচিত, খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ম মেনে চলা, চিকিৎসকের ফলোআপে থাকা এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা।

লেখক: চিকিৎসক, কিডনি ফাউন্ডেশন


ডেঙ্গুর উচ্চঝুঁকিতে ঢাকার ১৮ ওয়ার্ড

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর দুই সিটির মধ্যে দক্ষিণ সিটিতে মশার ঘনত্ব বেশি। বহুতল ভবনে সবচেয়ে বেশি এডিস মশার লার্ভা রয়েছে।

আজ মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ‘মৌসুমপূর্ব এডিস সার্ভে ২০২৪-এর ফলাফল অবহিতকরণ সভা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার আওতাধীন জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির অধীন গত ১৭ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত প্রাক্‌–বর্ষা মৌসুম জরিপ চালানো হয়।

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৯৯টি ওয়ার্ডের ৩ হাজার ১৫২টি বাড়িতে এই জরিপ পরিচালনা করা হয়। জরিপের ফলাফল তুলে ধরেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক ও কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোলের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক শেখ দাউদ আদনান। তিনি বলেন, ৩ হাজার ১৫২টি বাড়ির মধ্যে ৪৬৩টিতে এডিস মশার লার্ভা ও পিউপা (লার্ভার পরের স্তর) পাওয়া গেছে। তার মধ্যে বহুতল ভবনে ৪২ দশমিক ৩৩ শতাংশ, স্বতন্ত্র বাড়িতে ২১ দশমিক ৬ শতাংশ, নির্মাণাধীন বাড়িতে ২১ দশমিক ৬ শতাংশ এবং সেমিপাকা বাড়িতে ১২ দশমিক ৭৪ শতাংশ লার্ভা পাওয়া যায়।

এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব পরিমাপের সূচক ‘ব্রুটো ইনডেক্স’ নামে পরিচিত। আর কতগুলো বাড়িতে এডিস মশার উপস্থিতি রয়েছে, তা পরিমাপের সূচক হলো হাউস ইনডেক্স। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এ বছরের প্রাক্‌–বর্ষা মৌসুম জরিপে দেখা যায়, ঢাকার দুই সিটির ৯৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৪১টিতেই ব্রুটো ইনডেক্স ২০-এর বেশি। এর অর্থ হচ্ছে, এসব এলাকার ১০০টির মধ্যে ২০টির বেশি পাত্রে মশা বা লার্ভা পাওয়া গেছে। এই ৪১টির মধ্যে দক্ষিণ সিটির ২৯টি ও উত্তর সিটির ১২টি ওয়ার্ড রয়েছে।

উত্তর সিটিতে ব্রুটো ইনডেক্স ১৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং হাউস ইনডেক্স ১৪ দশমিক ৩০ শতাংশ। এ ছাড়া দক্ষিণ সিটিতে ব্রুটো ইনডেক্স ১৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং হাউস ইনডেক্স ১৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ।

এ ছাড়া দুই সিটিতে ব্রুটো ইনডেক্স ১৮টি ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ পাওয়া গেছে, যেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দক্ষিণ সিটির ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে। দক্ষিণ সিটির বাকি ওয়ার্ডগুলো হচ্ছে ৪, ৫২, ৫৪, ১৬, ৩, ৫, ১৫, ১৭ ও ২৩। উত্তর সিটির ওয়ার্ডগুলো হচ্ছে ১২, ১৩, ২০, ৩৬, ৩১, ৩২, ১৭ ও ৩৩।

জরিপের ফলাফলে জানানো হয়, মশার প্রজননক্ষেত্র হিসেবে প্লাস্টিকে ড্রামে ১৮ শতাংশ, মেঝেতে জমানো পানি ১৫ শতাংশ এবং বালতিতে জমানো পানিতে ১৪ শতাংশ চিহ্নিত হয়েছে।

জরিপের ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে সব পর্যায়ে প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে ইমেরিটাস অধ্যাপক এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কারও একার কাজ নয়। এটার সঙ্গে যুক্ত সব কর্তৃপক্ষের সমন্বিত উদ্যোগ লাগবে। জনগণকেও সচেতন হতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক আহমেদুল কবীর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডাইরেক্টর অধ্যাপক রোবেদ আমিন প্রমুখ।

বিষয়:

কাল ডা: সামছুল আলম- এর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

আগামীকাল মঙ্গলবার (২৮ মে) বাংলাদেশের স্বাধীনতা উত্তর প্রথম দিকের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, সন্দ্বীপের কৃতি সন্তান, মানবতাবাদী, দলমত নির্বিশেষে সকলের শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব ডা: সামছুল আলম (এস. আলম)-এর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী।

সরকারি চাকুরী জীবনে অসংখ্য মানুষকে সেবা দিয়ে, অনেক অনুজকে পথ দেখিয়েছেন তিনি। শেষ জীবনে কুমিল্লায় স্থায়ী হওয়ার ফলে কুমিল্লার চিকিৎসা জগতের কিংবদন্তী এই মহান চিকিৎসক এ দিনে চিরবিদায় নিয়েছেন। তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন এতিমখানায় মিলাদ মাহফিল ও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। মরহুমের পরিবারবর্গ সকলের নিকট দোয়া চেয়েছেন।


এবার প্রকাশ্যে এল করোনার কোভ্যাক্সিন টিকার ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

করোনাভাইরাসের টিকার বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া স্বীকার করে বাজার থেকে সব টিকা সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। ব্রিটিশ–সুইডিশ ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানিটি এই ঘোষণা দেওয়ার কিছুদিন না যেতেই এবার সামনে এল আরেক টিকার ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। আর তা হলো ভারত বায়োটেকের করোনার টিকা কোভ্যাক্সিন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, কোভ্যাক্সিনের দীর্ঘমেয়াদি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে গবেষণা করে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএইচইউ) একদল গবেষক। সম্প্রতি সেই গবেষণার প্রতিবেদনের ফলাফলে দাবি করা হয়েছে, কোভ্যাক্সিনের যথেষ্ট ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোভ্যাক্সিন নিয়েছেন এমন ৯২৬ জনের ওপর এক বছর ধরে পর্যবেক্ষণ চালানো হয়। তাদের মধ্যে ৩০ শতাংশের দেহে শ্বাসকষ্ট থেকে শুরু করে চর্মরোগ, স্ট্রোক, গিলান-বারি সিনড্রোম ও রক্ত জমাট বাঁধার মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। এই অবস্থাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় অ্যাডভার্স ইভেন্ট অব স্পেশাল ইন্টারেস্ট (এইএসআই) বলা হয়। এ ছাড়া নারীদের মধ্যে ঋতুস্রাবজনিত নানা জটিলতা দেখা গেছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে নারীদের ক্ষেত্রে। গবেষণায় অংশগ্রহণকারী ৪.৬ শতাংশ নারীর দেহে টিকার প্রভাবে ঋতুস্রাবজনিত নানা সমস্যা দেখা গেছে। এ ছাড়া ২.৭ শতাংশ নারীর মধ্যে চোখের সমস্যা এবং ০.৬ শতাংশের মধ্যে হাইপোথাইরয়েডিজমের সমস্যা দেখা যায়। ০.৩ শতাংশের স্ট্রোক এবং ০.১ শতাংশের মধ্যে গিলান-বারি সিনড্রোম (জিবিএস) দেখা গেছে। এই রোগের প্রভাবে দেহ ধীরে ধীরে পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

করোনার টিকায় আরেকটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া জানাল অ্যাস্ট্রাজেনেকাকরোনার টিকায় আরেকটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া জানাল অ্যাস্ট্রাজেনেকা সম্প্রতি জার্নাল অব স্প্রিঞ্জার নেচারে এই প্রতিবেদনের প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ভারত বায়োটেক বলছে, কোভ্যাক্সিন নিয়ে আগেও এমন অনেক গবেষণা করা হয়েছে। আর সেসব গবেষণায় পাওয়া গেছে, করোনার বিরুদ্ধে এই টিকা বেশ কার্যকর।

করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহণ করলে শরীরে বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়—এমন অভিযোগ কয়েক বছর ধরেই। তবে এ নিয়ে টিকা উৎপাদন ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো এতদিন চুপ করেই ছিল। এ নিয়ে যুক্তরাজ্যে এক মামলার জেরে সম্প্রতি মুখ খুলেছে একটি প্রতিষ্ঠান, অ্যাস্ট্রাজেনেকা। তারা স্বীকার করেছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকার বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে।

সম্প্রতি আদালতে জমা দেওয়া একটি নথিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকা স্বীকার করেছে, তাদের তৈরি করোনার টিকার কারণে খুব বিরল টিটিএসের লক্ষণ দেখা যেতে পারে। টিটিএসের পূর্ণরূপ হলো থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম, যার ফলে মানুষের রক্তে প্লাটিলেট কমে যায় এবং দেহের ভেতরে রক্ত জমাট বেঁধে যায়।

এর জেরে গত সপ্তাহে নিজেদের করোনার টিকা সারা বিশ্ব থেকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে ব্রিটিশ–সুইডিশ ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানিটি। এতে জানানো হয়, বাজারে বর্তমানে করোনার মুখে খাওয়ার ওষুধও পাওয়া যাচ্ছে। ফলে বৈশ্বিকভাবে টিকার আর সেই চাহিদাও নেই। তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এরপর বৃহস্পতিবার অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানায়, এই টিকা গ্রহণ করলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় রক্ত জমাট বাঁধার ডিসঅর্ডার ভ্যাকসিন–ইনডিউজড ইমিউন থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া অ্যান্ড থ্রম্বোসিস (ভিআইটিটি) দেখা দিতে পারে। তবে, এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিরল।


স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নামে ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, সতর্কতা মন্ত্রণালয়ের

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১৪ মে, ২০২৪ ২১:২৬
নিজস্ব প্রতিবেদক

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের নামে একাধিক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নিয়ে সতর্ক করেছে মন্ত্রণালয়। এমনকি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে প্রতারণাপূর্ণ নানা বিজ্ঞাপনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিব্রতবোধ করছেন বলেও জানা গেছে।

আজ মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের ফেসবুকে কোনো অ্যাকাউন্ট নেই। কিছু কুচক্রী মহল ফেসবুকে তার নামে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে জনগণের সঙ্গে প্রতারণার চেষ্টায় লিপ্ত। বিষয়টি বিব্রতকর, মানহানিদায়ক ও আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ফেসবুকে মন্ত্রীর নামে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে সাধারণ জনগণ প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নামে ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এসব প্রতারণাপূর্ণ বিজ্ঞাপনে প্রভাবিত না হয়ে সতর্ক থাকার জন্য জনসাধারণকে আহ্বান জানানো হচ্ছে।

ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে প্রতারণা ও জালিয়াতি বন্ধে মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।


‘ঢাকেশ্বরী মন্দিরে আবার ক্লিনিক চালু হলে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে’

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বন্ধ হয়ে যাওয়া ঢাকেশ্বরী মন্দিরের বিনামূল্যের ক্লিনিকটি আবার চালু করা হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পাঠিয়ে তা চালুর ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। শুক্রবার ঢাকেশ্বরী মন্দিরে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ আশ্বাস দেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে একটা জিনিস দেখে আমি আশ্চর্য হলাম, একসময় এখানে একটা ফ্রি ক্লিনিকের ব্যবস্থা ছিল। সেটা কিন্তু এখন হচ্ছে না। আমার মনে হয় এটা আবারও চালু করা উচিত।’ তিনি বলেন, ‘আপনারা যদি এখানে গরিব রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা করেন, আমি স্পেশালিস্ট ডাক্তার পাঠানোর ব্যবস্থা করব।’

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘আজকে আপনারা অনেকেই অনেক দূর থেকে কষ্ট করে এখানে এসেছেন- আপনাদের একাত্মতা ঘোষণা করার জন্য। কিছুদিন আগে আমার কাছে প্ল্যানিং মিনিস্ট্রির সিনিয়র সচিব সত্যজিত বাবু (সত্যজিত কর্মকার) আসছিলেন। আমাকে বললেন, স্যার আমি ঢাকেশ্বরী মন্দিরের জন্য কিছু করতে চাই।’

সচিব তখন মন্ত্রীকে বলেন, ‘স্যার আমি এটা কেবিনেটে নিয়ে যাব, আপনি আমাকে সাপোর্ট করবেন। তাহলে উনাদের জিনিসটা উনারা পেয়ে যাবেন। আমিও আপনাদের এই জিনিসটায় সাপোর্ট করব। আপনাদের যে কাজটা প্ল্যানিং মিনিস্ট্রিতে আটকে আছে, আমি সেটার জন্য কাজ করব।’ এ সময় মন্ত্রী জিনিসটি কী, সেটি তার বক্তব্যে খোলাসা করেননি। ‘এই বাংলাদেশ সেই বাংলাদেশ, যে বাংলাদেশে যখন ঈদ হয়, তখন আমরা হিন্দুরা হসপিটালে, বিভিন্ন জায়গায় কাজ করি এবং যখন পূজা হয়, মুসলমান ভাইরা কাজ করেন। এরকম সম্প্রীতির দেশ বাংলাদেশ ছাড়া আর কোথাও আছে বলে আমার জানা নাই’- যোগ করে বললেন মন্ত্রী।

সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান সেলিম, বাংলাদেশ পূজা উৎযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর উপস্থিত ছিলেন। মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রমেন মণ্ডলের সঞ্চালনায় সংগঠনের সভাপতি মনীন্দ্র কুমার নাথ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন।


গাড়িতে চলাচলকারীদের ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গাড়িতে চলাচল করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না এমন লোক পাওয়া দুষ্কর। গণপরিবহনের চেয়ে ব্যক্তিগত গাড়িতে চলাচল অনেক আরামদায়ক। আর এ কারণে একটু কষ্ট হলেও অনেকে নিজের জন্য গাড়ি কিনে নেন।

তবে এক গবেষণায় উঠে এসেছে ভয়ানক তথ্য। জানা গেছে, গাড়িতে যারা চলাচল করেন তারা মনের অজান্তে ক্যানসার সৃষ্টিকারী রাসায়নিক শুষে নেন।

‘এনভায়রনমেন্ট সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’-তে প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৫ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ১০১টি বৈদ্যুতিক, গ্যাস এবং হাইব্রিড গাড়ির ওপর গবেষণা চালানো হয়েছে। এতে গবেষকরা খুঁজে পেয়েছেন ৯৯ শতাংশ গাড়িতে টিসিআইপিপি নামের একটি উপাদান পাওয়া গেছে। যেটিকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ট্যাক্সকোলজি পোগ্রাম একটি সম্ভাব্য ক্যানসার সৃষ্টিকারী হিসেবে গবেষণা করছেন।

গবেষণায় আরও জানা গেছে, বেশির ভাগ গাড়িতে টিডিসিআইপিপি ও টিসিইপি নামের দুটি উপাদান পাওয়া গেছে। যেগুলোকে ক্যানসার সৃষ্টিকারী হিসেবে ধরা হয়। এ ছাড়া এই উপাদানগুলো স্নায়বিক এবং প্রজনন ক্ষেত্রেও ক্ষতিকারক হিসেবে ধরা হয় বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

এই গবেষণা প্রতিবেদনের প্রধান গবেষক ও ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের টক্সিলোজি বিজ্ঞানী রেবেকা হোলেন বলেছেন, একজন চালক গাড়িতে যে পরিমাণ সময় ব্যয় করে সেটি বিবেচনা করে বলা যায় এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি বড় হুমকির বিষয়।

তিনি আরও বলেছেন, বিশেষ করে শিশু এবং যেসব চালক লম্বা সময় ভ্রমণ করেন তাদের জন্য এটি বেশি চিন্তার। কারণ শিশুরা প্রাপ্ত বয়স্কদের চেয়ে বেশি শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়।

গবেষণায় আরও পাওয়া গেছে, গরমের সময় গাড়িতে এই উপাদান বেশি পাওয়া যায়। কারণ তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে গাড়ির যন্ত্রাংশ থেকে এই রাসায়নিক বেশি নিষ্কৃত হয়।

গবেষকরা জানিয়েছেন, ক্যানসার সৃষ্টিকারী এই উপাদানের মূল সূত্র হলো গাড়ির সিটের ফোম। গাড়ি উৎপাদকরা সিটের ফোমে রাসায়নিক এবং অন্যান্য উপাদান মেশান।

তারা আরও খুঁজে পেয়েছেন এসব উপাদানের কোনো উপকারিতাই নেই। যদিও গাড়ি উৎপাদকরা মূলত আগুনের বিষয়টি চিন্তা করে আসনের ফোমে এগুলো ব্যবহার করেন। কিন্তু এগুলো আগুন ছড়িয়ে পড়া বা না পড়ার ক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা রাখে না।


করোনার টিকা প্রত্যাহারের ঘোষণা অ্যাস্ট্রাজেনেকার

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা। এর আগে আদালতের নথিতে ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাটি প্রথমবারের মতো স্বীকার করেছিল যে, তাদের তৈরি করোনা প্রতিরোধী টিকা বিপজ্জনক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে। তবে সেটা খুবই বিরল বলে উল্লেখ করা হয়। দ্য টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য দেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাক্সজেভরিয়া করোনা প্রতিরোধী টিকার অনুমোদন দেওয়ার পর থেকেই তা বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ মানুষ গ্রহণ করেছে। তবে সম্প্রতি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা এক ঘোষণায় জানিয়েছে যে, তাদের তৈরি করোনার সব টিকা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। সংস্থাটি স্বেচ্ছায় তাদের করোনা প্রতিরোধী টিকা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়ার পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনো দেশে আর এই টিকা ব্যবহার করা যাবে না। গত ৫ মার্চ টিকা প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়েছিল এবং মঙ্গলবার থেকে তা কার্যকর হয়েছে। অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানিয়েছে, বাণিজ্যিক কারণে তাদের তৈরি করোনা প্রতিরোধী টিকা বাজার থেকে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। সংস্থাটি বলছে, এই টিকা আর তৈরি বা সরবরাহ করা হচ্ছে না।

গত কয়েক মাসে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকায় বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর সামনে আসে। অনেকেরই রক্তজমাট বাঁধা এবং রক্তের প্লাটিলেট কমে যাওয়ার মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে টিটিএস বলা হয়।

গত ফেব্রুয়ারিতে হাইকোর্টে দায়ের করা আদালতের নথিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকা স্বীকার করেছে যে, তাদের তৈরি টিকা থেকে এ ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে যা খুবই বিরল। টিটিএসের কারণে শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্ত জমাট বেঁধে যায় এবং প্ল্যাটিলেট কমে যায়। যুক্তরাজ্যে এ ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে এখন পর্যন্ত ৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ব্রিটিশ হাইকোর্টে অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে বেশ কিছু মামলা হয়েছে।
কিন্তু অ্যাস্ট্রাজেনেকা জোর দিয়ে বলেছে যে, ভ্যাকসিন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের সঙ্গে আদালতের মামলার কোনো সম্পর্ক নেই। তারা বলছে, এটা কাকতালীয় ঘটনা।

এদিকে অ্যাস্ট্রাজেনেকা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা বিশ্বব্যাপী তাদের তৈরি করোনা প্রতিরোধী টিকার অবদান নিয়ে যথেষ্ট গর্বিত। বিশ্বে করোনা মহামারি শেষ করার ক্ষেত্রে তাদের এই টিকা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। সংস্থাটির দাবি, করোনার প্রথম বছরেই ৬৫ লাখ মানুষের জীবন রক্ষা করেছে তাদের তৈরি টিকা। এ ছাড়া বিশ্বব্যাপী তারা ৩০০ কোটি ডোজ সরবরাহ করেছে।

অ্যাস্ট্রাজেনেকা বলছে, করোনা প্রতিরোধী একাধিক টিকা তৈরি হওয়ায় সর্বশেষ ভ্যাকসিনগুলো বেশ সহজলভ্য হয়ে উঠেছে। ফলে ভ্যাক্সজেভরিয়ার চাহিদা কমে গেছে, যা আর তৈরি বা সরবরাহ করা হচ্ছে না। তাই তারা ইউরোপের মধ্যে এই টিকা বাজারজাতের অনুমোদন প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।


‘এস্ট্রোজেনেকা টিকার কোনো পার্শপ্রতিক্রিয়া আমরা পাই নাই’

রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বুধবার সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করণে টিকাদান কর্মসূচিতে এক সেমিনারে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৮ মে, ২০২৪ ১৩:০৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে এখন পর্যন্ত করোনার এস্ট্রোজেনেকা টিকার কোনো পার্শপ্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন।

আজ বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করণে টিকাদান কর্মসূচিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আয়োজিত এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান।

এস্ট্রোজেনেকার করোনা টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে করোনার এস্ট্রোজেনেকা টিকার কোনো পার্শপ্রতিক্রিয়া আমরা পাই নাই। এটা জানার পর আমি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে নির্দেশনা দিয়েছি। তারা সার্ভে করে আমাকে রিপোর্ট দেবে। আমি যতক্ষণ না জানবো এটার পার্শপ্রতিক্রিয়া কী, ততক্ষণ কিছুই বলতে পারবো না। তবে আমরা এই বিষয়ে সজাগ আছি।’

এস্ট্রোজেনেকা তাদের টিকা উঠিয়ে নিতে বলছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওরা বলছে, কিন্তু আমরা প্রমাণ না পেলে কিভাবে উঠিয়ে নেব।’

উল্লেখ্য, বিখ্যাত ওষুধ ও টিকা প্রস্তুতকারী কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা বৈশ্বিকভাবে নিজেদের সব করোনা টিকা প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। সম্প্রতি এ টিকার বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে বিভিন্ন মহলে উদ্বেগ ও বিতর্ক তৈরি হওয়ার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক এ কোম্পানি।

তাদের বিবৃতিতে জানানো হয়, বাজারে বর্তমানে করোনার মুখে খাওয়ার ওষুধও পাওয়া যাচ্ছে। ফলে বৈশ্বিকভাবে টিকার আর সেই চাহিদাও নেই। তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

ডেঙ্গু বিষয় মন্ত্রী বলেন, ‘ডেঙ্গু শুধু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ নয়। আমরা যদি ডেঙ্গুর উৎস বন্ধ করতে না পারি, তাহলে নিয়ন্ত্রণ হবে না। ডেঙ্গুর চিকিৎসার সক্ষমতা আমাদের আছে। ডেঙ্গু চিকিৎসায় আমাদের চিকিৎসকরা অত্যান্ত দক্ষ। আমার অনুরোধ, জ্বর হলেই যেন পরীক্ষা করে সবাই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করেন। দেরি করলেই ডেঙ্গুর জটিলতায় রোগী মারা যেতে পারে। আমি আশা করি এবার স্যালাইনের কোনো সংকট হবে না। আমি কোম্পানিগুলোকেও বলেছি স্যালাইনের দাম যেন না বাড়ে।’

এর আগে সেমিনারে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে উল্লেখযোগ্য অর্জন হয়েছে। বিশেষ করে মাতৃমৃত্যু, শিশু মৃত্যু এবং টিকাদান কার্যক্রমে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সব চেয়ে ভালো অবস্থানে আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটা শিশুর জন্য টিকা প্রাপ্তিতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। টিকা দানের সফলতায় প্রধানমন্ত্রীকে ভ্যাক্সিন হিরো উপাধি দেওয়া হয়েছে। সকলের সম্মিলিত কার্যক্রমে টিকা দান কর্মসূচি অনন্য সফলতার গল্প হয়ে উঠেছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং- এর সভাপতি সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. আব্দুল আজিজ।


ডেঙ্গুতে আমি মাকে হারিয়েছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ডেঙ্গুর সংক্রমণ বৃদ্ধির আগেই তা প্রতিরোধে জনসচেতনতার ওপর গুরুত্ব দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গুতে আমি মাকে হারিয়েছি। তাই এটা নিয়ে আমার চিন্তা আছে। আমি কাজ করব যাতে আর কারও মা এতে মারা না যান।’

তিনি আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ২০২৪ সালের ডেঙ্গু প্রস্তুতি নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সব রোগের ক্ষেত্রেই সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে যাতে রোগটি কারও হওয়ার আগেই প্রতিরোধ করা যায়। যাতে মানুষের ডেঙ্গু না হয় সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। মশা নির্মূলে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও সিটি কর্পোরেশন এবং যে ঘরে মানুষ থাকে সেখানকার সবাইকেই সচেতন থাকতে হবে।

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমরা অনেক আলোচনা ইতোমধ্যে করেছি। আমি নির্দেশনা দিয়েছি যাতে ডেঙ্গু বৃদ্ধির সময়ে কোনোভাবেই স্যালাইন সংকট দেখা না দেয় এবং স্যালাইনের দামও যেন না বাড়ে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ডেঙ্গু সংক্রমণ বাড়লে হাসপাতালগুলো খালি রাখার ব্যবস্থা করার নির্দেশনা দিয়েছি। যাতে করে যাদের প্রয়োজন তাদের ভর্তি করানো যায়। আর যাদের কম প্রয়োজন তাদেরও যেন হাসপাতালে ভর্তি না করিয়ে চিকিৎসা দেওয়া যায়।’

মন্ত্রী বলেন, আমাদের ফগিং বিষয়ে কিছু ভুল ধারণা আছে। এ বিষয়ে আলোচনা করব। সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে ওপেনলি এ বিষয়ে আলোচনা হবে।


হিট স্ট্রোকে ১৫ দিনে ১৫ জনের মৃত্যু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

হিট স্ট্রোক সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তথ্য মতে, গত ১৫ দিনে হিট স্ট্রোকে সারা দেশে মোট ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আজ সোমবার সকাল ১১টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে আরও তিনজন হিট স্ট্রোক করেছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম। তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি নড়াইলের বাসিন্দা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে এখন পর্যন্ত ৩৪ জন হিট স্ট্রোক করেছেন। মারা যাওয়া ১৫ জনের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ ও দুজন নারী। তবে হিট স্ট্রোকে মারা যাওয়া মানুষের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। কারণ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ২২ এপ্রিল থেকে, অর্থাৎ তাপদাহ বয়ে যাওয়ার ২০ দিন পর থেকে এই তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে।

অধিদপ্তরের তথ্য আরও বলছে, মৃতদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সাত জন মারা গেছেন মাগুরায়। এ ছাড়া মৃত্যুর খবর এসেছে চট্টগ্রাম, খুলনা, চুয়াডাঙ্গা, হবিগঞ্জ, রাজবাড়ী, ঝিনাইদহ, লালমনিরহাট, বান্দরবান এবং মাদারীপুর থেকে।

এই প্রথম স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হিট স্ট্রোক সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করল।


‘তাপমাত্রাজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি বিষয়ক গাইডলাইন সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে’

রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত তাপমাত্রাজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি বিষয়ক জাতীয় গাইডলাইনের আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, তাপমাত্রাজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি বিষয়ক গাইডলাইন খুবই সময়োপযোগী। এখানে বর্ণিত নির্দেশিকা সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। তাপপ্রবাহ এইবারই শেষ নয়। আগামী বছরগুলোতেও এমন গরম আবার আসতে পারে। আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। তাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাইড লাইন সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। ইতোমধ্যে সকল সরকারি হাসপাতালে এই গাইডলাইন প্রেরণ করা হয়েছে এবং চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আজ রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত তাপমাত্রাজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি বিষয়ক জাতীয় গাইডলাইনের আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এই তীব্র গরমে সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকে বাচ্চারা আর বয়োজ্যেষ্ঠরা। যারা একটু শারীরিকভাবে কম সামর্থ্যবান, যাদের ডায়বেটিক, হার্টডিজিস রয়েছে বা যারা বিভিন্ন অসুখে ভুগছেন- তারা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। এই বইয়ে নির্দেশিত গাইডলাইন লিফলেট আকারে স্কুল কলেজসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে দিতে হবে।

নগর পরিকল্পনাবিদদের প্রতি আহবান জানিয়ে- স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা দেখি গ্রামের চেয়ে ঢাকা শহরে তাপমাত্রা অত্যধিক বেশি। এর কারণ, আমরা ভবন নির্মাণ করতে গিয়ে ঢাকা শহরে গাছপালা সব কেটে ফেলেছি। জলবায়ু পরিবর্তনের উপর হয়তো আমরা খুব প্রভাব ফেলতে পারিনা। কিন্তু, নগর পরিকল্পনা করার সময় যদি এসব বিষয় আমরা মাথায় রাখি, তাহলে এ থেকে অনেকাংশে পরিত্রাণ সম্ভব।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সাবরিনা ফ্লোরা ও ইউনিসেফ বাংলাদেশের ডেপুটি রিপ্রেজেনটেটিভ এমা ব্রিগহাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


দেশে উদ্ভাবন হলো ‘ডায়াবেটিক চাল’

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সাধারণত ডায়াবেটিস রোগীদের ডাক্তাররা ভাত কম খাওয়ার কথা বলে থাকেন। ফলে রোগীরা ভাত থেকে সব সময় কয়েক হাত দূরেই থাকেন। তবে দেশে নতুন জাতের ‘ডায়াবেটিক চাল’ উদ্ভাবন হয়েছে। যার কারণে এখন থেকে ডায়াবেটিস রোগীরা চাইলেই এই চালের ভাত খেতে পারবেন।

উচ্চ ফলনশীল দুটি ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট। যার মধ্যে ব্রি-১০৫ জাতের ধানের চাল বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী বলে দাবি করেছেন ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী ও পুষ্টিবিদরা। আর এ জন্যই এটিকে বলা হচ্ছে ‘ডায়াবেটিক চাল’।

জাতীয় বীজ বোর্ডও এ দুটি ধানকে অনুমোদন দিয়েছে। ফলে এখন দুটি জাতই মাঠপর্যায়ে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উৎপাদন করা সম্ভব হবে বলে জানা গেছে।

ফেনীর উপকূলীয় উপজেলা সোনাগাজীর চরচান্দিয়া এলাকার ৮০ বিঘা জমিতে চাষ করা হয়েছে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী এসব ধান। ৩০ জনেরও বেশি কৃষক এই ধান চাষ করে অধিক ফলনও পেয়েছেন। ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডক্টর বিশ্বজিৎ কর্মকার গণমাধ্যমকে বলেন, এ ধানটি কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বা জিআই সম্পন্ন হওয়ার কারণেই এটিকে ‘ডায়াবেটিক চাল’ বলা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘অতিরিক্ত ছাঁটাই করা চাল স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আমাদের দেশে মাড় ফেলে ভাত খাওয়ার কারণে এমনি পুষ্টি কম পাওয়া যায়। এ অবস্থায় ব্রি-১০৫ বেশ আগ্রহ তৈরি করেছে, কারণ এটিতে পুষ্টিমান যেমন আছে তেমনি জিআই অনেক কম।’

এদিকে নতুন ধানের বৈশিষ্ট্যের কথা জানিয়ে গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক নতুন উদ্ভাবিত ব্রি-১০৫ ধানের চাল ‘ডায়াবেটিক চাল’ হিসেবে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পাবে বলে আশাও প্রকাশ করেছেন।

কর্মকর্তারা জানান, তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে এ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলার পর এই ধানকে অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় বীজ বোর্ড।


‘কমিউনিটি ক্লিনিক ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে সচল করতে হবে’

বৃহস্পতিবার রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ‘জাতীয় স্বাস্থ্য ও কল্যাণ দিবস ২০২৪’ এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৫৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দিচ্ছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

তৃণমূল মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে চাইলে কমিউনিটি ক্লিনিক ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে সচল করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ‘জাতীয় স্বাস্থ্য ও কল্যাণ দিবস ২০২৪’ এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৫৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যদি সচল থাকে, তাহলে স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করতে অবশ্যই পারবে। মন্ত্রী হওয়ার পরে আমি যে কয়েকটা জায়গায় গিয়েছি, প্রত্যেক জায়গায় দেখেছি, সেখানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অবদান সবচেয়ে বেশি দরকার। আমরা যদি তৃণমূল জনগণের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে চাই, তাহলে কমিউনিটি ক্লিনিক ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে সচল করতে হবে। তাহলেই আমরা এ দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে উন্নত করতে পারব।’

স্বাস্থ্যসেবায় প্রতিনিয়ত নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ আসছে এবং তা মোকাবিলা করেই এগিয়ে যেতে হবে বলে মনে করেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবাকে প্রান্তিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করছি।’ চিকিৎসকদের সেবার মান বৃদ্ধির জন্য তাদের ব্যক্তিগত সুযোগ–সুবিধা বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান সচিব।

ওই সময় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের রিহ্যাবিলিটাইজেশন অব কমউনিটি হেলথ কেয়ার ইনিশিয়েটিভ, বাংলাদেশের (আরসিএইচসিআইবি) প্রকল্প পরিচালক ও সাবেক সচিব মাখদুমা নার্গিস বলেন, ‘চিকিৎসকেরা সমাজেরই অংশ। দেশে অবকাঠামোগত দিক থেকে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। মনোজাগতিক উন্নয়নের দিকে তাকালে আমরা কিছুটা হতাশ হব। সমাজের দুর্নীতি ও অন্যান্য যেসব ব্যাধি আমাদেরকে আক্রান্ত করছে, এসব আমাদের সামনের যাত্রাকে পেছনে টেনে রাখছে। এগুলোতে যদি আমরা উন্নয়ন করতে না পারি, তাহলে অবকাঠামোগত উন্নয়ন দিয়ে খুব বেশি দূর এগোতে পারব না।’

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার পটভূমি, বঙ্গবন্ধুর দর্শন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাফল্য ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন। আরও বক্তব্য দেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি জামাল উদ্দিন চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক দীন মোহাম্মদ নুরুল হক ও কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্যসহায়তা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী। প্রথম পর্বের অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন চিকিৎসক আলমগীর খান, আরাফাতুর রহমান ও এস এম হাসান মাহমুদ।


banner close