রোববার, ৯ জুন ২০২৪

ডেঙ্গুতে হাসপাতালে ভর্তি ২৬৯ জন, মৃত্যু ১

ডেঙ্গু জ্বরের প্রতীকী ছবি।
আপডেটেড
৬ ডিসেম্বর, ২০২২ ২১:৪৪
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ৬ ডিসেম্বর, ২০২২ ২১:৪৪

ডেঙ্গুর প্রকোপ কমছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২৬৯ জন আর এ সময়ে মারা গেছেন আরও একজন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মঙ্গলবার জানিয়েছে, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ২৬৯ জনের মধ্যে রাজধানী ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৩৪ জন আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৩৫ জন।

বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি আছেন এক হাজার ২২৭ জন। তাদের মধ্যে রাজধানীর ৫৩ টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে আছেন ৭১৯ জন আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালে আছেন ৫০৮ জন।

চলতি বছরে এখন পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৯ হাজার ১৯৬ জন।

অধিদপ্তর জানাচ্ছে, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৫৮ জন।

চলতি মাসে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ৮৩৮ জন আর এখন পর্যন্ত মারা গেছেন তিনজন।

বিষয়:

ঢামেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে যেন বিবাদ না হয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত বিএসআরএফ সংলাপে রোববার বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) সাংবাদিকদের সঙ্গে যেন বৈষম্য বা বিবাদ না হয় সে বিষয়ে পরিচালককে ডেকে সতর্ক করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

আজ রোববার দুপুরে সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত বিএসআরএফ সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আজ সকালে পরিচালককে ফোন করেছি যে, কেন এ ধরনের ঘটনা হচ্ছে। আমার কাছে কিছু রং ইনফরমেশন আজ আসছে। পরিচালক আমাকে বললেন, স্যার আপনার সঙ্গে আমি দেখা করব। তিনি কিছুক্ষণ আগে আমার কাছে এসেছিলেন। আমি তাকে যেটা বলেছি যে, দেখেন, সাংবাদিকদের তাদের মতো কাজ করতে বলেন। এখানে যেন কোনো ধরনের বৈষম্য বা কোনো ধরনের বিবাদ না হয়। এটা আমি উনাকে স্পষ্ট করে বলে দিয়েছি।’

মন্ত্রী বলেন, ‘তবে একটা কথা সত্যি আমি নিজেও ফেস করি। অনেক সময় দেখা যায় আমরা যখন রোগী দেখি আমার ক্ষেত্রে আমি অনেক সাংবাদিকদের সঙ্গে এত বড় বড় ম্যাসিভ ঘটনা বাংলাদেশ ঘটেছে, নিমতলী থেকে শুরু করে যেগুলো আমি ট্যাকেল করেছি।’

সামন্ত লাল সেন বলেন, ওইটা একটু নিজেকে ইয়ে করে ট্যাকেল করতে হয়। সেটা আমিও উনাকে (ঢামেক পরিচালক) বলেছি, এখানে যেন সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো খারাপ আচরণ না করা হয়। এটা আমি সকালে উনাকে ডেকে বলে দিয়েছি।

প্রসঙ্গত, অনুমতি ছাড়া ঢামেক হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার বা বক্তব্য দিতে পারবেন না, এ প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এই নোটিশ জারি করেন।

বিএসআরএফের সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাবের সভাপতিত্বে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় এতে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা।


‘সরকারের প্রধান লক্ষ্য প্রাইমারি হেলথ কেয়ারের উন্নয়ন’

রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন শেষে বৃহস্পতিবার হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। ছবি: পিআইডি
আপডেটেড ৬ জুন, ২০২৪ ২০:০৭
নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারের প্রধান লক্ষ্য প্রাইমারি হেলথ কেয়ারের উন্নয়ন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

আজ বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন শেষে হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রধান লক্ষ্যই হচ্ছে প্রাইমারি হেলথ কেয়ারের উন্নয়ন। এই হেলথ কেয়ারের আওতায় কীভাবে আরও উন্নত সেবা দেওয়া যায়, সেটা নিয়ে এরইমধ্যে আমরা মন্ত্রণালয়ে সভা করেছি।’

তিনি বলেন, রোগীদের জন্য যথাযথ প্রাইমারি হেলথ কেয়ার নিশ্চিত করতে পারলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মতো স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোতে রোগীর চাপ কমবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যসেবা খাতের একজন রোল মডেল। তার নেতৃত্বে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাধারণ সভাসহ নানা ইভেন্টে বিভিন্ন দেশের প্রধানমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও প্রতিনিধিরা আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। এ বিষয়টি দেশের একজন নাগরিক হিসেবে অত্যন্ত গর্বের।’

উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য ডাক্তারদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘মানুষ যেন ডাক্তারদের দেখে আস্থা পায়, সম্মান করে, সেটা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।’

তিনি বলেন, সংসদে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাসের জন্য উদ্যোগ চলমান রয়েছে। এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী রূপগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিভিন্ন বিভাগ পরিদর্শন করেন এবং ভর্তি রোগীদের খোঁজখবর নেন।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভায় অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক), এইচইডির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মীর সারোয়ার হোসাইন চৌধুরী, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব অতুল সরকার, নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. এএফএম মশিউর রহমান, রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আইভী ফেরদৌস প্রমুখ।


স্বাস্থ্যসেবাকে আরও উন্নত পর্যায়ে নিতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ডা. মিলন অডিটোরিয়ামে প্রথম বর্ষ এমবিবিএস শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে বুধবার বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। ছবি: পিআইডি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ‘স্বাস্থ্য সেবা, চিকিৎসকের মান ও শিক্ষার মান বৃদ্ধি করে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতকে আরও উন্নত করে এমন পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে যাতে পুরো বিশ্বে সেটা উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে।’

আজ বুধবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ডা. মিলন অডিটোরিয়ামে প্রথম বর্ষ এমবিবিএস শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপস্থিত শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সুধীদের উদ্দেশ্যে একথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সম্প্রতি যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ডে সরকারি সফরে গিয়েছি। আমি যেখানেই গিয়েছি দেখেছি বিদেশে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসকদের মান নিয়ে সবার মাঝে ইতিবাচক ধারণা আছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও প্রতিনিধিগণের কাছে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাপক প্রশংসিত ও সমাদৃত হয়েছে।’

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গড়ে ওঠা কমিউনিটি ক্লিনিক এখন পুরো বিশ্বে স্বাস্থ্যখাতের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃত। এটা আমাদের ধরে রাখতে হবে।

ডা. সামন্ত লাল সেন উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হতে পারাটা একটা কষ্টসাধ্য ও সাধনার ব্যাপার। এ জন্য তোমাদের অভিনন্দন। চিকিৎসকরা সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদ নিয়ে জন্ম নেন। ডাক্তারদের অ্যাপ্রোনের যে মর্যাদা সেটা তোমাদের ধরে রাখতে হবে। এজন্য যথাযথভাবে পড়াশোনা করে একজন যোগ্য চিকিৎসক হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। নিয়মানুবর্তিতা মেনে চলতে হবে।’

ডিজিটাল ব্যবস্থা শিক্ষায় যে অবারিত সুযোগ-সুবিধা আনছে স্বাস্থ্যমন্ত্রী তা শিক্ষার্থীদের কাজে লাগিয়ে নিজেদের দক্ষ ও যোগ্য হিসেবে গড়ে ওঠার আহ্বান জানান।

মন্ত্রী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের বিদেশে পড়াশোনার সুবিধার্তে অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল তৈরি করা হয়েছে এবং শিক্ষার্থীরা যাতে সহজেই বাইরে পড়াশোনা করে নিজেদের দক্ষ ও সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে পারে সেজন্য নানামুখী প্রচেষ্টা চলমান আছে।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) মহাসচিব অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান মিলন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. শফিকুল আলম চৌধুরী, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. টিটো মিঞা প্রমুখ।


কুষ্ঠ নির্মূলে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে মঙ্গলবার সাসাকাওয়া পিস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৪ জুন, ২০২৪ ১৭:৩১
নিজস্ব প্রতিবেদক

২০৩০ সালের মধ্যে কুষ্ঠ নির্মূলে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাসাকাওয়া পিস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সাসাকাওয়া ইয়োহেইয়ের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ২০৩০ সালের মধ্যে কুষ্ঠ নির্মূলে যে অঙ্গীকার করেছেন, তা পূরণে স্বাস্থ্য বিভাগ অঙ্গীকারবদ্ধ। এই জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সরকারি, বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাসাকাওয়া পিস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যানকে জানান, কুষ্ঠ রোগ নির্মূলে বাংলাদেশ সরকার বড় রকমের সফলতা অর্জন করেছে। ১৯৯১ সালে প্রতি ১০ হাজার জনসংখ্যার মধ্যে কুষ্ঠ বিস্তারের হার ছিল ১৩ দশমিক ৬ শতাংশ যা সরকারের ঐকান্তিক চেষ্টার ফলে বর্তমানে ০.১৮ তে দাঁড়িয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রী আরও বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জিরো কুষ্ঠ অর্জনে ইতোমধ্যে বিশদ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এইজন্য যথা শিগগির সম্ভব কুষ্ঠ শনাক্তকরণ, যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিতকরণ, কুষ্ঠ রোগীদের পুনর্বাসন, স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিসহ নানামুখী প্রচেষ্টা চলমান রয়েছে। ৫ম স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর প্রোগ্রামের আওতায় এইজন্য কুষ্ঠ নির্মূলকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বৈঠকে সাসাকাওয়া ইয়োহেইকে বাংলাদেশে কুষ্ঠ নির্মূলে অবদান রাখার জন্য ধন্যবাদ জানান। এ ছাড়া বাংলাদেশে কুষ্ঠ রোগীদের জন্য বিশেষায়িত একটা হাসপাতাল নির্মাণে সাসাকাওয়া পিস ফাউন্ডেশনকে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান। কুষ্ঠ রোগ ছাড়াও স্বাস্থ্য সেবার নানান পর্যায়ে সাসাকাওয়া পিস ফাউন্ডেশন যে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে সেটাও অবহিত করেন।

বৈঠকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও বিশ্বস্বাস্থ্য) ড. মো. জিয়াউদ্দীন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির, স্বাস্থ্য অধিদফতরের লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. মাহফুজুর রহমান সরকারসহ নিপ্পন ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।


ডেঙ্গু চিকিৎসায় সার্বিক প্রস্তুতি রাখা হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ডেঙ্গু চিকিৎসার জন্য ওষুধপত্র, স্যালাইনসহ হাসপাতালে সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. সামন্ত লাল সেন।

আজ রোববার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর জেনেভা ও লন্ডন ট্যুর নিয়ে আয়োজিত প্রেস কনফারেন্সে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ডেঙ্গু সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, দপ্তর এবং সিটি কর্পোরেশনের সমন্বিত উদ্যোগে কাজ করা উচিত। শিগগিরই এ বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার আয়োজন করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘সম্মিলিতভাবে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তুতি যথেষ্ট। তবে এডিস ঠেকাতে না পারলে চিকিৎসা প্রস্তুতি হাজারো নিয়ে লাভ নেই।

ডেঙ্গু সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় আলোচনার জন্য দ্রুতই আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার আয়োজন করা হবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, দপ্তর এবং সিটি কর্পোরেশনের সমন্বিত উদ্যোগে কাজ করা উচিত।’

যত্রতত্র অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার বন্ধে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারণা জোরদার করা উচিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে নিয়মিত তদারকি করা উচিত।’

তিনি আরও বলেন, অবৈধ ক্লিনিক-হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযান বন্ধ হয়নি, এটি আপাতত স্থগিত আছে।


দেশে রাতকানা রোগ প্রায় নির্মূল হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

মহাখালীতে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিনে ‘জাতীয় ভিটামিন এ-প্লাস ক্যাম্পেইন’ উদ্বোধনের সময় বক্তব্য দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ভিটামিন এ-প্লাস ক্যাম্পেইন সফল হওয়ায় দেশে রাতকানা রোগ প্রায় নির্মূল হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

আজ শনিবার মহাখালীতে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিনে (নিপসম) জাতীয় ভিটামিন এ-প্লাস ক্যাম্পেইন উদ্বোধনের সময় তিনি এ কথা বলেন।

ভিটামিন এ-প্লাস ক্যাম্পেইন পর্যালোচনার জন্য ক্যাম্পেইনের দিন প্রতিটি উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে বলেও জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘বছরে ২ বার শতকরা ৯৮ ভাগ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানোর ফলে ভিটামিন ‘এ’ অভাবজনিত অন্ধত্বের হার শতকরা ১ ভাগের নিচে কমে এসেছে এবং এতে শিশু মৃত্যুর হারও কমেছে। এই সাফল্য ধরে রাখতে জাতীয় ভিটামিন এ-প্লাস ক্যাম্পেইনে ৬-৫৯ মাস বয়সী সব শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো চলমান রাখতে হবে।’

ভিটামিন এ-প্লাস ক্যাম্পেইন পর্যালোচনার জন্য ক্যাম্পেইনের দিন প্রতিটি উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে। সকাল থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইন চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এ সময়ের মাঝে অভিভাবকদের স্থানীয় স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্রে গিয়ে শিশুকে ভিটামিন এ-প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর আহ্বান জানান তিনি।

সামন্ত লাল সেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার স্বাস্থ্য খাতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যার ফলে বাংলাদেশে অপুষ্টির হার কমেছে এবং শিশু ও মাতৃমৃত্যু উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। বাংলাদেশ সারা বিশ্বের পুষ্টি পরিস্থিতি উন্নয়নে নেতৃত্ব দিচ্ছে।

তিনি আর বলেন, যাদের ঘরে ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী শিশু আছে সেসব মা-বাবা এবং অভিভাবকরা যেন অবশ্যই তাদের শিশুদের নিকটস্থ কেন্দ্রে (ইপিআই টিকাদান কেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র) নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ান।

জাতীয় ভিটামিন এ-প্লাস ক্যাম্পেইনের সফলতা উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এবার প্রায় ২ কোটি ২২ লাখ শিশুকে দিনব্যাপী এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে ৬-১১ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা প্রায় ২৭ লাখ ও ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৯৫ লাখ। ১ লাখ ২০ হাজার কেন্দ্রে প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী ও প্রায় ৪০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী এই আয়োজনে যুক্ত আছেন।

তিনি বলেন, এবার ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলীয় এলাকার প্রায় ১ হাজার ২২৪টি কেন্দ্রে নির্দিষ্ট সময়ে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল প্রদান সম্ভব হবে না। তবে পুনর্বাসন সমস্যা সমাধান হলে সেখানে পরে খুব দ্রুত সময়ে ভিটিমিন ‘এ’ ক্যাপসুল দেয়া হবে।

সামন্ত লাল সেন বলেন, ভিটামিন এ-প্লাস কর্মসূচি বাস্তবায়নে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে। ক্যাম্পেইন সফল করতে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ প্রয়োজন। আর তা নিশ্চিত করতে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি গণমাধ্যমের সর্বোচ্চ সহযোগিতা প্রয়োজন।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও বিশ্বস্বাস্থ্য) ড. মো. জিয়াউদ্দীন, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল অনুবিভাগ) মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান প্রমুখ।


‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কোনো প্রতিষ্ঠানে এডিসের লার্ভা পেলেই ব্যবস্থা’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। ফাইল ছবি
আপডেটেড ৩১ মে, ২০২৪ ১২:৫২
নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন যেকোনও প্রতিষ্ঠানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে আজ শুক্রবার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত সেমিনারে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

তামাক প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সিনেমায় তামাকের দৃশ্য দেখানো বন্ধ করতে হবে। নেশা হয় এমন ফ্লেভার ও রং তামাকে ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে। সামনের বাজেটে তামাকজাত পণ্যের দাম ৫০ থেকে ৯০ শতাংশে আনার প্রস্তাব করা হয়েছে।’

এ ছাড়া ২০৪০ সালে তামাকমুক্ত দেশ গড়ার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলেও জানান ডা. সামন্ত লাল সেন।

সেমিনারে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সরকারি কর্মকর্তাসহ স্বেচ্ছাসেবক সংস্থা উপস্থিত ছিলেন। তামাক নিয়ে কাজ করে বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছেন সাংবাদিক, ইউএনওসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।

সারা দেশে পালিত হচ্ছে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য ‘তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ প্রতিহত করি, শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করি’।


ডেঙ্গুর উচ্চঝুঁকিতে ঢাকার ১৮ ওয়ার্ড

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর দুই সিটির মধ্যে দক্ষিণ সিটিতে মশার ঘনত্ব বেশি। বহুতল ভবনে সবচেয়ে বেশি এডিস মশার লার্ভা রয়েছে।

আজ মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ‘মৌসুমপূর্ব এডিস সার্ভে ২০২৪-এর ফলাফল অবহিতকরণ সভা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার আওতাধীন জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির অধীন গত ১৭ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত প্রাক্‌–বর্ষা মৌসুম জরিপ চালানো হয়।

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৯৯টি ওয়ার্ডের ৩ হাজার ১৫২টি বাড়িতে এই জরিপ পরিচালনা করা হয়। জরিপের ফলাফল তুলে ধরেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক ও কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোলের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক শেখ দাউদ আদনান। তিনি বলেন, ৩ হাজার ১৫২টি বাড়ির মধ্যে ৪৬৩টিতে এডিস মশার লার্ভা ও পিউপা (লার্ভার পরের স্তর) পাওয়া গেছে। তার মধ্যে বহুতল ভবনে ৪২ দশমিক ৩৩ শতাংশ, স্বতন্ত্র বাড়িতে ২১ দশমিক ৬ শতাংশ, নির্মাণাধীন বাড়িতে ২১ দশমিক ৬ শতাংশ এবং সেমিপাকা বাড়িতে ১২ দশমিক ৭৪ শতাংশ লার্ভা পাওয়া যায়।

এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব পরিমাপের সূচক ‘ব্রুটো ইনডেক্স’ নামে পরিচিত। আর কতগুলো বাড়িতে এডিস মশার উপস্থিতি রয়েছে, তা পরিমাপের সূচক হলো হাউস ইনডেক্স। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এ বছরের প্রাক্‌–বর্ষা মৌসুম জরিপে দেখা যায়, ঢাকার দুই সিটির ৯৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৪১টিতেই ব্রুটো ইনডেক্স ২০-এর বেশি। এর অর্থ হচ্ছে, এসব এলাকার ১০০টির মধ্যে ২০টির বেশি পাত্রে মশা বা লার্ভা পাওয়া গেছে। এই ৪১টির মধ্যে দক্ষিণ সিটির ২৯টি ও উত্তর সিটির ১২টি ওয়ার্ড রয়েছে।

উত্তর সিটিতে ব্রুটো ইনডেক্স ১৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং হাউস ইনডেক্স ১৪ দশমিক ৩০ শতাংশ। এ ছাড়া দক্ষিণ সিটিতে ব্রুটো ইনডেক্স ১৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং হাউস ইনডেক্স ১৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ।

এ ছাড়া দুই সিটিতে ব্রুটো ইনডেক্স ১৮টি ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ পাওয়া গেছে, যেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দক্ষিণ সিটির ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে। দক্ষিণ সিটির বাকি ওয়ার্ডগুলো হচ্ছে ৪, ৫২, ৫৪, ১৬, ৩, ৫, ১৫, ১৭ ও ২৩। উত্তর সিটির ওয়ার্ডগুলো হচ্ছে ১২, ১৩, ২০, ৩৬, ৩১, ৩২, ১৭ ও ৩৩।

জরিপের ফলাফলে জানানো হয়, মশার প্রজননক্ষেত্র হিসেবে প্লাস্টিকে ড্রামে ১৮ শতাংশ, মেঝেতে জমানো পানি ১৫ শতাংশ এবং বালতিতে জমানো পানিতে ১৪ শতাংশ চিহ্নিত হয়েছে।

জরিপের ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে সব পর্যায়ে প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে ইমেরিটাস অধ্যাপক এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কারও একার কাজ নয়। এটার সঙ্গে যুক্ত সব কর্তৃপক্ষের সমন্বিত উদ্যোগ লাগবে। জনগণকেও সচেতন হতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক আহমেদুল কবীর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডাইরেক্টর অধ্যাপক রোবেদ আমিন প্রমুখ।

বিষয়:

কাল ডা: সামছুল আলম- এর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

আগামীকাল মঙ্গলবার (২৮ মে) বাংলাদেশের স্বাধীনতা উত্তর প্রথম দিকের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, সন্দ্বীপের কৃতি সন্তান, মানবতাবাদী, দলমত নির্বিশেষে সকলের শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব ডা: সামছুল আলম (এস. আলম)-এর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী।

সরকারি চাকুরী জীবনে অসংখ্য মানুষকে সেবা দিয়ে, অনেক অনুজকে পথ দেখিয়েছেন তিনি। শেষ জীবনে কুমিল্লায় স্থায়ী হওয়ার ফলে কুমিল্লার চিকিৎসা জগতের কিংবদন্তী এই মহান চিকিৎসক এ দিনে চিরবিদায় নিয়েছেন। তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন এতিমখানায় মিলাদ মাহফিল ও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। মরহুমের পরিবারবর্গ সকলের নিকট দোয়া চেয়েছেন।


এবার প্রকাশ্যে এল করোনার কোভ্যাক্সিন টিকার ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

করোনাভাইরাসের টিকার বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া স্বীকার করে বাজার থেকে সব টিকা সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। ব্রিটিশ–সুইডিশ ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানিটি এই ঘোষণা দেওয়ার কিছুদিন না যেতেই এবার সামনে এল আরেক টিকার ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। আর তা হলো ভারত বায়োটেকের করোনার টিকা কোভ্যাক্সিন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, কোভ্যাক্সিনের দীর্ঘমেয়াদি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে গবেষণা করে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএইচইউ) একদল গবেষক। সম্প্রতি সেই গবেষণার প্রতিবেদনের ফলাফলে দাবি করা হয়েছে, কোভ্যাক্সিনের যথেষ্ট ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোভ্যাক্সিন নিয়েছেন এমন ৯২৬ জনের ওপর এক বছর ধরে পর্যবেক্ষণ চালানো হয়। তাদের মধ্যে ৩০ শতাংশের দেহে শ্বাসকষ্ট থেকে শুরু করে চর্মরোগ, স্ট্রোক, গিলান-বারি সিনড্রোম ও রক্ত জমাট বাঁধার মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। এই অবস্থাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় অ্যাডভার্স ইভেন্ট অব স্পেশাল ইন্টারেস্ট (এইএসআই) বলা হয়। এ ছাড়া নারীদের মধ্যে ঋতুস্রাবজনিত নানা জটিলতা দেখা গেছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে নারীদের ক্ষেত্রে। গবেষণায় অংশগ্রহণকারী ৪.৬ শতাংশ নারীর দেহে টিকার প্রভাবে ঋতুস্রাবজনিত নানা সমস্যা দেখা গেছে। এ ছাড়া ২.৭ শতাংশ নারীর মধ্যে চোখের সমস্যা এবং ০.৬ শতাংশের মধ্যে হাইপোথাইরয়েডিজমের সমস্যা দেখা যায়। ০.৩ শতাংশের স্ট্রোক এবং ০.১ শতাংশের মধ্যে গিলান-বারি সিনড্রোম (জিবিএস) দেখা গেছে। এই রোগের প্রভাবে দেহ ধীরে ধীরে পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

করোনার টিকায় আরেকটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া জানাল অ্যাস্ট্রাজেনেকাকরোনার টিকায় আরেকটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া জানাল অ্যাস্ট্রাজেনেকা সম্প্রতি জার্নাল অব স্প্রিঞ্জার নেচারে এই প্রতিবেদনের প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ভারত বায়োটেক বলছে, কোভ্যাক্সিন নিয়ে আগেও এমন অনেক গবেষণা করা হয়েছে। আর সেসব গবেষণায় পাওয়া গেছে, করোনার বিরুদ্ধে এই টিকা বেশ কার্যকর।

করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহণ করলে শরীরে বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়—এমন অভিযোগ কয়েক বছর ধরেই। তবে এ নিয়ে টিকা উৎপাদন ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো এতদিন চুপ করেই ছিল। এ নিয়ে যুক্তরাজ্যে এক মামলার জেরে সম্প্রতি মুখ খুলেছে একটি প্রতিষ্ঠান, অ্যাস্ট্রাজেনেকা। তারা স্বীকার করেছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকার বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে।

সম্প্রতি আদালতে জমা দেওয়া একটি নথিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকা স্বীকার করেছে, তাদের তৈরি করোনার টিকার কারণে খুব বিরল টিটিএসের লক্ষণ দেখা যেতে পারে। টিটিএসের পূর্ণরূপ হলো থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম, যার ফলে মানুষের রক্তে প্লাটিলেট কমে যায় এবং দেহের ভেতরে রক্ত জমাট বেঁধে যায়।

এর জেরে গত সপ্তাহে নিজেদের করোনার টিকা সারা বিশ্ব থেকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে ব্রিটিশ–সুইডিশ ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানিটি। এতে জানানো হয়, বাজারে বর্তমানে করোনার মুখে খাওয়ার ওষুধও পাওয়া যাচ্ছে। ফলে বৈশ্বিকভাবে টিকার আর সেই চাহিদাও নেই। তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এরপর বৃহস্পতিবার অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানায়, এই টিকা গ্রহণ করলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় রক্ত জমাট বাঁধার ডিসঅর্ডার ভ্যাকসিন–ইনডিউজড ইমিউন থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া অ্যান্ড থ্রম্বোসিস (ভিআইটিটি) দেখা দিতে পারে। তবে, এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিরল।


স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নামে ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, সতর্কতা মন্ত্রণালয়ের

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১৪ মে, ২০২৪ ২১:২৬
নিজস্ব প্রতিবেদক

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের নামে একাধিক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নিয়ে সতর্ক করেছে মন্ত্রণালয়। এমনকি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে প্রতারণাপূর্ণ নানা বিজ্ঞাপনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিব্রতবোধ করছেন বলেও জানা গেছে।

আজ মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের ফেসবুকে কোনো অ্যাকাউন্ট নেই। কিছু কুচক্রী মহল ফেসবুকে তার নামে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে জনগণের সঙ্গে প্রতারণার চেষ্টায় লিপ্ত। বিষয়টি বিব্রতকর, মানহানিদায়ক ও আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ফেসবুকে মন্ত্রীর নামে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে সাধারণ জনগণ প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নামে ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এসব প্রতারণাপূর্ণ বিজ্ঞাপনে প্রভাবিত না হয়ে সতর্ক থাকার জন্য জনসাধারণকে আহ্বান জানানো হচ্ছে।

ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে প্রতারণা ও জালিয়াতি বন্ধে মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।


‘ঢাকেশ্বরী মন্দিরে আবার ক্লিনিক চালু হলে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে’

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বন্ধ হয়ে যাওয়া ঢাকেশ্বরী মন্দিরের বিনামূল্যের ক্লিনিকটি আবার চালু করা হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পাঠিয়ে তা চালুর ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। শুক্রবার ঢাকেশ্বরী মন্দিরে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ আশ্বাস দেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে একটা জিনিস দেখে আমি আশ্চর্য হলাম, একসময় এখানে একটা ফ্রি ক্লিনিকের ব্যবস্থা ছিল। সেটা কিন্তু এখন হচ্ছে না। আমার মনে হয় এটা আবারও চালু করা উচিত।’ তিনি বলেন, ‘আপনারা যদি এখানে গরিব রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা করেন, আমি স্পেশালিস্ট ডাক্তার পাঠানোর ব্যবস্থা করব।’

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘আজকে আপনারা অনেকেই অনেক দূর থেকে কষ্ট করে এখানে এসেছেন- আপনাদের একাত্মতা ঘোষণা করার জন্য। কিছুদিন আগে আমার কাছে প্ল্যানিং মিনিস্ট্রির সিনিয়র সচিব সত্যজিত বাবু (সত্যজিত কর্মকার) আসছিলেন। আমাকে বললেন, স্যার আমি ঢাকেশ্বরী মন্দিরের জন্য কিছু করতে চাই।’

সচিব তখন মন্ত্রীকে বলেন, ‘স্যার আমি এটা কেবিনেটে নিয়ে যাব, আপনি আমাকে সাপোর্ট করবেন। তাহলে উনাদের জিনিসটা উনারা পেয়ে যাবেন। আমিও আপনাদের এই জিনিসটায় সাপোর্ট করব। আপনাদের যে কাজটা প্ল্যানিং মিনিস্ট্রিতে আটকে আছে, আমি সেটার জন্য কাজ করব।’ এ সময় মন্ত্রী জিনিসটি কী, সেটি তার বক্তব্যে খোলাসা করেননি। ‘এই বাংলাদেশ সেই বাংলাদেশ, যে বাংলাদেশে যখন ঈদ হয়, তখন আমরা হিন্দুরা হসপিটালে, বিভিন্ন জায়গায় কাজ করি এবং যখন পূজা হয়, মুসলমান ভাইরা কাজ করেন। এরকম সম্প্রীতির দেশ বাংলাদেশ ছাড়া আর কোথাও আছে বলে আমার জানা নাই’- যোগ করে বললেন মন্ত্রী।

সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান সেলিম, বাংলাদেশ পূজা উৎযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর উপস্থিত ছিলেন। মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রমেন মণ্ডলের সঞ্চালনায় সংগঠনের সভাপতি মনীন্দ্র কুমার নাথ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন।


গাড়িতে চলাচলকারীদের ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গাড়িতে চলাচল করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না এমন লোক পাওয়া দুষ্কর। গণপরিবহনের চেয়ে ব্যক্তিগত গাড়িতে চলাচল অনেক আরামদায়ক। আর এ কারণে একটু কষ্ট হলেও অনেকে নিজের জন্য গাড়ি কিনে নেন।

তবে এক গবেষণায় উঠে এসেছে ভয়ানক তথ্য। জানা গেছে, গাড়িতে যারা চলাচল করেন তারা মনের অজান্তে ক্যানসার সৃষ্টিকারী রাসায়নিক শুষে নেন।

‘এনভায়রনমেন্ট সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’-তে প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৫ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ১০১টি বৈদ্যুতিক, গ্যাস এবং হাইব্রিড গাড়ির ওপর গবেষণা চালানো হয়েছে। এতে গবেষকরা খুঁজে পেয়েছেন ৯৯ শতাংশ গাড়িতে টিসিআইপিপি নামের একটি উপাদান পাওয়া গেছে। যেটিকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ট্যাক্সকোলজি পোগ্রাম একটি সম্ভাব্য ক্যানসার সৃষ্টিকারী হিসেবে গবেষণা করছেন।

গবেষণায় আরও জানা গেছে, বেশির ভাগ গাড়িতে টিডিসিআইপিপি ও টিসিইপি নামের দুটি উপাদান পাওয়া গেছে। যেগুলোকে ক্যানসার সৃষ্টিকারী হিসেবে ধরা হয়। এ ছাড়া এই উপাদানগুলো স্নায়বিক এবং প্রজনন ক্ষেত্রেও ক্ষতিকারক হিসেবে ধরা হয় বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

এই গবেষণা প্রতিবেদনের প্রধান গবেষক ও ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের টক্সিলোজি বিজ্ঞানী রেবেকা হোলেন বলেছেন, একজন চালক গাড়িতে যে পরিমাণ সময় ব্যয় করে সেটি বিবেচনা করে বলা যায় এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি বড় হুমকির বিষয়।

তিনি আরও বলেছেন, বিশেষ করে শিশু এবং যেসব চালক লম্বা সময় ভ্রমণ করেন তাদের জন্য এটি বেশি চিন্তার। কারণ শিশুরা প্রাপ্ত বয়স্কদের চেয়ে বেশি শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়।

গবেষণায় আরও পাওয়া গেছে, গরমের সময় গাড়িতে এই উপাদান বেশি পাওয়া যায়। কারণ তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে গাড়ির যন্ত্রাংশ থেকে এই রাসায়নিক বেশি নিষ্কৃত হয়।

গবেষকরা জানিয়েছেন, ক্যানসার সৃষ্টিকারী এই উপাদানের মূল সূত্র হলো গাড়ির সিটের ফোম। গাড়ি উৎপাদকরা সিটের ফোমে রাসায়নিক এবং অন্যান্য উপাদান মেশান।

তারা আরও খুঁজে পেয়েছেন এসব উপাদানের কোনো উপকারিতাই নেই। যদিও গাড়ি উৎপাদকরা মূলত আগুনের বিষয়টি চিন্তা করে আসনের ফোমে এগুলো ব্যবহার করেন। কিন্তু এগুলো আগুন ছড়িয়ে পড়া বা না পড়ার ক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা রাখে না।


banner close