রোববার, ১২ মে ২০২৪

মোট সম্পদ দিয়ে ৩২০৩ টন স্বর্ণ কিনতে পারবেন ইলন মাস্ক

দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিটে ১৫ ফেব্রুয়ারি ভার্চুয়ালি যোগ দেন ইলন মাস্ক। ছবি: এএফপি
আপডেটেড
২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ২০:৪৫
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ২০:৪৪

বিশ্বের ধনীদের তালিকায় ইলন মাস্কের যাত্রা যেন রোলার কোস্টারের মতো। এই উঠছেন তো এই নামছেন। নতুন খবর হলো, দুই মাসের কিছু বেশি সময় পর ফের শীর্ষস্থান ফিরে পেয়েছেন টেসলা ও টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)। এই হিসাব অবশ্য ব্লুমবার্গের। ফোর্বসের তালিকায় ইলন মাস্ক দ্বিতীয়।

ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার সূচকে ইলন মাস্কের সম্পদের পরিমাণ বলা হয়েছে ১৮৭ বিলিয়ন বা ১৮ হাজার ৭০০ কোটি ডলার। একই ওয়েবপেজে এই পরিমাণ অর্থ দিয়ে কী কী কেনা বা করা যাবে, তার একটা আনুমানিক হিসাব দেয়া হয়েছে।

ইলন মাস্ক তার ১৮৭ বিলিয়ন ডলার দিয়ে বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজারদরে ২২৭ কোটি ব্যারেল অপরিশোধিত তেল কিনতে পারবেন। আর স্বর্ণ কিনতে চাইলে পাবেন ১০ কোটি ৩০ লাখ ট্রয় আউন্স। এক ট্রয় আউন্স সমান ৩১ দশমিক ১০৩৫ গ্রাম। সে হিসাবে ৩ হাজার ২০৩ টনের বেশি স্বর্ণ কিনতে পারবেন তিনি।

মাস্কের বর্তমান সম্পদ যুক্তরাষ্ট্রের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ০ দশমিক ৮০৩ শতাংশ, যা বিশ্বের শীর্ষ ৫০০ ধনীর মোট সম্পদের ২ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

গত ডিসেম্বরে মাস্ককে ছাড়িয়ে ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার সূচকের শীর্ষে ওঠেন ফরাসি বিলাসপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এলভিএমএইচের সিইও বার্নার্ড আর্নল্ট। সে সময় টেসলার শেয়ারদর কমে গেলে শীর্ষস্থান হারিয়েছিলেন মাস্ক।

সূচক অনুযায়ী আর্নল্ট এখন মাস্কের ঠিক পরেই আছেন। তার সম্পদ ১৮৫ বিলিয়ন বা ১৮ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের।

ইলন মাস্ককে মোটামুটি সব্যসাচী বলা চলে। তার দুই হাত সমান তালেই চলে। টেসলা ও টুইটার তো বটেই, রকেট তৈরির প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স ও নিউরোটেকনোলোজি প্রতিষ্ঠান নিউরালিংকেরও প্রধান তিনি।

বিষয়:

‘বাংলাদেশকে স্মার্ট বানাতে কালেকটিভ অ্যাপ্রোচ প্রয়োজন’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে অধ্যাপক হাবিবুল্লাহ কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত শনিবার এক সিম্পোজিয়ামে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১১ মে, ২০২৪ ১৮:০৮
ঢাবি প্রতিনিধি

বাংলাদেশকে স্মার্ট বানাতে হলে কালেকটিভ অ্যাপ্রোচের (সমন্বিত প্রচেষ্টা) প্রয়োজন বলে মনে করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

আজ শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অধ্যাপক হাবিবুল্লাহ কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত এক সিম্পোজিয়ামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অভিমত ব্যাক্ত করেন।

সমবায়মন্ত্রী বলেন, ‘সবার জায়গা থেকে সবাইকে কাজ করতে হবে। নিজেদের মধ্যে সহযোগিতা এবং সমন্বয় থাকতে হবে। আপনার দায়িত্ব আপনি পালন করলে আর আমার দায়িত্ব আমি পালন করলে তবেই বাংলাদেশ এগোবে। আমি মন্ত্রী, আমি বড় পদধারী, অনেক সুযোগ সুবিধা আমার। কিন্তু তারপরও আমি সব কিছু না। আপনার এবং আপনাদের ভূমিকাও মূখ্য। সেটি হলো নিজেদের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করা।’

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘২০৪১ সালে আমাদের যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি সেটি করতে হলে আমাদের পার ক্যাপিটাল ইনকাম সাড়ে বারো হাজার ডলার লাগবে। সিঙ্গাপুরে বর্তমানে এটি দেড় লক্ষ ডলার। তারা কীভাবে এটি করেছে? সেটা হলো কমিটমেন্ট। যারা এই কমিটমেন্ট বা ট্র্যাক লাইনের বাইরে গেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠিনভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাই পিক অ্যান্ড চয়েজ কোনো আইন হতে পারে না। আপনার ভাতিজাকে দেখলে ছেড়ে দিবেন আর আরেকজনকে দেখলে জেলে দিবেন এগুলোর মাধ্যমে কাজ হবে না।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য কাজ করছি। সবাইকে কাজ করতে হবে। সারা পৃথিবীর মানুষ উন্নত হচ্ছে। ইনশাল্লাহ আমরাও উন্নত হব। আর যদি না হই তাহলে এটির জন্য আমরা সবাই দায়ী। অপরচুনিটিতে আমাদের কোন ড্রব্যাক নেই। জাপানে কোনো প্রাকৃতিক সম্পদ নেই যেটা তাদের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে। কিন্তু তারপরও তারা আজ কতটা উন্নত। আমাদের তো কিছুটা হলেও সম্পদ আছে। সুতরাং আমাদের সামনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘অনেকে আমাদের দেশের গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলেন। আমাদের গণতন্ত্রকে আফহোল্ড করতে কাজ করার ব্যাপারে আমরা অবশ্যই কমিটেড। কিন্তু আপনি যদি আমাদেরকে ইউরোপের গণতন্ত্রের সঙ্গে তুলনা করেন যারা কোনো বাধা ছাড়াই শতশত বছর গণতন্ত্র চর্চা করেছে, এটা কোন সঠিক তুলনা হতে পারে না।’

তিনি বলেন, ‘২০ বছরের সামরিক শাসন বাদ দিলে আমাদের গণতন্ত্রের যাত্রা ৩০ বছরের বেশি নয়। সুতরাং ২০০ বছরের সঙ্গে ৩০ বছরের তুলনা কখনও হয় না। সুতরাং আমরা আস্তে আস্তে এগোচ্ছি। না আগালে আমাদের এতো পরিবর্তন আসতো না। আমরা শুধু সমালোচনাই করি। কিন্তু হাজার-লক্ষ কাজ তো হয়েছে। সেটার কথাও বলেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘যদি আমার শুধু সমালোচনাই করা হয় আমি যে অনেক ভালো কাজ করেছি সেটা যদি একবারও স্বীকার না করা হয় তাহলে আমার মনোবল ভেঙে যাবে। সুতরাং ভালো কাজের প্রশংসা না করে শুধু সমালোচনা করলে আমরা ধরে নেব আপনি দেশের জন্য কাজ করছেন না। আপনি শুধু কিছু সেন্টিমেন্ট পেতে কাজ করছেন, যেটি কারও জন্যই ভালো না।’

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে অ্যাকশনিস্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক আ.ন.ম. ফখরুল আমিন ফরহাদ বলেন, ‘তরুণদের সঙ্গে পলিসি মেকারদের সংযোগ করে দেওয়া, তরুণদের ভয়েস উনাদের কাছে পৌঁছিয়ে দেওয়া এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গঠতে হলে সবার যে মতামত সেই মতামত নেওয়ার জন্যই আমাদের আজকের আয়োজন।’

সভাপতির বক্তব্যে অ্যাকশনিস্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন শাহরিন শাহজাহান নাওমি বলেন, ‘অ্যাকশনিস্ট ফাউন্ডেশন সব সময় তারুণ্যের শক্তি এবং সম্ভাবনাতে বিশ্বাস করে। আমাদের অতিথিরা আজকে শক্তি এবং সম্ভাবনার প্রতি নিজেদের অকুন্ঠ সমর্থন ব্যক্ত করেছেন এটিই আমাদের প্রোগ্রামের সার্থকতা। আমরা সবাই নিজেদের দায়িত্ব পালন করে যাব এবং বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করব।’

এরপর ‘ইয়ুথ লিডারশীপ স্কিলস ফর স্মার্ট বাংলাদেশ' শীর্ষক প্যানেল ডিসকাশনে অংশ নেন স্মার্ট বাংলাদেশ নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ এমপি, বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশনের বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ মোবারক আহমেদ খান, উইমেন ইন ডিজিটাল এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আছিয়া নীলা, এটুআইয়ের প্রোগ্রাম স্পেশালিষ্ট মানিক মাহমুদ। এই প্যানেল ডিসকাশন পরিচালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. গোলাম সরওয়ার।


২০৪১ সালের আগেই স্মার্ট হবে দেশ: পলক

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, তারুণ্যের মেধা আর প্রযুক্তির শক্তিতে ২০৪১ সালের আগেই স্মার্ট হবে দেশ। এ লক্ষ্য অর্জনে অন্তর্ভূক্তিমূলক বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার।

আজ শনিবার সিংড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জিআই পণ্য মেলা উদ্বোধনকালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নারী-পুরুষ, ধনী-গরীব, গ্রাম-শহরের বৈষম্য দূর করে সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আজন্ম লালিত স্বপ্নের বাস্তবায়নের নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার দূরদর্শী নেতৃত্ব ও নির্দেশনায় অন্তর্ভূক্তিমূলক স্মার্ট সোসাইটি গড়ে তোলা হচ্ছে।

পলক বলেন, প্রতিবছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করা ২৫ লক্ষ শিক্ষিত ব্যক্তির চাকুরীর সংস্থান কোনক্রমেই সম্ভব নয়, তবে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা সম্ভব। কেউ কর্মহীন থাকবে না। এ জনগোষ্ঠীকে দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তুলতে পাবলিক-প্রাইভেট, সরকারী-বেসরকারী, স্থানীয়-জাতীয়-আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে তথ্য প্রযুক্তি খাতে অসংখ্য উদ্যোগ, প্রকল্প এবং কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে সরকার। এসব উদ্যোগের সুফল পাওয়া যাচ্ছে। শী-পাওয়ার, হার-পাওয়ার-এ দুটো প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে দেশে ৩৭ হাজার নারী উদ্যোক্তা তৈরী করা সম্ভব হয়েছে। হাইটেক পার্ক, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার, টিটিসি, টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ-এসব প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো তরুণ-তরুণীদের কর্মমুখী জনশক্তিতে পরিণত করছে।

পলক আরও বলেন, দেশে লোকসানে থাকা ডাকঘরকে লাভজনক করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। নয় হাজার ৯৭৪টি ডাকঘরের মধ্যে সাড়ে আট হাজার ডাকঘরকে ই-পোষ্ট সেন্টারে পরিণত করা হচ্ছে। আধুনিক ভবন তৈরি এবং আধুনিকায়ণের মাধ্যমে প্রত্যেক ডাকঘর এক একটি স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্টে পরিণত হচ্ছে। শুধু চিঠির লেনদেন নয় ব্যাংকিং, লজিষ্টিকস্, ই-কমার্স, গ্রোসারি-শপ, ডিসপেনসারি কার্যক্রমও পরিচালিত হবে ডাকঘরে। তরুণ উদ্যোক্তারা তাদের উৎপাদিত পণ্যের প্রসার ঘটাতে ডাকঘর আধুনিকায়ণের এসব সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন।


‘তথ্য অধিকার আইন নিশ্চিত করা তথ্য গণমাধ্যমকে দিতে হবে’

তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

তথ্য অধিকার আইনের আওতায় পড়া তথ্য যেকোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানকে দিতে হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত। তিনি বলেন, যে তথ্য, তথ্য অধিকার আইন নিশ্চিত করছে, সেই তথ্য গণমাধ্যমকে দিতে হবে।

আজ বুধবার সকালে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের সভাকক্ষে আয়োজিত তথ্য অধিকার আইন ও গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তথ্যের মধ্যে প্রবেশাধিকার থাকতে হবে। তথ্যের জন্য গণমাধ্যমের পক্ষে আমি নেগোশিয়েট করব। তথ্য দেওয়ার বিষয়ে তারা (বাংলাদেশ ব্যাংক) কিন্তু কেউ অস্বীকৃতি জানান নাই। তারা আমাকে নিশ্চিত করেছেন, ডেপুটি গভর্নর এখানে আছেন; সকল ধরনের তথ্যকে অবারিত করা হবে। একটা সিস্টেমেটিক প্রক্রিয়ার মধ্যে তথ্যকে অ্যাভেইলেবল করা হবে। এটার জন্য আমি নেগোশিয়েট করব গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে সকল প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে। তথ্য যদি কেউ না পায়, সে বিষয়টা আমি তথ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমের পক্ষে আমি নেগোশিয়েট করব। এটা আমার দায়িত্ব।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মাথায় রাখতে হবে, পৃথিবীর অন্যান্য দেশে যেগুলো প্রতিষ্ঠান রেগুলেটরের সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদের প্র্যাকটিসগুলো কি আছে সেগুলো আমরা দেখে নিতে চাই। তার ভিত্তিতে আমরা একটা সমাধানে আসতে চাই। কিন্তু তথ্যের ব্যাপারে আমরা আপসহীন থাকব। তথ্য দিতে হবে। যে তথ্য তথ্য অধিকার আইন নিশ্চিত করছে, সেই তথ্য গণমাধ্যমকে দিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুরোধ করেছি। এই তথ্যগুলো যত দ্রুততার সঙ্গে অ্যাভেইলেবল করা যায়, ততো বাংলাদেশ ব্যাংকসহ এ ধরনের সকল প্রতিষ্ঠানের জন্য ভালো। আপনি যদি অথেন্টিক সোর্স থেকে তথ্যটাকে অ্যাভেইলেবল করেন তাহলে এই তথ্য নিয়ে ম্যানুপুলেশনের কোনও সুযোগ থাকবে না। কাজেই আমাদের আগে মাইন্ড সেট তৈরি করা দরকার সবার, সঠিক তথ্য যত দ্রুততম সময়ে পাবলিক ডোমেইনে চলে আসবে, সেটা আমার জন্য মঙ্গল।


‘অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিকে অনুরোধ করা হয়েছে’

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের সব অনিবন্ধিত অনলাইন পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিকে (বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন নিয়ন্ত্রণ কমিশন) অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সাতক্ষীরা-১ আসনের ফিরোজ আহমেদ স্বপনের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

সংসদ সদস্য স্বপন তার সম্পূরক প্রশ্নে বলেন, ‘সাংবাদিকতার পাশাপাশি অপসাংবাদিকতায় বাংলাদেশ ভরে গেছে। আমাদের অনলাইন পত্রিকার নিয়মকানুন কী, আমরা জানি না। অনিবন্ধিত অনলাইন পত্রিকার জ্বালায় আমরা অস্থির। এটা নিয়ন্ত্রণের কোনো পদক্ষেপ আছে কি না?’

জবাবে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, ‘এ বিষয়গুলো নিয়ে আমরা খুব নিবিড়ভাবে কাজ করছি। উনি যথার্থই বলেছেন, বেশ কিছু ভুঁইফোড় অনলাইন পোর্টাল ব্যাঙের ছাতার মতো বিভিন্ন জায়গায় গজিয়ে গেছে। তারা সাংবাদিকতা নয়, অপসাংবাদিকতার চর্চা করে। অপপ্রচার করে সমাজে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি করে। মজার বিষয় হলো, যারা পেশাদারত্বের সঙ্গে সাংবাদিকতা করেন, তারা এ ধরনের পোর্টাল ও অনলাইনভিত্তিক পত্রিকাগুলো বন্ধের দাবি করেছেন।’

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সাংবাদিক বন্ধুরাই বলছেন এ ধরনের অপসাংবাদিকতার চর্চা যারা করেন, তারা আসলে পেশাদার সাংবাদিকদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ দাবিটি শুধু সংসদ সদস্যদের নয় বা রাজনীতিবিদ বা সমাজের অন্যান্য স্তরের জনগণের নয়, খোদ সাংবাদিক সমাজ থেকে এসেছে। তাদের (সাংবাদিক) থেকে দাবি এসেছে, যতগুলো অনিবন্ধিত পোর্টাল আছে, যেগুলো অপপ্রচার করছে, অপসাংবাদিকতা করছে, সেগুলো বন্ধ করে দেওয়ার জন্য।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এ জন্য আমি কিছুদিন আগে একটি নির্দেশনা দিয়েছি। একেবারে প্রতিষ্ঠিত গণমাধ্যম যেগুলো আছে, ইলেকট্রনিক মিডিয়া, প্রিন্ট মিডিয়া তাদের যে নিবন্ধিত পোর্টাল আছে, সেই পোর্টালগুলো ছাড়া যতগুলো পোর্টাল যেগুলো আবেদন করছে, প্রক্রিয়াধীন আছে, তার পুরো লিস্ট বিটিআরসিকে পাঠাব। এর বাইরে যতগুলো অনলাইন পোর্টাল আছে। এমনকি যারা একটা আবেদনও করেনি, তাদের সবগুলোকে বন্ধ করে দেওয়ার জন্য বিটিআরসিকে অনুরোধ জানাব।’

সরকারদলীয় সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা, ২০১৭ (সংশোধিত ২০২০) অনুযায়ী অনলাইন গণমাধ্যমের নিবন্ধন প্রদান করা হয়। বিটিআরসির সহযোগিতায় অনিবন্ধিত অনলাইন পোর্টাল বন্ধের কার্যক্রম চলমান আছে।


অবৈধ টিভি চ্যানেলের বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধে কাজ শুরু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

দেশে অবৈধভাবে দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেলের প্রদর্শন ও লাইসেন্সবিহীন বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধে কাজ শুরু করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। গত বৃহস্পতিবার তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের সভাপতিত্বে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সংক্রান্ত দশটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

সিদ্ধান্তগুলো হলো-

‘কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন ২০০৬’ এর অধীনে অনুমোদিত সেবা প্রদানকারীরাই সরকার অনুমোদিত দেশি ও বিদেশি চ্যানেলসমূহ গ্রাহকের কাছে বিতরণ করতে পারবেন। ক্লিনফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেল কিংবা অননুমোদিত কোনো চ্যানেল ডাউনলিংক, সম্প্রচার, সঞ্চালন বা বিতরণ করা যাবে না। সেট-টপ বক্স অবৈধভাবে আমদানি ও বাজারজাত করা যাবে না। টিভি চ্যানেল স্ট্রিমিংয়ের অ্যাপসসমূহ ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করে প্রচারণা করা কিংবা এ ধরণের অ্যাপস সেট-টপ-বক্সে ইনস্টল করে বিক্রি করা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। এর বিরুদ্ধে বিটিআরসিকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে; বাংলাদেশের নিরাপত্তার স্বার্থে, সরকারের রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির স্বার্থে, বিদেশে অর্থ পাচার রোধে এবং দেশের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে যেকোনো অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় প্রচলিত আইন ও বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে; কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩ (১) ধারা অনুযায়ী, কোনো ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী নির্ধারিত আবেদনপত্রের ভিত্তিতে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতিত অন্য কোন চ্যানেল বাংলাদেশে ডাউনলিংক, বিপণন, সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না।

এ ছাড়া, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় হতে বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান ক্লিনফিড সম্প্রচারের বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেছে বিধায় কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ক্লিনফিড ব্যতিত বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না; কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩(২) ধারা অনুযায়ী, কোন ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী সরকার অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতিত নিজস্ব কোন অনুষ্ঠান যথা: ভিডিও, ভিসিডি, ডিভিডি এর মাধ্যমে অথবা অন্য কোন উপায়ে কোন চ্যানেল বাংলাদেশে বিপণন, সঞ্চালন ও সম্প্রচার করতে পারবে না। আইন অমান্য করে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দেশি বা বিদেশি টিভি চ্যানেলের ফিড বা নিজস্ব কোনো চ্যানেল সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না; কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৪(১) ধারা অনুযায়ী, লাইসেন্সপ্রাপ্ত না হয়ে কোন ব্যক্তি, ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী হিসাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না। তাই লাইসেন্সধারী ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারীগণ ব্যতিত অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান টিভি চ্যানেল বা অনুষ্ঠান সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না; অনুমোদিত ডিস্ট্রিবিউটরগণ এই সিদ্ধান্তসমূহ তাদের বিদেশি টিভি চ্যানেল সম্প্রচারকারীদের লিখিতভাবে অবহিত করবে এবং আইন ও নীতিমালা বহির্ভূত, অবৈধ বা অননুমোদিতভাবে সম্প্রচার কাজে জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নে গত বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের চিঠি দিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।


সরকারের ব্যর্থতা ধরিয়ে দিন, সাংবাদিকদের তথ্য প্রতিমন্ত্রী

শনিবার বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস-২০২৪ উপলক্ষে এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৪ মে, ২০২৪ ১৬:৩৮
নিজস্ব প্রতিবেদক

যারা সরকার পরিচালনা করেন তারা সবাই ফেরেশতা নয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। এ সময় সরকারের ব্যত্যয়-বিচ্যুতি ধরিয়ে দিতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এ ধরনের সমালোচনাকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে সমালোচনার নামে অপতথ্য, মিথ্যাচার, অপপ্রচারের মাধ্যমে এক ধরনের এজেন্ডা বেইজড, সিস্টেমেটিক মিথ্যাচার ছড়ানোকে নিন্দা জানাই।

আজ শনিবার বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস-২০২৪ উপলক্ষে ‘গ্রহের জৃন্য গণমাধ্যম: পরিবেশগত সংকট মোকাবিলায় সাংবাদিকতা’ শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি না সরকার যারা পরিচালনা করছেন তারা সবাই ফেরেশতা। সবাই মানুষ। আমাদের ভুল-ত্রুটি হতে পারে, ব্যত্যয়-বিচ্যুতি থাকতে পারে, ব্যর্থতা থাকতে পারে। সেগুলো ধরিয়ে দেওয়ার জন্য গণমাধ্যম আছে, এটি গণমাধ্যমের দায়িত্ব। গঠনমূলকভাবে ধরিয়ে দিলে সেটি স্বীকার করে নিতে এবং সেগুলো শুদ্ধ করে নিতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।’

তিনি বলেন, ‘আমরা জানি আজকে পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে। এর জন্য প্রধানত দায়ী উন্নত বিশ্ব। এর প্রধান ভুক্তভোগী যারা হতে যাচ্ছে এর মধ্যে বাংলাদেশ একটি। বিশ্ব পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ একটি লিডারশিপ রোল নিয়েছে ভুক্তভোগীদের পক্ষে। কাজেই এখানে আমাদের সরকারিভাবে যে নীতি গ্রহণ করা হয়েছে পরিবেশ সুরক্ষার ক্ষেত্রে, সেখানে পরিবেশ সুরক্ষার জন্য যে সাংবাদিকতা সে সাংবাদিকতাকে আমরা প্রণোদনা, উৎসাহ, সমর্থন ও সুরক্ষা দিতে চাই। এখানে কোনো বিরোধের জায়গা আমি দেখি না। তবে হ্যাঁ, ক্ষেত্রবিশেষে তৃণমূলে বিভিন্ন ধরনের ব্যত্যয় ঘটে। সে ব্যত্যয়গুলোকে আমাদের সাংবাদিক বন্ধুরা তুলে ধরবেন। সরকারের অবস্থান পরিবেশ সুরক্ষার পক্ষে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু পরিবেশ সুরক্ষা নয় মুক্ত গণমাধ্যম, গণমাধ্যমের সুরক্ষা এবং মুক্ত গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা নিশ্চিত করা সে বিষয়েও আমাদের অঙ্গীকার আছে। তবে রাজনীতিতে যেমন অনেক ক্ষেত্রে অপরাজনীতি আছে, বিভিন্ন পেশায় যেমন কিছু নেতিবাচক দিক আছে তেমনই তথ্যের সঙ্গেও আমরা অপতথ্যের বিস্মৃতি অনেক সময় দেখি। সাংবাদিকতার ক্ষেত্রেও অপসাংবাদিকতা আমরা দেখি। এটি শুধু আমি বলছি না, আমাদের সাংবাদিক বন্ধুরাও বলেন। সব সাংবাদিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও বলা হচ্ছে, যেগুলোর রেজিস্ট্রেশন নেই, সেগুলো বন্ধ করে দেন।’

মফস্বলের সাংবাদিকতা একটু কঠিন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘ঢাকায় তো বিভিন্ন ধরনের প্রটেকশন পাওয়া যায়। কঠিনটা যাতে সহজতর হয় সে পদক্ষেপ আমরা নেব। আবার এটাও সত্য যে, মফস্বলে অপসাংবাদিকতার চর্চা অনেক হয়। সেখানে পেশাদারিত্বের অভাব দেখা যায়। অপসাংবাদিকতার চর্চা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করে পেশাদার সাংবাদিকদের। তারা (সাংবাদিক সংগঠন) নিজেরাই এ কথা বলছেন। তারা বলছেন, এখানে শৃঙ্খলা আনা দরকার, আমরা (সরকার) বলছি না। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে গণমাধ্যমের রেজিস্ট্রেশনসহ এ ধরনের কিছু পদক্ষেপ আমি নিচ্ছি।’

আরাফাত আরও বলেন, ‘গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়ে বিশাল দাবি আছে। গণমাধ্যমকর্মী আইন গত সংসদে পাস হওয়ার কথা ছিল। শেষের দিকে এসে এটি স্ট্যান্ডিং কমিটিতে গিয়েছিল। আমি সেই গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়ে নতুন করে আবার কাজ শুরু করছি। যতগুলো সাংবাদিক সংগঠন আছে সবাইকে মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে- প্রতিটি সংগঠন থেকে দুইজন করে প্রতিনিধি দেওয়ার জন্য। তাদের সঙ্গে বসে গণমাধ্যমকর্মী আইনটি পর্যালোচনা করে একটি পূর্ণাঙ্গ আইন করে আমরা দ্রুত সময়ে সংসদে পাস করার ব্যবস্থা করব।’

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে তিনি বলেন, ‘রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্ট যা আছে তো আছে, সেটা আমি পূর্ণাঙ্গভাবে বিশ্বাস করি। রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্টের অধীনে কোনো গণমাধ্যম জনগণের পক্ষে যে তথ্য চাইবে সেটা আমি তড়িৎ গতিতে দিতে বাধ্য থাকব। এ ধরনের মানসিকতা তৈরি করার জন্য প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে আমরা ওরিয়েন্টেশন করব। কারণ তথ্য দিলে আমার কোনো সমস্যা নেই। যদি না আমার মধ্যে কোনো গলদ থাকে। যে তথ্য পাওয়ার অধিকার মানুষের আছে, সেটি দিতে হবে। এটি আমি নিশ্চিত করব। একই সঙ্গে বলতে চাই যেগুলো সংবেদনশীল তথ্য, যেগুলো প্রাইভেসি অ্যাক্টের মধ্যে পড়ে, এগুলো যদি কেউ চুরি করে প্রকাশ করার চেষ্টা করে, সে চোর। তার কোনো পেশা আমরা দেখব না।’

সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ও বণিকবার্তা সম্পাদক দেওয়ান মাহমুদ হনিফের সঞ্চালনায় গোলটেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন জ্যৈষ্ঠ সাংবাদিক পিনাকী রায়।

এতে আরও উপস্থিত ছিলেন সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) সভাপতি ও সমকালের প্রকাশক এ কে আজাদ, সম্পাদক পরিষদের সহ-সভাপতি ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, দেশ রূপান্তরের সম্পাদক মোস্তফা মামুন, পরিবেশবাদী সংগঠন বেলার নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ও ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক জাফর সোবহান।


‘গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণের মনোভাব সরকারের নেই’  

বৃহস্পতিবার ধানমন্ডির ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) কার্যালয়ে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস ২০২৪ উপলক্ষে ইউনেস্কো (ঢাকা অফিস ও রিজিওনাল অফিস-নিউ দিল্লী), টিআইবি এবং আর্টিকেল নাইনটিনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

গণমাধ্যম শুধু মুক্ত নয়, উন্মুক্ত। তবে যারা রাষ্ট্রের বিরোধিতা করছে তাদের সরকার নজরদারিতে আনতে চায় বলে দাবি করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত। তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণের কোনো মনোভাব নেই সরকারের, সরকার কমিটেড গণমাধ্যমের স্বাধীনতা দিতে।’

আজ বৃহস্পতিবার ধানমন্ডির ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) কার্যালয়ে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস ২০২৪ উপলক্ষে ইউনেস্কো (ঢাকা অফিস ও রিজিওনাল অফিস-নিউ দিল্লী), টিআইবি এবং আর্টিকেল নাইনটিনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, ‘গণমাধ্যম শুধু মুক্ত নয়, উন্মুক্ত। বরং আমাকেই অনেক সাংবাদিকরা নিবন্ধনহীন অনলাইনকে বন্ধ করার কথা বলে। গণমাধ্যম কর্মীদের তালিকা করতে বলে, কে কোথায় কাজ করে। আমরা কিন্তু সেটা করছি না। আমরা চাই একটা নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্যে সবাই আসুক।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সুস্থ ধারার সাংবাদিকতা করতে কোনো বাধা নেই। তবে গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে ব্যবহার করে যাতে আইনের অপব্যবহার না হয় সেব্যাপারে সচেতন হওয়া জরুরি। তথ্য-উপাত্তের বিপরীতে ডকুমেন্টস থাকে তার বিরুদ্ধে কথা বলার সুযোগ নেই। গণমাধ্যমে স্বাধীনতা মানে কোনো নিজস্ব পারপাস সার্ভ করা নয়। আমরা পরিবেশকে সুরক্ষিত করতে চাই। সেজন্য আমাদের পক্ষ থেকে যতটুকু করার সব করব।’

রামপাল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই পরিবেশকে রক্ষা করতে হবে। রামপাল ও আদানি নিয়ে দিনের পর দিন মিথ্যাচার হয়েছে। এটা যে ক্ষতিকর সেটা সত্যি নয়। আমরা আমাদের স্বার্থে এনটিএমসিকে বাংলাদেশে এনেছি। তাদের ৭০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রকল্প করার অভিজ্ঞতা আছে। আমরা এক্সিম ব্যাংকের বিনিয়োগ এনেছি। আমরা চেয়েছি পার্টনারশিপের মাধ্যমে বিদ্যুতের উন্নয়ন। পুরোটাই বাংলাদেশের স্বার্থ। ওখানে ৫০-৫০ পার্টনারশিপ, লাভ যা হবে তাও ভাগ হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের গার্মেন্টন্স ও পাহাড়ি এলাকা নিয়ে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র হয়। এটা সত্যি। সরকার সব সময় সমালোচনাকে স্বাগত জানায়। কিন্তু সিস্টেমেটিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন যখন হয় আমরা সেটার বিরুদ্ধে। পরিবেশ বিপর্যয় কিংবা দুর্নীতি নিয়ে যেকোনো প্রতিবেদককে স্বাগত জানাই। আমি এখনো বলে যাচ্ছি, এই ধরনের সাংবাদিকতা রক্ষায় সঙ্গে আছি।’

আইনের অপব্যবহার প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো আইনের যেন অপব্যবহার না হয় সেটা গুরুত্বপূর্ণ। যে সব আইনের অপব্যবহারকারীদের শাস্তির ব্যবস্থা রাখা উচিত। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে যেমন আইন দরকার, তেমনি অপব্যবহার নিয়ে কথা বলা উচিত। শুধু গণমাধ্যম নয় যে কোনো আইনের অপব্যবহার নিয়ে গণমাধ্যমের কথা বলা উচিত। সাংবাদিকদের পেশাদারিত্বের বিষয়টি গুরুত্ব থাকা উচিত। কোনটা খবর সেটা আগে বুঝতে হবে। যে তথ্য দেশের বিরুদ্ধে যায়, এমন খবর হতে পারে না। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কোনো দ্বিমত নেই, আমাদের অবস্থান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যারা যাবে তাদের বিরুদ্ধে। মিডিয়া কি প্রভাবমুক্ত? আমাদের ডাবলস্টান্ডার্ড থেকে বের হতে হবে।’

আএসএফ র‍্যাংকিং নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, ‘আমি এটা কথা বলেছি। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) ২০২৩ সালের মে মাসে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তাতে ভুল তথ্য আছে এবং সেখানে বাস্তবতার প্রতিফলন ছিল না।’

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ওয়েবসাইটে ভুল, অর্ধসত্য ও অপর্যাপ্ত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে বিশ্বের ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশকে ১৬৩তম দেখানো হয়েছে। এটা নিয়ে আমি চিঠি লিখেছি, তারা ভুল তথ্য ডিলিট করেছে। কিন্তু এরপর র‍্যাংকিং ঠিক করা হয়নি।’

বর্তমান বৈশ্বিক পরিবেশগত সংকটের প্রেক্ষাপটে মুক্ত গণমাধ্যম এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা শীর্ষক আলোচনা আর্টিকেল নাইনটিনের আঞ্চলিক পরিচালক (বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়া) শেখ মনজুর-ই-আলমের সঞ্চালনায় আলোচনায় আরও অংশ নেন ঢাকায় নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত হার এক্সেলেন্সি অ্যালেক্সান্দ্রা বার্গ ফন লিন্ডে, বাংলাদেশে ইউনেস্কোর প্রতিনিধি ও অফিস প্রধান সুজান ভাইজ এবং টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।


এশিয়া-প্যাসিফিকে শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবনী কোম্পানির তালিকায় ষষ্ঠ ইনফিনিক্স

আপডেটেড ৩০ এপ্রিল, ২০২৪ ১৮:০৭
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের ষষ্ঠ সেরা উদ্ভাবনী ব্র্যান্ড হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ইনফিনিক্স। ফাস্ট কোম্পানির ‘পৃথিবীর সেরা উদ্ভাবনী ব্র্যান্ড ২০২৪’ এর বার্ষিক তালিকায় তাদরে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

ইনফিনিক্সের জেনারেল ম্যানেজার টনি ঝাও বলেন, ‘এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের অন্যতম সেরা উদ্ভাবনী কোম্পানি হিসেবে ফাস্ট কোম্পানি থেকে স্বীকৃতি পাওয়াটা আমাদের জন্য খুবই আনন্দের। সেরা ১০ ব্র্যান্ডের তালিকায় একমাত্র স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হিসেবে আমরাই স্থান পেয়েছি। এই সম্মানের মাধ্যমে আমাদের উদ্ভাবনী কিছু করার এবং ক্রেতাদের সর্বাধুনিক মোবাইল প্রযুক্তি প্রদানের ক্ষেত্রে আমরা বদ্ধপরিকর হলাম।’

ফাস্ট কোম্পানি জানায়, গত বছর সারা পৃথিবীতেই স্টার্টআপ ও বৃহৎ প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর প্রবৃদ্ধির গতি কিছুটা মন্থর ছিল। তারপরও এই কোম্পানিগুলো এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের বিভিন্ন আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জের সমাধান দিয়েছে। পাশাপাশি তারা বিভিন্ন দেশে নিজেদের উপস্থিতি বাড়িয়েছে। এসব অর্জনের মাধ্যমে সফল প্রযুক্তি ব্র্যান্ড হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করে ইনফিনিক্স গর্বিত। একই সঙ্গে ব্র্যান্ডটি এনভিডিয়া, মাইক্রোসফট, ইউটিউব, ওপেনএআইসহ বিখ্যাত বৈশ্বিক প্রযুক্তি কোম্পানির সঙ্গে একই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। বৈশ্বিকভাবে স্বীকৃত ‘টেক পাওয়ার হাউজ’ হিসেবে নিজের অবস্থান দৃঢ় করে প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ গড়ে দিচ্ছে ব্র্যান্ডটি।

ফাস্ট কোম্পানি প্রকাশিত ‘পৃথিবীর সেরা উদ্ভাবনী ব্র্যান্ড’ একটি সম্মানজনক উদ্যোগ। কোম্পানিটি বিভিন্ন খাতে পৃথিবীর সেরা ব্র্যান্ডগুলোকে চিহ্নিত করে একটি প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মূল্যায়ন করে। এতে স্টার্টআপ থেকে শুরু করে বিভিন্ন শিল্পখাতের বড় বড় কোম্পানিও অংশ নেয়।

সম্প্রতি বাজারে আসা ইনফিনিক্স নোট-৪০ সিরিজের ফোনটি উদ্ভাবনী ব্র্যান্ড হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখেছে। নোট-৪০ সিরিজে আছে চিতা এক্স-১ পাওয়ারড অল-রাউন্ড ফাস্টচার্জসহ সর্বাধুনিক চার্জিং প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের দ্রুত, কার্যকর ও নিরবচ্ছিন্ন চার্জিংয়ে সাহায্য করে।

শুধু তাই নয়, মার্কেটিং কৌশলের ক্ষেত্রেও ইনফিনিক্সের উদ্ভাবনী চিন্তার পরিচয় পাওয়া যায়। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং গণিত (এসটিইএম) এবং কোডিং ক্যাম্প পরিচালনায় সহায়তা করে থেকে এই ব্র্যান্ড। গুগল এবং ইউনেস্কোর সঙ্গে মিলিত উদ্যোগ থেকে বোঝা যায়, ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে কোম্পানিটি প্রতিশ্রতিবদ্ধ। উদ্ভাবনে জোর দেয়া ইনফিনিক্স নিয়মিত সর্বাধুনিক পণ্য বাজারে আনছে। এভাবেই এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলসহ সারা বিশ্বের প্রযুক্তি শিল্পে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে।

এই স্বীকৃতির মাধ্যমে মোবাইল প্রযুক্তি খাতে উদ্ভাবন ও শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের ক্ষেত্রে ইনফিনিক্স আরও এগিয়ে গেল। সর্বাধুনিক প্রযুক্তি এবং সাশ্রয়ী দামের ডিভাইস সরবরাহের মাধ্যমে কোম্পানিটি উদীয়মান বাজারের ভোক্তাদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তারা ২৬০ ওয়াট ফাস্ট-চার্জিং এবং নয়েজ রিডাকশন ও ফল্যাক্স ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট-এর মতো এআই ফিচার ডিভাইসে যুক্ত করেছে। এতে ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা আরও উন্নত করতে পেরেছে ইনফিনিক্স।


বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে মরিশাসের প্রতি আরাফাতের আহ্বান

মরিশাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মনিশ গোবিনের সঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ ১৮:২৮
বাসস

বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে মরিশাসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। আজ বুধবার মরিশাসের পররাষ্ট্র ও আঞ্চলিক সংহতি এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যবিষয়ক মন্ত্রী মনিশ গোবিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠককালে তিনি এ আহ্বান জানান। বৈঠকটি মরিশাসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

আজ ঢাকায় প্রাপ্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

বৈঠকে বাংলাদেশ ও মরিশাসের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ে মরিশাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন প্রতিমন্ত্রী। নৃতাত্ত্বিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে বাংলাদেশ ও মরিশাসের মধ্যে অনেক মিল রয়েছে উল্লেখ করে দুই দেশের সম্পর্ককে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেন বলে মরিশাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানান তথ্য প্রতিমন্ত্রী।

বৈঠকে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে মরিশাসে আরও বেশি শ্রমিক ও পেশাজীবীদের নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারে সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন। এ ছাড়া মরিশাসে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকরা যাতে দ্রুত দেশে রেমিটেন্স পাঠাতে পারে সে ব্যাপারে মরিশাস সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।

মরিশাস আফ্রিকা মহাদেশের প্রবেশদ্বার হওয়ায় মরিশাসে বাংলাদেশের বিনিয়োগের মাধ্যমে আফ্রিকা মহাদেশে বাংলাদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধির সম্ভাবনার কথা বৈঠকে তুলে ধরেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী।

পশ্চিম ভারত মহাসাগর অঞ্চলে মাদক পাচার এবং মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার নিয়ে প্রথম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য বর্তমানে মরিশাসে অবস্থান করছেন মোহাম্মদ আলী আরাফাত। বৈঠক শেষে মরিশাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মনিশ গোবিনকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান প্রতিমন্ত্রী।


বন্ধ হচ্ছে অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। ছবি: পিআইডি
আপডেটেড ২০ এপ্রিল, ২০২৪ ১৮:৫০
নিজস্ব প্রতিবেদক

নিবন্ধন ও আবেদনের বাইরে থাকা নিউজ পোর্টালগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। এ জন্য সেগুলোর তালিকা বিটিআরসিতে পাঠানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে নিবন্ধিত নিউজ পোর্টালের সংখ্যা ২১৩টি। এ ছাড়া পত্রিকার অনলাইনসহ বর্তমানে ৪২৬টি নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল রয়েছে। আরও বেশ কিছু নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে। এর বাইরে মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সবগুলো নিউজ পোর্টালের তালিকা করা হয়েছে। নিবন্ধন ও আবেদনের বাইরে থাকা পোর্টালগুলো বন্ধ করে দেওয়ার জন্য তালিকা বিটিআরসিতে পাঠানো হচ্ছে।

চটকদার ও মিথ্যা সংবাদ প্রচার করা নিউজ পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়ার জন্য সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ, আর সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান।


যেকারণে দেশে ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হচ্ছে

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলের (সিমিউই-৫) সংযোগ বন্ধ থাকায় ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার পর সমস্যা শুরু হয় বলে জানা গেছে। ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানসহ গ্রাহকেরাও এর ফলে ধীরগতি পাচ্ছেন।

ব্যান্ডউইডথ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি) জানিয়েছে, সিঙ্গাপুরে ফাইবার কেবল ‘ব্রেক’ করায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা কামাল আহমেদ বলেন, ‘সিমিউই-৫ দিয়ে দেশে ১ হাজার ৬০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ সরবরাহ হয়। এর পুরোটাই এখন বন্ধ আছে। আমরা চেষ্টা করছি সিমিউই-৪ (প্রথম সাবমেরিন কেবল) দিয়ে বিকল্প ব্যবস্থা করতে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সিঙ্গাপুরে ফাইবার কেবল ব্রেক করায় বাংলাদেশের পাশাপাশি আরও কয়েকটি দেশে একই অবস্থা তৈরি হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলের মধ্যে জানা যাবে, এটা কবে নাগাদ স্বাভাবিক হবে।’

ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, তারা গ্রাহকদের ফোন পাচ্ছেন। গ্রাহকেরা ইন্টারনেট সেবার ধীরগতির অভিযোগ করছেন।


‘স্বচ্ছতার সাথে সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্র বাছাই হবে’

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে চলচ্চিত্র বাছাই কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে কথা বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ ১৭:৪৮
বাসস

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, স্বচ্ছতা ও সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্র বাছাই করা হবে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে চলচ্চিত্র বাছাই কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সরকারি অনুদানে চলচ্চিত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে সরকার আরও পেশাদারিত্ব নিশ্চিত করতে চায়। স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক প্রক্রিয়ায় যাতে চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য অনুদান প্রদান করা হয়, সে ব্যাপারে সরকার সচেষ্ট।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট দক্ষ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা যাতে অনুদানের জন্য বাছাই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে পারেন, সরকার সেটিও নিশ্চিত করতে চায় সরকার।

সরকারি অনুদান প্রদানের জন্য স্বচ্ছতা ও সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে চলচ্চিত্র বাছাইয়ের কার্যক্রম শুরু করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

এ লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদানের স্ক্রিপ্ট বাছাই কমিটির সামনে প্রস্তাবিত চলচ্চিত্রগুলো নিয়ে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা শুরু হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে অনুদান প্রাপ্তির জন্য আবেদনকৃত মোট ১৯৫ টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের মধ্য থেকে প্রাথমিকভাবে বাছাইকৃত ৪৫ টি চলচ্চিত্রের পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা শুরু হয়েছে।

এ দিন পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা দেখে চলচ্চিত্রগুলোকে স্ক্রিপ্ট বাছাই কমিটির সদস্যরা গোপনীয়ভাবে আলাদা আলাদা নম্বর দিয়েছেন। ওই সময় চলচ্চিত্র অনুদান কমিটির সদস্যরাও পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাছাই কমিটির সদস্যরা আন্তর্জাতিকভাবে প্রচলিত বিভিন্ন মানদনদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে আবেদনকৃত চলচ্চিত্রের প্রস্তাবনার ওপর আলাদা নম্বর প্রদান করছেন। পরবর্তীতে সব সদস্যদের নম্বরগুলো গড় করে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া আবেদনগুলো অনুদানের জন্য বিবেচিত হবে। সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার স্বার্থে এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, যুগ্ম সচিব মো. কাউসার আহাম্মদ, উপসচিব মো. সাইফুল ইসলাম, পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদানের স্ক্রিপ্ট বাছাই কমিটির সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রিফফাত ফেরদৌস, চলচ্চিত্র নির্মাতা মো. মুশফিকুর রহমান গুলজার, অভিনেত্রী ফাল্গুনী হামিদ ও আফসানা মিমি, পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদান কমিটির সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.আবু জাফর মো. শফিউল আলম ভূঁইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটারও পারফরম্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ও অভিনেত্রী ওয়াহিদা মল্লিক জলি, স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা মতিন রহমান, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি ও চলচ্চিত্র নির্মাতা কাজী হায়াৎ, চলচ্চিত্র নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী চলচ্চিত্রের উপস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, চলচ্চিত্র শিল্পে মেধা ও সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করা এবং বাংলাদেশের আবহমান সংস্কৃতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, মানবীয় মূল্যবোধসম্পন্ন জীবনমুখী, রুচিশীল ও শিল্পমানসমৃদ্ধ চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও সহায়তা দেওয়ার উদ্দেশ্যে চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদান প্রদান নীতিমালা, ২০২০ (সংশোধিত)–এর ভিত্তিতে সরকারি অনুদান প্রদান করা হয়।


বাংলাদেশ থেকেই দেখা যাবে এই ধূমকেতু

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১৭ এপ্রিল, ২০২৪ ২০:১০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বাংলাদেশ থেকে দেখা যাবে ধূমকেতু ১২পি/পনস-ব্রুকস। প্রায় ৭১ বছর পর সূর্যের সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থান করায় আগামী ২১ এপ্রিল বাংলাদেশ থেকে সন্ধ্যা সোয়া ৬টা থেকে সাড়ে ৭টার ভেতর দেখা যাবে ধূমকেতুটি। তবে আকাশে মেঘ থাকলে এটি দেখার সম্ভাবনা কমে যাবে।

ধূমকেতু দেখতে পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের।

বিরল এই ধূমকেতু পর্যবেক্ষণের যৌথ উদ্যোগ নিয়েছে রাজশাহী অ্যাস্ট্রোনমি সেন্টার এবং বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। যা উন্মুক্ত রাখা হয়েছে আগ্রহী সবার জন্য।

ধূমকেতুটি আগামী ২১ এপ্রিল সূর্যাস্তের সময় থেকে ঘণ্টাখানেক আকাশে অবস্থান করবে। ওই দিন সন্ধ্যা সোয়া ৬টা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত রাজশাহীর পদ্মাপাড়ের টি-বাঁধে ধূমকেতু পর্যবেক্ষণ ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে। আগ্রহী সবার জন্য ধূমকেতু পর্যবেক্ষণ ক্যাম্পটি উন্মুক্ত থাকবে। এর পাশাপাশি বৃহস্পতি গ্রহ এবং চাঁদ দেখার আয়োজনও থাকবে।

একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, জ্যোতির্বিজ্ঞানী ধূমকেতুটিকে নাম দিয়েছেন ১২পি/পনস-ব্রুকস বা ‘ডেভিল কমেট’ যার অর্থ ‘শিংওয়ালা ধূমকেতু’। কারণ, সূর্যের কাছাকাছি ধূমকেতুটি দেখতে কিছুটা শিংয়ের মতো হয়।


banner close