শনিবার, ১ জুন ২০২৪

বাংলাদেশ থেকেই দেখা যাবে এই ধূমকেতু

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড
১৭ এপ্রিল, ২০২৪ ২০:১০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ১৭ এপ্রিল, ২০২৪ ২০:০৯

বাংলাদেশ থেকে দেখা যাবে ধূমকেতু ১২পি/পনস-ব্রুকস। প্রায় ৭১ বছর পর সূর্যের সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থান করায় আগামী ২১ এপ্রিল বাংলাদেশ থেকে সন্ধ্যা সোয়া ৬টা থেকে সাড়ে ৭টার ভেতর দেখা যাবে ধূমকেতুটি। তবে আকাশে মেঘ থাকলে এটি দেখার সম্ভাবনা কমে যাবে।

ধূমকেতু দেখতে পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের।

বিরল এই ধূমকেতু পর্যবেক্ষণের যৌথ উদ্যোগ নিয়েছে রাজশাহী অ্যাস্ট্রোনমি সেন্টার এবং বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। যা উন্মুক্ত রাখা হয়েছে আগ্রহী সবার জন্য।

ধূমকেতুটি আগামী ২১ এপ্রিল সূর্যাস্তের সময় থেকে ঘণ্টাখানেক আকাশে অবস্থান করবে। ওই দিন সন্ধ্যা সোয়া ৬টা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত রাজশাহীর পদ্মাপাড়ের টি-বাঁধে ধূমকেতু পর্যবেক্ষণ ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে। আগ্রহী সবার জন্য ধূমকেতু পর্যবেক্ষণ ক্যাম্পটি উন্মুক্ত থাকবে। এর পাশাপাশি বৃহস্পতি গ্রহ এবং চাঁদ দেখার আয়োজনও থাকবে।

একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, জ্যোতির্বিজ্ঞানী ধূমকেতুটিকে নাম দিয়েছেন ১২পি/পনস-ব্রুকস বা ‘ডেভিল কমেট’ যার অর্থ ‘শিংওয়ালা ধূমকেতু’। কারণ, সূর্যের কাছাকাছি ধূমকেতুটি দেখতে কিছুটা শিংয়ের মতো হয়।


‘গণমাধ্যমকে দেশ ও জনগণের স্বার্থের পক্ষে দাঁড়াতে হবে’

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

গণমাধ্যমকে দেশ ও জনগণের স্বার্থের পক্ষে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

আজ বুধবার রাজধানীর সার্কিট হাউস রোডের তথ্য ভবন মিলনায়তনে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল পদক-২০২৩ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, দেশটা আমাদের সবার। এ দেশের স্বার্থের বিপক্ষে যেসব ষড়যন্ত্র হবে সেগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে। আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশে একটা অসাম্প্রদায়িক মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সমাজ গড়ার ক্ষেত্রে, এ সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে প্রচেষ্টা সে ক্ষেত্রে গণমাধ্যমসহ সবাইকে সম্মিলিত ভূমিকা রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সরকার পূর্ণাঙ্গভাবে গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। কারণ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অংশ। যে স্বপ্ন নিয়ে এ দেশ তৈরি হয়েছিল, সে স্বপ্নের একটি বড় জায়গায় গণতন্ত্র, মানবাধিকারের সুরক্ষা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা। এ বিষয়গুলো আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট এ দেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মধ্য দিয়ে। তারপর অন্ধকারের শক্তি এ দেশে ক্ষমতায় এসেছে গণতন্ত্রকে হত্যা করে। সামরিক শাসন জারি করে, গণমাধ্যমের গলা টিপে, মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে হত্যা করে, মানবাধিকার বিনষ্ট করে, স্বাধীনতার স্বপ্নগুলোকে ভূলুণ্ঠিত করে এ দেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রতিক্রিয়াশীল ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তিকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। সেই বাস্তবতা থেকে গত পনেরো বছরে অন্ধকার জায়গা থেকে ধীরে ধীরে বাংলাদেশকে আলোর দিকে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। এই চেষ্টার অংশ হিসেবে প্রেস কাউন্সিলকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আরও শক্তিশালী করা, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যমের পরিবেশ আরও উন্নততর করা, আরও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমের সঙ্গে সম্পৃক্ত যারা আছেন তারা যাতে পেশাদারিত্ব ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করতে পারেন, সে কারণে সরকার বিভিন্নভাবে তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে। গণমাধ্যম সব ধরনের স্বাধীনতা ভোগ করে সরকারের সমালোচনাও যদি করে, সেগুলো বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার স্বাগত জানাতে চায়। সরকারের চোখ হিসেবে কাজ করে গণমাধ্যম। কোথাও কোনো বিচ্যুতি-ব্যর্থতা থাকলে, সমস্যা থাকলে গণমাধ্যম সেটি নিরপেক্ষভাবে এবং পেশাদারিত্বের সঙ্গে তুলে ধরবে। এর মাধ্যমে সরকার মনে করে গণমাধ্যম সরকারের সহযোগিতাই করছে।

তিনি আরও বলেন, সরকারের সহায়ক শক্তি হিসেবে আমরা গণমাধ্যমকে দেখতে চাই। সরকারের বিচ্যুতি-ব্যর্থতা বা কোনো সমস্যা সত্য তথ্যের ভিত্তিতে তুলে ধরলে সেগুলোকে সরকার স্বাগত জানাবে এবং স্বীকৃতি দিয়ে পুরস্কারও হাতে তুলে দেবে। এ সরকার বঙ্গবন্ধুকন্যার সরকার। যারা সমালোচক তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়। কাজেই সমালোচনা নেওয়ার ব্যাপারে শেখ হাসিনা সরকারের যে সহনশীলতা বা তার যে দৃষ্টিভঙ্গি, সেটি প্রেস কাউন্সিল পদক প্রদানের মাধ্যমে প্রমাণ হচ্ছে।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, যখন বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীরা গণমাধ্যমের ঘাড়ে চেপে বসে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে অপব্যবহার করে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়, বৈদেশিক বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত হয়ে দেশ ও দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে, অপতথ্য ও অপপ্রচারের মাধ্যমে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করে, তখন সমস্যা তৈরি হয়। এগুলোকে সরকার সমালোচনা বলে না, সেগুলো হলো অপপ্রচার, অপসংবাদিকতা, অপতথ্য, অন্যায় এবং ষড়যন্ত্র। অন্যায়, অপতথ্য ও অপপ্রচারের মাধ্যমে মানুষকে ধোঁকা দেওয়া হলে, অপসংবাদিকতা হলে পেশাদার সাংবাদিকরা সেটা দমন করতে চায় সুষ্ঠু ও সুস্থ সাংবাদিকতার স্বার্থে। সরকার পেশাদার সাংবাদিকদের সঙ্গে আছে।

আরাফাত বলেন, কিছুদিন আগে জার্মানির ডয়েচে ভেলে একটি তথ্যচিত্র বানিয়ে প্রচার করেছে। আন্তর্জাতিকভাবে শান্তিরক্ষা মিশনে আমাদের যে সাফল্য ও সুনাম, সে সুনাম ক্ষুণ্ণ করার জন্য, আমাদের খাটো করে দেখানোর জন্য এক ধরনের দুরভিসন্ধিমূলক অপপ্রচারের একটি তথ্যচিত্র তারা তৈরি করেছে। এটি বাংলাদেশের বিপক্ষে। কোনো দলের বিপক্ষে নয়, কোনো ব্যক্তির বিপক্ষে নয়। যে প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের নিরাপত্তাকে সুরক্ষা দেয়, যে প্রতিষ্ঠান গোটা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অগ্রগামী ভূমিকা রেখেছে, বাংলাদেশের সুনাম যারা বৃদ্ধি করেছে, সেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে খাটো করা মানে বাংলাদেশকে খাটো করা। একটা গোষ্ঠী সিন্ডিকেট করে আন্তর্জাতিক কিছু গণমাধ্যম ব্যবহার করে এ ধরনের অপপ্রচার করছে। ডয়েচে ভেলে বা যেকোনো প্রতিষ্ঠান বা সংবাদ সংস্থা তারা যদি মানবাধিকারের প্রতি তাদের কোনো সৎ অঙ্গীকার থেকে কোনো প্রতিবেদন বা তথ্যচিত্র করে সেটাকে আমরা স্বাগত জানাব। ডয়েচে ভেলের যদি মানবাধিকারের প্রতি অঙ্গীকার থাকে, সততা থাকে তাহলে আমি তাদের চ্যালেঞ্জ করতে চাই, আজকে বিশ্বে যে যুদ্ধের ডামাডোল, মধ্যপ্রাচ্যের গাজায় যেভাবে নারী-শিশুকে হত্যা করে মানবাধিকার ভঙ্গের ন্যক্কারজনক নজির তৈরি হচ্ছে, যেখানে গণহত্যা হচ্ছে, সেই গণহত্যা নিয়ে তারা একটি তথ্যচিত্র তৈরি করে তুলে ধরুক। তাহলে আমরা বুঝব তাদের মানবাধিকারের অঙ্গীকারে সততা আছে।

বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাজী কেরামত আলী এমপি এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল পদক ২০২৩-এর জুরি বোর্ডের সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আবুল মনসুর আহাম্মদ।

অনুষ্ঠানে ৬টি ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল পদক ২০২৩ প্রদান করা হয়। আজীবন সম্মাননা ক্যাটাগরিতে সাপ্তাহিক বেগম সম্পাদক মরহুম নুরজাহান বেগম, প্রাতিষ্ঠানিক সম্মাননা ক্যাটাগরিতে দৈনিক ভোরের কাগজ, আঞ্চলিক প্রাতিষ্ঠানিক সম্মাননা ক্যাটাগরিতে দৈনিক কক্সবাজার, উন্নয়ন সাংবাদিকতা ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রযোজক (বার্তা) মো. ইকবাল হোসেন, গ্রামীণ সাংবাদিকতা ক্যাটাগরিতে সময় টেলিভিশনের পটুয়াখালী জেলা সংবাদদাতা সিকদার জাবীর হোসেন এবং নারী সাংবাদিক ক্যাটাগরিতে দৈনিক ভোরের কাগজের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ঝর্ণা মনিকে পদক প্রদান করা হয়।

উল্লেখ্য, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত (যিনি মোহাম্মদ এ. আরাফাত নামে পরিচিত) একজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, জনপ্রিয় মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও রাজনীতিবিদ। টেলিভিশন টক শো অঙ্গনে একজন স্বীকৃত কণ্ঠস্বর, তার তীক্ষ্ণ বুদ্ধি এবং যুক্তিযুক্ত যুক্তির জন্য তিনি আকাশসম জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবসহ সোশ্যাল মিডিয়াতেও তিনি জনপ্রিয় মুখ। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠার ইতিহাস সম্পর্কে তার আপসহীন দৃষ্টিভঙ্গি এবং অবস্থান এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত অপরাধের জন্য ন্যায়বিচারের পক্ষে তাকে বাংলাদেশি যুব জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশের কাছে প্রিয় করে তোলে।

ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ এবং কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর সাবেক অধ্যাপক মোহাম্মদ এ. আরাফাত অলাভজনক সামাজিক-অ্যাডভোকেসি সংস্থা, সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান। ফাউন্ডেশনটি অন্যান্যের মধ্যে উদ্যোক্তা উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশে দারিদ্র্য দূরীকরণে ব্যাপক সমর্থনমূলক কাজ করেছে।

ঢাকা-১৭ সংসদীয় আসন থেকে নির্বাচিত এই জাতীয় সংসদ সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য।

তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও চ্যালেঞ্জ, ট্রানজিট এবং কানেক্টিভিটি, বিদ্যুৎ খাতের জন্য উপযুক্ত নীতি, যুদ্ধাপরাধের বিচার, বাংলাদেশে রাজনৈতিক উন্নয়ন এবং গণতন্ত্র ইত্যাদির মতো বিভিন্ন বিষয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে অনেক নিবন্ধ লিখেছেন।

আরাফাত প্রাইরি ভিউ এএন্ডএম ইউনিভার্সিটি এবং ওকলাহোমা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে অ্যাডভান্সড বিজনেস ডিগ্রি অর্জন করেছেন।


তথ্যপ্রযুক্তি খাতে পুরস্কৃত হলেন জুনাইদ আহমেদ পলক

জেনেভায় মঙ্গলবার পুরস্কার গ্রহণ করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৯ মে, ২০২৪ ১৭:০২
বাসস

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে পুরস্কারগুলোর মধ্যে অন্যতম জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড সামিট অন ইনফরমেশন সোসাইটি (ডব্লিউএসআইএস) পুরস্কার ২০২৪- গ্রহণ করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

গতকাল মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড সামিট অন ইনফরমেশন সোসাইটি (ডব্লিউএসআইএস) পুরস্কার ২০২৪-এ তিনি উইনার পুরস্কার গ্রহণ করেন।

আজ বুধবার ঢাকায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।

চলতি বছর বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সিকিউর ভিডিও কনফারেন্সিং সিস্টেম (বৈঠক) তৈরির জন্য বিল্ডিং কনফিডেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি ইন ইউস অব আইসিটি’স ক্যাটেগরিতে উইনার হিসেবে তিনি এই পুরস্কার গ্রহণ করেন।

ভিডিও কনফারেন্সিং সিস্টেম (বৈঠক) তৈরির জন্য এবং এটি তৈরিতে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের যে সকল তরুণ, ইনোভেটিভ প্রোগ্রামার কাজ করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘কোভিড ১৯ অতিমারি কর্তৃক সৃষ্ট চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবেলা করার জন্য বিসিসি উদ্ভাবিত ‘বৈঠক’ আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় প্লাটফর্ম হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে এবং প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঠিক দিক-নির্দেশনায় খুব অল্প সময়ে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের সফল বাস্তবায়ন করতে পেরেছি এবং এর ফলে আমাদের তরুণ উদ্ভাবকরা তথ্য প্রযুক্তির সফল বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে পারছে।’

উল্লেখ্য, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে জমা দেওয়া ১ হাজার ৪৯টি প্রকল্প বা উদ্যোগ থেকে বাছাই করে ৩৬০টি প্রকল্পকে ভোটাভুটির জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। ডব্লিউএসআইএস পুরস্কার নির্ধারণে প্রত্যেক ক্যাটাগরিতে একাধিক উদ্যোগ বা প্রজেক্টকে ভোটের মাধ্যমে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে নির্বাচন করা হয়। এর মধ্যে থেকে একটিকে উইনার হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এবছর ১৮টি প্রজেক্টকে উইনার ও ৭২ টি প্রজেক্টকে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়।

বিষয়:

ইনফিনিক্স ইনবুক এক্স২: পেশাদারদের নিত্যদিনের সঙ্গী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ব্যস্ত এই সময়ে সহজে বহনযোগ্য প্রযুক্তি পণ্য এখন প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। আর কর্মজীবীদের জন্য যেকোনো জায়গায় বসে কাজ করতে পারা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিষয়টি মাথায় রেখে ইনফিনিক্স নিয়ে এসেছে ইনবুক এক্স২ ল্যাপটপ যা সহজেই বহন করা যায়। সাশ্রয়ী মূল্যের এই ল্যাপটপ সঙ্গে নিয়ে যেকোনো সময় যেকোনো জায়গা থেকে কাজ করা যায়।

চমৎকার ডিজাইনের স্লিম ও হালকা ওজনের ইনবুক এক্স২ মাত্র ১৪.৮ মি.মি. পুরু এবং এর ওজন ১.২৪ কেজি। এটি সহজেই ব্যাগে এঁটে যায়, ফলে বহন করা খুবই সহজ। ল্যাপটপটির ৫০ ওয়াট-আওয়ারের দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারির ফলে ব্যবহারকারীরা নিশ্চিন্তে সারাদিন ধরে কাজ করে যেতে পারেন। ফলে চার্জ দেওয়া নিয়ে বাড়তি চিন্তা করতে হয় না। এছাড়া এর ৪৫ ওয়াটের টাইপ-সি চার্জারটি ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট করে। এতে প্রয়োজনের সময় দ্রুত ব্যাটারি চার্জ করে নেওয়া যায়।

আকারে খুব বেশি বড় না হলেও ইনফিনিক্স ইনবুক এক্স২ তে আছে ১১তম প্রজন্মের ইন্টেল কোর আই৫ প্রসেসর। ফলে যেকোনো জায়গায় বসেই অফিসের কাজ অনায়েসেই সেরে নিতে পারবেন। ইনফিনিক্সের নিজস্ব কুলিং সিস্টেম ‘আইস স্টর্ম ১.০’-এর সাহায্যে প্রসেসর দ্রুত ঠান্ডা হয়ে যায়। ফলে ডিভাইসটি কোনো ঝামেলা ছাড়াই কার্যকরভাবে চলতে পারে।

দুর্দান্ত ভিজ্যুয়ালের জন্য ল্যাপটপটিতে যুক্ত করা হয়েছে ১০০% এসআরজিবি প্রফেশনাল ডিসপ্লে। এর ১৯২০ x ১০৮০ পিক্সেলের রেজোলিউশনের ১৪ ইঞ্চি এফএইচডি আইপিএস স্ক্রিনের সাহায্যে চলতি পথেই ভিডিও কনফারেন্সিং, প্রেজেন্টেশন ও কন্টেন্ট ক্রিয়েশনের মতো কাজ করা যায়।

এ ছাড়া, লাইভ মিটিং বা ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের সময় চেহারাকে স্পষ্ট করে তুলতে ইনবুক এক্স২-এর এইচডি ক্যামেরার সঙ্গে আছে ডুয়েল এলইডি ফিল লাইট। ল্যাপটপটির দুই স্তরের স্টিরিও ডিজাইনের সাহায্যে ঘরের ভেতরে ও বাইরে সুন্দরভাবে মিডিয়া উপভোগ করা যায়।

কানেক্টিভিটির প্রয়োজন মেটাতে ল্যাপটপটিতে বিভিন্ন ধরনের পোর্ট সংযুক্ত করা হয়েছে। এতে আছে দুটি টাইপ-সি পোর্ট, দুটি ইউএসবি পোর্ট, এইচডিএমআই, একটি কার্ড স্লট এবং একটি হেডফোন জ্যাক। ফলে কর্মজীবীরা সহজেই ল্যাপটপটিকে বিভিন্ন ডিভাইস ও পেরিফেরালের সঙ্গে যুক্ত করতে পারেন প্রয়োজন মতো।

বহনযোগ্য ল্যাপটপ হিসেবে ৬১,৯৯০ টাকা বাজারমূল্যের ইনফিনিক্স ইনবুক এক্স২ বেশ সাশ্রয়ী। তবে ব্যবহারকারীদের কথা মাথায় রেখে ইনফিনিক্সের এই ল্যাপটপের দাম আরও কমতে পারে, যা সহজে বহনযোগ্য এই ল্যাপটপটিকে আরও সাশ্রয়ী করে তুলবে।


‘স্টার্ট-আপগুলোকে ফ্রন্টিয়ার টেকনোলোজির সঙ্গে যুক্তের কাজ চলছে’

প্যারিসে স্টার্ট-আপ এবং প্রযুক্তি ইভেন্টে ভিভাটেক নিউজের রিপোর্টার মি. লুক ব্রাউনকে বৃহস্পতিবার সাক্ষাৎকার দেন তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, উদ্ভাবন ও স্টার্ট-আপদের জন্য নিবেদিত ‘ভিভাটেক ২০২৪’ এ প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশের ১২টি স্টার্ট-আপ বিভিন্ন উদীয়মান প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার ফ্রান্সের প্যারিসে ইউরোপের সবচেয়ে বড় স্টার্ট-আপ এবং প্রযুক্তি ইভেন্টে ভিভাটেক নিউজের রিপোর্টার মি. লুক ব্রাউনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। আজ শুক্রবার ঢাকায় আইসিটি বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞটিতে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘১৫ বছর আগে বাংলাদেশে কোনো ধরনের স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেম ছিল না। সেখান থেকে আমরা আমাদের তরুণ উদ্ভাবক এবং উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে আসতে উৎসাহিত করেছি। এ ছাড়া স্টার্ট-আপ ক্যাম্পেইন, এক্সিলারেটর প্রোগ্রাম চালুসহ স্টার্ট-আপগুলোকে সহজতর করার জন্য স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করেছি।’

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে এবং প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঠিক দিক-নির্দেশনায় খুব অল্প সময়ে বাংলাদেশে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে উঠেছে। প্রতিমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে আরও বলেন, বাংলাদেশে প্রায় ২৫০০টি স্টার্ট-আপ রয়েছে, যা আইসিটি সেক্টরে ১৫ লক্ষ লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে। বাংলাদেশের স্টার্ট-আপগুলি তাদের উদ্ভাবনী ধারণার মাধ্যমে স্থানীয় সমস্যার সমাধান করছে।’

লুক ব্রাউনের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গত ১৫ বছরে ১৩ কোটি ব্যবহারকারীকে ইন্টারনেট অ্যাক্সেস প্রদান করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। আইসিটি খাতে রপ্তানি আয় ২৬ মিলিয়ন ডলার থেকে ২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৭ লাখ সক্রিয় আইটি ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। যারা বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কাজ করছে। দেশের প্রায় আড়াই হাজারটি সরকারি পরিষেবা ডিজিটাইজ এবং ৫২ হাজার ওয়েবসাইট তৈরি করা করা হয়েছে।’

এ ছাড়াও তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের স্কুল-কলেজে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন কম্পিউটার ল্যাব এবং স্কুল অব ফিউচার স্থাপন করা হয়েছে। যেখানে দেশের তরুণ-তরুণীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করা হচ্ছে। এই সাফল্যের ওপর ভিত্তি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ভিশন-২০৪১: স্মার্ট বাংলাদেশ’-বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা।’


নারী উদ্যোক্তাদের অনলাইন মার্কেট প্লেস ‘উই হাটবাজার’ উদ্বোধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশীয় পণ্যের পসরা নিয়ে ১০০ জন উদ্যোক্তা মার্সেন্ট নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো চালু হলো ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তাদের অনলাইন মার্কেট প্লেস- উইহাটবাজার ডট কম। এফ কমার্স, পিকমার্স এবং ঘরোয়া পণ্যকে ই-কমার্স প্লাটফর্মে নিয়ে আসতে এই প্লাটফর্ম স্মার্ট নারীর ক্ষমতায়নে মাইলফলক হবে বলে মনে করছেন উদ্যোক্তারা।

১৬ মে বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে এই বিশেষায়িত ই-কমার্স প্লাটফর্মের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

এ সময় তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার একজন মানুষকে কীভাবে পাল্টা দিতে পারে -উই একটি তার উদাহরণ। নারীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছে উই।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও নারীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে জানিয়ে ডাক্তার দীপু মনি বলেন, সরকারের নানান মন্ত্রণালয়ের এই প্রশিক্ষণ গুলো দিয়ে নারীরা ক্রমাগত দক্ষ হয়ে উঠছে। তারা সঙ্ঘবদ্ধ হতেও শিখেছে। প্রান্তিক মানুষগুলোকে নারীসহ এই মানুষগুলোকে মূলধারায় নিয়ে আসার জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যার চেষ্টা আমরা দেখছি।

তিনি বলেন, ‘আমরা যে সাম্যের পৃথিবীটা করতে চাই, যেখানে নারী নির্যাত দিতে হবে না, নারী তার অধিকার ভোগ করবে, যেখানে কোন সহিংসতা থাকবে না; সেই জগৎটা তৈরি করতে হলে একদিকে যেমন নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের চেষ্টা করছি একই সাথে তার অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নটা খুব জরুরি। তুই সেই কাজটি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে করছে বলে আমি মনে করি।’

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যেগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি এবং বিশ্বব্যাংকের লিড কানট্রি ইকোনোমিস্ট সোলায়মান কুলিবালি।

সভাপতির বক্তব্যে পলক বলেন, সরকারের নানা সুবিধার কারণে আজকে ৫০ শতাংশের বেশি নারী উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে। এখন থেকে আরো ৫ হাজার নারী উদ্যোক্তাদের ৫০ হাজার টাকা করে গ্রান্ট দেওয়া হবে। আশা করছি জুন মাস থেকেই দেওয়া শুরু হবে।

উই এর সঙ্গে মিলে ডাক বিভাগের মধ্যে একটি সমঝোতায় উদ্যোক্তাদের পণ্য ডেলিভারিতে সহায়তা করা হবে্ তাদের জন্য বিশেষ ইন্টারনেট প্যাকেজ দেয়া হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন- নারী উদ্যোক্তারা খুব সুলভ মূল্যে যাতে উচ্চগতির ইন্টারনেট পান সেই ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও নগদের ডিজিটাল ব্যাংক চালু হলে বিনা জামাতে নারী ই-কমার্স উদ্যোক্তাদের জন্য যতদূর সম্ভব, সেই লিমিটের একটি ফাইন্যান্সিংয়ালের ব্যবস্থা করা হবে। যাতে করে উদ্যোক্তাদের টাকার কোন সমস্যা না থাকে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন উই হাটবাজার ডটকম চেয়ারম্যান জাহানুর কবির সাকিব। এরপর নতুন এই প্লাটফর্ম বিষয়ে আলোকপাত করেন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ঈমানা হক জ্যোতি। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বিশ্বব্যাংকের লিড কানট্রি ইকোনোমিস্ট সোলায়মান কুলিবালি।

অনুষ্ঠানে উই হাটবাজারের ভবিষ্যত পরিকল্পনা তুলে ধরেন ই-ক্যাব সাধারণ সম্পাদক ও উই হাটবাজার এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসিমা আক্তার নিশা। তিনি জানান, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই সময়ে ডিজিটাল কমার্স খাতে দেশে ৪০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আশা করা যায়, এই প্লাটফর্মের কল্যাণে ই-কমার্স খাতে এক লাখ নারীর কর্মসংস্থান হবে। এখন ১০০ মার্চেন্ট নিয়ে শুরু করলে সামনে আরও মার্চেন্ট যোগ করা হবে। আগামী দেড় বছরের মধ্যে ১ হাজার মার্চেন্ট যুক্ত করা হবে । পরে আগামী ৫ বছরে এই সংখ্যা ১০ হাজারে নিয়ে যাব ইনশাল্লাহ । আপনারা শুধু ধৈয্য ধারণ করে কাজ করে যান। নিজের উদ্যোগের যত্ন দিন।

অনুষ্ঠানে আইসিটি খাতের শীর্ষ সংগঠন বেসিস, বিসিএস, আইএসপিএবি, বাক্কোসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, অনলাইন মার্কেট প্লেস উই হাটবাজারে প্রথম ১০০ জন মার্চেন্টকে নিয়ে যাত্রা করছে। এখানে শুধুমাত্র নারী উদ্যোক্তাদের বানানো দেশীয় পণ্য পাওয়া যাবে। বিদেশি কোন পণ্য পাওয়া যাবে না।


‘চলনবিলে মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউট নির্মাণ করা হবে’

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আজীবনের লালিত স্বপ্ন ছিল এদেশের কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। বঙ্গবন্ধুর সেই অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রামকে সফল করেছেন প্রধানমন্ত্রী। কৃষকদের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কৃষি ও কৃষকের স্বার্থে চলনবিলে কৃষি ও মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউট নির্মাণ করা হবে।

আজ মঙ্গলবার নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ হলরুমে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ৮১ লাখ ৬৭ হাজার ৫০০ টাকা ভর্তুকি মূল্যে কৃষকদের মাঝে চারটি কম্বাইন হারভেস্টার, দশটি মেইজ শেলার, ছয়টি রাইস ট্রান্সপ্লান্টার ও সাতটি পাওয়ার স্প্রেয়ার বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, “বিএনপির শাসন আমলে সারের জন্য কৃষকদের মাঝে হাহাকার ছিল। বিএনপি নেতাদের টোকেন ছাড়া কোনো সার পাওয়া যেত না। এক বস্তা সারের জন্য কৃষককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে কৃষকদের হাজার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শী নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কৃষক-শ্রমিকদের স্বচ্ছলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বঙ্গবন্ধু বলতেন, ‘সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ চাই। আমাদের কৃষক-শ্রমিক ভাইয়েরাই হচ্ছেন সেই সোনার মানুষ’।”

ইউএনও হা-মীম তাবাসসুম প্রভার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ খন্দকার ফরিদ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার রোজি, সিংড়া ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমিন প্রমুখ।


‘ভবিষ্যৎমুখী তথ্যপ্রযুক্তিতে ফ্রান্সের সঙ্গে চুক্তি চায় বাংলাদেশ’

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ভবিষ্যৎমুখী তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ জনশক্তি গড়তে ফ্রান্সের সঙ্গে চুক্তি চায় বাংলাদেশ। এ জন্য বাংলাদেশ থেকে একটি প্রতিনিধিদল শিগগিরই ফ্রান্স যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

আজ সোমবার সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুইয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ফ্রান্সে আমাদের সঙ্গে ১২টি আইটি কোম্পানিকে নিয়ে যাচ্ছি। দেশটিতে প্রায় ১২০টি কোম্পানির সঙ্গে আমাদের বৈঠক হবে। সেখানে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে আমরা বাংলাদেশের প্রযুক্তিগত সম্ভাবনা ও সক্ষমতা তুলে ধরব। ফ্রান্সের ট্রেড মিনিস্টারের সঙ্গে একটা দ্বিপক্ষীয় বৈঠকও হবে।’ তিনি বলেন, ‘ফ্রান্সের সঙ্গে আমরা নতুন একটি ক্ষেত্র তৈরি করতে যাচ্ছি। শিক্ষা, প্রযুক্তি, প্রশিক্ষণ- এ তিনটি বিষয় হচ্ছে আমাদের এবারের ফ্রান্স ভিজিটের মূল উদ্দেশ্য। ফ্রান্সের ট্রেড মিনিস্টার আমাদের দাওয়াত করেছেন। একই সময়ে ফ্রান্স বা ইউরোপের অন্যতম একটি বড় প্রযুক্তি উৎসব ডিভাটেকে প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি।

‘বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে স্মার্ট নাগরিক হিসেবে দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তোলার জন্য ফ্রান্সের অত্যন্ত সফল একটি উদ্যোগ রয়েছে। সেটি হচ্ছে স্কুল ফরটি-টু। সেটার সঙ্গে আমাদের একটি সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। আমরা তাদের বাংলাদেশে আনতে চাই’- যোগ করে বললেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার, ইউনিভার্সিটি বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টারে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, মেশিন লার্নিং, ডাটা এনালিটিক্স, রোবটিক্স, মাইক্রোচিপ ডিজাইনিং, সাইবার সিকিউরিটি- এ ধরনের ভবিষ্যৎমুখী প্রযুক্তিতে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার জন্য তাদের (ফ্রান্স) সঙ্গে আনুষ্ঠানিক একটা চুক্তিতে যাওয়ার জন্য আমরা ভিজিট করছি।’

পলক আরও বলেন, ‘অ্যানিমেশনে ফ্রান্সের একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। আমরা চমৎকার একটি অ্যানিমেটেড ফিল্ম এবং ল্যাব তৈরি করব। সেটিও এবারের সফরের অন্যতম উদ্দেশ্য। জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘স্যাটেলাইট কোম্পানি এয়ার বাসের পক্ষ থেকে আমাদের দক্ষতা, যোগ্যতা ও সক্ষমতা তৈরি করার জন্য কিছু প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা সেটাও বিবেচনায় নিচ্ছি।’


‘বাংলাদেশকে স্মার্ট বানাতে কালেকটিভ অ্যাপ্রোচ প্রয়োজন’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে অধ্যাপক হাবিবুল্লাহ কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত শনিবার এক সিম্পোজিয়ামে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১১ মে, ২০২৪ ১৮:০৮
ঢাবি প্রতিনিধি

বাংলাদেশকে স্মার্ট বানাতে হলে কালেকটিভ অ্যাপ্রোচের (সমন্বিত প্রচেষ্টা) প্রয়োজন বলে মনে করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

আজ শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অধ্যাপক হাবিবুল্লাহ কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত এক সিম্পোজিয়ামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অভিমত ব্যাক্ত করেন।

সমবায়মন্ত্রী বলেন, ‘সবার জায়গা থেকে সবাইকে কাজ করতে হবে। নিজেদের মধ্যে সহযোগিতা এবং সমন্বয় থাকতে হবে। আপনার দায়িত্ব আপনি পালন করলে আর আমার দায়িত্ব আমি পালন করলে তবেই বাংলাদেশ এগোবে। আমি মন্ত্রী, আমি বড় পদধারী, অনেক সুযোগ সুবিধা আমার। কিন্তু তারপরও আমি সব কিছু না। আপনার এবং আপনাদের ভূমিকাও মূখ্য। সেটি হলো নিজেদের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করা।’

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘২০৪১ সালে আমাদের যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি সেটি করতে হলে আমাদের পার ক্যাপিটাল ইনকাম সাড়ে বারো হাজার ডলার লাগবে। সিঙ্গাপুরে বর্তমানে এটি দেড় লক্ষ ডলার। তারা কীভাবে এটি করেছে? সেটা হলো কমিটমেন্ট। যারা এই কমিটমেন্ট বা ট্র্যাক লাইনের বাইরে গেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠিনভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাই পিক অ্যান্ড চয়েজ কোনো আইন হতে পারে না। আপনার ভাতিজাকে দেখলে ছেড়ে দিবেন আর আরেকজনকে দেখলে জেলে দিবেন এগুলোর মাধ্যমে কাজ হবে না।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য কাজ করছি। সবাইকে কাজ করতে হবে। সারা পৃথিবীর মানুষ উন্নত হচ্ছে। ইনশাল্লাহ আমরাও উন্নত হব। আর যদি না হই তাহলে এটির জন্য আমরা সবাই দায়ী। অপরচুনিটিতে আমাদের কোন ড্রব্যাক নেই। জাপানে কোনো প্রাকৃতিক সম্পদ নেই যেটা তাদের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে। কিন্তু তারপরও তারা আজ কতটা উন্নত। আমাদের তো কিছুটা হলেও সম্পদ আছে। সুতরাং আমাদের সামনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘অনেকে আমাদের দেশের গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলেন। আমাদের গণতন্ত্রকে আফহোল্ড করতে কাজ করার ব্যাপারে আমরা অবশ্যই কমিটেড। কিন্তু আপনি যদি আমাদেরকে ইউরোপের গণতন্ত্রের সঙ্গে তুলনা করেন যারা কোনো বাধা ছাড়াই শতশত বছর গণতন্ত্র চর্চা করেছে, এটা কোন সঠিক তুলনা হতে পারে না।’

তিনি বলেন, ‘২০ বছরের সামরিক শাসন বাদ দিলে আমাদের গণতন্ত্রের যাত্রা ৩০ বছরের বেশি নয়। সুতরাং ২০০ বছরের সঙ্গে ৩০ বছরের তুলনা কখনও হয় না। সুতরাং আমরা আস্তে আস্তে এগোচ্ছি। না আগালে আমাদের এতো পরিবর্তন আসতো না। আমরা শুধু সমালোচনাই করি। কিন্তু হাজার-লক্ষ কাজ তো হয়েছে। সেটার কথাও বলেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘যদি আমার শুধু সমালোচনাই করা হয় আমি যে অনেক ভালো কাজ করেছি সেটা যদি একবারও স্বীকার না করা হয় তাহলে আমার মনোবল ভেঙে যাবে। সুতরাং ভালো কাজের প্রশংসা না করে শুধু সমালোচনা করলে আমরা ধরে নেব আপনি দেশের জন্য কাজ করছেন না। আপনি শুধু কিছু সেন্টিমেন্ট পেতে কাজ করছেন, যেটি কারও জন্যই ভালো না।’

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে অ্যাকশনিস্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক আ.ন.ম. ফখরুল আমিন ফরহাদ বলেন, ‘তরুণদের সঙ্গে পলিসি মেকারদের সংযোগ করে দেওয়া, তরুণদের ভয়েস উনাদের কাছে পৌঁছিয়ে দেওয়া এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গঠতে হলে সবার যে মতামত সেই মতামত নেওয়ার জন্যই আমাদের আজকের আয়োজন।’

সভাপতির বক্তব্যে অ্যাকশনিস্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন শাহরিন শাহজাহান নাওমি বলেন, ‘অ্যাকশনিস্ট ফাউন্ডেশন সব সময় তারুণ্যের শক্তি এবং সম্ভাবনাতে বিশ্বাস করে। আমাদের অতিথিরা আজকে শক্তি এবং সম্ভাবনার প্রতি নিজেদের অকুন্ঠ সমর্থন ব্যক্ত করেছেন এটিই আমাদের প্রোগ্রামের সার্থকতা। আমরা সবাই নিজেদের দায়িত্ব পালন করে যাব এবং বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করব।’

এরপর ‘ইয়ুথ লিডারশীপ স্কিলস ফর স্মার্ট বাংলাদেশ' শীর্ষক প্যানেল ডিসকাশনে অংশ নেন স্মার্ট বাংলাদেশ নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ এমপি, বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশনের বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ মোবারক আহমেদ খান, উইমেন ইন ডিজিটাল এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আছিয়া নীলা, এটুআইয়ের প্রোগ্রাম স্পেশালিষ্ট মানিক মাহমুদ। এই প্যানেল ডিসকাশন পরিচালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. গোলাম সরওয়ার।


২০৪১ সালের আগেই স্মার্ট হবে দেশ: পলক

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, তারুণ্যের মেধা আর প্রযুক্তির শক্তিতে ২০৪১ সালের আগেই স্মার্ট হবে দেশ। এ লক্ষ্য অর্জনে অন্তর্ভূক্তিমূলক বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার।

আজ শনিবার সিংড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জিআই পণ্য মেলা উদ্বোধনকালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নারী-পুরুষ, ধনী-গরীব, গ্রাম-শহরের বৈষম্য দূর করে সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আজন্ম লালিত স্বপ্নের বাস্তবায়নের নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার দূরদর্শী নেতৃত্ব ও নির্দেশনায় অন্তর্ভূক্তিমূলক স্মার্ট সোসাইটি গড়ে তোলা হচ্ছে।

পলক বলেন, প্রতিবছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করা ২৫ লক্ষ শিক্ষিত ব্যক্তির চাকুরীর সংস্থান কোনক্রমেই সম্ভব নয়, তবে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা সম্ভব। কেউ কর্মহীন থাকবে না। এ জনগোষ্ঠীকে দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তুলতে পাবলিক-প্রাইভেট, সরকারী-বেসরকারী, স্থানীয়-জাতীয়-আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে তথ্য প্রযুক্তি খাতে অসংখ্য উদ্যোগ, প্রকল্প এবং কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে সরকার। এসব উদ্যোগের সুফল পাওয়া যাচ্ছে। শী-পাওয়ার, হার-পাওয়ার-এ দুটো প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে দেশে ৩৭ হাজার নারী উদ্যোক্তা তৈরী করা সম্ভব হয়েছে। হাইটেক পার্ক, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার, টিটিসি, টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ-এসব প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো তরুণ-তরুণীদের কর্মমুখী জনশক্তিতে পরিণত করছে।

পলক আরও বলেন, দেশে লোকসানে থাকা ডাকঘরকে লাভজনক করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। নয় হাজার ৯৭৪টি ডাকঘরের মধ্যে সাড়ে আট হাজার ডাকঘরকে ই-পোষ্ট সেন্টারে পরিণত করা হচ্ছে। আধুনিক ভবন তৈরি এবং আধুনিকায়ণের মাধ্যমে প্রত্যেক ডাকঘর এক একটি স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্টে পরিণত হচ্ছে। শুধু চিঠির লেনদেন নয় ব্যাংকিং, লজিষ্টিকস্, ই-কমার্স, গ্রোসারি-শপ, ডিসপেনসারি কার্যক্রমও পরিচালিত হবে ডাকঘরে। তরুণ উদ্যোক্তারা তাদের উৎপাদিত পণ্যের প্রসার ঘটাতে ডাকঘর আধুনিকায়ণের এসব সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন।


‘তথ্য অধিকার আইন নিশ্চিত করা তথ্য গণমাধ্যমকে দিতে হবে’

তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

তথ্য অধিকার আইনের আওতায় পড়া তথ্য যেকোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানকে দিতে হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত। তিনি বলেন, যে তথ্য, তথ্য অধিকার আইন নিশ্চিত করছে, সেই তথ্য গণমাধ্যমকে দিতে হবে।

আজ বুধবার সকালে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের সভাকক্ষে আয়োজিত তথ্য অধিকার আইন ও গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তথ্যের মধ্যে প্রবেশাধিকার থাকতে হবে। তথ্যের জন্য গণমাধ্যমের পক্ষে আমি নেগোশিয়েট করব। তথ্য দেওয়ার বিষয়ে তারা (বাংলাদেশ ব্যাংক) কিন্তু কেউ অস্বীকৃতি জানান নাই। তারা আমাকে নিশ্চিত করেছেন, ডেপুটি গভর্নর এখানে আছেন; সকল ধরনের তথ্যকে অবারিত করা হবে। একটা সিস্টেমেটিক প্রক্রিয়ার মধ্যে তথ্যকে অ্যাভেইলেবল করা হবে। এটার জন্য আমি নেগোশিয়েট করব গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে সকল প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে। তথ্য যদি কেউ না পায়, সে বিষয়টা আমি তথ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমের পক্ষে আমি নেগোশিয়েট করব। এটা আমার দায়িত্ব।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মাথায় রাখতে হবে, পৃথিবীর অন্যান্য দেশে যেগুলো প্রতিষ্ঠান রেগুলেটরের সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদের প্র্যাকটিসগুলো কি আছে সেগুলো আমরা দেখে নিতে চাই। তার ভিত্তিতে আমরা একটা সমাধানে আসতে চাই। কিন্তু তথ্যের ব্যাপারে আমরা আপসহীন থাকব। তথ্য দিতে হবে। যে তথ্য তথ্য অধিকার আইন নিশ্চিত করছে, সেই তথ্য গণমাধ্যমকে দিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুরোধ করেছি। এই তথ্যগুলো যত দ্রুততার সঙ্গে অ্যাভেইলেবল করা যায়, ততো বাংলাদেশ ব্যাংকসহ এ ধরনের সকল প্রতিষ্ঠানের জন্য ভালো। আপনি যদি অথেন্টিক সোর্স থেকে তথ্যটাকে অ্যাভেইলেবল করেন তাহলে এই তথ্য নিয়ে ম্যানুপুলেশনের কোনও সুযোগ থাকবে না। কাজেই আমাদের আগে মাইন্ড সেট তৈরি করা দরকার সবার, সঠিক তথ্য যত দ্রুততম সময়ে পাবলিক ডোমেইনে চলে আসবে, সেটা আমার জন্য মঙ্গল।


‘অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিকে অনুরোধ করা হয়েছে’

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের সব অনিবন্ধিত অনলাইন পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিকে (বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন নিয়ন্ত্রণ কমিশন) অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সাতক্ষীরা-১ আসনের ফিরোজ আহমেদ স্বপনের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

সংসদ সদস্য স্বপন তার সম্পূরক প্রশ্নে বলেন, ‘সাংবাদিকতার পাশাপাশি অপসাংবাদিকতায় বাংলাদেশ ভরে গেছে। আমাদের অনলাইন পত্রিকার নিয়মকানুন কী, আমরা জানি না। অনিবন্ধিত অনলাইন পত্রিকার জ্বালায় আমরা অস্থির। এটা নিয়ন্ত্রণের কোনো পদক্ষেপ আছে কি না?’

জবাবে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, ‘এ বিষয়গুলো নিয়ে আমরা খুব নিবিড়ভাবে কাজ করছি। উনি যথার্থই বলেছেন, বেশ কিছু ভুঁইফোড় অনলাইন পোর্টাল ব্যাঙের ছাতার মতো বিভিন্ন জায়গায় গজিয়ে গেছে। তারা সাংবাদিকতা নয়, অপসাংবাদিকতার চর্চা করে। অপপ্রচার করে সমাজে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি করে। মজার বিষয় হলো, যারা পেশাদারত্বের সঙ্গে সাংবাদিকতা করেন, তারা এ ধরনের পোর্টাল ও অনলাইনভিত্তিক পত্রিকাগুলো বন্ধের দাবি করেছেন।’

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সাংবাদিক বন্ধুরাই বলছেন এ ধরনের অপসাংবাদিকতার চর্চা যারা করেন, তারা আসলে পেশাদার সাংবাদিকদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ দাবিটি শুধু সংসদ সদস্যদের নয় বা রাজনীতিবিদ বা সমাজের অন্যান্য স্তরের জনগণের নয়, খোদ সাংবাদিক সমাজ থেকে এসেছে। তাদের (সাংবাদিক) থেকে দাবি এসেছে, যতগুলো অনিবন্ধিত পোর্টাল আছে, যেগুলো অপপ্রচার করছে, অপসাংবাদিকতা করছে, সেগুলো বন্ধ করে দেওয়ার জন্য।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এ জন্য আমি কিছুদিন আগে একটি নির্দেশনা দিয়েছি। একেবারে প্রতিষ্ঠিত গণমাধ্যম যেগুলো আছে, ইলেকট্রনিক মিডিয়া, প্রিন্ট মিডিয়া তাদের যে নিবন্ধিত পোর্টাল আছে, সেই পোর্টালগুলো ছাড়া যতগুলো পোর্টাল যেগুলো আবেদন করছে, প্রক্রিয়াধীন আছে, তার পুরো লিস্ট বিটিআরসিকে পাঠাব। এর বাইরে যতগুলো অনলাইন পোর্টাল আছে। এমনকি যারা একটা আবেদনও করেনি, তাদের সবগুলোকে বন্ধ করে দেওয়ার জন্য বিটিআরসিকে অনুরোধ জানাব।’

সরকারদলীয় সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা, ২০১৭ (সংশোধিত ২০২০) অনুযায়ী অনলাইন গণমাধ্যমের নিবন্ধন প্রদান করা হয়। বিটিআরসির সহযোগিতায় অনিবন্ধিত অনলাইন পোর্টাল বন্ধের কার্যক্রম চলমান আছে।


অবৈধ টিভি চ্যানেলের বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধে কাজ শুরু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

দেশে অবৈধভাবে দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেলের প্রদর্শন ও লাইসেন্সবিহীন বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধে কাজ শুরু করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। গত বৃহস্পতিবার তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের সভাপতিত্বে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সংক্রান্ত দশটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

সিদ্ধান্তগুলো হলো-

‘কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন ২০০৬’ এর অধীনে অনুমোদিত সেবা প্রদানকারীরাই সরকার অনুমোদিত দেশি ও বিদেশি চ্যানেলসমূহ গ্রাহকের কাছে বিতরণ করতে পারবেন। ক্লিনফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেল কিংবা অননুমোদিত কোনো চ্যানেল ডাউনলিংক, সম্প্রচার, সঞ্চালন বা বিতরণ করা যাবে না। সেট-টপ বক্স অবৈধভাবে আমদানি ও বাজারজাত করা যাবে না। টিভি চ্যানেল স্ট্রিমিংয়ের অ্যাপসসমূহ ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করে প্রচারণা করা কিংবা এ ধরণের অ্যাপস সেট-টপ-বক্সে ইনস্টল করে বিক্রি করা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। এর বিরুদ্ধে বিটিআরসিকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে; বাংলাদেশের নিরাপত্তার স্বার্থে, সরকারের রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির স্বার্থে, বিদেশে অর্থ পাচার রোধে এবং দেশের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে যেকোনো অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় প্রচলিত আইন ও বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে; কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩ (১) ধারা অনুযায়ী, কোনো ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী নির্ধারিত আবেদনপত্রের ভিত্তিতে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতিত অন্য কোন চ্যানেল বাংলাদেশে ডাউনলিংক, বিপণন, সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না।

এ ছাড়া, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় হতে বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান ক্লিনফিড সম্প্রচারের বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেছে বিধায় কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ক্লিনফিড ব্যতিত বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না; কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩(২) ধারা অনুযায়ী, কোন ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী সরকার অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতিত নিজস্ব কোন অনুষ্ঠান যথা: ভিডিও, ভিসিডি, ডিভিডি এর মাধ্যমে অথবা অন্য কোন উপায়ে কোন চ্যানেল বাংলাদেশে বিপণন, সঞ্চালন ও সম্প্রচার করতে পারবে না। আইন অমান্য করে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দেশি বা বিদেশি টিভি চ্যানেলের ফিড বা নিজস্ব কোনো চ্যানেল সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না; কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৪(১) ধারা অনুযায়ী, লাইসেন্সপ্রাপ্ত না হয়ে কোন ব্যক্তি, ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী হিসাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না। তাই লাইসেন্সধারী ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারীগণ ব্যতিত অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান টিভি চ্যানেল বা অনুষ্ঠান সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না; অনুমোদিত ডিস্ট্রিবিউটরগণ এই সিদ্ধান্তসমূহ তাদের বিদেশি টিভি চ্যানেল সম্প্রচারকারীদের লিখিতভাবে অবহিত করবে এবং আইন ও নীতিমালা বহির্ভূত, অবৈধ বা অননুমোদিতভাবে সম্প্রচার কাজে জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নে গত বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের চিঠি দিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।


সরকারের ব্যর্থতা ধরিয়ে দিন, সাংবাদিকদের তথ্য প্রতিমন্ত্রী

শনিবার বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস-২০২৪ উপলক্ষে এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৪ মে, ২০২৪ ১৬:৩৮
নিজস্ব প্রতিবেদক

যারা সরকার পরিচালনা করেন তারা সবাই ফেরেশতা নয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। এ সময় সরকারের ব্যত্যয়-বিচ্যুতি ধরিয়ে দিতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এ ধরনের সমালোচনাকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে সমালোচনার নামে অপতথ্য, মিথ্যাচার, অপপ্রচারের মাধ্যমে এক ধরনের এজেন্ডা বেইজড, সিস্টেমেটিক মিথ্যাচার ছড়ানোকে নিন্দা জানাই।

আজ শনিবার বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস-২০২৪ উপলক্ষে ‘গ্রহের জৃন্য গণমাধ্যম: পরিবেশগত সংকট মোকাবিলায় সাংবাদিকতা’ শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি না সরকার যারা পরিচালনা করছেন তারা সবাই ফেরেশতা। সবাই মানুষ। আমাদের ভুল-ত্রুটি হতে পারে, ব্যত্যয়-বিচ্যুতি থাকতে পারে, ব্যর্থতা থাকতে পারে। সেগুলো ধরিয়ে দেওয়ার জন্য গণমাধ্যম আছে, এটি গণমাধ্যমের দায়িত্ব। গঠনমূলকভাবে ধরিয়ে দিলে সেটি স্বীকার করে নিতে এবং সেগুলো শুদ্ধ করে নিতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।’

তিনি বলেন, ‘আমরা জানি আজকে পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে। এর জন্য প্রধানত দায়ী উন্নত বিশ্ব। এর প্রধান ভুক্তভোগী যারা হতে যাচ্ছে এর মধ্যে বাংলাদেশ একটি। বিশ্ব পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ একটি লিডারশিপ রোল নিয়েছে ভুক্তভোগীদের পক্ষে। কাজেই এখানে আমাদের সরকারিভাবে যে নীতি গ্রহণ করা হয়েছে পরিবেশ সুরক্ষার ক্ষেত্রে, সেখানে পরিবেশ সুরক্ষার জন্য যে সাংবাদিকতা সে সাংবাদিকতাকে আমরা প্রণোদনা, উৎসাহ, সমর্থন ও সুরক্ষা দিতে চাই। এখানে কোনো বিরোধের জায়গা আমি দেখি না। তবে হ্যাঁ, ক্ষেত্রবিশেষে তৃণমূলে বিভিন্ন ধরনের ব্যত্যয় ঘটে। সে ব্যত্যয়গুলোকে আমাদের সাংবাদিক বন্ধুরা তুলে ধরবেন। সরকারের অবস্থান পরিবেশ সুরক্ষার পক্ষে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু পরিবেশ সুরক্ষা নয় মুক্ত গণমাধ্যম, গণমাধ্যমের সুরক্ষা এবং মুক্ত গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা নিশ্চিত করা সে বিষয়েও আমাদের অঙ্গীকার আছে। তবে রাজনীতিতে যেমন অনেক ক্ষেত্রে অপরাজনীতি আছে, বিভিন্ন পেশায় যেমন কিছু নেতিবাচক দিক আছে তেমনই তথ্যের সঙ্গেও আমরা অপতথ্যের বিস্মৃতি অনেক সময় দেখি। সাংবাদিকতার ক্ষেত্রেও অপসাংবাদিকতা আমরা দেখি। এটি শুধু আমি বলছি না, আমাদের সাংবাদিক বন্ধুরাও বলেন। সব সাংবাদিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও বলা হচ্ছে, যেগুলোর রেজিস্ট্রেশন নেই, সেগুলো বন্ধ করে দেন।’

মফস্বলের সাংবাদিকতা একটু কঠিন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘ঢাকায় তো বিভিন্ন ধরনের প্রটেকশন পাওয়া যায়। কঠিনটা যাতে সহজতর হয় সে পদক্ষেপ আমরা নেব। আবার এটাও সত্য যে, মফস্বলে অপসাংবাদিকতার চর্চা অনেক হয়। সেখানে পেশাদারিত্বের অভাব দেখা যায়। অপসাংবাদিকতার চর্চা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করে পেশাদার সাংবাদিকদের। তারা (সাংবাদিক সংগঠন) নিজেরাই এ কথা বলছেন। তারা বলছেন, এখানে শৃঙ্খলা আনা দরকার, আমরা (সরকার) বলছি না। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে গণমাধ্যমের রেজিস্ট্রেশনসহ এ ধরনের কিছু পদক্ষেপ আমি নিচ্ছি।’

আরাফাত আরও বলেন, ‘গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়ে বিশাল দাবি আছে। গণমাধ্যমকর্মী আইন গত সংসদে পাস হওয়ার কথা ছিল। শেষের দিকে এসে এটি স্ট্যান্ডিং কমিটিতে গিয়েছিল। আমি সেই গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়ে নতুন করে আবার কাজ শুরু করছি। যতগুলো সাংবাদিক সংগঠন আছে সবাইকে মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে- প্রতিটি সংগঠন থেকে দুইজন করে প্রতিনিধি দেওয়ার জন্য। তাদের সঙ্গে বসে গণমাধ্যমকর্মী আইনটি পর্যালোচনা করে একটি পূর্ণাঙ্গ আইন করে আমরা দ্রুত সময়ে সংসদে পাস করার ব্যবস্থা করব।’

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে তিনি বলেন, ‘রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্ট যা আছে তো আছে, সেটা আমি পূর্ণাঙ্গভাবে বিশ্বাস করি। রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্টের অধীনে কোনো গণমাধ্যম জনগণের পক্ষে যে তথ্য চাইবে সেটা আমি তড়িৎ গতিতে দিতে বাধ্য থাকব। এ ধরনের মানসিকতা তৈরি করার জন্য প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে আমরা ওরিয়েন্টেশন করব। কারণ তথ্য দিলে আমার কোনো সমস্যা নেই। যদি না আমার মধ্যে কোনো গলদ থাকে। যে তথ্য পাওয়ার অধিকার মানুষের আছে, সেটি দিতে হবে। এটি আমি নিশ্চিত করব। একই সঙ্গে বলতে চাই যেগুলো সংবেদনশীল তথ্য, যেগুলো প্রাইভেসি অ্যাক্টের মধ্যে পড়ে, এগুলো যদি কেউ চুরি করে প্রকাশ করার চেষ্টা করে, সে চোর। তার কোনো পেশা আমরা দেখব না।’

সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ও বণিকবার্তা সম্পাদক দেওয়ান মাহমুদ হনিফের সঞ্চালনায় গোলটেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন জ্যৈষ্ঠ সাংবাদিক পিনাকী রায়।

এতে আরও উপস্থিত ছিলেন সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) সভাপতি ও সমকালের প্রকাশক এ কে আজাদ, সম্পাদক পরিষদের সহ-সভাপতি ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, দেশ রূপান্তরের সম্পাদক মোস্তফা মামুন, পরিবেশবাদী সংগঠন বেলার নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ও ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক জাফর সোবহান।


banner close