সোমবার, ১৩ মে ২০২৪

ইউক্রেনকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দেবে না যুক্তরাষ্ট্র

এফ-১৬ যুদ্ধবিমান। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড
৩১ জানুয়ারি, ২০২৩ ২৩:১৬
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ৩১ জানুয়ারি, ২০২৩ ২৩:১৬

ইউক্রেনকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ কথা স্পষ্ট জানিয়েছেন।

বিবিসি জানায়, ইউক্রেনের কর্মকর্তারা অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান পেতে পশ্চিমা মিত্রদের বারবার তাগিদ দিচ্ছেন। এ ব্যাপারে সোমবার সাংবাদিকদের বাইডেন জানান, তিনি যুদ্ধবিমান পাঠাবেন না। এর আগে জার্মান সরকারও ইউক্রেনে ‍যুদ্ধবিমান পাঠানোর সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমি জেলেনস্কি এবং দেশটির অন্যান্য সামরিক কর্মকতাদের মতে, অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানের মতো সামরিক সহায়তা দিতে পশ্চিমাদের মনে ভয়-আতঙ্ক থাকা উচিত না। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের আশঙ্কা, এমন সহায়তা পরমাণু শক্তিধর রাশিয়ার সঙ্গে তাদের উত্তেজনার মাত্রা আরও বাড়িয়ে তুলবে।

যুক্তরাষ্ট্র নির্মিত এফ-১৬ ফাইটিং ফ্যালকন্স বিশ্বে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য যুদ্ধবিমান হিসেবে মনে করা হয়। বিশ্বের অনেক দেশ যেমন বেলজিয়াম এবং পাকিস্তান এই যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে। অন্যদিকে ইউক্রেন এখনো সোভিয়েত আমলে নির্মিত যুদ্ধবিমান ব্যবহার করছে। যাই হোক, বাইডেন একাধিক বারই যুদ্ধবিমান নিয়ে ইউক্রেনের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে। এর পরিবর্তে তিনি ইউক্রেনের অন্যান্য সামরিক সহায়তা দিতে নজর বাড়িয়েছেন। ইউক্রেনে অত্যাধুনিক ট্যাংক পাঠাতে যুক্তরাষ্ট্রের অনীহা ছিল। তবে সে অবস্থান থেকে সরে এসে দেশটি গত সপ্তাহে ইউক্রেনে অত্যাধুনিক আব্রাম৩১ ট্যাংক পাঠানো ঘোষণা দেয়। যুক্তরাজ্য ও জার্মানিও তাদের অত্যাধুনিক ট্যাংক কিয়েভে পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। রুশ আগ্রাসন মোকাবিলায় ইউক্রেনকে তিন শতাধিক ভারী ট্যাংক দেবে পশ্চিমা দেশগুলো।


মালয়েশিয়ায় পাসপোর্ট জালিয়াতি চক্রের বাংলাদেশি হোতা গ্রেপ্তার

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মালয়েশিয়ায় জাল পাসপোর্ট বানিয়ে বিক্রি করার একটি চক্র ধরা পড়েছে। দেশটির অভিবাসন বিভাগ জানিয়েছে, চক্রটির মূল হোতা অফু ভাই নামে ৩৮ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি। চক্রটি জাল পাসপোর্ট বানিয়ে অনিবন্ধিত অভিবাসীদের কাছে বিক্রি করত। মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম দ্য স্টারের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক রুসলিন জউশ জানিয়েছেন, গত শুক্রবার কাজাংয়ে অভিযান চালিয়ে চক্রটির মূল হোতা অফু ভাইসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বলেন, ‘একজন ৩৮ বছর বয়সী সন্দেহভাজন বাংলাদেশি- যিনি অফু ভাই নামে পরিচিত। তাকে মূল হোতা বলে মনে করছি আমরা।’

আজ সোমবার মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রুসলিন জউশ বলেন, ‘এ ছাড়া গ্রেপ্তারকৃত এক ফিলিপিনো নারীকে তার সহকারী বলে মনে করা হচ্ছে।’

তিনি জানান, অভিযান চালানোর সময় লক্ষ করা যায়, বেশ কয়েকজন বিদেশি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে জানা যায়, তারা চক্রটির কাছ থেকে জাল পাসপোর্ট কিনেছিলেন।

তদন্তে দেখা গেছে, চক্রটি মূলত পুরোনো মেয়াদোত্তীর্ণ আসল পাসপোর্টে বিভিন্ন ব্যক্তির তথ্য জালিয়াতি করে নতুন পাতা যুক্ত করত। রুসলিন জউশ বলেন, ‘পাসপোর্টগুলো আসলই, তবে এতে জাল তথ্য যোগ করা হতো। চক্রটি এসব পাসপোর্টে নতুন করে একটি প্রথম পাতা যুক্ত করত, যেখানে ব্যক্তির সব বিবরণ, যেমন- বাড়ির ঠিকানা, পুরো নাম এবং পাসপোর্টের নম্বর থাকে।’

অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক জানান, চক্রটি পাসপোর্টের পুরোনো সংস্করণ ব্যবহার করে। এসব পাসপোর্ট পলিকার্বোনেট কাগজ ব্যবহার করে তৈরি করা হয় না, যার ফলে এগুলোতে পাতা পরিবর্তন করা সহজ। তিনি জানান, একেকটি পাসপোর্ট জালিয়াতি করতে এক থেকে দেড় হাজার রিঙ্গিত খরচ হতো।

অভিবাসন বিভাগের কর্মকর্তাদের অনুমান, চক্রটি প্রায় দুই বছর ধরে সক্রিয় ছিল। দুই আসামিকে ১৪ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে এবং এই চক্রে অন্য কেউ যুক্ত ছিল কি না তা জানার চেষ্টা চলছে। রুসলিন জউশ বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি যে, আরও কয়েকজন এই চক্রের সঙ্গে জড়িত।’


নতুন রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেলোসভ

আন্দ্রেই বেলোসভ
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী সের্গেই শোইগুকে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছেন। একযুগ পর শোইগুকে সরিয়ে দেওয়া হলো। দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা আন্দ্রেই বেলোসভ নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। খবর- বিবিসির।

সের্গেই শোইগু ২০১২ সাল থেকে একটানা দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। তাকে এই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান নিযুক্ত করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে ক্রেমলিন। রাশিয়ার বর্তমান প্রতিরক্ষামন্ত্রী শোইগুর স্থলাভিসিক্ত হওয়া বেলোসভ একজন অর্থনীতিবিদ, যার সামান্য সামরিক অভিজ্ঞতাও রয়েছে। কাজেই এমন একজন ব্যক্তিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী করার কথা শুনে হয়তো অনেকে অবাক হতে পারেন। তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, রুশ প্রসিডেন্টের পুতিনের এই পদক্ষেপটি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, রাশিয়ার অর্থনীতিকে তিনি তার যুদ্ধ প্রচেষ্টার সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত করতে চাচ্ছেন।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ‘উদ্ভাবনের’ দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই একজন বেসামরিক ব্যক্তিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, জিডিপির একটি বড় অঙ্ক সামরিক খাতে ব্যয়ে শুরু করার পর রাশিয়া অনেকটা ১৯৮০ সালের মাঝামাঝি সময়ের সোভিয়েত ইউনিয়নের মতো হয়ে উঠেছিল। কাজেই সামরিক ব্যয়কে রাশিয়ার সামগ্রিক অর্থনীতির সঙ্গে আরও ভালভাবে সংহত করার বিষয়টি নিশ্চিত করার দরকার বলে মনে করেন তিনি।

‘আর যে ব্যক্তি উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে বেশি খোলামনের, তিনিই যুদ্ধক্ষেত্রে বিজয়ী হবেন,’ বলেন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। বিবিসি রাশিয়ার সম্পাদক স্টিভ রোজেনবার্গ বলেন, শোইগুর জায়গায় নতুন কেউ আসার বিষয়টি তেমন আশ্চর্য হওয়ার মতো কোনো কিছু নয়। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে শোইগুর অবস্থান বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছে। এমনকি এটাও শোনা যাচ্ছিলো যে, তাকে পদচ্যুত করানো হতে পারে।

বস্তুত রাশিয়ার ইউক্রেন অভিযানে সামরিক বিপর্যয় এবং শক্তি ও সম্পদের বড় ধরনের ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে, যার জন্য শোইগুকে অনেকটাই দায়ী করে থাকেন। এক্ষেত্রে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে একজন অর্থনীতিবিদ থাকাটা ক্রেমলিনের পরিবর্তিত অগ্রাধিকার নীতিরই প্রতিফলিত বলে মনে করছেন রোজেনবার্গ। কেননা রাশিয়ার অর্থনীতি এখন যুদ্ধকালে পার করছে। তাই যুদ্ধের অর্থায়নের জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের যথেষ্ট অর্থ থাকা অত্যাবশ্যক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রুশ সরকারের সরকারি এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে স্বাধীন রুশ ওয়েবসাইট দ্য বেল বলেছে, বেলোসভকে ‘রাষ্ট্রের একজন কঠোর রক্ষক হিসেবে দেখা হয়, যিনি বিশ্বাস করেন যে, রাশিয়া শত্রু দিয়ে ঘেরা’।

বিষয়:

ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীদের ওয়াক আউট

ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ চলছে। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হওয়া এই ছাত্রবিক্ষোভ দেশটির শতাধিক ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়ে। দিন যত যাচ্ছে দেশিটিতে ততই বাড়ছে গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনবিরোধী বিক্ষোভ। এবার যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান থেকে ওয়াকআউট করেছে বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থী। গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে স্থানীয় সময় শনিবার বিক্ষোভ করেছেন ওই শিক্ষার্থীরা। এরপর অনুষ্ঠানস্থল থেকে বেরিয়ে যান তারা। খবর- বিবিসি।

ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের রিচমন্ডে ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানীয় সময় শনিবার চলছিল স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে যখন ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের গভর্নর বক্তব্য দিচ্ছিলেন ঠিক তখনই বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা অনুষ্ঠান ছেড়ে বেরিয়ে যান। বক্তব্যে গভর্নর ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনপন্থি ছাত্রবিক্ষোভ নিয়েই কথা বলছিলেন।

ইতোমধ্যে অনুষ্ঠানে বিক্ষোভের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা গেছে, মঞ্চে রিপাবলিকান গভর্নর গ্লেন ইয়ংকিন বক্তব্য শুরু করার পরপরই গাউন-ক্যাপ পরা কিছু শিক্ষার্থী অনুষ্ঠানস্থল থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন।

এ সময় ভিডিওতে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ‘প্রকাশ কর, বর্জন কর-আমরা থামব না, আমরা বিশ্রাম নেব না’ বলে স্লোগান দিতে দেখা গেছে। এ বছরের স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তা হিসেবে গভর্নর গ্লেনকে আমন্ত্রণ জানানোর সমালোচনা করেন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী।

প্রসঙ্গত, গত মাস থেকেই ইসরায়েলবিরোধী আন্দোলনে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ১৫০ এরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়। এরই মধ্যে ঘনিয়ে আসে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠানের সময়। আর তাই নিরাপত্তাজনিত কারণে এবং বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা অনাকাক্সিক্ষত কিছু করতে পারেন, এমন আশঙ্কায় কয়েক ডজন ক্যাম্পাসে এই আয়োজন বন্ধ করা হয়েছে। গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রবিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত দুই হাজারের বেশি বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে।

ক্যাম্পাসগুলোয় বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা দাবি জানাচ্ছেন, যেন বড় বড় অনুদানে চলা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্তৃপক্ষ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে এবং গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ দেয়। এর আগে গত ২৯ এপ্রিল ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দেয় পুলিশ। ওই সময় ১৩ জনকে আটক করা হয়। তাঁদের মধ্যে ছয়জন শিক্ষার্থী।


আফগানিস্তানে বন্যা, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩১৫  

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

আফগানিস্তানের বাগলান প্রদেশে প্রবল বৃষ্টিতে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় প্রাণহানির সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়েছে। আফগান শরণার্থীবিষয়ক মন্ত্রণালয় আজ রোববার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। তারা বলেছে, ভয়াবহ বন্যায় বাগলানে ৩১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই বন্যার কারণে ১ হাজার ৬৩০ জন আহত হয়েছেন।

আফগান মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছেন শেখ জালাল গ্রাম এবং সাল শহরের বাসিন্দারা। আকস্মিক এ বন্যায় ২ হাজার ৬৬৫টি বাড়ি পুরোপুরি অথবা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া বন্যার কারণে ১ হাজার গৃহপালিত পশুপাখির সলিল সমাধি হয়েছে। বিভিন্ন স্থান থেকে বেসামরিক নাগরিক আটকে পড়ার খবর আসার পর উদ্ধার কাজে সহায়তার জন্য হেলিকপ্টার পাঠায় তালেবান সরকার।

দেশটির প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার প্রধান কর্মকর্তা হেদায়াতুল্লাহ হামদার্দ জানিয়েছেন, মৌসুমি ভারী বৃষ্টিপাতের কারণেই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতি হতে পারে এ বিষয়ে স্থানীয় লোকজন আগে থেকে প্রস্তুত ছিল না।

বাগলান প্রদেশে গত শুক্রবার রাতে অস্বাভাবিক ভারী বৃষ্টিপাত হয়। এরপর সেখানে আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবারের এ বৃষ্টিতে বাদাকশান প্রদেশ, মধ্যাঞ্চলের ঘোর প্রদেশ এবং পশ্চিমাঞ্চলের হেরাতেও বিভিন্ন অবকাঠামো ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে। আফগানিস্তানে গত শীত মৌসুমটি শুষ্ক ছিল। ফলে সেখানে যে পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে এই বৃষ্টি মাটি শুষে নিতে পারছে না। দেশটি জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপক হুমকিতে ছিল। যার ফলাফল এখন বাস্তবে দেখা যাচ্ছে।

আফগানিস্তান পৃথিবীর অন্যতম একটি গরিব দেশ। বিজ্ঞানীদের মতে, এমন বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য দেশটি প্রস্তুত নয়। গত চার দশক আফগানিস্তানে যুদ্ধ-বিগ্রহ লেগে ছিল। এ কারণে দেশটির অর্থনীতি অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেকটাই দুর্বল।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, বন্যায় অসংখ্য মানুষ গৃহহীন হয়েছে পড়েছেন। ভেঙে পড়েছে যাতায়াত ব্যবস্থাও। তাছাড়া পানি সরবরাহ ব্যবস্থায়ও মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আফগানিস্তান অফিস জানিয়েছে, বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক। ঘটছে হতাহতের ঘটনাও।

বিষয়:

এভারেস্টে আরোহীর সংখ্যা কমানোর নির্দেশ

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

নেপাল সরকারকে এভারেস্ট পর্বত ও অন্যান্য পর্বতশৃঙ্গ আরোহণে অনুমতির সংখ্যা কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। এপ্রিলের শেষদিকে এই রায় জারি করা হলেও এটির সারসংক্ষেপ প্রকাশ করা হয়েছে এই সপ্তাহে। খবর এএফপি ও ফ্রান্স২৪-এর।

দীপক বিক্রম মিশ্র নামে দেশটির এক আইনজীবী আদালতে এ সংক্রান্ত একটি পিটিশন মামলা দায়ের করলে আদালত সম্প্রতি এ আদেশ দেন। আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, পাহাড়ের ধারণক্ষমতাকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত ও প্রতি বছর সর্বোচ্চ কতজনকে আরোহণের অনুমতি দেওয়া হবে, তা নির্ধারণ করে দেওয়া উচিত।

বিশ্বের ১০টি সর্বোচ্চ শৃঙ্গের মধ্যে ৮টিই রয়েছে হিমালয়ের দেশ নেপালে। নেপাল সরকার প্রতি বছরের বসন্তে বিশ্বের শত শত অভিযাত্রীকে এসব শৃঙ্গ আরোহণের জন্য স্বাগত জানায়। বছরের এই সময়টাতে হিমালয়ের তাপমাত্রা তুলনামূলক উষ্ণ ও বাতাস শান্ত থাকে।

জানা গেছে, পর্বতারোহীর সংখ্যা কমানোর জন্য আদালতে আবেদন করেছিলেন আইনজীবী দীপক বিক্রম মিশ্র। তিনি এএফপিকে বলেছেন, ‘হিমালয়কে আমরা খুব বেশি চাপ দিচ্ছি, এটিকে কিছুটা অবকাশ দেওয়া দরকার’।

আদালত নেপালের পাহাড় ও পরিবেশ সম্পর্কে জনসাধারণের উদ্বেগকে শ্রদ্ধা জানিয়ে পর্বতারোহীদের সংখ্যা সীমাবদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি পর্বতাঞ্চলের পরিবেশ সংরক্ষণের জন্যও ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

দীপক মিশ্র আরও বলেন, আদালত জরুরি উদ্ধার অভিযানে হেলিকপ্টার ব্যবহারের ওপরেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হেলিকপ্টারগুলো পর্বতারোহীর দলগুলোকে বেস ক্যাম্পে ও বিপজ্জনক জায়গায় আটকে পড়াদের উদ্ধারের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছিল।

নেপাল বর্তমানে যেসব আরোহী ১১ হাজার মার্কিন ডলার দিতে পারেন তাদের সবাইকেই এভারেস্টে আরোহণ করার অনুমতি দেয়। গত বছর দেশটি এভারেস্টের জন্য ৪৭৮টি অনুমতি দিয়েছিল, যা রেকর্ড পরিমাণ। এ বছর এখন পর্যন্ত ৯৪৫ জন পর্বতারোহীকে অনুমতি দিয়েছে নেপাল, যার মধ্যে ৪০৩ জন অভিযানে রয়েছেন।

নেপাল মাউন্টেনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নিমা নুরু শেরপা বলেছেন, স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে যথাযথ আলোচনা ও পরামর্শের পর আদালতের রায় কার্যকরে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার। আরোহীদের সংখ্যা কমে গেলে এই খাতে কেমন প্রভাব পড়বে, তা এখনো পরিষ্কার নয়। আমরা জানি না, কিসের ভিত্তিতে সীমা নির্ধারণ করা হবে ও কীভাবে সেই সীমা আরোহীদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে।


দিল্লির হাসপাতালে বোমা হামলার হুমকি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতের রাজধানী দিল্লির দুটি হাসপাতালে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। গত সপ্তাহে দিল্লির ১৩০টি স্কুল বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি নিয়ে বেশ হইচই পড়ে গিয়েছিল।

এনডিটিভি জানিয়েছে, ই-মেইলের মাধ্যমে দিল্লির বুরারি হাসপাতাল ও সঞ্জয় গান্ধী হাসপাতালকে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়েছে। উভয় হাসপাতালেই তল্লাশি চলছে।

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, বুরারি হাসপাতালই প্রথম স্থানীয় সময় বিকাল ৩টা ১৫ মিনিটে বোমার হুমকির কথা জানায়। এরপর বিকাল (স্থানীয় সময়) ৪টা ২৬ মিনিটের দিকে সঞ্জয় গান্ধী মেমোরিয়াল হাসপাতাল থেকে দ্বিতীয় ফোন আসে। দুটি হাসপাতালেই তল্লাশি অভিযান চলছে। গত ৩০ এপ্রিল বুধবার সকালে একইভাবে ই-মেইলের মাধ্যমে প্রায় ১৩০টি স্কুল কর্তৃপক্ষকে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়। এতে দিল্লিজুড়ে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হুমকি পাওয়ার পরপরই সব স্কুল থেকে শিক্ষার্থীদের বের করে দেওয়া হয়। যে আইপি অ্যাড্রেস থেকে হুমকি পাঠানো হয়েছে, সেটি রাশিয়ার বলে জানিয়েছিলেন দিল্লির এক কর্মকর্তা। ভিপিএন ব্যবহার করে রাশিয়া থেকে মেইল পাঠানো হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রথমে খবর পাওয়া যায়, বুধবার সকালে ৮ থেকে ১২টি স্কুলে বোমা রাখা আছে বলে হুমকি আসে মেইলে। এরপর আরও একাধিক স্কুল কর্তৃপক্ষ একই হুমকির কথা প্রশাসন ও দিল্লি পুলিশকে জানায়। হুমকি প্রাপ্ত স্কুলগুলোর মধ্যে ছিল, দ্বারকার স্কুল, চাণক্যপুরীর সংস্কৃতি স্কুল, নয়ডা দিল্লি পাবলিক স্কুল, ময়ূর বিহারের মাদার মেরি স্কুল, পুষ্প বিহারের অ্য়ামিটি স্কুল, ডিএভি স্কুল। তবে তল্লাশি চালিয়ে কোনো বিস্ফোরক বস্তুর সন্ধান পাওয়া যায়নি। ঘটনায় কোনো হতাহতের খবরও পাওয়া যায়নি।

বিষয়:

পাকিস্তানে জঙ্গি হামলা, নিহত ৭

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখওয়া প্রদেশের উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলায় পৃথক দুই জঙ্গি হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর ৭ সদস্য নিহত ও আরও দুজন আহত হয়েছেন। জেলাটির দত্ত খেল তহশিলের হাসান খেল এলাকা এবং মির আলি শহরের সীমান এলাকায় হামলার ঘটনা দুটি ঘটে। খবর দ্যা ডনের।

পাকিস্তানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, প্রথম হামলার ঘটনাটি ঘটেছে হাসান খেলে। সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর বোমা নিষ্ক্রিয়কারী ইউনিটকে লক্ষ্য করে একটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। বিস্ফোরণের পর জঙ্গিরা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। এর ফলে ঘটনাস্থলেই নিরাপত্তা বাহিনীর পাঁচ সদস্য নিহত ও আরও দুজন গুরুতর আহত হন।

অন্য ঘটনায় জঙ্গিরা সীমান এলাকার একটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলা চালায়। তাদের হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর দুই সদস্য নিহত হন। নিহত নিরাপত্তা সদস্যদের মৃতদেহ ও আহতদের হেলিকপ্টার যোগে বান্নুর সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

হামলার পর দুটি স্থানই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ঘিরে ফেলে এলাকাজুড়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করে। এর আগে ৮ মে উত্তর ওয়াজিরিস্তানের শিউয়া তেহশিলে জঙ্গিরা একটি বেসরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের দুটি শ্রেণিকক্ষ বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ধ্বংস করে দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, জঙ্গিরা প্রথমে স্কুলটির নৈশপ্রহরীকে নির্যাতন করে, পরে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে স্কুলের ক্ষতিসাধন করে।

বিষয়:

ইন্দোনেশিয়ায় বন্যা-ভূমিধসে ৩৪ জনের মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় সুমাত্রা প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ৩৪ জনের প্রাণহানি হয়েছে। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে নিখোঁজ রয়েছেন আরও কমপক্ষে ১৬ জন।

আজ রোববার পশ্চিম সুমাত্রার দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার মুখপাত্র ইলহাম ওয়াহাব ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশের দুটি জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার কর্মকর্তারা। ইলহাম ওয়াহাব বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী ৩৪ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে আগামের বাসিন্দা ১৬ জন এবং তানাহ দাতারের ১৮ জন।’

বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৮ জন। এ ছাড়া নিখোঁজ ১৬ জনের সন্ধানে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা বিএনপিবি এক বিবৃতিতে বলেছে, শনিবার রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি-বন্যায় তানাহ দাতার অঞ্চলে ব্যাপক কাদা এসেছে। এতে পাঁচটি মহকুমা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বিএনপিবি বলেছে, বন্যায় ৮৪টি আবাসন ইউনিট ও ১৬টি সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুর্যোগ কবলিত এলাকায় দ্রুত পৌঁছানোর জন্য রাস্তা পরিষ্কারে ভারী সরঞ্জাম মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে, আকস্মিক বন্যায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশ আফগানিস্তানে মৃতের সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়েছে। আফগান শরণার্থী বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ভয়াবহ বন্যায় বাঘলান প্রদেশে ৩১৫ জন নিহত এবং ১ হাজার ৬৩০ জন আহত হয়েছেন। দেশটির মন্ত্রণালয় বলেছে, সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছেন শেখ জালাল গ্রাম এবং সাল শহরের বাসিন্দারা। আকস্মিক এ বন্যায় ২ হাজার ৬৬৫টি বাড়ি পুরোপুরি অথবা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া বন্যার কারণে ১ হাজার গৃহপালিত পশুপাখির সলিল সমাধি ঘটেছে।


অবৈধ অভিবাসী প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশকে ‘নিরাপদ’ ঘোষণা ইতালির

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে অবৈধভাবে ইতালিতে প্রবেশকে কেন্দ্র করে আবারও ইতালীয় গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে বাংলাদেশ। দেশটির মন্ত্রিপরিষদের তৈরি করা ‘নিরাপদ দেশের’ তালিকায় ১৭ দেশের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের নাম। ইতালির অভিবাসন আইন ২০০৮-এর ২৮ নম্বর ধারার ২৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এ সংক্রান্ত একটি গেজেট প্রকাশ করেছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গেজেটে থাকা এসব ‘নিরাপদ দেশের’ নাগরিকদের মধ্যে যারা অবৈধভাবে দেশটিতে প্রবেশ করবে তাদের থাকার অনুমতি না দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

ইউরোপীয় অভিবাসন নীতিমালা অনুযায়ী, যেসব দেশে গৃহযুদ্ধ বা অন্য কোনো দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলছে, সেসব দেশের নাগরিকরা ইউরোপের যেকোনো দেশে থাকার অনুমতি পান। এ ক্ষেত্রে ইতালির তালিকাভুক্ত বাংলাদেশসহ এই ১৭টি দেশে এ মুহূর্তে কোনো যুদ্ধ নেই কিংবা কোনো নাগরিকের দেশ ছেড়ে অন্য দেশে আশ্রয় নেওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। তাই এসব দেশকে ইতালি ‘নিরাপদ দেশের’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।

এ গেজেটের বরাত দিয়ে দেশটির মূলধারার গণমাধ্যম ‘ইল জোর্নাল’-এ বাংলাদেশি অভিবাসীদের অবৈধভাবে ইউরোপীয় দেশগুলোতে প্রবেশের বিভিন্ন রুট নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেই সঙ্গে তারা বাংলাদেশকে একটা ‘নিরাপদ দেশ’ হিসেবে তালিকাভুক্তির প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘এশিয়ার মধ্যে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি নাগরিক ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালিতে প্রবেশ করছে। দেশটিতে থাকা কিছু এজেন্টদের মাধ্যমে প্রথমে তারা আফ্রিকার সাহারা অঞ্চলের দেশ লিবিয়া ও তিউনিসিয়ায় থাকা মানব পাচারকারীদের সহায়তায় ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী দেশগুলোতে অবস্থান নেয়। তারপর সময় বুঝে মানব পাচারকারীদের আরেক গ্রুপের সহায়তায় ভূমধ্যসাগরে অভিবাসী উদ্ধারকারী জাহাজের কাছে পৌঁছায়। এভাবে তারা ভাগ্যবদলের আশায় ইতালির ভূখণ্ডে অবৈধভাবে প্রবেশ করে।’

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘সম্প্রতি এক বাংলাদেশি নাগরিকের টিকটকে প্রকাশিত একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, বাংলাদেশি কয়েকজন নাগরিক লিবিয়া থেকে সমুদ্রপথে ছোট নৌকায় করে ইতালিতে আসার সময় উল্লাস করছে আর হাতে থাকা বাংলাদেশের একটা পাসপোর্ট ছিঁড়ে সমুদ্রের পানিতে ফেলে দিচ্ছে। এ সময় ওই বাংলাদেশি লিবিয়ান ভাষায় বাংলাদেশ ও লিবিয়াকে কটূক্তি করে ইতালিতে পৌঁছানোর উল্লাস প্রকাশ করে।’

গত সেপ্টেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনে ইতালির রাজনৈতিক দল ‘ফ্রাতেলি-দি ইতালিয়ার’ নেতা ফ্রাঞ্চেস্কো ললোব্রিজিদা বাংলাদেশের তৎকালীন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে অবৈধ অভিবাসী নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনায় তারা বাংলাদেশ থেকে অবৈধপথে অভিবাসীদের যাত্রা কীভাবে বন্ধ করা যায় এবং ইতালিতে থাকা অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে বৈধপথে ইতালিতে দক্ষ শ্রমিক নেওয়ার বিষয়টিও আলোচনায় আসে।

চলতি মাসে ইতালিতে প্রকাশিত গেজেটের মধ্যে বাংলাদেশসহ আরও ১৭টি দেশের তালিকা করে এদের ‘নিরাপদ দেশ’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এসব দেশ থেকে যারা অবৈধভাবে ইতালিতে প্রবেশ করবে, তাদের ইতালি থেকে আলবেনিয়ায় পাঠানোর কথা বলা হয়। শিগগির আলবেনিয়ায় তিনটি মাইগ্রেশন সেন্টার চালু করা হবে বলে ঘোষণা দেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিও মেলোনি।


ব্রাজিলে ভয়াবহ বন্যা, প্রাণহানি বেড়ে ১২৬

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভয়াবহ বন্যার মাঝেই ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য ‘রিও গ্রান্ড ডু সুলে’ গতকাল শুক্রবার আবার বৃষ্টিপাত দেখা দিয়েছে। এতে রাজ্যটিতে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ১২৬ জনে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এক কোটির বেশি জনসংখ্যার রাজ্যটি ঝড় ও বন্যার কবলে পড়েছে। ইতোমধ্যে ঘরছাড়া হয়েছেন ৩ লাখ ৪০ হাজার মানুষ, নিখোঁজ রয়েছেন ১৪১ জন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে স্থানীয় নদী ও লেকের পানি সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। বন্যার কারণে রাস্তাঘাটে যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে। সেইসঙ্গে কিছু এলাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অভাব দেখা দিয়েছে।

দেশটির সিভিল ডিফেন্সের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বন্যায় ক্ষতির মুখে পড়েছে অন্তত ২০ লাখ মানুষ। রাজ্য সরকার জানিয়েছে, ৩ লাখ ৮৫ হাজার মানুষ পানির পরিসেবা পাচ্ছে না, অন্যদিকে অন্তত ২০টি শহরে টেলিকম সেবা নেই।

বিষয়:

দুই স্ত্রী থাকলে পাবেন ২ লাখ!

কংগ্রেস নেতা কান্তিলাল ভুরিয়া। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচনী প্রচারে অভিনব সব পন্থা ও প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট চান রাজনৈতিক নেতারা। এবার ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে এক প্রতিশ্রুতি দিয়ে আলোচনায় এলেন দেশটির প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল ভারতীয় কংগ্রেসের এক নেতা। তিনি বলেছেন, ‘আমরা ক্ষমতায় গেলে আপনার যদি দুজন স্ত্রী থাকে, তাহলে আপনি ভাতা পাবেন দুই লাখ রুপি।’

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে বলছে, মধ্যপ্রদেশে এক নির্বাচনী র‍্যালিতে এই মন্তব্য করেন কংগ্রেস নেতা কান্তিলাল ভুরিয়া।

তিনি বলেন, সবার ভোটে জিতে দল ক্ষমতায় গেলে দলীয় ইশতেহার অনুযায়ী প্রত্যেক নারী ১ লাখ রুপি করে ভাতা পাবেন। সে হিসেবে কোনো ব্যক্তির দুজন স্ত্রী থাকলে তিনি ভাতা পাবেন ২ লাখ রুপি।

এসব কথা বলার পর সমাবেশে সবাই হাসতে শুরু করেন। এ সময় সেই র‍্যালিতে উপস্থিত ছিলেন মধ্যপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিং ও দলের রাজ্য শাখার প্রধান জিতু পাটোয়ারি। কংগ্রেসের ইশতেহারে বলা আছে, দারিদ্র্যসীমার নিচে যেসব নারী বাস করেন, তারা মাসে সাড়ে ৮ হাজার রুপি করে ভাতা পাবেন। সেই কথা মনে করিয়ে দিয়ে কান্তিলাল ভুরিয়াকে সমর্থন দেন কংগ্রেস নেতা জিতু পাটোয়ারি। তিনি বলেন, এটি একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত।

তবে এই বক্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছে ক্ষমতাসীন বিজেপি। দলটির এমপি মায়া নারোলিয়া বলেন, এই বক্তব্য দিয়ে কংগ্রেস নেতারা নারীদের অপমান করেছেন। লোকসভা নির্বাচনে তাদের ভোট না দিয়ে নারীরা এর কঠোর জবাব দেবে। এ ছাড়া মধ্যপ্রদেশের বিজেপির মুখপাত্র নরেন্দ্র সালুজা এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করে ভারতের নির্বাচন কমিশনকে ট্যাগ দেয়।

বিষয়:

আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যায় ৬০ জনের মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। এতে অন্তত ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়। আহত হয়েছে আরও শতাধিক, নিখোঁজ রয়েছে বহু মানুষ। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর আল জাজিরার।

গতকাল শুক্রবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবদুল মতিন কানি।

তিনি বলেন, যারা মারা গেছেন তারা দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় বাঘলান প্রদেশের বোরকা জেলার বাসিন্দা। এ ছাড়াও সেখানে দুই শতাধিক মানুষ তাদের বাড়ির ভেতরে আটকা পড়েছেন। টানা বৃষ্টির কারণে বাঘলান প্রদেশের পাঁচটির বেশি জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। অনেক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। তাদের জরুরি সহায়তা দরকার। দুর্গত এলাকায় সহায়তাকারী দল ও হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে। তবে রাতের বেলায় উদ্ধার কাজের উপযোগী আলোর ব্যবস্থা না থাকায় কাজ করা যাচ্ছে না।

মূলত গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আফগানিস্তানে অস্বাভাবিকভাবে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। গত এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে বন্যায় দেশটিতে ১০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। সেনাবাহিনীসহ জরুরি কর্মীরা কাদা ও ধ্বংসস্তূপের নিচে সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্তদের সন্ধান করছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তা হেদায়তুল্লাহ হামদর্দ।

তিনি বলেন, ঘরবাড়ি হারিয়েছে এমন কিছু পরিবারকে তাঁবু, কম্বল এবং খাবার সরবরাহ করা হয়েছে। বন্যায় কাবুলের সঙ্গে উত্তর আফগানিস্তানের সংযোগকারী প্রধান সড়কটিও বন্ধ হয়ে গেছে।

বিষয়:

জামিন পেলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতে লোকসভা নির্বাচনে তৃতীয় দফার ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। আর এর মাঝেই জামিন পেয়েছেন দিল্লির কারাবন্দি মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। শুক্রবার দেশটির সুপ্রিম কোর্ট তাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লোকসভা নির্বাচনের মাঝেই স্বস্তি পেয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আবগারি মামলায় অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হয়েছে আম আদমি পার্টির (এএপি) এই প্রধান নেতাকে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে ছিল কেজরিওয়ালের মামলার শুনানি। সেই শুনানি শেষেই আগামী ১ জুন পর্যন্ত অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে।

আগামী ১ জুন অর্থাৎ লোকসভা ভোটের শেষ দফা পর্যন্ত জেলের বাইরে থাকবেন কেজরিওয়াল। দিল্লির আবগারি নীতিকাণ্ডে গত ২১ মার্চ তাকে গ্রেপ্তার করেছিল ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।

ভারতের সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ২ জুন কেজরিওয়ালকে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে আত্মসমর্পণ করতে হবে।

উল্লেখ্য, স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে প্রথম ক্ষমতাসীন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কেজরিওয়াল গ্রেপ্তার হন। তার রাজনৈতিক দল আম আদমি পার্টি সে সময় জানিয়েছিল, গ্রেপ্তার হলেও কেজরিওয়াল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে থাকবেন।

গ্রেপ্তারের পর থেকে দেড় মাসের বেশি সময় ধরে বন্দি অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তার গ্রেপ্তার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করে আম আদমি পার্টি (আপ)।


banner close