সোমবার, ৩ জুন ২০২৪

তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্প: দাদি, মা ও শিশুকে বের করতে সুড়ঙ্গ খোঁড়া হচ্ছে

তুরস্কের আদিয়ামানে ভূমিকম্পের ১৭৮ ঘণ্টা পর ৬ বছর বয়সী এক শিশুকে উদ্ধার করা হয়। ছবি: এএফপি
আপডেটেড
১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ২২:৫৭
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ২২:৪০

তুরস্কের একটি বিধ্বস্ত ভবন থেকে সোমবার এক নারীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় গাজিয়ানতেপ থেকে সিবেল কায়া নামের ৪০ বছর বয়সী এক নারীকে উদ্ধার করা হয়েছে। আরেকটি উদ্ধারকারী দল কাহরামানমারাস শহরে ধ্বংসস্তুপে চাপা পড়া এক শিশু ও দুই নারীকে উদ্ধারে সুড়ঙ্গ খোঁড়া শুরু করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ধ্বংসস্তূপে এক মাস বয়সী শিশুটির সঙ্গে থাকা দুই নারীর একজন মা ও অন্যজন দাদি।

উদ্ধারকারী দল বলছে, পরিবারটি বেঁচে আছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাদের কোন সাড়াশব্দ মিলছে না। তবে থারম্যাল ক্যামেরায় উষ্ণতার রেখা দেখা যাওয়ায় উদ্ধারকারীরা পরিবারটি বেঁচে থাকার আশা হারিয়ে ফেলছেন না।

৫০ হাজার ছাড়াতে পারে মৃত্যু

তুরস্ক এবং সিরিয়ার ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে জাতিসংঘ আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। এখনো ধ্বংসস্তূপ থেকে একের পর এক দেহ উদ্ধার হচ্ছে। একই সঙ্গে জীবিত মানুষও উদ্ধার হচ্ছে।

এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৩৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তবে যেভাবে মরদেহ উদ্ধার হচ্ছে, তাতে জাতিসংঘ আশঙ্কা করছে নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে।

তুরস্ক সিরিয়ায় ভূমিকম্পের এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে। এখনো ধ্বংসস্তূপে চাপাপড়াদের উদ্ধারে অভিযান চলছে। তবে এত দীর্ঘ সময় ধ্বংসস্তূপে আটকা থাকা কাউকে জীবিত উদ্ধার করার আশা ক্রমশ কমে আসছে।

ডয়েচে ভেলে জানায়, জাতিসংঘের ত্রাণসংক্রান্ত সংস্থার প্রধান মার্টিন গ্রিফিথ গত রোববার দক্ষিণ তুরস্কে গিয়ে পৌঁছেছেন। তিনি সেখানে ত্রাণের কাজ খতিয়ে দেখছেন।

লুটপাটের অভিযোগ

এদিকে তুরস্কে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে দেদার লুটপাট শুরু হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, একের পর এক বাড়িতে ঢুকে লুটপাট চালানো হচ্ছে। দোকানে ঢুকে সব ছিনতাই করে নেয়া হচ্ছে। যে কারণে, দক্ষিণ তুরস্কের একাধিক দোকানের মালপত্র অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন দোকানদাররা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, আফগান এবং সিরিয়ার উদ্বাস্তুরা এই লুটপাটের ঘটনার সঙ্গে জড়িত। যদিও অভিবাসন-বিষয়ক একাধিক স্বেচ্ছাসেবক সংস্থা এই দাবি মানতে চায়নি। তাদের মতে, সব ধরনের মানুষই লুটপাতের সঙ্গে জড়িত। ডিক্রি জারি করেছেন। পুলিশ জানায়, লুটপাটের অভিযোগে গত রোববার অন্তত ৫৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদিকে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর বক্তব্য, লুটেরাদের মারধর করার অমানবিক ভিডিও সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

৫৮ ত্রাণবাহী ট্রাক:

ভূমিকম্পের পর তুরস্ক স্থলসীমান্ত হয়ে সিরিয়ায় বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে জাতিসংঘের অন্তত ৫৮টি ত্রাণবাহী গাড়ি প্রবেশ করেছে। বাব আল-হাওয়া স্থলসীমান্ত কর্তৃপক্ষ এ কথা জানায়। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার ৬টি, শুক্রবার ১৪টি, শনিবার ২২টি এবং রোববার ১০টি ট্রাক সিরিয়ায় প্রবেশ করেছে। এছাড়া সোমবার জাতিসংঘের ৬টি ত্রানবাহী ট্রাক সিরিয়ায় প্রবেশ করেছে।

ভয়ানক অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা মায়ের

দক্ষিণ তুরস্কের হাতায় প্রদেশে সামান্দাগ শহরে ভূমিকম্পের পর ১০ দিনের শিশুসন্তানকে নিয়ে প্রায় চার দিনের বেশি সময় ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা ছিলেন নেকলা কামুজ। নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া সেই ভয়ানক অভিজ্ঞতার কথা জানান নেকলা। তিনি বলেন, ভূমিকম্পের সেই সময়টিতে তিনি তার ছেলেকে নিজ বাড়ির ভেতরে খাওয়াচ্ছিলেন। এর কিছুক্ষণ পর তারা ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে যান। নেকলা এবং তার পরিবার একটি আধুনিক পাঁচতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় থাকতেন।

ভূমিকম্প যখন ভয়াবহ রূপ নেয়, তখন দেয়াল ভেঙে পড়ে। ৩৩ বছর বয়সী এই নারী নিজেকে তার বাচ্চা বুকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে থাকা অবস্থায় আবিষ্কার করেন। তার পাশে পড়ে থাকা ওয়ারড্রবটির কারণে কংক্রিটের একটি বড় স্ল্যাবে পিষ্ট হতে হতে তারা বেঁচে যান। প্রায় চার দিন তারা দুজন এই অবস্থায় ছিলেন। তিনি জানান, ধুলোর কারণে, প্রথমে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়েছিল। পরে ধীরে ধীরে সয়ে যায়। একটা সময় উদ্ধারের আশা প্রায় ছেড়ে দিতে চাইলেও তিনি জানতেন, তাকে তার সন্তানের দেখাশোনা করতে হবে। তাকে মনের জোর রাখতেই হবে। নেকলা তার সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়াতে সক্ষম হয়েছিলেন। কিন্তু নিজের জন্য কোনো পানি বা খাবার পাননি। ভূমিকম্পের প্রায় চার দিনের বেশি সময় পর উদ্ধারকারীরা নেকলা ও তার সন্তানকে উদ্ধার করে।

বিষয়:

হজের নতুন আইন কার্যকর করল সৌদি, ভাঙলে কঠোর শাস্তি

যারা অনুমতি ছাড়া হজ করবেন তাদের ১০ হাজার সৌদি রিয়াল জরিমানা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সৌদি আরবে পবিত্র হজবিষয়ক নতুন আইন কার্যকর হয়েছে। রোববার (২ জুন) থেকে এই আইন কার্যকর হওয়ার কথা, যা আগামী ২০ জুন পর্যন্ত চলবে। যারা হজের নতুন আইন এবং নির্দেশনা ভঙ্গ করবেন তাদের বিরুদ্ধে এই কয়েক দিন কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নতুন আইন অনুযায়ী, যারা এ বছর অনুমতি ছাড়া হজ করবেন তাদের ১০ হাজার সৌদি রিয়াল জরিমানা করা হবে, যা বাংলাদেশি অর্থে প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা। অনুমতি ছাড়া কেউ যদি হজযাত্রীদের পরিবহন করেন তাহলে তাদের ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার রিয়াল জরিমানা করা হবে, যা বাংলাদিশ অর্থে ১৫ লাখ টাকারও বেশি।

সৌদি আরব ঘোষণা দিয়েছে এবার অনুমতি ছাড়া কাউকে হজ করতে দেওয়া হবে না। অনুমতি ছাড়া কেউ মক্কা, পবিত্র স্থান, হারামাইন ট্রেন স্টেশন, নিরাপত্তা চৌকি, স্ক্রিনিং সেন্টার এবং অস্থায়ী চেকপয়েন্টগুলোর কাছে যেতে পারবেন না।

সৌদিতে যেসব প্রবাসী বসবাস করেন তারা যদি অনুমতি ছাড়া হজ করতে যান এবং আটক হন তাহলে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে এবং নির্দিষ্ট একটি সময়ের জন্য আর সৌদিতে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

এ ছাড়া অনুমতি ছাড়া যারা হজযাত্রীদের পরিবহন করবে তাদের প্রথমে জেলে পাঠানো হবে। সেখানে তাদের ছয় মাস আটক রাখা হবে। এরপর ফেরত পাঠানো হবে নিজ দেশে। এসব ব্যক্তিদেরও একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আর সৌদিতে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

ট্যুরিস্ট ভিসায় করা যাবে না হজ

ট্যুরিস্ট ভিসায় কেউ হজ করতে পারবে না বলে স্পষ্টভাবে জানিয়েছে সৌদি আরব। যাদের ট্যুরিস্ট ভিসা আছে তাদের ২ জুন থেকে ২১ জুন পর্যন্ত মক্কার বাইরে থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সৌদি জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ২০ হাজার জনকে পাওয়া গেছে, যারা হজের আইন ভঙ্গ করেছেন।


আম্বানিকে পেছনে ফেলে এশিয়ার শীর্ষ ধনী আদানি

গৌতম আদানি ও মুকেশ আম্বানি। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

আবারও সবচেয়ে ধনী ভারতীয়ের মুকুট উঠল গৌতম আদানির মাথায়। মুকেশ আম্বানিকে পেছনে ফেলে ১১১ বিলিয়ন ডলার সম্পত্তি নিয়ে গৌতম আদানিই এখন ভারত তথা এশিয়ার শীর্ষ ধনী ব্যক্তি। খবর এনডিটিভির।

ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্সের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি বাড়ায় ধনীর তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছেন আদানি। গত ২৪ ঘণ্টায় তার সম্পত্তি ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে একই সময়ে মুকেশ আম্বানির সম্পত্তি মাত্র ৭৬ দশমিক ২ মিলিয়ন বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বিপুল পরিমাণে সম্পত্তি বৃদ্ধির জেরেই নিজের আসন পাকা করেছেন আদানি।

ব্লুমবার্গের তালিকায় ১১১ বিলিয়ন ডলার সম্পত্তি নিয়ে ১১তম স্থানে অবস্থান করছেন গৌতম আদানি, যা এশিয়া ও ভারতের মধ্যে প্রথম। অন্যদিকে মুকেশ আম্বানি এই তালিকায় ১২তম স্থানে রয়েছেন। তার সম্পত্তির পরিমাণ ১০৯ বিলিয়ন ডলার। তিনি বর্তমানে ভারত তথা এশিয়ার দ্বিতীয় ধনীতম ব্যক্তি।

গত ২৪ ঘণ্টায় সম্পত্তি বৃদ্ধির নিরিখে গৌতম আদানি ইলন মাস্ক, ওয়ারেন বাফেট, মার্ক জুকারবার্গ ও বিল গেটসকেও পেছনে ফেলে দিয়েছেন। আর সে কারণেই এক লাফে ১১ নম্বর স্থানে উঠে আসতে পেরেছেন আদানি।

২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে প্রকাশ পাওয়া হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের জেরে বিধ্বস্ত হয়েছিল আদানি সাম্রাজ্য। বিশ্ব ধনী তালিকার চতুর্থ স্থান থেকে সরাসরি ৩০ নম্বরে ছিটকে গিয়েছিলেন এই ধনকুবের। যদিও বড় ধাক্কা কাটিয়ে এক বছরের মধ্যেই ফের ঘুরে দাঁড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছেন গৌতম আদানি।


দৃষ্টিনন্দন আগুনের নদী!

আইসল্যান্ডের লাভাময় নদী। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সম্প্রতি দক্ষিণ-পশ্চিম আইসল্যান্ডের একটি আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়। শুক্রবার পর্যন্ত এটি রেকর্ড পরিমাণ লাভা নির্গত করেছে। আইসল্যান্ডে পাহাড়ের পাশঘেঁষে বয়ে যাচ্ছে এক বিচিত্র নদী। তবে এতে নেই পানির প্রবাহ। এর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে আগ্নেয়গিরি ও লোহিত লাভা। দূর থেকে দেখতে এ যেন দৃষ্টিনন্দন আগুনের নদী!

আইসল্যান্ডের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, এ অগ্ন্যুৎপাতের এক দিন পর থেকে লাভার প্রবাহ শুরু হয়। লাভার স্রোত আইসল্যান্ডের গ্রিনডাভিস শহরে আঘাত হানে। তবে আগে থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

অন্তত চার হাজার মানুষ অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। অগ্ন্যুৎপাতের জেরে আগ্নেয়গিরিতে দুই কিলোমিটার দীর্ঘ একটি ফাটল দেখা দিয়েছে। এ ফাটল থেকে ঊর্ধ্বে উঠে আবার ভূপৃষ্ঠে আছড়ে পড়ছে লাভা। এ যেন ‘প্রকৃতির আতশবাজি।’ রাতে এ দৃশ্য অনন্যসুন্দর আবহ সৃষ্টি করে। আগ্নেয়গিরির কারণে পার্শ্ববর্তী ব্লু লেগুন নামের জনপ্রিয় স্পা সেন্টার বন্ধ রাখা হয়েছে। ওই এলাকায় পর্যটকদের যেতে দেওয়া হচ্ছে না।

গত ডিসেম্বর থেকে পঞ্চমবারের মতো আগ্নেয়গিরিটিতে অগ্ন্যুৎপাত হলো। অগ্ন্যুৎপাতের স্থান থেকে আইসল্যান্ডের রাজধানী রেইকজাভিক মাত্র ৩০ মাইল দূরে। এ থেকে সৃষ্ট গ্যাসের কারণে রাজধানীর বাতাস দূষিত হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন আবহাওয়াবিদরা। আইসল্যান্ডের আবহাওয়া অফিস জানায়, সুন্দনুকুর নামের ওই আগ্নেয়গিরিটি ৮০০ বছর সুপ্ত অবস্থায় ছিল। তিন বছর আগে এটি সক্রিয় হয়।


ভারতে তাপপ্রবাহ: হিটস্ট্রোকে ৩৩ জনের মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের ভারতে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে অন্তত ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীও রয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার তাদের মৃত্যু হয়।

ভারতের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর (আইএমডি) এক পূর্বাভাসে জানিয়েছে, ‘আজ শনিবারও দেশটিতে তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে।’

মে মাসের শুরু থেকে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে তাপপ্রবাহ। চলতি সপ্তাহে রাজধানী নয়াদিল্লিতে তাপমাত্রা উঠেছিল ৫২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা ভারতের ইতিহাসে একদিনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড।

আইএমডির পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সামনের দিনগুলোতে উত্তরপশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে তাপপ্রবাহ নামতে পারে, তবে পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে তা আরও দু’দিন অব্যাহত থাকবে।

আবহাওয়া দপ্তর আরও বলেছে, গ্রীষ্মকালে ভারত যে গড় তাপমাত্রা থাকে—তার তুলনায় চলতি গ্রীষ্মে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ৪ দশমিক ৫ থেকে ৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি গরম পড়েছে।

আগের দিন বৃহস্পতিবার পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য বিহারে গরম-হিটস্ট্রোকে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এই মৃতদের মধ্যে ১০ জনই চলমান লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে ছিলেন। ভারতের নির্বাচন আয়োজোনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা-কর্মীদের সারাদিন কাজের মধ্যে থাকতে হয়, অনেক ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় বাইরেও কাটাতে হয়।

ভারতের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য উত্তর প্রদেশে শুক্রবার হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৯ নির্বাচন কর্মকর্তা-কর্মীর। মৃতদের মধ্যে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীও রয়েছেন। এ ছাড়া গরমজনিত অসুস্থতায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও অন্তত ২৩ জন।

বিষয়:

ভারতে লোকসভা নির্বাচনের শেষ ধাপের ভোট শুরু

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতে চলমান লোকসভা নির্বাচনের সপ্তম ধাপের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে।

আজ শনিবার পশ্চিমবঙ্গসহ আট রাজ্য ও এক কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল মিলিয়ে ৫৭ আসনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের বারাসাত, বসিরহাট, ডায়মন্ড হারবার, দমদম, জয়নগর, যাদবপুর, মথুরাপুর, দক্ষিণ কলকাতা ও উত্তর কলকাতা- এই নয় আসনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।

পশ্চিমবঙ্গের এই ৯ লোকসভা আসনে মোট ১৭,৪০০টি বুথে চলছে ভোট অনুষ্ঠান। এর মধ্যে ৩,৭৪৮টি স্পর্শকাতর ও অতি স্পর্শকাতর বুথ হিসেবে চিহ্নিত করেছে ইসি।

এর আগে ভারতে ছয় ধাপের ভোট নির্বিঘ্নে মিটেছে। যতটুকু বিক্ষিপ্ত গোলযোগের খবর মিলেছিল তা বাংলা থেকেই। ফলে শেষ ধাপের ভোটপর্বে নিরাপত্তায় আরও নজর বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ৯০ হাজারের বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন করা হয়েছে। যারা ভোটকেন্দ্রে পাহারায় রয়েছেন। পাশাপাশি রাখা হয়েছে ৬০ হাজার আধা সামরিক বাহিনী। যারা কুইক রেস্পন্স টিম (কিউআরটি) হিসেবে কাজ করবে।

কোথাও কোনো অশান্তি বাধলেই মুহূর্তে ছুটে যাবে সেই টিম। বাড়ানো হয়েছে পুলিশের সংখ্যা। বাংলার পুলিশের সঙ্গে আরও চার রাজ্যের পুলিশসহ ৩৩ হাজার সশস্ত্র পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তাদের ভোট কেন্দ্রে ঢোকার অনুমতি নেই। মাঠ পর্য়ায়ের গোলযোগ সামলাবেন তারা। চরম নজরদারি থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং কলকাতা পুলিশের। বহু স্পর্শকাতর এলাকায় ব্যবহার করা হবে ড্রোন।

পশ্চিমবঙ্গের এই ৯ আসনের মূল রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল এবং বিজেপি। কোথাও জোট বেঁধেছে সিপিএম এবং কংগ্রেস। এ ছাড়া রয়েছে বহু স্বতন্ত্র প্রার্থী। সব মিলিয়ে ১২৪ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করছেন ১ কোটি ৬৩ লাখের মতো ভোটার। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮৩ দশমিক ১৯ লাখ, নারী ভোটার ৮০.২০ লাখ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৫৩৮ জন।

শেষ ধাপের ভোটেও ভিআইপি প্রার্থীরা রয়েছেন। এর মধ্যে অন্যতম বিজেপির শীর্ষ নেতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তৃতীয়বারের জন্য সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার লক্ষ্যে উত্তরপ্রদেশের বারাণসী কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছেন মোদি। এই কেন্দ্রে তার প্রধান প্রতিপক্ষ কংগ্রেসের অজয় রাই।

বিষয়:

ভারত সীমান্তে চীনের অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান!

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতের সিকিম সীমান্ত থেকে ১৫০ কিলোমিটারের কম দূরত্বে ৬টি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান জে-২০ স্টিলথ ফাইটার মোতায়েন করেছে চীন। গত ২৭ মের স্যাটেলাইট ইমেজ থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।

তিব্বতের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর শিগাৎসেতে অবস্থিত সামরিক এবং বেসামরিক দ্বৈত ব্যবহার উপযোগী বিমানবন্দরের ফ্লাইট লাইনে চীনা বিমানবাহিনীর জে-২০ স্টিলথ ফাইটারের উপস্থিতি দেখা গেছে স্যাটেলাইট ইমেজে। বিমানবন্দরটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১২ হাজার ৪০৮ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। এটি বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চ বিমানবন্দর। একটি কেজে-৫০০ এয়ারবর্ন আর্লি ওয়ার্নিং এবং কন্ট্রোল এয়ারক্রাফটও চোখে পড়েছে।

চীনা যুদ্ধবিমানগুলোর উপস্থিতি সম্পর্কে ভারতীয় বিমানবাহিনী (আইএএফ) অবগত থাকলেও এ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেনি।

অল সোর্স অ্যানালাইসিস বলছে, জে-২০ স্টিলথ ফাইটার হচ্ছে এখন পর্যন্ত চীনের সবচেয়ে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান। তিব্বতের শিগাৎসেতে এই যুদ্ধবিমানগুলো মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকাটি চীনের স্বাভাবিক অপারেশন এলাকার বাইরে এবং ভারতীয় সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত।

চীনের জে-২০ যুদ্ধবিমানকে মোকাবিলার জন্য ভারত মোতায়েন করেছে ফ্রান্সে নির্মিত ৩৬টি রাফায়েল যুদ্ধবিমানের বহর। এর মধ্যে আটটি রাফায়েল বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর (ইউএসএএফ) সঙ্গে বিমানযুদ্ধ অনুশীলনের জন্য আলাস্কায় রয়েছে।

উল্লেখ্য, যেখানে চীনা জে-২০ যুদ্ধবিমানগুলোকে দেখা গেছে সেই স্থানটি পশ্চিমবঙ্গের হাসিমারা থেকে ২৯০ কিলোমিটারেরও কম দূরত্বে অবস্থিত। আর হাসিমারাতেই ভারত তার ১৬টি রাফায়েলের দ্বিতীয় স্কোয়াড্রন স্থাপন করেছে।

তিব্বতে চীনা জে-২০ যুদ্ধবিমান মোতায়েনের ঘটনা এটাই প্রথম নয়। ২০২০ এবং ২০২৩ সালের মধ্যে চীনের হোটান প্রিফেকচারের জিনজিয়াংয়ে যুদ্ধবিমানগুলো দেখা গিয়েছিল। তবে এবারই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক জে-২০ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

চেংডু জে-২০ যুদ্ধবিমান মাইটি ড্রাগন নামেও পরিচিত। ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো চালু করা হয়েছিল দ্বৈত ইঞ্জিনের এই যুদ্ধবিমান। জে-২০ কে রাডারে পর্যবেক্ষণ করা বেশ কঠিন। বেশ কিছু প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, চীন ইতিমধ্যেই বিভিন্ন স্থানে প্রায় ২৫০টির মতো জে-২০ মোতায়েন করেছে।

বিমানবাহিনীতে এই যুদ্ধবিমান অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে চীন বিশ্বের তৃতীয় দেশ হয়েছে যাদের ‘স্টিলথ’ যুদ্ধবিমান আছে, আর এই স্টিলথ যুদ্ধবিমানের রয়েছে রাডারকে ফাঁকি দেওয়ার বিশেষ দক্ষতা। জে-২০ যুদ্ধবিমানের আধুনিকায়ন চলছেই। আকাশে শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রাখাই এর প্রাথমিক ভূমিকা।

চীনের সবচেয়ে উন্নত এয়ার-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম এই যুদ্ধবিমান। এর মধ্যে রয়েছে পিএল-১৫ দূরপাল্লার এয়ার-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র- যা ৩০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম বলে ধারণা করা হয়।

অল সোর্স অ্যানালাইসিস সিম টাক বলছে, চীন গত পাঁচ বছরে তিব্বত এবং ভারতের নিকটবর্তী অন্যান্য অঞ্চলে ক্রমাগতভাবে তার আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে। এর মধ্যে প্রাথমিকভাবে ছিল নতুন বিমান ঘাঁটি নির্মাণ এবং বিদ্যমান বিমান ঘাঁটির অবকাঠামোগত উন্নত করা। চীন অন্তত অস্থায়ী ভিত্তিতে এই সীমান্ত অঞ্চলে জে-২০ এবং এইচ-৬ এর মতো পারমাণবিক বোমা বহনে সক্ষম বোমারু বিমান মোতায়েন শুরু করেছে।


বিহারে তীব্র গরমে ১৬ জনের মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতের বিহারে তীব্র গরমে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঔরঙ্গাবাদ জেলা হাসপাতালে বৃহস্পতিবার তাদের মৃত্যু হয়। এ দিন বিহারে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। খবর এনডিটিভির।

হাসপাতালের একজন ডাক্তার জানান, আরও অন্তত ৩৫ জন রোগীকে তাপজনিত কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তাদের চিকিৎসার সব ব্যবস্থা হাসপাতালে রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ডাক্তার, ওষুধ ও বরফের প্যাক রয়েছে এবং আরও ‘কুলারের’ ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বিহারে অনেক দিন থেকেই তাপপ্রবাহ চলছে। বুধবার রাজ্য সরকার সব বেসরকারি এবং সরকারি স্কুল, কোচিং ইনস্টিটিউট এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলো ৮ জুন পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কারণে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার পরে এই সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার।

এদিকে, শেখপুরা জেলার একটি সরকারি স্কুলে অন্তত ১৬ জন মেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল। অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করতে না পারায় তাদের টু-হুইলার এবং ই-রিকশায় করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বেগুসরাই এবং জামুই থেকেও ছাত্রদের অজ্ঞান হওয়ার খবর এসেছে।

আরজেডি নেতা এবং প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব বিহার সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, বিহারে গণতন্ত্র বা কোনো সরকার নেই। শুধু আমলাতন্ত্র আছে। কেন এখানকার মুখ্যমন্ত্রী এত দুর্বল? এখানে তাপমাত্রা ৪৭ ডিগ্রি। ডাক্তাররা বলছেন, এমন আবহাওয়ায় শিশুদের সুরক্ষা দিতে হবে। এর মধ্যে এখানে কেন স্কুল খোলা থাকবে?

ভারতের আবহাওয়া বিভাগ রাজ্যে আগামী দুই দিনের জন্য তীব্র তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে।


আদালতে দোষী সাব্যস্ত হলেন ট্রাম্প

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত হয়েছে। সামনে আমেরিকান নির্বাচন। তার কয়েক মাস আগেই নিউইয়র্কের জুরি গতকাল বৃহস্পতিবার তাকে আর্থিক কারচুপির সব মামলায় দোষী সাব্যস্ত করেছেন।

জুরি তাকে পর্ণ তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে চুপ থাকার জন্য ঘুষ প্রদানের বিষয়টি গোপন রাখতে মিথ্যা ব্যবসার রেকর্ডের ৩৪টি হিসাবের প্রতিটিতে দোষী সাব্যস্ত করেছে। আইনি বিধান অনুযায়ী প্রতিটি হিসাবের জন্য তার চার বছরের কারাদণ্ডের সাজা হতে পারে। তবে আদালতে আচরণ পর্যবেক্ষণের পর তার সাজা মওকুফের সম্ভাবনা বেশি।

৭৭ বছর বয়সী রিপাবলিকান ট্রাম্প যিনি জামিন ছাড়াই মুক্তি পেয়েছিলেন। তিনি এখন একজন অপরাধী, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এটি প্রথম একটি ঐতিহাসিক এবং চমকপ্রদ ঘটনা।

এই অবস্থায়ও ট্রাম্প নভেম্বরের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে হারানোর জন্য তার যুদ্ধ চালিয়ে যাবেন। এমনকি তাকে যদি কারাগারেও যেতে হয় তবুও তিনি তার অবস্থান বজায় রাখবেন।

ট্রাম্পের আইনজীবী টোড ব্ল্যাঞ্চ বলেছেন, তার দল ‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব’ আপিলের দিকে নজর রাখছে’ এবং ট্রাম্প নিজেই এই রায়ের তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করেছেন।

ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি খুবই নিরপরাধ মানুষ’। নির্বাচনের দিন ভোটারদের কাছ থেকে আমার পক্ষে ‘প্রকৃত রায়’ আসবে বলে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বিচারটিকে ‘সাজানো’ এবং ‘অসম্মানজনক’ বলে উল্লেখ করেছেন।

বাইডেনের প্রচারাভিযান একটি বিবৃতি জারি করে বলেছে, বিচার দেখিয়েছে ‘কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।’ এতে বলা হয়, ‘ট্রাম্প আমাদের গণতন্ত্রের জন্য যে হুমকি সৃষ্টি করেছেন তা এর চেয়ে বড় কখনও হয়নি।’

বিচারক জুয়ান মার্চান মিলওয়াকি সিটিতে রিপাবলিকান ন্যাশনাল কনভেনশনের চার দিন আগে ১১ জুলাই থেকে সাজার ঘোষণা করেন। যেখানে ট্রাম্প পার্টির আনুষ্ঠানিক মনোনয়ন পাওয়ার কথা।

১২-সদস্যের জুরি দুই দিন ধরে ১১ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আলোচনার পর ফোরম্যান (জুরি) কয়েক মিনিটের মধ্যে রায়ের সর্বসম্মত উপসংহারটি পাঠ করেন।

বিচারক মার্চান ‘কঠিন এবং চাপের কাজ’ সম্পন্ন করার জন্য বিচারকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।


গাজায় ইসরায়েলের নৃশংস হামলা, ২৪ ফিলিস্তিনি নিহত

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় ২৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

আজ শুক্রবার পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এবং সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

নিহতদের মধ্যে উপত্যকাটির রাফা শহরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১২ ফিলিস্তিনি। এ ছাড়া পৃথক তিনটি হামলায় গাজায় আরও ১২ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি বাহিনী বৃহস্পতিবার দক্ষিণ গাজার রাফাতে বিমান হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ১২ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে বলে গাজার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। এ ছাড়া উপকূলীয় এই ভূখণ্ডের আরও বেশ কয়েকটি এলাকায় লড়াই চলছে।’

গাজা উপত্যকা এবং মিসরের মধ্যে নিকটবর্তী সীমান্ত বরাবর একটি বাফার জোনের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কথা জানানোর একদিন পর ইসরায়েল রাফাতে এই আক্রমণ চালালো। সীমান্ত বরাবর অবস্থিত এই বাফার জোন ফিলাডেলফি করিডোর নামে পরিচিত এবং এটি দখলে নেওয়ার মাধ্যমে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের সমগ্র স্থল সীমান্তের ওপর কার্যকর কর্তৃত্ব ও নিয়ন্ত্রণ পেয়েছে ইসরায়েল।’

গাজার চিকিৎসা সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় নিহত ১২ ফিলিস্তিনির সকলেই বেসামরিক নাগরিক। হামলায় আরও অনেক অনির্দিষ্ট সংখ্যক আহত হয়েছেন। রাফা শহরের কেন্দ্রস্থলে বেসামরিক এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধারের চেষ্টা করার সময় ইসরায়েল এই বিমান হামলা চালায় এবং এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।

এ ছাড়া ঘনবসতিপূর্ণ এই ভূখণ্ডের উত্তরে গাজা শহরের পশ্চিমে আল-শাতি শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলায় আরেক ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

ইসরায়েল দক্ষিণ, মধ্য এবং উত্তর গাজায় সংঘর্ষের খবর দিয়েছে কিন্তু রাফাতে প্রাণঘাতী হামলা চালানোর বিষয়ে তারা তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য করেনি। মূলত ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে লাখ লাখ বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি এই শহরেই আশ্রয় নিয়েছেন।

ফিলিস্তিনি টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি জাওয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রাফা শহরে যোগাযোগ পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

ইসরায়েলের হামলা ইতোমধ্যেই গাজার এই শহরে ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করেছে। এ ছাড়া হামলার জেরে ভূখণ্ডের বেশিরভাগ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং সেখানে মানবিক বিপর্যয় ও ব্যাপক ক্ষুধাও সৃষ্টি হয়েছে। ইসরায়েল দাবি করেছে, ‘তারা অবশ্যই রাফাতে হামাসের শেষ অবশিষ্ট ব্যাটালিয়নগুলোকে নির্মূল করবে।’

মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

এদিকে আল জাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বুরেইজ শরণার্থী শিবিরে আল-হুর পরিবারের বাড়িতে হামলা চালিয়ে কমপক্ষে চারজনকে হত্যা করেছে বলে স্থানীয় মিডিয়া রিপোর্ট করছে।

এ ছাড়া ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বুরেইজ শরণার্থী শিবিরে আল-সুস পরিবারের বাড়িতে বোমা হামলা চালিয়ে নারী ও শিশুসহ পাঁচজনকে হত্যা করে। পরে ওই হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭ জনে পৌঁছায়।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

বিষয়:

আফ্রিকা থেকে শত শত টন সোনা পাচার হচ্ছে আরব আমিরাতে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

আফ্রিকা থেকে সোনার পাচার গত কয়েক দশক ধরে বেড়েছে। এ মহাদেশ থেকে প্রতি বছর বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের শত শত টন সোনা পাচার হয়। এই পাচার সোনার বেশির ভাগই যায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে। আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

সুইসএইড নামে একটি সংস্থার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০২২ সালে আফ্রিকা থেকে ৪৩৫ টন সোনা পাচার হয়, যার অর্থমূল্য ৩০ বিলিয়ন ডলার। এসব সোনার বেশির ভাগই ছোট মাপের খনি শ্রমিকদের খনন করা। রয়টার্স এমনটি জানায়।

সুইসএইড বলছে, আফ্রিকা থেকে পাচার হওয়া সোনার প্রধান গন্তব্য সংযুক্ত আর আমিরাত। ২০২২ সালে ৪০৫ টন সোনা পাচার হয়ে দেশটিতে যায়। গত এক দশকে আড়াই হাজার টনের বেশি পাচার সোনা সংযুক্ত আরব আমিরাতে গিয়েছে। সংস্থাটি বলছে, এর আর্থিক মূল্য ১১৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।

সংস্থাটির প্রতিবেদনে আফ্রিকান সোনা কেনাবেচার ক্ষেত্রে দুবাইকে একটি আন্তর্জাতিক কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব সোনা পরে সুইজারল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে যায়। দুবাইয়ে সোনা যায় উড়োজাহাজে। লাগেজে করে সোনা বহন করা হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে নিয়মিত ফ্লাইটের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জেট উড়োজাহাজও ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে জানতে চাইলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কর্মকর্তারা বলেন, দেশটি স্বর্ণ চোরাচালান নিয়ে উদ্বেগ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে এবং সোনাসহ অন্যান্য মূল্যবান ধাতুর ওপর নতুন বিধিবিধান আরোপ করছে।

২০১৯ সালে রয়টার্সের এক অনুসন্ধানেও দেখা যায়, কয়েক বিলিয়ন ডলার মূল্যের সোনা প্রতি বছর আফ্রিকা থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাচার হয়ে থাকে। দেশটি ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য বাজারের প্রবেশপথ হিসেবে কাজ করছে।

বিশেষজ্ঞসহ বিভিন্ন দেশের সরকার সতর্ক করে বলছে, এ পরিমাণে সোনার চোরাচালান বিশাল এক সমান্তরাল অবৈধ অর্থনীতির ইঙ্গিত দেয়, যা সম্ভাব্য অর্থ পাচার, সন্ত্রাসী অর্থায়ন ও নিষেধাজ্ঞা ফাঁকির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এর সঙ্গে রাজস্ব ফাঁকির বিষয়টিও রয়েছে।


বিশ্বে ২০২৩ সালে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর বেড়েছে ৩০ শতাংশ

৭৪ শতাংশই ইরানে
আপডেটেড ৩০ মে, ২০২৪ ১২:০২
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সারাবিশ্বে ২০২৩ সালে রেকর্ড করা মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা গত ৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল গতকাল বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে।

অ্যামনেস্টির বার্ষিক প্রতিবেদন বলছে, ২০২৩ সালে ১৬ দেশে ১ হাজার ১৫৩ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের তথ্য রেকর্ড করা হয়েছে। আগের বছরের (২০২২ সাল) তুলনায় এই সংখ্যা ৩০ শতাংশ বেশি।

গত বছর ইরানসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সংখ্যা অনেক বাড়তে দেখে গেছে। গত বছর বিশ্বে যত মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনা ঘটেছে, তার মধ্যে ৭৪ শতাংশই ইরানে। অ্যামনেস্টি বলছে, সংখ্যার হিসাবে তা অন্তত ৮৫৩। ২০২২ সালে ইরানে ৫৭৬ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল। আগের বছর এ সংখ্যা ছিল ৩১৪ জন। গত বছর ইরানে মাদক-সংক্রান্ত অপরাধের ঘটনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।

অ্যামনেস্টির রেকর্ড অনুযায়ী, এর আগে বিশ্বে ২০১৫ সালে সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ৬৩৪টি মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনা ঘটেছিল। এরপর ২০২৩ সালেই বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনা ঘটল।

অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে চীন, উত্তর কোরিয়া ও ভিয়েতনামে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা যায়নি। বিশেষ করে চীনে প্রতিবছর অনেক মানুষের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় বলে ধারণা করা হয়।

অ্যামনেস্টির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে যত মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনা ঘটেছে, তার মধ্যে ১৫ শতাংশই ঘটেছে সৌদি আরবে। তবে গত বছর জাপান, বেলারুশ, মিয়ানমার ও দক্ষিণ সুদানে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের তথ্য বিশেষভাবে উল্লেখ করেছে অ্যামনেস্টি। এতে বলা হয়, পশ্চিমা উন্নত দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র যুক্তরাষ্ট্রে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান চালু আছে। ২০২৩ সালে দেশটিতে ২৪ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। আগের বছর এ সংখ্যা ছিল ১৮।


প্রথম নাইটক্লাব খুলল সৌদি আরব, প্রবেশ করতে পারবেন নারীরাও

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ব্যাপক রক্ষণশীল দেশ হিসেবে পরিচিত সৌদি আরবে এক সময় নারীরা প্রায় পুরোপুরি অন্তপুরবাসী ছিলেন। কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ তো দূর, একসময় স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখা, সিনেমা হলে গিয়ে ফিল্ম দেখা এমনকি গাড়ি চালানোরও অনুমতি ছিল না তাদের।

দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই চিত্র বদলাতে শুরু করে। নারীদের জন্য কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের দরজা খুলে যায়, সেই সঙ্গে অন্যান্য সামাজিক বিধিনিষেধও কেটে যেতে শুরু করে।

এই ধারাবাহিকতায় ধনী নাগরিকদের নৈশজীবন উদযাপনের জন্য প্রথম নাইটক্লাব খুলেছে সৌদি আরব। চলতি মে মাসই রিয়াদের অভিজাত এলাকা জাক্সে উদ্বোধন করা হয়েছে ‘বিস্ট হাউস’ নামের এই নাইটক্লাব। নাইটক্লাবটিতে নারীদের প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়েছে।

সেই সঙ্গে রয়েছে মিউজিক ভেন্যু, একাধিক স্টুডিও, ডাইনিং এরিয়া এমনকি জমজমাট ডিজে পার্টির ব্যবস্থাও। তবে ১৯৫০ সালে দেশজুড়ে মদ নিষিদ্ধের যে আইন জারি করেছিল সৌদির তৎকালীন প্রশাসন, তা এখনো বলবৎ থাকায় বিস্ট হাউসে মদ নিষিদ্ধ। হাউসে আগত অতিথিদের কেবল মকটেল (ফল, মধু/সিরাপ দিয়ে তৈরি এক প্রকার অ্যালকোহলমুক্ত পানীয়) এবং বিভিন্ন অ্যালকোহলমুক্ত পানীয় খেতে পারবেন।

নাইটক্লাবে যেসব রক্ষী বা বাউন্সার রয়েছেন, তাদেরও মূল দায়িত্ব হলো আগত অতিথিদের মধ্যে কেউ অ্যালকোহল নিয়ে এসেছেন কি না তা লক্ষ্য রাখা।

বিস্ট হাউসে অবশ্য সর্বসাধারণের প্রবেশাধিকার নেই। কেবল স্থায়ী সদস্যরাই ক্লাবটিতে প্রবেশ করতে পারবেন; আর বিস্ট হাউসের সদস্য হতে হলে প্রতি বছর সদস্য ফি হিসেবে খরচ করতে হবে অন্তত ১ হাজার ৯০০ ইউরো বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ লাখ ৪২ হাজার ৪৬৭ টাকা। সৌদির ধনবান নাগরিকদের জন্য অবশ্য এই অর্থ প্রায় কিছুই নয়।

প্রসঙ্গত, অনেক দিন ধরে পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে কাজ করছে সৌদি, আমন্ত্রণ জানাচ্ছে বিদেশিদের। তবে এতদিন দেশটিতে বিদেশিদের পার্টি করার কোনো স্থায়ী জায়গা ছিল না। এবার সে অভাব পূরণ হলো। ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মরুর দেশটি চালু করল নাইটক্লাব।

নাইটক্লাবে আগত সৌদি তরুণী নৌফ ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইলকে উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বলেন, ‘এটা একটা নুতন জীবন। আমরা, বিশেষ করে সৌদি নারীরা আবার নতুন করে জন্মাচ্ছি।’


এভারেস্ট জয় করতে গিয়ে ভারতীয় পর্বতারোহীর মৃত্যু

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

এভারেস্ট জয় করতে গিয়ে এবার প্রাণ গেল এক ভারতীয় পর্বতারোহীর। আজ মঙ্গলবার নেপালের পর্যটন বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এভারেস্ট থেকে গত সপ্তাহে উদ্ধার করা হয়েছিল ৪৬ বছর বয়সি বংশী লালকে। এরপর কাঠমান্ডুর এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল; কিন্তু এদিন হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে। এর ফলে চলতি মৌসুমে বিশ্বের সর্বোচ্চ শিখর জয় করতে গিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮ জনে।

জানা গেছে, ৮০০০ মিটারের ওপরে বাতাসের ঘনত্ব অত্যন্ত কম থাকে। তাই অক্সিজেনও কম থাকে। তার ওপর মাঝেমধ্যেই তুষার ঝড় সৃষ্টি হয়। এতে মূলত হতাহতের ঘটনা ঘটে। ৪৬ বছরের বংশী লালের মৃত্যুর আগে একজন ব্রিটিশ পর্বতারোহী এবং একজন নেপালি গাইডসহ আরও বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে চলতি মৌসুমে। সব মিলিয়ে এই মৌসুমে এখন পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত বছর মোট ১৮ জনের প্রাণহানি হয়েছিল।

তা ছাড়া বুধবার ৩০ বার মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় ওঠে নিজের রেকর্ড ভেঙেছেন কামি রিতা শেরপা। ১০ দিনের মাথায় দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গের চূড়ায় ওঠেন তিনি। অন্য আরেক শেরপা এখন পর্যন্ত ২৭ বার এভারেস্টের চূড়ায় উঠেছেন। তার অবস্থান কামি রিতার পরে।

বিষয়:

banner close