মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪

পুতিন কি লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন
আপডেটেড
২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০৯:৫৫
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০

ইউক্রেনে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রুশ বাহিনীর হাজার হাজার সেনা যখন বিশাল ট্যাংক আর সাঁজোয়া বহর নিয়ে কিয়েভের দিকে এগিয়ে যেতে শুরু করে, তখন ইউক্রেনের পরাজয় মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর একটি দেশের বিরুদ্ধে এক অসম লড়াইয়ে ইউক্রেন কত দিন টিকতে পারবে, তা নিয়ে অনেকেই ছিলেন সন্দিহান। কিন্তু এক বছর পর এই যুদ্ধ এখনো চলছে।

বিবিসি বাংলা জানায়, যুদ্ধে উভয় পক্ষেরই বিরাট ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু সবাইকে যা অবাক করেছে, তা হলো রাশিয়ার মতো এক বিরাট ক্ষমতাধর দেশের সামরিক দুর্বলতা। যুদ্ধে প্রথম কিছু সাফল্য দেখালেও রাশিয়াকে ইউক্রেনের অনেক এলাকা হতে পিছু হটতে হয়েছে। এতে রাশিয়া তার লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে কি না, সেই প্রশ্ন উঠেছে।

মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের মালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং সমর বিশেষজ্ঞ ড. সৈয়দ মাহমুদ আলী বলেন, এই যুদ্ধ শুরুর সময় রাশিয়ার ঘোষিত লক্ষ্য ছিল তিনটি। প্রথম, কিয়েভে, মস্কোর ভাষায়, যে নাৎসিবাদীরা ক্ষমতায়, তাদের উৎখাত করা; দ্বিতীয়ত ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনীকে নিরস্ত্র করা; তৃতীয়ত, ইউক্রেন যেন কোনো দিন ন্যাটো জোটের সদস্য হতে না পারে, তার ব্যবস্থা করা।

অধ্যাপক সৈয়দ মাহমুদ আলী বলেন, নাৎসি বলতে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন কাদের বুঝিয়েছেন, তা স্পষ্ট নয়। তবে দক্ষিণ ইউক্রেনের রুশ ভাষাভাষী মানুষের বিরুদ্ধে আযভ ব্যাটালিয়ন নামে যে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি তৎপর ছিল, তাদের নিষ্ক্রিয় করতে পেরেছে রাশিয়া। কাজেই বলা যায়, প্রথম লক্ষ্য তারা অর্জন করেছেন। রাশিয়ার দ্বিতীয় লক্ষ্য, ইউক্রেনীয় বাহিনীকে নিরস্ত্র করা, সে ক্ষেত্রে তো সফলতা না থাকার প্রসঙ্গে অধ্যাপক সৈয়দ মাহমুদ আলী বলেন, যুদ্ধে রুশ বাহিনীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও ইউক্রেনীয় বাহিনীও কিন্তু বেশ দুর্বল হয়েছে। কিন্তু ইউক্রেন ন্যাটো জোটের কাছ থেকে বিপুল সামরিক সহায়তা পেয়েছে, আরও পাবে বলে প্রতিশ্রুতি পেয়েছে। এসব প্রতিশ্রুতি যদি বাস্তবায়িত হয়, ইউক্রেনের বাহিনী আরও বেশ কিছুদিন যুদ্ধ করে যাওয়ার শক্তি পাবে। সুতরাং বলা যেতে পারে ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনী নিষ্ক্রিয় করা সম্ভব হয়নি।

তিনি আরও বলেন, ন্যাটো জোটে কিন্তু ইউক্রেন এখনো যোগ দিতে পারেনি। যত দিন সেখানে যুদ্ধ চলছে, ইউক্রেনের কিছু অস্ত্র রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকছে, তত দিন হয়তো ইউক্রেন ন্যাটো জোটের অংশ হতে পারবে না। কাজেই বলা যেতে পারে রাশিয়া তাদের কিছু লক্ষ্য অর্জন করেছে, কিছু করতে পারেনি।

রাশিয়াকে কি একঘরে করা গেছে

যুদ্ধের কারণে রাশিয়াকে পুরোপুরি একঘরে করার চেষ্টা সফল হয়নি। রাশিয়াতেও যুদ্ধের পক্ষে জোরালো সমর্থন রয়েছে।

যুদ্ধের পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা দেশগুলো যে কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল, তার লক্ষ্য ছিল রাশিয়াকে দুর্বল করা, একঘরে করে ফেলা। শুরুতে রুশ অর্থনীতিতে এর বিরাট ধাক্কা লেগেছিল। পশ্চিমা কোম্পানিগুলো যখন একের পর এক রাশিয়া থেকে ব্যবসা গোটাতে শুরু করে, রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য চালানো কঠিন করে তোলা হয়, তখন রুশ মুদ্রা রুবলের মানে বিরাট ধস নামে।

অন্যদিকে ইউরোপের যেসব দেশ ন্যাটো সামরিক জোটে যোগদানের পক্ষে একটা নিরপেক্ষ অবস্থানে ছিল, সেসব দেশ একের পর ন্যাটো জোটে যোগ দেবে বলে ঘোষণা দিতে থাকে। তার মানে যুদ্ধের মাধ্যমে পুতিন যা অর্জন করতে চেয়েছিলেন, ন্যাটোকে ঠেকানো- যুদ্ধের কারণে তার উল্টো ফল হয়েছে কি না, সে প্রশ্ন ওঠে। অধ্যাপক সৈয়দ মাহমুদ আলী বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব রাজনীতির ভারসাম্য রাশিয়ার বিপক্ষে চলে গেছে কি না, সেটা নিয়ে দুই ধরনের মতামতই আছে। একদিকে ন্যাটো বলছে, রাশিয়া প্রচণ্ডভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে, সামরিক, অর্থনৈতিক এবং কূটনৈতিক- সব দিক থেকে। বৃহৎ সামরিক শক্তি হিসেবে রাশিয়ার যে একটা বিরাট ভাবমূর্তি ছিল, সেটা নষ্ট হয়েছে। তাদের সেনাবাহিনীর বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কাজেই রাশিয়া দেখতে যতটা শক্তিধর মনে হয়, কার্যত তারা ততটা নয়।

সৈয়দ মাহমুদ আলী বলেন, ইউরোপের অনেক দেশ এখন রাশিয়ার বিরুদ্ধে চলে গেলেও বাকি বিশ্ব, বিশেষ করে এশিয়া, আফ্রিকা এবং লাতিন আমেরিকার দেশগুলো কিন্তু সে রকম কট্টর কোনো অবস্থান নেয়নি। কাজেই রাশিয়া একঘরে হয়ে গেছে এটা বলা যাবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।


ইরানের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী বাগেরি কানি

আলী বাগেরি কানি। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানের মৃত্যুর পর উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী বাগেরি কানিকে দেশটির নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার ইরানের সরকারি মন্ত্রিসভা কানিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির প্রধান হিসেবে নিয়োগে অনুমোদন দেয়। ইরান সরকারের মুখপাত্র আলী বাহাদোরি জাহরোমি সোমবার এই ঘোষণা দেন।

দেশটির নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী বাগেরি ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে উপপররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এর আগে, ২০০৭ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের ডেপুটি সেক্রেটারি ছিলেন।

সোমবার দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাগেরি বলেন, ‘সর্বোচ্চ নেতার অনুমোদনের পর ইরানের বিচার বিভাগীয় প্রধান, সংসদের স্পিকার এবং ভাইস প্রেসিডেন্টের সমন্বয়ে গঠিত একটি কাউন্সিল আগামী ৫০ দিনের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা নেবে।’

এর আগে, গতকাল রোববার প্রতিবেশি আজারবাইজানের সঙ্গে যৌথভাবে নির্মিত কিজ কালাসি বাঁধের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশ নেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আব্দুল্লাহিয়ানসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তা।

পরে সেখান থেকে ইরানের তাবরিজ শহরে আরেকটি প্রকল্পের উদ্বোধন করতে যাওয়ার সময় ভারজাকান অঞ্চলের দিজামারের পার্বত্য এলাকায় প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়।

ইরানের নতুন অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবেরের নাম ঘোষণা করেছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর ঘটনায় ৫ দিনের রাষ্ট্রীয় শোকও ঘোষণা করেছেন তিনি।

বিষয়:

ইরানে পাঁচ দিনের শোক ঘোষণা

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদোল্লাহিয়ানসহ অন্য সরকারি কর্মকর্তাদের মৃত্যুতে সে দেশে পাঁচ দিনের শোক ঘোষণা করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।

আজ সোমবার ইরানের সরকারি এক বিবৃতি থেকে জানা য়ায়, প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ তাদের সফর সঙ্গীদের মৃত্যুতে ইরানের জনগণের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি। খবর বিবিসির।

খামেনি বলেন, ‘আমি আমার প্রিয় ইরানি জনগণের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিসহ অন্যদের মৃত্যুতে দেশজুড়ে পাঁচদিনের সরকারি শোক ঘোষণা করছি।’

এর আগে, ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবেরকে অন্তর্বর্তী দায়িত্ব পালনের জন্য নিয়োগ দেন আলী খামেনি। এ সম্পর্কিত এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, সংবিধানের ১৩১ ধারা অনুসারে মোহাম্মদ মোখবের নির্বাহী বিভাগের নেতৃত্ব দেবেন।

খামেনি আরও জানান, আগামী ৫০ দিনের মধ্যে অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য আইন ও বিচার বিভাগের মধ্যে সমন্বয় করে কাজ করবেন।

এদিকে, উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী বাগেরি কানিকে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে ইরানের মন্ত্রিসভা।

রোববার ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে ইরানের প্রেসিডেন্টসহ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও অন্য সরকারি কর্মকর্তাদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়।

সোমবার বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি শনাক্ত হওয়ার পর তাদের নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে দেশটির রাষ্ট্রীয় টিভি। ৬৩ বছর বয়সী রাইসিকে সর্বোচ্চ নেতা খামেনির সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে বিবেচনা করা হতো।

বিষয়:

ইরানের অন্তবর্তী প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন মোহাম্মদ মোখবের

(বাঁ দিকে) ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবের। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে গতকাল রোববার হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদোল্লাহিয়ানসহ সব আরোহী।

ইসলামি প্রজাতন্ত্রটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে আজ সোমবার প্রেসিডেন্টসহ অন্য আরোহীদের মৃত ঘোষণার খবরটি জানানো হয়। এমন বাস্তবতায় ইরানের অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবের দায়িত্ব নিয়েছেন বলে জানিয়েছে প্রেস টিভি।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যমটির প্রতিবেদনে জানানো হয়, দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় খুজেস্তান প্রদেশের দেজফুল শহরে ১৯৫৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন মোখবের। আন্তর্জাতিক আইনের ওপর পিএইডি ডিগ্রি আছে তার।

এর আগে আল জাজিরা জানায়, হেলিকপ্টার দুর্ঘটনাস্থলে ইরানের উদ্ধারকারীদের তৎপরতাদের মধ্যে অনেকের নজর ছিল ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবেরের দিকে।

সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের সংবিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্টের প্রাণহানি কিংবা দায়িত্ব পালনে অক্ষমতার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে হয়। নির্বাচনের আগ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট।


ভারতের লোকসভা নির্বাচন: পঞ্চম ধাপের ভোট গ্রহণ শুরু

ফাইল ছবি
আপডেটেড ২০ মে, ২০২৪ ১১:৩১
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতে পঞ্চম ধাপের লোকসভা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ সোমবার এই পর্বে পশ্চিমবঙ্গসহ ছয় রাজ্য ও দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে ৪৯ আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

পশ্চিমবঙ্গের হুগলি, আরামবাগ, শ্রীরামপুর, হাওড়া, উলুবেড়িয়া, বনগাঁ ও ব্যারাকপুর- এই ৭ আসনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে সাতটা থেকে, চলবে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত।

পশ্চিমবঙ্গের এই ৭টি লোকসভা আসনে মোট ১৩ হাজার ৪৮১টি বুথে চলছে ভোট। তার মধ্যে ৭ হাজার ৭১১টি বুথকে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই সাত লোকসভা আসনে নারী পরিচালিত বুথের সংখ্যা ১ হাজার ৪৬০টি।

এই ধাপের ৭টি আসনেও নিরাপত্তা নিয়ে কোনো ঝুঁকি নিতে নারাজ নির্বাচন কমিশন। যার জেরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে আরও বাড়ানো হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা। এই ৭ কেন্দ্রে সবমিলিয়ে মোতায়েন করা হয়েছে ৭৬২ কোম্পানি আধা সামরিক সশস্ত্র সেনাবাহিনী। যার মধ্যে ভোটকেন্দ্রের পাহারায় রয়েছেন ৬১৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাকি কুইক রেসপন্স টিম হিসেবে রাখা আছে। কোথাও কোনো অশান্তি হলেই মাঠে নামবে বাকি বাহিনী।

বুথের বাইরে রাখা হয়েছে আরও অতিরিক্ত ২৫ হাজার ৫৯০ জন সশস্ত্র রাজ্য পুলিশ। রাজ্য পুলিশের ভোট কেন্দ্রে ঢোকার অনুমতি নেই। তারা বিভিন্ন কেন্দ্রের বাইরে থেকে আইনশৃঙ্খলা সামাল দেবে। বাহিনী মোতায়েনের পাশাপাশি পঞ্চম ধাপেও প্রতিটি বুথে রয়েছে ওয়েভ কাস্টিং ব্যবস্থা। অর্থাৎ নির্বাচন কমিশন কর্তারা, অফিসে বসেই বুথের পরিস্থিতির ওপর লক্ষ্য রাখতে পারবে।

এর আগে ৫৪৩ আসনের মধ্যে চার ধাপের ভোটে মোট ৩৭৯টি আসনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। শেষ ধাপ অবদি বিক্ষিপ্ত দু-একটি ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবেই নির্বাচন হয়েছে। সাত দফার লোকসভা নির্বাচনের ষষ্ঠ ধাপ ভোট হবে আগামী ২৫ মে। সপ্তম অর্থাৎ শেষ ধাপের ভোট হবে ১ জুন। একযোগে ফলাফল প্রকাশ হবে আগামী ৪ জুন।

বিষয়:

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত ইরানের প্রেসিডেন্ট-পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান। ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। যদিও এ বিষয়ে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া আসেনি।

ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে আজ সোমবার এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও আল জাজিরা।

বিবিসি বলছে, ‘রোববার উত্তর-পশ্চিম ইরানে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান এবং আরও কয়েকজন নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করা হয়েছে বলে রাষ্ট্রীয় টিভি জানিয়েছে।’

অন্যদিকে আল জাজিরাও জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির-আবদুল্লাহিয়ান-সহ হেলিকপ্টারে থাকা অন্যরা মারা গেছেন বলে একাধিক ইরানি সংবাদ সংস্থা নিশ্চিত করেছে।

অবশ্য প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির পাশাপাশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান এবং হেলিকপ্টারে থাকা অন্য আরোহীরা মারা গেছেন বলে কিছু ইরানি মিডিয়া রিপোর্ট করলেও এ বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো নিশ্চিতকরণ পাওয়া যায়নি। যদিও আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা মেহর নিউজ ও সংবাদ সংস্থা তাসনিম প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিসহ অন্যদের মৃত্যুর তথ্যটি নিশ্চিত করেছে।

এর আগে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়ার বেশ লম্বা সময় পর অবশেষে উদ্ধারকারীরা রাইসির হেলিকপ্টার খুঁজে পান। তবে ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরআইএনএন এবং আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা মেহর নিউজ জানিয়েছিল, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির দুর্ঘটনাস্থলে ‘কোনও জীবিত ব্যক্তি’ পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, রোববার একটি বাঁধ উদ্বোধন করে ইরানি প্রদেশ পূর্ব আজারবাইজানের তারবিজে যাচ্ছিলেন প্রেসিডেন্ট রাইসি। এই সময় তার সঙ্গে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ছিলেন। তারবিজে ফেরার পথেই হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়।


দুর্ঘটনার কবলে ইরানের প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টার

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৯ মে, ২০২৪ ২১:২৩
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। উত্তর-পশ্চিম ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা শহরে এটি নিয়ন্ত্রণহীনভাবে অবতরণ করে। এতে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমদ ওয়াহিদ এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আজ রোববার আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি জলাধার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট রাইসি। সেখান থেকে ফেরার সময় ভারজাকান এলাকায় হেলিকপ্টারটি অবতরণের সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম প্রেসটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনার কবলে পড়া হেলিকপ্টারটিতে ইরানের প্রেসিডেন্ট ছাড়াও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমাতিসহ আরও বেশ কয়েকজন ছিলেন। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, খারাপ আবহাওয়ার কারণে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে সমস্যা হচ্ছে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির উদ্ধারকর্মীদের। জরুরি অপারেশনের জন্য ড্রোন ইউনিটকে ব্যবহার করা হচ্ছে। অন্যান্য মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের বহনকারী অন্য দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে গন্তব্যে এরই মধ্যে পৌঁছেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ দুর্ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর এখনো পাওয়া যায়নি। তাছাড়া কী কারণে হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে তা স্পষ্ট করে জানানো হয়নি।


আটকে পড়া ১৪০ শিক্ষার্থীকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পাকিস্তান

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে আটকে পড়া ১৪০ শিক্ষার্থীকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পাকিস্তান। গতকাল শনিবার রাতে বিশকেকে বিদেশি শিক্ষার্থীদের হামলার ঘটনার পর একটি বিশেষ ফ্লাইটে করে দেশে ফেরেন এই শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার আরও অনেকে দেশে ফিরতে পারেন বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

সম্প্রতি কয়েকজন কিরগিজ নাগরিকের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ান কয়েকজন মিসরীয় শিক্ষার্থী। ওই ঘটনার জেরে শুক্রবার রাতে বিশকেকের বিভিন্ন হোস্টেলে থাকা বিদেশি মেডিকেল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান স্থানীয় বাসিন্দারা। এমনকি শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত বাসভবনে ঢুকেও হামলা চালানো হয়। সেসব শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাংলাদেশি, পাকিস্তানি ও ভারতীয়রাও রয়েছেন।

পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভি জানিয়েছেন, কিরগিজস্তান থেকে পাকিস্তানি শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি বিশেষ ফ্লাইট লাহোরের আল্লামা ইকবাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। সহিংসতার পর যেসব পাকিস্তানি শিক্ষার্থী দেশে ফিরতে চান, তাদের জন্য এমন আরও ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।

কিরগিজস্তানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহে বিশকেকে কিরগিজ নাগরিক ও একদল বিদেশি শিক্ষার্থীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে ওই ঘটনার জেরে ব্যাপক সহিংসতা শুরু হয়।

সহিংসতা শুরুর পর পাকিস্তান সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়, নিজ দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কিরগিজ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে বিশকেকে অবস্থিত পাকিস্তানি দূতাবাস। সহিংসতায় আহত শিক্ষার্থীদের কয়েকজনকে সেখানকার একটি স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

বিষয়:

অসুস্থ হয়ে পড়লেন সৌদির বাদশাহ

সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। প্রচণ্ড জ্বর ও শরীর ব্যথায় ভুগছেন তিনি। সৌদির রাষ্ট্রয়াত্ত্ব বার্তাসংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে, বাদশা কী ধরনের অসুস্থতায় ভুগছেন সেটি দেখতে আজ রোববার হাসপাতালে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে।

সৌদির রয়্যাল কোর্ট জানিয়েছে, জেদ্দার রাজপ্রাসাদের ভেতর অবস্থিত রয়্যাল ক্লিনিকেই বাদশার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। তারা বলেছে, ‘সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে জেদ্দার আসসালাম রাজপ্রাসাদের রয়্যাল ক্লিনিকে বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। বাদশার অসুস্থতার লক্ষণের মধ্যে রয়েছে উচ্চ তাপমাত্রা এবং শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা।’

রয়্যাল কোর্ট আরও জানিয়েছে, চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাদশার অসুখ খুঁজে বের করতে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। এ ছাড়া তার শারীরিক অবস্থার ওপর নজর রাখা হবে।

গত মাসেও একবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ।

বিষয়:

আফগানিস্তানে ভারী বর্ষণ-বন্যা, ৫০ জনের মৃত্যু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

আফগানিস্তানের মধ্যাঞ্চল ভারী বর্ষণ এবং আকস্মিক বন্যার কবলে পড়েছে। এতে ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া ভারী বৃষ্টিতে এই বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। এতে কতজন মানুষ আহত হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। কেন্দ্রীয় ঘোর প্রদেশের তথ্য বিভাগের প্রধান মৌলভি আব্দুল হাই জাইম গতকাল শনিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর রয়টার্সের।

মৌলভি আব্দুল হাই জাইম বলেন, ঘোর প্রদেশের রাজধানী ফিরোজ-কোহতে প্রায় ২ হাজার বাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। ৪ হাজার আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ২ হাজারেরও বেশি দোকান পানির নিচে রয়েছে।

গত সপ্তাহে ভারী বর্ষণের ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় উত্তর আফগানিস্তানের গ্রামগুলোকে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ওই বন্যার অন্তত ৩১৫ জন নিহত এবং ১ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, আফগানিস্তান প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ একটি দেশ। জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করে আফগানিস্তানকে।


এবার পিরামিড রহস্যের সমাধান হচ্ছে?

মিসরের পিরামিড। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মিসরের পিরামিড নিয়ে রহস্যের শেষ নেই। হাজার হাজার বছর আগে এই পিরামিড কীভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল, তা নিয়ে গবেষণা ও জল্পনা-কল্পনার অন্ত নেই। তবে বিজ্ঞানীদের সাম্প্রতিক একটি আবিষ্কারে সে রহস্যের সমাধান হলেও হতে পারে। সাড়া জাগানো এ আবিষ্কারটি হলো নীল নদের মৃত একটি শাখা। কালের পরিক্রমায় সেটি মরুভূমির বালুর নিচে চাপা পড়ে গিয়েছিল।

সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে নদের শাখাটি খুঁজে পাওয়ার বিষয় সামনে আনা হয়েছে। শাখাটির দৈর্ঘ্য ৬৪ কিলোমিটার। মিসরের ৩১টি পিরামিডের কাছ দিয়ে বয়ে গিয়েছিল নদীটি। এর মধ্যে বিখ্যাত গির্জার পিরামিডও রয়েছে। বিজ্ঞানীদের ধারণা, এই শাখা নদ দিয়ে পাথরের বড় বড় খণ্ড বহন করে ৩ হাজার ৭০০ থেকে ৪ হাজার ৭০০ বছর আগে পিরামিডগুলো নির্মাণ করা হয়েছিল।

গবেষণাপত্রটি রচয়িতাদের একজন মেম্ফিস বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সুজান ওনস্টাইন বলেন, ভারী পাথরখণ্ডগুলোর বেশির ভাগই আনা হয়েছিল মিসরের দক্ষিণাঞ্চল থেকে। জলপথে সেগুলো নিয়ে যাওয়াটা বেশ সহজ ছিল। এরপর পাথরগুলো স্থলপথে নির্মাণস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

পিরামিডের বিশালাকায় পাথরখণ্ডগুলো বহন করতে যে জলপথ ব্যবহার করা হয়েছিল, সে ধারণা আগেও ছিল প্রত্নতত্ত্ববিদদের। তবে এমন কোনো জলপথের অবস্থান ও আকার নিয়ে কেউ নিশ্চিত ছিলেন না বলে জানিয়েছেন ওই গবেষণাপত্রের প্রধান রচয়িতা ও যুক্তরাষ্ট্রের উইলমিংটনে অবস্থিত ক্যারোলাইনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এমান গোনেইম।

গবেষক সুজান ওনস্টাইন বলেন, ‘নীল নদের শাখা আবিষ্কার করাটা আমাকে ভূগোল, জলবায়ু, পরিবেশ ও মানুষের আচরণের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সংযোগের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে।’

বিষয়:

মোদির চেয়েও ধনী রাহুল

রাহুল গান্ধী
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতে চলছে লোকসভা নির্বাচন। ভোটে লড়ছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর মতো নেতারা। প্রার্থী হতে তারা ইতোমধ্যে জমা দিয়েছেন মনোনয়নপত্র। সেখানে হলফনামায় তারা নিজেদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, সম্পদ আর মামলার বিবরণী দিয়েছেন। তাতে দেখা গেছে, নরেন্দ্র মোদির চেয়ে কয়েক গুণ বেশি সম্পদের মালিক রাহুল গান্ধী।

এবার বারানসি থেকে ভোটে লড়ছেন নরেন্দ্র মোদি। মোদির হলফনামায় দেখা যাচ্ছে, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ায় তার ২ কোটি ৮৬ লাখ রুপির ফিক্সড ডিপোজিট আছে। তার হাতে আছে ৫২ হাজার ৯২০ রুপি। গান্ধীনগর ও বারানসিতে দুটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৮০ হাজার ৩০৪ রুপি আছে। এ ছাড়া ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট প্রকল্পে মোদির ৯ লাখ ১২ হাজার রুপি আছে। ২ লাখ ৬৮ হাজার রুপি মূল্যের চারটি সোনার আংটি আছে তার। এ ছাড়া চার বছরে তার আয় বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি।

রাহুল গান্ধীর হলফনামা থেকে দেখা যাচ্ছে, রাহুল গান্ধীর শেয়ারবাজারে ৪ কোটি ৩০ লাখ এবং মিউচুয়াল ফান্ডে ৩ কোটি ৮১ লাখ রুপির বিনিয়োগ আছে। আর ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট, বীমা ও অন্যত্র তিনি ৬১ লাখ ৫২ হাজার রুপি বিনিয়োগ করেছেন। তার কাছে ৪ লাখ ১২ হাজার রুপির ৩৩৩ গ্রামের গয়না আছে। সব মিলিয়ে তার অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ১১ কোটি ১৪ লাখ রুপি। তার স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৯ কোটি ২৪ লাখ রুপি মূল্যের। এ ছাড়া দিল্লির মেহরৌলিতে বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সঙ্গে যৌথ মালিকানার ফার্ম হাউস আছে, বাড়িও আছে। গুরুগ্রামে তার দুটি বাণিজ্যিক স্পেসও আছে।

এদিকে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তার হলফনামায় জানিয়েছেন, তার ও তার স্ত্রীর সম্পত্তির পরিমাণ ৬৫ কোটি ৬৭ লাখ রুপি। ক্যাশ, ব্যাংকের সেভিংস অ্যাকাউন্ট, মেয়াদি জমা প্রকল্প, সোনা, রুপা এবং উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পত্তির পরিমাণ ২০ কোটি ২৩ লাখ রুপি। এর মধ্যে ১৭ কোটি ৪৬ লাখের শেয়ার এবং ৭২ লাখ ৮৭ হাজারের সোনা আছে তার। স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে অমিত শাহর ১৬ কোটি ৩১ লাখ রুপির সম্পত্তি আছে। এর মধ্যে কৃষিজমি, আংশিক চাষযোগ্য জমি, একাধিক বাড়ি আছে।


ভারতের হরিয়ানায় বাসে আগুন: ৮ পুণ্যার্থীর মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে এক্সপ্রেসওয়েতে চলন্ত বাসে আগুন লেগে আট পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার মাঝরাতের দিকে রাজ্যটির কুন্ডলি-মানেসার-পালওয়াল এক্সপ্রেসওয়েত ঘটনাটি ঘটে। ওই সময় এসব পুণ্যার্থী উত্তর প্রদেশের মথুরা ও বৃন্দাবনে তীর্থযাত্রা সেরে ফিরে আসছিলেন।

স্থানীয় কর্মকর্তারা জানান, বাসটিতে নারী ও শিশুসহ এক পরিবারের অন্তত ৬০ জন আরোহী ছিলেন। তারা সবাই পাঞ্জাবের বাসিন্দা। তাদের বহনকারী বাসটি হরিয়ানার নুহ এলাকার কাছে আসার পর সেটিতে আগুন ধরে।

বেঁচে যাওয়া যাত্রীরা বলেন, ‘রাত প্রায় দেড়টার দিকে বাসের পেছন দিকে ধোঁয়ার গন্ধ পেয়েছিলেন তারা। এক মোটরসাইকেল চালক বাসটির পেছনদিকে আগুন দেখে সেটিকে অনুসরণ করেন। পরে তিনি বাসচালককে গিয়ে সতর্ক করলে চালক বাসটি থামিয়ে দেন।’

জীবিত এক যাত্রী বলেন, ‘পবিত্র স্থানগুলোতে তীর্থযাত্রার জন্য আমরা ১০ দিনের জন্য বাসটি ভাড়া করেছিলাম। আমরা শুক্রবার রাতে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়েছিলাম। রাতে ঘুমের মধ্যেই ধোঁয়ার গন্ধ পাই।’

বাসটি থামার পর ততক্ষণে সেটিতে পুরোপুরি আগুন ধরে গেছে। স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন ও আগুন নেভানোর এবং লোকজনকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। দমকল কর্মীরা আসার পর আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়। আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।

বাসটি পুরোপুরি পুড়ে যাওয়ার তিন ঘণ্টা পর দমকল কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আসেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভিকে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমরা বাসের পেছনে গিয়ে জানালা ভেঙে অনেককে বের করে নিয়ে আসি, কিন্তু ততক্ষণে আগুন অনেক তীব্র হয়ে ওঠে। আমরা পুলিশকে খবর দিয়েছিলাম, কিন্তু তারা আসতে অনেক দেরি করে।’

বিষয়:

দুর্ভিক্ষের মুখে সুদানের ৪০ লাখ মানুষ

দুর্ভিক্ষপীড়িত সুদানের বাসিন্দা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

দুর্ভিক্ষের মুখে পড়েছে সুদানের ৪০ লাখ মানুষ। দেশটিতে সেনাবাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনীর লড়াইয়ের কারণে সংকট আরও বাড়বে। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে। জাতিসংঘের প্রতিনিধি ক্লেমেন্টাইন কোয়েটা-সালামি বলেছেন, ভয়ংকর সহিংসতার আগ্নেয়গিরির মুখে সুদান। দেশটিতে লড়াই শেষ হওয়ার কোনো সংকেত নেই। আর এই লড়াইয়ে চলছে ভয়ংকর বাড়াবাড়ি। ধর্ষণ, অত্যাচার ও জাতিগত সহিংসতার অভিযোগ উঠেছে। সহিংসতার জন্য ত্রাণ দেওয়া যাচ্ছে না।

ক্লেমেন্টাইন কোয়েটা-সালামি জানিয়েছেন, সুদানের প্রায় ৪০ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখে পড়েছেন। তাদের কাছে ত্রাণ পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না।

২০২৩ সালের এপ্রিলে সুদানের সেনাবাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনীর মধ্যে লড়াই শুরু হয়। তারপর থেকে ৯০ লাখ মানুষ ঘরছাড়া হয়েছে। মারা গেছে প্রচুর মানুষ। ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, পুরো দেশে সংঘাত ছড়িয়ে পড়লেও পশ্চিম দারফুরে ভয়ংকর লড়াই চলছে।

জাতিসংঘের প্রতিনিধি ক্লেমেন্টাইন কোয়েটা-সালামি জানান, গত সপ্তাহে এল ফাশারে প্রবল সংঘর্ষ হয়েছে। প্রচুর মানুষ মারা গেছে, অনেকে ঘরছাড়া হয়েছে। সামনে আসছে বর্ষা। এ সময় যাতায়াতে আরও অসুবিধা হবে। কৃষকরা বীজ না পেলে তারা চাষ করতে পারবে না।

তার মতে, সুদানের মানুষের অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। পোর্ট সুদান থেকে ট্রাকে করে ওষুধ ও ত্রাণসামগ্রী ৩ এপ্রিল পাঠানো হয়েছে, কিন্তু তা এখনো এল ফিশারে পৌঁছায়নি।


banner close