রোববার, ১৯ মে ২০২৪

গভর্নর জানালেন ইন্দোনেশিয়ার মাঠে নিহত ১২৫

ইন্দোনেশিয়ার কানজুরুজান স্টেডিয়ামে ফুটবল ম্যাচে হারজিত নিয়ে সংঘর্ষের পরের চিত্র। ছবি: বিবিসি
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ২ অক্টোবর, ২০২২ ২২:১৮

ইন্দোনেশিয়ায় ফুটবল মাঠে পদদলিত হয়ে শিশুসহ অন্তত ১২৫ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন পূর্ব জাভার গভর্নর। সংঘর্ষ ও পদদলিত হয়ে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩২০ জন। এ ঘটনায় কর্তৃপক্ষ নিহতের সংখ্যা অন্তত ১৭৪ বলে জানালেও পরে সংখ্যাটি কমিয়ে আনা হয়।

পূর্ব জাভার মালাং শহরের কানজুরুজান স্টেডিয়ামে শনিবার রাতে দর্শক-পুলিশ সংঘর্ষে এমন হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে। এটি ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম প্রাণঘাতী ঘটনা।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, কানজুরুজান স্টেডিয়ামে আরেমা এফসি ও পারসেবায়া সুরায়া ক্লাবের ফুটবল ম্যাচে জয়-পরাজয় ঘিরে সহিংসতার সূত্রপাত। ম্যাচে আরেমা ২-৩ গোলে হেরে যায়। দুই দশকের বেশি সময় পর পারসেবায়ার কাছে পরাজয় মেনে নিতে পারেননি আরেমা সমর্থকরা। খেলার শেষ বাঁশি বাজতেই দলটির অন্তত ৩ হাজার সমর্থক মাঠে ঢুকে তাণ্ডব চালায়।

পূর্ব জাভার পুলিশ দাবি করেছে, উত্তেজিত দর্শকদের ছত্রভঙ্গ করতে তারা কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। এদিকে মাঠে পুলিশ-সমর্থকদের সংঘর্ষে আতঙ্কিত হাজারও দর্শকের মধ্যে স্টেডিয়াম থেকে বের হতে হুড়োহুড়ি লেগে যায়। সেখানে পদদলিত ও দমবদ্ধ হয়ে অনেকে হতাহত হন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, স্টেডিয়ামটিতে ধারণক্ষমতার চাইতেও অনেক বেশি দর্শক ছিলেন। ৩৮ হাজার আসনের বিপরীতে স্টেডিয়ামে ৪২ হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছিল। ‍

পুলিশ দাবি করেছে, দর্শকরা আগ্রাসী হয়ে উঠেছিল। তারা পুলিশের ওপর চড়াও হয়েছিল। অনেকে স্টেডিয়ামের বাইরে গিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করেছে।

এদিকে ফিফার নিয়মানুযায়ী, মাঠে নিরাপত্তা কর্মী বা পুলিশ আগ্নেয়াস্ত্র অথবা ‘ভিড় নিয়ন্ত্রণকারী গ্যাস’ ব্যবহার করতে পারেন না। তবে পূর্ব জাভা পুলিশ বিষয়টি জানত কি না তা নিয়ে রয়টার্সের প্রশ্নের কোনো জবাব দেয়নি।

এক প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে জানান, উত্তেজিত দর্শকের ওপর পুলিশ অসংখ্য কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়েছে।

স্থানীয় কর্মকর্তারা প্রাথমিকভাবে নিহতের সংখ্যা ১৭৪ বলে জানিয়েছিল। পরে পূর্ব জাভার ডেপুটি গভর্নর ইমিল দারদাক মৃতের সংখ্যা ১২৫ বলে নিশ্চিত করেন।

ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোও বলেন, ফুটবলের ইতিহাসে এটি একটি কালো দিন। এই ট্র্যাজেডিতে অপূরণীয় ক্ষতি হলো।

স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলে সম্প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায়, দর্শকরা বানের জলের মতো মাঠে ঢুকছে এবং হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছে। কাঁদানে গ্যাসের ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে চারপাশ। চেতনা হারানো অনেক দর্শককে মাঠ থেকে সরিয়ে নিতে দেখা যায়।

কানজুরুহান হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, কাঁদানে গ্যাসের ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে অনেকে শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। স্থানীয় আরেক হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ বলেছে, অনেকে মাথায় আঘাত পেয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৫ বছরের শিশুও রয়েছে।

ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো বলেছেন, তার দেশে এরকম মর্মান্তিক ঘটনা যেন আর কোনো দিন না ঘটে, সে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই ফুটবল ম্যাচগুলোর নিরাপত্তাব্যবস্থা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে। তিনি এ ঘটনার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিআরআই লিগা-২ লিগ খেলাসহ সব খেলা বন্ধ রাখতে ইন্দোনেশিয়ার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে নির্দেশ দিয়েছেন।

দেশটির মানবাধিকার কমিশনার জানান, কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ার ঘটনাসহ মাঠের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে তারাও পৃথক তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এদিকে এমন ভয়াবহ ট্র্যাজেডিতে শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েছেন হতাহতদের স্বজন-বন্ধুরা। ২২ বছরের তরুণ রায়ান কাঁদতে কাঁদতে বলেন, কর্মকর্তাদের অমানবিকতায় আমার অনেক বন্ধু মারা গেছে। অনেক প্রাণ অকালে ঝরে গেল। অনেক শোকাহত মানুষ গতকাল রোববার স্টেডিয়ামের প্রবেশদ্বারে ফুল রেখে নিহতদের স্মরণ করেন।


দুর্ঘটনার কবলে ইরানের প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টার

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৯ মে, ২০২৪ ২১:২৩
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। উত্তর-পশ্চিম ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা শহরে এটি নিয়ন্ত্রণহীনভাবে অবতরণ করে। এতে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমদ ওয়াহিদ এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আজ রোববার আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি জলাধার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট রাইসি। সেখান থেকে ফেরার সময় ভারজাকান এলাকায় হেলিকপ্টারটি অবতরণের সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম প্রেসটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনার কবলে পড়া হেলিকপ্টারটিতে ইরানের প্রেসিডেন্ট ছাড়াও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমাতিসহ আরও বেশ কয়েকজন ছিলেন। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, খারাপ আবহাওয়ার কারণে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে সমস্যা হচ্ছে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির উদ্ধারকর্মীদের। জরুরি অপারেশনের জন্য ড্রোন ইউনিটকে ব্যবহার করা হচ্ছে। অন্যান্য মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের বহনকারী অন্য দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে গন্তব্যে এরই মধ্যে পৌঁছেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ দুর্ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর এখনো পাওয়া যায়নি। তাছাড়া কী কারণে হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে তা স্পষ্ট করে জানানো হয়নি।


আটকে পড়া ১৪০ শিক্ষার্থীকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পাকিস্তান

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে আটকে পড়া ১৪০ শিক্ষার্থীকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পাকিস্তান। গতকাল শনিবার রাতে বিশকেকে বিদেশি শিক্ষার্থীদের হামলার ঘটনার পর একটি বিশেষ ফ্লাইটে করে দেশে ফেরেন এই শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার আরও অনেকে দেশে ফিরতে পারেন বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

সম্প্রতি কয়েকজন কিরগিজ নাগরিকের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ান কয়েকজন মিসরীয় শিক্ষার্থী। ওই ঘটনার জেরে শুক্রবার রাতে বিশকেকের বিভিন্ন হোস্টেলে থাকা বিদেশি মেডিকেল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান স্থানীয় বাসিন্দারা। এমনকি শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত বাসভবনে ঢুকেও হামলা চালানো হয়। সেসব শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাংলাদেশি, পাকিস্তানি ও ভারতীয়রাও রয়েছেন।

পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভি জানিয়েছেন, কিরগিজস্তান থেকে পাকিস্তানি শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি বিশেষ ফ্লাইট লাহোরের আল্লামা ইকবাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। সহিংসতার পর যেসব পাকিস্তানি শিক্ষার্থী দেশে ফিরতে চান, তাদের জন্য এমন আরও ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।

কিরগিজস্তানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহে বিশকেকে কিরগিজ নাগরিক ও একদল বিদেশি শিক্ষার্থীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে ওই ঘটনার জেরে ব্যাপক সহিংসতা শুরু হয়।

সহিংসতা শুরুর পর পাকিস্তান সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়, নিজ দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কিরগিজ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে বিশকেকে অবস্থিত পাকিস্তানি দূতাবাস। সহিংসতায় আহত শিক্ষার্থীদের কয়েকজনকে সেখানকার একটি স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

বিষয়:

অসুস্থ হয়ে পড়লেন সৌদির বাদশাহ

সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। প্রচণ্ড জ্বর ও শরীর ব্যথায় ভুগছেন তিনি। সৌদির রাষ্ট্রয়াত্ত্ব বার্তাসংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে, বাদশা কী ধরনের অসুস্থতায় ভুগছেন সেটি দেখতে আজ রোববার হাসপাতালে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে।

সৌদির রয়্যাল কোর্ট জানিয়েছে, জেদ্দার রাজপ্রাসাদের ভেতর অবস্থিত রয়্যাল ক্লিনিকেই বাদশার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। তারা বলেছে, ‘সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে জেদ্দার আসসালাম রাজপ্রাসাদের রয়্যাল ক্লিনিকে বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। বাদশার অসুস্থতার লক্ষণের মধ্যে রয়েছে উচ্চ তাপমাত্রা এবং শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা।’

রয়্যাল কোর্ট আরও জানিয়েছে, চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাদশার অসুখ খুঁজে বের করতে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। এ ছাড়া তার শারীরিক অবস্থার ওপর নজর রাখা হবে।

গত মাসেও একবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ।

বিষয়:

আফগানিস্তানে ভারী বর্ষণ-বন্যা, ৫০ জনের মৃত্যু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

আফগানিস্তানের মধ্যাঞ্চল ভারী বর্ষণ এবং আকস্মিক বন্যার কবলে পড়েছে। এতে ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া ভারী বৃষ্টিতে এই বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। এতে কতজন মানুষ আহত হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। কেন্দ্রীয় ঘোর প্রদেশের তথ্য বিভাগের প্রধান মৌলভি আব্দুল হাই জাইম গতকাল শনিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর রয়টার্সের।

মৌলভি আব্দুল হাই জাইম বলেন, ঘোর প্রদেশের রাজধানী ফিরোজ-কোহতে প্রায় ২ হাজার বাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। ৪ হাজার আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ২ হাজারেরও বেশি দোকান পানির নিচে রয়েছে।

গত সপ্তাহে ভারী বর্ষণের ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় উত্তর আফগানিস্তানের গ্রামগুলোকে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ওই বন্যার অন্তত ৩১৫ জন নিহত এবং ১ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, আফগানিস্তান প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ একটি দেশ। জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করে আফগানিস্তানকে।


এবার পিরামিড রহস্যের সমাধান হচ্ছে?

মিসরের পিরামিড। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মিসরের পিরামিড নিয়ে রহস্যের শেষ নেই। হাজার হাজার বছর আগে এই পিরামিড কীভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল, তা নিয়ে গবেষণা ও জল্পনা-কল্পনার অন্ত নেই। তবে বিজ্ঞানীদের সাম্প্রতিক একটি আবিষ্কারে সে রহস্যের সমাধান হলেও হতে পারে। সাড়া জাগানো এ আবিষ্কারটি হলো নীল নদের মৃত একটি শাখা। কালের পরিক্রমায় সেটি মরুভূমির বালুর নিচে চাপা পড়ে গিয়েছিল।

সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে নদের শাখাটি খুঁজে পাওয়ার বিষয় সামনে আনা হয়েছে। শাখাটির দৈর্ঘ্য ৬৪ কিলোমিটার। মিসরের ৩১টি পিরামিডের কাছ দিয়ে বয়ে গিয়েছিল নদীটি। এর মধ্যে বিখ্যাত গির্জার পিরামিডও রয়েছে। বিজ্ঞানীদের ধারণা, এই শাখা নদ দিয়ে পাথরের বড় বড় খণ্ড বহন করে ৩ হাজার ৭০০ থেকে ৪ হাজার ৭০০ বছর আগে পিরামিডগুলো নির্মাণ করা হয়েছিল।

গবেষণাপত্রটি রচয়িতাদের একজন মেম্ফিস বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সুজান ওনস্টাইন বলেন, ভারী পাথরখণ্ডগুলোর বেশির ভাগই আনা হয়েছিল মিসরের দক্ষিণাঞ্চল থেকে। জলপথে সেগুলো নিয়ে যাওয়াটা বেশ সহজ ছিল। এরপর পাথরগুলো স্থলপথে নির্মাণস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

পিরামিডের বিশালাকায় পাথরখণ্ডগুলো বহন করতে যে জলপথ ব্যবহার করা হয়েছিল, সে ধারণা আগেও ছিল প্রত্নতত্ত্ববিদদের। তবে এমন কোনো জলপথের অবস্থান ও আকার নিয়ে কেউ নিশ্চিত ছিলেন না বলে জানিয়েছেন ওই গবেষণাপত্রের প্রধান রচয়িতা ও যুক্তরাষ্ট্রের উইলমিংটনে অবস্থিত ক্যারোলাইনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এমান গোনেইম।

গবেষক সুজান ওনস্টাইন বলেন, ‘নীল নদের শাখা আবিষ্কার করাটা আমাকে ভূগোল, জলবায়ু, পরিবেশ ও মানুষের আচরণের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সংযোগের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে।’

বিষয়:

মোদির চেয়েও ধনী রাহুল

রাহুল গান্ধী
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতে চলছে লোকসভা নির্বাচন। ভোটে লড়ছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর মতো নেতারা। প্রার্থী হতে তারা ইতোমধ্যে জমা দিয়েছেন মনোনয়নপত্র। সেখানে হলফনামায় তারা নিজেদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, সম্পদ আর মামলার বিবরণী দিয়েছেন। তাতে দেখা গেছে, নরেন্দ্র মোদির চেয়ে কয়েক গুণ বেশি সম্পদের মালিক রাহুল গান্ধী।

এবার বারানসি থেকে ভোটে লড়ছেন নরেন্দ্র মোদি। মোদির হলফনামায় দেখা যাচ্ছে, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ায় তার ২ কোটি ৮৬ লাখ রুপির ফিক্সড ডিপোজিট আছে। তার হাতে আছে ৫২ হাজার ৯২০ রুপি। গান্ধীনগর ও বারানসিতে দুটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৮০ হাজার ৩০৪ রুপি আছে। এ ছাড়া ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট প্রকল্পে মোদির ৯ লাখ ১২ হাজার রুপি আছে। ২ লাখ ৬৮ হাজার রুপি মূল্যের চারটি সোনার আংটি আছে তার। এ ছাড়া চার বছরে তার আয় বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি।

রাহুল গান্ধীর হলফনামা থেকে দেখা যাচ্ছে, রাহুল গান্ধীর শেয়ারবাজারে ৪ কোটি ৩০ লাখ এবং মিউচুয়াল ফান্ডে ৩ কোটি ৮১ লাখ রুপির বিনিয়োগ আছে। আর ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট, বীমা ও অন্যত্র তিনি ৬১ লাখ ৫২ হাজার রুপি বিনিয়োগ করেছেন। তার কাছে ৪ লাখ ১২ হাজার রুপির ৩৩৩ গ্রামের গয়না আছে। সব মিলিয়ে তার অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ১১ কোটি ১৪ লাখ রুপি। তার স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৯ কোটি ২৪ লাখ রুপি মূল্যের। এ ছাড়া দিল্লির মেহরৌলিতে বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সঙ্গে যৌথ মালিকানার ফার্ম হাউস আছে, বাড়িও আছে। গুরুগ্রামে তার দুটি বাণিজ্যিক স্পেসও আছে।

এদিকে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তার হলফনামায় জানিয়েছেন, তার ও তার স্ত্রীর সম্পত্তির পরিমাণ ৬৫ কোটি ৬৭ লাখ রুপি। ক্যাশ, ব্যাংকের সেভিংস অ্যাকাউন্ট, মেয়াদি জমা প্রকল্প, সোনা, রুপা এবং উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পত্তির পরিমাণ ২০ কোটি ২৩ লাখ রুপি। এর মধ্যে ১৭ কোটি ৪৬ লাখের শেয়ার এবং ৭২ লাখ ৮৭ হাজারের সোনা আছে তার। স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে অমিত শাহর ১৬ কোটি ৩১ লাখ রুপির সম্পত্তি আছে। এর মধ্যে কৃষিজমি, আংশিক চাষযোগ্য জমি, একাধিক বাড়ি আছে।


ভারতের হরিয়ানায় বাসে আগুন: ৮ পুণ্যার্থীর মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে এক্সপ্রেসওয়েতে চলন্ত বাসে আগুন লেগে আট পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার মাঝরাতের দিকে রাজ্যটির কুন্ডলি-মানেসার-পালওয়াল এক্সপ্রেসওয়েত ঘটনাটি ঘটে। ওই সময় এসব পুণ্যার্থী উত্তর প্রদেশের মথুরা ও বৃন্দাবনে তীর্থযাত্রা সেরে ফিরে আসছিলেন।

স্থানীয় কর্মকর্তারা জানান, বাসটিতে নারী ও শিশুসহ এক পরিবারের অন্তত ৬০ জন আরোহী ছিলেন। তারা সবাই পাঞ্জাবের বাসিন্দা। তাদের বহনকারী বাসটি হরিয়ানার নুহ এলাকার কাছে আসার পর সেটিতে আগুন ধরে।

বেঁচে যাওয়া যাত্রীরা বলেন, ‘রাত প্রায় দেড়টার দিকে বাসের পেছন দিকে ধোঁয়ার গন্ধ পেয়েছিলেন তারা। এক মোটরসাইকেল চালক বাসটির পেছনদিকে আগুন দেখে সেটিকে অনুসরণ করেন। পরে তিনি বাসচালককে গিয়ে সতর্ক করলে চালক বাসটি থামিয়ে দেন।’

জীবিত এক যাত্রী বলেন, ‘পবিত্র স্থানগুলোতে তীর্থযাত্রার জন্য আমরা ১০ দিনের জন্য বাসটি ভাড়া করেছিলাম। আমরা শুক্রবার রাতে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়েছিলাম। রাতে ঘুমের মধ্যেই ধোঁয়ার গন্ধ পাই।’

বাসটি থামার পর ততক্ষণে সেটিতে পুরোপুরি আগুন ধরে গেছে। স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন ও আগুন নেভানোর এবং লোকজনকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। দমকল কর্মীরা আসার পর আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়। আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।

বাসটি পুরোপুরি পুড়ে যাওয়ার তিন ঘণ্টা পর দমকল কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আসেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভিকে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমরা বাসের পেছনে গিয়ে জানালা ভেঙে অনেককে বের করে নিয়ে আসি, কিন্তু ততক্ষণে আগুন অনেক তীব্র হয়ে ওঠে। আমরা পুলিশকে খবর দিয়েছিলাম, কিন্তু তারা আসতে অনেক দেরি করে।’

বিষয়:

দুর্ভিক্ষের মুখে সুদানের ৪০ লাখ মানুষ

দুর্ভিক্ষপীড়িত সুদানের বাসিন্দা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

দুর্ভিক্ষের মুখে পড়েছে সুদানের ৪০ লাখ মানুষ। দেশটিতে সেনাবাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনীর লড়াইয়ের কারণে সংকট আরও বাড়বে। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে। জাতিসংঘের প্রতিনিধি ক্লেমেন্টাইন কোয়েটা-সালামি বলেছেন, ভয়ংকর সহিংসতার আগ্নেয়গিরির মুখে সুদান। দেশটিতে লড়াই শেষ হওয়ার কোনো সংকেত নেই। আর এই লড়াইয়ে চলছে ভয়ংকর বাড়াবাড়ি। ধর্ষণ, অত্যাচার ও জাতিগত সহিংসতার অভিযোগ উঠেছে। সহিংসতার জন্য ত্রাণ দেওয়া যাচ্ছে না।

ক্লেমেন্টাইন কোয়েটা-সালামি জানিয়েছেন, সুদানের প্রায় ৪০ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখে পড়েছেন। তাদের কাছে ত্রাণ পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না।

২০২৩ সালের এপ্রিলে সুদানের সেনাবাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনীর মধ্যে লড়াই শুরু হয়। তারপর থেকে ৯০ লাখ মানুষ ঘরছাড়া হয়েছে। মারা গেছে প্রচুর মানুষ। ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, পুরো দেশে সংঘাত ছড়িয়ে পড়লেও পশ্চিম দারফুরে ভয়ংকর লড়াই চলছে।

জাতিসংঘের প্রতিনিধি ক্লেমেন্টাইন কোয়েটা-সালামি জানান, গত সপ্তাহে এল ফাশারে প্রবল সংঘর্ষ হয়েছে। প্রচুর মানুষ মারা গেছে, অনেকে ঘরছাড়া হয়েছে। সামনে আসছে বর্ষা। এ সময় যাতায়াতে আরও অসুবিধা হবে। কৃষকরা বীজ না পেলে তারা চাষ করতে পারবে না।

তার মতে, সুদানের মানুষের অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। পোর্ট সুদান থেকে ট্রাকে করে ওষুধ ও ত্রাণসামগ্রী ৩ এপ্রিল পাঠানো হয়েছে, কিন্তু তা এখনো এল ফিশারে পৌঁছায়নি।


দুবাইয়ে ৩৯৪ বাংলাদেশির ৬২১ বাড়ি-ফ্ল্যাট রয়েছে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের আবাসন খাতে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ধনাঢ্য ব্যক্তিরা। সম্পত্তির মালিকের এ তালিকায় সেলিব্রিটি থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশের বড় ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব রয়েছেন। এমনকি বৈশ্বিক নিষেধাজ্ঞায় থাকা ব্যক্তি, অর্থ পাচারকারী ও অপরাধীরাও সেখানে বিপুল সম্পদের মালিক। এ তালিকায় রয়েছেন বাংলাদেশি বেশকিছু নাগরিকও।

ইইউ ট্যাক্স অবজারভেটরির এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দুবাই শহরে শতভাগ প্রস্তুত আবাসন সম্পদ কিনেছেন কিংবা আবাসন সম্পদ কেনার প্রস্তুতি নিয়েছেন এমন যাদের কথা ফাঁস হয়েছে তাদের মধ্যে ২০২২ সালে বাংলাদেশির সংখ্যা ছিল ৩৯৪ জন। ওই বছর তারা ২২ কোটি ৫৩ লাখ ডলারের মোট ৬৪১টি সম্পদ কিনেছেন। বিভিন্ন তথ্য ব্যবহার করে ওই প্রতিবেদনে সংস্থাটি আনুমানিক হিসেবে করে জানিয়েছে, ২০২২ সালে সর্বমোট এই সংখ্যা হতে পারে ৫৩২ জন।

ইইউ ট্যাক্স অবজারভেটরি তাদের প্রতিবেদনে বিভিন্ন শ্রেণিতে এসব তথ্য প্রকাশ করেছে। ফাঁস হওয়া সম্পদ কেনার ঘটনার সঙ্গে সংস্থাটি নিজেদের আনুমানিক হিসাবও দিয়েছে, যেখানে ফাঁস হওয়া ঘটনার সঙ্গে ফাঁস না হওয়া ঘটনাও আমলে নেওয়া হয়েছে। তবে কারা এসব সম্পদ কিনেছেন, সেই তথ্য ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি।

প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে, ২০২০ সালে বাংলাদেশিরা দুবাই শহরে প্রস্তুত ও অপ্রস্তুত সম্পদ কিনেছেন এবং যাদের কথা ফাঁস হয়েছে, এমন বাংলাদেশির সংখ্যা ছিল ৪০৫ জন এবং তাদের কেনা সম্পদের মূল্য ছিল ২১ কোটি ১২ লাখ ডলার; সেই বছর বাংলাদেশিরা মোট ৬৫৭টি সম্পদ কিনেছিলেন।

এর আগেও গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুবাই, শারজাহ, আবুধাবি ও আজমান শহরে বাংলাদেশিরা নিজের ও অন্যের নামে নিজস্ব ভিলা, ফ্ল্যাট, ছোট হোটেল, তারকা হোটেলসহ নানা ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করেছেন। এসব বিনিয়োগে নিজেদের আড়াল করে রাখছেন অনেকেই। এ জন্য তারা বাংলাদেশের পরিবর্তে আলবেনিয়া, সাইপ্রাসসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকত্ব ব্যবহার করেছেন।

এ প্রক্রিয়ায় আরব আমিরাতের কৃত্রিম দ্বীপপুঞ্জ ‘পাম জুমেইরা’, জুমেইরা, সিলিকন ওয়েসিস, এমিরেটস হিল, দুবাই মেরিনা ও বিজনেস বের মতো অভিজাত এলাকাগুলোয়ও নিজস্ব বাড়ি ও তারকা হোটেল গড়ে তুলেছেন কেউ কেউ। এসব এলাকায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ধনীদেরও সম্পদ রয়েছে।

ট্যাক্স অবজারভেটরির নিজস্ব আনুমানিক হিসাব অনুযায়ী, যেখানে ফাঁস হওয়া ঘটনার সঙ্গে ফাঁস না হওয়া ঘটনাও আমলে নেওয়া হয়েছে। সেই হিসাবে দেখা যাচ্ছে, ২০২২ সালে যে ৫৩২ জন বাংলাদেশি আবাসন কিনেছেন, তাদের কেনা সম্পদের অর্থের মূল্য ছিল ৩৭ কোটি ৭৪ লাখ ডলার। ২০২০ সালে সে সংখ্যাটা ছিল ৫৬২ জন; অর্থের মূল্য ছিল ৩৭ কোটি ৫৩ লাখ ডলার। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে, ২০২২ সালে বাংলাদেশি নাগরিকদের সম্পদ কেনার হার কমলেও তার অর্থের মূল্য বেড়েছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগপ্রত্যাশী নীতির কারণে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। দেশটি আবাসন খাতে বিনিয়োগের জন্য দরজা অনেকটা খুলে রেখেছে। দুবাই শহরে বিনিয়োগ করার সক্ষমতা থাকলেই তিনি সেখানে বাড়ি কিনতে পারেন। এর বাইরে আর কিছু খোঁজে না আরব আমিরাতের কর্তৃপক্ষ। সে কারণে দুবাই এখন সাধারণ বহুজাতিক নয়, বরং তা বিদেশিদের শহর হয়ে গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিন মিলিয়নের বেশি বা ৩০ লক্ষাধিক মানুষের দুবাই শহরে আমিরাতিরা চূড়ান্ত সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়েছে, তারা এখন মাত্র ৮ শতাংশ।

এদিকে সম্প্রতি একটি বৈশ্বিক অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা প্রকল্প তালিকা প্রকাশ করেছে। এতে ভারতের ধনকুবের মুকেশ আম্বানির পাশাপাশি রয়েছেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির পরিবারের সদস্যরা।

তালিকায় দেখা গেছে, দুবাইয়ে সবচেয়ে বেশি সম্পদ রয়েছে ভারতীয়দের। সেখানে ৩৫ হাজার প্রপার্টির মালিক ২৯ হাজার ৭০০ ভারতীয়। এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন পাকিস্তানিরা। দেশটির ১৭ হাজার নাগরিকের দুবাইয়ে ২৩ হাজার প্রপার্টি রয়েছে। এর মূল্য ১ হাজার ২৫০ কোটি ডলার।

বাংলাদেশি নাগরিকদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা না হলেও সংবাদে যে মানচিত্র প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে বাংলাদেশিদের সংখ্যা, সম্পদের পরিমাণ এবং দাম রয়েছে। তাদের নিয়ে পৃথক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করতে পারে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।

‘দুবাই আনলকড’ শীর্ষক এ অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা প্রকল্পের সমন্বয় করেছে অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট (ওসিসিআরপি) ও নরওয়ের সংবাদমাধ্যম ই-টোয়েন্টিফোর। এ প্রকল্পে অংশ নিয়েছে ৫৮টি দেশের ৭৪টি সংবাদমাধ্যম। প্রতিবেদনটি ওসিসিআরপির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

দুবাইয়ের ভূমি দপ্তরসহ কয়েকটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের ফাঁস হওয়া তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে এ অনুসন্ধান চালানো হয়েছে। এতে বিশেষ করে ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বিদেশিদের সম্পদের মালিকানার বিস্তারিত চিত্র উঠে আসে।

এসব তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছে ওয়াশিংটনভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড ডিফেন্স স্টাডিজ। প্রতিষ্ঠানটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ও সংঘাত নিয়ে গবেষণা করে থাকে। পরে এসব তথ্য-উপাত্ত ই-টোয়েন্টিফোর এবং ওসিসিআরপির সঙ্গে ভাগাভাগি করে প্রতিষ্ঠানটি।

এই অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় অংশ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাময়িকী ফোর্বসও। সব মিলিয়ে ফোর্বস ২২ ধনকুবের ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন ৬০ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের ৭৬টি সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে। বিশ্বের চারটি মহাদেশের ১০টি দেশ থেকে এসেছেন তারা।

ট্যাক্স অবজারভেটরির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে দুবাই শহরে বিদেশিদের মালিকানাধীন আবাসনের মূল্য ছিল ১২১ বিলিয়ন বা ১২ হাজার ১০০ কোটি ডলার; ২০২০ সালে যা ছিল ৯৮ বিলিয়ন বা ৯ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। মূল্যের হিসাবে দুবাই শহরের আবাসন খাতের ৪৩ শতাংশই এখন বিদেশিদের দখলে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ২০২২ ও ২০২৩ সালে দুবাই শহরে রুশ ধনীদের আবাসন খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ বেড়েছে যথাক্রমে ৯৪০ ও ১ হাজার ৫০০ শতাংশ। এই সময় রুশ ধনীরা মোট ৬৩০ কোটি ডলারের প্রস্তুত ও অপ্রস্তুত সম্পদ কিনেছেন।

রুশ নাগরিকদের সম্পদ কেনা বাড়লেও সামগ্রিকভাবে সম্পদের মূল্যের দিক থেকে সবার ওপরে আছেন ভারতীয়রা। ২০২২ সালে দুবাই শহরে ভারতীয়দের সম্পদের মূল্য ছিল ২১ দশমিক ৩ বিলিয়ন বা ২ হাজার ১৩০ কোটি ডলার। ২০২০ সালেও তারা সবার ওপরে ছিলেন, সেবার ভারতীয়দের সম্পদের মূল্য ছিল ১৭ দশমিক ৩ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৭৩০ কোটি ডলার। ২০২২ ও ২০২০ উভয় বছরেই দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন যুক্তরাজ্যের নাগরিকেরা; তাদের সম্পদের মূল্য ছিল যথাক্রমে ১২ দশমিক ৭ বিলিয়ন বা ১ হাজার ২৭০ কোটি ডলার ও ১০ দশমিক ১ বিলিয়ন বা ১ হাজার ১০ কোটি ডলার। ২০২২ সালে তৃতীয় স্থানে ছিল সৌদি আরব; ২০২০ সালে ছিল পাকিস্তান। এ ছাড়া ২০২২ সালে যেসব দেশের মানুষ শীর্ষ ১০-এ ছিলেন সেগুলো হলো চীন, মিসর, জর্ডান, রাশিয়া, কানাডা, ইরান প্রভৃতি।

উল্লেখ করার মতো বিষয় হলো, তৈরি হয়নি এমন সম্পদ কেনার দিক থেকে ২০২২ সালে সবার ওপরে ছিলেন যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনের নাগরিকরা। ২০২০ সালে শীর্ষে ছিলেন আরেক যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ সিরিয়ার নাগরিকরা। ২০২২ সালের তালিকায় শীর্ষ ১০-এ ফিলিস্তিন, সুদান ও আফগানিস্তানের মতো দেশের নাগরিকরাও আছেন।


স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে গুলি: সন্দেহভাজন একজন আটক

স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকোকে গুলি করার পর ঘটনাস্থল থেকে সন্দেহভাজন এক হামলাকারীকে আটক করে পুলিশ। ছবি: রয়টার্স
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকোকে গুলির ঘটনায় এক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

গতকাল বুধবার দেশটির হ্যান্ডলোভা শহরে ঘটনাটি ঘটে। সেখানে একটি সরকারি বৈঠকে অংশ নিতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী ফিকো। বৈঠক থেকে বের হওয়ার পরই তাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। গুলিবিদ্ধ ফিকোকে একটি গাড়িতে তুলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। তিনি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ঘটনার পর দেশটির সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ‘হামলাকারী সন্দেহে ঘটনাস্থল থেকে যে ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে, তিনি একজন পুরুষ। তার বয়স ৭১ বছর। তিনি একজন লেখক।’

আটক ব্যক্তির বিষয়ে গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাতুস সুতাজ এস্তোকের কাছে জানতে চেয়েছিলেন সাংবাদিকেরা। জবাবে তিনি বলেন, তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করছেন।

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ‘সন্দেহভাজন হামলাকারী ডিইউএইচএ (রংধনু) সাহিত্য ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা। স্লোভাকিয়ার লেভিস শহরের বাসিন্দা তিনি।

খবরে আরও বলা হয়, আটক ব্যক্তি তিনটি কবিতাসমগ্র লিখেছেন। তিনি স্লোভাকিয়ার লেখকদের একটি সংগঠনের সদস্য।

লেখকদের সংগঠনটি এক ফেসবুক পোস্টে বলেছে, সন্দেহভাজন ব্যক্তি ২০১৫ সাল থেকে তাদের সদস্য। প্রধানমন্ত্রীকে গুলির ঘটনায় তার জড়িত থাকার তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে তার সদস্যপদ বাতিল করা হবে।

স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যম সন্দেহভাজন ব্যক্তির ছেলের বক্তব্য প্রকাশ করেছে। তিনি বলেছেন, বাবার চিন্তাভাবনা, পরিকল্পনা সম্পর্কে সত্যিই তার কোনো ধারণা নেই। এ ঘটনা কেন ঘটল, সে ব্যাপারে তিনি কিছু বলতে পারছেন না।

আটক ব্যক্তির ছেলে জানিয়েছেন, তার বাবার কাছে বৈধ, নিবন্ধিত আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। সন্দেহভাজন ব্যক্তির ছেলের কাছে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করেন, কোনো কারণে তার বাবা প্রধানমন্ত্রী ফিকোকে অপছন্দ বা ঘৃণা করতেন কি না? জবাবে ছেলে বলেন, তার বাবা ফিকোকে ভোট দিতেন না। তিনি এতটুকুই শুরু বলতে পারেন।


ইন্দোনেশিয়ায় শীতল লাভায় প্রাণ গেল ৬৭ জনের

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশে হড়কা বান, শীতল লাভাস্রোত ও ভূমিধসে ৬৭ জন নিহত হয়েছেন, এবং এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ২০ জন। নিখোঁজদের সন্ধানে অনুসন্ধান জারি রেখেছে প্রদেশ প্রশাসন।

ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ মোকাবিলা বিভাগ বিএনপিবি জানিয়েছে, তিন জেলার দুর্যোগ কবলিত এলাকাগুলো থেকে এ পর্যন্ত ৪ হাজারেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে বন্যা ও লাভা নিঃসরণের কারণে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তাতে পুরনো বাড়িঘরে ফিরে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি অধিকাংশের।

তাদের আবাসনের দায়িত্ব সরকার নিয়েছে উল্লেখ করে আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বিএনপিবি জানিয়েছে, ‘যারা ঘরবাড়ি হারিয়েছেন, তাদেরকে সরকার জমি দেবে এবং সেই জমিতে ঘরও তৈরি করে দেবে। আগামী সময় লাগবে সর্বোচ্চ ছয় মাস।’

গত শনিবার দিনজুড়ে ভারী বর্ষণের জেরে বন্যা শুরু হয় পশ্চিম সুমাত্রার অন্তত ৩টি জেলায়। ওই দিনই সন্ধ্যার পর সক্রিয় হয় প্রদেশটিতে অবস্থিতি জীবন্ত আগ্নেয় পর্বত মাউন্ট মারাপি।

শীতল লাভাকে ইন্দোনেশীয় বলা হয় লহর। এটি এক ঘন কাদার মতো মিশ্রন যার গঠন উপাদান আগ্নেয় ছাই, পাথরের ধ্বংসাবশেষ এবং পানি। সাধারণ অগ্নুৎপাতজনিত সাধারণ লাভার সঙ্গে শীতল লাভার পার্থক্য হলো— এই লাভায় উত্তাপ কম থাকে।

ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট মারাপি থেকে মাঝে মাঝেই শীতল লাভার উদ্গিরণ হয়। গত ডিসেম্বরে মাউন্ট রে এরকমই এক লাভা উদ্গিরণের জেরে পশ্চিম সুমাত্রায় ২০ জন নিহত হয়েছিলেন।

বৃষ্টি, হড়কা বান ও লাভায় প্রদেশটির তিন জেলায় ৫২১টি বাড়ি, ৭৯ হাজার ৩৭ একর পরিমাণ জমির ফসল এবং ১৯টি সেতু ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে প্রদেশ প্রশাসন।


গাজা নিয়ে মতবিরোধ: পদত্যাগ করলেন বাইডেনের আরেক কর্মকর্তা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে অব্যাহতভাবে সমর্থন দিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের আরেক কর্মকর্তা। মূলত গাজা নিয়ে মতবিরোধের জেরে প্রকাশ্যেই পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের চলমান সংঘাতে সরাসরি ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সঙ্গে গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের বিষয়েও নীরব রয়েছে তারা।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘গাজায় চলমান যুদ্ধের মধ্যে ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সমর্থনের প্রতিবাদে জো বাইডেনের প্রশাসনের আরও একজন কর্মী প্রকাশ্যে পদত্যাগ করেছেন।’

পদত্যাগকৃত ওই কর্মকর্তার নাম লিলি গ্রিনবার্গ কল। তিনি মার্কিন স্বরাষ্ট্র দপ্তরের চিফ অব স্টাফের বিশেষ সহকারী হিসেবে দায়িত্বপালন করছিলেন বলে গতকাল বুধবার জানায় এপি।

লিলি গ্রিনবার্গ কল তার পদত্যাগ পত্রে লিখেছেন, “তিনি ‘তার বিবেক ও বিচারবুদ্ধিকে সঙ্গে নিয়ে এই প্রশাসনের প্রতিনিধিত্ব করা চালিয়ে যেতে পারেন না’।”

সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লিলি আরও বলেন, ‘তিনি (বাইডেন) ইহুদিদেরকে আমেরিকান যুদ্ধযন্ত্রের মুখ বানাচ্ছেন। এবং এটি খুব গভীরভাবে ভুল পদক্ষেপ।’

গত বছরের অক্টোবরে সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং ভূখণ্ডে ইসরায়েলের অব্যাহত আক্রমণ ও অবরোধে ভয়াবহ মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন কয়েক লাখ ফিলিস্তিনি।

বিষয়:

জীবনঝুঁকি নেই গুলিতে আহত স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রীর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বন্দুকধারীর গুলিতে আহত স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকোর জীবনঝুঁকি নেই বলে দাবি করেছেন দেশটির এক মন্ত্রী। স্থানীয় সময় বুধবার সরকারি এক বৈঠকের পর গুলিতে গুরুতর আহত হন ফিকো, যেটি ছিল গুপ্তহত্যার চেষ্টা।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ৫৯ বছর বয়সী ফিকোকে পাঁচবার গুলি করে গুরুতর আহত করেন বন্দুকধারী। বুধবার সন্ধ্যায় অস্ত্রোপচার হয় স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রীর।

‘আমি খুবই মর্মাহত…সৌভাগ্যবশত আমি যতদূর জেনেছি, অস্ত্রোপচার সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং আমার ধারণা শেষ পর্যন্ত তিনি বেঁচে যাবেন…এ মুহূর্তে জীবনঝুঁকি নেই তার’, বলেন স্লোভাকিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী ও পরিবেশমন্ত্রী টমাস তারাবা।

তিনি জানান, বন্দুকধারীর একটি গুলি ফিকোর পাকস্থলি ভেদ করে। আরেকটি গুলি তার গ্রন্থিতে আঘাত হানে।

অ্যাকচুয়ালিটি ডট এসকে নামের একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিকোর অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে এবং তার অবস্থা স্থিতিশীল।

এর আগে স্লোভাকিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট কালিনাক এক ব্রিফিংয়ে বলেন, কয়েকটি গুলির আঘাতে মারাত্মক আহত হন ফিকো।

তারও আগে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাতুস সুতাজ এস্তক জানান, প্রাণহানির শঙ্কায় আছেন ফিকো, যিনি অপারেশন থিয়েটারে রয়েছেন।


banner close