শনিবার, ২৫ মে ২০২৪

খামেনির উত্তরসূরি কে হতে পারেন?

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ১২ অক্টোবর, ২০২২ ০৯:৪৯

নাহিদ জামান জিহান

ইরানে নারীর পোশাকের স্বাধীনতাসহ বিভিন্ন দাবিতে প্রায় এক মাস ধরে গণ-আন্দোলন চলছে। পাশাপাশি কেউ কেউ সরকার পতনের দাবিও জানাচ্ছেন। দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনিকে সরানোর দাবিতে স্লোগান পর্যন্ত উচ্চারিত হয়েছে। কিন্তু সেটা খুব সহজ কাজ নয়। খামেনি তো কেবল ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা নন, তার হাতেই রয়েছে দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, এমনকি সামরিক নির্দেশনা দেয়ার মূল চাবিকাঠি।

খামেনি কার্যত ইরানকে পরিচালনা করেন। কারণ, তার নির্দেশনাতেই দেশটির প্রেসিডেন্ট সিদ্ধান্ত নেন এবং সেগুলোর বাস্তবায়ন করেন। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি সরাসরি পাঁচটি বিভাগ নিয়ন্ত্রণ করেন। দেশের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়, বিচার বিভাগ, আইন পরিষদ, উপদেষ্টা পরিষদ (গার্ডিয়ান কাউন্সিল) ও সামরিক বিভাগ খামনির নিয়ন্ত্রণাধীন। আর সামরিক বিভাগে রয়েছে সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং ইসলামি রেভ্যুলেশনারি গার্ড। আবার এই রেভ্যুলেশনারি গার্ডের রয়েছে দুটি শাখা। একটি হলো নৈতিকতা পুলিশ (মোরালিটি পুলিশ) আর অন্যটি হলো আধা সামরিক স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী বাসিজ।

বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম ক্ষমতাধর দেশ ইরানের রাজনৈতিক ক্ষমতার শীর্ষে আছেন ৮৩ বছর বয়স্ক আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। কাজেই তার উত্তরসূরি কে হতে পারেন, সেই প্রশ্নের উত্তর জানাটা ইরানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তো বটেই, এমনকি গোটা বিশ্বের জন্যও তাৎপর্যপূর্ণ। তবে প্রশ্ন হলো- ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা যদি কখনো স্বেচ্ছায় নিজের পদ ছেড়ে দেন কিংবা মারা যান, তাহলে কে হতে পারেন পরবর্তী সর্বোচ্চ নেতা।

সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা কীভাবে নির্ধারণ করা হয়?

এই পদে কে থাকবেন তা নির্ধারণ করে বিশেষজ্ঞমণ্ডলী বা অ্যাসেম্বলি অব এক্সপার্টস নামের ৮৮ জন ধর্মীয় নেতার একটি পরিষদ। ১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লবের প্রথম সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা রুহুল্লাহ খোমেনির মৃত্যুর পর আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি এই পদে আসীন হন। এই বিশেষজ্ঞমণ্ডলীর সদস্যদের নির্বাচন করা হয় প্রতি আট বছর অন্তর। কিন্তু গোষ্ঠীর সদস্য পদের জন্য কারা প্রার্থী হতে পারবেন তা নির্ভর করে দেশটির গার্ডিয়ান কাউন্সিল নামে একটি উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদনের ওপর। আর এই গার্ডিয়ান কাউন্সিলের সদস্যরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নির্বাচন করেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা। অর্থাৎ এই দুটি পরিষদের বিশেষজ্ঞমণ্ডলীর ওপর সর্বোচ্চ নেতার প্রভাব থাকে। গত তিন দশক ধরে আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি নিশ্চিত করেছেন যে, বিশেষজ্ঞমণ্ডলীর নির্বাচিত সদস্যরা যেন অনুগত হন; যারা তার উত্তরসূরি নির্বাচনের সময় তারই নির্দেশ মেনে চলবেন।

ইরানের প্রভাবশালী বিশেষজ্ঞমণ্ডলী সর্বোচ্চ নেতাকে নিয়োগ করেন এবং তাকে অপসারণের ক্ষমতাও তাত্ত্বিকভাবে তাদেরই হাতে। নির্বাচিত হওয়ার পর সর্বোচ্চ নেতা তার পদে আজীবন বহাল থাকতে পারেন। ইরানের সংবিধান অনুযায়ী, সর্বোচ্চ নেতা হবেন একজন ‘আয়াতুল্লাহ’, অর্থাৎ যিনি শিয়া সম্প্রদায়ের একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা। কিন্তু আলি খামেনিকে যখন নির্বাচন করা হয়েছিল, তিনি ‘আয়াতুল্লাহ’ বা শিয়া সম্প্রদায়ের শীর্ষ নেতা ছিলেন না। তখন তিনি যাতে এই দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারেন, তার জন্য আইন পরিবর্তন করা হয়েছিল। কাজেই প্রয়োজনে আইন আবার পরিবর্তন করা সম্ভব। যখন নতুন নেতা নির্বাচনের সময় আসবে, তখন রাজনৈতিক পরিস্থিতির আলোকে আইন পরিবর্তনের রাস্তা খোলা রয়েছে।

কেন এই নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ?

ইরানে চূড়ান্ত ক্ষমতার অধিকারী দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার পদাধিকারী ব্যক্তি। দেশটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে তার নির্দেশই শেষ কথা। দেশটির নীতিমালার রূপকার তিনি, বহির্বিশ্বের সঙ্গে ইরানের সম্পর্কের মূল নির্দেশকও তিনি। ইরান বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী শিয়া মতাবলম্বী দেশ এবং আলি খামেনির নেতৃত্বে ইরান মধ্যপ্রাচ্যে তার প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছে। তার মৃত্যু গোটা মধ্যপ্রাচ্যে ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এবং ইসরায়েলের বিরোধের ফলে বহু বছর ধরে অস্থিতিশীল ও উত্তেজনাময় পরিস্থিতি বিরাজ করছে, যার প্রধান কারণ এই দুটি দেশের ব্যাপারে আলি খামেনির ব্যক্তিগত অপছন্দ। তবে দেশটিতে তার উত্তরসূরি নির্বাচনের যে প্রক্রিয়া রয়েছে তার পরিচালনা পদ্ধতির কারণে এটা স্পষ্ট, যিনিই এই পদে আসুন না কেন, তিনি আলি খামেনির নির্ধারিত পথেই চলবেন।

কে হতে পারেন পরবর্তী সর্বোচ্চ নেতা?

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের রাজনৈতিক উপদলগুলো পরবর্তী উত্তরসূরি কে হবেন তা জানতে বেশ আগ্রহী। কিন্তু ইরানে এমন কোনো ক্ষমতাধর ব্যক্তি নেই যিনি একটা সংকট প্রতিরোধ করার জন্য নেতৃত্ব দিতে পারেন। আলি খামেনির অনুগত মহলে তার একটা বড় প্রভাব রয়েছে। এদের বেশির ভাগই ইরানের সবচেয়ে ক্ষমতাধর বাহিনী রেভল্যুশনারি গার্ডের সদস্য।

ইরানের পরবর্তী সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা হিসেবে সম্ভাবনাময় অনেকের নাম নিয়ে জল্পনা চলছে। তবে তাদের মধ্যে রেভল্যুশনারি গার্ডের নেতা মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি, খামেনির ছেলে মোজতাবা এবং বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মধ্যে থেকে কাউকে বাছাই করা হবে বলে ধারণা করা হয়। কিন্তু রেভল্যুশনারি গার্ড যদি কোনো প্রার্থীকে পরবর্তী সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে দেখতে না চায় বা তারা যদি কোনো প্রার্থীকে অপছন্দ করে, তাহলে তাকে ঠেকানোর চেষ্টা করতে পারে। তবে পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে বা বিভিন্ন ঘটনার নিরিখে বলা যায়, আলি খামেনির পছন্দের উত্তরসূরির হতে পারেন মোজতোবা ও রাইসি। সম্ভাব্য প্রার্থীদের অত্যন্ত গোপনীয় একটি তালিকা ইতিমধ্যে তৈরি করা হয়েছে বলে গুজব রয়েছে। তবে ওই তালিকায় কার কার নাম আছে তা জানার উপায় নেই, সেই দাবিও ইরানে কেউ করেন না।

তথ্যসূত্র: বিবিসি।


ভারতে লোকসভা নির্বাচন: ষষ্ঠ ধাপের ভোটগ্রহণ চলছে

আপডেটেড ২৫ মে, ২০২৪ ১৫:৪৬
ইউএনবি

টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার লড়াইয়ে বিরোধী জোটের বিপক্ষে ভোটযুদ্ধে নেমেছেন ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদি। এরই ধারাবাহিকতায় আজ শনিবার দেশটির লোকসভা নির্বাচনের ষষ্ঠ ধাপের ভোটগ্রহণ চলছে।

তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচতে এদিন সকাল ৭টায় ভোটগ্রহণ শুরুর আগেই কেন্দ্রগুলোর সামনে ভোটারদের লম্বা লাইন দেখা গেছে।

রাজধানী নয়াদিল্লিসহ ভারতের ৫৮টি নির্বাচনি এলাকায় ষষ্ঠ ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মাধ্যমে দেশটির ৮৯.৫ শতাংশ আসনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হবে। আগামী ১ জুন সপ্তম ও শেষ ধাপে ৫৭টি আসনে ভোটগ্রহণের মাধ্যমে ৬ সপ্তাহব্যাপী বিশাল এ নির্বাচনি কর্মযোগ্য শেষ হবে। ভোটের ফল প্রকাশ হবে আগামী ৪ জুন।

এদিন রাজধানীতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ায় ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, বিরোধী দল কংগ্রেস নেতা সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধীর মতো বড় বড় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে আজ ভোট দিতে দেখা গেছে।

এদিকে দলের শতাধিক কর্মীকে আটকের অভিযোগ তুলে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে বিক্ষোভ করেছেন পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির (পিডিপি) প্রেসিডেন্ট মেহবুবা মুফতি। এ বিষয়ে নির্বাচন কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করেছেন বলেও জানিয়েছেন নির্বাচনে অনন্তনাগ-রাজৌরি এলাকা থেকে ভোটে দাঁড়ানো এই নেত্রী।

অপরদিকে, পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরে ভোট দিতে যাওয়ার সময় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকদের বাধার মুখে পড়েন এ আসনে বিজেপির প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল। এ নিয়ে দুই পক্ষের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়ায়।

চলমান এই নির্বাচনকে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। মোদির রাজনৈতিক আধিপত্যেরও পরীক্ষা হবে এই নির্বাচনে। এবার নির্বাচিত হলে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর পর দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে টানা তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসবেন তিনি।

নির্বাচনের প্রথম ৫ ধাপে প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম ভোটারের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। ষষ্ঠ দফার ভোটের আগে দেশটির কিছু জায়গায় তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রিতে উঠেছে। ভোটকেন্দ্রে টানতে নির্বাচনি কর্তৃপক্ষ ভোটারদের জন্য ফ্যান, তাঁবু ও পানির ব্যবস্থা করেছে বলে জানানো হয়েছে।

ইতোমধ্যে হয়ে যাওয়া ভোটে মোদির বিজেপির জয়ের ব্যাপারেই ইঙ্গিত দিয়েছে বেশিরভাগ জরিপ।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক রাশীদ কিদওয়াই বলেন, ‘ভোটগ্রহণ শুরুর প্রথম দিকে মনে হয়েছিল, প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন প্রতিযোগিতায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মোদি। তবে এখন আমরা এক ধরনের পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি। বিরোধী দলগুলো প্রত্যাশার চেয়ে ভালো করছে এবং মনে হচ্ছে মোদির দল বিপর্যস্ত।’

এ কারণেই ভোটারদের নিজের দলের প্রতি আকৃষ্ট করতে মোদিকে মুসলিম-বিদ্বেষী বক্তৃতা দিতে দেখা যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, সামাজিক ন্যায়বিচার ও ক্রমবর্ধমান বেকারত্বকে নির্বাচনি প্রচারের কেন্দ্রে রেখেছে বিরোধীরা। এতে মোদি এতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়েছেন যে নির্বাচনে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি প্রতিযোগিতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

শুরুতে নির্বাচনি প্রচারে মোদি তার গত ১০ বছরের শাসনামলে দেশের দরিদ্র নাগরিকদের আর্থিক সুবিধা, বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা, পাকা টয়লেট ও নারীদের বিনামূল্যে বা স্বল্পমূল্যে রান্নার গ্যাস দেওয়ার মতো কাজগুলো তুলে ধরেন। তবে প্রথম ধাপের ভোটে প্রত্যাশা অনুযায়ী ভোটারদের সাড়া না পেয়ে পদ্ধতি বদলান তিনি। এরপর কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দেশটির সংখ্যালঘু মুসলিম নাগরিকদের বেশি সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে হিন্দু জাতীয়তাবাদকে উস্কে দেওয়া শুরু করেন তিনি।


আগের শর্তে ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় রাজি রাশিয়া

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

আগে রাজি হওয়া চুক্তির শর্তেই ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

শুক্রবার বেলারুশের রাজধানী মিনস্কে দেশটির প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলেন তিনি একথা জানান।

সংবাদ সম্মেলনে পুতিন বলেন, ‘ফের আলোচনা হোক, তবে এক পক্ষ যা চায় তার ওপর ভিত্তি করে নয়, বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় এবং বেলারুশ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় আলোচনার সময় যেসব বিষয়ে একমত হয়েছিলাম, সেগুলোর ওপর ভিত্তি করে।’

২০২২ সালে ইস্তাম্বুলে আলোচনার সময় রাজি হওয়া চুক্তিগুলো দুই পক্ষকেই সন্তুষ্ট করেছিল জানিয়ে পুতিন বলেন, ‘ওই চুক্তির ভিত্তি ফের ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে সমস্যা নেই।’


আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করেই রাফায় ইসরায়েলের হামলা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ইসরায়েল শনিবার রাফাসহ গাজা উপত্যকায় বোমা হামলা চালিয়েছে।

এর একদিন আগে জাতিসংঘের শীর্ষ আলাদত রাফায় হামলা বন্ধ করতে ইসরায়েলকে নির্দেশ দিয়েছে। আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের আদেশ উপেক্ষা করেই ইসরায়েল হামলা চালালো।

এদিকে গাজায় য্দ্ধুবিরতি প্রতিষ্ঠায় নতুন করে আলোচনা শুরু হচ্ছে। প্যারিসে যুদ্ধবিরতি বিষয়ক বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

অন্যদিকে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত সকল জিম্মিকে মুক্তি দিতেও ফিলিস্তিনী সংগঠন হামাসের প্রতি দাবি জানিয়েছে।

উত্তর গাজা থেকে আরো তিন জিম্মির লাশ উদ্ধারের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই আদালত হামাসের প্রতি জিম্মিদের মুক্তি দেয়ার দাবি জানায়।

উল্লেখ্য, হেগ ভিত্তিক এই আদালতের নির্দেশ মানায় আইনগত বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা সরাসরি প্রয়োগের কিছু কৌশলগত সমস্যা রয়েছে।
আদালত মিসর ও গাজার মধ্যকার রাফা ক্রসিং খুলে দিতেও ইসরায়েলকে নির্দেশ দিয়েছে। ইসরায়েল রাফায় হামলা শুরুর জন্যে এ মাসে রাফা ক্রসিং বন্ধ করে দেয়।

এদিকে হামাস রাফায় হামলা বন্ধে জাতিসংঘের শীর্ষ আদালতের আদেশকে স্বাগত জানিয়েছে। একইসঙ্গে গাজার অন্যান্য এলাকাকে অন্তর্ভূক্ত না করায় আদেশের সমালোচনাও করেছে।

ইসরায়েল আদালতের আদেশের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই রাফায় বোমা হামলা চালায়। এদিকে ইসরায়েলী সেনা ও হামাসের সশস্ত্র শাখার মধ্যে লড়াই অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে গাজায় সহিংসতা নিয়ে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে পৃথক বৈঠকের প্রাক্কালে আইসিজে রাফায় হামলা বন্ধের নির্দেশ দেয়।
প্যারিসে মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান ও ইসরায়েলী প্রতিনধিদের সাথে এবং ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁেক্রা ও গুরুত্বপূর্ণ চার আবর দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের বৈঠকের কথা রয়েছে।

ফিলিস্তিনী সংগঠন হামাস গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক বড়ো ধরনের হামলা চালায়। এ সময়ে তারা প্রায় এক হাজার ১৭০ ইসরায়েলীকে হত্যা এবং ২৫০ জনকে জিম্মি করে। এখনও তাদের কাছে ১২১ জিম্মি আটক রয়েছে।

এদিকে ৭ অক্টোবর ইসরায়েল গাজায় প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলা শুরু করে যা এখনও চলছে। গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় ৩৫ হাজার ৮শ’ বেসামরিক ফিলিস্তিনী নাগরিক নিহত হয়েছে। এদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু।


তীব্র দাবদাহের কবলে দক্ষিণ এশিয়া, ভারতে নয়জনের মৃত্যু

তীব্র গরমে প্রশান্তি পেতে পাকিস্তানের লাহোরে পানিতে নেমেছেন কয়েকজন। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে। তীব্র দাবদাহের কবলে পড়েছে এই অঞ্চলের দেশগুলো। ভারতের রাজস্থানে তীব্র গরমের কারণে নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। হিটস্ট্রোকে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে গত মাসে ভয়াবহ তাপমাত্রা দেখেছে এশিয়া। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, ভারতে গ্রীষ্ম মৌসুমে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা দেখা যায় মে মাসে। কিন্তু এ বছর স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তাপপ্রবাহ দেখা যাচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার রাজস্থানের বারমের শহরে ৪৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। দেশটির আবহাওয়া কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজস্থান, পাঞ্জাব ও হরিয়ানা রাজ্যে তাপপ্রবাহ তীব্র আকার ধারণ করতে পারে।

এদিকে পাকিস্তানের জলবায়ু পরিবর্তন-বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পাকিস্তানে অন্তত ২৬টি জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। চলতি মাসের শেষ পর্যন্ত দেশটিতে এমন পরিস্থিতি থাকতে পারে বলেও জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় সিন্ধ প্রদেশের অন্তত দুটি শহরে গতকাল শুক্রবার তাপমাত্রার পারদ ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছে।

অন্যদিকে বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। আগামী রোববার এটি উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তা ছাড়া ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালায় বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই ভারী বৃষ্টিতে চলতি সপ্তাহে অন্তত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। সেখানে আরও ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তীব্র গরমে রাজস্থানে নয়জনের মৃত্যু

ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, রাজস্থানে তীব্র গরমের কারণে নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, হিটস্ট্রোকে তাদের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজস্থানের বারমের শহরে ৪৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। দেশটির আবহাওয়া কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজস্থান, পাঞ্জাব ও হরিয়ানা রাজ্যে তাপপ্রবাহ তীব্র আকার ধারণ করতে পারে।

পাকিস্তানে বন্ধ হচ্ছে একের পর এক স্কুল

অস্বাভাবিক গরম-তাপপ্রবাহের কারণে পাকিস্তানের চার প্রদেশ ও তিন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসন স্কুলগুলোর নিয়মিত ক্লাস কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশ দিতে বাধ্য হচ্ছে। ইতোমধ্যে দেশটির সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য পাঞ্জাবে আগামী এক সপ্তাহ স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রাদেশিক সরকার।

পাঞ্জাব প্রাদেশিক সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘চলমান তাপপ্রবাহের কারণে আগামী ২৫ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত পাঞ্জাবের সব প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল বন্ধ থাকবে। কোনো স্কুল কর্তৃপক্ষ যদি চায়, তাহলে এই সময় পরীক্ষা নিতে পারবে; তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তার ব্যাপারটি সবার আগে বিবেচনা করতে হবে।’

প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ এবং অন্য তিন প্রদেশ সিন্ধ, বেলুচিস্তান ও খাইবার পাখতুনখোয়ায় গত প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে চলছে তাপপ্রবাহ। কোনো কোনো এলাকায় তাপমাত্রা পৌঁছেছে প্রায় ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

পাকিস্তানের আবহাওয়া দপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গ্রীষ্মকালে পাকিস্তানের স্বাভাবিক যে গড় তাপমাত্রা, তার চেয়েও স্থানভেদে ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি গরম পড়েছে চলতি বছরের মে মাসে। এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের চিকিৎসকদের জাতীয় সংগঠন জানিয়েছে, বড় শহরগুলোতে হিটস্ট্রোক ও অন্যান্য গরমজনিত শারীরিক সমস্যা নিয়ে প্রতিদিন শত শত রোগী ভর্তি হচ্ছেন।

আবহাওয়াগত কারণে পাকিস্তানে স্কুল বন্ধ হওয়া বিরল নয়। ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যায় সপ্তাহের পর সপ্তাহ ডুবে ছিল দেশটির মোট ভূখণ্ডের এক-তৃতীয়াংশ এলাকা। বন্যায় সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন ৩ কোটি ৩০ লাখেরও বেশি মানুষ। সেবারও দিনের পর দিন বন্ধ ছিল স্কুলগুলো।

রাজধানী ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের জলবায়ু-বিষয়ক উপদেষ্টা রুবিনা খুরশিদ আলম বলেন, পাঞ্জাবের ২৬টি জেলার সবগুলোতে, সিন্ধের দক্ষিণাঞ্চলে এবং বেলুচিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে কয়েক দিন আগে থেকে ব্যাপক তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে এবং আগামী অন্তত এক সপ্তাহ এই অবস্থা থাকবে।

সংবাদ সম্মেলনে রুবিনা বলেন, ‘উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে বিশ্বের যেসব দেশ বর্তমানে সবচেয়ে বেশি আবহাওয়াগত দুর্যোগ ও ক্ষয়ক্ষতির শিকার হচ্ছে, সেসব দেশের তালিকায় পঞ্চম স্থানে আছে পাকিস্তান।’


রাফায় অভিযান বন্ধে ইসরায়েলকে আইসিজের নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার রাফা শহরে সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য ইসরায়েলকে নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত (আইসিজে)। আজ শুক্রবার এই আদেশ দেয় আদালতটি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এ খবর জানিয়েছে।

শুনানিতে আদালতের প্রেসিডেন্ট বিচারক নাওয়াফ সালাম বলেছেন, আদালতের প্রথমে নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন যে ২৮ মার্চের আদেশের পর পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হয়েছে কি না। দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে গাজা উপত্যকার মানুষের পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।

বিচারক সালাম বলেছেন, আইসিজে রাফায় ইসরায়েলকে আক্রমণ বন্ধ করার নির্দেশ দিচ্ছে। সেখানকার বর্তমান পরিস্থিতি গাজাবাসীর অধিকারের অপূরণীয় ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি তৈরি করেছে। তিনি বলেছেন, আইসিজের পূর্বের আদেশের পর পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে। ফলে এই মামলায় নতুন জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

গাজায় ইসরায়েলি জিম্মিদের পরিস্থিতি নিয়েও বিচারক কথা বলেছেন। জিম্মিরা এখনও বন্দি থাকায় গভীর উদ্বেগের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি।

ইসরায়েলের প্রতি আইসিজের নির্দেশের মধ্যে রয়েছে, রাফায় অভিযান বন্ধ, মানবিক ত্রাণ প্রবেশের জন্য রাফাহ ক্রসিং চালু করা, তদন্তকারী ও ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের গাজায় প্রবেশের সুযোগ নিশ্চিত করা এবং এক মাসের মধ্যে এই পদক্ষেপগুলোর অগ্রগতি আদালতকে জানানো।


গাজায় আবারও ইসরায়েলের হামলা, ৫০ ফিলিস্তিনি নিহত

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গাজায় ইসরায়েলের বর্বর হামলায় অন্তত আরও ৫০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হবার ঘটনা ঘটেছে। এই ভূখণ্ডজুড়ে চালানো পৃথক কিছু হামলায় তারা নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলি হামলার কারণে এখন পর্যন্ত রাফা ছেড়ে পালিয়েছেন ৮ লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি।

আজ শুক্রবার এক প্রতিবেদনে আল জাজিরা এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি বাহিনীর গাজায় আকাশ ও স্থলপথ জুড়ে চালানো হামলায় কমপক্ষে ৫০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া রাফায় হামাসের যোদ্ধাদের সঙ্গে ইসরায়েলি সেনাদের ব্যাপক লড়াই চলছে বলেও জানিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এবং হামাসের সশস্ত্র শাখা।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর ট্যাংকগুলো রাফার আরও দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়েছে, শহরের পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা ইবনার দিকে অগ্রসর হয়েছে এবং তিনটি পূর্ব শহরতলিতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে বলে বাসিন্দারা বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসিন্দা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘ইসরায়েলি বাহিনী আরও পশ্চিমে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তারা ইবনার প্রান্তে রয়েছে, যা ঘনবসতিপূর্ণ। তারা এখনও এটি আক্রমণ করেনি।’

তিনি রয়টার্সকে আরও বলেন, ‘আমরা বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাচ্ছি, এবং আমরা দেখছি যে সেনারা আক্রমণ করেছে এবং সেখান থেকে কালো ধোঁয়া উঠছে।’

এই মাসে গাজার উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্তে একযোগে ইসরায়েলি হামলার ফলে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে এবং ইসরায়েলি বাহিনী সাহায্য প্রবেশের প্রধান প্রবেশ পথও বন্ধ করে দিয়েছে, যা দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিও বাড়িয়েছে।

ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার বিশ্বাসযোগ্য পরিকল্পনা ছাড়াই রাফাতে স্থল হামলা শুরু করার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছিল।

যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যরা গাজার দক্ষিণের এই শহরটিতে হামলার জন্য ইসরায়েলকে ব্যাপকভাবে সমালোচনাও করেছে। তবে ইসরায়েল বলেছে, সেখানে হামাস যোদ্ধাদের বেশ কয়েকটি ব্যাটালিয়নের বিরুদ্ধে তাদের অবশ্যই অগ্রসর হতে হবে।

গাজায় পরিচালিত প্রধান সাহায্য সংস্থা ইউনাইটেড নেশনস রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইন রিফিউজিস বলছে, চলতি মে মাসের প্রথম দিকে ইসরায়েল রাফা শহরটিতে হামলা শুরু করার পর থেকে গত সোমবার পর্যন্ত ৮ লাখেরও বেশি মানুষ রাফা থেকে পালিয়ে গেছেন।

গাজায় নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলের জরুরি প্রতিক্রিয়া নেতা সুজে ভ্যান মিগান বলেছেন, অনেক বেসামরিক নাগরিক এখনও সেখানে আটকে আছেন।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘রাফা শহরটি এখন তিনটি সম্পূর্ণ ভিন্ন বিশ্বের সমন্বয়ে গঠিত: পূর্ব দিকটি মৌলিক যুদ্ধ অঞ্চল, মাঝামাঝি অঞ্চলটি ভৌতিক শহরে পরিণত হয়েছে এবং পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থানরত জনবহুল জনগোষ্ঠী শোচনীয় পরিস্থিতিতে বসবাস করছে।’

নৃশংস হামলার পাশাপাশি ইসরায়েল খাবার পানীয়, খাদ্য, ওষুধ এবং জ্বালানি সরবরাহের ওপরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এবং গাজাজুড়ে বেশ কয়েকটি হাসপাতালও বন্ধ করতে বাধ্য করেছে তারা।

বৃহস্পতিবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, দেইর আল-বালাহর আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে বিদ্যুৎ জেনারেটরে ‘কয়েক মিনিটের’ জ্বালানি অবশিষ্ট রয়েছে। জ্বালানি শেষ হলে ১৩০০ জন রোগীর সেবাও শিগগিরই বন্ধ হয়ে যাবে।

এদিকে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, গত বুধবার যুদ্ধে তাদের আরও তিন সৈন্য নিহত হয়েছে। এতে করে গত ২০ অক্টোবর থেকে গাজায় স্থল অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে নিহত ইসরায়েলি সেনাদের সংখ্যা বেড়ে ২৮৬ জনে পৌঁছেছে।

অন্যদিকে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মতে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনে ৩৫ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৮০ হাজার মানুষ।

বিষয়:

রাইসির জানাজায় ১০ লাখ জনতা

ইমামতি করলেন খামেনি
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং তার সঙ্গীদের জানাজায় অংশ নিয়েছে ১০ লক্ষাধিক জনতা। জানাজায় ইমামতি করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলি খামেনি।

আজ বুধবার সকালে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে ইব্রাহিম রাইসিসহ দুর্ঘটনায় নিহত আটজনের মরদেহের কফিন নিয়ে আসা হয়। জানাজা নামাজ শেষে মরদেহগুলোতে লাখো জনতা শ্রদ্ধা জানান। তেহরানে শেষযাত্রা অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে মরদেহগুলো তেহরান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গাড়িতে করে আজাদি স্কয়ারে নিয়ে যাওয়া হয়।

জানাজার নামাজের একটি ভিডিও খামেনির এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট থেকে প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে, বৃদ্ধ খামেনি লাঠিতে ভর করে হাসিমুখে মরদেহগুলোর কাছে এগিয়ে আসছেন। এরপর তিনি সমবেত সকলকে নিয়ে জানাজার নামাজ পড়েন।

শোকার্ত জনতার হাতে ছিল রাইসির ছবিসহ নানা বক্তব্য লেখা প্ল্যাকার্ড। এর আগে তাবরিজ ও কোম শহরেও শেষযাত্রায় মানুষের ঢল নামে।

এর আগে মঙ্গলবার, তাবরিজ, কোম এবং তেহরানের গ্র্যান্ড মোসাল্লা মসজিদে কয়েক হাজার মানুষের উপস্থিতিতে তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠান।

জানাজায় উপস্থিত ছিলেন ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরো প্রধান ইসমাইল হানিয়া এবং লেবানিজ হিজবুল্লাহ প্রতিরোধের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল শেখ নাইম কাসেমসহ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের অক্ষের নেতারা। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশের নেতা, রাষ্ট্রপতি, রাষ্ট্রদূত এবং আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বরা জানাজায় অংশ নেন।

সোমবার সকালে ইরান সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আবদুল্লাহিয়ানের নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে। ওই দুজন ছাড়াও পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমাতি, তাবরিজের জুমার নামাজের খতিব হোজ্জাতোলেস্লাম আল হাশেম এবং আরও কয়েকজন সেই হেলিকপ্টারের আরোহী ছিলেন।

রাইসি’র বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। তিনি সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে খামেনির স্থলাভিষিক্ত হবেন বলে ব্যাপকভাবে আশা করা হয়েছিল।

রাজধানীতে প্রয়াত এই প্রেসিডেন্টকে ‘সেবার শহীদ’ হিসেবে সম্বোধন করে বিশাল ব্যানার প্রদর্শন করতে দেখা যায়। অপরদিকে রাইসি’র বিরোধিরা ‘সুবিধাবঞ্চিতদের সেবককে বিদায়’ লিখে ব্যানার উড়াচ্ছে।

তেহরানের বাসিন্দারা তাদের ‘সেবার শহীদের জানাজায় যোগদান’ করার আহ্বান জানিয়ে মুঠো ফোনে বার্তা পেয়েছেন।

রাষ্ট্রীয় মিডিয়া পরিবেশিত খবরে বলা হয়, শোক মিছিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যাত্রা শুরু করে শহরের কেন্দ্রস্থলে সুবিশাল ইঙ্গেলাব স্কোয়ারে যাওয়ার কথা রয়েছে। এতে বিদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করবেন।


ভিয়েতনামের নতুন প্রেসিডেন্ট তো লাম

ভিয়েতনামের নতুন প্রেসিডেন্ট তো লাম। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভিয়েতনামের জননিরাপত্তামন্ত্রী তো লামকে দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করা হয়েছে। আজ বুধবার লামকে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করা হয়। খবর রয়টার্সের।

দেশটির ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি গত সপ্তাহে লামকে প্রেসিডেন্ট পদের প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেছিল। তারপর গোপন ব্যালটে লামের মনোনয়নকে অনুমোদন করে একটি প্রস্তাব পাস হয়। তখন থেকে রাষ্ট্রপ্রধানের পদে লামই ছিলেন একমাত্র প্রার্থী।

জননিরাপত্তামন্ত্রী হিসেবে লাম (৬৬) দেশটির দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ‘জ্বলন্ত চুল্লি’ নামে পরিচিতি পাওয়া এই অভিযান ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া দুর্নীতি সমূলে উৎপাটনের লক্ষ্যে পরিচালিত হয়েছিল। তবে সমালোচকরা এই অভিযানকে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের আড়ালে ঠেলে দেওয়ার উপায় হিসেবেও দেখেছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

২০১৬ সাল থেকে লাম জননিরাপত্তামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং দেশটিতে মানবাধিকারের বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। মাত্র এক বছর ক্ষমতায় থাকার পর গত মার্চে দুর্নীতির দায়ে পদত্যাগ করেন ভিয়েতনামের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ভো ভ্যান থুং। ভিয়েতনামে চলমান দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে ক্ষমতা গ্রহণের দুই বছরের মাথায় পদত্যাগকারীদের মধ্যে ভ্যান থুং দ্বিতীয় ব্যক্তি। এই অভিযানের ফলে অসংখ্য রাজনীতিবিদকে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং প্রচুর ব্যবসায়ীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে।

ক্ষমতা গ্রহণের সময় দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেছিলেন ভ্যান থুং। ধারণা করা হয়েছিল, ভ্যান থুং ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক এবং দেশের সবচেয়ে ক্ষমতাবান ব্যক্তি নাগুয়েন ফু ট্রংয়ের কাছের মানুষ।

আজ একদলীয় রাষ্ট্রটির স্বাভাবিক প্রক্রিয়া অনুযায়ী আইনপ্রণেতারা সর্বসম্মতভাবে লামকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করার প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর পার্লামেন্টে লাম বলেছেন, তিনি ‘দৃঢ় ও অবিচলভাবে’দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবেন।

ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্টকে বহুলাংশে আনুষ্ঠানিক ভূমিকা পালন করতে হয়। তারপরও দেশটির শীর্ষ চারটি রাজনৈতিক অবস্থানের (তথাকথিত চার স্তম্ভ) অন্যতম এ পদ। অন্য তিনটি হচ্ছে কমিউনিস্ট পার্টি প্রধান, প্রধানমন্ত্রী ও পার্লামেন্টের স্পিকার। ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির প্রধানের পদটি দেশটির শীর্ষ পদ। বিশ্লেষকদের ধারণা, লাম পরে পার্টি প্রধানের পদের প্রার্থী হতে পারেন।


আইসিসির ওপর নিষেধাজ্ঞার আভাস যুক্তরাষ্ট্রের

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ঘোষণা দিয়েছেন, ইসরায়েলের নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাওয়া ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টের (আইসিসি) প্রসিকিউটরদের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা জারির বিষয়ে যে আলোচনা শুরু হয়েছে, সে বিষয়ে তিনি মার্কিন আইন প্রণেতাদের সঙ্গে একত্রে কাজ করবেন।

কংগ্রেসের এক শুনানিতে ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘সম্পূর্ণ ভুল এই সিদ্ধান্তের’ বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তিনি ‘প্রতিজ্ঞাবদ্ধ’। তার এই ঘোষণা এল এমন সময়,
যখন আইসিসি কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির জন্য রিপাবলিকানদের চাপ বাড়ছে। খুব তাড়াতাড়ি, হয়তো এই সপ্তাহে এ বিষয়ে ভোট হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্র আইসিসির সদস্য দেশ নয়। কিন্তু ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানার সিদ্ধান্তের সময় আইসিসির কৌঁসুলিদের সমর্থন করেছে দেশটি।

গত মঙ্গলবার শীর্ষ রিপাবলিকানদের একজন জেমস রিশে, সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটিতে ব্লিঙ্কেনকে প্রশ্ন করেছেন, তিনি আইসিসির ‘একটি দেশের স্বাধীন, বৈধ এবং গণতান্ত্রিক বিচারিক প্রক্রিয়া থাকা সত্ত্বেও তাদের বিষয়ে নাক গলানোকে’ সমর্থন করবেন কি না।

জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দলমত নির্বিশেষে আপনাদের সঙ্গে কাজ করতে চাই। এটা করতে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একটা সম্পূর্ণ ভুল সিদ্ধান্তের বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে কোনো প্রশ্নেরই অবকাশ নেই।’

আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটর করিম খান গত সোমবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ারি জারির আবেদন করেছেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

হামাসের তিন কর্মকর্তা গাজার নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার, হামাসের কাশেম ব্রিগেড মিলিটারি উইংয়ের কমান্ডার মোহাম্মদ দাইফ এবং হামাসের পলিটিক্যাল ব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়ার বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চেয়েছেন করিম খান।

সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন করাটা ‘আপত্তিকর’। ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে কোনো সমতা নেই।

ইসরায়েলের গাজা যুদ্ধ পরিচালনার বিষয়ে এই আদালতের তদন্তের পরিধি বাড়ায় কংগ্রেসে আইসিসির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের অন্তত দুটি কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে। এ মাসের শুরুতে টেক্সাসের রিপাবলিকান চিফ রায়ের উত্থাপন করা একটি বিলের সমর্থনে ক্যাপিটাল হিলে এর সমর্থন বাড়তে শুরু করে।

সেই বিলে বলা হয়েছে, আইসিসির যেসব কর্মকর্তা এ মামলার সঙ্গে জড়িত, তাদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে বাধা দেওয়া হবে। যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে তাদের যেকোনো ভিসা প্রত্যাহার এবং দেশের ভেতরে তাদের যেকোনো সম্পত্তি লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। এটা অব্যাহত থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সুরক্ষিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার না করে।

রিপাবলিকান হাউসের অন্তত ৩৭ জন আইন প্রণেতা এ প্রস্তাব সমর্থন করেছেন। তাদের মধ্যে রিপাবলিকান চেম্বারের তৃতীয় সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কিংয়ের এলিস স্টেফানিকও রয়েছেন। স্টেফানিক নতুন করে ইসরায়েল সফর করেছেন। সেখানে নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন, নেসেটে বক্তব্য দিয়েছেন এবং গাজায় বন্দিদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে তিনি বলেছেন, ‘গণহত্যাকারী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নিজের অস্তিত্ব রক্ষায় এ আদালত একটি শান্তিপূর্ণ জাতিকে তিরস্কার করেছে।’

এই বিলটি সমর্থনকারী আরেকজন রিপাবলিকান কেন্টাকির অ্যান্ডি বার বলেছেন, ‘ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইসিসির এ মামলাটি আরও বেশি লক্ষ্য রাখতে হবে, এটাকে নিষেধাজ্ঞা দিতে পরিপূর্ণভাবে কাজ করতে হবে।’

যদিও ডেমোক্রেটিক আইন প্রণেতারা এই প্রচেষ্টার পেছনে থাকবেন কি না তা স্পষ্ট নয়। গত কয়েক মাস ধরেই বাইডেনের ইসরায়েল পলিসির সঙ্গে দলটির মডারেট এবং উদারপন্থি উইং বেশ ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। কারণ তরুণ উদারপন্থি ভোটাররা নেতানিয়াহুর সরকারের গাজায় অভিযানের আরও কঠোর সমালোচনা করতে প্রেসিডেন্টকে চাপ প্রয়োগ করেছে।

বাইডেনের গত সপ্তাহে ইসরায়েলে অস্ত্রের চালান দেওয়া বন্ধের সিদ্ধান্তের পক্ষে খুব কম ডেমোক্র্যাট ভোট দিয়েছেন, তাদের একজন ওহাইওর গ্রেগ ল্যান্ডসম্যান। বিবিসিকে তিনি বলেছেন, ‘আইসিসিকে একটি যথাসম্ভব শক্ত বার্তা দেওয়ার লক্ষ্যে’ কংগ্রেস দলমত নির্বিশেষে তিরস্কার করবে বলে আশা করেন তিনি।

এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির সিদ্ধান্ত উত্তেজনা ও বিভাজন আরও বাড়িয়ে দেবে এবং ইসরায়েলবিরোধী ষড়যন্ত্র আরও বাড়িয়ে তুলবে এবং সর্বোপরি এটা আইসিসির বিশ্বাসযোগ্যতাকে আরও প্রশ্নবিদ্ধ করবে বলে এক বিবৃতিতে বলেন তিনি।

নেতানিয়াহুকে কংগ্রেসের এক বৈঠকে আমন্ত্রণ জানাতে মঙ্গলবার রিপাবলিকান হাউস স্পিকার মাইক জনসন সিনেটের শীর্ষ ডেমোক্র্যাটদের একজন চাক শুমারকে একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করতে আহ্বান জানিয়েছেন। মার্চে শুমার ইসরায়েলে নতুন নির্বাচনের আহ্বান করেছিলেন কিন্তু সোমবার তিনি আইসিসির মামলাকে ‘নিন্দনীয়’ বলেছেন।

সিনেটর ক্রিস কুনস, ডেলাওয়্যারের একজন ডেমোক্র্যাট এবং সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটির সদস্য বিবিসিকে বলেছেন, আইসিসির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে কি না সে বিষয়ে সাবধানে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। উভয় দলের বিভিন্ন কমিটির সদস্যদের সঙ্গে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেছেন বলে জানিয়েছেন কুনস। কিন্তু কিছু বামপন্থি ডেমোক্র্যাট আইসিসির কার্যক্রমের প্রতি তাদের সমর্থন প্রকাশ করেছেন।

মিনেসোটার কংগ্রেসওমেন ইলহান ওমর বলেছেন, আইসিসির অভিযোগগুলো ‘গুরুত্বপূর্ণ’ এবং যুক্তরাষ্ট্রকে এর কাজকে সমর্থন করা উচিত যেমনটা অতীতে লিবিয়ার মামলার সময় করা হয়েছে।

সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি লিখেছেন, ‘গ্রেপ্তারি পরোয়ানার এই আবেদন নিছকই একটা বিচারিক প্রক্রিয়ার সূচনা। আইসিসি একটা কার্যকরী আদালত, যেখানে দোষী সাব্যস্ত, খালাস এবং বরখাস্ত করা হয়। যেমনটা আমরা একটা নিরপেক্ষ ও অরাজনৈতিক বিচার বিভাগ থেকে আশা করি।’

রিপাবলিকান নেতৃত্বাধীন হাউস বা ডেমোক্রেটিক নিয়ন্ত্রিত সিনেটের কেউ এখনো এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য জন্য কোনো প্রচেষ্টা করেছে কি না তা এখনো অস্পষ্ট। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কেরিন জ্যঁ পিয়ারি মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেছেন, প্রশাসনের কর্মকর্তারা আইন প্রণেতাদের সঙ্গে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেছেন।

রাশিয়ার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেছেন, আইসিসির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপে প্রতিপক্ষের ইচ্ছা ও প্রচেষ্টা অনেক বেশি কৌতূহলোদ্দীপক।


ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার ঘোষণা আয়ারল্যান্ড, স্পেন ও নরওয়ের

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়ে নিজেদের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছে তিন ইউরোপীয় দেশ- স্পেন, আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ে। এসময় দেশগুলোর বক্তব্যে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তি আলোচনা এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে।

তবে তাদের ঘোষণায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইসরায়েল। এটিকে একটি ‘বিকৃত পদক্ষেপ’ হিসেবে আখ্যায়িত করে তারা বলেছে “এটি কেবল অস্থিতিশীলতাকেই বাড়িয়ে তুলবে”।

পরিস্থিতি পর্যালোচনায় আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ে থেকে নিজের দূতকে ডেকে পাঠিয়েছে ইসরায়েল।

অসলোতে নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গাহর স্টোর, মাদ্রিদে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেড্রো সানচেজ এবং ডাবলিনে আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সাইমন হ্যারিস ২৮শে মে’র মধ্যে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন।

ধারণা করা হচ্ছে এর মধ্যে দিয়ে ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার উদ্যোগের একটি বহিঃপ্রকাশ ঘটলো।

জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ১৪০টি দেশ ইতোমধ্যেই রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ বাকি দেশগুলো এখনো আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়নি।

মাদ্রিদে পার্লামেন্টে এ বিষয়ে এক বক্তৃতায় স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেড্রো সানচেজ বলেছেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু “এখনো বধিরের মতো খেলছেন... তিনি হাসপাতাল ও স্কুলে বোমাবর্ষণ করেই চলেছেন এবং নারী শিশুদের ক্ষুধা ও ঠাণ্ডার শাস্তি দিচ্ছেন”।

“আমরা এটা হতে দিতে পারি না। আমাদের আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কোনো ডাবল স্ট্যান্ডার্ড না রেখেই ইউক্রেনে যেমনটি করা হয়েছে। আমাদের মানবিক সহায়তা পাঠাতে হবে, শরণার্থীদের সাহায্য করতে হবে যা আমরা করছি। কিন্তু আরও করতে হবে,” বলেছেন তিনি।

তিনি বলেছেন, “আমরা অনেক কারণে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছি এবং তিন শব্দে সেটা আমরা বলতে পারি- শান্তি, ন্যায়বিচার ও ধারাবাহিকতা। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে টু-স্টেট সলিউশনকে সম্মান জানানো হয়েছে।”

উল্লেখ্য, সমাজতন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী পেড্রো সানচেজ কয়েক মাস ধরেই রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়ে ইউরোপীয় পার্টনার দেশগুলোর সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তিনি বড় অর্থনীতির দেশগুলোকে প্রভাবিত করতে না পারলেও আয়ারল্যান্ডের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছিলেন।

সানচেজ বলেছেন, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে আগামী সপ্তাহে দেশটির মন্ত্রিসভায় চূড়ান্ত করা হবে, যাতে দেশের মানুষের মতামতের প্রতিফলন ঘটেছে এবং এটিই সঠিক পদক্ষেপ।

অন্যদিকে, ডাবলিনে আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সাইমন হ্যারিস বলেছেন, দুই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই হলো শান্তির জন্য একমাত্র গ্রহণযোগ্য পথ।

তিনি বলেন, অসলো শান্তি চুক্তির পর তিন দশক পেরিয়ে গেছে। সম্ভবত এটাই সবচেয়ে টেকসই ও সমন্বিত শান্তি সমঝোতা। কিন্তু এ সিদ্ধান্ত নিয়ে অনন্তকাল অপেক্ষা করা যাবে না, যখন সেটা করার সঠিক সময় এখনি।”

এদিকে, অসলোতেও এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গাহর স্টোর। তিনি বলেছেন “দুই-রাষ্ট্র সমাধানটাই (টু স্টেট সলিউশন) ইসরায়েলের স্বার্থে সবচেয়ে ভালো। ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের নিজেদের রাষ্ট্রে শান্তিতে বসবাসের অধিকার আছে। ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের মৌলিক অধিকার আছে।”

প্রসঙ্গত জাতিসংঘের এক সাম্প্রতিক চিঠি থেকে জানা যায় যে সংস্থাটির সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ১৪০টি দেশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে। স্বীকৃতি দানকারী দেশগুলোর মধ্যে আছে আরব জাতি গ্রুপের ২২টি দেশ এবং ৫৭ সদস্যের ওআইসি সদস্যভুক্ত দেশ এবং ১২০ সদস্যের জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনভুক্ত দেশ।

ইসরায়েল কখনো ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকার করে না এবং এখনকার ইসরায়েলি সরকার পশ্চিম তীর ও গাজা মিলিয়ে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিরোধী।

চলতি বছরের শুরুতে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লর্ড ক্যামেরন সরকারকে পরামর্শ দিয়ে বলেছিলেন যে ‘সহযোগী দেশগুলোকে নিয়ে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ইস্যুটি দেখা যেতে পারে’।

তবে তিন দেশের ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টিকে ‘বিকৃত পদক্ষেপ‘ হিসেবে দাবি করে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎয বলেছেন, ‘আজকের ঘোষণা ফিলিস্তিনি মানুষ ও বিশ্বকে একটি বার্তা দিয়েছে: সন্ত্রাসবাদ দিয়ে অর্জন হয়েছে।’

তিনি বলেন, “সন্ত্রাসী সংগঠন হামাস হলোকাস্টের পর ইহুদিদের ওপর সবচেয়ে বড় গণহত্যা চালানোর পর, সবচেয়ে জঘন্য যৌন সহিংসতার পর, এসব দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার মাধ্যমে হামাসকে পুরস্কৃত করার পথ বেছে নিয়েছে। এই বিকৃত পদক্ষেপ সাতই অক্টোবরের ভিকটিমদের স্মৃতির প্রতি অবিচার এবং ১২৮ জিম্মিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টার প্রতি বড় আঘাত এবং হামাস ও ইরানি জিহাদিদের বড় সহায়তা, যা ইসরায়েলিদের আত্মরক্ষার অধিকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে এবং শান্তির সুযোগ কমাবে।”

তবে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতায় বলেছেন, “ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কিছু নয়, এটা ইহুদিদের বিরুদ্ধেও নয়।”


৪০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প দেখল ইতালি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বিগত ৪০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প অনুভূত হলো ইতালির নেপলসে। গতকাল মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ইতালির জাতীয় ইনস্টিটিউট অব জিওফিজিক্স অ্যান্ড ভালকানোলজি (আইএনজিভি)-এর তথ্য অনুযায়ী, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪.৪।’

এর আগে, গত সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৮ টায় ইতালির ক্যাম্পি ফ্লেগ্রেই সুপার আগ্নেয়গিরিতে আঘাত হানে ভূমিকম্প। যার ফলে কেন্দ্রস্থল পোজুলি শহরে এবং প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে নেপলস শহরে আঘাত হানে ভূমিকম্পটি। মোট ১৫০টির বেশি ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছে।

ভূমিকম্পের কারণে নেপলস শহরের আশেপাশে ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। বাড়িঘর থেকে মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং বহু স্কুলও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

বিষয়:

নাইজেরিয়ায় বন্দুকধারীদের হামলায় ৪০ জন নিহত

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

নাইজেরিয়ার উত্তর-মধ্যাঞ্চলে বন্দুকধারীদের হামলায় প্রায় ৪০ জন খনিতে কাজ করা শ্রমিক নিহত হয়েছেন। জানা যায়, বন্দুকধারীরা মোটরবাইকে করে এসে আকস্মিক হামলা চালিয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন বলছে, গ্রামের লোকজনের ওপর গুলি চালানো হয়েছে এবং বাড়ি-ঘরে আগুন দেওয়া হয়েছে।

প্লাতু রাজ্যের ওয়াসে জেলায় গত সোমবার রাতের দিকে ওই হামলা চালানো হয়। দীর্ঘদিন ধরেই সম্পদ নিয়ে বিরোধ এবং আন্তঃসাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের কারণে ওই অঞ্চলে অস্থিরতা চলছে।

রাজ্যের তথ্য কমিশনার মুসা ইব্রাহিম আশোমস টেলিফোনে এএফপিকে জানান, সশস্ত্র ব্যক্তিরা জুরাক সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালিয়েছে। তারা গ্রামবাসীর ওপর এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়েছে এবং বাড়ি-ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে।

তিনি ৪০ জন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জুরাক একটি জনপ্রিয় খনি সম্প্রদায়। স্থানীয় যুব নেতা শাফি সাম্বোও নিশ্চিত করেছেন যে, সেখানে হামলার ঘটনায় অন্তত ৪২ জন নিহত হয়েছে।

জিঙ্ক এবং সীসায় সমৃদ্ধ ওয়েসে জেলা। এ ছাড়া প্লাতু রাজ্য টিনের খনি শিল্পের জন্য বেশ পরিচিত। নাইজেরিয়ার বিভিন্ন এলাকায় প্রায়ই যাযাবর পশুপালক এবং মেষপালকদের মধ্যে বিরোধের কারণে সহিংসতার ঘটনা ঘটছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে চারণভূমিতে পানির প্রবেশাধিকার এবং অন্যান্য সম্পদ যেমন রাজ্যের ধাতব মজুত নিয়ে দুপক্ষের বিরোধের কারণে উত্তেজনা বাড়ছে।

উত্তর-পশ্চিম এবং উত্তর-মধ্য নাইজেরিয়ার বিভিন্ন এলাকায় ভারী সশস্ত্র অপরাধী চক্রগুলোও সক্রিয় রয়েছে। তারা মুক্তিপণের জন্য অপহরণ এবং লুটপাট করতে প্রায়ই বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চালিয়ে থাকে।

বিষয়:

দুই সপ্তাহে গাজায় ৯ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত: জাতিসংঘ

উত্তর গাজা থেকে দক্ষিণ গাজা অভিমুখে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের ঢল। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় বিগত দুই সপ্তাহে ইসরায়েলি আগ্রাসনের মুখে ফের বাস্তুচ্যুত হয়েছে ৯ লাখ মানুষ। জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য ও স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া চিত্র বিশ্লেষণের ভিত্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।

চলতি মাসের শুরুতে রাফায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। সেই সময় তারা রাফায় অবস্থানরত ফিলিস্তিনিদের সরে যেতে নির্দেশ দেয়। মূলত রাফায় চলমান ভয়াবহ যুদ্ধের কারণে প্রাণ বাঁচাতে শহরটির বাসিন্দা এবং আগে থেকে আশ্রয় নেওয়া গাজার অন্যান্য অঞ্চলের বাসিন্দারা সেখান থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়েছে।

জাতিসংঘ সোমবার জানিয়েছে, গত ৬ মে থেকে শুরু করে গত ১৮ মে পর্যন্ত ১৩ দিনে রাফা থেকে প্রায় ৮ লাখ ১২ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং গাজার উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছে আরও প্রায় ১ লাখ মানুষ। সব মিলিয়ে গাজায় এই সময়ের মধ্যে মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তিনি মনে করেন-গাজায় কোনো ধরনের গণহত্যা চলছে না। এর মধ্য দিয়ে তিনি মূলত ইসরায়েলের নির্বিচার আগ্রাসনের পক্ষেই কথা বললেন। গতকাল সোমবার তিনি হোয়াইট হাউসে ইহুদির একটি উৎসবে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন।

বাইডেন বলেন, ‘আমাকে স্পষ্ট করে বলতে দিন- আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিপরীতে আমি বলতে চাই, গাজায় যা ঘটছে তা গণহত্যা নয়। আমরা এটি (এই অভিযোগ) প্রত্যাখ্যান করি।’

এ সময় তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) কৌঁসুলি করিম খান কর্তৃক প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ আরও দুই ইসরায়েলি কর্মকর্তার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাওয়ার সিদ্ধান্তও প্রত্যাখ্যান করেন।

তিনি বলেন, ‘আমাকে একটি বিষয় পরিষ্কার করতে দিন, আমরা ইসরায়েলি নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার জন্য আইসিসিতে করা আবেদন প্রত্যাখ্যান করছি।’


banner close