বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪

খাওয়া কমিয়ে খরচ সামাল দিতে চেষ্টা ব্রিটিশদের

লন্ডনে একটি সুপারশপে ক্রেতারা। ছবি: এএফপি
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ২১ অক্টোবর, ২০২২ ০৯:৩৪

যুক্তরাজ্য বা ব্রিটেন বরাবরই ধনী দেশ হিসেবে পরিচিত। তবে চলমান আর্থিক সংকটে সেখানেও লোকে পছন্দমতো খেতে পারছে না। জীবনযাত্রার খরচ আজকাল এতটাই বেড়েছে যে, লাখো মানুষ তাদের খাবারের তালিকা থেকে একাধিক উপাদান বাদ দিচ্ছেন, খাবারের পরিমাণও কমিয়ে ফেলছেন। ভোক্তাদের একটি সংগঠন গতকাল বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছে। খবর এএফপির।

মূল্যস্ফীতির প্রভাবে খাদ্যপণ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম লাগামছাড়া পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে। যুক্তরাজ্যে মূল্যস্ফীতি গত মাসে ১০ শতাংশের বেশি ছিল। জ্বালানি তেলের দাম সীমিত রাখার যে নীতি ছিল, সরকার তা থেকে সরে আসায় বহু মানুষ জ্বালানি সংকটে পড়তে পারে বলেও ‘হুইচ?’ নামের ভোক্তা সংগঠনটি হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

অর্থনৈতিক সংকট পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের সরকার ইতিমধ্যে নানামুখী চাপে হিমশিম দশায় পড়েছে। তিন হাজার মানুষের ওপর পরিচালিত এক জরিপের ভিত্তিতে ‘হুইচ?’ জানায়, তাদের জরিপ অনুযায়ী যুক্তরাজ্যের অর্ধেক বাসিন্দা তাদের খাবারের পরিমাণ বা উপাদানে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করছেন।

জরিপের তথ্য অনুযায়ী এই অনুপাতের মানুষের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার জোগাড় করা কঠিন হয়ে পড়েছে। সংকট শুরুর আগে সেটা তাদের জন্য এতটা কষ্টসাধ্য ছিল না। এখন প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ মনে করেন, তারা আর্থিকভাবে সমস্যায় আছেন।

‘হুইচ?’-এর খাদ্যনীতি বিষয়ক প্রধান সু ডেভিস বলেন, জীবনযাত্রার ব্যয়বৃদ্ধির সংকটের বিপর্যয়কর প্রভাবে লাখো মানুষ খাওয়া-দাওয়া নিয়ন্ত্রণ করছে কিংবা খাওয়ার টেবিলে স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের উপাদানগুলো হাজির করতে গিয়ে মুশকিলে পড়ছে।

সংগঠনটি পৃথক এক বিবৃতিতে গত বুধবার বলেছে, যুক্তরাজ্য সরকার জ্বালানির দাম স্থির রাখার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার যে ঘোষণা চলতি সপ্তাহে দিয়েছে, তাতে লাখো মানুষ নিজেদের বাড়িঘর ঠিকমতো উষ্ণ রাখতে পারবে না।

কনজারভেটিভ পার্টির সরকার কয়েক দফা আর্থিক নীতিমালা পাল্টানোর পর নতুন অর্থমন্ত্রী জেরেমি হান্ট গত সোমবার বলেছেন, তিনি জ্বালানির দাম ২০২৪ সাল পর্যন্ত স্থিতিশীল রাখার বিষয়ে আগের সরকারি সিদ্ধান্ত বহাল রাখবেন না। ফলে আগামী এপ্রিল থেকেই সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হবে।

জরিপকারী সংগঠনটির নীতিমালা ও আইনি সুরক্ষাবিষয়ক প্রধান রোসিও কোনচা বলেন, সবার জন্য জ্বালানি সহায়তা সরকার এপ্রিল থেকে বন্ধ করে দিলে যুক্তরাজ্যজুড়ে লাখ লাখ বাড়িঘরের বাসিন্দারা শুধু যে বড় আর্থিক ঝুঁকিতে পড়বেন, তা নয়। তারা জ্বালানি-দারিদ্র্যের কবলেও পড়বেন। সরকারের অবশ্যই স্পষ্ট করে বলে দিতে হবে তারা আগামী দিনগুলোয় কীভাবে এসব বিপদাপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়াবে। জিনিসপত্রের দাম অবিশ্বাস্য রকম বেড়ে চলেছে। এমন অবস্থায় ভোক্তাদের ঠাণ্ডায় মরতে বসার অবস্থায় ঠেলে দেয়া হবে না- এমন নিশ্চয়তা দরকার।

অভ্যন্তরীণ জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির নানামুখী প্রভাব থেকে ভোক্তাদের সুরক্ষার কারণ দেখিয়ে সরকার জ্বালানির মূল্য স্থির রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ইউরোপে জ্বালানির বড় জোগানদার রাশিয়া গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করার পর থেকে সংকট ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। ব্রিটেনে ইতিমধ্যে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিক আন্দোলন হয়েছে। তারা চলমান মূল্যস্ফীতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারছেন না বলেই মজুরি বাড়াতে আন্দোলনে নেমেছেন। শ্রমিক সংগঠনগুলোর নেতা ফ্রান্সেস ওগ্র্যাডি সম্প্রতি এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের পদত্যাগ দাবি করেছেন।


স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে গুলি: সন্দেহভাজন একজন আটক

স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকোকে গুলি করার পর ঘটনাস্থল থেকে সন্দেহভাজন এক হামলাকারীকে আটক করে পুলিশ। ছবি: রয়টার্স
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকোকে গুলির ঘটনায় এক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

গতকাল বুধবার দেশটির হ্যান্ডলোভা শহরে ঘটনাটি ঘটে। সেখানে একটি সরকারি বৈঠকে অংশ নিতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী ফিকো। বৈঠক থেকে বের হওয়ার পরই তাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। গুলিবিদ্ধ ফিকোকে একটি গাড়িতে তুলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। তিনি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ঘটনার পর দেশটির সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ‘হামলাকারী সন্দেহে ঘটনাস্থল থেকে যে ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে, তিনি একজন পুরুষ। তার বয়স ৭১ বছর। তিনি একজন লেখক।’

আটক ব্যক্তির বিষয়ে গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাতুস সুতাজ এস্তোকের কাছে জানতে চেয়েছিলেন সাংবাদিকেরা। জবাবে তিনি বলেন, তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করছেন।

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ‘সন্দেহভাজন হামলাকারী ডিইউএইচএ (রংধনু) সাহিত্য ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা। স্লোভাকিয়ার লেভিস শহরের বাসিন্দা তিনি।

খবরে আরও বলা হয়, আটক ব্যক্তি তিনটি কবিতাসমগ্র লিখেছেন। তিনি স্লোভাকিয়ার লেখকদের একটি সংগঠনের সদস্য।

লেখকদের সংগঠনটি এক ফেসবুক পোস্টে বলেছে, সন্দেহভাজন ব্যক্তি ২০১৫ সাল থেকে তাদের সদস্য। প্রধানমন্ত্রীকে গুলির ঘটনায় তার জড়িত থাকার তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে তার সদস্যপদ বাতিল করা হবে।

স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যম সন্দেহভাজন ব্যক্তির ছেলের বক্তব্য প্রকাশ করেছে। তিনি বলেছেন, বাবার চিন্তাভাবনা, পরিকল্পনা সম্পর্কে সত্যিই তার কোনো ধারণা নেই। এ ঘটনা কেন ঘটল, সে ব্যাপারে তিনি কিছু বলতে পারছেন না।

আটক ব্যক্তির ছেলে জানিয়েছেন, তার বাবার কাছে বৈধ, নিবন্ধিত আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। সন্দেহভাজন ব্যক্তির ছেলের কাছে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করেন, কোনো কারণে তার বাবা প্রধানমন্ত্রী ফিকোকে অপছন্দ বা ঘৃণা করতেন কি না? জবাবে ছেলে বলেন, তার বাবা ফিকোকে ভোট দিতেন না। তিনি এতটুকুই শুরু বলতে পারেন।


ইন্দোনেশিয়ায় শীতল লাভায় প্রাণ গেল ৬৭ জনের

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশে হড়কা বান, শীতল লাভাস্রোত ও ভূমিধসে ৬৭ জন নিহত হয়েছেন, এবং এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ২০ জন। নিখোঁজদের সন্ধানে অনুসন্ধান জারি রেখেছে প্রদেশ প্রশাসন।

ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ মোকাবিলা বিভাগ বিএনপিবি জানিয়েছে, তিন জেলার দুর্যোগ কবলিত এলাকাগুলো থেকে এ পর্যন্ত ৪ হাজারেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে বন্যা ও লাভা নিঃসরণের কারণে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তাতে পুরনো বাড়িঘরে ফিরে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি অধিকাংশের।

তাদের আবাসনের দায়িত্ব সরকার নিয়েছে উল্লেখ করে আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বিএনপিবি জানিয়েছে, ‘যারা ঘরবাড়ি হারিয়েছেন, তাদেরকে সরকার জমি দেবে এবং সেই জমিতে ঘরও তৈরি করে দেবে। আগামী সময় লাগবে সর্বোচ্চ ছয় মাস।’

গত শনিবার দিনজুড়ে ভারী বর্ষণের জেরে বন্যা শুরু হয় পশ্চিম সুমাত্রার অন্তত ৩টি জেলায়। ওই দিনই সন্ধ্যার পর সক্রিয় হয় প্রদেশটিতে অবস্থিতি জীবন্ত আগ্নেয় পর্বত মাউন্ট মারাপি।

শীতল লাভাকে ইন্দোনেশীয় বলা হয় লহর। এটি এক ঘন কাদার মতো মিশ্রন যার গঠন উপাদান আগ্নেয় ছাই, পাথরের ধ্বংসাবশেষ এবং পানি। সাধারণ অগ্নুৎপাতজনিত সাধারণ লাভার সঙ্গে শীতল লাভার পার্থক্য হলো— এই লাভায় উত্তাপ কম থাকে।

ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট মারাপি থেকে মাঝে মাঝেই শীতল লাভার উদ্গিরণ হয়। গত ডিসেম্বরে মাউন্ট রে এরকমই এক লাভা উদ্গিরণের জেরে পশ্চিম সুমাত্রায় ২০ জন নিহত হয়েছিলেন।

বৃষ্টি, হড়কা বান ও লাভায় প্রদেশটির তিন জেলায় ৫২১টি বাড়ি, ৭৯ হাজার ৩৭ একর পরিমাণ জমির ফসল এবং ১৯টি সেতু ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে প্রদেশ প্রশাসন।


গাজা নিয়ে মতবিরোধ: পদত্যাগ করলেন বাইডেনের আরেক কর্মকর্তা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে অব্যাহতভাবে সমর্থন দিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের আরেক কর্মকর্তা। মূলত গাজা নিয়ে মতবিরোধের জেরে প্রকাশ্যেই পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের চলমান সংঘাতে সরাসরি ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সঙ্গে গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের বিষয়েও নীরব রয়েছে তারা।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘গাজায় চলমান যুদ্ধের মধ্যে ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সমর্থনের প্রতিবাদে জো বাইডেনের প্রশাসনের আরও একজন কর্মী প্রকাশ্যে পদত্যাগ করেছেন।’

পদত্যাগকৃত ওই কর্মকর্তার নাম লিলি গ্রিনবার্গ কল। তিনি মার্কিন স্বরাষ্ট্র দপ্তরের চিফ অব স্টাফের বিশেষ সহকারী হিসেবে দায়িত্বপালন করছিলেন বলে গতকাল বুধবার জানায় এপি।

লিলি গ্রিনবার্গ কল তার পদত্যাগ পত্রে লিখেছেন, “তিনি ‘তার বিবেক ও বিচারবুদ্ধিকে সঙ্গে নিয়ে এই প্রশাসনের প্রতিনিধিত্ব করা চালিয়ে যেতে পারেন না’।”

সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লিলি আরও বলেন, ‘তিনি (বাইডেন) ইহুদিদেরকে আমেরিকান যুদ্ধযন্ত্রের মুখ বানাচ্ছেন। এবং এটি খুব গভীরভাবে ভুল পদক্ষেপ।’

গত বছরের অক্টোবরে সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং ভূখণ্ডে ইসরায়েলের অব্যাহত আক্রমণ ও অবরোধে ভয়াবহ মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন কয়েক লাখ ফিলিস্তিনি।

বিষয়:

জীবনঝুঁকি নেই গুলিতে আহত স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রীর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বন্দুকধারীর গুলিতে আহত স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকোর জীবনঝুঁকি নেই বলে দাবি করেছেন দেশটির এক মন্ত্রী। স্থানীয় সময় বুধবার সরকারি এক বৈঠকের পর গুলিতে গুরুতর আহত হন ফিকো, যেটি ছিল গুপ্তহত্যার চেষ্টা।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ৫৯ বছর বয়সী ফিকোকে পাঁচবার গুলি করে গুরুতর আহত করেন বন্দুকধারী। বুধবার সন্ধ্যায় অস্ত্রোপচার হয় স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রীর।

‘আমি খুবই মর্মাহত…সৌভাগ্যবশত আমি যতদূর জেনেছি, অস্ত্রোপচার সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং আমার ধারণা শেষ পর্যন্ত তিনি বেঁচে যাবেন…এ মুহূর্তে জীবনঝুঁকি নেই তার’, বলেন স্লোভাকিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী ও পরিবেশমন্ত্রী টমাস তারাবা।

তিনি জানান, বন্দুকধারীর একটি গুলি ফিকোর পাকস্থলি ভেদ করে। আরেকটি গুলি তার গ্রন্থিতে আঘাত হানে।

অ্যাকচুয়ালিটি ডট এসকে নামের একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিকোর অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে এবং তার অবস্থা স্থিতিশীল।

এর আগে স্লোভাকিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট কালিনাক এক ব্রিফিংয়ে বলেন, কয়েকটি গুলির আঘাতে মারাত্মক আহত হন ফিকো।

তারও আগে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাতুস সুতাজ এস্তক জানান, প্রাণহানির শঙ্কায় আছেন ফিকো, যিনি অপারেশন থিয়েটারে রয়েছেন।


নথি ফাঁসে বের হলো দুবাইয়ে ধনীদের গোপন সম্পদের পাহাড়

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৬ মে, ২০২৪ ০৩:২০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে গোপনে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ধনাঢ্য ব্যক্তিরা। আকাশচুম্বী অট্টালিকার এ শহরে তাদের একেকজনের লাখ লাখ ডলার মূল্যের সম্পদের মালিকানা। বৈশ্বিক অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা প্রকল্পের ফাঁস হওয়া তালিকায় ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে বৈশ্বিক নিষেধাজ্ঞায় থাকা ব্যক্তি, অর্থপাচারকারী ও অপরাধীদের নাম উঠে এসেছে।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ‘দুবাই আনলকড’ নামের ওই নথি প্রকাশ করা হয়। এতে ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানির মতো ব্যবসায়ীর সম্পদের হিসাবও রয়েছে। অনুসন্ধানী এই সাংবাদিকতা প্রকল্পের সমন্বয় করেছে অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট (ওসিসিআরপি) ও নরওয়ের সংবাদমাধ্যম ই-টোয়েন্টিফোর। এতে অংশ নিয়েছে ৫৮টি দেশের ৭৪টি সংবাদমাধ্যম। প্রতিবেদনটি ওসিসিআরপির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি ওসিসিআরপির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

দুবাইয়ের ভূমি দপ্তরসহ কয়েকটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের ফাঁস হওয়া তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে এ অনুসন্ধান চালানো হয়েছে। এতে বিশেষ করে ২০২০ থেকে ২০২২ সাল নাগাদ দুবাইয়ে এসব ব্যক্তির মালিকানায় থাকা ও ব্যবহার করা সম্পদের বিস্তারিত চিত্র উঠে আসে।

ফাঁস হওয়া তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছে ওয়াশিংটনভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড ডিফেন্স স্টাডিজ (সিফোরএডিএস)। প্রতিষ্ঠানটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ও সংঘাত নিয়ে গবেষণা করে থাকে। পরে এসব তথ্য-উপাত্ত ই-টোয়েন্টিফোর এবং ওসিসিআরপির সঙ্গে ভাগাভাগি করে প্রতিষ্ঠানটি। এ অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় অংশ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাময়িকী ফোর্বসও। ফোর্বস ২২ ধনকুবের ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন ৬০ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের ৭৬টি সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে।

বিশ্বের চারটি মহাদেশের ১০টি দেশ থেকে এসেছেন তারা। ফোর্বসের প্রতিবেদনে ১০ ধনকুবেরের নাম, তাদের নিট সম্পদ ও দুবাইয়ে থাকা সম্পদের তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

ফোর্বসের প্রতিবেদনের শুরুতেই রয়েছে ভারতীয় নাগরিক মুকেশ আম্বানির নাম। তার নিট সম্পদ ১১ হাজার ২০ কোটি ডলার। সম্পদের উৎস হিসেবে ‘বিভিন্ন খাত’ উল্লেখ করা হয়েছে। দুবাইয়ের পাম জুমেইরাহ কৃত্রিম দ্বীপে তার আনুমানিক ২৪ কোটি ডলারের সম্পদ রয়েছে।

তালিকায় আরও আছেন ওমানের নাগরিক সুহাইল বাহওয়ান। তিনি ১৯০ কোটি ডলার সম্পদের মালিক। আছেন রাশিয়ার নাগরিক আন্দ্রেই মোলচানভ ও তার পরিবার, সম্পদের পরিমাণ ১৩০ কোটি ডলার। সম্পদের উৎস ‘নির্মাণসামগ্রী’। পাম জুমেইরাহ এলাকায় তাদের ২ কোটি ৩০ লাখ ডলারের সম্পদ রয়েছে।

ভারতীয় নাগরিক এম এ ইউসুফ আলীর পরিবারের সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৭৮০ কোটি ডলার। সম্পদের উৎস ‘বিভিন্ন খাত’। পাম জুমেইরাহ, দুবাই মেরিনা ও ইন্টারন্যাশনাল সিটিতে তাদের সাত কোটি ডলার মূল্যের সম্পদ রয়েছে। এ ছাড়া আরেক ভারতীয় শামশির ভায়ালিলের সম্পদ ৩৫০ কোটি ডলার। সম্পদের উৎস ‘স্বাস্থ্যসেবা’ খাত। দুবাই হিলস ও দুবাই প্রডাকশন সিটিতে তিনি ছয় কোটি ৮০ লাখ ডলারের সম্পদের মালিক।

আরেক ভারতীয় শামশির ভায়ালিলের সম্পদ ৩৫০ কোটি ডলারের। সম্পদের উৎস ‘স্বাস্থ্যসেবা’ খাত। দুবাই হিলস ও দুবাই প্রডাকশন সিটিতে তিনি ৬ কোটি ৮০ লাখ ডলারের সম্পদের মালিক।

সুহাইল বাহওয়ান মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানের নাগরিক। ১৯০ কোটি ডলার সম্পদের মালিক সুহাইল বাহওয়ান। সম্পদের উৎস ‘বিভিন্ন খাত’। জুমেইরাহ বে আইল্যান্ড, মেদান ও ডাউনটাউন দুবাইয়ে তার সাড়ে ৪ কোটি ডলারের সম্পদ রয়েছে। রাশিয়ার নাগরিক আন্দ্রেই মোলচানভ ও তার পরিবারের সম্পদের পরিমাণ ১৩০ কোটি ডলার। সম্পদের উৎস ‘নির্মাণসামগ্রী’। পাম জুমেইরাহ এলাকায় তাদের ২ কোটি ৩০ লাখ ডলারের সম্পদ রয়েছে।

বিনোদ আদানি সাইপ্রাসের নাগরিক। ২ হাজার ২২০ কোটি ডলারের সম্পদের মালিক এই বিনোদ আদানি। তার সম্পদের উৎস দেখানো হয়েছে ‘অবকাঠামো ও পণ্যদ্রব্য’। এমিরেটস হিল, জুমেইরাহ লেক টাওয়ারস, জুমেইরাহ পার্ক, ডাউনটাউন দুবাই, দুবাই মেরিনা, ইন্টারন্যাশনাল সিটি ও দুবাই সিলিকন ওয়েসিসে তার ২ কোটি ডলারের সম্পদ রয়েছে। অবশ্য ওসিসিআরপির ওয়েবসাইটে বিনোদ আদানিকে ভারতীয় হিসেবে উল্লেখ
করা হয়েছে।

মিশরের নাগরিক নগিব সাবিরিস। নগিব সাবিরিস ও তার পরিবারের সম্পদের পরিমাণ ৩৮০ কোটি ডলার। সম্পদের উৎস ‘টেলিকম’ খাত। পাম জুমেইরাহ এলাকায় তাদের ১ কোটি ডলারের সম্পদ রয়েছে। কানাডার নাগরিক চ্যাংপেং ঝাও ৩ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের সম্পদের মালিক। সম্পদের উৎস ‘ক্রিপ্টো মুদ্রা বিনিময়’। ডাউনটাউন দুবাইয়ে তার ১ কোটি ৪০ লাখ ডলারের সম্পদ রয়েছে।

সকেট বর্মন যুক্তরাজ্যের নাগরিক। তার সম্পদের পরিমাণ ১৫০ কোটি ডলার। সম্পদের উৎস ‘ভোগ্যপণ্য’। দুবাইয়ের পাম জুমেইরাহ দ্বীপে ১ কোটি ৪০ লাখ ডলারের সম্পদ রয়েছে সকেট বর্মনের। এ ছাড়া রয়েছেন, সাইপ্রাসের নাগরিক ইগর মাকারভ। তিনি ২১০ কোটি ডলারের সম্পদের মালিক। সম্পদের উৎস ‘বিনিয়োগ’। পাম জুমেইরাহ এলাকায় তিনি ১ কোটি ১০ লাখ ডলারের সম্পদের মালিক।

দারিদ্র্যপীড়িত ও যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের অন্তত সাত নাগরিকের নামও আছে এ তালিকায়। তাদের মধ্যে ছয়জনকে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও একজনকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ব্যক্তি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া তালিকায় চীন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের নাগরিকদের পাশাপাশি ইয়েমেন, নাইজেরিয়া ও কেনিয়ার মতো দেশের নাগরিকদের নামও রয়েছে। রয়েছে নিষেধাজ্ঞার অধীনে থাকা মিয়ানমারের একজন অস্ত্র ব্যবসায়ীর নামও।

পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট পরিবারের সদস্যরাও রয়েছেন এ তালিকায়। পাকিস্তানের পত্রিকা ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফাঁস হওয়া নথি অনুযায়ী দুবাইয়ে ১৭ হাজার পাকিস্তানি সম্পদের মালিক। তবে তথ্য-উপাত্ত ও অতিরিক্ত সূত্র ব্যবহার করে এ সংখ্যা ২২ হাজারের মতো বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। ওই তালিকায় নাম রয়েছে দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি, বাখতাওয়ার ভুট্টো জারদারি ও আসিফা ভুট্টো জারদারি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নাকভির স্ত্রী আশরাফ,সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ছেলে হুসাইন নওয়াজ এবং আলোচিত সাবেক সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়ার ছেলে সাদ সিদ্দিক বাজওয়ারের।


 ফ্রান্সে পুলিশ ভ্যানে নৃশংস হামলা

পলাতক আসামির খোঁজে ‘নজিরবিহীন’ অভিযান
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলে নরম্যান্ডি শহরে পুলিশ ভ্যানে নৃশংস হামলায় নিহত হয়েছেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা, আহত হয়েছেন তিনজন। এরপর হামলাকারীরা আসামিকে নিয়ে পালিয়ে গেছে। ‘দ্য ফ্লাই’ নামে পরিচিত মোহামেদ আমরা নামের সেই পলাতক আসামির খোঁজে নজিরবিহীন তল্লাশি শুরু করেছে নরম্যান্ডি পুলিশ বিভাগ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে আজ এ খবর দিয়েছে।

মঙ্গলবার মোহামেদ আমরাকে আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তাকে বহনকারী পুলিশ ভ্যান একটি টোল বুথে পৌঁছালে সেখানে একটি গাড়ি মুখোমুখি এসে ধাক্কা দেয় ভ্যানটিকে। সশস্ত্র কয়েক ব্যক্তি পুলিশ ভ্যান লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে। এতে নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তা এবং গুরুতর আহত হন তিনজন।

ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন বলেছেন, সন্ত্রাসীদের ধরার জন্য সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার ফরাসি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই হামলাকে ‘ঠাণ্ডা মাথায় সংঘটিত বর্বরতা’ বলে আখ্যা দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করতে নিয়োজিত করা হয়েছে নরম্যান্ডি পুলিশ বিভাগের প্রায় ৪৫০ সদস্যকে।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ বলেছেন, দুষ্কৃতকারীদের খুঁজে বের করতে সবকিছুই করা হচ্ছে।

প্যারিসের রাষ্ট্রীয় কৌঁসুলি লর বেকুউ সাংবাদিকদের বলেছেন, গতকাল স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে মোহামেদ আমরাকে বহনকারী ভ্যানটি ফ্রান্সের উত্তরে ইউরে অঞ্চলের ইনকারভিলে টোল বুথ অতিক্রম করার সঙ্গে সঙ্গেই একটি পিউজিট গাড়ি এসে মুখোমুখি ধাক্কা দেয়। সেই গাড়ি থেকে বন্দুকধারীরা বেরিয়ে আসে। পুলিশ ভ্যানের পেছনে থাকা একটি অডি গাড়ি থেকেও বন্দুকধারীরা সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যোগ দেয়। এই অডি পুলিশ ভ্যানকে অনুসরণ করছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।

লর বেকুউ আরও বলেন, সন্ত্রাসীরা পুলিশ ভ্যানে বেশ কয়েকবার গুলি চালায়, অফিসারদের হত্যা ও আহত করে। এরপর আসামিকে নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

ফ্রান্সের ন্যায়বিচারবিষয়ক মন্ত্রী এরিক দুপো মোরেত্তি বলেন, ‘এই জঘন্য অপরাধী, যাদের কাছে মানুষের জীবনের কোনো মূল্য নেই, তাদের খুঁজে বের করার জন্য সবকিছু, মানে সবকিছুই করা হবে।’ তাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

মোহামেদ আমরাকে গত ১০ মে চুরির দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। এ ছাড়া মার্সেইতে একটি অপহরণের ঘটনায়ও অভিযুক্ত করা হয়েছিল তাকে। ওই অপহরণের ঘটনায় একজনের মৃত্যুও হয়েছিল।

আমরার আইনজীবী হিউজেস ভিনিয়ার ফরাসি সংবাদমাধ্যম বিএফএমটিভিকে বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করতে চান যে মোহামেদ আমরা তাকে মুক্ত করার পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতেন না। ভিনিয়ার বলেন, ‘আমি মোহামেদ আমরাকে যেভাবে চিনি, সে অনুযায়ী এই পরিকল্পনা সম্পর্কে তার যুক্ত থাকার কথা নয়। যদি সে এর পেছনে থেকে থাকে, তবে আমি বুঝতে ব্যর্থ হয়েছি যে সে আসলে কে।’

ফরাসি কয়েকটি গণমাধ্যম জানিয়েছে, আমরা এই সপ্তাহের শুরুতে কারাগার থেকে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন।

রাষ্ট্রীয় কৌঁসুলি লর বেকুউ জানিয়েছেন, ১৩টি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন আমরা। দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মার্সেইয়ের একটি গ্যাংয়ের সঙ্গে আমরার সম্পর্ক রয়েছে বলে জানা গেছে। সেই গ্যাংটির বিরুদ্ধে মাদক-সম্পর্কিত সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তবে আমরা এখনো কোনো মাদক মামলায় দোষী সাব্যস্ত হননি।


মার্কিন নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা করে না ভারত: এস জয়শঙ্কর

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইরানের চাবাহার সমুদ্রবন্দর পরিচালনার জন্য তেহরানের সঙ্গে ২০১৬ সালের একটি চুক্তি আরও ১০ বছরের জন্য নবায়ন করেছে ভারত। এতে ক্ষেপে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্র পরোক্ষভাবে ভারতকে নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছে। তবে ভারত এই হুমকি তোয়াক্কা করে না বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। খবর এনডিটিভির।

আজ বুধবার পশ্চিমবঙ্গের নিজের বইয়ের বাংলা সংস্করণ প্রকাশ করতে কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, এই চুক্তির ফলে চাবাহার বন্দরে বড় বিনিয়োগের পথ খুলে যাবে। প্রকল্পটি সমগ্র অঞ্চলের জন্য ভালো হবে। বিষয়টিতে কারও সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি থাকা উচিত নয়। যুক্তরাষ্ট্র নিজেই অতীতে চাবাহারের বৃহত্তর প্রাসঙ্গিকতার প্রশংসা করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে জয়শঙ্কর বলেন, ‘আমি কিছু মন্তব্য দেখেছি, তবে আমি মনে করি এটি আসলে সবার সুবিধার জন্য। আমি মনে করি না কারও এটি সম্পর্কে সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি নেওয়া উচিত।’

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারা (মার্কিন) অতীতে এটি করেনি। আপনি যদি চাবাহার বন্দরের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব মনোভাব দেখেন, তাহলে দেখবেন তারা চাবাহারের একটি বৃহত্তর প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশংসা করেছে।’

সোমবার চুক্তির পর গত মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে দিল্লি-তেহরানের চুক্তি স্বাক্ষর নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি দেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল। তিনি বলেন, ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা এখনো কার্যকর। এসব নিষেধাজ্ঞা আরও জোরদার করা হবে। যেসব পক্ষ ইরানের সঙ্গে ব্যবসায়িক চুক্তি করার কথা ভাবছে, তাদের সম্ভাব্য মার্কিন ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

নাম উল্লেখ না করে ভারতকে সতর্ক করে বেদান্ত বলেন, যারাই ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যিক চুক্তি করবে, তাদের মনে রাখা উচিত যে তারা নিজেরাই নিজেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা পড়ার পথ খুলে দিচ্ছে।

মধ্যপ্রাচ্যে বাণিজ্য পরিবহনের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। তারই অংশ হলো ইরানের সঙ্গে চাবাহার বন্দর চুক্তি। ভারতের নৌপরিবহন ও বন্দরমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল এ চুক্তির জন্য ইরানে গিয়েছিলেন। সোমবার ভারতের নৌ মন্ত্রণালয় জানায়, ইন্ডিয়ান পোর্টস গ্লোবাল লিমিটেড (আইপিজিএল) ও ইরানের পোর্ট অ্যান্ড মেরিটাইম অর্গানাইজেশন চাবাহার বন্দরের উন্নয়নের জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি সই করেছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘চাবাহার বন্দরের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল, কিন্তু আমরা কখনোই একটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারিনি। কারণ ইরানের প্রান্তে বিভিন্ন সমস্যা ছিল। জয়েন্ট-ভেঞ্চার পার্টনার পরিবর্তন, শর্ত পরিবর্তিত হয়েছে।’

চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অবশেষে আমরা এটি সমাধান করতে সক্ষম হয়েছি এবং আমরা দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছি। দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিটি প্রয়োজনীয়, কারণ এটি ছাড়া আপনি সত্যিই বন্দর পরিচালনার উন্নতি করতে পারবেন না। আমরা বিশ্বাস করি, সমগ্র অঞ্চল উপকৃত হবে।’

প্রসঙ্গত, চাবাহার বন্দর একটি ভারত-ইরান ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্প, যা আফগানিস্তান ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট বন্দর হিসেবে কাজ করে, যা ল্যান্ডলকড দেশ। চাবাহার বন্দরের উন্নয়ন ও পরিচালনায় ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

ভারত সরকার বন্দরের অবকাঠামোতে বিনিয়োগ করেছে এবং আফগানিস্তান ও মধ্য এশিয়ার জন্য আবদ্ধ ভারতীয় পণ্যের জন্য এটিকে একটি কার্যকর ট্রানজিট রুট হিসেবে গড়ে তোলার জন্য এর সুবিধাগুলো আপগ্রেড করার সঙ্গে জড়িত রয়েছে।


ইসরায়েলকে নতুন করে অস্ত্র দেয়ার পরিকল্পনা বাইডেনের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন ইসরায়েলকে নতুন করে একশ’ কোটি ডলারের অস্ত্র দেয়ার পরিকল্পনার কথা কংগ্রেসকে জানিয়েছে।

গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় হামলা চালালে কিছু অস্ত্রের চালান বন্ধ করে দেয়া হবে বলে বাইডেনের হুমকির এক সপ্তাহের মধ্যে এ পরিকল্পনার কথা জানাল তার প্রশাসন।

একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, প্রশাসন মঙ্গলবার কংগ্রেসকে অনানুষ্ঠানিকভাবে এ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কংগ্রেসের অনুমোদন লাগবে।

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কংগ্রেসের এক সহকারি জানিয়েছেন, মার্কিন অস্ত্র প্রস্তুতকারীদের কাছ থেকে যে অস্ত্র নেয়া হবে তা একশ’ কোটি ডলার মূল্যের।

এরআগে মার্কিন কংগ্রেস ইউক্রেন, ইসরায়েল ও তাইওয়ানের জন্যে নয় হাজার পাঁচশো’ কোটি ডলারের একটি প্যাকেজ অনুমোদন করে।

এদিকে নতুন করে অস্ত্র দেয়ার পরিকল্পনার কথা এমন এক সময়ে আসলো যখন কেবল সপ্তাহ খানেক আগে বাইডেন ইসরায়েলকে হুঁশিয়ার করে বলেছিল, রাফায় স্থল হামলা চালানো হলে যুক্তরাষ্ট্র বোমা ও কামানের গোলা সরবরাহ বন্ধ করে দেবে।

যদিও বাইডেনের এ হুঁশিয়ারি অগ্রাহ্য করেই ইসরায়েল রাফায় বোমা হামলা অব্যাহত রেখেছে এবং রাফা ক্রসিংয়ে সৈন্য ও ট্যাংক জড়ো করেছে।

ইসরায়েলের কাছে নতুন করে অস্ত্র বিক্রির খবরটি প্রথম প্রকাশ করে ‘দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’। জার্নালের খবরে বলা হয়েছে, এতে সম্ভবত ৭০ কোটি ডলারের ট্যাংক গোলাবারুদ এবং ৫০ কোটি ডলারের কৌশগলগত যানবাহন রয়েছে।

উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনী সংগঠন হামাস গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক বড়ো ধরনের হামলা চালায়। এ সময়ে তারা প্রায় এক হাজার ১৭০ ইসরায়েলীকে হত্যা এবং ২৫০ জিম্মিকে আটক করে। এখনও তাদের কাছে ১২৮ জিম্মি আটক রয়েছে।

এদিকে ৭ অক্টোবর ইসরায়েল গাজায় প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলা শুরু করে যা এখনও চলছে। গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত এ হামলায় ৩৫ হাজারেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। এদের অধিকাংশ নারী ও শিশু।


গাজায় ইসরায়েলি ৭ মাসের হামলায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত: জাতিসংঘ  

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। টানা সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে চালানো এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি। বর্বর এই আগ্রাসনে নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। জাতিসংঘও এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। সংস্থাটি জানায়, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত ফিলিস্তিনিদের অন্তত ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু। বুধবার এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

জাতিসংঘ বলছে, গাজা যুদ্ধে নিহত হাজার হাজার মানুষের মধ্যে অন্তত ৫৬ শতাংশ নারী ও শিশু। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে চলা ইসরায়েলের নিরলস আগ্রাসনে অন্তত ৩৫ হাজার ১৭৩ জন নিহত হয়েছেন।

মূলত গাজা কর্তৃপক্ষ ক্রমাগত বলেছে, উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত গাজায় নিহতদের মধ্যে প্রায় ২৫ হাজার জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৪০ শতাংশ পুরুষ, ২০ শতাংশ নারী এবং ৩২ শতাংশ শিশু এবং ৮ শতাংশ বয়স্ক মানুষ রয়েছেন।

মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মুখপাত্র ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডমেয়ার বলেছেন, নতুন এই পরিসংখ্যাটি এখন পর্যন্ত সরবরাহ করা তথ্যগুলোর মধ্যে ‘সবচেয়ে ব্যাপক’।

তিনি জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেন, অজ্ঞাত পরিচয়ের ক্ষেত্রে একই অনুপাত প্রয়োগ করলে এবং নিহত বয়স্ক নাগরিকদের অর্ধেক নারী হলে এটা আশা করা যেতেই পারে যে, নিহত ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষের মধ্যে অন্তত ‘৫৬ শতাংশ নারী ও শিশু’ রয়েছে।

তিনি বলেন, তারপরও এটি বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে না, কারণ হাজার হাজার মানুষ এখনও সম্ভবত ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে রয়েছে বলে বিশ্বাস করা হয়। এছাড়া তাদের মধ্যে আরও বেশি সংখ্যক নারী এবং শিশু থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশি। কারণ নারী ও শিশুরাই সাধারণত বাড়িতে অবস্থান করে থাকেন।

মুখপাত্র ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডমেয়ার বলেন, সুতরাং ‘ন্যূনতম পরিসংখ্যানগত গণনা’ থেকে বলা যায়, গাজায় নিহতদের ৬০ শতাংশ নারী এবং শিশু হতে পারে।

এদিকে জাতিসংঘের শিশু নিরাপত্তা ও অধিকার বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের প্রধান বলেছেন, গত বছরের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় ১৯০ জনেরও বেশি জাতিসংঘ কর্মী নিহত হয়েছেন।

ক্যাথরিন রাসেল সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, ‘সেবা করার সময় মানবতাবাদীদের অবশ্যই সবসময় সুরক্ষিত রাখতে হবে।’


গাজা সংঘাতে ১৯০ জাতিসংঘ কর্মী নিহত: জাতিসংঘ মহাসচিব

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত জাতিসংঘের গাড়ি। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ফিলিস্তিনির গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরতা থামছেই না। গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রতিদিনই নিরীহ ফিলিস্তিনিরা প্রাণ হারাচ্ছে। এমনকি এ হামলা থেকে রেহাই পাচ্ছে না জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা এবং অন্যান্য দাতব্য সংস্থার কর্মীরাও। গাজায় সংঘাত শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত জাতিসংঘের প্রায় ১৯০ কর্মী নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেস এ কথা জানিয়েছেন।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেস জানিয়েছেন, তিনি জাতিসংঘ কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় গভীরভাবে শোকাহত। হতাহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন তিনি। জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র ফারহান হক এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, জাতিসংঘ কর্মীদের ওপর সব ধরনের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন গুতেরেস। তিনি এসব হামলার ঘটনার পূর্ণ তদন্ত দাবি করেছেন।

জাতিসংঘের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলে সংস্থাটির এক কর্মী নিহত হয়েছেন এবং আরও বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন। তারা একটি হাসপাতালের দিকে যাচ্ছিলেন। ওই কর্মীরা জাতিসংঘের একটি গাড়িতে করে রাফার কাছে অবস্থিত ইউরোপিয়ান হসপিটালের দিকে যাওয়ার সময় হামলার শিকার হন। এই হামলার পেছনে কারা দায়ী সে বিষয়ে জাতিসংঘ স্পষ্টভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।

এদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে, প্রাথমিক তদন্তে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে যে, জাতিসংঘের ওই গাড়িটি একটি সংঘাত চলমান অঞ্চল দিয়ে যাচ্ছিল। তারা তাদের রুট সম্পর্কে সচেতন ছিল না।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) নিশ্চিত করেছে, জাতিসংঘের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বিভাগের (ইউএনডিএসএস) কাছ থেকে তারা একটি রিপোর্ট পেয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার দক্ষিণাঞ্চলীয় গাজার রাফা এলাকায় তাদের দুই কর্মী আহত হয়েছেন। এ বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে আইডিএফ নিশ্চিত করেছে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮২ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে। অন্যদিকে আহত হয়েছে আরও ২৩৪ ফিলিস্তিনি। এদিকে গাজার মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের একটি বাড়িতে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে শিশুসহ কমপক্ষে ১৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। গাজার বেশ কিছু মেডিকেল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

প্রসঙ্গত, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজার ১৭৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছে আরও ৭৯ হাজার ৬১ জন। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। গাজায় বেসামরিকদের, বিশেষ করে শিশুদের নির্বিচারে হত্যা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের এক কর্মকর্তা।


ভারতকে নিষেধাজ্ঞার হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৪ মে, ২০২৪ ২০:৫০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

দশ বছরের জন্য তেহরানের চাবাহার বন্দর পরিচালনা করতে ইরানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভারতকে নিষেধাজ্ঞার কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ইরানের সঙ্গে বাণিজ্য কার্যক্রম পরিচালনার আগে যেকোনো দেশেরই সতর্ক হওয়া উচিৎ। কারণ এমন ঘটনা ওইসব দেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পথকে প্রশস্ত করে।

আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের উপপ্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘ভারতের পররাষ্ট্র নীতি ও ইরানের সঙ্গে তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল। তবে ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা এখনও বহাল রয়েছে। ফলে ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি করলে এ বিষয়ে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।’ ওয়াশিংটনের এ হুঁশিয়ারির পর ভারতের পক্ষ থেকে এখনও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

পাকিস্তানের সঙ্গে সীমান্তবর্তী ও কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ইরানের চাবাহার বন্দরের উন্নয়নকাজের জন্য ২০১৬ সালে দেশটির সঙ্গে একটি চুক্তিতে সম্মত হয় ভারত। বন্দরটির উন্নয়ন ও পরিচালনার জন্য সোমবার ইরানের সঙ্গে হওয়া চুক্তিটি আরও ১০ বছরের জন্য নবায়ন করেছে দিল্লি।

ভারতের নৌপরিবহনমন্ত্রী এই চুক্তিকে ভারত-ইরান সম্পর্কের একটি ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ বলে অভিহিত করেছেন।

তবে ভারতের এই পদক্ষেপ ভালোভাবে নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। গত তিন বছরে ইরান সম্পর্কিত বিভিন্ন সংস্থার ওপর ৬০০টিরও বেশি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দেশটি। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের শেষের দিকে প্রথম চাবাহার বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব নেয় ভারত। পাকিস্তানকে এড়িয়ে আফগানিস্তানসহ মধ্য এশিয়ার অন্যান্য দেশে পণ্য পরিবহন ও সরবরাহে বন্দরটি ভারতের জন্য একটি ট্রানজিট রুট হিসেবে কাজ করে।

গতকাল সোমবার ভারতের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বন্দরটির উন্নয়নের জন্য ভারতের ইন্ডিয়ান পোর্টস গ্লোবাল লিমিটেড (আইপিজিএল) ও ইরানের পোর্ট অ্যান্ড মেরিটাইম অর্গানাইজেশন দীর্ঘমেয়াদী একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

ইরানের নগর ও সড়ক উন্নয়নমন্ত্রী মেহেরদাদ বাজরপাশ বলেছেন, চুক্তি মোতাবেক আইপিজিএল এই প্রকল্পে ১২০ মিলিয়ন ডলার প্রাথমিক বিনিয়োগের পাশাপাশি আরও ২৫০ মিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত বিনিয়োগ করবে। এই চুক্তিটি ইরানের সঙ্গে আরও বড় বিনিয়োগের পথ প্রশস্ত করবে বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

গত মাসে পাকিস্তানকেও একই রকমের নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

বিষয়:

ভারত থেকে অস্ত্র কিনল রাশিয়া

আপডেটেড ১৪ মে, ২০২৪ ২১:২৬
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারত থেকে গত ৬-৮ মাসে প্রায় ৪০০ কোটি ডলারের সমরাস্ত্র ও অন্যান্য সরঞ্জাম কিনেছে রাশিয়া। আর এই সমরাস্ত্র কেনার ক্ষেত্রে রাশিয়া ভারতকে দেশটির নিজস্ব মুদ্রা রুপিতে মূল্য পরিশোধ করেছে। একটি রুশ কোম্পানি তাদের ভোস্ট্রো অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এই অর্থ পরিশোধ করেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সাধারণত ভোস্ট্রো অ্যাকাউন্ট হলো একটি দেশের ব্যাংকের অন্য কোনো একটি দেশের অন্য কোনো একটি ব্যাংকে থাকা অ্যাকাউন্ট। রাশিয়ার প্রতিষ্ঠানটি মূলত এই ভোস্ট্রো অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এসব সমরাস্ত্র ও সরঞ্জামের মূল্য রুপিতে পরিশোধ করেছে। ভারতীয় মুদ্রায় বাণিজ্য করার জন্য স্থানীয় ঋণদাতাদের পাশাপাশি যে ২২ দেশকে ভোস্ট্রো অ্যাকাউন্ট (এসআরভিএ) খোলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে রাশিয়া একটি।

মানিকন্ট্রোলের প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার সংস্থাগুলো ভারতে বিনিয়োগের সুযোগ না পাওয়ায় তাদের ভোস্ট্রো অ্যাকাউন্টগুলোতে প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের রুপি জমা হয়। যেখান থেকে গত আট মাসে তারা এর অর্ধেক ব্যবহার করে ভারতীয় অস্ত্র ও অন্যান্য সরঞ্জাম কেনে। এর আগে, ২০২৩ সালের জুলাইয়ে স্থানীয় মুদ্রায় দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই) বিশ্বের ২২টি দেশের ২০টি ব্যাংকে ৯২টি এসআরভিএ অ্যাকাউন্ট খোলার অনুমতি দেয়। এ বিষয়ে ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প প্রতিমন্ত্রী সোম প্রকাশ জানান, গত বছর ১৫ জুলাই ভারতের রিজার্ভ ব্যাংক (আরবিআই) ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে মধ্যে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি হয়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এই দ্বিপক্ষীয় চুক্তির ফলে আমদানি ও রপ্তানিকারকরা তাদের নিজ নিজ দেশের মুদ্রায় পণ্য ও অর্থ আদান–প্রদান করতে পারবে। যার ফলে, দেশগুলোর মধ্যে বাজার বিকাশের পথ আরও প্রশস্ত হবে।

ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের আরেক মন্ত্রী অনুপ্রিয়া প্যাটেল বলেন, ভারতের রপ্তানি গত পাঁচ বছরে ৩৬ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৮-১৯ সালে ভারতের বৈদেশিক রপ্তানির পরিমাণ যেখানে ছিল ৩৩০ দশমিক ০৭ বিলিয়ন ডলার ২০২২-২৩ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৪৫০ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলারে।

বিষয়:

আল আকসা মসজিদে তাণ্ডব চালাল ইসরায়েলিরা

আল আকসা মসজিদ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

আল আকসা মসজিদে তাণ্ডব চালিয়েছে ইসরায়েলিরা। এই মসজিদকে ইসলামের তৃতীয় পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আজ মঙ্গলবার মসজিদে কয়েক ডজন ইসরায়েলি ঢুকে পড়ে। এ সময় সেখানে এক ব্যক্তি ইসরায়েলি পতাকা প্রদর্শন করে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এদিকে দক্ষিণ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় জাতিসংঘের এক কর্মী নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক ডজন ইসরায়েলি নাগরিক আল আকসা প্রাঙ্গণে ঢুকে তাণ্ডব চালিয়েছে। এ সময় সেখানে এক উগ্রবাদী ইসরায়েলি পতাকা প্রদর্শন করে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, আল আকসা প্রাঙ্গণে এক ইহুদি ব্যক্তি ইসরায়েলের পতাকা বের করে মেলে ধরলে সেখানে ইসরায়েলি পুলিশের কয়েকজন সদস্য তার সঙ্গে শান্তভাবে কথা বলতে থাকেন। পুলিশের সঙ্গে কথা বলার সময় ওই ব্যক্তি কিছুক্ষণ পতাকা প্রদর্শন করে তা গুটিয়ে নেয় এবং মসজিদ প্রাঙ্গণের একদিকে চলে যায়।

ইসরায়েলের এ পতাকাটি পবিত্র স্থানটির সঙ্গে ইহুদিদের সংযোগ বাড়াতে বেয়াদেনু র‌্যালির পর প্রদর্শন করা হয়েছে। বেয়াদেনু ইহুদির একটি গোষ্ঠী যারা আল আকসার নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়। ইসরায়েলি পতাকা উত্তোলনের জন্য তারা ১৪ মে এ র‌্যালির আয়োজন করে। অন্যদিকে ফিলিস্তিনিরা এ দিবসকে নাকাবা বা মহাবিপর্যয়ের দিন হিসেবে স্মরণ করে থাকেন। এ দিনের ঘটনার মধ্য দিয়ে ইসরায়েল সৃষ্টির প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছিল।

উল্লেখ্য, আল আকসা কম্পাউন্ডে ইসরায়েলিদের তাণ্ডব নিয়মিত ঘটনা। যদিও ইহুদি ধর্মের নিয়ম অনুযায়ী পবিত্রতার ধারণার কারণে আল আকসা প্রাঙ্গণে ইহুদিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনি মুসলিমদের জুমার নামাজেও বাধা দিয়ে আসছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। তবে তাদের বাধার কারণে অনেকে পুরাতন এ নগরীর সড়কে নামাজ আদায় করে থাকেন।

ইসরায়েলি বাহিনীর তাণ্ডব নতুন নয়। এর আগেও বিভিন্ন সময় ইসরায়েলিরা মসজিদে নামাজরত অবস্থায় মুসল্লিদের ওপর হামলা চালিয়েছে।

দেড় হাজার ইসরায়েলি সেনা নিহত

লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর মহাসচিব সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহ বলেছেন, গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত আঞ্চলিক প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হামলায় অন্তত দেড় হাজার দখলদার ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে লেবানন-ইসরায়েল সীমান্ত সংঘর্ষে নিহত দখলদার সেনাদের সংখ্যা এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত কি না তা পরিষ্কার করেননি হিজবুল্লাহ মহাসচিব।

সোমবার হিজবুল্লাহর সিনিয়র কমান্ডার মোস্তফা বদরুদ্দিনের শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া ভাষণে এ তথ্য প্রকাশ করেন হাসান নাসরুল্লাহ। ২০১৬ সালে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইহুদিবাদী ইসরায়েলের হামলায় শহিদ হন মোস্তফা বদরুদ্দীন। গাজার প্রতিরোধকামী যোদ্ধা এবং হিজবুল্লাহর রকেট ও ড্রোন হামলায় হতাহত ইসরায়েলি সেনাদের কথা গোপন রাখে নেতানিয়াহু সরকার। হিজবুল্লাহ মহাসচিব তার বক্তৃতায় আরও বলেন, গাজা উপত্যকায় ৩৫ হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক হত্যা করলেও ইহুদিবাদী ইসরায়েল তাদের ঘোষিত কোনো লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি।

প্রসঙ্গত, ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলা করে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এই হামলায় ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের মতে, ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় গাজায় নির্বিচারে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজারেরও বেশি নিরীহ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

ইসরায়েলি হামলায় জাতিসংঘ কর্মী নিহত

দক্ষিণ গাজার একটি হাসপাতালে যাওয়ার সময় ইসরায়েলি হামলায় জাতিসংঘের এক কর্মী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অপর এক কর্মী। সোমবার জাতিসংঘের একটি গাড়িতে করে রাফা শহরের কাছে ইউরোপীয় হাসপাতালে যাওয়ার সময় গাড়িটিতে হামলা চালানো হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের মুখপাত্র ফারহান হক জানিয়েছেন, কর্মীর মৃত্যুর খবরে গভীর দুঃখ ও শোক প্রকাশ করেছেন মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। হতাহতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি। জাতিসংঘের কর্মীদের ওপর সব হামলার নিন্দা জানিয়ে পূর্ণ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন গুতেরেস।

ফারহান হক বলেছেন, নিহত ও আহত কর্মীরা জাতিসংঘের সদস্য। তারা আন্তর্জাতিক কর্মী, ফিলিস্তিনি নয়। সংঘাত শুরুর পর এই প্রথম গাজায় জাতিসংঘের একজন আন্তর্জাতিক কর্মীর মৃত্যু হলো।

এই হামলার জন্য কে দায়ী তা উল্লেখ করেনি জাতিসংঘ। তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, প্রাথমিক তদন্তে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে যে, গাড়িটি একটি সক্রিয় যুদ্ধ অঞ্চলের ভেতর দিয়ে যাওয়ার সময় হামলার শিকার হয়েছে। গাড়িটির রুট সম্পর্কে তারা সচেতন ছিল না বলেও জানানো হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ফুটেজে ইউরোপীয় হাসপাতালের বাইরে জাতিসংঘের লোগোসংবলিত একটি গাড়িতে অসংখ্য বুলেটের ছিদ্র দেখা গেছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) নিশ্চিত করেছে, তারা জাতিসংঘের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বিভাগের (ইউএনডিএসএস) কাছ থেকে একটি প্রতিবেদন পেয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের দুই কর্মী সোমবার দক্ষিণ গাজার রাফাহ এলাকায় আহত হয়েছে। ঘটনাটি পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ।

আলাদা আরেকটি বিবৃতিতে গুতেরেস বলেছেন, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজায় জাতিসংঘের ১৯০ জনের বেশি কর্মী নিহত হয়েছে।


banner close