মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০২৪

গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মানবে না ইসরায়েল

ফাইল ছবি
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ২৬ মার্চ, ২০২৪ ২১:২৪

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হওয়ার পরও গাজায় হামলা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। সোমবার সামাজিক যোগাযোগমধ্যম এক্স পোস্টে এ কথা জানান ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। ইসরায়েল কাৎজ জানান, হামাস নির্মূল এবং জিম্মিদের মুক্ত না করা পর্যন্ত গাজায় হামলা চলবে।

গত সোমবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের মধ্যে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং বন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে প্রথমবারের মতো প্রস্তাব পাস হয়েছে। তবে ওই প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র অবস্থান পাল্টে ভেটো না দিয়ে ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

নিরাপত্তা পরিষদের ১০ নির্বাচিত সদস্য রাষ্ট্র প্রস্তাব করলে ১৪ কাউন্সিল সদস্য দেশ ওই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। তবে ওই প্রস্তাবে হামাসের হাতে বন্দি থাকা সবার অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

আলজেরিয়ার জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত আমর বেনজামা ভোটের পর কাউন্সিলে বলেন, ‘ফিলিস্তিনি জনগণ অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই রক্তস্নাত অনেক দিন ধরে অব্যাহত রয়েছে। অনেক দেরি হওয়ার আগেই এই রক্তপাত বন্ধ করা আমাদের দায়িত্ব।’

গত অক্টোবরে যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই যুদ্ধবিরতির জন্য বারবার চেষ্টা করে আসছিল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোর কারণে তা প্রতিবারই পাস করা সম্ভব হয়নি। তবে এবার আমেরিকা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট না দিলেও বিরোধিতা করেনি। গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণ নিয়ে আমেরিকার এই পদক্ষেপ তার মিত্র ইসরায়েলের মধ্যে ক্রমবর্ধমান মতবিরোধের ইঙ্গিত দেয় বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলায় নিহতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় ইসরায়েলের সমালোচনা করে মন্তব্য করে ওয়াশিংটন। এর পরেই প্রথমবারের মতো যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানায় ওয়াশিংটন। তবে সেই প্রস্তাবে ইসরায়েলের পক্ষে যায় উল্লেখ করে তাতে ভেটো দেয় রাশিয়া ও চীন। তবে এই প্রথমবারের মতো যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব বিরোধিতা ছাড়াই নিরাপত্তা পরিষদে পাস হলো। তবে আমেরিকা ওই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট না দিলেও ভেটো না দেওয়া ইসরায়েলের প্রতি আমেরিকা তাদের কঠোর অবস্থানের জানান দিল।

জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাম্বাসেডর লিন্ডা গ্রিনফিল্ড বলেছেন, ‘হামাসের হাতে বন্দিদের মুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি অবিলম্বে শুরু হবে। আমরা অবশ্যই হামাসকে এ বিষয়ে চাপ দেব। ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকার বিষয়ে লিন্ডা জানান, প্রস্তাবের সব বিষয়ে সম্মত না হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ভোট প্রদান করেনি। এ ছাড়া ওই প্রস্তাবে হামাসের নিন্দা প্রস্তাব অন্তর্ভুক্তি না থাকায় যুক্তরাষ্ট্র ভোট দেয়নি।’

এদিকে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে রাজি হওয়া ৪ ইউরোপীয় দেশকে সতর্ক করেছে ইসরায়েল। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ জানান, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিলে তা সন্ত্রাসবাদকে পুরস্কৃত করার শামিল হবে বলে মত তার।

এর আগে, শুক্রবার অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের দ্বারা ঘোষিত রাষ্ট্রকে স্বীকৃতির প্রথম পদক্ষেপ নিতে আয়ারল্যান্ড, মাল্টা এবং স্লোভেনিয়ার সঙ্গে একমত হয় স্পেন।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় শুরু হওয়া ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত ৩২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু। এ ছাড়া ২০ লাখেরও বেশি মানুষ গৃহহীন হয়েছে।

বিষয়:

বিনা খরচে হজ করবে গাজায় হতাহতদের পরিবার

আপডেটেড ১১ জুন, ২০২৪ ১০:৫৬
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গাজায় ইসরায়েলি বর্বর হামলায় হতাহতদের পরিবারের সদস্যদের আশ্রয় দিয়ে হজ পালনে সহযোগিতা করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ। তার এই নির্দেশের আওতায় আরও বাড়তি ১ হাজার ফিলিস্তিনি পরিবার থেকে সৌদি আরবে বিনা খরচে হজ পালনের সুবিধা পাবেন। সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সির (এসপিএ) বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম আল-আরাবিয়ার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আল-আরাবিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের বাদশাহের দপ্তর এক রাজকীয় নির্দেশ জারি করেছে। সব মিলিয়ে এই উদ্যোগের আওতায় ২ হাজার ফিলিস্তিনি সৌদি আরবে বিনা খরচে হজ পালনের সুযোগ পাবেন।

বাদশাহ সালমানের রাজকীয় নির্দেশে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকার শহীদদের পরিবার থেকে হজযাত্রীদের সৌদি আরবে আনার জন্য ‘হোস্টিং ইনিশিয়েটিভ ফর পিলগ্রিমস ফ্রম দ্য ফ্যামিলিস অব মার্টায়ার্স অ্যান্ড দ্য ওউন্ডেড ফ্রম দ্য গাজা স্ট্রিপ’ উদ্যোগ নিয়েছে সৌদি আরব। এই উদ্যোগের আওতায় ফিলিস্তিন থেকে মোট ২ হাজার হজযাত্রী আসবেন।

সৌদি আরবের ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স, দাওয়াহ অ্যান্ড গাইডেন্স মন্ত্রী শেখ আবদুল লতিফ বিন আবদুল আজিজ আল-শায়েখ বলেছেন, এই পদক্ষেপ ফিলিস্তিনের জন্য সব স্তরে আমাদের দেশের (সৌদি আরবের) অটল সমর্থনকেই তুলে ধরে।

শেখ আব্দুল লতিফ বিন আব্দুল আজিজ আল-শায়েখ আরও বলেছেন, এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গাজার ফিলিস্তিনি জনগণের কষ্ট-দুর্দশা কিছুটা প্রশমিত করবে। সৌদি সরকারের এমন মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নতুন কিছু নয়। সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠাকালীন বাদশাহ আবদুল আজিজের যুগ থেকে দেশটি ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে।

মুসলিম বিশ্বে হজ অন্যতম অবশ্য পালনীয় ফরজ ইবাদত, যা প্রতি আরবি বছরের জিলহজ মাসে পবিত্র শহর মক্কায় অবস্থিত কাবাকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সারা বিশ্ব থেকে লাখো মানুষ সৌদি আরবের মক্কায় সমবেত হন। মক্কার আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জানিয়েছে, গত শনিবার পর্যন্ত ১৩ লাখ নিবন্ধিত হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন।

হজের সময় গাজা নিয়ে ‘স্লোগান’ নিষিদ্ধ

গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের মধ্যে ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে হজ চলাকালে কোনো প্রকার ‘রাজনৈতিক স্লোগান’ নিষিদ্ধ করেছে সৌদি আরব। গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিন ইস্যুতে দেশটির পবিত্র স্থানগুলোতে রাজনৈতিক স্লোগান দেওয়া থেকে বিরত থাকতে ১২ লাখের বেশি হজযাত্রীকে আহ্বান জানিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। সৌদির হজ ও ওমরাহ বিষয়কমন্ত্রী তৌফিক আল রাবিয়াহ বলেছেন, ‘হজ হচ্ছে উপাসনার সময়, এটি রাজনৈতিক অভিব্যক্তি প্রকাশের সময় নয়।’

তিনি বলেন, ‘হজযাত্রীদের জন্য শান্ত ও ভক্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যাতে তারা স্বস্তির সঙ্গে ধর্মীয় আচার পালন করতে পারেন।’

আসন্ন হজ মৌসুমের খুঁটিনাটি তুলে ধরতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘হজ সত্যিকার অর্থে ভক্তি, প্রশান্তি ও আধ্যাত্মিকতার সর্বোচ্চ স্তরের ক্রিয়াকলাপ এবং সেই পরিবেশ নিশ্চিত করতেই কর্তৃপক্ষ কাজ করছে। খোদা সৌদি আরবকে রক্ষা করুন।’

তিনি বলেন, ‘সবার আধ্যাত্মিকতা ও ভক্তির দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিঘ্নিত হতে পারে- এমন যেকোনো ঝামেলা হজযাত্রীদের এড়িয়ে চলা উচিত।’


মন্ত্রীর বিদায়ে চাপের মুখে আছেন নেতানিয়াহু

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গাজায় চলমান সামরিক অভিযানকে কেন্দ্র করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু দেশে-বিদেশে প্রবল চাপের মুখে রয়েছেন। বিশেষ করে অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কারণে তার সরকারের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ছে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হামাসের নৃশংস হামলার পর জাতীয় ঐক্যের স্বার্থে বিরোধী নেতা বেনি গ্যান্টজ যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়ে নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক অবস্থান অনেকটা জোরালো করেছিলেন। কিন্তু রোববার তিনি পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী পদত্যগ করেছেন।

উগ্র দক্ষিণপন্থি জোট সরকারের একমাত্র মধ্যপন্থি দলের প্রস্থান একাধিক সংকটের সময়ে ইসরায়েলে অস্থিরতা সৃষ্টি করবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এখনই সরকার পতনের আশঙ্কা না থাকলেও নেতানিয়াহুকে এবার জোটের কট্টরপন্থি সদস্যদের ওপর আরও বেশি নির্ভর করতে হবে।

ফলে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সহযোগী দেশ আমেরিকার সঙ্গে মনোমালিন্য আরও তীব্র হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নেতানিয়াহু নিজের সরকারের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার স্বার্থে মার্কিন প্রশাসনের অনেক চাপ উপেক্ষা করার চেষ্টা করে চলেছেন।

গাজায় বিতর্কিত সামরিক অভিযানের পাশাপাশি উত্তরে লেবানন সীমান্তের অপর প্রান্তে হিজবুল্লাহর সঙ্গে আরও তীব্র সংঘাতের আশঙ্কা ইসরায়েলে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। গাজায় এক সেনা অভিযানে হামাসের কবল থেকে চার জন বন্দিকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হলেও হামাসের কবলে এখনও অনেক বন্দি থেকে যাওয়ায় ইসরায়েলে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলছে।

দেশের এমন সংকটের সময় মন্ত্রিসভা থেকে বিদায়ের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সাবেক কমান্ডার ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ। ইসরায়েলের একাধিক সামরিক কর্মকর্তার মতে, তিনিও গাজায় সামরিক অভিযানের সমাপ্তির পর কোনও রাজনৈতিক সমাধানসূত্রের পরিকল্পনার অভাবের সমালোচনা করে আসছিলেন।

৮ জুনের মধ্যে তিনি নেতানিয়াহুর কাছে এক রাজনৈতিক সমাধানসূত্রের খসড়া দাবি করেছিলেন। রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে গ্যান্টজ বলেন, ‘নেতানিয়াহু আমাদের প্রকৃত জয়ের দিকে এগোনোর পথে বাধা সৃষ্টি করছেন। তাই ভারাক্রান্ত মনে আমাদের মন্ত্রিসভা ত্যাগ করতে হচ্ছে।’


মক্কা থেকে হাজারো অনিবন্ধিত হজযাত্রীকে বের করে দিল সৌদি

আপডেটেড ১০ জুন, ২০২৪ ১১:০৩
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মক্কায় হজ করতে যাওয়া হাজারো অনিবন্ধিত হজযাত্রীকে পবিত্র শহর মক্কা থেকে বের করে দিয়েছে সৌদি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। গতকাল রোববার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে আল আরাবিয়া।

সৌদি কর্মকর্তারা জানান, হজের সময় হজযাত্রীদের আগমনে মক্কায় ভিড় অনেক বেশি থাকে। আর এই ভিড় ব্যবস্থাপনা করা সবচেয়ে বেশি কঠিন। গত বছর ১৮ লাখেরও বেশি মানুষ হজ পালন করেন।

সাম্প্রতিক সময়ে পবিত্র শহর মক্কা থেকে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৯৯৮ জন বিদেশি নাগরিককে বের করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তারা বিদেশ থেকে ফ্লাইট নিয়ে সৌদি আরব এলেও তাদের বেশির ভাগই এসেছেন টুরিস্ট ভিসায়। হজ ভিসা না নিয়ে আসার কারণে তাদের মক্কা থেকে বের করে নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানিয়েছে সরকারি গণমাধ্যম এসপিএ।

এ ছাড়া আরও ১ লাখ ৭১ হাজার ৫৮৭ জন মানুষকেও মক্কা থেকে বের করা হয়েছে, যারা মূলত সৌদি আরবের বাসিন্দা; কিন্তু তারা মক্কার অধিবাসী নন এবং তাদের হজ করার অনুমতি নেই। এ বছর ১৪ জুন থেকে হজ শুরু হচ্ছে। ইসলাম ধর্মের পাঁচ মূল স্তম্ভের অন্যতম হজ। প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলিমের জন্য তার জীবদ্দশায় অন্তত একবার হজ পালন করা পবিত্র কোরআনের বিধান।

হজের আনুষ্ঠানিক অনুমতি ও প্যাকেজ অনেক মানুষের জন্য বেশ ব্যয়বহুল। এ ছাড়া কোটার কারণে প্রত্যেক দেশ থেকে সীমিত সংখ্যক মানুষ প্রতি বছর হজে যেতে পারেন। মূলত এসব কারণেই অনেক মানুষ অনানুষ্ঠানিক উপায়ে হজ পালনের চেষ্টা চালান।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে মিনায় পদদলিত হয়ে প্রায় ২ হাজার ৩০০ মানুষ প্রাণ হারান। এ ধরনের মর্মান্তিক দুর্ঘটনা এড়াতে এ বছর সৌদি কর্মকর্তারা বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছেন। মক্কার আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জানিয়েছে, শনিবার পর্যন্ত ১৩ লাখেরও বেশি নিবন্ধিত হজযাত্রী সৌদি আরবে এসে পৌঁছেছেন।


ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ বেনি গানৎজের

সরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা থেকে রোববার পদত্যাগের ঘোষণা দেন বেনি গানৎজ। ছবি: রয়টার্স
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন বেনি গানৎজ। এর মধ্য দিয়ে ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থি মন্ত্রিসভা থেকে সরে গেল মধ্যমপন্থি অংশ।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, স্থানীয় সময় রোববার টেলিভিশনে সম্প্রচারিত সংবাদ সম্মেলনে গানৎজ তার পদত্যাগের বিষয়টি জানান।

তিনি বলেন, ‘নেতানিয়াহু আমাদের আসল বিজয়ের পথে অগ্রসর হওয়া প্রতিহত করছেন। এ কারণে আমরা আজ ভারাক্রান্ত মন ও পূর্ণ আত্মবিশ্বাস নিয়ে জরুরি সরকার থেকে সরে যাচ্ছি।’ গানৎজ তার বক্তব্যে ইসরায়েলে আগাম নির্বাচনের আহ্বান জানান।

তার ভাষ্য, এমন একটি নির্বাচন হওয়া দরকার, যা চূড়ান্ত পর্যায়ে এমন একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করবে, যেটি জনগণের আস্থা অর্জন করে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করবে। ওই সময় তিনি নির্বাচনের তারিখ ঠিক করতে নেতানিয়াহুর প্রতি আহ্বান জানান।

গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ পরবর্তী পরিকল্পনা উপস্থাপন করা না হলে পদত্যাগ করবেন বলে গত মাসে জানিয়েছিলেন গানৎজ।

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ উপত্যকার শাসক দল হামাসের হামলার জবাবে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ব্যাপক হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এখন পর্যন্ত চলা এ হামলায় প্রাণ গেছে গাজার ৩৭ হাজারের বেশি বাসিন্দার।


মোদির শপথ ঘিরে দিল্লিজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা

আপডেটেড ৯ জুন, ২০২৪ ০৮:২৪
দৈনিক বাংলা ডেস্ক     

টানা তৃতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। কংগ্রেস নেতা জওহরলাল নেহরুর পর মোদিই প্রথম টানা তিন মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হলেন। তার শপথ গ্রহণ উপলক্ষে দিল্লিতে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা কার্যকর করা হয়েছে। জমকালো অনুষ্ঠানে যোগদানকারী বিশ্বনেতাদের জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, রোববার (৯ জুন) সন্ধ্যায় জাতীয় রাজধানীর প্রেসিডেন্ট ভবনে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদি। সঙ্গে শপথ নেবেন নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরাও।

প্রেসিডেন্ট ভবনে তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা করা হয়েছে, যেখানে ভারতের প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মু মোদিকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দিল্লি পুলিশের সোয়াত ও ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডের (এনএসজি) কমান্ডোদের অনুষ্ঠানস্থল ও অন্য কৌশলগত অবস্থানের চারপাশে মোতায়েন করা হবে। তা ছাড়া শপথ গ্রহণ উপলক্ষে পুলিশ দিল্লিকে নো-ফ্লাই জোন ঘোষণা করেছে। আগামী কয়েক দিনের জন্য এই শহরের ওপর দিয়ে কোনো ড্রোন, প্যারা গ্লাইডার, প্লেন ও উষ্ণ বাতাসের বেলুনসহ আকাশে ওড়ে এমন যেকোনো যন্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে।

মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ভারতের ‘নেইবারহুড ফার্স্ট’ নীতির অংশ হিসেবে মালদ্বীপ, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, নেপাল, মরিশাসসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর রাষ্ট্রপ্রধানরা উপস্থিত থাকবেন। গণ্যমান্য ব্যক্তিদের তাদের হোটেল থেকে অনুষ্ঠানস্থলে এবং পিছনে যাওয়ার জন্য নির্ধারিত রুট দেওয়া হবে।

স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রোববার মধ্য দিল্লির দিকে যাওয়া বেশ কয়েকটি সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হবে বা ট্রাফিক ডাইভারশন হতে পারে। এরই মধ্যে রাজধানীতে প্রবেশকারী যানবাহনে তল্লাশি শুরু হয়েছে।

এ বছরের লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ২৪০ আসনে জয়লাভ করেছে। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য দলটির দরকার ছিল আরও ৩২টি আসন। সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর দল তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি) ও বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের জেডিইউয়ের সঙ্গে জোট সরকার গঠন করতে হচ্ছে মোদিকে। টিডিপির ১৬ জন ও জেডিইউয়ের ১২ জন সংসদ সদস্যের সমর্থন পেয়েছেন নরেন্দ্র মোদি।


মালয়েশিয়ায় ব্যাপক ধরপাকড় শুরু

৮৪ বাংলাদেশিসহ তিন শতাধিক আটক
আপডেটেড ৮ জুন, ২০২৪ ২১:২০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মালয়েশিয়ায় ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হয়েছে। কর্মী নেওয়া বন্ধের পর দেশটিতে এই ধরপাকড় শুরু হলো। গত কয়েক দিনে বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের শত শত অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে। শনিবার (৮ জুন) জোহর রাজ্যে সাড়াশি অভিযান চালিয়ে ৮৪ বাংলাদেশিসহ তিন শতাধিক অভিবাসীকে আটক করে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন।

ইমিগ্রেশনের ডেপুটি ডিরেক্টর-জেনারেল (অপারেশন) জাফরি এমবোক গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে বলেন, ড্রোন নজরদারিসহ প্রাথমিক তথ্যে দেখা গেছে, সাড়ে ৮০০ থেকে ১ হাজার অভিবাসীকে ১৩০ কন্টেইনারে রাখা হয়েছিল।

এনফোর্সমেন্ট অফিসার, সিভিল ডিফেন্স ফোর্স, ন্যাশনাল রেজিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট, পিপলস ভলান্টিয়ার কর্পস (রেলা) এবং ন্যাশনাল অ্যান্টি-ড্রাগস এজেন্সিসহ ১৩০ জনের একটি দল অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকারী দলের আসার গাড়ির শব্দ শুনে আতঙ্কে ছড়িয়ে পড়ে অভিবাসীদের মধ্যে।

দলটি যখন নির্মাণস্থলে অভিযান চালায় তখন মোট ২৫২ জন অভিবাসীকে স্ক্রিন করা হয়। তাদের মধ্যে ১২৯ জনকে ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩-এর অধীনে নিয়ম লঙ্ঘন, ওভারস্টে, চাকরি লাভের মাধ্যমে তাদের সামাজিক ভিজিট পাসের অপব্যবহার করে অনুমতি ছাড়াই মালয়েশিয়ায় অবস্থান করার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

নির্মাণস্থলে আটকদের মধ্যে একজন ৪০ বছর বয়সি মালয়েশিয়ান ছিলেন যিনি অভিযানে আটক ৩০ জন চীনা নাগরিকের অনুবাদক বলে দাবি করেছিলেন। অভিবাসীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য তাকে আটক করা হয়। একই স্থানে আটকদের মধ্যে ৮৪ বাংলাদেশি রয়েছেন। এ ছাড়া ভারতীয়, ইন্দোনেশিয়ান, মিয়ানমার ও পাকিস্তানি নাগরিক রয়েছেন।

অভিযানকারী দলটি শহরের কেন্দ্রস্থলে অন্য নির্মাণস্থলে অভিযানের সময় ৭২৫ অভিবাসীকে স্ক্রিন করে। মোট ১৯৮ জনকে দেশে থাকার বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় আটক করা হয়। তাদের মধ্যে বাংলাদেশের একজন ব্যক্তি ছিলেন যিনি গ্রেপ্তার এড়াতে চেষ্টা করেছিলেন।


হজের খুতবা দেবেন শায়েখ মাহের আল মুয়াইকিলি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

এ বছর পবিত্র হজের খুতবা দেবেন পবিত্র মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব শায়েখ ড. মাহের আল মুয়াইকিলি। সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ সম্প্রতি এক রাজকীয় ফরমানে শায়েখ মাহের আল মুয়াইকিলিকে আরাফাতের দিন খুতবা দেওয়ার অনুমতি দেন। সৌদি আরবের বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

এসব গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, পবিত্র আরাফার ময়দানে মসজিদে নামিরাহ থেকে হজের খুতবা দেবেন এই ইমাম। গত বছর হজের খুতবায় শায়খ ড. ইউসুফ বিন মুহাম্মদ বিন সাঈদের সহযোগী ছিলেন মাহির আল মুয়াইকিলি।

পবিত্র কোরআনের দারুণ তেলাওয়াতের জন্য বিশ্বব্যাপী প্রসিদ্ধ মুয়াইকিলি। ১৯৬৯ সালের ৭ জানুয়ারি তিনি পবিত্র মদিনায় জন্মগ্রহণ করেন। হিফজ শেষ করে মদিনার টিচার্স কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে তিনি গণিতের শিক্ষক হিসেবে ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করেন।

১৪২৫ হিজরিতে পবিত্র মক্কার উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শরিয়াহ্‌ অনুষদ থেকে মাহের বিন হামাদ মাস্টার্স ডিগ্রি নেন। একই প্রতিষ্ঠান থেকে ১৪৩২ হিজরিতে ইমাম সিরাজি (রহ.) রচিত শাফেয়ী মাজহাবের কিতাব ‘তুহফাতুন নাবিহ শারহুত তানবিহ’র ওপর ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন।

মাহের বিন হামাদের কর্মজীবন শুরু হয় উম্মুল কুরার জুডিশিয়াল স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে। ১৪২৬-২৭ হিজরির পবিত্র রমজানে মসজিদে নববির সহকারী ইমামের দায়িত্ব পান তিনি। ১৪২৮ হিজরির রমজানে মসজিদুল হারামের তারাবিহ ও তাহাজ্জুদের ইমাম মনোনীত হন। এরপর ওই বছরই আনুষ্ঠানিকভাবে মসজিদুল হারামের স্থায়ী ইমাম ও খতিবের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা ৯ জিলহজ। এ দিন মসজিদে নামিরাহ থেকে হজের মূল খুতবা আরবিতে দেওয়া হয়। সৌদি আরবের সরকারি ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি খুতবার অনুবাদ সম্প্রচার করা হবে। এবারও বাংলা, ইংরেজি, ফরাসি, মালয়, উর্দু, ফারসি, রুশ, চীনা, তুর্কি, স্প্যানিশ, হিন্দি, তামিল, সোয়াহিলিসহ ১৪টি ভাষায় হজের খুতবা অনুবাদ করা হবে।

এবার খুতবা বাংলায় অনুবাদ করার দায়িত্বে থাকবেন মক্কার উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ড. খলীলুর রহমান, আ ফ ম ওয়াহিদুর রহমান মাক্কী, মুবিনুর রহমান ফারুক ও নাজমুস সাকিব।


জাতিসংঘের স্কুলে হামলা করল ইসরায়েল

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মধ্য গাজার নুসেইরাতে জাতিসংঘের একটি স্কুলে হামলা করেছে ইসরায়েল। এতে প্রায় ৪০ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

আজ শুক্রবার আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, স্কুলটিতে শত শত বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল। ইসরায়েল এই হামলার কথা স্বীকার করেছে।

একটি যুদ্ধবিমান থেকে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র জাতিসংঘের স্কুলটির সবচেয়ে ওপরের তলার দুটি শ্রেণিকক্ষে আঘাত হানে। বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে ঘটনাস্থলের ধ্বংসযজ্ঞ আর রক্ত আর ছিন্নবিচ্ছিন্ন মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে।

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডাব্লিউয়ের স্কুলে ইসরায়েলকে ভয়ংকর হত্যাযজ্ঞ চালানোর জন্য অভিযুক্ত করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।

হামলার পর উদ্ধারকারীরা হতাহতদের নিকটস্থ দেইর আল বালাহ শহরের হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। হামাস জানায়, নুসেইরাত শরণার্থীশিবিরে জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলটিতে হামলায় নিহতদের মধ্যে ১৪ শিশু ও ৯ নারী রয়েছেন। এ ঘটনায় ৭০ জনের বেশি আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৩ শিশু ও ১৮ নারী রয়েছেন।

এদিকে নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে আন্তর্জাতিক বিচারালয়ে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যা চালানোর মামলায় দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে যোগ দিচ্ছে স্পেন। এর আগে চিলি ও মেক্সিকো এই মামলায় দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে যোগ দেয়।

অন্যদিকে গাজায় সংঘাত অবসানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের তুলে ধরা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের বিষয়ে একটি মিলিত বিবৃতি তুলে ধরেছে হোয়াইট হাউস।

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রিয়া, ব্রাজিল, বুলগেরিয়া, কানাডা, কলম্বিয়া, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, রোমানিয়া, সার্বিয়া, স্পেন, থাইল্যান্ডের নেতারা বিবৃতিতে সমর্থন জানিয়েছে।

বিষয়:

পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলে ছয় তারকার জয়

বাঁ থেকে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়নী ঘোষ, দীপক অধিকারী দেব, জুন মালিয়া এবং শতাব্দী রায়। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৬ জুন, ২০২৪ ১২:২৪
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রসের অন্য প্রার্থীদের মধ্যে জয় পেয়েছেন চলচ্চিত্র জগতের ছয় তারকা।

জনপ্রিয় তারকা জুন মালিয়া, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়নী ঘোষ, দীপক অধিকারী দেব, শতাব্দী রায় ও শত্রুঘ্ন সিনহা এই ছয়জন জয় পাওয়ায় তাদের ভক্তরাও খুশি। এই ছয়জনের মধ্যে রচনা এবং সায়নীর রাজনীতিতে প্রবেশ এবারই প্রথম।

কলকাতার আনন্দবাজার বরাতে জানা যায়, তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ঘোষণার পর সবচেয়ে আলোচনা হয়েছে কলকাতার জি বাংলা চ্যানেলে রিয়েলিটি শো দিদি নম্বর ওয়ানখ্যাত রচনাকে নিয়ে। তিনি ভোটে দাঁড়ান হুগলি আসন থেকে। আলোচনার অন্যতম কারণ, ভোটে রচনাকে প্রতিযোগিতা করতে হয় ওই আসনের বিজেপির প্রার্থী এক সময়ের অভিনেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। প্রচারের সময়ই জয়ের বিষয়ে বেশ আত্মবিশ্বাস পাওয়া গিয়েছিল রচনার কথায়। তারই প্রতিফলন দেখা গেছে ফলাফলেও। এই জয়ের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হলেন রচনা।

গত লোকসভা নির্বাচনে যাদবপুর কেন্দ্র থেকে অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী জিতেছিলেন তৃণমূলের টিকিটে। এবার এই আসনে প্রথমবার দাঁড়ান অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। প্রথমবারই বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন সায়নী। তিনি বিজেপির অনির্বাণ গাঙ্গুলি এবং সিপিআইএমের সৃজন ভট্টাচার্যকে হারান।

সায়নীর জয়ে উচ্ছ্বসিত পরিচালক রাজ চক্রবর্তী, শ্রীলেখা মিত্রসহ শোবিজ অঙ্গনের অনেকেই।

চিত্রনায়ক দেব ঘাটাল আসন থেকে তৃতীয়বারের মতো জয়ী হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিজেপি প্রার্থী আরেক চিত্রনায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। বুথফেরত জরিপ দুই অভিনেতার মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস মিললেও বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন দেব।

জয়ের পর নির্বাচনী আসনে গাছ লাগানোর ঘোষণা দিয়ে দেব বলেন, ‘আমি যত ভোট পেয়ে জিতব, ততগুলো গাছ লাগাব আগেই বলেছিলাম। আমি বর্ষার আগেই সেই উদ্যোগ নেব। ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান আমার কাছে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হলেও, আরও গুরুত্বপূর্ণ কিছু সমস্যা নোট করে রেখেছি। ধীরে ধীরে সমাধান হবে।’

অভিনেত্রী জুন মালিয়া মেদিনীপুর আসনে বিজয়ী হয়েছেন। সেখানে তিনি বিজেপির হেভিওয়েট প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালকে হারিয়েছেন। এ ছাড়া তৃণমূলের হয়ে নির্বাচনে জিতেছেন অভিনেত্রী শতাব্দী রায়ও। বীরভূমে তিনি প্রায় দুই লাখ ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন।

অভিনেতা ও রাজনীতিবিদ শত্রুঘ্ন সিনহা জয় পেয়েছেন আসানসোল আসন থেকে। এ আসনে বিজেপির পক্ষে প্রার্থী হিসেবে ভোজপুরী তারকা পবন সিংয়ের নাম ঘোষণা করা হলেও পরে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। এরপর বিজেপির হয়ে মাঠে নামেন এসএস অহলুওয়ালিয়া।


ভারতের লোকসভা নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল: কার ঝুলিতে কত আসন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হয়েছে। সংসদের ৫৪৩টি আসনের মধ্যে ২৪০ আসনে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। আর প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস পেয়েছে ৯৯টি আসন। ভারতের নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে গতকাল বুধবার এইফল প্রকাশ করা হয়েছে।

ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, অন্যান্য দলের মধ্যে সমাজবাদী পার্টি (এসপি) পেয়েছে ৩৭টি, তৃণমূল কংগ্রেস ২৯টি, ডিএমকে ২২টি, তেলেগু দেসম পার্টি (টিডিপি) ১৬টি, জনতা দল (জেডি-ইউ) ১২টি, শিবসেনা (উদ্ভব) ৯টি, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপিএসপি) ৮টি ও শিবসেনা (এসএইচএস) ৭টি আসন।

লোক জনশক্তি পার্টি (রাম বিলাস) পাঁচটি আসন পেয়েছে। চারটি করে আসনে জয় পেয়েছে ওয়াইএসআরসিপি, রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) ও কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া (মার্ক্সিস্ট)-সিপিআই (এম)। ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লীগ (আইইউএমএল), আম আদমি পার্টি (আপ) ও ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) তিনটি করে আসন পেয়েছে।

দুটি করে আসন পেয়েছে জনসেনা পার্টি (জেএনপি), কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া (মার্ক্সিস্ট–লেনিনিস্ট) (লিবারেশন)-সিপিআই (এমএল) (এল), জনতা দল-জেডি (এস), ভিসিকে, কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া (সিপিআই), রাষ্ট্রীয় লোক দল (আরএলডি) ও জম্মু অ্যান্ড কাশ্মির ন্যাশনাল কনফারেন্স (জেকেএন)। এছাড়া বেশ কয়েকটি দল একটি করে আসনে জয় পেয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লোকসভার সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন ৭ জন। চূড়ান্ত ফলে বিজেপি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স-এনডিএ জোট মোট আসন পেয়েছে ২৮৬টি। আর কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট পেয়েছে মোট ২০২টি আসন।

এর আগে, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এককভাবে ৩০৩টি আসনে জিতেছিল বিজেপি। তখন বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ পেয়েছিল ৩৫২টি আসন। একক দল হিসেবে এবার সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে বিজেপি। তবে সরকার গঠনে প্রয়োজনীয় ২৭২টি আসনে জিততে পারেনি তারা। তাই সরকার গঠনে এনডিএ জোট মিত্রদের ওপর নির্ভর করতে হবে তাদের।

২০১৯ সালের নির্বাচনে কংগ্রেস এককভাবে ৫২টি আসন পেয়েছিল। আর কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন তৎকালীন ইউপিএ জোট পেয়েছিল ৯৪টি আসন। লোকসভার ৫৪৩ আসনের মধ্যে সরকার গঠনে একটি দলকে ২৭২টি আসনে জয় পেতে হয়।


পদত্যাগপত্র জমা দিলেন মোদি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর আজ বুধবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। একই দিনে পদত্যাগপত্র জমা দেন তার নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিপরিষদও।

দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক খবরে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি মুর্মু মোদি ও মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন।

এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে বলা হয়, নতুন সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত মন্ত্রীদের দায়িত্ব পালনের অনুরোধ করেছেন রাষ্ট্রপতি।

সংবাদমাধ্যমটির খবর থেকে আরও জানা যায়, আগামী শনিবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয়বারের মতো শপথ নিতে পারেন মোদি। একই দিনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদের শপথ অনুষ্ঠান হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।

ভারতের ১৭তম লোকসভার মেয়াদ শেষ হবে আগামী ১৬ জুন।

ভারতে সাত ধাপে অনুষ্ঠিত লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হয় গতকাল মঙ্গলবার। এতে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দল বিজেপি এককভাবে পায় ২৪০টি আসন। অন্যদিকে বিজেপির বাইরে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের (এনডিএ) অন্য দলগুলো পায় আরও ৫৩টি আসন। এ নিয়ে ২৯৩টি আসন পায় এনডিএ জোট।

বিষয়:

লোকসভা নির্বাচনে মোদির রাজনৈতিক জোটের জয়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ভারতে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজনৈতিক জোট জয় পেয়েছে। এর ফলে টানা তৃতীয় বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন তিনি। তবে তার দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) পার্লামেন্টে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পায়নি।

গত এক দশকে প্রথম বারের মতো পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন না পাওয়ায় বিরোধীরা একে মোদির বিরুদ্ধে স্পষ্ট বার্তা হিসেবে দেখছে।

মঙ্গলবার ভারতের নির্বাচন কমিশন ও গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ২৮৬ আসন পেয়েছে। ইন্ডিয়া জোট পেয়েছে ২০২টি আসন। বিজেপি একা সরকার গঠনের জন্য ২৭২টি আসন পেতে ব্যর্থ হয়েছে। দলটি পেয়েছে ২৪০ আসন। কংগ্রেস পেয়েছে ৯৯টি।

এর মানে বিজেপিকে সরকার গড়তে হলে নির্ভর করতে হবে মূলত দুই শরিক নীতিশ কুমারের জেডি-ইউ ও অন্ধ্র প্রদেশের চন্দ্রবাবু নাইডুর দল তেলেগু দেশম পার্টির (টিডিপি) ওপর। এই দুই দলের সম্মিলিত আসন ২৮টি।

নির্বাচনের ফলাফলের পর বিজেপি ও কংগ্রেস উভয় শিবিরেই আনন্দ উদযাপিত হচ্ছে।

রাজধানী নয়াদিল্লীতে উৎফুল্ল সমর্থকদের উদ্দেশ্যে মোদি বলেছেন, ভারত তার দল ও জোটকে টানা তৃতীয় বারের মতো সরকার গঠনের রায় দিয়েছে।

তিনি আরো বলেছেন, আমাদের তৃতীয় মেয়াদ হবে অনেকগুলো বড়ো সিদ্ধান্তের একটি এবং দেশ উন্নয়নের নতুন অধ্যায় রচনা করবে। এটা মোদির গ্যারান্টি।

কংগ্রেস ২০১৯ সালের তুলনায় এবারে প্রায় দ্বিগুণ আসনে জেতায় স্বাভাবিকভাবেই উৎফুল্ল দলটি।

দলটির গুরুত্বপূর্ণ নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, ‘দেশের জনগণ নরেন্দ্র মোদিকে বলেছে, আমরা তোমাকে চাই না।’

কংগ্রেসের দলীয় দপ্তরে সোনিয়া গান্ধী, রাহুল ও প্রিয়াঙ্কাকে পাশে নিয়ে সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এই ফল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজনৈতিক ও নৈতিক পরাজয়। গোটা নির্বাচনটাই বিজেপি লড়েছিল মোদির নামে। যাবতীয় গ্যারান্টিও দিয়েছিলেন মোদি। এটা ছিল তাঁর পক্ষে অথবা বিপক্ষের গণভোট। জনতা তাঁর বিরুদ্ধেই মত দিয়েছে।

এদিকে নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সালে ২৮২ আসন পেয়ে সরকার গড়েছিলেন। পরের নির্বাচনে তিনি পান ৩০৩ আসন। এবারে তা নেমে এসেছে ২৪০ আসনে। সরকার গড়ার যে ৩২টি আসন ঘাটতি রয়েছে তার জন্যে মোদিকে নির্ভর করতে হবে জেডি-ইউ, টিডিপি, শিবসেনার শিন্ডে গোষ্ঠী, চিরাগ পাসোয়ানের এলজেপি ও উত্তর প্রদেশের জয়ন্ত চৌধুরীর আরএলডির মতো দলগুলোর ওপর।

নির্বাচন কমিশন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে ৯৬ কোটি ৮০ লাখ ভোটার ভোট দিয়েছেন যা শতকরা হিসাবে ৬৬.৩। এটি ২০১৯ সালের নির্বাচনের তুলনায় এক শতাংশ কম।

বিশ্লেষকেরা এ জন্যে উত্তর ভারত জুড়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহকে দায়ী করেছেন। ওই অঞ্চলে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।


ভারতে লোকসভা নির্বাচনে ভোট পড়ার বিশ্বরেকর্ড

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

এবারের লোকসভা নির্বাচন বিশ্বের সর্বকালের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে বলে দাবি করছেন ভারতের নির্বাচন কমিশনার। রাজীব কুমারের দাবি, সাত দফায় এবারের নির্বাচনে মোট ভোট পড়েছে ৬৪ কোটি ২০ লাখেরও বেশি। যা সর্বকালের বিশ্বরেকর্ড।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানান, সাত দফার ভোট শেষে ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল গণনা চলছে আজ। এক এক করে কেন্দ্রগুলো থেকে ফল আসছে।

এবারের নির্বাচনে নথিভুক্ত ভোটার ছিলেন প্রায় ৯৭ কোটি। এদের মধ্যে ৬৪ কোটি ২০ লাখের বেশি ভোটার ভোট দিয়েছেন। আর এ সংখ্যাটি অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরও জানান, জি-সেভেন দেশগুলোর মোট ভোটারের চেয়ে ভারতে ভোট পড়ার সংখ্যাটি দেড় গুণ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশের চেয়ে তা আড়াই গুণ।

তিনি নির্বাচনকে একটি ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক ঘটনা বলেও বর্ণনা করেন। তার কথায় ‘সারা বিশ্বে এর কোনো তুলনাই নেই।’

উল্লেখ্য, ভারতের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভার মোট আসন ৫৪৩টি। এবার নির্বাচন হয়েছে ৫৪২টি আসনে। সরকার গঠন করার জন্য প্রয়োজন ২৭২টি আসন।

বিষয়:

banner close