শনিবার, ১ জুন ২০২৪

কাল থেকে ভারতে শুরু হচ্ছে লোকসভা নির্বাচন

ভারতের নতুন পার্লামেন্ট ভবন। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড
১৮ এপ্রিল, ২০২৪ ১৭:৫০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ১৮ এপ্রিল, ২০২৪ ১৭:৪৭

আগামীকাল শুক্রবার ভারতে শুরু হচ্ছে আঠারোতম লোকসভার নির্বাচন। সাত দফায় এবার লোকসভার ৫৪৩টি আসনে ভোট গ্রহণ হবে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের রয়েছে ৪২টি আসন। কাল পশ্চিমবঙ্গে প্রথম দফার নির্বাচন হবে লোকসভার তিনটি আসনে। আসন তিনটি হলো-কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার আসন। আর বাকি ২৮টি রাজ্য ও ৮টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে কাল নির্বাচন হচ্ছে ১৭টি রাজ্য ও ৪টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১০২টি আসনে। একই সঙ্গে কাল নির্বাচন হবে অরুণাচল প্রদেশ রাজ্যের বিধানসভার ৬০টি এবং সিকিমের ৩২টি আসনে।

রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলো হলো পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখন্ড, ত্রিপুরা, তামিলনাড়ু, সিকিম, রাজস্থান, পদুচেরি, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, মেঘালয়, মণিপুর, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, লাক্ষাদ্বীপ, জম্মু ও কাশ্মীর, ছত্রিশগড়, আসাম, অরুণাচল প্রদেশ এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে।

পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারে তৃণমূলের হয়ে লড়ছেন জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া, বিজেপির নিশীথ প্রামাণিক, কংগ্রেসের পিয়া রায় চৌধুরী এবং বামফ্রন্টের শরিক ফরোয়ার্ড ব্লকের নীতীশ চন্দ্র রায়। রয়েছে অন্য ছোটখাটো দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও। জলপাইগুড়ি আসনে লড়ছেন তৃণমূলের নির্মল চন্দ্র রায়, বিজেপির জয়ন্ত কুমার রায়, বামফ্রন্টের সিপিএম প্রার্থী দেবরাজ বর্মণ। রয়েছে অন্যান্য দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও। আলিপুরদুয়ার আসনে লড়ছেন তৃণমূলের প্রকাশ চিক বরাইক, বিজেপির মনোজ টিগ্গা, বামফ্রন্টের মিলি ওঁরাওসহ অন্যান্য ছোট দল স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

২০১৯ সালের সর্বশেষ লোকসভা নির্বাচনে এই রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে তৃণমূল জিতেছিল ২২, বিজেপি ১৮ এবং কংগ্রেস ২টি আসনে। বামফ্রন্ট ছিল শূন্য। আর গোটা দেশের ৫৪৩টি আসনের মধ্যে বিজেপি জিতেছিল ৩০৩টি, কংগ্রেস ৫২টি, সমাজবাদী পার্টি ৫টি, বহুজন সমাজ পার্টি ১০, তৃণমূল ২২, ডিএমকে ২৩, ওয়াইএসআর কংগ্রেস ২২ এবং টিডিপি ২টি আসনে জিতেছিল।

গত নির্বাচনে গোটা দেশে নারী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন বিজেপির ৪০ জন, তৃণমূলের ৯ জন, কংগ্রেসের ৬ জন, ওডিশার বিজেডির ৫ জন মিলিয়ে সর্বমোট ৭৮ জন। আর এ বছর ভারতে প্রথম ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন (১৮-১৯ বছর) ১ কোটি ৮০ লাখ ভোটার।

পশ্চিমবঙ্গে এবার ভোট দেবেন ৭ কোটি ৬৯ লাখ ভোটার। এর মধ্যে পুরুষ ৩ কোটি ৮৫ লাখ ৩০ হাজার ৯৮১ জন। নারী ৩ কোটি ৭৩ লাখ ৪ হাজার ৯৬০ জন। রাজ্যে ট্রান্সজেন্ডার ভোটার ১ হাজার ৮৩৭ জন। পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন কমিশন ভোট নির্বিঘ্ন করতে সব ভোটকেন্দ্রের জন্য ২৬৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগ করেছে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আরও থাকছে ১১ হাজার রাজ্য পুলিশ। নির্বচন কমিশন এই রাজ্যের কোচবিহার আসনের ২ হাজার ৪৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৯৬টি কেন্দ্র, আলিপুরদুয়ারের ১ হাজার ৮৬৭টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৫৯টি এবং জলপাইগুড়ির ১ হাজার ৯০৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৯১টি ভোটকেন্দ্রকে স্পর্শকাতর কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

প্রথম দফার এই তিন আসনের নির্বাচনে ২০১৯ সালে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপির প্রার্থীরা। কোচবিহারে নিশীথ প্রামাণিক, জলপাইগুড়িতে জয়ন্ত রায় এবং আলিপুরদুয়ারে জন বারলা। বিজেপি এবার জন বারলাকে মনোনয়ন না দিয়ে রাজ্য বিধানসভার বিজেপির চিফ হুইপ মনোজ টিগ্গাকে মনোনয়ন দিয়েছে। গত নির্বাচনে এই তিনটি আসনে বিজেপি তৃণমূল প্রার্থীদের পরাজিত করেছিল বিপুল ভোটের ব্যবধানে। এবারও বিজেপি আশাবাদী, এই তিনটি আসনেই আবার তারা জিততে চলেছে। কারণ, এখনো পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গ এলাকায় বিজেপি শক্তিশালী।

বিষয়:

ভারতে তাপপ্রবাহ: হিটস্ট্রোকে ৩৩ জনের মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের ভারতে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে অন্তত ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীও রয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার তাদের মৃত্যু হয়।

ভারতের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর (আইএমডি) এক পূর্বাভাসে জানিয়েছে, ‘আজ শনিবারও দেশটিতে তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে।’

মে মাসের শুরু থেকে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে তাপপ্রবাহ। চলতি সপ্তাহে রাজধানী নয়াদিল্লিতে তাপমাত্রা উঠেছিল ৫২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা ভারতের ইতিহাসে একদিনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড।

আইএমডির পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সামনের দিনগুলোতে উত্তরপশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে তাপপ্রবাহ নামতে পারে, তবে পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে তা আরও দু’দিন অব্যাহত থাকবে।

আবহাওয়া দপ্তর আরও বলেছে, গ্রীষ্মকালে ভারত যে গড় তাপমাত্রা থাকে—তার তুলনায় চলতি গ্রীষ্মে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ৪ দশমিক ৫ থেকে ৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি গরম পড়েছে।

আগের দিন বৃহস্পতিবার পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য বিহারে গরম-হিটস্ট্রোকে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এই মৃতদের মধ্যে ১০ জনই চলমান লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে ছিলেন। ভারতের নির্বাচন আয়োজোনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা-কর্মীদের সারাদিন কাজের মধ্যে থাকতে হয়, অনেক ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় বাইরেও কাটাতে হয়।

ভারতের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য উত্তর প্রদেশে শুক্রবার হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৯ নির্বাচন কর্মকর্তা-কর্মীর। মৃতদের মধ্যে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীও রয়েছেন। এ ছাড়া গরমজনিত অসুস্থতায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও অন্তত ২৩ জন।

বিষয়:

ভারতে লোকসভা নির্বাচনের শেষ ধাপের ভোট শুরু

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতে চলমান লোকসভা নির্বাচনের সপ্তম ধাপের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে।

আজ শনিবার পশ্চিমবঙ্গসহ আট রাজ্য ও এক কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল মিলিয়ে ৫৭ আসনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের বারাসাত, বসিরহাট, ডায়মন্ড হারবার, দমদম, জয়নগর, যাদবপুর, মথুরাপুর, দক্ষিণ কলকাতা ও উত্তর কলকাতা- এই নয় আসনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।

পশ্চিমবঙ্গের এই ৯ লোকসভা আসনে মোট ১৭,৪০০টি বুথে চলছে ভোট অনুষ্ঠান। এর মধ্যে ৩,৭৪৮টি স্পর্শকাতর ও অতি স্পর্শকাতর বুথ হিসেবে চিহ্নিত করেছে ইসি।

এর আগে ভারতে ছয় ধাপের ভোট নির্বিঘ্নে মিটেছে। যতটুকু বিক্ষিপ্ত গোলযোগের খবর মিলেছিল তা বাংলা থেকেই। ফলে শেষ ধাপের ভোটপর্বে নিরাপত্তায় আরও নজর বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ৯০ হাজারের বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন করা হয়েছে। যারা ভোটকেন্দ্রে পাহারায় রয়েছেন। পাশাপাশি রাখা হয়েছে ৬০ হাজার আধা সামরিক বাহিনী। যারা কুইক রেস্পন্স টিম (কিউআরটি) হিসেবে কাজ করবে।

কোথাও কোনো অশান্তি বাধলেই মুহূর্তে ছুটে যাবে সেই টিম। বাড়ানো হয়েছে পুলিশের সংখ্যা। বাংলার পুলিশের সঙ্গে আরও চার রাজ্যের পুলিশসহ ৩৩ হাজার সশস্ত্র পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তাদের ভোট কেন্দ্রে ঢোকার অনুমতি নেই। মাঠ পর্য়ায়ের গোলযোগ সামলাবেন তারা। চরম নজরদারি থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং কলকাতা পুলিশের। বহু স্পর্শকাতর এলাকায় ব্যবহার করা হবে ড্রোন।

পশ্চিমবঙ্গের এই ৯ আসনের মূল রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল এবং বিজেপি। কোথাও জোট বেঁধেছে সিপিএম এবং কংগ্রেস। এ ছাড়া রয়েছে বহু স্বতন্ত্র প্রার্থী। সব মিলিয়ে ১২৪ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করছেন ১ কোটি ৬৩ লাখের মতো ভোটার। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮৩ দশমিক ১৯ লাখ, নারী ভোটার ৮০.২০ লাখ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৫৩৮ জন।

শেষ ধাপের ভোটেও ভিআইপি প্রার্থীরা রয়েছেন। এর মধ্যে অন্যতম বিজেপির শীর্ষ নেতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তৃতীয়বারের জন্য সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার লক্ষ্যে উত্তরপ্রদেশের বারাণসী কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছেন মোদি। এই কেন্দ্রে তার প্রধান প্রতিপক্ষ কংগ্রেসের অজয় রাই।

বিষয়:

ভারত সীমান্তে চীনের অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান!

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতের সিকিম সীমান্ত থেকে ১৫০ কিলোমিটারের কম দূরত্বে ৬টি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান জে-২০ স্টিলথ ফাইটার মোতায়েন করেছে চীন। গত ২৭ মের স্যাটেলাইট ইমেজ থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।

তিব্বতের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর শিগাৎসেতে অবস্থিত সামরিক এবং বেসামরিক দ্বৈত ব্যবহার উপযোগী বিমানবন্দরের ফ্লাইট লাইনে চীনা বিমানবাহিনীর জে-২০ স্টিলথ ফাইটারের উপস্থিতি দেখা গেছে স্যাটেলাইট ইমেজে। বিমানবন্দরটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১২ হাজার ৪০৮ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। এটি বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চ বিমানবন্দর। একটি কেজে-৫০০ এয়ারবর্ন আর্লি ওয়ার্নিং এবং কন্ট্রোল এয়ারক্রাফটও চোখে পড়েছে।

চীনা যুদ্ধবিমানগুলোর উপস্থিতি সম্পর্কে ভারতীয় বিমানবাহিনী (আইএএফ) অবগত থাকলেও এ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেনি।

অল সোর্স অ্যানালাইসিস বলছে, জে-২০ স্টিলথ ফাইটার হচ্ছে এখন পর্যন্ত চীনের সবচেয়ে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান। তিব্বতের শিগাৎসেতে এই যুদ্ধবিমানগুলো মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকাটি চীনের স্বাভাবিক অপারেশন এলাকার বাইরে এবং ভারতীয় সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত।

চীনের জে-২০ যুদ্ধবিমানকে মোকাবিলার জন্য ভারত মোতায়েন করেছে ফ্রান্সে নির্মিত ৩৬টি রাফায়েল যুদ্ধবিমানের বহর। এর মধ্যে আটটি রাফায়েল বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর (ইউএসএএফ) সঙ্গে বিমানযুদ্ধ অনুশীলনের জন্য আলাস্কায় রয়েছে।

উল্লেখ্য, যেখানে চীনা জে-২০ যুদ্ধবিমানগুলোকে দেখা গেছে সেই স্থানটি পশ্চিমবঙ্গের হাসিমারা থেকে ২৯০ কিলোমিটারেরও কম দূরত্বে অবস্থিত। আর হাসিমারাতেই ভারত তার ১৬টি রাফায়েলের দ্বিতীয় স্কোয়াড্রন স্থাপন করেছে।

তিব্বতে চীনা জে-২০ যুদ্ধবিমান মোতায়েনের ঘটনা এটাই প্রথম নয়। ২০২০ এবং ২০২৩ সালের মধ্যে চীনের হোটান প্রিফেকচারের জিনজিয়াংয়ে যুদ্ধবিমানগুলো দেখা গিয়েছিল। তবে এবারই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক জে-২০ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

চেংডু জে-২০ যুদ্ধবিমান মাইটি ড্রাগন নামেও পরিচিত। ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো চালু করা হয়েছিল দ্বৈত ইঞ্জিনের এই যুদ্ধবিমান। জে-২০ কে রাডারে পর্যবেক্ষণ করা বেশ কঠিন। বেশ কিছু প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, চীন ইতিমধ্যেই বিভিন্ন স্থানে প্রায় ২৫০টির মতো জে-২০ মোতায়েন করেছে।

বিমানবাহিনীতে এই যুদ্ধবিমান অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে চীন বিশ্বের তৃতীয় দেশ হয়েছে যাদের ‘স্টিলথ’ যুদ্ধবিমান আছে, আর এই স্টিলথ যুদ্ধবিমানের রয়েছে রাডারকে ফাঁকি দেওয়ার বিশেষ দক্ষতা। জে-২০ যুদ্ধবিমানের আধুনিকায়ন চলছেই। আকাশে শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রাখাই এর প্রাথমিক ভূমিকা।

চীনের সবচেয়ে উন্নত এয়ার-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম এই যুদ্ধবিমান। এর মধ্যে রয়েছে পিএল-১৫ দূরপাল্লার এয়ার-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র- যা ৩০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম বলে ধারণা করা হয়।

অল সোর্স অ্যানালাইসিস সিম টাক বলছে, চীন গত পাঁচ বছরে তিব্বত এবং ভারতের নিকটবর্তী অন্যান্য অঞ্চলে ক্রমাগতভাবে তার আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে। এর মধ্যে প্রাথমিকভাবে ছিল নতুন বিমান ঘাঁটি নির্মাণ এবং বিদ্যমান বিমান ঘাঁটির অবকাঠামোগত উন্নত করা। চীন অন্তত অস্থায়ী ভিত্তিতে এই সীমান্ত অঞ্চলে জে-২০ এবং এইচ-৬ এর মতো পারমাণবিক বোমা বহনে সক্ষম বোমারু বিমান মোতায়েন শুরু করেছে।


বিহারে তীব্র গরমে ১৬ জনের মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতের বিহারে তীব্র গরমে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঔরঙ্গাবাদ জেলা হাসপাতালে বৃহস্পতিবার তাদের মৃত্যু হয়। এ দিন বিহারে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। খবর এনডিটিভির।

হাসপাতালের একজন ডাক্তার জানান, আরও অন্তত ৩৫ জন রোগীকে তাপজনিত কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তাদের চিকিৎসার সব ব্যবস্থা হাসপাতালে রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ডাক্তার, ওষুধ ও বরফের প্যাক রয়েছে এবং আরও ‘কুলারের’ ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বিহারে অনেক দিন থেকেই তাপপ্রবাহ চলছে। বুধবার রাজ্য সরকার সব বেসরকারি এবং সরকারি স্কুল, কোচিং ইনস্টিটিউট এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলো ৮ জুন পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কারণে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার পরে এই সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার।

এদিকে, শেখপুরা জেলার একটি সরকারি স্কুলে অন্তত ১৬ জন মেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল। অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করতে না পারায় তাদের টু-হুইলার এবং ই-রিকশায় করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বেগুসরাই এবং জামুই থেকেও ছাত্রদের অজ্ঞান হওয়ার খবর এসেছে।

আরজেডি নেতা এবং প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব বিহার সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, বিহারে গণতন্ত্র বা কোনো সরকার নেই। শুধু আমলাতন্ত্র আছে। কেন এখানকার মুখ্যমন্ত্রী এত দুর্বল? এখানে তাপমাত্রা ৪৭ ডিগ্রি। ডাক্তাররা বলছেন, এমন আবহাওয়ায় শিশুদের সুরক্ষা দিতে হবে। এর মধ্যে এখানে কেন স্কুল খোলা থাকবে?

ভারতের আবহাওয়া বিভাগ রাজ্যে আগামী দুই দিনের জন্য তীব্র তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে।


আদালতে দোষী সাব্যস্ত হলেন ট্রাম্প

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত হয়েছে। সামনে আমেরিকান নির্বাচন। তার কয়েক মাস আগেই নিউইয়র্কের জুরি গতকাল বৃহস্পতিবার তাকে আর্থিক কারচুপির সব মামলায় দোষী সাব্যস্ত করেছেন।

জুরি তাকে পর্ণ তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে চুপ থাকার জন্য ঘুষ প্রদানের বিষয়টি গোপন রাখতে মিথ্যা ব্যবসার রেকর্ডের ৩৪টি হিসাবের প্রতিটিতে দোষী সাব্যস্ত করেছে। আইনি বিধান অনুযায়ী প্রতিটি হিসাবের জন্য তার চার বছরের কারাদণ্ডের সাজা হতে পারে। তবে আদালতে আচরণ পর্যবেক্ষণের পর তার সাজা মওকুফের সম্ভাবনা বেশি।

৭৭ বছর বয়সী রিপাবলিকান ট্রাম্প যিনি জামিন ছাড়াই মুক্তি পেয়েছিলেন। তিনি এখন একজন অপরাধী, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এটি প্রথম একটি ঐতিহাসিক এবং চমকপ্রদ ঘটনা।

এই অবস্থায়ও ট্রাম্প নভেম্বরের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে হারানোর জন্য তার যুদ্ধ চালিয়ে যাবেন। এমনকি তাকে যদি কারাগারেও যেতে হয় তবুও তিনি তার অবস্থান বজায় রাখবেন।

ট্রাম্পের আইনজীবী টোড ব্ল্যাঞ্চ বলেছেন, তার দল ‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব’ আপিলের দিকে নজর রাখছে’ এবং ট্রাম্প নিজেই এই রায়ের তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করেছেন।

ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি খুবই নিরপরাধ মানুষ’। নির্বাচনের দিন ভোটারদের কাছ থেকে আমার পক্ষে ‘প্রকৃত রায়’ আসবে বলে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বিচারটিকে ‘সাজানো’ এবং ‘অসম্মানজনক’ বলে উল্লেখ করেছেন।

বাইডেনের প্রচারাভিযান একটি বিবৃতি জারি করে বলেছে, বিচার দেখিয়েছে ‘কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।’ এতে বলা হয়, ‘ট্রাম্প আমাদের গণতন্ত্রের জন্য যে হুমকি সৃষ্টি করেছেন তা এর চেয়ে বড় কখনও হয়নি।’

বিচারক জুয়ান মার্চান মিলওয়াকি সিটিতে রিপাবলিকান ন্যাশনাল কনভেনশনের চার দিন আগে ১১ জুলাই থেকে সাজার ঘোষণা করেন। যেখানে ট্রাম্প পার্টির আনুষ্ঠানিক মনোনয়ন পাওয়ার কথা।

১২-সদস্যের জুরি দুই দিন ধরে ১১ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আলোচনার পর ফোরম্যান (জুরি) কয়েক মিনিটের মধ্যে রায়ের সর্বসম্মত উপসংহারটি পাঠ করেন।

বিচারক মার্চান ‘কঠিন এবং চাপের কাজ’ সম্পন্ন করার জন্য বিচারকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।


গাজায় ইসরায়েলের নৃশংস হামলা, ২৪ ফিলিস্তিনি নিহত

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় ২৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

আজ শুক্রবার পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এবং সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

নিহতদের মধ্যে উপত্যকাটির রাফা শহরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১২ ফিলিস্তিনি। এ ছাড়া পৃথক তিনটি হামলায় গাজায় আরও ১২ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি বাহিনী বৃহস্পতিবার দক্ষিণ গাজার রাফাতে বিমান হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ১২ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে বলে গাজার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। এ ছাড়া উপকূলীয় এই ভূখণ্ডের আরও বেশ কয়েকটি এলাকায় লড়াই চলছে।’

গাজা উপত্যকা এবং মিসরের মধ্যে নিকটবর্তী সীমান্ত বরাবর একটি বাফার জোনের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কথা জানানোর একদিন পর ইসরায়েল রাফাতে এই আক্রমণ চালালো। সীমান্ত বরাবর অবস্থিত এই বাফার জোন ফিলাডেলফি করিডোর নামে পরিচিত এবং এটি দখলে নেওয়ার মাধ্যমে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের সমগ্র স্থল সীমান্তের ওপর কার্যকর কর্তৃত্ব ও নিয়ন্ত্রণ পেয়েছে ইসরায়েল।’

গাজার চিকিৎসা সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় নিহত ১২ ফিলিস্তিনির সকলেই বেসামরিক নাগরিক। হামলায় আরও অনেক অনির্দিষ্ট সংখ্যক আহত হয়েছেন। রাফা শহরের কেন্দ্রস্থলে বেসামরিক এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধারের চেষ্টা করার সময় ইসরায়েল এই বিমান হামলা চালায় এবং এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।

এ ছাড়া ঘনবসতিপূর্ণ এই ভূখণ্ডের উত্তরে গাজা শহরের পশ্চিমে আল-শাতি শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলায় আরেক ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

ইসরায়েল দক্ষিণ, মধ্য এবং উত্তর গাজায় সংঘর্ষের খবর দিয়েছে কিন্তু রাফাতে প্রাণঘাতী হামলা চালানোর বিষয়ে তারা তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য করেনি। মূলত ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে লাখ লাখ বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি এই শহরেই আশ্রয় নিয়েছেন।

ফিলিস্তিনি টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি জাওয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রাফা শহরে যোগাযোগ পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

ইসরায়েলের হামলা ইতোমধ্যেই গাজার এই শহরে ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করেছে। এ ছাড়া হামলার জেরে ভূখণ্ডের বেশিরভাগ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং সেখানে মানবিক বিপর্যয় ও ব্যাপক ক্ষুধাও সৃষ্টি হয়েছে। ইসরায়েল দাবি করেছে, ‘তারা অবশ্যই রাফাতে হামাসের শেষ অবশিষ্ট ব্যাটালিয়নগুলোকে নির্মূল করবে।’

মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

এদিকে আল জাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বুরেইজ শরণার্থী শিবিরে আল-হুর পরিবারের বাড়িতে হামলা চালিয়ে কমপক্ষে চারজনকে হত্যা করেছে বলে স্থানীয় মিডিয়া রিপোর্ট করছে।

এ ছাড়া ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বুরেইজ শরণার্থী শিবিরে আল-সুস পরিবারের বাড়িতে বোমা হামলা চালিয়ে নারী ও শিশুসহ পাঁচজনকে হত্যা করে। পরে ওই হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭ জনে পৌঁছায়।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

বিষয়:

আফ্রিকা থেকে শত শত টন সোনা পাচার হচ্ছে আরব আমিরাতে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

আফ্রিকা থেকে সোনার পাচার গত কয়েক দশক ধরে বেড়েছে। এ মহাদেশ থেকে প্রতি বছর বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের শত শত টন সোনা পাচার হয়। এই পাচার সোনার বেশির ভাগই যায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে। আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

সুইসএইড নামে একটি সংস্থার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০২২ সালে আফ্রিকা থেকে ৪৩৫ টন সোনা পাচার হয়, যার অর্থমূল্য ৩০ বিলিয়ন ডলার। এসব সোনার বেশির ভাগই ছোট মাপের খনি শ্রমিকদের খনন করা। রয়টার্স এমনটি জানায়।

সুইসএইড বলছে, আফ্রিকা থেকে পাচার হওয়া সোনার প্রধান গন্তব্য সংযুক্ত আর আমিরাত। ২০২২ সালে ৪০৫ টন সোনা পাচার হয়ে দেশটিতে যায়। গত এক দশকে আড়াই হাজার টনের বেশি পাচার সোনা সংযুক্ত আরব আমিরাতে গিয়েছে। সংস্থাটি বলছে, এর আর্থিক মূল্য ১১৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।

সংস্থাটির প্রতিবেদনে আফ্রিকান সোনা কেনাবেচার ক্ষেত্রে দুবাইকে একটি আন্তর্জাতিক কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব সোনা পরে সুইজারল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে যায়। দুবাইয়ে সোনা যায় উড়োজাহাজে। লাগেজে করে সোনা বহন করা হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে নিয়মিত ফ্লাইটের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জেট উড়োজাহাজও ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে জানতে চাইলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কর্মকর্তারা বলেন, দেশটি স্বর্ণ চোরাচালান নিয়ে উদ্বেগ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে এবং সোনাসহ অন্যান্য মূল্যবান ধাতুর ওপর নতুন বিধিবিধান আরোপ করছে।

২০১৯ সালে রয়টার্সের এক অনুসন্ধানেও দেখা যায়, কয়েক বিলিয়ন ডলার মূল্যের সোনা প্রতি বছর আফ্রিকা থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাচার হয়ে থাকে। দেশটি ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য বাজারের প্রবেশপথ হিসেবে কাজ করছে।

বিশেষজ্ঞসহ বিভিন্ন দেশের সরকার সতর্ক করে বলছে, এ পরিমাণে সোনার চোরাচালান বিশাল এক সমান্তরাল অবৈধ অর্থনীতির ইঙ্গিত দেয়, যা সম্ভাব্য অর্থ পাচার, সন্ত্রাসী অর্থায়ন ও নিষেধাজ্ঞা ফাঁকির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এর সঙ্গে রাজস্ব ফাঁকির বিষয়টিও রয়েছে।


বিশ্বে ২০২৩ সালে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর বেড়েছে ৩০ শতাংশ

৭৪ শতাংশই ইরানে
আপডেটেড ৩০ মে, ২০২৪ ১২:০২
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সারাবিশ্বে ২০২৩ সালে রেকর্ড করা মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা গত ৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল গতকাল বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে।

অ্যামনেস্টির বার্ষিক প্রতিবেদন বলছে, ২০২৩ সালে ১৬ দেশে ১ হাজার ১৫৩ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের তথ্য রেকর্ড করা হয়েছে। আগের বছরের (২০২২ সাল) তুলনায় এই সংখ্যা ৩০ শতাংশ বেশি।

গত বছর ইরানসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সংখ্যা অনেক বাড়তে দেখে গেছে। গত বছর বিশ্বে যত মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনা ঘটেছে, তার মধ্যে ৭৪ শতাংশই ইরানে। অ্যামনেস্টি বলছে, সংখ্যার হিসাবে তা অন্তত ৮৫৩। ২০২২ সালে ইরানে ৫৭৬ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল। আগের বছর এ সংখ্যা ছিল ৩১৪ জন। গত বছর ইরানে মাদক-সংক্রান্ত অপরাধের ঘটনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।

অ্যামনেস্টির রেকর্ড অনুযায়ী, এর আগে বিশ্বে ২০১৫ সালে সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ৬৩৪টি মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনা ঘটেছিল। এরপর ২০২৩ সালেই বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনা ঘটল।

অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে চীন, উত্তর কোরিয়া ও ভিয়েতনামে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা যায়নি। বিশেষ করে চীনে প্রতিবছর অনেক মানুষের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় বলে ধারণা করা হয়।

অ্যামনেস্টির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে যত মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনা ঘটেছে, তার মধ্যে ১৫ শতাংশই ঘটেছে সৌদি আরবে। তবে গত বছর জাপান, বেলারুশ, মিয়ানমার ও দক্ষিণ সুদানে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের তথ্য বিশেষভাবে উল্লেখ করেছে অ্যামনেস্টি। এতে বলা হয়, পশ্চিমা উন্নত দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র যুক্তরাষ্ট্রে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান চালু আছে। ২০২৩ সালে দেশটিতে ২৪ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। আগের বছর এ সংখ্যা ছিল ১৮।


প্রথম নাইটক্লাব খুলল সৌদি আরব, প্রবেশ করতে পারবেন নারীরাও

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ব্যাপক রক্ষণশীল দেশ হিসেবে পরিচিত সৌদি আরবে এক সময় নারীরা প্রায় পুরোপুরি অন্তপুরবাসী ছিলেন। কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ তো দূর, একসময় স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখা, সিনেমা হলে গিয়ে ফিল্ম দেখা এমনকি গাড়ি চালানোরও অনুমতি ছিল না তাদের।

দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই চিত্র বদলাতে শুরু করে। নারীদের জন্য কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের দরজা খুলে যায়, সেই সঙ্গে অন্যান্য সামাজিক বিধিনিষেধও কেটে যেতে শুরু করে।

এই ধারাবাহিকতায় ধনী নাগরিকদের নৈশজীবন উদযাপনের জন্য প্রথম নাইটক্লাব খুলেছে সৌদি আরব। চলতি মে মাসই রিয়াদের অভিজাত এলাকা জাক্সে উদ্বোধন করা হয়েছে ‘বিস্ট হাউস’ নামের এই নাইটক্লাব। নাইটক্লাবটিতে নারীদের প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়েছে।

সেই সঙ্গে রয়েছে মিউজিক ভেন্যু, একাধিক স্টুডিও, ডাইনিং এরিয়া এমনকি জমজমাট ডিজে পার্টির ব্যবস্থাও। তবে ১৯৫০ সালে দেশজুড়ে মদ নিষিদ্ধের যে আইন জারি করেছিল সৌদির তৎকালীন প্রশাসন, তা এখনো বলবৎ থাকায় বিস্ট হাউসে মদ নিষিদ্ধ। হাউসে আগত অতিথিদের কেবল মকটেল (ফল, মধু/সিরাপ দিয়ে তৈরি এক প্রকার অ্যালকোহলমুক্ত পানীয়) এবং বিভিন্ন অ্যালকোহলমুক্ত পানীয় খেতে পারবেন।

নাইটক্লাবে যেসব রক্ষী বা বাউন্সার রয়েছেন, তাদেরও মূল দায়িত্ব হলো আগত অতিথিদের মধ্যে কেউ অ্যালকোহল নিয়ে এসেছেন কি না তা লক্ষ্য রাখা।

বিস্ট হাউসে অবশ্য সর্বসাধারণের প্রবেশাধিকার নেই। কেবল স্থায়ী সদস্যরাই ক্লাবটিতে প্রবেশ করতে পারবেন; আর বিস্ট হাউসের সদস্য হতে হলে প্রতি বছর সদস্য ফি হিসেবে খরচ করতে হবে অন্তত ১ হাজার ৯০০ ইউরো বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ লাখ ৪২ হাজার ৪৬৭ টাকা। সৌদির ধনবান নাগরিকদের জন্য অবশ্য এই অর্থ প্রায় কিছুই নয়।

প্রসঙ্গত, অনেক দিন ধরে পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে কাজ করছে সৌদি, আমন্ত্রণ জানাচ্ছে বিদেশিদের। তবে এতদিন দেশটিতে বিদেশিদের পার্টি করার কোনো স্থায়ী জায়গা ছিল না। এবার সে অভাব পূরণ হলো। ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মরুর দেশটি চালু করল নাইটক্লাব।

নাইটক্লাবে আগত সৌদি তরুণী নৌফ ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইলকে উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বলেন, ‘এটা একটা নুতন জীবন। আমরা, বিশেষ করে সৌদি নারীরা আবার নতুন করে জন্মাচ্ছি।’


এভারেস্ট জয় করতে গিয়ে ভারতীয় পর্বতারোহীর মৃত্যু

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

এভারেস্ট জয় করতে গিয়ে এবার প্রাণ গেল এক ভারতীয় পর্বতারোহীর। আজ মঙ্গলবার নেপালের পর্যটন বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এভারেস্ট থেকে গত সপ্তাহে উদ্ধার করা হয়েছিল ৪৬ বছর বয়সি বংশী লালকে। এরপর কাঠমান্ডুর এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল; কিন্তু এদিন হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে। এর ফলে চলতি মৌসুমে বিশ্বের সর্বোচ্চ শিখর জয় করতে গিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮ জনে।

জানা গেছে, ৮০০০ মিটারের ওপরে বাতাসের ঘনত্ব অত্যন্ত কম থাকে। তাই অক্সিজেনও কম থাকে। তার ওপর মাঝেমধ্যেই তুষার ঝড় সৃষ্টি হয়। এতে মূলত হতাহতের ঘটনা ঘটে। ৪৬ বছরের বংশী লালের মৃত্যুর আগে একজন ব্রিটিশ পর্বতারোহী এবং একজন নেপালি গাইডসহ আরও বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে চলতি মৌসুমে। সব মিলিয়ে এই মৌসুমে এখন পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত বছর মোট ১৮ জনের প্রাণহানি হয়েছিল।

তা ছাড়া বুধবার ৩০ বার মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় ওঠে নিজের রেকর্ড ভেঙেছেন কামি রিতা শেরপা। ১০ দিনের মাথায় দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গের চূড়ায় ওঠেন তিনি। অন্য আরেক শেরপা এখন পর্যন্ত ২৭ বার এভারেস্টের চূড়ায় উঠেছেন। তার অবস্থান কামি রিতার পরে।

বিষয়:

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিল স্পেন, আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউরোপের তিন দেশ স্পেন, আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ে। আজ মঙ্গলবার ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে দেশ তিনটি। গত সপ্তাহে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল দেশগুলো। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল এই খবর জানিয়েছে।

আইরিশ সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আজ (মঙ্গলবার) সকালে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি মন্ত্রিসভায় পাস হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয় ‘আইরিশ সরকার ফিলিস্তিনকে একটি সার্বভৌম ও স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে এবং ডাবলিন ও রামাল্লার মধ্যে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে সম্মত হয়েছে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘রামাল্লায় আয়ারল্যান্ডের একটি পূর্ণাঙ্গ দূতাবাসের সঙ্গে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রে আয়ারল্যান্ডের একজন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করা হবে।’

আইরিশ প্রধানমন্ত্রী সাইমন হ্যারিস জানিয়েছেন, শান্তির আশাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে । বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘আশাকে বাঁচিয়ে রাখতেই আয়ারল্যান্ডের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া। এটি বিশ্বাস করা যে ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের জন্য শান্তি ও নিরাপত্তাসহ পাশাপাশি অবস্থান করার একমাত্র উপায় হলো দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান।’

তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে আমি আবারও বিশ্ববাসীর কথা শোনার এবং গাজায় আমরা যে মানবিক বিপর্যয় দেখছি তা বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’

এদিকে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে স্পেন। আজ মঙ্গলবার স্পেন সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে দেশটি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, স্পেনের মন্ত্রিসভা এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দিয়েছে। স্প্যানিশ সরকারে মুখপাত্র পিলার অ্যালেগ্রিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পিলার অ্যালেগ্রিয়া বলেছেন, ‘মন্ত্রিসভা ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যার উদ্দেশ্য হলো- ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের শান্তি অর্জনে সহায়তা করা।’

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি অর্জনের জন্য একটি ‘প্রয়োজনীয়’ পদক্ষেপ বলে মনে করেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ। আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই শান্তি অর্জন করতে চাই তবে...ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি একটি অপরিহার্য প্রয়োজন।’ এ সময় তিনি জানান, পূর্ব জেরুজালেম হবে এই রাষ্ট্রের রাজধানী।

এর আগে দেশগুলোর নেতারা জানিয়েছিলেন, তাদের দেশ মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে, যা কার্যকর হবে আগামী ২৮ মে। নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গর স্তোর গত ২২ মে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান ইসরায়েলের স্বার্থের জন্যই ভালো। এ সময় তিনি জানান, তার দেশ ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেবে ২৮ মে। তিনি বলেন, ‘যদি (ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে) স্বীকৃতি না দেওয়া হয়, তবে মধ্যপ্রাচ্যে কখনোই শান্তি আসবে না।’

নরওয়ের ঘোষণার একটু পরই আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সিমন হ্যারিস এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, তার দেশও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আজ আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে ও স্পেন ঘোষণা দিচ্ছে যে, আমরা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিচ্ছি। এই দেশগুলো এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় জাতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’ এ সময় তিনি বলেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী যে, অন্যান্য দেশও আমাদের পথ অনুসরণ করবে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।’

প্রসঙ্গত, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় পালটা হামলা শুরু করে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। ওই হামলায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হন। তখন প্রায় ২৫০ জনকে গাজায় জিম্মি করে নিয়ে যান সশস্ত্র যোদ্ধারা।

বিষয়:

পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির দ্বারপ্রান্তে ইরান

ইরানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি সেন্ট্রিফিউজ পরিদর্শন করছেন এক ইরানি শিক্ষার্থী। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে ইরান। পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে দেশটি। একই সঙ্গে আবার জাতিসংঘের পারমাণবিক শক্তি নজরদারি সংস্থা আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সঙ্গে সহযোগিতাও বাড়াতে চায় দেশটি। গত সোমবার আইএইএতে প্রকাশিত দুটি পৃথক নথি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।

আইএইএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের কাছে যে পরিমাণ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম আছে, তা ২০১৫ সালে বেঁধে দেওয়া পরিমাণের চেয়ে অন্তত ৩০ গুণ বেশি। আইএইএর প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ইরানি সংবাদমাধ্যম ইরান ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, ইরানের কাছে বর্তমানে ১৪২ দশমিক ১ কেজি ৬০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম আছে, যা গত ফেব্রুয়ারিতে থাকা পরিমাণের চেয়ে ২০ কেজি বেশি।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিভিত্তিক থিংকট্যাংক ফাউন্ডেশন ফর ডিফেন্সেস অব ডেমোক্রেসিসের নন-প্রলিফারেশন অ্যান্ড বায়োডিফেন্সের প্রোগ্রামের ডেপুটি ডিরেক্টর আন্দ্রেয়া স্ট্রাইকার ইরান ইন্টারন্যাশনালকে বলেন, ‘এটি খুবই ভয়াবহ চিত্র যে, ইরান পারমাণবিক কর্মসূচি এগিয়ে নিচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘ইরান বিপজ্জনকভাবে পরমাণু অস্ত্র অর্জনের কাছাকাছি চলে যাচ্ছে।’

স্ট্রাইকারের মতে, ‘এখন ইরানের কাছে যে পরিমাণ ৬০ শতাংশ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম আছে, যা দিয়ে প্রায় চারটি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করা সম্ভব। কোনো দেশ চাইলে এই মাত্রায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম সরাসরি পারমাণবিক অস্ত্রের জন্য ব্যবহার করতে পারে। এর বাইরেও সম্ভবত সব মিলিয়ে ইরানের কাছে সামগ্রিকভাবে ১৩টিরও বেশি অস্ত্র তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় যথেষ্ট পরিমাণ ইউরেনিয়াম মজুত আছে এবং তারা প্রায় পাঁচ মাসের মধ্যে এটিকে পরিপূর্ণ ওয়েপন-গ্রেড ইউরেনিয়ামে উন্নীত করতে পারবে।’

পাঁচ মাসে সম্ভব না হলে বড়জোর ছয় মাস সময় লাগবে বলে মনে করেন স্ট্রাইকার। তিনি বলেন, ‘এরপর (পুরোপুরি প্রয়োজনীয় মাত্রায় সমৃদ্ধ করার পর) তাদের অন্তত ছয় মাস লাগবে সেই জ্বালানিকে একটি পারমাণবিক বোমায় তৈরি করতে এবং তারপর আরও দীর্ঘ সময়- সম্ভবত এক বছরেরও বেশি সময় লাগবে এটিকে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রে স্থাপনে সক্ষম হতে।’

এই গবেষকের মতে, মূলত একবার ইউরেনিয়াম পরিশোধনের ২০ শতাংশ স্তরে পৌঁছানো মানে প্রযুক্তিগত স্তরে বেশির ভাগ কাজ সম্পন্ন করে ফেলা এবং তারপর পরমাণু অস্ত্র তৈরি কেবল কয়েক দিনের ব্যাপার।

বিষয়:

ঘূর্ণিঝড় রেমালে বিপর্যস্ত পশ্চিমবঙ্গ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ভারতের বাংলাদেশসংলগ্ন রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ। সোমবার সকালে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল শক্তি হারিয়ে সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। এর আগে রোববার মাঝরাতে তা পশ্চিমবঙ্গের ভূখণ্ডে আছড়ে পড়ে। আর এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রাজ্যটিতে আকাশ ও স্থল যোগাযোগ বাধাগ্রস্ত হয়।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। রোববার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে গতকাল সোমবার ভোর সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ১৪৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে মহানগরটিতে। এ ছাড়া এ সময় শহরটিতে গড়ে ঘণ্টায় ৭৪ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে গেছে। কলকাতার বিমানবন্দর এলাকার দমদমসহ আশপাশের কয়েকটি এলাকায় ঘণ্টায় ৯১ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে গেছে বলেও জানা গেছে। রাজ্যের অন্যান্য এলাকার মধ্যে হলদিয়ায় বাতাসের গতিবেগ রেকর্ড করা হয়েছে ১১ কিলোমিটার, তমলুকে ৭০ কিলোমিটার এবং নিমপিথে বাতাসের গতিবেগ রেকর্ড করা হয়েছে ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটার।

ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় অঞ্চলগুলো অবকাঠামোসহ বিভিন্ন স্থাবর সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ব্যাহত হয়েছে সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা। বিভিন্ন জায়গায় গাছ উপড়ে গিয়ে বন্ধ হয়ে গেছে সড়ক, এমনকি কলকাতায়ও ঝড়ের কারণে গাছ উপড়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

চলতি মৌসুমের প্রথম ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কলকাতা থেকে ছেড়ে যায় এমন বেশ কয়েকটি ট্রেনের যাত্রা স্থগিত করা হয়েছিল। পরে স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার সকাল ৯টায় এই ট্রেনগুলোর কার্যক্রম আবার শুরু হয়। কেবল ট্রেন চলাচল নয়, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ব্যাহত হয়েছিল বিমান চলাচলও। গতকাল নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার থেকে ফ্লাইট আবার শুরু হবে।

রেমালের প্রভাবে কলকাতায় থেমে আছে ভোটের প্রচারণা

রেমালের ফলে প্রবল ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় কলকাতায় রোববার কোনো প্রচার হয়নি। সোমবারও কার্যত হয়নি। কলকাতায় ভোট ১ জুন। তার ৪৮ ঘণ্টা আগে প্রচার বন্ধ হয়ে যাবে। তার আগে শেষ রোববার কোনো দলই প্রচার করতে পারেনি। অবশ্য এই দুর্যোগের মধ্যে এখন সব প্রধান রাজনৈতিক দলই মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিতে চাইছে। কলকাতায় যেসব জায়গায় গাছ পড়েছে, সেখানে তৃণমূলের কর্মকর্তারা পুরসভার কর্মীদের নিয়ে দ্রুত তা কাটার ব্যবস্থা করার জন্য তৎপর হয়েছে।

ভিআইপি রোডে হলদিরামের কাছের একটি আবাসনের বাসিন্দা রোহিত জানিয়েছেন, ‘তাদের এলাকায় চারটি গাছ পড়ে গিয়েছিল। সকালেই তৃণমূলের ছেলেরা এসে দ্রুত তা কেটে সরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। রেমালের আঁচ তারা ভোটে পড়তে দিতে চায় না।’

সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ সেলিম আগেই ঘোষণা করেছিলেন, তারা মানুষের পাশে থাকবেন। সিপিএমের প্রবীণ নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনায় দুর্গত এলাকায় চলে গেছেন। তিনি একটি স্কুল মানুষের থাকার জন্য খুলে দিয়েছেন। বাঁধের অবস্থা দেখেছেন। কান্তি বলেছেন, ‘এই সময় ভেদাভেদ ভুলে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।’

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী উপকূলের এলাকার মানুষের জন্য একটি হেলপলাইন খুলেছেন। উপকূলে ৫০ জন কংগ্রেসকর্মীকে পাঠিয়েছেন মানুষকে সাহায্য করার জন্য। কলকাতাতেও বাইকসহ কংগ্রেসকর্মীদের প্রস্তুত রেখেছেন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। আজ মঙ্গলবার কলকাতায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রোড শো আছে। সেই কর্মসূচি হবে কি না, এ নিয়ে সংশয় এখনো আছে। সোমবারও কলকাতায় বৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন জেলা থেকে রেমালের ফলে হওয়া ক্ষয়ক্ষতির খবর আসছে। বিজেপি নেতা সৌরভ শিকদার জানিয়েছেন, আবহাওয়ার দিকে তারা নজর রাখছেন। ফলে মোদির রোড শো নিয়েও একটা অনিশ্চয়তা আছে।

কলকাতার অবস্থা

রোববার কলকাতায় ঝড়ের দাপট ও প্রবল বৃষ্টি শুরু হয় রাত ৯টা থেকে। ১০টা পর্যন্ত তীব্র বৃষ্টির সঙ্গে প্রবল ঝড় ছিল। রাস্তায় গাড়িও অনেক কম দেখা গেছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ঝড় ও বৃষ্টির গতিও বেড়েছে। ভারতের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, কলকাতায় ঝড়ের বেগ ছিল ঘণ্টায় ৭৪ কিলোমিটার।

কলকাতার আধুনিক উপনগরী সল্টলেকের প্রতিটি ব্লকেই অন্তত একটা করে পার্ক আছে। অনেক ব্লকে গাছ পড়েছে রোববার রাতে। গাছ পড়েছে লেক টাউনেও। এমনকি কলকাতা পুরসভার অফিসের কাছেও গাছ পড়েছে। কলকাতার ভিতরে রাস্তায় কোথাও গোড়ালি, কোথাও হাঁটুজল জমে। ক্যামাক স্ট্রিটের মতো এলাকায় হাঁটুজল। সেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের সামনে পানি জমেছে। সপ্তাহের প্রথম কাজের দিন; কিন্তু সকাল থেকে শহরতলির ট্রেন চলাচল বন্ধ। শিয়ালদহে সকাল ছয়টা থেকে ট্রেনের অপেক্ষায় মানুষ বসেছিলেন। পার্ক স্ট্রিট মোট্রো লাইনে পানি ঢুকে যাওয়ায় মেট্রো বন্ধ ছিল।

সোমবার সকালেও কলকাতার আকাশে কালো মেঘ। ভোরের দিকে বৃষ্টি একটু কমেছিল। আটটা থেকে আবার শুরু হলো বৃষ্টি। খুব জোরে নয়; কিন্তু সমানে বৃষ্টি পড়ছে।


banner close