মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০২৪

ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিল বার্বাডোস

প্রতীকী ছবি
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ২০ এপ্রিল, ২০২৪ ১৩:২৪

ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে বার্বাডোস। আজ শনিবার আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে বার্বাডোস ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকার করে নিয়েছে। বার্বাডোসের পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্যমন্ত্রী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।’

বার্বাডোসের পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্যমন্ত্রী কেরি সিমন্ডস বলেন, মন্ত্রিসভা মনে করে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক স্বীকৃতি দেওয়ার সময় এসেছে। বার্বাডোস সর্বদা জাতিসংঘের নীতি মেনে চলে। আমরা মনে করি, চলমান সংঘাত নিরসনে একটি দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান হওয়া উচিত।’

বার্বাডোসের নীতির আলোকেই ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে বলে জানান এই মন্ত্রী। তবে সিদ্ধান্তটি ইসরায়েলের সঙ্গে তাদের সম্পর্কে কোন প্রভাব ফেলবে না বলেও জানান তিনি।

বার্বাডোস ফিলিস্তিনকে স্বাধীনরাষ্ট্র হিসেবে দেওয়ায় জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১৪০টি এখন ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করে।

বিষয়:

যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা ভেঙে দিলেন নেতানিয়াহু

নেতানিয়াহু। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

অবশেষে ভেঙে দেওয়া হয়েছে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এ মন্ত্রিসভা ভেঙে দেন। গতকাল রোববার মন্ত্রিসভার সঙ্গে এক বৈঠক করেন নেতানিয়াহু। বৈঠক শেষে আজ সোমবার এ ঘোষণা দেন তিনি।

আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নেতানিয়াহুর অতি ডানপন্থি জোটের অংশীদাররা নতুন যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা গঠনের চাপ দিচ্ছেন। বেনি গ্যান্টজ যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাদের পর এ আবেদন আরও জোড়ালো হচ্ছে।

জাতীয়তাবাদী ধর্মীয় অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ এবং জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন গাভির যুক্তরাষ্ট্রসহ মিত্র দেশের চাপ সত্ত্বেও গাজায় আরও অধিকা হামলা চালানোর দাবি জানিয়ে আসছে। এ ছাড়া তারা যুদ্ধকালীন নতুন মন্ত্রিসভা গঠনেরও আহ্বান জানিয়েছে। তবে নেতানিয়াহু তাদের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার প্রয়োজন নেই। জেরুজালেম পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য বলা হয়েছে।

নেতানিয়াহু এখন গাজা যুদ্ধ নিয়ে মন্ত্রিদের একটি ছোট দলের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাবেন। যাদের মধ্যে রয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এবং কৌশলগত পররাষ্ট্রমন্ত্রী রন দারমার।

বিষয়:

পশ্চিমবঙ্গে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে দাঁড়ালো ১৫ জনে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৭ জুন, ২০২৪ ১৬:৪৩
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়িতে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫ জন হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে ফাঁসিদেওয়া রাঙ্গাপানি স্টেশনের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ট্রেনটিতে ধাক্কা দেওয়া মালগাড়ি চালক ও কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের গার্ডসহ ১৫ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন ৩০ থেকে ৪০ জন। আহতদের উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কয়েক দিন ধরেই উত্তরবঙ্গে মুষলধারে বৃষ্টি চলছে। এই বৃষ্টির মধ্যেই নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে সোমবার সকালে নির্ধারিত সময়ে রওয়ানা দিয়েছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। নীচবাড়ি ও রাঙামাটি স্টেশনের মাঝে ঢুকতেই একটি মালগাড়ি পিছন দিক থেকে ট্রেনটিকে ধাক্কা মারে। আর তাতেই এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। এতে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পেছন দিক থেকে পরপর দুটি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে ছিটকে পড়ে উলটে যায়। দুমড়েমুচড়ে গেছে অসংরক্ষিত কামরা। সেখানে আটকে পড়েছেন অসংখ্য যাত্রী।

এখনো কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের ট্রেনটির একটি কামরা মাল গাড়ির ইঞ্জিনের উপর বিপদজনকভাবে ঝুলে আছে। সেটি দ্রুততার সঙ্গে সরানোর কাজ চলছে। তাই বিপদ এড়াতে ওই এলাকা থেকে যাত্রী ও স্থানীয়দের সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছে। সেই সঙ্গে শিয়ালদহ স্টেশনে হেল্পলাইন চালু করা হয়েছে।

জানা গেছে, ভারতীয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করা হয়েছে। নিহত সবার পরিবারকে ১০ লাখ রুপি ও আহতদের আড়াই লাখ রুপি ও স্বল্প আহতদের ৫০ হাজার রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর রিলিফ ফান্ড থেকেও হতাহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এই ফান্ড থেকে নিহতদের পরিবারকে ২ লাখ রুপি ও আহতদের ৫০ হাজার রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

এদিকে, এ দুর্ঘটনায় গভীর শোক জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। স্বজনহারা পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘রেল দুর্ঘটনায় যারা নিজেদের ভালোবাসার মানুষ হারিয়েছেন, সেই পরিবারের প্রতি সমবেদনা রইলো। আমি প্রার্থনা করছি, আহতদের শারীরিক অবস্থার দ্রুত উন্নতি হোক। উদ্ধার কার্য চলছে। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ঘটনা স্থলে যাচ্ছেন।’


ভারতের দার্জিলিংয়ে ট্রেন দুর্ঘটনা, নিহত ৮

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন ও মালগাড়ির মধ্যে সংঘর্ষে আট জনের মৃত্যু হয়েছে। সেই সঙ্গে আহত হয়েছেন ৬০ জনেরও বেশি। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে জানা গেছে। নিহত আটজনের মধ্যে মধ্যে পাঁচ জন যাত্রী ও ৩ জন রেল কর্মচারী বলে নিশ্চিত করেছে স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন।

আজ সোমবার (১৭ জুন) দার্জিলিং থেকে শিয়ালদহের দিকে যাওয়ার পথে ফাঁসি দেওয়া রাঙাপানি স্টেশনের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস নামের ট্রেনটি। একটি মালবাহী ট্রেনের ধাক্কায় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পেছন দিকের দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় কলকাতা থেকে শিলিগুড়ির রেল যোগাযোগ সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে।

দার্জিলিং পুলিশের অ্যাডিশনার এসপি অভিষেক রায়ের বরাত দিয়ে ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের খবরে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এদিকে ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে এক্স হ্যান্ডলে উদ্বেগ প্রকাশ করে বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন, এই মাত্র দার্জিলিংয়ের ফাঁসি দেওয়া এলাকায় ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পেলাম। বিস্তারিত এখনও জানতে পারিনি। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে মালগাড়ি ধাক্কা দিয়েছে শুনেছি। জেলা প্রশাসক, এসপি, চিকিৎসক এবং অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। তৎপরতায় উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে।

রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাস্থলে রেলওয়ে ও এনডিআরএফ (ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স) উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।


গাজায় পশু কোরবানিতে বাধা সৃষ্টি করেছে ইসরায়েল

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গাজার সব কয়টি সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দিয়ে কোরবানির পশু প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করেছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। খবর আনাদোলু এজেন্সির।

গতকাল শনিবার গাজার মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, কোরবানির পশু প্রবেশের ওপর ইসরায়েলের নিষেধাজ্ঞার কারণে ঈদুল আজহা উদযাপন এবং ইসলামী ধর্মীয় অনুশীলনের অংশ হিসেবে কোরবানি করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে গাজার কয়েক হাজার পরিবার।

এক বিবৃতিতে গাজা কর্তৃপক্ষ বলেছে, দখলদার বাহিনী একটি নতুন অপরাধ করেছে। রাফা সীমান্ত ক্রসিং দখল এবং বন্ধ করাসহ গাজা উপত্যকার সবগুলো ক্রসিং বন্ধ করে কোরবানির পশু প্রবেশে বাধা দিয়েছে তারা। এটিকে ‘মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং মানবিক ও ইসলামী মূল্যবোধের প্রতি পুরোপুরি অবজ্ঞা’ বলে উল্লেখ করেছে গাজার মিডিয়া অফিস।

গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলের বর্বর হামলায় ৩৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন আরও ৮৫ হাজারের বেশি মানুষ।

টানা আট মাস ধরে চলা ইসরায়েলি আক্রমণে গাজার লাখ লাখ মানুষ খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র ঘাটতিতে ভুগছে।ইসরায়েলের হামলায় মানুষের পাশাপাশি প্রাণ হারিয়েছে বহু গবাদি পশু। অনাহারেও মারা গেছে অনেক। এর ফলে এ বছর সেখানে কোরবানির পশুর দাম বেড়েছে কয়েকগুণ। এ অবস্থায় বাইরে থেকে পশু প্রবেশে বাধা দেওয়া গাজাবাসীর জন্য নতুন সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিষয়:

তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই শেষ হজের আনুষ্ঠানিকতা, আজ সৌদি আরবে ঈদ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৬ জুন, ২০২৪ ০৪:০৯
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই শেষ হলো হজের আনুষ্ঠানিকতা। এবারের হজে আরাফাত ময়দানে ১৫ লাখেরও বেশি মুসলমান জড়ো হন। গতকাল শনিবার সৌদির তাপমাত্রা ছিল ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমন তীব্র গরমের মধ্যেই মহান আল্লাহতায়ালার কাছে চোখের জল ফেলে নিজ নিজ জীবনের সব পাপ মুছে ফেলার আকুতি নিয়ে হাজিরা প্রার্থনায় ছিলেন মশগুল।

মক্কা থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার (১২ মাইল) দূরে অবস্থিত পাথুরে আরাফাত পর্বত। ৭০ মিটার (২৩০ ফুট) উচু এই পাহাড়টিতে আরোহণ করে প্রার্থনা করেন হাজিরা। সেখানে নবী মোহাম্মদ (সা:) তাঁর শেষ ভাষণ দিয়েছিলেন।

এ যেন এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। নিজের পাপের বোঝার কথা স্মরণ করে লাখ লাখ মুসল্লির অবিরল অশ্রুধারায় ভিজেছে ঐতিহাসিক আরাফাত ময়দান। তাঁদের ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে আরাফাত ময়দান প্রকম্পিত হয়েছে।

এসময় হাজিদের কেউই চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। তাঁরা নিজেদের আত্মশুদ্ধি ও পাপমুক্তির আকুল বাসনার পাশাপাশি মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনায় মহান আল্লাহর কাছে অঝোরে কেঁদে বুক ভাসিয়েছেন। নামাজ আদায় করার পাশাপাশি অন্যান্য ইবাদত বন্দেগিতে মশগুল থেকেছেন।

মহান আল্লাহর অশেষ রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় সার্বক্ষণিক জিকির করেছেন। প্রায় সারাক্ষণ তালবিয়া পড়েছেন। আল্লাহ তায়ালার আনুগত্য প্রকাশ করছেন।

এর আগে, পবিত্র হজ পালনের জন্য মহান আল্লাহর দরবারে হাজিরা দিতে সৌদি আরবে আসা বিশ্বের ২৫ লাখ মুসল্লি হজের দ্বিতীয় রুকন আদায়ের জন্য শনিবার সূর্যোদয়ের পর মিনা থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে আরাফাতের ময়দানে সমবেত হন। সূর্যাস্ত পর্যন্ত এই ময়দানেই অবস্থান করেন তাঁরা। আরাফাতের দিনকে মনে করা হয় বছরের শ্রেষ্ঠ দিন। এদিন মহান আল্লাহ বান্দাদের পাপ মাফ করে দেন।

হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয় মূলত পরদিন ঈদুল আজহায় কোরবানির মধ্য দিয়ে। আজ রোববার সৌদি আরবে পবিত্র ঈদুল আজহা পালিত হবে। খুব সকালে ঈদের জামাত আদায়ের পর কোরবানি দেওয়ার মাধ্যমে হাজিরা ঈদের আনন্দে মেতে উঠবেন। দিনটি বরকতময়। এদিন হাজিরা প্রার্থনার মধ্য দিয়ে কাটাবেন।


‘লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখোরিত আরাফাতের ময়দান

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মুসলমান ধর্মাবলম্বীরা আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে হাজির হয়েছেন মক্কায়। ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত হচ্ছে পবিত্র আরাফাতের ময়দান।

আজ শনিবার (১৫জুন) মক্কার ঐতিহাসিক আরাফাত ময়দানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা। ৯ই জিলহজ ইয়াওমুল আরাফা বা হাজিদের আরাফার ময়দানে অবস্থানের দিন। এটিই হজের অন্যতম প্রধান রোকন বা ফরজ। এই দিনকেই হজের দিন বলা হয়।

আরাফাত দিবসে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মসজিদ নামিরা থেকে হজের খুতবা ও নামাজ আদায়ের মধ্যদিয়ে পালিত হবে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা। আরাফাতে এ দিনের আনুষ্ঠানিকতাকে মূল হজ বলা হয়।

এ বছর হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে গত শুক্রবার থেকে। এদিন রাতে পবিত্র মিনায় অতিবাহিত করেছেন হজযাত্রীরা। সেখান থেকে আজ দলে দলে আরাফাতের ময়দানে যাচ্ছেন হজযাত্রীরা।

হজের নিয়ম অনুযায়ী জিলহজ মাসের ৯ তারিখে আরাফাতের ময়দানে সমবেত হন হজযাত্রীরা। এরপর সেখানে অবস্থান করেন তারা।

এবার হজের খুতবা দেবেন মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব শায়েখ মাহের আল মুয়াইকিল। তিনি আরাফাতের মসজিদে নামিরাহ থেকে হাজিদের উদ্দেশ্যে খুতবা দেবেন। এ ছাড়া এই মসজিদে জোহর এবং আসরের নামাজের ইমামতিও করবেন তিনি।

এরপর সূর্যাস্তের পর হজযাত্রীরা মুজদালিফার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন এবং সেখানে মাগরিব ও এশার নামাজ পড়বেন। ওই সময় প্রতীকি শয়তানকে লক্ষ্য করে নিক্ষেপ করার জন্য তারা নুড়ি পাথরও সংগ্রহ করবেন।

মুজদালিফায় হজযাত্রীরা খোলা আকাশের নিচে রাত্রিযাপন করবেন। এরপর ফজর নামাজ পড়ে তারা আবারও চলে যাবেন তাঁবুর শহর মিনায়।


কুয়েতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের বেশিরভাগই ভারতীয়

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১২ জুন, ২০২৪ ১৮:৫৩
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

কুয়েতে দক্ষিণাঞ্চলে আহমাদি গভর্নরেটের মানগাফ এলাকায় বহুতল আবাসিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের মধ্যে অন্তত ১০জন ভারতীয় নাগরিক রয়েছেন বলে জানা গেছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ওনমানোরামার তথ্য অনুযায়ী, কুয়েতে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের মধ্যে অন্তত ১০ ভারতীয় নাগরিক আছেন। তাদের মধ্যে পাঁচজনই কেরালার বাসিন্দা। ওই ভবনে ১৯৫ শ্রমিক ছিলেন; যাদের বেশিরভাগই কেরালা ও তামিলনাড়ুর বাসিন্দা।

অগ্নিকাণ্ডের শিকার ভবনটি মালয়ালি ব্যবসায়ী কেজি আব্রাহামের মালিকানাধীন এনবিটিসি গ্রুপের বলে জানিয়েছে ওনমানোরামা।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেন, ‘কুয়েতে অগ্নিকাণ্ডের খবরে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। সেখানে ৪০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া অর্ধ-শতাধিক মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে জানা গেছে। আমাদের রাষ্ট্রদূত ক্যাম্পে গেছেন। আমরা বিস্তারিত তথ্যের জন্য অপেক্ষা করছি।’

কুয়েতে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বলেছেন, ‘আজকের অগ্নিকাণ্ডে আহত ৩০ জনেরও বেশি ভারতীয় শ্রমিককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’ কুয়েতের অপরাধ তদন্ত বিভাগের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ইদ আল ওয়াইহান প্রাথমিকভাবে অগ্নিকাণ্ডে ৩৫ জনের প্রাণহানির তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পরে আহতদের মধ্যে আরও ছয়জন একটি হাসপাতালে মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

দেশটির জেনারেল ফায়ার ডিপার্টমেন্টের একটি সূত্র বলছে, ভবনটির গ্রাউন্ড ফ্লোরে আগুন লাগার পর ধোঁয়া ওপরের দিকে উঠে যায়। যে কারণে সেখানে ঘুমিয়ে থাকা শ্রমিকরা দমবন্ধ হয়ে মারা গেছেন। কুয়েতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই ঘটনার পর মানগাফ ও তার আশপাশের এলাকার সব হাসপাতালে উচ্চ-সতর্কতা জারি করেছে।

অগ্নিকাণ্ডে আহত অন্তত ৪৩ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে গুরুতর আহত বেশ কয়েকজনকে বিভিন্ন হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।


রকেট হামলা চালিয়ে কমান্ডার হত্যার জবাব দিল হিজবুল্লাহ

ছবি: রয়টার্স
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইসরায়েলে শতাধিক রকেট হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। তাদের সিনিয়র ফিল্ড কমান্ডার সামি আবদুল্লাহ নিহত হওয়ায় এই হামলা চালানো হয়েছে বলে জানা যায়।

আজ বুধবার এই হামলার মধ্য দিয়ে লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে সংঘর্ষের উত্তেজনা তীব্র আকার ধারণ করেছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।

অক্টোবরে গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই সীমান্তে গুলি বিনিময় করছে ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েল। তাদের মধ্যে ক্রমাগত বাড়তে থাকা শত্রুতা উভয়পক্ষ যে একটি বড় সংঘর্ষের জন্য প্রস্তুত তারই ইঙ্গিত দিচ্ছে।

দক্ষিণ লেবাননের জুয়াইয়াতে হামলায় নিহত হন তালেব। বুধবার বিকালে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

একটি সূত্র জানিয়েছে, হিজবুল্লাহর সবচেয়ে সিনিয়র এই কমান্ডার দক্ষিণ সীমান্তের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে হিজবুল্লাহর কমান্ডার ছিলেন। এ বিষয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

লেবাননের একটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, ওই হামলার জবাবে ১০০টিরও বেশি রকেট নিক্ষেপ করেছে হিজবুল্লাহ। অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় রকেট হামলার ঘটনা এটি।

জুয়াইয়াতে ইসরায়েলের হামলাকে হত্যাকাণ্ড বলে অভিহিত করে দেশটিতে অন্তত চারটি হামলার ঘোষণা দিয়েছিল হিজবুল্লাহ। এর মধ্যে একটি ইসরায়েলি সামরিক কারখানায় নির্দেশিত ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে যোদ্ধারা।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরায়েল-অধিকৃত গোলান মালভূমিতে প্রায় ৫০টি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে।

অপর একটি ঘোষণায় বলা হয়েছে, লেবানন থেকে আনুমানিক ৯০টি উড়ন্ত বস্তুকে ইসরায়েলের দিকে চিহ্নিত করেছে। এর মধ্যে কয়েকটিকে প্রতিহত করেছে ইসরায়েল। তবে অন্যগুলো উত্তর ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে পড়েছিল। এতে বেশ কয়েকটি এলাকায় আগুন লাগে। তবে উড়ন্ত বস্তুগুলো ডোন বা ক্ষেপণাস্ত্র ছিল কি না তা স্পষ্ট করা হয়নি।

বিষয়:

লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহ কমান্ডার নিহত

নিহত হিজবুল্লাহ কমান্ডার সামি আবদুল্লাহ। ছবি: এক্স
আপডেটেড ১২ জুন, ২০২৪ ১৭:৪৯
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় হিজবুল্লাহর জ্যেষ্ঠ কমান্ডার ‘সামি আবদুল্লাহ’ নিহত হয়েছেন।

লেবাননের একটি সামরিক সূত্র গতকাল মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে।

সামরিক সূত্রটি বলছে, ‘ফিলিস্তিনের গাজায় হামাস ও ইসরায়েলি বাহিনীর যুদ্ধ শুরুর পর হিজবুল্লাহর যেসব সদস্য নিহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই ব্যক্তি।’

গাজা যুদ্ধের জেরে লেবাননের সীমান্ত এলাকায় সহিংসতা অনেকটাই বেড়ে গেছে। লেবাননের ইরানপন্থি সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটছে।

লেবাননের সামরিক সূত্রের তথ্যমতে, দেশটির জুয়াইয়া শহরে ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহর জ্যেষ্ঠ কমান্ডারসহ মোট চারজন নিহত হয়েছেন।

হিজবুল্লাহর বরাতে এএফপির খবরে বলা হয়, সংগঠনটির নিহত কমান্ডারের নাম সামি আবদুল্লাহ ওরফে আবু তালেব। তার জন্ম ১৯৬৯ সালে।

বিষয়:

কুয়েতে শ্রমিক ভবনে আগুন: নিহতের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ৪১

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

কুয়েতের মাঙ্গাফ শহরে শ্রমিক ভবনে আগুন লেগে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে অন্তত ৪১ জনে।

দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী শেখ ফাহাদ ইউসুফ সৌদ আল-সাবাহ ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে এ তথ্য দিয়েছেন। ওই ভবনটিতে প্রায় ১৬০ জন শ্রমিক বসবাস করত বলে জানা গেছে। তারা সবাই একই কম্পানির অধীনে কাজ করতেন।

দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ ফাহদ আল ইউসেফ ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এ ঘটনার জন্য আবাসনের মালিকদের দায়ি করে বলেছেন, তাদের লোভ ও নিয়মনীতি লঙ্ঘনের কারণেই ঘটনাটি ঘটেছে।

তিনি আরও বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে ভবনের মালিকদের লোভের কারণেই এমন একটি ঘটনা ঘটেছে।’

আজ বুধবার ভোর ৬টায় কর্তৃপক্ষ আগুন লাগার খবর পায় বলে জানিয়েছেন কুয়েত পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মেজর জেনারেল ইদ রাশিদ হামাদ।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে জেনারেল হামাদ বলেন, ‘যে ভবনে আগুন লেগেছে সেটিতে শ্রমিকরা থাকতো।’

সেখানে বহু শ্রমিক ছিল। এদের মধ্যে অনেককে উদ্ধার করা হয়েছে তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে আগুনের ধোঁয়ায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে তাদের অনেকের মৃত্যু হয়েছে।’ ভবনগুলোতে একসঙ্গে অনেক শ্রমিককে না রাখার জন্য তারা ‘সবসময় সতর্ক করে আসছেন’ বলে দাবি করেছেন তিনি।

যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের অধিকাংশই ঘুমের মধ্যে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। গাল্ফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বুধবার ভোরে মাঙ্গাফ শহরের ছয়তলা ভবনের একটি রান্নাঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ ফাহদ আল ইউসেফ এ ঘটনাকে একটি বিপর্যয় হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেজর জেনারেল ইদ রশিদ জানান, অগ্নিনির্বাপক ও ফরেনসিক দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হতাহতদের মধ্যে রয়েছেন বিদেশী নাগরিকও রয়েছে। কুয়েতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগুনে আহত প্রায় ৪৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং তাদের মধ্যে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে এবং আগুন লাগার কারণ তদন্ত করা হচ্ছে।


কুয়েতে আবাসিক ভবনে আগুন, নিহত ৩৫

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

কুয়েতের দক্ষিণ আহমেদি গভর্নরেটের মানগাফ শহরে একটি ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়। ভবনটি শ্রমিকদের আবাসিক ভবন ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

আজ বুধবার দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় আরব নিউজ।

কুয়েতের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মানগাফের একটি ভবনে আগুন লেগে অন্তত চারজন এবং পাশের আরেকটি ভবনের অন্তত ৩৫ জন মারা গেছেন। অর্থাৎ, মোট ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি তার।

তবে হতাহতের এই সংখ্যা এখনও চূড়ান্ত নয় বলেও জানিয়েছেন তিনি।

দমকলকর্মীরা এখনও আগুন নেভাতে কাজ করছেন। কুয়েতের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কুনার তথ্য অনুসারে, অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ৪৩ জন আহত হয়েছেন।

চিকিৎসার জন্য তাদের নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।


হজযাত্রীদের জন্য হিট অ্যালার্ট

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১২ জুন, ২০২৪ ১১:৪১
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

হজের সময় চলমান তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছাতে পারে বলে হজযাত্রীদের সতর্ক করেছে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ। এ সময় মন্ত্রণালয় নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে হজযাত্রীদেরকে।

সৌদি সংবাদমাধ্যম আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুহাম্মদ আল-আব্দুল আলি বলেছেন, উচ্চতাপমাত্রা এ বছরের হজ মৌসুমে একটি বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে। অতি গরম থেকে সুরক্ষিত থাকতে হজযাত্রীদেরকে তিনি মন্ত্রণালয় নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।

হজের সময় গরম থেকে বাঁচতে ছাতা ব্যবহারের পাশাপাশি বেশি বেশি পানি পান করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া প্রয়োজন ছাড়া হাজিদেরকে বাইরে না যাওয়ার জন্যও সতর্ক করা হয়েছে।

এর আগে সৌদি আরবের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছিল, হজের সময় মক্কার তাপমাত্রা ৪৫ থেকে ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে।

গতবারও হজের সময় তীব্র গরম ছিল। সেবার ৯ জিলহজ তারিখে আরাফাতের ময়দানে অবস্থানকালে অনেকে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। এবারও একই ধরনের গরম থাকতে পারে বলে আগেই সতর্ক করল সৌদি কর্তৃপক্ষ।

আগামী শুক্রবার (১৪ জুন) শুরু হচ্ছে হজের আনুষ্ঠানিকতা। পরদিন আরাফাতের ময়দানে হজের মূলপর্ব।

এবার প্রায় ২০ লাখ মুসলমান পবিত্র হজব্রত পালন করবেন। এ পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে গেছেন ৮২ হাজার ৭৭২ জন। আজ বুধবার (১২ জুন) শেষ হচ্ছে হজ ফ্লাইট।

বিষয়:

কাশ্মীরে সেনা ঘাঁটিতে হামলায় আহত ৬

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতের জম্মু-কাশ্মীরের দোদা জেলায় সেনাবাহিনীর অস্থায়ী ঘাঁটিতে হামলায় পাঁচ সেনা সদস্য ও স্পেশাল পুলিশের এক কর্মকর্তা আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে।

বুধবার সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ‘নির্মূল হয়েছে’ এক সন্ত্রাসী।

সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা ইন্ডিয়া টুডেকে জানান, আহত ছয়জনকে চিকিৎসার জন্য সাব ডিস্ট্রিক্ট হসপিটাল ভাদেরওয়াহতে নেয়া হয়েছে।

সশস্ত্র সংগঠন দ্য কাশ্মীর টাইগার্স ওত পেতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলার দায় স্বীকার করেছে।

সংবাদমাধ্যমটি আরও জানায়, ঘটনার পর সন্ত্রাসীদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ ও তাদের ধরতে তল্লাশি অভিযান চলছিল।

হামলার বিষয়ে সীমান্তবর্তী দেশ পাকিস্তানের নাম উল্লেখ না করে এডিজিপি আনন্দ জৈন বলেন, ‘আমাদের শত্রুভাবাপন্ন প্রতিবেশী সবসময় আমাদের দেশের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত করতে চায়। হিরানগরের এ সন্ত্রাসী হামলা দৃশ্যত নতুন অনুপ্রবেশের ঘটনা।’

রিয়াসি ও কঠুয়ার পর বুধবারের হামলাটি ছিল জম্মু অঞ্চলে গত তিন দিনের মধ্যে এ ধরনের তৃতীয় ঘটনা।


banner close