বুধবার, ১৫ মে ২০২৪
এএফপি বিশ্লেষণ

বাইডেন কি আবার লড়াইয়ে নামবেন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ছবি: এএফপি
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ৭ ডিসেম্বর, ২০২২ ২২:৩২

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচন শেষ। এখন সবার নজর ২০২৪ সালে। বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মেয়াদ শেষ হবে ওই বছর। অনুষ্ঠিত হবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। সে নির্বাচন সামনে রেখে এরই মধ্যে প্রথা ভেঙে রিপাবলিকান পার্টি থেকে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আলোচনায় আছেন ফ্লোরিডার গভর্নর আরেক রিপাবলিকান রন ডিসান্টিসও।

তবে ডেমোক্র্যাট শিবির এখনো নীরব। জো বাইডেনই প্রার্থী হবেন, নাকি নতুন কোনো মুখ হাজির হবে দৃশ্যপটে, তা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে জো বাইডেনের হাবভাব বলছে, তিনিই পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হতে চলেছেন। অবশ্য তিনি বলেছেন, ২০২৩ সালের গোড়ার দিকে নির্বাচনের ব্যাপারে তিনি সিদ্ধান্ত জানাবেন।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ বছর আশিতে পা দিয়েছেন। আর দুই বছর পর যখন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়বে, তখন তার বয়স হবে ৮২ বছর। ২০২০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়েই বাইডেন সবচেয়ে বেশি বয়সে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার রেকর্ড গড়েছেন। দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হলে ওই মেয়াদ শেষে তার বয়স হবে ৮৬ বছর। অনেকেরই ধারণা, ২০২৪ সালে নির্বাচনী লড়াই এবং দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হলে রাষ্ট্র সামলানোর ধকল নেয়ার মতো বয়স বাইডেনের এখন আর নেই।

তবে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কার্যকলাপ কিন্তু বলছে অন্য কথা। গত মঙ্গলবার তিনি ওয়াশিংটন থেকে অ্যারিজোনায় গেছেন, ৮০ বছর বয়সেও দিনভর নানা কর্মসূচিতে ব্যস্ত থেকেছেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এই মরুময় অঙ্গরাজ্যে বাইডেনের এটিই প্রথম সফর। এরপর অবশ্য কেউ কেউ বলতে শুরু করেছেন, ডেমোক্র্যাটরা মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকলেও বাইডেন দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালনের প্রস্তুতি এরই মধ্যে শুরু করেছেন। অ্যারিজোনার সফর তারই ইঙ্গিত।

হোয়াইট হাউস বলেছে, বাইডেন অ্যারিজোনায় গিয়েছিলেন ফিনিক্সে নতুন বড় একটি সেমিকন্ডাক্টর কারখানার পক্ষে প্রচারণা চালাতে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজনৈতিকভাবে গভীরভাবে বিভক্ত অ্যারিজোনা যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে, তা অস্বীকার করার উপায় নেই। বাইডেন হয়তো সেই বিষয়টি আঁচ করে এখনই দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন।

মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগে বাইডেনের জনপ্রিয়তা নাটকীয়ভাবে কমতে শুরু করেছিল। তবে এই নির্বাচনে রিপাবলিকানদের জয়জয়কারে যে লাল ঢেউ আসার কথা ছিল, তা আসেনি। প্রতিনিধি পরিষদ সামান্য ব্যবধানে নিয়ন্ত্রণে নিতে পারলেও সিনেটে তারা আসন হারিয়েছে। সে হিসাবে বাইডেনের প্রথম মেয়াদের পুরো চার বছরই অনেকটা নিষ্কণ্টক বলা চলে। এদিকে অর্থনীতিতে যতটা মন্দা আঘাত হানার পূর্বাভাস ছিল, সেটিও হয়নি। কর্মসংস্থান বৃদ্ধির হারও বেড়েছে।

অবশ্য ডেমোক্র্যাটরা প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ হারানোয় প্রথম দুই বছর যে সুবিধা বাইডেন ভোগ করেছেন, তা হয়তো পরবর্তী দুই বছরে আর পাবেন না।

তাই বলে বাইডেন বসে নেই। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক- উভয় অঙ্গনে তিনি তৎপর।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সিইও কাউন্সিল সম্মেলনে গত সোমবার বাইডেনের চিফ অব স্টাফ রন ক্লেইন বলেছেন, ‘আমার ধারণা, নির্বাচনে লড়ার ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট ছুটি শেষে তার সিদ্ধান্ত জানাবেন। তবে মনে হচ্ছে, তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে প্রার্থী হবেন।’

এর আগে গত রোববার ফক্স নিউজকে প্রতিনিধি পরিষদে ডেমোক্র্যাট সদস্য হাকিম জেফরিস বলেছেন, ‘আমি নিশ্চিতভাবেই চাই, তিনি (বাইডেন) নির্বাচন করুন।’ নতুন প্রতিনিধি পরিষদে হাকিম জেফরিস হবেন সংখ্যালঘিষ্ঠ দলের নেতা।

এদিকে গত সপ্তাহে আরেক জ্যেষ্ঠ ডেমোক্র্যাট নেতা জেমস রুজভেল্ট জুনিয়র বলেছেন, ‘বিষয়টা পরিষ্কার (বাইডেন লড়বেন)।’ বাইডেনের বন্ধু সিনেটর ক্রিস কুনস এএফপিকে একই কথা বলেছেন।

অবশ্য বাইডেন প্রার্থী হবেন কি না, সে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক মহলের নয়, বড় ভূমিকা থাকবে তার চিকিৎসক ও পরিবারের। থ্যাংকসগিভিং উপলক্ষে সম্প্রতি আটলান্টিক সমুদ্র তীরবর্তী নানটাকেট রিসোর্ট দ্বীপে ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজনদের জড়ো করেছিলেন বাইডেন। সেখানে কিছু আলোচনা হয়েছে। বড়দিনের ছুটিতেও আলোচনা হবে। আর তাতে বড় প্রভাব থাকবে ফার্স্টলেডি জিল বাইডেনের। প্রেসিডেন্টের বার্ষিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদনও আসবে খুব শিগগির। এর সবকিছুই পরবর্তী নির্বাচন ঘিরে তার সিদ্ধান্তে প্রভাব রাখবে।

অবশ্য ৮০ বছর বয়সী বাইডেনের কার্যকলাপে বয়সের ছাপ এরই মধ্যে পড়তে শুরু করেছে। হাঁটার সময় একটু এলোমেলো হয়ে যাওয়া, কখনো মুখভঙ্গিতে অমনোযোগের ছাপ কিংবা কথা বলতে কখনো কখনো আটকে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। তবে বাইডেনের সিদ্ধান্তগ্রহণ কিংবা রাষ্ট্রপরিচালনায় বয়স এখনো কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। শারীরিক সক্ষমতা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলেই বাইডেনের চটপট জবাব, ‘আমাকে লক্ষ্য করুন।’

এক বছর আগে হোয়াইট হাউসের চিকিৎসক ঘোষণা দিয়েছিলেন, বাইডেন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব সফলভাবে সামাল দিতে পুরোপুরি সক্ষম।

প্রশ্নটা হলো, এখনো কি সে ঘোষণা সত্য? জবাবটা জানা যাবে খুব শিগগির।

বিষয়:

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা করে না ভারত: এস জয়শঙ্কর

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইরানের চাবাহার সমুদ্রবন্দর পরিচালনার জন্য তেহরানের সঙ্গে ২০১৬ সালের একটি চুক্তি আরও ১০ বছরের জন্য নবায়ন করেছে ভারত। এতে ক্ষেপে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্র পরোক্ষভাবে ভারতকে নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছে। তবে ভারত এই হুমকি তোয়াক্কা করে না বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। খবর এনডিটিভির।

আজ বুধবার পশ্চিমবঙ্গের নিজের বইয়ের বাংলা সংস্করণ প্রকাশ করতে কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, এই চুক্তির ফলে চাবাহার বন্দরে বড় বিনিয়োগের পথ খুলে যাবে। প্রকল্পটি সমগ্র অঞ্চলের জন্য ভালো হবে। বিষয়টিতে কারও সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি থাকা উচিত নয়। যুক্তরাষ্ট্র নিজেই অতীতে চাবাহারের বৃহত্তর প্রাসঙ্গিকতার প্রশংসা করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে জয়শঙ্কর বলেন, ‘আমি কিছু মন্তব্য দেখেছি, তবে আমি মনে করি এটি আসলে সবার সুবিধার জন্য। আমি মনে করি না কারও এটি সম্পর্কে সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি নেওয়া উচিত।’

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারা (মার্কিন) অতীতে এটি করেনি। আপনি যদি চাবাহার বন্দরের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব মনোভাব দেখেন, তাহলে দেখবেন তারা চাবাহারের একটি বৃহত্তর প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশংসা করেছে।’

সোমবার চুক্তির পর গত মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে দিল্লি-তেহরানের চুক্তি স্বাক্ষর নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি দেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল। তিনি বলেন, ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা এখনো কার্যকর। এসব নিষেধাজ্ঞা আরও জোরদার করা হবে। যেসব পক্ষ ইরানের সঙ্গে ব্যবসায়িক চুক্তি করার কথা ভাবছে, তাদের সম্ভাব্য মার্কিন ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

নাম উল্লেখ না করে ভারতকে সতর্ক করে বেদান্ত বলেন, যারাই ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যিক চুক্তি করবে, তাদের মনে রাখা উচিত যে তারা নিজেরাই নিজেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা পড়ার পথ খুলে দিচ্ছে।

মধ্যপ্রাচ্যে বাণিজ্য পরিবহনের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। তারই অংশ হলো ইরানের সঙ্গে চাবাহার বন্দর চুক্তি। ভারতের নৌপরিবহন ও বন্দরমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল এ চুক্তির জন্য ইরানে গিয়েছিলেন। সোমবার ভারতের নৌ মন্ত্রণালয় জানায়, ইন্ডিয়ান পোর্টস গ্লোবাল লিমিটেড (আইপিজিএল) ও ইরানের পোর্ট অ্যান্ড মেরিটাইম অর্গানাইজেশন চাবাহার বন্দরের উন্নয়নের জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি সই করেছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘চাবাহার বন্দরের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল, কিন্তু আমরা কখনোই একটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারিনি। কারণ ইরানের প্রান্তে বিভিন্ন সমস্যা ছিল। জয়েন্ট-ভেঞ্চার পার্টনার পরিবর্তন, শর্ত পরিবর্তিত হয়েছে।’

চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অবশেষে আমরা এটি সমাধান করতে সক্ষম হয়েছি এবং আমরা দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছি। দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিটি প্রয়োজনীয়, কারণ এটি ছাড়া আপনি সত্যিই বন্দর পরিচালনার উন্নতি করতে পারবেন না। আমরা বিশ্বাস করি, সমগ্র অঞ্চল উপকৃত হবে।’

প্রসঙ্গত, চাবাহার বন্দর একটি ভারত-ইরান ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্প, যা আফগানিস্তান ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট বন্দর হিসেবে কাজ করে, যা ল্যান্ডলকড দেশ। চাবাহার বন্দরের উন্নয়ন ও পরিচালনায় ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

ভারত সরকার বন্দরের অবকাঠামোতে বিনিয়োগ করেছে এবং আফগানিস্তান ও মধ্য এশিয়ার জন্য আবদ্ধ ভারতীয় পণ্যের জন্য এটিকে একটি কার্যকর ট্রানজিট রুট হিসেবে গড়ে তোলার জন্য এর সুবিধাগুলো আপগ্রেড করার সঙ্গে জড়িত রয়েছে।


ইসরায়েলকে নতুন করে অস্ত্র দেয়ার পরিকল্পনা বাইডেনের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন ইসরায়েলকে নতুন করে একশ’ কোটি ডলারের অস্ত্র দেয়ার পরিকল্পনার কথা কংগ্রেসকে জানিয়েছে।

গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় হামলা চালালে কিছু অস্ত্রের চালান বন্ধ করে দেয়া হবে বলে বাইডেনের হুমকির এক সপ্তাহের মধ্যে এ পরিকল্পনার কথা জানাল তার প্রশাসন।

একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, প্রশাসন মঙ্গলবার কংগ্রেসকে অনানুষ্ঠানিকভাবে এ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কংগ্রেসের অনুমোদন লাগবে।

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কংগ্রেসের এক সহকারি জানিয়েছেন, মার্কিন অস্ত্র প্রস্তুতকারীদের কাছ থেকে যে অস্ত্র নেয়া হবে তা একশ’ কোটি ডলার মূল্যের।

এরআগে মার্কিন কংগ্রেস ইউক্রেন, ইসরায়েল ও তাইওয়ানের জন্যে নয় হাজার পাঁচশো’ কোটি ডলারের একটি প্যাকেজ অনুমোদন করে।

এদিকে নতুন করে অস্ত্র দেয়ার পরিকল্পনার কথা এমন এক সময়ে আসলো যখন কেবল সপ্তাহ খানেক আগে বাইডেন ইসরায়েলকে হুঁশিয়ার করে বলেছিল, রাফায় স্থল হামলা চালানো হলে যুক্তরাষ্ট্র বোমা ও কামানের গোলা সরবরাহ বন্ধ করে দেবে।

যদিও বাইডেনের এ হুঁশিয়ারি অগ্রাহ্য করেই ইসরায়েল রাফায় বোমা হামলা অব্যাহত রেখেছে এবং রাফা ক্রসিংয়ে সৈন্য ও ট্যাংক জড়ো করেছে।

ইসরায়েলের কাছে নতুন করে অস্ত্র বিক্রির খবরটি প্রথম প্রকাশ করে ‘দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’। জার্নালের খবরে বলা হয়েছে, এতে সম্ভবত ৭০ কোটি ডলারের ট্যাংক গোলাবারুদ এবং ৫০ কোটি ডলারের কৌশগলগত যানবাহন রয়েছে।

উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনী সংগঠন হামাস গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক বড়ো ধরনের হামলা চালায়। এ সময়ে তারা প্রায় এক হাজার ১৭০ ইসরায়েলীকে হত্যা এবং ২৫০ জিম্মিকে আটক করে। এখনও তাদের কাছে ১২৮ জিম্মি আটক রয়েছে।

এদিকে ৭ অক্টোবর ইসরায়েল গাজায় প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলা শুরু করে যা এখনও চলছে। গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত এ হামলায় ৩৫ হাজারেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। এদের অধিকাংশ নারী ও শিশু।


গাজায় ইসরায়েলি ৭ মাসের হামলায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত: জাতিসংঘ  

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। টানা সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে চালানো এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি। বর্বর এই আগ্রাসনে নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। জাতিসংঘও এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। সংস্থাটি জানায়, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত ফিলিস্তিনিদের অন্তত ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু। বুধবার এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

জাতিসংঘ বলছে, গাজা যুদ্ধে নিহত হাজার হাজার মানুষের মধ্যে অন্তত ৫৬ শতাংশ নারী ও শিশু। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে চলা ইসরায়েলের নিরলস আগ্রাসনে অন্তত ৩৫ হাজার ১৭৩ জন নিহত হয়েছেন।

মূলত গাজা কর্তৃপক্ষ ক্রমাগত বলেছে, উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত গাজায় নিহতদের মধ্যে প্রায় ২৫ হাজার জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৪০ শতাংশ পুরুষ, ২০ শতাংশ নারী এবং ৩২ শতাংশ শিশু এবং ৮ শতাংশ বয়স্ক মানুষ রয়েছেন।

মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মুখপাত্র ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডমেয়ার বলেছেন, নতুন এই পরিসংখ্যাটি এখন পর্যন্ত সরবরাহ করা তথ্যগুলোর মধ্যে ‘সবচেয়ে ব্যাপক’।

তিনি জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেন, অজ্ঞাত পরিচয়ের ক্ষেত্রে একই অনুপাত প্রয়োগ করলে এবং নিহত বয়স্ক নাগরিকদের অর্ধেক নারী হলে এটা আশা করা যেতেই পারে যে, নিহত ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষের মধ্যে অন্তত ‘৫৬ শতাংশ নারী ও শিশু’ রয়েছে।

তিনি বলেন, তারপরও এটি বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে না, কারণ হাজার হাজার মানুষ এখনও সম্ভবত ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে রয়েছে বলে বিশ্বাস করা হয়। এছাড়া তাদের মধ্যে আরও বেশি সংখ্যক নারী এবং শিশু থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশি। কারণ নারী ও শিশুরাই সাধারণত বাড়িতে অবস্থান করে থাকেন।

মুখপাত্র ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডমেয়ার বলেন, সুতরাং ‘ন্যূনতম পরিসংখ্যানগত গণনা’ থেকে বলা যায়, গাজায় নিহতদের ৬০ শতাংশ নারী এবং শিশু হতে পারে।

এদিকে জাতিসংঘের শিশু নিরাপত্তা ও অধিকার বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের প্রধান বলেছেন, গত বছরের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় ১৯০ জনেরও বেশি জাতিসংঘ কর্মী নিহত হয়েছেন।

ক্যাথরিন রাসেল সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, ‘সেবা করার সময় মানবতাবাদীদের অবশ্যই সবসময় সুরক্ষিত রাখতে হবে।’


গাজা সংঘাতে ১৯০ জাতিসংঘ কর্মী নিহত: জাতিসংঘ মহাসচিব

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত জাতিসংঘের গাড়ি। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ফিলিস্তিনির গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরতা থামছেই না। গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রতিদিনই নিরীহ ফিলিস্তিনিরা প্রাণ হারাচ্ছে। এমনকি এ হামলা থেকে রেহাই পাচ্ছে না জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা এবং অন্যান্য দাতব্য সংস্থার কর্মীরাও। গাজায় সংঘাত শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত জাতিসংঘের প্রায় ১৯০ কর্মী নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেস এ কথা জানিয়েছেন।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেস জানিয়েছেন, তিনি জাতিসংঘ কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় গভীরভাবে শোকাহত। হতাহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন তিনি। জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র ফারহান হক এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, জাতিসংঘ কর্মীদের ওপর সব ধরনের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন গুতেরেস। তিনি এসব হামলার ঘটনার পূর্ণ তদন্ত দাবি করেছেন।

জাতিসংঘের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলে সংস্থাটির এক কর্মী নিহত হয়েছেন এবং আরও বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন। তারা একটি হাসপাতালের দিকে যাচ্ছিলেন। ওই কর্মীরা জাতিসংঘের একটি গাড়িতে করে রাফার কাছে অবস্থিত ইউরোপিয়ান হসপিটালের দিকে যাওয়ার সময় হামলার শিকার হন। এই হামলার পেছনে কারা দায়ী সে বিষয়ে জাতিসংঘ স্পষ্টভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।

এদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে, প্রাথমিক তদন্তে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে যে, জাতিসংঘের ওই গাড়িটি একটি সংঘাত চলমান অঞ্চল দিয়ে যাচ্ছিল। তারা তাদের রুট সম্পর্কে সচেতন ছিল না।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) নিশ্চিত করেছে, জাতিসংঘের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বিভাগের (ইউএনডিএসএস) কাছ থেকে তারা একটি রিপোর্ট পেয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার দক্ষিণাঞ্চলীয় গাজার রাফা এলাকায় তাদের দুই কর্মী আহত হয়েছেন। এ বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে আইডিএফ নিশ্চিত করেছে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮২ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে। অন্যদিকে আহত হয়েছে আরও ২৩৪ ফিলিস্তিনি। এদিকে গাজার মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের একটি বাড়িতে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে শিশুসহ কমপক্ষে ১৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। গাজার বেশ কিছু মেডিকেল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

প্রসঙ্গত, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজার ১৭৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছে আরও ৭৯ হাজার ৬১ জন। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। গাজায় বেসামরিকদের, বিশেষ করে শিশুদের নির্বিচারে হত্যা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের এক কর্মকর্তা।


ভারতকে নিষেধাজ্ঞার হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৪ মে, ২০২৪ ২০:৫০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

দশ বছরের জন্য তেহরানের চাবাহার বন্দর পরিচালনা করতে ইরানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভারতকে নিষেধাজ্ঞার কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ইরানের সঙ্গে বাণিজ্য কার্যক্রম পরিচালনার আগে যেকোনো দেশেরই সতর্ক হওয়া উচিৎ। কারণ এমন ঘটনা ওইসব দেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পথকে প্রশস্ত করে।

আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের উপপ্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘ভারতের পররাষ্ট্র নীতি ও ইরানের সঙ্গে তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল। তবে ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা এখনও বহাল রয়েছে। ফলে ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি করলে এ বিষয়ে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।’ ওয়াশিংটনের এ হুঁশিয়ারির পর ভারতের পক্ষ থেকে এখনও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

পাকিস্তানের সঙ্গে সীমান্তবর্তী ও কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ইরানের চাবাহার বন্দরের উন্নয়নকাজের জন্য ২০১৬ সালে দেশটির সঙ্গে একটি চুক্তিতে সম্মত হয় ভারত। বন্দরটির উন্নয়ন ও পরিচালনার জন্য সোমবার ইরানের সঙ্গে হওয়া চুক্তিটি আরও ১০ বছরের জন্য নবায়ন করেছে দিল্লি।

ভারতের নৌপরিবহনমন্ত্রী এই চুক্তিকে ভারত-ইরান সম্পর্কের একটি ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ বলে অভিহিত করেছেন।

তবে ভারতের এই পদক্ষেপ ভালোভাবে নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। গত তিন বছরে ইরান সম্পর্কিত বিভিন্ন সংস্থার ওপর ৬০০টিরও বেশি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দেশটি। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের শেষের দিকে প্রথম চাবাহার বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব নেয় ভারত। পাকিস্তানকে এড়িয়ে আফগানিস্তানসহ মধ্য এশিয়ার অন্যান্য দেশে পণ্য পরিবহন ও সরবরাহে বন্দরটি ভারতের জন্য একটি ট্রানজিট রুট হিসেবে কাজ করে।

গতকাল সোমবার ভারতের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বন্দরটির উন্নয়নের জন্য ভারতের ইন্ডিয়ান পোর্টস গ্লোবাল লিমিটেড (আইপিজিএল) ও ইরানের পোর্ট অ্যান্ড মেরিটাইম অর্গানাইজেশন দীর্ঘমেয়াদী একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

ইরানের নগর ও সড়ক উন্নয়নমন্ত্রী মেহেরদাদ বাজরপাশ বলেছেন, চুক্তি মোতাবেক আইপিজিএল এই প্রকল্পে ১২০ মিলিয়ন ডলার প্রাথমিক বিনিয়োগের পাশাপাশি আরও ২৫০ মিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত বিনিয়োগ করবে। এই চুক্তিটি ইরানের সঙ্গে আরও বড় বিনিয়োগের পথ প্রশস্ত করবে বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

গত মাসে পাকিস্তানকেও একই রকমের নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

বিষয়:

ভারত থেকে অস্ত্র কিনল রাশিয়া

আপডেটেড ১৪ মে, ২০২৪ ২১:২৬
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারত থেকে গত ৬-৮ মাসে প্রায় ৪০০ কোটি ডলারের সমরাস্ত্র ও অন্যান্য সরঞ্জাম কিনেছে রাশিয়া। আর এই সমরাস্ত্র কেনার ক্ষেত্রে রাশিয়া ভারতকে দেশটির নিজস্ব মুদ্রা রুপিতে মূল্য পরিশোধ করেছে। একটি রুশ কোম্পানি তাদের ভোস্ট্রো অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এই অর্থ পরিশোধ করেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সাধারণত ভোস্ট্রো অ্যাকাউন্ট হলো একটি দেশের ব্যাংকের অন্য কোনো একটি দেশের অন্য কোনো একটি ব্যাংকে থাকা অ্যাকাউন্ট। রাশিয়ার প্রতিষ্ঠানটি মূলত এই ভোস্ট্রো অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এসব সমরাস্ত্র ও সরঞ্জামের মূল্য রুপিতে পরিশোধ করেছে। ভারতীয় মুদ্রায় বাণিজ্য করার জন্য স্থানীয় ঋণদাতাদের পাশাপাশি যে ২২ দেশকে ভোস্ট্রো অ্যাকাউন্ট (এসআরভিএ) খোলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে রাশিয়া একটি।

মানিকন্ট্রোলের প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার সংস্থাগুলো ভারতে বিনিয়োগের সুযোগ না পাওয়ায় তাদের ভোস্ট্রো অ্যাকাউন্টগুলোতে প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের রুপি জমা হয়। যেখান থেকে গত আট মাসে তারা এর অর্ধেক ব্যবহার করে ভারতীয় অস্ত্র ও অন্যান্য সরঞ্জাম কেনে। এর আগে, ২০২৩ সালের জুলাইয়ে স্থানীয় মুদ্রায় দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই) বিশ্বের ২২টি দেশের ২০টি ব্যাংকে ৯২টি এসআরভিএ অ্যাকাউন্ট খোলার অনুমতি দেয়। এ বিষয়ে ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প প্রতিমন্ত্রী সোম প্রকাশ জানান, গত বছর ১৫ জুলাই ভারতের রিজার্ভ ব্যাংক (আরবিআই) ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে মধ্যে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি হয়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এই দ্বিপক্ষীয় চুক্তির ফলে আমদানি ও রপ্তানিকারকরা তাদের নিজ নিজ দেশের মুদ্রায় পণ্য ও অর্থ আদান–প্রদান করতে পারবে। যার ফলে, দেশগুলোর মধ্যে বাজার বিকাশের পথ আরও প্রশস্ত হবে।

ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের আরেক মন্ত্রী অনুপ্রিয়া প্যাটেল বলেন, ভারতের রপ্তানি গত পাঁচ বছরে ৩৬ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৮-১৯ সালে ভারতের বৈদেশিক রপ্তানির পরিমাণ যেখানে ছিল ৩৩০ দশমিক ০৭ বিলিয়ন ডলার ২০২২-২৩ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৪৫০ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলারে।

বিষয়:

আল আকসা মসজিদে তাণ্ডব চালাল ইসরায়েলিরা

আল আকসা মসজিদ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

আল আকসা মসজিদে তাণ্ডব চালিয়েছে ইসরায়েলিরা। এই মসজিদকে ইসলামের তৃতীয় পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আজ মঙ্গলবার মসজিদে কয়েক ডজন ইসরায়েলি ঢুকে পড়ে। এ সময় সেখানে এক ব্যক্তি ইসরায়েলি পতাকা প্রদর্শন করে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এদিকে দক্ষিণ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় জাতিসংঘের এক কর্মী নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক ডজন ইসরায়েলি নাগরিক আল আকসা প্রাঙ্গণে ঢুকে তাণ্ডব চালিয়েছে। এ সময় সেখানে এক উগ্রবাদী ইসরায়েলি পতাকা প্রদর্শন করে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, আল আকসা প্রাঙ্গণে এক ইহুদি ব্যক্তি ইসরায়েলের পতাকা বের করে মেলে ধরলে সেখানে ইসরায়েলি পুলিশের কয়েকজন সদস্য তার সঙ্গে শান্তভাবে কথা বলতে থাকেন। পুলিশের সঙ্গে কথা বলার সময় ওই ব্যক্তি কিছুক্ষণ পতাকা প্রদর্শন করে তা গুটিয়ে নেয় এবং মসজিদ প্রাঙ্গণের একদিকে চলে যায়।

ইসরায়েলের এ পতাকাটি পবিত্র স্থানটির সঙ্গে ইহুদিদের সংযোগ বাড়াতে বেয়াদেনু র‌্যালির পর প্রদর্শন করা হয়েছে। বেয়াদেনু ইহুদির একটি গোষ্ঠী যারা আল আকসার নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়। ইসরায়েলি পতাকা উত্তোলনের জন্য তারা ১৪ মে এ র‌্যালির আয়োজন করে। অন্যদিকে ফিলিস্তিনিরা এ দিবসকে নাকাবা বা মহাবিপর্যয়ের দিন হিসেবে স্মরণ করে থাকেন। এ দিনের ঘটনার মধ্য দিয়ে ইসরায়েল সৃষ্টির প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছিল।

উল্লেখ্য, আল আকসা কম্পাউন্ডে ইসরায়েলিদের তাণ্ডব নিয়মিত ঘটনা। যদিও ইহুদি ধর্মের নিয়ম অনুযায়ী পবিত্রতার ধারণার কারণে আল আকসা প্রাঙ্গণে ইহুদিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনি মুসলিমদের জুমার নামাজেও বাধা দিয়ে আসছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। তবে তাদের বাধার কারণে অনেকে পুরাতন এ নগরীর সড়কে নামাজ আদায় করে থাকেন।

ইসরায়েলি বাহিনীর তাণ্ডব নতুন নয়। এর আগেও বিভিন্ন সময় ইসরায়েলিরা মসজিদে নামাজরত অবস্থায় মুসল্লিদের ওপর হামলা চালিয়েছে।

দেড় হাজার ইসরায়েলি সেনা নিহত

লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর মহাসচিব সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহ বলেছেন, গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত আঞ্চলিক প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হামলায় অন্তত দেড় হাজার দখলদার ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে লেবানন-ইসরায়েল সীমান্ত সংঘর্ষে নিহত দখলদার সেনাদের সংখ্যা এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত কি না তা পরিষ্কার করেননি হিজবুল্লাহ মহাসচিব।

সোমবার হিজবুল্লাহর সিনিয়র কমান্ডার মোস্তফা বদরুদ্দিনের শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া ভাষণে এ তথ্য প্রকাশ করেন হাসান নাসরুল্লাহ। ২০১৬ সালে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইহুদিবাদী ইসরায়েলের হামলায় শহিদ হন মোস্তফা বদরুদ্দীন। গাজার প্রতিরোধকামী যোদ্ধা এবং হিজবুল্লাহর রকেট ও ড্রোন হামলায় হতাহত ইসরায়েলি সেনাদের কথা গোপন রাখে নেতানিয়াহু সরকার। হিজবুল্লাহ মহাসচিব তার বক্তৃতায় আরও বলেন, গাজা উপত্যকায় ৩৫ হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক হত্যা করলেও ইহুদিবাদী ইসরায়েল তাদের ঘোষিত কোনো লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি।

প্রসঙ্গত, ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলা করে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এই হামলায় ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের মতে, ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় গাজায় নির্বিচারে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজারেরও বেশি নিরীহ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

ইসরায়েলি হামলায় জাতিসংঘ কর্মী নিহত

দক্ষিণ গাজার একটি হাসপাতালে যাওয়ার সময় ইসরায়েলি হামলায় জাতিসংঘের এক কর্মী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অপর এক কর্মী। সোমবার জাতিসংঘের একটি গাড়িতে করে রাফা শহরের কাছে ইউরোপীয় হাসপাতালে যাওয়ার সময় গাড়িটিতে হামলা চালানো হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের মুখপাত্র ফারহান হক জানিয়েছেন, কর্মীর মৃত্যুর খবরে গভীর দুঃখ ও শোক প্রকাশ করেছেন মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। হতাহতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি। জাতিসংঘের কর্মীদের ওপর সব হামলার নিন্দা জানিয়ে পূর্ণ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন গুতেরেস।

ফারহান হক বলেছেন, নিহত ও আহত কর্মীরা জাতিসংঘের সদস্য। তারা আন্তর্জাতিক কর্মী, ফিলিস্তিনি নয়। সংঘাত শুরুর পর এই প্রথম গাজায় জাতিসংঘের একজন আন্তর্জাতিক কর্মীর মৃত্যু হলো।

এই হামলার জন্য কে দায়ী তা উল্লেখ করেনি জাতিসংঘ। তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, প্রাথমিক তদন্তে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে যে, গাড়িটি একটি সক্রিয় যুদ্ধ অঞ্চলের ভেতর দিয়ে যাওয়ার সময় হামলার শিকার হয়েছে। গাড়িটির রুট সম্পর্কে তারা সচেতন ছিল না বলেও জানানো হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ফুটেজে ইউরোপীয় হাসপাতালের বাইরে জাতিসংঘের লোগোসংবলিত একটি গাড়িতে অসংখ্য বুলেটের ছিদ্র দেখা গেছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) নিশ্চিত করেছে, তারা জাতিসংঘের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বিভাগের (ইউএনডিএসএস) কাছ থেকে একটি প্রতিবেদন পেয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের দুই কর্মী সোমবার দক্ষিণ গাজার রাফাহ এলাকায় আহত হয়েছে। ঘটনাটি পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ।

আলাদা আরেকটি বিবৃতিতে গুতেরেস বলেছেন, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজায় জাতিসংঘের ১৯০ জনের বেশি কর্মী নিহত হয়েছে।


ইন্দোনেশিয়ায় শীতল লাভার স্রোতে ৪১ জনের মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত 
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইন্দোনেশিয়ায় প্রবল বৃষ্টিতে হড়কা বান, আগ্নেয়গিরির শীতল লাভার স্রোতে অন্তত ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে এ ঘটনা ঘটেছে। ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ কর্মকর্তা বলেছেন, শনিবার রাতে মুষলধারে বৃষ্টির পর সুমাত্রা দ্বীপের সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি মাউন্ট মারাপির নিচের দিকে ছাই ও বড় বড় পাথর ভেসে আসার ঘটনায় অন্তত ১৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

পশ্চিম সুমাত্রার দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার কর্মকর্তা ইলহাম ওহাব আলজাজিরা ও এএফপিকে বলেন, আগাম জেলায় তিনজন এবং তানাহ দাতারে ১৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন। দুই জেলাই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যেখানে লাখ লাখ লোকের বাস। নিখোঁজদের উদ্ধারে পুলিশ, সেনা, স্থানীয় উদ্ধারকারী দলের অন্তত ৪০০ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। আটটি এক্সকাভেটর ও ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। গেল ডিসেম্বরে মারাপি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে ২০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে।

শীতল লাভা, লাহার নামেও পরিচিত। এটি বৃষ্টিতে আগ্নেয়গিরির ঢাল থেকে নেমে আসা এমন এক ধরনের উপাদান, যাতে ছাই, বালি ও নুড়ি পাথর মিশ্রিত থাকে। বৃষ্টিতে পথঘাট কাদার নদীতে পরিণত হয়েছে, যানবাহন ভেসে গেছে, বাড়িঘরসহ বিভিন্ন ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, বর্ষাকালে ইন্দোনেশিয়া ভূমিধস ও বন্যার ঝুঁকিতে থাকে। ২০২২ সালে বন্যার কারণে সুমাত্রা থেকে ২৪ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। তখন দুই শিশুর প্রাণহানিও ঘটে। পরিবেশবাদীরা এসব দুর্যোগের কারণ হিসেবে গাছ কেটে বন উজাড়কে দায়ী করে থাকেন।


মালয়েশিয়ায় পাসপোর্ট জালিয়াতি চক্রের বাংলাদেশি হোতা গ্রেপ্তার

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মালয়েশিয়ায় জাল পাসপোর্ট বানিয়ে বিক্রি করার একটি চক্র ধরা পড়েছে। দেশটির অভিবাসন বিভাগ জানিয়েছে, চক্রটির মূল হোতা অফু ভাই নামে ৩৮ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি। চক্রটি জাল পাসপোর্ট বানিয়ে অনিবন্ধিত অভিবাসীদের কাছে বিক্রি করত। মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম দ্য স্টারের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক রুসলিন জউশ জানিয়েছেন, গত শুক্রবার কাজাংয়ে অভিযান চালিয়ে চক্রটির মূল হোতা অফু ভাইসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বলেন, ‘একজন ৩৮ বছর বয়সী সন্দেহভাজন বাংলাদেশি- যিনি অফু ভাই নামে পরিচিত। তাকে মূল হোতা বলে মনে করছি আমরা।’

আজ সোমবার মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রুসলিন জউশ বলেন, ‘এ ছাড়া গ্রেপ্তারকৃত এক ফিলিপিনো নারীকে তার সহকারী বলে মনে করা হচ্ছে।’

তিনি জানান, অভিযান চালানোর সময় লক্ষ করা যায়, বেশ কয়েকজন বিদেশি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে জানা যায়, তারা চক্রটির কাছ থেকে জাল পাসপোর্ট কিনেছিলেন।

তদন্তে দেখা গেছে, চক্রটি মূলত পুরোনো মেয়াদোত্তীর্ণ আসল পাসপোর্টে বিভিন্ন ব্যক্তির তথ্য জালিয়াতি করে নতুন পাতা যুক্ত করত। রুসলিন জউশ বলেন, ‘পাসপোর্টগুলো আসলই, তবে এতে জাল তথ্য যোগ করা হতো। চক্রটি এসব পাসপোর্টে নতুন করে একটি প্রথম পাতা যুক্ত করত, যেখানে ব্যক্তির সব বিবরণ, যেমন- বাড়ির ঠিকানা, পুরো নাম এবং পাসপোর্টের নম্বর থাকে।’

অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক জানান, চক্রটি পাসপোর্টের পুরোনো সংস্করণ ব্যবহার করে। এসব পাসপোর্ট পলিকার্বোনেট কাগজ ব্যবহার করে তৈরি করা হয় না, যার ফলে এগুলোতে পাতা পরিবর্তন করা সহজ। তিনি জানান, একেকটি পাসপোর্ট জালিয়াতি করতে এক থেকে দেড় হাজার রিঙ্গিত খরচ হতো।

অভিবাসন বিভাগের কর্মকর্তাদের অনুমান, চক্রটি প্রায় দুই বছর ধরে সক্রিয় ছিল। দুই আসামিকে ১৪ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে এবং এই চক্রে অন্য কেউ যুক্ত ছিল কি না তা জানার চেষ্টা চলছে। রুসলিন জউশ বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি যে, আরও কয়েকজন এই চক্রের সঙ্গে জড়িত।’


নতুন রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেলোসভ

আন্দ্রেই বেলোসভ
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী সের্গেই শোইগুকে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছেন। একযুগ পর শোইগুকে সরিয়ে দেওয়া হলো। দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা আন্দ্রেই বেলোসভ নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। খবর- বিবিসির।

সের্গেই শোইগু ২০১২ সাল থেকে একটানা দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। তাকে এই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান নিযুক্ত করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে ক্রেমলিন। রাশিয়ার বর্তমান প্রতিরক্ষামন্ত্রী শোইগুর স্থলাভিসিক্ত হওয়া বেলোসভ একজন অর্থনীতিবিদ, যার সামান্য সামরিক অভিজ্ঞতাও রয়েছে। কাজেই এমন একজন ব্যক্তিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী করার কথা শুনে হয়তো অনেকে অবাক হতে পারেন। তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, রুশ প্রসিডেন্টের পুতিনের এই পদক্ষেপটি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, রাশিয়ার অর্থনীতিকে তিনি তার যুদ্ধ প্রচেষ্টার সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত করতে চাচ্ছেন।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ‘উদ্ভাবনের’ দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই একজন বেসামরিক ব্যক্তিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, জিডিপির একটি বড় অঙ্ক সামরিক খাতে ব্যয়ে শুরু করার পর রাশিয়া অনেকটা ১৯৮০ সালের মাঝামাঝি সময়ের সোভিয়েত ইউনিয়নের মতো হয়ে উঠেছিল। কাজেই সামরিক ব্যয়কে রাশিয়ার সামগ্রিক অর্থনীতির সঙ্গে আরও ভালভাবে সংহত করার বিষয়টি নিশ্চিত করার দরকার বলে মনে করেন তিনি।

‘আর যে ব্যক্তি উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে বেশি খোলামনের, তিনিই যুদ্ধক্ষেত্রে বিজয়ী হবেন,’ বলেন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। বিবিসি রাশিয়ার সম্পাদক স্টিভ রোজেনবার্গ বলেন, শোইগুর জায়গায় নতুন কেউ আসার বিষয়টি তেমন আশ্চর্য হওয়ার মতো কোনো কিছু নয়। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে শোইগুর অবস্থান বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছে। এমনকি এটাও শোনা যাচ্ছিলো যে, তাকে পদচ্যুত করানো হতে পারে।

বস্তুত রাশিয়ার ইউক্রেন অভিযানে সামরিক বিপর্যয় এবং শক্তি ও সম্পদের বড় ধরনের ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে, যার জন্য শোইগুকে অনেকটাই দায়ী করে থাকেন। এক্ষেত্রে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে একজন অর্থনীতিবিদ থাকাটা ক্রেমলিনের পরিবর্তিত অগ্রাধিকার নীতিরই প্রতিফলিত বলে মনে করছেন রোজেনবার্গ। কেননা রাশিয়ার অর্থনীতি এখন যুদ্ধকালে পার করছে। তাই যুদ্ধের অর্থায়নের জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের যথেষ্ট অর্থ থাকা অত্যাবশ্যক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রুশ সরকারের সরকারি এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে স্বাধীন রুশ ওয়েবসাইট দ্য বেল বলেছে, বেলোসভকে ‘রাষ্ট্রের একজন কঠোর রক্ষক হিসেবে দেখা হয়, যিনি বিশ্বাস করেন যে, রাশিয়া শত্রু দিয়ে ঘেরা’।

বিষয়:

ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীদের ওয়াক আউট

ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ চলছে। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হওয়া এই ছাত্রবিক্ষোভ দেশটির শতাধিক ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়ে। দিন যত যাচ্ছে দেশিটিতে ততই বাড়ছে গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনবিরোধী বিক্ষোভ। এবার যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান থেকে ওয়াকআউট করেছে বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থী। গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে স্থানীয় সময় শনিবার বিক্ষোভ করেছেন ওই শিক্ষার্থীরা। এরপর অনুষ্ঠানস্থল থেকে বেরিয়ে যান তারা। খবর- বিবিসি।

ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের রিচমন্ডে ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানীয় সময় শনিবার চলছিল স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে যখন ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের গভর্নর বক্তব্য দিচ্ছিলেন ঠিক তখনই বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা অনুষ্ঠান ছেড়ে বেরিয়ে যান। বক্তব্যে গভর্নর ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনপন্থি ছাত্রবিক্ষোভ নিয়েই কথা বলছিলেন।

ইতোমধ্যে অনুষ্ঠানে বিক্ষোভের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা গেছে, মঞ্চে রিপাবলিকান গভর্নর গ্লেন ইয়ংকিন বক্তব্য শুরু করার পরপরই গাউন-ক্যাপ পরা কিছু শিক্ষার্থী অনুষ্ঠানস্থল থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন।

এ সময় ভিডিওতে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ‘প্রকাশ কর, বর্জন কর-আমরা থামব না, আমরা বিশ্রাম নেব না’ বলে স্লোগান দিতে দেখা গেছে। এ বছরের স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তা হিসেবে গভর্নর গ্লেনকে আমন্ত্রণ জানানোর সমালোচনা করেন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী।

প্রসঙ্গত, গত মাস থেকেই ইসরায়েলবিরোধী আন্দোলনে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ১৫০ এরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়। এরই মধ্যে ঘনিয়ে আসে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠানের সময়। আর তাই নিরাপত্তাজনিত কারণে এবং বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা অনাকাক্সিক্ষত কিছু করতে পারেন, এমন আশঙ্কায় কয়েক ডজন ক্যাম্পাসে এই আয়োজন বন্ধ করা হয়েছে। গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রবিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত দুই হাজারের বেশি বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে।

ক্যাম্পাসগুলোয় বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা দাবি জানাচ্ছেন, যেন বড় বড় অনুদানে চলা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্তৃপক্ষ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে এবং গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ দেয়। এর আগে গত ২৯ এপ্রিল ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দেয় পুলিশ। ওই সময় ১৩ জনকে আটক করা হয়। তাঁদের মধ্যে ছয়জন শিক্ষার্থী।


আফগানিস্তানে বন্যা, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩১৫  

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

আফগানিস্তানের বাগলান প্রদেশে প্রবল বৃষ্টিতে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় প্রাণহানির সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়েছে। আফগান শরণার্থীবিষয়ক মন্ত্রণালয় আজ রোববার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। তারা বলেছে, ভয়াবহ বন্যায় বাগলানে ৩১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই বন্যার কারণে ১ হাজার ৬৩০ জন আহত হয়েছেন।

আফগান মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছেন শেখ জালাল গ্রাম এবং সাল শহরের বাসিন্দারা। আকস্মিক এ বন্যায় ২ হাজার ৬৬৫টি বাড়ি পুরোপুরি অথবা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া বন্যার কারণে ১ হাজার গৃহপালিত পশুপাখির সলিল সমাধি হয়েছে। বিভিন্ন স্থান থেকে বেসামরিক নাগরিক আটকে পড়ার খবর আসার পর উদ্ধার কাজে সহায়তার জন্য হেলিকপ্টার পাঠায় তালেবান সরকার।

দেশটির প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার প্রধান কর্মকর্তা হেদায়াতুল্লাহ হামদার্দ জানিয়েছেন, মৌসুমি ভারী বৃষ্টিপাতের কারণেই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতি হতে পারে এ বিষয়ে স্থানীয় লোকজন আগে থেকে প্রস্তুত ছিল না।

বাগলান প্রদেশে গত শুক্রবার রাতে অস্বাভাবিক ভারী বৃষ্টিপাত হয়। এরপর সেখানে আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবারের এ বৃষ্টিতে বাদাকশান প্রদেশ, মধ্যাঞ্চলের ঘোর প্রদেশ এবং পশ্চিমাঞ্চলের হেরাতেও বিভিন্ন অবকাঠামো ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে। আফগানিস্তানে গত শীত মৌসুমটি শুষ্ক ছিল। ফলে সেখানে যে পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে এই বৃষ্টি মাটি শুষে নিতে পারছে না। দেশটি জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপক হুমকিতে ছিল। যার ফলাফল এখন বাস্তবে দেখা যাচ্ছে।

আফগানিস্তান পৃথিবীর অন্যতম একটি গরিব দেশ। বিজ্ঞানীদের মতে, এমন বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য দেশটি প্রস্তুত নয়। গত চার দশক আফগানিস্তানে যুদ্ধ-বিগ্রহ লেগে ছিল। এ কারণে দেশটির অর্থনীতি অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেকটাই দুর্বল।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, বন্যায় অসংখ্য মানুষ গৃহহীন হয়েছে পড়েছেন। ভেঙে পড়েছে যাতায়াত ব্যবস্থাও। তাছাড়া পানি সরবরাহ ব্যবস্থায়ও মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আফগানিস্তান অফিস জানিয়েছে, বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক। ঘটছে হতাহতের ঘটনাও।

বিষয়:

এভারেস্টে আরোহীর সংখ্যা কমানোর নির্দেশ

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

নেপাল সরকারকে এভারেস্ট পর্বত ও অন্যান্য পর্বতশৃঙ্গ আরোহণে অনুমতির সংখ্যা কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। এপ্রিলের শেষদিকে এই রায় জারি করা হলেও এটির সারসংক্ষেপ প্রকাশ করা হয়েছে এই সপ্তাহে। খবর এএফপি ও ফ্রান্স২৪-এর।

দীপক বিক্রম মিশ্র নামে দেশটির এক আইনজীবী আদালতে এ সংক্রান্ত একটি পিটিশন মামলা দায়ের করলে আদালত সম্প্রতি এ আদেশ দেন। আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, পাহাড়ের ধারণক্ষমতাকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত ও প্রতি বছর সর্বোচ্চ কতজনকে আরোহণের অনুমতি দেওয়া হবে, তা নির্ধারণ করে দেওয়া উচিত।

বিশ্বের ১০টি সর্বোচ্চ শৃঙ্গের মধ্যে ৮টিই রয়েছে হিমালয়ের দেশ নেপালে। নেপাল সরকার প্রতি বছরের বসন্তে বিশ্বের শত শত অভিযাত্রীকে এসব শৃঙ্গ আরোহণের জন্য স্বাগত জানায়। বছরের এই সময়টাতে হিমালয়ের তাপমাত্রা তুলনামূলক উষ্ণ ও বাতাস শান্ত থাকে।

জানা গেছে, পর্বতারোহীর সংখ্যা কমানোর জন্য আদালতে আবেদন করেছিলেন আইনজীবী দীপক বিক্রম মিশ্র। তিনি এএফপিকে বলেছেন, ‘হিমালয়কে আমরা খুব বেশি চাপ দিচ্ছি, এটিকে কিছুটা অবকাশ দেওয়া দরকার’।

আদালত নেপালের পাহাড় ও পরিবেশ সম্পর্কে জনসাধারণের উদ্বেগকে শ্রদ্ধা জানিয়ে পর্বতারোহীদের সংখ্যা সীমাবদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি পর্বতাঞ্চলের পরিবেশ সংরক্ষণের জন্যও ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

দীপক মিশ্র আরও বলেন, আদালত জরুরি উদ্ধার অভিযানে হেলিকপ্টার ব্যবহারের ওপরেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হেলিকপ্টারগুলো পর্বতারোহীর দলগুলোকে বেস ক্যাম্পে ও বিপজ্জনক জায়গায় আটকে পড়াদের উদ্ধারের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছিল।

নেপাল বর্তমানে যেসব আরোহী ১১ হাজার মার্কিন ডলার দিতে পারেন তাদের সবাইকেই এভারেস্টে আরোহণ করার অনুমতি দেয়। গত বছর দেশটি এভারেস্টের জন্য ৪৭৮টি অনুমতি দিয়েছিল, যা রেকর্ড পরিমাণ। এ বছর এখন পর্যন্ত ৯৪৫ জন পর্বতারোহীকে অনুমতি দিয়েছে নেপাল, যার মধ্যে ৪০৩ জন অভিযানে রয়েছেন।

নেপাল মাউন্টেনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নিমা নুরু শেরপা বলেছেন, স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে যথাযথ আলোচনা ও পরামর্শের পর আদালতের রায় কার্যকরে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার। আরোহীদের সংখ্যা কমে গেলে এই খাতে কেমন প্রভাব পড়বে, তা এখনো পরিষ্কার নয়। আমরা জানি না, কিসের ভিত্তিতে সীমা নির্ধারণ করা হবে ও কীভাবে সেই সীমা আরোহীদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে।


banner close