বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪

ডিসিদের প্রধানমন্ত্রীর ২৫ নির্দেশনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। ছবি: ফোকাস বাংলা
আপডেটেড
২৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৮:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ২৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ১১:৪৮

বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে, কৃত্রিম সংকট রোধ ও পণ্যমূল্য স্বাভাবিক রাখতে বাজার মনিটরিং কার্যক্রম জোরদারে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে এবং এ বিষয়ে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার তাগিদ দিয়েছেন সরকারপ্রধান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহার, গুজব ইত্যাদি রোধে উদ্যোগ নেয়ার নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী সরকারি তহবিল ব্যবহারে কৃচ্ছ্রসাধনের কথাও বলেছেন প্রশাসনের কর্মকর্তাদের।

মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ের শাপলা হলে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমন ২৫টি নির্দেশনা দিয়েছেন।

বিগত ১৪ বছরে বাংলাদেশের এক অভূতপূর্ব রূপান্তর ঘটেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আর্থসামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বে ‘উন্নয়ন বিস্ময়’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। বিগত ১৪ বছরে মাথাপিছু আয় ৫৪৩ ডলার থেকে বেড়ে ২ হাজার ৮২৪ ডলারে দাঁড়িয়েছে। জিডিপির আকার মাত্র ৭০ বিলিয়ন থেকে ৪৬৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। করোনাভাইরাস মহামারির আগে আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ। মহামারি আঘাত হানার পর তা কিছুটা শ্লথ হলেও বর্তমানে তা ক্রমাগতভাবে আগের ধারায় ফিরে আসছে।’

করোনাভাইরাস ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ২০২১-২২ অর্থবছরে বিদেশ থেকে আসা অর্থের প্রবাহকে প্রভাবিত করেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০২১-২২ অর্থবছরে রপ্তানি এবং বৈদেশিক বিনিয়োগের পরিমাণ পূর্ববর্তী অর্থবছরের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৬০ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার এবং ৩ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলারে।’

জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সফলভাবে করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলার কথা উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘করোনার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ২০২২ সালে শুরু হয়েছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং অবরোধ ও পাল্টা অবরোধ। এই যুদ্ধের ফলে বিশ্বব্যাপী জ্বালানিসহ দ্রব্যমূল্যের মূল্য অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। শুধু আমাদের মত দেশ না, উন্নত দেশগুলোও এ পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে অপ্রয়োজনীয় আমদানি পরিহার, ব্যয় সঙ্কোচন, আর্থিক খাতে মনিটরিং জোরদার করে আমরা আগে থেকেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি, যেন কোনোভাবেই দেশের মানুষের কষ্ট না হয়।’

এ সময় পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, ১০০ মহাসড়কের উদ্বোধন, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল এবং কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরণের কাজের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সরকারপ্রধান বলেন, ‘জনগণের ট্যাক্সের পয়সায় আপনাদের বেতন-ভাতা হয়। জনগণ ট্যাক্স দেয় সেবা পাওয়ার জন্য। সেবা দেয়া প্রতিটি সরকারি কর্মচারীর দায়িত্ব। সে জন্য সেবার মনোভাব নিয়ে সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল থাকলে আপনাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে।’

মানুষের কল্যাণে সব প্রকার ভয়-ভীতি ও প্রলোভনের ঊর্ধ্বে থেকে আইনানুগ দায়িত্ব পালন করারও নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর ২৫ নির্দেশনা
তিনি প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বলেন, বহুবিধ কাজের মধ্যে কিছু বিষয়ের প্রতি আমি বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখার জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

১. খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে হবে। পতিত জমিতে ফসল ফলাতে হবে। কোনো জমি যেন অনাবাদি না থাকে সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।
২. নিজেরা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে এবং জনগণকে এ ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
৩. সরকারি অফিসগুলোতে সাধারণ মানুষ যেন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বিঘ্নে যথাযথ সেবা পায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। সেবাপ্রত্যাশীদের সন্তুষ্টি অর্জনই যেন হয় সরকারি কর্মচারীদের ব্রত।
৪. সরকারি তহবিল ব্যবহারে কৃচ্ছ্রসাধন করতে হবে।
৫. এসডিজি স্থানীয়করণের আওতায় নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রাগুলো অর্জনে তৎপরতা জোরদার করতে হবে।
৬. দেশে একজনও ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না। গৃহহীনদের জন্য গৃহনির্মাণ, ভূমিহীনদের কৃষি খাসজমি বন্দোবস্তসহ সব সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে যেন প্রকৃত অসহায়, দুস্থ ও সুবিধাবঞ্চিত প্রান্তিক শ্রেণির মানুষ সুযোগ পায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। জমি ও ঘর প্রদানের পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগও সৃষ্টি করতে হবে।
৭. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর পাঠদান কার্যক্রমের মানোন্নয়নে উদ্যোগী হতে হবে। অপেক্ষাকৃত দুর্গম এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে।
৮. কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্রগুলো যেন কার্যকর থাকেম তা প্রতিনিয়ত তত্ত্বাবধান করতে হবে।
৯. শিশু-কিশোরদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের লক্ষ্যে তাদের জন্য প্রত্যেক এলাকায় সৃজনশীল চর্চা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও ক্রীড়া সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
১০. নাগরিকদের সুস্থ জীবনাচারের জন্য জেলা ও উপজেলায় পার্ক, খেলার মাঠ প্রভৃতির সংরক্ষণ এবং নতুন পার্ক ও খেলার মাঠ তৈরির উদ্যোগ নিতে হবে।
১১. পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে উচ্চপ্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ শ্রমশক্তি গড়ে তুলতে কাজ করতে হবে।
১২. সরকারি দপ্তরগুলোর ওয়েবসাইট নিয়মিত হালনাগাদ করতে হবে। নিজ নিজ জেলার সরকারের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সাফল্য ওয়েবসাইটে তুলে ধরতে হবে।
১৩. জনসাধারণের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি ও ইন্টারনেটের নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিতকরণে কাজ করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহার, গুজব ইত্যাদি রোধে উদ্যোগ নিতে হবে।
১৪. আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যেন কোনোভাবেই অবনতি না হয় সে লক্ষ্যে নজরদারি জোরদার করতে হবে।
১৫. মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে কেউ যেন সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে না পারে সে বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।
১৬. মাদক, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দূর করতে হবে। নিরীহ ধর্মপ্রাণ মানুষ যেন জঙ্গিবাদে জড়িত না হয় সে জন্য সচেতনতা তৈরির উদ্যোগ নিতে হবে। যুবসমাজকে মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ থেকে মুক্ত রাখতে হবে।
১৭. বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং, খাদ্যে ভেজাল, নকলপণ্য তৈরি ইত্যাদি অপরাধ প্রতিরোধে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে হবে।
১৮. বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে, কৃত্রিম সংকট রোধ ও পণ্যমূল্য স্বাভাবিক রাখতে বাজার মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করতে হবে।
১৯ সরকারি জমি, নদী, বনভূমি, পাহাড়, প্রাকৃতিক জলাশয় প্রভৃতি রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকরণের উদ্দেশ্যে নতুন সরকারি প্রতিষ্ঠান স্থাপনে ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণকে প্রাধান্য দিতে হবে।
২০. নিয়মিত নদী ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নাব্য বৃদ্ধি করতে হবে। স্লুইচ গেট বা অন্য কোনো কারণে যেন জলাবদ্ধতার সৃষ্টি না হয় সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। বিশেষ করে জলাবদ্ধতার জন্য যেন উৎপাদন ব্যাহত না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।
২১. বজ্রপাতপ্রবণ এলাকায় তালগাছ রোপণ করতে হবে।
২২. পর্যটনশিল্পের বিকাশ এবং রক্ষণাবেক্ষণে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে। নতুন নতুন পর্যটন স্পট গড়ে তুলতে হবে।
২৩. জেলার নিজস্ব ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রক্ষা এবং জেলাভিত্তিক বিখ্যাত পণ্যগুলোর প্রচার, বিপণন এবং ব্র্যান্ডিং করতে হবে।
২৪ জনস্বার্থকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে রেখে সেবার মনোভাব নিয়ে যেন সরকারি দপ্তরগুলো পরিচালিত হয়, সেলক্ষ্যে মনিটরিং জোরদার করতে হবে।
২৫. জেলার সব সরকারি দপ্তরের কার্যক্রমগুলো যথাযথ সমন্বয়ের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ তথা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আপনাদের ব্রতী হতে হবে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। আরও বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।

অনুষ্ঠানে রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার জি এস এম জাফরুল্লাহ বিভাগীয় কমিশনারদের পক্ষে এবং নরসিংদীর জেলা প্রশাসক আবু নাঈম মোহাম্মদ মারুফ খান ও বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াসমিন পারভিন তিবরিজি জেলা প্রশাসকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে স্থানীয় প্রশাসনের সার্বিক উন্নয়নের ওপর একটি ভিডিও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।


আ.লীগ নেতা তপনের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ

আপডেটেড ২৩ মে, ২০২৪ ০০:০২
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ২৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি রুহুল কুদ্দুস তপনের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ বৃহস্পতিবার। ২০২০ সালের ২৩ মে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৫৪ বছর বয়সে তিনি ইন্তেকাল করেন। সে সময় সরকারি ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়ে তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। পরে রিজেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পর রুহুল কুদ্দুস তপন ছাত্রলীগের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন। তার পিতা নজরুল ইসলাম ও ছোট চাচা রফিকুল ইসলাম স্বাধীনতা-পরবর্তী শেখ ফজলুল হক মণির সঙ্গে রাজনীতি করতেন এবং শেখ মণির ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন। তপনের বড় ভাই ‘দৈনিক খবর’-এ কর্মরত সিনিয়র সাংবাদিক ইব্রাহিম খলিল খোকন বর্তমানে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি ও জাতীয় প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য। এ ছাড়া তিনি একজন নাট্যশিল্পী হিসেবেও পরিচিত মুখ।

তেজগাঁওয়ের রাজনীতিতে রুহুল কুদ্দুস তপন একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান আওয়ামী লীগ নেতা ছিলেন। ঢাকার দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ রহিম মেটাল জামে মসজিদ নির্মাণে তপন অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। এ ছাড়া মসজিদ সংলগ্ন মাদ্রাসা ও কবরস্থান উন্নয়নের কাজ তার হাত ধরেই হয়েছিল।


দেশে আমনের উৎপাদন বাড়াতে ৪০ কোটি টাকার প্রণোদনা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

চলতি বছর দেশে রোপা আমন ধানের আবাদ ও উৎপাদন বাড়াতে ৪০ কোটি ৪ লাখ টাকার প্রণোদনা দেওয়া হবে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত বাজেট কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা এবং বীজ ও চারা খাত থেকে এ প্রণোদনা প্রদান করা হচ্ছে। এ সংক্রান্ত সরকারি আদেশ ইতোমধ্যে জারি হয়েছে বলে আজ বুধবার কৃষি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

দেশের ৬১টি জেলার ৫ লাখ ৬৬ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক এ প্রণোদনার আওতায় বিনামূল্যে বীজ ও সার পাবেন। মাঠপর্যায়ে শিগগিরই এসব প্রণোদনা বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে। এ প্রণোদনার আওতায় একজন কৃষক এক বিঘা জমিতে চাষের জন্য রোপা আমন ধানের উচ্চফলনশীল (উফশী) জাতের প্রয়োজনীয় ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার বিনামূল্যে পাবেন বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়।


তদারকির অভাবে সুন্দরবন পুড়ে ছাই হচ্ছে: বাপা

২২ বছরে আগুন লেগেছে ৩২ বার
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল সুন্দরবনে গত ২২ বছরে সুন্দরবনে ৩২ বার আগুন লেগেছে। পুড়েছে একশ একরের বেশি বনভূমি। কঠোর মনিটরিংয়ের অভাবে সুন্দরবনে একের পর এক আগুন লাগছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)।

আজ বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি হলে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানান খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ডিসিপ্লিন বিভাগের অধ্যাপক ও বাপার জাতীয় কমিটির সদস্য ড. আবদুল্লাহ হারুন চৌধুরী।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ৪ মে বেলা ১১টায় পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের আমুরবুনিয়া টহল ফাঁড়ির লতিফের ছিলা এলাকায় আগুন লেগে বন বিভাগের হিসেবেই পুড়ে যায় ৭ দশমিক ৯ একর বনভূমি। সুন্দরবন রক্ষায় সবাইকে সচেতন হওয়ার কথা বলা হয়।

ড. আবদুল্লাহ হারুন চৌধুরী বলেন, ‘বনে লাগা আগুনে প্রাণীদের আবাস ও প্রজননস্থল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বন্যপ্রাণীরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। বনের প্রাণ-প্রকৃতির শৃঙ্খলা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রভাব পড়ছে বনের প্রাণীদের খাদ্যচক্রে। আগুনে চরম আঘাত আসে সুন্দরবনের বাস্তুতন্ত্রের ওপর। তাই সুন্দরবন রক্ষায় আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে।’

বাপার কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক মো. নূর আলম শেখ বলেন, ‘সুন্দরবনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা মানবসৃষ্ট এবং পরিকল্পিত। অগ্নিকাণ্ডের এ সব ঘটনায় বনবিভাগ কোনোভাবেই দায় এড়াতে পারে না।’ বাপার যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার বা বাংলাদেশের ফুসফুসখ্যাত সুন্দরবন আজ ধ্বংসের মুখে। বারবার বনে আগুন লাগছে। এর থেকে সুন্দরবনকে ঠিক রাখতে আমাদের সঠিক কারণ নির্ধারণ করতে হবে। সুন্দরবনকে বিজ্ঞানীদের জন্য সহজ করতে হবে আর দুষ্কৃতকারীদের জন্য করতে হবে দুর্গম।’

এ সময় সুন্দরবনের অগ্নিকাণ্ড বন্ধে ১৫টি সুপারিশ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন– বাপার সহ-সভাপতি মহিদুল হক, কোষাধ্যক্ষ জাকির হোসেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল কাদের প্রমুখ।


জিয়াউর রহমান কাকুতি মিনতি করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) যখন গঠিত হয়, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়া তখন কাকুতি মিনতি করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। এ সময় তিনি বিএনপি এ বিষয় নিয়ে বড় বড় কথা বলছেন বলেও উল্লেখ করেন।

আজ বুধবার দিনাজপুর সার্কিট হাউজে দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এসব কথা বলেন।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের এই দলের জন্মই হয়েছিল আমাদের স্বাধীনতাকে হত্যা করার জন্য। সে জন্যই তিনি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী ও যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযম, নিজামীদের আশ্রয় দিয়েছিলেন। পঁচাত্তর-পরবর্তী সময়ে খুনি ডালিম রশিদদের পুরস্কৃত করেছিলেন।’

তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান চেয়েছিলেন আওয়ামী লীগ দলটিকে নিশ্চিহ্ন করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে। কিন্তু আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসার পর আমরা একটি প্রত্যয় দেখতে পেলাম। আমরা তাঁর পেছনে গিয়ে দাঁড়ালাম। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা ঘুরে দাঁড়ালাম।’

মন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫-পরবর্তী সময়ে জেনারেল জিয়া বিরাজনীতিকরণের ধারার সূচনা করেছিলেন। স্বাধীনতা বিরোধীদের পুনর্বাসন করেছিলেন। সেই দিনে আর ফিরে যেতে দেওয়া যাবে না। এ দেশে সরকারে থাকবে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি, বিরোধী দলেও থাকবে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি। বঙ্গবন্ধুর অনুসারীরাই দেশের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করবে। পাট উৎপাদন ও পাটের বস্তাসহ অন্যান্য পাটপণ্য ব্যবহার বৃদ্ধি করা হবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, এখানে একটি টেক্সটাইল মিলের ৩৬.৭৪ একর জমি পড়ে আছে। এটাকে ফেলে রাখা হবে না। এটা নিয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ এবং দিনাজপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিম, দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য জাকারিয়া জাকা, সাবেক সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাবুজ্জামান মিতা।


কলকাতায় বাংলাদেশি এমপি খুন: যা বলছে ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতে চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিখোঁজ ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার খুন হয়েছেন। তাকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এ ঘটনায় দেশে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।

যদিও কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে গুরুত্বের সঙ্গে প্রচার করা হচ্ছে এ খবর।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কলকাতায় বাংলাদেশি এমপি নিখোঁজ। পুলিশের সন্দেহ, তিনি খুন হয়েছেন।

বাংলাদেশি মিডিয়ার বরাতে ডেকান হেরাল্ড বলেছে, আট দিন ধরে নিখোঁজ বাংলাদেশি এমপির খণ্ড-বিখণ্ড দেহ মিলল কলকাতায়।

আউটলুক ইন্ডিয়া তাদের প্রতিবেদনে শিরোনাম করেছে, পশ্চিমবঙ্গে নিখোঁজ বাংলাদেশি এমপি। পুলিশের সন্দেহ, উদ্ধার খণ্ড-বিখণ্ড মরদেহ তারই।
ফার্স্টপোস্টের খবরের শিরোনাম, কলকাতায় মরদেহ উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশি এমপি কি খুন হয়েছেন?

কলকাতাভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের খবরে বলা হয়েছে, ‘নিউটাউনে ‘খুন’ বাংলাদেশের সংসদ সদস্য! ঘনাচ্ছে রহস্য, তদন্তে পুলিশ।’

এবিপির খবরে শিরোনাম করা হয়েছে, বাংলাদেশের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার কলকাতায় ‘খুন’, পুলিশ বলছে দেহ পাওয়া যায়নি; ৩ আটক।

বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে জি নিউজের খবরে বলা হয়েছে, কলকাতায় নিখোঁজ বাংলাদেশি এমপি খুন।

আজতক জানিয়েছে, কলকাতায় রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ বাংলাদেশের সংসদ সদস্য। তাকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও এখনো দেহ উদ্ধার করা হয়নি।

দেশটির আরেক গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, ভারতে চিকিৎসা করাতে এসে নিখোঁজ হয়েছিলেন বাংলাদেশের ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম। অবশেষে নিউটাউন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হলো। এর আগে সংসদ সদস্য কন্যা মমতারিন ফেরদৌস ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের দপ্তরে গিয়ে বাবার নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ জানিয়েছিলেন রোববার। এরপর প্রায় এক সপ্তাহ নিখোঁজ থাকার পর অবশেষে উদ্ধার হলো বাংলাদেশি সংসদ সদস্যের মৃতদেহ।
প্র
তিবেদনে আরও বলা হয়, নিউটাউনের অভিজাত আবাসন থেকে উদ্ধার হয়েছে আনোয়ারুল আজিমের মৃতদেহ।


তিতাসের ১৪ নম্বর কূপ থেকে পরীক্ষামূলক গ্যাস উত্তোলন শুরু

 ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ১৪ নম্বর কূপের ওয়ার্কওভার কাজ শেষে পরীক্ষামূলকভাবে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে এই কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু সম্ভব হয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। আজ বুধবার দুপুরে গ্যাস কূপ ওয়ার্কওভার প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ ইসমাঈল মোল্লা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) কূপটির ওয়ার্কওভার কাজ সম্পন্ন করেছে। এ কূপটি থেকে প্রতিদিন ১৩-১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল) কর্তৃপক্ষ।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল-বিশ্বরোড মোড়ে অবস্থিত দৈনিক ২৯ দশমিক ৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ১৪ নম্বর কূপটি ২০০ সালে খনন করা হয়। তবে গ্যাসের সঙ্গে অতিমাত্রায় পানি ওঠায় ২০২১ সালের পহেলা নভেম্বর থেকে কূপটি বন্ধ ঘোষণা করে গ্যাস ফিল্ড কর্তৃপক্ষ। চলতি বছর বিজিএফসিএল পরিচালিত তিতাস, হবিগঞ্জ, বাখরাবাদ ও মেঘনা গ্যাস ফিল্ডের বন্ধ থাকা ৭টি কূপের ওয়ার্কওভারে ৫২৩ কোটি টাকা ব্যায়ে একটি প্রকল্প হাতে নেয় কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ৪টি কূপের ওয়ার্কওভার কাজ করবে বাপেক্স। বাকি ৩টির কাজ দেওয়া হচ্ছে বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে।

গত ১৯ মার্চ তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ১৪ নম্বর কূপের ওয়ার্কওভার কাজ শুরু করে বাপেক্স। যা চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে শেষ হয়। এরপর গতকাল থেকে পরীক্ষামূলকভাবে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয় কূপ থেকে। প্রতিদিন এ কূপ থেকে ১৩-১৫ মিলিয়নঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হওয়ার আশা সংশ্লিষ্টদের।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গ্যাস কূপ ওয়ার্কওভার প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ ইসমাঈল মোল্লা জানান, ১৪ নম্বর কূপটি থেকে পরীক্ষামূলকভাবে গ্যাস উত্তোলন করা হয়েছে। তবে এখনও প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নীরিক্ষা চলছে। ফলে পুরোদমে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়নি। আশা করা হচ্ছে আগামী দুই থেকে তিনদিনের মধ্যে কূপটি থেকে গ্যাস উৎপাদনে যাওয়া যাবে।


এপ্রিলে দেশে ৭৩৩ দুর্ঘটনায় নিহত ৭৬৩

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

গত এপ্রিল মাসে দেশের গণমাধ্যমে সড়ক, রেল ও নৌপথে মোট ৭৩৩টি দুর্ঘটনায় ৭৬৩ জন নিহত এবং ২ হাজার ৪৭২ জন আহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।

এর মধ্যে রেলপথে ৪৪টি দুর্ঘটনায় ৪৭ জন নিহত এবং ৩৬ জন আহত; নৌপথে ছয়টি দুর্ঘটনায় আটজন নিহত, ১০ জন আহত ও একজন নিখোঁজসহ ৬৮৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭০৮ জন নিহত এবং ২ হাজার ৪২৬ জন আহত হন।

আজ বুধবার বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। সংগঠনটির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ প্রতিবেদন তুলে ধরেন।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, এ সময়ে ৩০৫টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২৭৪ জন নিহত ও ৩২৮ জন আহত হয়েছেন। সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে ঢাকা বিভাগে- ১৫৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৭৯ জন নিহত ও ৩০৫ জন আহত হন। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে বরিশাল বিভাগে- ৩৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৩ জন নিহত ও ৪৮ জন আহত হয়েছেন।

সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ১০ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১৬৯ জন চালক, ৬৩ জন পথচারী, ৫৮ জন পরিবহন শ্রমিক, ৪৬ জন শিক্ষার্থী, ছয়জন শিক্ষক, ১১৯ জন নারী, ৬৭ জন শিশু, তিনজন সাংবাদিক, দুইজন চিকিৎসক, একজন আইনজীবী, তিনজন প্রকৌশলী এবং আটজন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীর পরিচয় মিলেছে। তাদের মধ্যে নিহত হয়েছেন একজন পুলিশ সদস্য, তিনজন সেনাবাহিনীর সদস্য, একজন সাংবাদিক, দুইজন চিকিৎসক, ১২৩ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ৫৮ জন পথচারী, ৯৩ জন নারী, ৪৯ জন শিশু, ৩৬ জন শিক্ষার্থী, ৩৩ জন পরিবহন শ্রমিক, ছয়জন শিক্ষক, তিনজন প্রকৌশলী ও আটজন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী।

এ সময় সড়ক দুর্ঘটনায় সংঘটিত ৯৮৮টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। তাতে দেখা যায়, ৩৪ দশমিক ৭১ শতাংশ মোটরসাইকেল, ১৭ দশমিক ৬১ শতাংশ ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ বাস, ১৩ দশমিক ১৫ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ নসিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৬ দশমিক ২৭ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের সদস্যরা বহুল প্রচারিত ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌপথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিংয়ের পাশাপাশি জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে (পঙ্গু হাসপাতাল) সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ১ হাজার ৩১৬ জনের মধ্যে যাচাই-বাছাই করে ১ হাজার ৯৬ জন আহত রোগীর তথ্য নিয়ে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে।


৬০ কোটি টাকা বাড়তি বরাদ্দের প্রস্তাব

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পাতালপথে দেশের প্রথম মেট্রোরেল ‘এমআরটি লাইন-১’ এর নির্মাণ কাজ চলমান। প্রকল্পের কাজ আরও এগিয়ে নিতে ৬০ কোটি ৬০ লাখ টাকা বাড়তি বরাদ্দের প্রস্তাব করেছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। এরই মধ্যে পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাবনা পাঠিয়েছে সংস্থাটি।

পরিকল্পনা কমিশন থেকে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে মোট বরাদ্দ ছিল এক হাজার ১৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আরএডিপিতে প্রস্তাবিত পুনর্নির্ধারিত বরাদ্দের আওতায় আরও ৬০ কোটি ৬০ লাখ টাকা চাওয়া হয়েছে। ফলে এই অর্থবছরে প্রকল্পের আওতায় এক হাজার ৭৯ কোটি ২৫ লাখ টাকা খরচ করা যাবে। এর ফলে প্রকল্পের কাজ আরও দৃশ্যমান হবে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।

ডিএমটিসিএল জানায়, ২০২৬ সালের মধ্যে আনুমানিক ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ব্যয়ে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর এবং পূর্বাচল থেকে নতুনবাজার পর্যন্ত মাটির নিচ দিয়ে ও এলিভেটেড উভয় সুবিধাসংবলিত এমআরটি লাইন-১ নির্মাণ করা হবে। ২০৩০ সাল নাগাদ রাজধানী ঢাকায় মোট ছয়টি মেট্রোরেল রুট উদ্বোধন করা হবে।

প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, এমআরটি লাইন-১ এর দুটি অংশ থাকবে। একটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত (বিমানবন্দর রুট) ১৯ দশমিক ৮৭২ কিলোমিটার অংশ। এটি হবে ভূগর্ভস্থ এবং এতে ১২টি স্টেশন থাকবে। অপর অংশটি নতুনবাজার থেকে প্রায় ১১ দশমিক ৩৭ কিলোমিটার এলিভেটেড লাইনসহ পূর্বাচল পর্যন্ত (পূর্বাচল রুট)। এতে সাতটি স্টেশন থাকবে।

এর আগে ২০১৯ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি ৪৩ লাখ টাকায় এমআরটি লাইন-১ প্রকল্প অনুমোদন দেয়।


পাহাড়-পর্বত রক্ষায় বিশ্ববাসীকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী

নেপালের কাঠমান্ডুর চন্দ্রগিরি হিল রিসোর্টে অনুষ্ঠানরত ইন্টারন্যাশনাল এক্সপার্ট ডায়লগ অন মাউন্টেইন, পিপল অ্যান্ড ক্লাইমেটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বুধবার ভাষণ দেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, পাহাড় সুস্থ থাকলে পৃথিবী সুস্থ থাকবে, তাই পাহাড় পর্বতকে ভালো রাখতে বিশ্ববাসীকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

আজ বুধবার নেপালের কাঠমান্ডুর চন্দ্রগিরি হিল রিসোর্টে অনুষ্ঠানরত ইন্টারন্যাশনাল এক্সপার্ট ডায়লগ অন মাউন্টেইন, পিপল অ্যান্ড ক্লাইমেটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘হিন্দুকুশ হিমালয় পর্বতমালা জলবায়ু পরিবর্তনের গ্রাউন্ড জিরো। যদি বুঝতে চান যে, পৃথিবীতে কী ঘটতে চলেছে, দেখতে হবে আজ হিমালয়ে কী ঘটছে। এটি কেবল পাহাড় নয়, সুপেয় পানির উৎস। হিমালয়ের সমস্ত হিমবাহ গলে গেলে আমরা কী করব? সুপেয় পানি না থাকলে বাংলাদেশের মানুষ বাঁচবে কী করে? তাই পাহাড় রক্ষায় বৈশ্বিক নেতৃত্বকে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস অব্যাহত রাখতে হবে।’

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, কার্বণ নিঃসরণ বন্ধ না করলে, অভিযোজন ও প্রশমন ব্যবস্থার ক্ষেত্রে আমরা যা কিছু করার চেষ্টা করি, তা যথেষ্ট হবে না। অভিযোজন ও স্থিতিস্থাপকতার সীমা রয়েছে। বাংলাদেশ ও নেপালের মতো দেশ আগামীকাল নেটজিরো অর্জন করলেও বৈশ্বিক নির্গমনে কোনও পার্থক্য ঘটবে না, কারণ জি-২০ দেশগুলি বিশ্বব্যাপী নির্গমনের ৮১ শতাংশের জন্য দায়ি।

মন্ত্রী বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজনে বাংলাদেশ প্রচুর ব্যয় করছে। উন্নত দেশগুলো জীবাশ্ম জ্বালানিতে বছরে সাত ট্রিলিয়ন ডলার ভর্তুকি দিতে পারে, কিন্তু জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনাগুলিতে অর্থায়ন করে না। এই ডাবল স্ট্যান্ডার্ড বন্ধ করতে হবে। আমাদের এখন দ্রুত পদক্ষেপ দরকার, এটা পৃথিবীর সমস্যা। বিশ্ব নেতাদের সদিচ্ছা প্রকাশ করতে হবে।’

সাবের চৌধুরী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমূদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে গেলে বাংলাদেশে লাখ লাখ বাস্তুচ্যুত হবে। লবণাক্ততার অনুপ্রবেশ আমাদের উৎপাদনশীলতাকে প্রভাবিত করছে। বাংলাদেশের উত্তরে হিমবাহ গলছে এবং দক্ষিণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে। আমরা খরা, বন্যাসহ জলবায়ু পরিবর্তনের সকল নেতিবাচক প্রভাব অনুভব করছি।

নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল, নেপাল সরকারের বন ও পরিবেশমন্ত্রী নওল কিশোর সাহ সুরির সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন। ভুটানের মন্ত্রী, ইউএনএফসিসিসি সাবসিডিয়ারি বডির চেয়ারম্যান নেপালে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী, কিরগিজস্তানের রাষ্ট্রপতির বিশেষ প্রতিনিধি এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের প্রতিনিধিবৃন্দ বক্তব্য দেন।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নেপাল সরকারের মুখ্য সচিব ড. বৈকুণ্ঠ আরিয়াল।


জনকল্যাণে কাজ করতে বৌদ্ধ নেতাদের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করার জন্য বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

আজ বুধবার বিকেলে বঙ্গভবনে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের ‘শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা ২০২৪’ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্যে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতাদের উদ্দেশ্য রাষ্ট্রপ্রধান এ আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপতি বলেন , ‘মানুষকে আলোর পথ দেখাবেন। দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করুন। শুধু নিজে বা পরিবারকে নিয়ে ভালো থাকার চিন্তা না করে সকলকে নিয়ে ভালো থাকার চিন্তা করবেন।’

বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের সঙ্গে মিশে আছে হাজার বছরের বৌদ্ধ ঐতিহ্য উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বিশ্বের সকল বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদেরকে মৈত্রীময় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

তিনি বলেন, ‘মহামতি বুদ্ধ স্থান-কাল-পাত্রের উর্ধ্বে উঠে পৃথিবীর সকল জীবের কল্যাণ ও সুখ কামনা করেছেন।’

বৌদ্ধ নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সুখী-সমৃদ্ধ ও শান্তিময় বাংলাদেশ গড়তে আপনারা বুদ্ধের সুমহান শিক্ষা ও আদর্শকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিবেন।

‘সব ধর্মই মানুষের কল্যাণের কথা বলে। মানুষকে শান্তি ও সৌহার্দের শিক্ষা দেয়। প্রতিটি ধর্ম থেকে যা উৎকৃষ্ট তা গ্রহণ করতে হবে এবং নিকৃষ্ট পরিত্যাগ করতে হবে’-যোগ করে বললেন রাষ্ট্রপতি।

তিনি বলেন, ‘মানুষের কল্যাণের জনাই ধর্ম, অকল্যাণের জন্য নয়। মনে রাখতে হবে ধর্ম উপলব্ধির বিষয়, তর্কের নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজ বিশ্বের বহুস্থানে মানবাধিকার ভূলুষ্ঠিত হচ্ছে এবং লোভ-লালসা, ঈর্ষা, প্রতিহিংসার ন্যায় কু-প্রবৃত্তি সমাজের শোষণ-বঞ্চনা বাড়াচ্ছে। দেশে দেশে যুদ্ধবিগ্রহ ও বিশ্ব অর্থনীতিকে ভারসাম্যহীন করে তুলেছে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আর্থ-সামাজিক খাতেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।’

কঠিন এ সময়ে, রাষ্ট্রপতি সকলকে একে অপরের পাশে দাঁড়াবার ও আহ্বান জানান।

বঙ্গভবনে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব বৌদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপনে রাষ্ট্রপতি ও তার স্ত্রী ডা. রেবেকা সুলতানা বৌদ্ধ নেতাদের শুভেচ্ছা জানান। বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতারাও বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতিকে ফুলের তোড়া উপহার দেন। ঢাকাসহ সারা দেশে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে এ দিবসটি উদযাপন করেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বঙ্গভবনে আটশ’রও বেশি অতিথিসহ এক হাজারেরও বেশি ব্যক্তি যোগ দেন । ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ এবং বঙ্গভবনের সংশ্লিষ্ট সচিবগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।


দক্ষ মানব সম্পদ তৈরিতে কাজ করছে ‘ইউসেফ বাংলাদেশ’

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেসা মুজিব কনভেনশন হলে বুধবার ইউসেফের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, দক্ষ মানব সম্পদ তৈরিতে ‘ইউসেফ বাংলাদেশ’ কাজ করে যাচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কারিগরি শিক্ষা ও শোভন কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার জন্য ইউসেফ নামক কর্মজীবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় পৃষ্ঠপোষকতা করেছিলেন।

আজ শাহবাগে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেসা মুজিব কনভেনশন হলে ইউসেফের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্পিকার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুদের উন্নয়ন, সুরক্ষা ও বিকাশের পাশাপাশি মানব সম্পদ উন্নয়নে কাজ করে চলেছেন। যুব সমাজকে কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থানে উদ্বুদ্ধ করে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডকে কাজে লাগাতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই। সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা হয়েছে। অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের জন্য পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরও সমান সুযোগ প্রদান করতে হবে।’

তিনি বলেন, উন্নত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে তরুণ প্রজন্ম নিজেদেরকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্য নিয়ে ইউসেফ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অস্বচ্ছল পরিবারের সুবিধা বঞ্চিত শিশুরা আজ কর্মসংস্থানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন- এটাই ইউসেফের সফলতা।

ইউসেফ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. মো আলাউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন নির্বাহী পরিচালক ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মূখ্যসচিব ড. মো. আব্দুল করিম; ইউসেফ বোর্ড অফ গভর্নরসের সাবেক চেয়ারম্যান পারভীন মাহমুদ; ইউসেফ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য জেবা রশীদ চৌধুরী; এফবিসিসিআই এর প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম; সম্মানিত অতিথি হিসেবে বাংলাদেশে কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকলস; এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি।

এসময় স্পিকার ইউসেফ এর শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচী সম্প্রসারণে সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং ইউসেফের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন।

বিষয়:

এমপি আনারের হত্যাকাণ্ড দুই রাষ্ট্রের বিষয় নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে সংবাদিকদের ‍ব্রিফ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঢাবি প্রতিনিধি

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিধাননগরের নিউটাউন এলাকায় খুন হওয়া ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের হত্যাকাণ্ড দুই রাষ্ট্রের (বাংলাদেশ-ভারত) বিষয় নয় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

আজ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের একথা বলেন।

এমপি হত্যার ঘটনায় ভারতের পক্ষ থেকে কোনো দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। সুতরাং এটি দুই রাষ্ট্রের বিষয় নয়।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তার হত্যাকাণ্ড অত্যন্ত দুঃখজনক, মর্মান্তিক এবং অনভিপ্রেত। যেই ফ্ল্যাটে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছিল, কলকাতা পুলিশ সেখানে ঢুকেছে কিন্তু তারা কোনো মরদেহ পাননি। তবে হত্যাকাণ্ডের মূল হোতাসহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এটি নিয়ে বর্তমানে তদন্ত চলছে। কেন এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে সেটি নিয়ে বিস্তারিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানাবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের মিশনের মাধ্যমে নিয়মিত খোঁজ রাখছি। মিশন কলকাতা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও যোগাযোগ রাখছে। বিষয়টা তো তদন্তাধীন। তাই এর চেয়ে বেশি কিছু আমি বলতে পারছি না।’

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে র‌্যাবের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে জার্মানভিত্তিক সংবাদসংস্থা ডয়েচেভেলের প্রতিবেদন নিয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘পুরোটা না দেখে আমি এটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে চাই না। প্রথম আমাকে পুরোটা দেখতে হবে। এরপর মন্তব্য করা যাবে।’

সরকার সেনাবাহিনীকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করায় নিষেধাজ্ঞা এসেছে বলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে বক্তব্য দিয়েছেন সে প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘উনার (জেনারেল আজিজ) উপর যে আইনের মাধ্যমে বা যে কারণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে সেটি তো দুর্নীতির কারণে। এটি পার্সোনাল দায়, ইনস্টিটিউশনাল কোনো বিষয় নয়।’


সাংবাদিকরা সহায়তা করলে আদালতে মামলা কমবে: প্রধান বিচারপতি

বুধবার লালমনিরহাটে এক মতবিনিময় সভায় উপস্থিত হন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, এখন মানুষ তুচ্ছ বিষয় নিয়ে আদালতে মামলা করে। ফলে মামলা জট ও দীর্ঘসূত্রিতা সৃষ্টি হয়। এক্ষেত্রে সাংবাদিকরা সচেতনতা সৃষ্টি করলে এসব মামলা কমে যাবে।

আজ বুধবার লালমনিরহাটে এক মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আইন পেশাকে দেশের কল্যাণে কাজে লাগাতে হবে। আইন পেশা একটি মহান পেশা। দেশের কল্যাণে এ পেশাকে কাজে লাগাতে হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে মামলা যেন নিষ্পত্তি হয় সে দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। মামলার জট কমাতে আইনজীবীদের ভূমিকা রয়েছে। এজন্য সাধারণ মানুষকে আইনি পরামর্শ দিয়ে বোঝাতে হবে।’

জেলা আইনজীবী সমিতির আয়োজনে ও সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ইকবাল কবীর। এর আগে তিনি আদালত চত্বরে বিচার প্রার্থীদের বিশ্রামের জন্য ন্যায়কুঞ্জ উদ্বোধন করেন। এরপর চত্বরে গাছের চারা রোপণ করেন।

এ সময় আপিল বিভাগের বিচারপতি সাইফুল ইসলামসহ অন্যান্য বিচার বিভাগীয় প্রধান ও লালমনিরহাট জেলা ও দায়রা জজ মিজানুর রহমান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ, পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আকমল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।


banner close