বুধবার, ১৫ মে ২০২৪

রাতে তাপমাত্রা বাড়ার আভাস

আপডেটেড
২৬ জানুয়ারি, ২০২৩ ১২:১৪
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ২৬ জানুয়ারি, ২০২৩ ১১:৫৮

সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থেকে রাতে বাড়তে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এ ছাড়া অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।

এতে আরও বলা হয়, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুাচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

গত বুধবার ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল কক্সবাজারে ৩১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিপ্তরের নতুন মহাপরিচালক হলেন আকতার হোসেন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত কর্মকর্তা আকতার হোসেনকে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের (ডিএফপি) মহাপরিচালক (গ্রেড-২) করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (১৪ মে) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে তাকে এ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার থেকে তিনি নতুন কর্মস্থলে যোগদান করেন।

প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, বিসিএস (তথ্য-সাধারণ) ক্যাডারের এ কর্মকর্তাকে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-২) পদে পদায়ন করা হলো।

উল্লেখ্য, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর সরকারের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। বিশেষ প্রকাশনা, প্রামাণ্য ও চলচ্চিত্র নির্মাণের মাধ্যমে সরকারের অনুসৃত ও উন্নয়ন কার্যক্রমে জনগণকে সম্পৃক্ত করা এ প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য।

তিনটি নিয়মিত প্রকাশনা-সচিত্র বাংলাদেশ, নবারুণ ও বাংলাদেশ কোয়ার্টারলি এবং অ্যাডহক প্রকাশনার মাধ্যমে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড ছাড়াও দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য বিষয়ে প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও পুস্তক প্রকাশ করা হয়ে থাকে।

বিভিন্ন জাতীয় দিবস ও গুরুত্বপূর্ণ দিবসে পোস্টার ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হয়। এছাড়া রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দৈনন্দিন রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ড সম্পর্কিত সংবাদচিত্র ও বিশেষ সংবাদচিত্র এবং বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করা হয়।

এ অধিদপ্তর সারাদেশ থেকে প্রকাশিত সকল দৈনিক, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক, মাসিক, ত্রৈমাসিক, ষান্মাসিক ও বার্ষিক পত্রিকার নামের ছাড়পত্রসহ নিবন্ধন করা ছাড়াও মিডিয়া তালিকাভুক্ত করা এবং পত্রিকার সার্কুলেশন, নিউজপ্রিন্ট কোটা ও বিজ্ঞাপন হার নির্ধারণসহ ওয়েজ বোর্ড রোয়েদাদ বাস্তবায়ন নিয়মিতভাবে মনিটর করা হয়ে থাকে।


আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

চলতি মে মাসের শেষের দিকে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া দপ্তর। বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়টি পূর্ণ রূপ নিলে এর নাম হবে ‘রেমাল’। এই নামটি দিয়েছে ওমান।

ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মে মাসে বঙ্গোপসাগরে দুটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। ২০ মে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে ঘূর্ণাবর্ত। এরপর সেটি ক্রমে উত্তর দিকে হয়ে শক্তি বাড়িয়ে ২৪ মে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।

হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, আগামী ২০ মে থেকে এই সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ স্পষ্ট হতে পারে। তবে কোথায়, কত গতিতে এই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। অনুমান করা হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশের মধ্যে কোথাও এটি আছড়ে পড়তে পারে।

ভারতীয় আবহাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, ২০০৯ সালের ২৫ মে সুন্দরবনে আঘাত করেছিল ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় ‘আইলা’। চলতি বছরের ২৫ মে আঘাত হানতে পারে ‘রেমাল’ নামে একটি ঘূর্ণিঝড়। এতে ১৫ বছর আগের সেই দুঃস্বপ্ন ফের আসতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আগামী ২৫ মে সন্ধ্যার পর এই ঘূর্ণিঝড় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে বলে ভারতীয় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে, ২৪ মে রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হতে পারে উপকূল এলাকায়। বৃষ্টি চলতে পারে ২৬ মে পর্যন্ত।


সরকার ৬৩৩ কোটি টাকায় ১ লাখ ৭০ হাজার টন সার কিনবে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে চলতি অর্থবছরের জন্য কানাডা, কাতার, সৌদি আরব এবং দেশীয় প্রতিষ্ঠান কাফকো থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টন সার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ সার কিনতে খরচ হবে ৬৩২ কোটি ৭২ লাখ ২২ হাজার টাকা। এর মধ্যে ৯০ হাজার টন ইউরিয়া, ৪০ হাজার টন এমওপি এবং ৪০ হাজার টন ডিএপি সার রয়েছে।

আজ বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়। করোনা পজিটিভ হওয়ায় কমিটির সভাপতি অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহবুদ আলী ভার্চুয়ালি বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের জানান, কানাডার কানাডিয়ান কমার্সিয়াল করপোরেশন থেকে ৪০ হাজার টন এমওপি সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১২৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা। প্রতি টন সারের দাম পড়বে ২৮৫ মার্কিন ডলার। যা আগে ছিল ৩২৭ দশমিক ৭৫ মার্কিন ডলার। কানাডিয়ান কমার্সিয়াল করপোরেশন ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে সই হওয়া চুক্তির আওতায় এই সার আমদানি করা হবে।

আরেক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সৌদি আরবের মা আদেন এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন মধ্যে চুক্তির আওতায় সৌদি আরবের মা আদেনের কাছ থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানি করা হবে। এতে ব্যয় হবে ২২৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। প্রতি টন সারের দাম পড়বে ৫১৯ মার্কিন ডলার। যা আগে ছিল ৫৫৪ মার্কিন ডলার।

সচিব বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে কাতারের কাতার কেমিক্যাল অ্যান্ড পেট্রোকেমিক্যাল মার্কেটিং অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (মুনতাজাত) থেকে ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার (অপশনাল) ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৯২ কোটি ২৯ লাখ ১১ হাজার টাকা। প্রতি টন সারের দাম পড়বে ২৭৯ দশমিক ৬৭ মার্কিন ডলার। যা আগে ছিল ২৮২ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার।

এছাড়া মন্ত্রিসভা কমিটি কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের (কাফকো) কাছ থেকে ৩০ হাজার টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৯৫ কোটি ৫৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। প্রতি টন সারের দাম পড়বে ২৮৯ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার। যা আগে ছিল ৩৬৬ দশমিক ৩৭৫ মার্কিন ডলার।

অন্যদিকে সৌদি আরবের সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার (অপশনাল) ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে ব্যয় হবে ৯১ কোটি ১৩ লাখ ৬১ হাজার টাকা। প্রতি টন সারের দাম পড়বে ২৭৬ দশমিক ১৭ মার্কিন ডলার। যা আগে ছিল ২৮৮ দশমিক ৩৩ মার্কিন ডলার।


ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদের আলোচনা সভা আগামীকাল

আপডেটেড ১৫ মে, ২০২৪ ১৫:১৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা আহ্বান করেছে ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদ। ‘তিনি যদি ফিরে না আসতেন’ শীর্ষক আলোচনা সভাটি আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় কলাবাগানে অবস্থিত সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে।

ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সরদার মাহামুদ হাসান রুবেল স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় দেশরত্ম শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। দিবসটি উপলক্ষে সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ আলাউদ্দিনের সভাপতিত্বে সভার আয়োজন করতে যাচ্ছে ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদ।

সামরিক শাসকের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে প্রিয় স্বদেশভূমিতে প্রত্যাবর্তন করেন শেখ হাসিনা। ৬ বছর নির্বাসন শেষে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে ফিরে আসেন তিনি। সেদিন রাজধানী ঢাকা মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ঢাকা শহর মিছিল আর স্লোগানে প্রকম্পিত হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বর্তমান বাংলাদেশের উন্নয়ন, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অগ্রগতির কী হতো তা সহজেই অনুমেয় ও এক গবেষণার বিষয়। পঁচাত্তর পরবর্তী জাতির ক্রান্তিলগ্নে, বঙ্গবন্ধুহীন বাংলাদেশে স্বজন হারিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে ‘একলা চলো নীতির’ সূচনা করেছিলেন তা সত্যিই ছিল ইস্পাত কঠিন।

আলোচনা সভায় ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীকে যথাসময়ে উপস্থিত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।


টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী

ছবি: বাসস
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন যা টেকসই উন্নয়নের মূল উপাদান। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমে তাদের জনসম্পদে রূপান্তর করতে হবে।’

আজ রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ‘আইসিপিডি-৩০: জনসংখ্যাগত বৈচিত্র্য ও টেকসই উন্নয়ন বিষয়ক বৈশ্বিক সংলাপ’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী ইভেন্টের উদ্বোধনী অধিবেশনের ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ, বুলগেরিয়া এবং জাপান ও ইউএনএফপিএ’র সাথে একত্রে এই অনুষ্ঠানের আয়োজক। এই সংলাপ পরিবর্তনশীল জনসংখ্যার চ্যালেঞ্জগুলো এবং সুযোগগুলো খুঁেজ বের করে আলোচনার বিশ্বের একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনসংখ্যাগত লভ্যাংশের রূপান্তর একটি সমৃদ্ধ বৈশ্বিক ব্যবস্থা তৈরি করতে সক্ষম হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই লক্ষ্য অর্জনে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা বিশেষ করে মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা খাতে আন্তর্জাতিক অর্থায়নের পরিমাণ ও সহজপ্রাপ্যতা নিশ্চিত করার জন্য উন্নয়ন সহযোগী ও আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আরও আন্তরিক হতে হবে।’

সরকার প্রধান বলেন, ঢাকায় অনুষ্ঠিত এই বৈশ্বিক সংলাপ সেপ্টেম্বর ২০২৪-এ জাতিসংঘে অনুষ্ঠেয় ‘সামিট অব দ্যা ফিউচার’-এর জন্য প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রণয়নে সহায়ক হবে।

জনসংখ্যা ও উন্নয়ন বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ‘সামিট অব দ্যা ফিউচার’-এর ঘোষণাপত্রে দৃঢ় রাজনৈতিক প্রত্যয় ব্যক্ত করবেন বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য অপরিহার্য স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার আরও কার্যকর ভূমিকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সেখানে মানুষ ইসরায়েলি আগ্রাসন ও দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে প্রতিদিন বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশা করি জাতিসংঘসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা সেখানে সকলের বিশেষ করে নারী ও শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।’

তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবে জনস্বাস্থ্যসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে বিশ্বের সকল মানুষের বিশেষ করে মা, শিশু ও বয়স্ক জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বৈশ্বিক সহযোগিতা আরও জোরদার করতে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।

সরকার প্রধান আরো বলেন, ‘একইসঙ্গে সংঘাত ও রাজনৈতিক কারণে উপদ্রুত ও বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর দিকে মনোযোগ দেওয়াও অত্যন্ত জরুরী বলে আমি মনে করি।’

এই সময় তিনি মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারি রোহিঙ্গাদের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করতে চাই-বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং ইসরায়েলের গণহত্যা ও আগ্রাসনের ফলে নিপীড়িত ফিলিস্তিনি জনগণের কথা। বিপুল সংখ্যক নারী ও শিশু ফিলিস্তিনে আজ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত।

পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ইউএনএফপি’র নির্বাহী পরিচালক ড. নাতালিয়া কানেম, মালদ্বীপের সামাজিক ও পরিবার উন্নয়ন মন্ত্রী আইশাথ শিহাম, কিরিবাতির নারী, যুব, ক্রীড়া ও সামাজিক বিষয়ক মন্ত্রী মার্টিন মোরেত্তি, জাপানের পররাষ্ট বিষয়ক সংসদীয় উপ-মন্ত্রী ইয়াসুশি এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ।

বুলগেরিয়া সরকারের প্রতিনিধিও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।


‘শুধু ঢাকায় নয়, সারা দেশে নো হেলমেট নো ফুয়েল করতে হবে’

বিআরটিএর সদর দপ্তরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ আইন ২০১৭ অধীনে গঠিত উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম বৈঠকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৫ মে, ২০২৪ ১৪:১২
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

শুধু ঢাকা শহরে করলে তো হবে না, পুরো বাংলাদেশে করতে হবে নো হেলমেট, নো ফুয়েল কার্যক্রম। এমন সিদ্ধান্ত আজকে থেকে নেওয়া হলো বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ বুধবার সকালে রাজধানীর বনানীতে বিআরটিএর সদর দপ্তরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ আইন ২০১৭ অধীনে গঠিত উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম বৈঠকে তিনি এ কার্যক্রমের কথা জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজকে ঢাকা সিটিতে আমরা মোটরসাইকেল অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করেছি। এখানে হেলমেট ছাড়া নরমালি দেখা যায় না, সবাই হেলমেট পরে এবং বাইকে দুইজন থাকেন।’

মফস্বলে এই নীতি চালু করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, 'ডিসি-এসপিদের বলেন যে ওইসব এলাকায় কাউকে তেল দেওয়া হবে না যদি হেলমেট না থাকে।'

তিনি বলেন, 'ঈদের আগের চেয়ে ঈদের পরে দুর্ঘটনা বেশি এবং মর্মান্তিক কিছু দুর্ঘটনা হয়েছে। এগুলো মন্ত্রী নয়, মানুষ হিসেবে আমাদেরকে কষ্ট দেয়।'

তিনি আরও বলেন, 'এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছি এত দিন। এ বছর ঈদে যে যানজট এবং দুর্ঘটনা, আগামী বছর এর চেয়ে কম হবে সেটিই তো টার্গেট। তার পরের বছর আরও কম হবে। (সেটা যদি না হয়) তাহলে আমরা এখানে কাজ করছি কেন! আমাদের টিম ওয়ার্কের সফলতাটা কোথায়?'

ইতোমধ্যে নেওয়া নানা উদ্যোগ ও পরিকল্পনা প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, 'এগুলোর রেজাল্ট তো পাচ্ছি না! রেজাল্ট না পেলে এগুলো করে কী লাভ! রেজাল্ট তো পাচ্ছি না। কথা তো শুনতে হয় আমাকে। বিআরটিএ (বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ) চেয়ারম্যানকে তো কেউ কিছু বলবে না।'

'এত রাস্তা বাংলাদেশে, সীমান্ত এলাকা পর্যন্ত এবং সমতল থেকে পাহাড়ে আজকে রাস্তা, যে দিকে যান সুন্দর সুন্দর রাস্তা। এত রাস্তা হওয়ার পরেও শৃঙ্খলা আসে না কেন? শৃঙ্খলা না থাকলে এসবের রেজাল্ট আমরা তো পাব না’- উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, 'অন্যান্য দেশের হিসাব করেন, কত দুর্ঘটনা কোন দেশে হয়। আজকে সৌদি আরবের আবুধাবিতে দুর্ঘটনায় দেড়শ-পৌনে ২০০ লোক মারা যায়, সেটা নিয়ে কিন্তু কোনো উচ্চবাচ্য ওইসব দেশেও হবে না। আমাদের এখানে ক্যাজুয়ালটি বেশি হচ্ছে। কারণ হলো মোটরসাইকেল-ইজিবাইকের মতো গাড়ি রাস্তায় চলাচল করছে। একটি ইজিবাইকে আট থেকে ১০ জন লোক থাকে, একটি বড় গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগলে ইজিবাইকের সব মারা যায়। তখন ক্যাজুয়ালটি বেড়ে যায়।’

সভায় জানানো হয়, ঈদের পর থেকে প্রতিদিন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। পুরোনো গাড়ি রাস্তায় নামলে ধরা হচ্ছে, ডাম্পিং করা হচ্ছে। পুলিশের সমস্যা, তাদের কাছে গাড়ি রাখার জায়গা নেই।

ওবায়দুল কাদের সভায় প্রশ্ন করেন, ৪৩ বছরের পুরোনো গাড়ি কীভাবে রাস্তায় চলে?

জবাবে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী জানান, গাড়িগুলো লুকিয়ে রাখা হয়। শুক্রবার-শনিবার হঠাৎ করে বের করে।’

তিনি আরও জানান, ‘রামপুরা রোডে বিমানবন্দর থেকে সায়েদাবাদ যাওয়ার পথে শনিবার গাড়িগুলো বের হয়। এত খারাপ গাড়ি! দেখলে মনে হয়, কীভাবে রাস্তায় নামে। ঈদের সময় গাড়িগুলো নামে। ঈদযাত্রায় তিনটি বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে।’

এসময় ওবায়দুল কাদের এগুলো বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।


২ দিনব্যাপী আইসিপিডি-৩০ গ্লোবাল ডায়ালগের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা 'আইসিপিডি-৩০ গ্লোবাল ডায়ালগ অন ডেমোগ্রাফিক ডাইভারসিটি অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট' শীর্ষক দু'দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেছেন। বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা এবং বিশ্বের স্থানান্তরিত জনসংখ্যার সুযোগগুলো অন্বেষণ করার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে অনুষ্ঠানটি।

ইউএনএফপিএ'র সঙ্গে বাংলাদেশ, বুলগেরিয়া ও জাপান যৌথভাবে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

এ বছর জনসংখ্যা ও উন্নয়ন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের (আইসিপিডি) ৩০তম বার্ষিকী।

ইউএনএফপিএ অনুসারে, সংলাপটি বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক জনসংখ্যার গতিশীলতা এবং বৈচিত্র্যকে উন্মোচন করবে। এছাড়া বার্ধক্য ও আন্তঃপ্রজন্মের সুস্থতা, জনসংখ্যার তথ্যের ভবিষ্যৎ এবং গ্রামীণ সম্প্রদায়ের জনসংখ্যার পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলো নিয়ে সংলাপে আলোচনা হবে।

স্থানীয় ও জাতীয় সরকার, একাডেমিয়া, থিংক ট্যাংক, কারিগরি বিশেষজ্ঞ, নাগরিক সামাজিক সংস্থা এবং বেসরকারি খাতের প্রায় ২০০ জন প্রতিনিধি স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আবাসন বা অবকাঠামোতে বিনিয়োগ, জনসংখ্যা পরিবর্তনের বিষয়ে বাস্তব দৃষ্টিভঙ্গি বিনিময় করবে। যা পরিবর্তিত জনসংখ্যাতাত্ত্বিক প্রবণতার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য প্রয়োজন।

সংলাপটি জনসংখ্যাতাত্ত্বিক পরিবর্তনের ব্যবহারিক প্রতিক্রিয়াগুলোর উপর গুরুত্ব দিয়ে সেই ধারাবাহিকতাকে সম্মান জানাবে, যা জনসংখ্যা নীতিতে মানবাধিকারভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গিকে শক্তিশালী করে এবং এর মূলে ছিল লিঙ্গ সমতা ও প্রজনন অধিকার।

জনসংখ্যা ও উন্নয়নবিষয়ক ঐতিহাসিক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ৩০ বছর পেরিয়ে গেছে, যেখানে বিশ্ব নেতারা টেকসই উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দুতে ব্যক্তিগত অধিকার ও মর্যাদাকে স্থান দিতে সম্মত হয়েছেন।

এই আলোচনাগুলো জনসংখ্যাতাত্ত্বিক পরিবর্তন এবং বৈচিত্র্য, পরিবেশ, প্রজনন স্বাস্থ্য, মানবাধিকারের সর্বজনীনতা এবং লিঙ্গ সমতা সম্পর্কিত কর্মসূচির নীতি ও ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে জানা যাবে।


সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ডোনাল্ড লুর বৈঠক

মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

ঢাকায় নেমেই সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি রাজধানীর গুলশানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বাসায় যান ডোনাল্ড লু। সেখানেই সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, শ্রমিক নেত্রী কল্পনা আক্তার, জলবায়ুবিষয়ক তরুণ নেতা সোহানুর রহমান সোহান ও মানবাধিকার কর্মী নূর খান। তারা জানান- গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও জলবায়ু নিয়ে এই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতাও প্রাধান্য পেয়েছে সুশীল সমাজের সঙ্গে ডোনাল্ড লুর আলোচনায়।

এর আগে আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকা পৌঁছান মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর আমেরিকা ডেস্কের মহাপরিচালক খন্দকার মাসুদুল আলম।

গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে ঢাকায় ডোনাল্ড লুর প্রথম সফর এটি। সফরে তিনি ব্যবসা-বিনিয়োগ, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন, নাগরিক অধিকারসহ দুই দেশের অগ্রাধিকারের বিভিন্ন বিষয়ে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আলোচনা করবেন।

আগামীকাল বুধবার ডোনাল্ড লু প্রথমে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে এবং পরে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এরপর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন তিনি।


ঢাকায় ডোনাল্ড লু, আলোচনায় যেসব ইস্যু

ছবি: সংগৃহীত 
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকায় পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শ্রীলংকান এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকায় পৌঁছান। সরকারি সূত্র জানায়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (উত্তর আমেরিকা) খন্দকার মাসুদুল আলম হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান।

বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্বের সম্পর্ক এগিয়ে নিতে দুদিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন তিনি। বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর এটি তার প্রথম ঢাকা সফর। মার্কিন এ কর্মকর্তার সফরে ওয়াশিংটনের কাছ থেকে অগ্রাধিকার থাকবে নিরাপত্তা ইস্যু। কূটনৈতিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করতে ঢাকায় আসছেন। এতে প্রাধান্য পাবে বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নীতি। বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন প্রশাসনের দৃষ্টিভঙ্গি জানাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ চেয়েছেন ডোনাল্ড লু। তবে আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার সাক্ষাতের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের সরকারি ফেসবুক পেজে বলেছে, ‘ঢাকায় অবস্থানকালে ডোনাল্ড লু পররাষ্ট্র এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।’

এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগ বলেছিল, লুর সফর দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার এবং একটি মুক্ত, অবারিত এবং সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য মার্কিন সমর্থন প্রদর্শন করবে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেছেন, জলবায়ু সংকট মোকাবিলা এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর করাসহ যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করতে লু সরকারি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ এবং অন্যান্য বাংলাদেশির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন ডোনাল্ড লু। এ ছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়কমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন তিনি। বিরোধী রাজনীতিক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও মতবিনিময়ের কথা রয়েছে তার।

এর আগে গত সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ডোনাল্ড লুর সফরকালে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি ও র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচনা হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বর্তমান সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার এবং মার্কিন প্রশাসন থেকে যারাই এখানে আসবেন ঢাকা একসঙ্গে কাজ করবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যে কেউ ঢাকা সফরে এলে আমরা আমাদের (বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র) সম্পর্ক এগিয়ে নিতে একসঙ্গে কাজ করব।’

লু আজ রাতে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে নৈশভোজেও অংশ নেন।

শেখ হাসিনা চতুর্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর এক চিঠিতে পরিষ্কার বার্তা দিয়েছেন জো বাইডেন। চিঠিতে তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সহযোগিতার কথা তুলে ধরেছেন। সেই সঙ্গে অবাধ ও মুক্ত ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল নিয়ে যৌথ ভিশনে ঢাকার সঙ্গে অংশীদারত্ব গড়তে ওয়াশিংটনের প্রতিশ্রুতিবদ্ধতার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন, জ্বালানি ও রোহিঙ্গা ইস্যুর পাশাপাশি বৈশ্বিক ইস্যুগুলোতেও একসঙ্গে কাজ করতে চায় দেশটি।


হজযাত্রায় নেওয়া যাবে না জর্দা, এজেন্সি নিতে পারবে না কোরবানির টাকা

ছবি: সংগৃহীত 
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

হজ ফ্লাইট ডেটা (তথ্য) যথাসময়ে এন্ট্রি করার জন্য হজ এজেন্সিগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে হজযাত্রীদের কাছ থেকে কোরবানির নামে অতিরিক্ত অর্থ যেন না নেওয়া হয় সে জন্য তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে। এ ছাড়া হজযাত্রীদের মাধ্যমে জর্দার কার্টন না পাঠানোসহ আরও কিছু বিষয়ে হজ এজেন্সিগুলোকে হুঁশিয়ার করেছে মন্ত্রণালয়।

গত ১২ মে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জুম প্ল্যাটফর্মে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের জেদ্দা এয়ারপোর্ট সার্ভিসের মহাপরিচালক আব্দুর রহমান ঘ্যানামের সঙ্গে সভা শেষে এ নির্দেশনাগুলো জারি করে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

ওই সভায় ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় ছাড়াও বাংলাদেশ হজ অফিস, মক্কা ও জেদ্দার কর্মকর্তা এবং হজ এজেন্সির মালিকরা অংশগ্রহণ করেন।

ওই সভায় সৌদি আরবের পক্ষ হতে হজ এজেন্সিগুলো ফ্লাইট ডেটা (তথ্য) সঠিকভাবে পূরণ না করায় ও নিয়মিত সৌদি ই-হজ সিস্টেমে এন্ট্রি না দেওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, হজ ফ্লাইট ডেটা এন্ট্রি না দেওয়ার কারণে মদিনা ও জেদ্দা বিমানবন্দরে হজযাত্রীদের প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে পারছে না সৌদি কর্তৃপক্ষ। ফলে কোন ফ্লাইটে কতজন হজযাত্রী আসছে, তারা কোন মোয়াল্লেমের হজযাত্রী এবং কোন হোটেল বা বাড়িতে তাদের আবাসন ইত্যাদি তথ্য জানতে সমস্যা হচ্ছে। এ ছাড়া হজযাত্রী ও তাদের লাগেজ পরিবহনের ক্ষেত্রেও সমস্যা হচ্ছে। মোয়াল্লেমের প্রতিনিধিও হোটেল বা বাড়িতে সার্ভিস দেওয়ার জন্য উপস্থিত থাকছে না। এ কারণে হজযাত্রীদের কাঙ্ক্ষিত সেবা দেওয়া যাচ্ছে না এবং রুট-টু-মক্কার সুবিধা থেকে হজযাত্রীরা বঞ্চিত হচ্ছেন।

এ সভায় হজ ফ্লাইট যাত্রা শুরুর পূর্বেই সঠিকভাবে ফ্লাইট ডেটা সৌদি ই-হজ সিস্টেমে এন্ট্রি করার অনুরোধ করা হয়। অন্যথায় সংশ্লিষ্ট এজেন্সির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

সভায় বলা হয়, হজ প্যাকেজে উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও অনেক এজেন্সি হজযাত্রীদের কাছ থেকে হজে যাওয়ার আগেই কোরবানি বাবদ অর্থ নিচ্ছেন। অথচ বর্তমান নিয়ম হচ্ছে, হজযাত্রী তার ইচ্ছা মাফিক সৌদি সরকারের ব্যাংকের কুপন কিনে বা তার নিজের ব্যবস্থাপনায় কোরবানি সম্পন্ন করবেন। এজেন্সি কোনোভাবেই কোরবানির টাকা নিতে পারবে না। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় স্পষ্ট ভাষায় জানিযেছে, এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট এজেন্সির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় একটি পত্র জারি করেছে।

ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় হজ এজেন্সিগুলোর উদ্দেশে আরও সতর্কবার্তা দিয়ে জানিয়েছে, কিছু এজেন্সি তাদের হজযাত্রীদের মাধ্যমে জর্দার কার্টন পাঠিয়েছে, যা জেদ্দা বিমানবন্দরে আটক হয়েছে। এতে দেশের সম্মান নষ্ট হচ্ছে। অনেক এজেন্সি হজযাত্রীদের সঙ্গে হজ গাইড বা প্রতিনিধি না পাঠানোর কারণে হজযাত্রীরা বিড়ম্বনায় পড়ছেন।


ঢাকার ২৬ হোটেল-রেস্তোরাঁয় মূল্যছাড় পাবে পুলিশ

ছবি: সংগৃহীত 
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ট্যুরিস্ট পুলিশের আওতাধীন ঢাকা অঞ্চলের বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে থাকা ও রেস্তোরাঁয় খাওয়ার ওপর বিশেষ মূল্যছাড় পাবেন পুলিশ সদস্যরা।

গত ২৬ এপ্রিল ট্যুরিস্ট পুলিশের ঢাকা অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) নাইমুল হক ট্যুরিস্ট পুলিশের সদর দপ্তরে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছেন।

বাংলাদেশ পুলিশ সদস্যদের জন্য বিভিন্ন হোটেল-রিসোর্ট, রেস্টুরেন্ট (রেস্তোরাঁ) ও ট্যুর অপারেটরদের কাছ থেকে ডিসকাউন্ট অফার (প্রস্তাব) পাওয়া প্রসঙ্গে উল্লিখিত ওই চিঠিতে ২৬টি হোটেল ও রেস্তোরাঁর তালিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১২টি হোটেল-রেস্তোরাঁ ও ১৪টি রেস্তোরাঁ রয়েছে। হোটেলে সর্বনিম্ন ৫০ শতাংশ ডিসকাউন্টে থাকতে পারবেন পুলিশ সদস্যরা। আর রেস্তোরাঁয় খাওয়ার ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ ছাড় পাবেন।

ট্যুরিস্ট পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, নানা প্রয়োজনে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পুলিশ সদস্যদের ঢাকায় আসতে হয়, রাতে থাকতে হয়। সরকারিভাবে তাদের যে ভাতা দেওয়া হয়, সেটি প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। তাই হোটেল ও রেস্তোরাঁর সঙ্গে চুক্তি থাকলে দেখা যায়, তারা একটু কম খরচে থাকা-খাওয়ার সুযোগ পান। এতে পুলিশ সদস্যদের সুবিধা হয়।

এটা অনেকটা করপোরেট চুক্তির মতোই। হোটেল-রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন গ্রুপকে এ ধরনের প্রস্তাব করে থাকে। পুলিশ সদস্যদের জন্যও হোটেল-রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ এ প্রস্তাব করেছে। এ ধরনের চুক্তি কক্সবাজার, সিলেটসহ বিভিন্ন অঞ্চলের হোটেল ও রেস্তোরাঁর সঙ্গে পুলিশের রয়েছে। ঢাকা অঞ্চলেও এ সুবিধা শুরু হয়েছে।


‘জয় বাংলা ম্যারাথন’ ৭ জুন

ছবি: সংগৃহীত 
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী ৭ জুন ভোর ৫টায় ঢাকার হাতিরঝিলে ‘জয় বাংলা ম্যারাথন-২০২৪’ অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাথলেটিকস ও সাইক্লিং ক্লাব এই হাফ ম্যারাথনের আয়োজন করছে। ম্যারাথনের এবারের প্রতিপাদ্য ‘জয় বাংলা বলে আগে বাড়ো’।

ম্যারাথনে অংশ নিতে আজ মঙ্গলবার রেজিস্ট্রেশনসহ প্রতিযোগিতার সব আপডেট প্রকাশের লক্ষ্যে ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেছেন পিবিআই প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি ও বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাথলেটিকস অ্যান্ড সাইক্লিং ক্লাবের সভাপতি বনজ কুমার মজুমদার।

রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ‘জয় বাংলা ম্যারাথন প্রতিযোগিতা ২০২৪’-এর রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বনজ কুমার মজুমদার বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাথলেটিকস ও সাইক্লিং ক্লাবের উদ্যোগে হাফ ম্যারাথন আয়োজন করা হচ্ছে। ৭ জুন তারিখটি নির্ধারণ করা হয়েছে ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনায়। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণের জন্য ওই তারিখটি স্মরণ করা হয়। ‘জয় বাংলা’ স্লোগান মুক্তিযুদ্ধে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। তাই ৭ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার দিকে যাত্রার সূচনার প্রতীক এবং বাঙালি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণ ও সার্বভৌমত্বের অন্বেষণে তাদের সাহস, সংকল্প এবং স্থিতিস্থাপকতার স্মারক হিসেবে কাজ করে।

৭ জুনের ঐতিহাসিক গুরুত্ব উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ১৯৬৬ সালের ৭ জুন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ছয় দফা আন্দোলন বাংলাদেশের স্বাধীনতার পথে এখনো একটি নির্দিষ্ট পয়েন্ট অব রেফারেন্স। দিনগুলোর তাৎপর্য স্মরণে রাখতেই ‘জয় বাংলা’ ম্যারাথনের নামকরণ করা হয়েছে। এই ম্যারাথনের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে একটি সুস্থ ও সক্রিয় লাইফ স্টাইল চর্চায় উদ্বুদ্ধ করা।

হাফ ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় চার ক্যাটাগরিতে পাঁচ হাজার প্রতিযোগী অংশ নেবেন। প্রতিযোগীদের ৩ ঘণ্টা ৪০ মিনিটের মধ্যে ২২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে। প্রতিটি ক্যাটাগরিতে বিজয়ী ১০ জনকে পুরস্কার প্রদানসহ অংশগ্রহণকারীদের জন্য থাকবে জার্সি, মেডেল ও সার্টিফিকেট। ম্যারাথনের সময় পুরো ট্র্যাকজুড়ে দৌড়বিদদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে একাধিক মেডিকেল টিম এবং হাইড্রেশন পয়েন্ট, অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থাসহ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ১৬ বছরের ঊর্ধ্বে যেকোনো নারী-পুরুষ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ম্যারাথন উদ্বোধন করবেন। পুরস্কার বিতরণ করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান।


রোহিঙ্গাদের জন্য ফের ইরানের খাদ্য সহায়তা

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী রোহিঙ্গাদের জন্য খাদ্য সহায়তা পাঠিয়েছে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান। ধারাবাহিক সহায়তার অংশ হিসেবে ইরানের একটি প্রতিনিধিদল কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের ৪ নম্বর ক্যাম্পে সম্প্রতি এসব খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করে।

প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আল-উজমা সাইয়্যেদ আলী খামেনির দপ্তরের প্রতিনিধি ড. সাইয়্যেদ আলী যাদেহ মাহদি মুসাভি।

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান দূতাবাস সংস্কৃতি কেন্দ্রের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, এসব খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খুলনা ইসলামি শিক্ষা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন সাইয়্যেদ ইব্রাহিম খলিল রাজাভি। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আল-উজমা সাইয়্যেদ আলী খামেনির পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য এই খাদ্য সহায়তা পাঠানো হয়।

খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে ইরানের প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে বলা হয়, বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী রোহিঙ্গা মুসলমানদের প্রতি ইরানের সহায়তা অব্যাহত থাকবে। রোহিঙ্গারা ২০১৭ সালের আগস্টে বৃহৎ আকারে সংকটে পড়ে। এরপর থেকেই এসব মানুষের প্রতি ইরানের সহায়তা অব্যাহত রয়েছে।

বিষয়:

banner close