রোববার, ১৯ মে ২০২৪

১৯১টি নিউজ পোর্টাল বন্ধে চিঠি দেয়া হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী

প্রতীকী ছবি
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ৩০ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৯:০৮

অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে দেশবিরোধী সংবাদ প্রচারের অভিযোগ পেলে তা বন্ধের পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ১৯১টি অনলাইন নিউজ পোর্টালের লিংক বন্ধে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।

সোমবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য মুজিবুল হক চুন্নুর এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এ কথা জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

হাছান মাহমুদ বলেন, বর্তমানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় হতে অনলাইন নিউজ পোর্টাল ১৬২টি, দৈনিক পত্রিকার অনলাইন পোর্টাল ১৬৯টি এবং টিভি চ্যানেলের অনলাইন পোর্টাল ১৫টিসহ ৩৪৬টি অনলাইন পত্রিকা নিবন্ধন দেয়া হয়েছে।

দেশবিরোধী সংবাদ প্রচার বন্ধে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ায় এমন কার্যক্রম পরিচালনাকারী ও সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে ১৯১টি অনলাইন নিউজ পোর্টালের ডোমেইন বরাদ্দ বাতিলকরণসহ লিংক বন্ধ করার জন্য ইতোমধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে চিঠি দেয়া হয়েছে।

সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তারের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমানে রাজধানী ঢাকা হতে প্রকাশিত দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক পত্রিকার সংখ্যা এক হাজার ১৪১টি। এর মধ্যে দৈনিক পত্রিকা ৫০৯টি, সাপ্তাহিক ৩৪৫টি এবং মাসিক পত্রিকা ২৮৭টি।

চট্টগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারি ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম হিসাবে বাংলাদেশ টেলিভিশনে মানহীন অনুষ্ঠান প্রচারের সুযোগ নেই। রাষ্ট্রীয় নীতিমালা অনুসরণ করে বিটিভি দেশীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করে সংগীতানুষ্ঠান, তথ্যচিত্র, নাটক, বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানসহ নানাবিধ অনুষ্ঠান নির্মাণ ও প্রচার করছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, বর্তমানে দেশে রাষ্ট্রীয় মালিকানায় ৪টি টিভি চ্যানেল এবং ৩৪টি বেসরকারি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল তাদের কার্যক্রম চালিয়া যাচ্ছে। সরকারের জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা-২০১৪ অনুযায়ী টিভি চ্যানেলগুলো সম্প্রচার করছে। জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালায় অপসংস্কৃতি রোধে স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে।

বিষয়:

সংকট গভীর হওয়ার আগেই রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের স্থায়ী সমাধান জরুরি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার ও উদ্বাস্তু হয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত প্রায় ১৩ লাখ রোহিঙ্গার প্রত্যাবাসন সংকট এখন আঞ্চলিক সংকটে পরিণত হয়েছে। ভবিষ্যতে এই সংকট আরও গভীর হতে পারে। তাই দ্রুততম সময়ে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে পূর্ণ নাগরিক মর্যাদায় প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করা জরুরি এবং এটাই একমাত্র স্থায়ী সমাধান। একই সঙ্গে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় ভারত ও চীনকে আরও নিবিড়ভাবে যুক্ত করা গেলে সংকট দ্রুত সমাধান সম্ভব বলে মতপ্রকাশ করেন তিনি।

আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে ওভারসিজ করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ওকাব) ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ‘রোহিঙ্গা সংকট: ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা’ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা কূটনৈতিক পথ অবলম্বন করছি। একই সঙ্গে আমরা আন্তর্জাতিক আদালতে গেছি।’ আমরা গাম্বিয়া ও ওআইসির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মামলা করেছি, সেই মামলায় এখন পর্যন্ত যে ‘আউটকাম’ এসেছে, সেটি আমাদের পক্ষে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গাম্বিয়া বলেছে, মামলা সঠিক পথে যাচ্ছে। আমরা আশা করছি, খুব দ্রুত এই মামলার ইতিবাচক আউটকাম আসবে।’

ড. হাছান বলেন, ‘আমরা আশা করছি, আইসিজের মাধ্যমে একটি আন্তর্জাতিক চাপ মিয়ানমারের ওপর পড়বে। আমরা ক্রমাগতভাবে চেষ্টা করেছি, আন্তর্জাতিকভাবে যেসব দেশের প্রভাব মিয়ানমারের ওপর আছে, তাদের এই বিষয়ে যুক্ত করার। কয়দিন আগে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ ঘুরে গেছেন। তার সঙ্গেও রোহিঙ্গা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সেই আলোচনায় সমস্যা সমাধানের জন্য কিছু পরামর্শ তিনি আমাদের দিয়েছেন।’

এ সময় বছরের শুরুতে উগান্ডায় মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের কথা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ওই বৈঠক থেকে আমার কাছে মনে হয়েছে, আন্তর্জাতিক সমালোচনা এড়ানোর জন্য হলেও মিয়ানমার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায়। কিন্তু মিয়ানমারের অভ্যন্তরে রাখাইন প্রদেশে এখন যে পরিস্থিতি, সেখানকার সেনাবাহিনী পালিয়ে আমাদের এখানে আসছে। এটিকে অন্তরায় মনে হলেও গত ৬০-৭০ বছর ধরে মিয়ানমারের পরিস্থিতি কখনোই তেমন শান্ত ছিলো না। তাই এর মধ্যেই আমাদের চেষ্টা এগিয়ে নিতে হবে।’

রোহিঙ্গা সংকটের একমাত্র সমাধান তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন উল্লেখ করে মন্ত্রী হাছান বলেন, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা তাদের জীবিকা নির্বাহের সুযোগ দিতে বলেছে। ক্যাম্পে তারা কিছু কাজ করছে। কিন্তু তাদের পুরোপুরি জীবিকা নির্বাহের নিশ্চয়তা আমরা কীভাবে দেব? রোহিঙ্গাদের জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা করা সমাধান নয়। একমাত্র সমাধান হচ্ছে সব অধিকারসহ তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ওকাবের কার্যকরী কমিটির সদস্য ফরিদ আহমেদ। মূল প্রবন্ধে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের অব্যাহত অবস্থান বাংলাদেশের অর্থনীতি, জীববৈচিত্র্য, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর প্রভাব ফেলছে। রোহিঙ্গারা মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান, সন্ত্রাসী তৎপরতা, পাচারের মতো অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। অনেকে মানব পাচারকারীদের শিকার হচ্ছেন এবং ক্যাম্প থেকে পালিয়ে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশে ভ্রমণের চেষ্টা করছে। এমনকি তারা বাংলাদেশের পাসপোর্ট ও এনআইডি কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ছে রোহিঙ্গারা।

রোহিঙ্গাদের ক্ষেত্রে মানবিক দিক ও প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে জোরারোপ করেন সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকট এখনো বিশ্বব্যাপী একটি বড় সমস্যা। এই সংকটের আরও অনেক গভীরে যেতে হবে। যত দিন যাবে এই সমস্যার গভীরতা আরও বাড়বে৷ তাই শান্তিপূর্ণ উপায়ে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তন একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এর সমাধানে আঞ্চলিক শক্তিগুলোকে একযোগে উদ্যোগী হতে হবে।

প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, শুরুর দিকে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আন্তর্জাতিক যে সমর্থন ছিল তা ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, গাজা-ইসরাইল যুদ্ধের কারণে রোহিঙ্গা সংকট বিশ্বব্যাপী অনেকটাই ফিকে হয়ে গেছে।

ওকাব সভাপতি নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগের অধ্যাপক তৌহিদুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, ডিক্যাব সভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিব প্রমুখ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মিয়ানমারের বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মিয়ানমারের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত অং কিও মো। রোহিঙ্গাদের পূর্ণ নাগরিক অধিকারসহ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই চলমান পরিস্থিতির একমাত্র সমাধান উল্লেখ করে মন্ত্রী ড. হাছান রাষ্ট্রদূতকে বলেন, চলতি বছর উগান্ডায় দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন শুরু করতে চান বলেই মতপ্রকাশ করেছেন। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াটি অন্ততপক্ষে শুরু করার মধ্য দিয়ে মিয়ানমার তাদের সদিচ্ছার স্বাক্ষর রাখতে পারে।

রাষ্ট্রদূত অং কিও মো মিয়ানমারের অভ্যন্তরে তাদের সেনাবাহিনী ও বিবদমান গোষ্ঠিগুলোর চলমান সশস্ত্র সংঘাতকে এ ক্ষেত্রে অন্তরায় হিসেবে বর্ণনা করেন তবে তার দেশ এ বিষয়ে আরও সচেষ্ট হবে বলেও আশ্বাস দেন। বৈঠকে রোহিঙ্গা বিষয় ছাড়াও বাণিজ্য বৃদ্ধিসহ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নানা দিকে আলোকপাত করেন তারা।


সৌদিতে আরও এক বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি বছর সৌদি আরবে হজ করতে যাওয়া আরও এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার মো. মোস্তফা নামের ৮৯ বছর বয়সি ওই হজযাত্রী মক্কায় মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার পাসপোর্ট নম্বর ইজি-০৭৪০৮৪৭। রোববার হজ পোর্টালে আইটি হেল্প ডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

এর আগে মো. আসাদুজ্জামান নামে এক হজযাত্রী মারা যান। গত ১৫ মে মদিনায় তার মৃত্যু হয়। এটি এবার হজে যাওয়া প্রথম কোনো বাংলাদেশির মৃত্যু ছিল।

আসাদুজ্জামানের বাড়ি নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার ৭ নম্বর মাসকা ইউনিয়নের সাতাশী গ্রামে।

গত ৯ মে ঢাকা থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রথম ফ্লাইটের মধ্য দিয়ে চলতি বছর বাংলাদেশিদের হজযাত্রা শুরু হয়। বাংলাদেশ থেকে শেষ ফ্লাইট ছাড়বে আগামী ১০ জুন।

হজ পালনের জন্য বাংলাদেশ থেকে এ পর্যন্ত সৌদি আরব পৌঁছেছেন ২৮ হাজার ৭৬০ জন। এদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় গেছেন ৩ হাজার ৭৪৭ জন; বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গেছেন ২৫ হাজার ১৩ জন। মোট ৭২টি ফ্লাইটে তারা সৌদি আরব পৌঁছান। এর মধ্যে বাংলাদেশ বিমান ২৮টি, সৌদি এয়ারলাইন্স ২৬টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স ২০টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ৮১ হাজার ৮৬২ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়েছে। এ বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন। সেই হিসাবে এখনো ৩ হাজার ৩৯৫ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়নি। এবার বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৫৬২ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সির মাধ্যমে ৮০ হাজার ৬৯৫ জন হজ করতে যাবেন। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন হজ কার্যক্রম হতে পারে।

বিষয়:

মানসম্মত পণ্য উৎপাদনে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে: রাষ্ট্রপতি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৯ মে, ২০২৪ ২০:৫১
বাসস

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, দেশে মানসম্মত পণ্য উৎপাদন ও সেবা প্রদানের পাশাপাশি শিল্পায়ন ও দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। আগামীকাল সোমবার ‘বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস-২০২৪’ উপলক্ষে গতকাল রোববার দেওয়া বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘টেকসই ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে আজকের পরিমাপ’।

সাহাবুদ্দিন বলেন, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য ও সেবার সব ক্ষেত্রে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির সঠিক ওজন ও পরিমাপ নিশ্চিত করতে সরকার গতানুগতিক পদ্ধতির ডিজিটাল রূপান্তরের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এরই মধ্যে ‘ওজন ও পরিমাপ মানদ- আইন, ২০১৮’ ও ‘পণ্য মোড়কজাতকরণ বিধিমালা, ২০২১’ প্রণয়ন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সঠিক পরিমাপের আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের মাধ্যমে শিল্প, কলকারখানায় উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি উৎপাদিত পণ্যের বাজার সম্প্রসারণসহ আন্তর্জাতিক বাজারে দেশীয় পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি সহজতর হচ্ছে; যা দেশের অর্থনীতিকে আরও সমৃদ্ধ করছে।

পণ্য ও সেবার মান প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের সব ক্ষেত্রে সঠিক পরিমাপ নিশ্চিত করার মাধ্যমে জনগণকে কাঙ্ক্ষিত সেবা প্রদানে জাতীয় মান সংস্থা হিসেবে বিএসটিআইকে আরও দক্ষ, জবাবদিহিমূলক ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পরিমিতিবোধ ও পরিমাপ বিজ্ঞানের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ব্যক্তি কিংবা জাতীয় জীবনে সঠিক পরিমাপ ব্যতীত টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। পরিমিতি জ্ঞান ও পরিমাপ বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে ‘বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস’ পালন একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ।

রাষ্ট্রপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার পথ পরিক্রমায় দেশকে আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে এমন প্রত্যাশা করেন।

বাণীতে সাহাবুদ্দিন বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) কর্তৃক বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস-২০২৪’ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং দিবসটি উপলক্ষ্যে গৃহীত সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।


পায়রা বন্দর থেকে সারা দেশের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের সুপারিশ

পায়রা বন্দর। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেল থেকে ঢাকা পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ নৌপথকে নিয়মিত ড্রেজিং করে সারা দেশের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের সুপারিশ করেছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

আজ রোববার জাতীয় সংসদের নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেল থেকে ঢাকা পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ নৌপথকে নিয়মিত ড্রেজিং করে ড্রাফটের লাইটার জাহাজ চলাচলের উপযোগীকরণের মাধ্যমে বন্দর থেকে ঢাকা, মুক্তারপুর, পানগাঁও ও আশুগঞ্জ কন্টেইনার ডিপোসহ সমগ্র দেশের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের ও নৌযান চলাচল সহজ করার সুপারিশ করা হয়। এছাড়া পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ-এর গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প এবং তার বাস্তবায়ন অগ্রগতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।

কমিটির সদস্য মাহফুজুর রহমান, এম আব্দুল লতিফ, ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, মো. আছলাম হোসেন সওদাগর ও এস এম শাহজাদা বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

কমিটি ‘বাংলাদেশ পতাকাবাহী জাহাজ স্বার্থরক্ষা’ আইন ২০১৯-এর আওতায় ‘বাংলাদেশ পতাকাবাহী জাহাজ স্বার্থরক্ষা বিধিমালা ২০২১’ প্রণয়নের বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও যুগ্ম সচিব, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।


১৫ শতাংশ ভ্যাট মেট্রোরেলের সুনাম নষ্ট করবে: কাদের

রাজধানীর একটি হোটেলে রোববার ডিএমটিসিএল আয়োজিত ঢাকা মেট্রোরেলের ব্রান্ডিং সেমিনারে বক্তব্য দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

মেট্রোরেলের ওপর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ১৫ শতাংশ ভ্যাট বসানোর ঘোষণায় মেট্রোরেলের সুনাম নষ্ট হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) আয়োজিত ঢাকা মেট্রোরেলের ব্রান্ডিং সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এনবিআর জনপ্রিয় পরিবহন মেট্রোরেলে হঠাৎ করে ১৫ শতাংশ ভ্যাটের ঘোষণা দিলো। বিষয়টি আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি। এনবিআরের এ সিদ্ধান্ত ভুল। এটি হয় না। এতে করে মেট্রোরেলের সুনাম নষ্ট হয়। প্রধানমন্ত্রী এটি পুনর্বিবেচনার বিষয় আশ্বাস দিয়েছেন।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যে বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের বিস্ময় সে দেশের রাজধানী পৃথিবীর অন্যতম খারাপ। বসবাসযোগ্য ১৪০টি দেশের মধ্যে ১৩০'র পরে আমাদের অবস্থান। এটা দেশের উন্নয়নের সঙ্গে মিলে না। এ শহরে এত দামি গাড়ি চলে, কিন্তু বাসের অবস্থা এত খারাপ কেন! বারবার কথাবার্তা বলেও সমাধান করা যায়নি। এ অবস্থা থেকে আমাদের মুক্তি পেতেই হবে। ঢাকায় যে বাসগুলো চলে ভীষণ খারাপ লাগে। এগুলো দেখলে কেমন লাগে। এতে আমার লজ্জা লাগে। আমাদের মালিক সাহেবরা কী বিদেশ যান না, দেখেন না?’

তিনি বলেন, ‘আজকে আমাদের বুড়িগঙ্গা শেষ, কর্ণফুলীও শেষ। এখন মুখে লেকচার দিয়ে লাভ নেই। এতবার অনুরোধ করেছি। কিন্তু কাজ হচ্ছে না। মেট্রোরেল আমাদের সম্পদ। ২০৩০ সালে ৬টি এমআরটি লাইনের কাজ শেষ হবে। এগুলোর মধ্যে দুটিই পাতাল রেল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে পরিকল্পনা, ঢাকা সেটিরই অবিচ্ছেদ্য অংশ।’

ব্র্যান্ডিং সেমিনারে অতিথিদের আমন্ত্রণ নিয়ে সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সামনে যারা বসে আছেন তারা বেশিরভাগই আমাদের মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা। কিন্তু যাদের কাছে ব্র্যান্ডিংয়ের দরকার তারা নেই। তিন লাখ যাত্রী প্রতিদিন উত্তরা থেকে মতিঝিল আসছেন। মতিঝিল থেকে উত্তরা যাচ্ছেন। এখানে তাদের কাউকে রাখা দরকার ছিল। মন্ত্রণালয়ের লোকদের কাছে ব্র্যান্ডিং করা দরকার আছে কিনা- এটা আমি আগেও বলেছি। আমরা কাদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখছি সেটা আমাদের মনে রাখতে হবে।’


ওএমএস বিতরণে গাফেলতি হলে কঠোর ব্যবস্থা: খাদ্যমন্ত্রী

রাজধানীর মিরপুরের আনসার ক্যাম্প বাসস্ট্যান্ডে ওএমএস কার্ডের মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে সুবিধাভোগীদের মধ্যে চাল ও আটা বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, কার্ডের মাধ্যমে ওএমএস বিতরণ হলে এক ব্যক্তির একাধিকবার চাল-আটা নেওয়ার প্রবণতা বন্ধ হবে। অন্য কোনো এলাকার কার্ডধারি কি না তাও সহজে জানা যাবে। এতে প্রকৃত গরীব মানুষের কাছে ওএমএস পৌঁছানো সম্ভব হবে।

আজ রোববার রাজধানীর মিরপুরের আনসার ক্যাম্প বাসস্ট্যান্ডে ওএমএস কার্ডের মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে সুবিধাভোগীদের মধ্যে চাল ও আটা বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের নায্য মূল্য না দিতে পারলে কৃষক উৎপাদনে আগ্রহ হারাবে। তাদের উৎসাহিত করতে এবার বোরো সংগ্রহ মৌসুমে সরকার ধানের দাম দুই টাকা বৃদ্ধি করেছে। ওএমএস বিতরণে কোন গাফিলতি হলে ডিলার ও খাদ্য বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে জবাবদিহির আওতায় আনা হবে উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “ইতোমধ্যে মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে”।’

তিনি বলেন, ১৪ লক্ষ উপকারভোগী বিশেষ এই কার্ডের মাধ্যমে ওএমএসের চাল ও আটা সংগ্রহ করতে সক্ষম হবেন। ভবিষ্যতে আরও অধিক সংখ্যক উপকারভোগী এই কার্ডের সুবিধায় যুক্ত হবেন।

এ সময় কার্ড প্রদানে যাতে কোন ডুপ্লিকেশন যেন না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশনা দেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যার দিকনির্দেশনায় সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ৫০ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকা দরে চাল দেওয়া হচ্ছে। ওএমএস এর মাধ্যমে মাত্র ৩০টাকায় দেওয়া হচ্ছে। আবার ১ কোটি পরিবার ভর্তূকি মূল্যে টিসিবির মাধ্যমে চাল পাচ্ছেন।’

সরকারের প্রতি কেজি চাল ক্রয়ে ৫৫ টাকার মত খরচ হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সেই চাল ভর্তূকি দিয়ে ৩০ টাকায় দরিদ্র মানুষকে দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছেন।’ আবার তিনিই স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ডাক দিয়েছেন।
স্মার্ট বাংলাদেশের সব সেবা পর্যায়ক্রমে স্মার্ট সেবায় পরিণত হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য মাঈনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশের মানুষকে একটু ভালো রাখতে নিরলস কাজ করছেন। ওএমএস দরিদ্র মানুষের জন্য শেখ হাসিনার উপহার। এটি বিতরণে সবাইকে দূর্নীতিমুক্ত থেকে সেবার মানসিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে।

খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শাখাওয়াত হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মাঈনুল হোসেন খান নিখিল, খাদ্য সচিব মো. ইসমাইল হোসেন ও খাদ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন।
পরে খাদ্যমন্ত্রী ওই কেন্দ্রের উপকারভোগীদের হাতে কার্ডের মাধ্যমে বিক্রয়কৃত ওএমএসের চাল-আটার প্যাকেট তুলে দেন।


পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে বাবর আলীর এভারেস্ট জয়

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছেন চট্টগ্রামের বাবর আলী। আজ রোববার (১৯ মে) বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টায় এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন তিনি। বেসক্যাম্প টিমের বরাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অভিযানের প্রধান সমন্বয়ক ফরহান জামান।

হিমালয়ের শীতিধার চূড়া জয়ের জন্য বাবর আলী রওনা দিয়েছিলেন ১ এপ্রিল। চূড়াটি পর্বতের ১৫ হাজার ৫০০ ফুট ওপরে। সকাল সাড়ে ৮টায় সেখানে তিনি বাংলাদেশের পতাকা ওড়ান। তবে অভিযান কিন্তু এখনো শেষ নয়, বাবরের আসল লক্ষ্য শুধু এভারেস্ট নয়, সঙ্গে লাগোয়া পৃথিবীর চতুর্থ শীর্ষ পর্বত লোৎসেও। রোববার ক্যাম্প-৪ এ নেমে মাঝরাতে আবারও শুরু করবেন দ্বিতীয় লক্ষ্যের পথে যাত্রা। সব অনুকূলে থাকলে ভোরে পৌঁছে যাবেন এর চূড়ায়।

এ লোৎসেতে ইতোপূর্বে কোনো বাংলাদেশি সামিট করেননি এবং কোনো বাংলাদেশি একই অভিযানে দুইটি আট হাজারী শৃঙ্গ চড়েননি। তাই লক্ষ্য পূরণে হলে বাবার আলী করবেন এ বিপজ্জনক খেলায় বাংলাদেশের ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা।

চলতি বছরের ১ এপ্রিল নেপালের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন বাবর আলী। পর্বতারোহণের প্রয়োজনীয় অনুমতি ও নানা সরঞ্জাম কেনার কাজ শেষ করে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে লুকলার উদ্দেশ্যে রওনা তিনি। সপ্তাহ খানেকের ট্রেকিং শেষ পৌঁছান এভারেস্টের বেস ক্যাম্পে। মূল অভিযান শুরু হয় এখান থেকেই। পর্বতের চূড়ায় উঠতে সময় লাগে দুই মাসের মতো।

যাত্রা শুরু আগে বাবর আলী জানান, বিশ্বের উচ্চতম শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টে জয় করা অনেকের স্বপ্ন। প্রতিবছর হাজারো পর্বতারোহী এভারেস্টের পথে হাঁটেন। কিন্তু এভারেস্টের চূড়ায় ওঠার পর একই সঙ্গে আরেক পর্বতশৃঙ্গ লোৎসে ওঠার চেষ্টা বাংলাদেশ থেকে আগে হয়নি। আমি সেই চ্যালেঞ্জটাই নিলাম। অর্থাৎ একই অভিযানে মাউন্ট এভারেস্ট ও চতুর্থ উচ্চতম পর্বত মাউন্ট লোৎসের চূড়ায় উঠব। ’

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেছেন ৩৩ বছর বয়সী বাবর আলী। এরপর শুরু করেছিলেন চিকিৎসা পেশা। তবে থিতু হননি। চাকরি ছেড়ে দেশ-বিদেশ ঘোরার কর্মযজ্ঞ শুরু করেন।


এসএমই মেলা-২০২৪ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাত দিনব্যাপী ১১তম জাতীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) মেলার উদ্বোধন করেছেন। আজ রোববার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) মেলার উদ্বোধন করেন তিনি। এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত এ মেলা চলবে ২৫ মে পর্যন্ত।

মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। মেলায় তিন শতাধিক উদ্যোক্তা অংশ নেন। মেলায় প্রায় ৬০ শতাংশ অংশগ্রহণকারী নারী উদ্যোক্তা। এসএমই মেলায় ১০০ শতাংশ দেশীয় পণ্য প্রদর্শন করা হবে। এবারের মেলায় সাড়ে তিন শতাধিক কোম্পানি অংশগ্রহণ করবে।

একই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ উপলক্ষে বেশ কিছু ক্ষুদ্র, মাঝারি ও স্টার্ট-আপ উদ্যোক্তাদের হাতে ক্রেস্ট ও অ্যাক্রিডিটেশন সার্টিফিকেটসহ জাতীয় এসএমই পুরস্কার-২০২৩ হস্তান্তর করেন। শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন এমপি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, এফবিসিসিআই-এর সভাপতি মাহবুবুল আলম এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মোঃ মাসুদুর রহমান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ।

পুরষ্কার প্রাপ্তদের মধ্যে স্বপ্না রানী সেন জাতীয় এসএমই পুরস্কার-২০২৩ জেতার অনুভূতি ব্যক্ত করেন।

এবারের মেলায় পোশাক খাতের সবচেয়ে বেশি ৭৫ টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করবে। এছাড়া ৪২ টি প্রতিষ্ঠান পাটজাত পণ্য, ৩৮ টি প্রতিষ্ঠান হস্তশিল্প, ৩২ টি প্রতিষ্ঠান চামড়াজাত পণ্য এবং ২৭ টি প্রতিষ্ঠান প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য প্রদর্শন করবে।

এছাড়াও ২৩টি লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য, ১৪টি খাদ্য পণ্য, ১৩টি আইটি-ভিত্তিক পরিষেবা, ১২টি এসএমই ক্লাস্টার উদ্যোক্তা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মেলায় অংশ নেবে, ৫টি ভেষজ শিল্পের পণ্য এবং ৫টি প্রতিষ্ঠান গয়না পণ্য প্রদর্শন করবে।

চারটি স্টলে প্লাস্টিক পণ্য, ৩টি ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স সেক্টর, ৩টি আসবাবপত্র এবং ১৯টি বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করবে।

এছাড়া ৩০টি ব্যাংক, ১৫টি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস ক্লাব এবং প্রায় ৫০টি অন্যান্য প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশগ্রহণকারীদের সেবা প্রদান করবে। এসএমই ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে ঢাকা ও চট্টগ্রামের এসএমই বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টারগুলো তাদের কার্যক্রম প্রদর্শন করবে।

উইন্ডি টাউন হলে সহজ অর্থায়ন, নারী উদ্যোক্তা উন্নয়ন, প্রযুক্তি, আইসিটি এবং ক্লাস্টার উন্নয়ন বিষয়ে ৬টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।


‘সরকার টেকসই নগরায়ণে বদ্ধপরিকর’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, বর্তমান সরকার নাগরিক সুবিধাসম্পন্ন টেকসই নগরায়ণে বদ্ধপরিকর। অপরিকল্পিত নগরায়ণ যেমন দীর্ঘমেয়াদে কোনো সুবিধা বয়ে আনে না, তেমনি পরিবেশের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

তাজুল ইসলাম শনিবার সকালে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে নগর গবেষণা কেন্দ্রের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘নগরায়ণে বাংলাদেশ ও নগর পরিবেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমার গ্রাম, আমার শহর উদ্যোগ স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় অনন্য সাধারণ ভূমিকা পালন করবে। এই উদ্যোগে গ্রাম ও সমাজের প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের জন্য যেমন অবকাঠামোগত নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা হচ্ছে, তেমনি গ্রামের স্বকীয়তা ও পরিবেশগত ভারসাম্য যাতে বজায় থাকে সেদিকেও গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য গ্রামের মানুষের নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক বিকেন্দ্রীকরণ নিশ্চিত করতে হবে। যথাযথ সুষম অর্থনৈতিক উন্নয়ন ছাড়া অভ্যন্তরীণ মাইগ্রেশন ঠেকানো সম্ভব নয়।

ঢাকায় নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধিতে বহুমুখী প্রয়াস ও সম্মিলিত উদ্যোগ চলমান রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেলের বাস্তবায়ন ছাড়াও সাবওয়ে ও ঢাকা শহরের চারপাশে রিং রোড করার জন্যও পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, কোভিড পরিস্থিতি, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, ফিলিস্তিন সংকট পুরো বিশ্বকেই সংকটজনক পরিস্থিতিতে ঠেলে দিয়েছে। স্রোতের প্রতিকূলতায়ও বাংলাদেশের যে অগ্রগতি সেটা অব্যাহত রাখতে সব পেশাজীবী, শ্রমজীবী, ছাত্র, সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সম্মিলিত প্রয়াস একান্তই অপরিহার্য।

ইমেরিটাস অধ্যাপক নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বুয়েটের অধ্যাপক ড. ইসরাত ইসলাম, বিআইপি সভাপতি ড. আদিল মুহাম্মদ ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপার স্থপতি ইকবাল হাবিব।


মেডিকেল ছাড়া সব ভিসায় ৩ দিন ভারত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ভারতে চলছে জাতীয় লোকসভা নির্বাচন। তারই ধারাবাহিকতায় আগামীকাল সোমবার বনগাঁ আসনে লোকসভা নির্বাচন হবে। ফলে তিন দিন বেনাপোল-পেট্রাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ট্যুরিস্ট, স্টুডেন্ট ও বিজনেস ভিসায় ভারত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারতের উত্তর ২৪ পরগণা জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। তবে মেডিকেল ভিসার ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা থাকবে না।

গতকাল শনিবার সকালে ভারতীয় ইমিগ্রেশনের বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন বেনাপোল ইমিগ্রেশরে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আযহারুল ইসলাম।

জানা গেছে, গতকাল শনিবার সকাল থেকে আগামীকাল সোমবার ভোট গ্রহণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত শুধুমাত্র মেডিকেল ও ভারতীয় ভোটার পাসপোর্টধারীরা বেনাপোল-পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন ব্যবহার করতে পারবেন। অন্যান্য ক্যাটাগরি ভিসাপ্রাপ্তদের যেমন- ট্যুরিস্ট, স্টুডেন্ট ও বিজনেস এ সময় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকবে। তবে মঙ্গলবার সকাল থেকে এ পথে স্বাভাবিক হবে সব ধরনের যাত্রী যাতায়াত।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা নির্বাচন অফিসার স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সব ধরনের আন্তর্জাতিক রুট সিল করা প্রয়োজন। এজন্য ১৭ মে সন্ধ্যা থেকে ২০ মে ভোটগ্রহণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত যাত্রী ও যানবাহন যাতায়াত সীমিত করা হয়েছে।

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ওসি আযহারুল ইসলাম জানান, ওপারে নির্বাচনে তিনদিন ট্যুরিস্ট, স্টুডেন্ট ও বিজনেস ভিসায় ভারত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি ভারতীয় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছেন। তবে জরুরি মেডিক্যাল ও ভারতীয় ভোটার পাসপোর্টধারীরা যাতায়াতে বাধা নেই জানান।

এদিকে হঠাৎ করে পাসপোর্টযাত্রী যাতায়াতে ভারতীয় নির্বাচন কমিশনার নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় বিপাকে পড়েছে শত শত বাংলাদেশি পাসপোর্টযাত্রীরা। দুই পারে কয়েক শ যাত্রী আটকা পড়ে আছে। তারা সীমান্ত সংলগ্ন এলাকার বিভিন্ন হোটেলে আশ্রয় নিয়েছে। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর তারা দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করবে বলে জানা গেছে।

বেনাপোল কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার শাফায়াত হোসেন বলেন, ‘ভারতে লোকসভা নির্বাচনের কারণে পেট্রাপোল বন্দর তিন দিন বন্ধ থাকবে বলে পেট্রাপোল কাস্টমস থেকে একটি নির্দেশনা পেয়েছি।’


‘কংগ্রেসম্যানদের সই জালকারী বিএনপি একটা জালিয়াত রাজনৈতিক দল'

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৮ মে, ২০২৪ ২১:১৯
 কূটনৈতিক প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, কংগ্রেসম্যানদের সই জালকারী, জো বাইডেনের ভুয়া উপদেষ্টা হাজিরকারী বিএনপি একটা জালিয়াত রাজনৈতিক দল।

শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর কাজীর দেউড়িতে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন হলে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, 'আপনাদের মনে আছে, বিএনপি গত বছর ২৮ অক্টোবর জো বাইডেনের ভুয়া উপদেষ্টাকে হাজির করেছিল। সে বিএনপি কার্যালয়ে শুধু ইংরেজি বলছিল, পুলিশ যখন ধরে নিয়ে গেল তখন দেখি গড়গড়িয়ে বাংলা বলে।‘

তারা আগে বিএনপি যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসম্যানদের সই জাল করেছিল বলে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, শুধু তাই নয়, তারা সে সময় বলেছিল ভারতের অমিত শাহ ফোন করেছিল। কিন্তু অমিত শাহ’র অফিস থেকে বলা হলো তিনি কাউকে ফোন করেননি, যে আওয়াজ প্রচার করা হয়েছিল সেটা অমিত শাহ’র নয়। এসব জালিয়াতিই তাদের কাজ।

ড. হাছান বলেন, দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি দেখে বিএনপি ও তাদের দোসরদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। মাঝেমধ্যে দেখি জিএম কাদেরেরও মাথা খারাপ হয়ে যায়। নির্বাচনের আগে আমরা দেখেছি বিএনপি প্রতিদিন বিভিন্ন এম্বেসিতে ঘুরে বেড়াত আর দেন দরবার করত, নির্বাচনটা যাতে বন্ধ করা যায়। এসবে কোনো লাভ হয় নাই। নির্বাচন হয়েছে, ৪২ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছে। যদি নির্বাচনের দিন কুয়াশা এবং প্রচন্ড ঠান্ডা না থাকত তাহলে আরো বেশি মানুষ ভোট দিত।

আর বিএনপি যদি নির্বাচন প্রতিহতের ঘোষণা দিয়ে মানুষের উপর হামলা, ট্রেনের মধ্যে শিশুসন্তানসহ পুরো পরিবারকে জ্বালিয়ে হত্যা না করত তাহলে ভোটের হার ৬০ শতাংশের বেশি হত, বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

অন্যান্য দেশের পরিসংখ্যান উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, গত দু’তিন বছরে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত অনেক দেশে নির্বাচন হয়েছে, সেখানে অনেক দেশে ৪০ শতাংশের কম ভোট পড়েছে। যদিও বা সেখানে নির্বাচনে বর্জন ও প্রতিহতের কোনো হুমকি ছিলনা।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে অত্যন্ত চমৎকার নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচন যদি চমৎকার না হত তাহলে পৃথিবীর ৮০টা দেশের সরকার কিংবা রাষ্ট্রপ্রধান আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাতেন না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট চিঠি লিখে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, আমরা বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই। সর্বশেষ দুদিন আগে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীও আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, এসব কারণে বিএনপির মাথা খারাপ। সম্ভবত সেজন্য বিএনপি নেতা ড. মঈন খান ইদানিং জ্যোতিষীর মতো কথা বলছেন। বয়সে সিনিয়র বিএনপি নেতা ড. মঈন খানের প্রতি সম্মান রেখে বলছি, তিনি রাজনীতির বাইরে এখন জ্যোতিষীর দায়িত্বও পালন করা শুরু করেছেন।

ইতিহাসের দিকে তাকিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন দেশ পরিচালনা করছিলেন তখন মঈন খানের বাবা আবদুল মোমেন খান খাদ্য সচিব ছিলেন। খাদ্যবাহী জাহাজ ভারত মহাসাগর থেকে ফেরত যাবার পেছনে তার বাবার কারসাজি ছিল, যাতে দেশে খাদ্য সঙ্কট তৈরী হয়।

হাছান মাহমুদ আরও বলেন, খাদ্য সঙ্কট তৈরী করে বঙ্গবন্ধুকে অজনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে আবদুল মোমেন খানের ভুমিকা ছিল। সেটির পুরস্কার স্বরূপ জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করার পর আবদুল মোমেন খানকে মন্ত্রীর মর্যাদায় খাদ্য উপদেষ্টা বানিয়েছিলেন। ৭৯ সালের নির্বাচনের পর আবদুল মোমেন খান সংসদে খাদ্য মন্ত্রী হিসেবে বক্তব্যে বলেছিল খাদ্যের জন্য দরকার হলে দেশ বিক্রি করে দিব। ওনারই সন্তান জনাব মঈন খান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে, বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটাতে হলে, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার বিকল্প একমাত্র শেখ হাসিনাই, এই দেশে আর কোন বিকল্প নেই। তিনি জাতিকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন ডিজিটাল বাংলাদেশের। এবং সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটেছে। ২০১৮ সালে আমাদের স্লোগান ছিল- আমার গ্রাম আমার শহর। আজকে গ্রামগুলো শহরের মত হয়ে গেছে, গ্রাম আর শহরের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই।

তিনি বলেন, এবার আমরা স্লোগান দিয়েছি ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। স্মার্ট বাংলাদেশ বলতে, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নেন্স এবং স্মার্ট পিপল। এই চারটি অনুসঙ্গকে আমরা সাথে নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ রচনা করতে চাই। ইনশাল্লাহ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এই অভিযাত্রায়ও বিজয়ী হব। কিন্তু আমাদের অভিযাত্রাকে আটকে দিতে চায় বিএনপি এবং তাদের দোসররা। সেই কারণেই নানা ষড়যন্ত্র।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুল, আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, শফিক আদনান প্রমুখ।

চট্টগ্রামে এতিমখানায় সুষম খাবার বিতরণ

এ দিন অনুষ্ঠান শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ চট্টগ্রাম নগরীর কদম মোবারক এতিমখানায় যান। সেখানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ উপ কমিটির উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে প্রধান অতিথি হিসেবে সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে সুষম খাবার বিতরণ করেন তিনি।

আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহজাদা মহিউদ্দিন প্রমুখ।


সৌদিতে এক বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

হজ করতে গিয়ে সৌদি আরবে এক বাংলাদেশি হজযাত্রী মারা গেছেন। গত ১৫ মে মো. আসাদুজ্জামান নামে এ হজযাত্রী মদিনায় মারা যান। এটিই চলতি হজ মৌসুমে প্রথম কোনো বাংলাদেশির মৃত্যু। গতকাল শনিবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টালের প্রতিদিনের বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বুলেটিনে জানানো হয়, সৌদি আরবের মদিনায় একজন বাংলাদেশি হজযাত্রী মারা গেছেন। গত ১৫ মে মো. আসাদুজ্জামান নামের এ হজযাত্রী মারা যান। এবারের হজ মৌসুমে এটিই প্রথম কোনো বাংলাদেশির মৃত্যু। তার পাসপোর্ট নম্বর এ-১৩৫৬১০৩৪।

এতে আরও বলা হয়, শুক্রবার (১৭ মে) পর্যন্ত পবিত্র হজ করতে সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ২৭ হাজার ১১১ জন হজযাত্রী। মোট ৬৮টি ফ্লাইটে তারা সৌদিতে পৌঁছান। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩ হাজার ৭৪৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী ২৩ হাজার ৩৬৪ জন। এখন পর্যন্ত ৮১ হাজার ১টি ভিসা ইস্যু করা হয়েছে।

গত ৯ মে বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রথম ডেডিকেটেড ফ্লাইট ৪১৫ জন হজযাত্রী নিয়ে সৌদির উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এর মাধ্যমেই চলতি বছরের হজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। যা শেষ হবে ১০ জুন। এ বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। গত ৯ মে থেকে হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার ফ্লাইট শুরু হয়। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত যাওয়ার ফ্লাইট চলবে। হজ শেষে ২০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই।


বাজারে ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যাকসেসরিজ ও লাইটিং পণ্যের অর্ধেকই নকল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঢাবি প্রতিনিধি

বাংলাদেশে ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যাকসেসরিজ ও লাইটিং পণ্যের সম্মিলিত বাজারের আকার ৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকার। এসব পণ্যের বাজারে গত দুই দশক ধরে অব্যাহতভাবে বেড়েই চললেও এই বাজারের অর্ধেক দখল করে আছে নন ব্যান্ডেড অর্থাৎ নিম্নমানের নকল ও অনুমোদনবিহীন পণ্য।

ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যাকসেসরিজ এবং লাইটিং পণ্য'-এর ওপর 'মার্কেটিং ওয়াচ বাংলাদেশ'র (এমডব্লিউবি) করা একটি গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।

শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমডব্লিউবির গবেষণার তথ্য ও উপাত্ত তুলে ধরা হয়।

মার্কেটিং বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও এমডব্লিউবির সহ-প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান, সহ-প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. মো. নাজমুল হোসাইন সংবাদ সম্মেলনে গবেষণার ফলাফল এবং দিক-নিদেশর্না তুলে ধরেন।

এসময় সেখানে মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এবিএম শহীদুল ইসলাম ও অধ্যাপক ড. রাজিয়া বেগম উপস্থিত ছিলেন।

এমডব্লিউবি-র তথ্যমতে, এই গবেষণায় কোয়ালিটেটিভ এবং কেয়ান্টিটেটিভ দুই পদ্ধতি'ই অনুসরণ করা হয়েছে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এই গবেষণার জন্য সারা দেশের ২০১৬ জন ব্যবহারকারি, ১০৩ জন খুচরা বিক্রেতা, ৯৯ জন ইলেক্ট্রিশিয়ানকে নমুনা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৫ জন বৈদ্যুতিক পণ্য বিশেষজ্ঞের সাক্ষাৎকারও নেওয়া হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এই গবেষণার আওতাধীন পণ্যগুলো ছিল- সুইচ, সকেট, হোল্ডার, মাল্টি-প্লাগ, সার্কিট ব্রেকার, মিটার এবং বিভিন্ন হালকা পণ্য যেমন এলইডি লাক্স, এলইডি টিউব, এলইডি প্যানেল, ব্র্যাকেট এলইডি, জিএলএস, এনার্জি এফিশিয়েন্সি বাল্ব, ইমার্জেন্সি লাইটিং অপশনস।

প্রতিবেদন অনুসারে, এটি একটি বড় এবং অপার সম্ভাবনাময় শিল্প। বর্তমানে দেশজুড়ে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার খুচরা বিক্রেতা এবং ২ হাজার ৫০০ উদ্যোক্তাসহ মোট ৫ লাখেরও বেশি মানুষ এই শিল্পের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত। দুই ক্যাটাগরির পণ্যের সম্মিলিত বাজার আকার সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা। যার মধ্যে ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যাকসেসরিজ পণ্যের বাজার তিন হাজার ৩৭৫ কোটি এবং লাইটিং পণ্যের বাজার ২ হাজার ৯২৫ কোটি টাকা।

গবেষণা বলছে, পণ্যের গড় প্রবৃদ্ধির হার যথাক্রমে ১২ শতাংশ এবং ১৫ শতাংশ। যদি আগামী দিনগুলোতে এই প্রবৃদ্ধির হার অব্যাহত থাকে তাহলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এই খাতটি একটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় বড় খাত হিসাবে আবির্ভূত হবে।

গবেষণায় উঠে এসেছে, মোট বাজারের প্রায় অর্ধেক নন ব্যান্ডেড অর্থাৎ নিম্নমানের নকল ও অনুমোদনবিহীন পণ্য দখল করে আছে। তবে দেশিয় কোম্পানিগুলো বাজারে ব্যাপকভাবে আধিপত্য বিস্তার করছে। যেহেতু দেশিয় কোম্পানিগুলোর প্রবৃদ্ধির হার অনেক বেশি, তাই আগামী দিনগুলোতে দেশিয় কোম্পানিগুলো বাজারে আরও বেশি আধিপত্য বিস্তার করবে বলে আশা এমডব্লিউবির।

গবেষণার ফল অনুযায়ী, দেশিয় কোম্পানিগুলোর মধ্যে সুপারস্টার গ্রুপ উভয় প্রকার পণ্যের ক্ষেত্রে বাজারে শীর্ষস্থান দখল করে আছে।

গবেষণায় দেখা যায়, ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যাকসেসরিজ ব্যান্ডেড পণ্যের মার্কেট শেয়ারে সুপার স্টার ২৯ শতাংশ, ওয়ালটন ১৭ শতাংশ, ক্লিক ১৭ শতাংশ, এনার্জি প্যাক ৯ শতাংশ, ওসাকা ৪ শতাংশ এবং ব্লিঙ্ক, এমইপি ও লাক্সারি প্রত্যেকে ৩ শতাংশ করে বাজার দখল করে আছে। অন্যদিকে ব্রান্ডেড লাইটিং পণ্যের মার্কেট শেয়ারে সুপার স্টার ২৫.৫৯ শতাংশ, ক্লিক ১৩ শতাংশ, ওয়ালটন ১২ শতাংশ, ট্রান্সটেক ১০ শতাংশ, এনার্জি প্যাক ৮ শতাংশ এবং ফিলিপস ৭ শতাংশ বাজার দখল করে আছে।

ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যাকসেসরিজ এবং লাইটিং পণ্যে গুরুতর কী কী সমস্যা দেখা যায় সেসবও জানতে চাওয়া হয়েছে গবেষণায় অংশ নেওয়াদের কাছ থেকে।

সেই তথ্য অনুসারে, ২৩ শতাংশ অংশগ্রহণকারী বলছে, ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যাকসেসরিজ এর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সমস্যা লুজ কানেকশন। দ্বিতীয় মেজর সমস্যা হলো, ইলেক্ট্রিক্যাল শর্ট সার্কিট। ২০ শতাংশ অংশগ্রহণকারী এই পক্ষে মত দিয়েছেন। বাকি সমসস্যগুলো হলো, ওয়ারেন্টি কার্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরপরই পণ্য ড্যামেজ হয়ে যাওয়া, ওভারহিটিং ইত্যাদি।

লাইটিং পণ্যের ক্ষেত্রে প্রধান সমস্যা হলো- সময়ের সঙ্গে সঙ্গে লাইটের উজ্জ্বলতা কমে যাওয়া, লাইটের ক্ষণস্থায়ী জীবন, মিটমিট করা, অধিক বিদ্যুৎ গ্রহণ করা এবং ওভারহিটিং প্রভৃতি।

এমডব্লিউবি বলছে, এই শিল্পের অগ্রগতির পেছনে মূলত গত ২৫ বছরে ব্যাপক বিদ্যুতায়ন, অব্যাহত জিডিপি প্রবৃদ্ধি, ক্রমবর্ধমান আয়, দ্রুত ও পরিকল্পিত নগরায়ণ, গ্রামীণ উন্নয়ন এবং সরকারের গৃহীত সমন্বিত উদ্যোগ নিয়ামক হিসাবে কাজ করেছে।

এই শিল্পের কী কী চ্যালেঞ্জ রয়েছে সেটিও তুলে ধরা হয়েছে গবেষণায়। গ্রে মার্কেটের আধিপত্য, অসম প্রতিযোগিতা, ব্যবহারকারীদের ব্র্যান্ডের পণ্য নিয়ে সচেতনতার অভাবসহ আরও বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ তুলে ধরা হয়।


banner close