বুধবার, ১৫ মে ২০২৪

তাপমাত্রা কমার আভাস

ফাইল ছবি
আপডেটেড
১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১৫:৩৩
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১১:৪০

সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এ ছাড়া শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে বলে আবহাওয়া বার্তায় বলা হয়েছে।

বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানানো হয়, আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

এতে আরও বলা হয়, সাগরে সৃষ্টি নিম্নচাপটি দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

গত মঙ্গলবার ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর সর্বোচ্চ ছিল কক্সবাজারে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদের আলোচনা সভা আগামীকাল

আপডেটেড ১৫ মে, ২০২৪ ১৫:১৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা আহ্বান করেছে ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদ। ‘তিনি যদি ফিরে না আসতেন’ শীর্ষক আলোচনা সভাটি আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় কলাবাগানে অবস্থিত সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে।

ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সরদার মাহামুদ হাসান রুবেল স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় দেশরত্ম শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। দিবসটি উপলক্ষে সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ আলাউদ্দিনের সভাপতিত্বে সভার আয়োজন করতে যাচ্ছে ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদ।

সামরিক শাসকের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে প্রিয় স্বদেশভূমিতে প্রত্যাবর্তন করেন শেখ হাসিনা। ৬ বছর নির্বাসন শেষে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে ফিরে আসেন তিনি। সেদিন রাজধানী ঢাকা মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ঢাকা শহর মিছিল আর স্লোগানে প্রকম্পিত হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বর্তমান বাংলাদেশের উন্নয়ন, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অগ্রগতির কী হতো তা সহজেই অনুমেয় ও এক গবেষণার বিষয়। পঁচাত্তর পরবর্তী জাতির ক্রান্তিলগ্নে, বঙ্গবন্ধুহীন বাংলাদেশে স্বজন হারিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে ‘একলা চলো নীতির’ সূচনা করেছিলেন তা সত্যিই ছিল ইস্পাত কঠিন।

আলোচনা সভায় ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীকে যথাসময়ে উপস্থিত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।


টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী

ছবি: বাসস
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন যা টেকসই উন্নয়নের মূল উপাদান। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমে তাদের জনসম্পদে রূপান্তর করতে হবে।’

আজ রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ‘আইসিপিডি-৩০: জনসংখ্যাগত বৈচিত্র্য ও টেকসই উন্নয়ন বিষয়ক বৈশ্বিক সংলাপ’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী ইভেন্টের উদ্বোধনী অধিবেশনের ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ, বুলগেরিয়া এবং জাপান ও ইউএনএফপিএ’র সাথে একত্রে এই অনুষ্ঠানের আয়োজক। এই সংলাপ পরিবর্তনশীল জনসংখ্যার চ্যালেঞ্জগুলো এবং সুযোগগুলো খুঁেজ বের করে আলোচনার বিশ্বের একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনসংখ্যাগত লভ্যাংশের রূপান্তর একটি সমৃদ্ধ বৈশ্বিক ব্যবস্থা তৈরি করতে সক্ষম হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই লক্ষ্য অর্জনে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা বিশেষ করে মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা খাতে আন্তর্জাতিক অর্থায়নের পরিমাণ ও সহজপ্রাপ্যতা নিশ্চিত করার জন্য উন্নয়ন সহযোগী ও আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আরও আন্তরিক হতে হবে।’

সরকার প্রধান বলেন, ঢাকায় অনুষ্ঠিত এই বৈশ্বিক সংলাপ সেপ্টেম্বর ২০২৪-এ জাতিসংঘে অনুষ্ঠেয় ‘সামিট অব দ্যা ফিউচার’-এর জন্য প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রণয়নে সহায়ক হবে।

জনসংখ্যা ও উন্নয়ন বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ‘সামিট অব দ্যা ফিউচার’-এর ঘোষণাপত্রে দৃঢ় রাজনৈতিক প্রত্যয় ব্যক্ত করবেন বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য অপরিহার্য স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার আরও কার্যকর ভূমিকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সেখানে মানুষ ইসরায়েলি আগ্রাসন ও দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে প্রতিদিন বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশা করি জাতিসংঘসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা সেখানে সকলের বিশেষ করে নারী ও শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।’

তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবে জনস্বাস্থ্যসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে বিশ্বের সকল মানুষের বিশেষ করে মা, শিশু ও বয়স্ক জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বৈশ্বিক সহযোগিতা আরও জোরদার করতে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।

সরকার প্রধান আরো বলেন, ‘একইসঙ্গে সংঘাত ও রাজনৈতিক কারণে উপদ্রুত ও বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর দিকে মনোযোগ দেওয়াও অত্যন্ত জরুরী বলে আমি মনে করি।’

এই সময় তিনি মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারি রোহিঙ্গাদের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করতে চাই-বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং ইসরায়েলের গণহত্যা ও আগ্রাসনের ফলে নিপীড়িত ফিলিস্তিনি জনগণের কথা। বিপুল সংখ্যক নারী ও শিশু ফিলিস্তিনে আজ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত।

পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ইউএনএফপি’র নির্বাহী পরিচালক ড. নাতালিয়া কানেম, মালদ্বীপের সামাজিক ও পরিবার উন্নয়ন মন্ত্রী আইশাথ শিহাম, কিরিবাতির নারী, যুব, ক্রীড়া ও সামাজিক বিষয়ক মন্ত্রী মার্টিন মোরেত্তি, জাপানের পররাষ্ট বিষয়ক সংসদীয় উপ-মন্ত্রী ইয়াসুশি এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ।

বুলগেরিয়া সরকারের প্রতিনিধিও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।


‘শুধু ঢাকায় নয়, সারা দেশে নো হেলমেট নো ফুয়েল করতে হবে’

বিআরটিএর সদর দপ্তরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ আইন ২০১৭ অধীনে গঠিত উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম বৈঠকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৫ মে, ২০২৪ ১৪:১২
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

শুধু ঢাকা শহরে করলে তো হবে না, পুরো বাংলাদেশে করতে হবে নো হেলমেট, নো ফুয়েল কার্যক্রম। এমন সিদ্ধান্ত আজকে থেকে নেওয়া হলো বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ বুধবার সকালে রাজধানীর বনানীতে বিআরটিএর সদর দপ্তরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ আইন ২০১৭ অধীনে গঠিত উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম বৈঠকে তিনি এ কার্যক্রমের কথা জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজকে ঢাকা সিটিতে আমরা মোটরসাইকেল অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করেছি। এখানে হেলমেট ছাড়া নরমালি দেখা যায় না, সবাই হেলমেট পরে এবং বাইকে দুইজন থাকেন।’

মফস্বলে এই নীতি চালু করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, 'ডিসি-এসপিদের বলেন যে ওইসব এলাকায় কাউকে তেল দেওয়া হবে না যদি হেলমেট না থাকে।'

তিনি বলেন, 'ঈদের আগের চেয়ে ঈদের পরে দুর্ঘটনা বেশি এবং মর্মান্তিক কিছু দুর্ঘটনা হয়েছে। এগুলো মন্ত্রী নয়, মানুষ হিসেবে আমাদেরকে কষ্ট দেয়।'

তিনি আরও বলেন, 'এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছি এত দিন। এ বছর ঈদে যে যানজট এবং দুর্ঘটনা, আগামী বছর এর চেয়ে কম হবে সেটিই তো টার্গেট। তার পরের বছর আরও কম হবে। (সেটা যদি না হয়) তাহলে আমরা এখানে কাজ করছি কেন! আমাদের টিম ওয়ার্কের সফলতাটা কোথায়?'

ইতোমধ্যে নেওয়া নানা উদ্যোগ ও পরিকল্পনা প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, 'এগুলোর রেজাল্ট তো পাচ্ছি না! রেজাল্ট না পেলে এগুলো করে কী লাভ! রেজাল্ট তো পাচ্ছি না। কথা তো শুনতে হয় আমাকে। বিআরটিএ (বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ) চেয়ারম্যানকে তো কেউ কিছু বলবে না।'

'এত রাস্তা বাংলাদেশে, সীমান্ত এলাকা পর্যন্ত এবং সমতল থেকে পাহাড়ে আজকে রাস্তা, যে দিকে যান সুন্দর সুন্দর রাস্তা। এত রাস্তা হওয়ার পরেও শৃঙ্খলা আসে না কেন? শৃঙ্খলা না থাকলে এসবের রেজাল্ট আমরা তো পাব না’- উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, 'অন্যান্য দেশের হিসাব করেন, কত দুর্ঘটনা কোন দেশে হয়। আজকে সৌদি আরবের আবুধাবিতে দুর্ঘটনায় দেড়শ-পৌনে ২০০ লোক মারা যায়, সেটা নিয়ে কিন্তু কোনো উচ্চবাচ্য ওইসব দেশেও হবে না। আমাদের এখানে ক্যাজুয়ালটি বেশি হচ্ছে। কারণ হলো মোটরসাইকেল-ইজিবাইকের মতো গাড়ি রাস্তায় চলাচল করছে। একটি ইজিবাইকে আট থেকে ১০ জন লোক থাকে, একটি বড় গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগলে ইজিবাইকের সব মারা যায়। তখন ক্যাজুয়ালটি বেড়ে যায়।’

সভায় জানানো হয়, ঈদের পর থেকে প্রতিদিন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। পুরোনো গাড়ি রাস্তায় নামলে ধরা হচ্ছে, ডাম্পিং করা হচ্ছে। পুলিশের সমস্যা, তাদের কাছে গাড়ি রাখার জায়গা নেই।

ওবায়দুল কাদের সভায় প্রশ্ন করেন, ৪৩ বছরের পুরোনো গাড়ি কীভাবে রাস্তায় চলে?

জবাবে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী জানান, গাড়িগুলো লুকিয়ে রাখা হয়। শুক্রবার-শনিবার হঠাৎ করে বের করে।’

তিনি আরও জানান, ‘রামপুরা রোডে বিমানবন্দর থেকে সায়েদাবাদ যাওয়ার পথে শনিবার গাড়িগুলো বের হয়। এত খারাপ গাড়ি! দেখলে মনে হয়, কীভাবে রাস্তায় নামে। ঈদের সময় গাড়িগুলো নামে। ঈদযাত্রায় তিনটি বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে।’

এসময় ওবায়দুল কাদের এগুলো বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।


২ দিনব্যাপী আইসিপিডি-৩০ গ্লোবাল ডায়ালগের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা 'আইসিপিডি-৩০ গ্লোবাল ডায়ালগ অন ডেমোগ্রাফিক ডাইভারসিটি অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট' শীর্ষক দু'দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেছেন। বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা এবং বিশ্বের স্থানান্তরিত জনসংখ্যার সুযোগগুলো অন্বেষণ করার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে অনুষ্ঠানটি।

ইউএনএফপিএ'র সঙ্গে বাংলাদেশ, বুলগেরিয়া ও জাপান যৌথভাবে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

এ বছর জনসংখ্যা ও উন্নয়ন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের (আইসিপিডি) ৩০তম বার্ষিকী।

ইউএনএফপিএ অনুসারে, সংলাপটি বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক জনসংখ্যার গতিশীলতা এবং বৈচিত্র্যকে উন্মোচন করবে। এছাড়া বার্ধক্য ও আন্তঃপ্রজন্মের সুস্থতা, জনসংখ্যার তথ্যের ভবিষ্যৎ এবং গ্রামীণ সম্প্রদায়ের জনসংখ্যার পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলো নিয়ে সংলাপে আলোচনা হবে।

স্থানীয় ও জাতীয় সরকার, একাডেমিয়া, থিংক ট্যাংক, কারিগরি বিশেষজ্ঞ, নাগরিক সামাজিক সংস্থা এবং বেসরকারি খাতের প্রায় ২০০ জন প্রতিনিধি স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আবাসন বা অবকাঠামোতে বিনিয়োগ, জনসংখ্যা পরিবর্তনের বিষয়ে বাস্তব দৃষ্টিভঙ্গি বিনিময় করবে। যা পরিবর্তিত জনসংখ্যাতাত্ত্বিক প্রবণতার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য প্রয়োজন।

সংলাপটি জনসংখ্যাতাত্ত্বিক পরিবর্তনের ব্যবহারিক প্রতিক্রিয়াগুলোর উপর গুরুত্ব দিয়ে সেই ধারাবাহিকতাকে সম্মান জানাবে, যা জনসংখ্যা নীতিতে মানবাধিকারভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গিকে শক্তিশালী করে এবং এর মূলে ছিল লিঙ্গ সমতা ও প্রজনন অধিকার।

জনসংখ্যা ও উন্নয়নবিষয়ক ঐতিহাসিক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ৩০ বছর পেরিয়ে গেছে, যেখানে বিশ্ব নেতারা টেকসই উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দুতে ব্যক্তিগত অধিকার ও মর্যাদাকে স্থান দিতে সম্মত হয়েছেন।

এই আলোচনাগুলো জনসংখ্যাতাত্ত্বিক পরিবর্তন এবং বৈচিত্র্য, পরিবেশ, প্রজনন স্বাস্থ্য, মানবাধিকারের সর্বজনীনতা এবং লিঙ্গ সমতা সম্পর্কিত কর্মসূচির নীতি ও ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে জানা যাবে।


সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ডোনাল্ড লুর বৈঠক

মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

ঢাকায় নেমেই সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি রাজধানীর গুলশানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বাসায় যান ডোনাল্ড লু। সেখানেই সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, শ্রমিক নেত্রী কল্পনা আক্তার, জলবায়ুবিষয়ক তরুণ নেতা সোহানুর রহমান সোহান ও মানবাধিকার কর্মী নূর খান। তারা জানান- গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও জলবায়ু নিয়ে এই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতাও প্রাধান্য পেয়েছে সুশীল সমাজের সঙ্গে ডোনাল্ড লুর আলোচনায়।

এর আগে আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকা পৌঁছান মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর আমেরিকা ডেস্কের মহাপরিচালক খন্দকার মাসুদুল আলম।

গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে ঢাকায় ডোনাল্ড লুর প্রথম সফর এটি। সফরে তিনি ব্যবসা-বিনিয়োগ, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন, নাগরিক অধিকারসহ দুই দেশের অগ্রাধিকারের বিভিন্ন বিষয়ে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আলোচনা করবেন।

আগামীকাল বুধবার ডোনাল্ড লু প্রথমে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে এবং পরে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এরপর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন তিনি।


ঢাকায় ডোনাল্ড লু, আলোচনায় যেসব ইস্যু

ছবি: সংগৃহীত 
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকায় পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শ্রীলংকান এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকায় পৌঁছান। সরকারি সূত্র জানায়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (উত্তর আমেরিকা) খন্দকার মাসুদুল আলম হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান।

বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্বের সম্পর্ক এগিয়ে নিতে দুদিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন তিনি। বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর এটি তার প্রথম ঢাকা সফর। মার্কিন এ কর্মকর্তার সফরে ওয়াশিংটনের কাছ থেকে অগ্রাধিকার থাকবে নিরাপত্তা ইস্যু। কূটনৈতিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করতে ঢাকায় আসছেন। এতে প্রাধান্য পাবে বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নীতি। বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন প্রশাসনের দৃষ্টিভঙ্গি জানাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ চেয়েছেন ডোনাল্ড লু। তবে আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার সাক্ষাতের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের সরকারি ফেসবুক পেজে বলেছে, ‘ঢাকায় অবস্থানকালে ডোনাল্ড লু পররাষ্ট্র এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।’

এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগ বলেছিল, লুর সফর দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার এবং একটি মুক্ত, অবারিত এবং সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য মার্কিন সমর্থন প্রদর্শন করবে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেছেন, জলবায়ু সংকট মোকাবিলা এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর করাসহ যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করতে লু সরকারি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ এবং অন্যান্য বাংলাদেশির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন ডোনাল্ড লু। এ ছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়কমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন তিনি। বিরোধী রাজনীতিক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও মতবিনিময়ের কথা রয়েছে তার।

এর আগে গত সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ডোনাল্ড লুর সফরকালে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি ও র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচনা হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বর্তমান সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার এবং মার্কিন প্রশাসন থেকে যারাই এখানে আসবেন ঢাকা একসঙ্গে কাজ করবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যে কেউ ঢাকা সফরে এলে আমরা আমাদের (বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র) সম্পর্ক এগিয়ে নিতে একসঙ্গে কাজ করব।’

লু আজ রাতে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে নৈশভোজেও অংশ নেন।

শেখ হাসিনা চতুর্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর এক চিঠিতে পরিষ্কার বার্তা দিয়েছেন জো বাইডেন। চিঠিতে তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সহযোগিতার কথা তুলে ধরেছেন। সেই সঙ্গে অবাধ ও মুক্ত ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল নিয়ে যৌথ ভিশনে ঢাকার সঙ্গে অংশীদারত্ব গড়তে ওয়াশিংটনের প্রতিশ্রুতিবদ্ধতার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন, জ্বালানি ও রোহিঙ্গা ইস্যুর পাশাপাশি বৈশ্বিক ইস্যুগুলোতেও একসঙ্গে কাজ করতে চায় দেশটি।


হজযাত্রায় নেওয়া যাবে না জর্দা, এজেন্সি নিতে পারবে না কোরবানির টাকা

ছবি: সংগৃহীত 
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

হজ ফ্লাইট ডেটা (তথ্য) যথাসময়ে এন্ট্রি করার জন্য হজ এজেন্সিগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে হজযাত্রীদের কাছ থেকে কোরবানির নামে অতিরিক্ত অর্থ যেন না নেওয়া হয় সে জন্য তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে। এ ছাড়া হজযাত্রীদের মাধ্যমে জর্দার কার্টন না পাঠানোসহ আরও কিছু বিষয়ে হজ এজেন্সিগুলোকে হুঁশিয়ার করেছে মন্ত্রণালয়।

গত ১২ মে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জুম প্ল্যাটফর্মে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের জেদ্দা এয়ারপোর্ট সার্ভিসের মহাপরিচালক আব্দুর রহমান ঘ্যানামের সঙ্গে সভা শেষে এ নির্দেশনাগুলো জারি করে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

ওই সভায় ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় ছাড়াও বাংলাদেশ হজ অফিস, মক্কা ও জেদ্দার কর্মকর্তা এবং হজ এজেন্সির মালিকরা অংশগ্রহণ করেন।

ওই সভায় সৌদি আরবের পক্ষ হতে হজ এজেন্সিগুলো ফ্লাইট ডেটা (তথ্য) সঠিকভাবে পূরণ না করায় ও নিয়মিত সৌদি ই-হজ সিস্টেমে এন্ট্রি না দেওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, হজ ফ্লাইট ডেটা এন্ট্রি না দেওয়ার কারণে মদিনা ও জেদ্দা বিমানবন্দরে হজযাত্রীদের প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে পারছে না সৌদি কর্তৃপক্ষ। ফলে কোন ফ্লাইটে কতজন হজযাত্রী আসছে, তারা কোন মোয়াল্লেমের হজযাত্রী এবং কোন হোটেল বা বাড়িতে তাদের আবাসন ইত্যাদি তথ্য জানতে সমস্যা হচ্ছে। এ ছাড়া হজযাত্রী ও তাদের লাগেজ পরিবহনের ক্ষেত্রেও সমস্যা হচ্ছে। মোয়াল্লেমের প্রতিনিধিও হোটেল বা বাড়িতে সার্ভিস দেওয়ার জন্য উপস্থিত থাকছে না। এ কারণে হজযাত্রীদের কাঙ্ক্ষিত সেবা দেওয়া যাচ্ছে না এবং রুট-টু-মক্কার সুবিধা থেকে হজযাত্রীরা বঞ্চিত হচ্ছেন।

এ সভায় হজ ফ্লাইট যাত্রা শুরুর পূর্বেই সঠিকভাবে ফ্লাইট ডেটা সৌদি ই-হজ সিস্টেমে এন্ট্রি করার অনুরোধ করা হয়। অন্যথায় সংশ্লিষ্ট এজেন্সির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

সভায় বলা হয়, হজ প্যাকেজে উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও অনেক এজেন্সি হজযাত্রীদের কাছ থেকে হজে যাওয়ার আগেই কোরবানি বাবদ অর্থ নিচ্ছেন। অথচ বর্তমান নিয়ম হচ্ছে, হজযাত্রী তার ইচ্ছা মাফিক সৌদি সরকারের ব্যাংকের কুপন কিনে বা তার নিজের ব্যবস্থাপনায় কোরবানি সম্পন্ন করবেন। এজেন্সি কোনোভাবেই কোরবানির টাকা নিতে পারবে না। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় স্পষ্ট ভাষায় জানিযেছে, এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট এজেন্সির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় একটি পত্র জারি করেছে।

ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় হজ এজেন্সিগুলোর উদ্দেশে আরও সতর্কবার্তা দিয়ে জানিয়েছে, কিছু এজেন্সি তাদের হজযাত্রীদের মাধ্যমে জর্দার কার্টন পাঠিয়েছে, যা জেদ্দা বিমানবন্দরে আটক হয়েছে। এতে দেশের সম্মান নষ্ট হচ্ছে। অনেক এজেন্সি হজযাত্রীদের সঙ্গে হজ গাইড বা প্রতিনিধি না পাঠানোর কারণে হজযাত্রীরা বিড়ম্বনায় পড়ছেন।


ঢাকার ২৬ হোটেল-রেস্তোরাঁয় মূল্যছাড় পাবে পুলিশ

ছবি: সংগৃহীত 
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ট্যুরিস্ট পুলিশের আওতাধীন ঢাকা অঞ্চলের বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে থাকা ও রেস্তোরাঁয় খাওয়ার ওপর বিশেষ মূল্যছাড় পাবেন পুলিশ সদস্যরা।

গত ২৬ এপ্রিল ট্যুরিস্ট পুলিশের ঢাকা অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) নাইমুল হক ট্যুরিস্ট পুলিশের সদর দপ্তরে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছেন।

বাংলাদেশ পুলিশ সদস্যদের জন্য বিভিন্ন হোটেল-রিসোর্ট, রেস্টুরেন্ট (রেস্তোরাঁ) ও ট্যুর অপারেটরদের কাছ থেকে ডিসকাউন্ট অফার (প্রস্তাব) পাওয়া প্রসঙ্গে উল্লিখিত ওই চিঠিতে ২৬টি হোটেল ও রেস্তোরাঁর তালিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১২টি হোটেল-রেস্তোরাঁ ও ১৪টি রেস্তোরাঁ রয়েছে। হোটেলে সর্বনিম্ন ৫০ শতাংশ ডিসকাউন্টে থাকতে পারবেন পুলিশ সদস্যরা। আর রেস্তোরাঁয় খাওয়ার ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ ছাড় পাবেন।

ট্যুরিস্ট পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, নানা প্রয়োজনে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পুলিশ সদস্যদের ঢাকায় আসতে হয়, রাতে থাকতে হয়। সরকারিভাবে তাদের যে ভাতা দেওয়া হয়, সেটি প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। তাই হোটেল ও রেস্তোরাঁর সঙ্গে চুক্তি থাকলে দেখা যায়, তারা একটু কম খরচে থাকা-খাওয়ার সুযোগ পান। এতে পুলিশ সদস্যদের সুবিধা হয়।

এটা অনেকটা করপোরেট চুক্তির মতোই। হোটেল-রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন গ্রুপকে এ ধরনের প্রস্তাব করে থাকে। পুলিশ সদস্যদের জন্যও হোটেল-রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ এ প্রস্তাব করেছে। এ ধরনের চুক্তি কক্সবাজার, সিলেটসহ বিভিন্ন অঞ্চলের হোটেল ও রেস্তোরাঁর সঙ্গে পুলিশের রয়েছে। ঢাকা অঞ্চলেও এ সুবিধা শুরু হয়েছে।


‘জয় বাংলা ম্যারাথন’ ৭ জুন

ছবি: সংগৃহীত 
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী ৭ জুন ভোর ৫টায় ঢাকার হাতিরঝিলে ‘জয় বাংলা ম্যারাথন-২০২৪’ অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাথলেটিকস ও সাইক্লিং ক্লাব এই হাফ ম্যারাথনের আয়োজন করছে। ম্যারাথনের এবারের প্রতিপাদ্য ‘জয় বাংলা বলে আগে বাড়ো’।

ম্যারাথনে অংশ নিতে আজ মঙ্গলবার রেজিস্ট্রেশনসহ প্রতিযোগিতার সব আপডেট প্রকাশের লক্ষ্যে ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেছেন পিবিআই প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি ও বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাথলেটিকস অ্যান্ড সাইক্লিং ক্লাবের সভাপতি বনজ কুমার মজুমদার।

রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ‘জয় বাংলা ম্যারাথন প্রতিযোগিতা ২০২৪’-এর রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বনজ কুমার মজুমদার বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাথলেটিকস ও সাইক্লিং ক্লাবের উদ্যোগে হাফ ম্যারাথন আয়োজন করা হচ্ছে। ৭ জুন তারিখটি নির্ধারণ করা হয়েছে ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনায়। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণের জন্য ওই তারিখটি স্মরণ করা হয়। ‘জয় বাংলা’ স্লোগান মুক্তিযুদ্ধে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। তাই ৭ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার দিকে যাত্রার সূচনার প্রতীক এবং বাঙালি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণ ও সার্বভৌমত্বের অন্বেষণে তাদের সাহস, সংকল্প এবং স্থিতিস্থাপকতার স্মারক হিসেবে কাজ করে।

৭ জুনের ঐতিহাসিক গুরুত্ব উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ১৯৬৬ সালের ৭ জুন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ছয় দফা আন্দোলন বাংলাদেশের স্বাধীনতার পথে এখনো একটি নির্দিষ্ট পয়েন্ট অব রেফারেন্স। দিনগুলোর তাৎপর্য স্মরণে রাখতেই ‘জয় বাংলা’ ম্যারাথনের নামকরণ করা হয়েছে। এই ম্যারাথনের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে একটি সুস্থ ও সক্রিয় লাইফ স্টাইল চর্চায় উদ্বুদ্ধ করা।

হাফ ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় চার ক্যাটাগরিতে পাঁচ হাজার প্রতিযোগী অংশ নেবেন। প্রতিযোগীদের ৩ ঘণ্টা ৪০ মিনিটের মধ্যে ২২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে। প্রতিটি ক্যাটাগরিতে বিজয়ী ১০ জনকে পুরস্কার প্রদানসহ অংশগ্রহণকারীদের জন্য থাকবে জার্সি, মেডেল ও সার্টিফিকেট। ম্যারাথনের সময় পুরো ট্র্যাকজুড়ে দৌড়বিদদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে একাধিক মেডিকেল টিম এবং হাইড্রেশন পয়েন্ট, অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থাসহ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ১৬ বছরের ঊর্ধ্বে যেকোনো নারী-পুরুষ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ম্যারাথন উদ্বোধন করবেন। পুরস্কার বিতরণ করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান।


রোহিঙ্গাদের জন্য ফের ইরানের খাদ্য সহায়তা

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী রোহিঙ্গাদের জন্য খাদ্য সহায়তা পাঠিয়েছে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান। ধারাবাহিক সহায়তার অংশ হিসেবে ইরানের একটি প্রতিনিধিদল কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের ৪ নম্বর ক্যাম্পে সম্প্রতি এসব খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করে।

প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আল-উজমা সাইয়্যেদ আলী খামেনির দপ্তরের প্রতিনিধি ড. সাইয়্যেদ আলী যাদেহ মাহদি মুসাভি।

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান দূতাবাস সংস্কৃতি কেন্দ্রের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, এসব খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খুলনা ইসলামি শিক্ষা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন সাইয়্যেদ ইব্রাহিম খলিল রাজাভি। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আল-উজমা সাইয়্যেদ আলী খামেনির পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য এই খাদ্য সহায়তা পাঠানো হয়।

খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে ইরানের প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে বলা হয়, বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী রোহিঙ্গা মুসলমানদের প্রতি ইরানের সহায়তা অব্যাহত থাকবে। রোহিঙ্গারা ২০১৭ সালের আগস্টে বৃহৎ আকারে সংকটে পড়ে। এরপর থেকেই এসব মানুষের প্রতি ইরানের সহায়তা অব্যাহত রয়েছে।

বিষয়:

ভারতের নির্বাচনের পর ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে ব্যবস্থা

সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে মঙ্গলবার পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকের সঙ্গে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত প্রণয় ভার্মা। ছবি: পিআইডি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ভারতের ভিসাপ্রাপ্তি সহজ করা এবং ভোগান্তি ও চাপ কমাতে দুই বছর মেয়াদি ভিসা চালুর বিষয়ে দেশটির নির্বাচনের পরে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এসে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত প্রণয় ভার্মা এ বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন। পরে মন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে বিষয়টি জানান।

পাটমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের হাইকমিশনারের সঙ্গে অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে ভারতের ভিসা পেতে মানুষের যে ভোগান্তি হচ্ছে, সে জন্য ভিসা ব্যবস্থা আরও সহজ করার জন্য অনুরোধ করেছি। যাতে মানুষ অল্প সময়ের মধ্যে ভিসা পেতে পারে।’

ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করা নিয়ে ভারত কী বলেছে, এমন প্রশ্নের জবাবে নানক বলেন, ‘আমরা যে সমস্যাগুলোর কথা বলেছি সে বিষয়ে তিনি একমত হয়েছেন। তিনি বলেছেন, যে সমস্যা রয়েছে সেগুলো সহজ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে মাঝে মধ্যে ভিসার আবেদন এত বেশি হয়ে যায়, তখন সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।’

বস্ত্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি গত বছর রাজনৈতিক সফরে ভারতে গিয়েছিলাম, সে সময় ভারতের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনাকালে এ বিষয়টি বলেছি।’ ভিসার চাপ কমাতে ভারত অন-এরাইভাল ভিসার ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে নানক বলেন, ‘এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তাদের বলেছি সৌদি আরবও ভিসা অনেক সহজ করেছে। কাজেই আপনাদের আগের জায়গায় থাকলে চলবে না। আপনারা বলছেন ওভারলোড হচ্ছে। সেটা কমাতে আমাদের যে ভিসা দিচ্ছেন সেটা দুই বছর মেয়াদি দিলে লোড কম হতো। লোড কমাতে ভিসার মেয়াদ দীর্ঘমেয়াদি করতে হবে। এ বিষয়ে হাইকমিশনার একমত হয়েছেন। আমরা চেষ্টা করছি। নির্বাচনের পরে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

পাটের অ্যান্টি ডাম্পিং নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে পাটমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতে এখন নির্বাচন চলছে। নির্বাচনের পরে দুই সরকারের মধ্যে আলোচনা হবে। আমরা আশা করছি, কোনো ফলপ্রসূ ফলাফল আসবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের পাটকলগুলোতে আরও বেশি বিনিয়োগ করার জন্য বলেছি। ইতোমধ্যে ভারতের তিনটি কোম্পানি আমাদের তিনটি জুটমিলে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং কারও কারও সঙ্গে আমাদের চুক্তিও হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ৭০ থেকে ৭৫ ভাগ পাটবীজ ভারত থেকে আমদানি করি। এ জন্য আমরা বলেছি আমাদের মানসম্পন্ন পাটবীজ দিতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই পাটবীজ দিতে হবে। কোনোক্রমেই যেন বিলম্বিত না হয়। সে বিষয়ে নজর রাখার জন্য ভারতকে অনুরোধ করেছি। এ বিষয়ে তাদের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা চেয়েছি। এ ছাড়া আমাদের থেকে ভারত সিল্কে অনেক বেশি এগিয়ে গেছে। সিল্ক উৎপাদনে ভারত পৃথিবীর শীর্ষে রয়েছে। এ জন্য দেশে মানসম্মত সিল্ক উৎপাদনে আমাদের কারিগরি সহায়তা ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করেছি। টেক্সটাইল খাতে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করছি, এটিকে আরও জোরদার করতে একমত হয়েছেন রাষ্ট্রদূত।’

পাটের বীজ উৎপাদন বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে নানক বলেন, ‘পাট অধিদপ্তরের মাধ্যমে সারা দেশে একটি প্রজেক্ট চালু রয়েছে, পাটবীজ উৎপাদনে কৃষকদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্য। যাতে কৃষক পাটবীজ আরও বেশি করে উৎপাদন করে। এর মাধ্যমে আমরা পাটবীজের আমদানিনির্ভরতা কমিয়ে আনতে পারব।’

রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে নানক বলেন, ‘ভারতে নির্বাচন চলছে, আমরাও নির্বাচন করেছি। কাজেই রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।’

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর বাংলাদেশ সফর প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড লুর সফর নিয়ে অনেকেই আনন্দে ছিলেন। ডোনাল্ড লু এসেছিলেন যেন তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেওয়ার জন্য। ভৌগোলিক কারণে বাংলাদেশ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সে জন্য বাংলাদেশ সরকার, জনগণের সরকার ও শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে সার্বিকভাবে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ এবং দৃঢ় করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এ জন্যই তিনি বাংলাদেশে এসেছেন। আমি বিশ্বাস করি, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক সবসময় ভালো ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।’


ডোনাল্ড লু আজ ঢাকায় আসছেন

ক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৪ মে, ২০২৪ ১৮:১৪
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু আজ মঙ্গলবার ঢাকায় আসছেন। সকালে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বো থেকে তার ঢাকায় আসার কথা রয়েছে।

ডোনাল্ড লুর ঢাকা সফরে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য-বিনিয়োগ, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন, নাগরিক অধিকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা প্রাধান্য পাবে। এ ছাড়া তিনি সরকারি ও বেসরকারি নানা পর্যায়ে বৈঠক করবেন।

ডোনাল্ড লু ঢাকা সফরের প্রথম দিন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের দেওয়া এক নৈশভোজে যোগ দেবেন। সফরের দ্বিতীয় দিন বুধবার তিনি প্রথমে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে ও পরে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। তিন দিনের সফরে ডোনাল্ড লু নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও মতবিনিময় করবেন বলে জানা গেছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ সফর করবেন ডোনাল্ড লু। তার এ সফরের মধ্য দিয়ে দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার হবে বলে প্রত্যাশা করছে ওয়াশিংটন। যুক্তরাষ্ট্র যে একটি মুক্ত, অবাধ ও সমৃদ্ধ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল দেখতে চায়, ডোনাল্ড লুর সফরে সেটাই গুরুত্ব পাবে।

ডোনাল্ড লুর ঢাকা সফর নিয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার আলোচনা করতেই ডোনাল্ড লুর আসন্ন ঢাকা সফর।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর ডোনাল্ড লুর এটাই প্রথম ঢাকা সফর। গত বছরের ১৪ ও ১৫ জানুয়ারি ঢাকা সফর করেছিলেন তিনি। নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড লু গত বছরের নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে শর্তহীন সংলাপের জন্য চিঠি দিয়েছিলেন।


ফের তাপপ্রবাহের আভাস

রয়েছে ঝড়সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৪ মে, ২০২৪ ০০:৩০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি বছরের মে মাসেও এপ্রিল মাসের মতো তীব্র ‍দাবদাহ অব্যাহত থাকার কথা আগেই জানিয়েছিল আবহাওয়া অফিস। এর সঙ্গে ঝড়সহ বৃষ্টির আভাসও ছিল। যদিও মে মাসের প্রথম সপ্তাহে ঝড়-বৃষ্টির কারণে দাবদাহ কিছুটা কমেছিল। তবে আবারও তাপপ্রবাহের কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এর সঙ্গে রয়েছে ঝড় ও বৃষ্টির সম্ভাবনাও। গতকাল সোমবার দিনের তাপমাত্রা দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বেড়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ফের তাপপ্রবাহ শুরু হওয়ার কথা জানান আবহাওয়াবিদরা।

আবহাওয়া অধিপ্তর আরও জানায়, গত ৩১ মার্চ শুরু হয়ে ৬ মে পর্যন্ত টানা ৩৭ দিন দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যায় তাপপ্রবাহ। কোথাও কোথাও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়ে তাপপ্রবাহ অতি তীব্র আকার ধারণ করেছিল। তীব্র গরমে কষ্ট পেয়েছিল প্রায় সারা দেশের মানুষ। তবে এই মাসে নতুন করে তাপপ্রবাহ শুরু হলে তা গত এপ্রিল মাসের মতো বিস্তৃত এবং অতি তীব্র হওয়ার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

আজ মঙ্গলবার সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে বলেও পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

অন্যদিকে চট্টগ্রাম ছাড়া দেশের বাকি সাত বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে এসব বিভাগের বিভিন্ন স্থানে। পাশাপাশি বাড়তে পারে গরম। আগামী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর প্রভাবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগসমূহের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে। রাতের তাপমাত্রাও সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে আজ মঙ্গলবার (১৪ মে) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগসমূহের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে।

আর আগামীকাল বুধবার (১৫ মে) সকাল থেকে পরের ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আগামী পাঁচ দিনে সার্বিকভাবে দেশের আবহাওয়ার অবস্থায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের আশঙ্কা নেই বলেও জানায় আবহাওয়া অফিস।


banner close