রোববার, ৫ মে ২০২৪

ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস, ভোট দেয়নি বাংলাদেশ

ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে নতুন প্রস্তাব পাস হয়েছে। ছবি: জাতিসংঘ
আপডেটেড
২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১৩:২০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১২:৫৯

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের দ্বিতীয় বছরে পদার্পণের কয়েক ঘণ্টা আগে এটি বন্ধের আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে (ইউএনজিএ) নতুন একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। ইউএন নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ১১তম জরুরি বিশেষ অধিবেশনে জাতিসংঘ সনদের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে যুদ্ধ বন্ধের পাশাপাশি ইউক্রেন থেকে অবিলম্বে রাশিয়ার সৈন্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে এই প্রস্তাব রাখা হয়। এর পক্ষে ভোট দেয় ১৪১টি সদস্য রাষ্ট্র। বিপক্ষে ভোট দেয় সাতটি দেশ। তবে ভোটদানে বিরত থেকেছে বাংলাদেশসহ মোট ৩২ দেশ।

জাতিসংঘের প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়া দেশগুলো হলো— রাশিয়া, বেলারুশ, ডেমোক্রেটিক পিপলস রিপাবলিক অব কোরিয়া, ইরিত্রিয়া, মালি, নিকারাগুয়া ও সিরিয়া।

বাংলাদেশ ছাড়াও নিরপেক্ষ অবস্থানে তথা ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকা দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে— ভারত, চীন, ইরান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা, কিউবা, কঙ্গো, আর্মেনিয়া, ভিয়েতনাম, মঙ্গোলিয়া, নামিবিয়া, কিরগিজিস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, বলিভিয়া এবং জিম্বাবুয়ে।

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করে রাশিয়া। এরপর থেকে এ পর্যন্ত রাশিয়ার বিরুদ্ধে মোট চারটি প্রস্তাব এনেছে জাতিসংঘ। এগুলোর মধ্যে একটিতে পক্ষে ভোট দিয়েছে বাংলাদেশ। বাকিগুলোর ক্ষেত্রে ভোটদানে বিরত থেকেছে।


সশস্ত্র বাহিনী জনগণের আস্থা অর্জন করেছে: প্রধানমন্ত্রী

রোববার ঢাকা সেনানিবাসে ‘প্রধানমন্ত্রীর দরবারে’ ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৫ মে, ২০২৪ ১৭:২১
বাসস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেশের সশস্ত্র বাহিনী যেকোনো দুঃসময়ে জনগণের পাশে থাকায় বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করেছে। যেকোনো দুঃসময়ে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী জনগণের পাশে আছে এবং একটা ভরসাস্থল হিসেবে আজ সে আস্থা সশস্ত্র বাহিনী অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।’

আজ রোববার ঢাকা সেনানিবাসে ‘প্রধানমন্ত্রীর দরবারে’ দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, “১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর সাধারণ মানুষ সেনাবাহিনীর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছিল। যেকোনো সেনাবাহিনীর দেশের স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য সাধারণ মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস একান্তভাবে জরুরী উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমার প্রচেষ্টা ছিল সেনাবাহিনীর প্রতি যেন সাধারণ মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস পুনরুদ্ধার হয়।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সশস্ত্র বাহিনীর জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ১৯৭৪ সালে যে প্রতিরক্ষা নীতিমালা প্রণয়ন করেছিলেন তারই ভিত্তিতে ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ প্রণয়ন করে তার সরকার তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘ফোর্সেস গোল বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা চাচ্ছি আমাদের সশস্ত্র বাহিনী আধুনিক ও জ্ঞান সম্পন্নভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে। সেই সাথে আমাদের ২০০৮ এর নির্বাচনের লক্ষ্য ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা কাজেই আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন আমাদের সশস্ত্র বাহিনী গড়ে উঠবে সেটাই আমাদের লক্ষ্য। সেভাবেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

সরকার প্রধান বলেন, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অসামান্য অবদানের জন্য বিশ্বে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত। এখন, তার সরকারের লক্ষ্য সশস্ত্র বাহিনীর ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করা।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘শান্তিরক্ষা মিশনে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী যে অবদান রেখেছেন তাতে প্রত্যেকটি দেশ এর ভূয়শী প্রশংসা করে থাকে। কাজেই সেটাকে আরও উন্নত করাই আমাদের লক্ষ্য।’


এএফআইপি ভবন ও সেনাপ্রাঙ্গণ ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

আজ রোববার সেনানিবাসে বহুতল এএফআইপি ভবন এবং সেনাপ্রাঙ্গণ ভবনের নামফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৫ মে, ২০২৪ ১২:৫৭
ইউএনবি

ঢাকা সেনানিবাসে নবনির্মিত আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি (এএফআইপি) ভবন এবং সেনাপ্রাঙ্গণ (আর্মি সেন্ট্রাল অডিটোরিয়াম) ভবনের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ রোববার প্রধানমন্ত্রী ফিতা কেটে ঢাকা সেনানিবাসে বহুতল এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করেন এবং সেনাপ্রাঙ্গণ ভবনের নামফলক উন্মোচন করে ভবনের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পরিদর্শন করেন। এসময় এএফআইপি কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল ডা. নিশাত জোবাইদা নতুন ভবনের মূল বৈশিষ্ট্য ও সুযোগ-সুবিধা তুলে ধরেন।

২০১৯ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) প্যাথলজি সেবার ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ‘আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি (এএফআইপি)’ সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন শীর্ষক প্রকল্পটি অনুমোদন করে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রকল্পটির বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

১৪ তলা বিশিষ্ট এএফআইপি ভবনে আধুনিক ল্যাবরেটরিতে আন্তর্জাতিক মানের সেবা নিশ্চিত করতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি যেমন- নেক্সট জেনারেশন সিকোয়েন্সিং, অটোমেটেড মাইক্রোবিয়াল আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম, ট্রান্সমিশন ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপ ও মাল্টিহেডেড মাইক্রোস্কোপ স্থাপন করা হয়েছে।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ এবং নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান উপস্থিত ছিলেন। এর পর প্রধানমন্ত্রী সেনা প্রাঙ্গণ উদ্বোধন করতে যান এবং ফিতা কেটে নতুন ভবনে প্রবেশ করেন।

সেনাবাহিনীর কেন্দ্রীয় মিলনায়তন সেনাপ্রাঙ্গণ গুরুত্বপূর্ণ সভা, সেমিনার ও সামাজিক অনুষ্ঠানের মতো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য নির্মিত হয়েছে। এ সময় সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদসহ ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণে রাজি মিশর: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বানজুলে ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনে গতকাল শনিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ হাসান শুকরি বৈঠক করেন। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৫ মে, ২০২৪ ১১:৩৩
বাসস

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বাংলাদেশের সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি ও বাণিজ্য সম্পসারণের জন্য মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব দিয়েছেন। দুই দেশের কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টের বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই করতে কায়রো নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে।

আজ রোববার ঢাকায় প্রাপ্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়েছে।

পশ্চিম আফ্রিকার গাম্বিয়ার রাজধানী বানজুলে ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনের ফাঁকে স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার বিকেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ হাসান শুকরি বৈঠক করেন। বৈঠকে উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি, রোহিঙ্গা সংকটসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন। নিয়মিত ফরেন অফিস কনসালটেশন আয়োজনের মাধ্যমে উভয় দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও জোরদার করতে একমত হন তারা।

মিশরে বাংলাদেশ মিশনের চ্যান্সারি ভবন নির্মাণে মিশর সরকার সর্বাত্মক সহযোগিতা দেবে বলে মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশ্বাস দেন। এরপর ডিজিটাল কো-অপারেশন অর্গাইনাইজেশনের (ডিসিও) মহাসচিব দিমা আল ইয়াহিয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। ডিসিওর সদস্য রাষ্ট্রসমূহ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আন্তুর্জাতিক ব্যবহার সংক্রান্ত ‘মাল্টিল্যাটেরাল এ আই এগ্রিমেন্ট’ শীর্ষক একটি চুক্তির খসড়া তৈরি করছে বলে মহাসচিব পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডিসিওর মহাসচিবকে বাংলাদেশে সফর করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি সরেজমিনে দেখার আমন্ত্রণ জানালে তিনি আন্তরিকভাবে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ সফরের মাধ্যমে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে ডিসিওর সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারণের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

একই দিন ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেত্নো এল পি মারসুদি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিসহ পারস্পরিক সম্পর্কোন্নয়নের পাশাপাশি মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের বিষয়সমূহ বৈঠকে আলোচনায় স্থান পায়।


কাপ্তাই লেকের হারানো ঐতিহ্য ফেরাতে উদ্যোগ নেওয়া হবে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

কাপ্তাই লেকের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান। তিনি আজ শনিবার রাঙামাটির কাপ্তাই লেকে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ ও মৎস্যজীবীদের মধ্যে ভিজিএফ (চাল) বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান।

আব্দুর রহমান বলেন, ‘কাপ্তাই লেক তার সেই আগের সৌন্দর্য, রূপে নেই। এটি যেন নুইয়ে পড়েছে। তবে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা কাপ্তাই লেকের আগের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে চাই। তবে এই সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে হলে শুধু মৎস্যজীবীদেরই নয়, এলাকার সর্বসাধারণের সহযোগিতা প্রয়োজন।’

জেলেদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘আগামী তিন মাস আপনারা লেকে মাছ ধরবেন না। নির্দিষ্ট সময়ের পর নিষিদ্ধ মশারি জাল, বেহুন্দি জাল, কারেন্ট জাল এগুলো ব্যবহার করবেন না। জাটকাসহ ছোট মাছ ধরবেন না। আপনারা নিজ সন্তানকে যেমন পরিপূর্ণ করে গড়ে তোলেন, তেমনি মাছকেও বড় হতে দিতে হবে। কাপ্তাই লেকের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে যা যা করা দরকার সবকিছুই করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘আপনাদের লেকের মাছ আপনারাই ধরবেন। অন্য এলাকা থেকে কেউ এসে এই মাছ ধরবে না। এই লেকের ব্যবস্থাপনায় আপনাদেরই এগিয়ে আসতে হবে।’ পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে কাপ্তাই লেক নিয়ে প্রকল্প গ্রহণের বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।

কৃষি জমিতে ব্যবহার করা কীটনাশকের ফলে মাছের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে জানিয়ে ফসলের জমিতে কীটনাশকের ব্যবহারে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান মন্ত্রী। তবে কেউ যদি আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে কিছু করে, তবে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।

বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, এমপি দীপংকর তালুকদার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহা. সেলিম উদ্দিন, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. জুলফিকার আলী, পার্বত্য রাঙামাটি জেলার জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন খান প্রমুখ।


সেনাবাহিনী দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে: সেনাপ্রধান

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহম্মেদ বলেছেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বর্তমান সরকার সেনাবাহিনীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাচ্ছে।

আজ শনিবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে নোয়াগাঁও ইউনিয়নের লাধুরচর এলাকায় আস্থা ফিড ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সেনাপ্রধান আরও বলেন, দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখতে কোম্পানি মালিক ও ব্যবসায়ীদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে সেনাবাহিনী। দেশের বিভিন্ন স্থানে শিল্পকারখানা গড়ে উঠছে। এমন চিত্রই প্রমাণ করে দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। বাংলাদেশ ধাপে ধাপে উন্নতির দিকে যাচ্ছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রী কাজ করে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, ব্যবসায়ের মূল উদ্দেশ্য হলো লাভ করা; কিন্তু লাভের পাশাপাশি দেশের মঙ্গলজনক কাজেও ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসতে হবে। মনে রাখতে হবে, সবার আগে দেশপ্রেম।

আস্থা ফিডের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার, ময়মনসিংহ ৫ আসনের সংসদ সদস্য কৃষিবিদ ড. নজরুল ইসলাম, এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আমিন হেলালী, আমানত শাহ গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. হেলাল মিয়া, আস্থা ফিডের পরিচালক সাইফুল ইসলাম বাবু ও গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ। এ সময় বিভিন্ন শিল্প গ্রুপের পরিচালক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ আস্থা ফিডের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

আস্থা ফিডের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন চৌধুরী বলেন, আজ যে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর হয়েছে সেখানে শুরুতে রিলায়েন্স ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ, আস্থা প্যাক লিমিটেড ও আস্থা কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ এ তিনটি কারখানা তৈরি করা হবে। আমরা লাদুরচর গ্রামবাসীকে ধন্যবাদ জানাই তাদের সহযোগিতার জন্য।


রেলে শিডিউল বিপর্যয় কাটল ৩১ ঘণ্টা পর

গাজীপুরে ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটার ৩১ ঘণ্টা পর ক্ষতিগ্রস্ত বগিগুলো রেললাইন থেকে অপসারণ সম্ভব হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

গাজীপুরে ভুল সংকেত দেওয়ায় তেলবাহী ও যাত্রীবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটার ৩১ ঘণ্টা পর ক্ষতিগ্রস্ত বগিগুলো রেললাইন থেকে অপসারণ সম্ভব হয়েছে। উদ্ধার কাজ শেষে ক্ষতিগ্রস্ত লাইন মেরামতের পর আজ শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এই রেললাইন ট্রেন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

এদিকে, রাজধানীর অন্যতম প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর রেল জংশনের আউটার সিগন্যালে ঘটা ওই দুর্ঘটনার কারণে দিনভর কোনো ট্রেন গাজীপুর দিয়ে চলাচল করতে পারেনি। এর ফলে ট্রেনের শিডিউলে দেখা দেয় ভয়াবহ বিপর্যয়। আগে থেকে ট্রেনের যাত্রা বাতিল বা বিলম্বে চলার সিদ্ধান্ত রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ঘোষণা না করায় দিনভর কমলাপুর স্টেশনে বাড়তে থাকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাত্রার উদ্দেশে বাড়ি ছেড়ে আসা যাত্রীদের মিছিল। ফলে ট্রেন ছাড়ার নির্ধারিত সময় জানতে না পাড়ায় ভীষণ দুর্ভোগে পড়েন তারা। ট্রেনের যাত্রা বাতিল না করায় তারা ঘরেও ফিরতে পারছিলেন না। অবশেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ায় কমতে থাকে তাদের দুর্ভোগ।

অন্যদিকে, এই রেল দুর্ঘটনার রেশ না কাটতেই আবারও ভুল সংকেতের কারণে একই লাইনে চলে এসেছিল আন্তঃদেশীয় ‘মৈত্রী এক্সপ্রেস’ ও ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ‘ধূমকেতু এক্সপ্রেস’। যা থেকে ঘটতে পারত বড় দুর্ঘটনা। তবে লোকোমাস্টারদের তৎপরতায় দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গেছে ট্রেন দুটি। সঙ্গে রক্ষা পেয়েছেন অসংখ্য যাত্রী।

আজ শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম রেলওয়ে স্টেশনে এই ঘটনা ঘটে। এ জন্য স্টেশন মাস্টারকে দায়ী করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, আন্তঃদেশীয় মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম রেলওয়ে স্টেশনের পাঁচ নম্বর লাইনে দাঁড়ানো ছিল। ট্রেনটি ঢাকার দিকে যাওয়ার জন্য অপেক্ষায় ছিল। অন্যদিকে, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ধূমকেতু এক্সপ্রেস (৭৬৯) রাজশাহীর উদ্দেশে যাচ্ছিল। যমুনা সেতু পার হওয়ার পর পশ্চিম স্টেশন পার হতে যাচ্ছিল ট্রেনটি। স্টেশন পার হওয়ার জন্য ধূমকেতু এক্সপ্রেসের লোকোমাস্টারকে একটি পেপার স্লিপ দেন বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার। ওই স্লিপে লেখা ছিল, ‘বঙ্গবন্ধু পশ্চিম স্টেশনের সিগন্যাল খারাপ হয়ে গিয়েছে। আপনি হাত সিগন্যাল দেখিয়ে পাস করবেন।’

ফলে ধূমকেতু এক্সপ্রেসের লোকোমাস্টার অনেকটা ধীরগতিতে ট্রেন চালিয়ে ওই স্টেশনটি পার হতে যাচ্ছিলেন। এমন সময় লোকোমাস্টার দেখতে পান ট্রেনের পয়েন্ট যে লাইনে সেট করা রয়েছে, সেই লাইনে অন্য একটি ট্রেন দাঁড়ানো অবস্থায় আছে। এমন অবস্থায় তিনি ট্রেনটি ওই পয়েন্টের আগে থামিয়ে দেন। পরে ট্রেনটি পেছনে নিয়ে অন্য লাইন দিয়ে স্টেশন পাস করানো হয়।

এদিকে, রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে এই সংঘর্ষের ঘটনার পর জয়দেবপুর স্টেশন দিয়ে ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিম রেললাইনে ট্রেন চলাচল প্রায় আড়াই ঘণ্টা বন্ধ থাকে। বিকেলে উদ্ধারকারী ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌঁছার পর উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়। এ ছাড়া টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের পেছনের অংশের অক্ষত বগিগুলো বিকল্প ইঞ্জিনের মাধ্যমে দুর্ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে ফেলা হয়। রাতভর উদ্ধার অভিযানে তেলবাহী ওয়াগনের লাইনচ্যুত পাঁচটি বগির মধ্যে তিনটি বগি অপসারণ করে পাশের স্টেশনে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

আজ সকাল থেকে আবার উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। উদ্ধার অভিযান চলাকালে ডাউন লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল করলেও দুপুরের পর বন্ধ করে দেওয়া হয় সেই লাইনও। পরে চলে উদ্ধার অভিযান। একটি উদ্ধারকারী ট্রেন ডাউন লাইনে বসিয়ে ইঞ্জিন ও ওয়াগন সরিয়ে নেওয়া হয়। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উদ্ধারকারী ট্রেনটি লাইন থেকে সরিয়ে নিলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

তদন্ত শুরু করেছে জেলা প্রশাসনের কমিটি

দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি আজ তদন্তকাজ শুরু করেছে। প্রথমে এ কমিটির প্রধান ও গাজীপুর জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মতিউর রহমান দুর্ঘটনার দিন জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনে কর্তব্যরত স্টেশনমাস্টার আবুল হাসেম, পয়েন্টস ম্যান সাদ্দাম ও মোস্তাফিজুর রহমানের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন।

এ সময় তদন্ত কমিটির সদস্য গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন ও জয়দেবপুর জংশনের স্টেশনমাস্টার মো. হানিফ মিয়া তার সঙ্গে ছিলেন।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মতিউর রহমান সাংবাদিকদের জানান, তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে তদন্তের বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করা হয়েছে। পরে দুপুরে স্টেশনমাস্টার আবুল হাসেম, পয়েন্টস ম্যান সাদ্দাম ও মোস্তাফিজুর রহমানের সাক্ষাৎকার এবং তাদের লিখিত বক্তব্য গ্রহণ করেন। পরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি দুর্ঘটনাকবলিত টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের যাত্রী শরীফ মাহমুদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়। সেখানে ভর্তির পর চালক সবুজ হাসান ও হাবিবুর রহমান উন্নত চিকিৎসার জন্য শুক্রবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর হওয়ায় তাদের সাক্ষাৎকার নেওয়া সম্ভব হয়নি।

কমলাপুরে ভয়াবহ শিডিউল বিপর্যয়

গাজীপুরের জয়দেবপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা ও দুই দিন আগে সান্তাহার স্টেশনে রেলকর্মীদের মারধরের পর থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনগুলো ভয়াবহ শিডিউল বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে।

এরমধ্যে আজ সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা ছিল।

রাজধানীর কমলাপুরের ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে দৈনিক ৫৩টি ট্রেন ছেড়ে গেলেও এদিন মাত্র ৪টি ট্রেন সঠিক সময়ে ছেড়ে গেছে। বাকি অর্ধশত ট্রেনের অধিকাংশ ২ থেকে ৩ ঘণ্টা বিলম্বে যাচ্ছে।

রেলস্টেশনে সময়সূচিতে দেখা গেছে, রংপুর এক্সপ্রেস সাত ঘণ্টারও বেশি সময় বিলম্ব করে। অথচ ট্রেনটির সকাল ৯টা ১০ মিনিটে কমলাপুর ছাড়ার কথা ছিল।

কমলাপুর স্টেশন সূত্র বলছে, লাইন ক্লিয়ার না হওয়ার কারণে জয়দেবপুর হয়ে যে ট্রেনগুলো যাতায়াত করে সেগুলোতে বিলম্ব হয়। আগের দিন থেকেই এসব ট্রেন বিলম্বে ছাড়ছে।

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার বলেন, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় সব ট্রেনই ২ থেকে ৩ ঘণ্টা বিলম্বে ছাড়ছে। এখনো লাইন পুরোপুরি ঠিক হয়নি। সকাল থেকে এ রুটে ৮টি ট্রেন ছেড়ে গেছে আর সবই বিলম্বে চলছে।

স্টেশনে সরেজমিনে দেখা যায়, সন্তান ও স্বজন নিয়ে কেউ বসে আছেন, কেউবা দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর ক্লান্ত হয়ে শুয়ে পড়েছেন বসার জায়গা না পেয়ে। স্টেশনের ভেতর অনেক যাত্রীকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

ঢাকা স্টেশন ম্যানেজারের কক্ষে রুমে রংপুর এক্সপ্রেসের যাত্রীরা টিকিট রিফান্ডের দাবি নিয়ে আসেন। পরে যাত্রীদের দাবি মেনে তাদের টিকিট রিফান্ড করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়।


উদ্যোক্তারাই দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাণ্ডারি: এলজিআরডি মন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, উদ্যোক্তারাই দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাণ্ডারি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের যে অর্থনৈতিক উন্নতি হয়েছে উদ্যোক্তারাই পারে তাকে প্রতিষ্ঠিত করতে।

আজ শনিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে ‘নিজের বলার মতো একটা গল্প’ ফাউন্ডেশনের ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও উদ্যোক্তা মহাসম্মেলন এবং ৬৪ জেলার বিখ্যাত খাবার ও পণ্য মেলা-২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, উদ্যোক্তারা শুধু নিজে স্বাবলম্বী হন না তারা সমাজের আরো দশজনকে স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেন। এ প্রসঙ্গে সুপার পাওয়ার যুক্তরাষ্ট্রের গুগল, ফেসবুক,মাইক্রোসফট ও টেসলার মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্যোক্তারা ছিল বলেই আজ বিশ্বে নেতৃত্ব করতে পারছে তারা। বিশ্ব অর্থনীতিতে সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত হতে হলে বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদেরও বিভিন্ন নতুন নতুন ধ্যানধারণা নিয়ে কাজ করে সেগুলোর সঠিক বাস্তবায়ন করতে হবে।

অর্থনৈতিক বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘এক সময়ের খাদ্য ঘাটতির বাংলাদেশ আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে খাদ্যের স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। বিএনপি আমলে বিদ্যুৎ উৎপাদন মাত্র ১৬০০ মেগাওয়াট ছিল, বর্তমানে বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে দেশের প্রান্তিক মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিয়েছে সরকার। এ ধরনের বিভিন্ন উদ্যোগ টেকসই করার জন্য অর্থনৈতিকভাবে আমাদেরকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশের জনসংখ্যার যে বিশাল তরুণ জনগোষ্ঠী রয়েছে তাদের কর্মক্ষমতাকে কাজে লাগাতে পারলেই আমাদের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে।’

তাজুল ইসলাম বলেন, উদ্যোক্তা হতে গেলে সবচেয়ে বড় যে গুণাবলি নিজের মধ্যে ধারণ করতে হবে তা হচ্ছে আত্মবিশ্বাস এবং কোনো বাধাতেই হাল না ছেড়ে দেওয়ার মনোবৃত্তি। নিজের বলার মতো একটা গল্প উদ্যোক্তা হওয়ার যাবতীয় প্রশিক্ষণ, দক্ষতা ও মূল্যবোধ সংক্রান্ত অনলাইন কর্মশালার প্লাটফর্ম– উদ্যোক্তা তৈরির কারখানা। এটি দেশের একমাত্র প্লাটফর্ম যেখানে প্রতিদিন বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এমপি আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, এমপি ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন, এমপি জারা মাহবুব, আমেরিকান অ্যাম্বাসির ইকোনমিক ইউনিট চিফ জোসেফ গিবলিন, ‘নিজের বলার মতো একটা গল্প’ ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট ইকবাল বাহার, গ্রামীণ ফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান ও স্টার্ট-আপ বাংলাদেশ ম্যানেজিং ডিরেক্টর সামি আহমেদ প্রমুখ।


এবার ঝড়বৃষ্টির কবলে পড়তে যাচ্ছে দেশ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দীর্ঘ দাবদাহে জনজীবনে যে নাভিশ্বাস উঠেছিল, বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির মধ্যে তা অনেকটাই কমেছে। তবে এবার নতুন শঙ্কা ঘিরে ধরেছে। শক্তিশালী বৃষ্টিবলয়ের মধ্যে প্রবেশ করতে যাচ্ছে দেশ। ফলে তীব্র বজ্রপাত, কালবৈশাখী ও শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থা বাংলাদেশ আবহাওয়া অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি) এসব পূর্বাভাস দিয়েছে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরও জানিয়েছে, মে মাসে সামগ্রিকভাবে দেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে বজ্রপাত, শিলাবৃষ্টির ও তীব্র কালবৈশাখী হাওয়ার কথাও জানিয়েছে সরকারি এ সংস্থাটি।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অবজারভেশন টিম জানায়, আগামীকাল থেকে ১৫ মে পর্যন্ত দেশে বৃষ্টিবলয় সক্রিয় থাকবে। অর্থাৎ ১০ দিনের জন্য বৃষ্টির কবলে পড়তে যাচ্ছে দেশ। এই ১০ দিনে ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে বৃষ্টিবলয় বিরাজ করবে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সিলেট বিভাগে বৃষ্টিবলয় থাকবে। এ ছাড়া দেশের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগগুলোতে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিবলয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।

বিডব্লিউওটির প্রধান আবহাওয়া গবেষক খালিদ হোসেন বলেন, একটি তীব্র বজ্রপাত যুক্ত বৃষ্টিবলয় দেশের দিকে ধেয়ে আসছে। এই বৃষ্টিবলয়ে দেশের অনেক এলাকায় প্রবল কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলে শক্তিশালী প্রবল কালবৈশাখী ঝড়ের সম্ভাবনা আছে।

তিনি জানান, বৃষ্টিবলয় প্রথম দিকে দেশের পূর্ব অঞ্চলে বেশি সক্রিয় থাকতে পারে এবং পরবর্তী সময়ে দেশের বাকি এলাকায় সক্রিয় হতে পারে। এই বৃষ্টিবলয় আগামীকাল সিলেট, চট্টগ্রাম বিভাগের পশ্চিম অংশ দিয়ে দেশে প্রবেশ করতে পারে ও আগামী ১৫ মে সিলেট হয়ে দেশ ছাড়তে পারে। বৃষ্টিবলয়টি চলাকালীন সিলেট বিভাগের অনেক এলাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু এলাকায় একটানা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এই সময়ে সিলেটের নিচু এলাকায় সাময়িক বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।

এ আবহাওয়া গবেষক জানায়, বৃষ্টিবলয়ের মধ্যেই রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অনেক এলাকায় মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ ও দেশের বাকি এলাকায় স্বাভাবিক তাপমাত্রা থাকতে পারে। তবে আগামী ১৫ মের পর থেকে দেশে তাপপ্রবাহ আবার ফেরত আসতে পারে। এক্ষেত্রে এই তাপপ্রবাহ অতিতীব্র তাপপ্রবাহে উন্নীত হতে পারে, যা এপ্রিল রেকর্ডকৃত সর্বোচ্চ তাপমাত্রার অনুরূপ বা তাকেও ছাপিয়ে যেতে পারে।

আবহাওয়া গবেষক খালিদ হোসেন জানান, বৃষ্টিবলয়ের অবস্থানকালীন ১০ দিনে সবচেয়ে বেশি সিলেট বিভাগে ১৭৫ মিলিমিটার (সামান্য কম-বেশি) বৃষ্টিপাত হতে পারে। এ ছাড়া ঢাকা ও বরিশাল বিভাগে ১০০ মিলিমিটার (সামান্য কম-বেশি), খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগে ৯৫ মিলিমিটার (সামান্য কম-বেশি), চট্টগ্রাম বিভাগে ৯০ মিলিমিটার (সামান্য কম-বেশি), রংপুর বিভাগে ৬৫ মিলিমিটার (সামান্য কম-বেশি) এবং রাজশাহী বিভাগে ৫৫ মিলিমিটার (সামান্য কম-বেশি) বৃষ্টিপাত হতে পারে। অধিকাংশ বৃষ্টিপাত বিকেল থেকে পরদিন সকালের মধ্যে হতে পারে।

বঙ্গোপসাগরের পরিস্থিতি নিয়ে তিনি আরও জানান, গত কয়েক দিন তাপপ্রবাহ চলমান থাকার কারণে তীব্র প্রেসার গ্রেডিয়েন্ট তৈরি হয়েছে। যার ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর উত্তাল অবস্থায় রয়েছে। এই অবস্থা আগামী কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে। এ সময়ে উত্তর বঙ্গোপসাগরের গভীরে তথা উপকূল থেকে ১০০ কিলোমিটার বা তার বেশি দূরত্বে ঢেউয়ের উচ্চতা ৬ থেকে ৮ ফুট পর্যন্ত হচ্ছে। তাই সমুদ্রে মাছ ধরার ট্রলারগুলোর জন্য আগামী কয়েক দিন সমুদ্রে না নামাই ভালো বা নামলেও সতর্কতার সঙ্গে চলাচল করতে হবে। এ ছাড়া মে মাসের তৃতীয় অথবা চতুর্থ সপ্তাহে বঙ্গোপসাগর একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যা পরে নিম্নচাপ, গভীর নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়েও রূপ নিতে পারে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান জানায়, এই মাসে সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এ মাসে দেশে ৩ থেকে ৫ দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ হালকা ধরনের কালবৈশাখী ঝড় এবং ২ থেকে ৩ দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ মাঝারি থেকে তীব্র কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে।

তিনি জানান, মে মাসেও দেশের কোথাও কোথাও ১ থেকে ৩টি মৃদু, মাঝারি এবং ১ থেকে ২টি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ মাসে বঙ্গোপসাগরে ১ থেকে ২টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। যার মধ্যে ১টি মাসের দ্বিতীয়ার্ধে নিম্নচাপ হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এ ছাড়া মে মাসে দেশের প্রধান নদ-নদীগুলো স্বাভাবিক প্রবাহ বিরাজমান থাকতে পারে। তবে উজানে ভারী বৃষ্টির ফলে দেশের উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চালের নদীগুলোর পানি সমতল সময় বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে এবং কিছু স্থানে বিপদসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হতে পারে।

আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে। দুপুর ৩টায় এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।


আইডিবির বার্ষিক সভায় ২৭০.৫৭ মিলিয়ন ইউরোর ঋণচুক্তি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস


বাসস

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে গত ২৭ থেকে ৩০ এপ্রিল ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (আইডিবি) পরিচালনা পর্ষদের বার্ষিক সভা এবং আইডিবি গ্রুপের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন হয়েছে। অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর নেতৃত্বে ৮ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অংশ নেন। প্রতিনিধিদল চার দিনের এই আয়োজনে সৌদিভিত্তিক বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীর সঙ্গে কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় সভায়ও মিলিত হন।

প্রতিনিধিদল ওই সময়ে আইডিবি গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ সোলায়মান আল জাসের, সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্টের (এসএফডি) ডেপুটি চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ফয়সাল এম আল-খাতানি এবং ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ফাইন্যান্সিং করপোরেশনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ও ইসলামিক কো-অপারেশন ফর ডেভেলপমেন্ট অব দ্যা প্রাইভেট সেক্টরের ভারপ্রাপ্ত সিইও হানি সালেম সোনবলের সঙ্গে আলাদা আলাদা দ্বিপক্ষীয় সভা করেন। এসব সভায় বাংলাদেশের জন্য আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতার ক্ষেত্র বৃদ্ধি, ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তির মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতার কৌশল নির্ধারণ, নমনীয় ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি ও ঋণের সুদ হ্রাসকরণ, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলাসহ সার্বিক উন্নয়নে বিদ্যমান সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়। প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী অংশ নেন।

গত ২৮ এপ্রিল সাইড ইভেন্টে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী আইডিবি গ্রুপের প্রধান অর্থনীতিবিদের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন। যেখানে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশের সাফল্য এবং বিশেষত বাংলাদেশের অর্থনীতির বহুমুখিতা, বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ, সম্ভাবনা এবং নীতিগত উদ্যোগগুলোর ওপর আলোচনা হয়।

২৯ এপ্রিল অন্য একটি সাইড ইভেন্টে আইডিবি গ্রুপের মেম্বর কান্ট্রি পার্টনারশিপ স্ট্রাটেজি (এমসিপিএস) ফর দ্য পিপলস রিপাবলিক অব বাংলাদেশ ২০২৪-২৫-এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়। দেশের ক্ষেত্রভিত্তিক উন্নয়ন অগ্রাধিকারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আগামী তিন বছর বাংলাদেশের জন্য আইডিবির অর্থায়নের পরিকল্পনা এই এখানে বর্ণিত রয়েছে। এদিন বাংলাদেশ সরকার ও ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের মধ্যে রুরাল অ্যান্ড প্রি আরবান হাউজিং ফাইন্যান্স প্রোজেক্ট-সেকেন্ড পেজ শীর্ষক ৫ বছরমেয়াদি প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য মোট ২৭০.৫৭ মিলিয়ন ইউরোর ঋণচুক্তি স্বাক্ষর হয়। প্রকল্পটির মাধ্যমে দেশের পল্লি ও শহরতলী এলাকায় বসবাসরত নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য পরিকল্পিত, টেকসই এবং পরিবেশবান্ধব আবাসন নিশ্চিতকল্পে সাশ্রয়ী গৃহনির্মাণ ঋণ প্রদান করা হবে।


ভোটের দিন বিশৃঙ্খলা করলে প্রার্থিতা-নির্বাচন বাতিল: ইসি রাশেদা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ভোটের দিন যেকোনো ধরনের নৈরাজ্য করা হলে প্রার্থিতা বাতিলসহ নির্বাচন স্থগিত-বাতিলের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা। তিনি বলেন, ‘ওই দিন কোনো রকম উচ্ছৃঙ্খলতা, বিশৃঙ্খলা, সহিংস আচরণ, ভোটকেন্দ্র দখল করার মতো দুঃসাহস করবেন না। আপনারা অবৈধভাবে যে ব্যালটই রাখেন না কেন আমাদের কাছে তথ্য গেলে ও প্রমাণ পেলে সেই ভোট বাতিল করে দিব যেকোনো মুহূর্তে।’

আজ শনিবার রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বিভাগের চার জেলার উপজেলা নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

ইসি রাশেদা বলেন, ‘কোনো প্রার্থী অসদাচরণ ও আচরণবিধি ভঙ্গ করলে আমরা কিন্তু নির্বাচনের মুহূর্তেও প্রার্থিতা বাতিল করে দেব। ভোটের দিন যেকোনো নৈরাজ্যমূলক আচরণ করলে আমরা কিন্তু নির্বাচন স্থগিত করব, নির্বাচন বাতিল করব, প্রার্থিতা বাতিল করব।’

তিনি বলেন, ‘যেকোনো মূল্যে উপজেলা নির্বাচন হবে প্রভাবমুক্ত। সরকারের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রভাবশালীরা এই নির্বাচনে প্রভাব খাটালে কমিশন প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে বিধিবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।’

রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘আমরা লক্ষ করছি পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে নেক দৃষ্টি দিয়ে সরকারের অতি সুবিধাভোগী কিছু ব্যক্তি এ নির্বাচনে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছেন। ওই সব পদে যারা আছেন তাদের প্রতি অনুরোধ করব; দয়া করে আপনারা আপনাদের জায়গায় থাকেন। আপনি এলাকার ভোটার, আপনি আসবেন; ভোট দেবেন চলে যাবেন। আপনি যে পর্যায়ে আছেন, আপনি আপনার মান-ইজ্জত রক্ষা করবেন। আপনার ইজ্জত আপনি যদি রক্ষা না করেন, তাহলে কিন্তু যেকোনো মুহূর্তে বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে। এর দায় আমরা নেব না। আপনারাই সেটা বহন করবেন। আপনারা নিজের মর্যাদায় আসীন থেকে দায়িত্ব পালন করবেন।’

প্রার্থীদের উদ্দেশে ইসি রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘ভোটারবিহীন নির্বাচনের সৌন্দর্য, গ্রহণযোগ্যতা কিংবা আনন্দও নেই। ১০ শতাংশ ভোট পেয়ে জেতা আর ৮০ শতাংশ ভোট পেয়ে জেতার মধ্যে পার্থক্য আপনারাই বুঝতে পারবেন। তাই আপনারা চিন্তা করেন, পরিবেশ নষ্ট করে ১০ শতাংশ ভোটে জিততে চান, না ভোটার এনে ৮০ শতাংশ ভোটে জিততে চান। আপনাদের ওপর এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভারটা ছেড়ে দিলাম।’

তিনি বলেন, গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি হচ্ছে নির্বাচন। তাই নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়, সেজন্য নির্বাচন কমিশন কাজ করে যাচ্ছে। জনগণের মনে যেন গেঁথে থাকে এমন একটি নির্বাচন হবে এবার। তাই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা কমিশন চায় না।

নির্বাচনে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের উদ্দেশে রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘কোন প্রার্থী জিতল কোন প্রার্থী জিতল না- এ নিয়ে ইসির মাথাব্যথা নেই। নির্বাচন কমিশনের একটি নির্দেশনা, আপনার সব প্রার্থীকে সমান চোখে দেখবেন, নিরপেক্ষতার সঙ্গে দেখবেন, যে হাঙ্গামা করবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন। কমিশনের নির্দেশনা যিনি প্রতিপালন করবেন না, তার দায়-দায়িত্বও তিনি নেবেন। আপনাদের কৃতকর্মের দায় কমিশন বহন করবে না।’

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীরের সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আনিসুর রহমান, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার এবং আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।


‘ট্রেন সুবিধায় আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল দক্ষিণবঙ্গ’

শনিবার মাদারীপুরের শিবচর রেলস্টেশনে নতুন ট্রেনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ট্রেন সুবিধায় আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল দক্ষিণবঙ্গ। ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে আজ শনিবার চালু হলো আরও একজোড়া ট্রেন। অল্পদিনের ব্যবধানে আরও কয়েকটি ট্রেন চালু হবে এ রুটে। দ্রুত ভাঙ্গা থেকে বরিশাল পর্যন্ত নতুন রেলপথ নির্মাণের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম। আজ শনিবার মাদারীপুরের শিবচর রেলস্টেশনে নতুন ট্রেনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

এদিকে, স্বপ্নসেতু পদ্মা উদ্বোধনের পর থেকেই উন্মুক্ত হচ্ছে রেলের দখিনা দুয়ার। এবার দক্ষিণবঙ্গের ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে চালু হলো আরও একজোড়া ট্রেন। তাই তো পদ্মাপাড়ের রেলস্টেশন শিবচরে সাজ সাজ রব। নতুন ট্রেনের যাত্রায় উচ্ছ্বসিত পদ্মাপাড়ের মানুষ। অল্প সময়ে ঢাকা যেতে পারার সুযোগ পেয়ে খুশি তারা। গতকাল সকাল থেকেই শিবচর স্টেশনে ভিড় করেন স্থানীয়রা। উদ্বোধনী ট্রেনকেও সাজানো হয় নান্দনিক রূপে। নদীভাঙন অঞ্চলের মানুষ ট্রেন পেয়ে উচ্ছ্বসিত। স্বল্প সময়ে ঢাকায় যেতে পারার আনন্দ স্থানীয়দের। স্থানীয়রা জানায়, শুধু যাতায়াত নয়, এ অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য ও কৃষিতেও ভূমিকা রাখবে। তারা বলছেন, ট্রেন যোগাযোগের মাধ্যমে নতুন নতুন শিল্পও গড়ে উঠবে এসব এলাকায়।

ট্রেন উদ্বোধন উপলক্ষে শিবচর রেলস্টেশন চত্বরে সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এতে যোগ দেন রেল মহাপরিচালক, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী। প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেলমন্ত্রী জানান, অল্প দিনের মধ্যে ভাঙ্গা থেকে বরিশাল পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের কাজ শুরু হবে।

পরে অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে ফিতা কেটে ট্রেনের উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী। দুপুর ১২টার পর শিবচর রেলস্টেশন থেকে ঢাকা অভিমুখে যাত্রা শুরু করে ভাঙ্গা কমিউটার।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, রাজবাড়ী থেকে ভাঙ্গা ননস্টপ চন্দনা কমিউটার সার্ভিস রাজবাড়ী স্টেশন থেকে ছাড়বে ভোর ৫টায়। ভাঙ্গা স্টেশনে পৌঁছাবে ভোর ৬টা ১৫ মিনিটে। এরপর এই ট্রেনটি ভাঙ্গা কমিউটার নামে ভাঙ্গা স্টেশন থেকে ছাড়বে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে। আর ঢাকার কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছাবে সকাল ৯টায়।

ফিরতি যাত্রায় ভাঙ্গা কমিউটার ঢাকার কমলাপুর থেকে ছাড়বে সন্ধ্যা ৬টায়। ভাঙ্গায় গিয়ে পৌঁছাবে রাত ৮টায়। এরপর এই ট্রেনটি চন্দনা কমিউটার নামে ভাঙ্গা থেকে ছেড়ে যাবে রাত ৮টা ১০ মিনিটে। আর রাজবাড়ী স্টেশনে গিয়ে পৌঁছাবে রাত ৯টা ৩০ মিনিটে। ট্রেনটিতে ৫২৮টি শোভন শ্রেণির আসন আছে।


‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সফলতায় কিছুটা দায়মুক্ত হয়েছি’

শনিবার জাতীয় জাদুঘরের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তনে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ৯৫তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর’-এর চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম ঘাতক দালাল নির্মূলের যে আন্দোলন শুরু করেছিলেন, তা কিছুটা হলেও সফল হয়েছে, বাস্তবায়িত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, এর মাধ্যমে আমরা দায়মুক্ত ও পাপমুক্ত হয়েছি। আমরা কিছুটা হলেও মুক্তিযুদ্ধের কথা বলি কিন্তু রাজাকার, আলবদর, আলশামসদের কথা একেবারেই বলি না।’

আজ শনিবার জাতীয় জাদুঘরের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তনে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ৯৫তম জন্মদিন উপলক্ষে জাতীয় জাদুঘরের কাছে ‘জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর’-এর চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘মহীয়সী নারী জাহানারা ইমামের স্মৃতি জাদুঘর, যেটি ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছিল; সেটি সরকার ও সংস্কৃতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে জাতীয় জাদুঘরের শাখা হিসেবে এর দায়িত্বভার গ্রহণ করে আরেকবার দায়মুক্ত হলাম। আন্দোলন-সংগ্রাম কীভাবে হয়েছিল, আমরা মাঠে থেকে দেখেছি। সেদিন বৃহত্তর কারাগারে সাত কোটি মানুষ বন্দি থেকে মুক্তিযুদ্ধকে সংগঠিত করেছিল, মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছিল জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। তাদেরই একজন পুরোধা ব্যক্তিত্ব শহীদ জননী জাহানারা ইমাম।’

এই জাদুঘরে সরকারি উদ্যোগ ব্যাপকভাবে লোকসমাগম হবে, বিশেষ করে নতুন প্রজন্মকে আনার ব্যবস্থা নেবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা কিছুটা হলেও মুক্তিযুদ্ধের কথা বলি, সফলতার কথা বলি। কিন্তু রাজাকার, আলবদর, আলশামস ঘাতক-দালালরা কীভাবে ৯ মাস লুণ্ঠন করেছে, অত্যাচার করেছে, নারী নির্যাতন করেছে, মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়িঘর ছিনিয়ে নিয়েছে, তাদের হত্যা করেছে, পাকিস্তানি বাহিনীকে সহায়তা করেছে, সেটা একেবারেই বলি না। মুক্তিযুদ্ধের আলোচনা কিছুটা হলেও হয় কিন্তু রাজাকারদের আলোচনা একেবারেই মুছে যাচ্ছে। কাজেই যুদ্ধাপরাধীদের ইতিহাস সরকারি ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগেও আলোচনায় আনা উচিত।’

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। শহীদ জননী জাহানারা ইমামকে মুক্তিযোদ্ধাদের ‘মা’ হিসেবে বরণ করে নেওয়া হয়েছে। স্বাধীনতাযুদ্ধে নারীদের আত্মত্যাগের উজ্জ্বল উদাহরণ হলেন শহীদ জননী। তিনি ও তার পরিবারের আত্মত্যাগ আমাদের স্মরণে রাখতে হবে, তুলে ধরতে হবে নতুন প্রজন্মের কাছে। আমি শিক্ষামন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করব সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাহানারা ইমামের লেখা ‘একাত্তরের দিনগুলি’ বইটি যেন পড়ানো হয়।’

অনুষ্ঠানের শুরুতে জাহানারা ইমাম ও তার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন সময়ের তোলা ছবি এবং জাহানারা ইমাম জাদুঘরের একটি প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়। আমন্ত্রিত অতিথিদের বক্তব্যের পর জাহানারা ইমামের ছোট ছেলে সাইফ ইমাম জামি জাতীয় জাদুঘরের কাছে জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘরের চাবি হস্তান্তর করেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী মোজাম্মেল হক ভার্চুয়ালি জাদুঘরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিরউদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু, সাইফ ইমাম জামি প্রমুখ। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা, সংসদ সদস্য, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।


পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ভারতের

ফাইল ছবি।
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে ভারত। আজ শনিবার এক প্রজ্ঞাপনে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা জানিয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পেঁয়াজ রপ্তানিকারক দেশটি।

গত মার্চের শেষের দিকে পেঁয়াজ রপ্তানিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ভারত। আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের আগে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের নেওয়া এমন পদক্ষেপ বিদেশি বাজারে পেঁয়াজের উচ্চমূল্যকে আরও বাড়িয়ে তুলবে বলে আশঙ্কা করছিল বিশ্লেষকরা।

ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান টাইমসের এক খবরে বলা হয়েছে, শনিবার (৪ মে) থেকে দেশটির সরকার পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে দিয়েছে। যা ভারতের মহারাষ্ট্রের চাষীদের জন্য একটি স্বস্তির খবর। মূলত, এই অঞ্চলটিতে ব্যাপক পরিমাণ পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। রফতানি নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর পেঁয়াজের বিরাট দরপতনে ক্ষুব্ধ ছিলেন চাষিরা। সরকারের বিরোধীপক্ষও তাদের সমর্থন করে আসছিল। নতুন করে রফতানি নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ায় কৃষকরা মূল্য পাবেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য শাখার মহাপরিচালকের দফতর থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এসব পেঁয়াজের সর্বনিম্ন রফতানি মূল্য (মিনিমাম এক্সপোর্ট প্রাইস-এমইপি) হবে প্রতি টন ৫৫০ ডলার।

পেঁয়াজের ওপর দেশটির আরোপিত নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ৩১ মার্চ শেষ হওয়ার কথা ছিল। এই নিষেধাজ্ঞা শিগগিরই তুলে নেওয়া হবে বলে আশা করেছিলেন ব্যবসায়ীরা।

দেশটির মহারাষ্ট্রের পেঁয়াজ চাষি ও ব্যবসায়ীরা অনেক আগে থেকেই পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছে। কেননা, রপ্তানিতে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার পর থেকেই ভারতের স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম অর্ধেকেরও বেশি কমে গেছে।

ডিসেম্বরে রফতানি নিষেধাজ্ঞা দিলেও বিশেষ অনুরোধে বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশে কিছু কিছু পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি দিয়েছিল ভারত।

এদিকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকগণ ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য আইপি, এলসি খোলাসহ সকল প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন।


banner close