রোববার, ৯ জুন ২০২৪

গণপরিবহনে নারী আসন ৩০% কার্যকর করার দাবি

আপডেটেড
৮ মার্চ, ২০২৩ ১৬:৩৪
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ৮ মার্চ, ২০২৩ ১৬:১৮

গণপরিবহনে নারী আসন ৩০ শতাংশ ও সড়ক নীতিমালা কার্যকর করার দাবি জানিয়েছে সেভ দ্য রোড নামের একটি সংগঠন। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘শান্তি সড়ক সমাবেশে’ এই দাবি তোলা হয়।

সমাবেশে সেভ দ্য রোডের নেতারা অনতিবিলম্বে বাস-ট্রেন-লঞ্চ ও প্লেনে নারীদের জন্য ন্যূনতম ৩০ শতাংশ নারী আসন নিশ্চিতের দাবি জানান। একই সঙ্গে সড়ক নীতিমালা কার্যকরের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রী-সচিব-বিআরটিএ চেয়ারম্যানসহ সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর প্রতি আহ্বান জানান।

সমাবেশে সেভ দ্য রোডের মহাসচিব শান্তা ফারজানা বলেন, গণপরিবহনে নারী ধর্ষণের যতগুলো ঘটনা ঘটেছে, একটির বিচারও আজ পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবে শেষ হয়নি, যে কারণে নির্মম বাস্তবতার মুখোমুখি হচ্ছেন আমাদের মা-বোনেরা।


দেশীয় পশু দিয়েই কোরবানি হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

সাভারে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইন্সটিটিউটে (বিএলআরআই) আয়োজিত ‘বার্ষিক গবেষণা পরিকল্পনা কর্মশালা-২০২৪’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রোববার বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৯ জুন, ২০২৪ ২০:২০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে উৎপাদিত পশু দিয়েই কোরবানি হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।

আজ রোববার সাভারে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইন্সটিটিউটে (বিএলআরআই) আয়োজিত ‘বার্ষিক গবেষণা পরিকল্পনা কর্মশালা-২০২৪’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, দেশে কোরবানিতে পশুর চাহিদা আছে ১ কোটি ৭ লক্ষ যেখানে কোরবানির জন্য প্রস্তুত আছে প্রায় ১ কোটি ৩০ লক্ষ পশু যা চাহিদা অনুযায়ী অনেক বেশি। এবার দেশীয় পশু দিয়েই কোরবানি হবে।

আব্দুর রহমান বলেন, ‘লক্ষ্যমাত্রা থেকে অধিক প্রস্তুতি আমাদের আছে। চোরাচালানের মাধ্যমে কেউ দেশে পশু এনে থাকলে তা অবৈধ বলে বিবেচিত হবে। রাতের আঁধারে কিছু গরু দেশে ঢুকছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, তবে সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনী তাদের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। চোরাচালানের মাধ্যমে যারা দেশে পশু আনছে, তারা অবৈধ পথ অবলম্বন করছেন।’

আজ সকালে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে সাংবাদিকদের প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, আসন্ন ঈদুল আজহায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটসহ সারা দেশে চলাচলকারী পশুবাহী ট্রাক থেকে যারা চাঁদা নেবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঘাটে পশুবাহী গাড়ির নজরদারির জন্য লাইভস্টক বিভাগের নেতৃত্বে স্থানীয়ভাবে একটি বিশেষ টিম জরুরি সেবায় নিয়োজিত থাকবে।

কর্মশালায় বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘মানুষের খাদ্যের গুণগত মান যেমন নিশ্চিত করতে হবে, তেমনি পশু খাদ্যেরও গুণগতমান সঠিকভাবে বজায় রাখতে হবে।’

এ সময় মন্ত্রী পশুর জন্য কোন খাবারটি উপযুক্ত কিনা- তা গবেষণার মাধ্যমে বের করে আনার জন্য কৃষি বিজ্ঞানীদের প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে এ কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর।


‘বাংলাদেশ থেকে আরও দক্ষ কর্মী নেবে জাপান’

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাপানের কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনবল নিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী এমপি।

আজ রোববার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাপানের বিভিন্ন কোম্পানির ১১ সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দলের সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে তিনি একথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাপানি কোম্পানিগুলো বাংলাদেশ থেকে আরও দক্ষ পেশাদার, কারিগরি ও নির্মাণ শ্রমিক নিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমরা তাদের যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করে আবেদন করার অনুরোধ জানিয়েছি।

তিনি বলেন, ‘জাপানের প্রতিনিধি দলকে তাদের প্রয়োজনীয় কারিগরি প্রশিক্ষণের জন্য টিটিসির ব্যবস্থা করা হবে। সেখানে তারা আগ্রহী কর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করবে এবং যোগ্যদের বাছাই করতে সক্ষম হবে।’

জাপান প্রতিনিধিদল জানিয়েছে, তাদের অনেক দক্ষ কর্মীর প্রয়োজন রয়েছে। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন জাপানের ইউরিগুমি মেরিটাইম কোম্পানি লিমিটেডের মাসাফুমি ইউরিগুমি।

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার পরিস্থিতি, তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন ও অভিযোগ করার সময়সীমা শেষ হওয়া প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তদন্ত কমিটি এ বিষয়ে কাজ করছে। তদন্ত শেষ হওয়ার পর এ বিষয়ে আপনাদেরকে বিস্তারিত জানানো হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আশা করছি, যারা দোষী তাদের কি ধরনের সাজা দেয়া যায়, সেই ব্যাপারে সুপারিশ থাকবে। এ ছাড়াও, মালয়শিয়া যাওয়ার ক্ষেত্রে যারা ক্ষতিগ্রস্ত রয়েছেন তাদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’


শিশুকে খেলাধুলার ‍সুযোগ দিতে হবে: গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম এবং তাদেরকে খেলাধুলার সুযোগ দিতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী।

আজ রোববার সকালে মোহাম্মদপুর শারীরিক শিক্ষা কলেজ মাঠে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শিশুর সুস্থ ও সুন্দরভাবে গড়ে উঠতে খেলাধুলা কার্যকর ভূমিকা রাখে, যার মাধ্যমে শিশুর শৃঙ্খলাবোধ, সময়ানুবর্তিতা, সহযোগিতা ও পরমতসহিষ্ণু বেড়ে ওঠে।

দেশপ্রেম ও কর্তব্যপরায়ণ হয়ে ওঠার ক্ষেত্রেও খেলাধুলার বিরাট ভূমিকা রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ। সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আব্দুস সামাদ।

বিষয়:

এল কে আদভানির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা লাল কৃষ্ণ আদভানির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আদভানির নিজ বাড়িতেই তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।

ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বৈঠকে উভয় নেতা তাদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। এ ছাড়াও তারা পরস্পর সৌহার্দ্য বিনিময় ও অতীতের স্মৃতি রোমন্থন করেন।’

আজ সন্ধ্যায় টানা তৃতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। এই উদ্দেশে তিনি গতকাল শনিবার নয়াদিল্লি পৌঁছনি।

প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, মরিশাস, নেপাল ও ভুটানের শীর্ষ নেতারা এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

ভুটানের প্রধানমন্ত্রী দাশো শেরিং তোবগেও স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৪টায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।


‘প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ভিক্ষুকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে’

সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ফাইল ছবি
আপডেটেড ৯ জুন, ২০২৪ ১৮:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সারা দেশে ১৭ হাজার ৭১০ জন ভিক্ষুককে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি। পাশাপাশি ঢাকা শহরে ভিক্ষারত অবস্থায় আটক হওয়া ভিক্ষুকদের সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে রেখে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

আজ রোববার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য তাহমিনা বেগমের এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে সমাজকল্যাণমন্ত্রী এ কথা জানান।

দীপু মনি বলেন, ‘ঢাকা শহরে জীবন-জীবিকার জন্য অন্যের ওপর নির্ভরশীল এ রূপ ঠিকানাবিহীন কত লোক বসবাস করে তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই। নদী ভাঙন, অতি দারিদ্র্য, রোগ, ব্যাধি, অশিক্ষা প্রভৃতি কারণে কিছু লোক ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত হচ্ছেন। যাদের প্রকৃতপক্ষে সাহায্যের দরকার আছে। তবে কিছু কিছু কর্মবিমুখ লোক সহজ আয়ের পথ হিসেবে ভিক্ষাবৃত্তিকে বেছে নিয়েছেন। এর পাশাপাশি কিছু দুষ্টচক্র নিজ স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য অসহায় মানুষদের দিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করাচ্ছেন।’

তিনি বলেন, ‘ভিক্ষুকমুক্ত করার লক্ষ্যে ভিক্ষাবৃত্তি সমাধানে সরকার ২০১০-১১ অর্থবছর থেকে ‘ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান’ শীর্ষক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে সারা দেশে ভিক্ষুকদের পুনর্বাসন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১৭ হাজার ৭১০ জন ভিক্ষুককে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা শহরে ভিক্ষারত অবস্থায় আটক ভিক্ষুকদের সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে রেখে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ এবং প্রশিক্ষণ শেষে প্রয়োজনীয় উপকরণ দিয়ে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’

সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন, ‘সারা দেশে ভিক্ষুকদের ডাটাবেজ তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সঠিক পরিসংখ্যানের মাধ্যমে প্রকৃত ভিক্ষুকদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে ভিক্ষাবৃত্তি নিরসন করা হবে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ কর্তৃক ভিক্ষাবৃত্তি নিরসন ও পুনর্বাসন উপখাতে ৬৪ জেলায় ৫০ লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতেও এ অনুদান দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।’


‘সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট সরকারের সদিচ্ছার প্রমাণ’

সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের ৩০তম সভায় রোববার বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। ছবি: পিআইডি
আপডেটেড ৯ জুন, ২০২৪ ১৯:৪৩
নিজস্ব প্রতিবেদক

সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট সাংবাদিকদের সুরক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের সদিচ্ছার বড় প্রমাণ বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

আজ রোববার দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের ৩০তম সভায় এ কথা জানান। সভায় ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণমাধ্যমের বিস্তৃতি ও স্বাধীনতার পাশাপাশি সাংবাদিকদের কল্যাণ ও সুরক্ষায় বিশ্বাস করেন। গত পনেরো বছরে গণমাধ্যমের যেমন বিস্তৃতি ঘটেছে, তেমনি সাংবাদিকদের কল্যাণেও নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছেন। এই ট্রাস্ট গঠন প্রমাণ করে তার নেতৃত্বাধীন সরকার সাংবাদিকবান্ধব।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে নিয়মিতভাবে অসচ্ছল, দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিকদের এবং মৃত সাংবাদিকদের পরিবারের অনুকূলে কল্যাণ অনুদান প্রদান করা হচ্ছে। চলতি অর্থবছরের তৃতীয় ও শেষ পর্যায়ে ২ কোটি ৮ লক্ষ টাকা অনুদান প্রদান করা হয়েছে। এ ট্রাস্ট থেকে সাংবাদিকদের মেধাবী সন্তানদের শিক্ষার জন্য বৃত্তি প্রদান কার্যক্রমও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এসব কার্যক্রম সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও কল্যাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের অঙ্গীকারের বহিপ্রকাশ।’

ট্রাস্ট থেকে কল্যাণ অনুদান প্রদানে সাংবাদিকদের বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আরো স্বচ্ছতা ও পেশাদারিত্ব নিশ্চিত করার কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।

সভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যান মো. হুমাযুন কবীর খোন্দকার, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সচিব সুভাষ চন্দ্র (বাদল), প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ-এর মহাপরিচালক ও ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য জাফর ওয়াজেদ, তথ্য অধিদফতরের প্রধান তথ্য অফিসার ও ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য মো. শাহেনুর মিয়া, অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ও ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য মোহাম্মদ সাদেকুর রহমান, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ওমর ফারুক, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব ও ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য দীপ আজাদ, দৈনিক সংবাদের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ও ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য কাশেম হুমায়ুন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য সোহেল হায়দার চৌধুরী এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান ও ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য কলিম সরওয়ার উপস্থিত ছিলেন।


সন্ধ্যায় মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ রোববার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে টানা তৃতীয় মেয়াদে নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, ভুটান, নেপাল, মরিশাস এবং সেশেলসের শীর্ষ নেতারাও মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে ৮,০০০ জনের বেশি বিশিষ্টজনের রেকর্ড উপস্থিতি দেখা যাবে।

এছাড়াও নেতৃবৃন্দ রাষ্ট্রপতি শ্রীমতি কর্তৃক আয়োজিত ভোজসভায় যোগ দেবেন। একই সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি ভবনে দ্রৌপদী মুর্মু।

শপথ অনুষ্ঠানকে চিহ্নিত করে, অনুষ্ঠান চলাকালীন রাষ্ট্রপতি ভবনে এবং বাইরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দিল্লিকে একটি বহু-স্তর কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার আওতায় রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট প্রায় দেড় ঘণ্টা আকাশে ওড়ার পর গতকাল শনিবার সকাল ১১টা ৫১ মিনিটে (স্থানীয় সময়) পালাম এয়ার ফোর্স স্টেশন, ভিভিআইপি বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

পালাম বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব (সিপিভি ও ওআইএ) মুক্তেশ পরদেশী, বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান স্বাগত জানান।

নয়াদিল্লিতে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা আজ সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগদানের পর নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ওয়ান-টু-ওয়ান বৈঠক করবেন। পরে তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতির দেওয়া রাষ্ট্রীয় নৈশভোজে যোগ দেবেন।

শেখ হাসিনা গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার আয়োজিত নৈশভোজে যোগ দেন। আগামীকাল সোমবার বিকেল ৫টায় (নয়া দিল্লির সময়) ঢাকার উদ্দেশ্যে নয়াদিল্লি ত্যাগ করার কথা রয়েছে এবং ওই দিন রাত ৮টায় (বিডি সময়) ঢাকা পৌঁছার কথা রয়েছে।

এর আগে বুধবার টেলিফোনে আলাপের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানান এবং শেখ হাসিনা আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন।

মোদি ৯ জুন শপথ নিতে চলেছেন। এর আগে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ১৮ তম লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ ২৯৩টি আসন জিতেছে এবং নির্বাচনে বিরোধী ইন্ডিয়া ব্লক ২৩৪টি আসন পেয়েছে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন জানানো প্রথম বিদেশী নেতাদের অন্যতম। যা দুই নেতার মধ্যে ব্যক্তিগত সম্পর্কের উষ্ণতা প্রতিফলিত করে।

এর আগে শেখ হাসিনা লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)’র নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোটের (এনডিএ) নিরঙ্কুশ বিজয়ে নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন জানান।

এতে তিনি বলেন, ‘বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের নেতা হিসাবে আপনি ভারতের জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতীক।’

ভারতের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর তথ্য অনুসারে শেখ হাসিনা বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ’র বিজয়ের জন্য মোদিকে টেলিফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

নির্বাচনে বিজয়ের পর শেখ হাসিনার উষ্ণ শুভেচ্ছার জন্য মোদি তাকে ধন্যবাদ জানান।

মোদি বলেন, ‘ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে, যা গত এক দশকে অভূতপূর্বভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।’

এক্স-এ শেয়ার করা এক বার্তায় মোদি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে জনগণকেন্দ্রিক অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করতে তিনি একসঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছেন।

দুই নেতা বিকশিত ভারত ২০৪৭ এবং স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ অর্জনের লক্ষ্যে নবায়নকৃত ম্যান্ডেটের আওতায় ঐতিহাসিক ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে আরও গভীর করার জন্য একসাথে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।


মে মাসে বিজিবির অভিযানে ১৫৭ কোটি টাকার পণ্য জব্দ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) গত মে মাসে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য জায়গায় অভিযান চালিয়ে সর্বমোট ১৫৭ কোটি ৪২ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন চোরাচালান পণ্যসামগ্রী জব্দ করেছে।

আজ রোববার বিজিবি জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া তথ্যমতে, জব্দ করা চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ৬৬০ গ্রাম সোনা, ৩ কেজি ৩৭০ গ্রাম রূপা, ১ লাখ ২২ হাজার ৭৮৩টি কসমেটিক্স সামগ্রী, ২ হাজার ৬৭৫টি ইমিটেশন গহনা, ১৪ হাজার ৯৮৯টি শাড়ী, ১০ হাজার ৫৭৩টি থ্রিপিস/শার্টপিস/চাদর/কম্বল/তৈরি পোশাক, ১ হাজার ৩২১ ঘনফুট কাঠ, ১ হাজার ৫৪৬ কেজি চা পাতা, ২৬ হাজার ৯২০ কেজি কয়লা, ৩০০ ঘনফুট পাথর, ২ কেজি ৪৭১ গ্রাম সাপের বিষ, একটি কষ্টি পাথরের মূর্তি, ১৮টি ট্রাক, তিনটি পিকআপভ্যান, দুইটি প্রাইভেটকার/মাইক্রোবাস, একটি বাস, একটি মাহেন্দ্র/ট্রাক্টর, ২৬টি নৌকা, ৩৩টি সিএনজি/ইজিবাইক, ৮৯টি মোটরসাইকেল এবং ৩৪টি বাইসাইকেল।

এছাড়া জব্দ করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে একটি পিস্তল, ১১টি গান, একটি ম্যাগাজিন, ৩ কেজি ৯৮০ গ্রাম গান পাউডার এবং ৬ হাজার ৯১০ রাউন্ড গুলি।

এতে আরও বলা হয়, গত মাসে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্যও জব্দ করেছে বিজিবি। তার মধ্যে আছে- ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৮২৭টি ইয়াবা ট্যাবলেট, ৯ কেজি ৪২২ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ, ৩৬ হাজার ৩৫২ কেজি হেরোইন, ১০ হাজার ৭৬০ বোতল ফেনসিডিল, ২২ হাজার ৬২১ বোতল বিদেশি মদ, ২৯৯ লিটার বাংলা মদ, ৫৯৩ ক্যান বিয়ার, ১ হাজার ৫০৩ কেজি গাঁজা, ২ লাখ ৮০৮টি নেশাজাতীয় ট্যাবলেট/ইনজেকশন, ২ হাজার ৯১১ বোতল ইস্কাফ সিরাপ, ৮ দশমিক ৫৮০ কেজি কোকেন, ১ কেজি আফিম, ৮২০ বোতল এমকেডিল/কফিডিল, ২৫ লাখ ৮৩ হাজার ৬৬১টি বিভিন্ন প্রকার ওষুধ, ১ লাখ ৬৮ হাজার ৪৮০টি এ্যানেগ্রা/সেনেগ্রা ট্যাবলেট, ১১ বোতল এলএসডি এবং ১১ হাজার ৯৯৫টি অন্যান্য ট্যাবলেট।

সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৭৬ জন চোরাচালানীকে এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ৭৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক, আটজন ভারতীয় নাগরিক এবং ৬৪২ জন মায়ানমার নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।


এপেক্স অ্যাস্ট্রো-অলিম্পিয়াড শুরু ৫ জুলাই

এপেক্স অ্যাস্ট্রো-অলিম্পিয়াডের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৮ জুন, ২০২৪ ২১:৫৯
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

আগামী ৫ জুলাই শুরু হচ্ছে ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সী স্কুল এবং কলেজ পর্যায়ের ছাত্র/ছাত্রীদের জন্য এপেক্স অ্যাস্ট্রো-অলিম্পিয়াডের বাছাই কার্যক্রম।

আজ শনিবার এপেক্স অ্যাস্ট্রো-অলিম্পিয়াডের জাতীয় কমিটির সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য জানানো হয়।। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মশহুরুল আমিন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয়কে বাংলাদেশে জনপ্রিয় করবার জন্য বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন গত ৩৬ বছর ধরে কাজ যাচ্ছে। ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সী স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নিতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী এতে অংশ নিতে পারবেন না। দেশব্যাপী আয়োজিত ‘এপেক্স অ্যাস্ট্রো-অলিম্পিয়াড’ এর প্রাথমিক বাছাই কার্যক্রমটি শুরু হবে ৫ জুলাই ২০২৪ তারিখ। প্রাথমিক বাছাই কার্যক্রম থেকে নির্বাচিত ৫০০ জন্য প্রতিযোগিকে নিয়ে আগামী ৩ আগস্ট ২০২৪ তারিখে ঢাকায় আয়োজন করা হবে ‘এপেক্স অ্যাস্ট্রো-অলিম্পিয়াড’ জাতীয় বাছাই কার্যক্রম।

জাতীয় বাছাই কার্যক্রম থেকে সিনিয়র গ্রুপের ১৫ জন এবং জুনিয়র গ্রুপের ১৫জন সহ, মোট ৩০জনকে নিয়ে ৪দিনের আবাসিক ক্যাম্প এবং চূড়ান্ত বাছাই করা হবে। সেই আবাসিক ক্যাম্প থেকে নির্বাচিত ৫ প্রতিযোগী আসন্ন ২৮তম আন্তর্জাতিক অ্যাস্ট্রোনমি অলিম্পিয়াড এ বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে।

ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে আয়োজিত আজকের সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ভিসি অধ্যাপক শামস রহমান। সভাপতিত্ব করেন মশহুরুল আমিন, চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল এসোসিয়েশন।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, ‘আমি ছাত্র থাকা অবস্থায় রাশিয়া মহাকাশে স্পুতনিক মহাকাশ যান পাঠায়। তখন ভাবতাম, রাশিয়া মহাকাশবিজ্ঞানে অনেক এগিয়ে গেছে, আমরা কেন পারছি না। তবে এখন জ্যোতির্বিজ্ঞানে আমরাও এগোচ্ছি ক্রমে ক্রমে। এই অ্যাস্ট্রো-অলিম্পিয়াড জাতীয়ভাবে জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চায় ভূমিকা রাখবে।’

ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শামস রহমান বলেন, ‘এখন সময় এসেছে সরকারের মহাকাশ ও জ্যোতির্বিজ্ঞানকে অগ্রাধিকার দিয়ে অর্থ বিনিয়োগ করার।’

সংবাদ সম্মেলনে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সহ-উপাচার্য আশিক মোসাদ্দিকও বক্তব্য দেন।

অংশগ্রহণের নিয়ম

১. ২০০৬ - ২০১০ সাল এর মধ্যে জন্ম গ্রহণ কারী স্কুল-কলেজ পর্যায়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এই আয়োজন। (১৪-১৮ বছর বয়সী)

২. বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া কোনো ছাত্র-ছাত্রী এতে অংশ গ্রহণ করতে পারবে না।

৩. ৩০ জুন ২০২৪ তারিখ এর মধ্যে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।

৪. কোনো প্রকার রেজিস্ট্রেশন ফি-এর প্রয়োজন নেই।

৫. অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের - লিঙ্ক https://www.astronomybangla.com/olympiad2024/

এবারে আয়োজন সফলভাবে সম্পন্ন করবার জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ‘এপেক্স গ্রুপের’ । এপেক্স এর সহযোগিতার কারণে এবারের আয়োজন এর নামকরণ করা হয়েছে ‘এপেক্স অ্যাস্ট্রো-অলিম্পিয়াড’, পাওয়ার্ড বাই গার্ডিয়ান লাইফ ইন্সুরেন্স এবং ডাইমন্ড পার্টনার পাইওনিয়ার ইন্সুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড

‘এপেক্স অ্যাস্ট্রো-অলিম্পিয়াড’ এবং ২৮তম আন্তর্জাতিক অ্যাস্ট্রোনমি অলিম্পিয়াডের একাডেমিক বিষয়গুলো বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল এসোসিয়েশন এবং ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি যৌথভাবে পরিচালনা করবে।

‘এপেক্স অ্যাস্ট্রো-অলিম্পিয়াড’ আয়োজনে আরো যারা সহযোগিতায় থাকছেন, সিটি ব্যাংক লিঃ, প্রথম আলো, ব্র্যাক ব্যাংক লিঃ, লিঙ্ক -৩, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, রাশিয়ান হাউস ইন ঢাকা (সাংস্কৃতিক বিভাগ, বাংলাদেশস্থ রাশিয়ান দূতাবাস), শো এন্ড টেল এবং একাডেমিক পার্টনার ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, মিডিয়া পার্টনার হিসেবে থাকছে- ৭১ টেলিভিশন এবং বিডি নিউজ টুয়েন্টিফোর ডট কম।


বাজেট নিয়ে যা বললেন ৬ শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা

আপডেটেড ৯ জুন, ২০২৪ ০০:০৭
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাজেট নিয়ে গতকাল শনিবার আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দেশের শীর্ষ ৬টি ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা। রাজধানীর মতিঝিলে নিজ কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়াতে বেসরকারি খাতকে ঋণ সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে।

এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতি ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। এ ঘাটতি মেটাতে সরকারকে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার ৯০০ কোটি টাকা নিতে হবে। এর মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে নিতে হবে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। সেই সঙ্গে সরকারকে সুদের বোঝা টানতে হচ্ছে। ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকারের এই অধিক মাত্রার ঋণ নেওয়ার ফলে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে। ফলে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।

প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়ন করতে হলে প্রাক্কলিত রাজস্ব আদায় নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য উপজেলা পর্যন্ত কর অফিস বিস্তৃত করার পরামর্শ দেন এফবিসিসিআই সভাপতি। তিনি বলেন, রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আদায়ে ব্যবসা-বাণিজ্যবান্ধব রাজস্ব ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সংস্কার জরুরি। সেই সঙ্গে ট্যাক্স-জিডিপি রেশিও বৃদ্ধির জন্য করের আওতা বাড়ানো প্রয়োজন।

তবে এ জন্য সরকারের কাছে তিনি প্রত্যাশা করেন, ব্যাংক খাতের বাইরে গিয়ে বৈদেশিক উৎস হতে ঋণ নেওয়া বাড়াবে সরকার।

এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আশরাফ আহমেদ ও এমসিসিআই সভাপতি কামরান টি রহমানসহ অন্য ব্যবসায়ী নেতারা।

অনুষ্ঠানে কর জিডিপি বাড়াতে করের জাল দেশব্যাপী বিস্তারের পরামর্শ দিয়ে ব্যবসায়ীরা বলেন, জেলা উপজেলা পর্যায়ে কর অফিস করে যথাযথ প্রক্রিয়ায় কর আদায় করা উচিত।

অন্যদিকে বাজেট নিয়ে পৃথক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় রাজধানীর উত্তরার বিজিএমইএ কার্যালয়ে। তৈরি পোশাক খাতের তিন সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও বিটিএমএর নেতারা সেখানে অংশ নেয়। এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিজিএমইএর সভাপতি এস এম মান্নান কচি।

তিনি বলেন, বাজেট ঘিরে ব্যবসায়ীদের দাবি ছিল উৎসে কর শূন্য দশমিক ৫ শতাংশে নিয়ে আসা শতাংশে নামিয়ে আনা হবে। পোশাক রপ্তানিকারকরা এ সময় বলেন, তাদের প্রত্যাশা ছিল রপ্তানির এই অধোগতির মধ্যে বাজেটে পোশাকশিল্পের জন্য কিছু নীতিসহায়তা থাকবে। বিশেষ করে উৎসে কর কমিয়ে এটিকে চূড়ান্ত কর দায় হিসেবে গণ্য করা হবে। সংগঠন তিনটি বলেছে, এ বিষয়ে তাদের গভীর প্রত্যাশা ছিল; সেই প্রত্যাশা এখনো আছে তাদের।

তৈরি পোশাকের উদ্যোক্তারা এ সময় বলেন, নানা বাস্তবতায় রপ্তানি কমে আসছে। মে মাসে পোশাক রপ্তানি কমেছে প্রায় ১৭ শতাংশ। এ সময় তারা জানান, বাজেটে প্রণোদনার ওপর আয়কর অব্যাহতি, শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্য ও সেবা ভ্যাটমুক্ত রাখা, এইচএস কোড ও ওজন-সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন করা, ইআরকিউয়ের ওপর আয়কর ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা, অগ্নি ও নিরাপত্তা সরঞ্জাম পুনঃস্থাপনের ক্ষেত্রে আমদানি কর রেয়াত, পোশাকশিল্পের ঝুট থেকে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং রিসাইকেল ফাইবার সরবরাহের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের ঘোষণা আসবে। কিন্তু এসব ঘোষণা না আসায় হতাশা প্রকাশ করেছে তিন সংগঠন।

সংগঠন তিনটি মনে করে, শিল্প টিকে থাকলে রাজস্ব আসবে, নতুন নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে। গত অর্থবছরে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৪৭ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের। ভবিষ্যতে রপ্তানি বৃদ্ধির আরও সম্ভাবনা রয়েছে। সরকারের অব্যাহত সহযোগিতায় রপ্তানিতে কাঙ্ক্ষিত সম্ভাবনা কাজে লাগানো গেলে কর হার না বাড়িয়েও রাজস্ব বাড়ানো সম্ভব। এতে অর্থনীতি বেশি উপকৃত হবে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়বে।


‘স্থানীয় ভোটে দলীয় প্রতীক বাদ দেওয়ার প্রয়োজন নেই’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আইন সংশোধন করে দলীয় প্রতীক পরিবর্তন করার কোনো প্রয়োজন নেই। কেননা, আইনটা এমনভাবে করা হয়েছে, যে ভোট দলীয় প্রতীকে হতে পারে, আবার নির্দলীয় প্রতীকেও হতে পারে।

শনিবার ‘স্থানীয় সরকারব্যবস্থা শক্তিশালীকরণে চ্যালেঞ্জ ও নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এমন মন্তব্য করেন। রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসির (আরএফইডি) উদ্যোগে সেমিনারটি রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজন করা হয়।

মন্ত্রী বলেন, ‘প্রতীকবিহীন তো নির্বাচন হয় না। ডেমোক্রেসির সুযোগ থাকার কারণে মানুষ এ বিতর্ক করতে পারছে। বিতর্ক থাকবে না, এটা ঠিক না। আমি দলীয় প্রতীকের পক্ষে কিংবা দলীয় প্রতীকহীনের পক্ষে; আমি দুটির কোনোটিরই পক্ষে-বিপক্ষে নই।’

স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘জেলা ও উপজেলা ইউনিয়ন একসঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে এমন কোনো লিগ্যাল ফ্রেম (আইনি কাঠামো) নেই। একীভূত আইন করে এক আইনের মধ্যে করতে পারি। আমাদের সময় এসেছে ভাবার, এগুলো একীভূত করা যায় কি না।’

তিনি বলেন, ‘লোকাল গর্ভমেন্ট সার্ভিস সিস্টেম (সেবা ব্যবস্থাপনা) অর্থাৎ কর্মচারীদের একসঙ্গে আনা উচিত। কেননা, অর্ধেকের বেশি পৌরসভা তাদের কর্মচারীদের বেতন দিতে পারছে না। গ্রাম ও শহরের বিভক্তি খুব ক্ষীণ হয়ে গেছে। যদি আমরা মাদার ল করি। অবশ্যই এখানে মার্কা থাকবে। একক তফসিলে একই দিনে ভোট করা সম্ভব। এতে নির্বাচনের খরচ কমবে।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি এককভাবে প্রতীকের পক্ষে। যারা ইলেকশন করে তারা নির্দলীয় মানুষ না। দুনিয়ার সব দল লোকাল গর্ভমেন্ট মানুষের পরামর্শ নেয়। আমাদের দলগুলো স্থানীয় সরকার উইং নেই। দেশের রাজনীতি দুর্বৃত্তরা দখল করে নিয়েছে। সমস্যা প্রতীকে নয়। সমস্যা আসলে পার্টিতে। মার্কা বাদ দিলে ভালো নির্বাচন হবে তার নিশ্চয়তা নেই। মার্কা থাকলে খারাপ নির্বাচন হবে তাও ঠিক না।’

সেমিনারে আরএফইডির নেতারাসহ উপস্থিত ছিলেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন, নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও বিশ্লেষক আব্দুল আলীম, সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, সাবেক নির্বাচন কমিশনার কবিতা খাতম, ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য সাঈদ খোকন।


সরকারি চাকরিজীবীরা ঈদে টানা ৫ দিনের ছুটি পাচ্ছেন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা আগামী ১৭ জুন (সোমবার) উদযাপিত হবে। ঈদে টানা পাঁচ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবী ও ব্যাংককর্মীরা। ১৪ থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত এই ছুটি ভোগ করতে পারবেন তারা। শুক্রবার (৭ জুন) দেশের আকাশে পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যায়। ফলে আজ শনিবার (৮ জুন) থেকে জিলহজ মাস গণনা শুরু হয়েছে। আর আগামী ১০ জিলহজ এবং সেই হিসাবে ইংরেজি মাসের ১৭ জুন পবিত্র ঈদ উদযাপিত হবে।

সরকারি বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী, ঈদের দিন সাধারণ ছুটি। আর ঈদের আগে পরে দুদিন নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি। এই তিন দিনের ছুটির আগে সাপ্তাহিক দুদিন ১৪ ও ১৫ জুন (শুক্র ও শনিবার) মিলে মোট পাঁচ দিন ছুটি কাটাতে পারবেন সরকারি চাকরিজীবী ও ব্যাংককর্মীরা। এরসঙ্গে যদি কেউ দুই দিনের (১৯ ও ২০ জুন) ছুটি নেয় তাহলে তিনি টানা ৯ দিনের ছুটি কাটাতে পারবেন।

এদিকে ঈদের ছুটির পর সাপ্তাহিক ৩৫ ঘণ্টার পরিবর্তে ৪০ ঘণ্টায় ফিরছে অফিস সময়। বর্তমানে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অফিস সময় থাকলেও ঈদের ছুটির পর ১৯ জুন থেকে ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অফিস সময় চালু হচ্ছে।


সেবা ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে লায়নদের সর্বাত্মক সহযোগিতার জন্য রাষ্ট্রপতির আহ্বান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সরকারের নানামুখী সেবা ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে লায়ন সদস্যদের সর্বাত্মক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

আজ শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘লায়ন্স ক্লাবস ইন্টারন্যাশনাল মাল্টিপল ডিস্ট্রিক্ট-৩১৫ বাংলাদেশ’ এর ৩৭তম বার্ষিক কনভেনশন ২০২৪’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ আহবান জানান তিনি।

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, ‘বেসরকারি সেবামূলক সংস্থা হিসেবে পরিবেশ সংরক্ষণ, দারিদ্র্য বিমোচন, দুর্নীতি দমন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি কার্যক্রমে লায়ন্স ক্লাবস ইন্টারন্যাশনাল আরো বেশি অবদান রাখবে।’

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও মানবকল্যাণ ও সামাজিক বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে লায়ন্স ক্লাব দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আপনারা দুস্থ ও অসহায় মানুষের সহযোগিতা, ছিন্নমূল মানুষের পুনর্বাসন, শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ, স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি ও বৃক্ষরোপণ অভিযানসহ যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে আর্তমানবতার সেবায় এগিয়ে এসেছেন।’

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘লায়ন্স ক্লাব বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ও বৃহৎ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। বর্তমানে সারা বিশ্বে ৪৯ হাজার ক্লাবের মাধ্যমে প্রায় ১৪ লক্ষ লায়ন সদস্য আর্তমানবতার সেবায় কাজ করে যাচ্ছেন।’

সরকারি নানা অংশ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘এদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সরকার ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে এবং নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। অর্থনীতি, যোগাযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও নারীর ক্ষমতায়নসহ সকল ক্ষেত্রেই উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জিত হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ধারাবাহিকতায় সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে রাষ্ট্রপ্রধান সরকারের পাশাপাশি লায়ন সদস্যদেরকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপ্রধান লায়ন সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘সমাজের স্বচ্ছল নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি হিসেবে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন বিশেষ করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবেশ, জলবায়ু, স্যানিটেশন, প্রজনন স্বাস্থ্য ইত্যাদি ক্ষেত্রে আপনাদের কাজ করার পর্যাপ্ত সুযোগ ও সামর্থ্য- দুটোই আছে।’

দেশে গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি সুখী, সমৃদ্ধ ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়তে এবং মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনার আলোকে একটি প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক ও স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা নির্মাণে সরকারকে সহযোগিতা করারও আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।

রাষ্ট্রপতি অনুষ্ঠানে লায়ন্স ইন্টারন্যাশনাল এর বিশিষ্ট ১৪ জন ব্যক্তিকে পুরস্কার প্রদান করেন। তিনি সেখানে একটি ফটোসেশনেও অংশ নেন।

কাউন্সিল চেয়ারপার্সন লায়ন ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুল ওয়াহাবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য লায়ন কাজী আকরামুদ্দিন আহমেদ, লায়ন শেখ কবির হোসেন, লায়ন মোসলেম আলী খান, লায়ন্স ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান লায়ন এ কে এম রেজাউল হক ও কনভেনশন চেয়ারম্যান লায়ন শামসুন্ন নাহার হক প্রমুখ।


banner close