শনিবার, ১১ মে ২০২৪

সাংবাদিকদের ওপর পুলিশের হামলা, ডিবি প্রধানের দুঃখ প্রকাশ

বৃহস্পতিবার দুপুরে ল’ রিপোর্টার্স ফোরামে সংগঠনটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড
১৬ মার্চ, ২০২৩ ১৬:৪৬
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ১৬ মার্চ, ২০২৩ ১৪:৪৭

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের ভোট গ্রহণকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থিদের উত্তেজনার মধ্যে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ। বৃহস্পতিবার দুপুরে ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের কার্যালয়ে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময়ে করে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।

ডিবিপ্রধান বলেন, ‘আসলে বুধবার যে অনাকাঙ্ক্ষিখিত ঘটনা ঘটেছে, সে জন্য আমি দুঃখিত ও মর্মাহত। সুপ্রিম কোর্ট বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিচারালয়। এ রকম জায়গায় এ ধরনের ঘটনা ঘটবে, এটা আমাদের কাম্য ছিল না। দুই পক্ষের মধ্যে একটা উত্তেজনা বিরাজ করায় পুলিশকে তা হ্যান্ডেল করতে হয়েছে। এটা করতে গিয়ে আমাদের কিছু পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন, সঙ্গে আমার প্রিয় কিছু সাংবাদিক ভাইও আহত হয়েছেন। এ জন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। আমাদের কমিশনার মহোদয়ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। ভবিষ্যতে এই পবিত্র জায়গায় হ্যান্ডেল করতে আমরা আরও সাবধান হব।’

হারুন অর রশীদ বলেন, ‘আজকে যেমন সুষ্ঠু-সুন্দর পরিবেশ বিরাজ করছে, আমি মনে করি, তা আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সার্বিক তদারকির কারণেই হয়েছে। গতকাল সামান্য কিছু ঘটনা ঘটলেও আজকে কিন্তু অত্যন্ত সুন্দর পরিবেশ বিরাজ করছে। প্রত্যেকটি জায়গায় আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য রয়েছে। সাদা পোশাকে অনেকেই আছে। আমি মনে করি, শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ শেষ হবে এবং ভোট গণনা শেষে ফল গণনা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যেন না ঘটে, সবাইকে সতর্ক করব। গতকালের ঘটনায় কিছু মনে না করেন। সাংবাদিক-পুলিশ আমরা একে অপরের সঙ্গে মিলে কাজ করি। আপনাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে আমরা কাজ করি। আশা করব, আমরা মিলেমিশে আমাদের পেশাগত কাজ চালিয়ে যাব।’

এ সময় সাংবাদিকরা রমনা জোনের এডিসি হারুন অর রশীদকে ভবিষ্যতে সাংবাদিকদের সঙ্গে যেন দুর্ব্যবহার করা না হয়, সে জন্য সতর্ক থাকার অনুরোধ জানান।

তারা বলেন, ‘এডিসি হারুনের যেকোনো অপারেশনেই কাজ হচ্ছে সাংবাদিকদের হেনস্তা করা।’ এ সময় তারা বিভিন্ন সময়ে সাংবাদিকদের মারধর ও হেনস্তা করার কথা উল্লেখ করেন। ডিবিপ্রধান বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।

এ সময় রমনা জোনের ডিসি শহীদুল্লাহ, সুপ্রিম কোর্ট জোনের ডিসি মোমেন, এলআরএফের সভাপতি আশুতোষ সরকার, সাধারণ সম্পাদক আহাম্মেদ সরোয়ার হোসেন ভূঁঞা, সাবেক সভাপতি ওয়াকিল আহমেদ হিরণ, সাঈদ আহমেদ খান, অর্থ সম্পাদক আব্দুল জাব্বার খানসহ এলআরএফের নেতারাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

হারুন অর রশীদের বক্তব্যের পর টেলিফোনে ডিএমপি কমিশনার ল' রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি আশুতোষ সরকারের সঙ্গে কথা বলেন। টেলিফোনে সভাপতির কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যেন না ঘটে, সে বিষয়টি দেখা হবে বলে আশ্বস্ত করেন।

বিষয়:

দৈনিক বাংলা ও নিউজ বাংলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাতের জন্মদিন পালিত

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দৈনিক বাংলা ও নিউজ বাংলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাতের জন্মদিন পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার পত্রিকাটির প্রধান কার্যালয়ে কেক কাটা হয়।

এ সময় বার্তা সম্পাদক সৈয়দ আফজাল হোসেন, যুগ্ম বার্তা সম্পাদক তানজিমুল নয়ন, দৈনিক বাংলার নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আফিজুর রহমানসহ সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

বাংলাদেশ ক্রিকেট ও ফুটবলের প্রথম বিজয়ের ধারাভাষ্য দিয়েছেন তিনি। যার রেকর্ড অন্য কোনো ধারাভাষ্যকারের নেই। ১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফিতে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নের ধারাভাষ্য দিয়ে দেশের ক্রিকেটের জনপ্রিয়তার জানান দেন। সে সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে ‘জাতীয় বীর’ হিসেবে গণসংবর্ধনা দেন।

চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত একমাত্র ধারাভাষ্যকার হিসেবে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে ১৭টি বিশ্বক্যাপের ধারাভাষ্য দিয়েছেন। এটি বিশ্ব রেকর্ড।

ধারাভাষ্যের পুরস্কার হিসেবে ‘ইন্টারন্যাশনাল স্পোটর্স বেস্ট কমেন্টেটর’ পুরস্কার পেয়েছেন।

বাচসাসসহ বিশ্বের অন্য সব সংগঠন মিলিয়ে প্রায় হাজার খানেক শ্রেষ্ঠ কমেন্টেটরের পুরস্কার পেয়েছেন। এ ছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, সাবেক দুই রাষ্ট্রপতি এরশাদ ও আবদুল হামিদের কাছ থেকে সংবর্ধনা পেয়েছেন।


ইভিএমে পড়েছে কম ভোট, ব্যালটে বেশি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১১ মে, ২০২৪ ০০:১৩
নিজস্ব প্রতিবেদক

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল এ যাবৎ অনুষ্ঠিত সব উপজেলা নির্বাচনের মধ্যে সবচেয়ে কম। সাধারণত স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে পছন্দের প্রার্থী থাকায় ভোটারদের মধ্যে আলোচনা বেশি থাকে, উপস্থিতিও থাকে বেশি। তবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদে প্রধান বিরোধীদল না থাকায় একতরফা নির্বাচনের যে প্রভাব ভোটের মাঠে পড়েছিল, উপজেলাতেও দেখা গেছে তারই রেশ। এ নির্বাচনেও ছিল না বিরোধী দল, ফলে দলীয় প্রতীক ছাড়াই অনুষ্ঠিত হয় প্রথম ধাপের ভোট। ভোটারদের এমন কেন্দ্রবিমুখ হওয়া নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালও।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলার নির্বাচনে গড়ে ভোট পড়েছে ৩৬.১৮ শতাংশ। এর মধ্যে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) চেয়ে ব্যালটে ভোট বেশি পড়েছে। অর্থাৎ ইভিএমকে এখনো আস্থায় নিতে পারছেন না ভোটাররা।

দেখা গেছে, যে ২১টি উপজেলায় ইভিএমে ভোট পড়েছে সেখানে তুলনামূলক কম ভোট পড়েছে। সেখানে গড়ে ভোট পড়েছে মাত্র ৩১.৩১ শতাংশ, অন্যদিকে ব্যালটে অনুষ্ঠিত বাকি উপজেলাগুলোতে ভোট পড়েছে ৩৭.৩১ শতাংশ

গত এক দশকের মধ্যে স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনে ভোটের হার এবারই সবচেয়ে কম। এর আগে সর্বশেষ ২০১৯ সালের ৫ম উপজেলা ভোটে গড়ে ৪১ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছিল। তার আগে ২০১৪ সালে চতুর্থ উপজেলা ভোটে ৬১ শতাংশ এবং তৃতীয় উপজেলা ভোটে ২০০৯ সালে ৬৭.৬৯ শতাংশ ভোট পড়ে।

নির্বাচন-সংশ্লিষ্টদের মতে, নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় এক ধরনের অনাস্থার পরিবেশ থাকায় ভোটাররা ভোট বিমুখ হয়েছে। বিশেষ করে বিগত তিনটি জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অস্বস্তি রয়েছে। সর্বশেষ বিগত ৭ জানুয়ারির নির্বাচন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর বড় একটি অংশ বর্জন করে। সেই ধারাবাহিকতায় উপজেলা ভোটেও বিএনপি-জামায়াত ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয়। তা ছাড়া ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশ নেয়নি। ফলে বেশির ভাগ উপজেলায় আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে ভোটের লড়াই হয়। এক অর্থে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল আওয়ামী লীগই। এতে করে সাধারণ ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে টানতে পারেননি প্রার্থীরা।

ইভিএমের চেয়ে ব্যালটে ভোট বেশি পড়ার কারণ হিসেবে অনেকে বলছেন, ইভিএমের চেয়ে ব্যালট পেপারে ভোটের ক্ষেত্রে অনিয়ম হয় বেশি। কেন্দ্র দখল করে ব্যালট পেপারে সিল মারার ঘটনা ঘটে। ইভিএমে ব্যালটের চেয়ে অনিয়মের মাত্রা কিছুটা কম হয়। এখানে কেন্দ্র দখল হলেও ভোটারের ফিংগার ছাড়া ভোট দেওয়া সম্ভব নয়। এ কারণে ব্যালট পেপারে অনুষ্ঠিত উপজেলাগুলোয় ভোটের প্রদত্ত হার বাড়তে পারে।

ভোটের হার নিয়ে সন্তুষ্ট নয় ইসি : উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ভোটের প্রদত্ত হার নিয়ে সন্তুষ্ট নয় ইসি। প্রথম ধাপের নির্বাচনে ৩৬ শতাংশ ভোট পড়ার এই হারকে ‘কম’ আখ্যা দিয়ে কিছু কারণও চিহ্নিত করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, মোটা দাগে পাঁচ কারণে ভোট কম পড়েছে। এগুলোর মধ্যে বৈরী আবহাওয়া, ভোটে বিএনপির অংশ না নেওয়া, জনপ্রিয় প্রার্থীর অভাব, ধান কাটার মৌসুম এবং সাধারণ ছুটি থাকায় শ্রমিকরা নিজ এলাকায় চলে যাওয়ায় ভোট কম পড়েছে।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে সোনাতলা, মিরসরাই ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলায়। সেখানে ভোট পড়েছে ১৭ শতাংশ। সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলায়। সেখানে ভোট পড়েছে ৭৩.১ শতাংশ। সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন দুটি উপজেলায় ব্যালট পেপারে ভোট অনুষ্ঠিত হয়।

ইসির প্রস্তুত করা ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ইভিএমে যে ২১টি উপজেলায় ভোট হয়েছে তার মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে পাবনার সুজানগরে। সেখানে ভোট পড়ে ৪৯.৭৮ শতাংশ। সর্বনিম্ন ভোট পড়ে সিরাজগঞ্জের সদরে ২২.৭০ শতাংশ।

১০ উপজেলায় অস্বাভাবিক ভোট : এবারের উপজেলা ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি থাকলেও ১০টি উপজেলায় অস্বাভাবিক ভোট পড়েছে। উপজেলাগুলো হলো- জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল, কালাই, রাঙ্গামাটির কাউখালী, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া, কুড়িগ্রামের রাজিবপুর, ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর, কুষ্টিয়ার খোকসা, বাগেরহাটের কচুয়া, মাগুরার শ্রীপুর ও গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া।

২০ শতাংশের নিচে ভোট ছয় উপজেলায় : ছয়টি উপজেলায় ২০ শতাংশের নিচে ভোট পড়েছে। এসব উপজেলা হলো- চট্টগ্রামের মিরসরাই, কুষ্টিয়ার সদর, জয়পুরহাটের আক্কেলপুর, বগুড়ার সোনাতলা, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ, ঢাকার নবাবগঞ্জ।

ভোট কম পড়ার কারণ হিসেবে নির্বাচন ভবনের ইসি আলমগীর সাংবাদিকদের আরও বলেন, ধান কাটার মৌসুম, বিশেষ করে হাওরাঞ্চলে বোরো ধান যেসব এলাকায় আছে, এটা আমাদের আগেই মাঠ প্রশাসন থেকে বলেছে, ধান কাটার মৌসুমের জন্য ভোট কম পড়তে পারে। এ ছাড়া ঝড়বৃষ্টি হয়েছে। আবার একটি বড় দল রাজনৈতিকভাবে অংশ না নেওয়ায় ভোট কম হয়েছে। শহর এলাকায় ছুটি থাকলে শ্রমিকরা বাড়ি চলে যায়। গাজীপুরে কিন্তু ভোট কম পড়েছে। শুধু ধান কাটা না, নানা কারণে ভোট কম পড়েছে। আরও কোনো কারণ থাকলে তা গবেষকরা বলতে পারেন। এ ছাড়া প্রার্থীর জনপ্রিয়তার ওপরও ভোট পড়ার হার নির্ভর করে। এই নির্বাচনের ৭৩ শতাংশ ভোট পড়েছে এমন এলাকাও আছে। আবার ১৭ শতাংশ ভোট পড়েছে এমন উপজেলাও আছে।

তবে নির্বাচন কমিশনের প্রত্যাশা, সামনের ধাপগুলোর নির্বাচন আরও জমে উঠবে। প্রার্থীদের প্রচারণা জমে উঠলে ভোটকেন্দ্রে আরও বেশি সংখ্যক ভোটার উপস্থিতি দেখা যাবে।


আমাদের মূল চালিকাশক্তি অসাম্প্রদায়িকতার প্রতীক পয়লা বৈশাখ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘অসাম্প্রদায়িকতা আমাদের জাতির মূল চালিকাশক্তি আর পয়লা বৈশাখ উৎসব অসাম্প্রদায়িকতার প্রতীক।’ আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ফরেন অফিস স্পাউসেস অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘বৈশাখী উৎসব ১৪৩১’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গড়ার লক্ষ্যে তৎকালীন পাকিস্তানের সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রব্যবস্থা ভেঙে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জন্ম। আর বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হওয়া পয়লা বৈশাখের উৎসব আজ আমাদের অসাম্প্রদায়িকতার মূর্ত প্রতীক।’

ড. হাছান বলেন, ‘স্বাধীনতাযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে আমাদের প্রথম পরিচয় আমরা বাঙালি, আর দ্বিতীয় পরিচয় আমরা কে কোন ধর্মের। আর বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার মন্ত্র- ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। সে কারণেই আজ বাংলাদেশে ঈদ, পূজা, প্রবারণা পূর্ণিমা সব উৎসবে সব ধর্মের মানুষ একাত্ম হয়ে যায়।’

এর আগে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে ডেভিড স্লেটন মিলের নাম মনোনয়ন দিয়েছেন- এ নিয়ে প্রশ্নে মন্ত্রী হাছান এ মনোনয়নকে স্বাগত জানান। নতুন রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

ওই সময় সম্প্রতি হোয়াইট হাউসের ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্নোত্তর বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘আমাদের দেশে মানবাধিকার অনেক দেশের চেয়ে ভালো। বিশ্বের কোনো দেশেই মানবাধিকার আদর্শ অবস্থানে নেই।’

তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে যেভাবে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে পুলিশ দমন করছে, সেটি আমরা টিভির পর্দায় দেখছি। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে নাগরিক আন্দোলনকে কীভাবে পুলিশ দমন করছে, সেটিও আমরা দেখছি।’ মন্ত্রী বলেন, ‘সব দেশেরই উচিত মানবাধিকার উন্নয়নে একযোগে কাজ করা, আমরাও আমাদের উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে মানবাধিকার উন্নয়নে কাজ করতে চাই।’

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ড. এ কে আবদুল মোমেন ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য শাহরিয়ার আলম, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ফরেন অফিস স্পাউসেস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে সংগঠনের শিল্পীদের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপভোগ করেন।


স্কুল-কলেজের সভাপতি হওয়ার ন্যূনতম যোগ্যতা এইচএসসি পাস

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের বেসরকারি মাধ্যমিক ও কলেজগুলোর ম্যানেজিং কমিটির ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সংশোধন করা হয়েছে বর্তমান গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানমালাও।

গত বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানমালা-২০২৪ জারি করা হয়।

এতদিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ সভাপতি এবং সদস্যদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারিত ছিল না। তবে নতুন নিয়মে এ পদে কেউ আসতে হলে তাকে হতে হবে উচ্চ মাধ্যমিক পাস। এ ছাড়া একই সঙ্গে এক ব্যক্তি পরপর দুইবারের বেশি সভাপতি হতে পারবেন না বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রবিধানমালা-২০২৪-এর তৃতীয় অধ্যায়ে ম্যানেজিং কমিটি বিষয়ে বলা হয়েছে, নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার দায়িত্ব একটি ম্যানেজিং কমিটির ওপর ন্যস্ত থাকিবে।

নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে ম্যানেজিং কমিটি গঠন হবে। ক) একজন সভাপতি খ) মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে শিক্ষকের ভোটে নির্বাচিত দুজন সাধারণ শিক্ষক প্রতিনিধি। তবে শর্ত থাকে যে, মাধ্যমিক স্তরের কোনো বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রাথমিক স্তর সংযুক্ত থাকলে, মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকদের ভোটে একজন সাধারণ শিক্ষক প্রতিনিধি এবং প্রাথমিক স্তরের শিক্ষকদের ভোটে একজন সাধারণ শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন। গ) নিম্ন মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে নিম্ন মাধ্যমিক স্তরের সব শিক্ষকের ভোটে নির্বাচিত দুজন সাধারণ শিক্ষক প্রতিনিধি। তবে শর্ত থাকে যে, নিম্ন মাধ্যমিক স্তরের কোনো বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রাথমিক স্তর সংযুক্ত থাকলে, নিম্ন মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকদের ভোটে একজন সাধারণ শিক্ষক প্রতিনিধি এবং প্রাথমিক স্তরের শিক্ষকদের ভোটে একজন সাধারণ শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন। ঘ) মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে মাধ্যমিক স্তরের কেবল মহিলা শিক্ষকদের ভোটে নির্বাচিত একজন সংরক্ষিত মহিলা শিক্ষক প্রতিনিধি। তবে শর্ত থাকে যে, মাধ্যমিক স্তরের কোনো বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রাথমিক স্তর সংযুক্ত থাকলে, মহিলা শিক্ষক প্রতিনিধি উভয় স্তরের মহিলা শিক্ষকদের ভোটে নির্বাচিত হবেন। ঙ) নিম্ন মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে, নিম্ন মাধ্যমিক স্তরের কেবল মহিলা শিক্ষকদের ভোটে নির্বাচিত একজন সংরক্ষিত মহিলা শিক্ষক প্রতিনিধি থাকবে। ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ হবে প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার তারিখ থেকে পরবর্তী ২ বছর।

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির যোগ্যতা বিষয়ে প্রবিধানমালায় বলা হয়েছে, ‘এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ কোনো ব্যক্তি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে নির্বাচিত হতে পারবেন না। এ ছাড়া কোনো শিক্ষক কর্মরত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে নির্বাচিত হতে পারবেন না, তবে সমপর্যায়ের বা নিম্নস্তরের অন্য কোনো বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটিতে সভাপতি পদে নির্বাচিত হতে বাধা নেই।’

এতে আরও বলা হয়েছে, ‘কোনো ব্যক্তি একই বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটিতে দুইবারের অধিক সভাপতি, শিক্ষক প্রতিনিধি বা অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচিত হতে পারবেন না। তবে এক মেয়াদ বিরতি শেষে তিনি পুনরায় নির্বাচন করতে পারবেন।’

প্রবিধানমালায় বলা হয়েছে, ‘কোনো ব্যক্তি ২টির অধিক বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হতে পারবেন না এবং যেকোনো ধরনের ৪টির অধিক বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডির সভাপতির দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।’


দেশের ডিজেলচালিত সেচ পাম্পগুলো সোলারে রূপান্তরের চেষ্টা চলছে: নসরুল হামিদ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের ১২ লাখ ডিজেলচালিত সেচ পাম্পকে সোলারে রূপান্তর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেছেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে আড়াই শতাধিক সোলার লাগাতে শুরু করেছি। সেগুলো আমরা মডেল হিসেবে দেখছি। এই মডেল যদি সফল হয়, তাহলে আমরা পরিধি বাড়াব।’

সোলার ইরিগেশন নিয়ে সরকারের পরিকল্পনার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘সোলার পাম্পের যে খরচ, আমরা হিসাব করে দেখেছি, প্রায় ৪০ শতাংশ টাকা সরকার থেকে না দিলে তা কমার্শিয়ালি ফিজিবল করা সম্ভব হবে না।’

‘কৃষকের মুশকিল হলো, সোলার করতে গিয়ে যে জায়গাটা তার নষ্ট হবে এবং পাম্প মেরামত করতে তার যে খরচ- এটা তার জন্য অনেক বেশি হয়ে যাবে’ বলেন তিনি।

আজ শুক্রবার রাজধানীর বারিধারায় নিজ বাসভবনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

নসরুল হামিদ বলেন, ‘প্রায় দুই হাজার ডিজেলচালিত পাওয়ার প্লান্ট বন্ধ হয়ে গেছে। এর বিপরীতে নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র এলে আরও উৎপাদন দক্ষতা তৈরি হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা আশাবাদী ২০২৬-২৭-এর মধ্যে আমাদের আরও দুটি ভাসমান টার্মিনাল (ফ্লোটিং স্টোরেজ রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট বা এফএসআরইউ) আসছে। সে সময় আমাদের যে প্রকল্পগুলো হাতে আছে সেগুলো শেষ হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এখন তিন হাজার ৭০০ মেগাওয়াট সোলার প্লান্টের অনুমোদন দিয়ে দিয়েছি। আমি আশাবাদী, অন্তত এক হাজার ৫০০ মেগাওয়াট সোলার পাওয়ার যদি আসে সিস্টেমে, আমাদের জন্য ভালো হবে। আমরা আরও প্রায় ১২ হাজার মেগাওয়াট সোলার নিয়ে কাজ করছি।

‘আমরা আশা করছি, আগামী মাসের মধ্যে নেপালের ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নিয়ে আসতে পারব। আমরা পারচেজ কমিটিতে (ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি) পাঠিয়ে দিয়েছি। আমাদের ৪০ মেগাওয়াটের প্রস্তুতি নেওয়া আছে, এটা পাস হয়ে গেলেই নিয়ে আসতে পারব। নেপালের বিদ্যুৎ এটা প্রথম শুরু হলো,’ যোগ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের উইন্ড (বায়ুবিদ্যুৎ) আমরা ২০০ মেগাওয়াট শুরু করেছি। ইতোমধ্যে ৬০ মেগাওয়াট আমাদের সিস্টেমে চলে এসেছে।’

তেলের দাম সমন্বয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ধরে নিই, ক্রুড অয়েলের দাম যদি আন্তর্জাতিক বাজারে ৮০ ডলার হয়, আমাদের এখানে কেন ১০০ ডলার? প্রশ্ন থাকে, যেটা আমাদের বিশেষজ্ঞরা বা রাজনীতিবিদরা করেন। আমাদের দেশে কি ৭০ ডলার হবে? ৮০ ডলার ওখানে (আন্তর্জাতিক বাজারে), সেটা আনতে খরচ আছে, সেই খরচটা হিসাব করেনি। এখানে আমরা রিফাইন করব, সেটাও হিসাব করে না। আমি ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিকে দিয়ে ডিস্ট্রিবিউট করব পদ্মা-মেঘনা-যমুনার মাধ্যমে, সেটাও হিসাব করে না। ট্রাকে করে তেল যে পেট্রল পাম্পে পৌঁছব, পেট্রল পাম্প মালিকদের কমিশন দেব, সেটাও কেউ হিসাব করে না।

‘এই চলমান প্রক্রিয়ায় যে অপচয়টা হয়, সেটার একটা হিসাব আছে। সেই হিসাব করে না। এর পরে দাম নির্ধারণ হয়। আমরা ফিনিশ অয়েলও আমদানি করি,’ যোগ করেন তিনি।

সাধারণ মানুষের জন্য এসব তথ্য ওয়েবসাইটে দিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিল, ইলেকট্রিক চার্জিং স্টেশন, ইলেকট্রিক ভেহিকলের কথা আপনি অনেক দিন ধরে বলে আসছেন। এদিকে, বিআরটিএ (বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ) বলেছে, দেশে লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণা যাচ্ছে না, সেখানে ইলেকট্রিক ভেহিকল কী করে বাস্তবায়ন সম্ভব হবে?

এর জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তারা আসলে বোঝেনি যে, এটার সঙ্গে লোডশেডিংয়ের কোনো সম্পর্ক নেই। ব্যাটারি চার্জড ভেহিকলের সঙ্গে লোডশেডিংয়ের কোনো সম্পর্ক নেই। একটি ইলেকট্রিক ট্রেন যখন চলে, সেটা সারাক্ষণ বিদ্যুৎ নেয় না। লোডশেডিংয়ে কি মেট্রো (মেট্রোরেল) বন্ধ হয়ে গেছে? আমি তো ধরে ধরে সবাইকে জ্ঞান-বুদ্ধি দিতে পারব না যে, ব্যাটারি কীভাবে চার্জ হয়!’


টঙ্গী পর্যন্ত বর্ধিত হচ্ছে মেট্রোরেল

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১০ মে, ২০২৪ ২০:৪৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর সবচেয়ে দ্রুতগামী গণপরিবহন ব্যবস্থা মেট্রোরেল বর্তমানে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত যাত্রী আনা-নেওয়া করছে। এ রুটের বর্ধিতাংশ গিয়ে ঠেকবে কমলাপুরে। অন্যদিকে উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে একটি পথ সাভারের আশুলিয়া যাওয়ার কথা ছিল। তবে নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী আপাতত টঙ্গী পর্যন্ত বর্ধিত হচ্ছে মেট্রোরেলের ওই লাইন।

আজ শুক্রবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মেট্রোরেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক। তিনি বলেন, ‘সাভারের আশুলিয়া পর্যন্ত মেট্রোরেল যাওয়ার কথা। কিন্তু নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী টঙ্গী পর্যন্ত বর্ধিত হচ্ছে মেট্রোরেলের লাইন। এমআরটি লাইন-৬ নির্মাণের সময়ই দিয়াবাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার পথ তৈরি করে রাখা হয়েছে ভবিষ্যতের কথা ভেবে। এরই মধ্যে বর্ধিত এ পথের সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। দ্রুতই নকশা চূড়ান্ত করে টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হবে।’

পরিকল্পনা ছিল পথটি আশুলিয়া পর্যন্ত নেওয়ার। তবে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারণে নতুন এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এটি টঙ্গী রেলস্টেশন পর্যন্ত এই যুক্ত করা হবে বলে জানান ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

তিনি বলেন, মূলত টঙ্গী রেলস্টেশন এবং সড়ক জংশনকে সংযুক্ত করতে পারলে ওই অঞ্চলের মানুষের সুবিধা বাড়বে। এরই মধ্যে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি শুরু হয়েছে। এ পথ চালু হলে টঙ্গী থেকে কমলাপুর পর্যন্ত যাত্রা পথ হবে ৪৮ মিনিটের।


বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত হচ্ছেন ডেভিড স্লেটন মেল

ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত হচ্ছেন ডেভিড স্লেটন মেল। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে ডেভিড স্লেটন মেলকে মনোনীত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গতকাল বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়।

হোয়াইট হাউসের তথ্য অনুযায়ী, ডেভিড মেল প্রায় ১০ বছর আগে ঢাকায় মার্কিন মিশন উপপ্রধান ছিলেন। বর্তমানে তিনি চীনের বেইজিংয়ে মার্কিন দূতাবাসে অন্তর্বর্তীকালীন চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

২০১৮ সালে মেল মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের অর্থনৈতিক ও ব্যবসাবিষয়ক ব্যুরোর বাণিজ্য নীতিবিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি হন। এর আগে তিনি নিষেধাজ্ঞা নীতি ও বাস্তবায়ন বিষয়ক পরিচালক ছিলেন। ডেভিড মেল এর আগেও ওয়াশিংটন ডিসির ফরেন সার্ভিস ইনস্টিটিউটের লিডারশিপ অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট স্কুলের সহযোগী ডিন, ইউক্রেনের কিয়েভে মার্কিন দূতাবাসের অর্থনৈতিক বিষয়ক পরামর্শদাতা এবং অর্থনৈতিক ব্যুরোতে আর্থিক বিষয়ক অফিসের উপ-পরিচালকের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।

হোয়াইট হাউসের তথ্য মতে, চীন, হংকং, তাইওয়ান, গিনি ও ওয়াশিংটনে কূটনীতি সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমেও তার ভূমিকা রয়েছে। তিনি ১৯৯২ সালে ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন এবং মিনিস্টার-কাউন্সেলর পদে অধিষ্ঠিত হন।


প্রতিটি মানুষকে অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল করতে সরকার কাজ করছে: প্রধানমন্ত্রী

ছবি: বাসস
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

সরকার সকল দেশবাসীকে অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল করতে বহুমাত্রিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

আজ শুক্রবার টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দরিয়ারকুল গ্রাম উন্নয়ন সমিতির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

তিনি সংক্ষিপ্তভাবে বহুমাত্রিক কর্মসূচির বর্ণনা দেন, যার মধ্যে রয়েছে ‘আমার বাড়ি, আমার খামার’, জনগণকে আর্থিক অনুদান প্রদান, সার্বজনীন পেনশন প্রকল্প এবং গ্যারান্টি ছাড়া ঋণ প্রদান, সমাজ থেকে দারিদ্র্য বিমোচন করার জন্য যুবকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদান ইত্যাদি।

সরকার প্রধান বলেন, আমরা দারিদ্র্য বিমোচনের মাধ্যমে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে অনেক উদ্যোগ নিয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকারের নেয়া কর্মসূচিগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হলে দেশে কেউ গরীব থাকবে না।

তিনি ক্ষুদ্র সঞ্চয় নিশ্চিত করতে এবং এইভাবে বাংলাদেশের উন্নয়নে সহায়তা করার জন্য সমগ্র বাংলাদেশে সমবায় সমিতি গঠনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

প্রতিটি এলাকায় সমবায় সমিতি গঠন করে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি, ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণে আওয়ামী লীগ নেতাদের আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘সবাই যাতে নিজের পাঁয়ে দাঁড়াতে পারে, সে জন্য আমরা কাজ করছি।’

পরে প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় চত্বরে দরিদ্রদের মাঝে রিপার মেশিন, সার, ল্যাপটপ, ১০টি সাইকেল, ১০টি রিকশা ভ্যান, ৩০টি সেলাই মেশিন এবং ৩৮ জনকে ৪০ হাজার টাকার আর্থিক অনুদান, ১০ জোড়া কবুতর এবং ৩৮ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতির পিতার কনিষ্ঠ কন্যা ও প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম।

এর আগে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। একদিনের সফরে আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। পরে ১০টা ৬ মিনিটে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধের বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। সেখানে ফাতেহাপাঠ করে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা, পঁচাত্তরের ১৫ অগাস্ট শহীদ ও মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া-মোনাজাতে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।

এ সময় তাঁর সঙ্গে ছোট বোন শেখ রেহানা, বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল, জুয়েলের স্ত্রী সাহানা ইয়াসমিন শম্পাসহ পরিবারে সদস্য, গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম এবং পুলিশ সুপার আল-বেলী আফিফা উপস্থিত ছিলেন।

একদিনের সফরে সকাল ৭টার পর গণভবন থেকে সড়ক পথে রওনা হয়ে ৯টা ৫৭ মিনিটে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান শেখ হাসিনা। সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান নেতা-কর্মীরা। তিনি আজ বিকেলে সড়ক পথে ঢাকায় ফিরে আসবেন বলে জানা গেছে।


দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা

ফাইল ছবিটি সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আজ শুক্রবার (১০ মে) আবহাওয়ার নিয়মিত বুলেটিনে সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টার বার্তায় অধিদপ্তর জানিয়েছে- ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি, কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টিও হতে পারে। এতে আরও বলা হয়- সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আবহাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। গতকালকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় যশোরে এবং আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় ফরিদপুর ও রংপুরে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ২৪ মিলিলিটার রেকর্ড করা হয়েছে দেশের উত্তরের জেলা তেঁতুলিয়ায়।


টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

ছবি: ফোকাস বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। একদিনের সফরে আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। পরে ১০টা ৬ মিনিটে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধের বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।

সেখানে ফাতেহাপাঠ করে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা, পঁচাত্তরের ১৫ অগাস্ট শহীদ ও মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া-মোনাজাতে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছোট বোন শেখ রেহানা, বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল, জুয়েলের স্ত্রী সাহানা ইয়াসমিন শম্পাসহ পরিবারে সদস্য, গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম এবং পুলিশ সুপার আল-বেলী আফিফা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে একদিনের সফরে সকাল ৭টার পর গণভবন থেকে সড়ক পথে রওনা হয়ে ৯টা ৫৭ মিনিটে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান শেখ হাসিনা। সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান নেতা-কর্মীরা।

প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দাড়িয়াকুল গ্রাম উন্নয়ন সমিতির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং সুবিধা বঞ্চিতদের মাঝে কৃষি ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করার কথা রয়েছে। পরে তিনি টুঙ্গিপাড়া উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। তিনি আজ বিকেলে সড়ক পথে ঢাকায় ফিরে আসবেন বলে জানা গেছে।


বিজ্ঞানী ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন জাতির জন্য নিবেদিতপ্রাণ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রয়াত আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন জাতি ও মানবতার জন্য নিবেদিতপ্রাণ। আজ বৃহস্পতিবার বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ওয়াজেদ মিয়ার ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, প্রয়াত বিজ্ঞানী ওয়াজেদ মিয়ার জীবন ও কর্ম থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। তিনি বঙ্গবন্ধুর জামাতা ও বঙ্গবন্ধুকন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী হয়েও সে পরিচয় দিয়ে নিজের জন্য কিছুই করেননি। সেবার ব্রত নিয়ে শুধু গবেষণা করেছেন। আজকের পরমাণু শক্তি কমিশন তারই প্রচেষ্টা ও প্রেরণার ফসল।

আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য উপকমিটির সদস্য লায়ন মশিউর আহমেদের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, ফিনল্যান্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির, মুক্তিযোদ্ধা সফিকুল বাহার মজুমদার, অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু ও আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম অন্যান্যের মধ্যে সভায় বক্তৃতা করেন ও তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।


শেয়ারবাজারে সরকারি প্রতিষ্ঠান আনার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মৌল ভিত্তি সম্পন্ন শেয়ারের সরবরাহ বাড়িয়ে দেশের শেয়ারবাজারকে আরও জোরদার করতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগকে সম্ভাবনাময় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন উদ্যোগ (এসওই) বা সরকারি সংস্থা ও সরকারি কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।

আজ রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এলাকায় এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত চলতি বছরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) নবম সভায় সভাপতিত্বকালে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন।

বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিৎ কর্মকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী অর্থ বিভাগ ও অর্থ সচিবকে শেয়ারবাজারে এসওই এবং সরকারি কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্ত করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বলেছেন।

ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আবদুস সালাম, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ও সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।

এক প্রশ্নের উত্তরে সত্যজিৎ বলেন, প্রধানমন্ত্রী এসওইগুলোর নাম নির্দিষ্ট করেননি, তবে অর্থ বিভাগ এবং অর্থ সচিবকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করার আগে যথাযথ যাচাই-বাছাই করে এসওই এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোকে নির্বাচন করতে বলেছেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, এতে ওইসব সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার সক্ষমতা বাড়বে। কারণ, তারা শেষ পর্যন্ত তাদের ব্যয় কমিয়ে আনতে সক্ষম হবে।

‘এটি প্রতিযোগিতার মনোভাবও তৈরি করবে এবং তারা (এসওই) তাদের নিজস্ব আয়ের ওপর ভিত্তি করে প্রকল্প গ্রহণ করতে সক্ষম হবে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারি উদ্যোগ এবং সংস্থাগুলোকে পুঁজিবাজারে এবং এইভাবে প্রাইভেট কোম্পানির সঙ্গে প্রতিযোগিতার জন্য নির্দিষ্ট সময় দেওয়া হবে, যাতে তারা তালিকাভুক্ত হতে পারে।

পরিকল্পনা সচিব বলেন, বৃহস্পতিবারের একনেক বৈঠকে ৫ হাজার ৫৬৩ দশমিক ৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ের মোট ১০টি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। ‘মোট প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের অংশ থেকে ৫ হাজার ২০৩ দশমিক ২১ কোটি টাকা এবং প্রকল্প সহায়তা হিসেবে ৩৬০ দশমিক ৪৭ কোটি টাকা আসবে।’

অনুমোদিত ১০টি প্রকল্পের মধ্যে এখন ৮টি নতুন এবং ২টি সংশোধিত প্রকল্প।

প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পাওয়া কিছু নির্দেশনা তুলে ধরে সত্যজিৎ বলেন, প্রয়োজনীয় তহবিলসহ প্রায় সব প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর পূর্ববর্তী নির্দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ৩৩৯টি প্রকল্পের মধ্যে রেকর্ড সংখ্যক ৩৩৪টি প্রকল্প এই অর্থবছরের (অর্থবর্ষ-২৪) মধ্যে সম্পন্ন হবে। যৌক্তিক কারণে বাকি পাঁচটি প্রকল্প চলতি অর্থবছরের মধ্যে শেষ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নদী ও খালের ওপর সঠিক উচ্চতায় সেতু নির্মাণ করার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সতর্ক থাকতে বলেছেন- যাতে নদীতে নৌযানগুলো নির্বিঘ্নে চলাচলের পাশাপাশি স্বাভাবিক পানি প্রবাহ ব্যাহত না হয়।

খুলনায় শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ভূমি অধিগ্রহণ, ভূমি উন্নয়ন ও মৌলিক অবকাঠামো নির্মাণের জন্য ১,৮৭৪.৫৪ কোটি টাকার প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী তার পর্যবেক্ষণে দুটি বিষয় উল্লেখ করেছেন। এগুলো হলো- প্রথমে প্রকল্পের শিরোনাম থেকে তার নাম পরিবর্তন করা এবং একটি ম্যুরাল নির্মাণের খরচ অন্য কোনো খাতে ব্যয় করা।

এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা সতর্ক করে বলেন, ভবিষ্যতে কোনো প্রকল্পে তার নাম যুক্ত হলে তিনি তার অনুমোদন দেবেন না।

বাংলাদেশের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের চায়না এইড প্রকল্পের জন্য ২৮৪.৭৬ কোটি টাকার অনুমোদনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রকল্পের জন্য নতুন নাম নির্বাচন করতে উন্নয়ন সহযোগীর সঙ্গে আলোচনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দেন।

পরিকল্পনা কমিশন প্রকল্পের সময়সীমা বাড়ানোর জন্য তার শর্তাবলি শিথিল করছে কি না জানতে চাইলে সত্যজিৎ বলেন, নির্বাহক সংস্থাগুলো থেকে বারবার আবেদন করা সত্ত্বেও পরিকল্পনা কমিশন সময়সীমা বাড়ায়নি- যার ফলে রেকর্ড সংখ্যক ৩৩৪টি প্রকল্প চলতি অর্থবছরেই শেষ হবে।

এ বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘যতদিন প্রকল্পগুলো বিলম্বিত হবে, তত বেশি সময় চলে যাবে। এ কারণেই আমরা প্রতিটি প্রকল্প হাতে নেওয়ার আগে যাচাই-বাছাই করে দেখি। কিন্তু তা সত্ত্বেও অনেক সময় অনিবার্য পরিস্থিতির কারণে প্রকল্পের নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে যায়।

ভূমি অধিগ্রহণে বিলম্বের কারণে প্রায়শই প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্ব হয় উল্লেখ করে সালাম বলেন, সরকার একটি প্রকল্প হাতে নেওয়ার সময় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

প্রকল্প পরিচালকদের আশপাশের বিদ্যমান সমস্যাগুলো খুব শিগগিরই সমাধান করা হবে উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো দ্রুত সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চালালে সম্ভাব্য সমস্যা ও সম্ভাবনাগুলো সঠিকভাবে চিহ্নিত করা যাবে- যা উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন নির্বিঘ্ন করতে সহায়ক হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও সাহসী নেতৃত্বে পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম আরও মসৃণ হবে এবং দেশ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন সালাম।

মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার সাম্প্রতিক অবমূল্যায়ন বিদেশি সাহায্যপ্রাপ্ত প্রকল্পগুলোতে প্রভাব ফেলবে কি না সে সম্পর্কে জানতে চাইলে পরিকল্পনা সচিব বলেন, তাৎক্ষণিক প্রভাব নির্ধারণ করা খুবই কঠিন।

সভায় অনুমোদিত অন্যান্য প্রকল্প হলো, ১৪৪.০৭ কোটি টাকা ব্যয়ে প্ল্যাটফর্মের ভিত্তিতে পরিসংখ্যান পরিষেবার সক্ষমতা বৃদ্ধি, ১,১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে পিরোজপুর ও ঝালকাঠি জেলায় গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন, ১,০০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বরিশাল জেলায় গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন, ৮১.৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ে টেক্সটাইল ও লেদার সেক্টরে (স্টাইল) স্থায়িত্ব, দ্বিতীয় সংশোধিত ৫২৭.৭৭ কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয়ে ছাতক সিমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের উৎপাদন পদ্ধতিকে ভেজা থেকে শুষ্ক প্রক্রিয়ায় রূপান্তর করা, নতুন অত্যাধুনিক নির্মাণে ৩৩৪.৪৬ কোটি ব্যয়ে বিদ্যমান ঢাকা জেলা সার্কিট হাউস বিল্ডিংয়ের পরিবর্তে সার্কিট হাউস বিল্ডিং, ২২৩.০২ কোটি টাকা ব্যয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নবগঠিত (৬৩ বিজিবি) ব্যাটালিয়নের জন্য বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ ও আরবান রেজিলিয়েন্স প্রজেক্ট (বিজিবি) ও ৬.৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে তৃতীয় সংশোধিত আরবান রেজিলিয়িন্স প্রজেক্ট (ইউআরপি): ডিডিএম অংশ।

বৈঠকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা এবং পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ও সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।


১৩৯ উপজেলায় ভোট পড়েছে ৩৬ শতাংশ: ইসি আলমগীর

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৯ মে, ২০২৪ ২১:৫৬
নিজস্ব প্রতিবেদক

ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ১৩৯ উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ভোট পড়ার হার ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ। আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

মো. আলমগীর জানান, গত বুধবারের প্রথম ধাপের নির্বাচনে ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পড়েছে। ইভিএমে ভোটের হার ৩১ দশমিক ৩১ শতাংশ আর ব্যালটে ৩৭ দশমিক ২২ শতাংশ।

তিনি জানান, সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে সোনাতলা, মিরসরাই ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলায়। সেখানে ভোট পড়েছে ১৭ শতাংশ। সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলায়। সেখানে ভোট পড়েছে ৭৩ দশমিক ১ শতাংশ।

এর আগে গত বুধবার বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল জানিয়েছিলেন, প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে।

বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ১৩৯ উপজেলা পরিষদে প্রথম ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ২২টিতে ইভিএমে এবং বাকিগুলোতে ব্যালটে ভোট গ্রহণ হয়।


banner close