শনিবার, ১১ মে ২০২৪

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ তৈরিতে শিশুদের মানবিক গুণে গড়ে তোলার আহ্বান

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি ও রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। ছবি: ফোকাস বাংলা
আপডেটেড
১৭ মার্চ, ২০২৩ ১৭:১২
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ১৭ মার্চ, ২০২৩ ১৭:০৭

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট নাগরিক প্রয়োজন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের শিশুদের মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন করে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন। তার মতে, শিশুরাই হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট জনগোষ্ঠী।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আজকের শিশুদের এইটুকুই বলবো যে, খেলাধুলা, শরীরচর্চা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা, শিক্ষকদের কথা মান্য করা, অভিভাবকদের কথা মান্য করা এবং নিয়ম মেনে চলতে হবে। সবাইকেই উন্নত মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন হতে হবে। যারা প্রতিবন্ধী বা অক্ষম তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে হবে।’

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে সরকারপ্রধান এসব কথা বলেন।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠানটি হয়। জাতীয় শিশু দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুদের চোখ সমৃদ্ধির স্বপ্নে রঙিন’।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। ছবি: ফোকাস বাংলা

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশে কোনো শিশুই শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হবে না, কোনো মানুষই ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না। দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত হবে না, প্রতিটি মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ করে বাংলাদেশকে আমরা গড়ে তুলবো।’

সরকার শিশুদের সুরক্ষার জন্য সবরকম ব্যবস্থা নিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি। আগামীতে ২০৪১ সালে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ আমরা গড়তে চাই এবং আজকের শিশুরাই হবে সেই আগামী দিনের স্মার্ট জনগোষ্ঠী। যারা এই বাংলাদেশকে গড়ে তুলবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ছেলে-মেয়েরা খেলাধুলায় অংশ নিলে শরীর ভালো থাকবে, মনমানসিকতা ভালো থাকবে এবং সবাই একটা আত্মবিশ্বাস নিয়ে গড়ে উঠবে। সেটাই আমি চাই।’

‘অন্ধকে অন্ধ বলিও না, আর পঙ্গুকে পঙ্গু বলিও না-এটাতো ছোটবেলার শিক্ষা। কাজেই তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে হবে। আমরা তাদের ভাতা দেই এবং প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা বৃত্তিও দিয়ে থাকি। কাজেই সবাই একই সমাজের, সবাই একই সংসারের। জাতির পিতা শিশুদের ভালোবাসতেন। শিশুদের জন্য তার অত্যন্ত দরদ ছিল এবং শিশুদের সঙ্গে খেলা করতেও তিনি ভালোবাসতেন।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আলোকচিত্র প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন। ছবি: ফোকাস বাংলা

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘টুঙ্গিপাড়া জাতির পিতা শেখ মুজিবের জন্মস্থান। এই মাটিতে তিনি জন্ম নিয়েছেন, বড় হয়েছেন এবং এই মাটিতেই তিনি শায়িত। নিজের জীবনকে তিনি উৎসর্গ করেছিলেন বাংলার মানুষের মুক্তির জন্য। তার ভেতর যে মানবিকতা রয়েছে, মানুষের প্রতি দরদ, শিশুকাল থেকেই সেটা দেখা গেছে। যখন স্কুলে পড়তেন তখন থেকেই দরিদ্র কোনো শিক্ষার্থী, যার বই নেই তাকে বই দিয়ে দিতেন। নিজের গায়ের কাপড় খুলে দরিদ্র মানুষকে বিলিয়ে দিতেন। এমনকি দুর্ভিক্ষের সময় নিজের গোলার ধান পর্যন্ত মানুষের মাঝে বিলিয়েছেন। তার ভেতর সেই মানবিকতা ছোটবেলা থেকেই আমার দাদা-দাদী লক্ষ্য করেছেন।’

‘যারা একেবারে শোষিত-বঞ্চিত ছিল, একবেলা খাবার পেত না, কোনো পুষ্টি ছিল না, রোগে চিকিৎসা পেত না, তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করার জন্যই আজীবন সংগ্রাম করেছেন জাতির পিতা। আমরা আজ যে মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলতে পারছি সেজন্য ১৯৪৮ সাল থেকে আন্দোলন-সংগ্রাম জাতির পিতাই শুরু করেছিলেন। তারই নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা ও স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মপরিচয়’, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

এসময় যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠন এবং শিশু সুরক্ষা ও তাদের অধিকারের জন্য বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে শিশুদের উন্নয়নে তার সরকারের নানান কার্যক্রমও তুলে ধরেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল। শিশুদের পক্ষে বক্তব্য রাখে ছোট্ট স্বপ্নিল বিশ্বাস।

শিশু প্রতিনিধি স্নেহা ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করে দুই শিশু রুবাবা তোহা জামান ও এ এল শরফুদ্দিন।
শুরুতে ‘বঙ্গবন্ধু ও শিশু অধিকার’ শীর্ষক একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

শুক্রবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিতির একাংশ। ছবি: ফোকাস বাংলা

প্রধানমন্ত্রী জেলা প্রশাসন আয়োজিত চিত্রাঙ্কন এবং জাতির পিতার ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারের রোজনামচা’ ও জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ওপর কুইজ প্রতিযোগিতা এবং আবৃত্তি প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে তিনি স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মজিবুর রহমানের লেখা ‘শিশুদের শেখ মুজিব’ শিরোনামের একটি সচিত্র বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।

এছাড়া বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা থেকে নির্বাচিত সেরা চিত্রকর্মটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারক হিসেবে উপহার দেয়া হয়।

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও শিশু দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানে ১০০ অসচ্ছল শিক্ষার্থী আর্থিক অনুদান হিসেবে ২ হাজার ৫শ’ টাকা করে লাভ করে।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, রাজনৈতিক নেতা এবং ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার মো. খলিলুর রহমান ও গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


সড়কে মৃত্যুহার কমানো সরকারের উদ্দেশ্য: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সড়কে মৃত্যুহার কমানো সরকারের উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আজ শনিবার সকালে বাংলাদেশ শিল্পকলা অ্যাকাডেমিতে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ (নিসচা) এর দশম মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘স্বজন হারানোর বেদনা ইলিয়াস ভাই যেমন বুঝেন, আমরাও তেমন বুঝি। সড়কে কেউ হারিয়ে যাক, সেটা আমরা চাই না। কারও অঙ্গহানি হোক, সেটাও আমরা চাই না। আমরা সতর্কতামূলকভাবে ব্যবস্থা নিতে চাই। আমরা একটা আধুনিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চাই। সেজন্য আমরা সহযোগিতা চাই। আপনাদের সম্মেলন সফল হোক। এ আশাবাদ ব্যক্ত করছি।’

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষ আহত হচ্ছে, নিহত হচ্ছে। সড়কে খালি হচ্ছে হাজারো মায়ের কোল। এসব সমস্যা সমাধানে সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন। দুর্ঘটনার কারণ চিহ্নিত করে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে বিভিন্ন সময় দাবি করে আসছে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’। এ বিষয়ে সরকার ২২ অক্টোবর নিরাপদ সড়ক দিবস ঘোষণা করে।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই দুর্ঘটনা কম হোক, দুর্ঘটনায় আর যেন কেউ মৃত্যুবরণ না করে। পৃথিবীর সব দেশে দুর্ঘটনা ঘটে, মানুষের মৃত্যু হয়। বাংলাদেশে যাতে সড়ক দুর্ঘটনা কমে সেজন্যই কাজ করে যাচ্ছি। আইনে গাড়িচালক, হেলপার, মালিক এবং বিভিন্ন ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি সবার দায়িত্ব যথাযথভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। যে যেই দায়িত্বে থাকবে তার গাফিলতি হলে কী ধরণের শাস্তি হবে তার সবকিছুই আইনে পরিষ্কার করা হয়েছে।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘একটি আধুনিক শহরে ২৫ শতাংশ সড়ক থাকতে হয়। আমাদের দেশের কোনো শহরে ২৫ শতাংশ সড়ক নেই। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন ঢাকাকে যানজটমুক্ত করার। সেজন্য তিনি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার চালুর ঘোষণা দেন। এগুলো দৃশ্যমান হয়েছে এবং যানজট অনেকখানি হালকা হয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সালের জুন মাসে ৬ দফা নির্দেশনা দিয়েছিলেন। আমরা আশা করছি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়ন হলে সড়ক দুর্ঘটনা কমে যাবে।’

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী জানান, সড়ককে নিরাপদ করতে মানুষকে সচেতন করা জরুরি। এজন্য সবাইকে কাজ করতে হবে।

মহাসমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। এতে সভাপতিত্ব করেন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন।


যে পরিকল্পনা হোক, সেটা পরিবেশবান্ধব হতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

শনিবার আইইবির ৬১তম কনভেনশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১১ মে, ২০২৪ ১৩:০৪
নিজস্ব প্রতিবেদক

যে পরিকল্পনা প্রহণ করা হোক, সেটা পরিবেশবান্ধব হতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার সকালে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবি) ৬১তম কনভেনশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি থেকে দেশকে রক্ষা করা আমাদের লক্ষ্য। খরা, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস প্রতিনিয়ত মোকাবিলা করতে হয়। সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমাদের পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। আজকে আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছি। কারণ, আমরা পরিকল্পনা গ্রহণ করি এবং তার যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করি।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘পরিকল্পনাগুলো যেন টেকসই হয়। খরচের দিকটাও বিবেচনা নিতে হবে। কোনো পরিকল্পনা গ্রহণের ক্ষেত্রে সে পরিকল্পনা থেকে রিটার্ন কি আসবে, জনগণ কীভাবে উপকৃত হবে, এভাবেই আমাদের পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। শুধুমাত্র একটা নির্মাণ কাজ করার জন্য যেন নির্মাণ করা না হয়, সেটাই আমার অনুরোধ। সেটার জন্য আমি আমার পার্টির এমপিদেরও নির্দেশনা দিয়েছি। একনেকের মিটিংয়েও বলেছি। এরকম কোনো প্রকল্প দেখলে অবশ্যই আমি সেটা অনুমোদন করব না।’

তিনি বলেন, ‘যেটা আমাদের মানুষের কাজে লাগবে, দেশের কাজে লাগবে, যে প্রকল্প শেষ করলে মানুষ লাভবান হবে, আমাদের কিছু উপার্জন হবে, সেটাই আমরা দেখতে চাই। সেটাই পরিকল্পনা করবেন আপনাদের কাছে আমি এটাই চাই।’

জিয়াউর রহমানের আমলে মাথাপিছু আয় প্রতিবছর মাইনাসে ছিল উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘জাতির পিতাকে হত্যা করে যারা রক্তাক্ত হাতে ক্ষমতা দখল করেছিল, অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে মার্শাল ল’ জারি করেছিল, তাদের আমলে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পায়নি। জিয়াউর রহমানের আমলে প্রতিবছর ছিল মাইনাস। ১৯৯১ সালে এসে দেখা গেল যে মাত্র ৬ ডলার বেড়েছিল। ৭৬ সাল থেকে একানব্বই সাল এই দীর্ঘ সময় মাত্র ছয় ডলার বাড়ে। এই ছিল বাংলাদেশের অবস্থা।’

ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আইইবির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার এস এম মঞ্জুরুল হক মঞ্জু।


দৈনিক বাংলা ও নিউজ বাংলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাতের জন্মদিন পালিত

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দৈনিক বাংলা ও নিউজ বাংলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাতের জন্মদিন পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার পত্রিকাটির প্রধান কার্যালয়ে কেক কাটা হয়।

এ সময় বার্তা সম্পাদক সৈয়দ আফজাল হোসেন, যুগ্ম বার্তা সম্পাদক তানজিমুল নয়ন, দৈনিক বাংলার নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আফিজুর রহমানসহ সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

বাংলাদেশ ক্রিকেট ও ফুটবলের প্রথম বিজয়ের ধারাভাষ্য দিয়েছেন তিনি। যার রেকর্ড অন্য কোনো ধারাভাষ্যকারের নেই। ১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফিতে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নের ধারাভাষ্য দিয়ে দেশের ক্রিকেটের জনপ্রিয়তার জানান দেন। সে সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে ‘জাতীয় বীর’ হিসেবে গণসংবর্ধনা দেন।

চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত একমাত্র ধারাভাষ্যকার হিসেবে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে ১৭টি বিশ্বক্যাপের ধারাভাষ্য দিয়েছেন। এটি বিশ্ব রেকর্ড।

ধারাভাষ্যের পুরস্কার হিসেবে ‘ইন্টারন্যাশনাল স্পোটর্স বেস্ট কমেন্টেটর’ পুরস্কার পেয়েছেন।

বাচসাসসহ বিশ্বের অন্য সব সংগঠন মিলিয়ে প্রায় হাজার খানেক শ্রেষ্ঠ কমেন্টেটরের পুরস্কার পেয়েছেন। এ ছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, সাবেক দুই রাষ্ট্রপতি এরশাদ ও আবদুল হামিদের কাছ থেকে সংবর্ধনা পেয়েছেন।


ইভিএমে পড়েছে কম ভোট, ব্যালটে বেশি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১১ মে, ২০২৪ ০০:১৩
নিজস্ব প্রতিবেদক

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল এ যাবৎ অনুষ্ঠিত সব উপজেলা নির্বাচনের মধ্যে সবচেয়ে কম। সাধারণত স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে পছন্দের প্রার্থী থাকায় ভোটারদের মধ্যে আলোচনা বেশি থাকে, উপস্থিতিও থাকে বেশি। তবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদে প্রধান বিরোধীদল না থাকায় একতরফা নির্বাচনের যে প্রভাব ভোটের মাঠে পড়েছিল, উপজেলাতেও দেখা গেছে তারই রেশ। এ নির্বাচনেও ছিল না বিরোধী দল, ফলে দলীয় প্রতীক ছাড়াই অনুষ্ঠিত হয় প্রথম ধাপের ভোট। ভোটারদের এমন কেন্দ্রবিমুখ হওয়া নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালও।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলার নির্বাচনে গড়ে ভোট পড়েছে ৩৬.১৮ শতাংশ। এর মধ্যে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) চেয়ে ব্যালটে ভোট বেশি পড়েছে। অর্থাৎ ইভিএমকে এখনো আস্থায় নিতে পারছেন না ভোটাররা।

দেখা গেছে, যে ২১টি উপজেলায় ইভিএমে ভোট পড়েছে সেখানে তুলনামূলক কম ভোট পড়েছে। সেখানে গড়ে ভোট পড়েছে মাত্র ৩১.৩১ শতাংশ, অন্যদিকে ব্যালটে অনুষ্ঠিত বাকি উপজেলাগুলোতে ভোট পড়েছে ৩৭.৩১ শতাংশ

গত এক দশকের মধ্যে স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনে ভোটের হার এবারই সবচেয়ে কম। এর আগে সর্বশেষ ২০১৯ সালের ৫ম উপজেলা ভোটে গড়ে ৪১ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছিল। তার আগে ২০১৪ সালে চতুর্থ উপজেলা ভোটে ৬১ শতাংশ এবং তৃতীয় উপজেলা ভোটে ২০০৯ সালে ৬৭.৬৯ শতাংশ ভোট পড়ে।

নির্বাচন-সংশ্লিষ্টদের মতে, নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় এক ধরনের অনাস্থার পরিবেশ থাকায় ভোটাররা ভোট বিমুখ হয়েছে। বিশেষ করে বিগত তিনটি জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অস্বস্তি রয়েছে। সর্বশেষ বিগত ৭ জানুয়ারির নির্বাচন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর বড় একটি অংশ বর্জন করে। সেই ধারাবাহিকতায় উপজেলা ভোটেও বিএনপি-জামায়াত ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয়। তা ছাড়া ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশ নেয়নি। ফলে বেশির ভাগ উপজেলায় আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে ভোটের লড়াই হয়। এক অর্থে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল আওয়ামী লীগই। এতে করে সাধারণ ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে টানতে পারেননি প্রার্থীরা।

ইভিএমের চেয়ে ব্যালটে ভোট বেশি পড়ার কারণ হিসেবে অনেকে বলছেন, ইভিএমের চেয়ে ব্যালট পেপারে ভোটের ক্ষেত্রে অনিয়ম হয় বেশি। কেন্দ্র দখল করে ব্যালট পেপারে সিল মারার ঘটনা ঘটে। ইভিএমে ব্যালটের চেয়ে অনিয়মের মাত্রা কিছুটা কম হয়। এখানে কেন্দ্র দখল হলেও ভোটারের ফিংগার ছাড়া ভোট দেওয়া সম্ভব নয়। এ কারণে ব্যালট পেপারে অনুষ্ঠিত উপজেলাগুলোয় ভোটের প্রদত্ত হার বাড়তে পারে।

ভোটের হার নিয়ে সন্তুষ্ট নয় ইসি : উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ভোটের প্রদত্ত হার নিয়ে সন্তুষ্ট নয় ইসি। প্রথম ধাপের নির্বাচনে ৩৬ শতাংশ ভোট পড়ার এই হারকে ‘কম’ আখ্যা দিয়ে কিছু কারণও চিহ্নিত করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, মোটা দাগে পাঁচ কারণে ভোট কম পড়েছে। এগুলোর মধ্যে বৈরী আবহাওয়া, ভোটে বিএনপির অংশ না নেওয়া, জনপ্রিয় প্রার্থীর অভাব, ধান কাটার মৌসুম এবং সাধারণ ছুটি থাকায় শ্রমিকরা নিজ এলাকায় চলে যাওয়ায় ভোট কম পড়েছে।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে সোনাতলা, মিরসরাই ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলায়। সেখানে ভোট পড়েছে ১৭ শতাংশ। সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলায়। সেখানে ভোট পড়েছে ৭৩.১ শতাংশ। সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন দুটি উপজেলায় ব্যালট পেপারে ভোট অনুষ্ঠিত হয়।

ইসির প্রস্তুত করা ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ইভিএমে যে ২১টি উপজেলায় ভোট হয়েছে তার মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে পাবনার সুজানগরে। সেখানে ভোট পড়ে ৪৯.৭৮ শতাংশ। সর্বনিম্ন ভোট পড়ে সিরাজগঞ্জের সদরে ২২.৭০ শতাংশ।

১০ উপজেলায় অস্বাভাবিক ভোট : এবারের উপজেলা ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি থাকলেও ১০টি উপজেলায় অস্বাভাবিক ভোট পড়েছে। উপজেলাগুলো হলো- জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল, কালাই, রাঙ্গামাটির কাউখালী, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া, কুড়িগ্রামের রাজিবপুর, ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর, কুষ্টিয়ার খোকসা, বাগেরহাটের কচুয়া, মাগুরার শ্রীপুর ও গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া।

২০ শতাংশের নিচে ভোট ছয় উপজেলায় : ছয়টি উপজেলায় ২০ শতাংশের নিচে ভোট পড়েছে। এসব উপজেলা হলো- চট্টগ্রামের মিরসরাই, কুষ্টিয়ার সদর, জয়পুরহাটের আক্কেলপুর, বগুড়ার সোনাতলা, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ, ঢাকার নবাবগঞ্জ।

ভোট কম পড়ার কারণ হিসেবে নির্বাচন ভবনের ইসি আলমগীর সাংবাদিকদের আরও বলেন, ধান কাটার মৌসুম, বিশেষ করে হাওরাঞ্চলে বোরো ধান যেসব এলাকায় আছে, এটা আমাদের আগেই মাঠ প্রশাসন থেকে বলেছে, ধান কাটার মৌসুমের জন্য ভোট কম পড়তে পারে। এ ছাড়া ঝড়বৃষ্টি হয়েছে। আবার একটি বড় দল রাজনৈতিকভাবে অংশ না নেওয়ায় ভোট কম হয়েছে। শহর এলাকায় ছুটি থাকলে শ্রমিকরা বাড়ি চলে যায়। গাজীপুরে কিন্তু ভোট কম পড়েছে। শুধু ধান কাটা না, নানা কারণে ভোট কম পড়েছে। আরও কোনো কারণ থাকলে তা গবেষকরা বলতে পারেন। এ ছাড়া প্রার্থীর জনপ্রিয়তার ওপরও ভোট পড়ার হার নির্ভর করে। এই নির্বাচনের ৭৩ শতাংশ ভোট পড়েছে এমন এলাকাও আছে। আবার ১৭ শতাংশ ভোট পড়েছে এমন উপজেলাও আছে।

তবে নির্বাচন কমিশনের প্রত্যাশা, সামনের ধাপগুলোর নির্বাচন আরও জমে উঠবে। প্রার্থীদের প্রচারণা জমে উঠলে ভোটকেন্দ্রে আরও বেশি সংখ্যক ভোটার উপস্থিতি দেখা যাবে।


দাম বাড়ছেই সোনালি মুরগির, চড়া সবজি-মসলার বাজার

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১১ মে, ২০২৪ ০৩:৩৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন আব্দুল রাজ্জাক। গতকাল শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে করেন বাজার। সন্তানের আবদার মেটাতে কৃষি মার্কেটে মুরগি কিনতে এসেছেন তিনি। দৈনিক বাংলার এই প্রতিবেদককে তিনি জানান, নিয়মিত এখান থেকেই বাজার করা হয় তার। গতকাল মুরগি কিনতে এসে খেয়েছেন হোঁচট। কেননা মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে অনেক। শুধু আব্দুল রাজ্জাক নন, রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন অনেক ক্রেতাই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

আব্দুল রাজ্জাক জানান, ব্রয়লার মুরগির দামে তেমন হেরফের না হলেও সোনালি জাতের মুরগির দাম বেশ বেড়েছে। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪১০-৪২০ টাকা। যা দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ৮০ টাকা বেশি। তবে ব্রয়লার ২২০-২৩০ টাকার মধ্যে কেনা যাচ্ছে। আবার বাজারে ফার্মের মুরগির ডিমের দামও এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি ডজনে ২০ টাকা বেড়ে ১৪০ টাকা দরে ঠেকেছে।

বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, গরমের তীব্রতা কমার সঙ্গে সঙ্গে মুরগি ও ডিম উৎপাদনে বিশেষ নজর দিতে হবে। এ ছাড়া বাজার দীর্ঘমেয়াদে ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যেতে পারে। উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, ক্ষুদ্র খামারিরা উৎপাদনে না ফিরতে পারলে বাজারে অস্থিরতা আরও বাড়বে।

গতকাল ঢাকার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মাছ-মাংস, ডিম, সবজি ও মসলাসহ বেশির ভাগ পণ্যের দাম চড়া। এক কেজি বেগুনের দাম এখন ১০০-১২০ টাকা। কাঁকরোল-বরবটিরও দর একই। আর সজনে ডাঁটা বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৮০ টাকা দরে। এমনকি সস্তা দামে পরিচিত পেঁপের কেজিও এখন ৮০ টাকা।

গতকাল বাজারে টমেটো ৫০ টাকা, দেশি গাজর ১০০ টাকা, লম্বা বেগুন ১০০ টাকা, সাদা গোল বেগুন ৮০-১০০ টাকা, কালো গোল বেগুন ১০০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, উচ্ছে ৬০-৮০ টাকা, করলা ৬০-৮০ টাকা, কাঁকরোল ১০০ টাকা, পেঁপে ৮০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৪০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, পটল ৬০-১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, ধুন্দল ৮০ টাকা, ঝিঙা ৮০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, কচুরলতি ৮০-১০০ টাকা, কচুরমুখী ১৪০-১৬০ টাকা, সজনে ১৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৪০ টাকা, ধনেপাতা ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর মানভেদে প্রতিটি লাউ ৬০-৮০ টাকা, চালকুমড়া ৫০-৬০ টাকা, ফুলকপি ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা করে।

গত সপ্তাহের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, কোনো সবজির দাম তো কমেইনি বরং বেড়েছে ১০ টাকা থেকে শুরু করে ৪০ টাকা পর্যন্ত। অল্প মূল্যের সবজি হিসেবে পরিচিত পেঁপে আজকে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি দরে। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকায়। এদিকে কাঁচা মরিচের দামও এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে ৪০ টাকা। গত সপ্তাহে ১০০ টাকা কেজি হলেও আজ তা ১৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

রামপুরা বাজারের সবজি বিক্রেতা ইউনুস আলী বলেন, সব সবজির দাম চড়া। গত সপ্তাহে প্রচণ্ড গরমে খেতে অনেক সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। যার প্রভাব পড়ছে বাজারে।

বাজারে সবজির দাম বাড়তির বিষয়ে বাংলাদেশ কাঁচামাল আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি মো. ইমরান মাস্টার বলেন, তীব্র গরমের কারণে মাঠে সবজি উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। তাই বাজারে সবজির সরবরাহ কম, দামও বেড়েছে। নতুন করে কৃষকরা যেসব সবজি লাগাচ্ছেন, তা আসতে সময় লাগবে। দুই থেকে তিন সপ্তাহের আগে সবজির দাম কমার সম্ভাবনা নেই বলে মনে করেন তিনি।

এ ছাড়া বেড়েছে মাছের দাম। ক্রেতারা মাছ কিনতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন। নদী ও হাওরের মাছ সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে গেছে অনেক আগেই। চাষের মাছও এখন বেশ চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে।

ঈদের আগে এক কেজি ছোট ও মাঝারি আকারের পাঙাশের দাম ছিল ১৮০-২২০ টাকা, সেই একই পাঙাশ এখন বিক্রি হচ্ছে ২০০-২৫০ টাকায়। দাম বেড়ে তেলাপিয়া মাছের কেজি ২৫০ টাকা ছাড়িয়েছে। মাঝারি ও বড় মানের তেলাপিয়া প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০-২৮০ টাকায়। ঈদের আগে যা ছিল ২২০-২৫০ টাকা।

চাষের কই বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৫০ টাকার ওপরে। আর ৬০০-৭০০ গ্রাম ওজনের চাষের রুই মাছের দাম হাঁকানো হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকা কেজি। বড়গুলো ৩৬০-৪০০ টাকা। বাজারে ইলিশের সরবরাহ তেমন নেই। ৪০০-৫০০ গ্রামের ইলিশের দাম চাওয়া হচ্ছে প্রতি কেজি ১২০০-১৪০০ টাকা। ৭০০-৮০০ গ্রাম হলে ১৬০০-১৮০০ টাকা। আর কেজি সাইজের হলে দাম দুই হাজারের ওপরে।

মালিবাগ মাছ বাজারে বিক্রেতা তুহিন বলেন, এক মাস আগের চেয়ে প্রতিটি মাছে কেজিতে ৫০-১০০ টাকা বেড়েছে। এতে আমাদের বেচাকেনা কমেছে। ব্যবসা করা কঠিন হয়ে গেছে। আড়তে মাছ নেই। যা পাই চড়া দাম। ক্রেতারা নিচ্ছেন না।

চড়া হচ্ছে মসলার বাজার

কোরবানি ঈদকে ঘিরে চড়া হচ্ছে মসলার বাজার। পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দাম গত বছরের এই সময়ের তুলনায় কিছুটা বেশি দেখা যাচ্ছে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির সুযোগ থাকলেও দাম বেশি হওয়ার কারণে আমদানিকারকদের তেমন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। তাতে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দামে বড় প্রভাব নেই। ক্ষেত্রবিশেষে পেঁয়াজের দাম গত এক সপ্তাহে কেজিতে পাঁচ টাকার মতো কমেছে। এখন দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি।

কারওয়ান বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. সলিমুল্লাহ জানান, বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ ভালো। তবে দাম এখনো সেভাবে কমেনি। ভারত থেকে পেঁয়াজ আসা শুরু করলে দেশের বাজারে দাম কমবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

দেশি ও আমদানি করা রসুনের দামও সপ্তাহের ব্যবধানে ১০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৭০ থেকে ২১০ টাকা। আর আমদানি করা রসুনের দাম পড়ছে ২০০ থেকে ২৪০ টাকা। আমদানি করা আদার দাম পড়ছে ২০০ থেকে ২৪০ টাকা। আর দেশি আদার কেজি পড়ছে সাড়ে ৩৫০ টাকার ওপরে। চাল, ডাল, আটা, ময়দা, চিনি ও তেলের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল হয়ে আছে।

রাজধানীর টাউনহল কাঁচাবাজারের ক্রেতা রেজওয়ানা সুলতানা বলেন, ‘রোজার শেষ দিকে এসে বাজার কিছুটা ভালোর দিকে গিয়েছিল। এখন আবার নতুন করে দাম বাড়তে শুরু করেছে। উচ্চমূল্যের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে বড়ই কষ্ট পাচ্ছি।’


আমাদের মূল চালিকাশক্তি অসাম্প্রদায়িকতার প্রতীক পয়লা বৈশাখ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘অসাম্প্রদায়িকতা আমাদের জাতির মূল চালিকাশক্তি আর পয়লা বৈশাখ উৎসব অসাম্প্রদায়িকতার প্রতীক।’ আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ফরেন অফিস স্পাউসেস অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘বৈশাখী উৎসব ১৪৩১’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গড়ার লক্ষ্যে তৎকালীন পাকিস্তানের সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রব্যবস্থা ভেঙে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জন্ম। আর বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হওয়া পয়লা বৈশাখের উৎসব আজ আমাদের অসাম্প্রদায়িকতার মূর্ত প্রতীক।’

ড. হাছান বলেন, ‘স্বাধীনতাযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে আমাদের প্রথম পরিচয় আমরা বাঙালি, আর দ্বিতীয় পরিচয় আমরা কে কোন ধর্মের। আর বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার মন্ত্র- ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। সে কারণেই আজ বাংলাদেশে ঈদ, পূজা, প্রবারণা পূর্ণিমা সব উৎসবে সব ধর্মের মানুষ একাত্ম হয়ে যায়।’

এর আগে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে ডেভিড স্লেটন মিলের নাম মনোনয়ন দিয়েছেন- এ নিয়ে প্রশ্নে মন্ত্রী হাছান এ মনোনয়নকে স্বাগত জানান। নতুন রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

ওই সময় সম্প্রতি হোয়াইট হাউসের ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্নোত্তর বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘আমাদের দেশে মানবাধিকার অনেক দেশের চেয়ে ভালো। বিশ্বের কোনো দেশেই মানবাধিকার আদর্শ অবস্থানে নেই।’

তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে যেভাবে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে পুলিশ দমন করছে, সেটি আমরা টিভির পর্দায় দেখছি। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে নাগরিক আন্দোলনকে কীভাবে পুলিশ দমন করছে, সেটিও আমরা দেখছি।’ মন্ত্রী বলেন, ‘সব দেশেরই উচিত মানবাধিকার উন্নয়নে একযোগে কাজ করা, আমরাও আমাদের উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে মানবাধিকার উন্নয়নে কাজ করতে চাই।’

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ড. এ কে আবদুল মোমেন ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য শাহরিয়ার আলম, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ফরেন অফিস স্পাউসেস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে সংগঠনের শিল্পীদের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপভোগ করেন।


স্কুল-কলেজের সভাপতি হওয়ার ন্যূনতম যোগ্যতা এইচএসসি পাস

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের বেসরকারি মাধ্যমিক ও কলেজগুলোর ম্যানেজিং কমিটির ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সংশোধন করা হয়েছে বর্তমান গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানমালাও।

গত বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানমালা-২০২৪ জারি করা হয়।

এতদিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ সভাপতি এবং সদস্যদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারিত ছিল না। তবে নতুন নিয়মে এ পদে কেউ আসতে হলে তাকে হতে হবে উচ্চ মাধ্যমিক পাস। এ ছাড়া একই সঙ্গে এক ব্যক্তি পরপর দুইবারের বেশি সভাপতি হতে পারবেন না বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রবিধানমালা-২০২৪-এর তৃতীয় অধ্যায়ে ম্যানেজিং কমিটি বিষয়ে বলা হয়েছে, নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার দায়িত্ব একটি ম্যানেজিং কমিটির ওপর ন্যস্ত থাকিবে।

নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে ম্যানেজিং কমিটি গঠন হবে। ক) একজন সভাপতি খ) মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে শিক্ষকের ভোটে নির্বাচিত দুজন সাধারণ শিক্ষক প্রতিনিধি। তবে শর্ত থাকে যে, মাধ্যমিক স্তরের কোনো বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রাথমিক স্তর সংযুক্ত থাকলে, মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকদের ভোটে একজন সাধারণ শিক্ষক প্রতিনিধি এবং প্রাথমিক স্তরের শিক্ষকদের ভোটে একজন সাধারণ শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন। গ) নিম্ন মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে নিম্ন মাধ্যমিক স্তরের সব শিক্ষকের ভোটে নির্বাচিত দুজন সাধারণ শিক্ষক প্রতিনিধি। তবে শর্ত থাকে যে, নিম্ন মাধ্যমিক স্তরের কোনো বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রাথমিক স্তর সংযুক্ত থাকলে, নিম্ন মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকদের ভোটে একজন সাধারণ শিক্ষক প্রতিনিধি এবং প্রাথমিক স্তরের শিক্ষকদের ভোটে একজন সাধারণ শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন। ঘ) মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে মাধ্যমিক স্তরের কেবল মহিলা শিক্ষকদের ভোটে নির্বাচিত একজন সংরক্ষিত মহিলা শিক্ষক প্রতিনিধি। তবে শর্ত থাকে যে, মাধ্যমিক স্তরের কোনো বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রাথমিক স্তর সংযুক্ত থাকলে, মহিলা শিক্ষক প্রতিনিধি উভয় স্তরের মহিলা শিক্ষকদের ভোটে নির্বাচিত হবেন। ঙ) নিম্ন মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে, নিম্ন মাধ্যমিক স্তরের কেবল মহিলা শিক্ষকদের ভোটে নির্বাচিত একজন সংরক্ষিত মহিলা শিক্ষক প্রতিনিধি থাকবে। ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ হবে প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার তারিখ থেকে পরবর্তী ২ বছর।

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির যোগ্যতা বিষয়ে প্রবিধানমালায় বলা হয়েছে, ‘এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ কোনো ব্যক্তি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে নির্বাচিত হতে পারবেন না। এ ছাড়া কোনো শিক্ষক কর্মরত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে নির্বাচিত হতে পারবেন না, তবে সমপর্যায়ের বা নিম্নস্তরের অন্য কোনো বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটিতে সভাপতি পদে নির্বাচিত হতে বাধা নেই।’

এতে আরও বলা হয়েছে, ‘কোনো ব্যক্তি একই বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটিতে দুইবারের অধিক সভাপতি, শিক্ষক প্রতিনিধি বা অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচিত হতে পারবেন না। তবে এক মেয়াদ বিরতি শেষে তিনি পুনরায় নির্বাচন করতে পারবেন।’

প্রবিধানমালায় বলা হয়েছে, ‘কোনো ব্যক্তি ২টির অধিক বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হতে পারবেন না এবং যেকোনো ধরনের ৪টির অধিক বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডির সভাপতির দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।’


দেশের ডিজেলচালিত সেচ পাম্পগুলো সোলারে রূপান্তরের চেষ্টা চলছে: নসরুল হামিদ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের ১২ লাখ ডিজেলচালিত সেচ পাম্পকে সোলারে রূপান্তর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেছেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে আড়াই শতাধিক সোলার লাগাতে শুরু করেছি। সেগুলো আমরা মডেল হিসেবে দেখছি। এই মডেল যদি সফল হয়, তাহলে আমরা পরিধি বাড়াব।’

সোলার ইরিগেশন নিয়ে সরকারের পরিকল্পনার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘সোলার পাম্পের যে খরচ, আমরা হিসাব করে দেখেছি, প্রায় ৪০ শতাংশ টাকা সরকার থেকে না দিলে তা কমার্শিয়ালি ফিজিবল করা সম্ভব হবে না।’

‘কৃষকের মুশকিল হলো, সোলার করতে গিয়ে যে জায়গাটা তার নষ্ট হবে এবং পাম্প মেরামত করতে তার যে খরচ- এটা তার জন্য অনেক বেশি হয়ে যাবে’ বলেন তিনি।

আজ শুক্রবার রাজধানীর বারিধারায় নিজ বাসভবনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

নসরুল হামিদ বলেন, ‘প্রায় দুই হাজার ডিজেলচালিত পাওয়ার প্লান্ট বন্ধ হয়ে গেছে। এর বিপরীতে নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র এলে আরও উৎপাদন দক্ষতা তৈরি হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা আশাবাদী ২০২৬-২৭-এর মধ্যে আমাদের আরও দুটি ভাসমান টার্মিনাল (ফ্লোটিং স্টোরেজ রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট বা এফএসআরইউ) আসছে। সে সময় আমাদের যে প্রকল্পগুলো হাতে আছে সেগুলো শেষ হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এখন তিন হাজার ৭০০ মেগাওয়াট সোলার প্লান্টের অনুমোদন দিয়ে দিয়েছি। আমি আশাবাদী, অন্তত এক হাজার ৫০০ মেগাওয়াট সোলার পাওয়ার যদি আসে সিস্টেমে, আমাদের জন্য ভালো হবে। আমরা আরও প্রায় ১২ হাজার মেগাওয়াট সোলার নিয়ে কাজ করছি।

‘আমরা আশা করছি, আগামী মাসের মধ্যে নেপালের ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নিয়ে আসতে পারব। আমরা পারচেজ কমিটিতে (ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি) পাঠিয়ে দিয়েছি। আমাদের ৪০ মেগাওয়াটের প্রস্তুতি নেওয়া আছে, এটা পাস হয়ে গেলেই নিয়ে আসতে পারব। নেপালের বিদ্যুৎ এটা প্রথম শুরু হলো,’ যোগ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের উইন্ড (বায়ুবিদ্যুৎ) আমরা ২০০ মেগাওয়াট শুরু করেছি। ইতোমধ্যে ৬০ মেগাওয়াট আমাদের সিস্টেমে চলে এসেছে।’

তেলের দাম সমন্বয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ধরে নিই, ক্রুড অয়েলের দাম যদি আন্তর্জাতিক বাজারে ৮০ ডলার হয়, আমাদের এখানে কেন ১০০ ডলার? প্রশ্ন থাকে, যেটা আমাদের বিশেষজ্ঞরা বা রাজনীতিবিদরা করেন। আমাদের দেশে কি ৭০ ডলার হবে? ৮০ ডলার ওখানে (আন্তর্জাতিক বাজারে), সেটা আনতে খরচ আছে, সেই খরচটা হিসাব করেনি। এখানে আমরা রিফাইন করব, সেটাও হিসাব করে না। আমি ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিকে দিয়ে ডিস্ট্রিবিউট করব পদ্মা-মেঘনা-যমুনার মাধ্যমে, সেটাও হিসাব করে না। ট্রাকে করে তেল যে পেট্রল পাম্পে পৌঁছব, পেট্রল পাম্প মালিকদের কমিশন দেব, সেটাও কেউ হিসাব করে না।

‘এই চলমান প্রক্রিয়ায় যে অপচয়টা হয়, সেটার একটা হিসাব আছে। সেই হিসাব করে না। এর পরে দাম নির্ধারণ হয়। আমরা ফিনিশ অয়েলও আমদানি করি,’ যোগ করেন তিনি।

সাধারণ মানুষের জন্য এসব তথ্য ওয়েবসাইটে দিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিল, ইলেকট্রিক চার্জিং স্টেশন, ইলেকট্রিক ভেহিকলের কথা আপনি অনেক দিন ধরে বলে আসছেন। এদিকে, বিআরটিএ (বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ) বলেছে, দেশে লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণা যাচ্ছে না, সেখানে ইলেকট্রিক ভেহিকল কী করে বাস্তবায়ন সম্ভব হবে?

এর জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তারা আসলে বোঝেনি যে, এটার সঙ্গে লোডশেডিংয়ের কোনো সম্পর্ক নেই। ব্যাটারি চার্জড ভেহিকলের সঙ্গে লোডশেডিংয়ের কোনো সম্পর্ক নেই। একটি ইলেকট্রিক ট্রেন যখন চলে, সেটা সারাক্ষণ বিদ্যুৎ নেয় না। লোডশেডিংয়ে কি মেট্রো (মেট্রোরেল) বন্ধ হয়ে গেছে? আমি তো ধরে ধরে সবাইকে জ্ঞান-বুদ্ধি দিতে পারব না যে, ব্যাটারি কীভাবে চার্জ হয়!’


টঙ্গী পর্যন্ত বর্ধিত হচ্ছে মেট্রোরেল

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১০ মে, ২০২৪ ২০:৪৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর সবচেয়ে দ্রুতগামী গণপরিবহন ব্যবস্থা মেট্রোরেল বর্তমানে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত যাত্রী আনা-নেওয়া করছে। এ রুটের বর্ধিতাংশ গিয়ে ঠেকবে কমলাপুরে। অন্যদিকে উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে একটি পথ সাভারের আশুলিয়া যাওয়ার কথা ছিল। তবে নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী আপাতত টঙ্গী পর্যন্ত বর্ধিত হচ্ছে মেট্রোরেলের ওই লাইন।

আজ শুক্রবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মেট্রোরেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক। তিনি বলেন, ‘সাভারের আশুলিয়া পর্যন্ত মেট্রোরেল যাওয়ার কথা। কিন্তু নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী টঙ্গী পর্যন্ত বর্ধিত হচ্ছে মেট্রোরেলের লাইন। এমআরটি লাইন-৬ নির্মাণের সময়ই দিয়াবাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার পথ তৈরি করে রাখা হয়েছে ভবিষ্যতের কথা ভেবে। এরই মধ্যে বর্ধিত এ পথের সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। দ্রুতই নকশা চূড়ান্ত করে টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হবে।’

পরিকল্পনা ছিল পথটি আশুলিয়া পর্যন্ত নেওয়ার। তবে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারণে নতুন এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এটি টঙ্গী রেলস্টেশন পর্যন্ত এই যুক্ত করা হবে বলে জানান ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

তিনি বলেন, মূলত টঙ্গী রেলস্টেশন এবং সড়ক জংশনকে সংযুক্ত করতে পারলে ওই অঞ্চলের মানুষের সুবিধা বাড়বে। এরই মধ্যে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি শুরু হয়েছে। এ পথ চালু হলে টঙ্গী থেকে কমলাপুর পর্যন্ত যাত্রা পথ হবে ৪৮ মিনিটের।


বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত হচ্ছেন ডেভিড স্লেটন মেল

ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত হচ্ছেন ডেভিড স্লেটন মেল। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে ডেভিড স্লেটন মেলকে মনোনীত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গতকাল বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়।

হোয়াইট হাউসের তথ্য অনুযায়ী, ডেভিড মেল প্রায় ১০ বছর আগে ঢাকায় মার্কিন মিশন উপপ্রধান ছিলেন। বর্তমানে তিনি চীনের বেইজিংয়ে মার্কিন দূতাবাসে অন্তর্বর্তীকালীন চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

২০১৮ সালে মেল মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের অর্থনৈতিক ও ব্যবসাবিষয়ক ব্যুরোর বাণিজ্য নীতিবিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি হন। এর আগে তিনি নিষেধাজ্ঞা নীতি ও বাস্তবায়ন বিষয়ক পরিচালক ছিলেন। ডেভিড মেল এর আগেও ওয়াশিংটন ডিসির ফরেন সার্ভিস ইনস্টিটিউটের লিডারশিপ অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট স্কুলের সহযোগী ডিন, ইউক্রেনের কিয়েভে মার্কিন দূতাবাসের অর্থনৈতিক বিষয়ক পরামর্শদাতা এবং অর্থনৈতিক ব্যুরোতে আর্থিক বিষয়ক অফিসের উপ-পরিচালকের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।

হোয়াইট হাউসের তথ্য মতে, চীন, হংকং, তাইওয়ান, গিনি ও ওয়াশিংটনে কূটনীতি সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমেও তার ভূমিকা রয়েছে। তিনি ১৯৯২ সালে ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন এবং মিনিস্টার-কাউন্সেলর পদে অধিষ্ঠিত হন।


প্রতিটি মানুষকে অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল করতে সরকার কাজ করছে: প্রধানমন্ত্রী

ছবি: বাসস
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

সরকার সকল দেশবাসীকে অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল করতে বহুমাত্রিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

আজ শুক্রবার টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দরিয়ারকুল গ্রাম উন্নয়ন সমিতির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

তিনি সংক্ষিপ্তভাবে বহুমাত্রিক কর্মসূচির বর্ণনা দেন, যার মধ্যে রয়েছে ‘আমার বাড়ি, আমার খামার’, জনগণকে আর্থিক অনুদান প্রদান, সার্বজনীন পেনশন প্রকল্প এবং গ্যারান্টি ছাড়া ঋণ প্রদান, সমাজ থেকে দারিদ্র্য বিমোচন করার জন্য যুবকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদান ইত্যাদি।

সরকার প্রধান বলেন, আমরা দারিদ্র্য বিমোচনের মাধ্যমে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে অনেক উদ্যোগ নিয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকারের নেয়া কর্মসূচিগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হলে দেশে কেউ গরীব থাকবে না।

তিনি ক্ষুদ্র সঞ্চয় নিশ্চিত করতে এবং এইভাবে বাংলাদেশের উন্নয়নে সহায়তা করার জন্য সমগ্র বাংলাদেশে সমবায় সমিতি গঠনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

প্রতিটি এলাকায় সমবায় সমিতি গঠন করে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি, ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণে আওয়ামী লীগ নেতাদের আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘সবাই যাতে নিজের পাঁয়ে দাঁড়াতে পারে, সে জন্য আমরা কাজ করছি।’

পরে প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় চত্বরে দরিদ্রদের মাঝে রিপার মেশিন, সার, ল্যাপটপ, ১০টি সাইকেল, ১০টি রিকশা ভ্যান, ৩০টি সেলাই মেশিন এবং ৩৮ জনকে ৪০ হাজার টাকার আর্থিক অনুদান, ১০ জোড়া কবুতর এবং ৩৮ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতির পিতার কনিষ্ঠ কন্যা ও প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম।

এর আগে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। একদিনের সফরে আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। পরে ১০টা ৬ মিনিটে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধের বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। সেখানে ফাতেহাপাঠ করে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা, পঁচাত্তরের ১৫ অগাস্ট শহীদ ও মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া-মোনাজাতে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।

এ সময় তাঁর সঙ্গে ছোট বোন শেখ রেহানা, বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল, জুয়েলের স্ত্রী সাহানা ইয়াসমিন শম্পাসহ পরিবারে সদস্য, গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম এবং পুলিশ সুপার আল-বেলী আফিফা উপস্থিত ছিলেন।

একদিনের সফরে সকাল ৭টার পর গণভবন থেকে সড়ক পথে রওনা হয়ে ৯টা ৫৭ মিনিটে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান শেখ হাসিনা। সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান নেতা-কর্মীরা। তিনি আজ বিকেলে সড়ক পথে ঢাকায় ফিরে আসবেন বলে জানা গেছে।


দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা

ফাইল ছবিটি সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আজ শুক্রবার (১০ মে) আবহাওয়ার নিয়মিত বুলেটিনে সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টার বার্তায় অধিদপ্তর জানিয়েছে- ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি, কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টিও হতে পারে। এতে আরও বলা হয়- সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আবহাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। গতকালকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় যশোরে এবং আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় ফরিদপুর ও রংপুরে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ২৪ মিলিলিটার রেকর্ড করা হয়েছে দেশের উত্তরের জেলা তেঁতুলিয়ায়।


টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

ছবি: ফোকাস বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। একদিনের সফরে আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। পরে ১০টা ৬ মিনিটে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধের বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।

সেখানে ফাতেহাপাঠ করে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা, পঁচাত্তরের ১৫ অগাস্ট শহীদ ও মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া-মোনাজাতে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছোট বোন শেখ রেহানা, বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল, জুয়েলের স্ত্রী সাহানা ইয়াসমিন শম্পাসহ পরিবারে সদস্য, গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম এবং পুলিশ সুপার আল-বেলী আফিফা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে একদিনের সফরে সকাল ৭টার পর গণভবন থেকে সড়ক পথে রওনা হয়ে ৯টা ৫৭ মিনিটে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান শেখ হাসিনা। সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান নেতা-কর্মীরা।

প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দাড়িয়াকুল গ্রাম উন্নয়ন সমিতির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং সুবিধা বঞ্চিতদের মাঝে কৃষি ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করার কথা রয়েছে। পরে তিনি টুঙ্গিপাড়া উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। তিনি আজ বিকেলে সড়ক পথে ঢাকায় ফিরে আসবেন বলে জানা গেছে।


banner close