শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

ভারত থেকে দেশে পাইপলাইনে তেল আসবে আজ

ফাইল ছবি
আপডেটেড
১৮ মার্চ, ২০২৩ ০৮:১২
প্রতিনিধি, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিনিধি, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ১৮ মার্চ, ২০২৩ ০৮:১১

‘বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের’ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ১৩১ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পাইপলাইনের উদ্বোধন করবেন।

এই পাইপলাইনের মাধ্যমে বছরে দুই লাখ টন ডিজেল আসবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ির নুমালিগড় রিফাইনারি থেকে। এই তেল দেশের উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় সরবরাহ করা হবে। এ ছাড়া লালমনিরহাটের সৈয়দপুর ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রেও এই ডিজেল সরবরাহ করা হবে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

দক্ষিণ এশিয়ায় পাইপলাইনের মাধ্যমে এক দেশ থেকে আরেক দেশে এই প্রথম তেল আসছে। ২০১৮ সালে পাইপলাইন নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়। ভারত অংশে পাঁচ কিলোমিটার ও বাংলাদেশ অংশে ১২৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার; সব মিলিয়ে পাইপলাইনের দৈর্ঘ্য ১৩১ দশমিক ৫ কিলোমিটার।

এটি বাংলাদেশ অংশে বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) ও ভারত অংশে দেশটির সরকারি প্রতিষ্ঠান নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড। পাইপলাইন নির্মাণের কাজ করেছে ভারতের দীপন গ্যাস।

এ বিষয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক দিন। দক্ষিণ এশিয়ায় একমাত্র অন্য দেশ থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে তেল আনছে। এই তেল উত্তরাঞ্চলের জ্বালানি-নিরাপত্তাকে সুসংহত করবে।

কম দামে তেল আসবে

রাশিয়া থেকে কম দামে তেল কিনছে ভারত। রাশিয়া থেকে কম দামে কেনা তেল বাংলাদেশকে কিনতে হবে আন্তর্জাতিক দামে। এর পরও আন্তর্জাতিক বাজার থেকে কম দামে তেল পাবে বাংলাদেশ। বিপিসি সিঙ্গাপুরের ম্যাগাজিন প্লেটসে প্রকাশিত দামে তেল কেনে। যেদিন বিপিসির জাহাজে তেল ভর্তি করে, সেদিন প্লেটসে প্রকাশিত দাম, তার আগের দিনের দাম ও জাহাজ ছাড়ার পরের দিনের দাম- এই তিন দিনের দামের গড় হলো জ্বালানি তেলের দাম। এর বাইরে জাহাজ খরচ, ইন্স্যুরেন্সসহ অন্য ব্যয়কে প্রিমিয়াম বলা হয়।

প্রিমিয়াম ও প্লেটসে প্রকাশিত তেলের দাম পরিশোধ করতে হয় বিপিসিকে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে তেল কেনার প্রিমিয়াম খরচ প্রতি ব্যারেলে সাড়ে ১১ ডলার।

ভারত থেকে পাইপলাইনে আসা তেলের প্রিমিয়াম পড়বে ৫ দশমিক ৫ ডলার। এতে প্রতি ব্যারেলে ৫ দশমিক ৫ ডলার সাশ্রয়ী হবে। পূর্ণ সক্ষমতায় পাইপলাইনে তেল সরবরাহ হলে বছরে ৮০ কোটি টাকা সাশ্রয়ী হবে।

ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের (আইবিএফপিএল) মাধ্যমে আসা ডিজেল দিনাজপুর, লালমনিরহাট, পঞ্চগড়, রংপুর, নীলফামারীসহ উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় সরবরাহ করা হবে। আগে এই জেলাগুলোতে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী থেকে ট্রাকে করে তেল আসত। প্রথম তিন বছরে এই পাইপলাইনের মাধ্যমে বছরে দুই লাখ টন তেল আসবে। চতুর্থ বছর থেকে পাঁচ লাখ টন ও বাকি ১০ বছরে ১০ লাখ টন করে তেল আসবে। ১৫ বছর ধরে ভারত থেকে তেল কিনবে বাংলাদেশ। এরপর চুক্তি নবায়ন না হলে পাইপলাইনের মালিকানা ও কর্তৃত্ব বাংলাদেশের কাছে এককভাবে থাকবে।

দিনাজপুরের পার্বতীপুরে পাইপলাইনের রিসিপশন সেন্টার বা তেল গ্রহণ কেন্দ্র করা হয়েছে। এখানে আগেই তেল মজুতের একটি ডিপো রয়েছে। সেখানে ১৪ হাজার টন তেল সংরক্ষণ করা যেত। নতুন করে ২৯ হাজার টন তেল মজুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এই ডিপোতে এখন ৪৩ হাজার টন তেল মজুত করা যাবে, যা দিয়ে উত্তরের ১৬ জেলায় ৬০ দিন চলবে। পাইপলাইন নির্মাণে খরচ পড়েছে ৬০০ কোটি টাকা। এর অর্ধেক দিয়েছে বাংলাদেশ। এ ছাড়া এখানকার ডিজেল দিয়ে সৈয়দপুর ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র চলবে।

বিষয়:

সৌদিতে এক বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

হজ করতে গিয়ে সৌদি আরবে এক বাংলাদেশি হজযাত্রী মারা গেছেন। গত ১৫ মে মো. আসাদুজ্জামান নামে এ হজযাত্রী মদিনায় মারা যান। এটিই চলতি হজ মৌসুমে প্রথম কোনো বাংলাদেশির মৃত্যু। গতকাল শনিবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টালের প্রতিদিনের বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বুলেটিনে জানানো হয়, সৌদি আরবের মদিনায় একজন বাংলাদেশি হজযাত্রী মারা গেছেন। গত ১৫ মে মো. আসাদুজ্জামান নামের এ হজযাত্রী মারা যান। এবারের হজ মৌসুমে এটিই প্রথম কোনো বাংলাদেশির মৃত্যু। তার পাসপোর্ট নম্বর এ-১৩৫৬১০৩৪।

এতে আরও বলা হয়, শুক্রবার (১৭ মে) পর্যন্ত পবিত্র হজ করতে সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ২৭ হাজার ১১১ জন হজযাত্রী। মোট ৬৮টি ফ্লাইটে তারা সৌদিতে পৌঁছান। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩ হাজার ৭৪৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী ২৩ হাজার ৩৬৪ জন। এখন পর্যন্ত ৮১ হাজার ১টি ভিসা ইস্যু করা হয়েছে।

গত ৯ মে বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রথম ডেডিকেটেড ফ্লাইট ৪১৫ জন হজযাত্রী নিয়ে সৌদির উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এর মাধ্যমেই চলতি বছরের হজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। যা শেষ হবে ১০ জুন। এ বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। গত ৯ মে থেকে হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার ফ্লাইট শুরু হয়। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত যাওয়ার ফ্লাইট চলবে। হজ শেষে ২০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই।


বাজারে ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যাকসেসরিজ ও লাইটিং পণ্যের অর্ধেকই নকল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঢাবি প্রতিনিধি

বাংলাদেশে ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যাকসেসরিজ ও লাইটিং পণ্যের সম্মিলিত বাজারের আকার ৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকার। এসব পণ্যের বাজারে গত দুই দশক ধরে অব্যাহতভাবে বেড়েই চললেও এই বাজারের অর্ধেক দখল করে আছে নন ব্যান্ডেড অর্থাৎ নিম্নমানের নকল ও অনুমোদনবিহীন পণ্য।

ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যাকসেসরিজ এবং লাইটিং পণ্য'-এর ওপর 'মার্কেটিং ওয়াচ বাংলাদেশ'র (এমডব্লিউবি) করা একটি গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।

শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমডব্লিউবির গবেষণার তথ্য ও উপাত্ত তুলে ধরা হয়।

মার্কেটিং বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও এমডব্লিউবির সহ-প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান, সহ-প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. মো. নাজমুল হোসাইন সংবাদ সম্মেলনে গবেষণার ফলাফল এবং দিক-নিদেশর্না তুলে ধরেন।

এসময় সেখানে মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এবিএম শহীদুল ইসলাম ও অধ্যাপক ড. রাজিয়া বেগম উপস্থিত ছিলেন।

এমডব্লিউবি-র তথ্যমতে, এই গবেষণায় কোয়ালিটেটিভ এবং কেয়ান্টিটেটিভ দুই পদ্ধতি'ই অনুসরণ করা হয়েছে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এই গবেষণার জন্য সারা দেশের ২০১৬ জন ব্যবহারকারি, ১০৩ জন খুচরা বিক্রেতা, ৯৯ জন ইলেক্ট্রিশিয়ানকে নমুনা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৫ জন বৈদ্যুতিক পণ্য বিশেষজ্ঞের সাক্ষাৎকারও নেওয়া হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এই গবেষণার আওতাধীন পণ্যগুলো ছিল- সুইচ, সকেট, হোল্ডার, মাল্টি-প্লাগ, সার্কিট ব্রেকার, মিটার এবং বিভিন্ন হালকা পণ্য যেমন এলইডি লাক্স, এলইডি টিউব, এলইডি প্যানেল, ব্র্যাকেট এলইডি, জিএলএস, এনার্জি এফিশিয়েন্সি বাল্ব, ইমার্জেন্সি লাইটিং অপশনস।

প্রতিবেদন অনুসারে, এটি একটি বড় এবং অপার সম্ভাবনাময় শিল্প। বর্তমানে দেশজুড়ে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার খুচরা বিক্রেতা এবং ২ হাজার ৫০০ উদ্যোক্তাসহ মোট ৫ লাখেরও বেশি মানুষ এই শিল্পের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত। দুই ক্যাটাগরির পণ্যের সম্মিলিত বাজার আকার সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা। যার মধ্যে ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যাকসেসরিজ পণ্যের বাজার তিন হাজার ৩৭৫ কোটি এবং লাইটিং পণ্যের বাজার ২ হাজার ৯২৫ কোটি টাকা।

গবেষণা বলছে, পণ্যের গড় প্রবৃদ্ধির হার যথাক্রমে ১২ শতাংশ এবং ১৫ শতাংশ। যদি আগামী দিনগুলোতে এই প্রবৃদ্ধির হার অব্যাহত থাকে তাহলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এই খাতটি একটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় বড় খাত হিসাবে আবির্ভূত হবে।

গবেষণায় উঠে এসেছে, মোট বাজারের প্রায় অর্ধেক নন ব্যান্ডেড অর্থাৎ নিম্নমানের নকল ও অনুমোদনবিহীন পণ্য দখল করে আছে। তবে দেশিয় কোম্পানিগুলো বাজারে ব্যাপকভাবে আধিপত্য বিস্তার করছে। যেহেতু দেশিয় কোম্পানিগুলোর প্রবৃদ্ধির হার অনেক বেশি, তাই আগামী দিনগুলোতে দেশিয় কোম্পানিগুলো বাজারে আরও বেশি আধিপত্য বিস্তার করবে বলে আশা এমডব্লিউবির।

গবেষণার ফল অনুযায়ী, দেশিয় কোম্পানিগুলোর মধ্যে সুপারস্টার গ্রুপ উভয় প্রকার পণ্যের ক্ষেত্রে বাজারে শীর্ষস্থান দখল করে আছে।

গবেষণায় দেখা যায়, ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যাকসেসরিজ ব্যান্ডেড পণ্যের মার্কেট শেয়ারে সুপার স্টার ২৯ শতাংশ, ওয়ালটন ১৭ শতাংশ, ক্লিক ১৭ শতাংশ, এনার্জি প্যাক ৯ শতাংশ, ওসাকা ৪ শতাংশ এবং ব্লিঙ্ক, এমইপি ও লাক্সারি প্রত্যেকে ৩ শতাংশ করে বাজার দখল করে আছে। অন্যদিকে ব্রান্ডেড লাইটিং পণ্যের মার্কেট শেয়ারে সুপার স্টার ২৫.৫৯ শতাংশ, ক্লিক ১৩ শতাংশ, ওয়ালটন ১২ শতাংশ, ট্রান্সটেক ১০ শতাংশ, এনার্জি প্যাক ৮ শতাংশ এবং ফিলিপস ৭ শতাংশ বাজার দখল করে আছে।

ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যাকসেসরিজ এবং লাইটিং পণ্যে গুরুতর কী কী সমস্যা দেখা যায় সেসবও জানতে চাওয়া হয়েছে গবেষণায় অংশ নেওয়াদের কাছ থেকে।

সেই তথ্য অনুসারে, ২৩ শতাংশ অংশগ্রহণকারী বলছে, ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যাকসেসরিজ এর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সমস্যা লুজ কানেকশন। দ্বিতীয় মেজর সমস্যা হলো, ইলেক্ট্রিক্যাল শর্ট সার্কিট। ২০ শতাংশ অংশগ্রহণকারী এই পক্ষে মত দিয়েছেন। বাকি সমসস্যগুলো হলো, ওয়ারেন্টি কার্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরপরই পণ্য ড্যামেজ হয়ে যাওয়া, ওভারহিটিং ইত্যাদি।

লাইটিং পণ্যের ক্ষেত্রে প্রধান সমস্যা হলো- সময়ের সঙ্গে সঙ্গে লাইটের উজ্জ্বলতা কমে যাওয়া, লাইটের ক্ষণস্থায়ী জীবন, মিটমিট করা, অধিক বিদ্যুৎ গ্রহণ করা এবং ওভারহিটিং প্রভৃতি।

এমডব্লিউবি বলছে, এই শিল্পের অগ্রগতির পেছনে মূলত গত ২৫ বছরে ব্যাপক বিদ্যুতায়ন, অব্যাহত জিডিপি প্রবৃদ্ধি, ক্রমবর্ধমান আয়, দ্রুত ও পরিকল্পিত নগরায়ণ, গ্রামীণ উন্নয়ন এবং সরকারের গৃহীত সমন্বিত উদ্যোগ নিয়ামক হিসাবে কাজ করেছে।

এই শিল্পের কী কী চ্যালেঞ্জ রয়েছে সেটিও তুলে ধরা হয়েছে গবেষণায়। গ্রে মার্কেটের আধিপত্য, অসম প্রতিযোগিতা, ব্যবহারকারীদের ব্র্যান্ডের পণ্য নিয়ে সচেতনতার অভাবসহ আরও বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ তুলে ধরা হয়।


মাগুরায় রেলপথ শিগগিরই চালু হবে: রেলমন্ত্রী

মাগুরা রামনগর ঠাকুর বাড়ি এলাকায় শনিবার নবনির্মিত মাগুরা রেলপথ স্টেশনে রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

মাগুরায় রেলপথ শিগগিরই চালু হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম। আজ শনিবার মধুখালি হতে কামারখালি হয়ে মাগুরা শহর পর্যন্ত ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে মাগুরা রামনগর ঠাকুর বাড়ি এলাকায় নবনির্মিত মাগুরা রেলপথ স্টেশনে তিনি এ কথা বলেন।

রেলমন্ত্রী বলেন, ‘মধুখালি হতে কামারখালি হয়ে মাগুরা শহর পর্যন্ত ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে মাগুরার অংশে আমরা জমি অধিগ্রহণ শেষ করেছি। এ এলাকায় রেলপথ বাস্তবায়িত একটি স্বপ্নে দ্বার উন্মোচন হবে। মাগুরার মানুষ রেলপথে বিভিন্ন স্থানে সহজেই যেতে পারবেন। আমরা এ রেলপথকে সম্প্রসারিত করতে চাই।’

জিল্লুল হাকিম বলেন, ‘মাগুরা হয়ে এ রেলপথ যাবে ঝিনাইদহ অংশের কালিগঞ্জ সীমান্তে। ইতোমধ্যে মাগুরার অংশে রেলপথ ব্রিজের প্রায় ৫০ শতাংশ শেষ হয়েছে। এ প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণ নিয়ে স্থানীয়ভাবে যে সমস্যাগুলো রয়েছে তা অল্প দিনের মধ্যে শেষ হবে।’

রেলমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী রেলওয়েকে অধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। আর এ লক্ষ্যেই উন্নত দেশের মতো পরিকল্পনা করে রেল খাতে উন্নয়নের চিন্তা করা হচ্ছে। রেললাইন শুধু মাগুরা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকবে না, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পর্যন্ত সংযোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রকল্প পরিচালক কার্যালয় থেকে জানা গেছে, ২০২৫ সালের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে তারা আশা করছেন। ২০১৮ সালে চার বছর মেয়াদী এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। ২০২২ সালের ২ আগস্ট বাংলাদেশ রেলওয়ের মধুখালি হতে কামারখালি হয়ে মাগুরা শহর পর্যন্ত নতুন রেল লাইন নির্মাণ প্রকল্পের আওতাধীন মাগুরা রেলপথের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।

উল্লেখ্য, মধুখালী থেকে মাগুরা পর্যন্ত রেল লাইন নির্মাণের কাজ উদ্বোধন করা হয় ২০২১ সালে। এরই মধ্যে ফরিদপুর অংশের প্রায় ৫০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ করার আশা করা যাচ্ছে।

এ সময় মাগুরা-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. বীরেন শিকদার, মাগুরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ, পুলিশ সুপার মো. মশিউদৌলা রেজা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মিজানুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পংকজ কুমার কুন্ডু, নবাগত সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রানা আমীর ওসমান ও নবাগত শ্রীপুর উপজেলা চেয়ারম্যান শরীউল্লাহ হোসেন মিয়া রাজনসহ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


চার জেলায় বজ্রাঘাতে ঝরল ৮ প্রাণ

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১৮ মে, ২০২৪ ২০:২৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

বজ্রাঘাতে দেশের চার জেলায় আটজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রাঘাতে নরসিংদীতে চারজন, টাঙ্গাইলে দুজন, গাজীপুর ও ময়মনসিংহে দুজনের মৃত্যু হয়। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে বিস্তারিত।

নরসিংদী

নরসিংদীতে জমিতে ধান কাটার সময় বজ্রাঘাতে মা-ছেলেসহ একইস্থানে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন। এ ছাড়া একই সময় শহরের হাজীপুরে বজ্রাঘাতে মারা গেছেন আরও একজন। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে সদর উপজেলার চরাঞ্চলের আলোকবালী ও হাজীপুরে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়নের মধ্যপাড়া গ্রামের কামাল মিয়ার স্ত্রী শরিফা বেগম (৩৫), তার ছেলে ইমন মিয়া (১০), ধানকাটা শ্রমিক রায়পুরার বাঘাইকান্দি এলাকার হাতেম আলীর ছেলে কাইয়ুম মিয়া (২০) ও হাজীপুরের মোসলেহ উদ্দিন (৫৫)।

নরসিংদী সদর থানার ওসি তানভীর আহমেদ বলেন, পৃথক ঘটনায় বজ্রাঘাতে চারজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মরদেহ সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।

টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ধান কাটার সময় বজ্রাঘা‌তে দুই খালাতো ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। আজ সকালে উপজেলার বীরবাসিন্দা ইউনিয়নের নোয়াবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলা সদরের মৃত আয়নাল হকের ছেলে আমির হোসেন (৫২) ও মৃত নূর হোসেনের ছেলে আফজাল হোসেন (৫৫)।

স্থানীয়রা জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে উপজেলার আউলিয়াবাদ বাজারে ঘর ভাড়া নিয়ে আমির ও আফজালসহ ক‌য়েকজন শ্রমিক আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় ধান কাটার কাজ করতেন। শনিবার ভোরে বীরবাসিন্দা ইউনিয়নের নোয়াবাড়ী গ্রামের হযরত আলীর ধান ক্ষেতে ছয়জন শ্রমিক ধান কাটতে যান। পরে বৃষ্টি ও বজ্রাঘাতে তা‌দের মৃত‌্যু হয়।

বীরবাসিন্দা ইউনিয়ন প‌রিষদের চেয়ারম্যান ছোহরাব আলী জানান, সকালে কয়েকজন শ্রমিক স্থানীয় হযরত আলীর ক্ষেতের ধান কাটতে যান। এ সময় বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত শুরু হয়। প‌রে বজ্রাঘা‌তে ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়।

গাজীপুর

গাজীপুরের শ্রীপুরে বজ্রপাতে ফাতেমা আক্তার (৪৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের গলদাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ফাতেমা আক্তার উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের গলদাপাড়া গ্রামের মো. নূর হোসেনের স্ত্রী।

নিহতের ছেলে জহিরুল ইসলাম জানান, তার মা ফাতেমা আক্তার সকালে নানা বাড়িতে ধান শুকানোর কাজ করছিলেন। ঝড়-বৃষ্টি আসছে দেখে উঠান থেকে তিনি ধান উঠাতে যান। এ সময় বজ্রপাত হলে তার মাকে মাটিতে পরে থাকতে দেখেন। পরে তাকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

শ্রীপুর থানার এসআই মো. তানসেন চৌধুরী বজ্রাঘাতে এক নারীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে বৃষ্টির মধ্যে উঠান থেকে গরু আনতে গিয়ে বজ্রাঘাতে এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন। আজ সকালে উপজেলার রাওনা ইউনিয়নের ধোপাঘাট গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। নিহত গৃহবধূ হাছিনা (৩৮) ওই এলাকার গ্রাম পুলিশ কাঞ্চন মিয়ার স্ত্রী।

স্থানীয় ইউপি সদস্য সানিব মিয়া জানান, সকালে বৃষ্টি শুরু হলে হাছিনা গরু আনতে উঠানে যাওয়ার সময় বজ্রপাতে গুরুতর আহত হয়। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

গফরগাঁও থানার ওসি মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান খান বলেন, বজ্রাঘাতে নিহত গৃহবধূর লাশ হস্তান্তরের আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।


সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ঐক্য ও শক্তির প্রতীক: ধর্মমন্ত্রী

ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। এটি আমাদের ঐক্য ও শক্তির প্রতীক।

আজ শনিবার বরিশাল জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে পুরোহিত ও সেবাইতদের বিভাগীয় সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, ‘আবহমানকাল থেকেই বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির পীঠস্থান। বিভিন্ন ধর্ম-গ্রোত্রের মানুষ এখানে মিলেমিশে বসবাস করে। উৎসব-পার্বনে সকল ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষ আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল চেতনার অন্যতম হলো অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। স্বাধীনতার এই অম্লান চেতনাকে সামনে রেখেই বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশ পরিচালনা করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে আমরা হাটি-হাটি, পা-পা করে আজ সম্মানজনক একটি জায়গায় পৌঁছাতে পেরেছি। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হতে মধ্য আয়ের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন শুধু স্বপ্ন দেখে না- স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে।’

পুরোহিত ও সেবাইতদের উদ্দেশে ধর্মমন্ত্রী বলেন, ‘দেশ ও জাতির উন্নয়নে আপনাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সমাজে বিদ্যমান সামাজিক ব্যাধি ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ, মাদকাসক্তি, দুর্নীতি, ভেজাল প্রভৃতি প্রতিরোধেও আপনারা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। এ ছাড়া, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য যেন কোনভাবেই বিনষ্ট না হয়- সেদিকে খেয়াল রাখবেন।’

ধর্মমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশের উন্নয়নে আমাদের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে- রুপকল্প-২০৪১। এ ছাড়া, জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে আমরা এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দায়বদ্ধতা রয়েছে। আগামীদিনে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কল্যাণে আরও বেশি কাজ করার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।’

স্থানীয় সরকারের পরিচালক খোন্দকার আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে ধর্ম সচিব মু.আ. হামিদ জমাদ্দার, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব ড. কৃষ্ণেন্দু কুমার পাল, উপপরিচালক (স্থানীয় সরকার) গৌতম বাড়ৈ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজওয়ান আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস ও হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল কুমার দাস ও দোলা গুহসহ অন্যান্য ট্রাস্টি বক্তব্য দেন।

উল্লেখ্য, ধর্মীয় ও আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে পুরোহিত ও সেবাইতদের দক্ষতা বৃদ্ধিকরণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রকল্পের অধীনে পুরোহিত ও সেবাইতদের নেতৃত্বদানের সক্ষমতা বৃদ্ধি, তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ও আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি সংহত করতে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে। এ ছাড়া, আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল পুরোহিত ও সেবাইতকে ভাতা প্রদান করা হয়ে থাকে।


‘নারী স্পিকারদের সম্মেলন বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর অনবদ্য প্লাটফর্ম’

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় শুক্রবার ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের সদর দপ্তরে ‘প্রিপারেটরি কমিটি ফর দ্য ফিফটিন্থ সামিট অফ উইমেন স্পীকার্স অফ পার্লামেন্ট’ সম্মেলনে বক্তব্য দেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, পার্লামেন্টে নারী স্পিকারদের সম্মেলন লিঙ্গ সমতা আনয়ন, লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা দূরীকরণ, নারীর ক্ষমতায়ন এবং নারী নেতৃত্বকে সমর্থন করার সুযোগ করে দেয়। এই সম্মেলন বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের এক অনবদ্য প্লাটফর্ম।

গতকাল শুক্রবার দুপুরে সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের সদর দপ্তরে ‘প্রিপারেটরি কমিটি ফর দ্য ফিফটিন্থ সামিট অফ উইমেন স্পীকার্স অফ পার্লামেন্ট’ শীর্ষক সম্মেলনে বক্তব্য দেওয়ার সময়ে তিনি এসব কথা বলেন।

আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।

স্পিকার বলেন, ‘এই সম্মেলন বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের এক অনবদ্য প্লাটফর্ম। স্পিকাররা একটি অভিন্ন প্লাটফর্মের ধারণা এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে সমাধান খুঁজে বের করতে পারেন। বিগত সম্মেলন গুলোতে লিঙ্গ সমতা, নারী নেতৃত্ব এবং নারীর ক্ষমতায়নের ওপর প্রশংসনীয় কাজ হয়েছে।’

১৫তম নারী স্পিকারদের সম্মেলনে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নারীদের সার্বিক উন্নয়নে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।

ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট ড. টুলিয়া অ্যকশন এবং সেক্রেটারি জেনারেল মার্টিন চুংগংসহ বিভিন্ন দেশের স্পিকারসহ এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব এম. এ কামাল বিল্লাহ ও যুগ্মসচিব মো.এনামুল হক।

বিষয়:

জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হন: রাষ্ট্রপতি

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হন সে দিকে সরকারের পাশাপাশি নাগরিক সমাজকেও কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

আজ শনিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অষ্টম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে রাষ্ট্রপতি একথা বলেন। রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, ‘নাগরিকদের প্রতি যে কোনো ধরনের বৈষম্য আইনের শাসনের পরিপন্থী। কাজেই কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হন।’

দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুন্ন রেখে উন্নয়ন ও অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে এবং সর্বস্তরে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ছড়িয়ে দিতে একাত্তরের পরাজিত শক্তি ঘাতক-দালালদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি। বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ হয়ে বেড়ে উঠতে পারে সে লক্ষ্যে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার কথাও বলেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ‘এই লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তির ইস্পাত কঠিন ঐক্যের বিকল্প নেই। ব্যক্তি ও গোষ্ঠী স্বার্থকে উপেক্ষা করে দেশ ও জনগণের স্বার্থে সবাইকে কাজ করতে হবে।’

তরুণদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল মাধ্যমকে ইতিবাচকভাবে ব্যবহার করুন। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পড়ুন, বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও আদর্শ সম্পর্কে জানুন। মননে, বোধে, জীবনাচরণে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে বুকে লালন করে বাঙালির গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরুন। মুক্তিযুদ্ধের ২১ বছর পর ১৯৯২ সালে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে শুরু হয়ে এই আন্দোলনের প্রাজ্ঞ নেতৃবৃন্দ প্রায় ৩৩ বছর ধরে নানা চড়াই-উতরাই, ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে এই সংগঠনকে আজকের জায়গায় নিয়ে এসেছেন। কেবল যুদ্ধাপরাধীদের বিচারই নয়, মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী প্রজন্মের কাছে এই মহাসংগ্রামের প্রকৃত ইতিহাস পৌঁছে দিয়ে তাদের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে দীক্ষিত করার ক্ষেত্রেও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সহনশীল ও মানবিক সমাজ এবং রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আগামী দিনগুলোতেও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও ঘাতক-দালাল চক্র মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনাসহ আমাদের সাফল্যকে ম্লান করে দিতে অবিরাম অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’

যুদ্ধাপরাধী বা মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ সম্পন্ন হলেও ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির কাজ কখনও শেষ হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির ভূমিকা অতীতের মতো ভবিষ্যতে উজ্জ্বলভাবে কার্যকর থাকবে।’

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের চলমান বিচার আজ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও প্রশংসা অর্জন করেছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ আর্থ-সামাজিক ও তথ্য-প্রযুক্তির নানা সূচকে বিশ্বের দরবারে উজ্জ্বল দৃষ্টান্তে পরিণত হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের বিভিন্ন সাফল্যের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের পথে যাত্রা শুরু করেছি আমরা। এই অগ্রযাত্রার পথে সরকারের সামনে সবচেয়ে বড়ো চ্যালেঞ্জ ছিল মৌলবাদ ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ। প্রধানমন্ত্রীর সাহসী নেতৃত্ব এবং জঙ্গীবাদের প্রতি তার সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কারণেই জঙ্গীবাদ দমনে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশ আজ রোল মডেল।’

তিনি ধর্মীয় ও ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে সামাজিক বন্ধন দৃঢ় করার আহ্বান জানান।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অষ্টম জাতীয় সম্মেলন-২০২৪ এর সভাপতি বিশিষ্ট লেখক ও সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলিম, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক, বাংলাদেশ খ্রিষ্টান এসোসিয়েশনের সভাপতি মানবাধিকার নেতা নির্মল রোজারিও, আদিবাসী মুক্তি মোর্চার সভাপতি অধ্যাপক যোগেন্দ্রনাথ সরেন, বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয়, ন্যায় অধিকার তৃতীয় লিঙ্গ উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান সমাজকর্মী আনোয়ারা ইসলাম রাণী এবং অষ্টম জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক কাজী মুকুল বক্তব্য রাখেন।


পুরান ঢাকায় মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের আগুন নিয়ন্ত্রণে

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১৮ মে, ২০২৪ ১২:১০
জবি প্রতিনিধি

রাজধানীর পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজারের কাছে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সকাল ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিটের চেষ্টায় ১ ঘণ্টা ১০ মিনিট পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

এর আগে আজ শনিবার সকাল ১০ টা ৪০ মিনিটের দিকে ব্যাংকে আগুনের সূত্রপাত হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার লিমা খানম জানান, সাত তলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুনের সূত্রপাত। খবর পেয়ে সূত্রাপুর ও সিদ্দিকবাজার থেকে চারটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।

প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে জানা যায়নি বলেও জানান তিনি।


দুই বিভাগে ৮০ কিলোমিটার বেগে বজ্রবৃষ্টির আভাস

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সিলেট ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ শনিবার বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেনের দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানান।

আবহাওয়া অফিস জানায়, সিলেট এবং ময়মনসিংহ অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

সংস্থাটি আরও জানায়, টাঙ্গাইল, ঢাকা, বরিশাল এবং কুমিল্লা অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় আবহাওয়া অফিস দেশের চার বিভাগে নতুন করে আরও দুই দিন (৪৮ ঘণ্টা) হিট অ্যালার্ট জারি করে। তবে কিছু কিছু জায়গায় শনিবার সকাল থেকে তাপ কিছুটা প্রশমিত হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিল সংস্থাটি। ঢাকা বিভাগের পশ্চিমাঞ্চলসহ রংপুর, রাজশাহী এবং খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। এ সময় পরিবেশে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে।

শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলমান তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি দেশের কিছু কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে। এ সময়ে বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ময়মনসিংহ, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

এ ছাড়া রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং বরিশাল ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।


কাঁচা মরিচের কেজি দেড় শ টাকা, গরম ডিম-সবজির বাজার

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৮ মে, ২০২৪ ০০:০২
নিজস্ব প্রতিবেদক

বেসরকারি চাকরিজীবী জাহাঙ্গীর হোসেন। মাসিক আয় ৩৫ হাজার টাকা। জিনিসপত্রের অতিরিক্ত দামের চাপে মাসজুড়েই চিন্তিত থাকতে হয় তাকে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কৃষি মার্কেটে বাজার করতে এসে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি দেখে চোখ কপালে উঠেছে।

কেননা সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম প্রতিকেজি ৮০-১০০ থেকে বেড়ে ১৫০-১৬০ টাকা হয়েছে। আলু, পেঁয়াজ, সবজির দামও চড়া।

তাপপ্রবাহের অজুহাতে বেড়েছে মুরগি ও ডিমের দামও। মাংসের দামও বাড়তি। বাজারের উত্তাপে জাহাঙ্গীরের মতো অনেকেই পুড়ছেন।

গতকাল ছুটির দিন রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে বাজারে ক্রেতার আনাগোনা বেশি হলেও দামে স্বস্তি নেই। প্রায় সব নিত্যপণ্য কিনতে গুনতে হচ্ছে বাড়তি দাম।

দাম বৃদ্ধির তালিকায় বড় লাফ কাঁচামরিচের। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকায় কেনা গেলেও এখন তা ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা। বিক্রেতাদের অজুহাত, বৃষ্টির কারণে ফসলের ক্ষতি হওয়ায় দাম বেড়েছে। যদিও তা মানতে নারাজ ক্রেতারা।

৬০ টাকায় আলু আর ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। অন্যান্য সবজি গড়ে ৫০ টাকায় মিলছে। স্থান ও মানভেদে চিচিঙ্গা ৮০-১০০ টাকা, ঝিঙা ৬০-৭০ টাকা, কচুর লতি ৭০-৮০ টাকা, কচুর মুখী মানভেদে ৬০-৭০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, শসা ৫০-৬০ টাকা ও কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা। ৫৫-৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে আলু। স্থানভেদে পাকা টমেটোর কেজি ৫০-৬০ টাকা। পেঁপে ৮০-৯০ টাকা, বেগুনও ১০০ টাকা ছুঁই ছুঁই। করলা ৫০-৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০-৫০ টাকা, বরবটি ১০০ থেকে ১২০ টাকা এবং মান ও জাতভেদে পটোল ৫০-৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

ক্রেতারা বলছেন, চাকরি বা কাজ করে যে বেতন পাওয়া যায় তা দিয়ে বাজার করা বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার। জাহাঙ্গীর বলেন, ‘দুই বছরের বেশি সময় ধরে একই স্কেলে বেতন পাচ্ছি। কিন্তু খরচের খাতা দিনকে দিন লম্বা হচ্ছে। ওষুধ থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। কোনো কোনো পণ্য তো তিনগুণ দামেও কিনতে হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের মতো মধ্যবিত্তরা কম দামের সবজি সব সময় কিনে থাকি। কিন্তু এখন কম দামের সবজিও কিনতে পারছি না। কয়েক বছর আগেও বাজারে প্রতি কেজি আলু কেনা যেত ২০ থেকে ২৫ টাকায়। তা এখন তিন ডাবল দামে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। প্রতি কেজি পটোল কিনেছি মাত্র ৩০ টাকায়। তা এখন ৬০ টাকার নিচে কেনাই যাচ্ছে না। খাদ্যপণ্যের দাম বাড়তে বাড়তে এমন পরিস্থিতি হয়েছে যে, কম দামের সবজিও এখন আমাদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বাজারদরের তালিকা অনুযায়ী, গত এক মাসে অধিকাংশ সবজির দাম ৪০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। কিছু কিছু সবজির দাম ১০০ শতাংশের বেশি বেড়েছে।

ডিম কিনতেও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে বাজারে। গত সপ্তাহে প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম ১৪০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা কিনতে হচ্ছে ১৫০ টাকায়। দামের পরিবর্তন না হলেও প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি কিনতে হচ্ছে ২২০ টাকায়। সোনালি মুরগির কেজি ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা।

সরকারি বিপণন কর্তৃপক্ষ টিসিবির তথ্য অনুযায়ী গত এক মাসে গড়ে ডিম ও মুরগির দাম বেড়েছে ২১ থেকে ২৯ শতাংশ পর্যন্ত। ডিমের ২৯ শতাংশ ও ব্রয়লারের কেজিতে ২১ শতাংশ দাম বেড়েছে।

টিসিবির তথ্য অনুযায়ী গত মাসের শুরুর দিকে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৯০ থেকে ২০০ টাকা বিক্রি হলেও কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেড়ে বর্তমানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা। সোনালি মুরগি কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেড়ে ৪০০ থেকে ৪১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

লাল ডিম ২৯ থেকে ৩০ শতাংশ বেড়ে প্রতি ডজন (লাল) মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায়। সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়।

মুরগি ব্যবসায়ী মোস্তফা বলেন, মাংসের দাম তেমন একটা কমেনি, আগের মতোই আছে। সেজন্য আগের তুলনায় এখন বিক্রি কম হচ্ছে।

শুধু ডিম, মুরগির দামই বেশি না। বাজারে সব ধরনের ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়েছে। মাছের বাজারেও এর প্রভাব দেখা যাচ্ছে। গত এক মাসের ব্যবধানে অধিকাংশ মাছের কেজিতে দাম অন্তত ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি পাঙাশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়। রুই মাছ ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, শিং মাছ ৩৫০ থেকে ৮৫০, কই মাছ ৩০০ থেকে ৮০০ টাকা, পোয়া ৪০০ থেকে ৬৫০, টেংরা ৮০০, পাবদা ৫০০ ও প্রতি কেজি বাইলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকায়।

মূল্যবৃদ্ধিতে রয়েছে ব্যবসায়ীদের নানান অজুহাত। অন্যদিকে, লাগামহীন বাজারে নেই সরকারি কোনো সংস্থার তদারকি।

কাঁচামাল ব্যবসায়ী সোলাইমান মিয়া বলেন, সরবরাহ কমে যাওয়ার জিনিসপত্রের দাম একটু বাড়তি। গরম কমলে সামনে দাম কিছুটা কমতে পারে।

সবজির এমন দামে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা। বেসরকারি চাকরিজীবী সাকিব মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের স্বল্প বেতনে প্রতিদিন মাছ বা মাংস খাওয়া যায় না। কিন্তু সবজির দামও যদি এমন বাড়তি যায়, তাহলে এটা খাওয়াও কমিয়ে দিতে হবে।’

এজাজ মাহমুদ নামের আরেকজন বলেন, ‘মাছ-মাংসের দাম না হয় বাড়তি মানা যায়, কিন্তু শাকসবজি যদি আমাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যেতে থাকে, তাহলে আমরা খাব কী?’


পাঠ্যবই থেকে ‘শরীফার গল্প’ বাদ দিতে সুপারিশ বিশেষজ্ঞ কমিটির

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে মানুষে মানুষে সাদৃশ্য ও ভিন্নতা অধ্যায়ের ‘শরীফার গল্প’ বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি।

এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বিশেষজ্ঞ কমিটির এক সদস্য।

তিনি বলেন, সপ্তম শ্রেণির ওই গল্পের বেশ কিছু শব্দ নিয়ে কমিটির কয়েকজন সদস্য আপত্তি করেছেন। পরে গল্পটি বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির আহ্বায়ক ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুর রশীদ বলেন, ‘৮-১০ দিন আগে এ সংক্রান্ত কমিটির সুপারিশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছি। এখন পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।’

গল্পটি বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’

গত ১৯ জানুয়ারি রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে ‘বর্তমান কারিকুলামে নতুন পাঠ্যপুস্তক: বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনারে জাতীয় শিক্ষাক্রমের পাঠ্যবইয়ের পৃষ্ঠা ছিঁড়ে আলোচনায় আসেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাব উৎস। এরপর বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক।

এরপর গত ২৪ জানুয়ারি ‘শরীফার গল্প’ নামে গল্পটি পর্যালোচনা করার জন্য উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পাঁচ সদস্যের এই কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয় ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুর রশীদকে। আর কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নর মুফতি মাওলানা কফিল উদ্দীন সরকার, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সদস্য অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) পরিচালক অধ্যাপক আবদুল হালিম এবং ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ।


যেসব এলাকায় আগামীকাল ১৫ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্পের সেকশন-১-এর অ্যালাইনমেন্টে গ্যাস পাইপলাইন জরুরি স্থানান্তরের জন্য উত্তরা ও আশপাশের এলাকায় আগামীকাল শনিবার সকাল ৯টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ১৫ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, উত্তরা, উত্তরখান, দক্ষিণখান এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে এবং সংলগ্ন এলাকার গ্রাহকদের গ্যাস সরবরাহে চাপ কম থাকতে পারে। গ্যাস সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ায় গ্রাহকদের অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।


আগামীকাল একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সম্মেলন উদ্বোধন করবেন রাষ্ট্রপতি

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অষ্টম জাতীয় সম্মেলন আগামীকাল শনিবার। রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান অতিথি হিসেবে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এই সম্মেলন উদ্বোধন করবেন। দিনব্যাপী তিনটি অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বে দুপুর ২টায় প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবিরের সভাপতিত্বে অধিবেশনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, তত্ত্ববধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, গ্রাম থিয়েটারের সভাপতি নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলম কুদ্দুস প্রমুখ।

সম্মেলনে সারা দেশ থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় দুই হাজার প্রতিনিধি ও আমন্ত্রিত অতিথি অংশ নেবেন। সম্মেলন শেষে পরবর্তী কার্যনির্বাহী কমিটি গঠনের পাশাপাশি সংগঠনের ভবিষ্যৎ কর্মসূচি নির্ধারণ করা হবে।


banner close