বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪

৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ: সাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র প্রস্তুত

এস এম আমজাদ হোসেন। ফাইল ছবি
আপডেটেড
২০ মার্চ, ২০২৩ ১৫:০০
বিশেষ প্রতিনিধি, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
বিশেষ প্রতিনিধি, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ২০ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০

জালিয়াতি করে তিনি নিজের ব্যাংক থেকেই প্রায় ৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছিলেন। বিষয়টি ব্যাংকের নিজস্ব অডিটে ধরাও পড়েছিল। কিন্তু সবকিছু ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন। অবশেষে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে যান। কোটি কোটি টাকা লোপাটকারী হলেন সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান এস এম আমজাদ হোসেন।

প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে দুদকের পক্ষ থেকে আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। মামলার তদন্তে অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়ায় অভিযোগপত্র প্রস্তুত করা হয়েছে। দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান তিন মামলার অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন কমিশনে। কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে শিগগিরই তা জমা দেয়া হবে আদালতে। দুদকের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

দুদক সূত্র জানায়, তদন্তের শুরু থেকেই এম এম আমজাদ হোসেনের প্রায় এক হাজার ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়। তার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে। আদালত তার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছেন। তবে পরবর্তীতে তিনি আদালতের অনুমতি নিয়ে দেশত্যাগ করেন। বর্তমানে এস এম আমজাদ হোসেন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।

দুদক সূত্র জানায়, আল-আমিন করপোরেশন নামের একটি প্রথম শ্রেণির ঠিকাদারি ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের মালিকের নাম মাসুদুর রহমান। সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের বিজয়নগর শাখায় তার একটি চলতি হিসাব ছিল। চলতি হিসাব নং ০০৩৯১১১০০০৬২৬। ব্যাংকের বিজয়নগর শাখার ব্যবস্থাপক শেখ মো. সরফুদ্দিন ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন ছাড়াই আল-আমিন করপোরেশনের নামে এসওডি (ওয়ার্ক অর্ডার) হিসাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের সুযোগ করে দেয়। আল-আমিন করপোরেশনের নামে মূলত এই অর্থ ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম আমজাদ হোসেনকে উত্তোলনে সহযোগিতা করা হয়। শাখাব্যবস্থাপক কোনো ঋণ প্রস্তাব প্রধান কার্যালয়ের ঋণ বিভাগে না পাঠিয়ে, ঋণসমূহ শাখা হতে লিমিট লোড করে এবং প্রধান কার্যালয়ের ক্রেডিট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগ থেকে লিমিট অথরাইজেশন করেন।

দুদক সূত্র জানায়, অনুসন্ধানকালে সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের অডিট প্রতিবেদন বিশ্লেষণে জানা যায় যে দুটি এসওডি ওয়ার্ক অর্ডার ঋণের মোট ঋণস্থিতি ৭ কোটি ৯১ লাখ টাকা এবং দুটি ওয়ার্ক অর্ডার ঋণ হিসাবের প্রধান কার্যালয়ের ঋণ মঞ্জুরীপত্র নেই। অর্থাৎ ঋণসীমার বহির্ভূত ৬ কোটি ৪০ লাখ টাকার ২টি এসওডি ওয়ার্ক অর্ডার ঋণ সৃষ্টি করা হয়, যার মূল ওয়ার্ক অর্ডার এবং অ্যাসাইনমেন্ট সম্পর্কিত নথিপত্র ঋণ নথিতে পাওয়া যায়নি। শাখাব্যবস্থাপক শেখ শরফুদ্দিন কোনো ঋণ প্রস্তাব প্রধান কার্যালয়ের ঋণ বিভাগে পাঠাননি। আমজাদ হোসেনের জন্য এই টাকা উত্তোলেন করেন কামরুল নামের এক ব্যক্তি। তিনি আমজাদ হোসেনের লকপুর গ্রুপের একজন কর্মচারী। এভাবে তিনি আল-আমিন করপোরেশনের নামে ৪০ কোটি ৮ লাখ টাকা উত্তোলন ও আত্মসাৎ করেন।

দুদক সূত্র জানায়, রাফি-মাহি করপোরেশন নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠানের নামেও বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেন এস এম আমজাদ হোসেন। কাগজে-কলমে রাফি-মাহিদ করপোরেশনের মালিকের নাম এ. কে. এম. আসিফ উদ্দিন। এটি মূলত ইট, বালু, রড, পাথর, সিমেন্ট ইত্যাদি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। এর মালিক এ. কে. এম. আসিফ মূলত আমজাদ হোসেনের লকপুর গ্রুপের কর্মচারী। আমজাদ হোসেনের নির্দেশে তিনি রাফি-মাহি করপোরেশন নামে ট্রেড লাইসেন্স করেন এবং আমজাদ হোসেন ওই লাইসেন্স করার অর্থ দেন। এ. কে. এম. আসিফ তার শ্যালকের একটি ভিডিও দোকানের ঠিকানা ব্যবহার করে ট্রেড লাইসেন্স খোলেন। এটি মূলত অস্তিত্বহীন ও কাগুজে প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের নামে আমজাদ হোসেন সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের মতিঝিল শাখায় এসওডি (জেনারেল) ঋণসীমা ১২ কোটি টাকার জন্য আবেদন করলে ঋণের বিপরীতে কোনো মর্টগেজ ছাড়াই বিপুল অঙ্কের এই টাকার ঋণ অনুমোদন করা হয়।

সূত্র জানায়, ২০১৭ সারের ১২ জুলাই ব্যাংকের মতিঝিল শাখা কতৃর্ক রাফি-মাহি করপোরেশনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়িক অবস্থান সম্পর্কে সরেজমিনে ভিজিট করা হয়। ওই ভিজিট রিপোর্টে সই করেন মতিঝিল শাখার তৎকালীন সিনিয়র অফিসার মো. তানজির উদ্দিন চৌধুরী, ইশতিয়াক আহমেদ। সেখানে প্রতিস্বাক্ষর করেন ব্যাংকটির ম্যানেজার ও এভিপি শেখ শরফুদ্দিন। তবে ব্যাংকের বর্তমান নিরীক্ষা দল ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর সরেজমিনে গ্রাহকের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ঠিকানায় ভিজিট করে ওই ঠিকানায় কোনো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব খুঁজে পাননি। দুদকের অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তাও সরেজমিনে পরিদর্শন করে ওই প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব খুঁজে পাননি।

দুদক সূত্র জানায়, রাফি-মাহি করপোরেশনের মালিক এ. কে. এম. আসিফ উদ্দিনকে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি জানান, আমজাদ হোসেনের লকপুর গ্রুপের কর্মচারী হিসেবে তিনি শুধু মালিকের নির্দেশনা অনুসরণ করেছেন।

বিষয়:

বাংলাদেশে আসছেন নেপালের প্রধান বিচারপতি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

নেপালের প্রধান বিচারপতি বিসম্ভর প্রসাদ শ্রেষ্ঠা আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে আসছেন। বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল মেডিয়েশন সোসাইটির (বিমস) গোল্ড মেডেল প্রদান অনুষ্ঠানে অংশ নিতে তিনি বাংলাদেশে আসবেন। বিমসের পক্ষ থেকে নেপালের প্রধান বিচারপতিকে গোল্ড মেডেল দেওয়া হবে।

বিমসের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এস এন গোস্বামী গণমাধ্যমকে আজ বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ঢাকায় আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক মেডিয়েশন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে নেপালের প্রধান বিচারপতিকে গোল্ড মেডেল দেওয়া হবে। তিনি আসার জন্য সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।

এস এন গোস্বামী বলেন, নেপালের প্রধান বিচারপতির সফরসঙ্গী হিসেবে নেপাল সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিসহ ১৫ জন সিনিয়র আইনজীবী বাংলাদেশে আসবেন।

অনুষ্ঠানে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি কুরিয়ান জোসেফ, জম্মু-কাশ্মীর হাইকোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি গীতা মিত্তালসহ বাংলাদেশের বিশিষ্টজনরা উপস্থিত থাকবেন।

বিষয়:

চকচকে চাল খাওয়া বন্ধ করলে কমবে দাম: খাদ্যমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ‘চকচকে চাল খাওয়া বন্ধ করলেই চালের দাম কমে যাবে। গত অর্থবছরে (২০২২-২৩) এক কেজি চালও আমদানি করতে হয়নি। গত অর্থবছরে চালের উৎপাদন চাহিদার চেয়ে বেশি হয়েছে। এখন আমরা অনায়াসে ৫ থেকে ৭ লাখ টন চাল রপ্তানি করতে পারি।’

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে (আইসিসিবি) একটি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘আমাদের শুধু পালিশ করে যে চাল নষ্ট হচ্ছে সেটা অর্ধেক রপ্তানি করলেই হবে। কারণ উৎপাদিত প্রায় চার কোটি টনের মধ্যে তিন শতাংশ হারে প্রায় ১২ লাখ টন চাল পালিশ করার কারণে অপচয় হচ্ছে। আমাদের চাল পাঁচ দফা পালিশ করে চকচকে করা হচ্ছে। দুবার পালিশ করলেও ৫ থেকে ৭ লাখ টন চাল বাড়বে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘দফায় দফায় পালিশ করার পর চালের মধ্যে শুধু কার্বোহাইড্রেট ছাড়া অন্য কোনো পুষ্টি থাকছে না। এতে খরচ হচ্ছে বিদ্যুৎ ও শ্রমিকের মজুরি। ফলে চালের দাম প্রতি কেজিতে অতিরিক্ত প্রায় চার টাকা বেড়ে যাচ্ছে। আর এই অতিরিক্ত খরচের ভার ভোক্তাকে বহন করতে হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা নতুন আইন করে এ পালিশ বন্ধ করছি, মিনিকেট বা বিভিন্ন নামে চাল বাজারজাত করাও বন্ধ করেছি। ভোক্তাদের আমি বলব, আপনারা চকচকে চাল খাওয়া বন্ধ করুন। তাহলে চালের দাম যেমন কমবে, আমরা চাল রপ্তানি করতেও সফল হব। এ আইন কার্যকর হওয়ার পর আগামী আমন মৌসুম থেকে চাল পালিশ করলে মিলমালিকরা জরিমানার শিকার হবে। আসুন সকলের প্রচেষ্টায় আমরা চাল রপ্তানির প্রস্তুতি নেই।’

দেশে এক আঙিনায় খাদ্য, কৃষি যন্ত্রপাতি, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও স্বাস্থ্য পর্যটন নিয়ে আটটি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ’র আয়োজনে তিনদিনের এ প্রদর্শনী চলবে শনিবার পর্যন্ত। খাদ্যমন্ত্রী এসব প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন এবং বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।

একযোগে শুরু হওয়া এসব প্রদর্শনী হচ্ছে, সপ্তম ফুড বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো, চতুর্থ ফুড প্যাক এক্সপো, সপ্তম এগ্রো বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো এবং সপ্তম পোল্ট্রি অ্যান্ড লাইভস্টক বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো, ১৫তম মেডিটেক্স বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো, ১০তম ফার্মা বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো, অষ্টম বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল ল্যাব এক্সপো এবং সপ্তম ইন্টারন্যাশনাল হেলথ ট্যুরিজম অ্যান্ড সার্ভিসেস এক্সপো বাংলাদেশ। কৃষি ও প্লাস্টিক শিল্প জগতের অত্যাধুনিক সরঞ্জাম, উন্নত প্রযুক্তি, পণ্য এবং পরিষেবা বিষয়ক এ প্রদর্শনীসমূহে বাংলাদেশ, তুর্কিয়ে, ভারত, সিঙ্গাপুর, জার্মানি, দক্ষিণ কোরিয়া, শ্রীলংকা ও চীনসহ ১৫টিরও অধিক দেশের প্রায় ১০০টি কম্পানি অংশগ্রহণ করছে।

এ ছাড়া, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে উন্নত প্রযুক্তি ও সেবা নিয়ে স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান, দেশি-বিদেশি হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের সহযোগিতা বিষয়ক এ প্রদর্শনীগুলোতে বাংলাদেশ, ভারত, চীন, সিঙ্গাপুর, জার্মানি, তুর্কি, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া ও শ্রীলংকাসহ ১৫টিরও অধিক দেশের প্রায় ১১২টি কম্পানি অংশগ্রহণ করছে বলে জানিয়েছে আয়োজক প্রতিষ্ঠান সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ। আজ ৯ মে থেকে আগামী ১১ মে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ব্যবসা সংশ্লিষ্ট দর্শনার্থীদের জন্য প্রদর্শনীগুলো উন্মুক্ত থাকবে।


ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধের দাবিতে ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধ, দখলদারির অবসান ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দাবিতে ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন ছাত্র-জনতা।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের সামনে এ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছিল বিভিন্ন বামপন্থি ছাত্র সংগঠন। কর্মসূচি পালনের জন্য ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মার্কিন দূতাবাসের উদ্দেশে রওনা দিলে সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে বাধা দেয় পুলিশ। পরে ছাত্র-জনতা উত্তর বাড্ডার প্রগতি সরণির জামালপুর টুইন টাওয়ারের বিপরীতে রাস্তায় কর্মসূচি পালন করে। মিছিল-সমাবেশের কারণে প্রায় এক ঘণ্টা সড়কের এক পাশে যান চলাচল বন্ধ ছিল।

সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ঢাকার মার্কিন দূতাবাসকে তিনি পরিষ্কার বলতে চান, ফিলিস্তিনের গাজায় যে গণহত্যা চলছে, তা চলতে দেওয়া হলে পুরো মানবসভ্যতা ধূলিসাৎ হয়ে যাবে। যুক্তরাষ্ট্রকে বলতে চান, ইসরায়েলকে গণহত্যার জন্য সহায়তা বন্ধ করুন। ফিলিস্তিনকে মুক্ত করুন।

সমাবেশে উপস্থিত থেকে সংহতি জানান সংগীতশিল্পী সায়ান, গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আক্তার, ছাত্রলীগ জেএসডির সভাপতি তৌফিকুজ্জামান, বাসদ মার্ক্সবাদীর কেন্দ্রীয় সদস্য জয়দেব ভট্টাচার্যসহ বামপন্থি বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরা।


বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আন্তর্জাতিক মানের করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে প্রতিষ্ঠাতা ও উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির চেয়ারম্যান শেখ কবিরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।

পরে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদিন ব্রিফিংয়ে জানান, সাক্ষাৎকালে তারা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনা তুলে ধরেন। সমিতির চেয়ারম্যান শেখ কবির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতি নির্ধারণ ও পরিচালনার গুণগত মান উন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার দাবি জানান।

দেশব্যাপী শিক্ষা বিস্তারে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকার প্রশংসা করে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, উচ্চশিক্ষা বিস্তারে এর গুণগতমান নিশ্চিত করতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সাহাবুদ্দিন বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ।

দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেন আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হতে পারে, সেই লক্ষ্যে ট্রাস্টি বোর্ডসহ উদ্যোক্তাদেরকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেন রাষ্ট্রপ্রধান।

সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এবং সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহউদ্দিন ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।


তিস্তা প্রকল্পে অর্থায়নে আগ্রহী ভারত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৯ মে, ২০২৪ ১৬:৩৮
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে ভারত। আজ বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন তিস্তা নিয়ে আমরা একটা বড় প্রজেক্ট হাতে নিয়েছি। এই প্রকল্পে অর্থায়ন করতে চায় ভারত। আমাদের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। আমরা আমাদের চাহিদা পূরণ দেখতে চাই।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়া দিল্লি সফর প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই ভারত সফর করবেন। ভারতে নির্বাচন চলছে। নতুন সরকার গঠন করা হবে এবং তারপরে সফরের তারিখ চূড়ান্ত করা হবে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লি নাকি বেইজিং; কোথায় আগে সফর করবেন জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘দেখুন, দিল্লি আমাদের কাছে, বেইজিং একটু দূরে। প্রধানমন্ত্রীর অনেক আগে থেকেই ভারত সফরের কথা রয়েছে। কিন্তু, সেখানে যেহেতু ইলেকশন, সেই ইলেকশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত কখন সফর হবে সেটি নির্ধারণ করা যাচ্ছে না।’

কূটনৈতিক সূত্রগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে, জুনের শেষ দিকে প্রতিবেশী দেশটির নির্বাচন শেষ হওয়ার পর সম্ভব না হলেও জুলাইয়ের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

সীমান্ত হত্যা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সীমান্ত হত্যা বন্ধে সরকার ও রাজনৈতিক পর্যায়ে সদিচ্ছার অভাব নেই। আমরা এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আমরা প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্র ব্যবহারের ওপর জোর দিয়েছি। সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং তারা নির্দেশনা অনুসরণ করে প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্র ব্যবহার করছে। তবে প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্র যখন কাছাকাছি ব্যবহার করা হয় তখন তা প্রাণঘাতী অস্ত্রের মতো কাজ করে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নেপাল ও ভুটান থেকে ভারতের মধ্যে দিয়ে জলবিদ্যুৎ আমদানিতে ভারতের সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভিসা প্রক্রিয়া আরও সহজ করার উপায় নিয়েও আলোচনা করেন তারা।


মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত হলে প্রভাব পড়বে বাংলাদেশে: প্রধানমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত হলে তার প্রভাব বাংলাদেশে পড়বে বলে আশঙ্কা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টির যে আভাস দেখা যাচ্ছে, তা বিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলতে পারে। দেশের অর্থনীতিতে এই সংঘাতের কিছুটা প্রভাব আসতে পারে। তবে সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

আজ বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মধ্যপ্রাচ্য সংকটে বাংলাদেশের ওপর প্রভাব প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্ববাজারের অস্থিতিশীলতা, বাজার ব্যবস্থাপনায় অসামঞ্জস্যতা এবং বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার সূত্রে দেশের মূল্যস্ফীতি কিছুটা বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। এ ছাড়া সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে পণ্যের সাপ্লাই-চেইন ক্ষতিগ্রস্ত হলে মূলত ইরান বা পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে রপ্তানি-সংশ্লিষ্ট পরিবহন খরচ বাড়তে পারে। এতে পণ্য তৈরি ও সরবরাহের ব্যয় বৃদ্ধি পেয়ে রপ্তানিকারকরা কঠিন প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে পারে।

মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতের আশঙ্কার বিষয়ে দেশের সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেকে যেন মধ্যপ্রাচ্যের চলমান ঘটনাপ্রবাহের ওপর নজর রাখে এবং এ বিষয়ে নিজ নিজ করণীয় নির্ধারণ করে। সংঘাত দীর্ঘ হলে কোন কোন সেক্টরে প্রভাব পড়তে পারে তা বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছি।

তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের যেকোনো সংঘাত বা সংঘাতের খবর জ্বালানি তেলের বাজারকে প্রভাবিত করে। এতে পণ্যের জাহাজ ভাড়া বাড়ে, যা আমদানি ব্যয়ের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। সার আমদানি ব্যয়ে প্রভাব পড়ে। এতে বিকল্প উৎস হিসেবে চীন, মরক্কো, তিউনেসিয়া, কানাডা, রাশিয়া ইত্যাদি দেশের সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও জোরদার করা হবে।

তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের সংকট আরও ঘনীভূত ও দীর্ঘায়িত হলে তা বাংলাদেশের ওপর অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলতে পারে বিধায় সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে টিবিসির কার্যক্রম সম্প্রসারণ প্রশ্নে ড. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, টিসিবিতে যে লোকবল আছে সেটা দিয়ে আমরা মানুষের যে সেবা করে যাচ্ছি সেটাই যথেষ্ট। আর সাধারণ মানুষের যাতে কষ্ট না হয় সেদিকে লক্ষ রেখেই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায়, বিশেষ করে যারা সীমিত আয়ের তাদের কষ্ট হচ্ছে। তবে গ্রামে যারা নিজেরা উৎপাদন করতে পারেন বা করছেন তাদের খুব একটা কষ্ট নেই, হাহাকারও নেই। তারপরও আমাদের সবসময় প্রচেষ্টা থাকে দ্রব্যমূল্য যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে। এ জন্য যে যে পণ্যের প্রয়োজন সেটা যথাযথভাবে দেশে উৎপাদনের পদক্ষেপ নিয়েছি। পাশাপাশি আমদানিও করে যাচ্ছি। সেটা যত টাকাই লাগুক না কেন, আমরা কিন্তু খরচ করে যাচ্ছি। আমাদের রিজার্ভেও চাপ পড়ছে। মানুষের কল্যাণটা হচ্ছে আমাদের সব থেকে বড় কথা। সেদিকে আমরা লক্ষ রাখছি।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আবুল কালামের প্রশ্নের জবাবে জনগণের কষ্ট লাঘবে সরকার সবসময় সচেষ্ট উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের মূল্য স্বাভাবিক রাখতে সব ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। ভোগ্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি অনেকাংশে সংযত করতে পেরেছি।

সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধে পদক্ষেপ নিয়ে জাতীয় পার্টির মুজিবুল হকের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের ট্রাফিক পুলিশ দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে। তাদের ঈদ বা ঝড়বৃষ্টি, রোদ বলে কিছু নেই। তারা তাদের কর্তব্য পালন করে যান। কিন্তু মানুষের সচেতনতা না এলে কী করবেন। হেলপার যদি গাড়ি চালায় বা যার লাইসেন্স নেই, সে যে কখন কোন গাড়িতে বসে চালাতে শুরু করে- এটা তো বোঝাও দুষ্কর। আর এভাবে গাড়ি চালাতে গিয়েই দুর্ঘটনা ঘটে। এরা নিজেও মরে, যাত্রীদেরও মারে।

দেশে ব্যক্তিগত গাড়ি বেড়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। আমরাও গাড়ি কেনার সুযোগ দিয়েছি মানুষকে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও সুযোগ দিয়েছি। এখন আমাদের গাড়ির সংখ্যা এত বেশি, কিন্তু সে তুলনায় ড্রাইভারের সংখ্যা খুব কম। আমরা চালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও নিচ্ছি। এখন শুধু হাতে-কলমেই ট্রেনিং নয়, একেবারে কম্পিউটারাইজড। ডিজিটাল সিস্টেমে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যাতে লাইসেন্স দেওয়া হয় সেই পদক্ষেপ আমরা নিচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, চালকদের দীর্ঘ সময় যাতে একটানা গাড়ি চালাতে না হয়, এ জন্য আমরা তাদের বিশ্রাম নেওয়ার ব্যবস্থা নিচ্ছি। এ জন্য অনেক বিশ্রামাগার তৈরি করা হচ্ছে। এটা হলে চালকরা কিছু স্বস্তি পাবেন।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে যুক্তরাজ্যের সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

একই দিন বিকেলে সরকারপ্রধানের সরকারি বাসভবন গণভবনে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে আসেন যুক্তরাজ্যের ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যান-মেরি ট্রেভেলিয়ান। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে সহায়তা করার জন্য যুক্তরাজ্যের (ইউকে) প্রতি আহ্বান জানান।

বাসস জানায়, শেখ হাসিনা ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী অ্যান মেরিকে বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে প্রত্যাবাসনের জন্য আপনার পদমর্যাদা ব্যবহার করুন।’ রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং তাদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

ট্রেভেলিয়ান কক্সবাজার ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের জন্য শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের বিষয়গুলো উত্থাপন করলে শেখ হাসিনা বলেন, ক্যাম্পে মানুষের ভিড় অনেক বেশি হওয়ায় সেখানে এসব সুবিধা নিশ্চিত করা অসম্ভব। তবে রোহিঙ্গাদের জন্য ভাসানচরে সরকারিভাবে নির্মাণ করা বাসস্থানে এসব সুযোগ-সুবিধা, স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবা এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে।

বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ব্রিটেনকে বাংলাদেশে আরও বেশি পরিমাণে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। শেখ হাসিনা বলেন, তিনি পারস্পরিক সুবিধার জন্য সেখানে সরাসরি বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশে স্থাপিত বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ব্রিটেনকে জায়গা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন।

ব্রিটেনে অবস্থানরত অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ ব্রিটেনের সঙ্গে একটি এসওপি (স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর) স্বাক্ষর করতে পারে। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই কেউ অবৈধভাবে বিদেশে না যাক এবং আমরা এ লক্ষ্যে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছি।’

উভয় দেশেরই এ মাসে অবৈধভাবে বসবাসকারী ব্যক্তিদের শনাক্তকরণ ও ফেরত পাঠানোর জন্য এসওপি-তে স্বাক্ষর করার কথা রয়েছে।

অবৈধ অভিবাসনকে যুক্তরাজ্যের জন্য একটি সমস্যা উল্লেখ করে ট্রেভেলিয়ান বলেন, যুক্তরাজ্য আইনি অভিবাসনকে স্বাগত জানায়।

ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী বলেন, তারা যুক্তরাজ্যে অবৈধভাবে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদের ফেরত পাঠাতে চান।

এ সময় বাংলাদেশ পর্যায়ক্রমে যুক্তরাজ্যের তৈরি ১০টি এয়ার বাস কিনবে বলেও জানান শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে অর্থনৈতিক, নিরাপত্তা ও অভিবাসন অংশীদারত্ব জোরদার করতে ট্রেভেলিয়ান দুই দিনের সফরে গত মঙ্গলবার সকালে ঢাকায় আসেন। গতকালই তিনি বাংলাদেশ ত্যাগ করেছেন।


ঢাকায় ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রা

ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রা। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দুই দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রা। আজ বুধবার একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব।

দক্ষিণ এশিয়া অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ টি এম রকিবুল হক এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা কোয়াত্রাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক্স হ্যান্ডেল (সাবেক টুইটারে) এক পোস্টে জানানো হয়, সংক্ষিপ্ত সফরে আজ সন্ধ্যায় একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছেছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব। আশা করা হচ্ছে তিনি আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এ ছাড়া কোয়াত্রা পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

ঢাকার কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, বাংলাদেশ সফরকালে কোয়াত্রা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে দিল্লি সফরের আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেবেন। আশা করা হচ্ছে, ভারতের লোকসভা নির্বাচনের পর সরকারপ্রধান দিল্লি সফরে যাবেন।

এদিকে, আজ এক সংবাদ সম্মেলনে কোয়াত্রার সফরে আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী। তাদের সঙ্গে নানা বিষয় আছে। স্বাভাবিকভাবে নানা বিষয় আলোচনা হবে। তিনি আসার পর আমরা বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব।’

ভারতীয় পররাষ্ট্রসচিবের ঢাকায় আসার এক দিন আগে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া সীমান্তে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। কোয়াত্রার সফরে সীমান্ত হত্যার প্রসঙ্গটি তোলা হবে বলে সাংবাদিকদের জানান হাছান মাহমুদ।

প্রসঙ্গত, গত ২০ এপ্রিল ঢাকায় আসার কথা ছিল ভারতের পররাষ্ট্র-সচিব বিনয় কোয়াত্রার। তবে অনিবার্য কারণে তার পূর্বনির্ধারিত সেই সফর স্থগিত করা হয়।

বিষয়:

আগামীকাল জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৯ মে) ১৪৪৫ হিজরি সনের সন্ধ্যা ৬.৪৫ মিনিটে (বাদ মাগরিব) পবিত্র জিলকদ মাসের চাঁদ দেখার লক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হবে।

সভায় সভাপতিত্ব করবেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এমপি।

বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র জিলকদ মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা টেলিফোন নম্বর: ০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬ ও ০২-৪১০৫০৯১৭ এবং ফ্যাক্স নম্বর: ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ ও ০২-৯৫৫৫৯৫১ অথবা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক অথবা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।


বিমানের হজ ফ্লাইট শুরু আগামীকাল

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিশেষ প্রতিনিধি

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এ বছরের প্রথম হজ ফ্লাইট আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় জেদ্দার উদ্দেশে যাত্রা করবে। হজ ফ্লাইটের উদ্বোধন উপলক্ষে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি এবং ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এমপি উপস্থিত থাকবেন।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বুধবার চলতি বছরের হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন।

প্রথম হজ ফ্লাইট (বিজি-৩৩০১) ৪১৯ জন হজযাত্রী নিয়ে সৌদি আরবের জেদ্দার উদ্দেশে সকাল ৭টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।

জানা গেছে, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট থেকে জেদ্দা ও মদিনায় ডেডিকেটেড ফ্লাইট পরিচালিত হবে। সে লক্ষ্যে জেদ্দা ও মদিনায় বিমানের পর্যাপ্ত জনবল নিয়োজিত করা হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকায় হজ অফিসে বিমান বোর্ডিং এবং ইমিগ্রেশন কাউন্টারে পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগ করা হয়েছে। ঢাকা হজ অফিসে বিমানের সেলস কাউন্টারে ব্যালটি হাজিদের টিকিট ইস্যু এবং নন-ব্যালটি হাজিদের টিকিট-সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানের সুবিধা রাখা হয়েছে।


সড়ক-মহাসড়কে যানবাহনের গতিসীমা নির্ধারণ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের কোন সড়কে, কত গতিতে কোন ধরনের যানবাহন চলবে, তা নির্ধারণ করে দিয়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের এ বিভাগ থেকে ‘মোটরযানের গতিসীমা-সংক্রান্ত নির্দেশিকা, ২০২৪’ জারি করা হয়েছে।

রাজধানী ঢাকাসহ সিটি করপোরেশনভুক্ত এলাকায় ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩০ কিলোমিটার গতিতে মোটরসাইকেল চালানো যাবে। মোটরসাইকেলের এমন সর্বোচ্চ গতিসীমা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। মোটরযান গতিসীমা নির্দেশিকা-২০২৪ অনুযায়ী আজ বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।

গতিসীমা নির্দেশিকা মতে, মহাসড়কের গাড়ির সর্বোচ্চ গতিসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার।

কিন্তু সব সড়কে অতিরিক্ত গতি নিয়ন্ত্রণে কোনো ব্যবস্থা নেই। আর দেশের সড়কে মোটরসাইকেল সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি অবশ্য শুধু এক্সপ্রেসওয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।

মোটরযান গতিসীমা নির্দেশিকা-২০২৪ এর নথিতে দেখা যায়, এক্সপ্রেসওয়েতে সর্বোচ্চ গতি ৮০ কিলোমিটার এবং সর্বনিম্ন গতি ৫০।

জাতীয় মহাসড়ক ক্যাটাগরি- এ সর্বোচ্চ গতি ৮০ কিলোমিটার, সর্বনিম্ন গতি ৫০। জাতীয় মহাসড়ক ক্যাটাগরি-বি সর্বোচ্চ গতি ৭০, সর্বনিম্ন ৪৫। জেলা সড়কে সর্বোচ্চ গতি ৬০ কিলোমিটার, সর্বনিম্ন ৪০। সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা সদরের মধ্য দিয়ে ব্যবহৃত জাতীয় মহাসড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়কের সর্বোচ্চ গতি ৪০ কিলোমিটার, সর্বনিম্ন ৩০।

জাতীয় মহাসড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়ক ছাড়া সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও জেলা সদরের অভ্যন্তরীণ সড়কের সর্বোচ্চ গতি ৪০ কিলোমিটার, সর্বনিম্ন ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার নির্ধারণ করা হয়েছে।

উপজেলা মহাসড়কে সর্বোচ্চ গতি ৪০, সর্বনিম্ন ৩০। শহর এলাকায় প্রাইমারি আরবান সড়কে সর্বোচ্চ গতি ৪০, সর্বনিম্ন ৩০। শহর এলাকায় সংকীর্ণ/শেয়ার রোড ও অন্যান্য সড়কে সর্বোচ্চ গতি ৩০, সর্বনিম্ন ২০ এবং গ্রামীণ সড়কে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন গতি ৩০।

বিআরটিএর সড়ক নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রব্বানী সাংবাদিকদের জানান, ‘প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে গতিসীমার বাস্তবায়ন নির্ধারণ করা হয়েছে। আমাদের সড়কের নকশা অনুযায়ী নির্ধারণ করা গতি ঠিক আছে।’

নির্দেশিকায় বলা হচ্ছে, নির্ধারণ করা গতিসীমা আবশ্যিকভাবে মেনে সড়ক-মহাসড়কে মোটরযান চালাতে হবে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, আবাসিক এলাকা এবং হাট-বাজার ইত্যাদি-সংলগ্ন সড়ক বা মহাসড়কে মোটরযানের সর্বোচ্চ গতিসীমা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান বা রাস্তা নির্মাণকারী বা উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নির্ধারিত হবে; তবে তা কোনোক্রমেই জাতীয় মহাসড়কের ক্ষেত্রে ৪০ কিলোমিটার এবং আঞ্চলিক মহাসড়কের ক্ষেত্রে ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটারের বেশি হবে না।

জরুরি পরিষেবায় নিয়োজিত মোটরযান, যেমন: অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ারসার্ভিস ইত্যাদির ক্ষেত্রে উক্ত গতিসীমা শিথিলযোগ্য হবে। সর্বোচ্চ গতিসীমার এই বাধ্যবাধকতা শুধু স্বাভাবিক অবস্থায় প্রযোজ্য হবে, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া, প্রখর রোদ, অতিরিক্ত বৃষ্টি, ঘনকুয়াশা ইত্যাদি প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রণযোগ্য নিরাপদ গতিসীমা প্রযোজ্য হবে; দৃষ্টিসীমা বেশি মাত্রায় কমে গেলে বা একেবারেই দেখা না গেলে মোটরযান চালানো বন্ধ রাখতে হবে।

এক্সপ্রেসওয়ে, জাতীয় মহাসড়ক, আঞ্চলিক মহাসড়ক এবং জেলা সড়কের উভয়দিকের প্রবেশমুখ ও নির্দিষ্ট দূরত্বে যানবাহনভিত্তিক নির্ধারিত গতিসীমা-সংক্রান্ত চিহ্ন রাস্তা নির্মাণকারী বা উপযুক্ত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রদর্শন করতে হবে।

পাহাড়ি এলাকা, আঁকাবাঁকা সড়ক, বাঁক, সেতু, রেল বা লেভেলক্রসিং, সড়ক সংযোগস্থল, বাজার, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালের সামনে চিহ্ন প্রদর্শিত গতিসীমা প্রযোজ্য হবে।

নির্দেশানায় বলা হয়েছে, মালবাহী মোটরযানসহ অন্যান্য স্বল্পগতির মোটরযান সর্বদা সড়কের বামপাশের লেন দিয়ে চলাচল করবে। শুধু ওভারটেক করার সময় ডান লেন ব্যবহার করতে পারবে, কখনো বাম লেন দিয়ে ওভারটেক করা যাবে না।

ওভারটেকিং নিষিদ্ধ না থাকলে রাস্তার ট্রাফিক সংকেত, সড়ক চিহ্ন দেখে এবং সামনে, পেছনে পর্যাপ্ত ও প্রয়োজনীয় জায়গা থাকলে নিরাপদ পরিস্থিতি বিবেচনায় ওভারটেক করা যাবে; এবং ওভারটেক করার সময় সামনে বিপরীত লেনে আগত গাড়ি এবং পেছনের গাড়ির অবস্থান ও দেখে ওভারটেকিংয়ের জন্য নিরাপদ দূরত্ব আছে কি না সে-সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।

বিষয়:

চুন্নু স্বৈরাচারের দোসর: ব্যারিস্টার সুমন

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সংসদ সদস্যদের বেতন ও সরকারি বরাদ্দের তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করায় হবিগঞ্জ-৪ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের বিরুদ্ধে স্পিকারের কাছে নালিশ দেন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু। তার পাল্টা জবাবে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘চুন্নু স্বৈরাচারের দোসর। তার মুখে সমালোচনা মানায় না। এমপিরা কত বরাদ্দ পান তা জনগণের জানার অধিকার আছে। আমি সেটা প্রকাশ করেছি মাত্র। এতে চুন্নু সাহেবের সমস্যা কোথায়?’

জাতীয় সংসদে মুজিবুল হক চুন্নুর বক্তব্যের জবাবে আজ বুধবার সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার সুমন এসব মন্তব্য করেন। এর আগে গত ৭ মে সংসদ সদস্যরা বেতন ও সরকারি বরাদ্দ কত পান তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করায় সায়েদুল হক সুমনের বিরুদ্ধে স্পিকারের কাছে অভিযোগ করেন মুজিবুল হক চুন্নু।

চুন্নুর সেই বক্তব্যের জবাবে সায়েদুল হক সুমন আরও বলেন, জাতীয় সংসদে চুন্নুর অবস্থান পরিষ্কার নয়। তিনি দাবি করেন বিরোধী দল; কিন্তু থাকেন সরকারি দলের ভেতরে। এখন এসেছেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের মুখ বন্ধ করতে। সংসদ সদস্য হিসেবে বরাদ্দ পাওয়ার বিষয় আমি ফেসবুকে প্রকাশ করেই যাব।


‘বিএনপির নির্বাচন বর্জনের রাজনীতি আত্মহননমূলক’

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিলনায়তনে বুধবার প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের মতো বিএনপির উপজেলা নির্বাচনও বর্জনের সিদ্ধান্তকে আত্মহননমূলক রাজনীতি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ ড. হাছান মাহমুদ।

এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকার পাঁচ দেশে সরকারি সফর শেষে মঙ্গলবার দেশে ফিরে আজ বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিলনায়তনে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকরা বিএনপির উপজেলা নির্বাচন বর্জন নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, যারা বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত তারা দেশের সংসদ, সিটি করপোরেশন, উপজেলা এমনকি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও অংশ নিতে পারেন না। বিএনপির নেতা-কর্মীদের কাছে আমার প্রশ্ন- কোনো নির্বাচনেই যদি অংশ নিতে পারেন, তবে আর কেন বিএনপির রাজনীতি করবেন।

উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচন হলেও বিএনপি কেন ঢাকা শহরে লিফলেট বিতরণ করছে- এ প্রশ্নে ড. হাছান বলেন, এগুলো তাদের লোক দেখানো কর্মসূচি। কখন যে তারা উপজেলা নির্বাচন বর্জনের লিফলেট বিতরণ করতে দূতাবাসগুলোতে চলে যায়, সেটিই দেখার বিষয়, কারণ তারা তো কথায় কথায় বিদেশি দূতাবাসে ধরনা দেয়।

‘ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরোচিত হামলা ও গণহত্যার বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যাপীঠগুলোতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্রের আইনরক্ষী বাহিনীর হামলা নিয়ে’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু যুক্তরাষ্ট্রে নয়, ইউরোপজুড়ে ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ নিয়ে বিক্ষোভ হয়েছে, হচ্ছে। আর আমরা দেখেছি, আমাদের এখানে হিরো আলমকে বা কোনো মেয়র পদপ্রার্থীকে কেউ ঘুষি মারলেও তারা বিবৃতি দেয়, আর তাদের ওখানে বিক্ষোভ দমন করতে পুলিশ যেভাবে বলপ্রয়োগ করছে, হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, শিক্ষকরাও রেহাই পাচ্ছেন না- এ নিয়ে তারা কি বলবেন সেটিই আমার প্রশ্ন।’

পাঁচ দেশ সফর বৃত্তান্ত

প্রেস ব্রিফিংয়ে ২৪ এপ্রিল থেকে ৬ মে পর্যন্ত পাঁচ দেশে সরকারি সফরের বিস্তারিত তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ২৪ থেকে ২৭ এপ্রিল থাইল্যান্ড সফরে অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি চুক্তি, জ্বালানি, পর্যটন ও শুল্ক সহযোগিতা বিষয়ক তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং মুক্ত বণিজ্য চুক্তির আলোচনা শুরুর লেটার অব ইন্টেন্ট স্বাক্ষরের পর ২৮ থেকে ২৯ এপ্রিল অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় ‘হিউম্যানিটি এট দ্য ক্রসরোডস: অটোনোমাস উইপনস সিস্টেমস অ্যান্ড দ্য চ্যালেঞ্জ অব রেগুলেশন’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেন মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

পাশাপাশি ভিয়েনায় অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার শ্যালেনবার্গের সঙ্গে বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও অস্ট্রিয়ার বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং দ্বৈত কর এড়ানোর প্রস্তাবিত চুক্তি দ্রুত স্বাক্ষর নিয়ে আলোচনা, ইন্টারন্যাশনাল এটমিক এনার্জি এজেন্সির (আইএইএ) মহাপরিচালক রাফায়েল মারিয়ানো গ্রোসির সঙ্গে সাক্ষাতে পারমাণবিক শক্তির অ-প্রসারণ এবং শান্তিপূর্ণ ব্যবহার নিয়ে আলোচনা এবং অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের নিজস্ব কার্যালয় উদ্বোধনের কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

৩০ এপ্রিল ও পহেলা মে যথাক্রমে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে ও যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বাংলাদেশ দূতাবাসদ্বয় আয়োজিত স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান। পাশাপাশি লন্ডনের আয়োজনে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের স্পিকার স্যার লিন্ডসে হোয়েল, হাউস অব কমন্সের নেতা পেনি মর্ডান্ট, মন্ত্রী লর্ড তারিক আহমেদ, পরিবেশবিষয়ক ছায়াসচিব স্টিভ রিড, বাংলাদেশবিষয়ক সর্বদলীয় সংসদীয় গ্রুপের চেয়ারম্যান রুশনারা আলী এমপি প্রমুখ উপস্থিত থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে অভিনন্দন জানান।

এরপর ৩ থেকে ৫ মে পশ্চিম আফ্রিকার গাম্বিয়ার রাজধানী বানজুলে ১৫তম ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনে দেশের প্রতিনিধিত্বের কথা তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ব্রিফিংয়ে সম্মেলনের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার ১০ জন মন্ত্রী ও সংস্থাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠকের সংক্ষিপ্ত চিত্র তুলে ধরেন তিনি।

ব্রিটিশ মিনিস্টার অব স্টেট অ্যান-মেরি ট্রেভেলিয়ানের বৈঠক

আজ দুপুরে বাংলাদেশ সফররত যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তরের ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়ক মিনিস্টার অব স্টেট অ্যান-মেরি ট্রেভেলিয়ান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাতে মিলিত হন। বৈঠক বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, অ্যান-মেরি ট্রেভেলিয়ান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন, মেট্রোরেলেও ভ্রমণের আগ্রহ ব্যক্ত করেন। যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবদানের কথা তুলে ধরে মিনিস্টার অব স্টেট ট্রেভেলিয়ান দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্কে সন্তোষ ব্যক্ত করে এর আরও সম্প্রসারণে জোর দেন। বৈঠকে পূর্ব সম্মতির ভিত্তিতে যুক্তরাজ্য থেকে এয়ারবাস কেনা, অভিবাসন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনসহ দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।


খালপাড়ে বৃক্ষরোপণে ঢাকার সবুজায়ন আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পৌঁছবে: মেয়র তাপস

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

খালপাড়ে বৃক্ষরোপণ ঢাকার সবুজায়ন আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

আজ বুধবার নগরীর মুগদা এলাকায় শাপলা ব্রিজ সংলগ্ন ‘মান্ডা খাল পুনরুদ্ধার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি’ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

মেয়র তাপস বলেন, ‘প্রকল্পভুক্ত শ্যামপুর, জিরানি, মান্ডা ও কালুনগর খালের উভয় পাড়ে (উভয় পাড় মিলে মোট ৩৯.৬ কি.মি. দৈর্ঘ্য) ব্যাপক বৃক্ষরোপণের যে কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে- তার মাধ্যমে ঢাকার সবুজায়ন আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে উন্নীত হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা জানি, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে ঢাকা শহরের জন্য যে সবুজায়ন বা বনায়নের প্রয়োজন সেই মানদণ্ড পর্যন্ত আমরা পূরণ করতে পারিনি। এই মান্ডা খালের পাড় দিয়ে আমাদের প্রকল্পের আওতায় আমরা প্রায় ৩৫ হাজার গাছ রোপণ করব- যার মাধ্যমে এ এলাকায় একটি সুন্দর ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি হবে এবং আমাদের শহরের জন্য সবুজায়ন ও বনায়নের যে কার্যক্রম- সেটা আরও ত্বরান্বিত হবে।’

‘এই খালগুলোর (প্রকল্পভুক্ত শ্যামপুর, জিরানি, মান্ডা, খালুনগর খাল) ও আদি বুড়িগঙ্গার পাড় ঘেঁষে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে ইনশাআল্লাহ আমরা সবুজায়নের সেই আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে উন্নীত হতে পারব’- যোগ করে বলেন মেয়র তাপস।

তিনি আরও বলেন, ‘খালগুলো নিয়ে যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে- তার মধ্যে মান্ডা খাল সবচেয়ে বড় (৮.৭ কিলোমিটার)। এরপরে শ্যামপুর (৪.৭৮ কিলোমিটার), জিরানি (৩.৯ কিলোমিটার) ও কালুনগর (২.৪ কিলোমিটার) খাল। সেই পরিপ্রেক্ষিতে মান্ডা খাল পুনরুদ্ধার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টির কাজ শুরু হচ্ছে।’

ব্যারিস্টার তাপস বলেন, ‘ডিসেম্বরের মধ্যে ঢাকাবাসী একটি দৃশ্যমান পরিবর্তন লক্ষ্য করবে এবং আগামী বছরের জুনে একটি আমূল পরিবর্তন আসবে। সেভাবেই আমাদের সব পরামর্শক, ঠিকাদার ও কর্মকর্তারা কাজ করছেন। আমরা আশাবাদী, আগামী এক বছরের মধ্যে (খালগুলোর) দৃশ্যমান ও নান্দনিক পরিবর্তন আমরা নিয়ে আসতে পারব।’

৮৯৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে শ্যামপুর, জিরানি, মান্ডা ও কালুনগর খাল পুনরুদ্ধার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টির প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এর মধ্যে ৮.৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মান্ডা খাল পুনরুদ্ধার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টিতে ব্যয় হবে ৩৯৭ কোটি টাকা। মান্ডা খাল পুনরুদ্ধার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টির আওতায় ভূমি উন্নয়ন, খালের বর্জ্য ও পলি অপসারণ, বাই-সাইকেল লেন ও অ্যাপ্রোচ রোড নির্মাণ, ৩টি এম্পিথিয়েটার নির্মাণ, ব্যায়াম করার শেড-ফোয়ারা-ওয়াকওয়ে-ঘাট নির্মাণ, ৩২টি পথচারী পারাপার সেতু ও ৬টি গাড়ি চলাচল সেতু নির্মাণ, বসার বেঞ্চ নির্মাণ, বাচ্চাদের খেলার জায়গা-ফুডকোর্ট ও কফিশপ নির্মাণ, আর. সি. সি. রিটেনিং ওয়াল ও ঢাল সুরক্ষা নির্মাণ, দৃষ্টিনন্দন সুরক্ষা বেষ্টনী ও পাবলিক টয়লেট নির্মাণ ইত্যাদি অনুষঙ্গ রয়েছে। পরে মেয়র পোস্তগোলা জাতীয় মহাশ্মশান উন্নয়ন কাজের শুভ উদ্বোধন করেন।


banner close